Tag: West Bengal

West Bengal

  • ED: আরজি করে দুর্নীতি মামলায় ফের ইডি ডাকল সন্দীপের স্ত্রীকে, সিজিওতে প্রসূন

    ED: আরজি করে দুর্নীতি মামলায় ফের ইডি ডাকল সন্দীপের স্ত্রীকে, সিজিওতে প্রসূন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করে দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলায় প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের স্ত্রী সঙ্গীতা ঘোষকে ফের তলব করল ইডি (ED)। এর আগে দুর্নীতির মামলা সিবিআই সন্দীপকে গ্রেফতার করে। সোম ও মঙ্গলবার ইডি সন্দীপের স্ত্রীকে ডেকেছিল। ফের তাঁকে ডাকা হল। ইতিমধ্যেই ২৫টি ডিজিটাল নথি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। একাধিক ল্যাপটপ, মোবাইলের তথ্য খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সেই সঙ্গেই সন্দীপের একাধিক সম্পত্তি সামনে আসতে শুরু করেছে।

    সন্দীপের সম্পত্তি নিয়ে তদন্ত করছে ইডি (ED)

    সূত্রের খবর, কলকাতায় সন্দীপের অন্তত তিনটি বিলাসবহুল ফ্ল্যাট রয়েছে। এমনকী সন্দীপের স্ত্রী সঙ্গীতা ঘোষের নামে কলকাতায় দুটি ফ্ল্যাট ও একটা ফার্ম হাউস রয়েছে বলেও খবর। বহরমপুরে জোড়া ফ্ল্যাট পাওয়া গিয়েছে সন্দীপের নামে। তবে, সেই সম্পত্তির কতটা বৈধ সেটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সন্দীপের আত্মীয়দের নামে কোনও সম্পত্তি রয়েছে কি না সেটার খোঁজও চলছে। প্রসঙ্গত, সন্দীপ যখন আরজি করে অধ্যক্ষ পদে ছিলেন তখন তাঁর স্ত্রীও ছিলেন একই মেডিক্যাল কলেজে সহকারি অধ্যাপক। ইতিমধ্যেই ইডি সন্দীপ ও সঙ্গীতার সম্পত্তির পরিমাণ খতিয়ে দেখছে। ইডির (ED) তরফে আধিকারিকরা সম্প্রতি সন্দীপ ঘোষের বেলেঘাটার বাড়িতে গিয়েছিলেন। গোটা বাড়ি ঘিরে ফেলেছিল কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। প্রায় তিনঘণ্টা বাড়ির বাইরে অপেক্ষা করেছিল ইডি। এরপর সন্দীপের স্ত্রী এসে তালা খুলে দেন। তবে, সন্দীপের স্ত্রী সেই সময় দাবি করেছিলেন তাঁর স্বামী কোনও অন্যায় করেননি। সব অভিযোগই মিথ্যে বলে তিনি দাবি করেছিলেন। তবে কোনটা সত্যি আর কোনটা মিথ্যে সবটাই খতিয়ে দেখছেন সিবিআই ও ইডির আধিকারিকরা। আলিপুর কোর্টে সন্দীপকে ঘিরে মঙ্গলবারও চোর চোর স্লোগান দিয়েছিলেন সাধারণ মানুষ। এমনকী প্রিজন ভ্যানে জুতো দিয়েও আঘাত করেন অনেকে। সন্দীপের ফাঁসির দাবিতে স্লোগান তোলেন অনেকে।

    আরও পড়ুন: ‘ইলিশ দেব না’ হুঁশিয়ারি দেওয়া বাংলাদেশ ভারতের কাছে হাত পেতে নিল ডিম!

    সিজিওতে সন্দীপ ঘনিষ্ঠ প্রসূন

    আরজি কর হাসপাতালে কোটি কোটি টাকার দুর্নীতির ঘটনায় এবার সন্দীপ ঘোষের ঘনিষ্ঠ প্রসূন চট্টোপাধ্যায়কে ডেকে পাঠাল ইডি (ED)। ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের অপারেটর হিসেবে কাজ করেন এই প্রসূন। বুধবার সকালে তাঁকে সিজিও কমপ্লেক্সে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।চলতি সপ্তাহে দক্ষিণ 24 পরগনায় প্রসূনের বাড়িতে প্রায় ৭ ঘণ্টা তল্লাশি অভিযান চালান কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। সেখান থেকে এই মামলা সংক্রান্ত একাধিক নথি পান তাঁরা। এরপর প্রসূনকে আটক করে সন্দীপ ঘোষের ক্যানিংয়ের ফার্ম হাউসে তল্লাশি চালান তদন্তকারী আধিকারিকরা। সেখানে সন্দীপের ব্যবহার করা একাধিক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ও প্রচুর সম্পত্তির হদিশ পান ইডি-র আধিকারিকরা।

    সন্দীপের সম্পত্তি সম্পর্কে প্রসূন ঠিক কতটা জানেন ?

    আরজি কর হাসপাতালে যে কোটি কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছিল সেই ঘটনায় আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী তদন্তে নেমেছে সিবিআই-এর দুর্নীতি দমন শাখার গোয়েন্দারা। তবে আর্থিক তছরুপের বিষয়টি সামনে আসায়, সমান্তরাল তদন্তে নেমেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। প্রসূনের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার গোয়েন্দাদের অভিযোগ, তিনি ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের ডেটা এন্ট্রি অপারেটর হলেও সেখানে হাজিরা দিয়ে সোজা চলে আসতেন উত্তর কলকাতার আরজি করে। হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের সঙ্গেই থাকতেন তিনি। এছাড়াও তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক আর্থিক তছরুপের ঘটনাও রয়েছে। সন্দীপের (Sandip Ghosh) সম্পত্তি সম্পর্কে প্রসূন ঠিক কতটা জানেন, সেই বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এদিন তাঁকে সিজিও কমপ্লেক্সে (ED) ডেকে পাঠানো হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: রায় পছন্দ নয়! অভিষেক-গড়ে বিচারকদের আবাসনে দুষ্কৃতী হামলা

    South 24 Parganas: রায় পছন্দ নয়! অভিষেক-গড়ে বিচারকদের আবাসনে দুষ্কৃতী হামলা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন খোদ বিচারক! রায় পছন্দ না হওয়ায় বিচারকদের আবাসনে দুষ্কৃতী হামলা! পকসো মামলার রায় পছন্দ না হওয়ায় হামলা বলে সন্দেহ বিচারকদের। এক পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে দুষ্কৃতীদের মদত দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে! চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) ডায়মন্ড হারবার আদালতের বিচারকদের আবাসনে। তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের খাসতালুকে এই ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে।

    ঠিক কী ঘটেছে? (South 24 Parganas)

    আরজি করকাণ্ড নিয়ে রাজ্যজুড়ে তোলপাড় চলছে। গত ২৭ অগাস্ট নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ। সেদিন নবান্ন অভিযানে যাওয়া তিনজন মহিলা নেত্রীকে পকসো কেস দিয়ে গ্রেফতার করে ডায়মন্ড হারবার (South 24 Parganas) পুলিশ। আদালত সূত্রের খবর, ধৃতদের ১৪ দিনের পুলিশ রিমান্ড চাওয়া হয়। আইন না মানায় বিচারক পুলিশ রিমান্ড দেননি। এরপরই গত ৮ সেপ্টেম্বর রাতে দুজন দুষ্কৃতীকে সঙ্গে নিয়ে ডায়মন্ড হারবারের পুলিশ অফিসার কুমারেশ দাস বিচারকদের আবাসনে হামলা চালায় বলে অভিযোগ উঠেছে। জানা গিয়েছে, রবিবার রাতে বেশ কয়েকজন দুষ্কৃতী ডায়মন্ড হারবার শিবালয়ে মহকুমা আদালতের বিচারকদের আবাসনে গিয়ে হামলা চালায়। বিদ্যুতের লাইন কাটতে আবাসনে জোর করে ঢোকার চেষ্টা করে দুষ্কৃতীরা। বাধা দেওয়ায় প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়। বিচারকের আবাসনে হামলার ঘটনায় প্রশ্ন উঠছে নিরাপত্তা নিয়ে। আবাসনে নিরাপত্তায় নিযুক্ত নিরাপত্তা রক্ষীদের নিরাপত্তা বেষ্টনী কতটা নড়বড়ে সেই কঙ্কালসার চেহারা ফুটে উঠেছে।

    আরও পড়ুন: ‘ইলিশ দেব না’ হুঁশিয়ারি দেওয়া বাংলাদেশ ভারতের কাছে হাত পেতে নিল ডিম!

     চিঠিতে আতঙ্কের কথা জানান বিচারকরা

    দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) জেলা জজকে চিঠি লিখে অভিযোগ জানান ডায়মন্ড হারবার আদালতের (Diamond Harbour Court) তিন বিচারক। পরিবার নিয়ে নিরাপত্তার অভাব বোধ করছেন তাঁরা। দুষ্কৃতীদের কাছে প্রাণঘাতী অস্ত্রও থাকতে পারে বলে আশঙ্কা তাঁদেরর। সেই চিঠি কলকাতা হাইকোর্টের রেজিস্ট্রারকে পাঠিয়েছেন জেলা জজ। পুলিশের ভূমিকা নিয়ে তিনি প্রশ্ন তুলেছেন। চিঠিতে বিচারক ডায়মন্ড হারবার পুলিশ জেলার সাব-ইন্সপেক্টর কুমারেশ দাসের নাম উল্লেখ করেছেন। দুষ্কৃতীদের সঙ্গে যোগ রয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। যদিও কুমারেশ দাস বলেন, ‘‘কেন আমার নাম নেওয়া হল জানি না। আমি পৈলানে ট্রাফিক ডিউটি করি।’’

    বার অ্যাসোসিয়েশনের কী বক্তব্য?

    বিচারকের আবাসনের হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন ডায়মন্ড হারবার মহকুমার ক্রিমিনাল আদালতের বার অ্যাসোসিয়েশনের প্রাক্তন সম্পাদক দেবাংশু পান্ডা। তিনি জানান, বিচারকরা নিরাপদ নন, তাহলে সাধারণ মানুষদের নিরাপত্তা কোথায়? পুলিশ সঠিক তদন্ত শুরু করুক। বিচারকের আবাসনে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সকল কর্মীদের পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করে হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার করুক। ডায়মন্ড হারবার মহকুমার আদালতের আইনজীবীরা বিচারকের আবাসনে হামলার ঘটনায় একটি প্রতিবাদ মিছিল বের করে। এই ঘটনা কার্যত আতঙ্কিত এলাকাবাসীরা।

    সরব সুকান্তও

    বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গোটা ঘটনার বিবরণ দিয়ে একটি পোস্ট করেন। সুকান্ত মজুমদার আরও জানান, রাজ্যে বিচারকরাই (South 24 Parganas)  নিরাপদ নন। পুলিশ বিচারকদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ, সাধারণ মানুষদের নিরাপত্তা কীভাবে দেবে?

    জেলা পুলিস-প্রশাসনের কী বক্তব্য?

    বুধবার দুপুরে ডায়মন্ড হারবার মহকুমার আদালতের এসিজিএমের বিচারকদের সঙ্গে দেখা করতে আসেন জেলার পুলিশ সুপার রাহুল গোস্বামী। এছাড়াও ডায়মন্ড হারবার পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিতুন কুমার দে ছিলেন। এ বিষয়ে পুলিশ সুপার রাহুল গোস্বামী  বলেন, আমরা তদন্ত শুরু করেছি, খুব দ্রুতই অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হবে। বিচারকের আবাসনের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bankura: অরণ্যের শিহরণ ও নির্জনতার সঙ্গে ল্যাটেরাইট পাথরের মন্দির, ঘুরে আসুন জয়পুর

    Bankura: অরণ্যের শিহরণ ও নির্জনতার সঙ্গে ল্যাটেরাইট পাথরের মন্দির, ঘুরে আসুন জয়পুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাঁকুড়া জেলার জয়পুর অরণ্য পর্যটকদের বেশিরভাগের কাছেই পরিচিত আরণ্যক পর্যটন কেন্দ্র (Bankura) হিসেবে। কিন্তু এর বাইরেও এই অরণ্যে আরও এমন কিছু দ্রষ্টব্য আছে, তার খবর আমরা অনেকেই রাখি না। এই প্রতিবেদনে আমরা সেরকমই কয়েকটি দ্রষ্টব্যের ব্যাপারে আলোচনা করব, একাধারে সেগুলি যেমন দর্শনীয়, তেমনি তাদের ঐতিহাসিক গুরুত্বও অপরিসীম।

    গোকুলচাঁদ মন্দির (Bankura)

    এই যেমন গোকুলচাঁদ মন্দির। ল্যাটেরাইট পাথর দিয়ে তৈরি ৪৫ ফুট দৈর্ঘ্য এবং প্রস্থ বিশিষ্ট মন্দিরটির উচ্চতাও প্রায় ৪৫ ফুট। মন্দিরটির প্রতিষ্ঠাতা কে, সেই সম্পর্কে দুটি ভিন্ন মত শোনা যায়। একটি মতে, ১৬৪৩ খ্রিস্টাব্দে বা ৯৪৯ মল্লাব্দ নাগাদ প্রথম রঘুনাথ সিংহের রাজত্বকালে এই মন্দির নির্মাণ করা হয়। আবার অন্য একটি মতে, রাজা বীর হাম্বিরের পূর্ববর্তী মল্লরাজ চন্দ্রমল্ল দ্বারা এই মন্দিরটি প্রতিষ্ঠিত হয়। মন্দিরের অঙ্গনের এক প্রান্তে ভোগগৃহ বা অতিথি নিবাসটির ছাদ বর্তমানে অধিকাংশটাই ভেঙে পড়েছে। কিন্তু পুরু পাথরের দেওয়াল আজও দৃশ্যমান। এটি দৈর্ঘ্যে ৫৯ ফুট এবং প্রস্থে ৪১ ফুট। ৩টি ৭ ফুট ৭ ইঞ্চি ফুলকাটা খিলান রয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের প্রত্নতত্ত্ব ও সংগ্রহালয় অধিকার, তথ্য ও সংস্কৃতি বিভাগ দ্বারা প্রকাশিত ‘বাঁকুড়া জেলার পুরাকীর্তি’ বইটিতে এই গোকুলচাঁদ মন্দির সম্পর্কে এইসব তথ্য বিশদে বর্ণনা করা হয়েছে।

    সমুদ্র বাঁধ

    এই মন্দির থেকে সামান্য দূরত্বে সমুদ্র বাঁধ। কাজেই শুধু অরণ্যের শিহরণ নয়, এই অপরূপ শিল্পশৈলীতে নির্মিত সুপ্রাচীন মন্দিরটির ঐতিহাসিক গুরুত্বের আকর্ষণেও একবার ঘুরে আসা যেতেই পারে এই জয়পুর (Bankura)। ইচ্ছে হলে আর হাতে সময় থাকলে এখান থেকেই ঘুরে নেওয়া যায় মাত্র ১০-১২ কিমি দূরের মন্দির নগরী বিষ্ণুপুরও।

    কীভাবে যাবেন, কোথায় থাকবেন? (Bankura)

    যাতায়াত-কলকাতা থেকে বিষ্ণুপুর, বাঁকুড়াগামী যে কোনও ট্রেন ধরে নামতে হবে বিষ্ণুপুর স্টেশনে। সেখান থেকে বাস বা গাড়িতে ২০-২৫ মিনিটের পথ জয়পুর। আর কলকাতার ধর্মতলা থেকে বাঁকুড়া, মুকুটমণিপুরগামী সব বাসই যাচ্ছে জয়পুরের ওপর দিয়ে। কলকাতা থেকে দূরত্ব প্রায় ১২৭ কিমি।
    থাকা খাওয়া-যাঁরা হাইওয়ের পাশে থাকতে চান, তাঁরা থাকতে পারেন বনলতা রিসর্টে। ফোন-৯৭৩২১১১৭০৬। আর যাঁরা অরণ্যের শিহরণ, অরণ্যের নির্জনতা (Temples with Jungle) উপভোগ করতে চান, তাঁরা থাকতে পারেন তুলনামূলক ভাবে গোকুলচাঁদ মন্দির ও সমুদ্র বাঁধের নিকটবর্তী আরণ্যক রিসর্টে। এখানে শিশুদের খেলার জায়গা, খাওয়ায় ব্যবস্থা ও ট্রাভেল ডেস্ক আছে। ফোন-৮২৪০০৮৫২৪৩।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar: সূর্যাস্তের পর ময়নাতদন্ত! আপত্তিতে আমল দেয়নি পুলিশ-হাসপাতাল, প্রকাশ্যে সেই চিঠি

    RG Kar: সূর্যাস্তের পর ময়নাতদন্ত! আপত্তিতে আমল দেয়নি পুলিশ-হাসপাতাল, প্রকাশ্যে সেই চিঠি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সূর্যাস্তের পরে ময়নাতদন্ত করা যায় না। কিন্তু, আরজি করের (RG Kar) তরুণী চিকিৎসকের ক্ষেত্রে তাই করা হয়েছিল। ২০২১-র ২৩ ডিসেম্বর স্বাস্থ্যভবনের নির্দেশিকার চার নম্বর পয়েন্টে স্পষ্ট বলা রয়েছে, ধর্ষণ করে খুনের ক্ষেত্রে সূর্যাস্তের পর ময়নাতদন্ত করা যাবে না। যদি না আইনশৃঙ্খলা জনিত সমস্যা হয়। সেই নির্দেশিকার প্রতিলিপি পাঠানো হয়, জেলা পুলিশ সুপার, হাসপাতালের প্রিন্সিপ্যাল, সুপারকে। দেখা যাচ্ছে, সাব ইন্সপেক্টর ফরেন্সিক বিভাগের প্রধানকে চিঠি লিখছেন। ময়নাতদন্তের অনুমতি চেয়েছেন। আর ফরেন্সিক বিভাগের প্রধানই হলেন মেডিক্যাল বোর্ডের সদস্য। তিনি সন্দীপ ঘোষ ঘনিষ্ঠ বলেও অভিযোগ ওঠে। অভয়ার ক্ষেত্রে তা মানাই হয়নি। তাতে আপত্তি জানিয়ে নোট দিয়েছিলেন ময়না তদন্তের বোর্ডে থাকা এক সদস্য। কিন্তু তাতে আমল না দিয়েই পুলিশ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তড়িঘড়ি পদক্ষেপ করেছিলেন বলেই অভিযোগ।

    ঠিক কী অভিযোগ? (RG Kar)

    মঙ্গলবার ওই নোট এবং আরজি করের ফরেন্সিক মেডিসিন বিভাগের প্রধান চিকিৎসককে টালা থানার তরফে দেওয়া চিঠি প্রকাশ্যে এসেছে। আর তা নিয়ে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। ৯ অগাস্ট তরুণী চিকিৎসকের দেহ উদ্ধারের পর ওই দিনই ময়নাতদন্ত সেরে ফেলতে চেয়েছিল প্রশাসন। সেই মতো আরজি করের (RG Kar) সুপার একটি মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করেন। তাতে ওই মেডিক্যাল কলেজের ফরেন্সিক মেডিসিনের প্রফেসর অপূর্ব বিশ্বাস, অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর রিনা দাস এবং নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজের (Kolkata) অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর মলি বন্দ্যোপাধ্যায়কে রাখা হয়। বোর্ড গঠনের নির্দেশিকায় এক সদস্য নোট দিয়ে জানান, বিকেল ৪টের পরে ময়নাতদন্তের প্রক্রিয়া শুরু করতে হলে পুলিশের নির্দিষ্ট নির্দেশিকা লাগবে। সেই বিষয়ে ২০২১ সালে স্বাস্থ্য দফতরের একটি নির্দেশিকার মেমো নম্বরও তিনি উল্লেখ করেন। তাতে বলা হয়, রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের ওই এসওপি-তে বলা ছিল, আইনশৃঙ্খলাজনিত সমস্যা ছাড়া খুন, আত্মহত্যা, ধর্ষণ, উদ্ধার হওয়া পচাগলা দেহ এবং রহস্যজনক মৃত্যুর ক্ষেত্রে রাতে ময়নাতদন্ত করা যাবে না।

    চিঠিতে কী বলা হয়েছিল?

    সূর্যাস্তের পর অভয়ার ময়নাতদন্ত করতে চেয়ে আরজি করের ফরেন্সিক বিভাগকে (RG Kar) সরাসরি চিঠি দেন টালা থানার এক সাব ইন্সপেক্টর। চিঠিতে লেখা ছিল, জরুরি বিষয়, ‘স্পেশ্যাল ইস্যু’। কিন্তু কী সেই স্পেশ্যাল ইস্যু, তা স্পষ্ট করেনি পুলিশ। আইনের বিশেষজ্ঞরা বলছেন, স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশিকা অমান্য করেছে পুলিশ। নিয়ম অনুযায়ী, বিকাল চারটের পর ময়নাতদন্ত করতে হলে এসপি পদমর্যাদার পুলিশকে অনুরোধ করতে হবে। হাসপাতালের সুপার কিংবা প্রিন্সিপ্যালকে সেই অনুরোধে শীলমোহর দিতে হবে। প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কেন সাব ইন্সপেক্টর চিঠি লিখলেন? প্রিন্সিপ্যাল কিংবা সুপারকে এড়িয়ে কেন সরাসরি ফরেন্সিক বিভাগকে চিঠি? সাব ইন্সপেক্টরের চিঠি পেয়ে কেন ময়নাতদন্তে রাজি হল ফরেন্সিক বিভাগ? প্রসঙ্গত, এই খামতির অভিযোগই সোমবার সুপ্রিম কোর্টে উত্থাপিত করেছেন আইনজীবী ফিরোজ এডুলজি। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় ময়নাতদন্তের চালান দেখতে চান। কিন্তু তা দেখাতে পারেনি রাজ্য। তা নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়েন রাজ্যের আইনজীবী কপিল সিব্বল। এখন নতুন করে এই চিঠি সামনে আসায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।

    আরও পড়ুন: ‘ইলিশ দেব না’ হুঁশিয়ারি দেওয়া বাংলাদেশ ভারতের কাছে হাত পেতে নিল ডিম!

     চিকিৎসককে কী ভাবে বোর্ডে রাখা হল?

    আরজি করের (RG Kar) ঘটনায় ওই মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ কীভাবে বোর্ড গঠন করে নির্দেশিকা জারি করলেন? এই সমস্ত প্রশ্নের প্রেক্ষিতে অভিযোগ ওঠে, ‘উত্তরবঙ্গ লবি’র ঘনিষ্ঠ দুই চিকিৎসককে ‘ইচ্ছাকৃত ভাবে’ বোর্ডে রাখা হয়েছিল। সোমবার সুপ্রিম কোর্টে শুনানির সময়েও ময়নাতদন্তের বোর্ডে ‘উত্তরবঙ্গ লবি’র ঘনিষ্ঠদের থাকার বিষয়টি উত্থাপিত হয়। সিনিয়র চিকিৎসকদের দাবি, তরুণী চিকিৎসকের বাবা-মা অভিযোগ করেছেন যে, তাঁরা দেহ রাখতে চেয়েছিলেন। কিন্তু, পুলিশ তা করতে দেয়নি। এই নোট এবং চিঠি সামনে আসায় সেই অভিযোগ জোরদার হল বলে মনে করা হচ্ছে।

    অভয়ার বন্ধু কী বলেছেন?

    ময়নাতদন্তের ক্ষেত্রে নিয়ম যে মানা হয়নি, সে প্রসঙ্গ উত্থাপন করেন অভয়ার বিশেষ বন্ধু, যিনি নিজেও একজন চিকিৎসক। তিনি বলেন, “আমার যতটুকু জ্ঞান তাতে, অন্ধকার হয়ে গেলে কালার চেঞ্জগুলো বোঝা যায় না। শরীরে বিষ থাকলে, যদি শরীরের বিশেষ অংশের রঙ পরিবর্তন হয়ে যায়, তাহলে তা ধরা যায় না। তাই সূর্যাস্তের পর ময়নাতদন্ত (RG Kar) করা হয় না।” সুপ্রিম কোর্টের পরবর্তী শুনানির আগে এই বিষয়টি মামলাকারীর আইনজীবীর হাতে যথেষ্ট সাক্ষ্য, বলছেন আইন বিশেষজ্ঞরাই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Incident: আরজি করে ক্রাইম সিনে থাকার অভিযোগ, অপসারিত মালদার আইএমএ সভাপতি

    RG Kar Incident: আরজি করে ক্রাইম সিনে থাকার অভিযোগ, অপসারিত মালদার আইএমএ সভাপতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আর জি কর-কাণ্ডের (RG Kar Incident) পর পরই একাধিক সরকারি মেডিক্যাল কলেজ থেকে সামনে এসেছে থ্রেট কালচারের অভিযোগ। ভাইরাল হয়েছে বেশ কয়েকটি অডিও ক্লিপ। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া চলছে। এই আবহের মধ্যে এবার আরজি কর কাণ্ডের সঙ্গে যোগসূত্রের অভিযোগ তুলে আইএমএ মালদার (Malda) সভাপতিকে অপসারণ করা হল। আইএমএ মালদার সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হল চিকিৎসক তাপস চক্রবর্তীকে।

    ঠিক কী অভিযোগ? (RG Kar Incident)

    আইএমএ-র রাজ্য শাখার তরফে জানানো হয়, তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত সুশান্ত রায়, অভীক দে, তাপস চক্রবর্তী, দীপাঞ্জন হালদার ও বিরূপাক্ষ বিশ্বাসকে সাসপেন্ড করুক রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল। রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট সুদীপ্ত রায়কে চিঠি পাঠিয়ে পদত্যাগ করতে অনুরোধ করে ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের রাজ্য শাখা। আর এবার সরিয়ে দেওয়া হল আইএমএ-র মালদা শাখার সভাপতি তাপস চক্রবর্তীকে। গত ৯ অগাস্ট আরজি কর (RG Kar Incident) সেমিনার রুমে তিনিও ছিলেন। এই ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার সঙ্গে তিনিও জড়িত থাকতেও পারেন বলে অভিযোগ বহু চিকিৎসকের। আইএমএ-র মালদা শাখার সহ সভাপতির দাবি, ৯ অগাস্ট আরজি কর মেডিক্যালের ক্রাইম সিনে কেন ছিলেন তাপস চক্রবর্তী? এই প্রশ্নের উপযুক্ত ব্যাখ্যা না দেওয়া পর্যন্ত আইএমএ-র মালদা শাখার সভাপতি পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

    আরও পড়ুন: ‘ইলিশ দেব না’ হুঁশিয়ারি দেওয়া বাংলাদেশ ভারতের কাছে হাত পেতে নিল ডিম!

    আইএমএ-র মালদা শাখার প্রাক্তন সভাপতির কী বক্তব্য?

    আইএমএ-র মালদা শাখার সভাপতি পদ থেকে সরানোর পর তাপস চক্রবর্তীর দাবি, তাঁর বিরুদ্ধে আনা এই রেজোলিউশন অবৈধ। আগামী ১৪ তারিখ বৈঠক রয়েছে। তাতে সুরাহা না হলে, তিনি দিল্লি আইএমএ-র দ্বারস্থ হবেন। তবে, তিনি স্বীকার করেছেন, ৯ অগাস্ট তিনি আরজি কর হাসপাতালের সেমিনার রুমে ছিলেন। তিনি বলেন, ‘‘রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের বৈঠকে যোগ দিতে কলকাতায় গিয়েছিলাম। ৯ অগাস্ট বৈঠকের মাঝে হঠাৎই আরজি কর মেডিক্যালে মর্মান্তিক ঘটনার খবর আসে। রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আরজি কর (RG Kar Incident) মেডিক্যালে গিয়েছিলাম। রাত সাড়ে চারটে থেকে ৬টা-সোয়া ৬টা পর্যন্ত ছিলাম। আর এটা ঠিক, আমিও আরজি কর সেমিনার রুমে ছিলেন। দেহ তখনও ছিল ঘরের মধ্যেই। বহু মানুষই উপস্থিত ছিলেন সেখানে। ছিল বহু ফটোগ্রাফারও।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Protest: ‘বিচার পাবে অভয়া তবে হবে মহালয়া’, নয়া স্লোগান ডাক্তারদের

    RG Kar Protest: ‘বিচার পাবে অভয়া তবে হবে মহালয়া’, নয়া স্লোগান ডাক্তারদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর (RG Kar Protest) নিয়ে রাজ্যজুড়ে আন্দোলন চলছে। প্রতিদিনই বিচার চেয়ে রাস্তায় নামছেন সাধারণ মানুষ। এই আবহে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উৎসবে ফেরার কথা বলেছেন। যা নিয়ে আন্দোলনকারী থেকে নাগরকি মহল সর্বত্র চর্চা হয়েছে। আর মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়েছেন জুনিয়র ডাক্তাররা।

    ‘বিচার পাবে অভয়া তবে হবে মহালয়া’ (RG Kar Protest)

    সাংবাদিক বৈঠকে মমতা বলেছিলেন, “১ মাস তো হয়ে গেল। আজ ৯ তারিখ। এক মাস এক দিন। ৩১-এ মাস গিয়েছে। আমি অনুরোধ করব, পুজোতে ফিরে আসুন, উৎসবে ফিরে আসুন।” তা নিয়েই চলছে বিতর্ক। এদিন জুনিয়র চিকিৎসকদের স্বাস্থ্য ভবন অভিযান (RG Kar Protest) থেকে মমতার এ মন্তব্যের প্রতিবাদে উঠল লাগাতার স্লোগান। ‘কাঁদছে আমার বোনের শব, চাই না এমন নোংরা উৎসব’, এই লাইনে চলল গান।  চিকিৎসকরা আরও বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী আজ সব ভুলে মানুষকে উৎসবে ফিরতে বলেছেন। আমরা তাঁর এই বক্তব্যের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। অভয়ার বিচারহীন শবের উপর দাঁড়িয়ে উৎসবের ডাক দেওয়া এক ন্যক্কারজনক নির্লজ্জতার পরিচয়। বিচার না পাওয়া অবধি, উৎসবে ফেরার আবেদন অশ্লীল ও অমানবিক।”

    এদিন প্রতিবাদ মুখর রাস্তায় দাঁড়িয়েই এক আন্দোলনকারী (Junior Doctors) বলেন, “৩২ দিন হয়ে গিয়েছে। আজও বিচার পাওয়া যায়নি। আমাদের কোনও দাবি মানা হচ্ছে না। শুধু কোনওভাবে আমাদের ডিউটি প্রবেশ করিয়ে হাত তুলে নিতে চাইছে। উৎসব করতে বলছে। কিন্তু ওটা দিয়ে হবে না। এখন গোটা বাংলা, দেশ, গোটা বিশ্ব জেগে উঠেছে। সেই আগুন নেভানো যাবে না। উৎসবে যাঁরা ফিরতে চায় ফিরুক। কিন্তু আমাদের মধ্যে সেই মনোভাব কারও রয়েছে বলে মনে হয় না।” জুনিয়র ডাক্তাররা জানিয়ে দিয়েছেন, ‘বিচার পাবে অভয়া তবে হবে মহালয়া’। তারা উৎসবে ফিরছেন না বলেও জানিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্য অমানবিক, অশ্লীল, অসংবেদনশীল বলেও দাবি প্রতিবাদীদের। মুখ্যমন্ত্রীকে অবিলম্বে এই বক্তব্য ফিরিয়ে নিতে হবে বলেও দাবি আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের।

    আরও পড়ুন: ‘থ্রেট কালচার’-এর অভিযোগ! আন্দোলনকারীদের প্রবল চাপে সন্দীপ-ঘনিষ্ঠ ৫১ জনকে নোটিস

    সরব হয়েছেন নির্যাতিতার মা

    মমতার পাল্টা প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন নির্যাতিতার মা-ও। তিনি বলেন, “দেশের মানুষ যদি ভাবেন উৎসবে ফিরবেন তাহলে ফিরবেন। তাঁরা তো আমার মেয়েটাকে (RG Kar Protest) নিজের পরিবারের মেয়ে ভাবছেন। তাঁরা যদি ফিরতে পারেন, তাহলে আমার কিছুই বলার নেই।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sandip Ghosh: ‘ধর্ষক’ সন্দীপ! ফাঁসির দাবিতে স্লোগান আদালতে, গাড়ি লক্ষ্য করে এল জুতো

    Sandip Ghosh: ‘ধর্ষক’ সন্দীপ! ফাঁসির দাবিতে স্লোগান আদালতে, গাড়ি লক্ষ্য করে এল জুতো

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুনানি শেষ হতেই একেবার ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হল আলিপুর কোর্টে। এজলাস থেকে বের হতে গিয়ে মহিলা আইনজীবীদের তুমুল বিক্ষোভের মুখে পড়তে দেখা যায় সন্দীপ ঘোষকে (Sandip Ghosh)। শুনানি শেষে আদালত কক্ষের ভিতরেই সন্দীপের বিরুদ্ধে লাগাতার স্লোগান দিতে দেখা যায় আইনজীবীদের। এভাবে তুমুল বিক্ষোভের মুখে পড়বে তা কেউ ভাবতে পারেনি।

    বিচারক কী নির্দেশ দিলেন? (Sandip Ghosh)

    মঙ্গলবার আলিপুর আদালতে সশরীরে হাজির করানো হয় সন্দীপ-সহ চার জনকে। এদিন শুনানিতে সন্দীপকে (Sandip Ghosh) নিজেদের হেফাজতে চায়নি সিবিআই। কারণ, হিসেবে বলা হয়, ইতিমধ্যেই এই ডিজিটাল এভিডেন্স ক্লোনিং করার আবেদন করা হয়েছে। সেই রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত জেল হেফাজতে রাখার আবেদন করা হয় সিবিআইয়ের (CBI) তরফে। আরজি কর হাসপাতালে দুর্নীতির অভিযোগের মামলায় ২৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সন্দীপ, সুমন হাজরা, বিপ্লব সিং এবং আফসর আলিকে বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক।

    আরও পড়ুন: ‘থ্রেট কালচার’-এর অভিযোগ! আন্দোলনকারীদের প্রবল চাপে সন্দীপ-ঘনিষ্ঠ ৫১ জনকে নোটিস

    আদালতে ঠিক কী ঘটেছে?

    জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়ে আদালত কক্ষ থেকে সবে বেরিয়েছেন বিচারক। তখনও এজলাসেই বসে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ (Sandip Ghosh) এবং আরও তিন অভিযুক্ত। তাঁদের ঘিরে তৈরি রাখা কড়া নিরাপত্তার বলয়। রয়েছেন পুলিশ কর্মী। রয়েছেন সিবিআইয়ের আধিকারিকেরা। এর মাঝেই সন্দীপকে ‘ধিক্কার’ জানাতে থাকেন এক মহিলা। ক্রমে স্লোগান উঠতে শুরু করে, ‘চোর চোর’, ‘ফাঁসি চাই’। উড়ে আসতে তাকে নানাবিধ হুমকি। সেই সময়েই আদালত কক্ষে ফিরে আসেন বিচারক। হাত জোড় করে বাকিদের চুপ করার অনুরোধ জানান। পরিস্থিতি সামাল দিতে বাইরে মোতায়েন করা হয় কেন্দ্রীয় বাহিনী। শেষ পর্যন্ত কড়া প্রহরায় আদালত থেকে বার করিয়ে গাড়িতে চাপানো হয় সন্দীপদের।

    ‘‘তোর বডিগার্ড কোথায়?”

    তবে সেখানেও বাধে গোল। সন্দীপকে পুলিশের যে গাড়িতে তোলা হয়, এ বার সেটি লক্ষ্য করে ছোড়া হয় জুতো। কেউ বিচারের দাবিতে স্লোগান দিতে থাকেন। মূলত মহিলা আইনজীবীরা সন্দীপের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকেন। সন্দীপকে ‘ধর্ষক’ সম্বোধন করেও চিৎকার করতে থাকেন কেউ কেউ। তাঁর ফাঁসির দাবিও ওঠে আদালত কক্ষে। এখানেই শেষ নয়। সন্দীপের দাঁত ভেঙে দেওয়ার হুমকি দেন এক জন। তিনি বলেন, “অপরাধী হাসতে পারে না। দাঁত ভেঙে দেব।” এক জন বলেন, “জেলের ভাত কেন খাবে? সরকারের খরচ হবে।” এ ভাবে সন্দীপের উদ্দেশে একের পর এক স্লোগান উঠতে থাকে আদালতকক্ষে। জনৈক এক মহিলা চিৎকার করে বলেন, ‘‘তোর বডিগার্ড কোথায়?”  ‘We Want Justice’ ‘কালপ্রিট সন্দীপ ঘোষ নিপাত যাক’ লাগাতার এই সব স্লোগান উঠতে থাকে সন্দীপের সামনে। সূত্রের খবর, অবস্থা দেখে কার্যত মুখ ঘুরিয়ে নেন সন্দীপ। ততক্ষণে ‘সন্দীপ ঘোষ ধর্ষক। You are a Rapist।’ স্লোগান উঠতে শুরু করেছে।

    আইনজীবীরা কী বললেন?

    সিমন দাস নামে এক আইনজীবী বলেন, “কেন ধর্ষকের (Sandip Ghosh) জন্য বিশেষ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে? আমর প্রতিবাদ করেছি বলে আমাদের আদালত কক্ষ থেকে বার করে দেওয়া হয়েছে।” অন্য এক আইনজীবী ইশা পাল বলেন, “আদালতের যে দরজা নিয়ে বিচারকেরা যাতায়াত করেন, সেখান দিয়ে সন্দীপকে বার করে নিয়ে আসা হয়েছে। কেন এই বিশেষ ব্যবস্থা?”

    সশরীরে আদালতে হাজিরের নির্দেশ

    প্রসঙ্গত, গত ৩ সেপ্টেম্বর যখন আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপকে আদালতে হাজির করেছিল সিবিআই। তখনও আদালতের সামনে বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়। সন্দীপকে আদালত থেকে বার করার সময়েই শুরু হয়েছিল গোলমাল। ‘চোর চোর’ চিৎকার করে একদল মানুষ সন্দীপের দিকে এগিয়ে যায়। সেই সময়েই কোনও এক জন সন্দীপের মাথ পিছন থেকে চাঁটি মারেন বলেও অভিযোগ ওঠে। সেই পরিস্থিতি থেকে কোনও রকমে সন্দীপকে নিরাপত্তাবেষ্টনী তৈরি করে গাড়িতে তুলেছিলেন সিবিআই আধিকারিকেরা। সে দিনের বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখেই মঙ্গলবার সন্দীপদের ভার্চুয়াল শুনানির আবেদন করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তবে সেই আবেদন খারিজ করে দেয় আলিপুর আদালত। মঙ্গলবার সশরীরে আদালতে হাজিরের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Birupaksha Biswas: ‘বদলির আশ্বাস দিয়ে দফায় দফায় টাকা হাতিয়েছেন বিরূপাক্ষ’, বিস্ফোরক চিকিৎসক

    Birupaksha Biswas: ‘বদলির আশ্বাস দিয়ে দফায় দফায় টাকা হাতিয়েছেন বিরূপাক্ষ’, বিস্ফোরক চিকিৎসক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্বাস্থ্য দুর্নীতিতে চিকিৎসক বিরূপাক্ষ বিশ্বাসের কুকীর্তি ক্রমশ সামনে আসছে। শাসকদলের ওই চিকিৎসক নেতার বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে এসেছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। নিজেকে প্রভাবশালী দেখিয়ে পোস্টিং করে দেওয়ার নাম করে টাকা নেওয়ার অভিযোগ ওঠে বিরূপাক্ষের (Birupaksha Biswas) বিরুদ্ধে। এমনকী পদোন্নতির নামে বহু চিকিৎসকের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতানোর অভিযোগ উঠেছে বিরূপাক্ষের বিরুদ্ধে। প্রতারণার মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানাও জারি হয়েছিল। কিন্তু, তিনি এতটাই প্রভাবশালী ছিলেন যে, প্রকাশ্যে নীলবাতি লাগানো গাড়ি নিয়ে ঘুরলেও বিরূপাক্ষকে ছোঁয়ার সাহস দেখায়নি পুলিশ। এবার এক চিকিৎসক তাঁর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করেছেন। শুধু তাই নয় বিরূপাক্ষর বিরুদ্ধে থানায় বর্ধমান লিখিত অভিযোগও জানিয়েছেন তিনি।

    চিকিৎসকের ঠিক কী অভিযোগ? (Birupaksha Biswas)

    মুর্শিদাবাদের বেলডাঙার শক্তিপুর ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের তৎকালীন চিকিৎসক অনুপম মণ্ডল ২০২৩ সালের ১৩ মে বর্ধমান (Burdwan) থানায় বিরূপাক্ষের (Birupaksha Biswas) বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। বদলির জন্য বিরূপাক্ষ তাঁর কাছ থেকে দফায় দফায় মোটা টাকা নিয়েছেন বলেই অভিযোগ করেন তিনি। তৃণমূলের চিকিৎসক নেতা ও প্রাক্তন সাংসদ শান্তনু সেনকেও লিখিতভাবে অভিযোগের কথা জানিয়েছিলেন অনুপম। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে ২০২৩ সালের ১৮ মে তারিখে বর্ধমান থানায় বিরূপাক্ষর বিরুদ্ধে মামলা নথিভুক্ত করা হয়। অভিযোগ পত্রে অনুপম লেখেন, স্বাস্থ্য দফতরের উত্তরবঙ্গের ওএসডি, একজন বিধায়ক চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্য দফতরের বড় কর্তাদের সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ আছে বলেই জানিয়েছিলেন বিরূপাক্ষ। সেই মর্মে নিশ্চিত বদলি হবে আশ্বাস পেয়েই টাকা দিয়েছিলেন অনুপম। কিন্তু, পরে তাঁর কাজ হয়নি। টাকা ফেরতের কথা বলতেই হুমকির মুখে পড়তে হয় তাঁকে। এই ঘটনার সুবিচার দাবি করেছেন ওই চিকিৎসক।

    আরও পড়ুন: ‘থ্রেট কালচার’-এর অভিযোগ! আন্দোলনকারীদের প্রবল চাপে সন্দীপ-ঘনিষ্ঠ ৫১ জনকে নোটিস

    দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি

    বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের এক চিকিৎসক বলেন, এলাকায় সিন্ডিকেট রাজ চালাতেন বিরূপাক্ষ (Birupaksha Biswas)। বহু চিকিৎসক তাঁর খপ্পরে পড়ে  প্রতারিত হয়েছে। আমরা চাই, এই সব প্রতারণার ঘটনার উপযুক্ত তদন্ত করে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা দরকার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • ED: রয়েছে দুর্নীতির তথ্যপ্রমাণ! ইডির হাতে এল সন্দীপ ঘোষের ল্যাপটপ, লুকানো ছিল কোথায়?

    ED: রয়েছে দুর্নীতির তথ্যপ্রমাণ! ইডির হাতে এল সন্দীপ ঘোষের ল্যাপটপ, লুকানো ছিল কোথায়?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর হাসপাতালে দুর্নীতির ঘটনায় আরও বড় তথ্যপ্রমাণ হাতে এল। এবার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে এল সন্দীপ ঘোষের ব্যবহার করা একটি ল্যাপটপ। জানা গিয়েছে, সংশ্লিষ্ট ল্যাপটপটি নিজের বেলেঘাটার বাড়ি থেকে অন্য এক আত্মীয়ের বাড়িতে সরিয়ে রেখেছিলেন সন্দীপ। সন্দীপের ওই আত্মীয়ের বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালিয়ে তাঁর ব্যবহার করা সেই ল্যাপটপটি বাজেয়াপ্ত করেন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটর (ED) গোয়েন্দারা।

    কোথায় কোথায় তল্লাশি? (ED)

    আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের বেলেঘাটার বাড়ির পাশাপাশি তাঁর শ্বশুরবাড়িতে পর্যন্ত তল্লাশি চালিয়েছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা (ED)। বাদ যায়নি শ্যালিকার বাড়ি। সেই তল্লাশিতে একাধিক নথি উদ্ধার হয়েছে। আর সেই তল্লাশিতেই উদ্ধার হয়েছে একটি ল্যাপটপ। ইতিমধ্যেই সেটি বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি। জানা যাচ্ছে, এই ল্যাপটপেই রয়েছে দুর্নীতির তথ্য। সূত্রের খবর, টেন্ডার সংক্রান্ত নথি রয়েছে ল্যাপটপে। এক্সেল ফাইলে রয়েছে প্রচুর টাকার হিসেব। ঘেঁটে দেখা হচ্ছে ই মেল। গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মুছে ফেলার আশঙ্কাও করছে এজেন্সি। কোনও প্রমাণ মুছে হয়েছে কি না, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ইডি-র দাবি, তদন্তে গুরুত্বপূর্ণ ডিজিটাল নথি পেয়েছে তারা। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার গোয়েন্দাদের অনুমান, এই ল্যাপটপে হয়তো রাখা হত যাবতীয় হিসেব। তাই, হিসেব বহির্ভূত আয়ের হিসেব এবং একাধিক নথিপত্র সংশ্লিষ্ট ল্যাপটপ থেকে পাওয়া যেতে পারে।

    আরও পড়ুন: ‘থ্রেট কালচার’-এর অভিযোগ! আন্দোলনকারীদের প্রবল চাপে সন্দীপ-ঘনিষ্ঠ ৫১ জনকে নোটিস

    আরজি করের দুর্নীতির তদন্তে সিবিআই-ও

    প্রসঙ্গত, সন্দীপ ঘোষ আরজি করের অধ্যক্ষ থাকাকালীন অনেক দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ। বিভিন্ন সময়ে সে সব অভিযোগ সামনে এলেও তরুণী চিকিৎসকের মৃত্যুর পর অভিযোগ আরও জোরালো হয়, নতুন করে মামলাও হয় কলকাতা হাইকোর্টে। সন্দীপের বিরুদ্ধে হওয়া দুর্নীতি মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয় আদালত। এরপরই সন্দীপকে গ্রেফতার করে সিবিআই। বর্তমানে সিবিআই হেফাজতেই রয়েছেন আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ। এই ঘটনায় নতুন ভাবে এফআইআর দায়ের করে তদন্তে নামেন সিবিআইয়ের দুর্নীতি দমন শাখার গোয়েন্দারা। এবার সিবিআই-এর পাশাপাশি সন্দীপের হাসপাতালে দুর্নীতির তদন্তে নেমেছে ইডি (ED)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • North Bengal Medical: আন্দোলনের ঝাঁঝ! নম্বর দুর্নীতিতে প্রাক্তন ডিন সহ ১২ জনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা

    North Bengal Medical: আন্দোলনের ঝাঁঝ! নম্বর দুর্নীতিতে প্রাক্তন ডিন সহ ১২ জনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের মতো উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল (North Bengal Medical) কলেজেও টিএমসিপি নেতাদের ‘থ্রেট কালচার’-এর ফলে আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়েছিল। সেই সঙ্গে পরীক্ষায় কারচুপির বিস্তর অভিযোগ ছিল। বিশেষ করে নম্বর দুর্নীতির বিষয়টি সামনে আসতেই জুনিয়র ডাক্তার ও পড়ুয়াদের আন্দোলনের চাপে ১২ জনের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিল কলেজ কর্তৃপক্ষ। এর মধ্যে প্রাক্তন ডিন ও অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিন ও একজন আরএমও রয়েছেন।

     কীভাবে চলত থ্রেট কালচার? (North Bengal Medical)

    আন্দোলনকারী পড়ুয়া-চিকিৎসকদের অভিযোগ, টিএমসিপি নেতাদের হাতের পুতুল হয়েছিলেন মেডিক্যাল কলেজ (North Bengal Medical) কর্তৃপক্ষ। থ্রেট কালচারের পাশাপাশি টিএমসিপি নেতাদের নির্দেশে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে (Siliguri) এতদিন চলে এসেছিল পরীক্ষায় নম্বরে কারচুপি, নকলে মদত দেওয়ার ঘটনা। কলেজ অনুষ্ঠানে টাকা তোলার জন্য জুলুম ও হুমকি দেওয়া হত। সেই টাকার কোনওদিন অডিট হয়নি। ৫২ নম্বর পাওয়া এক পড়ুয়ার নম্বর বাড়িয়ে ৮২ করে দেওয়া হয়েছিল।

    গত ৪ সেপ্টেম্বর এর প্রতিবাদে পড়ুয়া ও জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনের চাপে একথা স্বীকার করে পদত্যাগ করেন মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তন ডিন সন্দীপ সেনগুপ্ত, সহকারি ডিন সুদীপ্ত শীল। এই দু’জনের সঙ্গে মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ ইন্দ্রজিত সাহার পদত্যাগের দাবিতে গত ৪ সেপ্টেম্বর আন্দোলনকারীরা তাঁদের ঘেরাও করে রাখেন। রাতে সন্দীপ সেনগুপ্ত, সহকারি ডিন সুদীপ্ত শীল পদত্যাগ করলেও আশ্চর্যজনকভাবে অধ্যক্ষ ইন্দ্রজিত সাহার পদত্যাগের দাবি থেকে সরে আসেন জুনিয়র ডাক্তাররা।

    আরও পড়ুন: ‘থ্রেট কালচার’-এর অভিযোগ! আন্দোলনকারীদের প্রবল চাপে সন্দীপ-ঘনিষ্ঠ ৫১ জনকে নোটিস

     প্রাক্তন ডিন সহ ১২ জনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা!

    আন্দোলনের (North Bengal Medical) চাপে সুপারের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেন অধ্যক্ষ। তদন্তে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ নিয়ে আলোকপাত করা হয়নি। থ্রেট কালচারের হুমকি নিয়ে তদন্ত কমিটি সবপক্ষের সঙ্গে কথা বলে সোমবার রিপোর্ট জমা দেয়। সেই রিপোর্টেই তিন আধিকারিক সহ মোট ১২ জনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হয়। এর মধ্যে রয়েছেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের ৯ ছাত্র নেতা। আধিকারিকদের মধ্যে প্রাক্তন ডিন সন্দীপ সেনগুপ্ত, সহকারি ডিন সুদীপ্ত শীল ও আরএমও নিলাব্জ ঘোষকে আপাতত ছুটিতে পাঠানোর প্রস্তাব দিয়েছে কলেজ কাউন্সিল। অধ্যক্ষ বলেন, তিন হাউসস্টাফ শাহিন সরকার, শাহিনুল ইসলাম ও রিতুরম্ভ সরকার, সোহম মণ্ডল, জয় লাকড়া, তীর্থঙ্কর রায়, অরিত্র রায়, ঐশি চক্রবর্তী, শ্রীজা কর্মকারকেও বহিষ্কার করার সুপারিশ করা হয়েছে। সোহম মণ্ডল সহ যাদের নম্বর কারচুপি করার অভিযোগ রয়েছে, তাদের সকলের খাতা ফের মুল্যায়ন করা হবে। এদের মধ্যে তৃণমূল ছাত্র নেতা সোহম মণ্ডল ইন্টার্ন। অরিত্র ও তীর্থঙ্কর ফাইনাল ইয়ারের ছাত্র। ঐশি, শ্রীজা ও জয় লাকড়া তৃতীয় বর্ষের পার্ট-১ এর ছাত্র।

    অধ্যক্ষ কেন তদন্তের বাইরে?

    অন্যতম অভিযুক্ত টিএমসিপির বরখাস্ত নেতা অভীক দে এখানে অবৈধভাবে অডিটোরিয়াম (North Bengal Medical) দখল করে তাঁর জন্মদিন পালন করেছিলেন। অধ্যক্ষ সেই অনুষ্ঠানে থেকেছেন। অভীকের হাত থেকে কেকও খেয়েছেন তিনি। সেকথা স্বীকার করেছেন অধ্যক্ষ। তাতেই প্রশ্ন, অধ্যক্ষ কেন তদন্তের বাইরে? এই প্রসঙ্গে অধ্যক্ষ ইন্দ্রজিত সাহা বলেন, ‘‘এখানে সবাই আমার অধস্তন। তাই আমার বিরুদ্ধে যা অভিযোগ রয়েছে, তার সবটাই রাজ্য স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তার কাছে পাঠানো হয়েছে।’’ এ প্রসঙ্গে আন্দোলনকারীদের তরফে শাহরিয়ার আলম বলেন,  ‘‘আমরা অধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবি থেকে সরে আসছি না। তাঁর ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ কী সিদ্ধান্ত নেয় দেখে আমরা পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেব।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share