Tag: West Bengal

West Bengal

  • Cyclone Dana: ‘দানা’র দাপটে নাগাড়ে বৃষ্টি, জলমগ্ন কলকাতার বহু এলাকা, কোথায় কত পরিমাণ?

    Cyclone Dana: ‘দানা’র দাপটে নাগাড়ে বৃষ্টি, জলমগ্ন কলকাতার বহু এলাকা, কোথায় কত পরিমাণ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাইক্লোন ‘দানা’-র (Cyclone Dana) ল্যান্ডফল প্রক্রিয়া চলেছে রাতভর। তারই প্রভাবে শুক্রবার ভোর থেকেই শুরু হয়েছে প্রবল বৃষ্টি। সাগরদ্বীপ তথা দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা জুড়ে ব্যাপক বৃষ্টি হয়েছে রাত থেকেই। বেলা বাড়লেও শহর কলকাতার (Kolkata) আকাশে আলোর দেখা নেই। সকাল থেকে বৃষ্টি হয়ে চলেছে অঝোরে। মুষলধারে বৃষ্টি না হলেও একনাগাড়ে বর্ষণে শহরের একাধিক রাস্তা জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। তবে, সকাল থেকে রাস্তায় যান চলাচল বেশ কম। খুব বেশি মানুষও রাস্তায় বের হননি। ফলে, ভোগান্তি তুলনামূলক কম রয়েছে।

    কোথায় কোথায় জমেছে জল? (Cyclone Dana)

    সকাল থেকে টানা বৃষ্টির (Cyclone Dana) জেরে জল জমেছে সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউয়ের বেশ কিছু জায়গায়। এছাড়া মহাত্মা গান্ধী রোড, পার্ক স্ট্রিট, থিয়েটার রোড, ক্যামাক স্ট্রিটে জল জমেছে। উত্তর বন্দর থানার কাছে স্ট্র্যান্ড রোডের একাংশ জলমগ্ন হয়ে রয়েছে। জল জমেছে সায়েন্স সিটির কাছেও। বেলঘরিয়া রোড, বর্ধমান রোড এবং আলিপুরের কিছু কিছু রাস্তায় জল জমেছে। কলকাতা এবং সংলগ্ন জেলাগুলিতে শুক্রবার দিনভর ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছিল হাওয়া অফিস। শনিবার থেকে বৃষ্টি কমবে। আশঙ্কা ছিল, বৃহস্পতিবার রাত থেকে কলকাতা এবং শহরতলিতে ঝড়বৃষ্টি হবে। রাতে কোথাও তেমন বৃষ্টি হয়নি। ঝোড়ো হাওয়াও তেমন ছিল না। আশঙ্কা থাকলেও বাংলায় সে ভাবে প্রভাব ফেলতে পারেনি ঘূর্ণিঝড়। রাতে ওড়িশা উপকূলে ঝড়ের ‘ল্যান্ডফল’ হয়েছে। সেই প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হয় শুক্রবার সকালে। তার পর শক্তি হারিয়ে ‘দানা’ সাধারণ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। বিকেলের মধ্যে আরও শক্তিক্ষয় হবে তার। পরিণত হবে গভীর নিম্নচাপে।

    আরও পড়ুন: রাস্তায় যুবতীকে চুম্বন ‘মদ্যপ’ মহিলা পুলিশকর্মীর! ভাইরাল ভিডিও, আক্রমণ বিজেপির

    বৃষ্টির পরিমাণ কত?

    ঝড়ের (Cyclone Dana) ‘ল্যান্ডফল’ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হওয়ার পর বৃষ্টি বেড়ে গিয়েছে। কলকাতায় শুক্রবার সকাল পর্যন্ত বৃষ্টি হয়েছিল ৪২.৭ মিলিমিটার। তবে সকাল সাড়ে ৮টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত শহরে ৫৮.৮ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এই তিন ঘণ্টায় সল্টলেকে ২৯ মিলিমিটার এবং দমদমে ৩৫ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। গড়িয়া- ৪২ মিলিমিটার, যোধপুর পার্ক- ৪১ মিলিমিটার, বালিগঞ্জ- ৪২ মিলিমিটার, তপসিয়া- ৪০ মিলিমিটার, চেতলা- ৩৮ মিলিমিটার, মোমিনপুর- ৩৬ মিলিমিটার, ঠনঠনিয়া- ২৪ মিলিমিটার, উল্টোডাঙা- ১৭ মিলিমিটার, তারাতলা- ৩২ মিলিমিটার, বেহালা- ২৬.৭০ মিলিমিটার, চিংড়িঘাটা- ২৪ মিলিমিটার, কালীঘাট- ৪১ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া ডায়মন্ড হারবারে ৭৪ মিলিমিটার, হলদিয়ায় ৭০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।

    একাধিক জেলায় ভারী বৃষ্টি!

    হাওয়া অফিস জানিয়েছে, শুক্রবার থেকে আগামী ৩০ অক্টোবর অর্থাৎ বুধবার পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গের (Cyclone Dana) জেলাগুলিতে বৃষ্টি হতে পারে। শুক্রবার দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রামে প্রবল বৃষ্টির লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে। কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, উত্তর ২৪ পরগনা, পুরুলিয়া, বাঁকুড়ার কোথাও কোথাও ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে। দক্ষিণের বাকি জেলাগুলিতে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। শনিবার দুই মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রামের কোথাও কোথাও ভারী বৃষ্টি হতে পারে। রবিবার থেকে আবহাওয়ার উন্নতি হবে বলে জানাচ্ছেন আবহাওয়াবিদরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Cyclone Dana: ‘দানা’-র দাপট কাটিয়ে কলকাতায় স্বাভাবিক বিমান পরিষেবা, চালু হল ট্রেনও

    Cyclone Dana: ‘দানা’-র দাপট কাটিয়ে কলকাতায় স্বাভাবিক বিমান পরিষেবা, চালু হল ট্রেনও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে ওড়িশার ধামরা, ভিতরকণিকার কাছে ল্যান্ডফল হয় ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’-র। তার প্রভাব পড়ে বাংলার উপকূলেও। তবে ঝড়ের (Cyclone Dana) তাণ্ডবলীলা সেভাবে চলেনি, রক্ষা পেয়েছেন উপকূল এলাকার বাসিন্দারাও। এই পরিস্থিতিতে রেল লাইনেও তেমন কোনও ক্ষতি হয়নি। ফলে, ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। ছন্দে ফিরছে স্টেশনগুলিও। পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হওয়ার মুখে। ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’-র প্রভাব থেকে বাঁচতে দীর্ঘ সময় বন্ধ ছিল ট্রেন (Train Service) চলাচল। এদিন সকালে শিয়ালদা এবং হাওড়া স্টেশন (Sealdah Howrah) থেকে ট্রেন চলাচল শুরু হয়। ছন্দে ফিরেছে কলকাতা বিমানবন্দরও। সেখানেও শুরু হল নিয়মিত পরিষেবা।

    শুরু হল ট্রেন চলাচল (Cyclone Dana)

    রেলের পক্ষ থেকে বৃহস্পতিবার রাত ৮টা থেকে শুক্রবার সকাল ১০টা পর্যন্ত লোকাল ট্রেন পরিষেবা বন্ধ থাকার কথা বলা হয়ে ছিল। তবে, শুক্রবার সকালে নির্ধারিত সময়ের ১০ মিনিট আগে থেকেই রেল পরিষেবা স্বাভাবিক হল শিয়ালদা ডিভিশনে। দক্ষিণ শাখার প্রথম ট্রেন ডাউন সোনারপুর লোকাল শিয়ালদা স্টেশন ছাড়ে। তারপর একে একে ছাড়ে ডায়মন্ড হারবার, ক্যানিং, বারুইপুর এবং লক্ষ্মীকান্তপুর লোকাল ট্রেন। তবে যাত্রীর সংখ্যা অন্যদিনের তুলনায় অনেক কম। ট্রেন বন্ধ থাকায় অনেক রাত থেকে শিয়ালদা স্টেশন অপেক্ষা করছিলেন যাত্রীরা। সময়ের অনেক আগে থেকে অনেকেই টিকিট কাউন্টারের সামনে লাইন দেওয়া শুরু করেন (Cyclone Dana)। যাতে কাউন্টার খোলার সঙ্গে সঙ্গেই টিকিট পাওয়া যায়। কিন্তু, দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে হওয়ায় অনেকেই ধৈর্য্যচ্যুত হয়ে পড়েন। টিকিট কাউন্টারের সামনে লম্বা লাইন পড়ে যায় যাত্রীদের। অন্যদিকে, হাওড়া স্টেশনেও দুর্যোগের কারণে অনেকেই বাড়ি থেকে বেরোননি। আবার কেউ কেউ ট্রেন চলাচল নিয়েও অনিশ্চয়তায় ছিলেন। বৃহস্পতিবার রাতে বনগাঁ শাখার ট্রেন চললেও হাসনাবাদ শাখায় ট্রেন চলেনি। সেই পরিষেবাও শুক্রবার স্বাভাবিক করা হয়েছে। দূরপাল্লার ট্রেনের ক্ষেত্রেও নতুন করে কোনও তথ্য জানানো হয়নি। আগে থেকে বাতিল হওয়া ট্রেন বাদে সবই চলবে স্বাভাবিক সময়ে (Train Service)। 

    আরও পড়ুন: রাস্তায় যুবতীকে চুম্বন ‘মদ্যপ’ মহিলা পুলিশকর্মীর! ভাইরাল ভিডিও, আক্রমণ বিজেপির

    চালু বিমান পরিষেবা

    এদিকে, কলকাতা বিমানবন্দরে শুরু হয়েছে বিমান পরিষেবা। তবে ঘূর্ণিঝড় (Cyclone Dana) দানার প্রভাবে বাতিল হয়েছে বহু উড়ান। তার জেরে ভোগান্তির শিকার হতে হয়েছে যাত্রীদের। কলকাতা বিমানবন্দরে শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে উড়ান পরিষেবা চালু হয়েছে। সাইক্লোন ‘দানা’-র কথা মাথায় রেখে যাত্রী সুরক্ষার জন্য কলকাতা বিমানবন্দরে ১৫ ঘণ্টা উড়ান পরিষেবা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। ইতিমধ্যেই সম্পূর্ণ হয়েছে সাইক্লোন ‘দানা’-র ল্যান্ডফল। এর প্রভাবে কলকাতায় বৃষ্টিপাত হলেও বিশেষ প্রভাব পড়েনি। পরিস্থিতির উপর নজরদারি চালিয়ে নির্ধারিত সময়ের বেশ কিছুটা আগেই কলকাতা বিমানবন্দরে পরিষেবা চালু হয়। শুক্রবার কলকাতা বিমানবন্দরে দিনের প্রথম উড়ান অবতরণ করে সাড়ে ৮টা ২৫ মিনিট নাগাদ। তা দিল্লি থেকে কলকাতায় আসে এবং সকাল ৮টা ৪০ মিনিটে কলকাতা বিমানবন্দর থেকে একটি উড়ান ইম্ফলের উদ্দেশে রওনা দেয়। সকাল ৮টা থেকেই বিমানবন্দরের কাজকর্ম স্বাভাবিক ছন্দে ফিরেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Siliguri: রাস্তায় যুবতীকে চুম্বন ‘মদ্যপ’ মহিলা পুলিশকর্মীর! ভাইরাল ভিডিও, আক্রমণ বিজেপির

    Siliguri: রাস্তায় যুবতীকে চুম্বন ‘মদ্যপ’ মহিলা পুলিশকর্মীর! ভাইরাল ভিডিও, আক্রমণ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহিলাদের নিরাপত্তায় রাজ্যজুড়ে মহিলা পুলিশকর্মীদের নিয়ে পিঙ্ক মোবাইল ভ্যান চালুর উদ্যোগ নিয়েছিল রাজ্য সরকার। আর রাতে সেই পিঙ্ক মোবাইল ভ্যান নিয়ে টহলদারির সময় বিবাহিত যুবতীকে চুম্বন করার অভিযোগ উঠল মহিলা পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধে! বুধবার রাতে চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে শিলিগুড়ি (Siliguri) পুরনিগমের ৪৬ নম্বর ওয়ার্ডে। ঘটনার ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই তীব্র শোরগোল পড়ে গিয়েছে শহরে। প্রশ্ন উঠছে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Siliguri)

     বুধবার রাত আটটা নাগাদ বিবাহিত এক যুবতী শ্রীগুরু বিদ্যামন্দিরের (Siliguri) মাঠে বসে একজনের সঙ্গে কথা বলছিলেন। সেই সময়েই পিঙ্ক ভ্যানে থাকা এক মহিলা পুলিশ (Police) আধিকারিক সেখানে হাজির হন। তিনি তাদের ‘এখানে কী করছিস’ জানতে চাওয়ার পরেই মারধর শুরু করেন বলে অভিযোগ। স্থানীয় বাসিন্দারা সেখানে ছুটে যান। তাঁরা পাল্টা প্রশ্ন করলে ওই পুলিশ আধিকারিক অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ শুরু করেন বলে অভিযোগ। স্থানীয়রা তখন মোবাইলে ভিডিও তুলতে শুরু করেন। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে (সত্যতা যাচাই করেনি মাধ্যম), এক পুলিশ কর্মী গাড়ির পাশে দাঁড়িয়ে রয়েছেন। ওই যুবতী ছাড়াও আরও এক মহিলা পাশে দাঁড়িয়ে রয়েছেন। তাঁরা কোনও কথা বলছিলেন। আচমকা যুবতীকে ওই মহিলা পুলিশকর্মী জড়িয়ে ধরে চুম্বন করেন। এর পরেই ওই আধিকারিক নিজের ভুল স্বীকার করে ভ্যানে ওঠার চেষ্টা করেন। ততক্ষণে পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছয় যে এলাকার মহিলারা তাঁকে ঘেরাও করে হাত টেনে ধরে গাড়িতে উঠতে বাধা দেন। শেষ পর্যন্ত স্থানীয়দের চেষ্টায় আধিকারিক- সহ পিঙ্ক ভ্যানের পুলিশকর্মীরা এলাকা ছাড়তে সক্ষম হন। স্থানীয়দের দাবি ডিউটির সময় নেশাগ্রস্ত অবস্থায় ছিলেন ওই মহিলা পুলিশকর্মী। ওই যুবতীর দাবি, ‘‘পড়াশোনা করছিলাম। ক্লান্ত লাগছিল বলে বাড়ির সামনের স্কুলের মাঠে গিয়ে দাঁড়িয়েছিলাম। আমায় দেখে আমারই এক আত্মীয় সামনে এগিয়ে এসে কথা বলতে শুরু করে। এর মধ্যেই পুলিশ ভ্যানটি মাঠে ঢোকে। তারপরে আমাদের অশ্লীল গালিগালাজ করে এক মহিলা অফিসার মারধর শুরু করে দেয়। ’’ওই যুবতীর মা অভিযুক্ত পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।

    আরও পড়ুন: ‘দানা’র দাপটে উত্তাল দিঘা-মন্দারমণি, ভোর-রাত থেকেই নাগাড়ে বৃষ্টি কলকাতায়

    স্থানীয় বাসিন্দারা কী বললেন?

    এক অভিভাবক (Siliguri) বলেন, ‘‘চারদিকে মহিলাদের ওপরে কত অত্যাচারের কথা শুনতে পাই। সেগুলো থামাতে পারছে না পুলিশ। আর মহিলাদের ধরে মারধর করবে, এটা কেমন কথা!’’ মারধরের সময়ে স্থানীয় কাউন্সিলারকে ফোন করা হলেও তিনি সাহায্য করতে অস্বীকার করেন বলে অভিযোগ। তৃণমূলের শিলিগুড়ি জেলা চেয়ারম্যান অলোক চক্রবর্তী বলেন, ‘‘এলাকার বাসিন্দারা সমস্যায় পড়লে কাউন্সিলারকে মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে। খোঁজ নেব। প্রয়োজনে পদক্ষেপ করা হবে।’’

    অভিযুক্ত পুলিশকর্মী সাসপেন্ড

    এদিকে, ভাইরাল ভিডিওর জেরে শোরগোল বেঁধে যায় শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটে। পুলিশের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ ওঠায় চারদিকে ছিছিক্কার শুরু হতেই বাধ্য হয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করে পুলিশ। শিলিগুড়ি (Siliguri) পুলিশ কমিশনারেটের উপ নগরপাল (ট্রাফিক) বিশ্বচাঁদ ঠাকুর বৃহস্পতিবার বলেন, ‘‘ঘটনাটি নজরে আসার পরে তানিয়া রায় নামে ওই মহিলা আধিকারিককে বৃহস্পতিবার সাসপেন্ড করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়েছে।’’

    প্রশাসনকে তুলোধনা বিজেপির

    এই ঘটনাকে হাতিয়ার করে মমতার পুলিশ-প্রশাসনকে তুমুল আক্রমণ করেছে রাজ্যের বিরোধী দল। বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করে বলেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের অবস্থা দেখে মানুষ কেঁপে উঠবে। শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটান পুলিশের পিঙ্ক ভ্যান বাহিনীর এএসআই তানিয়া রায় মদ্যপ অবস্থায় বুধবার এক মহিলাকে অসংলগ্ন অবস্থায় জড়িয়ে ধরেন যা ভিডিওতে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে। বহুবার ওনার বিরুদ্ধে মদ্যপ অবস্থায় কাজে আসার অভিযোগও উঠেছে। পশ্চিমবঙ্গের প্রশাসন দারুণ চলছে।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Cyclone Dana: ‘চোখ’ না থাকলেও বাংলা-ওড়িশার উপকূলে ব্যাপক তাণ্ডব চালাবে দানা

    Cyclone Dana: ‘চোখ’ না থাকলেও বাংলা-ওড়িশার উপকূলে ব্যাপক তাণ্ডব চালাবে দানা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৃহস্পতিবার রাতেই ওড়িশার উপকূলে ল্যান্ডফল প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যেতে পারে ঘূর্ণিঝড় দানার (Cyclone Dana)। শুক্রবার ভোররাত পর্যন্ত চলতে পারে তাণ্ডব। তবে এই ঘূর্ণিঝড়ের কোনও চোখ থাকবে না বলেই জানিয়েছে হাওয়া অফিস। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ওড়িশা এবং পশ্চিমবঙ্গের উপকূলে ভালোই ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। মৌসুম ভবনের তরফে জানানো হয়েছে, চোখ না থাকলেও ব্যাপক তাণ্ডব চালাবে দানা এবং এর বেশিরভাগই হবে ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গে (West Bengal)। উপকূলে ভারী বৃষ্টি এবং প্রবল বেগে ঝোড়ো হাওয়ার সতর্কবার্তার কথা শুনিয়েছে হাওয়া অফিস। ল্যান্ডফলের পরে দানা দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে বাঁক নিতে শুরু করবে এবং ধীরে ধীরে তা শক্তি হারাবে বলে জানাচ্ছেন হাওয়া অফিসের কর্তারা।

    তাণ্ডব চালাবে দানা (Cyclone Dana)

    মৌসুম ভবনের তরফ থেকে যে বিবৃতি দেওয়া হয়েছে তাতে বলা হয়েছে, এই মুহূর্তে (প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত) ঘূর্ণিঝড়ের (Cyclone Dana) কেন্দ্রে হাওয়ার গতি ঘণ্টায় ৯৫ থেকে ১০৫ কিলোমিটার রয়েছে। ঘূর্ণিঝড় বর্তমানে সমুদ্রে রয়েছে এবং সেখানেই এই বেগে বইছে হাওয়া। ওড়িশা এবং পশ্চিমবঙ্গ উপকূলে বর্তমানে ঝড়ের গতি রয়েছে ৬০ থেকে ৭০ কিলোমিটার। রাত যত বাড়বে ঝড়ে তীব্রতার ততই বাড়বে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। জানা গিয়েছে উপকূলবর্তী এলাকায় ঝড়ের সর্বোচ্চ গতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে ১০০ থেকে ১২০ কিলোমিটার।

    দানার (Cyclone Dana) কোনও চোখ থাকবে না 

    দানার (Cyclone Dana) কোনও চোখ থাকবে না বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া অফিসের আধিকারিকরা। এর কারণ হিসেবে তাঁরা জানাচ্ছেন, ঘূর্ণিঝড় ঘুরতে ঘুরতে যখন স্থলভাগের দিকে এগোতে থাকে, তখন তার কেন্দ্রে একটি আপাত, শান্ত অঞ্চল তৈরি হয়ে যায়। সেখানে হাওয়ার গতিবেগ তুলনামূলকভাবে অনেকটাই কম থাকে। ল্যান্ডফলের সময় ঝড়ের ঐ কেন্দ্র যখন স্থলভাগে প্রবেশ করে, তখন ওই ঘূর্ণিঝড়ের দাপট সব থেকে বেশি হয়। আবহাওয়াবিদরা জানাচ্ছেন, অনেক ক্ষেত্রেই চোখ তৈরি হয় না ঘূর্ণিঝড়ের। দানার ক্ষেত্রেও সেরকম কোনও চোখ থাকছে না। অন্যদিকে দানার তাণ্ডবে, পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হতে পারে পূর্ব মেদিনীপুর জেলায়, এমনটাই জানা যাচ্ছে।

    বাংলা-ওড়িশা ছাড়াও ৫ রাজ্যে জারি সতর্কতা

    এর পাশাপাশি হাওয়া অফিসের কর্তারা আরও জানিয়েছেন, ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও আরও পাঁচ রাজ্যে প্রভাব পড়বে ঘূর্ণিঝড় দানার (Cyclone Dana)। সেই রাজ্যগুলিতে ইতিমধ্যেই সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে। মৌসমভবনের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, ওড়িশা এবং পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও দানার তাণ্ডব চলবে অন্ধ্রপ্রদেশ, ঝাড়খণ্ড, ছত্তিশগড়, বিহার এবং তামিলনাড়ুতে। ইতিমধ্যেই বিহারের ১২ জেলায় সতর্কবার্তা জারি করেছে রাজ্য প্রশাসন। সেই ১২ জেলার মধ্যে রয়েছে ভাগলপুর, বাঁকা, জামুই, মুঙ্গের, শেখপুরা, নালন্দা, জেহানাবাদ, লখিসরাই, নওয়াদা, গয়া, কাটিহার, পুর্ণিয়া এবং কিসানগঞ্জ। জানা গিয়েছে, এই জেলাগুলিতে ঘণ্টায় ৪০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইবে। তামিলনাড়ুতেও হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Cyclone Dana: ‘দানা’র দাপটে বাংলার উপকূলে ১৪ ফুট পর্যন্ত উঠতে পারে সমুদ্রের ঢেউ

    Cyclone Dana: ‘দানা’র দাপটে বাংলার উপকূলে ১৪ ফুট পর্যন্ত উঠতে পারে সমুদ্রের ঢেউ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্থলভাগের সঙ্গে দূরত্ব কমছে দানার। আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে, ‘দানা’ ওড়িশার পারাদ্বীপ থেকে ১২০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্ব, ধামারা থেকে ২১০ কিলোমিটার দক্ষিণ দক্ষিণ-পূর্ব এবং পশ্চিমবঙ্গের সাগরদ্বীপ থেকে ২৭০ কিলোমিটার দক্ষিণ দিকে রয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার সকালের মধ্যে তার সম্ভাব্য ‘ল্যান্ডফল’ হতে পারে। ঘূর্ণিঝড় (Cyclone Dana) স্থলভাগে আছড়ে পড়ার সময় পশ্চিমবঙ্গের উপকূলে (Coast Of Bengal) জলোচ্ছ্বাস প্রবল হতে পারে, সতর্ক করেছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর।

    ঢেউয়ের উচ্চতা হতে পারে সর্বোচ্চ ১৪ ফুটেরও বেশি! (Cyclone Dana)

    সমুদ্রে ১২ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা বেগে উপকূলের (Cyclone Dana) দিকে এগোচ্ছে ‘দানা’। অভিমুখ মূলত উত্তর-পশ্চিম। আবহবিদেরা জানিয়েছেন, ওড়িশার ভিতরকণিকা থেকে ধামারার মধ্যে ‘দানা’ আছড়ে পড়তে পারে। বৃহস্পতিবার গভীর রাত থেকে শুক্রবার ভোর পর্যন্ত উপকূলে ঢেউয়ের উচ্চতা হবে সবচেয়ে বেশি। পূর্বাভাস অনুযায়ী, পশ্চিমবঙ্গের উপকূলে বৃহস্পতিবার রাত আড়াইটে থেকে শুক্রবার ভোর সাড়ে ৫টার মধ্যে ঢেউ উঠতে পারে ৯.৮৪ ফুট থেকে ১৪.৪৩ ফুট পর্যন্ত। এই সময়ের মধ্যে উপকূল খালি রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। নৌকা, ছোট ছোট জলযান নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যেতে বলেছে হাওয়া অফিস।

    আরও পড়ুন: ধেয়ে আসছে ‘দানা’, চরম দুর্যোগের আশঙ্কা, এই সময়ে কী করবেন আর কী করবেন না

    ১২০ কিলোমিটার বেগে ঝড়

    ইতিমধ্যে ‘দানা’র (Cyclone Dana) মোকাবিলায় তৎপরতা শুরু হয়ে গিয়েছে দিঘা, মন্দারমণির মতো উপকূলঘেঁষা এলাকায়। পর্যটকদের আগেই সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। উপকূল সংলগ্ন এলাকা থেকে স্থানীয় বাসিন্দাদেরও নিরাপদ স্থানে সরানো হয়েছে। যাঁদের কাঁচা বাড়ি রয়েছে, তাঁরা ত্রাণশিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের এক কর্তা বলেন, পশ্চিমবঙ্গে ‘ল্যান্ডফল’ না হলেও ‘দানা’য় সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলায়। সেখানে বৃহস্পতিবার রাত থেকে ঝড়ের গতি হতে পারে ১০০ কিলোমিটারের বেশি। সর্বোচ্চ ১২০ কিলোমিটার বেগে ঝড় বইতে পারে পূর্ব মেদিনীপুরে। এ ছাড়া, সুন্দরবন-সহ দক্ষিণ ২৪ পরগনার কিছু অংশ ‘দানা’র তাণ্ডবের সাক্ষী থাকবে। ঝড়ের গতি হতে পারে ৯০ থেকে ১০০ কিলোমিটার। কলকাতায় ঝড় বইতে পারে সর্বোচ্চ ৮০ কিলোমিটার বেগে। সতর্কতা জারি করা হয়েছে হলদিয়া এবং কলকাতা বন্দরেও।

    তাজপুরে ভাঙন!

    ঘূর্ণিঝড় দানার আতঙ্কে কাঁপছে গোটা পূর্ব মেদিনীপুর জেলার উপকূল ভাগ। তাজপুরের জলধা এলাকায় আতঙ্ক বাড়াল ভাঙন। বৃহস্পতিবার ভোরে সমুদ্র ফুঁসে উঠতেই ভাঙন শুরু হয় তাজপুরের জলধা এলাকায়। চোখের পলকে সমুদ্র লাগোয়া জমি তলিয়ে যাচ্ছে। সকালবেলা ভাঙনের এই ছবি দেখেই ঘুম ছুটেছে এলাকার বাসিন্দাদের। ‘দানা’র প্রভাবে পশ্চিমবঙ্গে বৃষ্টি চলবে শুক্রবার পর্যন্ত। কলকাতা, হাওড়া, হুগলি এবং উত্তর ২৪ পরগনায় শুক্রবার পর্যন্ত ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে। একই সম্ভাবনা রয়েছে ঝাড়গ্রামেও। তবে পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম বর্ধমান, মুর্শিদাবাদ এবং নদিয়াতেও শুক্রবার পর্যন্ত ভারী বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে।

    পুলিশের লাঠিচার্জ

    বৃহস্পতিবার সক্কাল সক্কাল দিঘা-তাজপুর-মন্দারমণিতে জড়ো হয়েছেন বহু পর্যটক। প্রশাসন মাইকে বারবার ঘোষণা করলেও সমুদ্রের ধারে সেলফিতে ডুবে প্রত্যেকেই। তাঁদের সরাতে রীতিমতো লাঠিচার্জের খবরও সামনে এসেছে। সমুদ্রস্নানে নিষেধাজ্ঞা জারি করলেও হুঁশ নেই পর্যটকদের। এই ভাঙন কবলিত এলাকায় বাস প্রায় আটশো মানুষের। তাঁরা সকলেই মৎস্যজীবী। আবহাওয়া দফতর ঘূর্ণিঝড়ের (Cyclone Dana) পূর্বাভাস দেওয়ার পরেই গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে যাওয়া এই এলাকার মৎস্যজীবীদের ফিরিয়ে এনেছে প্রশাসন। কিন্তু ঘরে ফিরেও স্বস্তিতে নেই তাঁরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Cyclone Dana: আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’! দিঘা-ওড়িশায় যুদ্ধ জিততে প্রস্তুত এনডিআরএফ

    Cyclone Dana: আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’! দিঘা-ওড়িশায় যুদ্ধ জিততে প্রস্তুত এনডিআরএফ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ওড়িশার ভিতরকণিকা পার্ক এবং ধামরা বন্দরের মাঝে আছড়ে পড়তে চলেছে ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’ (Cyclone Dana)। হাওয়া অফিস জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার গভীর রাত থেকে শুক্রবার ভোরের মধ্যেই শতাধিক কিলোমিটার বেগে স্থলভাগে ঢুকে পড়বে ‘দানা’। আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, ওড়িশায় ‘দানা’ যতটা প্রভাব ফেলবে, অনেকটা তার কাছাকাছি প্রভাব পড়তে পারে ওড়িশা লাগোয়া পূর্ব মেদিনীপুরেও। ঝড়-জলে বিপর্যস্ত হতে পারে এই জেলার বিস্তীর্ণ অংশের জনজীবন। ইতিমধ্যেই ঘূর্ণিঝড়ে বিপদগ্রস্ত মানুষদের উদ্ধারে প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। এনডিআরএফ-এর (NDRF Team) ডেপুটি ইনস্পেক্টর জেনারেল মোহসেন শাহেদি বৃহস্পতিবার জানান যে, ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় ওড়িশায় ২০টি এবং পশ্চিমবঙ্গে ১৭টি টিম মোতায়েন করা হয়েছে। 

    ওড়িশায় সক্রিয়তা

    দানার (Cyclone Dana) হানা মোকাবিলা করতে ইতিমধ্যেই তৎপর হয়েছে ওড়িশা প্রশাসন। মনে করা হচ্ছে ওড়িশার প্রায় ১০ লক্ষ মানুষ দানার প্রকোপের মুখে পড়তে পারেন। তার মধ্যে বুধবার সন্ধ্যার মধ্যে তিন লক্ষ মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী মোহনচরণ মাঝি। বাকিদেরও সুরক্ষিত আশ্রয়কেন্দ্রে সরানোর কাজ চলছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় ওড়িশার বিজেপি সরকার ১৪টি জেলায় রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর ৫১টি দল, জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর (NDRF Team) ২০টি দল এবং দমকল বাহিনীর ১৭৮টি দল মোতায়েন করেছে। এনডিআরএফ-এর ডেপুটি ইনস্পেক্টর জেনারেল শাহেদি বলেন, “এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গ সবচেয়ে বেশি পড়বে। ওড়িশার ভদ্রক জেলা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে মনে হচ্ছে। ওড়িশার ১০টি উপকূলবর্তী জেলা ব্যাপকভাবে আক্রান্ত হবে। এর মধ্যে আক্রান্ত এলাকা থেকে ১.৭ লক্ষের বেশি মানুষকে উদ্ধার করা হয়েছে।”

    আরও পড়ুন: ‘দানা’র দাপটে লণ্ডভণ্ড হতে পারে ওড়িশার তিন জেলা, কোথায়, কত বেগে বইবে ঝড়?

    সতর্কতা পূর্ব মেদিনীপুরে

    ঝড়-জলে বিপর্যস্ত হতে পারে বাংলার পূর্ব মেদিনীপুর জেলার বিস্তীর্ণ অংশের জনজীবন। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, অতি ভারী বৃষ্টি হবে সেখানে। উঠতে পারে প্রবল ঝড়ও। পরিস্থিতি সামাল দিতে ইতিমধ্যেই পথে নেমেছে প্রশাসন। সমুদ্রের ধারেকাছে ঘেষতে দেওয়া হচ্ছে না সাধারণ মানুষকে। সম্ভাব্য দুর্যোগের কথা মাথায় রেখে দিঘা এবং সংলগ্ন এলাকায় কাজে নেমে পড়েছে এনডিআরএফও। ত্রাণ ও উদ্ধারকাজে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর (NDRF Team) জুড়ি মেলা ভার। এবার তারাই সহায় দিঘা, মন্দারমনির স্থানীয় বাসিন্দাদের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Cyclone Dana: ধেয়ে আসছে ‘দানা’, চরম দুর্যোগের আশঙ্কা, এই সময়ে কী করবেন আর কী করবেন না

    Cyclone Dana: ধেয়ে আসছে ‘দানা’, চরম দুর্যোগের আশঙ্কা, এই সময়ে কী করবেন আর কী করবেন না

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ধেয়ে আসছে ঘুর্ণিঝড় ‘দানা’ (Cyclone Dana)। শেষ পাওয়া আপডেট বলছে পারাদ্বীপ থেকে ১৮০ কিমি দূরে দানা। ধামরা থেকে ২০০ কিমি দূরে রয়েছে। সাগর দ্বীপ ২৫০ কিমি দূরে অবস্থান করছে। আবহওয়ার রিপোর্ট অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার রাতেই ওড়িশার ধামরা ও ভিতরকণিকার মধ্যে কোনও একটি জায়গায় ল্যান্ডফল করার কথা ঘূর্ণিঝড়ের। তবে, ঝড় সরাসরি এরাজ্যের ওপর দিয়ে না গেলেও, পরোক্ষ প্রভাব পড়বে। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, ‘দানা’-র দাপটে দক্ষিণবঙ্গে বিশেষ করে উপকূলবর্তী এলাকায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হবে। দানার দাপটে ইতিমধ্যে সমুদ্র উত্তাল হতে শুরু করেছে। কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। এদিন সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকায় সকাল থেকেই ঝোড়ো হাওয়া বইতে শুরু করেছে। চরম দুর্যোগের (Weather Update) আশঙ্কা রয়েছে। প্রশাসনের উদ্যোগে বহু মানুষকে সরিয়ে নিরাপদ জায়গায় রাখা হয়েছে। খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম। এমতাবস্থায় জেনে নেওয়া যাক, ঘূর্ণিঝড়ের আগে, ঘূর্ণিঝড়ের সয়ম এবং ঘূর্ণিঝড়ের পরে, কী কী করা উচিত এবং কী কী উচিত নয়।

    সাইক্লোন আসার আগে কী কী করবেন? (Cyclone Dana)

    সাইক্লোন (Cyclone Dana) আসার আগে ঘরের ছাদ দেখে নিন। কোনও টালি আলগা থাকলে মেরামত করুন। দরজা জানালার কবজাও মেরামত করে নিন। বাড়ির কাছাকাছি থাকা মরা গাছের ডাল ছেঁটে ফেলুন। গাছের ব্যাপারে সতর্ক থাকুন। যাতে বাড়ির উপর এসে না পড়ে। টিনের পাতলা শিট, লোহার কৌটো যত্রতত্র পড়ে থাকলে একজায়গায় জড়ো করুন। নয়তো ঝড়ের সময় এর থেকে বিপদ হতে পারে। কাঠের তক্তা কাছে রাখুন, যাতে কাচের জানলায় সাপোর্ট দেওয়া যায়। ঝড়ের তাণ্ডব চলাকালীন বিদ‍্যুৎ সংযোগ না-ও থাকতে পারে।  ফলে ঝড় শুরুর আগেই ফোন, ল্যাপটপ ও অন্যান্য জরুরি বৈদ্যুতিন যন্ত্রে চার্জ দিয়ে রাখুন। হালকা শুকনো খাবার মজুত রাখুন বড়সড় বিপদের জন্য। পর্যাপ্ত জল মজুত রাখুন। যে ঘরটি সবচেয়ে নিরাপদ, সেখানে আশ্রয় নিন। বাড়ির পোষ্য ও গবাদি পশুদেরও নিরাপদ স্থানে এনে রাখুন।

    আরও পড়ুন: আসছে ‘দানা’! ১৪ ঘণ্টা পরিষেবা বন্ধ শিয়ালদা দক্ষিণে, হাওড়ায় বাতিল একগুচ্ছ ট্রেন

    কী করবেন না?

    বাড়ির ছাদে বা আশপাশে এমন কোনও জিনিস রাখবেন না, যা উড়ে গিয়ে কারও আঘাত লাগতে পারে। এই খুঁটিনাটি বিষয়গুলি মাথায় না রাখলে দুর্যোগের সময় বড় বিপদ ঘটে যেতে পারে। বজ্রপাতের সময় মোবাইলে কথা বলা থেকে, এমনকি বজ্রপাতের (Cyclone Dana) ছবি তোলা থেকেও বিরত থাকুন। দরজা-জানলা খুলে রাখবেন না। প্রকৃতির মতিগতি আগে থেকে বোঝা দুষ্কর। যে কোনও সময় ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করতে পারে। তাই দরজা-জানলা আঁটসাঁট করে বন্ধ রাখুন। মিক্সি, মাইক্রোওয়েভ অভেন কিংবা অন‍্যান‍্য বৈদ‍্যুতিন যন্ত্রপাতি ব‍্যবহার বন্ধ রাখুন। বড় বিপদ ঘটে যেতে পারে। একান্ত দরকার না পড়লে বাইরে বেরোবেন না। আর যদি কোনও জরুরি পরিস্থিতিতে বাইরে বেরোতেই হয়, গাছ আছে এমন স্থানে যাবেন না।

    সাইক্লোন শুরু হলে কী কী করবেন?

    বিদ্যুৎ ব্যবস্থা (Cyclone Dana) ঠিক থাকলে টিভিতে খবরে নজর রাখুন। নয়তো রেডিও চালিয়ে রাখতে পারেন। অল ইন্ডিয়া রেডিওতে নিয়মিত আবহাওয়া খবর পাবেন। সঠিক খবর শুনে অন্যদের প্রয়োজনে জানান। ভুয়ো খবর শোনা ও শোনানো থেকে বিরত থাকুন। আগাম ২৪ ঘন্টার সতর্কতা শুনে সেই মতো ব্যবস্থা নিন।

    আপনার এলাকায় সাইক্লোন সতর্কতা জারি হলে কী করবেন?

    এই ক্ষেত্রে প্রশাসনের সঙ্গে সহযোগিতা করতে হবে। প্রশাসনের তৈরি বিভিন্ন সাইক্লোন (Cyclone Dana) সেন্টারে গিয়ে থাকাই শ্রেয়। এতে অনেকটা নিরাপদে থাকা যাবে। বেশি করে শুকনো খাবার নিয়ে নিতে পারেন।  অবশ্যই পানীয় জল সঙ্গে রাখুন। শিশু ও বয়স্কদের জন্য আলাদা আলাদা খাবার নিয়ে নিন। সমস্ত ইলেক্ট্রিক জিনিসের সুইচ অফ করে দিন। প্লাগও খুলে দিতে হবে। সাইক্লোন থামলেই বাইরে বেরোবেন না সাইক্লোন থামলেই বাইরে বেরোনো একেবারে উচিত নয়। অপেক্ষা করুন আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাসের।  কারণ, সাইক্লোন চক্রাকারে ঘোরে। সাইক্লোনের কেন্দ্রে কোনও ঝড় হয় না। ওই অংশ শান্ত। হতে পারে সেই সময় ওই অংশটি আপনার এলাকা দিয়ে যাচ্ছে। কারণ, সাইক্লোনের প্রথম হাওয়া ডানদিক থেকে বাঁদিকে বইলে পরের হাওয়া অর্থাৎ সাইক্লোনের কেন্দ্র বা চোখ পেরিয়ে যাওয়ার পরের হাওয়া বাঁদিক থেকে ডানদিকে বইবে। তাই ওই সময় বাইরে থাকলে বড়সড় বিপদ ঘটতে পারে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Amit Shah: রবিবার রাজ্যে অমিত শাহ, অভয়ার পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করাতে উদ্যোগী বিজেপি

    Amit Shah: রবিবার রাজ্যে অমিত শাহ, অভয়ার পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করাতে উদ্যোগী বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির সদস্য সংগ্রহ অভিযান শুরু করতে আগামী রবিবার সকালে কলকাতায় আসছেন অমিত শাহ। ওই দিন দলীয় কর্মসূচি ছাড়াও তাঁর মন্ত্রকের দু’টি অনুষ্ঠানও রয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এমন ব্যস্ত সফরসূচির মধ্যেই তাঁর সঙ্গে নির্যাতিতার পরিবারের দেখা করাতে উদ্যোগী বিজেপি নেতৃত্ব। জানা গিয়েছে, অমিত শাহের (Amit Shah) সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে চেয়ে ইমেল পাঠিয়েছিলেন আরজি কর হাসপাতালের নিহত চিকিৎসকের মা-বাবা। মানসিক যন্ত্রণা ও অসহায়তার কথা জানিয়ে অমিত শাহকে চিঠি দিয়েছেন তাঁরা। তার পরেই শাহের সঙ্গে তাঁদের সাক্ষাৎ করাতে উদ্যোগী হয়েছেন রাজ্য বিজেপির শীর্ষ নেতারা। সূত্রের খবর, অমিত শাহ নিজেও মৃতার পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে আগ্রহী।

    নির্যাতিতা পরিবারের শাহি সাক্ষাতে উদ্যোগী বিজেপি (Amit Shah)

    কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সূত্রে খবর, শাহ (Amit Shah) রাজ্য বিজেপির কয়েক জন শীর্ষনেতার সঙ্গে কথা বলে নির্যাতিতার পরিবারের (RG Kar) সঙ্গে দেখা করার বন্দোবস্ত করতে বলেছিলেন। তার পর থেকেই রাজ্য বিজেপির নেতারা ওই পরিবারের সঙ্গে দেখা করার বন্দোবস্ত করতে শুরু করেন। এরই মধ্যে তাঁরা শাহকে ইমেল পাঠিয়ে সাক্ষাতের সময় চাওয়ায় সেই পথ আরও সুগম হয়েছে। দলের একটি সূত্র জানাচ্ছে, আর আরজি কর-কাণ্ডের পর যে ভাবে পশ্চিমবঙ্গের সর্ব স্তরের মানুষ প্রতিবাদে সরব হয়েছেন, তাতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে নিহত চিকিৎসকের মা বাবার সাক্ষাৎ অত্যন্ত জরুরি বলেই মনে করছেন তাঁরা।

    আরও পড়ুন: আসছে ‘দানা’! ১৪ ঘণ্টা পরিষেবা বন্ধ শিয়ালদা দক্ষিণে, হাওড়ায় বাতিল একগুচ্ছ ট্রেন

    কোথায় সাক্ষাৎ?

    শাহের সফরসূচির মধ্যেই কলকাতার কোনও এক নিরাপদ জায়গায় শাহের (Amit Shah) সঙ্গে নিহত চিকিৎসকের অভিভাবকদের সাক্ষাৎ করাতে চান। প্রথমে শাহকে মৃতার বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার কথাও ভাবা হয়েছিল। কিন্তু কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক থেকে এখনও শাহের সফরসূচির চূড়ান্ত রূপরেখা হাতে পাননি রাজ্য বিজেপি নেতারা। তাই আপাতত কলকাতাতেই অমিত শাহের সঙ্গে নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করানোর পক্ষপাতী তাঁরা। আগামী শনিবার, আরজি কর মেডিক্যালে মহাসমাবেশের ডাক দিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। এই আবহে নির্যাতিতার পরিবাবের সঙ্গে শাহের সাক্ষাৎ করার বিষয়টি রাজনৈতিকভাবে যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ।

    সাক্ষাৎ নিয়ে কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    বিজেপির (BJP) এক রাজ্য নেতা বলেন, “আরজি করকাণ্ডে রাজ্য সরকার এবং শাসকদল তৃণমূলের অবস্থান কারও অজানা নয়। আর পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি নেতারা খুনের ঘটনায় প্রকৃত দোষী এবং স্বাস্থ্য দফতরের তৈরি হওয়া ঘুঘুর বাসা ভাঙার দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। এমতাবস্থায় অমিত শাহের (Amit Shah) মতো কোনও সর্বভারতীয় নেতা নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তাদের বিচারের দাবিকে সমর্থন জানালে আমাদের আন্দোলন আরও দৃঢ় হবে। তাই কলকাতায় তাঁদের সাক্ষাতের চেষ্টা চলছে।”

    কী কী কর্মসূচি রয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর?

    শনিবার রাতে, কিংবা রবিবার সকালে কলকাতায় আসার কথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রাথমিক সফরসূচি অনেকটা এরকম। জানা গিয়েছে, রবিবার, ২৭ অক্টোবর সকাল ১১টায় ইজেডসিসি- তে সাংগঠনিক বৈঠক রয়েছে। ১৩ অক্টোবর রাজ্যে ৬টি বিধানসভায় উপনির্বাচন হচ্ছে। ইতিমধ্যে দলীয় প্রার্থীরা মনোনয়ন জমা দিয়ে প্রচার শুরু করে দিয়েছেন। ফলে, এই সব বিধানসভা এলাকায় নির্বাচনী রণকৌশল নিয়ে মূলত রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে শাহের (Amit Shah) সঙ্গে আলোচনা হতে পারে বলে সূত্র মারফৎ জানা গিয়েছে। দলীয় বৈঠকের পর কল্যাণী, আরামবাগে যাওয়ার কথা রয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর। সূত্র মারফৎ খবর, রবিবার কল্যাণীতে বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকায় যাবেন অমিত শাহ। তারপরেই আরামবাগের সমবায় মন্ত্রকের একটি অনুষ্ঠানে যাবেন অমিত শাহ। এর আগেও একাধিকবার এ শহরে এসেছেন অমিত শাহ। কখনও ভোটের প্রচার, কখনও সন্দেশখালি ইস্যুতে, কখনও দলীয় বৈঠকের জন্য। তবে এই বাংলায় আরজি কর কাণ্ডের পর, শাহের এ শহরে আসা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই ধরে নেওয়া হচ্ছে। প্রসঙ্গত, আরজি কর কাণ্ডের পর দুর্নীতি-সহ একাধিক অভিযোগে বিদ্ধ মমতার সরকার। দেশের শীর্ষে আদালতের শুনানিতে উঠে এসেছে সেই সকল অভিযোগের প্রসঙ্গ। হয়েছে সওয়াল-জবাব পর্ব।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Cyclone Dana: ‘দানা’র দাপট, সকাল থেকে কলকাতায় শুরু বৃষ্টি, সতর্কতা জারি দক্ষিণের একাধিক জেলায়

    Cyclone Dana: ‘দানা’র দাপট, সকাল থেকে কলকাতায় শুরু বৃষ্টি, সতর্কতা জারি দক্ষিণের একাধিক জেলায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চোখ রাঙাচ্ছে ঘূর্ণিঝড় (Cyclone Dana) ‘দানা’। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সুন্দরবন উপকূলে শুরু দমকা হাওয়ার সঙ্গে তুমুল বৃষ্টি। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ঘূর্ণিঝড় দানার প্রভাব পড়তে শুরু করেছে রাজ্যের সমুদ্র উপকূলবর্তী দুই জেলা পূর্ব মেদিনীপুর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিস্তীর্ণ এলাকায়। ইতিমধ্যেই হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি শুরু হয়েছে। ওই দুই জেলায় মাঝে মধ্যে ঝোড়ো হাওয়াও বইছে।

    অতি ভারী বৃষ্টি কোথায়? (Cyclone Dana)

    বুধবার মধ্যরাতেই এটি ‘প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে’ (Cyclone Dana) পরিণত হয়েছে। স্থলভাগে আছড়ে পড়ার সময় এর গতিবেগ থাকবে ঘণ্টায় ১০০ থেকে ১১০ কিলোমিটার। দমকা হাওয়ার গতি কখনও কখনও ১২০ কিলোমিটারও হতে পারে। ইতিমধ্যেই দানার প্রভাবে বৃহস্পতিবার এবং শুক্রবার দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে দুর্যোগ চলার পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে দুই মেদিনীপুর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায়। দু’দিনই অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, উত্তর ২৪ পরগনা এবং ঝাড়গ্রাম জেলায়। দিনভর ভারী বৃষ্টি হতে পারে দক্ষিণবঙ্গের বিস্তীর্ণ অংশেও। তবে, শনিবার দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে বৃষ্টির প্রাবল্য কমবে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। ওই দিন কেবল পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর এবং ঝাড়গ্রামে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। আবহাওয়া (Weather Update) দফতরের সর্বশেষ পূর্বাভাস অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার সকালের মধ্যে ওড়িশার ভিতর কণিকা থেকে ধামারার মধ্যবর্তী অংশ দিয়ে স্থলভাগে প্রবেশ করবে ‘দানা’।

    আরও পড়ুন: শিকল দিয়ে বাঁধা ক্রেন! ঘূর্ণিঝড়ের শঙ্কায় সতর্ক হলদিয়া, বন্ধ বিমান ওঠা-নামাও

    সুন্দরবনে নজরদারি

    সুন্দরবনের বিছিন্ন দ্বীপগুলির ওপর বাড়তি নজরদারি চালানো হচ্ছে। পরিস্থিতির ওপর সর্বদা নজর রাখার জন্য উপকূলে ৩৫টি সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। বিপর্যয় (Cyclone Dana) মোকাবিলা বাহিনীর ৩টি দল, এসডিআরএফের ২টি দল জেলায় দুর্গত এলাকায় পৌঁছে গিয়েছে। প্রস্তুত রাখা হয়েছে প্রশিক্ষিত ডুবুরিদের। ঝড়ের দাপটে গাছের ডাল ভাঙলে ৪৭০টি টিম প্রস্তুত আছে স্বয়ংক্রিয় করাত নিয়ে। সুন্দরবনের আসন্ন প্রসবা মহিলাদের তুলে আনা হয়েছে ব্লক হাসপাতাল গুলিতে। বৃহস্পতিবার সকালে ওড়িশা এবং পশ্চিমবঙ্গের উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতে হাওয়ার গতিবেগ ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৭০ কিলোমিটার হতে পারে। তবে সন্ধ্যার পর পরিস্থিতির আরও অবনতি হতে পারে। সেই সময় উত্তর ওড়িশা এবং পশ্চিমবঙ্গের উপকূলবর্তী জেলায় হাওয়ার গতিবেগ ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটার ছাড়াতে পারে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। কলকাতা, উত্তর ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি এবং বাঁকুড়াতেও হাওয়ার ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৭০ কিলোমিটার বেগে হাওয়া বইতে পারে। দমকা হাওয়ার গতিবেগ হতে পারে ৮০ কিলোমিটার।

    জারি লাল সতর্কতা

    এদিন দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলাজুড়ে ভারী (Cyclone Dana) থেকে অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস। জারি করা হয়েছে লাল সতকর্তা। এদিন বেলা বাড়ার পর দুর্যোগ আরও বাড়বে বলে হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস। আজ ও আগামিকাল জেলার সব ফেরি পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বুধবার রাত পর্যন্ত জেলার ৫০ হাজার মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে তুলে আনা হয়েছে। বিশেষ করে সাগর, পাথরপ্রতিমা, নামখানা, গোসাবা ও কাকদ্বীপ থেকে সবচেয়ে বেশি মানুষকে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। জেলাশাসক সুমিত গুপ্তা ও সেচ দফতরের প্রধান সচিব মনীশ জৈন কাকদ্বীপে উপস্থিত রয়েছেন। জেলা, মহকুমা ও ব্লকস্তরে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। এদিন সন্ধে সাতটার পর নামখানা শাখায় ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যাবে। জেলার সব পর্যটন কেন্দ্র ও সুন্দরবন ভ্রমণ আগামী দুদিন বন্ধ থাকবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Medical Scam: অভীক-বিরূপাক্ষ দুর্নীতি করেছে, রিপোর্ট পেশ স্বাস্থ্য ভবনের তদন্ত কমিটির, কী আছে তাতে?

    Medical Scam: অভীক-বিরূপাক্ষ দুর্নীতি করেছে, রিপোর্ট পেশ স্বাস্থ্য ভবনের তদন্ত কমিটির, কী আছে তাতে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মেডিক্যাল কলেজগুলিতে দুর্নীতির (Medical Scam) অন্যতম মাথা বিরূপাক্ষ বিশ্বাস ও অভীক দে-র বিরুদ্ধে জমা পড়ল তদন্ত কমিটির রিপোর্ট। থ্রেট সিন্ডিকেটের অন্যতম মুখ হিসেবে এই দুই চিকিৎসক অভীক দে, বিরূপাক্ষ বিশ্বাসের নাম উঠে আসে। তাঁদের বিরুদ্ধে তদন্ত করতে কমিটি গঠন করেছিল স্বাস্থ্য ভবন (Health Bhavan)। সেই রিপোর্টই এবার এল প্রকাশ্যে। রিপোর্টে বিস্ফোরক অভিযোগ সামনে এসেছে।

    বিরূপাক্ষর বিরুদ্ধে কী উঠে এল তদন্তে? (Medical Scam)

    বিরূপাক্ষ বিশ্বাস বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ (Medical Scam) হাসপাতালের প্যাথলজি বিভাগের সিনিয়র রেসিডেন্ট ডাক্তার। কেন তিনি ৯ অগাস্ট আরজি করে গিয়েছিলেন, কী করছিলেন ঘটনাস্থলে, তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। এরপর বর্ধমান থেকে সরিয়ে কাকদ্বীপ মহকুমা হাসপাতালে তাঁকে পাঠিয়ে দেয় স্বাস্থ্যভবন। বদলির নোটিশ জারি হতেই বিক্ষোভে ফেটে পড়েন সেখানকার জুনিয়র ডাক্তাররা। সাধারণ মানুষও বিক্ষোভ দেখান। এরপরই স্বাস্থ্যভবন সিনিয়র রেসিডেন্ট পদ থেকে অব্যাহতি দেয় বিরূপাক্ষকে। তাঁর বিরুদ্ধে হওয়া তদন্ত কমিটির রিপোর্টে একাধিক অভিযোগে সিলমোহর দিয়েছে স্বাস্থ্য ভবন। বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজে ভর্তির নামে মর্শিদাবাদের ব্যবসায়ী দীন মহম্মদের কাছ থেকে তিন লক্ষ টাকা নেওয়ার অভিযোগ ওঠে। সাগর দত্ত, তাম্রলিপ্ত মেডিক্যাল কলেজ, রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ ও ঝাড়গ্রাম মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। পুলিশের খাতায় বিরূপাক্ষের বিরুদ্ধে চারটি এফআইআর দায়ের হয়েছে।

    রাতভর পার্টি না করলে মেয়েদের ফেল করে দেওয়ার হুমকি!

    আরজি কর হাসপাতালে (Medical Scam) তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার পর থেকে বারবার উঠে এসেছে চিকিৎসক অভীক দে-র নাম। তিনি এসএসকেএম হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের পিজিটি। অভিযোগ ওঠে, তিনিই মেডিক্যাল কলেজগুলিতে থ্রেট কালচারের অন্যতম মাথা। তাঁকে সাসপেন্ডও করে স্বাস্থ্যভবন। গঠন করা হয় তদন্ত কমিটি। সেই তদন্ত কমিটিই চলতি মাসে ১৫ পাতার রিপোর্ট জমা দিয়েছে স্বাস্থ্যভবনে। জানা গিয়েছে, মেডিক্যালের ছাত্রীরা রাতভর পার্টি না-করলেই পরীক্ষায় ফেল করিয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হত। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেকের নাম করে মেডিক্যালের নবাগত ছাত্রদের থেকে তোলাবাজি চলত। আরজি করের নির্যাতিতার ধর্ষণ ও খুনে সঞ্জয় রায়কেই একমাত্র দোষী হিসেবে তুলে ধরতে ছাত্রদের ব্রেনওয়াশ করা হয়। এসএসকেএম-এর পিজিটি ছাত্র অভীক দে-র বিরুদ্ধে এমনই বিস্ফোরক সব অভিযোগ এনে স্বাস্থ্যভবনে রিপোর্ট পেশ করল তদন্ত কমিটি।

    পাশাপাশি, অভীক দে যে সন্দীপ ঘোষের ঘনিষ্ঠ ছিলেন, তাও উল্লেখ করা হয়েছে রিপোর্টে। গত ৯ অগাস্ট নির্যাতিতার দেহ উদ্ধারের দিন আরজি করের ক্রাইম সিনে থাকার কথা অস্বীকার করেননি অভীক দে। ক্রাইম সিনে ‘লাল জামা’ পরিহিত অভীকের উপস্থিতি ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়ায়। স্বাস্থ্য দফতরের তদন্ত কমিটির রিপোর্টে সে কথা উল্লেখ করা আছে। অভীক স্বীকার করে বলেছেন, ‘মেডিক্যাল কাউন্সিলের দলের সঙ্গে আরজি কর গিয়েছিলাম।’ তদন্ত কমিটির রিপোর্টের দুনম্বর পয়েন্টে বলা হয়েছে, অভীক দে যে সার্জারি বিভাগে এমএস করছিলেন, তা একদমই নিয়ম বহির্ভূত। কারণ তিনি থিসিস পেপার জমাই করেননি। এমনকী নিজের আইকার্ডও গ্রহণ করেননি। ৮ অগাস্ট থেকে এসএসকেএম হাসপাতালেও তাঁকে দেখা যায়নি। তদন্ত কমিটিতেই এই সব তথ্য উঠে এসেছে।

    কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সুপারিশ

    কলেজের দার্জিলিং ক্যাম্পাসে (Medical Scam) অভীক দে-র বেআইনি উপস্থিতির কথা উঠে এসেছে কমিটির রিপোর্টে। সেই ক্যাম্পাসে মাঝেমধ্যেই নবাগত পড়ুয়াদের কাছ থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম করে টাকা তোলারও অভিযোগ রয়েছে অভীকের বিরুদ্ধে। এমনকী, মেডিক্যাল কলেজের সরকারি জিনিস ব্যবহার ও সরকারি হলে কারও অনুমতি না-নিয়ে নিজের জন্মদিনও পালন করতেন তিনি। এই সমস্ত অভিযোগের প্রেক্ষিতে সংগৃহীত প্রমাণ এবং সে বিষয়ে অভীক দে-র বয়ানও রিপোর্টের সঙ্গে স্বাস্থ্যভবনে জমা দিয়েছে তদন্ত কমিটি। অভীকের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য স্বাস্থ্যভবনের কাছে সুপারিশ করেছে কমিটি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share