Tag: West Bengal

West Bengal

  • Siliguri: মমতার নির্দেশকে অমান্য! শিলিগুড়িতে উচ্ছেদ অভিযানে বাধা তৃণমূল নেতার

    Siliguri: মমতার নির্দেশকে অমান্য! শিলিগুড়িতে উচ্ছেদ অভিযানে বাধা তৃণমূল নেতার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশকে ফুৎকারে উড়িয়ে উচ্ছেদে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠল শিলিগুড়ির (Siliguri) তৃণমূল নেতা দিলীপ বর্মনের বিরুদ্ধে। তিনি আবার শিলিগুড়ি পুরসভার মেয়র পরিষদ সদস্যও। সাধারণত এই ধরনের উচ্ছেদ অভিযানে বিরোধীরাও এই ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করে থাকেন, সেখানে তৃণমূল (Trinamool Congress) নেতার এই ভূমিকা দলের অন্দরে চর্চা শুরু হয়েছে।

    হাজার টাকা ভাতা, রেশন লাগবে না (Siliguri)

    মঙ্গলবার শিলিগুড়ির (Siliguri) চম্পাসারি মোড়ে বাজার উচ্ছেদ অভিযানে যান শিলিগুড়ি পুরসভার কর্মীরা। তৃণমূল নেতা দিলীপ বর্মন সেই উচ্ছেদ অভিযানে বাধা দেন। উচ্ছেদ না করেই ফিরে যান পুরসভার কর্মীরা। ব্যবসায়ীরা সাফ বলেন, মাসে মাসে হাজার টাকা ভাতা, রেশন কিছুই লাগবে না। ডালরুটি খেয়েই আমাদের চলবে। ছেলেমেয়ে মানুষ করা ও সংসার চালাতে দোকান  করার জন্য একটু জায়গা ভিক্ষা চাই। 

    আরও পড়ুন: টয়োটা ফরচুনার, পাজেরো, জিপ কম্পাস, মারুতি জেন, তৃণমূল ব্লক সভাপতির গ্যারাজ যেন শো-রুম

    কী বললেন তৃণমূল নেতা?

    ব্যবসায়ীদের পুনর্বাসনের দাবিতে সরব হয়ে উচ্ছেদ আটকে দেন দিলীপ বর্মন। ডাকাবুকো মেজাজে মেয়র গৌতম দেব ও  তৃণমূল কংগ্রেসকে কার্যত চ্যালেঞ্জ জানিয়ে তৃণমূল নেতা বলেন, পুনর্বাসন দিয়েই উচ্ছেদ করতে হবে। তার জন্য আমি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে রাস্তায় বসব। এর জন্য দল আমাকে বাদ দিলে, কাউন্সিলর পদ কেড়ে নিলে আমি তা মেনে নেব। কিন্তু, ব্যবসায়ীদের জন্য এই লড়াই থেকে সরব না। আমি এখানে কাউন্সিলর হওয়ার পর ২০২২ সালে চম্পাসারিতে সাড়ে ১১ বিঘা জমি উদ্ধার করে দিয়েছি। সেই জমি আজও পুরসভা নিজের দখলে নেয়নি। একদিকে কেউ সরকারি জমি নিয়ে ব্যবসা করবে, অন্যদিকে উচ্ছেদের নামে গরিব মানুষকে পথে বসাবে, এটা আমি হতে দেব না। পুরসভার দায়িত্বে যিনি রয়েছেন এর দায় তাকে নিতে হবে।

    কী বলছেন ব্যবসায়ীরা?

    শিলিগুড়ি (Siliguri) চম্পাসারি মোড়ে এই বাজারে ১৩৯ জন ব্যবসায়ী রয়েছেন। কেউ ৩১ কেউ বা ৩৫ বছর ধরে এখানে দোকান করে আসছেন।  এদিন তাঁরা তৃণমূলের পতাকা নিয়েই পুরসভার অভিযানের প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন।  শ্রীরাম সাহানি,মাম্পি সাহা, দুর্গাদেবীরা বলেন, পুনর্বাসন দিয়েই উচ্ছেদ করতে হবে। আমরা ডাল রুটি খেয়ে থাকতে চাই। দোকান করার মতো একটু জায়গা ভিক্ষা চাই।

     কী বললেন মেয়র?

    দলের মেয়র পরিষদ সদস্য এভাবে পুরসভার উচ্ছেদ অভিযানে বাধা দেওয়ায় কিছুটা হলেও চাপে পড়েছেন মেয়র (Trinamool Congress) গৌতম দেব। তিনি বলেন, জোর করে কিছু করব না। সকলের সঙ্গে আলোচনা করেই  উচ্ছেদ করা হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Barrackpore: উর্দি পরা অবস্থায় পুলিশ অফিসারকে রাস্তায় ফেলে বেধড়ক মার তৃণমূল নেতার, শোরগোল

    Barrackpore: উর্দি পরা অবস্থায় পুলিশ অফিসারকে রাস্তায় ফেলে বেধড়ক মার তৃণমূল নেতার, শোরগোল

     মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কর্তব্যরত অবস্থায় পুলিশের সাব ইন্সপেক্টরকে বেধড়ক পেটানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূল কাউন্সিলর ও তাঁর ছেলের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে বারাকপুর (Barrackpore) পুরসভার ২০ নম্বর ওয়ার্ডে রানি রাসমণি ঘাট এলাকায়। আক্রান্ত পুলিশ অফিসারের নামে ওমকার বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের ট্র্যাফিক বিভাগে কর্মরত।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Barrackpore)

    জানা গিয়েছে, হামলার ঘটনাটি ঘটেছে গত ৩০শে এপ্রিল। পুরানো হলেও হামলার ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। (ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি মাধ্যম) আর তাতেই বিষয়টি নিয়ে নতুন করে চর্চা শুরু হয়েছে। পুলিশ অফিসারের বাড়ির (Barrackpore) কাছে দলীয় ব্যানার লাগানোকে কেন্দ্র করে গন্ডগোল বাধে। ঘটনাটি লোকসভা ভোটের সময়। তৃণমূল কাউন্সিলর রমেশ সাউ ও তাঁর দলবল এলাকায় দলীয় ব্যানার লাগাচ্ছিলেন। পুলিশ অফিসারের বাড়ির কাছে তৃণমূলের (Trinamool Congress) ব্যানার লাগানো নিয়ে তিনি আপত্তি জানান। এনিয়ে কাউন্সিলর রমেশ সাউ এবং তাঁর ছেলে বিমল সাউয়ের নেতৃত্বে গুন্ডা বাহিনী পুলিশ অফিসারের বাড়িতে রাত ১১ টা নাগাদ চড়াও হন। পুলিশ অফিসার ও তাঁর পরিবারের লোকজনকে অকথ্য ভাষায় তাঁরা গালিগালাজ করেন বলে অভিযোগ। পুলিশ অফিসার উর্দি পরে ছিলেন। তিনি এসবের আপত্তি জানান। সেই সময় পুলিশ অফিসারকে কাউন্সিলর এবং তাঁর ছেলে প্রকাশ্যে রাস্তায় ফেলে বেধড়ক পেটান বলে অভিযোগ। হামলার ঘটনার সঙ্গে তৃণমূল কাউন্সিলর জড়িত থাকায় বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়া হয়। তাই, গত চার মাস বিষয়টি সামনে আসেনি। পরে, হামলার ভিডিও ভাইরাল হতেই চরম বেকায়দায় শাসক দল।

    আরও পড়ুন: টয়োটা ফরচুনার, পাজেরো, জিপ কম্পাস, মারুতি জেন, তৃণমূল ব্লক সভাপতির গ্যারাজ যেন শো-রুম

    অভিযুক্ত তৃণমূল কাউন্সিলর কী বললেন?

    অভিযুক্ত তৃণমূল (Trinamool Congress) কাউন্সিলর রমেশ সাউ বলেন, সামান্য ব্যানার লাগানো নিয়ে গন্ডগোল হয়েছিল। ওই পুলিশ অফিসারের স্ত্রী আমাদের গালাগালাজ করছিলেন। আমরা তার আপত্তি করি। এরপর ওই পুলিশ অফিসার এসে আমাকে মারধর করে। ছেলের ওপর হেলমেট নিয়ে চড়াও হয়। বঁটি দিয়ে কাটতে যায়। সেই সময় আমরা তাঁকে বাধা দিয়েছি। তাতে কিছুটা লেগে থাকতে পারে। পুরানো ঘটনা। আলোচনা করে বিষয়টি মিটে গিয়েছে। সেটা নিয়ে এখন চর্চা হওয়ার কথা নয়।

    বিজেপি নেতৃত্ব কী বললেন?

    বিজেপি নেতা কৌস্তব বাগচী বলেন, এই রাজ্যে সাধারণ মানুষ, বিরোধী দলের সমর্থক তো দূরে থাক,পুলিশের নিরাপত্তাও বলে কিছু নেই। একজন পুলিশ কর্মীকে রাস্তায় ফেলে তৃণমূলের (Trinamool Congress) কাউন্সিলর পেটালেন, তার কোনও বিচার হবে না। আমরা চাই, দোষীদের উপযুক্ত শাস্তি হোক।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • ED: জ্যোতিপ্রিয়-ঘনিষ্ঠ বারিক ট্রাকচালক থেকে কোটি কোটি টাকার মালিক! উল্কার গতিতে উত্থান কোন পথে?

    ED: জ্যোতিপ্রিয়-ঘনিষ্ঠ বারিক ট্রাকচালক থেকে কোটি কোটি টাকার মালিক! উল্কার গতিতে উত্থান কোন পথে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রেশন দুর্নীতি মামলার তদন্তে আব্দুল বারিক বিশ্বাসের উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Parganas) বসিরহাটের সংগ্রামপুরের বাড়িতে অভিযান চালায় ইডি (ED)। সন্দেশখালি, বনগাঁর ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে এবার কেন্দ্রীয় বাহিনীর শতাধিক জওয়ানকে সঙ্গে নিয়ে বারিকের ডেরায় যায় ইডির তদন্তকারী দল। মঙ্গলবার সংগ্রামপুরে বারিকের বাড়ি লাগোয়াই রয়েছে তাঁর চালকল। সেখানেও তল্লাশি চালান কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অফিসাররা। পাশাপাশি তল্লাশি চালায় তাঁর কারখানা ও নিউটাউনের ফ্ল্যাটে।

    কে এই আব্দুল বারিক বিশ্বাস? (ED)

    ট্রাক চালক থেকে কোটিপতি! স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বারিকের উত্থান অনেকটাই সিনেমার গল্পের মতো। বর্তমানে পেশায় কোটিপতি ব্যবসায়ী বারিক এককালে ছিলেন ট্রাকচালক। সেই সময় গরু পাচারের কাজে ব্যবহৃত হত বসিরহাটের একাধিক ‘করিডর’। বসিরহাটের স্বরূপনগর থেকে শুরু করে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এলাকা জুড়ে চলত পাচারের কারবার। সূত্রের খবর, ট্রাক চালানোর সুবাদেই পাচারকারীদের সঙ্গেও যোগাযোগ তৈরি হয়েছিল তাঁর। কোথা থেকে গরু আনা হত, কোথা থেকে সীমান্ত পার করতে হত, বাংলাদেশে কারা সেই গরু কিনতেন, সীমান্তে কাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে হত এই কারবারের সঙ্গে, সে সব তথ্যও জেনে নিয়েছিলেন। এ ভাবেই ধীরে ধীরে নিজের পরিধি বর্ধিত করতে শুরু করেছিলেন তিনি। এরপর শুরু করেন নিজের ‘সাম্রাজ্য’ তৈরির প্রস্তুতি। শোনা যায়, এক সময়ে শুধু বসিরহাট বা বনগাঁ এলাকাতেই নয়, গোটা রাজ্যেই সীমান্তবর্তী এলাকায় পাচারের কারবারে অন্যতম বড় নাম হয়ে ওঠে আব্দুল বারিক।

    আরও পড়ুন: টয়োটা ফরচুনার, পাজেরো, জিপ কম্পাস, মারুতি জেন, তৃণমূল ব্লক সভাপতির গ্যারাজ যেন শো-রুম

    সোনাপাচারে জেলও খেটেছেন

    রেশন দুর্নীতিতে ইডি (ED) হানার আগে সোনা পাচারের অভিযোগ ছিল বারিকের বিরুদ্ধে। ২০১৫ সালে প্রচুর সোনা-সহ তাঁকে গ্রেফতার করেছিল শুল্ক দফতর। কয়েক বছরের জন্য জেলেও গিয়েছিলেন। পরে, অবশ্য জামিনে মুক্তি পান। জেল থেকে মুক্তির পর অবশ্য ‘ভাবমূর্তি’-তে কিছুটা বদল আনার চেষ্টা করেন তিনি। পাচারের কারবারের বদলে শুরু করেন একাধিক ব্যবসা। ইট ভাটা, কয়লা, ট্রাকের ব্যবসা শুরু করেন। এমনকী বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও চালু করেন। এরপর ধীরে ধীরে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়ে বারিকের। বিভিন্ন রাজনৈতিক সভা-সমাবেশে, নেতাদের সঙ্গে দেখা যেতে থাকে তাঁকে। সূত্রের দাবি, সেই সময়েই জ্যোতিপ্রিয়ের সঙ্গে ‘ঘনিষ্ঠতা’ তৈরি হয় বারিকের।

    বারিককে গুরু মানতেন এনামূল

    মুর্শিদাবাদের এনামূল হক জেরায় স্বীকার করেছিলেন, বারিকের হাত ধরেই তিনি গরু পাচার শুরু করেন। গরুর সঙ্গে সোনা পাচারেও হাত পাকানোর অভিযোগ রয়েছে বারিকের নামে। প্রতি ১০ গ্রাম সোনা বাংলাদেশ থেকে সীমান্তের এই পারে এনে দিলেই মুনাফা ৪ হাজার টাকা! সোনা পাচার মামলায় ইডি (ED) গ্রেফতার করেছিল বারিককে। তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়। ২০১৫ সালে ২০ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে ইডি।

    জ্যোতিপ্রিয় মদতেই রমরমা বারিকের!

    সারদা চিটফান্ড মামলায় বারিকের নাম উঠে আসে। বারিকের মাধ্যমে চিটফান্ডের টাকা পাচার হয়েছে বলে ইঙ্গিত মেলে। ওই সময় বারিক জামিন পাওয়ার পর দীর্ঘদিন লোক চক্ষুর আড়ালে চলে যান। এরপরই ধীরে ধীরে রাইস মিল থেকে শুরু করে অন্যান্য বিভিন্ন ব্যবসায় লগ্নি করেন বারিক। আগাগোড়া জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বারিককে মদত দেন বলে অভিযোগ। ২০২১ সালে ফের বারিকের নাম উঠে আসে সিবিআইয়ের হাত ধরে। গরুপাচার মামলার তদন্তে উঠে আসে বারিকের নাম। এক দফা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। বারিক বিশ্বাসের দাদা গোলাম উত্তর ২৪ পরগনা (North 24 Parganas) জেলা পরিষদের সদস্য ছিলেন ২০১৩ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত। ২০১৮ সালে গোলামের স্ত্রী নির্বাচনে জেলা পরিষদের টিকিট পান। গোলামের স্ত্রী সাফিজা বেগম এখনও তৃণমূলের জেলা পরিষদ সদস্য।

    রেশন দুর্নীতির টাকা বিনিয়োগ!

    বারিক বিশ্বাস সোনা পাচারে গ্রেফতার হওয়ার পর জামিন পেয়ে রিয়েল এস্টেট থেকে শুরু করে ইটভাটা এবং অ্যাগ্রো প্রোডাক্টের ব্যবসা শুরু করেন। কলকাতা, নিউটাউন, রাজারহাট, বসিরহাট এলাকায় প্রচুর সম্পত্তিও কেনা হয়েছে। ওই কোম্পানিরগুলির আড়ালেই বারিক বেআইনি পাচার ব্যবসা চালাচ্ছেন বলে অভিযোগ। রেশন দুর্নীতির টাকাও এই সংস্থাগুলির মাধ্যমে বিনিয়োগ হয়ে থাকতে পারে বলে মনে করছে ইডি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Cooch Behar: অপহরণ করে দলে যোগদান করিয়েছে তৃণমূল! খোঁজ নেই বিজেপির প্রধানের

    Cooch Behar: অপহরণ করে দলে যোগদান করিয়েছে তৃণমূল! খোঁজ নেই বিজেপির প্রধানের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপির গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানকে অপহরণ করে দলে যোগদান করানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে কোচবিহারের (Cooch Behar) তুফানগঞ্জ ২নং ব্লকের বারকোদালি ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতে। এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। পঞ্চায়েত প্রধানের পক্ষ থেকে থানায় অপহরণের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। কিন্তু, খোঁজ নেই প্রধানের।

    ঠিক কী অভিযোগ? (Cooch Behar)

    ২৭ জুলাই তুফানগঞ্জ-২ নং ব্লকের (Cooch Behar) বারকোদালি ১নং অঞ্চলের প্রধান সুদর্শন রায় এবং দুজন পঞ্চায়েত সদস্য উৎপল সিংহ এবং অঞ্জনা বর্মন বিজেপি (BJP) ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেন। ঘটা করে তৃণমূলের পক্ষ থেকে তা প্রচার করা হয়েছিল। কিন্তু, যোগদানের আগে থেকেই বিজেপির প্রধানকে তৃণমূল অপহরণ করে বলে অভিযোগ। বিজেপির পঞ্চায়েত প্রধান সুদর্শন রায়ের স্ত্রী সুধা রায় বলেন, “আমার স্বামী বিজেপি ছাড়েনি। আসলে তৃণমূল জোর করে স্বামীকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরে, যোগদানের বিষয়টি জানতে পারি। তারপরও তৃণমূল আমার স্বামীকে কোথায় রেখেছে জানি না। পাঁচদিন হয়ে গেল স্বামী বাড়ি ফেরেননি। আমি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলাম। পুলিশ কোনও পদক্ষেপ নেয়নি। তাই, বাধ্য হয়ে আমরা জেলা পুলিশ সুপারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করলাম। সমস্ত বিষয়টি তাঁকে আমরা জানিয়েছি। তিনি আমাদের আশ্বাস দিয়েছেন। স্বামী কবে বাড়ি ফেরেন সেই অপেক্ষাই দিন গুনছি।”

    আরও পড়ুন: টয়োটা ফরচুনার, পাজেরো, জিপ কম্পাস, মারুতি জেন, তৃণমূল ব্লক সভাপতির গ্যারাজ যেন শো-রুম

    শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    এই অপরহণের অভিযোগ নিয়ে বিজেপির জেলা (Cooch Behar) সহ সভাপতি উৎপল দাস বলেন, “এভাবে জোর করে দল টেনে কোনও লাভ নেই। কারণ, ওই প্রধান মনে প্রাণে বিজেপি। অপরহণ করে তাঁকে তৃণমূল করা হয়েছে। এসব করে কোনও লাভ নেই। কারণ, প্রধান বাড়ি ফিরলেই ফের বিজেপিতে ফিরবেন, এই বিশ্বাস আমাদের আছে।” তৃণমূল নেতাদের বক্তব্য, “কোনও অপহরণ করা হয়নি। তিনি স্বেচ্ছায় বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। এখন বিজেপি (BJP) এসব অপপ্রচার করছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Raju Bista: অলিম্পিক্সে দুর্নীতির প্রতিযোগিতা হলে, তৃণমূল কংগ্রেস স্বর্ণ পদক পেত, কটাক্ষ রাজু বিস্তার

    Raju Bista: অলিম্পিক্সে দুর্নীতির প্রতিযোগিতা হলে, তৃণমূল কংগ্রেস স্বর্ণ পদক পেত, কটাক্ষ রাজু বিস্তার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অলিম্পিক্সে দুর্নীতির প্রতিযোগিতা হলে, তৃণমূল কংগ্রেস স্বর্ণ পদক পেত। সংসদে এভাবেই রাজ্যের শাসক দলকে কটাক্ষ করলেন দার্জিলিংয়ের সাংসদ রাজু বিস্তা (Raju Bista) । একইসঙ্গে তাঁর অভিযোগ, “রাজ্যের উপর ৭ লক্ষ কোটি টাকার ঋণের বোঝা চাপিয়েছে তৃণমূল (TMC) । তাঁর আরও অভিযোগ পরিকল্পনা মাফিক দার্জিলিংয়ে বদলে দেওয়া হচ্ছে জনসংখ্যার বিন্যাস। দার্জিলিং, ডুয়ার্স এবং তরাই এলাকায় এই ঘটনা ঘটছে। এর স্থায়ী সমাধানের জন্য কেন্দ্র সরকারকে হস্তক্ষেপের আবেদন জানান তিনি।

    বাংলার অর্থনৈতিক অধঃপতনের জন্য দায়ী তৃণমূল (Raju Bista)

    দার্জিলিঙে দু-বারের সংসদ রাজ্যের শাসক দলকে দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত করেন এবং এদিন (Raju Bista) সংসদে বলেন, “প্রত্যেকটি সরকারি প্রকল্পে দুর্নীতি করছে শাসক দলের লোকেরা। স্বচ্ছ ভারত মিশন, গ্রাম সড়ক যোজনা এবং প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় এই রাজ্যে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে। এদিন কটাকে সুরে দার্জিলিং-এর সাংসদ বলেন, “যখন দেশ স্বাধীন হয়েছিল, তখন ‘বেস্ট বেঙ্গল’ ছিল আর আজ শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের দুর্নীতির জন্য তা ‘ওয়োর্স্ট বেঙ্গল’-এ পরিণত হয়েছে। সংসদের বাজেটের উপর আলোচনা চলাকালীন এই অভিযোগ করেন তিনি।

    ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সঙ্গে তুলনা (TMC)

    রাজ্যের শাসক দলকে (TMC) ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সঙ্গে তুলনা করে রাজু। তাঁর অভিযোগ, “যেভাবে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ভারতকে লুট করার জন্য এদেশে এসেছিল, শাসক দল একইভাবে জনগণের টাকা লুট করছে। রুরাল ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট, স্বচ্ছ ভারত, এমজিনারেগা, প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনা, বর্ডার এরিয়া ডেভলপমেন্ট ফান্ড প্রত্যেক প্রকল্পে তৃণমূল কংগ্রেস দুর্নীতি করেছে বলে অভিযোগ দার্জিলিংয়ের সাংসদের (Raju Bista)।

    রাজ্যের ঋণ ৭ লক্ষ কোটি

    রাজ্য যেভাবে মুড়ি-মুড়কির মত ঋণ নিচ্ছে তারও সমালোচনা করেন তিনি। (Raju Bista) বলেন, “সিপিএম ৩৪ বছর রাজত্ব করে ১.৯০ লক্ষ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছিল। এবং শাসক দল মাত্র ১ দশকে সেই ঋনের বোঝা বাড়িয়ে ৭ লক্ষ কোটি টাকায় নিয়ে গিয়েছে। রাজ্যকে দেনার দায়ে ডুবিয়ে দিতে চাইছে মমতাজ সরকার। তাঁর অভিযোগ বর্তমান (TMC) সরকারের আমলে অর্থনৈতিক উন্নয়ন হচ্ছে না। রাজ্য শুধু পিছিয়ে যাচ্ছে। রাজ্যের প্রতি ব্যক্তি আয় উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলির তুলনাতেও কম। একটা সময় ছিল যখন ভারতবর্ষের ৩০% উৎপাদন পশ্চিমবঙ্গ থেকে হত। এখন তা কমতে কমতে ৩% এসে ঠেকেছে। বিভিন্ন প্রকল্পের সাথে আধার লিঙ্ক করে দুর্নীতি কিছুটা ঠেকানো গিয়েছে বলে দাবি রাজুর। তাঁর দাবি রাজ্যে আগে ৩.৮৮ কোটি ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পের উপভোক্তা ছিলেন। আধার লিঙ্ক করিয়ে দেখা যায় সেই সংখ্যা কমে ২.৫ কোটিতে এসে ঠেকেছে।  অর্থাৎ রাজ্যে ১কোটি ৩৩ লক্ষ ফেক এমজিনারেগা কার্ড বানানো হয়েছিল।

    আরও পড়ুন: বাংলায় দিন বদল হবেই, দিল্লিতে বৈঠকে বিজেপি সাংসদদের উজ্জীবিত করলেন মোদি

    যেগুলি বাংলাদেশিরা ব্যবহার করছিলেন। একইভাবে রাজ্যে যত দুর্নীতি যেমন চিটফান্ড দুর্নীতি, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি, পুরসভা নিয়োগ দুর্নীতি, রেশন কেলেঙ্কারি, কয়লা কেলেঙ্কারি, ১০০ দিনের কাজে দুর্নীতি, আবাস যোজনায় দুর্নীতি, গরু পাচার, বালি চুরি, কয়লা পাচার সবেতেই তৃণমূল নেতাদের যোগ প্রকাশে এসেছে।

     

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Siliguri: জমি কাণ্ডে গ্রেফতার হওয়া তৃণমূল নেতা চুটকির কীর্তি জানলে চমকে যাবেন

    Siliguri: জমি কাণ্ডে গ্রেফতার হওয়া তৃণমূল নেতা চুটকির কীর্তি জানলে চমকে যাবেন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জমিকাণ্ডে দেবাশিস প্রামাণিক, গৌতম গোস্বামীর পর শিলিগুড়ির (Siliguri) ফুলবাড়িতে আরও দুই তৃণমূল নেতা ধরা পড়ল। সোমবার রাতে তৃণমূলের ফুলবাড়ির প্রাক্তন অঞ্চল সভাপতি মহম্মদ আহিদ ওরফে চুটকি ও তাঁর শাগরেদ আর এক তৃণমূল নেতা মহম্মদ নাসিরকে গ্রেফতার করে শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটন পুলিশের স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ (এসওজি)। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দু’জনকেই দেবাশিস প্রামাণিকের জমি দুর্নীতির মামলার সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে।

    থিতিয়ে পড়া আতঙ্ক জেগে উঠল (Siliguri)

    মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশের পরপরই তৃণমূলের ডাবগ্রাম -ফুলবাড়ির (Siliguri) প্রাক্তন ব্লক সভাপতি ও সদ্য বহিষ্কৃত নেতা দেবাশিস প্রামাণিককে গ্রেফতার করে পুলিশ। তার পরপরই একই অভিযোগে সরকারি জমি দখল ও বিক্রির অবৈধ কারবারে তৃণমূলের একই ব্লকের সহ-সভাপতি গৌতম গোস্বামীকে গ্রেফতার করা হয়। তারপর কিছুদিন গ্রেফতার পর্ব বন্ধ থাকায় তৃণমূলের বিতর্কিত নেতাদের আতঙ্ক থিতিয়ে আসছিল। কিন্তু, সোমবার ফের দুজনকে গ্রেফতার করায় ফুলবাড়ি সহ শিলিগুড়ির বিতর্কিত তৃণমূল নেতা-কর্মীদের একাংশের মধ্যে ফের আতঙ্ক দানা বাঁধতে শুরু করেছে। সকলেরই প্রশ্ন, এরপর তাহলে কে? 

    আরও পড়ুন: টয়োটা ফরচুনার, পাজেরো, জিপ কম্পাস, মারুতি জেন, তৃণমূল ব্লক সভাপতির গ্যারাজ যেন শো-রুম

     চুটকির বিরুদ্ধে কী কী অভিযোগ রয়েছে?

    ফুলবাড়িতে (Siliguri) দেবাশিস প্রামাণিক, গৌতম গোস্বামী এবং নকশালবাড়িতে পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ গ্রেফতারের পর এই দু’জনকে গ্রেফতার করায় জমিকাণ্ডে মোট পাঁচ জন তৃণমূল নেতা গ্রেফতার হল। তবে, দেবাশিস প্রামাণিক গ্রেফতার হওয়ার পর থেকে তৃণমূলের অন্দরেই  প্রশ্ন উঠেছিল, চুটিকে কেন গ্রেফতার করা হচ্ছে না। ফুলবাড়ির সাধারণ মানুষের মধ্যেও এই প্রশ্ন জোরালো ছিল। কেননা ফুলবাড়িতে সবাই জানতেন, মহানন্দা নদীর পার দখল ও বিক্রি করে মোটা টাকা কামিয়েছে চুটকি। এর পাশাপাশি সরকারি জমি দখল করে নিজের ফ্যাক্টরি তৈরি, সেই সঙ্গে নদীঘাট দখল করে বালি পাথরের অবৈধ কারবারের অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। তাই প্রশ্ন ওঠেছিল দেবাশিস প্রামাণিক গ্রেফতার হলে এখই অবৈধ কারবারে ফুলে-ফেঁপে ওঠা চুটকিকে কেন গ্রেফতার করা হবে না।

      বহু তৃণমূল নেতা আতঙ্কে!

    অবশেষে চুটকি গ্রেফতার হওয়ায় সেই প্রশ্ন হোক প্রশমিত হলেও তৃণমূল (Trinamool Congress) নেতৃত্বের অন্য একটি অংশের মধ্যে গ্রেফতার আতঙ্ক নতুন করে দানা বাঁধতে শুরু করেছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দেবাশিস প্রামাণিককে ধরে তাকে জেরা করে তার অবৈধ কারবারের সঙ্গে কে কে যুক্ত ছিল, কাদের মধ্যে সেই অবৈধ কারবারে তিনি ফুলে-ফেঁপে উঠেছিলেন  সবটাই খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সেই মতোই তদন্তের প্রয়োজন মতো গ্রেফতার করা হচ্ছে। আর পুলিশের এই পদক্ষেপে তৃণমূলের (Trinamool Congress)  বিতর্কিত বহু নেতাই এখন আতঙ্কে রয়েছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • ED: ভাঙড়ের তৃণমূল নেতা কাইজারের ভাইয়ের ডেরায় হানা দিল ইডি, কী তথ্য মিলল?

    ED: ভাঙড়ের তৃণমূল নেতা কাইজারের ভাইয়ের ডেরায় হানা দিল ইডি, কী তথ্য মিলল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তর ২৪ পরগনা জেলার একাধিক জায়গায় মঙ্গলবার সাত সকালে ইডি (ED) হানা দেয়। সেই জের মিটতে না মিটতেই এবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) ভাঙড়ে এদিন ইডি হানা দেয়। ভাঙড়ের তৃণমূল নেতা কাইজার আহমেদের ভাই জাহাঙ্গির আলম পাপ্পুর ডেরাতে অভিযান চালান কেন্দ্রীয় তদন্তকারী আধিকারিকরা।

    ভাঙড়ের রাইস মিলেও তৃণমূল নেতার ভাইয়ের নাম জড়াল (ED)

    জানা গিয়েছে, ভাঙড়ের তৃণমূল নেতার ভাই জাহাঙ্গিরের পিজি অ্যাগ্রো ফুড প্রোডাক্টস প্রাইভেট লিমিটেড নামে রাইস মিলেও এদিন হানা দেয় ইডি। ইডি (ED) আধিকারিকদের জাহাঙ্গির আলম ওরফে পাপ্পু বলেন, “২০১৬ সালে আব্দুল বারিক বিশ্বাস ও বলরাম সরকার এই রাইস মিল কিনছিলেন। তাতে ১০ শতাংশ শেয়ার ছিল আমার। তবে ২০২১ সালের পর তিনজনই পিজি রাইস মিল বিক্রি করে দেন দেন মুকুলকে।” জানা গিয়েছে, এই মুকুল হচ্ছে দেগঙ্গার তৃণমূলের ব্লক সভাপতির ভাই। পাপ্পু আরও বলেন,” তিন বছর আগে আমার ওই রাইস মিলে শেয়ার ছিল। এখন নেই। যখন শেয়ার ছিল, তখন মাঝে মধ্যে যেতাম। এখন আর যাই না। কেন আমার নাম জড়ানো হচ্ছে তা বুঝতে পারছি না। ইডি আধিকারিকদের তদন্তে সবরকম আমরা সহযোগিতা করেছি।”

    আরও পড়ুন: টয়োটা ফরচুনার, পাজেরো, জিপ কম্পাস, মারুতি জেন, তৃণমূল ব্লক সভাপতির গ্যারাজ যেন শো-রুম

    দুই ২৪ পরগনায় চলছে ইডি হানা

    এদিন সকাল থেকে দুই ২৪ পরগনায় চলছে ইডির (ED) তল্লাশি অভিযান। একযোগে তল্লাশি চলছে ভাঙড় (South 24 Parganas), বসিরহাটে আব্দুল বারিক বিশ্বাসের বাড়ি, রাইস মিল, নিউটাউনে বারিকের ফ্ল্যাট এবং বেড়াচাপায় তৃণমূলের দেগঙ্গা ব্লকের সভাপতি আনিসুরের বাড়ির পাশের রাইসমিলে। এদিন ৪০ জন আধিকারিক কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে একাধিক জায়গায় অভিযান চালান। দেগঙ্গায় তৃণমূলের ব্লক সভাপতির গ্যারাজে লাইন দিয়ে দামী দামী গাড়়ি হদিশ পান কেন্দ্রীয় তদন্তকারী আধিকারিকরা। আর একাধিক জায়গায় হানা দিয়ে কী কী মিলল তা খোলসা করেননি ইডি আধিকারিকরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • ED: টয়োটা ফরচুনার, পাজেরো, জিপ কম্পাস, মারুতি জেন, তৃণমূল ব্লক সভাপতির গ্যারাজ যেন শো-রুম

    ED: টয়োটা ফরচুনার, পাজেরো, জিপ কম্পাস, মারুতি জেন, তৃণমূল ব্লক সভাপতির গ্যারাজ যেন শো-রুম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রেশন দুর্নীতি মামলায় ফের সক্রিয় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডি (ED)। মঙ্গলবার সাত সকালে উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Parganas) একাধিক জায়গায় একযোগে তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে ইডি। প্রায় ৪০ জন অফিসারের একটি টিম নিয়ে তল্লাশি চলছে। সঙ্গে রয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। টিমে রয়েছেন মহিলা অফিসারও। তৃণমূলের ব্লক সভাপতির গ্যারাজে হানা দেন তদন্তকারী আধিকারিকরা।

    তৃণমূল ব্লক সভাপতির গ্যারাজে ৬টি এসইউভি গাড়ি (ED)

    এদিন সকালে দেগঙ্গা ব্লকের বেড়াচাপায় পিজি হাইটেক রাইস মিলে  হানা দেয় ইডি (ED)। রাইসমিলের বাইরে এবং ভিতর ঘিরে ফেলে সিআরপিএফ। রাইস মিলের সঙ্গেই রয়েছে রাইস মিলের মালিকের সাদা রঙের বিলাসবহুল বাড়ি। সেই বাড়ির গায়েই আবার দেগঙ্গা-১ তৃণমূল কংগ্রেস কার্যালয়। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ইডি আধিকারিকদের কাছে বিদেশ ও মুকুল নামে দু’জনের নাম উঠে আসছে। এলাকার লোকজন বলছেন, তাঁরা দুই ভাই। বিদেশের ভালো নাম আনিসুর রহমান। তিনিই দেগঙ্গা ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি। এছাড়াও তাঁদের আরও একটি পরিচয় রয়েছে। তাঁরা বাকিবুর রহমানের মামাতুতো ভাই। বিলাসবহুল বাড়ির নিচে রয়েছে বিশাল গ্যারাজ। তার ভিতরে ৬টি এসইউভি গাড়ি রয়েছে। হুন্ডাই আলকাজ়ার, টয়োটা ফরচুনার, মিৎসুবিশি পাজেরো, জিপ কম্পাস, মারুতি সুজুকি জেন লাইন দিয়ে সাজানো রয়েছে। কোটি টাকার ওপর গাড়ির সম্ভার এই গ্যারাজে। সবথেকে বড় চমক হল, টয়োটা ফরচুনার গাড়িতে নেমপ্লেট তৃণমূলের ব্লক সভাপতিরই। পিজি হাইটেক রাইসমিলের মালিক আলিফ নূর মুকুল ও আনিসুর রহমানের গ্যারাজে রাখা গাড়ি সার্চ করে ইডি। গ্যারাজের এত গাড়ি কার কার নামে রয়েছে? গাড়ি কেনার উৎস কী? তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে ইডি আধিকারিকরা।

    খাদ্য দফতরের ট্রাক রয়েছে রাইস মিলে!

    এদিন ইডি (ED) আধিকারিকরা তল্লাশি চালানোর সময় তৃণমূলের ব্লক সভাপতির ভাইয়ের রাইস মিলে একাধিক ট্রাক দাঁড়িয়ে থাকতে দেখেন। তাতে লেখা ‘অন ডিউটি গভর্নমেন্ট অব ওয়েস্ট বেঙ্গল ফুড সাপ্লায়ার্স’। ফলে, রাজ্যের খাদ্য সরবরাহ দফতরের সঙ্গে এই রাইস মিলের যোগের একটা সম্ভাবনা এখন আরও জোরাল হচ্ছে। রাইস মিলের কর্মীদের জেরা করে ইডি আধিকারিকরা জানতে পেরেছেন, এই রাইস মিল থেকে চাল যায় সরকারি গোডাউনে। ফলে, এই রাইস মিল থেকে আরও তথ্য মিলতে পারে বলে তদন্তকারী আধিকারিকরা মনে করছেন।

    বসিরহাটে ইডি

    বসিরহাটের (North 24 Parganas) সংগ্রামপুরে আব্দুল বারিক বিশ্বাসের বাড়ি। গরু ও কয়লা পাচার মামলায় একাধিকবার নাম জড়ায় তাঁর। সোনা পাচার মামলায় ১০ বছর আগে আব্দুল বারিক বিশ্বাস গ্রেফতার হয়েছিলেন। সূত্রের খবর, প্রাসাদোপম তাঁর বাড়িতে একাধিক সিসি ক্যামেরা রয়েছে। পুরো বাড়ি চতুর্দিক ঘিরে ফেলেছে বিএসএফ। ঠিক ভোর ৫টায় তাঁর বাড়িতে ঢোকে ইডি। বাড়ির পাশেই সংগ্রামপুর অ্যাগ্রো ফুড প্রোডাক্ট প্রাইভেট লিমিটেড নামে একটি রাইস মিল রয়েছে। সেখানেও তল্লাশি শুরু করেছে ইডি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Titagarh: প্রকাশ্যে স্কুল ছাত্রীকে জুতোপেটা করে শ্লীলতাহানি! গ্রেফতার তৃণমূল কাউন্সিলরের ছেলে

    Titagarh: প্রকাশ্যে স্কুল ছাত্রীকে জুতোপেটা করে শ্লীলতাহানি! গ্রেফতার তৃণমূল কাউন্সিলরের ছেলে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাবা তৃণমূলের কাউন্সিলর। স্বাভাবিকভাবে ছেলে নিজেকে ‘বেতাজ বাদশা’ ভাবে। আর সেই ক্ষমতার দম্ভে এক স্কুল ছাত্রীকে প্রকাশ্যে শ্লীলতাহানি করার অভিযোগ উঠল কাউন্সিলরের ছেলের বিরুদ্ধে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে টিটাগড় (Titagarh) পুরসভা এলাকায়। নির্যাতিতা ছাত্রীর পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় কাউন্সিলরের ছেলের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তৃণমূল (Trinamool Congress) কাউন্সিলরের ছেলেকে গ্রেফতার করে। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতের নাম রাহুল সোনকার। ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Titagarh)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, টিটাগড়ের (Titagarh) এক স্কুল ছাত্রীর সঙ্গে কাউন্সিলরের ছেলের পরিচিত এক কিশোরীর পড়াশুনার কোনও একটি বিষয় নিয়ে গন্ডগোল বাধে। দুই স্কুল ছাত্রীর মধ্যে বচসা হয়। হাতাহাতি হওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়। যদিও স্থানীয়দের উপস্থিতিতে বিষয়টি মিটে যায়। এরপরই বিষয়টি কাউন্সিলরের ছেলেকে সমস্ত বিযয়টি ওই কিশোরী বলে। তৃণমূল কাউন্সিলরের ছেলে রাহুল বিষয়টি জানতে পেরে ক্ষোভে ফেটে পড়ে। এরপরই তৃণমূল কাউন্সিলরের ছেলের কতটা ক্ষমতা তা দেখাতে দলবল নিয়ে ওই ছাত্রীর বাড়িতে এসে হাজির হয়। ওই ছাত্রীকে বাড়ি থেকে ডেকে প্রকাশ্যে জুতো দিয়ে মারতে থাকে বলে অভিযোগ। ওই ছাত্রী বাধা দিতে গেলে তার জামা ছিঁড়ে দেয়। পরে, এক প্রতিবেশী যুবক নিজের জামা খুলে ওই ছাত্রীকে দেন। এক প্রতিবেশী বলেন, তৃণমূল কাউন্সিলরের ছেলে বলেই কী ও যা খুশি তাই করবে। সকলের সামনে ওই মেয়েটাকে মারল। তার শ্লীলতাহানি করল। এটা মেনে নেওয়া যায় না। আমরা এর প্রতিবাদ জানাচ্ছি। অবিলম্বে অভিযুক্তের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি।

    আরও পড়ুন: পাহাড়ি লবণ বিক্রি করেই কোটিপতি! ব্যবসায় নতুন দিশা দেখাচ্ছেন তিন বন্ধু

    নির্যাতিতার কী বক্তব্য?

    নির্যাতিতা (Titagarh) ছাত্রী বলে, পড়াশুনা নিয়ে সামান্য গন্ডগোল। বচসা চলাকালীন আমাকে গালিগালাজ করে। আমিও তাকে গালিগালাজ করি। তারপর মিটে যায়। আমি বাড়ি ফিরে আসার পর কয়েকজন দল বেঁধে এসে আমার বাড়িতে চড়াও হয়। কাউন্সিলরও ছিল। তাঁর ছেলে আমার ওপর চড়াও হয়। সকলের সামনে আমাকে জুতোপেটা করে। আমার দাদা প্রতিবাদ করলে তাকে মারধর করে। আমি বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে আমার জামা ছিঁড়ে দেয়। সামান্য গন্ডগোলের জন্য আমার সঙ্গে এভাবে আচরণ করবে তা ভাবতে পারছি না।

    তৃণমূল কাউন্সিলরের কী বক্তব্য?

    তৃণমূল (Trinamool Congress) কাউন্সিলর রাজেন্দ্র সোনকার বলেন, দুজন ছাত্রীর মধ্যে ঝামেলা হয়েছিল। কী কারণে ঝামেলা তা আমি জানি না। তবে, এই গন্ডগোলের সঙ্গে আমার ছেলের নাম জড়িয়ে গিয়েছে। এরপরই পুলিশ তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে। আইন আইনের পথে চলবে। এতে আমার কিছু বলার নেই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Barasat: “লক্ষ্মীর ভান্ডারের হাজার টাকায় কি সংসার চলে?” দোকান গুঁড়িয়ে দিতেই ক্ষিপ্ত নাসিমা বিবি

    Barasat: “লক্ষ্মীর ভান্ডারের হাজার টাকায় কি সংসার চলে?” দোকান গুঁড়িয়ে দিতেই ক্ষিপ্ত নাসিমা বিবি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ মতো ফুটপাথ জবরদখল করে থাকা দোকান ভাঙার কাজ শুরু হয়েছে উত্তর ২৪ পরগনার বারাসতে (Barasat)। বুলডোজার দিয়ে ফুটপাথ জবর দখল করে থাকা সব দোকান ভেঙে দেওয়া হয়। আর রহস্যজনকভাবে এই উচ্ছেদ অভিযানে ভাঙা পড়ল না তৃণমূলের পার্টি অফিস। ভাঙা পড়ল তৃণমূল পার্টি অফিস সংলগ্ন সব দোকান। আর এই বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Barasat)

    বারাসত দক্ষিণপাড়া মোড় থেকে হরিতলা হয়ে বড়বাজার মোড় পর্যন্ত সোমবার উচ্ছেদ অভিযানে নামে বারাসত (Barasat) পুরসভা। রাস্তার ওপর দখল করে থাকা বেআইনি দোকান ভেঙে দেওয়া হয়। দোকানের পাশে জ্বলজ্বল করছে তৃণমূলের বারাসত ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের অফিস। আশপাশের সমস্ত দোকান ভেঙে দেওয়া হলেও ওয়ার্ড অফিস ভাঙার বিষয়ে কোনও উদ্যোগ চোখে পড়ল না। কয়েকদিন আগে বারাসত পুরসভা থেকে উচ্ছেদ নোর্টিশ দেওয়া হয়েছিল। সোমবার শেষ দিন ছিল। সেই মতো এদিন সকাল থেকেই উচ্ছেদ অভিযানে নামে বারাসত পুরসভা।

    আরও পড়ুন: পাহাড়ি লবণ বিক্রি করেই কোটিপতি! ব্যবসায় নতুন দিশা দেখাচ্ছেন তিন বন্ধু

    লক্ষ্মীর ভান্ডারের ১০০০ টাকায় কি সংসার চলে?

    নাসিমা বিবি নামে এক দোকানদার বলেন, “আমার দোকানটি তৃণমূলের (Trinamool Congress) পার্টি অফিস থেকে অনেকটাই ভিতরে ছিল। ভেবেছিলাম, পার্টি অফিস ভাঙার পর আমার দোকানে হাত পড়বে। কিন্তু, দেখলাম, পার্টি অফিসে কোনও হাত পড়ল না, তারপরও আমার দোকান ভাঙা হল। ৫০ বছর ধরে এখানে ব্যবসা করছি। আমার দোকানের সব কিছু নষ্ট করে দিল। লক্ষ্মীর ভান্ডারের ১০০০ টাকায় কি সংসার চলে?” দোকান ভাঙচুর হওয়ার পর এদিন পার্টি অফিসের (Trinamool Congress) সামনে দাঁড়িয়ে বিক্ষোভ করতেও দেখা যায় বেশ কয়েকজন মহিলাকে। তাঁরা বলেন, “পার্টি অফিস না ভেঙে আমাদের দোকান ভেঙে দেওয়া হয়েছে, আমরা কীভাবে সংসার চালাব? বাচ্চাদের নিয়ে বিষ খেয়ে মরা ছাড়া আর কোনও উপায় থাকবে না আমাদের।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share