Tag: West Bengal

West Bengal

  • Nirmal Ghosh: দেহ কেন দ্রুত দাহ করা হল? সিবিআই দফতরে হাজিরা তৃণমূল বিধায়কের

    Nirmal Ghosh: দেহ কেন দ্রুত দাহ করা হল? সিবিআই দফতরে হাজিরা তৃণমূল বিধায়কের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় এবার পানিহাটির তৃণমূল বিধায়ক নির্মল ঘোষকে তলব করল সিবিআই (CBI)। সোমবার তাঁকে সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দিতে বলা হয়েছিল। সকাল ১১টার আগেই তিনি কেন্দ্রীয় সংস্থার দফতরে পৌঁছে যান। নির্যাতিতার দেহ দাহ করার সময়ে তৃণমূল বিধায়ক পানিহাটি শ্মশানে ছিলেন বলে পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়।

    তৃণমূল বিধায়কের তত্ত্বাবধানেই দ্রুত দেহ দাহ! (Nirmal Ghosh)

    জানা গিয়েছে, ৯ অগাস্ট নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গেই স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক নির্মল ঘোষ (Nirmal Ghosh) হাসপাতালে গিয়েছিলেন। আদালতের নির্দেশে এই মামলার তদন্ত করছে সিবিআই। তারা বিধায়কের বয়ানও রেকর্ড করছে। পরিবারের দাবি, ঘটনার রাতে প্রথমবার ময়না তদন্তের পর দেহ যখন আরজি কর থেকে বার করে নিয়ে আসা হয়, তখন সঠিক তদন্তের জন্য দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্ত চেয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু অভিযোগ, দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের আগেই দেহ দ্রুত আরজি কর থেকে বাড়িতে আনা হয়। বাবা-মা পৌঁছানোর আগেই সেই রাতে বাড়িতে পৌঁছে গিয়েছিলেন নির্যাতিতার দেহ। বাড়ির সামনে উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক নির্মল ঘোষ। অভিযোগ, বিধায়কের তত্ত্বাবধানেই দ্রুত দেহ পানিহাটি শ্মশানে নিয়ে গিয়ে দাহ করে দেওয়া হয়। সিবিআই সূত্রে খবর, আরজি করকাণ্ডের তদন্তে নেমে বেশ কিছু প্রশ্নের উত্তর বিধায়কের কাছ থেকে জানতে চান তদন্তকারীরা। সেই তথ্য জানতে সিবিআই-এর তরফ থেকে বিধায়কের কাছে ফোন যায়। সেই সূত্রেই তিনি এদিন হাজিরা দেন।  

    আরও পড়ুন: তিরুপতির লাড্ডুর ঘি কীভাবে তৈরি হত? জানতে উচ্চপর্যায়ের সিট গঠন চন্দ্রবাবুর

    কী বললেন নির্মল?

    সোমবার সিজিওতে পৌঁচ্ছে নির্মল (Nirmal Ghosh) বলেন, ‘‘এটা তো আমার এলাকার ঘটনা। আমার কিছু জিনিসপত্র জমা দেওয়ার আছে। তাই এসেছি।’’ ঘটনার দিন আরজি কর থেকে সংবাদমাধ্যমকে নির্মল বলেছিলেন, ‘‘আমাদের লক্ষ্য মূল অপরাধীকে ধরা। সকলে তার জন্য চেষ্টা করছেন। সিপি-সহ পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা এসেছেন। প্রশাসনিক কর্তারাও আছেন। একটি নৃশংস ঘটনা ঘটেছে। কর্তব্যরত চিকিৎসককে নৃশংস ভাবে খুন করা হয়েছে। বিচার সুনিশ্চিত করার জন্য আমাদের তরফ থেকে যা করার করছি। ক্যামেরার সামনেই যা হওয়ার হচ্ছে।’’ প্রসঙ্গত, আরজি করকাণ্ডে হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। গ্রেফতার করা হয়েছে টালা থানার তৎকালীন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলকেও। এই মামলায় চিকিৎসক বিরূপাক্ষ বিশ্বাস, অভীক দে, টালা থানার এসআইকে সিজিওতে তলব করে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন গোয়েন্দারা। নির্যাতিতার ময়নাতদন্ত করেছিলেন যে চিকিৎসক, সেই অপূর্ব বিশ্বাসকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। এ বার নির্মলকেও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: বন্যায় ভেঙেছে বাড়ি, বেতন থেকে দুর্গতকে ৫ লক্ষ টাকা তুলে দিলেন শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: বন্যায় ভেঙেছে বাড়ি, বেতন থেকে দুর্গতকে ৫ লক্ষ টাকা তুলে দিলেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অসহায় বন্যা দুর্গত পরিবারের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। কিন্তু, এভাবে তিনি যে কথা রাখবেন তা স্বপ্নেও ভাবতে পারেননি পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়া (Panskura Flood) ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা গনেশচন্দ্র ভুঁইঞা। কথা দিয়েছিলেন তাঁকে ব্যক্তিগতভাবে পাঁচ লক্ষ টাকার ক্ষতিপূরণ দেওয়ার। সেই কথা রাখলেন শুভেন্দু। ৪৮ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই সেই সাহায্য পৌঁছে গেল ভাঙা বাড়ির মালিকের কাছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছিল? (Suvendu Adhikari)

    টানা বৃষ্টি এবং ব্যারেজের জল ছাড়ার জেরে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলা বানভাসি। হাওড়া, হুগলি, দুই মেদিনীপুর, দুই বর্ধমান সবচেয়ে বেশি প্লাবিত। ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে ঘাটালে বন্যার্তদের ভয়াবহ ছবি। একটু খাবার-ত্রিপলের জন্য হাহাকার করতে দেখা যায় তাঁদের। ২০ সেপ্টেম্বর প্লাবিত পাঁশকুড়া পুরসভার ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের জড়ন্দায় গিয়েছিলেন শুভেন্দু। তাঁকে (Suvendu Adhikari) সামনে পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন গণেশবাবু ও তাঁর স্ত্রী। বলতে থাকেন কীভাবে নিমেশের মধ্যে তাঁর দোতলা বাড়ি-ঘর সর্বস্ব জলে ভেঙে গিয়েছে। সেদিন আশ্রয়হীন দুর্গতের গামছা দিয়ে চোখের জল মুছিয়ে দিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দুর সামনে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভও উগড়ে দেন তিনি। তিনি বলেন, বাঁধের ধস আটকাতে সেচ দফতরকে জানিয়েছিলাম। সেচ দফতরের ঠিকাদার কয়েকটি বস্তা দিয়ে চলে যান। বাঁধ মেরামত করেননি। সেদিন শুভেন্দু অধিকারীকে বলতে শোনা গিয়েছিল, “আমি সরকার নই। তবে, আমি ব্যক্তিগতভাবে ৫ লক্ষ টাকা দেব।” তিনি আরও বলেন, “মেদিনীপুরের লোক মানেই আমার আত্মীয়। আমি সরকারের কেউ নই। তবুও বন্যার্তদের জন্য যতটুকু পারব করব।”

    আরও পড়ুন: তিরুপতির লাড্ডুর ঘি কীভাবে তৈরি হত? জানতে উচ্চপর্যায়ের সিট গঠন চন্দ্রবাবুর

    শুভেন্দুর দেওয়া চেক পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়লেন দুর্গত

    রবিবার শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) প্রতিশ্রুতি মতো সেই টাকা দিয়ে যান শুভেন্দুর টিমের সদস্যরা। তাঁর মাসিক বেতন থেকে এই টাকা শুভেন্দু দিয়েছেন বন্যাদুর্গতদের। পাঁচ লক্ষ টাকার চেক হাতে পেয়ে ফের কান্নায় ভেঙে পড়লেন গণেশবাবু। সেদিন কেঁদেছিলেন আশ্রয় হারিয়ে, এদিন কাঁদলেন অন্ধকারের মধ্যে আশার আলো দেখে। অশেষ কৃতজ্ঞতা জানালেন শুভেন্দু অধিকারীকে। এই ঋণ তিনি কোনওদিন শোধ করতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • CBI: আরজি করকাণ্ডে দুর্নীতি! ফের সুদীপ্ত রায়ের বাড়িতে দীর্ঘ তল্লাশি চালাল সিবিআই

    CBI: আরজি করকাণ্ডে দুর্নীতি! ফের সুদীপ্ত রায়ের বাড়িতে দীর্ঘ তল্লাশি চালাল সিবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের তৃণমূল কংগ্রেসের চিকিৎসক-বিধায়কের বাড়িতে সিবিআই (CBI) হানা। কখনও এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট, কখনও সিবিআই, যাতায়াত লেগেই আছে তৃণমূলের এই চিকিৎসক নেতার বাড়ি, নার্সিংহোম, বাংলোয়। জানা গিয়েছে, রবিবার সন্ধ্যা ৭টা ৪০ নাগাদ সিঁথিতে সুদীপ্ত রায়ের (Sudipta Roy) বাড়িতে হাজির হয় তদন্তকারীদের একটি দল। রাত ১১টা নাগাদ বেরিয়ে যায় তারা।

    ঠিক কী অভিযোগ? (CBI)

    সিবিআই-ইডি ও স্টেট ভিজিল্যান্স কমিটিতে লিখিত অভিযোগও জমা পড়ে সুদীপ্ত রায়ের নামে। সেন্ট্রাল ল্যাব, কার্ডিওলজির মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট, নার্স নিয়োগে সুদীপ্ত রায় প্রভাব খাটাতেন বলে অভিযোগ করা হয়। সুদীপ্তর সিঁথির নার্সিংহোম তদন্তকারীদের স্ক্যানারে। সিবিআই-ইডি ও স্টেট ভিজিল্যান্স কমিটিতে জমা হওয়া অভিযোগ অনুযায়ী, জমা পড়ে, চিকিৎসক সুদীপ্ত রায় অত্যন্ত প্রভাবশালী। শাসকদলের বিধায়ক হওয়ার কারণে তিনি নিজের প্রভাব খাটিয়ে নিজের নার্সিংহোমে সরকারি নানা সরঞ্জাম নিয়ে যেতেন। তথ্যপ্রমাণও রয়েছে বলে অভিযোগপত্রে জানানো হয়। আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের গ্রেফতারির পর সুদীপ্ত রায়কে বারবারই জিজ্ঞাসাবাদ করেছে কেন্দ্রীয় এজেন্সি। সিবিআই (CBI) তদন্ত শেষে সুদীপ্ত দাবি করেছিলেন, তিনি তদন্তকারী আধিকারিকদের সবরকম ভাবে সহযোগিতা করেছেন এবং ভবিষ্যতেও সহযোগিতা জারি রাখবেন। এদিকে উত্তরবঙ্গ লবির দুই নেতা অভীক ও বিরূপাক্ষ সম্পর্কে কিছু বলতে অস্বীকার করেছিলেন। গত ৯ অগাস্ট সকালে ফোনে কথা সন্দীপের সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছিল বলে মেনে নিয়েছেন সুদীপ্ত রায়।

    আরও পড়ুন: তিরুপতির লাড্ডুর ঘি কীভাবে তৈরি হত? জানতে উচ্চপর্যায়ের সিট গঠন চন্দ্রবাবুর

    এর আগে ইডিও হানা দিয়েছিল

    সম্প্রতি আরজি কর দুর্নীতি মামলার তদন্তে নেমে ৬ জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালায় ইডি। সেবার আরজি করের রোগী কল্যাণ সমিতির সদ্য প্রাক্তন সভাপতি সুদীপ্ত রায়ের বাড়িতে হানা দেয় ইডি। এছাড়া উত্তর কলকাতায় তাঁর নার্সিংহোমেও তল্লাশি চলে। পাশাপাশি হুগলির দাদপুরের দাঁড়পুর গ্রামে সুদীপ্ত রায়ের বাংলোতেও ইডি অভিযান চালায়। এছাড়াও বালিগঞ্জে এক ওষুধ ব্যবসায়ীর বাড়িতে পৌঁছায় ইডি। সেই ব্যবসায়ীর নাম সন্দীপ জৈন।  সেদিন প্রায় ২০ ঘণ্টা তাঁর বাড়িতে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পরে তাঁকে সল্টলেকে সিজিও কমপ্লেক্সেও ডাকা হয়। ১২ সেপ্টেম্বর সিবিআই (CBI) হানা দিয়েছিল তৃণমূল বিধায়কের বাড়িতে। জানা গিয়েছে, আরজি করে দুর্নীতির অভিযোগ নিয়েই সুদীপ্তকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল। তাঁর মেয়েকেও জেরা করেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা। প্রসঙ্গত, আখতার আলির অভিযোগের ভিত্তিতে আরজি কর দুর্নীতি নিয়ে মামলা হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে। আদালতের নির্দেশে সিবিআই তদন্ত শুরু করে। তবে, আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে ইডিও তদন্তে নামে। সন্দীপ ঘোষকে গ্রেফতারের পরই একাধিক প্রভাবশালীর নাম হাতে আসে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • IMA West Bengal: আইএমএ-র বৈঠকে ধুন্ধুমার, বের করে দেওয়া হল তিন চিকিৎসককে

    IMA West Bengal: আইএমএ-র বৈঠকে ধুন্ধুমার, বের করে দেওয়া হল তিন চিকিৎসককে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের (IMA West Bengal) বৈঠকে ধুন্ধুমার। তার জেরে বৈঠক থেকে বের করে দেওয়া হল তিন চিকিৎসককে। সামনেই আইএমএ-র পশ্চিমবঙ্গ শাখার নির্বাচন (Doctors Expelled)। সেই নির্বাচনের প্রস্তুতি বৈঠক ছিল রবিবার। অভিযোগ, সেখানেই চিকিৎসকদের দুই লবির মধ্যে ঝামেলা শুরু হয়। তার পরেই ধুন্ধুমারকাণ্ড বাঁধে। একটি লবির তিন চিকিৎসককে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন কয়েকজন। শেষমেশ ওই চিকিৎসকদের বৈঠক থেকে বের করে দিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া হয়।

    ঝামেলার সূত্রপাত (IMA West Bengal)

    জানা গিয়েছে, যে তিন চিকিৎসককে নিয়ে ঝামেলার সূত্রপাত, তাঁরা হলেন চিকিৎসক তাপস চক্রবর্তী, জয়া মজুমদার এবং প্রিয়ঙ্কা রানা। এই চিকিৎসকরা উত্তরবঙ্গ লবির ঘনিষ্ঠ। তাঁদের দেখে ‘গো ব্যাক’ স্লোগান দিতে শুরু করেন অন্য চিকিৎসকরা। এদিন পার্ক সার্কাসে বৈঠক ছিল আইএমএ-র রাজ্য শাখার (IMA West Bengal)। এই সংগঠনের বিভিন্ন পদে কারা মনোনয়নপত্র জমা দেবেন, মূলত তা নির্ধারণ করতেই ডাকা হয়েছিল বৈঠক। সেই বৈঠক শুরুর আগেই উত্তরবঙ্গ লবির তিন চিকিৎসককে দেখে খেপে যান অন্য চিকিৎসকরা। তাঁরা ‘গো ব্যাক’ স্লোগান দিতে থাকেন। বৈঠক থেকে তাঁদের বের করে দিলে পরিস্থিতি শান্ত হয়।

    ‘থ্রেট কালচার’

    আরজি করকাণ্ডের পর প্রকাশ্যে আসে রাজ্যের বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজে ‘থ্রেট কালচারে’র কথা। প্রকাশ্যে আসে ‘দাদাগিরি’র অভিযোগও। এই সব অভিযোগের নেপথ্যে ঘুরেফিরে আসে উত্তরবঙ্গ লবির কথা। তার পর থেকেই চিকিৎসকদের একটা বড় অংশ উত্তরবঙ্গ লবির বিরুদ্ধে কার্যত খেপে রয়েছেন।

    আরও পড়ুন: আন্দোলনের চাপে দিশাহারা মমতা সরকার, পিছিয়ে দেওয়া হল ‘দুয়ারে উদ্যম’ শিবির

    উত্তরবঙ্গ লবির মাথায় রয়েছেন সুশান্ত রায়। ভাইরাল হওয়া ভিডিওয় দেখা যাচ্ছে, মুখোমুখি দাঁড়িয়ে রয়েছেন শান্তনু সেন ও সুশান্ত রায়। সুশান্তকে ঘিরে রয়েছেন শান্তনুর অনুগামীরা। সুশান্তকে বলতে শোনা যায়, ‘এগুলো আপনাদের বানানো গল্প’। শান্তনুর অনুগামীদের বলতে শোনা যায়, ‘কোনওটাই বানানো গল্প নয়’। সুশান্তর কাছে শান্তনুকে হাতজোড় করে থাকতেও দেখা যায়। তাঁকে বৈঠক ছেড়ে চলে যেতে বলা হয়। অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করা হয় তাপসকে। স্বাস্থ্য দফতরের গুরুত্বপূর্ণ পদে রয়েছেন জয়া। তাঁকেও বৈঠকে যোগ দিতে দেওয়া হয়নি। বৈঠক থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসক (Doctors Expelled) বিরূপাক্ষ বিশ্বাসের বন্ধু বলে পরিচিত প্রিয়ঙ্কাকেও (IMA West Bengal)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Hilsa fish: দুর্গাপুজোর আগেই বাংলাদেশ থেকে রাজ্যে ঢুকবে ৩ হাজার টন ইলিশ, সুর নরম ইউনূসের?

    Hilsa fish: দুর্গাপুজোর আগেই বাংলাদেশ থেকে রাজ্যে ঢুকবে ৩ হাজার টন ইলিশ, সুর নরম ইউনূসের?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দীর্ঘ টালবাহানার পর অবশেষে পুজোতে পশ্চিমবঙ্গের বাঙালির পাতে পড়তে চলছে পদ্মপারের ইলিশ (Hilsa fish)। দুর্গাপুজোতে বাংলাদেশ থেকে তিন হাজার টন ইলিশ আসতে চলেছে। গত ৫ অগাস্ট থেকে বাংলাদেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা তৈরি হয়েছিল। কোটা বিরোধী আন্দোলনের ফলে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পদচ্যুত হতে হয়েছিল। ওই দেশে, ভারত বিদ্বেষী মনোভাব অন্তর্বর্তী সরকারের একাধিক উপদেষ্টার গলায় শোনা গিয়েছিল। একই ভাবে সংখ্যালঘু হিন্দু সমাজের উপর অত্যাচারে ভারত সরকার সতর্কবার্তা দিয়েছিল। প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূসকে (Bangladesh), প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি হিন্দুদের জীবন-সম্পত্তির রক্ষাকে সুনিশ্চিত করার কথাও মনে করিয়ে দিয়েছিলেন। উভয়দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কে কিছুটা প্রলেপ দিতে কি ইলিশের আগমন? প্রশ্ন উঠছে।

    কূটনৈতিক সম্পর্ককে ঠিকঠাক করতে চেষ্টা (Hilsa fish)

    শনিবার, বাংলাদেশের (Bangladesh) অন্তর্বর্তী সরকারের বাণিজ্য মন্ত্রক একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। তাতে ভারতে ৩ হাজার টন ইলিশ (Hilsa fish) পাঠানোর অনুমতি দেওয়া হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ইতিমধ্যে যারা আগে আবেদন করেছে, তাদের নতুন করে আবেদন করতে হবে না। যারা নতুন করে করতে চায়, আগামী ২৪ সেপ্টেম্বরের মধ্যে আবেদন করলেই হবে। তবে এই ইলিশ এখন কতটা মধ্যবিত্তের নাগালে থাকবে, তা নিয়ে কৌতূহল তৈরি হয়েছে। যদিও বাংলদেশের অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর, ভারতে তারা ইলিশ পাঠাবে না বলে জানিয়ে দিয়েছিল। কিন্তু দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কে গত একমাসের বেশি সময়ে খারাপ প্রভাব পড়েছে বলে মনে করছেন বিশেজ্ঞরা। তাই যেহেতু অনেক পণ্য, সরঞ্জাম এবং চিকিৎসায় ভারতের উপর বাংলাদেশকে নির্ভর করতে হয়, তাই কূটনৈতিক সম্পর্ককে ঠিকঠাক করতে ইউনূস সরকার ইলিশ পাঠিয়ে ইতিবাচক বার্তা দিতে চাইছে। তবে মৎস্য ব্যবসায়ীরা কূটনীতি নিয়ে মন্তব্য করতে একেবারেই নারাজ।

    দাম কত হবে তাই এখন দেখার বিষয়

    ভারতের মৎস্য আমদানি সংগঠন ‘ফিশ ইম্পোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন’-এর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, “পুজো উপলক্ষে প্রতি বছর ১০ সেপ্টেম্বরের মধ্যেই এপারে ইলিশ চলে আসে। এই বছর তা এখনও সম্ভব হয়নি। শনিবার বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ছাড়পত্র দেওয়ায় ইলিশ নিয়ে সকলেই আশাবাদী। একটা অস্থিরতা তৈরি হয়েছিল, যা মনে হয় এবার কেটে গিয়েছে। উৎসবের মধ্যে এপার বাংলার বাঙালির পাতে ইলিশ (Hilsa fish) পড়বে, এটা খুব আনন্দের কথা। তবে বাজারে দাম কত হবে, তাই এখন দেখার বিষয়।”

    ঢাকায় কত দাম?

    শনিবার ঢাকার খুচরো বাজারে এক কেজির বেশি ওজনের ইলিশের (Hilsa fish) দাম ছিল বাংলা ১৭০০ টাকা। যদিও দাম ১৭০০ থেকে ২২০০ টাকার মধ্যে ঘোরাফেরা করছে বলে জানা গিয়েছে। তবে এই মাছ যখন পশ্চিমবঙ্গে আসবে, তখন কেজি প্রতি ২২০০ থেকে ২৫০০ টাকা হতে পারে। এখান প্রায় ৩০ শতাংশ দাম বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে। উল্লেখ্য গত বছর এই ইলিশের দাম ছিল ৭০০ থেকে ১২০০ টাকার মধ্যে। এখন এত দাম দিয়ে কি কেউ কিনতে রাজি হবে? তবে বৈধ ভাবে মাছ রফতানিতে বাংলাদেশের ফিশারি অ্যাসোসিয়েশন এবং আসাদুন্নবি ফিশারিজ অ্যান্ড মার্চেন্ট কর্পোরেশন দরপত্র ডাকে। কিন্তু বৈধভাবে মাছ না ঢুকলেও মাছের ছড়াছড়ি হবে। কারণ নদী পথে সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশ হয়ে থাকে। সেগুলি প্রায় ১২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতে পারে।

    আরও পড়ুনঃ কোয়াড সামিটে বিশ্বনেতা মোদি, বার্তা দিলেন প্রতিটি দেশের সার্বভৌমত্বকে রক্ষার

    ২০২৩ সালে ৪০০০ টন ইলিশ এসেছিল

    বাংলাদেশ (Bangladesh) ১৯৯৬ সাল থেকে প্রতি বছর প্রায় ৫ হাজার টন ইলিশ (Hilsa fish) রফতানি করে আসছিল। কিন্তু ২০১২ সালে হঠাৎ করেই তা বন্ধ হয়ে যায় অজ্ঞাত কারণে। কয়েক বছর আগে শেখ হাসিনা সরকার দুর্গাপুজোর সময় নির্দিষ্ট পরিমাণে ইলিশের অনুমোদন দিয়ে রফতানির অনুমতি দেয়। ২০২৩ সালে ওই দেশের মৎস্য মন্ত্রণালয় ৭৯টি কোম্পানিকে দুর্গাপুজো উপলক্ষে  ৫০ টন করে মোট প্রায় ৪০০০ টন ইলিশ রফতানি করার অনুমতি দিয়েছিলেন। এবার অনেকটাই ভাটা পড়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Protest: আরজি করের প্রতিবাদে যোগ, ক্লাস থেকে দুই ছাত্রীকে বহিষ্কার তৃণমূলের অধ্যাপক নেতার!

    RG Kar Protest: আরজি করের প্রতিবাদে যোগ, ক্লাস থেকে দুই ছাত্রীকে বহিষ্কার তৃণমূলের অধ্যাপক নেতার!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করকাণ্ডের (RG Kar Protest) তদন্তের দাবিতে হওয়া প্রতিবাদে সামিল হওয়ার অপরাধে দুই ছাত্রীকে ক্লাস থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ উঠল। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়া জেলা সারদামণি মহিলা কলেজে। কলেজের ভূগোল বিভাগের বিভাগীয় প্রধান তথা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী শ্যামল সাঁতরার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ করেছেন কলেজেরই দুই ছাত্রী। ওই দুই ছাত্রীকে ক্লাসে ফেরানোর দাবিতে শনিবার কলেজের গেটে ব্যাপক বিক্ষোভে ফেটে পড়লেন কলেজের ছাত্রীদের একাংশ। বিক্ষোভে অংশ নিলেন বহিরাগতরাও। চাপের মুখে পড়ে শেষ পর্যন্ত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার আশ্বাস দিয়েছে কলেজ কর্তৃপক্ষ।

    ঠিক কী অভিযোগ? (RG Kar Protest)

    বাঁকুড়ার (Bankura) সারদামনি মহিলা কলেজের ছাত্রীদের একাংশের দাবি, সম্প্রতি ঘটে যাওয়া আরজি করকাণ্ডের প্রতিবাদে (RG Kar Protest) কলেজে বিক্ষোভ কর্মসূচি করার অনুমতি চেয়েছিলেন তাঁরা। সেই অনুমতি না মেলায় কলেজের গেটের বাইরে স্ট্রিট পেইন্টিং করেন ছাত্রীদের একাংশ। সেই স্ট্রিট পেইন্টিংয়ে অংশ নিয়েছিলেন কলেজের পঞ্চম সেমিস্টারের দুই ছাত্রী অপর্ণা মণ্ডল ও প্রেয়সী টুডু। ওই দুই ছাত্রী পরবর্তীতে কলেজে ক্লাস করতে গেলে তাঁদের ক্লাস থেকে বের করে দেন ভূগোল বিভাগের বিভাগীয় প্রধান তথা রাজ্যের তৃণমূলের প্রাক্তন মন্ত্রী শ্যামল সাঁতরা, এমনটাই অভিযোগ। ঘটনার পরই সামাজিক মাধ্যমে সরব হয়ে ওই দুই ছাত্রী সারদামণি মহিলা কলেজের গেটে শনিবার বিক্ষোভের ডাক দেন। সেই ডাকে সাড়া দিয়ে কলেজ ছাত্রীদের একাংশ এদিন কলেজের গেটে বিক্ষোভে সামিল হন। অবিলম্বে ওই দুই ছাত্রীকে ক্লাসে ফেরানোর দাবিতে সরব হন স্থানীয় বাসিন্দা ও কলেজের প্রাক্তনীদের একাংশও। আন্দোলনকারীদের দাবি, অবিলম্বে ওই দুই ছাত্রীকে ক্লাসে ফেরাতে হবে। দুই ছাত্রীর বক্তব্য, আমরা কোনও রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত নই। আরজি করের প্রতিবাদে অংশগ্রহণ করেছিলাম বলেই আমাদের ক্লাস থেকে বের করে দেওয়া হল।

    আরও পড়ুন: তিরুপতির প্রসাদ লাড্ডুতে পশু চর্বি! হিন্দু ভাবাবেগে আঘাত, সুপ্রিম কোর্টে জনস্বার্থ মামলা

    কলেজে রাজনীতি করত বলেই পদক্ষেপ!

    অভিযুক্ত প্রাক্তন মন্ত্রী তথা অধ্যাপক শ্যামল সাঁতরা বলেন, ওরা কলেজে রাজনীতি করছিল। চাঁদা করত। অনেকেই আমার কাছে অভিযোগ করেছিল। তাই, আমি এই পদক্ষেপ (RG Kar Protest) নিয়েছি। অন্য কোনও কারণ নেই। অন্যান্য ছাত্রীদের পঠন-পাঠনের স্বার্থেই এটা করেছি। কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ দেবব্রত মুখোপাধ্যায় বলেন, বিষয়টি শুনেছি। ওই দুই ছাত্রীকে ক্লাসে ফেরানোর ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Burdwan Medical: মনোরঞ্জন করতে হবে! অভীকের নৈশপার্টিতে চলত দেদার মদ, ভয় দেখিয়ে ডাকা হত ছাত্রীদের

    Burdwan Medical: মনোরঞ্জন করতে হবে! অভীকের নৈশপার্টিতে চলত দেদার মদ, ভয় দেখিয়ে ডাকা হত ছাত্রীদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর কাণ্ডে ধৃত সন্দীপ ঘোষের ঘনিষ্ঠ অভীক দে (Avik Dey)  এবং তাঁর সাঙ্গপাঙ্গদের কুকীর্তি প্রকাশ্যে এসেছে। যা জানলে বোঝা যাবে, বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে (Burdwan Medical) অভীক ও তাঁর বাহিনীর দাপট কতটা ছিল। তাঁর দাপটে জুনিয়র ডাক্তাররা ভয়ে সিঁটিয়ে থাকতেন। বিশেষ করে ডাক্তারি পড়়ুয়া ছাত্রীদের সঙ্গে যে আচরণ করা হত, তা শুনলে চোখ কপালে উঠবে। আনন্দ বাজারে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, অভীকদের রাতভর পার্টি চলত। ছুটত মদের ফোয়ারা। সেখানেই, ছাত্রীদের জোর করে ডাকা হত। তাদের দিয়ে পরিবেশন করা হত। এমনকী, তাদের বলা হত, মনোরঞ্জন করতে!

    কে এই অভীক দে ? (Burdwan Medical)

    দুর্নীতি, দাদাগিরি, তোলাবাজি, ‘থ্রেট কালচার’-সহ একাধিক অভিযোগে বিদ্ধ অভীক। তিনি ছিলেন বর্ধমান মেডিক্যালে আরএমও। পরে, সার্ভিস কোটা এসএসকেএমে সার্জারি বিভাগে পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ট্রেনি হন। আরজি কর কাণ্ডের জেরে তাঁকে এসএসকেএম থেকে সাসপেন্ড করা হয়। পাশাপাশি কলেজ ও হস্টেলে ঢোকায় জারি হয় নিষেধাজ্ঞা।

    আরও পড়ুন: তিরুপতির প্রসাদ লাড্ডুতে পশু চর্বি! হিন্দু ভাবাবেগে আঘাত, সুপ্রিম কোর্টে জনস্বার্থ মামলা

     পার্টিতে রাতভর মদ্যপান, জোর করে ছাত্রীদের ডাকা হত!

    আনন্দবাজারে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ট্রেনি অভীকের কাজকর্ম খতিয়ে দেখতে গঠিত হয়েছে চার সদস্যের কমিটি গঠিত হয়। কমিটির কাছে দেওয়া লিখিত অভিযোগে জানা গিয়েছে, বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের প্রশাসনিক ভবনের ওপরের তলায় কলেজের গেস্ট হাউস। সেখানে তিন- চারটি ঘর পাকাপাকি ভাবে কব্জায় ছিল অভীক দে ও তাঁর ডান হাত হিসেবে পরিচিত বর্ধমানের চিকিৎসক (Burdwan Medical) বিশাল সরকার ও উমর ফারুখের জন্য। সেখানে রাতভর চলত পার্টি, মদ্যপান। সেখানে হস্টেল থেকে প্রথম, দ্বিতীয় বর্ষের ডাক্তারি ছাত্রীদের জোর করে এবং ভয় দেখিয়ে ডেকে আনা হত। তাঁদের দিয়ে খাবার ও মদ পরিবেশন করানো হত। এমনকী অতিথিদের মনোরঞ্জনের নির্দেশও দেওয়া হত বলে অভিযোগ। নির্দেশ না মানলে পরীক্ষায় বসতে না দেওয়া এবং রেজিস্ট্রেশন আটকানোর হুমকি দেওয়া হত। ২০২২-২৩ সালের ছাত্রীরা সেই পার্টিতে যাওয়ার নির্দেশ না মানায় অভীক-সঙ্গী বিশাল ওই ব্যাচের পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ।

    রাজনৈতিক প্রভাবশালীদের রাতে সঙ্গ দিতে ছাত্রীদের প্রস্তাব

    আনন্দবাজারের তথ্য অনুযায়ী, তদন্ত কমিটির কাছে যে লিখিত অভিযোগ এসেছে তাতে বলা হয়েছে, মেডিক্যাল (Burdwan Medical) পড়ুয়াদের ব্যক্তিগত ফোন নম্বর জোর করে নিজেদের কাছে রাখতেন অভীক। তার পরে সেই নম্বর চলে যেত ‘রাজনৈতিক প্রভাবশালী’দের কাছে। এমনকী রাতে তাঁদের সঙ্গ দিতে ডাক পড়ত সেই শিক্ষানবিশদের। সম্মত না হলে চলত ভয় দেখানো, হেনস্থা এবং পরীক্ষায় ফেল করিয়ে দেওয়ার হুমকি- এমনই লিখিত অভিযোগ গিয়েছে তদন্তকারীদের কাছে। বহু ছাত্রী তদন্ত কমিটিকে জানিয়েছেন, সরস্বতী পুজোর আগে বেছে বেছে ছাত্রীদের ডেকে বলা হত, পুজোর দিন অভীকের ঘনিষ্ঠ সিনিয়রদের সঙ্গিনী হয়ে ঘুরতে হবে। সাত দিনের মধ্যে কমিটিকে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছিল। কিন্তু কমিটিতে এত বিপুল চিঠি, তথ্য জমা পড়ছে যে, রিপোর্ট দিতে আরও ১৪ দিন সময় চেয়েছেন তাঁরা।

    লক্ষ লক্ষ টাকায় ভিন রাজ্যে হাড় পাচার

    কমিটির তদন্তে এ-ও জানা গিয়েছে যে, নিয়মিত বর্ধমানের (Burdwan Medical) মর্গ থেকে মৃতদেহের ভিসেরা ও হাড় ৭ থেকে ১৫ লক্ষ টাকার বিনিময়ে বিহার, উত্তরপ্রদেশের বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজে পাচার করা হত এবং এর পিছনেও ছিল অভীক বাহিনী। বর্ধমান মেডিক্যালের অধ্যক্ষ মৌসুমী বন্দ্যোপাধ্যায় বলছেন, “তদন্ত কমিটির কাজ চলছে। তাদের যা জানানোর জানাচ্ছি। এর বাইরে কিছু বলা যাবে না।”

    ছাত্রীদের মোবাইলে অশালীন মেসেজ!

    আনন্দবাজারের প্রতিবেদন অনুয়ায়ী, পরীক্ষায় কারা গার্ড দেবেন সেই তালিকাও অভীকের তত্ত্বাবধানে ঠিক করতেন চিকিৎসক বিশাল ও অমলেন্দু দাস। বর্ধমানের (Burdwan Medical) এক চিকিৎসক তদন্ত কমিটিকে জানিয়েছেন, তিনি অভীক বাহিনীর কথা শোনেননি বলে প্রতি বর্ষে এক বার করে তাঁকে ফেল করানো হয়েছে। চূড়ান্ত হতাশ হয়ে তিনি আত্মহননের চেষ্টাও করেছিলেন। বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ সূত্রের খবর, অভীকের ঘনিষ্ঠ বিশাল ২০২১-২২ এবং ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের মেডিক্যালের শিক্ষানবিশ ছাত্রীদের অশালীন মেসেজ পাঠাতেন, রাতে ঘরে ডেকে পাঠাতেন ও ঘুরতে যেতে চাপ দিতেন। পরীক্ষার হলে ছিল তাঁর অবাধ গতিবিধি। পছন্দের ছাত্রছাত্রীদের কাছে গিয়ে উত্তর বলে দিতেন প্রকাশ্যেই। কারা কারা অনার্স পাবে সেটাও অভীক, বিশাল ও অমলেন্দু কলেজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বসে ঠিক করতেন বলে অভিযোগ জমা পড়েছে। ২০১৯-২০ এবং ২০২২-২৩ বর্ষের বহু মহিলা চিকিৎসকের অভিযোগ, অমলেন্দু তাঁদের রাতে কলেজের গেস্ট হাউসে ডাকতেন, মোবাইলে অশালীন মেসেজ পাঠাতেন। এ ব্যাপারে জানতে বিশালকে বহু বার ফোন করা হলেও তিনি ধরেননি। আর অমলেন্দু বলেন, “এই সবই মিথ্যা অভিযোগ, চক্রান্ত।”

    তৃণমূলের মিটিংয়ে যাওয়ার জন্য চাপ!

    গত লোকসভা ভোটে অভীক-বাহিনী বর্ধমান মেডিক্যালের (Burdwan Medical) সুপারের ঘরে পূর্ব বর্ধমানের তৃণমূল প্রার্থী চিকিৎসক শর্মিলা সরকারের নির্বাচনী সভার আয়োজন করেছিল এবং সেখানে সব জুনিয়রের উপস্থিত থাকার ফতোয়া দিয়েছিল বলেও অভিযোগ জমা পড়েছে। সন্দীপ ঘোষকে আরজি কর থেকে বদলির পরে বর্ধমান থেকে বহু ছাত্রছাত্রীকে অভীক তাঁর সঙ্গীরা জোর করে কলকাতায় নিয়ে গিয়ে বিক্ষোভ-মিছিল করতে বাধ্য করেছিলেন বলেও অভিযোগ পেয়েছে কমিটি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • CBI: আরজি করের টেন্ডারের চিঠিও টালা থানার ওসিকে দিয়েছিলেন সন্দীপ, আর কী পেল সিবিআই?

    CBI: আরজি করের টেন্ডারের চিঠিও টালা থানার ওসিকে দিয়েছিলেন সন্দীপ, আর কী পেল সিবিআই?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষ থাকাকালীন ‘বেতাজ বাদশা’ হয়ে উঠেছিলেন সন্দীপ ঘোষ। হাসপাতালে অনুগামীদের নিয়ে আর্থিক দুর্নীতি করার অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। দুর্নীতি মামলায় সিবিআই-এর (CBI) সিজার লিস্টে সন্দীপ ঘোষকে (Sandip Ghosh) নিয়ে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। যা দেখে হতবাক হয়ে যান সিবিআই কর্তারা।

    সন্দীপের বাড়িতে মিলল চাঞ্চল্যকর তথ্য

    সিবিআই (CBI) সূত্রে জানা গিয়েছে, সন্দীপ ঘোষের বাড়ি থেকে পাওয়া গিয়েছে ২৮৮ পাতার আরটিআই-এর কপি ও অভিযোগপত্র। পাওয়া গিয়েছে ৭৩০ পাতার টেন্ডার সংক্রান্ত নথিও। সন্দীপ ঘোষের বাড়ি থেকে মিলেছে অভ্যন্তরীণ কমিটির ৫১০ পাতার গোপন রিপোর্ট। যে সব নথি সন্দীপ ঘোষের অফিসে থাকার কথা সেগুলি তাঁর বাড়িতে কেন ছিল? সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে সিবিআই। সন্দীপ ঘোষ (Sandip Ghosh) সরকারি ই-টেন্ডারের সংক্রান্ত একটি চিঠি পাঠিয়েছিলেন টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলকে। ই-টেন্ডারের চিঠি কেন টালা থানার ওসি-কে দেওয়া হয়েছিল জানার চেষ্টা করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

    ষড়যন্ত্রে যোগসাজশ সন্দীপ-অভিজিতের

    ইতিমধ্যেই আরজি কর মেডিক্যালে চিকিৎসককে ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় সন্দীপ ঘোষ ও টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলের মধ্যে যোগসাজশ ও বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের দাবি করেছে সিবিআই। রিমান্ড লেটারে কেন্দ্রীয় এজেন্সির (CBI) দাবি, ৯ অগাস্ট দুপুরে আর জি কর মেডিক্যালের সুপারকে দিয়ে সন্দীপ ঘোষ (Sandip Ghosh) টালা থানায় যে অভিযোগ করিয়েছিলেন, তাতে সঠিক তথ্য ছিল না। এমনকী, জেনে বুঝে আত্মহত্যার তত্ত্ব ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছিল। সিবিআই আরও দাবি করেছে, গোটা ঘটনাটাকে গুরুত্বহীন করে দেখাতে চাওয়ার জন্যই তথ্যপ্রমাণ নষ্ট করা হয়েছে। নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করেননি তৎকালীন অধ্যক্ষ। এমন ঘটনার পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের যা করণীয়, তাতেও গাফিলতি দেখিয়েছেন সন্দীপ। ৯ অগাস্ট সকাল ১০টা ৩ মিনিটে টালা থানার ওসি-কে ফোন করলেও সন্দীপ নিজেই এক ঘণ্টা দেরিতে হাসপাতালে যান। রিমান্ড লেটারে দাবি করেছে সিবিআই।

    আরও পড়ুন: তিরুপতির প্রসাদ লাড্ডুতে পশু চর্বি! হিন্দু ভাবাবেগে আঘাত, সুপ্রিম কোর্টে জনস্বার্থ মামলা

    ওসির ওপর প্রভাবশালীর চাপ!

    জানা গিয়েছে, টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিতের ওপরে প্রভাবশালীর চাপ ছিল। এক সিবিআই (CBI) আধিকারিক বলেন, ‘খুন হওয়া তরুণী চিকিৎসক পড়ুয়ার ময়নাতদন্ত করানোয় স্থানীয় ওসি বা তদন্তকারী অফিসারের ওপরে প্রভাবশালীর চাপ ছিল বলে সন্দেহ বাড়ছে। এমনকী দ্বিতীয়বার ময়না তদন্তের সব সম্ভাবনা নির্মূল করে রাতেই মৃতদেহের শেষকৃত্য সম্পন্ন করার জন্যেও ওসি-র ওপরেও প্রভাবশালীরা কলকাঠি নাড়ছিলেন বলে প্রাথমিকভাবে ইঙ্গিত মিলেছে।’ তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন, তরুণী চিকিৎসকের মৃতদেহ যাতে দ্বিতীয়বার কোনও মতে ময়নাতদন্ত না করা যায়, তার জন্যেই অভিজিৎবাবু অতিসক্রিয়তা দেখিয়েছিলেন বলে সূত্র মিলেছে।

    ওসি-র মাথার ওপর কে কলকাঠি নেড়েছে?

    এক সিবিআই আধিকারিক বলেন, ‘অনায়াসে রাতে মৃতদেহ সংরক্ষণ করা যেত। কিন্তু পুলিশ রাতেই দাহ কাজ সারতে মরিয়া হয়ে ওঠে। তদন্তকারীদের এমন ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলার জোরালো কারণ রয়েছে।’ সিবিআইয়ের (CBI) দাবি, দেহ ময়নাতদন্ত করা বা না-করা নিয়ে সব সিদ্ধান্ত একা ওসি-র পক্ষে নেওয়া সম্ভব ছিল না। সেদিন মৃতার মা, বাবা তো দ্বিতীয় বার ময়নাতদন্তের অনুরোধও করেছিলেন। এই আবহে ধৃত অভিজিতের ফোনের কিছু নথি থেকে বেশ কিছু সূত্র মিলেছে বলে দাবি করা হচ্ছে। এই আবহে টালা থানার অতিরিক্ত ওসির সঙ্গে ইতিমধ্যে কথাও বলেছে সিবিআই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Protest: ‘‘ছোট না হলে প্রণাম করতাম’’, মাঝরাতে মশাল মিছিলে কুর্ণিশ জানালেন নির্যাতিতার মা

    RG Kar Protest: ‘‘ছোট না হলে প্রণাম করতাম’’, মাঝরাতে মশাল মিছিলে কুর্ণিশ জানালেন নির্যাতিতার মা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করকাণ্ডে (RG Kar Protest) সুবিচারের দাবিতে রাত জাগল কলকাতা। নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে মধ্যরাতে অঙ্গীকার করলেন আন্দোলনকারীরা। প্রতিবাদের এই লড়াই চলবে, সাফ জানিয়ে দিলেন জুনিয়র ডাক্তাররাও। এই আন্দোলনে যোগ দিয়ে নির্যাতিতার বাবা-মা জুনিয়র ডাক্তারদের কুর্ণিশ জানালেন। জুনিয়র ডাক্তারদের উদ্দেশে বললেন, ‘‘ছোট না হলে প্রণামই করতাম।’’ 

    মশাল মিছিলে হুইলচেয়ারে প্রবীণরা (RG Kar Protest)

    শুক্রবার স্বাস্থ্যভবন থেকে সিজিও পর্যন্ত মিছিল করেন জুনিয়র ডাক্তাররা। অন্যদিকে দক্ষিণ কলকাতার হাইল্যান্ড পার্ক থেকে উত্তর কলকাতার শ্যামবাজার পর্যন্ত দীর্ঘ ৪২ কিলোমিটার রাস্তা মশাল হাতে মিছিল (RG Kar Protest) করল নাগরিক সমাজ। এই কর্মসূচির নাম দেওয়া হয়েছিল, ‘তিলোত্তমার জন্য একসাথে, এক পথে’। রাত দখল আন্দোলনের ডাক দিয়েছিলেন প্রেসিডেন্সির গবেষক ছাত্রী রিমঝিম সিন‍্‍হা। তিনিই শুক্রবারের মশাল মিছিলের অন্যতম আয়োজক। তিনি জানান, রাত দখলের কর্মসূচির দিনেই ঘোষণা করা হয়েছিল আরজি করের ঘটনায় দোষীদের সাজা না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। শুক্রবারের মিছিল চলমান আন্দোলনের আর একটি ধাপ। 

    এদিন বিকেল ৪টে নাগাদ শুরু হয় এই মিছিল। রুবি ক্রসিং, ভিআইপি বাজার, সায়েন্স সিটি, চিংড়িঘাটা, বেলেঘাটা বিল্ডিং মোড়, মল্লিক বাজার, এনআরএস মেডিক্যাল কলেজ ও এসএসকেএম হাসপাতাল হয়ে মিছিল শেষ হয় শ্যামবাজারে। বিচারের দাবিতে মিছিলে পা মেলান সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষ। কোথাও হুইলচেয়ারে, কোথাও ওয়াকার নিয়েই মিছিলে সামিল হয়েছিলেন প্রবীণরাও। মিছিলে ছিলেন তারকা, বুদ্ধিজীবী, কর্পোরেট সংস্থার কর্মী, সরকারি চাকরিজীবী, বিজ্ঞানী, অধ্যাপক এমনকী বিশেষভাবে সক্ষম ব্যক্তিরাও৷ মিছিলে নেমেছিলেন সেলিব্রিটিরাও। শুক্রবারের মিছিলে ছিলেন কিছু অভিনেতা ও ফিল্ম পরিচালকও। মিছিলে দেখা যায় বিরসা দাশগুপ্তকেও। পথে নেমেছিলেন অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র, বিদীপ্তা চক্রবর্তীরাও। মিছিলে স্লোগান ওঠে, ‘মশাল হাতে এক স্বর/ জাস্টিস ফর আর জি কর’। ‘আামার রাজ্য আমার দেশ/ অত্যাচারির হবে শেষ’। আন্দোলনের জনজোয়ারই বুঝিয়ে দিচ্ছিল যে এই প্রতিবাদ থামার নয়। এই আগুন নিভবে না। ক্ষোভে ফুঁসছে গোটা শহর। নির্যাতিতার বিচার না হওয়া পর্যন্ত পথে নেমে এই আন্দোলন চলবে। এদিন গড়িয়াহাট মোড় থেকে রাসবিহারী পর্যন্তও হয় আরও একটি নাগরিক মিছিল। 

    আরও পড়ুন: তিরুপতির প্রসাদ লাড্ডুতে পশু চর্বি! হিন্দু ভাবাবেগে আঘাত, সুপ্রিম কোর্টে জনস্বার্থ মামলা

    ছোট না হলে প্রণাম করতাম

    শ্যামবাজারে নেতাজির মূর্তির পাদদেশে হাজির ছিলেন নির্যাতিতার বাবা-মা। সেখান থেকে কিছুটা দূরেই আরজি কর। রাত তখন আড়াইটে মশাল তুলে দেওয়া হল নির্যাতিতার পরিবারের হাতে। সকলের উদ্দেশে বক্তব্য রাখতে গিয়ে চোখের জল ঝরালেন নির্যাতিতার মা। তিনি বললেন, ‘‘৯ তারিখের পর থেকে বাকরুদ্ধ হয়ে গিয়েছি। মুখে কোনও কথা আসে না। কারণ, বুকের ব্যথা মুখ দিয়ে ব্যক্ত করা যায় না। ব্যথাটা বুকেই রয়েছে। তবে, একটাই আশা যে এত সাধারণ নাগরিক আমার পাশে আছেন, সবাই আমার মেয়েকে তাঁদের পরিবারের মেয়ে ভেবে আন্দোলনে নেমেছেন। আর জুনিয়র ডাক্তাররা (Junior Doctor) তাঁরা তো আমার ছেলে-মেয়ে। তাঁরা যেভাবে ঝড়ে-বৃষ্টিতে রোদে পুড়ে কষ্ট করে এতদিন ধরে লড়াই (RG Kar Protest) চালিয়ে গিয়েছেন, তাঁদের তো আমি কী বলব? ছোট না হলে প্রণামই করতাম। তাঁরা তো জনগণের সেবার জন্যই ডাক্তার হন। আজ সমাজই তাঁদের রাস্তায় এনে দাঁড় করিয়েছেন। তাই তাঁরা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, সমাজের সেবা করবেন, আন্দোলনও চালিয়ে যাবেন। এটাতে আমি খুব খুশি হয়েছি। যতদিন না আমার মেয়ে বিচার পাই, ততদিন এভাবেই রাস্তায় থাকুন। আমার পাশে থাকুন।’’

    কাজের মধ্যে থেকে বিচার ছিনিয়ে আনবে জুনিয়র ডাক্তাররা

    মিছিল (RG Kar Protest) থেকেই বিচার প্রক্রিয়া প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে নির্যাতিতার বাবা বলেন, “সিবিআইয়ের ওপরে আস্থা রাখতে হবে, উচ্চ আদালতের ওপরও আস্থা রাখতে। এত সহজে বিচার আসবে না, সময় লাগবে। জুনিয়র ডাক্তাররা কাজে ফিরেছে। কাজের মধ্যে থেকেই বিচার ছিনিয়ে আনবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Protest: ধর্না তুললেও বিচারের দাবিতে জুনিয়র ডাক্তারদের মহামিছিল, মশাল হাতে পথে নাগরিক সমাজ

    RG Kar Protest: ধর্না তুললেও বিচারের দাবিতে জুনিয়র ডাক্তারদের মহামিছিল, মশাল হাতে পথে নাগরিক সমাজ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অবশেষে ধর্না প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। ধর্না তোলার ঘোষণা বৃহস্পতিবার রাতেই করেন জুনিয়র ডাক্তারেরা। শুক্রবার স্বাস্থ্য ভবনের সামনে থেকে ধর্না প্রত্যাহার করেন তাঁরা। আপাতত ধর্না তুলে নিলেও আরজি কর কাণ্ডে (RG Kar Protest) ন্যায় বিচারের দাবিতে অনড় ডাক্তাররা। সিবিআইয়ের কাছে বিচারের দাবিতে স্বাস্থ্যভবন থেকে সিজিও কমপ্লেক্স পর্যন্ত মিছিল করলেন আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তাররা। সমাজের সকল স্তরের মানুষ এদিনের মিছিলে অংশ নেন।

    মশাল হাতে মিছিল (RG Kar Protest)

    এদিন জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে মশাল হাতে মিছিলে (RG Kar Protest) সামিল হন সাধারণ মানুষও। ১১ দিনের মাথায় স্বাস্থ্য ভবনের সামনে থেকে ধর্না তুলে নিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। এবার তাঁরা কাজে ফিরবেন। দাঁড়াবেন বন্যা দুর্গতদের পাশে। শনিবার থেকেই জরুরি পরিষেবায় যোগ দিচ্ছেন তাঁরা। মাঝে এক সপ্তাহের বিরতি। সরকার প্রতিশ্রুতি পূরণ না করলে তাঁরা ফের অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতিতে যাবেন। অন্যদিকে, সিবিআইয়ের ওপর চাপ বাড়াতে শুক্রবার দুপুরে স্বাস্থ্যভবন থেকে সিজিও কমপ্লেক্স পর্যন্ত মিছিল করেন তাঁরা। নির্যাতিতার বিচার চেয়ে এদিন পথে নামে নাগরিক সমাজও। হাইল্যান্ড পার্ক থেকে শ্যামবাজার পর্যন্ত চলছে মশাল মিছিল। মিছিলে যোগ দিয়েছেন অনেক বিশিষ্ট চিকিৎসক। পথে নেমেছেন অনেক শিল্পী।

    আরও পড়ুন: থ্রেট কালচার! কল্যাণী মেডিক্যালে ৩৯ জন ডাক্তারি পড়ুয়াকে বহিষ্কার

    কী বললেন জুনিয়র ডাক্তার?

    মিছিলে (RG Kar Protest) হাঁটতে হাঁটতেই এক জুনিয়র ডাক্তার (Junior Doctor) বললেন, “আমরা রাজনীতি করতে চাইলে এতদিন ধরে দাবি-দাওয়া নিয়ে বসে থাকতাম না। চেয়ারের লড়াই শুরু করতাম। সেটা আমরা করিনি। হাসপাতাল থেকে শুরু করে সামগ্রিক স্বাস্থ্য কাঠামো নিয়ে যে দাবিতে আমরা ছিলাম, সেখানেই আছি। আর বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হতেই আমরা ধর্না তুলে বন্যা দুর্গত জায়গায় যাচ্ছি। তাই রাজনীতির কথা বলে আমাদের মনের জোর কমানো যাবে না।” এদিকে আরজি কর কাণ্ডে রাজ্য সরকারের দায়িত্ব স্মরণ করিয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জেপি নাড্ডার কাছে আহ্বান জানিয়েছেন ডাক্তাররা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share