Tag: West Bengal

West Bengal

  • Suvendu Adhikari: আরজি করকাণ্ডের প্রতিবাদ, আগামী কর্মসূচি ঘোষণা শুভেন্দুর, পুজোয় বিশেষ ‘ডিউটি’

    Suvendu Adhikari: আরজি করকাণ্ডের প্রতিবাদ, আগামী কর্মসূচি ঘোষণা শুভেন্দুর, পুজোয় বিশেষ ‘ডিউটি’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্য বিজেপি নেতা-কর্মীদের পুজোর ছুটি বাতিল করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। পুজোর দিনগুলিতে কলকাতা তথা জেলার সব বড় পুজো মণ্ডপের বাইরে বিজেপি নেতা-কর্মীদের বিশেষ ‘ডিউটি’র কথা জানালেন তিনি। দুর্গাপুজোর আর বাকি একমাস। বিরোধী দলনেতার (Suvendu Adhikari) রাজনৈতিক কর্মসূচি নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে।

    ঠিক কী বলেছেন শুভেন্দু? (Suvendu Adhikari)

    শুক্রবার মুরলীধর সেন লেনে বিজেপি দফতরে সাংবাদিক বৈঠকে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘‘পুজো মণ্ডপের বাইরে বিজেপি নেতা-কর্মীরা থাকবেন। তাঁদের কাজ হবে দর্শনার্থীদের কাছ থেকে মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে স্বাক্ষর সংগ্রহ করা।’’ আরজি কর কাণ্ডের (RG Kar Protest) জেরে রাজ্যজুড়ে রোজ প্রতিবাদ আন্দোলন সংঘটিত হচ্ছে। কিন্তু, তৃণমূলের এক শ্রেণির নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে আপত্তিকর মন্তব্য করার অভিযোগ উঠেছে। সেই সূত্রে এদিন শুভেন্দু বলেন, ‘‘ওই সব মন্তব্য নারী- বিরোধী। আর তা পশ্চিমবঙ্গের মানুষকে ভুলতে দেওয়া চলবে না। পুজোর সময় ওই সব মন্তব্যের রেকর্ডিং বাজবে।’’ সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার, রাজ্যের উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী উদয়ন গুহ-সহ তৃণমূলের ১১ জন প্রথম সারির নেতৃত্বের বক্তব্যের রেকর্ডিং বাজানোর দায়িত্ব দলীয় কর্মী সমর্থকদের হাতে তুলে দিয়েছেন শুভেন্দু। তাঁর কথায়, ‘‘দেবীপক্ষ চলাকালীন ওই তৃণমূল নেতাদের ‘নারী-বিরোধী’ মন্তব্য রাজ্যবাসীকে মনে করিয়ে দিতে হবে বিজেপি নেতা-কর্মীদের।’’ পাশাপাশি শুভেন্দু এদিন বলেছেন, ‘‘একদিনে নবান্ন, লালবাজার ও কালীঘাট অভিযান হবে। ’’সেই অভিযানের দিনক্ষণ শীঘ্রই জানানো হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই এই ডাক দিয়েছিলেন তিনি। তাই পুজোর আগেই সেই কর্মসূচি হবে কি না, তা নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছে।

    আরও পড়ুন: ফের রাজ্য-রাজভবন সংঘাত! মমতার ‘অপরাজিতা বিল’ রাষ্ট্রপতিকে পাঠালেন বোস

    ঠিক কী বলেছিলেন তৃণমূলের নেতা-নেত্রীরা?

    কিছুদিন আগেই তৃণমূল সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার একটি বিতর্ক সভায় বলেছেন, ‘‘ছাত্রীদের কোলে বসিয়ে পাশ করিয়ে দেওয়ার একটা চল শুরু হয়েছিল। যার আমি তীব্র নিন্দা করি, ঘৃণা করি। কিন্তু কোলে বসিয়ে পাশ করিয়ে দেওয়ার চলটা যে এখানে এসে দাঁড়াবে, উৎকোচ নিয়ে পাশ করানো হবে, কিংবা কেউ মুখ খোলার সাহস দেখালে যে তাঁর থিসিস আটকে দেওয়া হবে, এমনটা আমি ভাবতে পারিনি।’’ এই মন্তব্যের পর ব্যাপক বিতর্ক হওয়ায় কাকলি ক্ষমা চাইতে বাধ্য হয়েছিলেন। একই ভাবে উদয়ন গুহকে বলতে শোনা গিয়েছিল, ‘‘যাঁরা মনে করছেন যে, কিছু ছাত্রছাত্রীকে ভুল বুঝিয়ে রাত দখল করে পশ্চিমবঙ্গের নবান্ন দখল করবেন, তাঁরা জেনে রাখুন তাঁদের জন্য শুধু ওই রাতের অন্ধকারটুকুই থাকবে। দিনের আলো আপনারা দেখতে পাবেন না। দিনের আলো আপনাদের জন্য থাকবে না।’’ এই ধরনের মন্তব্যের রেকর্ডিং পুজোর দিনগুলিতে বাজানোর ডাক দিয়েছেন শুভেন্দু।

    বিশেষ বৈঠক বিজেপির

    এদিকে, ১৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ধর্মতলায় বিজেপির ধর্না কর্মসূচি চলবে।  এরপর ১৭ তারিখ বিশেষ বৈঠক ডেকেছে বিজেপি। তারপরই পরবর্তী কর্মসূচি নিয়ে সিদ্ধান্ত ঘোষণা হবে বলে জানিয়েছেন শুভেন্দু। এছাড়া শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) এদিন আরও বলেন, ‘‘ধর্মতলার ধর্না শেষ হলেও গোটা সেপ্টেম্বর মাসটাই বিজেপি নেতা-কর্মীরা প্রত্যেকটি বাজার, স্টেশন এবং বাসস্ট্যান্ডে পথসভা করবেন। এছাড়াও নানা কর্মসূচি চালিয়ে নিয়ে যাবেন।’’ উৎসবের মরশুমে সাধারণত রাজনৈতিক কর্মসূচি দেখা যায় না। কিন্তু আরজি কর কাণ্ড নিঃসন্দেহে ব্যতিক্রম। সেই সূত্রেই এমন কর্মসূচির ডাক দিয়েছেন বিরোধী দলনেতা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Protest: পুজোর আগেই ফের নবান্ন অভিযান? ছাত্র সমাজের আন্দোলনে এবার উত্তরবঙ্গও

    RG Kar Protest: পুজোর আগেই ফের নবান্ন অভিযান? ছাত্র সমাজের আন্দোলনে এবার উত্তরবঙ্গও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করকাণ্ডের (RG Kar Protest) প্রতিবাদে পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজের পক্ষ থেকে ফের বড়সড় আন্দোলনে নামার ডাক দেওয়া হয়েছে। ফের কি নবান্ন অভিযান (Nabanna Abhijan) হতে চলেছে, তা নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে। ২৭ অগাস্ট অভিযানকে ঘিরে রীতিমতো সংঘর্ষের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। তবে ওই কর্মসূচিতে মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত সাড়া দেখে ফের একই ধরনের অভিযানে নামতে চলেছে ছাত্র সমাজ। শুক্রবার সেই ইঙ্গিত দিয়েছেন নবান্ন অভিযানে ছাত্র সমাজের অন্যতম মুখ শুভঙ্কর হালদার। তবে কেমন কর্মসূচি হবে তা নিয়ে এখনই মুখ খুলতে নারাজ তাঁরা। জানা যাচ্ছে, ছাত্র সমাজের দ্বিতীয় অভিযানে দক্ষিণবঙ্গের পাশাপাশি যোগ দেবে উত্তরবঙ্গের মানুষও।

    আবারও কি নবান্ন অভিযান? (RG Kar Protest)

    ছাত্র সমাজের প্রতিনিধি শুভঙ্কর হালদার বলেন, “এখনই আমরা কী কর্মসূচি, তা বলব না। কারণ, কোনও কিছুই চূড়ান্ত হয়নি। তবে আরজি কর-কাণ্ডের (RG Kar Protest) প্রতিবাদে আমাদের আন্দোলন চলবে। মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের যে দাবি আমরা তুলেছি, তা নিয়ে আরও বড় আকারে কর্মসূচির কথা ভাবা হচ্ছে।” খুব তাড়াতাড়ি কর্মসূচির ঘোষণা হয়ে যাবে বলেও দাবি শুভঙ্করের। অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহেই দুর্গাপুজো। তবে, তার অনেক আগেই দ্বিতীয় অভিযানের পরিকল্পনা রয়েছে ছাত্র সমাজের। প্রসঙ্গত, ২৭ অগাস্ট নবান্ন অভিযান সফল হয়েছে বলেই মনে করে পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ। তাদের ডাকে নবান্ন অভিযান ঘিরে সংঘর্ষের আবহ তৈরি হয় কলকাতা ও হাওড়ায়। কাঁদানে গ্যাস, জলকামানের পাশাপাশি লাঠিও চালায় পুলিশ। পাল্টা ইট ছোড়ার অভিযোগ ওঠে মিছিল থেকে। কয়েকজন পুলিশকর্মী আহতও হন। অভিযানে আহ্বায়কদের কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়। পরে সায়ন লাহিড়ী নামে এক জনকে পুলিশ গ্রেফতার করে। কলকাতা হাইকোর্ট সায়নকে জামিন দিলেও বিরোধিতা করে সুপ্রিম কোর্টে যায় রাজ্য। সেখানেও সায়নের পক্ষেই রায় মেলে।

    আরও পড়ুন: সাতসকালে সন্দীপ ঘোষের বাড়িতে হানা ইডির, তালা খুলে ঢুকলেন অফিসাররা

    আন্দোলনে যোগ দেবে উত্তরবঙ্গও

    আদালতের সেই জয়কে পাথেয় করেই আবার কর্মসূচি নিতে চান শুভঙ্করেরা। তিনি বলেন, “সেদিন সাধারণ মানুষ আমাদের ডাকে যে ভাবে সাড়া দিয়েছেন তা এখনও পাচ্ছি। আদালতও জানিয়ে দিয়েছে, আমরা কোনও অন্যায় করিনি। তাই নির্যাতিতার বিচার এবং মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবি নিয়ে আমরা আরও বড় আকারে পথে নামব।” আন্দোলনে (RG Kar Protest) বিজেপির সমর্থন নিয়ে তিনি বলেন, “এটা তো লোকের কথা। রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল যদি শাসকের বিরুদ্ধে ছাত্র সমাজের আন্দোলনের পাশে দাঁড়ায় তবে সমস্যা কোথায়? তবে আমার কোনও সাহায্য চাইনি এবং আগামী দিনেও চাইব না।” তিনি বলেন, “গত বুধবার রাতে সাধারণ মানুষের আন্দোলনের সময়ে কোচবিহারের মাথাভাঙায় অত্যাচার করা হয়েছে। আমরা সেখানে আক্রান্তদের সঙ্গে দেখা করতে যাব।”তিনি বলেন, “উত্তরবঙ্গের অনেকেই আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। আমরা এমন কর্মসূচি নেব, যাতে গোটা রাজ্যের মানুষ অংশ নিতে পারেন। আর সেটা পুজোর আগেই হবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Protest: বিজেপি’র ‘চাক্কা জ্যাম’ কর্মসূচিতে উঠল স্লোগান, ‘দফা এক, দাবি এক-মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ’

    RG Kar Protest: বিজেপি’র ‘চাক্কা জ্যাম’ কর্মসূচিতে উঠল স্লোগান, ‘দফা এক, দাবি এক-মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর-কাণ্ডের (RG Kar Protest) প্রতিবাদে রাজ্য জুড়েই আন্দোলন চলছে। সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন। ধর্মতলার ওয়াই চ্যানেলে এই ইস্যুতে বিজেপি লাগাতার ধর্না চালিয়ে যাচ্ছে। এই আবহের মধ্যে শুক্রবার রাজ্য জুড়ে বিজেপি’র পক্ষ থেকে চাক্কা জ্যাম কর্মসূচি নেওয়া হয়েছিল। ফলে, কলকাতাসহ জেলায় জেলায় দলের কর্মীরা রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান।

    কলকাতায় বিক্ষোভ (RG Kar Protest)

    শুক্রবার ধর্মতলায় বিজেপির ডাকে চাক্কা জ্যাম কর্মসূচি পালন করা হয়। রাজ্য বিজেপির ডাকে ১ ঘণ্টার প্রতীকী রাস্তা রোকো কর্মসূচি পালিত হয়। শুক্রবার ধর্মতলার মোড়ে পথ অবরোধ (RG Kar Protest) করেন বিজেপির উত্তর কলকাতা জেলার কর্মীরা। উপস্থিত ছিলেন উত্তর কলকাতা জেলা বিজেপি সভাপতি তমোঘ্ন ঘোষ। তিনি বলেন, এন্টালি, খান্না মোড়সহ কলকাতা জুড়েই এই কর্মসূচি পালিত হয়েছে।

    আরও পড়ুন: সাতসকালে সন্দীপ ঘোষের বাড়িতে হানা ইডির, তালা খুলে ঢুকলেন অফিসাররা

    জেলায় জেলায় চাক্কা জ্যাম কর্মসূচি

    নদিয়ার কৃষ্ণনগরেও চাক্কা জ্যাম কর্মসূচি পালন করা হয়। এদিন কৃষ্ণনগর রোড স্টেশন এলাকায় রাজ্য সড়কে বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা টায়ার জ্বালিয়ে পথ অবরোধ করেছেন। প্রায় এক ঘণ্টার বেশি সময় ধরে রাস্তা অবরোধ করে তাঁরা বিক্ষোভ দেখান। পথ অবরোধ থেকে স্লোগান তোলা হয়, ‘দফা এক, দাবি এক-মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ’। অন্যদিকে, বিজেপি’র চাক্কা জ্যাম কর্মসূচি পালিত হয় আসানসোলের নুনি মোড়ে। কর্মীরা রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখান। আসানসোলের কোর্ট ঘড়ি মোড়ে রাস্তা বন্ধ করে টায়ার জ্বলিয়ে বিক্ষোভে সামিল হন কর্মীরা। পুলিশের সঙ্গে বচসা হয় তাঁদের। রানিগঞ্জের সাহেবগঞ্জে রাস্তায় অবরোধ করেন বিজেপি কর্মীরা।

    আর জি করকাণ্ডে দোষীদের শাস্তির দাবিতে পূর্ব বর্ধমামের পূর্বস্থলী ১ ব্লকের জাহান নগর পঞ্চায়েতের বিদ্যানগর মোড়ে বিজেপির পক্ষ থেকে পথ অবরোধ করা হয়। এদিন কালনা-কাটোয়া এসটিকেকে রোডে এক গাড়ি চালকের সঙ্গে অবরোধকারীদের তুমুল বচসাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা তৈরি হয়। উপস্থিত ছিলেন বিজেপির জেলার প্রাক্তন জেলা সভাপতি রাজীব ভৌমিক, জেলা সদস্য বিধান ঘোষ, জেলা সম্পাদক প্রাণকৃষ্ণ দেবনাথ। মুর্শিদাবাদের বহরমপুরের ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক থেকে শুরু করে রাজ্য সড়কের বিভিন্ন জায়গায় চাক্কা জ্যাম কর্মসূচি পালন করা হয়। বহরমপুর সাংগঠনিক জেলা বিজেপির কার্যালয় থেকে একটি প্রতিবাদ মিছিল বের হয়। ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক গির্জার মোড়ে চাক্কা জ্যাম কর্মসূচিতে অংশ নেন জেলা বিজেপির নেতা ও কর্মীরা। উপস্থিত ছিলেন বহরমপুর বিজেপি (BJP) বিধায়ক সুব্রত মৈত্র, বহরমপুর সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সভাপতি শাখারভ সরকার সহ জেলা বিজেপির নেতা ও কর্মীরা। দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপের চৌরাস্তার মোড়ে ১১৭ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করলেন বিজেপি কর্মীরা। শুক্রবার দুপুরে তাঁরা অবরোধ করেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sandip Ghosh: ক্যানিংয়ে হদিশ মিলল সন্দীপ ঘোষের কয়েকশো বিঘা জমিসহ বাংলোর

    Sandip Ghosh: ক্যানিংয়ে হদিশ মিলল সন্দীপ ঘোষের কয়েকশো বিঘা জমিসহ বাংলোর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর হাসপাতালে দুর্নীতির মামলায় গত সোমবার সিবিআই গ্রেফতার করেছে হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে (Sandip Ghosh)। আলিপুরের বিশেষ আদালত সন্দীপকে আট দিন সিবিআই হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে। শুক্রবার সকালে সন্দীপের বেলেঘাটার বাড়িতে হানা দিয়ে তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে ইডি। এই আবহের মধ্যে এবার সন্দীপের একটি বিলাসবহুল বাংলোর হদিশ মিলল দক্ষিণ ২৪ পরগনার  (South 24 Parganas) ক্যানিংয়ে। যা নিয়ে নতুন করে চর্চা শুরু হয়েছে।  

    কয়েকশো বিঘার জমির ওপর বাংলো! (Sandip Ghosh)

    ক্যানিং-২ ব্লকের ঘুটিয়ারি শরিফের নারায়ণপুর মৌজায় কয়েকশো বিঘা ফাঁকা জমির মাঝেই মাথা তুলেছে সবুজরঙা দোতলা একটি বাংলো। বাংলোর ওপরে লেখা ‘সঙ্গীতাসন্দীপ ভিলা’। বাংলোটির চারদিকে রয়েছে লম্বা পাঁচিল। স্থানীয়দের একাংশে দাবি, এই বাংলোটি সন্দীপের। পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে ‘ডাক্তারবাবুকে’ এই বাংলোতে আসতেও দেখছেন তাঁরা। সন্দীপের স্ত্রীর নাম সঙ্গীতা ঘোষ। স্থানীয়দের বক্তব্য, স্ত্রী এবং নিজের নাম মিলিয়ে বাংলোটির নাম দিয়েছিলেন সন্দীপ। বাংলো এবং বাংলো সংলগ্ন কয়েকশো বিঘা জমিতে খামারবাড়ি তৈরি করেছেন স্থানীয় কয়েক জন যুবক। সন্দীপই এই খামারবাড়ি পরিচালনা করতেন বলে দাবি স্থানীয়দের একাংশের। স্থানীয় এক বাসিন্দার কথায়, “বেশ কয়েক বছর আগে বাংলোটি তৈরি হয়। মাঝে মধ্যে ডাক্তারবাবুকে আসতে দেখেছি। শুনেছিলাম উনি কলকাতার আরজি কর হাসপাতালের অধ্যক্ষ।”

    আরও পড়ুন: সাতসকালে সন্দীপ ঘোষের বাড়িতে হানা ইডির, তালা খুলে ঢুকলেন অফিসাররা

    সন্দীপের বাংলোর রক্ষী কী বললেন?

    সন্দীপের (Sandip Ghosh) বাংলোর দেখভালের দায়িত্বে রয়েছেন স্থানীয় যুবক জাকির লস্কর। জানা গিয়েছে, জাকির এমনিতে চাষের কাজ করেন। একইসঙ্গে সন্দীপ ঘোষের বাংলোর রক্ষীও। প্রথমে ৫ হাজার টাকা বেতন পেতেন। পরে তার সঙ্গে আরও ২ হাজার টাকা বাড়িয়ে ৭ হাজার টাকা করে দেন সন্দীপ। সন্দীপ কখন বাংলোয় আসতেন, এই প্রশ্নের উত্তরে জাকির বলেন, “সকাল ১০টা থেকে ১১টার মধ্যে আসতেন। আবার বিকালে বেরিয়ে যেতেন। পরিবার ছাড়া অন্য কেউ আসতেন না। দিনের বেলা আসতেন বাবা, মা, শ্বশুর, শাশুড়ি নিয়ে। রান্নাখাওয়া সেরে বিকালে বেরিয়েও যেতেন। আমি ওনার কাছে তিন বছর সাড়ে তিন বছর কাজ করছি। আমার কাছেই এই গেটের চাবি। তবে, ভিতরের ঘরের চাবি আমার কাছে নেই। তবে আরজি করের ঘটনার পর আর এখানে আসেননি তিনি। যোগাযোগও করেননি।”

    তবে ইডি সূত্রে খবর, ভেতরের ঘরের চাবি থাকতে পারে পিএ প্রসূন চট্টোপাধ্যায়ের কাছে। যাকে এদিনই সুভাষগ্রামের বাড়ি থেকে আটক করেছে ইডি। তাঁকে এখন এখানে আনা হচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • CV Ananda Bose: ‘পলিটিক্যাল গিমিক’ অপরাজিতা বিল, সঙ্গে নেই টেকনিক্যাল রিপোর্টও, অসন্তুষ্ট রাজ্যপাল

    CV Ananda Bose: ‘পলিটিক্যাল গিমিক’ অপরাজিতা বিল, সঙ্গে নেই টেকনিক্যাল রিপোর্টও, অসন্তুষ্ট রাজ্যপাল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের ধর্ষণ বিরোধী বিল ধাক্কা খেল রাজভবনে। এই বিল পাশ হয়েছে ৩ সেপ্টেম্বর। বিলের নাম দেওয়া হয়েছে ‘দ্য অপরাজিতা উইমেন অ্যান্ড চাইল্ড (ওয়েস্ট বেঙ্গল ক্রিমিনাল ল অ্যামেন্ডমেন্ট) বিল ২০২৪’। বিধানসভায় পাশ হওয়ার পর নিয়ম অনুযায়ী, তা গিয়েছে রাজভবনে। কিন্তু, বিল নিয়ে রাজ্য সরকারের আচরণে অসন্তুষ্ট রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose)। রাজ্য সরকারের অপরাজিতা বিলকে (Aparajita Bill 2024) ‘পলিটিক্যাল গিমিক’ বলে খোঁচা রাজভবনের। এই বিলের টেকনিক্যাল রিপোর্টও চাইলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। রাজভবনের মতে, কোনও বিল সইয়ের জন্য পাঠানো হলে তার টেকনিক্যাল রিপোর্ট দেওয়ার দায়বদ্ধতা রাজ্যেরই। সেই রিপোর্ট জমা দেয়নি রাজ্য। অভিযোগ, বিলের সঙ্গে প্রয়োজনীয় ‘টেকনিক্যাল রিপোর্ট’ পাঠানো হয়নি। যা না থাকলে রাজ্যপাল কোনও বিলেই সম্মতি দিতে পারেন না। একটি সংবাদ সংস্থাকে এ কথা জানিয়েছেন রাজভবনের এক আধিকারিক।

    কী এই ‘টেকনিক্যাল রিপোর্ট’? (CV Ananda Bose)

    নিয়ম অনুযায়ী, রাজ্যের বিধানসভায় পাশ হওয়ার পর যে কোনও বিল রাজভবনে পাঠানো হয়। সেই বিলে রাজ্যপাল স্বাক্ষর করলে তা আইনে পরিণত হয়। বিল নিয়ে রাজ্যপাল (CV Ananda Bose) যদি কোনও সিদ্ধান্তে আসতে না পারেন বা তাঁর যদি কোনও পরামর্শের প্রয়োজন হয়, তবে তা তিনি পাঠিয়ে দেন রাষ্ট্রপতির কাছে। সেই বিলের ক্ষেত্রে তখন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেন রাষ্ট্রপতিই। গত ৩ সেপ্টেম্বর রাজ্যের বিধানসভায় ‘অপরাজিতা বিল’ পাশ হওয়ার পর তা রাজভবনে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু, অভিযোগ, এই বিলের ‘টেকনিক্যাল রিপোর্ট’ এখনও হাতে পাননি রাজ্যপাল। বস্তুত, রাজ্যের যে কোনও বিল নিয়েই প্রশ্ন তুলতে পারেন রাজ্যপাল। কোনও বিল কেন আনা হয়েছে, সেই সংক্রান্ত বিস্তারিত একটি রিপোর্ট বিলের সঙ্গেই জমা দিতে হয়। তাকে বলে ‘টেকনিক্যাল রিপোর্ট’। ওই বিল কার্যকর করতে রাজ্যের ওপর কতটা আর্থিক দায় বর্তাবে, রাজ্যের তহবিল থেকে কত খরচ হতে পারে, তা-ও রিপোর্টে উল্লেখ করা থাকে। এ ছাড়া, কেন্দ্রীয় আইন ব্যবস্থার সঙ্গে রাজ্যের আনা ওই বিলের সাযুজ্য কতটা, তা বিস্তারিত জানাতে হয়। ‘অপরাজিতা বিল’ নিয়েও এই সংক্রান্ত তথ্যগুলিই রাজ্যপাল জানতে চান বলে মনে করা হচ্ছে।

    আরও পড়ুন: সাতসকালে সন্দীপ ঘোষের বাড়িতে হানা ইডির, তালা খুলে ঢুকলেন অফিসাররা

    রাজ্যপালের কী বক্তব্য?

    রাজভবনের মত, অন্ধ্র প্রদেশ, মহারাষ্ট্র, অরুণাচলেও একই বিল পাস হয়েছে। রাজ্যের বিল সেই বিলেরই ‘কপি পেস্ট’, বলছেন রাজ্যপাল। টেকনিক্যাল রিপোর্ট ছাড়া রাজ্যপাল (CV Ananda Bose) যে এই বিল সই করবেন না, তা নিশ্চিত করে দিয়েছেন। এই ধরনের বিল রাষ্ট্রপতির দরবারে আটকে রয়েছে বলেও ঘনিষ্ঠ মহলে জানিয়েছেন তিনি। রাজ্যপালের বক্তব্য, ‘টেকনিক্যাল রিপোর্ট’ না পাঠিয়ে রাজ্য সরকার পরে বিল পাশ না হওয়ার জন্য রাজভবনের ওপর দোষারোপ করে। যা সঠিক নয়। নিয়ম অনুযায়ী, ওই রিপোর্ট ছাড়া রাজ্যপাল কোনও বিলে সম্মতি দিতে পারেন না। ‘অপরাজিতা’ বিলের মতো গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রেও কেন রাজ্য ‘হোমওয়ার্ক’ করেনি, কেন ওই রিপোর্ট বিলের সঙ্গে পাঠানো হয়নি, তা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন রাজ্যপাল। ফলে, এই বিল নিয়ে আবারও যে রাজ্য-রাজভবন চাপানউতর তৈরি হচ্ছে তা বলাইবাহুল্য।

    ঠিক কী বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী?

    বিল পাস হওয়ার দিন বিধানসভায় দাঁড়িয়েই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, এই বিলে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান আনা হয়েছে। আদালতের অনুমতি ছাড়া যাতে মহিলা বা শিশুর পরিচয় সামনে না আসে, সেটাও বলা রয়েছে। এই ক্ষেত্রেও আমরা ৩ থেকে ৫ বছরের সাজার প্রস্তাব রাখছি। এই বিল রাজভবনে পাঠানোর পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছেও পাঠানো হয়। তবে এই বিলে রাজ্যপাল (CV Ananda Bose) যে সহজে সই করবেন না তা রাজভবনের বক্তব্যে স্পষ্ট। এ নিয়ে ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক চাপানউতর শুরু হয়েছে।

    বিধানসভার স্পিকারের কী বক্তব্য?

    এ প্রসঙ্গে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘রাজভবন এখনও এ বিষয়ে বিধানসভার সঙ্গে যোগাযোগ করেনি। যদি বিধানসভার সঙ্গে আলোচনা করা হয়, তবেই আমি এ বিষয়ে আমার মতামত জানাব।’’ অন্য দিকে, এ প্রসঙ্গে তৃণমূলের পরিষদীয় দলের বক্তব্য, ‘অপরাজিতা বিল’ স্পিকার রাজভবনে পাঠিয়েছেন। তাই বিষয়টিও তিনিই বুঝে নেবেন। উল্লেখ্য, ধর্ষণ-বিরোধী বিল পাশের পর তা নিয়ে বৃহস্পতিবার নবান্নে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই বৈঠকে ছিলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ, স্বরাষ্ট্রসচিব নন্দিনী চক্রবর্তী, আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক, রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার এবং কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল। বিলটি বিধানসভায় পাশ করার সময়ে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী জানিয়েছিলেন, তাঁরা এই বিল সমর্থন করছেন। কিন্তু বিল কার্যকর করার দায়িত্ব নিতে হবে রাজ্য সরকারকেই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • BJP MLA: আরজি করকাণ্ডের প্রতিবাদে এবার রাজ্যের ‘শিক্ষারত্ন’ পুরস্কার ফেরালেন কাঁথির বিজেপি বিধায়ক

    BJP MLA: আরজি করকাণ্ডের প্রতিবাদে এবার রাজ্যের ‘শিক্ষারত্ন’ পুরস্কার ফেরালেন কাঁথির বিজেপি বিধায়ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করকাণ্ডের প্রতিবাদে (RG Kar Protest)  এবং বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ-আন্দোলন অব্যাহত রয়েছে। ইতিমধ্যেই বহু দুর্গাপুজো ক্লাব সরকারি অনুদান ফিরিয়ে দিয়েছে। পাশাপাশি, রাজ্য সরকারের দেওয়া সম্মান ফেরাতে শুরু করেছেন শিক্ষক এবং নাট্যব্যক্তিত্বরা। সেই আবহে এবার রাজ্য সরকারের দেওয়া দেওয়া ‘শিক্ষারত্ন’ পুরস্কার ফেরানোর কথা ঘোষণা করলেন পূর্ব মেদিনীপুরের দক্ষিণ কাঁথির বিজেপি বিধায়ক (BJP MLA) তথা প্রাক্তন শিক্ষক অরূপকুমার দাস। বৃহস্পতিবার শিক্ষক দিবস উপলক্ষে কাঁথিতে একটি কর্মসূচিতে শামিল হয়েছিলেন তিনি। সেখানে উপস্থিত ছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী-সহ অন্য জেলা নেতৃত্ব। সেই মঞ্চে দাঁড়িয়েই রাজ্য সরকারের দেওয়া পুরস্কার ফেরানোর কথা ঘোষণা করলেন তিনি।

    কবে পেয়েছিলেন পুরস্কার? (BJP MLA)

    ২০১১ সালে কাঁথি হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক হিসেবে অরূপবাবু রাজ্য সরকারের ‘শিক্ষারত্ন’ পুরস্কার পেয়েছিলেন। ২০১৭ সালে চাকরি থেকে অবসর নেওয়ার পর ২০২১ সালে বিজেপিতে যোগদান করেন। এরপর দক্ষিণ কাঁথি বিধানসভা কেন্দ্রে বিজেপির প্রার্থী হয়ে জয়লাভ করে তিনি বিধায়ক (BJP MLA) হন। এবার তিনি ‘শিক্ষারত্ন’ পুরস্কার ফিরিয়ে আরজি করকাণ্ডের প্রতিবাদ জানালেন। এর আগে,  আলিপুরদুয়ারের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক পরিমল দে রাজ্য সরকারের দেওয়া ‘বঙ্গরত্ন’ পুরস্কার ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। নাট্যক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের দেওয়া সর্বোচ্চ সম্মান ‘দীনবন্ধু মিত্র পুরস্কার’ ফিরিয়েছেন নাট্যকার চন্দন সেন। একই ভাবে নাট্য অ্যাকাডেমির দেওয়া সেরা নির্দেশকের পুরস্কার প্রত্যাখ্যান করেছেন নাট্য নির্দেশক বিপ্লব বন্দ্যোপাধ্যায়। বামফ্রন্ট জমানায় সিঙ্গুর-নন্দীগ্রাম ঘটনার প্রতিবাদে এভাবেই পুরস্কার প্রত্যাখ্যানের হিড়িক দেখা গিয়েছিল। এবার তৃণমূল সরকারের আমলে একের পর এক বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব পুরস্কার ফেরত দিয়ে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন। এই ঘটনা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে।

    আরও পড়ুন: সাতসকালে সন্দীপ ঘোষের বাড়িতে হানা ইডির, তালা খুলে ঢুকলেন অফিসাররা

    কী বললেন বিজেপি বিধায়ক?

    বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর পাশে দাঁড়িয়ে পুরস্কার ফেরানোর কথা জানান তিনি। অরূপবাবু (BJP MLA) বলেন, “আরজি করের ঘটনার প্রতিবাদে দেশ জুড়ে আন্দোলন চলছে। আমরাও প্রতিবাদ জানাতে রাস্তায় নেমেছি। এবার আমি সরকারের দেওয়া এই সম্মান ফিরিয়ে দিলাম। শিক্ষক দিবসের দিনকেই এই ঘোষণার দিন হিসাবে বেছে নিয়েছি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Shibnibas: রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের প্রতিষ্ঠিত শিবনিবাসের শিব লিঙ্গ এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম, এর ইতিহাস জানেন?

    Shibnibas: রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের প্রতিষ্ঠিত শিবনিবাসের শিব লিঙ্গ এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম, এর ইতিহাস জানেন?

    হরিহর ঘোষাল

    এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম এবং পূর্ব ভারতের সবচেয়ে বড় কষ্টি পাথরের শিব লিঙ্গ দেখেছেন? নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জ ব্লকের শিবনিবাস (Shibnibas) গ্রামে রয়েছে এই শিবের মন্দির। সেখানে মোট তিনটি মন্দির রয়েছে। রাজরাজেশ্বর, রাগনীশ্বর এবং রাম-সীতার মন্দির। নবাবি আমলে গড়ে ওঠা এই শিব মন্দিরে এখনও বছরের বিশেষ বিশেষ সময়ে পুজো দিতে লক্ষাধিক ভক্ত সমাগম হয়। কলকাতা থেকে এই মন্দিরে সহজে যাওয়া যায়। শিয়ালদা থেকে গেদে লোকালে মাজদিয়া পৌঁছাতে হবে। সেখান থেকে টুকটুকি করে শিবনিবাস যাওয়া যায়। আর শিয়ালদা থেকে কৃষ্ণনগর লোকাল ধরে কৃষ্ণনগরে (Nadia) পৌঁছে, সেখানে থেকে টুকটুকিতে বাসস্ট্যান্ড আসতে হবে। তারপর বাসস্ট্যান্ড থেকে মাজদিয়ার বাসে করে শিবনিবাস মোড়ে নেমে কিছুটা গেলেই এই মন্দিরের দর্শন মিলবে।

    শিবনিবাসের নামকরণের ইতিহাস (Shibnibas)

    শিবনিবাস (Shibnibas) গ্রামের নামকরণ এবং মন্দির তৈরি নিয়ে নানা মত রয়েছে। কবি দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের বাবা কার্তিকেয় চন্দ্র রায় লিখেছেন, “বর্গির আক্রমণ থেকে অত্মরক্ষার জন্যে কৃষ্ণচন্দ্র এ জায়গাটা কৃষ্ণনগর অপেক্ষা নিরাপদ মনে করে এখানে রাজপ্রাসাদ ও শিবমন্দির নির্মাণ করেন। এই জায়গার নতুন নাম রাখেন ‘শিবনিবাস”। অন্যমতে, নসরত খাঁ নামে এক কুখ্যাত ডাকাত এই এলাকায় বাস করতেন। কৃষ্ণচন্দ্র তাঁকে দমন করার জন্যে এখানে শিবির স্থাপন করেছিলেন। একদিন সকালে নদীতে স্নান করার সময় একটি রুই মাছ কৃষ্ণচন্দ্রের সামনে এলে তাঁর এক জ্ঞাতি আনুলিয়ানিবাসী কৃপারাম রায় বলেন, এই জায়গাটি মহারাজার বাসযোগ্য। কারণ, রাজভোগ্য দ্রব্য আপনা থেকেই হাজির হয়েছে। মহারাজা বর্গির আক্রমণ থেকে আত্মরক্ষার জন্যে এই স্থান নিরাপদ মনে করলেন এবং দেওয়ান রঘুনন্দন মিত্রের পরামর্শক্রমে এখানে রাজপ্রাসাদ নির্মাণ করে নাম রাখলেন ‘শিবনিবাস’। কেউ কেউ বলেন, এ জায়গা আগে অরণ্যময় ও জলবেষ্টিত ছিল। নসরত খাঁ নামে এক ফকির এখানে বাস করতেন। লোকে এই জায়গাকে ‘নসরত খাঁর বেড়’ বলত। কৃষ্ণচন্দ্র ফকির সাহেবের অনুমতি নিয়ে এখানে রাজধানী স্থাপন করেন। নদিয়া রাজ্যের মধ্যে বর্গির উপদ্রব হয়েছিল ১৭৪২ সালের মে-জুন মাসে। নিশ্চয়ই এর আগে তিনি এখানে রাজধানী স্থাপন করেছিলেন। তিনি আত্মীয়-স্বজন ও ধনরত্ন নিয়ে উক্ত বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে এখানে চলে আসেন। তখনও কিন্তু এই মন্দিরগুলি তৈরি সম্পূর্ণ হয়নি। দেওয়ান রঘুনন্দন মিত্রের পরামর্শক্রমে তিনি এখানে রাজধানী ও মন্দির তৈরি করেছিলেন। ১৭৫৪ সালে মন্দির তৈরি করে থাকতে পারেন। দেওয়ান রঘুনন্দন মিত্রের পরামর্শক্রমে, চূর্ণী নদীর দ্বারা ‘কঙ্কনের আকারে পরিবেষ্টিত’ (মতান্তরে ওই ভাবে পরিখা খনন ক’রে) এই স্থানে তিনি রাজপ্রাসাদ ও শিবমন্দির তৈরি করেন। শিবের আলয় হিসেবে এই নতুন বসতির নাম হয় শিবনিবাস। রাজা কৃষ্ণচন্দ্র রাজধানী মাজদিয়াকে সুরক্ষা বলয়ে নিয়ে আসার জন্য খাল কেটে ইচ্ছামতী ও চূর্ণী নদীকে একত্রে জুড়ে দিয়ে একটি জনপদ গঠন করেছিলেন। যেই খালটি আজও কঙ্কণা নদী নামে পরিচিত।

    সিঁড়ি দিয়ে উঠে শিবের মাথায় জল ঢালতে হয়

    মন্দিরের (Shibnibas) চূড়া সমেত মন্দিরের উচ্চতা ১২০ ফুট। আটকোনা মন্দির, প্রতিটি কোনায় মিনার ধরনের সরু থাম আছে। মন্দিরের ভিতর কালো শিবলিঙ্গ, উচ্চতা ১১ ফুট ৯ ইঞ্চি, বেড় ৩৬ ফুট। সিঁড়ি দিয়ে উঠে শিবের মাথায় জল ঢালতে হয় এখানে। পূর্ব ভারতে এতো বড় শিবলিঙ্গ আর নেই। মন্দিরের ছাদ ঢালু ও গম্বুজ। মন্দিরে পোড়ামাটির কাজ ও গথিক স্থাপ্যশৈলীর কাজ দেখার মতো। ১৮২৪ খ্রীষ্টাব্দের ১৮ জুন, কলকাতার বিশপ রেভারেন্ড হেবার জলপথে ঢাকা যাবার সময় শিবনিবাসের মন্দির ও রাজপ্রাসাদাদি দেখে মুগ্ধ হন। ১৮২৮ খ্রীষ্ঠাব্দে লণ্ডন থেকে প্রকাশিত তাঁর স্মৃতিকথায় তিনি শিবনিবাসের হিন্দু মন্দিরগুলিকে সুরম্য ও অতি উত্তম স্থাপত্যের নিদর্শন বলে বর্ণনা করেছেন। এগুলির নির্মাণে ‘গথিক’ খিলানের ব্যবহার তাঁকে বিস্মিত করে। শিবনিবাসে সারা বছরই ভক্ত সমাগম ঘটলেও শ্রাবণ মাসে শিব-ভক্তদের এখানে ভিড় হয় বেশি। শ্রাবনের প্রতি সোমবার নবদ্বীপের গঙ্গা থেকে জল নিয়ে ভক্তরা পায়ে হেঁটে শিবনিবাসে এসে শিবের মাথায় জল ঢালেন। সারারাত ধরে লাইনে দাঁড়িয়ে ভোর থেকে জল ঢালেন ভক্তরা। জল ঢালা চলে সারাদিন ধরে। সারা শ্রাবণ মাস ধরে মেলা চলে।  

    শিবনিবাসকে কেন ‘বাংলার কাশী’ বলা হয়?

    জনশ্রুতি আছে, রাজা কৃষ্ণচন্দ্র কাশীর শিবের স্বপ্নাদেশ পান যে, তিনি কাশী ছেড়ে কৃষ্ণচন্দ্রের হাতে পূজা পেতে চান। সেই আদেশ পালনার্থেই কৃষ্ণচন্দ্র শিবমন্দির (Shibnibas) স্থাপন করেন। যদিও ১০৮টি শিব মন্দির তৈরির কথা বলা হলেও সেটা সঠিক নয়। কারণ, তার কোনও কিছুই অবশিষ্ট নেই। তবে, শ্রী শশিভূষণ বিদ্যালঙ্কার সঙ্কলিত “জীবনীকোষ” (ভারতীয় ঐতিহাসিক) পুস্তকের দ্বিতীয় খন্ডে উল্লেখ আছে, শিবনিবাস প্রতিষ্ঠার পর কাশী ও কাঞ্চী থেকে আগত ব্রাহ্মণগণের উপস্থিতিতে মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্র অগ্নিহোত্র বাজপেয় যজ্ঞ সম্পন্ন করেন। মহারাজ “অগ্নিহোত্রী বাজপেয়ী” উপাধি পান। তাই শিবনিবাস কাশী তুল্য। ভারতচন্দ্র রায়ের ‘অন্নদামঙ্গলে’ আছে:”……কৃষ্ণচন্দ্র মতিমান। কাশীতে করিবে জ্ঞানবাপীর সমান। বিগ্রহ ব্রহ্মণ্যদেব মূর্তি প্রকাশিয়া। নিবাস করিবে শিবনিবাস করিয়া।” অতএব, শিবনিবাস মাহাত্ম্যে কাশীতুল্য। প্রচলিত ছড়ায় আছে: “শিবানিবাসী তুল্য কাশীধন্যনদী কঙ্কনা। ওপরে বাজে দেবঘড়ি নীচে বাজে ঠণ্ঠনা।”

    মন্দির চত্বরে মেলা

    বিড়লা জনকল্যাণ ট্রাস্ট ষাট হাজার টাকা ব্যয়ে ১৯৬৫-৬৬ সালে এই মন্দির তিনটির সংস্কার করেছিলেন। কিন্তু, মন্দিরগুলির অবস্থা দিন দিন খারাপ হচ্ছে। মন্দিরগুলির রক্ষণাবেক্ষণ ও নিত্যপুজোর জন্যে বাৎসরিক যাট হাজার টাকা দেবোত্তর ছিল। কিন্তু, সে সম্পত্তি বেহাত হয়ে গিয়েছে। বারো মাসে তেরো পার্বন নিয়েই বাঙালির জীবন। চূর্ণি নদী তীরে কৃষ্ণচন্দ্র রাজরাজেশ্বর ও রামসীতার মন্দির প্রাঙ্গণে একটি মেলার প্রচলন করেছিলেন। এ মেলা খুবই প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী। শিবচতুর্দশী উপলক্ষ্যে মেলা হত বলে এই মেলা শিবচতুর্দশীর মেলা বলে পরিচিত। জনশ্রুতি, মহাদেব নাকি একবার কৃষ্ণচন্দ্রকে স্বপ্নাদেশ দেন, তিনি কাশী ছেড়ে শিবনিবাসে (Shibnibas) এসেছেন। কৃষ্ণচন্দ্র যেন তাঁকে এখানে প্রতিষ্ঠিত করেন। স্বপ্নাদেশ পেয়ে কৃষ্ণচন্দ্র কোনও এক মাঘ মাসের ভীম একাদশীতে এখানে শিব প্রতিষ্ঠা করেন। সেই থেকে এই মেলা আজও চলে আসছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • BJP Dharna: আরজি কর-কাণ্ড নিয়ে বিজেপিকে ধর্মতলায় ধর্না চালিয়ে যাওয়ার অনুমতি দিল হাইকোর্ট

    BJP Dharna: আরজি কর-কাণ্ড নিয়ে বিজেপিকে ধর্মতলায় ধর্না চালিয়ে যাওয়ার অনুমতি দিল হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে ধর্মতলার ওয়াই চ্যানেলে ধর্নায় (BJP Dharna) বসেছিল বিজেপি। ২৯ অগাস্ট থেকে বিজেপির তফশিলি মোর্চার পক্ষ থেকে এই কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছিল। বৃহস্পতিবার ৫ সেপ্টেম্বর ছিল সেই ধর্নার শেষ দিন। এরই মধ্যে ধর্নার সময়সীমা বাড়ানোর আর্জি নিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন মোর্চার কর্মীরা। সেই আবেদনে সাড়া দিল হাইকোর্ট। ওই সময়সীমা বৃদ্ধি করার অনুমতি দিলেন বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজ।

    ১৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলবে ধর্না (BJP Dharna)

    ধর্নার (BJP Dharna) সময়সীমা বাড়ানোর আর্জি নিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন মোর্চার কর্মীরা। আগামী ১৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ধর্না করার অনুমতি চেয়ে আবেদন করা হয়। এদিন রাজ্যের তরফে সওয়াল করা হয়, বিজেপির তফশিলি মোর্চা কেন আগে এ নিয়ে কিছু বলল না? রাজ্যের তরফে আইনজীবী প্রশ্ন করেন, প্রথমে যখন অনুমতি চাওয়া হয় বা আদালতে আগের পর্যায়ের শুনানির সময় কেন বলল না, ১৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ধর্না চালিয়ে নিয়ে যেতে চায়? কারণ তারা জানত একসঙ্গে এত লম্বা ধর্নার অনুমতি আদালত দেবে না। এর আগে ২৯ অগাস্ট থেকে ৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ডোরিনা ক্রসিং বা ওয়াই চ্যানেলে ধর্নার অনুমতি দিয়েছিল আদালত। সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত ১০০০ জনকে নিয়ে ধর্না করার অনুমতি দেয় আদালত। বৃহস্পতিবার ধর্মতলায় ধর্নার শেষ দিন ছিল। ওই দিনই কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হয় বিজেপি। ধর্মতলায় নিজেদের কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার অনুমতি চায়। বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজ আগামী ৬ সেপ্টেম্বর থেকে ১৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ধর্না চালিয়ে নিয়ে যাওয়ার অনুমতি দিলেন।

    আরও পড়ুন: ‘মোমের আলোর তাপ সইতে পারছে না তৃণমূল’, মাথাভাঙার ঘটনায় প্রতিবাদ বিজেপির

    প্রসঙ্গত, ৯ অগাস্ট আরজি করের চিকিৎসক পড়ুয়াকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়। বিজেপি রাজ্য সরকারের দিকে আঙুল তুলে প্রতিবাদ শুরু করে। শ্যামবাজারে ধর্নায় বসতে চেয়েছিল বিজেপি। তারা অভিযোগ করে, কলকাতা পুলিশ অনুমতি দেয়নি। কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল বিজেপি। গত ২০ অগাস্ট কলকাতা হাইকোর্ট টানা পাঁচদিন কর্মসূচি পালনের অনুমতি দেয় বিজেপিকে। ওই পাঁচ দিন দুপুর ১২টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত ধর্না (BJP Dharna) কর্মসূচি চালানো যাবে বলেও জানিয়েছি হাইকোর্ট। ২৮ অগাস্ট বিজেপি রাজ্যে বনধের ডাক দিয়েছিল। এরপর ২৯ তারিখ থেকে আবার ধর্মতলা কর্মসূচি শুরু করে বিজেপি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ইস্তফার দাবি তোলে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: ‘খরচের অডিট হচ্ছে না’, দুর্গাপুজোর অনুদান মামলায় রাজ্যকে নোটিশ হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: ‘খরচের অডিট হচ্ছে না’, দুর্গাপুজোর অনুদান মামলায় রাজ্যকে নোটিশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে গত কয়েকদিনে একের পর এক ক্লাব তৃণমূল সরকারের দেওয়া দুর্গাপুজোর অনুদান ফিরিয়ে দিয়েছে। মুর্শিদাবাদ, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হুগলির কয়েকটি ক্লাব ছাড়াও অনুদান ফেরানোর কথা ঘোষণা করেছে কলকাতার একটি ক্লাবও। আর এবার সেই অনুদান নিয়েই রাজ্যকে নোটিশ দিতে বলল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)।

    অডিটের বিষয়ে রাজ্যকে নোটিশ (Calcutta High Court)

    জানা গিয়েছে, গত কয়েক বছর ধরেই ক্লাবগুলিকে দুর্গাপুজোর অনুদান দিচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। প্রতি বছর বাড়ছে সেই অনুদানের অঙ্ক। এবছরও তার ব্যতিক্রম হয়নি। পুজো সংগঠনগুলির সম্মেলনে দাঁড়িয়ে ৮৫ হাজার টাকা অনুদান দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুধু তাই নয়, আগামী বছর অনুদান বাড়িয়ে ১ লক্ষ টাকা করা হবে বলেও জানানো হয়েছে। কিন্তু, আরজি করে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুন করার ঘটনার পর থেকেই ছবিটা পাল্টাতে শুরু করেছে। বৃহস্পতিবার হাইকোর্টে (Calcutta High Court) অনুদান নিয়ে একটি মামলা হয়েছে। আবেদনে বলা হয়েছে, পুজোর অনুদান বেড়েছে। কিন্তু, খরচের বিষয়ে সঠিকভাবে অডিট হচ্ছে না। অনুদানের টাকা কোথায় খরচ হচ্ছে, আদৌ পুজোয় খরচ হচ্ছে কি না, সেই বিষয়ে কোনও নজরদারি নেই বলেই অভিযোগ জানানো হয়েছে। এই মামলার দ্রুত শুনানি চেয়ে প্রধান বিচারপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে। মামলা শুনে প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম বলেন, ‘অনেক ক্লাব নাকি অনুদান ফিরিয়ে দিচ্ছে!’ অডিটের বিষয়ে রাজ্যকে নোটিশ পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি।

    আরও পড়ুন: ‘মোমের আলোর তাপ সইতে পারছে না তৃণমূল’, মাথাভাঙার ঘটনায় প্রতিবাদ বিজেপির

    ফের পুজোর অনুদান ফেরাল ক্লাব

    আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে আগেই পুজোর অনুদান (Durga Puja Grant) বয়কট করার ঘোষণা করেছে রাজ্যের সাতটি ক্লাব। এ বার সেই তালিকায় নাম জুড়ল পূর্ব বর্ধমানের কালনার ‘পূর্ব সাতগেছিয়া সংহতি’র। অনুদান প্রত্যাখ্যানের ঘোষণা করেছে তারা। সংহতির দুর্গাপুজো এ বার ২৭তম বছরে পা দিল। ক্লাবের তরফে কালনা থানার আইসিকে চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছে, বর্তমান পরিস্থিতিতে এ বছর সরকারি অনুদান তারা নেবে না। ক্লাবের পক্ষ থেকে সভাপতি সঞ্জীব গুপ্ত ওই চিঠিতে লিখেছেন, “চলতি বছর অনিবার্য কারণে আমরা এই অনুদান গ্রহণে অপারগ। বরং এই অর্থমূল্য আপনারা গরিব কল্যাণে উন্নয়নমূলক কাজে ব্যয় করলে তৃপ্তি পাব।”

    তালিকায় একাধিক ক্লাব

    প্রসঙ্গত, কলকাতার আরজি করে চিকিৎসককে ধর্ষণ-খুনের ঘটনার প্রতিবাদে দুর্গাপুজোর সরকারি অনুদান (Durga Puja Grant) এর আগে হুগলির চারটি ক্লাব উত্তরপাড়ার বৌঠান সঙ্ঘ, উত্তরপাড়া শক্তি সঙ্ঘ, আপনাদের দুর্গাপুজো এবং কোন্নগরের মাস্টারপাড়া সর্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটি সরকারি অনুদান গ্রহণ না করার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছিল। একই সুরে অনুদান বয়কট করেছে জয়নগর মজিলপুর পুরসভার ৭ ও ১৪ নম্বর ওয়ার্ড, মুর্শিদাবাদের কৃষ্ণপুর সন্ন্যাসীতলা মহিলা দুর্গোৎসব কমিটি এবং কলকাতার মুদিয়ালি আমরা ক’জন ক্লাব।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Protest: বারাসতে প্রতিবাদীদের ওপর ‘অতিসক্রিয়’ পুলিশ, কাঁচরাপাড়ায় ছাত্রীকে মার তৃণমূলের

    RG Kar Protest: বারাসতে প্রতিবাদীদের ওপর ‘অতিসক্রিয়’ পুলিশ, কাঁচরাপাড়ায় ছাত্রীকে মার তৃণমূলের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করকাণ্ডে (RG Kar Protest) রাজ্যজুড়ে রাত দখলের ডাক দেওয়া হয়েছিল। রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ জানান সাধারণ মানুষ। কোচবিহারের মাথাভাঙায় প্রতিবাদীদের ওপর তৃণমূলের কর্মীরা হামলা চালায়। আর সেই একই ধাঁচে উত্তর ২৪ পরগনার বারাসতে প্রতিবাদীদের ওপর হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল খোদ পুলিশের বিরুদ্ধে। যা নিয়ে নিন্দার ঝড় উঠেছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (RG Kar Protest)

    বিচারের দাবিতে রাত দখলে সামিল হন সাধারণ মানুষ, তখনই পুলিশের অতিসক্রিয়তার ছবি ধরা পড়ল বারাসতে। আরজি করকাণ্ডের (RG Kar Protest) বিচার চাইতে বুধবার রাতে বারাসত কলোনি মোড়ে প্রতিবাদে সামিল হয়েছিলেন সাধারণ মানুষ। রাস্তায় বসে তাঁরা ছবি আঁকছিলেন। আচমকা পুলিশ সেখানে আসে। এক পুলিশ আধিকারিক অবরোধ তুলে নেওয়ার জন্য আন্দোলনকারীদের হিন্দিতে বোঝানোর চেষ্টা করেন। সেই সময় এক আন্দোলনকারী ওই পুলিশ আধিকারিককে বাংলায় কথা বলতে বলেন। আর ঠিক সেই সময়ই বেশ কয়েকজন পুলিশকর্মী ওই আন্দোলনকারীর ওপর চড়াও হয়। বাকিরা বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশের রোষের মুখে পড়েন সকল আন্দোলনকারী। সকলের ওপর চড়াও হয় পুলিশ। প্রতিবাদকারীদের সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তি হয়। জোর করে রাস্তা থেকে তুলে দেওয়া হয়। আন্দোলন চলাকালীনই টেনে হিঁচড়ে আন্দোলনকারীদের তোলা হল গাড়িতে।

    আরও পড়ুন: ‘মোমের আলোর তাপ সইতে পারছে না তৃণমূল’, মাথাভাঙার ঘটনায় প্রতিবাদ বিজেপির

    আন্দোলনকারীরা কী বললেন?

    আন্দোলনকারীদের বক্তব্য, বাংলায় পুলিশ আধিকারিককে কথা বলতে বলার জন্য এভাবে আমাদের ওপর পুলিশ হামলা (RG Kar Protest) চালাল। এটা মেনে নেওয়া যায় না। জেলা পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, এই ঘটনায় মোট ১৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁরা মহিলা পুলিশের সঙ্গে অশালীন আচরণ করেছেন। পুলিশকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করেছেন। ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে কলোনি মোড়ে যে অবরোধ করেছিলেন তার কোনও অনুমতি ছিল না। দীর্ঘক্ষণ অবরোধ থাকার ফলে প্রচুর পচনশীল জিনিস ট্রাক আটকে ছিল। চালকরা অবরোধ তুলে নেওয়া বা রাস্তার একটি লেন ছেড়ে দিয়ে বিক্ষোভ দেখানোর জন্য বলেন। কোনওভাবেই তাঁরা কথা শুনছিলেন না। তাই বাধ্য হয়ে পুলিশ তাঁদেরকে গ্রেফতার করে।

    কাঁচরাপাড়ায় নাবালিকার প্রতিবাদীর ওপর হামলা

    বুধবার রাতে কাঁচরাপাড়ায় (RG Kar Protest) এক প্রতিবাদীর ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। জানা গিয়েছে, কাঁচরাপাড়ার গান্ধী মূর্তির পদদেশে ‘রাত দখলের’ কর্মসূচি চলছিল। সেটির নেতৃত্ব দিচ্ছিল কাঁচরাপাড়া সারদা দেবী উচ্চ বিদ্যালয়ের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী মৌ সরকার। জানা গিয়েছে, প্রতিবাদ চলাকালীন মদ্যপ অবস্থায় একদল যুবক সেখানে হাজির হয়। একাদশ শ্রেণির ছাত্রীর হাত থেকে মাইক কেড়ে নেয়। হাত মুচড়েও দেয় বলে অভিযোগ। বর্তমানে সে কল্যাণী জওহরলাল নেহরু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।  যুবকরা সকলে তৃণমূলের দলবল বলে জানিয়েছেন নাবালিকার বাবা। গোটা ঘটনায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে থানায়।

    আক্রান্ত ছাত্রীর কী বক্তব্য?

    আক্রান্ত ছাত্রী বলে, “আমি ওদের পরিচয় জানি না। হঠাৎ করে এসে মাইক কেড়ে নেয়। আমি সেই মাইক চাইতে গেলে ঘিরে ধরে। আমায় ঘিরে ধরে। ওরা সকলে মদ্যপ অবস্থায় ছিল।” অপরদিকে, আহত নাবালিকার বাবা বলেন, “আমার মেয়ে মিছিলের নেতৃত্ব দিচ্ছিল। স্লোগান দিচ্ছিল। হঠাৎ করে গান্ধীমোড়ে তৃণমূলের মিছিল থেকে আসা একটি ছেলে ওর হাত মুচড়ে দেয়। ওর মা আমায় ডেকে নিয়ে গেল। আমি যাই ওইখানে। ছেলেটাকে জিজ্ঞাসা করি এই কাজটা কি ভাল করলেন? একটা মেয়ের হাত মুচড়ে দিলেন। আবার আপনারাই বলছেন জাস্টিস চাই? সঙ্গে সঙ্গে আমায় মারতে এল।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share