Tag: West Bengal

West Bengal

  • TMC Conflict: দলীয় কর্মীকে প্রকাশ্যে পিটিয়ে খুন করলেন তৃণমূল নেতা, কোন্দল প্রকাশ্যে

    TMC Conflict: দলীয় কর্মীকে প্রকাশ্যে পিটিয়ে খুন করলেন তৃণমূল নেতা, কোন্দল প্রকাশ্যে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দলীয় এক কর্মীকে পিটিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামীর বিরুদ্ধে। বুধবার ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুর জেলার ইসলামপুরের  সুজালি গ্রামে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম মজিবুর রহমান (৬০)। তাঁর বাড়ি সুজালি গ্রামে। মৃতের পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় তৃণমূল নেতা শেখ ফরাজুলসহ বেশ কয়েকজনের নামে অভিযোগ দায়ের করা হয়। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। এই ঘটনায় তৃণমূলের কোন্দল (TMC Conflict) একেবারে প্রকাশ্যে চলে এসেছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (TMC Conflict)

    স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে জমি নিয়ে বিবাদ চলছিল নিহত ওই তৃণমূল কর্মী মজিবুর রহমানের সঙ্গে পঞ্চায়েত সদস্যা হুসনেরা খাতুনের স্বামী শেখ ফরাজুলের মধ্যে। মজিবুরের নামে কয়েক বিঘা জমি ছিল। ক্ষমতার জোরে সেই জমি জোর করে দখলে রেখেছিলেন ফরাজুল। পরে, মজিবুর সেই জমি নিজের দখলে আনার চেষ্টা করলে বিবাদ (TMC Conflict) শুরু হয়। জানা গিয়েছে, এদিন সকালে ফরাজুল দলবল নিয়ে জমি দখলের চেষ্টা করেন। খবর পেয়ে মজিবুর একাই তাঁদের বাধা দেন। জমির মধ্যেই তৃণমূল নেতা ফরাজুলের নেতৃত্বে ওই তৃণমূল কর্মীকে প্রকাশ্যে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে খুন করা হয়। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে ইসলামপুর থানার পুলিশ। মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ইসলামপুর (North Dinajpur) মহকুমা হাসপাতালের পুলিশ মর্গে পাঠানো হয়। ঘটনার তদন্তে নেমে দুজনকে গ্রেফতার করেছে ইসলামপুর থানার পুলিশ। পাশাপাশি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ঘটনাস্থলে মোতায়েন রয়েছে বিরাট পুলিশ বাহিনী।

    আরও পড়ুন: চাকরি ছেড়ে ব্যবসা, এখন ১১০০ কোটি ডলারের মালিক এই ভারতীয় বংশোদ্ভূত

    তৃণমূল নেতৃত্ব কী বললেন?

    স্থানীয় তৃণমূল নেতা জাহিদুল ইসলাম বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে জমি নিয়ে একটি বিবাদ চলছিল। মজিবুর রহমান একজন সক্রিয় তৃণমূল কর্মী ছিলেন। বুধবার সেই জমি দখলকে কেন্দ্র করে ফের সংঘর্ষ হয়। তাতে মজিবুর রহমানকে খুন করা হয়। আমরা দলগতভাবে এই ধরনের ঘটনা সমর্থন করি না। দ্রুত দোষীদের গ্রেফতার করে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পুলিশ-প্রশাসনকে (North Dinajpur) জানিয়েছি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Digha: তীব্র জলোচ্ছ্বাসে ভাসল তাজপুরের হোটেল-দোকান, পার্কিং জোন, আতঙ্কিত পর্যটকরা

    Digha: তীব্র জলোচ্ছ্বাসে ভাসল তাজপুরের হোটেল-দোকান, পার্কিং জোন, আতঙ্কিত পর্যটকরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক দিকে কোটাল, তার সঙ্গে নিম্নচাপ এবং পুবালি হাওয়ার দাপটে তীব্র সামুদ্রিক জলোচ্ছ্বাস দেখা দিচ্ছে দিঘা (Digha)-সহ পার্শ্ববর্তী উপকূল এলাকাগুলিতে। সামুদ্রিক জলোচ্ছ্বাসের দাপটে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাজপুর। ফলে, তাজপুরে ঘুরতে আসা হাজার হাজার পর্যটকদের মন খারাপ।

    তাজপুরে ভাসল ২০ টি হোটেল-দোকান (Digha)

    দিঘার (Digha) পাশাপাশি মন্দারমনি, তাজপুর, শঙ্করপুরের মতো পর্যটন কেন্দ্রগুলিতেও চোখে পড়ার মতো ভিড় হচ্ছে। ইট-পাথরের জঙ্গলের বাইরে কয়েক দিন কাটানোর জন্য পর্যটকদের অন্যতম পছন্দের জায়গা তাজপুর। অন্য সমুদ্র সৈকতের চেয়ে অপেক্ষাকৃত নিরিবিলি এই পর্যটন স্থানে দিন কয়েক ঘুরে যান অনেকেই। এই এলাকার পর্যটকদের রসনা তৃপ্তি করতে সমুদ্রতটে অস্থায়ী কিছু হোটেল-দোকানপত্র রয়েছে। গত দুই-তিন দিনে এমনই প্রায় কুড়ি থেকে পঁচিশটি অস্থায়ী দোকানের অস্তিত্ব সঙ্কটে। মঙ্গলবার জলের তোড়ে ভাসল তাজপুরে (Tajpur) কুড়িটির বেশি হোটেল এবং দোকান। যার ফলে ব্যাপক ভাঙনের কবলে তাজপুর পর্যটনকেন্দ্র। এমনকী সামুদ্রিক জলোচ্ছ্বাস এবং ভাঙনের জেরে তাজপুরের সৈকত আসা পর্যটকদের গাড়ি রাখার জন্য যে পার্কিংয়ের জায়গা ছিল, সেটিও ভেঙে গিয়েছে। এখন গাড়ি পার্কিংয়ের জায়গা কোথায় হবে, তা নিয়েও সংশয় তৈরি হয়েছে।

    আরও পড়ুন: চাকরি ছেড়ে ব্যবসা, এখন ১১০০ কোটি ডলারের মালিক এই ভারতীয় বংশোদ্ভূত

    পর্যটকরা কী বললেন?

    কলকাতা থেকে তাজপুরে (Tajpur) বেড়াতে আসা মনোজ বিশ্বাস নামে এক পর্যটক বলেন, জলের দাপটে এলাকা তছনছ হয়ে গিয়েছে। তাজপুরের বেশ কিছুটা এলাকায় ভাঙন দেখা দিয়েছে। গাড়ি রাখার ব্যবস্থা নেই। চরম অব্যবস্থা। তাজপুরে আনন্দ করতে এসে মন খারাপ নিয়ে বাড়ি ফিরতে হবে। এখানে থাকতে ভয় লাগছে। মন্দারমণিতে মেরিন ড্রাইভ-সহ সমুদ্র তীরবর্তী এলাকাগুলিকে যে ভাবে বাঁধানো হয়েছে, সে ভাবেই তাজপুরের সৈকত বেঁধে দেওয়া হলে এই ভাঙন কিছুটা প্রতিরোধ করা যাবে।

    প্রশাসনের কর্তারা কী বললেন?

    সমুদ্র পাড়ে ভাঙনের খবর পেয়ে এলাকা পর্যবেক্ষণ করেছেন রামনগর-১ ব্লকের বিডিও-সহ প্রশাসনিক আধিকারিকরা। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ভাঙন প্রতিরোধ করতে কাঠের বল্লি, বোল্ডার, বালির বস্তা ইত্যাদি ফেলা হয়েছিল। তবে জলের তোড়ে সে সবই ভেসে গিয়েছে। ব্লক প্রশাসনের এক কর্তা বলেন, “ভাঙন প্রতিরোধে তাজপুর থেকে একেবারে মোহনা পর্যন্ত সমুদ্রপাড়ের বিপজ্জনক অংশটি কংক্রিট দিয়ে বাঁধাতে হবে। সেচ দফতরকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: স্বামীর নিথর দেহতে মাথা রেখে কয়েক মিনিটের মধ্যে মৃত্যু হল স্ত্রীর, শোকে পাথর গ্রাম

    Murshidabad: স্বামীর নিথর দেহতে মাথা রেখে কয়েক মিনিটের মধ্যে মৃত্যু হল স্ত্রীর, শোকে পাথর গ্রাম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিয়ের কয়েক বছর যেতে না যেতেই ডিভোর্স। এই ধরনের ঘটনা প্রায়ই ঘটছে। আবার অনেকে ৬০ বছরে বয়সে এসে স্ত্রীকে ছেড়ে অন্যজনের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হচ্ছেন। এই আবহের মধ্যে একেবারে নজিরবিহীন ঘটনার সাক্ষী থাকলেন মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) ভরতপুরবাসী। পাঁচ দশক ধরে এক ছাতার তলায় কাটানো দম্পতি, জীবনের শেষবেলায় এসেও মৃত্যুও আলাদা করতে পারল না তাঁদের। স্বামীর মৃত্যুর কয়েক মিনিটের মধ্যে তাঁর বুকে মাথা দিয়ে মৃত্যু হল স্ত্রীর। হয়তো এরই নাম ভালোবাসা। মুর্শিদাবাদের ভরতপুর থানা এলাকার ভোলতা গ্রামের বাসিন্দারা চোখের সামনে এই ঘটনা দেখে কার্যত থ হয়ে গিয়েছেন।

    ঠিক কী হয়েছিল? (Murshidabad)

    পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতদের নাম শঙ্কর মণ্ডল (৮৫) এবং  তাঁর স্ত্রী নিয়তি মণ্ডল (৬৮)। ছেলেপুলে, নাতি-নাতনি নিয়ে ভরা সংসার। একসঙ্গে দু’জনে ভরতপুরের (Murshidabad) ভোলতা  গ্রামে কাটিয়ে ফেলেছেন ৫০টা বছর। দীর্ঘদিন থেকেই শঙ্করবাবু ভুগছিলেন বার্ধক্যজনিত সমস্যায়। কয়েকদিন আগে তাঁকে ভরতপুর (Bharatpur) গ্রামীণ হাসপাতালেও ভর্তি করা হয়েছিল। কিন্তু, হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফেরার পর ফের শয্যাশায়ী হয়ে পড়েন তিনি। প্রায় ৬ দিন আর বিছানা ছেড়ে উঠতে পারেননি। অবশেষে রাত সাড়ে আটটা নাগাদ মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়েন তিনি। সবে তখন বাড়িতে উঠেছে কান্নার রোল। গ্রামের লোকজনও বাড়িতে এসে ভিড় জমান। বৃদ্ধ স্ত্রীকে অনেকে সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা করেন। ৫০ বছর ধরে এক সঙ্গে পথ চলার সাথীকে হারিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন বৃদ্ধের স্ত্রী। স্বামীর বুকের ওপর মাথা দিয়ে কাঁদতে কাঁদতে এক সময় থেমে যান। কিছুক্ষণ পর পাড়ার লোকজন লক্ষ্য করেন, শঙ্করবাবুর বুক থেকে আর মাথা তুলছেন না নিয়তিদেবী। চুপচাপ হয়ে রয়েছেন। এ দৃশ্য দেখে সকলে ততক্ষণে ভেবেছেন হয়তো শোকের ধাক্কায় জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছেন তিনি। কিন্তু, কাছে গিয়ে ডাকাডাকি করেও কোনও কাজ হয়নি। কিছু সময় পর দেখা গেল তাঁর নিথর দেহ পড়ে গেল মাটিতে। খবর গেল গ্রামের চিকিৎসকের কাছে। চিকিৎসক এসে জানালেন স্বামীর মৃত্যুর কয়েক মিনিটের মধ্যেই মৃত্যু হয়েছে স্ত্রীর। স্বামীর মৃত্যু শোক সামলাতে না পেরেই বোধহয় স্ত্রী নিজেও মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়েছেন বলে মনে করছেন সকলে।

    আরও পড়ুন: চাকরি ছেড়ে ব্যবসা, এখন ১১০০ কোটি ডলারের মালিক এই ভারতীয় বংশোদ্ভূত

    গ্রামবাসীরাও হতহবাক

    একযোগে মা-বাবাকে হারিয়ে শোকে পাথর সন্তান-সন্ততি থেকে নাতিনাতনিরাও। নতুন করে নিয়তি দেবীর মৃত্যুর খবর জানাজানি হতেই একেবারে গোটা গ্রাম (Bharatpur) ভেঙে পড়ে মণ্ডল বাড়িতে। গ্রামবাসীরা হতবাক হয়ে যান। তাঁরা বলেন, স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে দারুন মিলছিল। গ্রামে সকলে দাদু-ঠাকুমা বলত। কিন্তু, দুজনেই এভাবে একসঙ্গে চলে যাবে তা ভাবতেই পারছি না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Barrackpore: সাট্টার কারবার চালাতেন তৃণমূল কর্মীরা! প্রতিবাদ করতেই যুবককে রাস্তায় ফেলে বেধড়ক মার

    Barrackpore: সাট্টার কারবার চালাতেন তৃণমূল কর্মীরা! প্রতিবাদ করতেই যুবককে রাস্তায় ফেলে বেধড়ক মার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শাসক দলের ছত্রছায়ায় থেকে চলত জুয়া-সাট্টার কারবার। আর এলাকায় এসব কার্যকলাপ বন্ধ করার জন্য প্রতিবাদ করেছিলেন অনিল রায় নামে যুবক। আর সেই প্রতিবাদী  যুবককে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ উঠল তৃণমূল কর্মীদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে বারাকপুরের (Barrackpore) মোহনপুরে। আক্রান্ত যুবকের বাড়ি চক কাঁঠালিয়া এলাকায়। তাঁকে প্রথমে বারাকপুর বিএন বসু মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Barrackpore)

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মোহনপুর (Barrackpore) এলাকায় খাস জমিতে বেশ কয়েকটি দোকানঘর রয়েছে। সেখানে অনিল রায় নামে স্থানীয় এক যুবক দোকান ঘর করার পরিকল্পনা করেন। ওই জমির ওপর স্থানীয় তৃণমূল কর্মী শেখ মুন্নার, মোশারেক আলিদের নজর ছিল। গত কয়েকদিন ধরেই অনিল দোকান ঘর তৈরির কাজ করছিলেন। সোমবার শেখ মুন্না, মোশারেক আলি দলবল নিয়ে অনিলের ওপর হামলা চালান। বাঁশ দিয়ে তাঁকে রাস্তায় ফেলে পেটানো হয় বলে অভিযোগ। পরে, স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে তাঁকে হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন। অনিলের এক আত্মীয় বলেন, এলাকায় তৃণমূলের নামে করে মুন্নারা যা খুশি করে বেড়ায়। এই এলাকায় সাট্টার কারবার চালায় তৃণমূল কর্মীরা। অনিল তার প্রতিবাদ করেছিল। সেই রাগ ছিল। এবার দোকান করার সময় পুরানো রাগ ওরা মিটিয়ে নিল। আমরা চাই, দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হয়। কারণ, অনিল সব সময় অন্যায়ের প্রতিবাদ করে। তাই, তৃণমূলের (Trinamool Congress) ওই কর্মীরা তাকে সহ্য করতে পারে না। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা না নেওয়া হলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে।

    আরও পড়ুন: জ্যান্ত কেউটেকে দুধ-গঙ্গাজল দিয়ে দেবীজ্ঞানে পুজো করা হয় বর্ধমানের চার গ্রামে

    বারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের এক আধিকারিক কী বললেন?

    জানা গিয়েছে, পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় ৮ জন তৃণমূল (Trinamool Congress) কর্মীর নামে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই পুলিশ পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে। বাকি অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। বারাকপুর (Barrackpore) পুলিশ কমিশনারেটের এক আধিকারিক বলেন, কী কারণে হামলা চালাল তা পরিষ্কার নয়। আমরা সমস্ত বিষয়টি খতিয়ে দেখছি। ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Birbhum: লোকসভায় লিড পেয়েছে বিজেপি, আদিবাসী গ্রামে জল বন্ধ করল তৃণমূল! আন্দোলনে গেরুয়া শিবির

    Birbhum: লোকসভায় লিড পেয়েছে বিজেপি, আদিবাসী গ্রামে জল বন্ধ করল তৃণমূল! আন্দোলনে গেরুয়া শিবির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচনে বিজেপিকে ভোটে দিয়েছিলেন গ্রামের অধিকাংশ বাসিন্দা। ভোটের ফল বের হওয়ার পর দেখা যায়, বীরভূমের (Birbhum) নারায়ণপুরের খড়িডাঙা নামে আদিবাসী গ্রামে তৃণমূলকে হারিয়ে লিড পেয়েছে বিজেপি। এটাই ছিল ওই গ্রামের বাসিন্দাদের অপরাধ। কারণ, তারপর থেকেই এই আদিবাসী গ্রামে পানীয় জল সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে তৃণমূল পঞ্চায়েত। এমনই অভিযোগে সরব বিজেপি। পানীয় জল সরবরাহ ফিরিয়ে দেওয়ার দাবিতে মঙ্গলবার থেকে রামপুরহাট মহকুমা শাসকের দফতরের সামনে অবস্থান-বিক্ষোভে বসে বিজেপি। এদিনের অবস্থান বিক্ষোভে বিজেপির বীরভূম জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহা সহ স্থানীয় নেতা, কর্মী-সমর্থকেরা হাজির ছিলেন। তিন ধরে এই ধর্না চলবে বলে দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে।

    ফুটপাত ব্যবসায়ীদের পুনর্বাসনের দাবি (Birbhum)

    এমনিতেই বেশ কিছুদিন ধরেই প্রশাসনের পক্ষ থেকে রামপুরহাট (Birbhum) জুড়ে উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়। উচ্ছেদ হওয়া ব্যবসায়ীদের পুনর্বাসন দেওয়ার বিষয়ে কোনও উদ্যোগ গ্রহণ করেনি প্রশাসন। অসহায় ব্যবসায়ীদের পাশে দাঁড়িয়েছে বিজেপি। উচ্ছেদ হওয়া ফুটপাত ব্যবসায়ীদের পুনর্বাসনের দাবি জানানো হয়েছে। এদিনের অবস্থান-বিক্ষোভ কর্মসূচি থেকে বিজেপি নেতারা বলেন, অবিলম্বে উচ্ছেদ হওয়া ব্যবসায়ীদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে হবে। নাহলে আমাদের আন্দোলন আরও জোরদার হবে।

    আরও পড়ুন: জ্যান্ত কেউটেকে দুধ-গঙ্গাজল দিয়ে দেবীজ্ঞানে পুজো করা হয় বর্ধমানের চার গ্রামে

    বিজেপি জেলা সভাপতি কী বললেন?

    বিজেপি (BJP) জেলা (Birbhum) সভাপতি ধ্রুব সাহা বলেন, লোকসভা ভোটে বিজেপি লিড পেয়েছে বলে খড়িডাঙার আদিবাসী গ্রামের মানুষ পানীয় জল পাচ্ছেন না। তৃণমূল নোংরা রাজনীতি করছে। আমরা এর আগে বিডিও অফিসে দ্বারস্থ হয়ে সমস্যার কথা বলেছিলাম। কিন্তু, তাতেই প্রশাসন কোনও পদক্ষেপ নেয়নি। তাই, বাধ্য হয়ে মহকুমা শাসকের দরবারে আমরা সেই একই আর্জি জানিয়েছি। পাশাপাশি জেলায় যে সব জায়গায় বিজেপির (BJP) ফল ভালো হয়েছে, সেখানেই তৃণমূল আমাদের কর্মীদের বঞ্চিত করছে। এটা মেনে নেওয়া যায় না। এসবের বিরুদ্ধে আমাদের এই আন্দোলন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: তৃণমূল নেতার ‘দাদাগিরি’! স্কুলের জায়গা ভাড়া দিয়ে নেওয়া হচ্ছে তোলা, বিপাকে পড়ুয়ারা

    South 24 Parganas: তৃণমূল নেতার ‘দাদাগিরি’! স্কুলের জায়গা ভাড়া দিয়ে নেওয়া হচ্ছে তোলা, বিপাকে পড়ুয়ারা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আড়িয়াদহ, সোনারপুরের পর দক্ষিণ ২৪ পরগনায় (South 24 Parganas) পাথরপ্রতিমায় তৃণমূল নেতার দাদাগিরি। স্কুলের জায়গা অবৈধভাবে দখল করে বিল্ডারকে ভাড়া দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যের বিরুদ্ধে। এলাকাবাসীর প্রশ্ন, পড়ুয়াদের সাইকেল রাখার জায়গায় কেন বালি-স্টোনচিপ, সিমেন্ট রাখা হচ্ছে?

    ঠিক কী অভিযোগ? (South 24 Parganas)

    জানা গিয়েছে,পাথরপ্রতিমা (South 24 Parganas) ব্লকের দক্ষিণ কাশিনগর হাইস্কুলে প্রায় হাজারের ওপরে ছাত্রছাত্রী পড়াশোনা করে। স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরা সাইকেল রাখার জায়গা না পেয়ে প্রতিনিয়ত রাস্তার ধারে সাইকেল রেখে ক্লাস করে। এই নিয়ে সমস্যায় পড়তে হয় বিভিন্ন গাড়িচালক থেকে শুরু করে স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের। কিন্তু, সেই স্কুলের জায়গায় তৃণমূল নেতা তথা পঞ্চায়েত সদস্য স্বপন কুমার মান্না নিজের প্রভাব খাটিয়ে দখল করে ভাড়া দিয়েছেন এক ব্যবসায়ীকে। স্কুলের জায়গায় রাখা হচ্ছে, বালি, ইট, স্টোন। শিক্ষাক্ষেত্র থেকে শুরু করে সরকারি জায়গা, সমস্ত স্তরেই চলে শাসক দলের দাদাগিরি। একদিকে যখন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সরকারি জমি দখল মুক্ত করার নির্দেশ দিচ্ছেন, তখনই শিক্ষাক্ষেত্রে ক্ষমতা দেখিয়ে স্কুলের জায়গা ভাড়া দেওয়ার অভিযোগ উঠল তাঁরই দলের পঞ্চায়েত সদস্যের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত তৃণমূলের (Trinamool Congress) পঞ্চায়েত সদস্য তথা স্কুল কমিটির সদস্য স্বপন কুমার মান্নাকে এই বিষয়ে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি কোনও প্রশ্নের উত্তর দেননি।

    আরও পড়ুন: জ্যান্ত কেউটেকে দুধ-গঙ্গাজল দিয়ে দেবীজ্ঞানে পুজো করা হয় বর্ধমানের চার গ্রামে

    প্রধান শিক্ষক কী বললেন?

     এবিষয়ে প্রধান শিক্ষক (South 24 Parganas) সুশান্ত কুমার মণ্ডল বলেন, আমার অজান্তেই এসব কাজ হচ্ছে, টাকা নেওয়ার কথা আমি জানি না। তবে, এই বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

    বিজেপি নেতৃত্ব কী বললেন?

    এই বিষয় নিয়ে মথুরাপুর সাংগঠনিক জেলার বিজেপির কনভেনার অরুনাভ দাস বলেন, শাসক দল শিক্ষাক্ষেত্র থেকে শুরু করে সমস্ত কিছুতেই দুর্নীতি চালিয়ে যাচ্ছে। টাকার বিনিময়ে স্কুলের জায়গা ভাড়া দিয়েছে, এটাই স্বাভাবিক। কোন দিন দেখা যাবে ওই জায়গা বিক্রিও করে দিয়েছে তৃণমূল (Trinamool Congress) নেতা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Cooch Behar: সহকর্মীকে বেধড়ক মার পুলিশের! বিচার চেয়ে থানার সামনে অবস্থানে সিভিক ভলান্টিয়াররা

    Cooch Behar: সহকর্মীকে বেধড়ক মার পুলিশের! বিচার চেয়ে থানার সামনে অবস্থানে সিভিক ভলান্টিয়াররা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কোচবিহারের (Cooch Behar) পুন্ডিবাড়ি থানার পুলিশ আধিকারিকদের ‘দাদাগিরি’। কর্মরত এক সিভিক ভলান্টিয়ারকে মারধর করার অভিযোগ উঠল সেই থানারই কর্তব্যরত এক পুলিশ আধিকারিক চন্দ্রনাথ বটব্যাল সহ দুজনের বিরুদ্ধে। ওই পুলিশ আধিকারিক থানার মেজবাবুর দায়িত্বে রয়েছেন। ওই সিভিক ভলান্টিয়ারকে থানার সামনে প্রকাশ্যে মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ। হামলার প্রতিবাদে অন্যান্য সিভিকররা আক্রান্ত সহকর্মীর সঙ্গে প্রতিবাদ আন্দোলনে সামিল হন।

    ঠিক কী অভিযোগ? (Cooch Behar)

    জানা গিয়েছে, সোমবার রাতে একটি ঘটনায় অভিযুক্ত এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করতে যাওয়ার কথা ছিল পুন্ডিবাড়ি থানার (Cooch Behar) পুলিশের। সিভিক ভলান্টিয়ার (Civic Volunteer) সন্তোষ দাস বলেন, একজনকে গ্রেফতার করার জন্য সোমবার রাতে থানা থেকে বের হচ্ছিলাম। থানার লকআপ থেকে আসামীকে আমাদের সঙ্গে অভিযানে নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল। আমি আসামীকে আমাদের গাড়ির পরিবর্তে মেজবাবুর গাড়িতে তুলতে গিয়েছিলাম। এরপরই মেজবাবু আমার ওপর চড়াও হন। আমাকে থানার ভিতরে নিয়ে গিয়ে বেধড়ক মারধর করেন। থানার মেজোবাবু সহ দুই জন আধিকারিক মিলে আমাকে মারধর করে এবং পুণ্ডিবাড়ি সরকারি হাসাপাতালে নিয়ে গিয়ে তাঁরা ডাক্তার’কে দিয়ে ভুয়ো রিপোর্ট তৈরি করেন। আমি নাকি নেশাগ্রস্ত অবস্থায় ছিলাম। এটা একেবারে মিথ্যা। কোনও কারণ ছা়ড়াই আমার ওপর এই হামলার ঘটনার প্রতিবাদ জানাতেই আমরা আন্দোলন শুরু করেছি। এই থানায় অনেক সিভিক ভলান্টিয়ার আমার মতো নির্যাতনের শিকার। আমরা এই ঘটনার সুবিচাই চাই। পুলিশ আধিকারিকদের এই অত্যাচারের প্রতিবাদ জানাতে আমরা পুন্ডিবাড়ি থানার সামনে অবস্থান বিক্ষোভে বসেছি। অন্য এক সিভিক ভলান্টিয়ার (Civic Volunteer) বলেন, থানার বড়বাবু গত একমাস ধরে নাইট ডিউটি দিচ্ছেন। পরিকল্পিতভাবে একটি জঙ্গলের মধ্যে ব্রিজে একা ডিউটি করতে পাঠাচ্ছেন। এসবই ইচ্ছাকৃত করা হচ্ছে। এর বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই চলছে। যদিও এই বিষয়ে অভিযুক্ত পুলিশ আধিকারিকরা কেউ মুখ খুলতে চাননি।

    আরও পড়ুন: জ্যান্ত কেউটেকে দুধ-গঙ্গাজল দিয়ে দেবীজ্ঞানে পুজো করা হয় বর্ধমানের চার গ্রামে

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • North 24 Parganas: পাঁচ বছর ধরে পড়ে পড়েই নষ্ট ৪০ লক্ষের লঞ্চ, কাঠগড়ায় তৃণমূল

    North 24 Parganas: পাঁচ বছর ধরে পড়ে পড়েই নষ্ট ৪০ লক্ষের লঞ্চ, কাঠগড়ায় তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যাত্রীদের পারাপারে সুরক্ষা দিতেই উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Parganas) হিঙ্গলগঞ্জে প্রায় ৪০ লক্ষ টাকায় কেনা হয়েছিল লঞ্চ। কিন্তু, যাত্রী পরিষেবায় তা ব্যবহার করা হয়নি। গত পাঁচ বছর ধরেই সেই লঞ্চ পড়ে পড়ে নষ্ট হতে বসেছে। সরকারি অর্থের এমন ‘অপচয়’ নিয়ে বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতারা তৃণমূল (Trinamool Congress) সরকারকে তুলোধনা করেছেন। তৃণমূল সরকারের এই ভূমিকায় ক্ষুব্ধ সাধারণ মানুষও।

    ৪০ লক্ষ টাকা জলে! (North 24 Parganas)

    হিঙ্গলগঞ্জ ব্লকের (North 24 Parganas) নেবুখালি ও দুলদুলি জেটিঘাটের মধ্যে যাত্রী পারাপারের জন্য লঞ্চ পরিষেবা চালু করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। নৌকো করে ঝুঁকি নিয়ে নদী পারাপার বন্ধ করার কথা ভাবা হয়েছিল। সেই মতো ২০১৯ সালের শেষ দিকে রাজ্যের পরিবহণ দফতরের পক্ষ থেকে একটি লঞ্চ পাঠানো হয় হিঙ্গলগঞ্জে। কিন্তু, পাঁচ বছর হতে চলল এক দিনও ওই লঞ্চ যাত্রী পারাপারের কাজে লাগানো হয়নি। দীর্ঘদিন ধরে হিঙ্গলগঞ্জ বিডিও অফিসের পাশের খালে রাখা রয়েছে লঞ্চটি। সেখানে পড়ে থেকে পুরোপুরি নষ্ট হয়ে গিয়েছে লঞ্চটি। লঞ্চের বেশিরভাগ অংশ ভেঙে গিয়েছে। নদীতে জোয়ার হলে অর্ধেকের বেশি অংশ জলে ডুবে থাকে। ভাঙাচোরা লঞ্চের ভিতরে পলি জমে গিয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, এই ভাবে ৪০ লক্ষ টাকা জলে দেওয়ার কোনও মানে হয় না। এই লঞ্চ যখন কাজে লাগল না, তখন অন্য এলাকার জন্য বরাদ্দ করে দেওয়া দরকার ছিল। তাহলে আর ৪০ লক্ষ টাকা জলে যেত না।

    আরও পড়ুন: জম্মু-কাশ্মীরে জঙ্গি অনুপ্রবেশ রুখতে অভিযান সেনার, জখম এক জওয়ান

    তৃণমূল নেতা কী সাফাই দিলেন?

    লঞ্চ যখন আনা হয়, সে সময়ে হিঙ্গলগঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূলের সহ সভাপতি ছিলেন সুদীপ মণ্ডল। বর্তমানে তিনি জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ। তিনি বলেন, “দুলদুলির দিকে ভাসমান জেটিঘাট থাকলেও নেবুখালির দিকে ভাসমান জেটিঘাট আজও হয়নি। এই লঞ্চ ভাসমান জেটিঘাট ছাড়া ব্যবহার করা যায় না। তাই রক্ষণাবেক্ষণ করাও সম্ভব হয়নি।”

    বিজেপি নেতৃত্ব কী বললেন?

    বিজেপি নেতা গোবিন্দ অধিকারী বলেন, “তৃণমূল (Trinamool Congress) দুর্নীতি, স্বজনপোষণ ও ব্যক্তিস্বার্থ ছাড়া কিছু বোঝে না। লঞ্চ হলে নেবুখালি-দুলদুলির মধ্যে নদী পারাপার অনেক বেশি আরামপ্রদ ও নিরাপদ হত। কিন্তু এই সরকার সুন্দরবনের প্রান্তিক মানুষের কথা ভাবে না। সরকারি সম্পত্তি যারা নষ্ট করল তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Snake: জ্যান্ত কেউটেকে দুধ-গঙ্গাজল দিয়ে দেবীজ্ঞানে পুজো করা হয় বর্ধমানের চার গ্রামে

    Snake: জ্যান্ত কেউটেকে দুধ-গঙ্গাজল দিয়ে দেবীজ্ঞানে পুজো করা হয় বর্ধমানের চার গ্রামে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেউ বলেন কেউটে, কারও দাবি গোখরো। গ্রামের বয়স্করা বলেন কালনাগিনী (Snake)। পূর্ব বর্ধমানের চার গ্রামে জ্যান্ত সাপকে দেবী জ্ঞানে পুজো করা হয়। এখানে তাই কেউ সাপ বলেন না, সাপ এখানে ‘ঝাঁকলাই’ নামে পরিচিত। ফি বছর ঝাঁকলাইয়ের পুজো হয়। এবার পূর্ব বর্ধমানের মঙ্গলকোটের পলসোনা গ্রামে দেখা গেল, মন্দিরে এক পুরোহিতের লাঠির মধ্যে জড়িয়ে রয়েছে বিশাল একটি সাপ। অন্য পুরোহিত তখন মন্ত্র উচ্চারণ করতে করতে সেই কেউটের মাথায় দুধ, গঙ্গাজল ঢালছেন। নিজের হাতে সিঁদুর মাখিয়ে দিচ্ছেন ফণাধারী কেউটের মাথায়। সোমবার এ ভাবেই জ্যান্ত কেউটেকে দেবীজ্ঞানে পুজো করা হল।

    কবে থেকে শুরু হয়েছে পুজো? (Snake)

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় ৯০০ বঙ্গাব্দ থেকে শুরু হয়েছে এই পুজো। প্রতি বছর আষাঢ় মাসের শুক্লা প্রতিপদ তিথিতে ভাতারের বড়পোশলা, শিকোত্তর, মুকুন্দপুর এবং মঙ্গলকোটের ছোটপোশলা, পলসোনা, মুশারু, নিগন মিলে মোট সাতটি গ্রামে ঝাঁকলাইয়ের (Snake) পুজো হয়। স্থানীয়রা জানান, এক সময় সাতটি গ্রামেই দেখা যেত ঝাঁকলাই। তবে এখন বড়পোশলা, ছোটপোশলা, মুশারু এবং পলসোনা এই চার গ্রামেই শুধু দেখা মেলে এই কেউটের। সাপ এখানে ঘরের লোক। কাছের আত্মীয়। বিষধর জীব নয়, বরং দেবতা। সাপের সঙ্গে দিব্যি খেলে কচিকাঁচারা। প্রতি ঘরে সাপের বিশ্রামের জন্য বিছিয়ে রাখা হয় খড়ের গাদা। সাপে-মানুষে দিব্যি সহাবস্থান এখানে। সাপের কামড়ানোকে গ্রামবাসীরা প্রসাদ বলেন। কাউকে সাপে কামড়ালে তাঁর চিকিৎসা না করিয়ে মন্দিরের মাটি শরীরে বুলিয়ে দেওয়া হয়। 

    আরও পড়ুন: জম্মু-কাশ্মীরে জঙ্গি অনুপ্রবেশ রুখতে অভিযান সেনার, জখম এক জওয়ান

    ঝাঁকলাইয়ের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে লোককথা!

    মুশারু,পলসোনা, বড়পোশলা, ছোটপোশলার সঙ্গে জুড়ে গিয়েছে মনসামঙ্গলের বেহুলা-লখিন্দরের উপাখ্যান। ঝাঁকলাই নিয়ে অনেক লোককথা। গ্রামের বাসিন্দারা বলেন, ঝাঁকলাই আসলে ‘কালনাগিনী’। লখিন্দরকে লোহার বাসরঘরে দংশন করে পালানোর সময় বেহুলা কাজললতা ছুড়ে মেরেছিলেন। সেই কাজললতার আঘাতে কালনাগিনীর (Snake) লেজ কেটে যায়। পূর্ব বর্ধমানের কয়েকটি গ্রামে যে ঝাঁকলাইয়ের দেখা মেলে, তাদেরও লেজ কাটা। মনসামঙ্গলে কালনাগিনী বেহুলার শাপে মর্ত্যে আসে। গ্রামবাসীরা আরও বলেন, ‘ঝঙ্কার’ শব্দটা এসেছে বেহুলার বালার আওয়াজ থেকে। লোহার বাসরে লখিন্দরকে ছোবল মারার পরে কালনাগিনীর (Snake) বিষ প্রয়োগের ক্ষমতা চলে যায়। বেহুলা শর্ত দেন, নির্বিষ হয়ে তাকে সাত গ্রামে লুকিয়ে থাকতে হবে। পূর্ব বর্ধমানের (Burdwan) এই সাত গ্রামেই নাকি এখন কালনাগিনীর বাস। তারই নাম ‘ঝাঁকলাই।’ তাকেই ঝঙ্কেশ্বরী দেবী রূপে পুজো করা হয় গ্রামে।

     মহারাষ্ট্রের কেউটে গ্রামের সঙ্গে মিল রয়েছে

    বর্ধমান-কাটোয়া রাস্তা ধরে বলগোনা পেরিয়ে নিগনের ঠিক আগে বাস থামে মুশারুতে। এখান থেকে ভ্যান রিকসা বা ই-রিকসা চেপে যাওয়া যায় গ্রামের ভিতরে। পলসোনাতে যাওয়ার পথও এখান থেকেই। মহারাষ্ট্রের কেউটে গ্রাম শেতপালের মতো বাংলার পূর্ব বর্ধমানের এই চারটে গ্রাম। গ্রামবাসীদের কথায়,ঝাঁকলাই (Snake) কামড়ায় না। পরোপকারী বন্ধু। বংশ পরম্পরায় সাপের পুজো করি আমরা।

    কী বললেন সর্প বিশেষজ্ঞ?

    সর্প বিশেষজ্ঞ ধীমান ভট্টাচার্য বলেন, “ঝাঁকলাই একটি বিরল প্রজাতির সাপ। এই গ্রামবাসীদের এই ভক্তি এবং শ্রদ্ধার জন্যই বিরল প্রজাতির সাপটি এখনও টিকে রয়েছে এখানে। এটা অবশ্যই এক বিরল ঘটনা। তবে, সিঁদুরে রাসায়নিক থাকে। ঝাঁকলাইয়ের পুজোর সময় সিঁদুর মাখানো এড়িয়ে যাওয়া উচিত।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Darjeeling: সরকারি জমি দখলে জড়িত তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ, অবশেষে গ্রেফতার

    Darjeeling: সরকারি জমি দখলে জড়িত তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ, অবশেষে গ্রেফতার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সরকারি জমি দখল নিয়ে কড়া বার্তা দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপরই হুঁশ ফিরল পুলিশ-প্রশাসনের। অবশেষে সরকারি জমি দখলের অভিযোগে সোমবার সন্ধ্যায় গ্রেফতার হলেন দার্জিলিং (Darjeeling) জেলার নকশালবাড়ি পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ তথা তৃণমূল নেতা আশরফ আনসারি। বাড়ি থেকে তাঁকে গ্রেফতার করে নকশালবাড়ি থানার পুলিশ। এই ঘটনায় জমি কারবারের সঙ্গে যে তৃণমূল নেতারা জড়িত তা আরও একবার প্রমাণিত হয়ে গেল।

    কেন গ্রেফতার? (Darjeeling)

    জানা গিয়েছে, জমি কারবারে যুক্ত থাকার অভিযোগে তৃণমূল নেতা গৌতম গোস্বামীকে পুলিশ আগেই গ্রেফতার করেছে। তিনি ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ি (Darjeeling) ব্লকের তৃণমূলের সহ-সভাপতি ছিলেন। সোমবার ফের তৃণমূল নেতা গ্রেফতার হওয়ার ঘটনায় রাজ্য রাজনীতিতে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নবান্নের সভাঘর থেকে ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ি এলাকায় জমি মাফিয়াদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। এরপরই গত ১২ জুলাই নকশালবাড়ির সেবদেল্লা মৌজায় ধৃত তৃণমূল নেতা সহ কয়েকজনের নামে সরকারি জমি দখলের বিষয়ে নকশালবাড়ি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন স্থানীয় ভূমি ও ভূমি রাজস্ব আধিকারিক। এই ঘটনায় তদন্তে নেমে প্রথমে ১৯ জুলাই শিলিগুড়ি থেকে দুজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। আর সোমবার গ্রেফতার করা হয় নকশালবাড়ি পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ আশরফ আনসারিকে।

    আরও পড়ুন: জম্মু-কাশ্মীরে জঙ্গি অনুপ্রবেশ রুখতে অভিযান সেনার, জখম এক জওয়ান

    ধৃত তৃণমূল নেতা কী সাফাই দিলেন?

    ধৃত তৃণমূল (Trinamool Congress) নেতা তথা পঞ্চায়েত সমিতির (Darjeeling) পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ আশরফ আনসারি বলেন, “আমাকে মিথ্যা অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে। আমি নাকি জমির দালাল। আসলে আমি মুখ্যমন্ত্রীকে অভিযোগ করেছি বলেই আমাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ ও ভূমি রাজস্ব আধিকারিক অসুবিধায় পড়ে আমাকে গ্রেফতার করিয়েছে। আমাকে পুরোপুরি ফাঁসানো হয়েছে।”

    দাঁড়কাককে বাঁচানোর চেষ্টা!

    শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ বলেন, “একই কথা বারবার বলার যে দক্ষতা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রয়েছে তা অনস্বীকার্য। তৃণমূলের (Trinamool Congress) ছোট ছোট কাককে গ্রেফতার করে দাঁড়কাককে বাঁচানোর চেষ্টা চলছে। আমি ২০২৬ সালে এই মুখ্যমন্ত্রী ও তাঁর দলের সমস্ত কাক ও দাঁড়কাকের বিসর্জন দেখতে চাই। ছোট নয় বড় মাথাদের কবে গ্রেফতার করা হবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share