Tag: West Bengal

West Bengal

  • Udayan Guha: ‘মধ্যরাত দখলের’ কর্মসূচিকে কটাক্ষ! উদয়নের ‘অশ্লীল রসিকতা’য় শোরগোল

    Udayan Guha: ‘মধ্যরাত দখলের’ কর্মসূচিকে কটাক্ষ! উদয়নের ‘অশ্লীল রসিকতা’য় শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উদয়ন আছেন উদয়নেই! কখনও তিনি সদলে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিককে মারতে তেড়ে যান। কখনও আবার ‘যেমন ভোট, তেমন কাজ’ বলে বিরোধীদের প্রচ্ছন্ন হুমকি দেন। সেই তিনিই এবার কুৎসিত মন্তব্য করলেন মহিলাদের সম্পর্কে। আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনার প্রতিবাদে পথে নামছেন মহিলারা। বুধবার রাতে রাজ্যজুড়ে ‘মধ্যরাত দখলের’ কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। রাজ্যের অন্যান্য প্রান্তের পাশাপাশি উত্তরবঙ্গেও এই অরাজনৈতিক কর্মসূচি ঘিরে ব্যাপক সাড়া পড়েছে। আর মেয়েদের এই অরাজনৈতিক আন্দোলনে সিঁদুরে মেঘ দেখছেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী তথা দিনহাটার বিধায়ক তৃণমূলের (দলবদলু, ফরওয়ার্ড ব্লক থেকে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন) উদয়ন গুহ। রাজনৈতিক মহলের মতে, তাই ফেসবুক পোস্টে ‘কুৎসিত রসিকতা’। তাঁর (Udayan Guha) ফেসবুক পোস্ট ঘিরে তোলপাড় রাজ্য। 

    সোশ্যাল মিডিয়ায় কী লিখেছেন মন্ত্রী? (Udayan Guha)

    মহিলাদের এই আন্দোলনের প্রস্তুতি-পর্বের ঢেউ ছড়িয়েছে রাজ্যের সর্বত্র। আন্দোলন সফল করতে কোমর কষে নেমে পড়েছেন মহিলারা। জোটবদ্ধ হয়ে প্রতিবাদ সভায় যাবেন বলে ঠিক করেছেন তাঁরা। অরাজনৈতিক একটি আন্দোলনের আঁচ যে এত ব্যাপক হতে পারে, তা কল্পনাও করতে পারেননি তৃণমূলের নেতারা। উত্তরবঙ্গ জুড়েও এই আন্দোলন নিয়ে চলছে জোর চর্চা। স্বাভাবিকভাবে এই আন্দোলনকে হেয় প্রতিপন্ন করে তৃণমূল কোম্পানির নয়নের মণি হতে চাইছেন তৃণমূলের এই মন্ত্রী। এমনই অভিযোগ বিরোধীদের। ফেসবুক পোস্টে উদয়ন (Udayan Guha) লেখেন, “দিনহাটার কেউ কেউ কাল (বুধবার) রাতের দখল নিতে চাইছেন। আমার সমর্থন থাকল। তবে, স্বামীর অত্যাচার থেকে বাঁচতে রাতে ফোন করবেন না।” মহিলাদের আন্দোলনকে কটাক্ষ করতেই মন্ত্রীর এই ধরনের পোস্ট বলে ধারণা রাজনৈতিক মহলের। 

    আরও পড়ুন: ‘ধর্ষণের বাংলা চাইনা চাইনা’, কলকাতায় আজ ধিক্কার মিছিলের ডাক বিজেপির

    সরব বিজেপি

    উদয়নের (Udayan Guha) এই বেফাঁস মন্তব্যকে হাতিয়ার করেছে বিজেপি। রাজ্য বিজেপির (BJP) এক্স হ্যান্ডল (সাবেক টুইটার) থেকে রাজ্যের মন্ত্রীর পোস্টের স্ক্রিনশট দিয়ে লেখা হয়েছে, “নারীবিদ্বেষী পোস্ট তৃণমূলের মন্ত্রীর। আরজি করে ধর্ষণ এবং হত্যার ভয়াবহতার মধ্যে শক্তিকে জোরদার করতে রাজ্যের মানুষ যখন আজ (বুধবার) রাস্তায় নেমে শঙ্খ বাজানোর পরিকল্পনা করছে, তখন উদয়ন গুহ অশ্লীল রসিকতা করেছেন!” বিজেপির এ-ও অভিযোগ,” মন্ত্রী গার্হস্থ্য হিংসার মতো ঘটনাকে তুচ্ছ বলে মনে করেন। তাই রাত দুপুরে নির্যাতনের শিকার হয়ে কোনও মহিলা যদি জনপ্রতিনিধি বলে উদয়নের সাহায্য চান, তাঁদের সরাসরি ‘না’ বলে দেবেন মন্ত্রী।” বিজেপির  (BJP) কটাক্ষ নিয়ে উদয়নের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তাঁর সংক্ষিপ্ত জবাব, “আমি কোনও নারীবিদ্বেষী মন্তব্য করিনি।” বিজেপি এক্স হ্যান্ডলে কী প্রতিবাদ জানিয়েছে দেখে নিন।

    Sexist remarks by TMC Minister Udayan Guha.

    When the people of West Bengal are planning to hit the streets tonight and blow conch shells to raise the Shakti within amidst the RG Kar rape and murder horror, Udayan Guha resorts to vulgar jokes!

    He trivializes domestic violence… pic.twitter.com/ivku5jBDur

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar: “রাতের দখল নাও মেয়েরা”, আজকের অভিনব কর্মসূচিতে সিঁদুরে মেঘ দেখছে তৃণমূল

    RG Kar: “রাতের দখল নাও মেয়েরা”, আজকের অভিনব কর্মসূচিতে সিঁদুরে মেঘ দেখছে তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আর জি কাণ্ড (RG Kar) নিয়ে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। দেশজুড়ে এই আন্দোলনের আগুন ছড়িয়ে পড়েছে। এবার পথে নামছেন মহিলারাও। কোনও রাজনৈতিক ব্যানার নেই। কোনও ঝান্ডা নেই। কর্তব্যরত অবস্থায় একজন মহিলা চিকিৎসকের শরীরের ওপর নারকীয় অত্যাচার করে খুনের ঘটনা কেউ মন থেকে মেনে নিতে পারছেন না। তাই, রাজ্যজুড়ে অধিকাংশ হাসপাতালেই লাগাতার কর্মবিরতি চলছে। বুধবার সরকারি হাসপাতালের পাশাপাশি বেসরকারি হাসপাতালও কর্মবিরতিতে সামিল হয়েছে। এরই মধ্যে বুধবার মহিলারা রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ মিছিলে সামিল হবেন। আর আন্দোলনের এই কর্মসূচি শুধু কলকাতার রাজপথের গন্ডির মধ্যে আটকে নেই। বরং, রাজ্যজুড়েই এদিন রাতে মহিলারা পথে নামবেন। এই প্রতিবাদ আন্দোলন যে অন্য মাত্রা পেতে চলেছে তা বলা বহুল্য।

    আরও পড়ুন: ‘ধর্ষণের বাংলা চাইনা চাইনা’, কলকাতায় আজ ধিক্কার মিছিলের ডাক বিজেপির

    ‘মেয়েরা রাতের দখল নাও’ (RG Kar)

    মেয়েদের আন্দোলনের পোশাকি নাম দেওয়া হয়েছে, ‘রিক্লেম দ্য নাইট’। বাংলায় ‘মেয়েরা রাতের দখল নাও’। ১৯৭৫ সালে আমেরিকার ফিলাডেলফিয়া শহরে জনৈক মাইক্রো বায়োলজিস্টকে খুনের ঘটনায় ওই আন্দোলন শুরু হয়েছিল। তার পরে নানা ঘটনায় দুনিয়ার বিভিন্ন দেশে এই আন্দোলনে পথে নেমেছেন মেয়েরা। দিল্লির ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনার প্রতিবাদে কলকাতায় কয়েক বার এই নামে আন্দোলনও হয়েছিল। ২০১২ সালের শেষ রাতেও অ্যাকাডেমির সামনে মেয়েরা এই নামে আন্দোলনের ডাক দিয়ে পথে নেমেছিলেন। এখন আরজি করের (RG Kar) ঘটনার প্রেক্ষিতেও সেই আহ্বান জানানো হয়েছে।

    কোথায় কোথায় মিছিল?

    আরজি করের (RG Kar) ইস্তফা দেওয়া অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ করার নির্দেশের পর থেকেই মধ্যরাতে রাস্তা দখলের আন্দোলনের আহ্বানটি সমাজমাধ্যমে সংক্রমিত হতে শুরু করে। এই আন্দোলনের যাঁরা আহ্বায়ক, তাঁরা রাজনৈতিক দলের কেউ নন। প্রথম যে পোস্টারটি সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে, তাতে স্বাধীনতা দিবসের আগে অর্থাৎ ১৪ অগাস্ট (বুধবার) রাত ১১টা ৫৫ মিনিট থেকে মেয়েদের রাস্তায় নামার আহ্বান জানানো হয়েছিল। কিন্তু, সোমবার রাত থেকেই সেটি অন্য মাত্রা পেতে শুরু করে। মঙ্গলবার তা গোটা বাংলার মানচিত্র জুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে। উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন এলাকা থেকে দক্ষিণবঙ্গের বৃহত্তর কলকাতা থেকে শুরু করে বিভিন্ন জেলা শহর এবং মফস্সলে ছড়িয়ে পড়েছে। বিভিন্ন এলাকায় নিজেদের মতো করে মহিলারা ওই আন্দোলনে (Agitation) সংহতি জানাচ্ছেন। জমায়েত করতে উদ্যোগী হচ্ছেন। আন্দোলনের প্রাথমিক আহ্বানে ওই জমায়েতের স্থান হিসেবে তিনটি জায়গার কথা বলা হয়েছিল- কলেজ স্ট্রিট, অ্যাকাডেমি অফ ফাইন আর্টস এবং যাদবপুর এইটবি বাস স্ট্যান্ড। কিন্তু, দেখা যায় সোমবার রাত থেকে উত্তরপাড়া সখের বাজার, সোদপুর বিটি রোড মোড়, চন্দননগর স্ট্র্যান্ড, কৃষ্ণনগর পোস্ট অফিস মোড়ে মধ্যরাতে মেয়েদের দখল নেওয়ার ওই পোস্টার ছড়িয়ে পড়তে থাকে। মঙ্গলবার তাতে যুক্ত হয় বর্ধমান শহরের কার্জন গেট, দুর্গাপুরের সিটি সেন্টার, রায়গঞ্জ, শিলিগুড়ি, মালদা শহর, বহরমপুর, মেদিনীপুর, পুরুলিয়া শহর, ব্যান্ডেল, শ্রীরামপুরের মতো জেলায় জেলায় মফস্সল শহরের মহিলারাও।

    সিঁদুরের মেঘ দেখছে তৃণমূল!

    ‘রাত দখলের’ কর্মসূচি নিয়ে তৃণমূল সিঁদুরে মেঘ দেখতে শুরু করেছে। এমনিতেই আরজি কর (RG Kar) কাণ্ডে মুখ পুড়েছে তৃণমূলের। তারপর দেশজুড়ে প্রতিবাদ আন্দোলন। সর্বোপরি মেয়েদের এভাবে পথে নেমে আন্দোলনের ঘটনায় আরও ব্যাকফুটে শাসক দল। তাই, আন্দোলনের লাগাম নিজেদের দখলে রাখতে লোকদেখানো করে মায়া কান্না করে তাঁরা আন্দোলনে সামিল হচ্ছেন বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে। আর তাই, অনেক জায়গাতেই তৃণমূল নেতাদের বাড়ির লোকেরাই সেই কর্মসূচিকে সফল করতে প্রচারে নেমেছেন। রাজ্যসভার সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায়ও আন্দোলনে সামিল হওয়ার কথা জানিয়েছেন। কলকাতা পুরসভার ৩৭ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর সোমা চৌধুরী ফেসবুকে অন্তত ১৪টি জায়গার জমায়েতের পোস্টার পোস্ট করে লিখেছেন, ‘নারীদের সম্মান, প্রাণ বাঁচাতে দলবদ্ধ হোন।’ কলকাতা পুরসভার এক তৃণমূল কাউন্সিলরের স্ত্রী মঙ্গলবার মানিকতলা থেকে আরজি কর পর্যন্ত নাগরিক মিছিলে পা মিলিয়েছিলেন। হুগলির এক তৃণমূল বিধায়কের ঘনিষ্ঠ বান্ধবী তাঁর এলাকায় স্কুটি নিয়ে বাড়ি বাড়ি গিয়ে মধ্যরাতে রাস্তায় নামার আন্দোলনের প্রচার করছেন। তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দু তাঁর এক্স হ্যান্ডলে লেখেন, “আগামীকাল আমি প্রতিবাদকারীদের সঙ্গে যোগ দিতে যাচ্ছি। কারণ, লক্ষ লক্ষ বাঙালি পরিবারের মতো আমার একটি কন্যা এবং ছোট নাতনি রয়েছে। নারীর প্রতি নিষ্ঠুরতা যথেষ্ট। আসুন এক সঙ্গে প্রতিরোধ করি।”

    তৃণমূলের আন্দোলন দখলের ছক!

    যদিও বিজেপি এটিকে তৃণমূলের কৌশল হিসাবে দেখাতে চেয়েছে। কেন্দ্রীয় বিজেপির তরফে রাজ্যের পর্যবেক্ষক তথা আইটি সেলের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা অমিত মালব্য বলেন, “সুখেন্দুশেখরকে আন্দোলনে পাঠিয়ে আসলে তৃণমূল তার দখল নেওয়ার ছক করেছে।” তৃণমূলের একটা বড় অংশ রাত দখলের আন্দোলনের (Agitation) আহ্বানকে সমালোচনায় বিদ্ধ করেছেন।

     

    Aparna Sen, now Sukhendu. Mamata Banerjee’s old strategy. Co-opt protesters and compromise protest.

    Those seeking justice for the RG Kar MCH rape and murder victim shouldn’t let any Trinamool leader even come close. They are snakes. pic.twitter.com/BWWQIfFjjP

    — Amit Malviya (@amitmalviya) August 13, 2024

    text-align: justify;”> 

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Dhupguri: মামলায় অহেতুক নাম জড়িয়ে টাকা চেয়ে পুলিশের লাগামছাড়া চাপ! মৃত্যু বিজেপি নেতার

    Dhupguri: মামলায় অহেতুক নাম জড়িয়ে টাকা চেয়ে পুলিশের লাগামছাড়া চাপ! মৃত্যু বিজেপি নেতার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুলিশের লাগামছাড়া চাপ সহ্য করতে না পেরে অসুস্থ হয়ে মৃত্যু হল এক বিজেপি (BJP) নেতার। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে জলপাইগুড়ির ধূপগুড়ি (Dhupguri) এলাকায়। মৃত বিজেপি নেতার নাম দীপু রায়। তিনি ধূপগুড়ি ব্লকের গাদং-২ গ্ৰাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন সদস্য ও গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে জেলা পরিষদের প্রার্থী ছিলেন। বাড়ি জুড়াপানি এলাকায়।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Dhupguri)

    কিছুদিন আগে হিন্দু মন্দির ভাঙা নিয়ে ধূপগুড়িতে (Dhupguri) একটি গন্ডগোল হয়েছিল। অভিযোগ, সেই গন্ডগোলে না থাকলেও পুলিশ তাঁর বিরুদ্ধে সুয়োমোটো মামলা দায়ের করে। তাঁর নাম চার্জশিটে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এরপর ওই মামলার আইও চার্জশিট থেকে তাঁর নাম বাদ দেওয়া হবে বলে দফায় দফায় তাঁর কাছে টাকা দাবি করতে থাকেন বলে অভিযোগ। লাগাতার চাপ সৃষ্টি করায় সহ্য করতে না পেরে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। এরপর তড়িঘড়ি তাঁকে ধূপগুড়ি মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁকে জলপাইগুড়িতে স্থানান্তরিত করা হয়। কিন্তু, শেষ পর্যন্ত সোমবার রাতে জলপাইগুড়ির একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে তাঁর মৃত্যু হয়। শববাহী গাড়িতে মৃতদেহ নিয়ে পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান মৃতের পরিবারের সদস্য সহ বিজেপি নেতা-কর্মীরা।

    আরও পড়ুন: আরজি কর-কাণ্ডে আজ পথে বুদ্ধিজীবীরা, বিচারের দাবিতে নাগরিক মিছিল রুখল পুলিশ

    বিজেপি কর্মীরা কী বললেন?

    বিজেপি (BJP) নেতা-কর্মীরা বলেন, “প্রায় তিন মাস আগের ধূপগুড়ির একটি ঘটনায় দীপু রায় যুক্ত না থাকলেও জোর করে তাঁর নাম চার্জশিটে ঢোকানো হয়। আর চার্জশিট থেকে নাম কাটানোর জন্য ধূপগুড়ি থানার এক পুলিশ অফিসার টাকার দাবি করেন। অনবরত দীপু রায়কে ফোন করে থানায় দেখা করার জন্য চাপ দেওয়া হয়েছিল। মৃতের দাদা অপু রায় থানায় এসে পুলিশের সঙ্গে দেখাও করেন। আর গোটা বিষয়য়টি সোমবার দীপু রায়কে জানান তাঁর দাদা। ঘটনা নিয়ে যথেষ্ট চিন্তিত ছিলেন দীপু। এর পরেই অসুস্থ হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়। এরজন্য পুলিশই দায়ী।”

    পুলিশের সঙ্গে বচসা বিজেপি কর্মীদের

    ধূপগুড়ির থানা রোডে বিরাট পুলিশ বাহিনী মৃতদেহ সহ বিজেপি নেতা-কর্মীদের আটকে দেয়। পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন বিজেপি নেতা-কর্মীরা। দাবি তোলা হয় অভিযুক্ত পুলিশ অফিসারকে দ্রুত এই থানা থেকে বদলি করতে হবে। যদি তাঁকে সরানো না হয় তবে বৃহত্তর আন্দোলনে নামা হবে। ধূপগুড়ি (Dhupguri) থানার আইসি-র আশ্বাস পেয়ে বিক্ষোভ ওঠে। পরে, রাতেই বিজেপি নেতার দেহ সৎকার করা হয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Protest: আরজি কর-কাণ্ডে মঙ্গলবারও কর্মবিরতি চলল রাজ্যের ২১টি হাসপাতালে, দুর্ভোগ চরমে

    RG Kar Protest: আরজি কর-কাণ্ডে মঙ্গলবারও কর্মবিরতি চলল রাজ্যের ২১টি হাসপাতালে, দুর্ভোগ চরমে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর-কাণ্ডের (RG Kar Protest) প্রতিবাদে রাজ্য জুড়ে তোলপাড়় চলছে। জুনিয়র ডাক্তাররা কাজ বন্ধ রেখে আন্দোলনে (Agitation) সামিল হয়েছেন। জানা গিয়েছে, কর্মবিরতি পালনের ডাক দেয় ২১টি হাসপাতাল। এর মধ্যে কলকাতার সমস্ত মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতাল তো রয়েছে, পাশাপাশি জেলায় জেলায় মেডিক্যাল কলেজ এবং সরকারি হাসপাতালগুলিতেও কর্মবিরতি পালন করেন চিকিৎসকেরা। অধিকাংশ সরকারি হাসপাতালে আউটডোর চিকিৎসা বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। তবে, কিছু কিছু হাসপাতালে রোগীদের সমস্যার কথা মাথায় রেখে কর্মবিরতিতে রাশ টানা হয়। এক ঘণ্টার প্রতীকী কর্মবিরতি পালন করার পরে আবার স্বাভাবিক হয় পরিষেবা।

    জেলায় জেলায় কর্মবিরতি (RG Kar Protest)

    উত্তর ২৪ পরগনা বসিরহাটে স্বাস্থ্য জেলা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে মঙ্গলবার সকাল থেকে নার্স এবং চিকিৎসকদের কর্মবিরতি (RG Kar Protest) শুরু হয়। আন্দোলনকারীরা  বলেছেন, “আমাদের এক সহকর্মীকে খুনের প্রতিবাদে আমরা ১ ঘণ্টার জন্য কর্মবিরতির ডাক দিতে বাধ্য হয়েছি।” এদিন বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালেও চিকিৎসকেরা এক ঘণ্টা কর্মবিরতি পালন করে হাসপাতাল চত্বরে প্রতিবাদ জানান। দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডায়মন্ড হারবার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আউটডোর পরিষেবা বন্ধ রেখে অবস্থান বিক্ষোভে সামিল হন ডাক্তাররা। হাওড়ার মহেশ ভট্টাচার্য হোমিওপ্যাথি কলেজে আন্দোলন অব্যাহত। হুগলি চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে ওপিডি-তে কাজ করছেন না জুনিয়র চিকিৎসকরা। সিনিয়ররা পরিষেবা চালু রেখেছেন। মঙ্গলবার বেলা এগারোটা থেকে বারোটা পর্যন্ত ‘পেন ডাউন’ করেন হাসপাতালের সব চিকিৎসক। তাতে যোগ দেন নার্স এবং স্বাস্থ্যকর্মীরা। মঙ্গলবারও কালো ব্যাজ পরে হাতে পোস্টার নিয়ে স্লোগান দেন। মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে কর্মবিরতি চলছে। মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে সকাল থেকে আউটডোর বিভাগে চিকিৎসার জন্য রোগীদের টিকিট দেওয়া শুরু হলেও পরে কয়েক জন জুনিয়র চিকিৎসক এসে কাউন্টার বন্ধ করে দেন বলে অভিযোগ। বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসক পড়ুয়াদের আন্দোলন চতুর্থ দিনেও অব্যাহত।

    আরও পড়ুন: আরজি কর-কাণ্ডে আজ পথে বুদ্ধিজীবীরা, বিচারের দাবিতে নাগরিক মিছিল রুখল পুলিশ

    তালা ঝুলিয়ে আন্দোলনে ডাক্তাররা

    নিরাপত্তার দাবিতে অনির্দিষ্ট কালের জন্য অবস্থান-বিক্ষোভ (RG Kar Protest) শুরু করেন পুরুলিয়া গভর্নমেন্ট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের ডাক্তারি পড়ুয়ারা। মেডিক্যাল কলেজের মূল দরজায় তালা ঝুলিয়ে দেন ডাক্তারি পড়ুয়ারা। বন্ধ থাকে আউটডোর পরিষেবা, বন্ধ ডাক্তারি পঠনপাঠন।  অন্যদিকে, জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালেও চলছে জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলন। আউট ডোরের সামনে বিক্ষোভ-অবস্থান করেন জুনিয়র ডাক্তার-সহ ছাত্র-ছাত্রীরা। চিকিৎসক না আসায় বালুরঘাট হাসপাতালে মৃত্যু হয় এক বালকের। সকাল সাড়ে ৫টা নাগাদ তাকে গুরুতর জখম অবস্থায় ভর্তি করানো হলেও সকাল ৭টা পর্যন্ত কোনও চিকিৎসক দেখতে আসেননি। তবে এর সঙ্গে চিকিৎসকদের কর্মবিরতির সম্পর্ক নেই বলেই মনে করা হচ্ছে।

    বারাসতে নেই কর্মবিরতি

    রাজ্যের বিভিন্ন হাসপাতালে যখন টালমাটাল পরিস্থিতি, এমার্জেন্সি-নন এমার্জেন্সিতে কর্মবিরতি চলছে, সেইসময় বারাসত মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নিয়েছে, প্রতিবাদ তারা জানাচ্ছে। তবে কর্মবিরতির পথে হাঁটছে না। বারাসত মেডিক্যাল কলেজের সুপার সুব্রত মণ্ডল বলেন, আমরা রোগী ফেরাচ্ছি না। আসলে জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসেন রোগীরা। তাঁরা চিকিৎসা না পেয়ে ফিরে যাবেন, এটা সম্ভব নয়। আর বিভিন্ন হাসপাতালে এখন যেহেতু কর্মবিরতির কারণে পরিষেবা সমস্যায় পড়ছে, তাই চেষ্টা করছি রোগীকে অন্যত্র ট্রান্সফার না করে যথাসাধ্য এখানেই চিকিৎসা দিতে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Hospital: চার বার নিহতের নাম নিয়েছেন প্রাক্তন অধ্যক্ষ! পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি মহিলা কমিশনের

    RG Kar Hospital: চার বার নিহতের নাম নিয়েছেন প্রাক্তন অধ্যক্ষ! পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি মহিলা কমিশনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল (RG Kar Hospital) পরিদর্শনে যান জাতীয় মহিলা কমিশনের সদস্যরা। হাসপাতালের পরিকাঠামোর অবস্থা খতিয়ে দেখে রীতিমতো ক্ষোভ উগরে দেন তাঁরা। হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে কার্যত তুলোধনা করেন তাঁরা। নিহত চিকিৎসের নাম নেওয়ায় তাঁর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলে জানানো হয়।

    ঠিক কী বলেছেন জাতীয় মহিলা কমিশনের সদস্যরা? (RG Kar Hospital)

    শহরে (Kolkata) আসার পরে প্রথমেই জাতীয় মহিলা কমিশনের দুই প্রতিনিধি সোজা যান লালবাজারে। সেখানে পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে দেখা করেন তাঁরা। পুলিশ কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকও করেন। লালবাজারের (Kolkata) পরে  নিহত মহিলা চিকিৎসকের সোদপুরের বাড়িতেও যান তাঁরা। কমিশনের অন্যতম সদস্য ডেলিনা খনডুপ বলেন, ‘‘প্রাক্তন প্রিন্সিপাল (RG Kar Hospital) সন্দীপ ঘোষ নিহত তরুণীর প্রতি যথেষ্ট অসংবেদনশীল মন্তব্য করেছেন। এমনকী, মেয়েটির নামও নেওয়া হয়েছে। সেই কারণে তাঁর বিরুদ্ধে কমিশনের পক্ষ থেকে পদক্ষেপ করা হবে।’’

    মঙ্গলবার, পশ্চিমবঙ্গ সরকার ও পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের ডিজিকে নোটিশ দিয়েছে জাতীয় মহিলা কমিশন৷ আগামী দু’সপ্তাহের মধ্য়ে এই নিয়ে রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে ওই নোটিশে৷ স্বতঃপ্রণোদিত হয়েই এই পদক্ষেপ করেছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন৷ কমিশনের সদস্য বলেন, ‘‘আমরা এই নৃশংস ঘটনার তদন্তের গতিপ্রকৃতি ভাল করে খতিয়ে দেখব। পাশাপাশি রাজ্যের গোটা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে কমিশনকে জানাব। ঘটনার পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট তৈরি করে আমরা জাতীয় মহিলা কমিশনে জমা দেব। আসল অপরাধীকে আড়াল করছে পুলিশ। শুধু তাই নয়, প্রয়োজন হলে আরও অতিরিক্ত দিন থেকে গোটা ঘটনার সবদিক থেকে খতিয়ে দেখব।’’

    আরও পড়ুন: আরজি কর-কাণ্ডে আজ পথে বুদ্ধিজীবীরা, বিচারের দাবিতে নাগরিক মিছিল রুখল পুলিশ

    নিহত চিকিৎসকের চারবার নাম নেন প্রাক্তন অধ্যক্ষ!

    আরজি করের (RG Kar Hospital) জুনিয়র ডাক্তারের মৃত্যুর ঘটনায় উঠেছে খুন ও ধর্ষণের অভিযোগ। সোমবার সেই আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পর সন্দীপ ঘোষ সংবাদমাধ্যমের সামনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে কমপক্ষে চার বার নাম উল্লেখ করেছেন মৃত চিকিৎসকের। আইনজীবী তরুণজ্যোতি তিওয়ারি বলেন, ‘এটা শাস্তিযোগ্য অপরাধ।’

    নির্যাতিতার নাম প্রকাশ হলে কী শাস্তির বিধান আছে?

    ধর্ষণ বা যৌন হেনস্থার মতো ঘটনায় নির্যাতিতার পরিচয় প্রকাশ্যে এসে গেলে প্রভাব পড়তে পারে বিচার ও তদন্তের ক্ষেত্রে। তাই নির্যাতিতার নাম প্রকাশ্যে আনা যায় না। এই বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের স্পষ্ট নির্দেশ আছে। পাশাপাশি, ভারতীয় আইনেও বাধ্যবাধকতা আছে। নির্যাতিতার নাম প্রকাশ্যে আনা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। যে সব নথিতে নির্যাতিতার নাম প্রকাশ্যে আসতে পারে, সেগুলি মুখবন্ধ খামেই আদান-প্রদান করতে হয় পুলিশকে। নাম গোপন রাখতে হয় আদালত ও তদন্তকারী সংস্থাকেও। নির্যাতিতার (RG Kar Hospital) মৃত্যু হলে বা অচৈতন্য থাকলে, তাঁর আত্মীয় যদি নাম প্রকাশ করতে চান, তাহলে শুধুমাত্র সেশন কোর্টেই আবেদন জানাতে পারেন। এছাড়া সুপ্রিম কোর্টের গাইডলাইনে আছে, নির্যাতিতা অপ্রাপ্তবয়স্ক হলে, তার পরিচয় যদি প্রকাশ করার প্রয়োজন পড়ে, সে ক্ষেত্রে বিশেষ আদালত অনুমোদন দিতে পারে।

    ভারতীয় ন্যায় সংহিতায় কী বলা আছে?

    আগে, ভারতীয় দণ্ডবিধি বা ‘ইন্ডিয়ান পেনাল কোড’ (IPC)- এর ২২৮এ ধারায় ছিল এই সম্পর্কিত বিধান আছে। সেই ধারা অনুযায়ী, ধর্ষিতা বা যৌন হেনস্থার শিকার নির্যাতিতার নাম, পরিচয় প্রকাশ্যে আনলে ২ বছর পর্যন্ত জেল হতে পারে। ধার্য করা হতে পারে জরিমানাও। বর্তমানে ভারতীয় দণ্ডবিধির বদলে আনা হয়েছে ‘ভারতীয় ন্যায় সংহিতা’। সেখানেও এই সম্পর্কিত শাস্তির কথা বলা আছে। ‘ভারতীয় ন্যায় সংহিতা’র ৭২ নম্বর ধারায় বলা হয়েছে, কেউ যদি নির্যাতিতার নাম প্রকাশ্যে আনেন, তাহলে জেল হতে পারে। জেলের মেয়াদ হতে পারে ২ বছর পর্যন্ত। এছাড়া ধার্য করা হতে পারে জরিমানা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Rash Behari Bose: বিপ্লবী রাসবিহারী বসুর গ্রামের জমিও হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা! হতবাক বাসিন্দারা

    Rash Behari Bose: বিপ্লবী রাসবিহারী বসুর গ্রামের জমিও হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা! হতবাক বাসিন্দারা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের জমানায় রাজ্যের ভূমি দফতরের দুর্নীতি ঘুঘুর বাসায় পরিণত হয়েছে। রাজ্যজুড়ে জমি হাঙরদের চক্র জালিয়াতি করে অন্যের জমি হাতিয়ে নিচ্ছে। বিরোধীরা বার বার এই অভিযোগ করেন। এবার বিপ্লবী রাসবিহারী বসুর (Rash Behari Bose) জমিও অন্যের নামে রেকর্ড করার অভিযোগ উঠেছে। দেশকে স্বাধীন করার ক্ষেত্রে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর সঙ্গে একই সারিতে উচ্চারিত হয় রাসবিহারী বসুর নাম। তাঁর সম্পত্তি সুরক্ষিত না থাকায় গ্রামবাসীরা ক্ষোভে ফুঁসছেন। তাঁরা বলছেন, কীভাবে এমনটা হল তা প্রকাশ্যে আনা হোক। ঘটনায় নিন্দার ঝড় উঠেছে সর্বত্র।

    জমির রেকর্ড বদল! (Rash Behari Bose)

    বিপ্লবী রাসবিহারী বসুর (Rash Behari Bose) জন্মভিটে পূর্ব বর্ধমানের বড়বৈনান পঞ্চায়েতের সুবলদহ গ্রাম। এই গ্রামে ছেলেবেলার বেশিরভাগ সময়টাই কাটিয়েছেন তিনি। আলিপুর বোমা বিস্ফোরণ মামলায় তিনি অভিযুক্ত হন। তাঁর পরিকল্পনায় লর্ড হার্ডিঞ্জের ওপর বোমা ছোড়া হয়েছিল। ব্রিটিশ বাহিনীর রাতের ঘুম কেড়ে নিয়েছিলেন তিনি। ছদ্মবেশে তিনি জাপানে চলে গিয়েছিলেন। গড়ে তুলেছিলেন আজাদ হিন্দ ফৌজ। পরে, নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর ওপর তার দায়িত্বভার দেন তিনি। তাঁর মতো ব্যক্তিত্বের জন্য গর্বিত দেশবাসী। সেই স্বাধীনতা সংগ্রামীর নামে থাকা জমির রেকর্ড বদলে গিয়েছে। সে কারণে তাঁর জমিতে স্মৃতি ধরে রাখার মতো কিছু করা যাচ্ছে না। গ্রামবাসীরাও প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছেন। গ্রামবাসীরা ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরে লিখিত অভিযোগে জানিয়েছেন। গ্রামবাসীদের দাবি, সুবলদহ মৌজায় রাসবিহারী বসু, বিজনবিহারী বসু এবং বিপিনবিহারী বসুর নামে জমির রেকর্ড ছিল। সেটির জেএল নম্বর ১৯৪। আরএস, সিএস দাগ নম্বর ৩১৫৭। সম্প্রতি ওই জমি সম্পর্কে খোঁজ নিতে গিয়ে জানা যায়, বর্তমানে এলআর রেকর্ড অনুসারে সেই জমি অন্য দু’জনের নামে রেকর্ড হয়েছে।

    আরও পড়ুন: আরজি কর-কাণ্ডে আজ পথে বুদ্ধিজীবীরা, বিচারের দাবিতে নাগরিক মিছিল রুখল পুলিশ

    স্থানীয় বাসিন্দারা কী বললেন?

    গ্রামের বাসিন্দারা বলেন, ‘‘রাসবিহারী বসু (Rash Behari Bose) শুধু আমাদের গ্রাম নয়, সারা দেশের গর্ব। তাঁদের নামে ১০ শতক জায়গা ছিল। তাঁর জমির রেকর্ড কীভাবে বদল হল তা নিয়ে তদন্ত হওয়া দরকার। দেশের জন্য তিনি নিজের জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। অথচ আমরা তাঁকে সম্মান দিতে পারছি না। তাঁর স্মৃতি ধরে রাখার জন্য গ্রামে কিছু করা দরকার ছিল। সেসব কিছুই হয়নি। জমির রেকর্ড বদল হওয়ার জন্য তাঁর জমিতে আমরাও কিছু করতে পারছি না।’’

    প্রশাসনের কর্মকর্তারা কী বলছেন?

    পূর্ব বর্ধমানের (Burdwan) জেলাশাসক কে রাধিকা আয়ার বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে। পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের জনস্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ বিশ্বনাথ রায় বলেন, ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা উচিত। নিয়ম মেনে রেকর্ড বদল না হলে পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। স্বাধীনতা সংগ্রামীর গ্রাম যাতে মডেল গ্রাম হয়ে ওঠে তার জন্য পদক্ষেপ নেওয়া হবে। পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের সভাধিপতি শ্যামাপ্রসন্ন লোহার বলেন, বটুকেশ্বর দত্ত, রাসবিহারী বসু (Rash Behari Bose) আমাদের জেলার গর্ব। সুবলদহ গ্রামে কী কী কাজ করা যেতে পারে তা দেখা হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Protest: আরজি কর কাণ্ডে সিবিআই তদন্তের দাবি উঠল কল্যাণী এইমসে, দুর্ভোগে রোগীরা

    RG Kar Protest: আরজি কর কাণ্ডে সিবিআই তদন্তের দাবি উঠল কল্যাণী এইমসে, দুর্ভোগে রোগীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর (RG Kar Protest) মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় রাজ্যজুড়ে উত্তাল অবস্থা। রাজ্যের অধিকাংশ মেডিক্যাল কলেজে জুনিয়র ডাক্তাররা কর্মবিরতি শুরু করেছেন। হাসপাতাল চত্বরেই চলছে বিক্ষোভ আন্দোলন। প্রতিবাদ মিছিল। নিন্দার ঝড়় উঠেছে দেশজুড়ে। সকলেই অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তির দাবি জানাচ্ছেন। সোমবার বিক্ষোভ আন্দোলনে সামিল হলেন কল্যাণী এইমস হাসপাতালের চিকিৎসকরা। বন্ধ রাখলেন আউটডোর চিকিৎসা পরিষেবাও। আর অধিকাংশ হাসপাতালে কর্মবিরতি হওয়ার কারণে রোগীরা চরম নাকাল হলেন।

    সিবিআই তদন্তের দাবি উঠল এইমস হাসপাতালে (RG Kar Protest)

    এদিন কল্যাণী এইমসের চিকিৎসকরা রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখান। এদিন হাসপাতাল চত্বরে চিকিৎসকরা দল বেঁধে প্রতিবাদ মিছিল করেন। প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে সিবিআই তদন্তের দাবি জানান তাঁরা। আন্দোলনকারী চিকিৎসকরা বলেন, হাসপাতালে জরুরি পরিষেবা বজায় রয়েছে। তবে, অন্য চিকিৎসা আমরা বন্ধ রেখেছি। আসলে ডিউটিরত অবস্থায় আমাদের সহকর্মীকে হাসপাতালের মধ্যে ধর্ষণ করে খুন করা হল। এটা মেনে নেওয়া যায় না। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই। একইসঙ্গে এই ঘটনার সিবিআই তদন্তের দাবি জানাচ্ছি। যত দিন না পর্যন্ত সঠিক বিচার হচ্ছে, ততদিন পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব। এদিন এইমস হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে দূর দূরান্ত থেকে বহু রোগী এসেছিলেন। পরিষেবা না পেয়ে সকলেই ফিরে যান। তবে, রোগী ও তাঁর পরিবারের লোকজন আরজি করের ঘটনা নিয়ে সরব হয়েছেন। তাঁদের বক্তব্য, অবিলম্বে প্রকৃত দোষীদের গ্রেফতার করা দরকার।

    আরও পড়ুন: আরজি কর থেকে ভাতার! মমতা প্রশাসনের মদতেই কি সিভিক ভলান্টিয়ারদের দাপট?

    শান্তিপুরেও কর্মবিরতি

    অন্যদিকে, এদিন শান্তিপুর স্ট্রেট জেনারেল হাসপাতালের ডাক্তার এবং স্বাস্থ্য কর্মীরা হাতে প্ল্যাকার্ড এবং কালো ব্যাজ পরে বিক্ষোভ (RG Kar Protest) প্রতিবাদে সামিল হন। হাসপাতাল চত্বরে তাঁরা প্রতিবাদ মিছিল করেন। আন্দোলনকারীরা এই ঘটনার নির্মমতা প্রসঙ্গেও ধিক্কার জানান। পাশাপাশি তাঁরা বলেন, এই ঘটনার সঙ্গে যারা যুক্ত, তাঁদের গ্রেফতার এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।

    আন্দোলনে ডায়মন্ড হারবার-কাকদ্বীপ

    দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডায়মন্ডহারবার জেলা হাসপাতালে এদিন সকাল থেকে জুনিয়র ডাক্তার ও নার্সদের কর্মবিরতি চলছে। একই সঙ্গে কাকদ্বীপ হাসপাতালের চিকিৎসা পরিষেবা বন্ধ রেখে আন্দোলন করছেন চিকিৎসকরা। যার জেরে এদিন সকাল থেকে বন্ধ হয়ে পড়়ে ডায়মন্ড হারবার এবং কাকদ্বীপ হাসপাতালের চিকিৎসা পরিষেবা। ডায়মন্ড হারবার হাসপাতালটি মূলত প্রত্যন্ত সুন্দরবন এলাকার মানুষের একমাত্র ভরসা। আন্দোলনের জেরে আউটডোর পরিষেবা পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। এই ডায়মন্ডহারবার সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল চিকিৎসা করতে এসে পরিষেবা না পেয়ে শতাধিক রোগী ফিরে যান। একই ঘটনা ঘটে কাকদ্বীপ হাসপাতালেও।

    আন্দোলন চলাকালীন দুই মহিলা জুনিয়র ডাক্তারকে হেনস্থা!

    আরজি কর কাণ্ড নিয়ে উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজে আন্দোলন চলাকালীন দুই মহিলা জুনিয়র ডাক্তারের সঙ্গে অশালীন আচরণ করার অভিযোগ উঠল এক মদ্যপ যুবকের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজের পুলিশ ফাঁড়ি সংলগ্ন এলাকায়। এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান রায়গঞ্জ থানার পুলিশ। মদ্যপ ওই যুবককে আটক করে পুলিশ থানায় নিয়ে যায়। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন আন্দোলন চলার সময় দুই মহিলা জুনিয়র ডাক্তার দুপুরের খাবার খেতে ক্যান্টিনে যান। ক্যান্টিনে ভিড় থাকায় তাঁরা দুজন বাইরে দাঁড়িয়ে কথা বলছিলেন। সেই সময় এক মদ্যপ যুবক এসে তাঁদের দেখে অশালীন আচরণ করতে থাকে। এই দেখে ওই দুই মহিলা জুনিয়র ডাক্তার বিষয়টি এড়িয়ে চলে যেতে চাইলে তাঁদের ওপর হামলা চালানোর চেষ্টা করে ওই যুবক। এই দেখে স্থানীয় মানুষেরা হাসপাতাল ভিতরে থাকা পুলিশ ফাঁড়িতে খবর দেন। পুলিশ এসে ওই মদ্যপ যুবককে আটক করে নিয়ে যায় ফাঁড়িতে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতের নাম জীবন রাজবংশী। অভিযোগকারী মহিলা জুনিয়র ডাক্তার বলেন, “আমরা সহকর্মীর খুনের বিচারের দাবিতে আন্দোলন করছিলাম। কিন্তু, আমরা লক্ষ্য করলাম দিনের বেলায় আরজি কর কেন, এই হাসপাতালের মধ্যেও আমাদের নিরাপত্তা নেই। আমরা আমাদের উপযুক্ত নিরাপত্তার দাবি জানাচ্ছি। এদিন আন্দোলনের জেরে এই হাসপাতালে (Hospital) চিকিৎসা পরিষেবা ব্যাহত হয়। বহু রোগী হাসপাতালে এসে চিকিৎসা না পেয়ে ফিরে যান।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Nadia: শ্রাবণের শেষ সোমবারে এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম শিবলিঙ্গে জল ঢালতে ভক্তদের ঢল

    Nadia: শ্রাবণের শেষ সোমবারে এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম শিবলিঙ্গে জল ঢালতে ভক্তদের ঢল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শ্রাবণ মাসের শেষ সোমবার। রাজ্যজুড়ে এই দিন শিবের মাথায় জল ঢালতে সকাল থেকে ভক্তদের ভিড় উপচে পড়েছে মন্দিরে মন্দিরে। তারকেশ্বর মন্দিরে তো লক্ষাধিক ভক্ত সমাগম হয়েছে। ভক্তদের ভিড়ে পিছিয়ে নেয় নদিয়ার (Nadia) শিবনিবাস মন্দির। এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম শিবলিঙ্গে জল ঢালতে ভক্তদের ভিড় উপচে পড়়ে।

    কৃষ্ণচন্দ্র প্রতিষ্ঠিত শিবলিঙ্গ (Nadia)

    ইতিহাস ঘেঁটে জানা যায়, রাজা কৃষ্ণচন্দ্র রায় ১৭৫৪ সালে নদিয়ার (Nadia) শিবনিবাস গ্রামে (Shibnibas) শিবমন্দির প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। এই শিবমন্দিরসহ তিনটি মন্দির তিনি তৈরি করেছিলেন। এর মধ্যে দুটি শিবের মন্দির রয়েছে। আর একটি রাম-সীতার মন্দির। শিবলিঙ্গের উচ্চতা ৯ ফুট। স্থানীয়ভাবে বুরো শিব বা পুরাতন শিব নামে পরিচিত। শিবনিবাস গ্রামের নামটি এলাকায় শিব মন্দিরের প্রাচুর্য থেকে এসেছে। কলকাতার বিশপের নথি অনুসারে, রেজিনাল্ড হেবার ১৮২৪ সালে ঢাকায় যাওয়ার সময় শিবনিবাসকে দেখতে গিয়েছিলেন। সেই সময়ে গ্রামে চারটি শিব মন্দির ছিল বলে জানা যায়। যদিও এই বিষয়ে এলাকার মানুষের কাছে খুব বেশি তথ্য পাওয়া যায়নি।

    আরও পড়ুন: আরজি কর থেকে ভাতার! মমতা প্রশাসনের মদতেই কি সিভিক ভলান্টিয়ারদের দাপট?

    ভক্তরা কী বললেন?

    এদিন শিবনিবাসের (Shibnibas) শিবের মাথায় জল ঢালতে দূর-দুরান্ত থেকে এদিন হাজার হাজার ভক্ত সমাগম হয়েছে। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে মাত্র কয়েক কিলোমিটার আগে নদিয়ার (Nadia) কৃষ্ণগঞ্জের শিবনিবাসে রয়েছে শিব মন্দির। রবিবার রাত বারোটা বাজতেই ভিড় সামলাতে খুলে দেওয়া হয়েছে শিব মন্দিরের গেট। পুরানো ঐতিহ্য মেনে নবদ্বীপ থেকে বাঁকে করে হাজার হাজার ভক্ত গঙ্গার জল নিয়ে শিবনিবাসে আসেন শিবের মাথায় জল ঢালতে। অগণিত ভক্তগণের লম্বা লাইন মন্দির প্রাঙ্গণ ছাড়িয়ে বিস্তৃত হয়েছে বহুদূর পর্যন্ত। কোনও রকম অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে সেজন্য পুলিশ প্রশাসন সচেষ্ট। মন্দির এলাকার নিরাপত্তা বলয়ে মুড়ে ফেলা হয়। বিশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এড়াতে মোতায়েন করা হয়েছে প্রায় ২৭০০ পুলিশ কর্মী। পুণ্যার্থী সুমিত্রা বিশ্বাস বলেন, আমি করিমপুর থেকে পরিবারের লোকজনের সঙ্গে এসেছি। ভোর থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে রয়েছি। এত বড় শিবলিঙ্গ আমি কোনওদিন দেখিনি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • BSF: অশান্ত বাংলাদেশ, সীমান্তে মানবিক বিএসএফ, ভিডিও শেয়ার করলেন শিবসেনা নেতা

    BSF: অশান্ত বাংলাদেশ, সীমান্তে মানবিক বিএসএফ, ভিডিও শেয়ার করলেন শিবসেনা নেতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অশান্ত বাংলাদেশ। গত জুলাই মাস থেকে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি দেশজুড়ে। হাসিনা পদত্যাগ করার পর লাগামছাড়া অত্যাচার শুরু হয়েছে হিন্দুদের ওপর। আওয়ামি লিগের নেতা-কর্মীরা আতঙ্কিত। এই আবহের মধ্যে বাংলাদেশ (Bangladesh Crisis) ছেড়ে ভারতে আশ্রয় চেয়ে সীমান্তে জড়ো হচ্ছেন শয়ে শয়ে মানুষ। অসহায় মানুষদের সঙ্গে মানবিক আচরণ করতে দেখা গেল এক বিএসএফ আধিকারিকের। শিবসেনা নেতা মিলিন্দ দেওরা বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সীমান্তে বিএসএফ কর্মকর্তাদের ভিডিও শেয়ার করেছেন। একজন বিএসএফ (BSF) কর্তা কীভাবে শান্তভাবে অসহায় বাংলাদেশিদের বোঝাচ্ছেন তা ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে। আর সেই ভিডিও মনজয় করেছে নেটিজেনদের।

    বাংলাদেশিদের বিএসএফের কর্মকর্তা ঠিক কী বলেছেন? (BSF)

    কোচবিহারের শীতলখুচির পাঠানটুলি ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত। এই পাশে ডাকুয়াটারির খর্ব নদীর পারে জমায়েত হন ওই বাংলাদেশিরা। সেখানেই বিএসএফ জওয়ানদের সঙ্গে কর্মকর্তারা উপস্থিত রয়েছেন। বাংলাদেশিরা যখন নদী পেরিয়ে ভারতে আসার চেষ্টা করেন, সেই সময় এক বিএসএফ (BSF) আধিকারিক বলেন,  “আমার কথা শুনুন, আমি যা বলছি তা শুনুন। আপনারা যে সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন তা সারা বিশ্ব জানে। এর জন্য আলোচনার প্রয়োজন আছে। আমরা এমনভাবে সমস্যার সমাধান করতে পারি না। আমরা চাইলেও আপনাকে সীমান্ত পার হতে দিতে পারি না।” এরপরও কয়েকজন বাংলাদেশি চিৎকার করে ভারতে ঢুকতে দেওয়ার আর্জি জানান। তখন এই বিএসএফ আধিকারিক বলেন, “দয়া করে আমার কথা শুনুন, চিৎকার করে কিছুই বের হবে না। গোটা বিশ্ব এই সমস্যার কথা জানে। তবে এখনও এটি নিয়ে আলোচনার প্রয়োজন রয়েছে। একবার সেই আলোচনাগুলি হয়ে গেলে, আমরা আপনার স্থিতি এবং সুরক্ষা সম্পর্কে কী করতে হবে তা নির্ধারণ করতে পারব।” এরমধ্যে কয়েকজন বাংলাদেশি বলেন, “দয়া করে আমাদের ভারতের ভিতরে যেতে দিন, আমাদের বাড়িঘর পুড়িয়ে ফেলবে এবং আমাদের নির্যাতন করবে।” এরপরই বিএসএফের এক কর্মকর্তা তখন শরণার্থীদের বলেন, “সিনিয়র অফিসারদের সঙ্গে আমাদের বাংলাদেশের প্রতিপক্ষের পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। যারা ভারতে প্রবেশ করতে চায় তাদের অভিযোগ শোনা হবে।”

    আরও পড়ুন: আরজি কর থেকে ভাতার! মমতা প্রশাসনের মদতেই কি সিভিক ভলান্টিয়ারদের দাপট?

    শিবসেনা নেতা ভিডিও শেয়ার করে কী বললেন?

    শিবসেনা নেতা মিলিন্দ দেওরা একটি ভিডিও শেয়ার করে এক্স হ্যান্ডেলে বলেন, “এই পরিস্থিতির মধ্যে বিএসএফের (BSF) ওই আধিকারিক নিজেদের কর্তব্যে অবিচল থেকে অসহায় বাংলাদেশিদের বুঝিয়েছেন তা প্রশংসার যোগ্য।

    বিএসএফের মুখপাত্র কী বললেন?

    বিএসএফের (BSF) মুখপাত্র বলেন, বিএসএফ এডিজি (পূর্ব কমান্ড) রবি গান্ধী ১০ অগাস্ট বাংলাদেশ (Bangladesh Crisis) সীমান্তে নিরাপত্তা পর্যালোচনা করার জন্য একটি বৈঠক করেন। বৈঠকের একদিন পরে ভিডিওটি প্রকাশ পেয়েছে। সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ, নিরাপত্তা ও ব্যবস্থাপনা আরও বাড়ানোর জন্য বিশদ আলোচনা হয়েছে। এছাড়াও, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতা অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে ভারতীয় নাগরিক এবং বাংলাদেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোকদের ওপর নৃশংস অত্যাচার প্রতিরোধের জন্য ভালো সাড়া দিচ্ছে। সম্প্রতি হাসিনার ক্ষমতাচ্যুতির পর বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের সমস্যাগুলি খতিয়ে দেখতে এডিজি-র অধীনে একটি কমিটি গঠন করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ram Mandir Rakhi: এ বছর বাজারে ‘ট্রেন্ডিং’ রাম দরবার-রাম মন্দির রাখি, দাম কত জানেন?

    Ram Mandir Rakhi: এ বছর বাজারে ‘ট্রেন্ডিং’ রাম দরবার-রাম মন্দির রাখি, দাম কত জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাখি পূর্ণিমার এখনও কয়েকদিন বাকি রয়েছে। তবুও, বাজারের দোকানগুলিতে রাখি বিক্রি চলছে রমরমিয়ে। প্রতি বছর রাখির বাজারের বেশ কিছু ট্রেন্ডিং রাখি দেখতে পাওয়া যায়। যেই রাখিগুলি সকলের নজর আকর্ষণ করে থাকে। এ বছর বাজার কাঁপাচ্ছে রাম দরবার এবং রাম মন্দির (Ram Mandir Rakhi) নামে দুটি রাখি। কোচবিহার (Cooch Behar) জেলার একাধিক বাজারেই মিলছে এই ট্রেন্ডিং রাখি। বেশি দাম হলেও বাজারে এই দুটি রাখির চাহিদা তুঙ্গে।

    রাম দরবার-রাম মন্দির রাখির দাম কত? (Ram Mandir Rakhi)

    জেলা কোচবিহারের (Cooch Behar) সদর শহরের এই বাজারে বেশ কিছু পাইকারি বিক্রেতা রয়েছেন। এই বিক্রেতারা এই ট্রেন্ডিং রাখি প্রচুর পরিমাণে অর্ডার পাচ্ছেন। জেলার বিভিন্ন এলাকার খুচরো বিক্রেতারা প্রতিনিয়ত এই রাখি নিচ্ছেন অনেকটা পরিমাণে। আর ক্রেতারা ভিড় করছেন রাখির দোকানে। কোচবিহার ভবানীগঞ্জ বাজারের রাখি বিক্রেতা বিশ্বজিৎ বণিক বলেন, সাধারণভাবে রাখির দাম শুরু হয় ১০ টাকা থেকে। সর্বোচ্চ দামের রাখি হল ১২০ টাকার, যেটা এবার ট্রেন্ডিং রাখি। বাজারে এবার দুটি ট্রেন্ডিং রাখি বিক্রি হচ্ছে। একটি রাখির নাম ‘রাম দরবার’। যা ভাই ও বোনের একসঙ্গে দুটি রাখির একটি সেট। এই রাখি ৮০ টাকা থেকে ৯০ টাকা দামের মধ্যে যাচ্ছে। আর অন্যটির নাম ‘রাম মন্দির’। তার দাম ১২০ টাকা।

    আরও পড়ুন: আরজি কর থেকে ভাতার! মমতা প্রশাসনের মদতেই কি সিভিক ভলান্টিয়ারদের দাপট?

    ক্রেতারা কী বললেন?

    বাজারে রাখি কিনতে আসা এমন এক ক্রেতা বলেন, ‘‘রাখি পূর্ণিমার বেশ কিছুটা সময় আগে থেকেই রকমারি রাখি উঠতে শুরু করেছে। আর সেগুলির মধ্যেই জেলার মানুষের কোনও এক রাখি দারুণ পছন্দের হয়। তখন সেই রাখি ট্রেন্ডিং হয়ে পড়ে। তবে আরও বেশ কিছু রাখি রয়েছে যা দীর্ঘ সময় ধরে পছন্দ করে বহু মানুষ। ব্রেসলেট রাখি, বাচ্চাদের বিভিন্ন কার্টুনের রাখি সব সময়ের জন্য বাজারে ভালো পরিমাণ বিক্রি হয়ে থাকে। তবে, ট্রেন্ডিং রাখিগুলি নতুনের মধ্যে অনেকটাই আকর্ষণীয় হয়ে থাকে। রাম মন্দিরের (Ram Mandir Rakhi) রাখিই এ বছর বাজারে অনেক বেশি বিক্রি হচ্ছে। আমি নিজেও এরকম একটি রাখি কিনেছি।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share