Tag: West Bengal

West Bengal

  • Sukanta Majumdar: রাজ্যে নারী নিরাপত্তা তলানিতে, কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপ চেয়ে চিঠি দিলেন সুকান্ত

    Sukanta Majumdar: রাজ্যে নারী নিরাপত্তা তলানিতে, কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপ চেয়ে চিঠি দিলেন সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করকাণ্ড থেকে শুরু করে কুলতলি, পুরুলিয়া, কৃষ্ণনগর। রাজ্যে (West Bengal) একের পর এক মহিলাদের ওপর অত্যাচারের অভিযোগ প্রকাশ্যে এসেছে। এই পরিস্থিতিতে বিজেপির (BJP) রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার অবিলম্বে কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপের আর্জি জানিয়ে কেন্দ্রীয় নারী সুরক্ষা ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রী অন্নপূর্ণা দেবীকে চিঠি দিলেন। মন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে রীতিমতো উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Sukanta Majumdar)

    কৃষ্ণনগরে দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণ করে নৃশংসভাবে খুন করা হয়। পুলিশ ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে চাইছে বলে অভিযোগ। যদিও ইতিমধ্যে পুলিশের পক্ষ থেকে সিট গঠন করা হয়েছে। তবে, পুলিশি তদন্তের ওপর আস্থা নেই পরিবারের। ঘটনার সিবিআই তদন্ত দাবি করেছেন পরিবারের লোকজন। পুরুলিয়ার বরাবাজার এলাকায় নদীর ধার থেকে এক তরণীর দেহ উদ্ধার হয়। তার শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের আশঙ্কা, ওই তরুণীর ওপর নির্যাতন চালিয়ে তাঁকে খুন করা হয়েছে। পুলিশ দেহ ময়না তদন্তে পাঠিয়েছে। এই সব ঘটনা নিয়ে সরব হয়েছেন সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)।

    আরও পড়ুন: গণস্বাক্ষর অভিযানের পর এবার ন্যায় বিচার যাত্রার ডাক জুনিয়র ডাক্তারদের

    মন্ত্রীকে চিঠিতে কী লিখলেন সুকান্ত?

    পর পর নারী নির্যাতিনের ঘটনার নিয়ে এবার সরব হয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে তিনি (Sukanta Majumdar) লিখেছেন, “পশ্চিমবঙ্গের মহিলাদের সুরক্ষা একেবারে তলানিতে এসে ঠেকেছে। তাই এই ব্যাপারে প্রয়োজনীয় তদন্তের আবেদন জানাচ্ছি।” আরজি করের ঘটনার পর কুলতলির ঘটনা নিয়েও সরব হয়েছিলেন তিনি। কুলতলির নাবালিকাকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ সামনে আসার পরেই আন্দোলনে নিজে পথে নেমেছিলেন। এবার পুরুলিয়া এবং কৃষ্ণনগরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র প্রতিবাদ শুরু হয়েছে নানা মহলে। কৃষ্ণনগর ও পুরুলিয়ার ঘটনা উল্লেখ করে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে সুকান্তর অভিযোগ, “বাংলার মহিলাদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলার মহিলাদের নিরাপত্তা চাই।” এর আগে কুলতলির ঘটনা নিয়েও কেন্দ্রীয় নারী ও শিশু কল্যাণ দফতরের মন্ত্রী অন্নপূর্ণা দেবীকে চিঠি লিখেছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। আর এবার কৃষ্ণনগর এবং পুরুলিয়ার ঘটনার কথা উল্লেখ করে কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপের দাবিতে সরব সুকান্ত।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • ESI Hospital: ইএসআই হাসপাতালে আগুন, ধোঁয়ায় দমবন্ধ হয়ে মৃত্যু ১ রোগীর

    ESI Hospital: ইএসআই হাসপাতালে আগুন, ধোঁয়ায় দমবন্ধ হয়ে মৃত্যু ১ রোগীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিয়ালদা ইএসআই হাসপাতালে (ESI Hospital) ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটে। হাসপাতালের মেল সার্জিক্যাল বিভাগে শুক্রবার ভোরে আচমকাই আগুন লাগে (Hospital Fire)। প্রবল ধোঁয়ায় হাসপাতাল ঢেকে যায়, ফলে দমবন্ধ হয়ে আসে রোগীদের। আগুনে দমবন্ধ হয়ে এক রোগীর মৃত্যু হয়েছে বলে সূত্রের খবর। তাঁর নাম উত্তম বর্ধন। ক্যান্সারে আক্রান্ত আরও ২ জনকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় মানিকতলা ইএসআই হাসপাতালে (ESI Hospital) নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আগুন লাগার খবর পেয়ে দমকলের ১০টি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছয়।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Hospital Fire)

    পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্রের খবর, শুক্রবার ভোর ৫টা নাগাদ হাসপাতালের দোতলা থেকে কালো ধোঁয়া বেরিয়ে আসতে দেখা যায়। হাসপাতালের নিরাপত্তা রক্ষীরাই দমকলে খবর দেন। আচমকা দেখা যায়, হাসপাতালের একটা অংশ দাউ দাউ করে জ্বলছে (Hospital Fire)। এরপরই কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায় গোটা হাসপাতাল। আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে রোগী ও তাঁদের পরিজনদের মধ্যে। জানা গিয়েছে, ঘটনার সময় হাসপাতালে (ESI Hospital) চিকিৎসাধীন ছিলেন ৮০ জন রোগী। পুলিশ ও দমকলের কর্মীরা স্বাস্থ্যকর্মীদের সাহায্যে পুরুষ সার্জিক্যাল বিভাগে ভর্তি থাকা রোগীদের দ্রুত বাইরে বের করে আনেন। রোগীদের অবস্থা এখন স্থিতিশীল বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর। খবর পেয়ে দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু ও দমকলের উচ্চ পদস্থ কর্তারা হাসপাতালে পৌঁছন। পৌনে আটটা নাগাদ আগুন আয়ত্তে আসে। তাঁদের দ্রুত সরানোর ব্যবস্থা হয় বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী। ধোঁয়ায় একজন রোগীর অবস্থা আশঙ্কাজনক হয়ে পড়ে (Hospital Fire)। দমবন্ধ হয়ে যাওয়ায় তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। তাঁকে ইএসআই হাসপাতালের (ESI Hospital) ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে স্থানান্তরিত করা হয়। পরে, হাসপাতালের তরফ থেকে জানানো হয় মৃত্যু হয়েছে ওই রোগীর। উত্তম বর্ধন নামে ওই রোগী ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিলেন। হাসপাতালে প্রচণ্ড ধোঁয়ায় শ্বাসকষ্ট শুরু হয় তাঁর। তিনি ক্যান্সারের সঙ্গে শ্বাসকষ্ট ভুগছিলেন বলে জানিয়েছেন হাসপাতালে সুপার। 

    আরও পড়ুন: ফোর লেন হচ্ছে ধূপগুড়ি-ফালাকাটা জাতীয় সড়ক, ১৬০৬ কোটি বরাদ্দ কেন্দ্রের

    দমকল দফতরের কী বক্তব্য?

    দমকল দফতরের এক আধিকারিক বলেন, প্রাথমিক তদন্তে মনে হচ্ছে, বিদ্যুৎ সংযোগ থেকেই আগুন (Hospital Fire) লেগেছে। হাসপাতালের এইচডিইউ বিভাগে আগুন লাগে এদিন ভোরে। সেখান থেকেই অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত। একাধিক বিভাগে ছড়িয়ে পড়ে আগুন। আতঙ্কিত হয়ে পড়েন হাসপাতালের কর্মীরাও। পরিস্থিতি কত দ্রুত স্বাভাবিক করা যায়, সেদিকে নজর রয়েছে হাসপাতাল (ESI Hospital) কর্তৃপক্ষের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Junior Doctor: গণস্বাক্ষর অভিযানের পর এবার ন্যায় বিচার যাত্রার ডাক জুনিয়র ডাক্তারদের

    Junior Doctor: গণস্বাক্ষর অভিযানের পর এবার ন্যায় বিচার যাত্রার ডাক জুনিয়র ডাক্তারদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর কাণ্ডের (RG Kar) প্রতিবাদে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। এখনও চলছে জুনিয়র ডাক্তারদের (Junior Doctor) অনশন। তার মধ্যেই এবার নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। আমরণ অনশনকারীদের প্রতি সংহতি প্রকাশ করতে ও ন্যায় বিচারের দাবিতে বৃহস্পতিবার পদযাত্রার ঘোষণা করল ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্ট।

    ন্যায় বিচার যাত্রার আয়োজন (Junior Doctor)

    আগামী শনিবার সোদপুর থেকে ধর্মতলার অনশনমঞ্চ পর্যন্ত ন্যায় বিচার যাত্রার আয়োজন করা হয়েছে। জুনিয়র ডাক্তারদের (Junior Doctor) তরফে বলা হয়েছে, অনশনকারীদের প্রতি সংহতি জানিয়ে সোদপুর থেকে ধর্মতলার অনশনমঞ্চ পর্যন্ত ন্যায় বিচার যাত্রার আয়োজন করা হয়েছে। তার সঙ্গে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ওই একই সময়ে ন্যায় বিচার যাত্রাও করা হবে বলে জানিয়েছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। অন্যদিকে, এদিন স্বাস্থ্য ভবনের কাজের খতিয়ান তুলে ধরেন জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্ট। তাদের দাবি, সুপ্রিম কোর্টে মিথ্যাচার করছে রাজ্য সরকার। যে কাজের খতিয়ান স্বাস্থ্যভবনের তরফে সুপ্রিম কোর্টে দেওয়া হয়েছে, তার কোনওটাই সম্পূর্ণ হয়নি। নিজেদের দাবির সমর্থনে একাধিক ছবিও দেখিয়েছেন জুনিয়র ডাক্তাররা।

    আরও পড়ুন: ফোর লেন হচ্ছে ধূপগুড়ি-ফালাকাটা জাতীয় সড়ক, ১৬০৬ কোটি বরাদ্দ কেন্দ্রের

    স্বাস্থ্য সচিব মিথ্যাচার করছেন

    জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্টের তরফে সত্যজিৎ সরকার (Junior Doctor) বলেন, ‘‘দুপুর দু’টোর সময় আমরা ছবি তুলেছি। কোথায় কী কাজ রয়েছে, তা স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে। কেন এই মিথ্যাচার? মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের ছাত্রছাত্রীরা যে রিপোর্ট অধ্যক্ষের কাছে জমা দিয়েছিলেন, সেখানে ৮৩৯টি সিসিটিভির প্রয়োজন আছে। কিন্তু স্বাস্থ্য ভবন অনুমতি দিয়েছে ৩৬০টি সিসিটিভির। এর মধ্যে কর্তৃপক্ষ বলছে এখনও বসানো হয়েছে ৩৩১টি। আমাদের কাছে প্রমাণ আছে। বহু জায়গায় সিসিটিভি বসানো এখনও বাকি। স্বাস্থ্যসচিব মিথ্যাচার করছেন। ভুল ব্যাখ্যা করা হয়েছে সুপ্রিম কোর্টের কাছে। এর সঙ্গে আমরা জানতে পারছি, এই সিসিটিভি বসানো হয়েছে মাত্র ৪৫ দিনের জন্য।’’

    নারী সুরক্ষা উপেক্ষিত

    জুনিয়র ডাক্তাররা (Junior Doctor) বলেন, ‘‘বাংলার বিভিন্ন যাত্রায় নারী সুরক্ষার বিষয়টি উপেক্ষিত। বাংলার বিভিন্ন জায়গায় একই দিনে সমস্ত নাগরিক মঞ্চের তরফ থেকে ন্যায় বিচার যাত্রার আয়োজন করুন। প্রথম দিন থেকে যেভাবে প্রতিবাদে রয়েছেন সেটা চালিয়ে যান। যে মানবিক সরকারের কথা বলা হত সেই সরকারের যে অমানবিক মুখ দেখতে পাচ্ছি তাতে আমরা ক্ষুব্ধ ও হতাশ।’’ সেই সঙ্গেই জুনিয়র ডাক্তাররা জানিয়েছেন গণস্বাক্ষর অভিযান যেমন চলছে তেমনি চলবে। রাজ্যের জেলায় জেলায় এই কর্মসূচি পালন করা হবে। অনশনে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন তাঁরা। অনিকেত হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলেও শারীরিকভাবে এখনও যথেষ্ট দুর্বল। ৬ দিন পর হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলেন। অনিকেত মাহাতোর চিকিৎসার দায়িত্বে থাকা ডাঃ সোমা মুখোপাধ্যায় জানান, নির্দিষ্ট সময় পর অনিকেতর প্রেসার মাপতে হবে। খেতে হবে প্রচুর পরিমাণ জল। আর আপাতত তিনি এখন অনশনে যোগ দিতে পারবেন না। আপাতত অনশনে যাচ্ছেন না অনিকেত। তবে লড়াইয়ের মঞ্চ ছাড়ছেন না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Indian Railways: ভ্রমণপ্রিয়দের জন্য খুশির খবর, ৬০ দিন আগেই মিলবে দূরপাল্লার ট্রেনের টিকিট

    Indian Railways: ভ্রমণপ্রিয়দের জন্য খুশির খবর, ৬০ দিন আগেই মিলবে দূরপাল্লার ট্রেনের টিকিট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উৎসবের মরশুমে বড়সড় পরিবর্তন আনল রেল। ট্রেনে আসন সংরক্ষণের জন্য নির্দিষ্ট সময় কমিয়ে দেওয়া হল। আর চারমাস নয়। এবার দূরপাল্লার ট্রেনে টিকিট বুকিং করা যাবে দু-মাস আগে। বুধবারই এই সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেল (Indian Railways) বোর্ড ও রেল মন্ত্রক। নতুন নিয়মে ১২০ দিনের পরিবর্তে ৬০ দিন আগে টিকিট কাটার ব্যবস্থা হলে অনেকেরই সুবিধা হবে বলেই মনে করছে রেল।

    নতুন নিয়মে কী রয়েছে? (Indian Railways)

    এখনও পর্যন্ত যে নিয়ম রয়েছে তাতে ট্রেন ছাড়ার দিনটি বাদ দিয়ে ১২০ দিন আগে কোনও ট্রেনের টিকিট (Ticket) সংরক্ষণ শুরু হয়। এর ফলে অনেক আগে থেকে ভ্রমণের পরিকল্পনা করে ফেলতে হয়। এ বার সেই অগ্রিম পরিকল্পনার মেয়াদ কমানোর সুবিধা করে দিচ্ছে রেল। এখন যদি কেউ ফেব্রুয়ারি মাসের টিকিট বিক্রি শুরুর দিনেই কাটতে চান, তবে যে দিন ট্রেন ছাড়বে সে দিন থেকে ১২০ দিন আগে কেটে নিতে হবে। কিন্তু সেই নিয়ম বদলে যাবে ১ নভেম্বর। বৃহস্পতিবার রেলের (Indian Railways) তরফে প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ১২০ দিন আগে টিকিট বুকিংয়ের যে নিয়ম লাগু ছিল পয়লা নভেম্বর থেকে তাতে পরিবর্তন আনা হচ্ছে। ১ নভেম্বর থেকে বেড়াতে যাওয়ার দু-মাস আগে দূরযাত্রার জন্য টিকিট কাটা যাবে। তবে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত আগের নিয়মে অর্থাৎ ১২০ দিন আগেই সংরক্ষিত আসনের জন্য টিকিট কাটা যাবে। রেলের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, টিকিট ক্যানসেল করার ক্ষেত্রেও এই ৬০ দিনের সময়সীমাই মানতে হবে। তবে তাজ এক্সপ্রেস, গোমতী এক্সপ্রেস-এই দুটি ট্রেনে আসন সংরক্ষণের জন্য মানতে হবে ১২০ দিনের সময়সীমাই। একই ভাবে বিদেশি নাগরিকেরা এখনকার মতো ৩৬৫ দিন আগেই কোনও ট্রেনের টিকিট কেটে রাখতে পারবেন।

    আরও পড়ুন: কৃষ্ণনগরে তরুণীকে ধর্ষণ করে খুন! সিবিআই তদন্তের দাবিতে হাইকোর্টে নির্যাতিতার মা

    খুশি ভ্রমণপ্রিয় মানুষ

    রেলের (Indian Railways) এমন সিদ্ধান্তে খুশি ভ্রমণপ্রিয় মানুষজন। তাঁদের বক্তব্য, অনেক সময়ই চারমাস আগে ভ্রমণের পরিকল্পনা করা যায় না। কিন্তু শুধুমাত্র টিকিট কাটার জন্য তা করতে বাধ্য হতেন। কারণ, চারমাস সময়ের মধ্যে ভালো-মন্দ অনেক কিছু হতে পারে। অনেক সুবিধা-অসুবিধা হতে পারে। এখন টিকিট কাটার সময় কমে দু-মাস হওয়ায় এই সমস্যা অনেকটাই মিটবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Junior Doctor: সাদা কাগজে অনশন মঞ্চে জুনিয়র ডাক্তারদের সই সংগ্রহ শুরু, নিমেষে পাতা ভর্তি

    Junior Doctor: সাদা কাগজে অনশন মঞ্চে জুনিয়র ডাক্তারদের সই সংগ্রহ শুরু, নিমেষে পাতা ভর্তি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার গণস্বাক্ষর সংগ্রহ অভিযানে নামলেন জুনিয়র ডাক্তাররা (Junior Doctor)। লক্ষ্মীবারে, লক্ষ্মীপুজোর দিন এই কর্মসূচি শুরু হল। অনশন মঞ্চেই এই কর্মসূচিতে এগিয়ে এলেন বহু মানুষ। নতুন এই কর্মসূচি থেকে আরও বেশি মানুষের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনের চেষ্টা? এদিন মঞ্চের সামনে থেকেই শুরু হয় গণস্বাক্ষর অভিযান। সকাল থেকেই বহু সাধারণ মানুষ, সিনিয়র চিকিৎসকরা অনশন মঞ্চে এসে উপস্থিত হন। সাদা কাগজে সেই সই সংগ্রহ শুরু হয়। নিমেষে পাতা ভর্তি হতে থাকে। এই সই সংগ্রহ অভিযান এখন চলবে।

    গণস্বাক্ষর অভিযানের ডাক (Junior Doctor)

    জুনিয়র ডাক্তারদের (Junior Doctor) সূত্রে জানা গিয়েছে, এই ‘গণস্বাক্ষর সংগ্রহ’ কর্মসূচি ইতিমধ্যেই জেলায় জেলায় শুরু হয়ে গিয়েছে। এবার তা শুরু হতে চলেছে কলকাতা থেকেও। ধর্মতলার অনশনমঞ্চ (Hunger Strike) থেকে তো বটেই বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজ থেকেও জুনিয়র ডাক্তারেরা গণস্বাক্ষর সংগ্রহে বেরোবেন বলে জানা গিয়েছে। স্থির হয়েছে ধর্মতলার অনশনমঞ্চ থেকে জুনিয়র ডাক্তারদের নিয়ে চারটে গাড়ি চার প্রান্তে যাবে। উল্টোডাঙা, সোদপুর, গড়িয়াহাট এবং শ্যামবাজারে গিয়ে গণস্বাক্ষর সংগ্রহ করবেন আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তাররা। জানা গিয়েছে, একাধিক জায়গায় মিছিল করে জুনিয়র চিকিৎসকরা যাবেন। ধর্মতলা থেকে চারদিকে যাবে এই মিছিল। ধর্মতলা থেকে শ্যামবাজার হয়ে সোদপুর যাবে। ধর্মতলা থেকে বিধাননগর যাবে। ধর্মতলা থেকে গড়িয়াহাট যাবে। সাধারণ মানুষের সই সংগ্রহ করা হবে।

    আরও পড়ুন: হাসিনার পরিবারের সঙ্গে যুক্ত আটটি জাতীয় দিবস বাতিল হচ্ছে বাংলাদেশে

    কী বললেন উদ্যোক্তারা?

    বুধবারই ক্যালকাটা মেডিক্যাল কলেজে বৈঠকে বসেছিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। মধ্যরাতের সেই বৈঠকে ‘গণস্বাক্ষর সংগ্রহ’ কর্মসূচির বিষয়টি চূড়ান্ত হয়। নিজেদের দাবির বিষয়ে সাধারণ মানুষকে (Junior Doctor) অবহিত করতেই এই সিদ্ধান্ত বলে প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে। আন্দোলনকারীদের তরফে জানানো হয়েছে, ধর্মতলার চার প্রান্তের চারটি জায়গায় ১০ দফা দাবির বিষয়ে নিজেদের মতামত জানিয়ে স্বাক্ষর করতে পারবেন সাধারণ মানুষ। প্রাথমিক ভাবে এই কর্মসূচির মাধ্যমে সাধারণ মানুষের সঙ্গে যোগসূত্র তৈরি করতে চাইছেন আন্দোলনকারীরা। আরিফ আহমেদ লস্কর নামে এক আন্দোলনকারীর কথায়, “অনেক সাধারণ মানুষ ধর্মতলায় এলেও সরাসরি প্রতিবাদী বা অনশনকারীদের সঙ্গে কথা বলতে পারছেন না। কিন্তু আমরা তাঁদের কথা শুনতে চাই। তাই সাধারণ মানুষ যাঁরা আসছেন, তাঁরা তাঁদের মতামত আমাদের জানিয়ে স্বাক্ষর করতে পারবেন।”

    কতদিন চলবে এই কর্মসূচি?

    শুধুমাত্র বৃহস্পতিবারের এই ‘গণস্বাক্ষর সংগ্রহ’ কর্মসূচিই (Junior Doctor) নয়, প্রতি দিনই বৈঠক করে নতুন কর্মসূচি গ্রহণের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে। অন্যদিকে, সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি পোস্টারে দেখা যাচ্ছে, আগামী ১৯ অক্টোবর পর্যন্ত এই কর্মসূচি চলবে বলে জানানো হয়েছে। যদিও এই পোস্টারে কোথাও উদ্যোক্তাদের নাম উল্লেখ করা নেই। ১০ দফা দাবি নিয়ে ধর্মতলায় ‘আমরণ অনশন’ চালাচ্ছেন সাত জন জুনিয়র ডাক্তার। বৃহস্পতিবার তাঁদের অনশনের ত্রয়োদশতম দিন। এর পাশাপাশি উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজেও ‘আমরণ অনশন’ চালাচ্ছেন এক জুনিয়র ডাক্তার। শিলিগুড়ির অনশনমঞ্চের একাদশতম দিন। অনশনে থাকতে থাকতে সকলেই কমবেশি দুর্বল হয়ে পড়েছেন। রুমেলিকা কুমার এবং স্পন্দন চৌধুরী মঙ্গলবারই ধর্মতলার অনশনমঞ্চে যোগ দিয়েছেন। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Nadia: কৃষ্ণনগরে তরুণীকে ধর্ষণ করে খুন! সিবিআই তদন্তের দাবিতে হাইকোর্টে নির্যাতিতার মা

    Nadia: কৃষ্ণনগরে তরুণীকে ধর্ষণ করে খুন! সিবিআই তদন্তের দাবিতে হাইকোর্টে নির্যাতিতার মা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করকাণ্ডের আবহে নদিয়ার (Nadia) কৃষ্ণনগরে পুজো মণ্ডপের কাছে দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রীর অর্ধদগ্ধ দেহ উদ্ধার হয়। পরিবারের অভিযোগ, তাঁকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনা ধামাচাপা দিতে চাইছে। তাই, রাজ্য পুলিশের ওপর আস্থা রাখতে পারছেন না কৃষ্ণনগরের ‘নির্যাতিতা’ তরুণীর মা। তিনি চান সিবিআই মেয়ের মৃত্যুর তদন্ত করুক। আর্জি জানাতে বৃহস্পতিবারই কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হওয়ার কথা জানিয়েছেন তিনি। 

    ঠিক কী ঘটেছিল? (Nadia)

    বুধবার সকালে কৃষ্ণনগরে (Nadia) এক তরুণীর দেহ উদ্ধার হয়। স্থানীয়েরাই দেহটি রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেন। পরিবারের অভিযোগ, দ্বাদশ শ্রেণির ওই ছাত্রীকে ধর্ষণের পর খুন করা হয়েছে। আঙুল ওঠে তরুণীর প্রেমিকের দিকে। প্রাথমিক তদন্তে নেমে তাঁকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, মেয়েটির সঙ্গে বেশ কয়েক মাস ধরে সম্পর্ক ছিল অভিযুক্ত যুবকের। ওই যুবক ভিনরাজ্যে একটি হোটেলে কর্মরত ছিলেন। দুই পরিবারের সম্মতিতে তাঁদের বিয়ে হবে বলেও স্থির হয়। ওই যুবকের বাড়িতে মাঝে মধ্যেই যেতেন ওই তরুণী। তার পরেও এমন ঘটনা কেন, সেটাই ভাবাচ্ছে তদন্তকারীদের। প্রায় ২৪ ঘণ্টা কাটলেও কৃষ্ণনগরে তরুণীর দগ্ধ দেহ উদ্ধারের ঘটনায় অনেক ধোঁয়াশাই কাটছে না।

    আরও পড়ুন: হাসিনার পরিবারের সঙ্গে যুক্ত আটটি জাতীয় দিবস বাতিল হচ্ছে বাংলাদেশে

    ময়না তদন্তের রিপোর্ট কী বলছে?

    পরিবারের দাবি মেনে বৃহস্পতিবার কল্যাণীর (Nadia) জওহরলাল নেহরু হাসপাতালে বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে ‘নির্যাতিতার’ দেহের ময়নাতদন্ত হয়। যদিও, ময়না তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে ধর্ষণের প্রমাণ মেলেনি বলে জানা গিয়েছে। বিশেষজ্ঞরা এটাও মনে করছেন, অ্যাসিডে নয়, তরুণীকে জীবন্ত পুড়িয়ে খুন করা হতে পারে। কিছু নমুনা পরীক্ষার জন্য় বাইরে পাঠানো হচ্ছে। 

    পুলিশে আস্থা নেই, সিবিআই তদন্তের দাবি

    তার আগে মৃতার মা বলেন, ‘‘বুধবার সকাল থেকে রাত্রি পর্যন্ত যে ঘটনাপ্রবাহ দেখেছি, তার পরে আর পুলিশের ওপরে আস্থা রাখতে পারছি না। পুলিশ এক জনকে গ্রেফতার করেছে। কিন্তু এটা এক জনের কাজ হতে পারে না। বাকিদের ব্যাপারে পুলিশের কোন উৎসাহ নেই কেন?’’ তাঁর অভিযোগ, ’’পুলিশ একাধিক কাগজে সই করার জন্য চাপ দিয়েছে। এমনকী কাগজ না পড়িয়েই সই করানোর চেষ্টা করে। তাই, পুলিশের ওপর আমাদের আস্থা নেই। নিরপেক্ষ তদন্ত এবং যথোপযুক্ত সাজার জন্য মেয়ের খুনের তদন্ত করুক সিবিআই (CBI)। আইনজীবীর মাধ্যমে কলকাতা হাইকোর্টে আবেদন জানাব। প্রয়োজনে বাড়ি বিক্রি করে এই লড়াই চালাব।’’

    পুলিশ প্রশাসনের কী বক্তব্য?

    কৃষ্ণনগরের (Nadia) তরুণীকে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় এদিন দুপুরে ঘটনাস্থলে পরিদর্শনে যান এডিজি সিআইডি সোমা দাস এবং সুপ্রতিম সরকার এডিজি (দক্ষিণবঙ্গ)। পাশাপাশি সঙ্গে ছিলেন জেলা পুলিশ সুপার কে অমরনাথ এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিত কুমার সহ জেলার অন্যান্য আধিকারিকরা। কৃষ্ণনগরকাণ্ডে সিট (বিশেষ তদন্তকারী দল) গঠন করেছে রাজ্য পুলিশ। ওই ঘটনার তদন্তে সিআইডি (রাজ্য গোয়েন্দা বিভাগ)-র সাহায্যও নেওয়া হচ্ছে বলে বৃহস্পতিবার জানালেন এডিজি (দক্ষিণবঙ্গ) সুপ্রতিম সরকার। তিনি বলেন, কৃষ্ণগর জেলা পুলিশ সর্বস্তরে মৃত যুবতীর পরিবারের সঙ্গে রয়েছে। ইতিমধ্যেই তদন্ত দ্রুত গতিতে চলছে। অভিযুক্ত রাহুল বোসকে আমরা জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছি এবং অনেক জিজ্ঞাসাবাদ বাকি রয়েছে। সেই কারণে আমরা অভিযুক্তকে সাত দিনের পুলিশ হেফাজতে নিয়েছি। তাকে আরও জিজ্ঞাসাবাদ চালানো হবে। পাশাপাশি, যুবতীর পরিবারের যে দাবি ছিল সেই অনুযায়ী ময়নাতদন্ত প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করার কাজ চলছে।

    হত্যার নেপথ্যে কী কারণ?

    ইতিমধ্যেই পুলিশ তদন্ত নেমে বিভিন্ন সিসিটিভি ফুটেজ এবং মোবাইল নেটওয়ার্ক লোকেশন ট্র্যাক করে খুনের কিনারা করার চেষ্টা চালাচ্ছে। সূত্রের খবর, ঘটনার একদিন আগে একটি বাইকের শোরুমে যায় অভিযুক্ত ও নির্যাতিতা। নির্যাতিতা বাইক কেনার কিছু টাকা বাড়ি থেকে জোগাড় করে দেবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু সেই কথা রাখতে না পারা নিয়ে তীব্র গোলমাল হয় বলে দু’জনের মধ্যে।

    অন্য একটি সূত্রের খবর, ওই তরুণী তাঁর প্রেমিকের কাছ থেকে ৪০ হাজার টাকা ধার নিয়েছিলেন। তরুণীর প্রেমিক হোটেলে কাজ পেয়ে বেঙ্গালুরুতে চলে যান। বাড়িতে না জানিয়ে দিন পনেরোর জন্য তরুণী প্রেমিকের কাছেও চলে গিয়েছিলেন। সে সময়ে তাঁর পরিবারের তরফে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়।

    সম্পর্কে টানাপোড়েন নাকি টাকা পয়সা নিয়ে বিবাদের জেরে খুন, সবদিক খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Weather Update: কালীপুজোতে হিমেল আমেজ! পূর্বাভাস, শনিবার থেকেই আবহাওয়ায় বদল

    Weather Update: কালীপুজোতে হিমেল আমেজ! পূর্বাভাস, শনিবার থেকেই আবহাওয়ায় বদল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী ২৪ ঘণ্টা দক্ষিণবঙ্গের প্রতিটি জেলায় হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস দিল আলিপুর আবহাওয়া দফতর। যদিও, কোনও জেলায় ভারী বৃষ্টি হবে না। জানা গিয়েছে, কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ এবং নদিয়ার কিছু অংশে বৃষ্টি হবে এই সময়। উত্তরবঙ্গে ওপরের দিকের পাঁচ জেলাতে হালকা মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা। তবে পূর্বাভাস, শনিবার থেকেই ধীরে ধীরে উন্নতি হবে আবহাওয়ার। মাঝ অক্টোবরে আবহাওয়ার (Weather Update) কিছুটা বদলও হবে। ক্রমশঃ শুষ্ক হবে বাতাস। মূল শীত আসতে ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহ। 

    কালীপুজোয় আবহাওয়া কেমন থাকবে? (Weather Update)

    আলিপুর আবহাওয়া দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, শনিবার থেকে আবহাওয়ার পরিবর্তন হতে পারে। বৃষ্টির সম্ভাবনা কমে যাবে। রবিবার থেকে শুষ্ক আবহাওয়ার সম্ভাবনা গোটা দক্ষিণবঙ্গে। কালীপুজো (Kali Puja) এবং দীপাবলির সময় শুষ্ক এবং হিমেল হওয়া। অত্যন্ত মনোরম পরিবেশে কালীপুজো এবং দীপাবলি উদযাপনের পূর্বাভাস।

    নিম্নচাপের জেরে শুক্র পর্যন্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা

    এই মুহূর্তে, দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতে স্থানীয়ভাবে দু-এক পশলা হালকা মাঝারি বৃষ্টির সামান্য সম্ভাবনা রয়েছে। প্রধানত আংশিক মেঘলা আকাশ। মাঝে মাঝে সম্পূর্ণ মেঘলা আকাশ এবং বজ্র বিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি। মৌসম ভবনের (Weather Update) তরফে পূর্বাভাস সুস্পষ্ট নিম্নচাপ দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে গভীর নিম্নচাপ পরিণত হয়েছে। আরো শক্তি বাড়িয়ে এর অভিমুখ পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম দিকে তামিলনাড়ু এবং পন্ডিচেরি উপকূল। চেন্নাইয়ের কাছাকাছি শুক্রবার সুস্পষ্ট নিম্নচাপ দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে গভীর নিম্নচাপ পরিণত হয়েছে (Weather Update)। আরো শক্তি বাড়িয়ে এর অভিমুখ পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম দিকে তামিলনাড়ু এবং পুদুচেরি উপকূল। চেন্নাইয়ের কাছাকাছি শুক্রবার সকালে এটি স্থলভাগে প্রবেশ করবে। উত্তর বাংলাদেশে রয়েছে একটি ঘূর্ণাবর্ত। অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূলের পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগর এবং দক্ষিণ আসামে রয়েছে আরও ঘূর্ণাবর্ত।

    আরও পড়ুন: লক্ষ্মী প্রতিমা ভাঙচুরে অভিযুক্ত জেহাদিরা! ‘ডায়মন্ড হারবার মডেল’কে খোঁচা শুভেন্দুর

    উত্তরবঙ্গের কী অবস্থা?

    উত্তরবঙ্গের (Weather Update) দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, জলপাইগুড়ি-এই পাঁচ জেলাতেই এদিন হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস। কালও দার্জিলিং, কালিম্পং এবং আলিপুরদুয়ার এর পার্বত্য জেলায় হালকা বৃষ্টির সামান্য সম্ভাবনা। আপাতত ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ ক্রমশ কমবে। উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর এবং মালদাতে আবহাওয়ার পরিবর্তন। শুষ্ক আবহাওয়ার শুরু। ধীরে ধীরে কোচবিহার আলিপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়ি জেলাতেও শুষ্ক আবহাওয়া।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: লক্ষ্মী প্রতিমা ভাঙচুরে অভিযুক্ত জেহাদিরা! ‘ডায়মন্ড হারবার মডেল’কে খোঁচা শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: লক্ষ্মী প্রতিমা ভাঙচুরে অভিযুক্ত জেহাদিরা! ‘ডায়মন্ড হারবার মডেল’কে খোঁচা শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশে হিন্দুদের মূর্তি ভাঙার ঘটনা নতুন নয়। কিন্তু, পশ্চিম বাংলায় এখন সেই কালচাল চলে এসেছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডায়মন্ডহারবারে লক্ষ্মীপুজো মণ্ডপে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। হুগলির চন্দননগরে লক্ষ্মীমূর্তি (Lakshmi Puja) বিকৃত করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। আর এই ঘটনা নিয়ে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।

    লক্ষ্মীপুজোয় ‘ডায়মন্ড হারবার মডেল’ (Suvendu Adhikari)

    দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডায়মন্ড হারবারের বজবজ বিধানসভার একটি দুর্গাপুজো কমিটির মা লক্ষ্মীর ওপর হামলা চালানোর ঘটনা ঘটে। এই প্রসঙ্গে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, “মা লক্ষ্মী প্রতিমা জেহাদিদের দ্বারা আক্রান্ত হল। বাংলাদেশের মতো একই পদ্ধতিতে এখন পশ্চিমবঙ্গে হিন্দুদের ধর্মাচরণে বাধা দেওয়া হচ্ছে। রাজ্য পুলিশ নির্বিকার।” সেইসঙ্গে নাম না করে তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কেও খোঁচা দিয়েছেন শুভেন্দু। কারণ, যে এলাকায় সেই ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি করেছেন শুভেন্দু, তা অভিষেকের লোকসভা কেন্দ্র ডায়মন্ড হারবারের মধ্যে পড়ে। আর সেজন্য কটাক্ষ করে ‘লক্ষ্মীপুজোয় ডায়মন্ড হারবার মডেল’ বলে আক্রমণ শানিয়েছেন শুভেন্দু। যদিও বিষয়টি নিয়ে পুলিশের তরফে কোনও মন্তব্য করা হয়নি। পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার বিরোধী দলনেতা যে অভিযোগ করেছেন, সেটার প্রেক্ষিতেও আলাদাভাবে কিছু বলেনি পুলিশ। শুভেন্দু অবশ্য পুলিশকেও আক্রমণ শানিয়েছেন। দাবি করেছেন যে হাত গুটিয়ে বসে আছে পুলিশ। একটি ভিডিও পোস্ট করে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার বিরোধী দলনেতা বলেন, “কয়েক বছর আগে এই একই জায়গায় দুর্গাপুজোয় মা দুর্গার মূর্তি ভাঙচুর করা হয়েছিল। সেই ঘটনায় আজ পর্যন্ত প্রশাসন কারও বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়নি। কেউ গ্রেফতার হয়নি।

     

    মমতাকে আক্রমণ

    ”হিন্দুদের ‘জাগ্রত’ হওয়ার পরামর্শ দিয়ে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার বিরোধী দলনেতা। তিনি (Suvendu Adhikari) বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের তোষণের রাজনীতির জন্য হিন্দুদের ওপরে ক্রমাগত ঘটে চলা এই অন্যায় অত্যাচারের প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। হিন্দুদের বলব যে এবার জাগ্রত হন, নাহলে এরপর নিজের ঘরেও পুজো-অর্চনা করতে পারবেন না।” উল্লেখ্য, দুর্গাপুজোর সময় শুভেন্দু অভিযোগ তুলেছিলেন যে কলকাতার গার্ডেনরিচ এলাকায় একটি পুজো মণ্ডপে অশান্তি পাকানো হয়েছে। পোস্ট করে তিনি দাবি করেছিলেন যে মণ্ডপের মধ্যে একদল লোক ঢুকে পড়েছিলেন। পুজো বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দিতে থাকেন তাঁরা।

    চন্দননগরেও লক্ষ্মীর মূর্তি ভাঙচুর, প্রতিবাদ বিজেপির

    এক দিন আগেই, চন্দননগরেও মা লক্ষ্মীর মূর্তি ভাঙচুরে কড়া প্রতিবাদ জানায় পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য বিজেপি। বুধবার তারা এক্সবার্তায় লেখে, “সোমবার গভীর রাতে, হুগলির চন্দননগরের ডুপ্লেক্সপট্টি কুমোর পাড়ায় কিছু “ভোট-ব্যাঙ্ক” গুণ্ডা মা লক্ষ্মীর মূর্তি ভাঙচুর করে। রেকর্ড সময়ের মধ্যে, শিল্পী শিবু পাল কোজাগরী লক্ষ্মী পূর্ণিমার ভোরে প্রতিমাটি পুনর্নির্মাণ করেন। কিন্তু বাংলা আর কতকাল এমন যন্ত্রণা সহ্য করবে? চোপড়ার টিএমসি বিধায়ক মহিলাদের চাবুক মারার ন্যায্যতা দেওয়ার জন্য ইসলামিক নীতির আহ্বান থেকে শুরু করে, কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমের সবাইকে ইসলামে ধর্মান্তরিত করার আহ্বান এবং কৃষ্ণনগর, শ্যামপুর, বাউরিয়া এবং মেটিয়াবুরুজে দুর্গাপূজা উদযাপনের ওপর সাম্প্রতিক হামলা, মনে হয় যেন বাঙালিরা তাদের অধীনে বাস করছে। ধর্মীয় মৌলবাদের কবল।”

    Late Monday night, some “vote-bank” hooligans vandalized the idols of Maa Laxmi in Duplexpatti Kumor Para, Chandannagar, Hooghly. In record time, artist Shibu Pal rebuilt the idol by early morning today on Kojagori Laxmi Purnima. But how much longer can Bengal endure such pain?… pic.twitter.com/XlsD9aorHY

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Junior Doctor: ধর্মতলায় অনশনে যোগ দিলেন আরও দুই জুনিয়র ডাক্তার, আরও জোরদার আন্দোলন

    Junior Doctor: ধর্মতলায় অনশনে যোগ দিলেন আরও দুই জুনিয়র ডাক্তার, আরও জোরদার আন্দোলন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১০ দফা দাবিতে ধর্মতলায় আমরণ অনশন শুরু করেন কলকাতার বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজের ছ’জন জুনিয়র ডাক্তার (Junior Doctor)। পুজোর মধ্যেও তাঁরা জোরদার আন্দোলন চালিয়ে গিয়েছেন। এবার পুজো মিটতেই ধর্মতলায় জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনের ঝাঁজ ক্রমশ বাড়ছে। মঙ্গলবার তাঁদের অনশনমঞ্চে যোগ দিলেন আরও দুই জন।

    আন্দোলন আরও তীব্র হবে (Junior Doctor)

    জানা গিয়েছে, ৫ অক্টোবর রাত সাড়ে ৮টা থেকে ধর্মতলায় আমরণ অনশন (Hunger Strike) শুরু করেন কলকাতার বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজের ছ’জন জুনিয়র ডাক্তার। স্নিগ্ধা ছাড়াও সেই তালিকায় রয়েছেন তনয়া পাঁজা, সায়ন্তনী ঘোষ হাজরা, অনুষ্টুপ মুখোপাধ্যায়, অর্ণব মুখোপাধ্যায় এবং পুলস্ত্য আচার্য। রবিবার অনশনে যোগ দিয়েছিলেন আরজি করের জুনিয়র চিকিৎসক (Junior Doctor) অনিকেত মাহাতও। তবে শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় অনিকেত, অনুষ্টুপ, পুলস্ত্য এবং তনয়াকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। আরজি কর, নীলরতন সরকার এবং কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসা চলছে তাঁদের। ঘটনাচক্রে, অনশনকারীদের মধ্যে আরজি করের কেউ রইলেন না। গত ১১ অক্টোবর রাতে ধর্মতলার অনশনমঞ্চে আরও দুই জন যোগ দিয়েছিলেন। তাঁরা হলেন পরিচয় পণ্ডা এবং আলোলিকা ঘোড়ুই। আর মঙ্গলবার সেই তালিকা আরও বাড়ল। যে নতুন দু’জন অনশনে যোগ দিলেন তাঁরা হলেন স্পন্দন চৌধুরী এবং রুমেলিকা কুমার। রুমেলিকা অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ হাইজিনের জুনিয়র ডাক্তার। স্পন্দন মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের জুনিয়র ডাক্তার। অনশনে যোগ দিয়ে তিনি বলেন, “আজ আমাদের আন্দোলনের ৬৫-৬৬ দিন হয়েছে। দাদা-দিদিরা অনশন করছেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী, পুলিশমন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রী-সহ সবাইকে বলছি আমাদের আন্দোলন চলবে।” রুমেলিকা বলেন, “আমাদের আন্দোলন আরও তীব্র হবে।”

    আরও পড়ুন: ‘‘এই পরিস্থিতির জন্য দায়ী মমতা’’, উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে হামলাকাণ্ডে প্রতিক্রিয়া বিজেপি সাংসদের

    ২২২ ঘণ্টা অনশনের পর অসুস্থ উত্তরবঙ্গের সৌভিক

    অনশনরত উত্তরবঙ্গ হাসপাতালের জুনিয়র ডাক্তার (Junior Doctor) সৌভিক বন্দ্যোপাধ্যায় গুরুতর অসুস্থ। তাঁকে ভর্তি করানো হল আইসিসিইউতে। প্রায় ২২২ ঘণ্টা অনশনের পর অসুস্থ হয়ে পড়লেন ওই জুনিয়র ডাক্তার। অনশনমঞ্চেই পেটে প্রচণ্ড যন্ত্রণা শুরু হয় সৌভিকের। তার পরই তাকে আইসিইউয়ে ভর্তি করানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। চিকিৎসকদের সূত্রে খবর, সৌভিকের রক্তচাপ এবং হৃৎস্পন্দন অনিয়ন্ত্রিত। জানা গিয়েছে, সৌভিকের শারীরিক অবস্থার অবনতি হয় গত ৬ অক্টোবর থেকে। সোমবার মেডিক্যাল টিম তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেছিল। তাতে জানা যায়, রক্তচাপ নামছে সৌভিকের। তার পরেও অনশন চালিয়ে যান তিনি। এর আগে অনশনরত অলোক বর্মাকে হাসপাতালে ভর্তি করাতে হয়েছে। অন্য দিকে, সোমবারই উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে অনির্দিষ্টকালের জন্য অনশনে বসেন আরও এক জুনিয়র চিকিৎসক, ইএনটি বিভাগের পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ট্রেনি (পিজিটি) সন্দীপ মণ্ডল।….

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Supreme Court: কোন প্রক্রিয়ায় সিভিক ভলান্টিয়ার নিয়োগ? রাজ্যের কাছে জবাব চাইল সুপ্রিম কোর্ট

    Supreme Court: কোন প্রক্রিয়ায় সিভিক ভলান্টিয়ার নিয়োগ? রাজ্যের কাছে জবাব চাইল সুপ্রিম কোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর কাণ্ডে শুরু থেকেই প্রশ্ন উঠেছে সঞ্জয় রায় নামে এক সিভিক ভলান্টিয়ারের ভূমিকা নিয়ে। মূল অভিযুক্ত হিসেবে তাকে গ্রেফতারও করে পুলিশ। এবার কোন পদ্ধতিতে সিভিক ভলেন্টিয়ারদের নিয়োগ করা হয়, তা জানতে চাইলেন সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) প্রধান বিচারপতি ওয়াই চন্দ্রচূড়।

    কী কী জানতে চাইল কোর্ট? (Supreme Court)

    আরজি করের নির্যাতিতাকে ধর্ষণ করে খুনের মতো বীভৎস কাজ একজন সিভিক যে একা করতে পারে, তা মানতে নারাজ অনেকেই। বারবার সুর চড়িয়েছেন ডাক্তাররা। প্রশ্ন তুলেছেন ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরাও। সন্দেহ দানা বেঁধেছে নাগরিক মহলের বড় অংশের মধ্যে। কিন্তু, কিছুদিন আগেই সদ্য জমা দেওয়া চার্জশিটে ধৃত সিভিককেই মূল অভিযুক্ত হিসেবে দেখিয়েছে সিবিআই। এরই মধ্যে এবার সিভিকদের নিয়ে কৌতূহলী হতে দেখা গেল দেশের শীর্ষ আদালতকে (Supreme Court)। রাজ্যে কত সংখ্যক সিভিক ভলান্টিয়ার আছে জানতে চান প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়। অভিযুক্তকেই বা কোন প্রক্রিয়ায় নিয়োগ করা হয়, জানতে চান তিনি। সিভিক ভলান্টিয়ার নিয়োগের আইনি অধিকার কার, সিভিক ভলান্টিয়ারের যোগ্যতা, কোন কোন প্রতিষ্ঠানে তাঁদের ডিউটি দেওয়া হয়, দৈনিক নাকি মাসিক টাকা পান তাঁরা, এর বাজেটই বা কোথা থেকে আসে ইত্যাদি নানান প্রশ্ন। কোন পদ্ধতিতে সিভিক ভলান্টিয়ারদের নিয়োগ করা হয়, সিভিক ভলান্টিয়ারদের নিয়োগকারী কে, কোন আইন বলে নিয়োগ করা হয়, মোট কত সিভিক ভলান্টিয়ার আছে, কোথায় কোথায় তাদের নিয়োগ করা হয়েছে, কীভাবে তাদের ভেরিফিকেশন করা হচ্ছে, সেই বিষয়ে হলফনামা দিয়ে জানাতে হবে রাজ্য সরকারকে। এদিনই এমনই নির্দেশ দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়।

    আরও পড়ুন: ‘‘যৌন হেনস্থার অভিযোগ নিতে চায় না মমতার পুলিশ’’, সরব শুভেন্দু

    সিভিকদের ডিউটিতে নিষেধাজ্ঞা!

    হাসপাতাল এবং স্কুলের মত সংবেদনশীল জায়গায় সিভিক ভলান্টিয়ার নিয়োগ করা যাবে না। এই নির্দেশও দিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত। এদিন আদালতে পঞ্চম স্টেটাস রিপোর্ট জমা দেন সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা। প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড় জানান, আর্থিক দুর্নীতি মামলায় বেশ কয়েকটি বিষয়কে গুরুত্ব দিয়ে উল্লেখ করেছে সিবিআই। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা নিয়মিত নির্যাতিতার অভিভাবকদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন বলে জানান সলিসিটর জেনারেল। আরও কিছু জায়গা থেকে যে তথ্য পাওয়া গিয়েছে, তা নিয়েও তদন্ত চলছে বলে জানান। রাজ্য জানায়, আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী নিরাপত্তা সংক্রান্ত কাজ প্রায় ৯৮ শতাংশ শেষ হয়ে গিয়েছে। যে টুকু কাজ বাকি রয়েছে, তা শেষ হবে ৩১ অক্টোবরের মধ্যে। যদিও রাজ্য সঠিক তথ্য দিচ্ছে না, কাজ শুরু হলেও, এখনও প্রায় কিছুই হয়নি বলে দাবি করেন আইনজীবী করুণা নন্দী। বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখতে হবে বলে জানান প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়।

    রাত্রের সাথি প্রকল্পে সিভিক নিয়োগ নিয়ে উদ্বেগ

    এরই মধ্যে রাত্রের সাথি প্রকল্পে সিভিক ভলান্টিয়ার নিয়োগ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ (Supreme Court) করতে দেখা যায় আইনজীবী করুণা নন্দীকে। তাঁর অভিযোগ, এই প্রকল্পে সিভিক ভলান্টিয়ার নিয়োগের মাত্রা দ্বিগুণ হয়ে গিয়েছে। যদিও রাজ্য সরকারের দাবি, সবটাই নিয়ম মেনে হয়েছে। প্রাইভেট সিকিউরিটি এজেন্সিস রেগুলেশন অ্যাক্ট, ২০০৫ এর ক্ষমতাবলেই চলেছে নিয়োগ প্রক্রিয়া।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share