Tag: West Bengal

West Bengal

  • Suvendu Adhikari: রাজ্যে অস্থায়ী, ঠিকা, চুক্তিভিত্তিক কর্মী নিয়োগে সংরক্ষণের দাবি জানালেন শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: রাজ্যে অস্থায়ী, ঠিকা, চুক্তিভিত্তিক কর্মী নিয়োগে সংরক্ষণের দাবি জানালেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে স্থায়ী পদে নিয়োগ নেই বললেই চলে। তবে, রাজ্য সরকারের উদ্যোগে বিভিন্ন দফতরে অস্থায়ী ও ঠিকা কর্মী নিয়োগ করা হয়। এবার সেই নিয়োগেও সংরক্ষণের দাবি তুললেন বিজেপি (BJP) বিধায়ক তথা বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। মূলত, পঞ্চায়েত দফতরে অস্থায়ী পদে কর্মী নিয়োগ করা হবে। সেখানেও নিয়ম মেনে সংরক্ষণ করে নিয়োগ করার দাবি জানান বিরোধী দলনেতা।

    ঠিক কী বললেন শুভেন্দু? (Suvendu Adhikari)

    বৃহস্পতিবার বিধানসভায় বিজেপি (BJP) বিধায়ক শুভেন্দু বলেন, “রাজ্যে অস্থায়ী, ঠিকা, চুক্তিভিত্তিক কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রেও সংবিধান মেনে তফসিলি জাতি, জনজাতি, অনগ্রসর শ্রেণি, শারীরিকভাবে অক্ষমদের জন্য আসন সংরক্ষণ করা হোক।” জানা গিয়েছে, সম্প্রতি অস্থায়ী পদে ৬,৬০০ কর্মী নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে রাজ্যের পঞ্চায়েত দফতর। ‘জেলা সিলেকশন কমিটি’ করে নিয়োগ করা হবে। এই প্রসঙ্গে বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) বলেন, “রাজ্যের পঞ্চায়েত দফতরে অস্থায়ী পদে নিয়োগের জন্য যে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে, তাতে সংরক্ষণের কোনও উল্লেখ নেই। সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে যে ‘১০০ পয়েন্ট রোস্টার’ মেনে চলা হয়, এ ক্ষেত্রে তা মানা হয়নি। সরকারি চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে সরকারের নীতি অনুযায়ী মোট শূন্যপদের মধ্যে কত সংখ্যক আসন সংরক্ষিত থাকবে তা-ই লেখা থাকে এই ‘১০০ পয়েন্ট রোস্টার’-এ। এটি রাজ্য সরকারের প্রতি ১০০ শূন্যপদে নিয়োগের ক্রমতালিকা। সেখানে বলা হয়, প্রতি ১০০ শূন্যপদে কোন শ্রেণির জন্য কত অনুপাতে আসন সংরক্ষিত থাকবে। সেই নিয়োগের ক্ষেত্রেও আসন সংরক্ষিত রাখার আমি দাবি জানাচ্ছি।” বিধানসভার দৃষ্টি আকর্ষণ পর্বে  তিনি বলেন, “অনগ্রসর শ্রেণির সংরক্ষণ নিয়ে ‘আইনি জটিলতা’ তৈরি হয়েছে। সেই ‘আইনি জটিলতা’ মিটিয়ে অস্থায়ী, ঠিকা এবং চুক্তিভিত্তিক পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে সংরক্ষণ নীতি কার্যকর করার আমি দাবি জানাচ্ছি।”

    আরও পড়ুন: ধর্মান্তরণ রুখতে আইন করা উচিত অন্য রাজ্যগুলোরও, বললেন ভিএইচপি কর্তা

    বিধানসভায় শুভেন্দুর ঘরে দিলীপের জন্মদিন পালন

    নিজের জন্মদিনের দিনই বিধানসভায় বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ। তাও আবার রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) ঘরে। জানা যাচ্ছে, জন্মদিনের দিন শুভেন্দুর আমন্ত্রণেই বিধানসভায় যান তিনি। বিরোধী দলনেতার ঘরেই তাঁর ‘বার্থ ডে সেলিব্রেশন’ করা হয়। দলীয় বিধায়কদের উপস্থিতিতে দিলীপকে পুষ্পস্তবক দিয়ে উত্তরীয় পরিয়ে দেন শুভেন্দু। এরপর মিষ্টি মুখ করানো হয়।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • BIS Recruitment 2024: কেন্দ্রীয় সংস্থায় ৫০ হাজার টাকা বেতনের চাকরি, যোগ্যতা কী জানেন?

    BIS Recruitment 2024: কেন্দ্রীয় সংস্থায় ৫০ হাজার টাকা বেতনের চাকরি, যোগ্যতা কী জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কর্মী নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। মূলত, কেন্দ্রের উপভোক্তা বিষয়ক মন্ত্রকের অধীনস্থ সংস্থায় কর্মী নিয়োগ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কত জন কর্মী নিয়োগ (Government Job) করা হবে, তাঁদের কত বেতন হবে তাও উল্লেখ করে দেওয়া হয়েছে। দেশের কোন কোন প্রান্তে কতজনকে নিয়োগ করা হবে তার রূপরেখাও ঠিক করা হয়েছে। আর এই কাজের জন্য কী কী যোগ্যতা দরকার তা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে, কেন্দ্রের উপভোক্তা বিষয়ক মন্ত্রকের অধীনস্থ সংস্থায় কর্মী নিয়োগ করবে ব্যুরো অফ ইন্ডিয়ান স্ট্যান্ডার্ডস (বিআইএস) (BIS Recruitment 2024)। এই মর্মে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে কেন্দ্রীয় সংস্থার তরফে।

    কোথায় কোথায় কর্মী নিয়োগ করা হবে? (BIS Recruitment 2024)

    বিআইএস (BIS Recruitment 2024) সূত্রে জানা গিয়েছে, দেশের পূর্বাঞ্চলে সাতটি আঞ্চলিক কার্যালয়ে নিযুক্তদের পোস্টিং দেওয়া হবে। এরজন্য অনলাইনেই আগ্রহীদের থেকে আবেদন গ্রহণ করা হবে। এই প্রক্রিয়া ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। সংস্থার তরফে কনসালট্যান্ট বা পরামর্শদাতা পদে কর্মীদের নিয়োগ করা হবে। মোট শূন্যপদের সংখ্যা ১৪। কলকাতা ব্রাঞ্চ অফিস-১, কলকাতা ব্রাঞ্চ অফিস-২, জামশেদপুর, গুয়াহাটি, ভুবনেশ্বর, রায়পুর এবং পাটনা ব্রাঞ্চ অফিসের প্রতিটিতে দু’জন করে কর্মী নিয়োগ করা হবে। সংস্থায় আগামী ছ’মাসের জন্য স্বল্পমেয়াদে কর্মীদের নিয়োগ করা হবে।

    আরও পড়ুন: ধর্মান্তরণ রুখতে আইন করা উচিত অন্য রাজ্যগুলোরও, বললেন ভিএইচপি কর্তা

    মাসে বেতন ৫০ হাজার টাকা

    প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে আবেদনকারীদের জন্য কোনও বয়ঃসীমার উল্লেখ করা হয়নি। তবে, জানানো হয়েছে নিযুক্তদের (Government Job) বেতন হবে মাসে ৫০ হাজার টাকা। আবেদনকারীদের মার্কেটিং-এ এমবিএ বা মাস কমিউনিকেশনে সমতুল ডিগ্রি বা সোশ্যাল ওয়ার্কে মাস্টার্স (এমএসডব্লিউ) ডিগ্রি থাকতে হবে। পাশাপাশি কোনও কেন্দ্রীয় সরকারি / রাজ্য সরকারি / রাষ্ট্রায়ত্ত্ব / স্বশাসিত সংস্থায় মার্কেটিং এবং মাস কমিউনিকেশন সংক্রান্ত কাজের দু’বছরের অভিজ্ঞতাও থাকতে হবে। যাঁদের আইটি সম্পর্কিত কাজের দক্ষতা এবং ইংরেজি, হিন্দি এবং স্থানীয় ভাষায় কথোপকথন এবং লেখার দক্ষতা রয়েছে, নিয়োগের ক্ষেত্রে তাঁদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • High Court: “বিচারক নিয়োগও কি চুক্তিতে হবে?” রাজ্যের আচরণে বিস্মিত হাইকোর্টের বিচারপতি

    High Court: “বিচারক নিয়োগও কি চুক্তিতে হবে?” রাজ্যের আচরণে বিস্মিত হাইকোর্টের বিচারপতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুই ২৪ পরগনার জেলা আদালতে বহু পদ শূন্য। সেখানে চুক্তিভিত্তিক কর্মী নিয়োগের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এর বিরুদ্ধে হাইকোর্টে (High Court) মামলা করেছে ওয়েস্ট বেঙ্গল কোর্ট এমপ্লয়িজ অ্যাসোসিয়েশন। দুই জেলা আদালতে অস্থায়ী কর্মী নিয়োগের ওপর স্থগিতাদেশ দিল কলকাতা (Kolkata) হাইকোর্ট। বুধবার এই নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অরিন্দম মুখোপাধ্যায়। কেন জেলা আদালতে চুক্তিভিত্তিক কর্মী নিয়োগ হবে, সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে হলফনামা জমা দেওয়ার জন্যও নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। মামলার শুনানির সময় বিচারপতির মন্তব্য, “এমন চলতে থাকলে, এর পরে কি জেলা বিচারকও চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ হবে?”

    জেলা আদালতে পাঁচশোর বেশি শূন্যপদ (High Court)

    জানা গিয়েছে, দুই জেলা মিলিয়েই রয়েছে পাঁচশোর বেশি শূন্যপদ। উত্তর ২৪ পরগনায় ২৬৭ শূন্যপদ এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ২৫৭ শূন্যপদ। সম্প্রতি, এই দুই জেলা আদালতে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে অস্থায়ী কর্মী নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে হাইকোর্টের (High Court) দ্বারস্থ হয়েছে ওয়েস্ট বেঙ্গল কোর্ট এমপ্লয়িজ অ্যাসোসিয়েশন। আদালতে কেন অস্থায়ী কর্মী নিয়োগ হবে? সেই প্রশ্ন তুলে হাইকোর্টে মামলা করে আদালত কর্মীদের সংগঠন। বুধবার সেই মামলায় অস্থায়ী নিয়োগের ওপর স্থগিতাদেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। সেপ্টেম্বর মাসে এই মামলার পরবর্তী শুনানির সম্ভাবনা।

    আরও পড়ুন: ধর্মান্তরণ রুখতে আইন করা উচিত অন্য রাজ্যগুলোরও, বললেন ভিএইচপি কর্তা

    ১০ বছরে আদালতে কর্মী নিয়োগ হয়নি

    বুধবার মামলাকারী সংগঠনের আইনজীবী ফিরদৌস শামিম কলকাতা (Kolkata) আদালতে (High Court) সওয়াল করে বলেন, “সরকারের বিশেষ কিছু দফতর বা বিভাগ রয়েছে, যেখানে অস্থায়ী কর্মী নিয়োগ করা যায় না। সেই তালিকায় রয়েছে আদালতের কর্মী নিয়োগও।” এই নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের অতীতের নির্দেশের কথাও তুলে ধরেন তিনি। পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, “২০১৪ সাল থেকে রাজ্যের জেলা আদালতগুলিতে স্থায়ী কর্মী নিয়োগ করা হয়নি। ফলে প্রায় ২৫ শতাংশেরও বেশি শূন্যপদ পড়ে রয়েছে। আমার প্রশ্ন, ১০ বছর পরেও কেন জেলা আদালতে স্থায়ী নিয়োগ করতে চাইছে না রাজ্য সরকার।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Potato Price: “আলু চাষি ও ব্যবসায়ীদের ওপর দমন পীড়ন নীতি নিচ্ছে রাজ্য সরকার”, তোপ শুভেন্দুর

    Potato Price: “আলু চাষি ও ব্যবসায়ীদের ওপর দমন পীড়ন নীতি নিচ্ছে রাজ্য সরকার”, তোপ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভিন রাজ্যে আলু নিয়ে যাওয়ার ওপর রয়েছে সরকারি নিষেধাজ্ঞা। প্রতিবাদে রাজ্যজুড়ে আলু ব্যবসায়ীরা ধর্মঘট ডেকেছিলেন। আর তারপরই চড়চড়িয়ে আলুর দাম বাড়তে শুরু করে। কোথাও ৪০ টাকা, কোথাও আবার ৫০ টাকার বেশি দরে আলু বিক্রি হয়েছে। কিন্তু, ধর্মঘট উঠলেও আলুর দাম (Potato Price) এখনও আম-জনতার নাগালের মধ্যে আসেনি। এই আবহের মধ্যেই কোচবিহারের মাথাভাঙায় ভালো দাম পাচ্ছেন না বলে চাষিরা রাস্তায় আলু ফেলে বিক্ষোভ দেখান। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু আধিকারী (Suvendu Adhikari) এই ঘটনার জন্য তৃণমূল সরকারে তুলোধনা করেছেন।

    চাষিরা কী দাবি জানালেন? (Potato Price)

    বুধবার মাথাভাঙা-২ ব্লকের কোচবিহার ফালাকাটা জাতীয় সড়কের সতীশের হাট এলাকায় পথ অবরোধে সামিল হন ক্ষুদ্র আলু চাষিরা। চাষিরা বলেন, “বেশ কিছুদিন ধরে আলু পাইকাররা আলু কেনা বন্ধ রাখায় আমরা সমস্যায় পড়েছি। একইসঙ্গে বাজারে আলু বিক্রির জন্য নিয়ে গেলেও দাম (Potato Price) পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে, আলু বিক্রি করে আমন ধান সহ সবজি চাষের জন্য রাসায়নিক সার কিনতে পারছি না। কিনতে পারছি না অন্যান্য চাষের সামগ্রীও।” এদিন কয়েক ঘণ্টা ধরে চলে অবরোধ। পরে ঘোকসাডাঙা থানার পুলিশের হস্তক্ষেপে অবরোধ ওঠে। জাতীয় সড়কে অবরোধের জেরে দু’দিকে পন্যবাহী ও যাত্রীবাহী গাড়ির লাইন পড়ে যায়। অবরোধ উঠে যেতেই যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। তবে সমস্যার সমাধান না হলে আরও বৃহত্তর আন্দোলনে নামার হুমকি দিয়েছেন আলু চাষিরা।

    আরও পড়ুন: ধর্মান্তরণ রুখতে আইন করা উচিত অন্য রাজ্যগুলোরও, বললেন ভিএইচপি কর্তা

    রাজ্যকে তোপ শুভেন্দুর

    আলু নিয়ে চাষিদের বিক্ষোভ প্রসঙ্গে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বলেন, রাজ্য জুড়ে আলু চাষি ও ব্যবসায়ীদের ওপর রাজ্য সরকার দমন পীড়ন নীতি অবলম্বন করছে। বিশেষ করে রাজ্যের সঙ্গে ওড়িশা ও অসমের সীমান্তবর্তী এলাকায়। কোচবিহারে ক্ষুব্ধ আলু ব্যবসায়ীদের প্রতিবাদ কর্মসূচি তারই প্রতিফলন। এক দিকে সারের কালোবাজারির জন্য আলু চাষিরা (Potato Price) জেরবার হচ্ছে, সেই ব্যাপারে রাজ্য সরকারের কোনও সদর্থক ভূমিকা লক্ষ্য করা যাচ্ছে না, অথচ বিভিন্ন সময়ে হঠকারি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে আলু চাষি ও ব্যবসায়ীদের ওপর খবরদারি ফলাতে গিয়ে তাঁদেরকে ক্ষতির মুখে ঠেলে দিচ্ছে। আলু চাষি ও ব্যবসায়ীদের সমস্ত ন্যায্য অধিকার ও দাবি দাওয়ার পক্ষে আমরা। অবিলম্বে রাজ্য সরকারি আধিকারিকগণ চাষিদের সঙ্গে সমন্বয় স্থাপন করে দ্বন্দ্ব মেটানোর উদ্যোগ গ্রহণ করুন।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Amit Shah: “হিসেব দাও, টাকা নাও”, রাজ্যসভায় তৃণমূল সাংসদকে মুখের মতো জবাব অমিত শাহের

    Amit Shah: “হিসেব দাও, টাকা নাও”, রাজ্যসভায় তৃণমূল সাংসদকে মুখের মতো জবাব অমিত শাহের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১০০ দিনের প্রকল্প থেকে আবাস যোজনা— সব ক্ষেত্রেই বার বার কেন্দ্রীয় সরকার বঞ্চনা করছে। অর্থ বরাদ্দ করছে না বলে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর দলের সাংসদ, বিধায়করা সরব হয়েছেন। বাস্তবে এই সব প্রকল্পে ভুরি ভুরি দুর্নীতি হয়েছে। ভুয়ো মাস্টার রোল তৈরি করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে। ফলে, এই সব প্রকল্পের সঠিক হিসেব দিলেই টাকা মিলবে বলে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। এমনকী, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও বার বার একথা বলেছেন। এই পরিস্থিতিতে পশ্চিমবঙ্গকে আর্থিক বঞ্চনা করা হয়েছে দাবি তুলে বুধবার রাজ্যসভায় ফের একবার সরব হন তৃণমূল সাংসদ সাকেত গোখলে। যদিও তাঁর প্রশ্নের পর পরই মুখের ওপর মোক্ষম জবাব দেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)।

    কী বলেছেন তৃণমূল সাংসদ?

    মঙ্গলবার ভোরে, টানা বৃষ্টির জেরে ভয়াবহ ধস নেমেছে কেরলে। তছনছ হয়ে গিয়েছে ওয়েনাড় জেলার একাধিক গ্রাম। সেই বিপর্যয়ের প্রেক্ষিতে, বুধবার রাজ্যসভায় ফের কেন্দ্রীয় বাজেটে থাকা বন্যা প্রসঙ্গ ওঠে। প্যাকেজ থেকে বাংলাকে বঞ্চিত করার প্রসঙ্গ তোলেন রাজ্যসভার (Rajya Sabha) তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ সাকেত গোখলে। তিনি বলেন, “বন্যাত্রাণে থাকা রাজ্যগুলির তালিকায় কেরল ও পশ্চিমবঙ্গকে যোগ করা যায় কিনা তা কেন্দ্রীয় সরকারকে বিষয়টি দেখার জন্য বলছি।” একইসঙ্গে তিনি আরও বলেন, “রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী তহবিলের ২৫ শতাংশ দেয় রাজ্য সরকার। তাও, কোনও বিপর্যয়কে কেন্দ্রীয় সরকার জাতীয় বিপর্যয় ঘোষণা না করলে, সেই তহবিলের মাত্র ১০ শতাংশ ব্যবহার করতে পারে রাজ্য। রাজ্যগুলিকে এই তহবিলের ২৫ শতাংশ খরচ করার অধিকার দেওয়ার দাবি জানিয়েছি।”

    আরও পড়ুন: ধর্মান্তরণ রুখতে আইন করা উচিত অন্য রাজ্যগুলোরও, বললেন ভিএইচপি কর্তা

    পশ্চিমবঙ্গকে ৪,৬১৯ কোটি দেওয়া হয়েছে (Amit Shah)

    জবাবে অমিত শাহ (Amit Shah) বলেন, “২০১৪ থেকে ২০২৪ – এই ১০ বছরে বিপর্যয় মোকাবিলার জন্য পশ্চিমবঙ্গের ৬,২৪৪ কোটি টাকার দাবি আমরা মঞ্জুর করেছি। পশ্চিমবঙ্গ থেকে যেমন যেমন খরচের হিসেব আসে, আমরা টাকা দিয়ে দিই। হিসেব দিলেই টাকা দিয়ে দিই। এইভাবে ৪,৬১৯ কোটি টাকা দিয়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু, সেখান থেকে হিসেব আসা নিয়ে সমস্যা আছে। আমি তো তা করতে পারি না। সেই হিসেব বাংলাকেই করতে হবে। হিসেব দিতে হয়। এটা তো সরকারের বিষয়। কোনও রাজনৈতিক দলের বিষয় নয়। সরকারের নিয়ম আছে, বিধি আছে, খরচের হিসেব রাখতে হয়, অডিট হয়। যদি কাউকেই না মানি, তাহলে তো কিছু সমস্যা হবেই। তবে, ধীরে ধীরে অভ্যাসের বদল হচ্ছে। উন্নতি হয়েছে। তাই, ৬,২৪৪ কোটি টাকার মধ্যে ৪,৬১৯ কোটি টাকা দিয়ে দেওয়া হয়েছে।” রাজ্যসভায় (Rajya Sabha) জবাবি বক্তৃতায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, “রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী তহবিলের ১০ শতাংশ নিজের ইচ্ছামতো খরচ করতে পারে সংশ্লিষ্ট রাজ্য। কিন্তু, ওই তহবিলের অর্থ যাতে অন্য কোনও প্রকল্পে খরচ করা না হয়, তার জন্যই বাকি ৯০ শতাংশ খরচ করার ক্ষেত্রে কেন্দ্রের গাইডলাইন মেনে চলতে বলা হয়েছে। সেই গাইডলাইন মেনে রাজ্যগুলি ওই ৯০ শতাংশও খরচ করতে পারে। তার জন্য কেন্দ্রের অনুমতি লাগে না।” তৃণমূল সাংসদের দাবি যে ভুল, এভাবেই অমিত শাহ ব্যাখ্যা করে দেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Midnapore: স্বাস্থ্য ব্যবস্থার একী হাল! এক সপ্তাহে ১২১ জন রোগী নিখোঁজ মেদিনীপুর মেডিক্যালে

    Midnapore: স্বাস্থ্য ব্যবস্থার একী হাল! এক সপ্তাহে ১২১ জন রোগী নিখোঁজ মেদিনীপুর মেডিক্যালে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল সরকারের আমলে রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার একী অবস্থা! মেডিক্যাল কলেজ থেকে উধাও হয়ে যাচ্ছেন রোগীরা। আর সেটা জানেই না হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে  মেদিনীপুর (Midnapore) মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। আর এই বিষয়টি জানাজানি হতেই মুখ পুড়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের।

    এক সপ্তাহে ১২১ জন রোগী নিখোঁজ! (Midnapore)

    মেদিনীপুর (Midnapore) মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রতিটি ওয়ার্ডে নিরাপত্তা রক্ষী রয়েছে। রোগীদের ডিসচার্জ সার্টিফিকেট দেখার পরই রোগীদের হাসপাতাল থেকে ছাড়ার কথা। কিন্ত,  বাস্তবে তা কিছুই হচ্ছে না। বরং, প্রতিদিন খাতায়কলমে বেড়ে চলেছে নিখোঁজ রোগীর সংখ্যা। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, গত সাত দিনে এই হাসপাতাল থেকে ১২১ জন রোগী চিকিৎসাধীন অবস্থায় নিখোঁজ হয়ে গিয়েছেন। বেশিরভাগই চিকিৎসাধীন ছিলেন পুরুষ বিভাগে। চলতি সপ্তাদের প্রথমদিন সোমবারই ২০ জন রোগী হাসপাতাল থেকে উধাও হয়ে যান।

    আরও পড়ুন: জ্যোতিপ্রিয় ঘনিষ্ঠ বারিকের রাজারহাটের ফ্ল্যাট থেকে ২০ লক্ষ টাকা বাজেয়াপ্ত করল ইডি

    হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কী সাফাই?

    এমনিতেই এই হাসপাতালের (Midnapore) পরিষেবা নিয়ে রোগীদের অভিযোগ ছিল। এবার হাসপাতালের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। হাসপাতালের (Medical College) এক আধিকারিক বলেন, আসলে রোগীরা নিয়ম অনুযায়ী ছুটি না নিয়ে চলে যাচ্ছেন। ফলে, আমাদের কাছে রোগীর তথ্য না থাকার কারণে আমরা পুলিশে অভিযোগ দায়ের করতে বাধ্য হচ্ছি। তবে, নিরাপত্তারক্ষী থাকার পরও এই ধরনের ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না। ইতিমধ্যেই একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী এক মাসের মধ্যে এর সমাধান হবে।

    শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    তৃণমূলের আমলে হাসপাতালের এই ঢিলেঢালা নিরাপত্তার অবস্থার কারণে মুখ পুড়েছে শাসক দলের। তৃণমূল সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিজেপি। বিজেপি নেতা অরূপ দাস বলেন, মেডিক্যাল কলেজে (Medical College) শতাধিক রোগী নিখোঁজ হয়ে যাচ্ছে। কর্তৃপক্ষের গাফিলতি অন্যতম কারণ। আর এই হাসপাতালে চিকিৎসা হয় না বলেই রোগীরা পালিয়ে যাচ্ছেন। তৃণমূলের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সভাপতি সুজয় হাজরা বলেন, “কেন রোগীরা চলে যাচ্ছেন, সেটা প্রশাসনের দেখা উচিত।”  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Howrah Station: অপচয় বন্ধে অভিনব উদ্যোগ রেলের! হাওড়া স্টেশনের ছাদে বৃষ্টির জল সংরক্ষণের কর্মযজ্ঞ

    Howrah Station: অপচয় বন্ধে অভিনব উদ্যোগ রেলের! হাওড়া স্টেশনের ছাদে বৃষ্টির জল সংরক্ষণের কর্মযজ্ঞ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাওড়া স্টেশনে (Howrah Station) প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ যাত্রী ওঠানামা করেন। স্টেশন জুড়েই রয়েছে বিশাল ছাদ। সেই ছাদের মধ্যে কী কর্মকাণ্ড চলে, তা সিংহভাগ যাত্রীই জানেন না। মূলত, জলের অপচয় বন্ধ করতে অভিনব উদ্যোগ নিয়েছে রেল (Rail) দফতর। বৃষ্টির জলকে সংরক্ষণ করে তা পুনর্ব্যবহারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এক ফোঁটা জলও পরিবেশের জন্য মূল্যবান। তাই বৃষ্টির জল বাঁচাতে হাওড়া স্টেশনে অভিনব পদক্ষেপ নিয়েছে রেল। বৃষ্টির জল এক ফোঁটাও নষ্ট করা যাবে না, এটাই রেলের অঙ্গীকার। রেলের এই উদ্যোগকে কুর্ণিশ জানিয়েছে সকলে।

    কীভাবে বৃষ্টির জল বাঁচানো হচ্ছে? (Howrah Station)

    রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, হাওড়া স্টেশনের (Howrah Station) মোট ছাদের এলাকা ৭৮৮৩১.৬০ বর্গমিটার। আর এখানে বার্ষিক বৃষ্টিপাতের মাত্রা ১৬৪.৯৫০ মিমি। স্টেশনের আশপাশের এলাকায় মোট বার্ষিক বৃষ্টিপাত হয় ৯৭৫২৪.৫৪ ঘনমিটার। এই বিশাল পরিমাণ বৃষ্টির জল পুনর্ব্যবহার করে জল সংরক্ষণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এখানে বছরে মোট ৭৩ লক্ষ লিটার বৃষ্টির জল পুনর্ব্যবহারযোগ্য করা হয়। হাওড়া স্টেশনের ২৩ নম্বর প্ল্যাটফর্মের সামনে কনস্ট্রাকশন পিট নির্মাণ করা হয়েছে। এই পদ্ধতিতে পিভিসি ট্যাঙ্কে পাথর ও বালি ভরাট করে বৃষ্টির জল প্রাকৃতিকভাবে পরিশোধিত করা হয়।

    আরও পড়ুন: জ্যোতিপ্রিয় ঘনিষ্ঠ বারিকের রাজারহাটের ফ্ল্যাট থেকে ২০ লক্ষ টাকা বাজেয়াপ্ত করল ইডি

    বৃষ্টির জল সংরক্ষণ করে কী করা হয়?

    রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, হাওড়া স্টেশনের (Howrah Station) ৯০ শতাংশ এলাকা ছাউনি ও ছাদ দিয়ে ঢাকা রয়েছে, যা বৃষ্টির জল সংগ্রহের জন্য উপযোগী। বৃষ্টির জল সংরক্ষণ করে পরিশোধনের পর সেই জল প্ল্যাটফর্ম ও স্টেশন চত্বর ধোয়ার কাজে ব্যবহার করা হয়। এই প্রক্রিয়ায়, স্টেশনে নতুন জল ব্যবহার না করে শুধুমাত্র পুনর্ব্যবহৃত জল ব্যবহার করা হয়। ফলে, জলের অপচয় কমানো যায়। এই জল সংরক্ষণের ফলে স্টেশন প্রাঙ্গণে নতুন জলের ব্যবহার প্রায় শূন্যে নেমে এসেছে। স্টেশন চত্বরে জলের অপচয় রোধ করা হচ্ছে। বৃষ্টির জল ভূগর্ভস্থ জলের সঙ্গে মিশে যাওয়ার ফলে ভূগর্ভস্থ জলস্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে।

    রেল কর্তৃপক্ষের কী বক্তব্য?

    রেল (Rail) আধিকারিকদের বক্তব্য, এই স্টেশনে বৃষ্টির জল সংরক্ষণ ও পুনর্ব্যবহারের উদ্যোগটি পরিবেশ কল্যাণের উদাহরণ। এটি জল সংরক্ষণ, পরিবেশ সুরক্ষা এবং অর্থনৈতিক সাশ্রয়ের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছে।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • ED: তৃণমূল নেতার রাইস মিলই রেশন দুর্নীতির আখড়া! বাজেয়াপ্ত খাদ্য দফতরের সিল যুক্ত নথি

    ED: তৃণমূল নেতার রাইস মিলই রেশন দুর্নীতির আখড়া! বাজেয়াপ্ত খাদ্য দফতরের সিল যুক্ত নথি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবার দুই ২৪ পরগনার একাধিক জায়গায় ইডি (ED) আধিকারিকরা একসঙ্গে হানা দেন। ৪০ জনের একটি টিম বিভিন্ন শাখায় বিভক্ত হয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে অভিযান শুরু করে। মূলত, রেশন দুর্নীতির (Ration Scam) তদন্তেই এই অভিযান। উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গায় তৃণমূলের ব্লক সভাপতি আনিসুর রহমান ওরফে বিদেশের বাড়িতে দিনভর তল্লাশি চালায় ইডি। বিদেশের বাড়ি লাগোয়া রয়েছে রাইস মিল। এই মিলের মালিক বিদেশ ছাড়াও তাঁর ভাই চালকল ব্যবসায়ী আলিফ নূর মুকুল। তাঁদের ভাঙড়ে একটি রাইস মিল রয়েছে। দেগঙ্গার পাশাপাশি সেখানেও হানা দিয়েছিল ইডি।

    দেগঙ্গার রাইস মিল থেকে কী মিলল? (ED)

    মঙ্গলবার তৃণমূল নেতার বাড়ির পাশাপাশি তাঁর রাইস মিলে হানা দেওয়ার সময় সেখানে লাইন দিয়ে খাদ্য দফতরের ট্রাক নজরে পড়ে ইডি (ED) আধিকারিকদের। ফলে, খাদ্য দফতরের সঙ্গে এই রাইস মিলের যোগ রয়েছে তা তদন্তকারী আধিকারিকরা আঁচ করেছিলেন।  রাইস মিলের কর্মীরাও খাদ্য দফতরে চাল সরবরাহ করার কথা স্বীকার করে নেন। ফলে, ইডি আধিকারিকরা কড়া নজরদারির মধ্যে দিয়ে রাইস মিলে তল্লাশি অভিযান চালান। সূত্রের খবর, বিদেশ ও মুকুলের বাড়ি লাগোয়া রাইস মিল থেকে উদ্ধার হয় রাজ্য সরকারের খাদ্য দফতরের সিল যুক্ত নথি। উদ্ধার হয় জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ঘনিষ্ঠ বাকিবুর রহমানের চালকলের নথিও। মুকুল ও বিদেশ হলেন বাকিবুরের মামাতো ভাই। কীভাবে খাদ্য দফতরের নথি বিদেশের চালকলে? তাহলে কি রেশন দুর্নীতির (Ration Scam) আখড়া ছিল তৃণমূলের ব্লক সভাপতি বিদেশের রাইস মিল? উঠছে প্রশ্ন। মঙ্গলবারই দেগঙ্গা ব্লকের বেড়াচাপায় পিজি হাইটেক রাইস মিলে অভিযান চালায় ইডি। এই মিলেরই মালিক মুকুল ও বিদেশ। ইডি সূত্রে খবর, এই দুই ভাইয়ের চালকল ছাড়াও আবাসিক মিশন রয়েছে। এছাড়া বি.এড, ডিএল এড কলেজ রয়েছে।

    আরও পড়ুন: জ্যোতিপ্রিয় ঘনিষ্ঠ বারিকের রাজারহাটের ফ্ল্যাট থেকে ২০ লক্ষ টাকা বাজেয়াপ্ত করল ইডি

    মোবাইল বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি

    ইডি (ED) আধিকারিকরা বেরিয়ে যাওয়ার পর তৃণমূলের ব্লক সভাপতি আনিসুর রহমান বলেন, “ইডি যা যা নথি চেয়েছে সবটাই দিয়েছি। দেশের দায়িত্বশীল নাগরিক, বাংলার দায়িত্বশীল নাগরিক ও তৃণমূল কংগ্রেসের দায়িত্বশীল কর্মী হিসাবে বলতে পারি যখন যখন যে ধরনের সহযোগিতা প্রয়োজন হবে আমরা করব। একটা মোবাইল নিয়ে গিয়েছে। কিছুই পায়নি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Asansol: টিএমসিপি-র টানা জঙ্গি আন্দোলন! পদ ছাড়তে চাইছেন কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য

    Asansol: টিএমসিপি-র টানা জঙ্গি আন্দোলন! পদ ছাড়তে চাইছেন কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুই সপ্তাহ ধরে আসানসোলের (Asansol) কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে (Kazi Nazrul University) জঙ্গি আন্দোলন চালাচ্ছে তৃণমূলের ছাত্র পরিষদ। আর তার জেরেই বিশ্ববিদ্যালয়ে অচলাবস্থা চলছে। পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার বিষয়ে কারও কোনও হেলদোল নেই। ফলে, টিএমসিপি-র ছেলেরা আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। উপাচার্যকে শারীরিকভাবে হেনস্থা করেছে বলে অভিযোগ।

    পদ ছাড়তে চাইছেন উপাচার্য! (Asansol)

    সামান্য একটি ইস্যুকে সামনে রেখে বিশ্ববিদ্যালয়ে (Asansol) টানা আন্দোলন চালাচ্ছে টিএমসিপি। দুসপ্তাহ হতে চলল পরিস্থিতি এখনও স্বাভাবিক হয়নি। এরইমধ্যে সোমবার পড়ুয়া এবং টিএমসিপি নেতৃত্বে উপাচার্যকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখানো হয়। শারীরিকভাবে নিগ্রহ করা হয় বলে অভিযোগ। সেই বিক্ষোভের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়েছিলেন উপাচার্য। মঙ্গলবার আর বিশ্ববিদ্যালয়ে যাননি তিনি। বাড়িতে বসেই বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজকর্ম করছেন। এই অবস্থায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি। একইসঙ্গে আবার রাজ্যপালের কাছে পদত্যাগ করতে চেয়ে ইচ্ছাপ্রকাশ করেছেন। উপাচার্য বলেন, “সোমবার যে ভাবে আমাকে ঘিরে বিক্ষোভ করা হয়েছে, শারীরিক নিগ্রহ করা হয়েছে, তাতে আমি আতঙ্কিত। এখন বিশ্ববিদ্যালয়ে যেতেই ভয় পাচ্ছি। বাড়িতে বসে বিশ্ববিদ্যালযয়ের সমস্ত কাজ করছি। পদত্যাগ করতে চেয়ে রাজ্যপালের কাছে আবেদন জানিয়েছি। পাশাপাশি পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়ায় মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হয়েছি।”

    আরও পড়ুন: টোকিও-র পর গীতাই ছিল আশ্রয়, খেলার সঙ্গে পড়াশোনাতেও উজ্জ্বল মনু

    কেন আন্দোলন?

    তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতারা বলেন, ছাত্র ভর্তির টাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (Asansol) বিভিন্ন আইনি লড়াইয়ের খাতে খরচ করা হয়েছে।  বিশ্ববিদ্যালয়ের তহবিল থেকে আইনি খরচ বাবদ প্রায় ৭০ লক্ষ টাকা ব্যয় করা হয়েছে। ওই টাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তহবিলে ফেরত দিতে হবে। কখন,কোথায়, কী কারণে এই টাকা খরচ করা হয়েছে-তা শ্বেতপত্র প্রকাশ করে উপাচার্যকে জানাতে হবে। অন্যদিকে, তৃণমূল ছাত্র সংগঠনের এই আন্দোলনকে ‘বহিরাগতদের আন্দোলন’ বলে অভিহিত করে কয়েকদিন  আগে পাল্টা আন্দোলনে নেমেছিল তৃণমূলেরই শিক্ষাবন্ধু সমিতি। প্রশাসনিক ভবনের গেটের সামনে বিক্ষোভ অবস্থানে বসেছিলেন সমিতির সদস্যেরা। পরে, তাঁরা আন্দোলন তুলে নিলেও টিএমসিপি-র জঙ্গি আন্দোলন চলছেই। সোমবারে  উপাচার্যকে হেনস্থার প্রতিবাদে বিশ্ববিদ্যালয় (Kazi Nazrul University) চত্বরে অধ্যাপক এবং শিক্ষাকর্মীরা কালো ব্যাজ পরেছিলেন। কবে, বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়, সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছেন পড়ুয়ারা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • ED: জ্যোতিপ্রিয় ঘনিষ্ঠ বারিকের রাজারহাটের ফ্ল্যাট থেকে ২০ লক্ষ টাকা বাজেয়াপ্ত করল ইডি

    ED: জ্যোতিপ্রিয় ঘনিষ্ঠ বারিকের রাজারহাটের ফ্ল্যাট থেকে ২০ লক্ষ টাকা বাজেয়াপ্ত করল ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রেশন দুর্নীতি কাণ্ডে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ঘনিষ্ঠ আব্দুল বারিক বিশ্বাসের ডেরায় হানা দেয় ইডি (ED)। বিশাল কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে তাঁর উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Parganas) বসিরহাটের সংগ্রামপুরের বাড়ি এবং রাজারহাটে ফ্ল্যাটে সাত সকালে হাজির হন ইডি আধিকারিকরা। দিনভর চলে তল্লাশি অভিযান। আর তাঁর বাড়়ি থেকে ইডি আধিকারিকরা কী কী বাজেয়াপ্ত করেছেন তা নিয়ে রাজ্যবাসীর বাড়তি আগ্রহ ছিল।

    রাজারহাটের ফ্ল্যাট থেকে কী মিলল? (ED)

    মঙ্গলবার ভোরে বসিরহাটের সংগ্রামপুরে বারিকের বাড়িতে ইডি (ED)  আধিকারিকরা আসেন। বেলা ২টো ২০ মিনিট নাগাদ বেরিয়ে যান তাঁরা। বারিকের রাইসমিলে প্রায় ১৩ ঘণ্টা ৫০ মিনিট অভিযান চালানোর পর সন্ধ্যা ৬টা ৫০ মিনিট নাগাদ বেরিয়ে যান ইডি আধিকারিকেরা। ইডি সূত্রে খবর, রেশন দুর্নীতি মামলার তদন্তে বারিকের বসিরহাটের বাড়ি এবং রাজারহাটের ফ্ল্যাটে গিয়েছিলেন তাঁরা। সেখান থেকে মঙ্গলবার প্রায় ২০ লক্ষ টাকা উদ্ধার করেছে ইডি। ফ্ল্যাট থেকে প্রায় ৯ ঘণ্টা ২০ মিনিট পর বেরিয়ে যান ইডির আধিকারিকেরা।

    আরও পড়ুন: টোকিও-র পর গীতাই ছিল আশ্রয়, খেলার সঙ্গে পড়াশোনাতেও উজ্জ্বল মনু

    ট্রাক চালক থেকে কোটিপতি!

    স্থানীয় সূত্রের দাবি, এক সময় বারিক ছিলেন ট্রাকচালক। হতদরিদ্র পরিবার। পাচারচক্রে হাত পাকানোর পর তাঁর হাতে কোটি কোটি টাকা আসে। এরপরই প্রতিবেশীদের কাছে থেকে ৫ কাঠা জায়গা কিনে সংগ্রামপুরে (North 24 Parganas) অট্টালিকা তৈরি করেন। সিসি ক্যামেরা মোড়া তাঁর বাড়ি রাজপ্রাসাদকে হার মানাবে। বারিকের বিরুদ্ধে সোনা পাচারেরও অভিযোগ উঠেছিল। ২০১৫ সালে প্রচুর সোনা-সহ তাঁকে গ্রেফতার করেছিল শুল্ক দফতর। কয়েক বছরের জন্য জেলেও গিয়েছিলেন। পরে, জামিনে মুক্তি পান। সূত্রের খবর, জেল থেকে বেরিয়ে পাচারের বদলে একাধিক ব্যবসা শুরু করেন বারিক। ইটভাটা, কয়লা, ট্রাকের ব্যবসা শুরু করেন। ওই সূত্রের দাবি, বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও চালু করেন তিনি। এর পর ধীরে ধীরে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বৃদ্ধি পায় বারিকের। অভিযোগ, সেই সময় বিভিন্ন রাজনৈতিক সভা- সমাবেশে নেতাদের সঙ্গে তাঁকে দেখা গিয়েছিল। সূত্রের দাবি, সেই সময়ে জ্যোতিপ্রিয়ের সঙ্গে ‘ঘনিষ্ঠতা’ তৈরি হয় বারিকের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share