Tag: West Bengal

West Bengal

  • Calcutta High Court: পুজোয় মানুষ কি রাস্তায় বেরোবে না? পুলিশ কমিশনারের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ, মামলা হাইকোর্টে

    Calcutta High Court: পুজোয় মানুষ কি রাস্তায় বেরোবে না? পুলিশ কমিশনারের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ, মামলা হাইকোর্টে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্গাপুজো শুরুর দুসপ্তাহ আগে কলকাতা পুলিশের নির্দেশ জারি করাকে কেন্দ্র করে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। উল্লেখ্য, বুধবার রাতে এক বিজ্ঞপ্তিতে কলকাতার পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মা জানিয়েছেন, আগামী ২ মাস কলকাতা শহরের একাংশে বড় জমায়েত করা যাবে না। আরজি কর নিয়ে চলা আন্দোলনে (Agitation) লাগাম টানতেই কি পুলিশ প্রশাসনের এই পদক্ষেপ, তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে চর্চা শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যেই পুলিশের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) জোড়া মামলা দায়ের হল।

    কী নির্দেশ দিল কলকাতা পুলিশ? (Calcutta High Court)

    কলকাতা পুলিশের দেওয়া বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে ২৩ নভেম্বর পর্যন্ত ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ১৬৩ ধারা জারি করা হয়েছে। বউবাজার থানা, হেয়ার স্ট্রিট থানা এবং ধর্মতলা এলাকায় কে সি দাস ক্রসিং থেকে ভিক্টোরিয়া হাউসের দিকের এলাকায় জমায়েত বা মিছিলে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে পুলিশ। যে এলাকাগুলিতে পাঁচজনের বেশি জমায়েতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে, সেই এলাকাগুলিতে কি পুজোর সময় মানুষ যেতে পারবে না? বিভিন্ন মহলের তরফে এই প্রশ্ন তোলা হচ্ছিল। এবার হাইকোর্টে দায়ের হল মামলা। জানা গিয়েছে, কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে সিপিএম। কারণ ধর্মতলাতেই তাদের মিছিল করার কথা। পুলিশি অনুমতি না মেলায় তারা হাইকোর্টে গেল। শুক্রবার এই মামলার শুনানির সম্ভাবনা বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের এজলাসে! এর পাশাপাশি জুনিয়র ডাক্তারদের পক্ষ থেকে একটি মিছিলের আবেদন জানা হয়েছিল পুলিশের কাছে। সেই কর্মসূচিও হওয়ার কথা শুক্রবার। কিন্তু অনুমতি না মেলায় তারাও আদালতের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হয়েছে। সেই মামলার শুনানিও হতে চলেছে শুক্রবার।

    আরও পড়ুন: পুজোর মুখে পর পর বন্ধ হচ্ছে জুটমিল! কর্মহীন কয়েক হাজার, হেলদোল নেই মমতা-সরকারের

    কলকাতা পুলিশের সাফাই

    কলকাতা পুলিশ হঠাৎ শহরের একাংশে জমায়েতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা নিয়ে সাফাই দেওয়া হয়েছে। জানানো হয়েছে, আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে কলকাতার একাধিক জায়গায় হিংসাত্মক ঘটনা ঘটতে পারে বলে খবর এসেছে। সেই কারণে ধর্মতলা চত্বরের ওই এলাকায় পাঁচ থেকে ছয়জনের বেশি জমায়েত করা যাবে না বলে স্পষ্ট করেছে পুলিশ। একই সঙ্গে বলা হয়েছে, এই সময়ের মধ্যে কারও হাতে লাঠি বা এই ধরনের কোনও ‘অস্ত্র’ দেখতে পেলে তাঁর বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    মামলাকারীর আইনজীবী কী বললেন?

    মামলাকারীর (Calcutta High Court) আইনজীবী শামীম আহমেদ বলেন, “যে এলাকার ভিড় নিয়ন্ত্রণে পুলিশ এই বিধিনিষেধ জারি করেছে, সেখানে বেশ কয়েকটি পুজো হয়। আসলে আরজি কর নিয়ে পুজোর সময় যদি আবার মানুষ পথে নামে, তা আটকাতেই এই নির্দেশ জারি করা হয়েছে।” প্রসঙ্গত, সামনেই বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজো। অন্যান্য বছরের চেয়ে এবার দুর্গাপুজো যে অন্যরকম হতে চলেছে, তা বলতে বাধা নেই। বিভিন্ন মণ্ডপে আরজি কর ইস্যুতে স্লোগান উঠতে পারে এমন সম্ভাবনা আছে। আবার কোথাও কোনও কর্মসূচিও হতে পারে পুজোর মধ্যে। এই সব নিয়ে পুলিশ যে প্রস্তুত রয়েছে তা আগেই জানিয়েছেন নগরপাল। পুজোর মধ্যে যাতে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সেই কারণেই এই বিবৃতি জারি করা হয়েছে বলে মত অনেকের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • CBI: ক্রাইম সিনে ছিলেন, ‘উত্তরবঙ্গ লবি’-র অন্যতম মাথা সুশান্ত রায়কে পাঁচ ঘণ্টা জেরা সিবিআইয়ের

    CBI: ক্রাইম সিনে ছিলেন, ‘উত্তরবঙ্গ লবি’-র অন্যতম মাথা সুশান্ত রায়কে পাঁচ ঘণ্টা জেরা সিবিআইয়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ-খুনের মামলার তদন্তে এবার সিবিআইয়ের (CBI) স্ক্যানারে তথাকথিত ‘উত্তরবঙ্গ লবি’র অন্যতম মাথা চিকিৎসক সুশান্ত রায়। সূত্রের খবর, গত ৯ অগাস্ট ঘটনার দিন আরজি কর হাসপাতালের অকুস্থলে দেখা গিয়েছিল জলপাইগুড়ির ওই চক্ষুরোগ বিশেষজ্ঞকে। কেন তিনি সে দিন হঠাৎ আরজি করে পৌঁছলেন, কার কাছ থেকে তিনি ঘটনার খবর পেয়েছিলেন। অকুস্থল থেকে তথ্যপ্রমাণ লোপাট, হাসপাতালে থ্রেট সিন্ডিকেট চালানো, ষড়যন্ত্রের মতো একাধিক অভিযোগ আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তাররা তুলেছেন সুশান্ত রায়ের বিরুদ্ধে। সে বিষয়ে তিনি কিছু জানেন কি না, তা নিয়ে সুশান্তর সঙ্গে ঘণ্টা পাঁচেক কথা বলেন তদন্তকারীরা। সুশান্ত রায়কে সিবিআই জেরা করায় উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে (North Bengal Medical) আন্দোলনকারীদের মধ্যে উচ্ছ্বাস।

    কে এই সুশান্ত?

    জুনিয়র ডাক্তারদের একাংশের বক্তব্য, ২০১১ সালের আগে জলপাইগুড়ির বাইরে সুশান্তর তেমন পরিচিতি ছিল না। ২০১৬ সাল থেকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের (North Bengal Medical)  প্রশাসনে সুশান্তর প্রভাব বাড়তে শুরু করে। কোভিডকালে তিনি উত্তরবঙ্গের করোনা প্রতিরোধ টিমের ওএসডি পদে নিযুক্ত হন সরকারিভাবে। এরপরই তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে।

    আরও পড়ুন: পুজোর মুখে পর পর বন্ধ হচ্ছে জুটমিল! কর্মহীন কয়েক হাজার, হেলদোল নেই মমতা-সরকারের

    সুশান্ত রায়ের বিরুদ্ধে উঠছে নানা দুর্নীতির অভিযোগ! (CBI)

    উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের (North Bengal Medical) প্রধান করণিক উৎপল সরকার বলেন, ‘‘নিজের ছেলে সৌত্রিক রায়ের নাম থাকা একটি সংস্থার সঙ্গে যুক্ত করে কোভিডকালে স্যানিটাইজার, মাস্ক, পিপিই সহ যাবতীয় জিনিস সেখান থেকে কিনে মোটা টাকা আত্মসাত করেছেন সুশান্ত রায়।’’ হাসপাতালের অধ্যাপক চিকিৎসক উৎপল বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘কোভিড কালে ডাক্তার ও নার্সদের কোয়ারান্টাইনে থাকার জন্য হোটেল, খাওয়া-দাওয়া থেকে শুরু করে যাবতীয় খরচের ক্ষেত্রে সুশান্ত রায় ব্যাপক দুর্নীতি করেছেন।’’ উত্তরবঙ্গের আরও এক স্বাস্থ্য আধিকারিক বলেন, ‘‘জলপাইগুড়ি জেলা হাসপাতালে কোয়ালিটি কন্ট্রোল এক কোটি টাকা ঠিক মতো ব্যবহার হয়নি। ব্লাড গ্রুপের একটি স্টিকার তৈরিতে খরচ দু’টাকা। সেখানে তিনি ৯০ টাকা করে বিল করেছিলেন। ভারপ্রাপ্ত এক আধিকারিক এর প্রতিবাদ করে ওই বিলে সই করেননি। প্রভাব খাটিয়ে সুশান্ত রায় তাঁকে কিছুদিনের মধ্য বদলি করে দেন। সেই চেয়ারে পছন্দের আধিকারিককে বসিয়েছে ওই বিল পাস করিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা তিনি আত্মসাৎ করেন। তার পরপরই তিনি একই সঙ্গে দুটি দামি গাড়ি কেনেন। যার একটি নগদে কেনেন। এত টাকা তিনি কোথায় থেকে পেলেন? এনিয়েও তদন্ত (CBI) হওয়া দরকার।’’

    আরও পড়ুন: পুজোর মুখে পর পর বন্ধ হচ্ছে জুটমিল! কর্মহীন কয়েক হাজার, হেলদোল নেই মমতা-সরকারের

    সুশান্তর প্রশ্রয়ে সন্দীপের রমরমা!

    সিবিআইয়ের তলব পেয়ে বুধবার বেলা দেড়টা নাগাদ সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে পৌঁছন সুশান্ত। সংবাদমাধ্যমকে এড়াতে সিজিও কমপ্লেক্সের পিছনের গেট দিয়ে ঢোকেন তিনি। স্বাস্থ্য মহলের অভিযোগ, সুশান্তর প্রশ্রয়েই আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের রমরমা। আরজি করের ঘটনা সামনে আসার পরে নিখোঁজ পোস্টারও পড়েছিল সুশান্তর নামে। এর আগে আরজি করের ক্রাইম সিনে থাকা ‘উত্তরবঙ্গ লবি’র (North Bengal Medical) ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত বিতর্কিত চিকিৎসক অভীক দে, বিরূপাক্ষ বিশ্বাসকেও জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সিবিআই। পিছনের গেট দিয়ে ঢোকায় এ দিন অবশ্য সিজিওতে ঢোকার সময়ে সুশান্তের প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। বেরোনোর সময়েও তিনি সংবাদমাধ্যমকে এড়িয়ে যান।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • North Bengal Medical: হুঁশ ফেরেনি এখনও! রাজ্যে বহাল ‘থ্রেট কালচার’, চিকিৎসককে হুমকি তৃণমূল নেতার

    North Bengal Medical: হুঁশ ফেরেনি এখনও! রাজ্যে বহাল ‘থ্রেট কালচার’, চিকিৎসককে হুমকি তৃণমূল নেতার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর কাণ্ডের পর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালগুলিতে ‘থ্রেট কালচার’ বন্ধ করার ব্যাপারে নিশ্চয়তা দিয়েছিল মমতা-সরকার। কিন্তু, তারপরও উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে এখনও থ্রেট কালচার বহাল। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল (North Bengal Medical) কলেজে তৃণমূলের সরকারি কর্মচারি ইউনিয়নের এক প্রভাবশালী নেতার বিরুদ্ধে এক অধ্যাপক-চিকিৎসককে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠল।

    ঠিক কী অভিযোগ? (North Bengal Medical)

    গত মঙ্গলবার রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশ মতো শিলিগুড়িতে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের স্টেকহোল্ডার কমিটির বৈঠক ডেকেছিলেন অধ্যক্ষ ইন্দ্রজিৎ সাহা। অভিযোগ, সেখানে হাসপাতালের অ্যান্টনি ডি’রোজারিও নামে চতুর্থ শ্রেণির কর্মীর হুমকি মুখে পড়েন উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের অর্থোপেডিক বিভাগের প্রধান পার্থসারথি সরকার। তিনি বলেন, ‘‘একজন বিভাগীয় প্রধান হিসেবে সেখানে আমি উপস্থিত ছিলাম। কিন্তু, সকলের সামনে হাসপাতালের এক প্রভাবশালী চতুর্থ শ্রেণীর কর্মী বৈঠকে ঢোকেন। তাঁর সেখানে ঢোকার কোনও এক্তিয়ার ছিল না। সেই কি না আমার উপস্থিতি নিয়ে হুমকি সুরে প্রশ্ন তোলেন। থ্রেট কালচার নিয়ে আমি সরব হওয়ায় এরা চটে গিয়েছে। তাই আমার মুখ বন্ধ করতে তিনি প্রকাশ্যে আমাকে হুমকি দেন। এতে আমি  প্রাণনাশের আশঙ্কা করছি। ওই কর্মী দীর্ঘদিন ধরে হুমকি দিয়ে সব কিছু নিজের মতো করে যাচ্ছেন। ভয়ে তাঁর বিরুদ্ধে কেউ কিছু বলতে পারে না।’’ 

    আরও পড়ুন: সিজিওতে অপূর্ব-মর্গ কর্মীকে মুখোমুখি জেরায় পরস্পর বিরোধী তথ্য পেল সিবিআই

     কী বললেন অধ্যক্ষ?

    ওই চতুর্থ শ্রেণির কর্মীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে বিভিন্ন বিভাগের প্রধান চিকিৎসকরা অধ্যক্ষকে কার্যত ঘেরাও করেন বুধবার। শেষ পর্যন্ত চাপে পড়ে অভিযুক্তকে শোকজ করার আশ্বাস দেন অধ্যক্ষ। যদিও ডাক্তারদের দাবি, শোকজ নয়, ওই কর্মীর বিরুদ্ধে পুলিশে এফআইআর করতে হবে। এই ঘটনায় অধ্যক্ষের (North Bengal Medical) ভূমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। কারণ, তিনি ঘটনার সময় আশ্চর্যজনকভাবে নীরব থাকেন। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, স্টেকহোল্ডার কমিটির বৈঠকে হুমকির অভিযোগের বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে খতিয়ে দেখা হবে।

    কোচবিহারে মেডিক্যালেও থ্রেট কালচার!

    কোচবিহার মেডিক্যাল কলেজে থ্রেট কালচারের জেরে কোচবিহার-১ ব্লকের বিএমওএইচ দ্বীপায়ন বসু ও ওই ব্লকেরই আরও এক চিকিৎসক সংবেদ ভৌমিককে মেডিক্যাল কলেজে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হল। বুধবার বিকেলে মেডিক্যাল কলেজ কাউন্সিলের বর্ধিত কমিটির সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। পাশাপাশি, এখন থেকে যারা পরীক্ষায় ভালো ফল করবে তারাই সিআর নির্বাচিত হবে বলেও ওই বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কোচবিহার মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের অধ্যক্ষ চিকিৎসক নির্মল মণ্ডল বলেন, ‘‘মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসক না হয়েও দ্বীপায়ন বসু ও সংবেদ ভৌমিক মেডিক্যাল কলেজে ঢুকে ছাত্রদের বিভিন্ন রকমভাবে হুমকি দিতেন বলে জানা গিয়েছে। তাই ওই দুই চিকিৎসককে মেডিক্যাল কলেজে প্রবেশের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এছাড়া সেফটি ও সিকিউরিটি সংক্রান্ত বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Jute Mill: পুজোর মুখে পর পর বন্ধ হচ্ছে জুটমিল! কর্মহীন কয়েক হাজার, হেলদোল নেই মমতা-সরকারের

    Jute Mill: পুজোর মুখে পর পর বন্ধ হচ্ছে জুটমিল! কর্মহীন কয়েক হাজার, হেলদোল নেই মমতা-সরকারের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাতে গোনা কয়েকদিন পরই বাঙালির সব থেকে বড় উৎসব দুর্গাপুজো। ঠিক পুজোর মুখে রাজ্যে একের পর এক জুটমিলে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হচ্ছে। কর্মহীন হয়ে পড়ছেন হাজার হাজার শ্রমিক। পুজোর মুখে মিল (Jute Mill) কর্তৃপক্ষের এই সিদ্ধান্তে বেজায় ক্ষুব্ধ মিল শ্রমিকরা। মিল খোলার বিষয়ে তৃণমূল সরকারের কোনও উদ্যোগ নেই বলেই শ্রমিকদের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে।

    বন্ধ হল দাসনগর জুটমিল (Jute Mill)

    রাতারাতি বন্ধ হয়ে গেল হাওড়ার (Howrah) দাসনগরের ভারত জুটমিল (Jute Mill)। পুজোর মুখেই চাকরিহারা কয়েক হাজার শ্রমিক। জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকাল ৬টার সময় দাসনগরের ভারত জুটমিলের কর্মীরা ডিউটিতে আসলে দেখেন, মিলের গেট বন্ধ। গেটে ঝুলছে সাসপেনশন অব ওয়ার্কের নোটিশ। অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ হয়ে গেল জুটমিল। পুজোর বোনাস পাননি, বেতন-গ্রাচুয়িটির হিসেব-নিকেশ তো দূর-অস্ত! এভাবে হঠাৎ জুটমিল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় মাথায় হাত শ্রমিকদের। পুজোর মুখে কী করবেন, কোথা থেকে রোজগার হবে, তা ভেবেই দিশেহারা। জুটমিলের বাইরে ঝোলা নোটিশে বলা হয়েছে, তাঁত বিভাগের অবৈধ ধর্মঘটের কারণেই এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছে মালিক কর্তৃপক্ষ। শ্রমিকদের দাবি, শাসক দল ঘনিষ্ঠ ইউনিয়ন তাদের এবং কর্তৃপক্ষের ওপরে চাপ সৃষ্টি করছে। দুটির বদলে চারটি মেশিন চালানোর জন্য জোর করছে। এর জেরেই সিদ্ধান্ত।

    আরও পড়ুন: ঘূর্ণাবর্তের জেরে আজও বৃষ্টির পূর্বাভাস জেলায় জেলায়, জানাল হাওয়া অফিস

    বন্ধ কাঁকিনাড়ার নফরচাঁদ জুটমিল

    কয়েকদিন আগে, বন্ধ হয়ে যায় উত্তর ২৪ পরগনার বারাকপুরের কাঁকিনাড়ার একটি জুটমিলও (Jute Mill)। তার জেরে কর্মহীন হয়ে পড়েন কারখানার প্রায় তিন হাজার স্থায়ী-অস্থায়ী শ্রমিক। শ্রমিক-মালিক অসন্তোষের জেরে কাঁকিনাড়ার নফরচাঁদ জুট মিলে উৎপাদন বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ। পুজোর মুখে কর্মহীন হয়ে পড়ায় দিশেহারা শ্রমিকরা। মিলের ভিতরে শ্রমিক-মালিক অসন্তোষের চরম বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়। তারপরে উৎপাদন বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়ে কর্তৃপক্ষ। প্রসঙ্গত, কাঁকিনাড়ার এই মিলে শ্রমিক অসন্তোষ এই প্রথম নয়। এর আগেও বিভিন্ন সময়ে শ্রমিক অসন্তোষের জেরে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল এই জুট মিল। গত ডিসেম্বরেও একইভাবে কর্মীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছিল। তার জেরে তুমুল শ্রমিক অসন্তোষ শুরু হয়েছিল মিলে। তখন সেই কাজ বন্ধ রাখা হয়। তবে, পুজোয় যেখানে সকলে নতুন পোশাক কিনে থাকেন সেই জায়গায় শ্রমিকরা কর্মহীন হয়ে পড়াই স্বাভাবিকভাবেই সমস্যায় পড়েছে তাদের পরিবার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • CBI: তদন্তে বড় ভরসা মর্গে মোবাইলে তোলা ১৫টি ছবিই, দিল্লিতে পাঠাল সিবিআই, কী আছে তাতে?

    CBI: তদন্তে বড় ভরসা মর্গে মোবাইলে তোলা ১৫টি ছবিই, দিল্লিতে পাঠাল সিবিআই, কী আছে তাতে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করে (RG Kar) তরুণী চিকিৎসকের খুন-ধর্ষণের ঘটনার তদন্তে নেমে ময়না তদন্তে গাফিলতির অভিযোগ বার বার সামনে আসছে। ময়না তদন্তের ভিডিওগ্রাফি থেকে রিপোর্ট তৈরি, সবেতেই রয়েছে প্রশ্ন। ফলে, তদন্তের গতি কিছুটা হলেও ব্যাহত হচ্ছে। এই অবস্থায় ভরসা বলতে ১৫টি ছবি, যা ৯ অগাস্ট সন্ধ্যায় আরজি করের মর্গে (RG Kar Morgue) তিলোত্তমার ময়না তদন্তের সময়ে খুব কাছ থেকে মোবাইলের ক্যামেরায় বন্দি করা হয়েছিল। ওই সমস্ত ছবি দিল্লিতে ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য সিবিআই (CBI) পাঠিয়েছে বলে খবর।

    ভিডিওগ্রাফি বিভিন্ন ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদের দিয়ে পরীক্ষা! (RG Kar)

    সিবিআই (CBI) সূত্রে জানা গিয়েছে, তরুণী চিকিৎসকের ময়না তদন্তকারী দলে তিনজনের একজন সূর্যাস্তের পরে ময়না তদন্তে আপত্তি করেছিলেন। সূত্রের খবর, অন্যদের মতো তাঁকেও কয়েক বার তলব করেছে সিবিআই। তখন তিনি নিজে থেকেই তদন্তকারীদের ওই ১৫টি ছবির কথা জানান বলে খবর। এর পরেই তাঁর মোবাইলে থাকা ছবিগুলি সংগ্রহ করেন তদন্তকারীরা। ময়না তদন্তের (RG Kar Morgue) যে ভিডিওগ্রাফি করা হয়েছে, তাতে মৃতের দেহের আঘাতের চিহ্ন স্পষ্ট না হওয়ায় তদন্তে সমস্যা হচ্ছে। ময়না তদন্তের ভিডিওগ্রাফি বিভিন্ন ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদের দিয়ে পরীক্ষা করিয়ে আঘাতের বিষয়ে নিশ্চিত একটা জায়গায় পৌঁছতে চাইছেন তদন্তকারীরা (CBI)। এজন্য দিল্লি এবং কল্যাণী এমসের ফরেন্সিক বিভাগের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের ওই ভিডিওগ্রাফি দেখানো হয়েছে। কিন্তু, খুব স্পষ্ট কিছু বোঝা গিয়েছে, তেমনটা নয় বলেই খবর।

    আরও পড়ুন: ঘূর্ণাবর্তের জেরে আজও বৃষ্টির পূর্বাভাস জেলায় জেলায়, জানাল হাওয়া অফিস

    মর্গে (RG Kar Morgue) কী হয়েছিল

    সিবিআই সূত্রের খবর, মর্গে (RG Kar) ডিজিটাল ফরেন্সিকের মাপকাঠি অনুযায়ী প্রতিটি ছবি ঠিকঠাক তোলা হয়েছে। তা বিকৃত বা তাতে কারিকুরি করা হয়নি বিষয়ে নিশ্চিত হয়েই সেগুলি সংগ্রহ করা হয় এবং পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। সূর্যাস্তের পরে ময়না তদন্ত কেন হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলার পরেও ওই চিকিৎসক যখন দেখেন যে ওই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে, বিষয়টি তাঁর কাছে গোলমেলে লেগেছিল বলেই জেনেছেন তদন্তকারীরা (CBI)। সূত্রের খবর, মর্গে হাজির অন্য এক চিকিৎসক-পড়ুয়াকে তিনি নিজের মোবাইলটি দিয়েছিলেন ছবি তোলার জন্য। মৃতের শরীরের বাইরের বিভিন্ন আঘাত, ব্যবচ্ছেদের পরে ভিতরের অংশের আঘাত, যৌনাঙ্গের ক্ষত এবং যে যে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে, সেই সমস্ত ছবি সামনে থেকে মোবাইল বন্দি করিয়েছিলেন তিনি (RG Kar Morgue)।

    ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞ কী বললেন?

    রাজ্যে কাজ করা ফরেন্সিক মেডিসিনের বিশেষজ্ঞ, ময়না তদন্তকারী চিকিৎসকেরা (RG Kar Morgue) জানাচ্ছেন, বিদেশের মতো এখানে ফরেন্সিক ভিডিওগ্রাফি সব সময়ে করা হয় না। এক সিনিয়র ফরেন্সিক মেডিসিন বিশেষজ্ঞের কথায়, “জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের নির্দেশানুযায়ী বিচারাধীন বন্দির অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘটলে, ময়না তদন্তে ভিডিওগ্রাফি বাধ্যতামূলক। সে ক্ষেত্রে অনেক সময়ে আমরা বলে দিই, কী ভাবে, কতটা সামনে থেকে কোন ছবি তুলতে হবে।” তিনি জানাচ্ছেন, অন্যান্য ক্ষেত্রে সাধারণত ময়না তদন্ত যেখানে হচ্ছে, তার কিছুটা দূর থেকে ভিডিওগ্রাফি করা হয় (CBI)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Incident: সিজিওতে অপূর্ব-মর্গ কর্মীকে মুখোমুখি জেরায় পরস্পর বিরোধী তথ্য পেল সিবিআই

    RG Kar Incident: সিজিওতে অপূর্ব-মর্গ কর্মীকে মুখোমুখি জেরায় পরস্পর বিরোধী তথ্য পেল সিবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর (RG Kar Incident) হাসপাতালের ঘটনায় যেসব বিষয় নিয়ে সবচেয়ে বেশি প্রশ্ন উঠেছে তার অন্যতম হল ময়নাতদন্ত (Post mortem) প্রক্রিয়া। অপেক্ষাকৃত কম আলোয় ও কম সময়ে নির্যাতিতার ময়নাতদন্ত করা হয়েছিল বলে খবর। স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠছে, এটা কি ইচ্ছাকৃত? নাকি অনিচ্ছাকৃত ত্রুটি। এই আবহের মধ্যেই বুধবার সিজিও কমপ্লেক্সে সিবিআই (CBI) দফতরে ফের হাজিরা দিলেন নির্যাতিতার ময়নাতদন্তকারী দলে থাকা অন্যতম চিকিৎসক অপূর্ব বিশ্বাস। সেই সঙ্গে আরজি কর (RG Kar Incident) মর্গের এক কর্মীকেও সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দিতে বলা হয়। তাঁদের দু’জনকেই জিজ্ঞাসাবাদ করেন সিবিআই আধিকারিকরা। এ নিয়ে পর পর তিনদিন হাজিরা দিলেন অপূর্ব বিশ্বাস। তার আগেও একবার হাজিরা দিয়েছিলেন তিনি।

    আরও পড়ুন: ঘূর্ণাবর্তের জেরে আজও বৃষ্টির পূর্বাভাস জেলায় জেলায়, জানাল হাওয়া অফিস

    নির্যাতিতার আগে ৭টি ময়না তদন্ত সূর্যাস্তের আগে (CBI)

    সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, সেদিন আরজি করের (RG Kar Incident) মর্গে সাতটি ময়নাতদন্তই হয়েছিল সূর্যাস্তের আগে। শুধুমাত্র নির্যাতিতার সূর্যাস্তের পরে। স্বাভাবিকভাবেই বিষয়টি নিয়ে সিবিআই (CBI) আধিকারিকদের খটকা লাগছে। সূত্রের খবর, এক চিকিৎসক সূর্যাস্তের পর তাড়াহুড়ো করে ময়নাতদন্ত করার ব্যাপারে আপত্তি তুললেও তা শোনা হয়নি। ময়নাতদন্তের (RG Kar Incident) পুরোটাই ভিডিওগ্রাফি করা হলেও সেই ছবি বেশ আবছা রয়েছে। তাতে মনে হচ্ছে, সেখানে আলো প্রয়োজনের তুলনায় কম ছিল। এই বিষয়গুলি নিয়ে বিগত কয়েকদিন ধরে লাগাতার জিজ্ঞাসাবাদ করা – হয়েছে ময়নাতদন্তকারী অন্যতম চিকিৎসক অপূর্ব বিশ্বাসকে। কিন্তু এই প্রশ্নের জবাবে তিনি নীরব থেকেছেন বলে খবর।

    দুই ডোমকেও জিজ্ঞাসাবাদ সিবিআইয়ের

    এর আগে, ময়নাতদন্তের সময় উপস্থিত দু’জন ডোমও জিজ্ঞাসাবাদে যা জানিয়েছিলেন, তাতে সিবিআই (CBI) নিশ্চিত যে, সেদিন গাফিলতি হয়েছিল (RG Kar Incident)। জানা গিয়েছে, এদিন আরজি করের মর্গের ‘ক্লার্ক’ পর্যায়ের এক কর্মীকেও এ দিন জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তদন্তকারীদের বক্তব্য, ময়নাতদন্তের পরের পর্যবেক্ষণ লেখায় ওই কর্মীর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। ওই দিন ময়নাতদন্ত কী ভাবে হয়েছিল, তা নিয়ে ওই কর্মীকে অপূর্বের মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তাতে পরস্পর বিরোধী তথ্য উঠে এসেছে এবং অপূর্বের আগের বয়ানের সঙ্গে এ দিন ওই ক্লার্কের বয়ানের পার্থক্য রয়েছে বলে (RG Kar Incident) তদন্তকারীদের সূত্রের দাবি। কী লুকোনোর চেষ্টা হয়েছিল? কে সত্যি বলছেন বা কে মিথ্যা বলছেন? সবটাই জানার চেষ্টা করছে সিবিআই (CBI)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Flood Situation In Bengal: জল ছাড়া নিয়ে ‘অসত্য’ বলছেন মুখ্যমন্ত্রী, ফাঁস করে দিল কেন্দ্র

    Flood Situation In Bengal: জল ছাড়া নিয়ে ‘অসত্য’ বলছেন মুখ্যমন্ত্রী, ফাঁস করে দিল কেন্দ্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তাঁর অভিযোগ, রাজ্যকে না জানিয়েই বিপুল পরিমাণ জল ছেড়েছে ডিভিসি। তাই বানভাসি হয়েছে বাংলার (Flood Situation In Bengal) একাংশ। এই অভিযোগ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে তিনি (Nabanna) দুটি চিঠিও পাঠিয়েছেন। পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়ায় বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে গিয়ে ডিভিসির সঙ্গে সম্পর্ক না রাখার হুমকিও দিয়েছিলেন ‘সস্তা রাজনীতি’ করতে অভ্যস্ত (নিন্দকরা বলে) মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি যে ‘মিথ্যে’ বলেছেন, তা ফাঁস করে দিল কেন্দ্রীয় জলশক্তি মন্ত্রক। তারা সাফ জানিয়েছে, রাজ্য ও ডিভিসির প্রতিনিধিদের নিয়ে গঠিত কমিটিই ঠিক করে কখন এবং কতটা জল ছাড়া হবে। তাই রাজ্যকে না জানিয়ে জল ছাড়া হয়েছে বলে মুখ্যমন্ত্রী যে দাবি করছেন, তা  অসত্য।

    জল ছাড়ার কথা সকলেই জানত (Flood Situation In Bengal)

    ডিভিসিরও দাবি, জল যে ছাড়া হবে, তা সকলেই জানতেন। রাজ্যের দুর্যোগ মোকাবিলা দফতরের একটি মেমো থেকেও স্পষ্ট, জল ছাড়ার কথা আগে থেকেই জানত রাজ্য। ২০ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রীকে প্রথম চিঠি লেখেন মমতা। এর ঠিক তিনদিন আগে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে বলে হাওড়া, হুগলি, দুই মেদিনীপুর-সহ আটটি জেলাকে সতর্ক করেছিল নবান্ন। মেমোতে এও উল্লেখ করা হয়েছিল (Flood Situation In Bengal), ডিভিআরআরসি এবং সিডব্লিউসি জানিয়েছে, আবহাওয়ার কারণে মাইথন ও পাঞ্চেত জলাধারে জলস্তর বাড়ছে দ্রুত।

    আরও পড়ুন: “ট্রেনে অন্তর্ঘাত দূর করতে রেলওয়ে প্রশাসন সতর্ক রয়েছে”, বললেন বৈষ্ণব

    মেমোতেও উল্লেখ করা হয়েছে 

    এই পরিস্থিতিতে ১৭ সেপ্টেম্বর থেকে ডিভিআরআরসি আড়াই লাখ কিউসেক জল ছাড়বে। তার ফলে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হলে যা মোকাবিলার যাবতীয় ব্যবস্থাও নিয়ে রাখতে বলা হয় ওই মেমোতে। প্লাবিত হতে পারে এমন এলাকার মানুষকে প্রয়োজনে যেন নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়, তাও বলা হয়েছিল মেমোতে। মেমোতে আরও বলা হয়েছিল, কংসাবতী বাঁধ থেকেও জল ছাড়া হতে পারে। তেমন হলে পূর্ব মেদিনীপুরে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হবে। কংসাবতী বাঁধের সঙ্গে ডিভিসিও জল ছাড়ায় হলদি ও রূপনারায়ণের জলস্তর বাড়বে। ডিভিসির এক কর্তা বলেন, “প্রয়োজন হলে জল ছাড়তেই হয়। সেটা কমিটিই ঠিক করে।” বিজেপির রাজ্য সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “আরজি করকাণ্ডের বিরুদ্ধে (Nabanna) আন্দোলন থেকে দৃষ্টি ঘোরাতেই (মুখ্যমন্ত্রীর) এই অপচেষ্টা (Flood Situation In Bengal)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar: আরজি করকাণ্ডে নির্যাতিতার দুই সহপাঠীকেও জিজ্ঞাসাবাদ

    RG Kar: আরজি করকাণ্ডে নির্যাতিতার দুই সহপাঠীকেও জিজ্ঞাসাবাদ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবার বিকেলে সিজিও কমপ্লেক্সে গেলেন আরজি কর (RG Kar) মেডিক্যাল কলেজে নির্যাতিতার দুই সহপাঠী। তাঁদের বয়ান রেকর্ড করা হয়। সিবিআই সূত্রের খবর, তাঁদের সঙ্গে তদন্তকারীরা আগেও কথা বলেছেন। দুই পিজিটিকে সঙ্গে নিয়ে আসেন আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের সুপার সপ্তর্ষি চট্টোপাধ্যায়। তিনি বেরিয়ে বলেন, “আমাকে কিছু নথি জমা দিতে বলা হয়েছিল। সে সব নথিতে আমি সই করলাম। দুই পিজিটিকে কেন আসতে বলা হয়েছিল, সেই নিয়ে কিছু বলতে পারব না। কারণ, তদন্ত চলছে।” একইসঙ্গে এদিন হাসপাতালের প্রাক্তন সুপার সঞ্জয় বশিষ্ঠকেও সিজিও কমপ্লেক্সে ডেকে পাঠানো হয়েছিল।

    ঘটনার পর থেকে বেপাত্তা ছিলেন দুই পিজিটি! (RG Kar)

    নির্যাতিতার (RG Kar) ওপর নৃশংসতার তদন্তে নেমে সিবিআই-এর হাতে উঠে আসছে একের পর এক নাম। আর তার সঙ্গে ঘটনার মোড় ঘুরছে নিত্যনতুন। এবার নির্যাতিতাকে ধর্ষণ করে খুনকাণ্ডে তলব করা হয়েছিল আরজি করের ২ পিজিটি-কে। ঘটনার পর থেকেই বেপাত্তা ছিলেন এই দুই পিজিটি। মঙ্গলবার তাঁদের সিজিও কমপ্লেক্সে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদও  করা হয়। এদিন হাসপাতাল সুপারের গাড়িতে ওই দুই মহিলা পিজিটি সিজিও-তে যান। কেন তাঁরা ঘটনার পর থেকে কার্যত দু’মাস বেপাত্তা ছিলেন, সেই তথ্যই জানতে চান তদন্তকারীরা। ইতিমধ্যেই সিবিআই আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে পিজিটি জুনিয়র চিকিৎসকদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছে।

    আরও পড়ুন: কেষ্টর বাড়ি ফেরার দিনেই মমতার বীরভূম সফর! ‘‘বড় মিলন উৎসব’’, কটাক্ষ দিলীপের

    নির্যাতিতার সঙ্গে ঝগড়া

    এবার এই দুই মহিলা পিজিটি-কে সিবিআই (CBI) দফতরে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ, ঘটনার পর থেকেই এই দুই মহিলা পিজিটির খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। সূত্রের খবর, সিবিআই আগে জিজ্ঞাসাবাদ করে এমন কিছু জানতে পেরেছিলেন, যার সঙ্গে এই দুই মহিলা পিজিটি-র নিশ্চিত যোগ রয়েছে। আরজি কর সূত্রে জানা যাচ্ছে, একজন মহিলা পিজিটির সঙ্গে নির্যাতিতার (RG Kar) ঝগড়া হয়েছিল। আর ঝগড়া এমন পর্যায়ে পৌঁছয়, যে ডাক পাওয়া মহিলা পিজিটি বলেছিলেন, তিনি চেস্ট মেডিসিন ছেড়ে দেবেন। তিনি মূলত দক্ষিণ ভারতের বাসিন্দা। ঘটনার পর তিনি বাড়ি চলে গিয়েছিলেন। আরও এক মহিলা পিজিটিও বেপাত্তা ছিলেন। এতদিন ধরে তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছিল না। আন্দোলন থিতু হওয়ার পর তাঁরা হাসপাতালে ফিরে আসেন।

    ফের সিজিওতে চিকিৎসক অপূর্ব বিশ্বাস

    কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে আরজি কর (RG Kar) হাসপাতালে ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনার তদন্ত করছে সিবিআই। এই মামলায় প্রতিদিনই সিজিও দফতরে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে সিবিআই। মঙ্গলবার দুপুরে সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অফিসে পৌঁছন চিকিৎসক অপূর্ব বিশ্বাস। তিনি নির্যাতিতার দেহের ময়নাতদন্ত করেছিলেন। প্রায় দেড় ঘণ্টা ছিলেন সিজিওতে। যদিও কী কারণে তাঁকে তলব করা হয়েছিল, তা স্পষ্ট নয়। সিবিআই দফতর থেকে বার হওয়ার পর কোনও মন্তব্য করতে চাননি চিকিৎসক। এর আগেও দু’বার তাঁকে তলব করা হয়েছিল সিবিআই দফতরে। রবিবার সিজিও কমপ্লেক্সে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দফতর থেকে বের হয়ে তিনি দাবি করেছিলেন, মৃতার দেহের দ্রুত ময়নাতদন্ত করার জন্য বিভিন্ন ভাবে চাপ দেওয়া হয়েছিল। মৃতার কাকা পরিচয় দিয়ে এক ব্যক্তির তরফে এই চাপ দেওয়া হয়েছিল বলে দাবি করেছিলেন ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ayushman Bharat: মোদি সরকারের সাফল্য! আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পের ৬ বছরে কী পেলেন সুবিধাভোগীরা?

    Ayushman Bharat: মোদি সরকারের সাফল্য! আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পের ৬ বছরে কী পেলেন সুবিধাভোগীরা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বের বৃহত্তম স্বাস্থ্যসেবা প্রকল্পগুলোর মধ্যে একটি হল আয়ুষ্মান ভারত যোজনা (Ayushman Bharat Scheme)। যা প্রধানমন্ত্রী জন আরোগ্য যোজনা নামেও পরিচিত। ছ’বছর আগে মোদি সরকারের ‘আয়ুষ্মান ভারত’ চালু হয়। পরিবার পিছু বছরে ৫ লক্ষ টাকার বিনামূল্যে চিকিৎসার সুবিধা মেলে এই প্রকল্পে। নীতি আয়োগের সদস্য ভিকে পলের অধীনে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি এখন এই বিমার মূল্য বাড়ানো সম্ভব কি না তা খতিয়ে দেখছে। ছয় বছরে ১২.৩৭ কোটি পরিবার আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পে যোগ দিয়েছে। 

    কেন চালু করা হয়

    দেশের সমস্ত মানুষ যাতে চিকিৎসা করাতে পারেন এবং টাকার অভাবে যাতে কারোর চিকিৎসা ব্যাহত না হয় সেই লক্ষ্য নিয়ে চালু করা হয় আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প (Ayushman Bharat Scheme)। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরে ২০১৮ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর এই প্রকল্প চালু করেন নরেন্দ্র মোদি। দেশের একেবার গরিব বা প্রান্তিক শ্রেণির পরিবারগুলিও যাতে চিকিৎসা পেতে পারেন সেই লক্ষ্য নিয়েই চালু করা হয় এই প্রকল্প। সম্প্রতি প্রবীণ নাগরিকদের জন্য সুখবর শুনিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। আয়ুষ্মান ভারত নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। এবার থেকে আয়ুষ্মান ভারত প্রধানমন্ত্রী জন আরোগ্য যোজনায় ৭০ বছর কিংবা তার বেশি বয়সিরাও বছরে ৫ লক্ষ টাকার স্বাস্থ্য বিমার আওতায় আসবেন।

    বিশ্বের সবথেকে বড় স্বাস্থ্য সুরক্ষা প্রকল্প

    কেন্দ্রের দাবি, এটাই বিশ্বের সবথেকে বড় স্বাস্থ্য সুরক্ষা প্রকল্প (Ayushman Bharat Scheme)। এই প্রকল্পের সুবিধা নিতে পারেন দেশের প্রায় ৬০ কোটি মানুষ। কারা এই প্রকল্পের সুবিধা পেতে পারেন তার হিসাব করেই এই কথা দাবি করেছে স্বাস্থ্যমন্ত্রক। দেশের ২৭ হাজার ৩৪৩টি হাসপাতালে এই প্রকল্পের সুবিধা পাওয়া যাচ্ছে বলেও জানানো হয়েছে। এই প্রকল্প চালু হওয়ার ছয় বছর পূর্ণ হয়েছে। সাধারণ মানুষের মধ্যে এই প্রকল্প জনপ্রিয় করতে ২০২৩ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর একটি অ্যাপ চালু করেছে কেন্দ্র। হয়েছে আয়ুষ্মান ভব্য অভিযানও। যার মাধ্যমে চারটি সহজ ধাপে আয়ুষ্মান কার্ড তৈরি করা যায়। এই প্রকল্পে নাবালিকা, মহিলা ও প্রবীণ নাগরিকদের বিশেষভাবে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে এটাও উল্লেখ্য যে এই কার্ডটি তৈরির ক্ষেত্রে পরিবারের সদস্যদের সংখ্যা ও তাঁদের বয়স নিয়ে কোনও বাধা নিষেধ নেই। 

    আয়ুষ্মান ভারত কার্ড থাকলে সুবিধা

    আয়ুষ্মান ভারত কার্ড (Ayushman Bharat) থাকলে ক্যান্সার, কার্ডিয়াক সার্জারি ও অন্যান্য মারণ রোগের চিকিৎসা করাতে পারবেন সহজে। হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ও ইউরোলজিস্টদের পরামর্শ ও পরিষেবা মিলবে বিনামূল্যে। এই কার্ড থাকলে সরকারি হাসপাতালে বাধ্য থাকবে চিকিৎসা করতে। যাঁদের স্বাস্থ্য পরিষেবা প্রয়োজন তাঁদের থেকে কোনওভাবে মুখ ঘুরিয়ে রাখা যাবে না। এই প্রকল্পের অধীনে থাকা পরিবারগুলি ভারতজুড়ে চিকিৎসা পরিবেষা পাবেন। আর তার জন্য পকেটে নগদ টাকা না থাকলেও কোনও সমস্যা নেই। সমস্ত সরকারি ও তালিকাভুক্ত বেসরকারি হাসপাতালগুলি রোগীদের থেকে কোনও অতিরিক্ত অর্থও দাবি করতে পারবে না।

    ৫৫ কোটি মানুষকে নিয়ে আসার লক্ষ্য

    ২০২৪ সালের ১২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত, দেশে প্রায় ১ লক্ষ ৭৪ হাজার ৪৫৩টি আয়ুষ্মান আরোগ্য (Ayushman Bharat) কেন্দ্র রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ১ লক্ষ ১২ হাজার ৬৫৩টি উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র, ২৩ হাজারের বেশি প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র, পাঁচ হাজার শহুরে প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র, সাড়ে ৫ হাজার শহুরে স্বাস্থ্য ও সুস্থতা কেন্দ্র এবং ১২ হাজার ১৭৩টি আয়ুষ-সম্পর্কিত কেন্দ্র রয়েছে৷ নরেন্দ্র মোদি সরকারের ‘আয়ুষ্মান ভারত’ স্বাস্থ্য বিমা প্রকল্পের অধীনে ৫৫ কোটি মানুষকে নিয়ে আসার লক্ষ্যমাত্রা স্থির হয়েছে। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গ ও দিল্লি এখনও এই প্রকল্পে যোগ দেননি। তাই এখনও পর্যন্ত ৩৫.৩৬ কোটি মানুষকে ‘আয়ুষ্মান ভারত’-এর আওতায় নিয়ে আসা সম্ভব হয়েছে বলে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক সূত্রের দাবি।  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Weather Update: পুজোর আগে ফের তৈরি নিম্নচাপ! সতর্কতা দক্ষিণবঙ্গে, ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস

    Weather Update: পুজোর আগে ফের তৈরি নিম্নচাপ! সতর্কতা দক্ষিণবঙ্গে, ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এমনিতেই গত কয়েক দিনের টানা বৃষ্টি আর জলাধারের ছাড়া জলের জেরে রাজ্যের (West Bengal) একাধিক জেলায় বন্যা হয়ে গিয়েছে। এই আবহেই বঙ্গোপসাগরের ওপর মঙ্গলবার ফের তৈরি হয়ে গিয়েছে নিম্নচাপ অঞ্চল। ফলে, চলতি সপ্তাহে যে বৃষ্টির পরিমাণ আরও বাড়তে পারে সেই আভাসও মিলল। নিম্নচাপের জেরেই এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে দক্ষিণবঙ্গে। তার প্রভাবেই চলতি সপ্তাহ জুড়ে আবার বৃষ্টি হতে পারে দক্ষিণবঙ্গে। মাটি হতে পারে পুজোর বাজার। মাঝে কয়েক দিন রেহাই দিয়েছিল বৃষ্টি। মঙ্গলবার থেকে কলকাতা-সহ দক্ষিণের (Weather Update) বেশির ভাগ জেলায় আবার শুরু হয়েছে বৃষ্টি।

    কতদিন পর্যন্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা? (Weather Update)

    আলিপুর আবহাওয়া (Weather Update) দফতর জানিয়েছে, বুধবার থেকে ঝড়বৃষ্টি শুরু হবে দক্ষিণবঙ্গে। যা চলবে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত। কোনও কোনও জেলায় আবার ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। জারি করা হয়েছে সতর্কতা। উত্তরেও রয়েছে বৃষ্টির পূর্বাভাস। হাওয়া অফিস সূত্রে জানা গিয়েছে, মধ্য বঙ্গোপসাগরের ওপর রয়েছে একটি ঘূর্ণাবর্ত। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৭.৬ কিলোমিটার উঁচুতে রয়েছে সেই ঘূর্ণাবর্ত। তার প্রভাবে পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর এবং সংলগ্ন উত্তর অন্ধ্র এবং দক্ষিণ ওড়িশা উপকূলের কাছে সমুদ্রের ওপর তৈরি হয়েছে নিম্নচাপ অঞ্চল। তার প্রভাবেই বঙ্গোপসাগর থেকে ছুটে আসছে জলীয় বাষ্প, যার প্রভাবে দক্ষিণবঙ্গে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত রয়েছে বৃষ্টির সম্ভাবনা।

    আরও পড়ুন: পুড়ছে পাহাড়! শরতের গরমে জেরবার দার্জিলিং, কমছে পর্যটকের সংখ্যা

    দক্ষিণবঙ্গে কোন কোন জেলায় বৃষ্টি?

    ঘূর্ণাবর্ত এবং নিম্নচাপ- এই দু’য়ের জেরে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে বিক্ষিপ্তভাবে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির পূর্বাভাস (Weather Update) দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবারও নদিয়া, মুর্শিদাবাদ, পুরুলিয়া এবং পূর্ব বর্ধমান বাদ দিয়ে দক্ষিণবঙ্গের বাকি জেলাগুলিতে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। বৃষ্টির পরিমাণ বাড়তে পারে বুধবার এবং বৃহস্পতিবার। ওই দিন রাজ্যের উপকূলবর্তী দুই জেলা দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুর ছাড়াও পশ্চিম বর্ধমান, পশ্চিম মেদিনীপুর, বীরভূম এবং মুর্শিদাবাদে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। দক্ষিণবঙ্গের বাকি জেলাগুলিতে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। দুই মেদিনীপুর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনায় বুধ এবং বৃহস্পতিবার ঘণ্টায় ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে।

    ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা উত্তরবঙ্গেও

    শুক্রবার পর্যন্ত ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতেও। মঙ্গল এবং বুধবার ভারী বৃষ্টি হতে পারে মালদা, উত্তর দিনাজপুর, দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহারের কিছু এলাকায়। শুক্রবার ভারী বৃষ্টি হতে পারে দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি এবং আলিপুরদুয়ার জেলায়। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর এবং দক্ষিণ মায়ানমার উপকূল সংলগ্ন এলাকায় দু’টি ঘূর্ণাবর্ত রয়েছে। মৌসুমি অক্ষরেখা বিস্তৃত দক্ষিণবঙ্গের একাধিক এলাকার উপর দিয়ে। তা ছাড়াও অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূল থেকে দক্ষিণ মায়ানমার উপকূল পর্যন্ত আরও একটি অক্ষরেখা বিস্তৃত রয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share