Tag: West Bengal

West Bengal

  • RG Kar Incident: ‘‘কেন ছড়িয়ে পড়ল নির্যাতিতার ছবি-নাম?’’ আরজি কর কাণ্ডে প্রশ্ন উদ্বিগ্ন সুপ্রিম কোর্টের

    RG Kar Incident: ‘‘কেন ছড়িয়ে পড়ল নির্যাতিতার ছবি-নাম?’’ আরজি কর কাণ্ডে প্রশ্ন উদ্বিগ্ন সুপ্রিম কোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর (RG Kar Incident) হাসপাতালে কর্মরত তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছে গোটা দেশ। সকলেই সুবিচারের জন্য লড়ছেন। আরজি কর কাণ্ডের এই ঘটনার প্রায় দেড় সপ্তাহ কেটে গিয়েছে। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন মাধ্যমে সামনে এসেছে নির্যাতিতার নাম। ছড়িয়ে পড়েছে ছবিও। এবার তা নিয়েই প্রশ্ন তুলল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। প্রসঙ্গত, এই মামলার শুনানি শুরু হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। সেখানেই মামলা চলাকালীন কার্যত উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়।

    কী নির্দেশ দিল শীর্ষ আদালত? (RG Kar Incident) 

    এ প্রসঙ্গে শীর্ষ আদালত (Supreme Court) জানিয়েছে, ‘‘আমরা নির্দেশ দিচ্ছি মৃতের নাম ছবি প্রকাশ করা যাবে না। সমস্ত স্যোশাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম থেকে মৃতের ছবি সরাতে হবে।’’ আসলে এদিন মামলা চলাকালীন দুজন আইনজীবী অভিযোগ করেছিলেন যে, মৃতের ছবি-নাম কোথাও কোথাও প্রকাশ করা হচ্ছে। এর পরেই প্রধান বিচারপতি বলেন, “নির্যাতিতার নাম ও ছবি ছড়িয়ে পড়েছে। এমনকী ময়নাতদন্তের আগের ও পরের ভিডিও ক্লিপ ছড়িয়ে পড়েছে, যেখানে দেহ দেখা যাচ্ছে। একটা প্যারামিটার আছে, সুপ্রিম কোর্টের গাইডলাইনও আছে। তারপর কীভাবে এটা হল?” এরপরেই প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘‘একজন তরুণী চিকিৎসকের মৃত্যু হয়েছে, তাঁকে এইটুকু মর্যাদা দেওয়া উচিত।’’ প্রধান বিচারপতির প্রশ্নের মুখে আইনজীবী (রাজ্য সরকারের তরফে) কপিল সিব্বল বলেন, ‘‘পুলিশ যাওয়ার আগেই ছবি তোলা হয়েছে। আমরা পুরো জায়গাটা ঘিরে রেখেছিলাম।’’

    আরও পড়ুন: এক বছরে ভারতে ইন্টারনেট গ্রাহক বেড়েছে ৭.৩ কোটি! বৃদ্ধি ব্রডব্যান্ড সংখ্যাতেও

    প্রসঙ্গত, সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) গাইডলাইনই শুধু নয়, নির্যাতিতার নাম প্রকাশ্যে আনার ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট আইনও আছে। ভারতীয় আইনে ধর্ষণ বা যৌন হেনস্থার ঘটনায় নির্যাতিতার নাম, পরিচয় বা ছবি প্রকাশ করা যায় না। এমন কোনও তথ্য যা প্রকাশ করলে নির্যাতিতার পরিচয় জানা যেতে পারে, তাও প্রকাশ করা যায় না। আসলে আরজি কর (RG Kar Incident) হাসপাতালের চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় তোলপাড় কলকাতা সহ গোটা রাজ্য। এই আবহে মানুষ প্রতিবাদ করছেন রাস্তায় ও সোশ্যাল মিডিয়ায়। এহেন পরিস্থিতিতে অনেকেই নির্যাতিতার ছবি পোস্ট করছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। জাস্টিস দাবি সহ নাম দিয়ে তৈরি হয়েছে হ্যাশট্যাগ। তাই আইন অনুযায়ী নির্যাতিতার নাম প্রকাশ্যে আনা বন্ধ করতে এই নির্দেশ দিল আদালত।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Incident: ‘‘সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ মনের জোর বাড়িয়েছে’’, বললেন নির্যাতিতার মা

    RG Kar Incident: ‘‘সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ মনের জোর বাড়িয়েছে’’, বললেন নির্যাতিতার মা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করকাণ্ড (RG Kar Incident) নিয়ে দেশজুড়ে তোলপাড় চলছে। সর্বস্তরের মানুষ সুবিচারের দাবিতে সরব হয়েছেন। ইতিমধ্যেই সিবিআই আধিকারিকরা নিহত তরুণী চিকিৎসকের বাড়িতে গিয়ে পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন। প্রায় তিন ঘণ্টা পর এফআইআর করা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ নিয়ে খুশি নিহত চিকিৎসকের মা। পাশাপাশি রাজ্যপাল (CV Ananda Bose) ফোন করে তাঁদের পাশে থাকার তিনি বার্তা দিলেন। 

    দেরিতে এফআইআর নিয়ে প্রশ্ন (RG Kar Incident)

    নিহত চিকিৎসকের মৃতদেহ দাহ করার প্রায় তিন ঘণ্টা পর এফআইআর করা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ নিয়ে নিহত চিকিৎসকের মা বলেন,  ‘‘মেয়ের মৃতদেহ দাহ করার তিন ঘণ্টা পরে এফআইআর হয়। এই দেরি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে সুপ্রিম কোর্টে। বিষয়টি জেনে মনে জোর পাচ্ছি। শীর্ষ আদালত নিশ্চয়ই দেখবে যে এফআইআর করতে কেন দেরি হল? ইতিমধ্যেই আদালতের তরফ থেকে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের (RG Kar Incident) প্রাক্তন অধ্যক্ষকে তলব করা হয়েছে। ওইদিন আমরা বিকেল পাঁচটার সময় এফআইআর করেছিলাম, কিন্তু পুলিশের তরফ থেকে কখন সেটিকে দেখানো হয়েছে সেটা ওরাই বলতে পারবে। ’’আন্দোলনকারীদের ওপর রাজ্য সরকার যাতে বল প্রয়োগ না করে সে ব্যাপারে সুপ্রিমকোর্ট যে নির্দেশ দিয়েছে তা নিয়েও শীর্ষ আদালতকে স্বাগত জানিয়েছেন তিনি। আন্দোলন প্রত্যাহার নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের তরফে যে আর্জি জানানো হয়েছে তা নিয়ে তিনি বলেন, ‘‘নিশ্চয়ই কোনও একটি বিষয় ভেবে শীর্ষ আদালত  এ কথা বলেছে। আমি চাই আন্দোলন চলুক, তাছাড়া দেখা যাচ্ছে যে সকলেই আন্দোলনে করছে। ন্যায় বিচারের জন্য যাঁরা ঝাঁপিয়ে পড়ছেন, আমরা তাঁদের সঙ্গে আছি।’’

    প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা!

    নিহত চিকিৎসকের বাবা বলেন, ‘‘গোটা ঘটনায় তথ্য প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা হয়েছে। শুধু  আমি নই,  গোটা দেশ সে কথা বলছে। হাসপাতালে (RG Kar Incident) প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ যদি প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা করে থাকেন, তবে শাস্তি পাবেন। সে ক্ষেত্রে আমাদের কিছু করার নেই। গোটা বিশ্বে এই আন্দোলন ছড়িয়ে পড়েছে। আমি সকলকে কৃতজ্ঞতা, ধন্যবাদ জানাচ্ছি। সুপ্রিম কোর্ট, হাইকোর্ট, পুরো বিচার বিভাগের ওপর আস্থা আছে। তবে, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে আরজি করে সিআইএসএফ মোতায়ন নিয়ে আমি এখনি কোনও কথা বলব না। যেহেতু এটি বিচারাধীন বিষয়।’’  

    আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি, আরজি কর কাণ্ডে শ্যামবাজারে আজ থেকে ধর্না বিজেপির

    কী বললেন রাজ্যপাল

    মঙ্গলবার বেলা ২টো নাগাদ দিল্লি থেকে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose) ফোনে চিকিৎসকের বাবাকে বলেছেন, ‘‘আপনি হিম্মত রাখুন। আমাদের যতদূর যাওয়ার যাব। আপনি ন্যায় বিচার পাবেন।’’ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করতে আসবেন বলেও জানান রাজ্যপাল। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • BSF: নদিয়ার বাংলাদেশ সীমান্তে সাড়ে ৪ কোটি টাকার সোনা উদ্ধার বিএসএফ-এর

    BSF: নদিয়ার বাংলাদেশ সীমান্তে সাড়ে ৪ কোটি টাকার সোনা উদ্ধার বিএসএফ-এর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নদিয়ার সীমান্ত এলাকা থেকে (Nadia) ফের সোনা উদ্ধার করল বিএসএফের ৩২ নম্বর ব্যাটেলিয়ন। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী বিজয়পুর গ্রাম। এই গ্রামে চোরাচালানের কারবার বহু বছর থেকেই চলে আসছে বলে অভিযোগ। মঙ্গলবার বিএসএফের (BSF) কর্তব্যরত জওয়ানরা এক পাচারকারীকে হাতনাতে ধরেন। বাজেয়াপ্ত করা হয় বিপুল পরিমাণ সোনা। পাচার করতেই নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল বলে প্রাথমিক তদন্তে বিএসএফ আধিকারিকরা জানতে পেরেছেন।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (BSF)

    বিজয়পুর গ্রামে সকালে টহল দিচ্ছিলেন বিএসএফের (BSF) কর্তব্যরত জওয়ানরা। সেই সময় ওই গ্রাম থেকে একজন পাচারকারী সাইকেল চালিয়ে যাচ্ছিল। কর্তব্যরত জওয়ানদের ওই ব্যক্তিকে দেখে সন্দেহ হয়। বিএসএফ সূত্রের খবর, সীমান্ত পারে বাঁশ বাগানের মধ্যে দিয়ে ওই ব্যক্তি সাইকেলে করে যাচ্ছিল। তার গতিবিধি দেখে সন্দেহ হওয়ায় তাকে দাঁড় করিয়ে তল্লাশির চেষ্টা করে বিএসএফ। তৎক্ষণাৎ ওই সাইকেল-আরোহী পালানোর চেষ্টা করে। ওই পাচারকারীর সঙ্গে বিএসএফের জওয়ানদের ধস্তাধস্তি শুরু হয়। ওই চোরাচালানকারী পালানোর চেষ্টায় বিএসএফ জওয়ানদের ওপর ধারাল অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে। আত্মরক্ষার্থে গুলি চালান বিএসএফ জওয়ানরা। তাড়াহুড়োয় পালানোর সময় ওই পাচারকারীর কোমরে বাঁধা সোনার বিস্কুটগুলি পড়ে যায়। তখনই বিএসএফের সন্দেহ প্রমাণিত হয়। বাজেয়াপ্ত করা হয় সমস্ত সোনা।

    আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি, আরজি কর কাণ্ডে শ্যামবাজারে আজ থেকে ধর্না বিজেপির

    কত সোনা বাজেয়াপ্ত?

    বিএসএফ (BSF) সূত্রে জানা গিয়েছে, ২২টি সোনার বিস্কুট, ৮টি সোনার ইট এবং ১টি ছোট সোনা আটক করা করেছে বিএসএফ সাউথ বেঙ্গল ফ্রন্টিয়রের অধীনস্থ বিজয়পুর বর্ডার ফাঁড়ির ৩২তম ব্যাটালিয়নের জওয়ানরা। ইতিমধ্যেই সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর পক্ষ থেকে গোটা ঘটনার কথা বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে। যে সোনা বাজেয়াপ্ত হয়েছে তার আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় সাড়ে চার কোটি টাকা বলে জানা যাচ্ছে। এই বিপুল পরিমাণ সোনা উদ্ধারের খবর এলাকায় চাউর হতেই তা নিয়ে এলাকায় শোরগোল পড়ে যায়। এই পাচারের কাজে আর কারা যুক্ত তা জানতে বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে বিএসএফ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • BJP: অনুমতি হাইকোর্টের, বুধ থেকে ৫ দিন শ্যামবাজারে ধর্না বিজেপির, ধর্মতলার মিছিলেও সায়

    BJP: অনুমতি হাইকোর্টের, বুধ থেকে ৫ দিন শ্যামবাজারে ধর্না বিজেপির, ধর্মতলার মিছিলেও সায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করকাণ্ডে জড়িতদের শাস্তির দাবিতে শ্যামবাজারে শান্তিপূর্ণ ধর্নায় বসার কথা বিজেপির (BJP) পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয়েছিল। কিন্তু, পুলিশ প্রশাসন অনুমতি দেয়নি। ফলে, এই কর্মসূচি কার্যকরী করার জন্য বিজেপি নেতৃত্বকে দৌড়তে হয় আদালতে। অবশেষে শ্যামবাজারে বিজেপিকে ধর্না কর্মসূচির অনুমতি দিল কলকাতা হাইকোর্ট।

    বুধবার থেকে টানা পাঁচদিন আন্দোলনে বিজেপি (BJP)

    আদালতের নির্দেশ মেনে বুধবার থেকে টানা পাঁচ দিন এই কর্মসূচি করতে পারবে বিজেপি (BJP)। কর্মসূচির দৈনিক সময়ও স্থির করে দিয়েছে আদালত। ওই পাঁচ দিন দুপুর ১২টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত ধর্না কর্মসূচি চালানো যাবে। মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজশ্রী ভরদ্বাজ এই নির্দেশ দিয়েছেন। শ্যামপুকুর থানার ওসি শান্তিশৃঙ্খলা পরিস্থিতি যাতে না বিঘ্নিত না-হয় তা দেখার জন্য বলা হয়েছে। শব্দবিধি মেনে চলতে হবে। ১৬ ফুট বাই ২৪ ফুট হবে মঞ্চের মাপ। এই মিছিল করার আবেদন জানিয়েছিলেন বিজেপি নেতা সুজিত চট্টোপাধ্যায়। জানা গিয়েছে, এর আগেও আরজি করের ঘটনার প্রতিবাদে ধর্না কর্মসূচির ডাক দিয়েছিল বিজেপি। গত শুক্রবার শ্যামবাজার মেট্রো স্টেশনের ১ নম্বর গেটের কাছে ওই কর্মসূচিতে যোগ দেওয়ার কথা ছিল বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারেরও। কিন্তু, বিজেপির তরফে অভিযোগ করা হয় যে, তাদের ধর্নামঞ্চ ভেঙে দেওয়া হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে শুক্রবার ওই একই জায়গায় ফের মঞ্চ বাঁধতে গিয়ে পুলিশের বাধার মুখে পড়েন বিজেপির নেতা-কর্মীরা। বেশ কয়েকজন বিজেপি নেতা-কর্মীকে আটক করে পুলিশ। এর পরেই শ্যামবাজারে ধর্না কর্মসূচি ঘোষণা করে বিজেপি। পুলিশের বাধার কারণে আদালতের নির্দেশে বুধবার থেকে ধর্না কর্মসূচি শুরু করতে চলেছে বিজেপি নেতৃত্ব।

    আরও পড়ুন: ‘‘আমাদের আগে ৩টি বডি ছিল’’! দাবি নির্যাতিতার বাবার, সৎকারে কেন তৎপর পুলিশ?

    মমতার হাঁটা পথে মিছিলের অনুমতি পেল বিজেপি

    আর জি করের (RG Kar Incident) ঘটনার প্রতিবাদে মৌলালি থেকে ধর্মতলার ওয়াই চ্যানেল পর্যন্ত মিছিল করার জন্য পুলিশের কাছে আবেদন করেছিলেন বিজেপির (BJP) প্রাক্তন সাংসদ স্বপন দাশগুপ্ত। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ওই একই রুটে কয়েকদিন আগে মিছিল করেছিলেন। কিন্তু, তারপর মেলেনি পুলিশের অনুমতি। এরপরই আদালতের দ্বারস্থ হন ওই বিজেপি নেতা। অবশেষে ওই রুটে মিছিল করার অনুমতি দিল কলকাতা হাইকোর্ট। তবে, মিছিলের জন্য বেশ কয়েকটি শর্ত বেঁধে দেওয়া হয়েছে। বিচারপতি জানিয়েছেন, ওয়াই চ্যানেলে ৫০০টি চেয়ার রাখা যাবে। মঞ্চ হতে হবে ২০/৩০ ফুটের। এক হাজারের মত অংশগ্রহণকারী থাকবেন। জনজীবনে বিঘ্ন ঘটানো চলবে না। বেলা তিনটে থেকে সাতটার মধ্যে করতে হবে এই কর্মসূচি। আর মিছিল হতে হবে শান্তিপূর্ণ। লালবাজারের জয়েন্ট কমিশনার অফ পুলিশকে এই কর্মসূচির তত্ত্বাবধানের দায়িত্ব নিতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

    বিজেপি নেতার আইনজীবী কী বললেন?

    বিজেপি (BJP) নেতা স্বপন দাশগুপ্তের আইনজীবী বিল্বদল ভট্টাচার্য বলেন, ‘খোলা হাওয়া’ নামে একটি সংগঠন রয়েছে আমাদের। আরজি করে যে ঘটনা ঘটেছে সেই ঘটনায় সহমর্মিতা প্রকাশ করাই উদ্দেশ্য। সারা দেশের সিনেমা, সাহিত্য-সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রের কৃতী মানুষেরা আসবেন এই মিছিলে। এই মিছিলের জন্য পুলিশের কাছে আর্জি জানানো হয়েছিল। কিন্তু, পুলিশ তা বাতিল করে। পরে, আদালতে দ্বারস্থ হয়ে মিলল অনুমতি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Incident: ‘‘সিট গঠন করে সন্দীপ ঘোষকে বাঁচাবেন?’’, আরজি কর কাণ্ডে মমতাকে আক্রমণ বিজেপির

    RG Kar Incident: ‘‘সিট গঠন করে সন্দীপ ঘোষকে বাঁচাবেন?’’, আরজি কর কাণ্ডে মমতাকে আক্রমণ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর (RG Kar Incident) মেডিক্যালে চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় তোলপাড় গোটা দেশ। এরই মধ্যে এবার আরজি কর মেডিক্যালে উঠল আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ। আর তার তদন্তে এবার সিট (SIT) গঠন করল রাজ্য সরকার। তবে রাজ্য সরকারের সিট গঠনের বিষয়টিকে সন্দীপ ঘোষকে বাঁচানোর পদক্ষেপ বলেই অভিযোগ করছে ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)। 

    ঠিক কী জানা গিয়েছে? (RG Kar Incident) 

    জানা গিয়েছে, প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের জমানায়, ২০২১ সাল থেকে, ব্যাপক কারচুপি ও আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে আরজি কর মেডিক্যালে। এবার তাঁর তদন্তে অফিসার প্রণব কুমারের নেতৃত্বের ৪ সদস্যের সিট গঠন করল স্বরাষ্ট্র দফতর। দলের বাকি সদস্যরা হলেন ডিআইজি মুর্শিদাবাদ রেঞ্জ ওয়াকার রাজা, ডিআইজি সিআইডি সোমা দাস মিত্র এবং কলকাতা পুলিশের ডিসি সেন্ট্রাল ইন্দিরা মুখোপাধ্যায়। এক মাসের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সিটকে। নবান্নের তরফে জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২০২১ সালের জানুয়ারি মাস থেকে এখনও পর্যন্ত আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে যে সব আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে তার পুরোটাই তদন্ত করে দেখবে এই সিট।   

    আরও পড়ুন: আরজি কর কাণ্ডের জের, হাসপাতালগুলির নিরাপত্তায় একগুচ্ছ নির্দেশিকা কেন্দ্রের

    রাজ্য সরকারের এই পদক্ষেপকে আসল ঘটনার থেকে দৃষ্টি সরানো এবং আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে বাঁঁচানোর চেষ্টা বলে আক্রমণ করেছে গেরুয়া শিবির। বিজেপির মিডিয়া সেলের ইনচার্জ এবং মুখপাত্র অমিত মালব্য এক্স হ্যান্ডলে (সাবেক ট্যুইটার) লিখেছেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গ সরকার আর্থিক অনিয়মের অভিযোগের তদন্তের জন্য সিট (SIT) গঠন করেছে৷ এটি সন্দীপ ঘোষকে বাঁচাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদক্ষেপ ছাড়া আর কিছুই নয়। রাজ্য পুলিশ ঠিক সময়েই সন্দীপ ঘোষকে গ্রেফতার করবে, যাতে সিবিআই তাঁকে হেফাজতে নিতে না পারে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পদত্যাগ না করলে ডাক্তারের ধর্ষণ ও খুনের (RG Kar Incident) অবাধ ও সুষ্ঠু তদন্ত সম্ভব নয়। তাঁকে এখনই পদত্যাগ করতে হবে।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Protest: আরজি করকাণ্ডের প্রতিবাদের ঝড় আছড়ে পড়ল হলিউডেও, আন্দোলনে প্রবাসীরা

    RG Kar Protest: আরজি করকাণ্ডের প্রতিবাদের ঝড় আছড়ে পড়ল হলিউডেও, আন্দোলনে প্রবাসীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করকাণ্ডে (RG Kar Protest) দোষীদের শাস্তির দাবিতে মিছিল চলছে কলকাতা থেকে শুরু করে শহরতলির বিভিন্ন রাস্তায়। নৃশংসতার প্রতিবাদে স্বাধীনতা দিবসের আগের রাতে অর্থাৎ ১৪ অগাস্ট কলকাতা সহ রাজ্যজুড়ে নেওয়া হয় রাত দখলের এক কর্মসূচি। এবার সেই আন্দোলনে নাম লেখালে হলিউডও। তিলোত্তমার মর্মান্তিক ঘটনা নাড়িয়ে দিয়েছে কলকাতা থেকে ক্যালিফোর্নিয়া পর্যন্ত সবাইকে। ‘তিলোত্তমা’র ওপর যে বর্বর অত্যাচারের ঘটনা ঘটে গিয়েছে, তাতে গোটা দেশ যেমন গর্জে উঠেছে, তেমনই মার্কিন মুলুকে থাকা প্রবাসী ভারতীয়রাও পথে নেমেছেন।

    হলিউড পার্কে প্রতিবাদ (RG Kar Protest)

    গত ১৮ অগাস্ট লস অ্যাঞ্জেলস এবং লস অ্যাঞ্জেলসের নিকটবর্তী এলাকার প্রবাসী ভারতীয়রা, বিশেষত বাঙালিরা জড়ো হয়েছিলেন জনপ্রিয় লেক হলিউড পার্কে। তাঁদের কারও হাতে ছিল কালো পতাকা, কারও হাতে ছিল ‘WE WANT JUSTICE’ লেখা পোস্টার। আবার কোনও পোস্টারে লেখা ছিল, ‘JUSTICE DELAYED IS JUSTICE DENIED’। লস অ্যাঞ্জেলসের সেই বাঙালিরা বলেন, শুধু এই একটা দিন নয়, প্রবাসের চরম ব্যস্ত জীবনের মধ্যেও তাঁরা তাঁদের এই প্রতিবাদ জারি রাখবেন ততক্ষণ পর্যন্ত, যতক্ষণ না তিলোত্তমার ওপর হওয়া বর্বরতার সুবিচার মেলে। কলকাতার আরজি কর হাসপাতালে মহিলা ট্রেনি চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনার প্রতিবাদে জেলায় জেলায়- হাসপাতালে হাসপাতালে বিক্ষোভ চলছে। সুবিচার ও নিরাপত্তার দাবিতে, প্রতিবাদে (RG Kar Protest) শামিল হয়েছেন বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালের জুনিয়র ডাক্তাররাও। তাঁদের কর্মবিরতি চলছে এখনও।

    আরও পড়ুন: ‘‘আমাদের আগে ৩টি বডি ছিল’’! দাবি নির্যাতিতার বাবার, সৎকারে কেন তৎপর পুলিশ?

    টলিউড-বলিউডের অভিনেতারা সরব

    প্রসঙ্গত, হলিউডে (Hollywood) প্রবাসী ভারতীয়দের প্রতিবাদের (RG Kar Protest) আগে ভারতে টলিউড-বলিউডের অভিনেতারা প্রতিবাদে সোচ্চার হয়েছেন। টলিউড অভিনেতা-অভিনেত্রীরা প্রকাশ্যেই রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ মিছিল করেছিলেন। বলিউডজুড়ে বয়ে গিয়েছে নিন্দার ঝড়। জানা গিয়েছে, বলিউড অভিনেত্রী আলিয়া ভাট এখন কন্যা সন্তানের মা। অভিনেত্রী ইনস্টাগ্রামে লেখেন, আরও একটা ধর্ষণ, বুঝতে পারছি মেয়েরা কোথাও সুরক্ষিত নয়। এক দশক আগে নির্ভয়াকাণ্ড নাড়া দিয়েছিল। আবার একই ঘটনা, কিছুই বদলায়নি। মহিলারা কীভাবে আমাদের কর্মস্থলে যাবে? এই ঘটনা আরও একবার চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল মহিলাদের সুরক্ষা আসলে তাদের নিজেদের হাতেই তুলে নিতে হবে। অভিনেতা আয়ুষ্মান খুরানাও প্রতিবাদ করেছেন নৃশংস এই ঘটনার। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Nadia: ‘‘মমতাকে রাজ্য ছেড়ে পালাতে হবে’’, কোথায়? তাও জানালেন রানাঘাটের বিজেপি সাংসদ

    Nadia: ‘‘মমতাকে রাজ্য ছেড়ে পালাতে হবে’’, কোথায়? তাও জানালেন রানাঘাটের বিজেপি সাংসদ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করকাণ্ডে দেশজুড়ে আন্দোলন চলছে। রাজ্য সরকারের ভূমিকা নিয়ে নিয়ে সাধারণ মানুষ প্রশ্ন তুলছেন। আদালতের নির্দেশে এই ঘটনার তদন্ত করছে সিবিআই। হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ-সহ একাধিকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এই আবহের মধ্যে এবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আহ্বান জানালেন নদিয়ার (Nadia) রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার। আরজি করের ঘটনা নিয়ে বাংলার মানুষ যেভাবে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করতে শুরু করেছেন, তাতে তাঁর পদত্যাগ করা উচিত বলে মনে করছেন রানাঘাটের বিজেপি সাংসদ।

    ঠিক কী বলেছেন বিজেপি সাংসদ? (Nadia)

    শান্তিপুর (Nadia) ডাকঘর মোড়ে আয়োজিত এক প্রতিবাদী সভায় বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার বলেন, ‘‘এতদিন বিরোধীরা বিরোধিতা করলেও বর্তমানে সমাজের সকল অংশের সাধারণ মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে প্রতিবাদ করছেন। আরজি করকাণ্ড সহ বিভিন্ন ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে শাসকদলের দুই-একজন ভালো মানুষ, যারা মুখ খুলেছেন তাঁদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তড়িঘড়ি নিহত তরুণী চিকিৎসকের ময়নাতদন্ত করিয়ে প্রমাণ লোপাটের জন্য ভাঙা হয়েছে মেডিক্যাল কলেজের একটি অংশ। আন্দোলনকারীদের মধ্যে দলীয় কর্মীদের হাতে বিরোধীদের পতাকা ধরিয়ে আক্রমণ করানো হয়েছে। আর এ সমস্ত নাটক বুঝে গিয়েছে সাধারণ মানুষ। তাই তো সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবি তুলেছেন সাধারণ মানুষ।’’

    ‘‘মমতার যাওয়ার একটাই জায়গা, সেটা হল…’’

    এর সঙ্গেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে তীব্র কটাক্ষ করে জগন্নাথ সরকার বলেন, ‘‘আগামীদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে রাজ্য ছেড়ে পালাতে হবে। সেক্ষেত্রে ওনার যাওয়ার একটাই জায়গা, সেটা হল বাংলাদেশ। তৃণমূল কর্মীরা তাঁকে প্রধানমন্ত্রী বানাতে চেয়েছিলেন, এবার হয়তো সেই শখ পূরণ হতে চলেছে। তবে এ বাংলায় নয়, বর্তমানে অরাজকতার বাংলাদেশ। বাংলাদেশে গিয়ে জামাত, মৌলবীদের সঙ্গে মিলে প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন তিনি। তবে, আমরাও কথা দিচ্ছি ভারতবর্ষ তথা বাংলা থেকে বিতাড়িত বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর জন্য না হয় স্লোগান দেব ‘জয় বাংলা’। সঙ্গে গান করব এক্কেবারে মানাইছে না রে।’’

    আরও পড়ুন: ‘‘আমাদের আগে ৩টি বডি ছিল’’! দাবি নির্যাতিতার বাবার, সৎকারে কেন তৎপর পুলিশ?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Asansol: নারী সুরক্ষায় বিশেষ উদ্যোগ বিজেপির, আসানসোলে চালু হল ‘প্রহরী’ অ্যাপ

    Asansol: নারী সুরক্ষায় বিশেষ উদ্যোগ বিজেপির, আসানসোলে চালু হল ‘প্রহরী’ অ্যাপ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করকাণ্ডের পর রাজ্যে নারী সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন সর্বস্তরের মানুষ। হাসপাতালের একেবারে ভিতরে চিকিৎসকদের বিশ্রাম করার জায়গায় ধর্ষণ করে খুনের ঘটনা ঘটেছে। তারপরেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে কর্মক্ষেত্রে নারী সুরক্ষা নিয়ে। পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকাও প্রশ্নের মুখে। এই অবস্থায় নারী সুরক্ষায় এগিয়ে এল বিজেপি। শুধু কোনও প্রতিশ্রুতি নয়, নারী সুরক্ষায় আসানসোল (Asansol) শহরের জন্য ‘প্রহরী’ নামে অ্যাপ চালু করল বিজেপি। আর এই প্রকল্পে কাজ করার জন্য স্বেচ্ছাসেবকও রয়েছে।

    কীভাবে কাজ করবে ‘প্রহরী’ অ্যাপ? (Asansol)

    সোমবারই কাটোয়ায় একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ পুরুষদের উদ্দেশে বলেছিলেন, হাতে রাখি পরিয়ে মা-বোনেদের সুরক্ষিত রাখার শপথ নিন। মূলত, রাজ্য প্রশাসনের ওপর ভরসা করে লাভ নেই বলেই এবার নারী সুরক্ষায় স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ করে অ্যাপ চালু করতে উদ্যোগী হল গেরুয়া শিবির। এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

    এই প্রহরী অ্যাপে দুটি হেল্পলাইন নম্বর রয়েছে। নম্বর দুটি হল-৯১৪৪৪৯৯৯০৮ এবং ৯১৪৪৪৯৯৯০৯। আনুষ্ঠানিকভাবে এই অ্যাপের সূচনা করেছেন বিজেপির রাজ্য কমিটির সদস্য কৃষেন্দু মুখোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘‘আরজি করের ঘটনা প্রমাণ করে দিয়েছে, রাজ্যে নারী সুরক্ষা বলে কিছু নেই। রাস্তাঘাটে তো বটেই কর্মক্ষেত্রেও কেউ সুরক্ষিত নয়। তাই, আমরা এবার নারীদের সুরক্ষায় বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছি। এখন আসানসোল (Asansol) শহরের জন্য এই অ্যাপ চালু করা হল।

    জানা গিয়েছে, ২৫ জন স্বেচ্ছাসেবক থাকবেন এই প্রহরীতে। যদি কোনও মহিলা বিপদে পড়েন আমাদের হেল্পলাইন নম্বরে ফোন করলে প্রহরীর সদস্যরা সেখানে গিয়ে মহিলাদের সুরক্ষিত স্থানে পৌঁছে দেবে। ২৪ ঘণ্টা এই হেল্পলাইন নম্বর চালু থাকবে। স্বেচ্ছাসেবকরা সব সময় নজরদারি চালাবে। বিশেষ নম্বরে যোগাযোগ করলেই সাহায্য মিলবে। এখন আমরা আসানসোল দিয়ে এই প্রকল্প শুরু করলাম। আগামী দিনে জেলার বিভিন্ন এলাকায় এই প্রহরী অ্যাপ চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে।’’

    আরও পড়ুন: ‘‘আমাদের আগে ৩টি বডি ছিল’’! দাবি নির্যাতিতার বাবার, সৎকারে কেন তৎপর পুলিশ?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Puja Donation: আরজি করের প্রতিবাদ, পুজোর অনুদান প্রত্যাখ্যান করে ‘অভয়া’কে স্মরণ

    Puja Donation: আরজি করের প্রতিবাদ, পুজোর অনুদান প্রত্যাখ্যান করে ‘অভয়া’কে স্মরণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর কাণ্ডে (RG Kar Incident) দেশজুড়ে আন্দোলন চলছে। চিকিৎসকরা লাগাতার কর্মবিরতি করে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন। রাজ্যজুড়ে মেয়েদের রাত জেগে আন্দোলন দেখেছেন দেশবাসী। এবার আরজি করকাণ্ডের প্রতিবাদের ঢেউ আছড়ে পড়ল প্রত্যন্ত গ্রামেও। পুজোর অনুদানের (Puja Donation) জন্য আবেদনই করবেন না, সাফ জানিয়ে দিলেন তারকেশ্বরের আস্তারা গ্রামের মা শারদা জননী দুর্গোৎসব পুজো কমিটি। কার্যত, রাজ্য সরকারের পুজোর অনুদানকে প্রত্যাখ্যান করে নিজেদের প্রতিবাদ জানিয়েছেন উদ্যোক্তারা।

    দুর্গামণ্ডপে ‘অভয়া’কে স্মরণ! (Puja Donation)

    গতমাসেই বাংলায় পুজো কমিটিগুলির জন্য সরকারি অনুদান ৭০ হাজার থেকে বাড়িয়ে ৮৫ হাজার করে দেওয়ার ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু, আরজি কর মেডিক্যালে (RG Kar Incident) নারকীয় ঘটনার প্রতিবাদে দুর্গাপুজোর সরকারি অনুদান ফেরাতে শুরু করেছে একের পর এক পুজো কমিটি। উত্তরপাড়ায় শক্তি সংঘের পর হাইল্যান্ড পার্ক উৎসব কমিটি পুজোর অনুদান নেবে না। গত বছর সরকারি অনুদান নিলেও, ২২তম বছরে হাইল্যান্ড পার্ক উৎসব কমিটির সদস্যরা নিজেদের মধ্যে বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেন, এবার তাঁরা রাজ্য সরকারের দেওয়া পুজোর অনুদান (Puja Donation) নেওয়ার জন্য আবেদন করবেন না। মেয়ের বিচারের দাবিতে মায়ের পুজোয় সরকারি অনুদান প্রত্যাখ্যান করলেন তাঁরা। এবার সেই তালিকায় যোগ হল তারকেশ্বরের আস্তারা গ্রামের মা শারদা জননী দুর্গোৎসব পুজো কমিটি। তাৎপর্যপূর্ণভাবে, এই পুজো কমিটি আবার মহিলা পরিচালিত। ফি বছর যেখানে দুর্গামণ্ডপ হয়, দশভূজাকে প্রতিষ্ঠা করে পুজো হয়, সোমবার সেখানেই ‘অভয়া’কে স্মরণ করলেন পুজো কমিটির সদস্যরা।

    আরও পড়ুন: ‘‘আমাদের আগে ৩টি বডি ছিল’’! দাবি নির্যাতিতার বাবার, সৎকারে কেন তৎপর পুলিশ?

    কী বললেন পুজো উদ্যোক্তারা?

    এবার পাঁচ বছরে পা দিল মহিলা পরিচালিত এই পুজো। সরকারের কাছে অনুদানের (Puja Donation) জন্য আবেদন করেছিল এই পুজো কমিটি। তবে ‘অভয়া’র নির্মম পরিণতির পর অনুদান নেওয়ার কোনও প্রশ্নই নেই, বলছেন কমিটির সদস্যরা। বদলে তাঁরা বলছেন, ‘বিচার চাই’। চৈতালি জানা নামে এক সদস্য বলেন, ‘‘আমাদের ঘরেও তো মেয়ে, বোন আছে। এটুকু নিরাপত্তা যদি না থাকে তাহলে কীভাবে বেরোবে ওরা। সঠিক বিচার পেলে আমরা অনুদানের জন্য না হয় আবার আবেদন করব।’’ রুমা ধাড়া পুজো পরিচালনার দায়িত্বে। তিনি বলেন, ‘‘আমাদের পুজোমণ্ডপ যেখানে হয়, যেখানে মা দুর্গার মূর্তি প্রতিষ্ঠা করি, সেখানে দাঁড়িয়েই আজ আমরা ‘অভয়া’র বিচার চাইলাম (Puja Donation)। মেয়েটা (RG Kar Incident) ডাক্তার হত, ও ওর অদৃশ্য দশ হাতে কত মানুষের প্রাণ বাঁচানোর শপথ নিয়েছিল। অথচ এভাবে নৃশংসভাবে শেষ করে দেওয়া হল। আর কোনও মায়ের কোল যেন খালি না হয়, আমরা সেটাই চাই। ডাক্তারটা আমাদের কাছে ভগবানের মানসরূপ।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • CBI: হাথরস কাণ্ডের দুঁদে মহিলা সিবিআই অফিসার সীমা এবার আরজি করের তদন্তে

    CBI: হাথরস কাণ্ডের দুঁদে মহিলা সিবিআই অফিসার সীমা এবার আরজি করের তদন্তে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাথরস কাণ্ডের কথা মনে আছে? ২০২০ সালে উত্তরপ্রদেশের হাথরসে গণধর্ষণের ঘটনা ঘটেছিল। উচ্চবর্ণের চার ব্যক্তি দলিত তরুণীটিকে গণধর্ষণের পর একটি মাঠে ফেলে পালায়। পরে, নির্যাতিতার মৃত্যু হয়। সেই ঘটনায় মহিলা পদমর্যাদার এসপি নিযুক্ত করা হয়েছিল। সেই পদ্ধতিতেই আরজি করের ঘটনায় নিযুক্ত করা হল মহিলা এসপিকে। নাম সীমা পাহুজা। তিনি এর আগে হাথরস ধর্ষণকাণ্ডের তদন্ত করেছিলেন। ইতিমধ্যেই কলকাতায় চলে এসেছেন সীমা। এই মামলায় তিনজন তদন্তকারী আধিকারিক (CBI) নিযুক্ত করা হয়েছে। এঁদের মধ্যে দুজন মহিলা। একজন কলকাতার অফিসার। 

    কে এই মহিলা আধিকারিক? (CBI)

    আরজি কর হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে সিবিআই (CBI)। সোমবার তাঁকে চতুর্থ বারের জন্য ডেকে পাঠানো হয় সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে। গত ৯ অগাস্ট চিকিৎসকের ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনার তদন্তে একের পর এক তথ্য উঠে আসছে। যদিও সিবিআইয়ের হাতে এখনও কেউ গ্রেফতার হয়নি। তার মধ্যেই জানা গেল, হাথরসের ঘটনায় সিবিআইয়ের তদন্তকারী দলের নেতৃত্ব দেওয়া তৎকালীন ডিএসপি সীমাকে আরজি করের ঘটনার তদন্তকারী দলে যুক্ত করা হয়েছে।

    সীমার প্রশংসা সিবিআইয়ের অন্দরে
    সিবিআই আধিকারিক সীমা এক সময় গাজিয়াবাদে কর্মরত ছিলেন, অ্যান্টি কোরাপশন ব্যুরোয়। হাথরস তো বটেই, বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ মামলার তদন্তকারী অফিসার হিসেবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অন্দরে প্রশংসা কুড়িয়েছেন তিনি। সিবিআই আধিকারিক হিসেবে তাঁর কাজের জন্য ২০১৪ সালের ১৫ অগাস্ট পুলিশ মেডেল পান সীমা। সাহসী এবং নির্ভীক অফিসার হিসেবে পরিচিতি রয়েছে তাঁর। হাথরস-কাণ্ডে সিবিআইয়ের ১৪ সদস্যের বিশেষ দলের নেতৃত্ব দেওয়া ছাড়াও হিমাচল প্রদেশের গুতি মামলার তদন্তের ভার ছিল তাঁর ওপর। সংশ্লিষ্ট মামলার সমাধান করেছিলেন তিনি। এবার তাঁকে আরজি কর (RG Kar Incident) কাণ্ডের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। বিশেষ সূত্রে খবর, আরজি করে যে সেমিনার হলে গোটা ঘটনাটা ঘটেছে, সেখানে যাবেন সীমা। নির্যাতিতার বাড়িতেও যাবেন তিনি।

    আরও পড়ুন: ২২ অগাস্ট স্বাস্থ্য ভবন ঘেরাও, আরজি কর কাণ্ডে লাগাতার ধর্না বিজেপির

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share