Tag: West Bengal

West Bengal

  • Kali Puja 2024: ঘন জঙ্গলে মা কালীর আরাধনা শুরু করেছিলেন এক কাপালিক! সেই পুজো ৫০০ বছরে

    Kali Puja 2024: ঘন জঙ্গলে মা কালীর আরাধনা শুরু করেছিলেন এক কাপালিক! সেই পুজো ৫০০ বছরে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুরনো ঐতিহ্য ও রীতি-রেওয়াজ মেনে ৫০০ বছর ধরে পুজো হয়ে আসছে হাওড়ার (Howrah) উদয়নারায়ণপুরের কালীকাপুরের কালী বিগ্রহের। ফি বছর গ্রামের বাসিন্দারা পুজোকে (Kali Puja 2024) কেন্দ্র করে আনন্দে মেতে ওঠেন। আর এই পুজো শুরু হওয়ার সুন্দর ইতিহাস রয়েছে।

    কাপালিক শুরু করেছিলেন কালীপুজো (Kali Puja 2024)

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এই কালীপুজোকে (Kali Puja 2024) কেন্দ্র করেই এই গ্রামের নাম কালীকাপুর। সে প্রায় পাঁচ শতাব্দী আগের কথা। বর্তমানের জনবহুল গ্রাম সে সময় ছিল জনশূন্য। ঘন জঙ্গলে ঢাকা নির্জন স্থান। কানা দামোদর নদীর পাড়। জঙ্গলে বন্য পশুর দাপট ছিল। কেউ সাহস পেত না এখানে আসার। জনশ্রুতি থেকে জানা যায়, এই ঘন জঙ্গলেই বাস করতেন এক কাপালিক। তিনি জঙ্গলে একাকী থেকে মা কালীর আরাধনা করতেন। তখন বর্ধমান রাজার রাজত্বকাল। কথিত রয়েছে, রাজার আদেশ মতোই কাপালিকের অবর্তমানে মা কালীকে সেবা করার দ্বায়িত্ব পেয়েছিলেন বর্ধমানের ঘোষ পরিবার। জানা যায়, সে সময় বর্ধমান রাজসভার নবরত্নের একজন ছিলেন তিলকরাম ঘোষ। বর্ধমান থেকে রাজার আদেশ মতোই মা কালীর সেবার উদ্দেশ্যে সপরিবারে হাওড়ার উদয়নারায়ণপুরে চলে এসেছিল ঘোষ পরিবার। তৎকালীন ঘোষ পরিবার ভাট উপাধি পেয়েছিল রাজার কাছে। ধীরে ধীরে বসতি বৃদ্ধি পেতে থাকে। মন্দির থেকে কিছুটা দূরে ভাট পরিবারের বসবাস শুরু করেছিল সেখানেই। সেই স্থান দেবীপুর গ্রাম নামে পরিচিত।

    ‘একাহারি কালী মা’

    বর্তমানে যে স্থানে কালী মন্দির রয়েছে, তখন সেখানে ঘন জঙ্গল, পুজো (Kali Puja 2024) করার জন্য পুরোহিতের সঙ্গে লেঠেল নিয়ে আসা হত বন্য পশুদের আক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে। মন্দির সংলগ্ন ঘন জঙ্গল পরিষ্কার করে বর্তমানে ঘনবসতি গড়ে উঠেছে। মন্দিরের পুরনো রীতি অনুযায়ী প্রতিদিন একবার মাতৃ পুজো অনুষ্ঠিত হয় এখানে। জানা যায়, সে সময় ঘন জঙ্গল কোনওরকমে লেঠেল সঙ্গে নিয়ে দিনে একবার মা কালীর পুজো করা সম্ভব হত। একবার পুজো হওয়ার কারণেই “একাহারি ‘কালী মা”ও বলা হয়। কথিত রয়েছে, শুরুতে মূর্তি ছাড়াই ঘট প্রতিষ্ঠা করে মা কালী রূপে পুজো হত। সেই ঘট নাকি আজও মন্দিরে রয়েছে বলেই জানান পুরোহিত এবং স্থানীয় মানুষ।

    পরিবারের সদস্যরা কী বললেন?

    পরিবারের সদস্য অনির্বাণ ভাট বলেন, “এখানে ভাট পরিবারের প্রথম পুরুষ তিলকরাম ঘোষ (ভাট) রাজার আদেশমতো বর্ধমান থেকে এখানে মায়ের সেবা করতে এসেছিলেন। সে সময় থেকে কয়েক শতাব্দী পেরিয়ে গিয়েছে। তবে প্রায় সমস্ত নিয়ম রীতি রয়েছে অক্ষত। জানা যায়, মন্দিরে কষ্ঠি পাথরের মায়ের যে মূর্তি তা প্রায় দু’শো বছর প্রাচীন। গ্রামে অন্য কোনও মূর্তি পূজা নিষিদ্ধ ছিল। বৈশাখের ফলহারিণী, মকর সংক্রান্তি, নবমী এবং শ্যামাকালী পুজো-সহ মোট চারটি বিশেষ পুজো হয় প্রতি বছর।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Gita Path: ফের লক্ষ কণ্ঠে গীতাপাঠের আয়োজন, এবার শিলিগুড়িতে

    Gita Path: ফের লক্ষ কণ্ঠে গীতাপাঠের আয়োজন, এবার শিলিগুড়িতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের লক্ষ কণ্ঠে গীতাপাঠের (Gita Path) আয়োজন। তবে এবার আর কলকাতা নয়। এবার লাখো কণ্ঠের গীতাপাঠের আয়োজন করা হয়েছে শিলিগুড়িতে। শিলিগুড়ির বিশ্ববাংলা শিল্পহাটের পাশে কাওয়াখালি ময়দানে লক্ষ কণ্ঠে গীতাপাঠ কর্মসূচির আয়োজন করছে সনাতন সংস্কৃতি সংসদ (Sanatan Sanskriti Sansad)। এবার অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পারেন উপরাষ্ট্রপতি তথা বাংলার প্রাক্তন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। তাঁর সঙ্গে গীতাপাঠের এই আসরে যোগ দিতে পারেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মাও।

    লক্ষ কণ্ঠে গীতাপাঠের আসর (Gita Path)

    গত বছরই ব্রিগেডে প্রথম বসেছিল লক্ষ কণ্ঠে গীতাপাঠের আসর। সেবার উপস্থিত থাকার কথা ছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। সেই মতো প্রচারও করা হয়েছিল। একেবারে শেষ মুহূর্তে বিশেষ কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়ায় ওই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পারেননি প্রধানমন্ত্রী। তবে নজরকাড়া ভিড় হয়েছিল ওই অনুষ্ঠানে। কলকাতার ওই আয়োজনে সাফল্যে উৎসাহী হয়ে এবার শিলিগুড়িতে একই অনুষ্ঠানের আয়োজন করছে সনাতন সংস্কৃতি সংসদ।

    আমন্ত্রণ রাষ্ট্রপতি, মুখ্যমন্ত্রীকেও

    এবার রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও আমন্ত্রণ জানানো হবে বলে জানিয়েছেন আয়োজক সংঘের প্রধান তথা ভারত সেবাশ্রম সংঘের সন্ন্যাসী কার্তিক মহারাজ। তিনি বলেন, “ইতিমধ্যেই রাজ্যের সব হিন্দুত্ববাদী সংস্থা ও সংগঠনের সঙ্গে কথা হয়ে গিয়েছে। সব মঠ, মিশনেরও যোগদান থাকবে এই কর্মসূচিতে। খুব তাড়াতাড়ি গীতাপাঠের অভ্যাসও শুরু হবে।” তিনি জানান (Gita Path), ধনখড় ও হিমন্ত শিলিগুড়ির অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন বলে কথা দিয়েছেন।

    আরও পড়ুন: দ্রুত এগিয়ে আসছে ‘দানা’, কলকাতায় জারি কমলা সতর্কতা, চালু হেল্পলাইন

    গত বছর ২৪ ডিসেম্বর ব্রিগেডে হয়েছিল গীতাপাঠের আয়োজন। সেবার বিভিন্ন মঠ-মিশনের সন্ন্যাসীদের সঙ্গে সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির নেতানেত্রীরাও। আয়োজকদের দাবি ছিল, লক্ষাধিক মানুষের সমাবেশ এবং এতজনের এক সঙ্গে গীতাপাঠে বিশ্বরেকর্ড তৈরি হয়েছে। জানা গিয়েছে, গতবারের মতো এবারও মূল অনুষ্ঠানের আগে সমবেত কণ্ঠে গাওয়া হবে ‘হে পার্থসারথি’ নজরুলগীতিটি। পাঠ হবে প্রথম, দ্বিতীয়, দ্বাদশ, পঞ্চদশ এবং অষ্টাদশ অধ্যায়। ২০২৫ সালের গোড়ার দিকে ফের কলকাতায় হবে (Sanatan Sanskriti Sansad) লক্ষ কণ্ঠে গীতাপাঠ। তার আগে হবে বর্ধমানেও (Gita Path)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Cyclone Dana: দ্রুত এগিয়ে আসছে ‘দানা’, কলকাতায় জারি কমলা সতর্কতা, চালু হেল্পলাইন

    Cyclone Dana: দ্রুত এগিয়ে আসছে ‘দানা’, কলকাতায় জারি কমলা সতর্কতা, চালু হেল্পলাইন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বুধবার সকালে বঙ্গোপসাগরে জন্ম নিয়েছে ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’। বৃহস্পতিবার ভোরেই তা উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে তীব্র ঘূর্ণিঝড়ে (Cyclone Dana) পরিণত হবে। হাওয়া অফিস সূত্রে জানা গিয়েছে, পুরী এবং সাগরদ্বীপের মাঝামাঝি ওড়িশার ভিতরকণিকা এবং ধামারা দিয়ে স্থলভাগে ঢুকবে ‘দানা’। সব মিলিয়ে দুই রাজ্যের প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রস্তুতি রয়েছে তুঙ্গে।

     কেমন প্রভাব পড়বে কলকাতায়? (Cyclone Dana)

    মৌসম ভবন জানিয়েছে, উপকূলে আছড়ে পড়ার সময় ঝড়ের গতিবেগ (Cyclone Dana) পৌঁছবে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১২০ কিলোমিটারে। আর এর প্রভাবেই আগামী দু’দিন বৃষ্টিতে ভিজবে কলকাতা-সহ দুই ২৪ পরগনাও। বুধবার হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে শহরে। বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার কলকাতায় (Kolkata) জারি হয়েছে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির (৭-২০ সেন্টিমিটার) কমলা সতর্কতা। শনিবারও শহরের কোনও কোনও অংশে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকেই ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৭০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে শহরে। সর্বোচ্চ বেগ পৌঁছতে পারে ৮০ কিলোমিটারেও। ঝড়ের প্রভাবে শহরের ব্যস্ত রাস্তায় ভেঙে পড়তে পারে গাছ। অপেক্ষাকৃত নিচু এলাকায় জল জমার সম্ভাবনা রয়েছে। যার জেরে ব্যাহত হতে পারে যান চলাচল। বন্দর এলাকাতেও জারি হয়েছে সতর্কতা। ঝড়ের কারণে বৃহস্পতিবার রাত থেকেই শহরে বিদ্যুৎ পরিষেবা ব্যাহত হওয়ার সম্ভাবনা।

    আরও পড়ুন: বিজেপির দাবিকেই মান্যতা, রাজ্যের ছয় জেলায় আবাস প্রকল্পের বাড়ি তৈরির কাজ বন্ধ

    খোলা হল হেল্পলাইন

    বুধবার সকাল থেকেই কলকাতা পুলিশের তরফে মাইকের মাধ্যমে প্রচার শুরু হয়েছে। দুর্যোগের (Cyclone Dana) সময় শহরবাসীকে অযথা বাইরে বেরোতে নিষেধ করা হয়েছে। মোবাইল-সহ অন্যান্য বৈদ্যুতিন সামগ্রী চার্জ দিয়ে রাখা এবং দরকারি কাগজপত্র সুরক্ষিত রাখার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে তৈরি রয়েছে কন্ট্রোল রুমও। বুধবার রাত সাড়ে ১২টা থেকেই চালু হয়ে যাচ্ছে চারটি হেল্পলাইন নম্বর। ৯৪৩২৬১০৪৫৫, ৯৪৩২৬১০৪৪৫, ৯৪৩২৬১০৪৩০ এবং ৬২৯২২৬৩৪৪০-এই চারটি নম্বরের মাধ্যমে সরাসরি লালবাজারের ‘ইউনিফায়েড কম্যান্ড সেন্টার’-এ যোগাযোগ করা যাবে। মৌসম ভবন জানিয়েছে, এই মুহূর্তে ওড়িশার পারাদ্বীপ উপকূল থেকে প্রায় ৫২০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে, পশ্চিমবঙ্গের সাগরদ্বীপ থেকে ৬০০ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং বাংলাদেশের খেপুপাড়া থেকে ৬১০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে রয়েছে ‘দানা’। বৃহস্পতিবার ভোরেই তা শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে। তারপরই স্থলভাগে আছড়ে পড়বে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Cyclone Dana: ফণী থেকে আমপান, গত ২৫ বছরে ধ্বংসলীলা চালিয়েছে ওড়িশায়, বাদ যায়নি বাংলাও

    Cyclone Dana: ফণী থেকে আমপান, গত ২৫ বছরে ধ্বংসলীলা চালিয়েছে ওড়িশায়, বাদ যায়নি বাংলাও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফণী থেকে বুলবুল সহ আমপানের মতো প্রায় ২৫ বছরে ডজনখানেক ঘূর্ণিঝড় দেখেছে ওড়িশা (Odisha)। এই রাজ্য বঙ্গোপসাগর এবং ভারত মহাসাগরের উপকূলে অবস্থিত। তাই নিম্নচাপ, ঝড়, তুফান প্রতি বছর একটা বিশেষ উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই রাজ্য বাংলার প্রতিবেশী। ওড়িশার প্রভাব বাংলায় তাই ব্যাপক ভাবে পড়ে। প্রত্যেক বছরে ব্যাপক ভাবে ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয় এই দুই রাজ্য। বাংলাও আয়লা, আমপান ঝড়ে প্রভাবিত হয়েছিল। এবার আসছে দানা (Cyclone Dana)। কতটা পরিমাণে ক্ষয়ক্ষতি করবে তা আছড়ে পড়ার পরই নির্ণয় করা যাবে।

    সুপার সাইক্লোন ছিল ভয়ঙ্কর (Cyclone Dana)

    ওড়িশা আর ঘূর্ণিঝড় (Cyclone Dana) যেন সমর্থক হয়ে গিয়েছে। উপকূলে ব্যাপক পরিমাণে সম্পত্তি এবং প্রাণহানির আশঙ্কা করা হচ্ছে। তাই আগে ভাগেই উপকূলের গ্রাম থেকে মানুষকে দ্রুত সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। কিন্তু এই রাজ্যে আগে যেসব ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়েছিল তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল ১৯৯৯ সালে ‘সুপার সাইক্লোন’। টানা ৩৬ ঘণ্টা ধরে তাণ্ডব চলেছিল। ঝড়ের গতিবেগ ছিল ২৬৭ কিমি প্রতি ঘণ্টা। ওই সময় সবথেকে বেশি ক্ষতিহয়েছিল জগতসিংহপুর। সমুদ্রের কাছে অদূরে পদমপুরে গ্রামগুলি তছনছ হয়ে গিয়েছিল। বহু মানুষ প্রাণ হারিয়েছিল। সমুদ্রে ভেসে গিয়েছিল বহু গ্রাম। মৃত্যু হয়েছিল মোট ৮১১৯ জনের। এবার ওই ঝড়ের আতঙ্ক যেন ফের একবার ফিরে এসেছে। দানার আতঙ্কে মানুষের ঘুম উড়ে গিয়েছে।

    গোপালপুরে এই ঝড়ের গতি ছিল ২৪০ কিমি

    এই ১৯৯৯ সালের ঝড়ের (Cyclone Dana) পর ওড়িশা (Odisha) রাজ্যের এখনও পর্যন্ত মোট ১২টি ঝড় দেখা গিয়েছে। ২০১৩ সালে ১২ অক্টোবর ‘ফাইলিন’ আঘাত হেনেছিল ওড়িশায়। ঝড়ে বাড়িঘর, চাষের জমি, দোকান, বিদ্যুৎ, যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল। বিশেষ করে গঞ্জাম, পুরী, খুর্দা জেলায় ব্যাপক ধবংসলীলা চলে। গোপালপুরে এই ঝড়ের গতি ছিল ২৪০ কিমি। ২০১৪ সালে ওড়িশায় আছড়ে পড়েছিল হুদহুদ। ১২ অক্টোবর বিশাখাপত্তনমে আছড়ে পড়েছিল। গজপতি, মালকানগিরি, নবরং, করাপুট জেলায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল। ঝড়ের গতিবেগ ছিল ১৮৫ কিমি প্রতি ঘণ্টা। ২০১৮ সালে ২১ সেপ্টেম্বর আছড়ে পড়েছিল ‘দায়ে’। ওড়িশার গোপালপুরে ব্যাপক ভাবে ঝড় হয়েছিল। ঝড়ের গতি ছিল ৭০ কিমি প্রতি ঘণ্টা। ২০১৮ সালের অক্টোবরের ঝড়ের নাম ছিল ‘তিতলি’। অন্ধ্রপ্রদেশের তিতিলিতে আছড়ে পড়েছিল ঝড়। গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১১০ কিমি। ২০১৯ সালে ৩ মে ওড়িশার পুরীতে ঝড় হয়েছে ফণী। ২০৫ কিমি প্রতি ঘণ্টায় আছড়ে পড়েছিল। এর প্রভাব হয়েছিল মারাত্মক। ২০১৯ সালে ৯ নভেম্বর পশ্চিমবঙ্গের ২৪ পরগনায় বুলবুল তাণ্ডব করেছিল। একই ভাবে ঝড়ে বালেশ্বর, জগৎসিংহপুর, কেন্দ্রপাড়ায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। ঝড়ের গতি ছিল ১৩০ কিমি প্রতি ঘণ্টা। ২০২০ সালে দীঘা ও হাতিয়ার মধ্যে আছড়ে পড়েছিল আপমান। গতি ছিল ১৫০ কিমি প্রতি ঘণ্টা। বিস্তীর্ণ এলাকায় ব্যাপক ক্ষতি করেছিল।

    আরও পড়ুনঃ জন্ম নিয়েছে ঘূর্ণিঝড়, বন্ধ হল পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের দরজা, তৈরি ২৮৮টি উদ্ধারকারী দল

    দানাও ভয়ঙ্করী হবে

    ২০২১ সালের ২৬ মে ওড়িশার (Odisha) ভিতরকণিকা জাতীয় উদ্যানে আছড়ে পড়েছিল ‘ইয়াস’ (Cyclone Dana) । অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীকাকুলাম জেলায় ২০২১ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর আছড়ে পড়েছিল। বাতাসের গতিছিল ১০০ কিমি। ২০২২ সালের ১১ মে যে ঝড়ের প্রভাব ফেলেছিল তা হল ‘অশনি’। এবার দানা ওড়িশার পুরী এবং সাগরদ্বীপের মাঝামাঝিতে আছড়ে পড়ার কথা। ঝড়ের গতিবেগ হওয়ার কথা ১২০ কিমি প্রতি ঘণ্টা।    

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: “বিজেপি সরকার ওয়াকফ বোর্ডের মধ্যে অন্যায় দূর করার চেষ্টা করছে”, বললেন সুকান্ত

    Sukanta Majumdar: “বিজেপি সরকার ওয়াকফ বোর্ডের মধ্যে অন্যায় দূর করার চেষ্টা করছে”, বললেন সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ওয়াকফ বৈঠকে বোতল ভেঙে বরখাস্ত হন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। এই ঘটনার পর পরই ওয়াকফ বোর্ড নিয়ে মুখ খুললেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। এই বোর্ড নিয়ে বিজেপি সরকারের অবস্থানও তিনি স্পষ্ট করেছেন।

    কী বললেন সুকান্ত? (Sukanta Majumdar)

    শিলিগুড়িতে সুকান্ত (Sukanta Majumdar) বলেন, “বিজেপি সরকার ওয়াকফ বোর্ডের মধ্যে অন্যায় দূর করার চেষ্টা করছে। যেমন, তারা ১৫০০ বছরের পুরানো মন্দিরকে ওয়াকফ সম্পত্তি হিসেবে দাবি করছে। ইসলামের বয়স ১৪০০ বছর। আর ভারতে তার বয়স আরও অনেক কম। কিন্তু, ১৫০০ বছরের পুরানো মন্দির ওয়াকফ সম্পত্তি বলে দাবি করা হচ্ছে। এটা কি একটা ভোট ব্যাঙ্ক ছাড়া আর কিছুই নয়”? প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদকে ওয়াকফ (সংশোধনী) বিল ২০২৪-এ জেপিসির এক অধিবেশনের জন্য বরখাস্ত করা হয়। সূত্রের মতে, ৯ জন সাংসদ সাসপেনশনের পক্ষে রায় দেন। আর ৭ জন বিপক্ষে রায় দেন। এরপরই ৩৪৭ বিধির অধীনে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে একদিনের জন্য বরখাস্ত করা হয়েছে। পরবর্তী বৈঠকে যোগ দিতে পারবেন না তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ।

    আরও পড়ুন: বিজেপির দাবিকেই মান্যতা, রাজ্যের ছয় জেলায় আবাস প্রকল্পের বাড়ি তৈরির কাজ বন্ধ

    ঠিক কী হয়েছিল?

    মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত ওয়াকফ (Waqf Board) বিল সংক্রান্ত যৌথ সংসদীয় কমিটির বৈঠকে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এবং সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সহ অনেক বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। সূত্রের খবর, তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বক্তব্য রাখছিলেন। পর পর তিনবার তিনি তাঁর বক্তব্য রেখেছেন। তারপরও আরও একবার বক্তব্য রাখার চেষ্টা করেন।  কিন্তু বিজেপি সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় আপত্তি করেন, যার ফলে তাদের মধ্যে উত্তপ্ত কথাবার্তা হয়। এরপরই কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় একটি কাচের জলের বোতল তুলে নিয়ে টেবিলের ওপর আঘাত করেন এবং নিজেকে আহত করেন। এরপর ভাঙা বোতলটি চেয়ারম্যানের দিকে ছুড়ে দেন তিনি। ঘটনার জেরে বৈঠক মুলতবি করা হয়। ওয়াকফ (সংশোধনী) বিল ২০২৪, রেকর্ডের ডিজিটাইজেশন, কঠোর অডিট, বর্ধিত স্বচ্ছতা এবং অবৈধভাবে দখলকৃত ওয়াকফ সম্পত্তি পুনরুদ্ধার করার জন্য আইনি প্রক্রিয়া সহ উল্লেখযোগ্য সংস্কার আনার লক্ষ্যেই এই বৈঠক করা হয়েছিল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Cyclone Dana: জন্ম নিয়েছে ঘূর্ণিঝড়, বন্ধ হল পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের দরজা, তৈরি ২৮৮টি উদ্ধারকারী দল

    Cyclone Dana: জন্ম নিয়েছে ঘূর্ণিঝড়, বন্ধ হল পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের দরজা, তৈরি ২৮৮টি উদ্ধারকারী দল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় (Cyclone Dana) দানা। ইতিমধ্যেই সাগরে জন্ম নিয়ে নিয়েছে ঘূর্ণিঝড়। আগামিকাল, বৃহস্পতিবার রাতেই বাংলা-ওড়িশা উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে ‘দানা’। ইতিমধ্যেই পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে প্রস্তুতি নিয়ে ফেলেছে পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশা সরকার।

    পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের দরজা বন্ধ (Cyclone Dana)

    ‘দানা’ স্থলভাগে আছড়ে পড়ার আগেই বড় সিদ্ধান্ত নিল পুরীর জগন্নাথ মন্দির প্রশাসন কর্তৃপক্ষ। ঘূর্ণিঝড় দানার (Cyclone Dana) প্রভাবে যাতে মন্দিরে কোনও বিপত্তি না ঘটে, তার জন্য আপাতত মন্দিরে প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হল। পুরীর (Puri) জগন্নাথ মন্দির কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, পুণ্যার্থীদের সুরক্ষার কথা মাথায় রেখেই পুরী মন্দিরের দরজা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় দানার শঙ্কায় আপাতত ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত মন্দিরে ভক্তদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তবে, পুজো বন্ধ হবে না। মন্দিরের ভিতরে প্রতিদিনের মতোই সমস্ত আচার মেনে জগন্নাথ দেবের পুজো হবে। মৌসম ভবনের পূর্বাভাস, ঝড়ের গতিবেগ পৌঁছতে পারে ঘণ্টায় ১০০ থেকে ১২০ কিলোমিটারে। বাংলা ছাড়াও ওড়িশা এবং তামিলনাড়ুর জন্য সতর্কতা জারি হয়েছে। পর্যটকশূন্য করে দেওয়া হয়েছে পুরী। রাজ্য জুড়ে মোতায়েন হয়েছে প্রশিক্ষিত উদ্ধারকারী দল।

    আরও পড়ুন: বিজেপির দাবিকেই মান্যতা, রাজ্যের ছয় জেলায় আবাস প্রকল্পের বাড়ি তৈরির কাজ বন্ধ

    ঝড়ের প্রভাব পড়বে ওড়িশার কোন কোন জেলায়?

    মৌসম ভবন জানাচ্ছে, ওড়িশার জগৎসিংহপুর, কেন্দাপাড়া, ভদ্রক এবং বালেশ্বরে হাওয়ার সর্বোচ্চ গতি ঘণ্টায় ১১০ কিলোমিটার (Cyclone Dana) ছাড়িয়ে যেতে পারে। অপেক্ষাকৃত কম প্রভাব পড়বে ময়ূরভঞ্জ, পুরী, ভুবনেশ্বর, কটক, সম্বলপুরে। ‘দানা’ বাঁধার আগে থেকেই এর প্রভাবে শুরু হতে পারে বৃষ্টি। বুধবার সন্ধ্যা থেকেই ভিজতে পারে উপকূলীয় ওড়িশার বালেশ্বর, ভদ্রক, কেন্দাপাড়া, পুরী এবং জজপুর। বৃহস্পতিবার কোথাও কোথাও ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। জগৎসিংহপুর, কেন্দাপাড়া, ময়ূরভঞ্জ,কটক, ভদ্রক এবং বালাসোরে জারি হয়েছে অতি ভারী বৃষ্টির লাল সতর্কতা। পরিস্থিতি সামাল দিতে এই ছয় জেলায় ছয় অভিজ্ঞ আইএএস অফিসারকে মোতায়েন করা হয়েছে। বিভিন্ন জেলায় মোতায়েন হয়েছে ২৮৮টি উদ্ধারকারী দল। জেলায় আগামী তিন দিনের জন্য স্কুল-কলেজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রাজ্যে বাতিল হয়েছে ২০০-রও বেশি ট্রেন। রাজ্যের ৮০০টি দুর্যোগ আশ্রয় শিবিরের পাশাপাশি ৫০০টি অতিরিক্ত শিবির তৈরি করা হয়েছে। উপকূলীয় এলাকা থেকে মানুষকে সেখানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

    ওড়িশার রাজস্ব ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রী কী বললেন?

    ঘূর্ণিঝড়টি (Cyclone Dana) সাগরদ্বীপ ও পুরীর মধ্যবর্তী কোথাও আছড়ে পড়তে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস, বৃহস্পতিবার সকালে ওড়িশা ও বাংলার উপকূলের কাছাকাছি এসে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে ‘দানা’। ওড়িশার রাজস্ব ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রী সুরেশ পুজারি জানিয়েছেন, ৮০০টি সাইক্লোন সেন্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়া স্কুল-কলেজ সহ আরও ৫০০টি অস্থায়ী ত্রাণকেন্দ্র তৈরি করা হয়েছে। ওড়িশায় জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর ২০টি টিম ও পশ্চিমবঙ্গে ১৪টি টিমকে স্ট্যান্ড বাই রাখা হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Cyclone Dana: বুধবার সকালে বঙ্গোপসাগরে ঘুর্ণিঝড়ের রূপ নিল ‘দানা’, দিঘায় হোটেল ছাড়ার হিড়িক পর্যটকদের

    Cyclone Dana: বুধবার সকালে বঙ্গোপসাগরে ঘুর্ণিঝড়ের রূপ নিল ‘দানা’, দিঘায় হোটেল ছাড়ার হিড়িক পর্যটকদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সমস্ত জল্পনার অবসান। অবশেষে বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া নিম্নচাপটি এবার ঘুর্ণিঝড় ‘দানা’-র (Cyclone Dana) আকার ধারণ করল। আর সেই ঘুর্ণিঝড়টি ক্রমশ এগোচ্ছে স্থলভাগের দিকে। তার গতিপ্রকৃতির ওপর সর্বদা নজর রেখেছেন আবহবিদেরা। বিশ্লেষণ করে দেখা হচ্ছে উপগ্রহচিত্র। সেই সব ছবি থেকেই নিম্নচাপের গতিবিধি সম্পর্কে তথ্য নিয়ে আগাম সতর্ক করছে হাওয়া অফিস।

    কত দূরে রয়েছে ‘দানা’? (Cyclone Dana)

    মৌসম ভবনের দেওয়া বুধবার সকালের তথ্য অনুযায়ী, নিম্নচাপটি (Cyclone Dana) সাগরদ্বীপ থেকে ৬৩০ কিলোমিটার দূরে রয়েছে। বুধবার সকাল সাড়ে ৫টায় মধ্যেই নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’য় পরিণত হয়েছে। হাওয়া অফিস জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়টি ক্রমশ পশ্চিম এবং উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হচ্ছে। মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকে ঘণ্টায় ১৮ কিলোমিটার বেগে তা এগিয়ে আসছে। ওড়িশার পারাদ্বীপ থেকে ৫২০ কিলোমিটার এবং বাংলাদেশের খেপুপাড়া থেকে ৬১০ কিলোমিটার দূরে রয়েছে ঘূর্ণিঝড়টি। আবহবিদদের অনুমান, বৃহস্পতিবার সকালে উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরের ওপর ‘দানা’ প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। বৃহস্পতিবার রাত এবং শুক্রবার সকালের মধ্যে ওড়িশার পুরী এবং পশ্চিমবঙ্গের সাগরদ্বীপের মধ্যবর্তী কোনও অংশ দিয়ে স্থলভাগে ঢুকতে পারে। ‘ল্যান্ডফলের’ সময় এটির সর্বাধিক গতিবেগ থাকতে পারে ঘণ্টায় ১০০ থেকে ১১০ কিলোমিটার। দমকা হাওয়ার সর্বাধিক গতিবেগ হতে পারে ঘণ্টায় ১২০ কিমি।

    আরও পড়ুন: বিজেপির দাবিকেই মান্যতা, রাজ্যের ছয় জেলায় আবাস প্রকল্পের বাড়ি তৈরির কাজ বন্ধ

    দানার দাপটে বৃষ্টি কোথায়?

    মৌসম ভবন জানিয়েছে, নিম্নচাপের (Cyclone Dana) কারণে বুধবার আন্দামানের উপকূলবর্তী এলাকায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়াও ওড়িশার ভদ্রক, বালেশ্বর, কেন্দ্রপাড়া, জগৎসিংহপুর, পুরী এবং খোরড়া জেলাও ভিজবে ভারী বৃষ্টিতে। পশ্চিমবঙ্গের দুই ২৪ পরগনা, কলকাতা, দুই মেদিনীপুর, হাওড়া, হুগলি, ঝাড়গ্রাম এবং বাঁকুড়ায় বিক্ষিপ্ত ভাবে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা। বৃহস্পতিবার থেকে ওড়িশা এবং পশ্চিমবঙ্গের এই সব জেলায় বৃষ্টির পরিমাণ বাড়বে। ২৫ তারিখ পর্যন্ত দুর্যোগের আশঙ্কা।

    দিঘায় হোটেল খালির নির্দেশ

    বুধবার থেকেই রাজ্যে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই ঘূর্ণিঝড় (Cyclone Dana) মোকাবিলায় বেশ কিছু পদক্ষেপ করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। বুধবার থেকেই ন’টি জেলার স্কুল বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। উপকূলবর্তী এলাকায় চলছে মাইকিং। উপকূলবর্তী নিচু এলাকা থেকে বাসিন্দাদের সরিয়ে আনার কাজও শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার পর্যটকদের নিরাপত্তার কথা ভেবে দড়ি দিয়ে ঘিরে রাখা হয়েছিল দিঘার (Digha) সৈকত। দিঘা, শঙ্করপুর, মন্দারমণি, তাজপুরের  হোটেল মালিকদের উদ্দেশে নির্দেশিকা জারি করে জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, বুধবারের মধ্যে হোটেল খালি করে দিতে হবে পর্যটকদের। ফলে, সমুদ্র সৈকত ছাড়ার হিড়িক শুরু হয়েছে পর্যটকদের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • By Election 2024: বিজেপির দাবিকেই মান্যতা, রাজ্যের ছয় জেলায় আবাস প্রকল্পের বাড়ি তৈরির কাজ বন্ধ

    By Election 2024: বিজেপির দাবিকেই মান্যতা, রাজ্যের ছয় জেলায় আবাস প্রকল্পের বাড়ি তৈরির কাজ বন্ধ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কালীপুজোর পর পরই রাজ্যে ৬টি বিধানসভায় উপনির্বাচন (By Election 2024) হতে চলেছে। পুজোর এই আবহের মধ্যে প্রার্থীদের মনোনয়ন জমা দেওয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। সব রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে প্রচার চলছে জোর কদমে। এই অবস্থায় রাজ্যের চার জেলার সর্বত্র এবং অন্য দু’টি জেলার অন্তর্গত তিনটি বিধানসভা এলাকায় আবাস যোজনার (Awas Yojana) অধীনে বাড়ি তৈরির প্রকল্প বন্ধ রাখার নির্দেশ দিল নির্বাচন কমিশন। 

    কমিশনে কী অভিযোগ জানিয়েছিল বিজেপি? (By Election 2024)

    রাজ্যের যে ছ’টি বিধানসভা আসনে উপনির্বাচন, ওই সব জায়গায় আদর্শ নির্বাচনী বিধি (By Election 2024) জারি করা হয়েছে। বিজেপির অভিযোগ, যে সব এলাকায় উপনির্বাচন হবে, সে সকল জায়গায় আবাস যোজনার কাজ চললে ভোটে তার প্রভাব পড়তে পারে। এ নিয়ে সোমবার মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক (সিইও)-এর দফতরে গিয়েছিল বিজেপির একটি প্রতিনিধি দল। সেখানে তারা জানায়, বাংলা আবাস যোজনায় পাকা বাড়ির জন্য এক লক্ষ ৩০ হাজার টাকা সরকারি অনুদানের যাচাই করার (ভেরিফিকেশন) কাজ শুরু হয়েছে সোমবার থেকে। যে পাঁচ জেলায় উপনির্বাচন রয়েছে, সেখানে এই যাচাই করার কাজ বন্ধ রাখা হোক। কারণ, উপনির্বাচনের জন্য পাঁচ জেলায় আদর্শ আচরণবিধি চালু হয়েছে। সেই দাবি মেনে মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশন জানায়, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, বাঁকুড়া এবং পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার সঙ্গে জলপাইগুড়ি ও উত্তর ২৪ পরগনার অন্তর্গত যে তিন বিধানসভা এলাকায় উপনির্বাচন সেখানে আবাস প্রকল্পের কাজ উপনির্বাচন না মেটা পর্যন্ত বন্ধ রাখতে হবে। তবে, অন্যান্য জেলা এবং জলপাইগুড়ি-উত্তর ২৪ পরগনার বাকি অংশে এই কাজ চলতে পারে।

    আরও পড়ুন: কল্যাণের ‘নাটক’! ওয়াকফ সংশোধনী বিল বিতর্কে নিজেই কাচের বোতল ভেঙে রক্তাক্ত

    কবে উপনির্বাচন?

    কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে,  আগামী ১৩ নভেম্বর কোচবিহারের সিতাই, আলিপুরদুয়ারের মাদারিহাট (এই বিধানসভার কিছু অংশ জলপাইগুড়ি জেলার মধ্যে পড়ে), উত্তর ২৪ পরগনার হাড়োয়া ও নৈহাটি, পশ্চিম মেদিনীপুরের মেদিনীপুর এবং বাঁকুড়ার তালড্যাংরায় উপনির্বাচন (By Election 2024) রয়েছে। ২৩ নভেম্বর ভোটের ফল ঘোষণা। কমিশনের নির্দেশ মেনে আবাসের বাড়ি তৈরির কাজ আপাতত বন্ধ রয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Raghu Dakat: ল্যাটামাছ পোড়া দিয়ে কালীপুজো, দিতেন নরবলিও, কে ছিলেন এই রঘু ডাকাত?

    Raghu Dakat: ল্যাটামাছ পোড়া দিয়ে কালীপুজো, দিতেন নরবলিও, কে ছিলেন এই রঘু ডাকাত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রঘু ডাকাতকে নিয়ে লৌকিক-অলৌকিক গল্পকথার শেষ নেই। মুখে মুখে উড়ে বেড়ানো সে সব জনশ্রুতির খোসা ছাড়িয়ে প্রকৃত ইতিহাসে পৌঁছনো খুব সহজ নয়। ইতিহাসের তথ্যপ্রমাণ বলে, রঘু ডাকাত জন্মেছিলেন অষ্টাদশ শতকের শেষ দিকে, অবিভক্ত বাংলার এক দরিদ্র কৃষক পরিবারে। জন্মসূত্রে তাঁর নাম রঘু ঘোষ (Raghu Dakat)।  

    কীভাবে ডাকাত হলেন রঘু? (Raghu Dakat)

    প্রায় দুশো বছর আগের কথা। সুতানুটি, গোবিন্দপুর, কলিকাতায় তখন দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সাহেবপ্রভুরা। আর বাংলার গ্রামদেশে দমন-পীড়ন চালাচ্ছে নীলকর সাহেবদের দল। নীল চাষে জমির উর্বরতা নষ্ট হত। অন্য ফসল ফলত না আর। কিন্তু সেসব কথা লালমুখোরা শুনবে কেন! যে সব চাষিরা নিজেদের জমিতে নীল চাষে আপত্তি জানাত, তাদের পেয়াদা দিয়ে তুলে আনত তারা। চলত মারধর, অত্যাচার। বাদ যেত না চাষিদের পরিবার পরিজনেরাও। শোনা যায় রঘু ডাকাতের (Raghu Dakat) বাবাও ছিলেন এমনই একজন সাধারণ চাষি। নীল চাষে রাজি না হওয়ায় নীলকরের পেয়াদা এক রাতে তাঁকে তুলে নিয়ে যায়। সাহেবকুঠিতে ভয়ংকর অত্যাচারে অসহায়ভাবে মারা যান রঘুর বাবা। বাবার এই নির্যাতন আর অন্যায় মৃত্যু মেনে নিতে পারেননি তরুণ রঘু। এই হত্যার বদলা নিতে মরিয়া হয়ে ওঠেন তিনি। ছেলেবেলা থেকেই লাঠিখেলায় বেশ পোক্ত ছিলেন রঘু। নীলকর সাহেবদের অত্যাচারের সামনে সেই লাঠিকেই অস্ত্র হিসেবে তুলে নিলেন তিনি। তাঁর পাশে এসে দাঁড়াল একরোখা আরও একদল মানুষ। গড়ে উঠল লাঠিয়াল বাহিনী। যাদের প্রথম কাজই ছিল নীলকর সাহেবদের অত্যাচারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো। দলবল নিয়ে একের পর এক নীলকুঠিতে চড়াও হন রঘু ঘোষ। লুটপাট চালান, জ্বালিয়ে দেন নীলকরদের ঘরবাড়ি। ধীরে ধীরে এলাকার অত্যাচারী জমিদার-মহাজনদের ত্রাস হয়ে ওঠেন রঘু।

    কাদের লুট করত রঘুর বাহিনী?

    শুধু নীলকরদের অত্যাচারের প্রতিশোধ নেওয়াই নয়, ছোট-বড় যে কোনও শোষণযন্ত্রের কাছেই রঘু ডাকাত (Raghu Dakat) ছিল মূর্তিমান যম। সদলবলে বড়লোকদের বাড়িঘর টাকাপয়সা লুট করা শুরু করেছিল তারা। সেসময় যারাই সাধারণ মানুষের সম্পদ কুক্ষিগত করত, তাদের বাড়িতেই হানা দিত রঘু ঘোষের দল। জ্বালিয়ে দেওয়া হত জমির বেনামি দলিল, পুড়িয়ে দেওয়া হত অন্যায়ভাবে হস্তগত করা গরিবের ধন-সম্পদের খতিয়ান। প্রায় কপর্দকশূন্য করে ছেড়ে দেওয়া হত তাদের। কখনও কখনও পিটিয়ে মারা হত অত্যাচারী শোষক জমিদার জোতদারদের। আর লুণ্ঠিত টাকা পয়সার সবটাই ভাগ-বাটোয়ারা করে দেওয়া হত সাধারণ গরিব প্রজাদের ভিতর।

    দিনে দিনমজুর, রাতে ডাকাতি!

    হুগলির যে সাতটা গ্রাম নিয়ে সপ্তগ্রাম বন্দর, তার অন্যতম গ্রাম বাসুদেবপুর। সপ্তগ্রাম থেকে পাণ্ডুয়ার দিকে যেতে পূর্ব দিকে নেমে গিয়েছে এক পায়ে চলা পথ, জঙ্গলের ভেতর দিয়ে এই পথ এঁকেবেঁকে গিয়ে মিশেছে সুদূর গঙ্গাতীরে, ত্রিবেণীতে। এটা সেই সময়ের কথা যখন গোরুর গাড়ি ভিন্ন যানবাহন ছিল না। সাধারণ মানুষ পায়ে হেঁটেই পাড়ি দিতেন ক্রোশের পর ক্রোশ পথ। ত্রিবেণীতে গঙ্গা স্নানের সংকল্প নিয়ে সে সময় বহু পুণ্যার্থী মানুষের যাতায়াত ছিল ঘন জঙ্গলে ঢাকা এই সুঁড়িপথে। এ পথের উত্তর পাড়ে বাগহাটি গ্রাম, এই বাগহাটি জয়পুর গ্রামেই সেসময় আস্তানা গেড়েছিল রঘু ডাকাতের দল। তারা দিনের বেলা আর পাঁচটা সাধারণ মানুষের মতো ক্ষেতমজুরের কাজ করত, আর সূর্যাস্তের পর রাতে এলাকার ধনী ও প্রভাবশালীদের বাড়িতে ডাকাতি (Raghu Dakat) করতে বের হত।

    ল্যাটামাছ পোড়া দিয়ে কালীর পুজো করতেন রঘু

    বাংলার ডাকাতদের (Raghu Dakat) অধিকাংশই মা কালীর পরম ভক্ত ছিলেন। অমাবস্যার রাতে ভক্তি সহকারে কালীপুজো করে, সিঁদুর আর বলির রক্ত মেশা তিলক পরে তবেই লুটপাটে বের হতেন তাঁরা। বাগহাটির জয়পুরের বাসিন্দা বিধুভূষণ ঘোষ সম্পর্কে রঘু ডাকাতের ভাই। দুই ভাই মিলেই দল চালাতেন সে সময়। পুলিশের ভয়ে সেসময় দুভাই গা ঢাকা দিয়েছিলেন দেবীপুরের ঘন জঙ্গলে। সেই বনের মধ্যেই তাঁরা প্রতিষ্ঠা করেন আরাধ্যা মা কালীর মন্দির। রঘু ডাকাতের দলবল জঙ্গলের ভিতর দিয়ে যাওয়া আসা করা ধনী মানুষজনদের টাকাপয়সা কেড়ে নিয়ে তাদের বেঁধে নিয়ে যেতেন মায়ের মন্দিরে। এরপর অমাবস্যা বা বিশেষ দিনে পুণ্যতিথি দেখে ঢাকঢোল পিটিয়ে পুরোহিত ডেকে হত নরবলি। এতেই নাকি তুষ্ট হতেন করাল বদনা মা কালী। এক চূড়াবিশিষ্ট সেই ডাকাত কালীমন্দির আজও আছে। লোকশ্রুতি বলে, স্বপ্নাদেশ পেয়ে রঘু এই কালীমূর্তি খুঁজে বের করেছিলেন এক পুকুরের তলা থেকে। দেবী নিজেই রঘুর পুজো চেয়েছিলেন। এই কালীই বর্তমানে রঘু ডাকাতের কালী নামে জনপ্রিয় ও সিদ্ধেশ্বরী কালী হিসেবে এখনও ভক্তদের পুজো পান। ল্যাটামাছ পোড়া দিয়ে কালীর পুজো করতেন রঘু। আজও দেবীর প্রসাদে একইরকমভাবে ব্যবহার করা হয় পোড়া ল্যাটামাছ।

    রামপ্রসাদ ও রঘু ডাকাত

    কার্তিকের অমাবস্যা তিথি। কিন্তু, সেদিনই পথঘাট আশ্চর্য নিঝুম, জনমানবশূন্য। রঘু পড়লেন মহা বিপাকে। মায়ের বিশেষ পুজোর আয়োজন করা হয়েছে, এদিকে বলির দেখা নেই। ঠিক সেদিনই নিজের বাড়ি হালিশহরে ফিরছিলেন সাধকশ্রেষ্ঠ রামপ্রসাদ (Ramprasad)। তাড়াতাড়ি ত্রিবেণীর গঙ্গাঘাটে যাওয়ার উদ্দেশ্যে দৈবদুর্বিপাকে রঘু ডাকাতের কুখ্যাত জঙ্গলে পা রাখেন তিনি। রঘু ডাকাতের বাহিনী বলির জন্য প্রস্তুত করে রামপ্রসাদকে। হাসিমুখে মায়ের ইচ্ছে জ্ঞান করে ডাকাতদলের সব অত্যাচার সহ্য করেন তিনিও। সামনে রক্তজবায় সাজানো হাড়িকাঠ, খাঁড়া নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে জল্লাদ। কিন্তু মরে গেলে মা’কে তো আর গান শোনানো হবে না। তাই মৃত্যুর আগে মা কালীর সামনে একটি গান গাওয়ার ইচ্ছা পোষণ করেন রামপ্রসাদ। অনুমতি দেন রঘু। গান শুনে ভাবান্তর হয়েছিল  রঘু ডাকাতের। জনশ্রুতি মতে, সেদিন যূপকাষ্ঠে রামপ্রসাদের বদলে আরাধ্যা দেবী কালীকেই দেখেছিলেন রঘু। তক্ষুনি রামপ্রসাদকে সসম্মানে মুক্তি দেন তিনি। ক্ষমা চান কবির কাছে। আর এরপর থেকেই মা সিদ্ধেশ্বরীর সামনে নরবলি দেওয়ার প্রথা এক্কেবারে বন্ধ করে দেন রঘু ডাকাত। চালু হয় পাঁঠাবলির রীতি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Central Force: বিধানসভা উপ-নির্বাচনে ৬টি কেন্দ্রের জন্য মোতায়েন হচ্ছে ৮৯ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী

    Central Force: বিধানসভা উপ-নির্বাচনে ৬টি কেন্দ্রের জন্য মোতায়েন হচ্ছে ৮৯ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্গাপুজো মিটতে না মিটতেই বেজে গিয়েছে নির্বাচনের দামামা। ফের ভোটের মরসুম। রাজ্যে উপ-নির্বাচনের নির্ঘন্ট ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। ১৩ নভেম্বর উপ-নির্বাচনের দিনক্ষণ ঠিক করা হয়েছে। বাংলার মোট ৬টি বিধানসভা কেন্দ্রের উপ-নির্বাচন হতে চলেছে। ইতিমধ্যেই তার জন্য ছ’টি আসনেই প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে তৃণমূল-বিজেপি। সুষ্ঠুভাবে ভোট পরিচালনার জন্য ৬টি বিধানসভার জন্য কেন্দ্রীয় বাহিনীও (Central Force) মোতায়েন করা হচ্ছে।

    নির্বাচন নিয়ে বিশেষ বৈঠক (Central Force)

    কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রত্যেক বিধানসভা এলাকায় যত কোম্পানি করে কেন্দ্রীয় বাহিনী (Central Force) মোতায়েন করা হবে, তত সংখ্যক কুইক রেসপন্স টিম থাকবে। পাশাপাশি রাজ্য পুলিশ পর্যাপ্ত পরিমাণে থাকবে। এইচআরএফএস, আরটি মোবাইল, সেক্টর অফিসের জন্য সেক্টর পুলিশ সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত রাজ্য সশস্ত্র পুলিশ মোতায়েন থাকবে। অন্যদিকে, আগামী ১৩ এবং ২০ নভেম্বর মহারাষ্ট্র এবং ঝাড়খণ্ড সীমান্তে বিশেষ নজর দিচ্ছে দেশের নির্বাচন কমিশন। আগামী ২৯ অক্টোবর বিকেল চারটের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার সহ সমস্ত কমিশনার এবং অন্যান্য আধিকারিকরা থাকবেন এক গুরুত্বপূর্ণ ভিডিও কনফারেন্সে, যেখানে যোগদান করবেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, রাজ্য পুলিশের ডিজি, কোস্ট গার্ডের ডিজি, এক্সাইজ ডিপার্টমেন্ট, আইটি ডিপার্টমেন্ট সহ অন্যান্য আধিকারিকারা। পাশাপাশি রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর থেকে উপস্থিত থাকবেন মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক আরিজ আফতাব সহ অন্যান্য আধিকারিকেরা।

    আরও পড়ুন: ঝড়ের গতিবেগ ছুঁতে পারে ১৫০ কিমি! সাগর দ্বীপ থেকে ৭৭০ কিমি দূরে রয়েছে ‘দানা’

    কোথায় কত কেন্দ্রীয় বাহিনী?

    সুষ্ঠু, অবাধ ও শান্তিপূর্ণ ভোট করাতে বদ্ধপরিকর নির্বাচন কমিশন। তাই, রাজ্যের ৬টি বিধানসভার কোথায় কত কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী (Central Force) থাকবে, তার তালিকাও প্রকাশ করেছে তারা। কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্যে উপ-নির্বাচনের (WB By Election) জন্য ৮৯ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হবে। এর মধ্যে সিতাই ১৬ কোম্পানি, মাদারিহাট ১৪ কোম্পানি, নৈহাটি ১০ কোম্পানি, হাড়োয়া ১৫ কোম্পানি, মেদিনীপুর ১৬ কোম্পানি এবং বাঁকুড়ার তালডাংরায় ১৮ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share