Tag: West Bengal

West Bengal

  • Cyclone Dana: ঝড়ের গতিবেগ ছুঁতে পারে ১৫০ কিমি! সাগর দ্বীপ থেকে ৭৭০ কিমি দূরে রয়েছে ‘দানা’

    Cyclone Dana: ঝড়ের গতিবেগ ছুঁতে পারে ১৫০ কিমি! সাগর দ্বীপ থেকে ৭৭০ কিমি দূরে রয়েছে ‘দানা’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পূর্বাভাসের থেকে অনেক বেশি শক্তি নিয়ে উপকূলে আঘাত হানবে ঘুর্ণিঝড় ‘দানা’ (Cyclone Dana)। মঙ্গলবার সকালের পূর্বাভাস অনুসারে পশ্চিমবঙ্গ-ওড়িশা সীমানার কাছে কোনও জায়গায় আঘাত হানতে পারে ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’র কেন্দ্রটি। ২৪ অক্টোবর রাতে বা ২৫ অক্টোবর সকালে ঝড়টি ভূভাগে প্রবেশ করতে পারে (Cyclone Update)।

    ঝড়ের গতিবেগ ১৫০ কিমি! (Cyclone Dana)

    সমুদ্রে দীর্ঘ সময় থাকায় ঝড়টি (Cyclone Dana) প্রাথমিক পূর্বাভাসের থেকে বেশি শক্তিশালী হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। ঝড়ের কেন্দ্রে বাতাসের গতি প্রায় ঘণ্টায় ১৫০ কিলোমিটার ছুঁতে পারে। তেমন হলে বৃহস্পতিবার দুপুরের পর থেকেই শুরু হবে হাওয়ার দাপট। রাত যত বাড়বে তত বাড়বে ঝড়ের তাণ্ডব। শুধু তাই নয়, ঝড়ের শক্তিশালী দিকটি পশ্চিমবঙ্গের দিকে থাকবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ফলে, উপকূলবর্তী সমস্ত জেলা ও তার লাগোয়া জেলাগুলিতে ঘণ্টায় ১২০ কিমি বা তার বেশি বেগে হাওয়া বইতে পারে। নুলিয়ারা বলছেন, সমুদ্র উত্তাল হয়েছে, বড় বড় ঢেউ দেখা যাচ্ছে। পর্যটকদের নামতে দেওয়ার অনুমতি নেই (Cyclone Update)।

    আরও পড়ুন: ‘দানা’-র দাপট! পর্যটকশূন্য পুরী, ওড়িশায় বন্ধ স্কুল, দিঘায় সমুদ্রস্নানে নিষেধাজ্ঞা

    কোথায় কোথায় বৃষ্টি?

    শুধু ঝড় নয়, ঘূর্ণিঝড়ের (Cyclone Dana) জেরে দক্ষিণবঙ্গে নাগাড়ে বৃষ্টি চলতে পারে। বৃহস্পতিবার পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় লাল সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া দফতর। ওই দিন ঝাড়গ্রাম, হাওড়া, কলকাতা ও উত্তর ২৪ পরগনায় জারি থাকবে কমলা সতর্কতা। এছাড়া দক্ষিণবঙ্গের সমস্ত জেলায় জারি থাকবে হলুদ সতর্কতা। বৃহস্পতিবার হলুদ সতর্কতা জারি হয়েছে উত্তর বঙ্গের ৩ জেলা মালদা, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুরে। শুক্রবার দক্ষিণ ২৪ পরগনা পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রামে লাল সতর্কতা জারি করেছে হাওয়া অফিস (Cyclone Update)। পূর্ব মেদিনীপুরের ২৫ টি ব্লকে সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে। বিশেষত নীচু এলাকায় বসবাসকারী মানুষজনকে সমুদ্রতট থেকে দূরে যেতে বলা হয়েছে। ওই দিন উত্তর ২৪ পরগনা, কলকাতা, হাওড়া বাঁকুড়া ও পুরুলিয়ায় কমলা সতর্কতা জারি হয়েছে। এছাড়া ওই দিন দক্ষিণবঙ্গের বাকি সমস্ত জেলায় হলুদ সতর্কতা জারি থাকবে। উত্তরবঙ্গে মালদা, দুই দিনাজপুর ও জলপাইগুড়িতে হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

    সাইক্লোন ‘দানা’র আশঙ্কায় কী কী ব্যবস্থা নিচ্ছে রেল?

    ঘুর্ণিঝড়ের (Cyclone Dana) কারণে রেল লাইনে জল জমে যাওয়ার আশঙ্কা থাকছেই। তাই জায়গায় জায়গায় পাম্প বসানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। ট্রেন চলাচল ব্যাহত হতে পারে, এমন সম্ভাবনার কথাও উড়িয়ে দিচ্ছে না পূর্ব রেল। যে সব স্টেশনে বেশি প্রভাব পড়তে পারে, সেখানে পর্যাপ্ত ইঞ্জিনিয়ার ও টেলিকম স্টাফ মোতায়েন করা হচ্ছে (Cyclone Update)। সেই তালিকায় থাকছে নামখানা, ডায়মন্ড হারবার, হাসনাবাদ।

    কতদূরে রয়েছে ‘দানা’?

    পুরী ও সাগরদ্বীপের মাঝে সাইক্লোনের ল্যান্ডফলের সম্ভাবনা রয়েছে (Cyclone Dana)। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী ৩ দিন ভারী থেকে চরম ভারী বৃষ্টি হতে পারে। আর সাইক্লোন দানা আছড়ে পড়লে উপকূলে ১২০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায় বইতে পারে ঝড়। বুধবার ও বৃহস্পতিবার, দু’দিন কলকাতায় অতি ভারী বর্ষণের কমলা সতর্কবার্তা রয়েছে। উত্তাল হবে সমুদ্র, মৎস্যজীবীদের জন্য জারি করা হয়েছে নিষেধাজ্ঞা। সাগরে ঘনীভূত হচ্ছে গভীর নিম্নচাপ। মঙ্গলবার সকালের রিপোর্ট অনুযায়ী, বর্তমানে নিম্নচাপ হিসেবে রয়েছে দানা। সাগর দ্বীপ থেকে বর্তমানে সেই নিম্নচাপের দূরত্ব মাত্র ৭৭০ কিলোমিটার। বুধবারই জন্ম নেবে ‘দানা’। বৃহস্পতিবার রাতেই হানা দেওয়ার সম্ভাবনা (Cyclone Update)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Taldangra By-election: তালডাংরা উপনির্বাচনে বিজেপির বাজি তৃণমূলকে ধরাশায়ী করা অনন্যা

    Taldangra By-election: তালডাংরা উপনির্বাচনে বিজেপির বাজি তৃণমূলকে ধরাশায়ী করা অনন্যা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে (West Bengal) উপনির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। ১৩ নভেম্বর উপনির্বাচনের দিনক্ষণ ঠিক করা হয়েছে। বাংলার মোট ৬টি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন  হতে চলেছে। ইতিমধ্যেই উপনির্বাচনের জন্য ছ’টি আসনেই প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে তৃণমূল-বিজেপি উভয়ই। এর মধ্যে বাঁকুড়ার তালডাংরা বিধানসভা কেন্দ্র উপনির্বাচনে (Taldangra By-election) অনন্যা রায় চক্রবর্তীই বিজেপির (BJP Candidate) বাজি। সুকান্ত মজুমদারের হাত ধরে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদানের পর অনন্যা দেবীকেই প্রার্থী করে চমক দিল বিজেপি।

    কে এই অনন্যা? (BJP Candidate)

    দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, তালডাংরায় (Taldangra By-election) উপনির্বাচনে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে সকলকে রীতিমতো চমকে দিয়েছে বিজেপি। এই কেন্দ্রে গেরুয়া শিবির প্রার্থী করেছেন অনন্যা রায় চক্রবর্তী। একসময় তিনি ছিলেন শাসকদল তৃণমূলের কাউন্সিলর। জানা গিয়েছে, ২০১৫ সালে বাঁকুড়া পুরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে প্রথমবার তৃণমূলের টিকিটে জয়ী হয়ে কাউন্সিলর হন অনন্যা। ২০২২-এর নির্বাচনে তাঁকে দল আর টিকিট দেয়নি। এরপর নির্দল প্রার্থী হয়ে পুরসভায় লড়াই করে তৃণমূলকে ধরাশায়ী করে জয় হাসিল করেন। প্রায় এক দশক ধরে বাঁকুড়ার রাজনীতিতে বহু পরিচিত মুখ এই অনন্যা রায় চক্রবর্তী। গত সেপ্টেম্বরের শেষে বাঁকুড়ার মাচানতলায় সুকান্ত মজুমদারের হাত ধরে বিজেপিতে যোগ দেন। বিজেপিতে (BJP) যোগ দেওয়ার পর দলের একাধিক কর্মসূচিতে তাঁকে অংশ নিতেও দেখা যায়। তখন থেকেই তালডাংরা উপনির্বাচনে (Taldangra By-election) বিজেপি প্রার্থী (BJP Candidate) হিসাবে অনন্যা রায় চক্রবর্তীর নাম মুখে মুখে ফিরতে শুরু করে।

    আরও পড়ুন: প্রশাসনের পদক্ষেপ সদর্থক নয়, নির্যাতিতার মা-বাবার অনুরোধে অনশন প্রত্যাহার জুনিয়র ডাক্তারদের

    জয়ের বিষয়ে আশাবাদী বিজেপি প্রার্থী

    জয়ের ব্যাপারে অনন্যাদেবী বলেন, আমি এবার জেতার লড়াইয়ে নামব। জয়ের ব্যাপারে আমি আশাবাদী। স্থানীয় কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ করে যেভাবে বাঁকুড়া (Bankura) পুরসভার জয় ছিনিয়ে এনেছিলাম, তালডাংরাতেও একই ভাবে জয়ী হব। শাসকদলের দাবি, এই কেন্দ্রে তৃণমূলের পাল্লা ভারী। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে (Taldangra By-election) এই কেন্দ্রে জয়লাভ করে তৃণমূল। লোকসভা নির্বাচনেও ভালো ফল করতে পারেনি বিজেপি (BJP)। উপনির্বাচনেও (BJP Candidate) শাসকদলই জয়লাভ করবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Cyclone Dana: ‘দানা’-র দাপট! পর্যটকশূন্য পুরী, ওড়িশায় বন্ধ স্কুল, দিঘায় সমুদ্রস্নানে নিষেধাজ্ঞা

    Cyclone Dana: ‘দানা’-র দাপট! পর্যটকশূন্য পুরী, ওড়িশায় বন্ধ স্কুল, দিঘায় সমুদ্রস্নানে নিষেধাজ্ঞা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কালীপুজোর আগেই ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’। আর এই ঘুর্ণিঝড়ের (Cyclone Dana) দাপটে দুর্যোগের আশঙ্কায় আগাম প্রস্তুতি নিয়ে রাখা হচ্ছে বাংলা ও ওড়িশার উপকূলে। ঘূর্ণিঝড় তৈরি হলে, তা সাগরদ্বীপ ও পুরীর মধ্যবর্তী কোথাও আছড়ে পড়তে পারে। তার আগে সতর্ক দুই রাজ্যের প্রশাসনই।

     দিঘায় সমুদ্রস্নানে নিষেধাজ্ঞা (Cyclone Dana)

    সমুদ্র এখন থেকেই উত্তাল হতে শুরু করেছে। হাওয়া অফিস জানিয়েছে, সোমবার থেকেই পূর্ব ও মধ্য বঙ্গোপসাগর উত্তাল। বৃহস্পতিবার সমুদ্র আরও উত্তাল হবে। বাংলা ও ওড়িশা উপকূলের কাছাকাছিও বুধবার সন্ধ্যা থেকে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত সমুদ্র উত্তাল থাকবে। বাংলাতেও দুই উপকূলবর্তী জেলা- পূর্ব মেদিনীপুর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় আগাম সতর্কতা নিয়েছে প্রশাসন। দুর্যোগের (Cyclone Dana) আশঙ্কায় সোমবার থেকেই প্রশাসনের তরফে মাইকিং করা শুরু হয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার নামখানা, সাগরদ্বীপ, পাথরপ্রতিমা, বকখালি-সহ বিভিন্ন উপকূলবর্তী অঞ্চলে। তৈরি রাখা হচ্ছে ‘ফ্লাড শেল্টার’ বা বহুমুখী ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্রগুলিকে। কাকদ্বীপ অঞ্চলে ইতিমধ্যে একটি কন্ট্রোল রুমও চালু করেছে মহকুমা প্রশাসন। পূর্ব মেদিনীপুরেও দিঘা, মন্দারমণি, তাজপুর-সহ বিভিন্ন পর্যটনকেন্দ্রের দিকে সজাগ নজর রাজ্য প্রশাসনের। আগামী কয়েক দিন দিঘা ও পার্শ্ববর্তী সমুদ্র সৈকতে পর্যটকেরা যাতে কোনও ভাবেই সমুদ্রস্নানে না যান, সে ব্যাপারে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে স্থানীয় প্রশাসনকে।

    আরও পড়ুন: প্রশাসনের পদক্ষেপ সদর্থক নয়, নির্যাতিতার মা-বাবার অনুরোধে অনশন প্রত্যাহার জুনিয়র ডাক্তারদের

    পর্যটকশূন্য পুরী!

    সৈকত শহর পুরী (Puri) মঙ্গলবারই কার্যত পর্যটক-শূন্য করা দেওয়া হচ্ছে। ভিন রাজ্য (Cyclone Dana) থেকে ঘুরতে যাওয়া পর্যটক ও পুণ্যার্থীদের বুধবারের আগেই পুরী ছাড়ার জন্য বলে দিয়েছে ওড়িশা সরকার। তাঁদের নিজ নিজ রাজ্যে ফিরে যাওয়ার জন্য বলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার কোনও পর্যটককে পুরী ভ্রমণে না আসার পরামর্শও দিয়েছে সে রাজ্যের সরকার। ওড়িশাতেও গঞ্জাম, পুরী, জগৎসিংহপুর, কেন্দাপাড়া, ভদ্রক, বালেশ্বর, ময়ূরভঞ্জ, কেওনঝড়, ঢেঙ্কানল, জজপুর, আঙ্গুল, খুরদা, নয়াগড় এবং কটকে দুর্যোগের শঙ্কা রয়েছে। আগাম সতর্কতা হিসেবে বুধবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত ওড়িশার এই ১৪ জেলায় সব স্কুল বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন।

    কবে আছড়ে পড়বে ঘুর্ণিঝড়?

    হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস, নিম্নচাপ অঞ্চলটি ক্রমে শক্তি বৃদ্ধি করে প্রথমে নিম্নচাপ, তার পর গভীর নিম্নচাপ এবং বুধবার সকালের মধ্যেই ঘূর্ণিঝড়ের (Cyclone Dana) রূপ নিতে পারে। এর পর সেটি অগ্রসর হবে উত্তর এবং উত্তর-পশ্চিম অভিমুখে। জলভাগের ওপর দিয়ে অগ্রসর হওয়ার কারণে এটির শক্তি আরও বৃদ্ধি পাবে। বৃহস্পতিবার সকালে যখন ওড়িশা ও বাংলার উপকূলের কাছাকাছি এসে পৌঁছবে, তখন এটি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে। পুরী ও সাগরদ্বীপের মাঝখান দিয়ে স্থলভাগে প্রবেশ করবে এটি। সেই সময় উপকূলে ঝড়ের গতিবেগ থাকতে পারে ১১০-১১০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা।

    ফসল দ্রুত কেটে নেওয়ার নির্দেশ

    ঘূর্ণিঝড়ের (Cyclone Dana) জেরে দুই রাজ্যের ফসলের ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কৃষি দফতর সোমবারই কৃষকদের জন্য একটি পরামর্শাবলী জারি করেছে। ধানের ৮০ শতাংশ দানা পেকে গেলে ফসল দ্রুত কেটে নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। কাটা ধান জমিতে ফেলে না রেখে দ্রুত খামারে তুলে নেওয়ার জন্যও অনুরোধ করা হয়েছে কৃষকদের। ওই সময়ে বাংলা ও ওড়িশার উপকূলে মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। দুর্যোগের প্রভাব পড়তে পারে বাংলার দুই ২৪ পরগনা, দুই মেদিনীপুর, হাওড়া, হুগলি, কলকাতা ও বাঁকুড়া- এই আট জেলায়। দুর্যোগপূর্ণ পরিস্থিতির জন্য তৈরি থাকছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী (এনডিআরএফ)। ইতিমধ্যে বাংলার জন্য এনডিআরএফের ১৪টি দল এবং ওড়িশার জন্য ১১টি দলকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। প্রয়োজন অনুযায়ী দুর্যোগ কবলিত এলাকায় তাঁদের মোতায়েন করা হবে।

     ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী কী বললেন?

    ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী মোহন চরণ মাঝি ঘূর্ণিঝড় (Cyclone Dana) প্রস্তুতির বিষয়ে একটি পর্যালোচনা বৈঠক করেন। এরপর তিনি বলেন, আতঙ্কিত হওয়ার দরকার নেই। সরকার পরিস্থিতি মোকাবিলায় সম্পূর্ণ প্রস্তুত। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার বাসিন্দাদের সকলকে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হবে। এনডিআরএফ, ওডিআরএফ এবং ফায়ার সার্ভিসের দল প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সরকার সমস্ত পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Junior Doctor: দু’ঘণ্টা ধরে নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী-জুনিয়র ডাক্তারদের বৈঠক, কী কী আলোচনা হল?

    Junior Doctor: দু’ঘণ্টা ধরে নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী-জুনিয়র ডাক্তারদের বৈঠক, কী কী আলোচনা হল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করকাণ্ডের সুবিচার সহ একাধিক দাবিতে ধর্মতলায় অনশন করছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। মুখ্যমন্ত্রীর ডাকে সাড়া দিয়ে সোমবার আন্দোলনকারীদের কয়েকজন প্রতিনিধি নবান্নের বৈঠকে হাজির হন। সেখানে টানা ২ ঘণ্টা আলোচনা চলে। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে জুনিয়র ডাক্তাররা (Junior Doctor) বেশ কয়েকটি বিষয় তুলে ধরেন। মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata Banerjee) পক্ষ থেকে সব কিছু খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়। তবে, এই বৈঠকের পর কতটা বরফ গলল, তা এদিন সন্ধ্যা পর্যন্ত স্পষ্ট নয়।

    আন্দোলনকারীরা কী বললেন? (Junior Doctor)

    কলেজস্তরে র‍্যাগিংয়ের অভিযোগ এলে কে খতিয়ে দেখবে? অ্যান্টি র‍্যাগিং কমিটি নাকি টাস্ক ফোর্স? প্রশ্ন জুনিয়র ডাক্তারদের। স্টেট টাস্ক ফোর্সের মতো কলেজেও কমিটি গড়ার ডাক জুনিয়র ডাক্তারদের (Junior Doctor) । অনিকেত মাহাত  ‘থ্রেট কালচার’ প্রসঙ্গে জানান, অনেক অভিযুক্তের পরীক্ষার খাতা পরখ করা হলে দেখা যাবে, তিনি ১০ নম্বরও পাননি। অথচ পদক পেয়ে বেরিয়ে গিয়েছেন। হাউস স্টাফ হয়েছেন। মমতা পাল্টা বলেন, অনেকের বিরুদ্ধেই অনেক অভিযোগ রয়েছে। আন্দোলনকারী ছাত্রী বলেন, টাস্ক ফোর্স কী কাজ করছে, তার সদস্য কত জন, তা নিয়ে কিছু আমরা জানি না। দেবাশিস হালদার জানান, টাস্ক ফোর্সে সব মেডিক্যাল কলেজের প্রতিনিধিত্ব থাকা প্রয়োজন। আন্দোলনকারী অনিকেত রাজ্য সরকারের ‘সদিচ্ছা’ নিয়ে প্রশ্ন তুললেন। তিনি বলেন, “কলেজ ক্যাম্পাস সুস্থ জায়গা হতে হলে, সেখানে আমাদেরও থাকতে হবে। এক জন ছাত্র কলেজে প্রবেশের পর কী এমন ঘটছে যে সে পচা হয়ে উঠছে? সে কারণে ক্যাম্পাসের পরিবেশ সুস্থ, স্বাভাবিক করা প্রয়োজন।”

    আরও পড়ুন: ধেয়ে আসছে ঘুর্ণিঝড় ‘দানা’, কোন দেশ দিয়েছে এই নাম? কীভাবে হয় নামকরণ?

    ‘থ্রেট কালচার’!

    বৈঠকে দেবাশিসের মুখে উঠল ‘থ্রেট কালচার’-এর প্রসঙ্গ। এই প্রসঙ্গে বিরুপাক্ষ এবং অভীকের নাম নিতেই থামিয়ে দিলেন মমতা। তিনি বলেন, “উপস্থিত নেই যখন, নাম নেবেন না। নাম নিলে তো তাঁকেও তাঁর কথা বলার জায়গা দিতে হয়।”অনিকেত (Junior Doctor) মেডিক্যাল কলেজে যৌন হেনস্থার অভিযোগের কথা জানালেন। বললেন, “আরজি করের মতো দ্বিতীয় ঘটনা যাতে না হয়, তা দেখা হোক। মেয়েদের নিরাপত্তার জায়গাটা দেখা হোক।” তাঁর দাবি, ‘থ্রেট কালচার’-এর পাশাপাশি যৌন হেনস্থাও চলে।

    মুখ্যমন্ত্রী কী বললেন?

    মমতা বলেন, “তোমরা সাধ্যমতো অনশন করেছো। ভালো করেছো। আমি ২৬ দিন অনশন করেছি। কেউ আসেনি। আমি মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিবকে পাঠিয়েছি। রোজ খবর নিয়েছি। ঘণ্টায় ঘণ্টায় রিপোর্ট নিই।”মমতা জুনিয়র ডাক্তারদের পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার কথা বললেন। তাঁর কথায়, “পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে সরকার কাজ করবে কী করে?” বৈঠকের শেষের দিকে মমতা বলেন, “আমার কাছে একটি পরিবার আসার কথা। তাঁদেরও মেয়ে মারা গিয়েছে। আমায় যেতে হবে। আন্দোলন শুরু করলে শেষও করতে হবে। মানবাধিকার কমিশনের দাবিতে ২১ দিন ধর্না করেছিলাম। সিঙ্গুর নিয়ে ২৬ দিন অনশন করেছি। কেউ আসেনি। গোপাল গান্ধী ব্যক্তিগত ভাবে আমায় ভালোবাসতেন বলে এসেছিলেন। তোমাদের (Junior Doctor) ভালোবাসি। আলোচনায় ফাঁক রাখা হয়নি। মন খুলে কথা বলেছো।”

    সাসপেনশন নিয়ে তদন্ত!

    মমতা সাসপেনশন নিয়ে জানালেন, “তদন্ত করা হবে। পক্ষপাতিত্ব চলবে না, আগামী দিনে দেখা হবে বিষয়টি। সরকারকে না জানিয়ে ‘অ্যাকাডেমিক’ কাউন্সিল কী ভাবে তৈরি হল, কী ভাবে সাসপেন্ড করা হল, সেই প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। মমতা জানান, জুনিয়র ডাক্তারদের স্ট্রাইকের জন্য ৪৫০ কোটি টাকা খরচ হয়েছে। জনগণের টাকা অন্য জায়গায় চলে গিয়েছে। মমতা বলেন, “রং জানার দরকার নেই। পরিচয় জানার দরকার নেই। যদিও জানি সব। ৫৬৩ জন আন্দোলন চলার সময় বেসরকারি হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা করে টাকা নিয়েছেন।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Amit Shah: বুধবার বঙ্গ সফরে আসছেন না কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, একগুচ্ছ কর্মসূচি স্থগিত

    Amit Shah: বুধবার বঙ্গ সফরে আসছেন না কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, একগুচ্ছ কর্মসূচি স্থগিত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বঙ্গ সফর আপাতত স্থগিত হয়ে গেল। বুধবার রাতেই তাঁর কলকাতা পৌঁছানোর কথা ছিল। দু’দিনে তিনি সরকারি বেশ কয়েকটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতেন। একই সঙ্গে দলীয় নেতাদের সঙ্গেও বৈঠকে বসবেন, এমনটাই পরিকল্পনা ছিল। ঠিক কী কারণে ওই কর্মসূচি আপাতত স্থগিত হল, সে ব্যাপারে রাজ্য বিজেপির পক্ষ থেকে কিছু জানানো হয়নি। তবে অন্য একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়ে বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার সকালের মধ্যে স্থলভাগে আছড়ে পড়তে পারে। তার জেরে বুধবার থেকেই বাংলার আবহাওয়ায় ব্যাপক পরিবর্তন আসতে চলেছে। ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাসও দিয়ে রেখেছে আবহাওয়া দফতর। সেই কারণেই তাঁর এই প্রোগ্রাম আপাতত স্থগিত রাখা হল বলে মনে করা হচ্ছে।

    কী কী কর্মসূচি ছিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর? (Amit Shah)

    উল্লেখ্য, আগামী ২৩ অক্টোবর অর্থাৎ বুধবার রাত ১০টায় কলকাতা বিমানবন্দরে এসে পৌঁছানোর কথা ছিল অমিত শাহ’র। নিউটাউনের একটি পাঁচতারা হোটেলে রাত্রিবাস করার পর বঙ্গ বিজেপির রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করতে পারেন তিনি, এমন কথাই ছিল। এরপর ২৪ অক্টোবর অর্থাৎ বৃহস্পতিবার প্রথমে কল্যাণী এবং তারপর আরামবাগে সরকারি অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার কথা ছিল তাঁর। সল্টলেকে ইজেডসিসিতে রাজ্য ও জেলাস্তরের নেতাদের নিয়েও একটি বৈঠক করার পরিকল্পনা ছিল অমিত শাহের। বৈঠক শেষে তিনি সোজা কলকাতা বিমানবন্দর থেকে দিল্লির পথে রওনা হবেন, কর্মসূচি ছিল এমনটাই। অন্যদিকে, আগামী মাসেই রাজ্যের ছয়টি আসনে বিধানসভা উপনির্বাচন। উপনির্বাচন হবে সিতাই, নৈহাটি, হাড়োয়া, মেদিনীপুর, মাদারিহাট এবং তালড্যাংরায়। ইতিমধ্যে ঘোষণা করা হয়ে গিয়েছে বিজেপির প্রার্থী তালিকাও। তৃণমূলের পক্ষ থেকেও প্রার্থী তালিকা ঘোষণা হয়েছে। তাই উপনির্বাচনের প্রচার থেকে শুরু করে কী রণকৌশল হতে পারে, সেই নিয়েও দলকে ভোকাল টনিক দিতে পারেন অমিত শাহ, এমনটাও মনে করা হয়েছিল।

    আরও পড়ুন: ধেয়ে আসছে ঘুর্ণিঝড় ‘দানা’, কোন দেশ দিয়েছে এই নাম? কীভাবে হয় নামকরণ?

    ছিল পেট্রাপোল স্থলবন্দর পরিদর্শনে যাওয়ার সম্ভাবনা

    দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, অমিত শাহের (Amit Shah) অন্যান্য কর্মসূচিগুলি সময়ের মধ্যে শেষ হলে তিনি বৃহস্পতিবার বনগাঁয় ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের পেট্রাপোল স্থলবন্দর পরিদর্শনে যেতে পারেন, এমনটাও ভেবে রাখা হয়েছিল। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নিরাপত্তার জন্য আগামী কাল থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সীমান্ত দিয়ে পণ্য পরিবহণ বন্ধ রাখার কথা ঘোষণা করা হয়েছিল। কিন্তু পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে আপাতত এ সবই স্থগিত রাখতে হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Diamond Harbour Medical: কোটি কোটি টাকা দুর্নীতিতে অভিযুক্ত অধ্যক্ষ! দিনভর বিক্ষোভে জুনিয়র ডাক্তাররা

    Diamond Harbour Medical: কোটি কোটি টাকা দুর্নীতিতে অভিযুক্ত অধ্যক্ষ! দিনভর বিক্ষোভে জুনিয়র ডাক্তাররা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করকাণ্ড নিয়ে রাজ্যজুড়ে তোলপাড় চলছে। জুনিয়র ডাক্তাররা (Junior Doctor) লাগাতার আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। এই আবহের মধ্যে এবার ডায়মন্ড হারবার মেডিক্যাল (Diamond Harbour Medical) কলেজে অধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবিতে সোমবার অবস্থান-বিক্ষোভ চলে। এদিন সকাল থেকে চলা অবস্থান বিক্ষোভে ডাক্তারি পড়ুয়াদের পাশাপাশি ডায়মন্ড হারবার মেডিক্যাল কলেজের স্থায়ী এবং অস্থায়ী কর্মচারীরা সামিল হন।

    ঠিক কী অভিযোগ?(Diamond Harbour Medical)

    মূলত, জুনিয়র ডাক্তারদের (Diamond Harbour Medical) দাবি, ডায়মন্ড হারবার মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ হাসপাতালের মাদার অ্যান্ড চাইল্ড হাবের কোটি কোটি টাকা দুর্নীতি করেছেন। পাশাপাশি থ্রেট কালচার সহ ১২ দফা দাবিকে সামনে রেখে তাঁরা অবস্থান বিক্ষোভ চালাতে থাকেন। অধ্যক্ষ যতক্ষণ না পর্যন্ত এর সঠিক উত্তর দিচ্ছেন, ততক্ষণ এই অবস্থান বিক্ষোভ চলতে থাকবে। এমনকী, মেডিক্যাল কলেজের অ্যাকাডেমিক বিল্ডিংয়ে তালা মেরে দেওয়া হয় জুনিয়র চিকিৎসকদের পক্ষ থেকে। তবে, এই বিষয় নিয়ে ডায়মন্ড হারবার মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ বলেন, ‘‘ডায়মন্ড হারবার মেডিক্যাল কলেজের বেশ কিছু জুনিয়র চিকিৎসক ও পড়ুয়ারা কোশ্চেন বিক্রি থেকে শুরু করে, টাকা নেওয়া ও জুনিয়রদের থ্রেট কালচারের সঙ্গে যুক্ত। এরজন্য ৯ জন জুনিয়র চিকিৎসক ও পড়ুয়াকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। এদিন তাঁদের হস্টেল ছেড়ে দেওয়ার শেষ দিন, যে কারণেই তাঁরা পরিকল্পিতভাবে আমার দুর্নাম করার জন্যই এই পরিকল্পনা করেছে।’’

    আরও পড়ুন: ধেয়ে আসছে ঘুর্ণিঝড় ‘দানা’, কোন দেশ দিয়েছে এই নাম? কীভাবে হয় নামকরণ?

    আরজি করকাণ্ডে প্রতীকী অনশন

    সকাল থেকে দফায় দফায় অবস্থান বিক্ষোভের ফলেই ব্যাহত হয়ে পড়ে ডায়মন্ড হারবার মেডিক্যাল কলেজের রোগী পরিষেবা। আর সেই অবস্থান বিক্ষোভের মধ্যে আসেন ডায়মন্ড হারবার পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জোনাল মিতুন কুমার দে, মহকুমা শাসক অঞ্জন ঘোষ, এসডিপিও শাকিব আহমেদ। একদিকে তাঁরা যেমন আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেন, ঠিক তেমনি মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ এবং এমএসভিপি-র সঙ্গে কথা হয়। জুনিয়র চিকিৎসকদের আশ্বস্ত করার পর অ্যাকাডেমিক বিল্ডিং এর তালা খোলেন। জুনিয়র চিকিৎসকরা অবস্থান তুলে নেন। পাশাপাশি, জুনিয়র ডাক্তারদের অন্য একটি পক্ষ, আরজি করকাণ্ডের কলকাতায় অবস্থানরত চিকিৎসকদের সমবেদনা জানাতে ১২ ঘণ্টা প্রতীকী অনশন করেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Cyclone Dana: আয়লার মতো দাপট হবে সাইক্লোন ‘দানা’র! ল্যান্ডফল বৃহস্পতিবার? প্রস্তুত এনডিআরএফ

    Cyclone Dana: আয়লার মতো দাপট হবে সাইক্লোন ‘দানা’র! ল্যান্ডফল বৃহস্পতিবার? প্রস্তুত এনডিআরএফ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কালীপুজোর আগেই আবহাওয়ার বড় পরিবর্তনের আশঙ্কা। চোখ রাঙাতে শুরু করেছে ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’। আর এই ঘুর্ণিঝড় মোকাবিলায় ইতিমধ্যেই ওড়িশা ও বাংলার উপকূলে ঘূর্ণিঝড়ের (Cyclone Dana) সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকালে ওড়িশা-বাংলার কাছে পৌঁছবে ‘দানা’। তবে বুধবার থেকেই আবহাওয়ার পরিবর্তন হতে শুরু করবে। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া থাকবে উপকূলে। ঝড় কোথায় আছড়ে পড়বে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবুও, সমস্ত প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে তৎপর নবান্ন। আসন্ন ঘূর্ণিঝড় ডানা নিয়ে রাজ্যের সঙ্গে বৈঠক বসেছে কেন্দ্র। কেন্দ্রের ক্যাবিনেট সেক্রেটারি রাজ্যের মুখ্যসচিবের সঙ্গে বৈঠক করেন সোমবার। ঘূর্ণিঝড় ও তার প্রভাব নিয়ে কেন্দ্রের জাতীয় বিপর্যয় ম্যানেজমেন্ট কমিটির এই বৈঠক হয়।

    প্রস্তুতির তথ্য তলব কেন্দ্রের (Cyclone Dana)

    এই ঘূর্ণিঝড় (Cyclone Dana) নিয়ে রাজ্যের তরফে কী কী প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে তার বিস্তারিত রিপোর্ট নেয় কেন্দ্র। রবিবার মৌসম ভবনের পক্ষ থেকে একটি বিশেষ বুলেটিন প্রকাশ করা হয়। সেখানেই জানানো হয়, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বঙ্গোপসাগরের ওপর থাকা ঘূর্ণাবর্ত নিম্নচাপ অঞ্চলে পরিণত হতে পারে। এই নিম্নচাপ অঞ্চল সাগরের ওপর দিয়ে ক্রমেই পশ্চিম এবং উত্তর-পশ্চিম দিকে এগোতে পারে। ফলে, ২২ অক্টোবর, মঙ্গলবার সকালে সেই নিম্নচাপ অঞ্চল শক্তিবৃদ্ধি করে নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। ঠিক এর পরের দিন, অর্থাৎ ২৩ অক্টোবর, বুধবার পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরের উপর এই নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে।

    আয়লার আতঙ্ক!

    আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ১২০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা গতিবেগে বইতে পারে ঝড়। ফলে, সমুদ্র উত্তাল হবে। মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। ২০০৯ সালে আয়লা ঘূর্ণিঝড়েরও গতিবেগ ছিল ১২০ থেকে ১৩০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায়। তাই আবারও ঝড়ের (Cyclone Dana) প্রভাবে সব তছনছ হয়ে যেতে পারে কি না, তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় রাত কাটাচ্ছেন উপকূলবর্তী এলাকার বাসিন্দারা। ‘দানা’ ঘূর্ণিঝড়ের আতঙ্কে ত্রস্ত সুন্দরবনের উপকূল এলাকা।  সোমবার থেকে আগামী শনিবার পর্যন্ত মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে মৎস্য দফতরের পক্ষ থেকে সোমবার সন্ধ্যার মধ্যে সব মৎস্যজীবী ট্রলারকে উপকূলে ফিরে আসতে বলা হয়েছে। একটানা তিন দিন ভারী বৃষ্টি হতে পারে, সঙ্গে ঝড়। পূর্বাভাসে এমনটাই বলা হয়েছে। বাড়তে পারে সমুদ্র ও নদীর জলস্তর।

    আরও পড়ুন: ধেয়ে আসছে ঘুর্ণিঝড় ‘দানা’, কোন দেশ দিয়েছে এই নাম? কীভাবে হয় নামকরণ?

    মাইকিং করে সতর্ক!

    জেলার সুন্দরবন উপকূলে বিশেষ সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলা প্রশাসনও প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে। সুন্দরবন পুলিশ জেলার পক্ষ থেকে উপকূলবর্তী সাগর, নামখানা, ফ্রেজারগঞ্জ, বকখালি, পাথরপ্রতিমা ও রায়দিঘি এলাকায় মাইক নিয়ে প্রচার করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে কাকদ্বীপ মহকুমার সাগর, কাকদ্বীপ, পাথরপ্রতিমা ও নামখানা ব্লকে সাইক্লোন (Cyclone Dana) সেন্টার খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। গঙ্গাসাগরের কচুবেড়িয়া ঘাটে ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা মাইকিং করে মৎস্যজীবীদের গভীর সমুদ্রে যেতে নিষেধ করেন। আর যাঁরা গিয়েছেন, তাঁদের ফিরে আসার কথা বলা হচ্ছে। এছাড়াও উপকূল তীরবর্তী এলাকার মানুষদেরকে সতর্ক করা হচ্ছে মাইকিং এর মাধ্যমে। বাঁধের কাছে বসবাসকারী বাসিন্দাদের ধীরে ধীরে নিরাপদ জায়গায় আশ্রয় নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। এই দুর্যোগ মোকাবিলায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সিভিল ডিফেন্স, এসডিআরএফ এবং এনডিআরএফকে (NDRF) সতর্ক করে সমস্ত রকম প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে বলা হয়েছে। পরিস্থিতি বুঝে সুন্দরবনের উপকূল এলাকায় জরুরি ভিত্তিতে মোতায়েন করা হতে পারে ওই বিশেষ বাহিনী।

    খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম

    ব্লক প্রশাসন এবং পঞ্চায়েতগুলিকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। কাকদ্বীপ মহকুমা শাসকের দফতরে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। সেচ দফতরের আধিকারিক এবং কর্মীরা বাঁধের ওপর নজরদারি চালাবে। কোথাও কোনও বাঁধে (Cyclone Dana) সমস্যা দেখা দিলে দ্রুত মেরামত করা হবে বলে সেচ দফতরের নির্দেশ। পঞ্চায়েত এবং ব্লক অফিসগুলিতে শুকনো খাবার, পানীয় জলের পাউচ এবং ত্রিপল মজুদ করা হচ্ছে। উপকূল এলাকায় নজরদারি চালাতে বিডিও অফিসগুলোতেও একটি করে কন্ট্রোল রুম খোলা হবে বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে।

    সব থেকে ক্ষতি কোথায় হবে?

    হাওয়া অফিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘুর্ণিঝড়ের (Cyclone Dana) ফলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে ভারত, বাংলাদেশ ও মায়ানমার। ‘দানা’ সম্পর্কে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গ থেকে দক্ষিণ ভারতে মুষলধারে বৃষ্টি হতে পারে। এই ঘূর্ণিঝড়টি ২৪ থেকে ২৬ অক্টোবরের মধ্যে উপকূলে আঘাত হানতে পারে। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের হিসেব বলছে, আন্দামান সাগরের ঘূর্ণাবর্ত ঘনীভূত হয়ে বঙ্গোপসাগরের দিকে আসছে। আগামিকাল মধ্য বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ তৈরির প্রবল সম্ভবনা। এই নিম্নচাপ শক্তি বাড়িয়ে ধেয়ে আসবে ওড়িশা উপকূলের দিকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Cyclone Dana: ধেয়ে আসছে ঘুর্ণিঝড় ‘দানা’, কোন দেশ দিয়েছে এই নাম? কীভাবে হয় নামকরণ?

    Cyclone Dana: ধেয়ে আসছে ঘুর্ণিঝড় ‘দানা’, কোন দেশ দিয়েছে এই নাম? কীভাবে হয় নামকরণ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আলোর উৎসবে মাততে প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন রাজ্যবাসী। এই আবহের মধ্যে রাজ্যের দিকে ধেয়ে আসছে ঘুর্ণিঝড় ‘দানা’ (Cyclone Dana)। ২৩ তারিখ শক্তি বাড়িয়ে পূর্ব মধ্য বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় (Cyclone Dana) তৈরি হবে। ২৪ তারিখ সকালে পশ্চিমবঙ্গ উপকূল এবং ওড়িশা উপকূলের কাছাকাছি চলে আসবে (Cyclone Alert) ।

    কীভাবে হয় ঝড়ের নামকরণ? (Cyclone Dana)

    সাগরে নিম্নচাপের সময় বাতাসের প্রচণ্ড ঘূর্ণায়মান গতির ফলে সংঘটিত বায়ুমণ্ডলীয় উত্তাল অবস্থাকে সংক্ষেপে ঘূর্ণিঝড় বলা হয়। বাতাসের এই একটানা ঘূর্ণায়মান গতি যখন একটি নির্দিষ্ট মাত্রায় পৌঁছায়, তখনই এর নামকরণ করা হয়। আটলান্টিক মহাসাগর ও এর আশপাশের অঞ্চলে বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটারে উঠে গেলে নিম্নচাপ ঝড়ে পরিণত হয়। আর এ সময়ই ঘূর্ণিঝড়টিকে একটি নাম দিয়ে চিহ্নিত করা হয়। Q, U, X, Y ও Z- ইংরেজি বর্ণমালার এই ৫টি অক্ষর বাদ দিয়ে বাকি ২১টি অক্ষর ব্যবহার করে ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ করা হয়। এগুলো সাধারণত এক বছরের জন্য পর্যায়ক্রমিকভাবে করা হয়। তবে, কোনও বছর যদি ২১টির বেশি ঘূর্ণিঝড় দেখা দেয়, তবে নামগুলির সঙ্গে গ্রিক বর্ণমালা যুক্ত করা হয়। নামকরণের পদ্ধতি অঞ্চলভেদে পরিবর্তিত হয় (Cyclone Dana)।

    আরও পড়ুন: দিল্লি বিস্ফোরণে খালিস্তানি যোগ? সমাজ মাধ্যমে ভাইরাল পোস্ট, চলছে তদন্ত

    ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ করে কারা?

    বিশ্ব আবহাওয়া (Cyclone Alert) সংস্থা আঞ্চলিক কমিটির অধীনে মোট ৫টি আঞ্চলিক সংস্থা তাদের স্ব-অঞ্চলের ঘূর্ণিঝড়গুলির নামকরণ করে। এগুলি হলো- ইএসসিএপি (ইকনমিক অ্যান্ড সোশ্যাল কমিশন ফর এশিয়া অ্যান্ড প্যাসিফিক) বা ডব্লিউএমও (বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা) টাইফুন কমিটি, ডব্লিউএমও বা ইএসসিএপি প্যানেল অন ট্রপিক্যাল সাইক্লোন, আরএ (রেজিওনাল অ্যাসোসিয়েশন) ট্রপিক্যাল সাইক্লোন কমিটি, আরএ-৪ হারিকেন কমিটি, আরএ-৫ ট্রপিক্যাল সাইক্লোন কমিটি। ভারত মহাসাগরের ঝড়গুলির (Cyclone Dana) নামকরণ করে ১৩টি দেশ। সেগুলি হচ্ছে- বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, মায়নমার, মলদ্বীপ, শ্রীলঙ্কা, তাইল্যান্ড, ওমান, ইরান, সৌদি আরব, ইয়েমেন, সংযুক্ত আরব আমিশাহি ও কাতার। ডব্লিউএমওর অংশ হিসেবে উত্তর ভারতীয় ঘূর্ণিঝড়গুলির নামকরণ করে থাকে- আরএসএমসি, ট্রপিক্যাল সাইক্লোন ওয়ার্নিং সিস্টেমস (টিসিডব্লিউএস) ও ভারতের আবহাওয়া দফতর(আই.এমডি)। এই ঘূর্ণিঝড়টির নাম দেওয়া হয়েছে- ‘দানা’ (Cyclone Dana)। এই ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ করেছে কাতার। এই ‘দানা’ (শব্দভেদে ডানা)-নামের অর্থ মুক্ত (Free)।

    কেন নামকরণ?

    ঘূর্ণিঝড়ের (Cyclone Dana) নামকরণের পিছনে মূল কারণ সংশ্লিষ্ট অঞ্চলে জনসাধারণের সতর্কতা। এই উদ্দেশ্যকে কেন্দ্র করে বাতাসের গতিবিধি ও আসন্ন দুর্যোগ নিয়ে গবেষণা করা হয়ে থাকে। এই গবেষণায় ঝড়ের তীব্রতা এবং একাধিক ঝড়ের মধ্যে তুলনামুলক বিশ্লেষণে প্রত্যক্ষভাবে সাহায্য করে এগুলোর নামকরণ। হাওয়া অফিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ২৪ তারিখ উপকূল এর হাওয়ার গতিবেগ থাকবে সম্ভাব্য ১০০ থেকে ১১০ কিলোমিটার। সেটা বেড়ে ১২০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায়ও হতে পারে। সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়ার গতিবেগ পৌঁছতে পারে ১৩৫ কিমিতে (Cyclone Alert) ।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Weather Update: ঝড়ের গতিবেগ ১৩৫ কিমি! কালীপুজোর আগে ধেয়ে আসছে সাইক্লোন ‘দানা’

    Weather Update: ঝড়ের গতিবেগ ১৩৫ কিমি! কালীপুজোর আগে ধেয়ে আসছে সাইক্লোন ‘দানা’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কালী পুজোর আগেই রাজ্যের দিকে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড়! সমুদ্রে ঘণ্টায় ১৩৫ কিলোমিটার বেগে ঝড় বইতে পারে! হাওয়া অফিস (Weather Update) সূত্রে জানা গিয়েছে, বঙ্গোপসাগরের ওপর নিম্নচাপ শক্তি বৃদ্ধি করে গভীর নিম্নচাপ এবং পরে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে চলেছে। ঘূর্ণিঝড়ের (Cyclone Dana) নাম রাখা হয়েছে ‘দানা’। এই নামটি দিয়েছে কাতার। এর জেরে রাজ্যের একাধিক জেলায় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

    সমুদ্রে নিষেধাজ্ঞা (Weather Update)

    আলিপুর আবহাওয়া (Weather Update) দফতরের আবহবিদ সৌরিশ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আন্দামান সাগরের কাছে যে ঘূর্ণাবর্তটি রয়েছে আগামী ২৪ ঘণ্টায় তা নিম্নচাপে পরিণত হবে। অবস্থান পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর সংলগ্ন উত্তর আন্দামান সাগরের কাছে। এরপর এই ঘূর্ণাবর্তটি আরও শক্তি বাড়িয়ে উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিকে এগোবে। ২২ অক্টোবর গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে। এরপর ২৩ অক্টোবর তা শক্তি বাড়িয়ে পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড়ে রূপান্তরিত হবে। এর অভিমুখ থাকবে উত্তর-পশ্চিম দিকে। ২৪ অক্টোবর সকালে পশ্চিমবঙ্গ উপকূল এবং ওড়িশা উপকূলে কাছে আসবে ঘূর্ণিঝড়টি।’’ সোমবার থেকেই মৎসজীবীদের সমুদ্রে যাওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর।

    আরও পড়ুন: দিল্লি বিস্ফোরণে খালিস্তানি যোগ? সমাজ মাধ্যমে ভাইরাল পোস্ট, চলছে তদন্ত

    ঝড়ের গতিবেগ কত?

    আলিপুর আবহাওয়া (Weather Update) দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, নিম্নচাপ পরিস্থিতির কারণে ২০ থেকে ২৩ অক্টোবর আন্দামান সাগর এবং সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে ঝোড়ো আবহাওয়া থাকবে। হাওয়ার গতি হতে পারে ঘণ্টায় ৪০ থেকে ৭৫ কিলোমিটার পর্যন্ত। ঘূর্ণিঝড় তৈরি হয়ে গেলে বৃহস্পতিবার উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে ঘণ্টায় ৯০ থেকে ১২০ কিলোমিটার বেগে ঝড় বইতে পারে। ঝোড়ো হাওয়ার বেগ উঠতে পারে ১৩৫ কিলোমিটার পর্যন্ত। ওই সময়ে সমুদ্র উত্তাল থাকবে উপকূলের কাছে। আগামী ২৪ তারিখ উপকূলবর্তী এলাকায় হাওয়ার সাম্ভাব্য গতিবেগ থাকবে ঘণ্টায় ১০০ থেকে ১১০ কিলোমিটার।

    দক্ষিণবঙ্গে কেমন প্রভাব?

    রবিবার ও সোমবার দক্ষিণবঙ্গে (Weather Update) বৃষ্টিপাতের কোনও সম্ভাবনা নেই। মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবরে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে বুধবার, ২৩ অক্টোবর উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে এর প্রভাব বেশি থাকবে। বিশেষ করে দুই ২৪ পরগনা ও দুই মেদনীপুরে ভারী বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বাকি জেলাগুলিতে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস। বৃহস্পতিবার এই ঘূর্ণিঝড়ের সরাসরি প্রভাব পড়বে উপকূলের জেলাগুলিতে। এই জেলাগুলিতেভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়াঅফিস। বৃহস্পতিবার কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, উত্তর ২৪ পরগনা ও ঝাড়গ্রামে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। শুক্রবারও ভারী বৃষ্টিপাত হবে দক্ষিণবঙ্গের উপকূলের জেলাগুলিতে। কলকাতাতে ২৪ অক্টোবর থেকে ২৫ অক্টোবর ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

    উত্তরবঙ্গেও বৃষ্টি

    উত্তরবঙ্গেও (Weather Update) বৃষ্টি হতে পারে। বৃহস্পতিবার জলপাইগুড়ি, উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর, মালদা বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। তবে, আলিপুর আবহাওয়া দফতরের আবহবিদের দাবি, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব দক্ষিণবঙ্গের উপর সেভাবে নেই। তবে, ঘূর্ণিঝড়ের ল্যান্ডফলের নির্দিষ্ট স্থান এবং সময় এখনই বলা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • BJP: ১৩ নভেম্বর রাজ্যে উপনির্বাচন, প্রথম দল হিসেবে ৬ কেন্দ্রেই প্রার্থী ঘোষণা করে দিল বিজেপি

    BJP: ১৩ নভেম্বর রাজ্যে উপনির্বাচন, প্রথম দল হিসেবে ৬ কেন্দ্রেই প্রার্থী ঘোষণা করে দিল বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উপনির্বাচনে প্রার্থী ঘোষণায় শাসক দল তৃণমূলকে টেক্কা দিল বিজেপি (BJP)। শনিবার রাতেই রাজ্যের ছয় আসনের উপনির্বাচনে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করে গেরুয়া শিবির (BJP)। অনেকের মতে, রাজ্যে মমতা সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ চরমে, আরজি কর ইস্যুতে উত্তাল হয়েছে বাংলা-এই আবহে সব চেয়ে আগে প্রার্থী ঘোষণা করে প্রচারে ঝড় তুলতে চাইছে বিজেপি। নির্বাচন কমিশনের ঘোষণা অনুযায়ী, এই ৬ আসনে ১৩ নভেম্বর ভোটগ্রহণ হবে। সর্বত্রই গণনা হবে ২৩ নভেম্বর।

    বিজেপির (BJP) প্রার্থী তালিকা

    কোচবিহারের সিতাই বিধানসভা কেন্দ্রে বিজেপি (BJP) প্রার্থী হয়েছেন দীপককুমার রায়। মাদারিহাট কেন্দ্রে গেরুয়া শিবিরের প্রার্থী রাহুল লোহার। নৈহাটিতে প্রার্থী করা হয়েছে রূপক মিত্রকে। হাড়োয়া বিধানসভা কেন্দ্রের প্রার্থী বিমল দাস। মেদিনীপুরে বিজেপির (BJP) টিকিটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন শুভজিৎ রায়। তালড্যাংরা কেন্দ্রে প্রার্থী করা হয়েছে অনন্যা রায় চক্রবর্তীকে। বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলা নেতৃত্ব যে নাম পাঠায়, তাতেই অনুমোদন দেয় রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। স্থানীয় ভূমিপুত্র বা ভূমিকন্যাদেরই প্রার্থী করা (West Bengal) হয়েছে।

    আরও পড়ুন: মিলবে একাধিক সুবিধা থেকে পৌরাণিক জ্ঞান, জানুন মহাকুম্ভের ৩০ রত্নদ্বার সম্পর্কে

    ৬ কেন্দ্রের বিধায়করা সাংসদ হন

    প্রসঙ্গত, মাদারিহাটের বিধায়ক মনোজ টিগ্গা সাংসদ হওয়ায় সেই আসনে ভোটগ্রহণ হবে। অন্যদিকে, কোচবিহারের সিতাই আসন ছেড়ে তৃণমূলের সাংসদ হয়েছেন জগদীশচন্দ্র বর্মা বাসুনিয়া, সেখানেও ভোট হচ্ছে। নৈহাটির বিধায়ক পার্থ ভৌমিক বর্তমানে বারাকপুরের সাংসদ হয়েছেন। মেদিনীপুর এবং তালড্যাংড়া আসন এখনও শূন্য রয়েছে (West Bengal) যথাক্রমে জুন মালিয়া এবং অরূপ চক্রবর্তী সাংসদ হওয়ায়। এই ছয় আসনের বিধায়করা গত লোকসভা নির্বাচনে সাংসদ হয়েছেন। এর মধ্যে বসিরহাটের সাংসদ হাজি নুরুল ইসলামের সম্প্রতি মৃত্যু হয়েছে। হাড়োয়া আসনের বিধায়ক পদ ছেড়ে তিনি সাংসদ হন। হাড়োয়াতেও তাই উপনির্বাচন হচ্ছে। তবে বসিরহাট লোকসভা আসনে এখনই (BJP) ভোটগ্রহণ হচ্ছে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share