Tag: West Bengal

West Bengal

  • Weather Update: পুজোর আগে ফের তৈরি নিম্নচাপ! সতর্কতা দক্ষিণবঙ্গে, ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস

    Weather Update: পুজোর আগে ফের তৈরি নিম্নচাপ! সতর্কতা দক্ষিণবঙ্গে, ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এমনিতেই গত কয়েক দিনের টানা বৃষ্টি আর জলাধারের ছাড়া জলের জেরে রাজ্যের (West Bengal) একাধিক জেলায় বন্যা হয়ে গিয়েছে। এই আবহেই বঙ্গোপসাগরের ওপর মঙ্গলবার ফের তৈরি হয়ে গিয়েছে নিম্নচাপ অঞ্চল। ফলে, চলতি সপ্তাহে যে বৃষ্টির পরিমাণ আরও বাড়তে পারে সেই আভাসও মিলল। নিম্নচাপের জেরেই এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে দক্ষিণবঙ্গে। তার প্রভাবেই চলতি সপ্তাহ জুড়ে আবার বৃষ্টি হতে পারে দক্ষিণবঙ্গে। মাটি হতে পারে পুজোর বাজার। মাঝে কয়েক দিন রেহাই দিয়েছিল বৃষ্টি। মঙ্গলবার থেকে কলকাতা-সহ দক্ষিণের (Weather Update) বেশির ভাগ জেলায় আবার শুরু হয়েছে বৃষ্টি।

    কতদিন পর্যন্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা? (Weather Update)

    আলিপুর আবহাওয়া (Weather Update) দফতর জানিয়েছে, বুধবার থেকে ঝড়বৃষ্টি শুরু হবে দক্ষিণবঙ্গে। যা চলবে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত। কোনও কোনও জেলায় আবার ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। জারি করা হয়েছে সতর্কতা। উত্তরেও রয়েছে বৃষ্টির পূর্বাভাস। হাওয়া অফিস সূত্রে জানা গিয়েছে, মধ্য বঙ্গোপসাগরের ওপর রয়েছে একটি ঘূর্ণাবর্ত। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৭.৬ কিলোমিটার উঁচুতে রয়েছে সেই ঘূর্ণাবর্ত। তার প্রভাবে পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর এবং সংলগ্ন উত্তর অন্ধ্র এবং দক্ষিণ ওড়িশা উপকূলের কাছে সমুদ্রের ওপর তৈরি হয়েছে নিম্নচাপ অঞ্চল। তার প্রভাবেই বঙ্গোপসাগর থেকে ছুটে আসছে জলীয় বাষ্প, যার প্রভাবে দক্ষিণবঙ্গে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত রয়েছে বৃষ্টির সম্ভাবনা।

    আরও পড়ুন: পুড়ছে পাহাড়! শরতের গরমে জেরবার দার্জিলিং, কমছে পর্যটকের সংখ্যা

    দক্ষিণবঙ্গে কোন কোন জেলায় বৃষ্টি?

    ঘূর্ণাবর্ত এবং নিম্নচাপ- এই দু’য়ের জেরে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে বিক্ষিপ্তভাবে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির পূর্বাভাস (Weather Update) দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবারও নদিয়া, মুর্শিদাবাদ, পুরুলিয়া এবং পূর্ব বর্ধমান বাদ দিয়ে দক্ষিণবঙ্গের বাকি জেলাগুলিতে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। বৃষ্টির পরিমাণ বাড়তে পারে বুধবার এবং বৃহস্পতিবার। ওই দিন রাজ্যের উপকূলবর্তী দুই জেলা দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুর ছাড়াও পশ্চিম বর্ধমান, পশ্চিম মেদিনীপুর, বীরভূম এবং মুর্শিদাবাদে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। দক্ষিণবঙ্গের বাকি জেলাগুলিতে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। দুই মেদিনীপুর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনায় বুধ এবং বৃহস্পতিবার ঘণ্টায় ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে।

    ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা উত্তরবঙ্গেও

    শুক্রবার পর্যন্ত ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতেও। মঙ্গল এবং বুধবার ভারী বৃষ্টি হতে পারে মালদা, উত্তর দিনাজপুর, দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহারের কিছু এলাকায়। শুক্রবার ভারী বৃষ্টি হতে পারে দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি এবং আলিপুরদুয়ার জেলায়। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর এবং দক্ষিণ মায়ানমার উপকূল সংলগ্ন এলাকায় দু’টি ঘূর্ণাবর্ত রয়েছে। মৌসুমি অক্ষরেখা বিস্তৃত দক্ষিণবঙ্গের একাধিক এলাকার উপর দিয়ে। তা ছাড়াও অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূল থেকে দক্ষিণ মায়ানমার উপকূল পর্যন্ত আরও একটি অক্ষরেখা বিস্তৃত রয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Dilip Ghosh: কেষ্টর বাড়ি ফেরার দিনেই মমতার বীরভূম সফর! ‘‘বড় মিলন উৎসব’’, কটাক্ষ দিলীপের

    Dilip Ghosh: কেষ্টর বাড়ি ফেরার দিনেই মমতার বীরভূম সফর! ‘‘বড় মিলন উৎসব’’, কটাক্ষ দিলীপের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুবছর পর জামিন পেয়ে মঙ্গলবার সকালে বীরভূমের বাড়িতে ফিরলেন গরু চুরির দায়ে জেল খাটা দাপুটে তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল। আর এদিনই বীরভূম সফরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একই দিনে তৃণমূলের দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতার ঘরে ফেরা এবং মুখ্যমন্ত্রীর ওই জেলা সফরকে ‘‘বড় মিলন উৎসব’’ বলেও কটাক্ষ করতে ছাড়লেন না বিজেপির দাপুটে নেতা দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। 

    অনুব্রতর ফেরার দিনেই মমতার জেলা সফরকে কটাক্ষ (Dilip Ghosh)

    অনুব্রতর (Anubrata Mondal) এই ঘরে ফেরার দিনেই বীরভূম জেলা সফরে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বোলপুর গীতাঞ্জলি প্রেক্ষাগৃহে প্রশাসনিক বৈঠক করেন তিনি। এই নিয়ে মমতার বীরভূম সফরকে তীব্র কটাক্ষ করলেন দিলীপ ঘোষ। তিনি (Dilip Ghosh) বলেন, ‘‘বীরভূম থেকে দলের আয় কমে গিয়েছে। আবার মালকড়ি আসার প্রস্তুতি কী হল, সবকিছু খতিয়ে দেখার জন্য বীরভূমে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি সবকিছু ঠিক আছে কি না, নাকি কাজল শেখ সব খেয়ে নিল, এগুলোও দেখতে দিদি বীরভূম যাচ্ছেন। সেখানে আজ বিরাট বড় মিলন উৎসব হবে। পার্টি হবে। চুরির দায়ে জেল খাটা নেতা ছাড়া পেয়েছেন। তৃণমূল কংগ্রেসের কাছে এরাই গর্ব। এরাই তৃণমূল কংগ্রেসের কাছে বাঘ, সিংহ, হাতি। কারণ এদের সম্পত্তি আছে তো। যাঁরা সৎ সাধারণ নেতা তৃণমূল কংগ্রেসের কাছে তাঁদের কোনও গুরুত্ব নেই।’’

    আরও পড়ুন: পুড়ছে পাহাড়! শরতের গরমে জেরবার দার্জিলিং, কমছে পর্যটকের সংখ্যা

    বন্যা নিয়ে মমতাকে তোপ

    মঙ্গলবার সকালে বর্ধমান শহরের টাউন হল এলাকায় প্রাতঃভ্রমণ করতে যান দিলীপ ঘোষ। সেখানে রাজ্যের বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে তিনি (Dilip Ghosh) বলেন, ‘‘গত ১৩ বছরে বন্যা নিয়ন্ত্রণের জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কী পদক্ষেপ করেছেন? বৃষ্টি কমে গিয়েছে ওঁর কপাল ভালো। চাষ করার দরকার নেই কারণ কেন্দ্রীয় সরকার চাল দিচ্ছে। সেই চাল খেয়ে বেঁচে আছি। উত্তরবঙ্গে বন্যা হচ্ছে আর উনি বন্যা দেখতে যাচ্ছেন। গোড়ালি পর্যন্ত জলে দাঁড়িয়ে উনি সংবাদমাধ্যমের সামনে বক্তব্য দিয়ে চলে আসছেন। সেটাই ওঁর দায়িত্ব। বাকি এনজিও আর কেন্দ্রীয় সরকার ত্রাণ দেবে।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Darjeeling: পুড়ছে পাহাড়! শরতের গরমে জেরবার দার্জিলিং, কমছে পর্যটকের সংখ্যা

    Darjeeling: পুড়ছে পাহাড়! শরতের গরমে জেরবার দার্জিলিং, কমছে পর্যটকের সংখ্যা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সমতলে তো বটেই, শরতে পাহাড়েও অধরা হিমের পরশ। সকালের দিকে হালকা হিমেল হাওয়া থাকলেও বেলা বাড়তেই হাঁসফাঁস গরমে নাজেহাল অবস্থা শৈলশহর দার্জিলিংয়ে (Darjeeling)। পরিস্থিতি এমন যে, ভ্যাপসা গরম থেকে রেহাই পেতে পাহাড়ে ঘুরতে আসা পর্যটকরাও দিনের বেলায় হোটেলের বাইরে বেরই হচ্ছেন না। রাস্তাঘাট শুনশান। শীতল আবহাওয়ায় (Weather) অভ্যস্ত পাহাড়বাসীর গলদঘর্ম অবস্থা। পরিস্থিতি এমন যে, স্থানীয়রা এখন এসি কিনতে ছুটছেন! কালিম্পং, সিকিমেও একই পরিস্থিতি। ক্ষতির মুখে পর্যটন শিল্পও। শৈলশহরে এমন পরিস্থিতি আগে কখনও দেখেছেন বলে মনে করতে পারছেন না আবহাওয়াবিদরা।

    পুড়ছে পাহাড়! (Darjeeling)

    সাধারণত, সেপ্টেম্বরের শেষের দিক থেকেই পাহাড়ে (Darjeeling) শীতের আমেজ শুরু হয়। কিন্তু এবার যেন উলটপুরাণ। দুপুরে রাস্তাঘাট জনশূন্য থাকলেও বিকেলের পর ভিড় বাড়ছে ম্যাল সহ শহরের অন্যত্র। হাওয়া অফিসের তথ্য অনুযায়ী, গত কয়েক দিন ধরে পাহাড়ে সর্বোচ্চ  তাপমাত্রা ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে। সোমবার তাপমাত্রা ছিল ২৮ ডিগ্রির আশপাশে। এবার প্রায় ৩০ বছরের উষ্ণতার রেকর্ড ভেঙেছে পাহাড়। আবহাওয়া দফতর বলছে, ক্রমশ উষ্ণতা বাড়ছে পাহাড়ে। শিলিগুড়ি থেকে জলপাইগুড়ি- কোথাও তাপমাত্রা ৩২ ডিগ্রি, তো কোথাও ৩১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সিকিম আবহাওয়া দফতরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, সোমবার সিকিমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৬.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, দার্জিলিংয়ে দুপুরে তাপমাত্রা ছিল ২৭.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, শিলিগুড়িতে তাপমাত্রা ৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ঘোরাফেরা করছে। জানা গিয়েছে, মঙ্গলবারের পর থেকে বিক্ষিপ্ত জায়গায় বৃষ্টি শুরু হতে পারে। এমন বেশ কিছু জায়গায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

    আরও পড়ুন: বন্যা মোকাবিলায় কেন্দ্রের পদক্ষেপ তুলে ধরে রাজ্যকে পরামর্শ রাজ্যপালের

     পাহাড়ে এমন তাপমাত্রা কেন?

    পরিবেশবিদরা এর জন্য দায়ী করছেন বছরের পর বছর ধরে পাহাড়ে হয়ে চলা অপরিকল্পিত নির্মাণকে। আর এই নির্মাণ বাড়ার কারণে গরমও বাড়ছে বলে দাবি করেন তাঁরা। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাঞ্চলীয় অধিকর্তা সোমনাথ দত্ত মনে করছেন, কোনও জায়গায় বাধা না পেয়ে সূর্যরশ্মি পড়লে গরম বাড়ে। দার্জিলিংয়ে (Darjeeling) গরমের কারণ এটাই। দক্ষিণবঙ্গে নিম্নচাপ ছিল। উত্তরের আকাশের পরিষ্কার হওয়ার কারণে গরম বেড়েছে।

    গরমে কমছে পর্যটক!

    হিমালয়ান হসপিটালিটি অ্যান্ড ট্যুরিজম ডেভেলপমেন্ট নেটওয়ার্ক এর সম্পাদক সম্রাট স্যানাল বলেন, গরমের কারণেই পাহাড়ে পর্যটকের সংখ্যা খুবই কম। দিনের বেলায় ম্যাল মোটামুটি ফাঁকাই থাকছে। দাজিলিং (Darjeeling) শহরে তাপমাত্রা বাড়লেও পাহাড়ের গ্রামীণ জায়গাগুলোতে তাপমাত্রা কিন্তু স্বাভাবিকই রয়েছে। আর ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক বন্ধ থাকার ফলে পর্যটকদের একাংশ হয়ত ভাবছেন, দার্জিলিংয়ে যাতায়াত এখন বন্ধ। কিন্তু সেটা তো নয়।

    পর্যটকরা কী বললেন?

    দার্জিলিং (Darjeeling) বেড়াতে এসে তীব্র গরমে হতাশ পর্যটকরা। এক পর্যটক বলেন, গরমে একটু স্বস্তির জন্য দার্জিলিং এসেছিলাম। কিন্তু এখানে গত দু’দিন ধরে যা গরম, তাতে হোটেলের বাইরে বেরোনো যাচ্ছে না। আনন্দটাই মাটি হয়ে গেল। আর এক পর্যটক বলেন, এই সময়ে আগেও দার্জিলিতে এসেছি। কিন্তু এরকম আবহাওয়া দেখিনি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • CBI: আরজি করকাণ্ডে সিবিআই খুলবে সিএফএসএল রিপোর্ট, নার্কো টেস্ট নিয়ে কী জানাল আদালত?

    CBI: আরজি করকাণ্ডে সিবিআই খুলবে সিএফএসএল রিপোর্ট, নার্কো টেস্ট নিয়ে কী জানাল আদালত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করের ঘটনাস্থলের নমুনা সংক্রান্ত সিএফএসএল রিপোর্ট সিবিআইয়ের (CBI) হাতে এল। সেই রিপোর্ট খোলার অনুমতি দিল আদালত। অন্যদিকে, সন্দীপ ঘোষের নার্কো অ্যানালাসিস টেস্টের অনুমোদন নেওয়ার দিন পিছিয়ে গেল। কারণ, সিবিআই শুনানি পিছিয়ে দেওয়ার আবেদন জানিয়েছে। সোমবার আলিপুর কোর্টে ছিল সন্দীপ ঘোষের দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলার শুনানি। অন্যদিকে, শিয়ালদা কোর্টে ছিল নির্যাতিতার-মামলার শুনানি। সিএফএসএল রিপোর্ট আসার বিষয়টি আদালতে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সংস্থা।

    আদালতে কী আবেদন জানাল সিবিআই? (CBI)

    সিএফএসএল রিপোর্ট খোলার জন্য আদালতে আবেদন করে সিবিআই। আদালত সেই অনুমতি দেয়। নিয়ম অনুযায়ী, সাক্ষীদের উপস্থিতিতে রিপোর্ট খোলাই নিয়ম। জানা গিয়েছে, টালা থানার তৎকালীন ওসি অভিজিৎ মণ্ডল ও সন্দীপ ঘোষের নার্কো টেস্টের অনুমতি নেওয়ার আবেদন জানানোর কথা ছিল সোমবার। কিন্তু, তা পিছিয়ে দেওয়ার আবেদন জানায় সিবিআই। কেন্দ্রীয় সংস্থার (CBI) কথায় সিএফএসএল এক্সপার্ট অন্য মামলায় ব্যস্ত থাকবেন। তাই ২৫ সেপ্টেম্বর আদালতের অনুমতি নেওয়ার আবেদন জানালে ভালো হয়। সিবিআই-এর এই আর্জি মেনে নিয়েছে আদালত। অর্থাৎ সন্দীপের নার্কো আর অভিজিতের পলিগ্রাফ পরীক্ষা হবে কিনা তা ঠিক করা হবে আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর। সিবিআই-এর আইনজীবী আদালতে জানান, ঘটনাস্থল থেকে নতুন বেশ কিছু নমুনা বাজেয়াপ্ত করেছে। সেগুলি ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

    আরও পড়ুন: বন্যা মোকাবিলায় কেন্দ্রের পদক্ষেপ তুলে ধরে রাজ্যকে পরামর্শ রাজ্যপালের

    সন্দীপরা প্রভাবশালী!

    সিবিআই (CBI) এদিন আদালতে জানায়, সন্দীপরা (Sandip Ghosh) প্রভাবশালী। ডিজিটাল ডেটা ক্লোন করতে দেওয়া হয়েছে। তাই তদন্তের স্বার্থে তাদের ১৪ দিনের জন্য জেল হেফাজতে পাঠানো হোক। ধৃত সন্দীপ ঘোষ-সহ চারজনকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিল আলিপুর বিশেষ সিবিআই আদালত। আরজি করে চিকিৎসক হত্যা ও খুনের ঘটনা ঘটে গত ৯ অগাস্ট। সেই সময় আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ ছিলেন সন্দীপ ঘোষ আর টালা থানার ওসি ছিলেন অভিজিৎ মণ্ডল। পরবর্তীকালে দুজনকেই তাঁদের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। তবে, এই মামলায় এবার দুইজনকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar: ‘করেননি ক্লাস, মানেননি নিয়ম’! ডিনের চিঠিতে প্রকাশ্যে পিজি-তে অভীকের দৌরাত্ম্য

    RG Kar: ‘করেননি ক্লাস, মানেননি নিয়ম’! ডিনের চিঠিতে প্রকাশ্যে পিজি-তে অভীকের দৌরাত্ম্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করকাণ্ডে (RG Kar) ধৃত সন্দীপ ঘোষের ঘনিষ্ঠ অভীক দে-র বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ সামনে এল। জানা গিয়েছে, পিজি (এসএসকেএম) হাসপাতালে নিজের ক্ষমতার দেখিয়ে যা খুশি করতেন। কোনও নিয়মের তোয়াক্কা করতেন না। করতেন না ক্লাস। দিতেন না অ্যাটেনডেন্স। অথচ, তাঁর বিরুদ্ধে কারও কথা বলার সাহস ছিল না। তাঁর দাপটের কথা সামনে আসতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে।

    ঠিক কী অভিযোগ? (RG Kar)

    চিকিৎসক পড়ুয়া অভীক দে-র বেনিয়মের আরও নজির প্রকাশ্যে এসেছে সোমবার। আরজি কর (RG Kar) হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের মর্মান্তিক খুনের আগের দিন থেকেই পিজিতে গরহাজির ছিলেন অভীক দে। গত ৮ অগাস্ট ওই খুনের ঘটনা ঘটে। তার আগের দিন থেকে গোটা মাস, এমনকী সেপ্টেম্বরেও কলেজে অনুপস্থিত তিনি। অভীক দে এসএসকেএমের জেনারেল সার্জারি বিভাগের স্নাতকোত্তর পড়ুয়া বা পিজিটি। তাই গত ৪ সেপ্টেম্বর পিজি হাসপাতালের ডিন অভিজিৎ হাজরা বিষয়টি লিখিতভাবে জানান রাজ্যের তৎকালীন স্বাস্থ্য-শিক্ষা অধিকর্তা কৌস্তভ নায়েককে। সেই চিঠি সোমবার প্রকাশ্যে এসেছে। সেই চিঠিতে অভীকের গরহাজিরার খতিয়ান দেওয়ার পাশাপাশি তাঁর নানাবিধ অনিয়মের কথাও চিঠিতে তুলে ধরে ডিন লেখেন, ‘এমন বেনজির পরিস্থিতিতে পিজি-কে এর আগে পড়তে হয়নি।’ কোনও রকম ‘ইন্টিমেশন’ ছাড়াই যে অভীক ডিউটি করছেন না, ক্লাস করছেন না, সে কথা জেনারেল সার্জারি বিভাগ থেকে ৩ সেপ্টেম্বর জানার পরেই এই চিঠি লেখেন ডিন। স্বাস্থ্য-অধিকর্তার থেকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ চান তিনি।

    আরও পড়ুন: বন্যা মোকাবিলায় কেন্দ্রের পদক্ষেপ তুলে ধরে রাজ্যকে পরামর্শ রাজ্যপালের

    ডিনের চিঠিতে কী কী উল্লেখ রয়েছে?

    স্বাস্থ্য ভবন (RG Kar) সূত্রের খবর, বিষয়টি খতিয়ে দেখে এর কিছু দিন পরেই অভীককে (Avik Dey) সাসপেন্ড করে স্বাস্থ্য দফতর। কী কী অনিয়মের কথা তুলে ধরা হয়েছে ডিনের লেখা চিঠিতে? ২০২৪-এর ২০ ফেব্রুয়ারি জেনারেল সার্জারির পিজিটি হিসেবে অভীক কাজে যোগ দিলেও তিনি স্বাস্থ্যবিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয়ে নিজের নাম নথিভুক্ত করার নিয়মটি মানেননি। ইতিমধ্যে ছ’মাস পেরিয়ে গেলেও থিসিসের সিনপসিস জমা দেননি অভীক। এমনকী, ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশন (এনএমসি)-এর নিয়ম মেনে আধার যুক্ত বায়োমেট্রিক অ্যাটেন্ডেন্স সিস্টেমেও নিজেকে রেজিস্টার করাননি তিনি। ফলে তাঁর হাজিরা এত দিন পরেও শূন্য। ডিন অফিস থেকে পিজিটি-দের সচিত্র পরিচয়পত্রও তোলেননি। এতগুলি অনিয়মের সাক্ষী, এর আগে পিজি কর্তৃপক্ষ কখনও হননি বলেও চিঠিতে দাবি করেছেন ডিন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • CV Ananda Bose: বন্যা মোকাবিলায় কেন্দ্রের পদক্ষেপ তুলে ধরে রাজ্যকে পরামর্শ রাজ্যপালের

    CV Ananda Bose: বন্যা মোকাবিলায় কেন্দ্রের পদক্ষেপ তুলে ধরে রাজ্যকে পরামর্শ রাজ্যপালের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টানা বৃষ্টির পাশাপাশি একাধিক জলাধার থেকে জলছাড়ার ফলে রাজ্যের বেশ কয়েকটি জেলায় বন্যার (Flood) পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। হাজার হাজার বিঘা চাষের জমি জলের তলায়। কয়েক হাজার মানুষ ঘরছাড়া। ত্রাণ নিয়ে ক্ষোভ বাড়ছে সাধারণ মানুষের মধ্যে। এই আবহে সাধারণ মানুষের স্বার্থে কেন্দ্রীয় সরকার যে পরিকল্পনা ও অর্থ বরাদ্দ করেছে তা বাস্তবায়িত করার পরামর্শ দিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose)। কেন্দ্রীয় সরকারের সংস্থা ডিভিসি অপরিকল্পিতভাবে জল ছাড়ায় দক্ষিণবঙ্গে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রধানমন্ত্রীকে ২০ সেপ্টেম্বর চিঠিও পাঠিয়েছেন তিনি। এই পরিস্থিতিতে সোমবার রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের দফতর থেকে পশ্চিমবঙ্গ-সহ কয়েকটি রাজ্যে বন্যা মোকাবিলায় কেন্দ্রের বিভিন্ন পদক্ষেপ সম্পর্কে বার্তা দেওয়া হল বলেই রাজনৈতিক মহল মনে করছে।

    রাজভবনের তরফে কী বার্তা দেওয়া হল? (CV Ananda Bose)

    সোমবার সন্ধ্যায় রাজভবনের (CV Ananda Bose) তরফে এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে এই বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে। রাজভবনের তরফে বলা হয়েছে, কেন্দ্রীয় সরকারের অধীন বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী (এনডিআরএফ) গুরুতর বিপর্যয়ের জন্য সবরকম সহায়তা প্রদান করে। এই সংক্রান্ত যে তহবিল রয়েছে তা কার্যকরভাবে ব্যবহার করে পশ্চিমবঙ্গ সরকার বন্যা মোকাবিলা ব্যবস্থাকে জোরদার করতে পারে। কেন্দ্রীয় সরকার কী পদক্ষেপ নিয়েছে তার উল্লেখও করা হয়েছে রাজভবনের পোস্টে। সেখানে বলা হয়েছে, “ভারত সরকার জীবনের এবং সম্পত্তির ওপর বন্যার প্রভাব কমানোর এবং সুরক্ষার জন্য বেশ কয়েকটি বন্যা ব্যবস্থাপনার উদ্যোগ নিয়েছে। রাজ্য সরকারগুলির জন্য বন্যার আগে, বন্যার সময় এবং বন্যার পরে গ্রহণযোগ্য পদক্ষেপ করতে বলা হয়েছে। গঙ্গা এবং তার উপনদীগুলির পাশ দিয়ে শক্তিশালী বাঁধ নির্মাণ করা আবশ্যক। বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গে নদীর জল উপচে পড়া প্রতিরোধ করার জন্য এই ব্যবস্থা প্রয়োজনীয়। হাওড়া, হুগলি এবং উত্তর ২৪ পরগনা জেলাগুলিতে নদীর বাঁধ শক্তিশালী করা উচিত, যাতে ক্ষতি আটকানো যায়। বন্যার ঝুঁকি কমাতে এবং জলপ্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করতে এবং দামোদরের মতো নদীগুলির চ্যানেলাইজেশন করাও উচিত।”

    আরও পড়ুন: ‘নির্যাতিতার আত্মীয় না হয়েও শ্মশানের নথিতে সই’, বিস্ফোরক পোস্ট শুভেন্দুর

    আর্থিক বরাদ্দের পরিমাণ জানানো হয়েছে

    জাতীয় ও রাজ্য দুর্যোগ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা তহবিল কর্মসূচির কথা জানিয়ে লেখা (CV Ananda Bose) হয়েছে, “১৫তম অর্থ কমিশন জাতীয় দুর্যোগ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা তহবিল (এনডিআরএমএফ) এবং রাজ্য দুর্যোগ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা তহবিল (এসডিআরএমএফ) তৈরি করার সুপারিশ করেছে। ২০২১-২৬-এর জন্য এসডিআরএমএফ-এ ১ লক্ষ ৬০ হাজার ১৫৩ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। এর মধ্যে রাজ্য দুর্যোগ প্রতিক্রিয়া তহবিলের জন্য ৮০ শতাংশ এবং রাজ্য দুর্যোগ প্রশমন তহবিলের জন্য ৩২ হাজার ৩১ কোটি টাকা (২০ শতাংশ) বরাদ্দ করা হয়েছে। ২০২১-২৬-এ এনডিআরএমএফ-এর বরাদ্দ ৬৮ হাজার ৪৬৩ কোটি টাকা। এর মধ্যে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা তহবিলের জন্য ৫৪ হাজার ৭৭০ কোটি টাকা (৮০ শতাংশ) বরাদ্দ করা হয়েছে। জাতীয় দুর্যোগ প্রশমন তহবিলের জন্য ১৩ হাজার ৬৯৩ কোটি টাকা (২০ শতাংশ) বরাদ্দ করা হয়েছে।” বিশেষ করে মালদার মতো জেলাগুলিতে গঙ্গার ভাঙন-প্রবণ তীরগুলির জন্য প্রাসঙ্গিক, তীব্র ভাঙন দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পুনর্বাসনের জন্য বরাদ্দের পরিমাণ হাজার কোটি টাকা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘নির্যাতিতার আত্মীয় না হয়েও শ্মশানের নথিতে সই’, বিস্ফোরক পোস্ট শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘নির্যাতিতার আত্মীয় না হয়েও শ্মশানের নথিতে সই’, বিস্ফোরক পোস্ট শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নির্যাতিতার কাকুর পরিচয় দিয়ে দ্রুত ময়নাতদন্ত না করলে রক্ত গঙ্গা বইয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন প্রাক্তন কাউন্সিলর সঞ্জীব মুখোপাধ্যায়। এমনই অভিযোগ করেছেন আরজি কর মেডিক্যালের ফরেন্সিক বিভাগের অধ্যাপক অপূর্ব বিশ্বাস। ময়না তদন্তকারী এই চিকিৎসকের দাবিকে হাতিয়ার করে ফের তৃণমূলকে নিশানা করলেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।

    মমতার নির্দেশে শ্মশানে বিধায়ক, কাকুর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন (Suvendu Adhikari)

    এবার সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব হলেন শুভেন্দু। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি (Suvendu Adhikari) লিখলেন, ‘জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সিবিআই দফতর থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় ময়না তদন্তকারী চিকিৎসক বিস্ফোরক তথ্য সামনে এনেছেন। দাবি করেছেন, নির্যাতিতা চিকিৎসকের কাকু পরিচয় দিয়ে এক ব্যক্তি হুমকি দেয়, ময়নাতদন্ত দ্রুত না করলে রক্তগঙ্গা বইবে। ওই ব্যক্তি পানিহাটি পুরসভার প্রাক্তন সিপিএম কাউন্সিলর, যিনি পরে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন এবং পানিহাটির তৃণমূল বিধায়ক নির্মল ঘোষের ঘনিষ্ঠ। সবাই জানে চিকিৎসকের দেহ তাড়াহুড়ো করে সৎকার করা হয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে শ্মশানে হাজির ছিলেন পানিহাটির তৃণমূল বিধায়ক। এটা আরও আশ্চর্যের যে, সঞ্জীব মুখোপাধ্যায় নিহতের আত্মীয় না হয়েও শ্মশানের নথিতে সই করেছিলেন।’

     

    কে এই পানিহাটির কাকু?

    কালীঘাটের কাকুর পর সম্প্রতি বঙ্গ রাজনীতিতে আরও এক কাকুর আবির্ভাব ঘটেছে। কেউ তাঁকে বলছেন, ‘শ্মশানঘাটের কাকু’, কেউ আবার বলছেন ‘পানিহাটির কাকু’। এই কাকু আরজি করের (RG Kar) নির্যাতিতার পাশের বাড়ির বাসিন্দা। তাঁর নাম সঞ্জীব মুখোপাধ্যায়। সঞ্জীবকে ‘কাকু’ বলেই সম্বোধন করতেন নির্যাতিতা। এক সময়ে তিনি ছিলেন সিপিএমের কাউন্সিলর। তার পর ভোটে হেরে গিয়ে বেশ কয়েক বছর ‘দলহীন’। ২০১৯ সালে যোগ দেন তৃণমূলে। সেই যোগদান পর্বে ছিলেন পানিহাটির তৃণমূল বিধায়ক নির্মল ঘোষ (নান্টু) এবং জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। প্রথম জনকে আরজি করের ধর্ষণ এবং খুনের মামলায় সোমবার জিজ্ঞাসাবাদ করছে সিবিআই। আর দ্বিতীয় জন খাদ্য দুর্নীতি মামলায় আপাতত জেলে। সঞ্জীব পেশায় ব্যবসায়ী। বাংলার বাইরেও তাঁর ব্যবসার কাজ চলে। জানা গিয়েছে, মূলত বৈদ্যুতিক প্রকল্পে ঠিকাদারি করেন তিনি। তৃণমূল বিধায়ক ঘনিষ্ঠ হিসেবে তিনি পরিচিত।

    আরও পড়ুন: তিরুপতির লাড্ডুর ঘি কীভাবে তৈরি হত? জানতে উচ্চপর্যায়ের সিট গঠন চন্দ্রবাবুর

    কী বললেন প্রাক্তন কাউন্সিলর?  

    জানা গিয়েছে, ৯ অগস্ট রাতে পানিহাটির শ্মশানঘাটে অনেকের সঙ্গে ছিলেন সঞ্জীব। যেমন ছিলেন বিধায়ক নির্মলও। ইতিমধ্যেই অভিযোগ উঠেছে, নির্যাতিতার দেহ ‘তড়িঘড়ি’ দাহ করার জন্য সেই রাতে পরিবারের উপর ‘চাপ’ তৈরি করা হয়েছিল। সঞ্জীব বলেন, “সেই সময়ে আমার এ সব কথা বলার অবস্থাই ছিল না। অত পুলিশ, স্বাস্থ্য দফতরের শীর্ষ আধিকারিক, অত ছাত্রছাত্রী- আমি ময়নাতদন্ত কখন হবে কি হবে না, সে কথা বলার আমি কে? আমাকে সিবিআই ডাকলে সমস্ত বিষয়টি বলব।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sandip Ghosh:  ১৮টি ডিভাইসের ক্লোনিং, আরজি করকাণ্ডে নয়া তথ্য সিবিআইয়ের হাতে

    Sandip Ghosh: ১৮টি ডিভাইসের ক্লোনিং, আরজি করকাণ্ডে নয়া তথ্য সিবিআইয়ের হাতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর হাসপাতালে আর্থিক দুর্নীতির মামলায় ধৃত প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ (Sandip Ghosh)- সহ চারজনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিল আদালত। বিচারক সুজিত কুমার ঝা ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। আগামী ৭ অক্টোবর পর্যন্ত জেলেই থাকবেন তাঁরা।

    ১৮টি ডিজিটাল ডিভাইসের ‘ক্লোনিং’ (Sandip Ghosh)

    সোমবার সন্দীপ-সহ (Sandip Ghosh) আরজি করে আর্থিক দুর্নীতি মামলায় ধৃত চার জনের শুনানি হয় আলিপুরে সিবিআই বিশেষ আদালতে। আদালতে সিবিআইয়ের (CBI) দাবি ছিল, আরজি করে দুর্নীতিতে অভিযুক্তেরা ‘অত্যন্ত প্রভাবশালী’। ফলে, তাঁরা অন্য সাক্ষীদের প্রভাবিত করতে পারেন। সিবিআইয়ের এই যুক্তি শুনেই শেষমেশ অভিযুক্তদের আগামী ৭ অক্টোবর পর্যন্ত বিচার বিভাগীয় হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন বিচারক। সন্দীপ ছাড়াও জেল হেফাজত হল সুমন হাজরা, বিপ্লব সিংহ এবং সন্দীপের নিরাপত্তারক্ষী আফসর আলির। আর্থিক দুর্নীতি মামলায় সিবিআইয়ের আরও দাবি, মোবাইল, ল্যাপটপ, হার্ড ডিস্ক, মেমরি কার্ড-সহ অন্তত ১৮টি ডিজিটাল ডিভাইসের ‘ক্লোনিং’ করা হয়েছে। সেগুলি খতিয়ে দেখছে সিবিআই। ওই যন্ত্রগুলিতে থাকা নথি থেকে তদন্তে সহায়ক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মিলতে পারে বলেও মনে করছে। এই মামলায় ধৃত সুমন ও বিপ্লবের বিরুদ্ধেও আর্থিক দুর্নীতিতে যুক্ত থাকার একাধিক অভিযোগ রয়েছে। সন্দীপের ঘনিষ্ঠ হওয়ার সুবাদে এই দু’জনের সংস্থাই হাসপাতালে বিভিন্ন জিনিস সরবরাহ করত। আফসর হাসপাতালের অ্যাডিশনাল সিকিউরিটির পদে কাজ করতেন। সন্দীপের নিরাপত্তা রক্ষীর দায়িত্বে থাকায় হাসপাতালে তাঁর বিরুদ্ধে ‘দাদাগিরি’রও অভিযোগ রয়েছে।

    আরও পড়ুন: তিরুপতির লাড্ডুর ঘি কীভাবে তৈরি হত? জানতে উচ্চপর্যায়ের সিট গঠন চন্দ্রবাবুর

    আরজি করে টেন্ডার দুর্নীতি

    প্রসঙ্গত, আরজি করের আর্থিক দুর্নীতি মামলায় গত ১৯ অগাস্ট সন্দীপ ঘোষ-সহ ৪ জনকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। টেন্ডার দুর্নীতি থেকে সরকারি টাকা নয়ছয়ের অভিযোগ রয়েছে সন্দীপের (Sandip Ghosh) বিরুদ্ধে। আরজি কর হাসপাতালের ফুড স্টল, ক্যাফে, ক্যান্টিনের জায়গা টেন্ডার না ডেকেই বণ্টন করা হয়েছে বলে অভিযোগ। সরবরাহকারীদের কাজের বরাত দেওয়ার জন্য তাঁর বিরুদ্ধে স্বজনপোষণের অভিযোগ উঠেছে। হাসপাতালের জৈব বর্জ্য বেআইনিভাবে বাইরে বিক্রি করাতেও  নাম জড়িয়েছে সন্দীপের। কলকাতা হাইকোর্টে এই সব অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা করেন হাসপাতালের প্রাক্তন অতিরিক্ত সুপার আখতার আলি। সেই মামলার তদন্ত ভার দেওয়া হয় সিবিআইকে। পরে, নির্যাতিতা খুনের ঘটনায়ও সন্দীপকে গ্রেফতার করা হয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Hiran Chaterjee: ‘‘ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান হবে কী করে? কোটি কোটি খরচ হচ্ছে…’’, দেবকে কটাক্ষ হিরণের

    Hiran Chaterjee: ‘‘ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান হবে কী করে? কোটি কোটি খরচ হচ্ছে…’’, দেবকে কটাক্ষ হিরণের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টানা বৃষ্টি আর জলাধারের ছাড়া জলের কারণে বন্যায় ডুবেছে পশ্চিম মেদিনীপুরের  ঘাটাল। এলাকার তৃণমূল সাংসদ দেব প্লাবিত এলাকা পরিদর্শনে যান। বন্যার পর থেকেই ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান প্রসঙ্গে কথা উঠছে। তৃতীয় বার ঘাটালের নির্বাচিত সাংসদ দেব। এখনও ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান বাস্তবায়নের বিষয়ে তেমন কোনও অগ্রগতি হয়নি। বন্যার পরিস্থিতি অত্যন্ত খারাপ। বিভিন্ন মহলে আবার ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান প্রসঙ্গে চর্চা হচ্ছে। রাজ্য সরকার জানিয়েছে, দুই বছরের মধ্যে এই মাস্টার প্ল্যান বাস্তবায়ন হবে। দেব রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে সেই দায়িত্ব নিয়েছেন। এবার সেই ইস্যুতে খোঁচা দিলেন বিজেপি বিধায়ক হিরণ (Hiran Chaterjee)।

    আরও পড়ুন: তিরুপতির লাড্ডুর ঘি কীভাবে তৈরি হত? জানতে উচ্চপর্যায়ের সিট গঠন চন্দ্রবাবুর

    ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের কোটি কোটি খরচ আরজি কর মামলায়! (Hiran Chaterjee)

    প্রায় চার দশক ধরে হচ্ছে, হবেই চলছে শুধু। ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের বাস্তবায়ন হয়নি এখনও। রাজ্যের তরফে যদিও সেই নিয়ে কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে বলে জানানো হয়েছে। এই বিষয়ে কটাক্ষ করেছেন বিজেপি নেতা হিরণ চট্টোপাধ্যায়। তিনি (Hiran Chaterjee) বলেন, ‘‘ঘাটালের মানুষ ওঁর (দেব) ওপর বিশ্বাস রেখেছিলেন। এখন যাঁরা জলের তলায় আছেন, তাঁরাই বিচার করুন। আমার যতটা সাধ্য আমি করব। আসলে ওঁর সরকার তো আরজি কর কাণ্ড কী ভাবে চাপা দেওয়া যায়, তার জন্য কপিল সিব্বল ও ২১ জন আইনজীবীকে নিয়ে একটা অসহায় মেয়ের বিরুদ্ধে লড়াই করছে। ওখানে কোটি কোটি টাকা খরচ হয়ে যাচ্ছে। এখানে আর কী করে খরচ করবেন? আমার মনে হয়, ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের টাকা দিয়েই হয়ত আরজি করের মামলা চালাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। জনসমক্ষে তো আর বলতে পারবেন না! তাই সাংসদ অসহায়, নিরুপায়। কী বলবেন বুঝতে পারছেন না। নানা রকম কথা বলতে হচ্ছে। ঘাটাল, পাঁশকুড়ার মানুষের জন্য কষ্ট হয়, দুঃখ হয়। ওঁকে ভোট দিয়ে জিতিয়েছিলেন। কিন্তু এখন জলের তলায়। ঘাটালবাসীর জন্য হৃদয় থেকে কষ্ট হয়।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar: ‘দ্রুত পোস্টমর্টেম না হলে রক্তগঙ্গা বয়ে যাবে’! চিকিৎসককে হুমকি প্রাক্তন কাউন্সিলরের

    RG Kar: ‘দ্রুত পোস্টমর্টেম না হলে রক্তগঙ্গা বয়ে যাবে’! চিকিৎসককে হুমকি প্রাক্তন কাউন্সিলরের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘‘দ্রুত পোস্টমর্টেম না হলে রক্তগঙ্গা বয়ে যাবে!’’ আরজি করের ফরেন্সিক মেডিসিনের অধ্যাপক অপূর্ব বিশ্বাসকে ঠিক এই ভাষায় হুমকি দিয়েছিলেন স্থানীয় এক প্রাক্তন কাউন্সিলর। এমনই অভিযোগ ওই চিকিৎসকের। আরও জানান, নিজেকে নির্যাতিতার ‘কাকা’ পরিচয় দিয়ে ফোন করেন ওই কাউন্সিলর।

    পোস্টমর্টেম না হলে রক্তগঙ্গা বয়ে যাবে (RG Kar)

    আরজি করকাণ্ডে (RG Kar) ফের সিবিআই দফতরে তলব করা হয়েঠিল চিকিৎসক বিরূপাক্ষ বিশ্বাস, অভীক দে এবং সৌরভ পালকে। সেইসঙ্গে ডাকা হয়েছিল চিকিৎসক অপূর্ব বিশ্বাসকেও। নির্যাতিতার ময়না তদন্ত যে-তিন চিকিৎসক করেছিলেন, তাঁদের মধ্যে একজন হলেন তিনি। ফরেন্সিক মেডিসিনের অধ্যাপক অপূর্ববাবু নির্যাতিতার ময়না তদন্ত করা নিয়ে রীতিমতো বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন। জানালেন, তাঁর ওপর কীভাবে দ্রুত পোস্টমর্টেম করার জন্য চাপসৃষ্টি করা হয়েছিল। 

    সিবিআই দফতর থেকে বেরিয়ে চিকিৎসক অপূর্ব বিশ্বাস বলেন, এক প্রাক্তন কাউন্সিলর সেদিন (৯ অগাস্ট) তড়িঘড়ি ময়নাতদন্ত করতে চাপ দিয়েছিলেন। নিজেকে নির্যাতিতার (RG Kar) কাকা পরিচয় দেওয়া ওই প্রাক্তন কাউন্সিলর সেখানে ছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ওইদিন দ্রুত পোস্টমর্টেম না হলে রক্তগঙ্গা বয়ে যাবে। তবে, তিনি রক্তের সম্পর্কের কেউ নন। বাইরের কেউ। বলেছিল ওই দিনই পোস্টমর্টেম করতে হবে। তিনি হলেন চিকিৎসকের বাড়ি যেখানে সেখানকার প্রাক্তন সিপিএম কাউন্সিলর। এনিয়ে অভিযুক্ত সেই কাউন্সিলর সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘‘এবার আমি এফআইআর করব। পুরো সাজিয়ে বলা হচ্ছে।’’ এদিকে গোটা ঘটনায় নানা প্রশ্ন উঠছে। সিপিএমের প্রাক্তন কাউন্সিলর বলে তিনি কোনও উল্লেখ করেননি। তবে ওখানকার প্রাক্তন কাউন্সিলর বলতে ওই সিপিএম কাউন্সিলর রয়েছেন। তবে, তাঁর কথাই ওই চিকিৎসক বলছেন কি না তা নিশ্চিত নয়। কারণ, ওই চিকিৎসক সরাসরি কারও নাম উল্লেখ করেননি।

    আরও পড়ুন: তিরুপতির লাড্ডুর ঘি কীভাবে তৈরি হত? জানতে উচ্চপর্যায়ের সিট গঠন চন্দ্রবাবুর

    হুমকি কেন মানলেন চিকিৎসকরা, উঠছে প্রশ্ন

    এমনিতেই নির্যাতিতার ময়না তদন্ত নিয়ে বহু প্রশ্ন উঠেছে। যে-বিষয়টি নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেছে সুপ্রিম কোটও। এবার বিষয়টি নিয়ে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করলেন চিকিৎসক অপূর্ব বিশ্বাস। কিন্তু, সেইসঙ্গে এই প্রশ্নও উঠছে যে, কেউ এমন হুমকি দিলেও সেই দাবি কেন মেনে নিয়েছিলেন ময়না তদন্তকারী চিকিৎসকরা। এদিকে রবিবার টালা থানার সাব ইনস্পেক্টর চিন্ময় বিশ্বাসকেও তলব করেছিল সিবিআই (CBI)। দীর্ঘক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তাঁকেও। প্রসঙ্গত, আরজি করের (RG Kar) মহিলা চিকিৎসকের মৃতদেহ উদ্ধার থেকে তাঁর দেহ দাহ করা। গোটা প্রক্রিয়ায় একটা অস্বাভাবিক তাড়াহুড়ো করা হয়েছিল। এমনটাই দাবি করা হয়েছিল বিভিন্ন মহল থেকে। সেই প্রশ্নের উত্তর খোঁজার চেষ্টা করছে সিবিআই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share