Tag: West Bengal

West Bengal

  • TMC Conflict: দলের পুর-চেয়ারম্যানকে ফের অপসারণের দাবি! আন্দোলনে তৃণমূলেরই কাউন্সিলররা

    TMC Conflict: দলের পুর-চেয়ারম্যানকে ফের অপসারণের দাবি! আন্দোলনে তৃণমূলেরই কাউন্সিলররা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দাঁইহাট পুরসভার চেয়ারম্যানের অপসারণকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের কোন্দল (TMC Conflict) ফের প্রকাশ্যে। পুর চেয়ারম্যান প্রদীপ রায়ের বিরুদ্ধে একগুচ্ছ অভিযোগ তুলে রাজ্য নেতৃত্বের কাছে আগেই পদত্যাগের দাবি জানিয়ে এসেছিলেন সিংহভাগ তৃণমূল কাউন্সিলর। এবার রীতিমতো পথসভা করে পুর-চেয়ারম্যান প্রদীপ রায়ের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন তাঁরা। তাঁর পদত্যাগের দাবি জানালেন দলের কাউন্সিলররা। এই ঘটনায় অস্বস্তিতে পড়েছেন দলের নেতৃত্ব।

    ২১ জুলাইয়ের সমর্থনে মিছিলে নেই পুর-চেয়ারম্যান (TMC Conflict)

    দাঁইহাট পুরসভার মোট ১৪ টি ওয়ার্ড রয়েছে। সবকটিই শাসকদলের দখলে। বিগত একবছর ধরেই পুরসভার চেয়ারম্যান প্রদীপ রায়ের বিরুদ্ধে কাউন্সিলরদের একাংশ ক্ষোভপ্রকাশ করে আসছিলেন। সম্প্রতি ভাইস চেয়ারম্যান অজিত বন্দোপাধ্যায় সহ ১১ জন কাউন্সিলর প্রদীপ রায়ের পদত্যাগের (TMC Conflict) দাবিতে অভিযোগ জানিয়ে আসেন পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমসহ দলের রাজ্য নেতৃত্বের কাছে। বিগত প্রায় একবছর ধরেই পুরসভার বোর্ড মিটিংগুলিতেও অংশ নেওয়া ছেড়ে দিয়েছিলেন কাউন্সিলরদের একাংশ। সোমবার বিকেলে  একুশে জুলাইয়ের সভার সমর্থনে দাঁইহাটে মিছিল করা হয়। মূলত, ভাইস-চেয়ারম্যান সহ ১১ জন কাউন্সিলর এই মিছিলে ছিলেন। তবে, এই মিছিলে দেখা যায়নি দাঁইহাট শহর তৃণমূলের সভাপতি রাধানাথ ভট্টাচার্য এবং পুরসভার চেয়ারম্যান প্রদীপ রায়কে। দাঁইহাটের স্টেশনবাজার তৃণমূল কার্যালয় থেকে এই মিছিল শুরু হয়। শেষ হয় পুরমার্কেটের সামনে। শেষে পথসভা হয়। এই পথসভায় ভাইস চেয়ারম্যান অজিত বন্দোপাধ্যায়ের বক্তব্যের আগাগোড়াই ছিল দলীয় চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে। দাঁইহাট পুরসভার চেয়ারম্যান প্রদীপ রায়ের দাবি, ” আমি চেয়ারম্যান থাকবো, না কি সরে যাব, সেটা দলই ঠিক করবে। একুশে জুলাইয়ের সমর্থনে প্রচার মিছিলের বিষয়ে আমাকে কিছু জানানো হয়নি।”

    আরও পড়ুন: রায়গঞ্জে বিজেপি প্রার্থীর সমর্থনে সুকান্ত-শুভেন্দুর মিছিলে পড়ল ডিম, অভিযুক্ত তৃণমূল

    পথসভা করে কী দাবি জানালেন তৃণমূল কাউন্সিলররা?

    ভাইস চেয়ারম্যান (Dainhat) অজিত বন্দোপাধ্যায় বলেন,” আমরা ১১ জন কাউন্সিলর উপস্থিত হয়েছি। বর্তমান চেয়ারম্যান সবাইকে নিয়ে চলতে পারছেন না। চেয়ারম্যানের কাছে এঁরা কেউ সম্মান পান না। মহিলা কাউন্সিলররা সম্মান পাচ্ছেন না বলে তাঁরা চেয়ারম্যানের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন। দাঁইহাটের পরিষেবা এখন একদম বন্ধ। রাস্তাঘাট, নর্দমা, ডাষ্টবিন পরিষ্কার করা হয় না। দুর্গন্ধ ছড়ায়। জল দিয়ে পোকা বের হচ্ছে, সেদিকে লক্ষ্য রাখেন না চেয়ারম্যান। আমরা চেয়ারম্যানের পদত্যাগ দাবি করছি।

    তৃণমূলের জেলা নেতৃত্ব কী বললেন?

     একুশে জুলাইয়ের সমর্থনে প্রচার মিছিল থেকে এভাবে দলেরই চেয়ারম্যানের (Dainhat) পদত্যাগ দাবি ওঠায় অস্বস্তিতে দলের জেলা নেতৃত্ব। পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূলের সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়  বলেন,”দলের মধ্যে ক্ষোভ -বিক্ষোভ থাকলেও দলীয় নেতৃত্বকে জানানো দরকার। এভাবে রাস্তায় এসে ঝগড়া করা দলবিরোধী কাজ। ওরা ভুল করছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Malda: গৌড়বঙ্গে ফেল করা পড়ুয়াদের পাশ করানোর দাবি জানিয়ে আন্দোলনে টিএমসিপি

    Malda: গৌড়বঙ্গে ফেল করা পড়ুয়াদের পাশ করানোর দাবি জানিয়ে আন্দোলনে টিএমসিপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফেল করা পড়ুয়াদের নিয়ে আন্দোলনে নামল তৃণমূল ছাত্র পরিষদ (টিএমসিপি)। মালদার (Malda) গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে এই ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। টিএমসিপির আন্দোলন নিয়ে রীতিমতো হাসাহাসি শুরু হয়েছে। আন্দোলনের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে।

    ৯৭ শতাংশ পড়ুয়া ফেল (Malda)

    গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে (Malda) প্রথম সেমেস্টারের ফলাফলে ডাহা ফেল ৯৭ শতাংশ পড়ুয়া। মাত্র তিন শতাংশ পড়ুয়া পাশ করেছেন মূল বিষয়ে। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষার ফলাফল দেখে কার্যত চক্ষু চড়কগাছ সকলের। যদিও, মূল বিষয়ে তারা ফেল করলেও বাকি দু’টি প্রধান বিষয়ে যে কোন একটিতে উত্তীর্ণ হওয়ায় তাঁরা দ্বিতীয় সেমেস্টারে চলে গিয়েছে। এক পরীক্ষার্থী বলেন, আমরা পরীক্ষা ভালো দিয়েছিলাম। তারপরও আমাদের ফেল করিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমরা তা মেনে নেব না। আমাদের পাশ করিয়ে দেওয়া হোক। কলেজের প্রথম সেমেস্টারের অধিকাংশ পড়ুয়া ফেল করায় তাঁরা শাসক দলের ছাত্র সংগঠনের দ্বারস্থ হয়েছেন। ফলাফল মনঃপূত না হওয়ায় পাশ করানো সহ একাধিক দাবি নিয়ে আন্দোলনে নামে গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনস্থ বিভিন্ন কলেজের ছাত্রছাত্রীরা। ক্যাম্পাস জুড়ে মিছিল করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দেওয়া হয় একটি ডেপুটেশন। ডেপুটেশন এবং আন্দোলন কর্মসূচির নেতৃত্ব দেয় মালদা জেলা তৃণমূল ছাত্র পরিষদ (TMCP)। তবে, এই আন্দোলনের পর ফেল করা পড়ুয়াদের ক্ষেত্রে কী পদক্ষেপ গ্রহণ করবে তা নিয়ে মুখ খুলতে চায়নি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

    আরও পড়ুন: রায়গঞ্জে বিজেপি প্রার্থীর সমর্থনে সুকান্ত-শুভেন্দুর মিছিলে পড়ল ডিম, অভিযুক্ত তৃণমূল

    টিএমসিপি নেতৃত্বের কী বক্তব্য?

    তৃণমূল ছাত্র পরিষদের (TMCP) সভাপতি প্রসূন রায় বলেন, ন্যাশনাল এডুকেশন পলিসি চালু হওয়ার পর মেজর বিষয়ে ৯৭ শতাংশ ফেল করেছে। একসঙ্গে এত ছাত্রছাত্রী ফেল করতে পারে না। কিছু একটি সমস্যা হয়েছে। ফেল করা পড়ুয়াদের পাশে সবসময় টিএমসিপি আছে। তাই, ওদের নিয়ে রাস্তায় নেমে আমরা আন্দোলনও করেছি। আমাদের দাবি, ওদের পাশ করিয়ে দিতে হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Weather Update: উত্তরবঙ্গে প্রবল বৃষ্টির আশঙ্কা! দক্ষিণে কেমন থাকবে আবহাওয়া? জানাল আবহাওয়া দফতর

    Weather Update: উত্তরবঙ্গে প্রবল বৃষ্টির আশঙ্কা! দক্ষিণে কেমন থাকবে আবহাওয়া? জানাল আবহাওয়া দফতর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের সপ্তাহের মাঝে দুর্যোগের আশঙ্কা। ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস (Weather Update) উত্তরবঙ্গে। মৌসুমী অক্ষরেখা বাংলা থেকে সরে গেলেও আপাতত বৃষ্টি পরিস্থিতি উন্নত হওয়ার কোনও আশা নেই উত্তরবঙ্গে। তবে উত্তরবঙ্গের থেকে দক্ষিণবঙ্গের ছবি খানিকটা আলাদা। দক্ষিণবঙ্গের ক্ষেত্রে আবহাওয়া সংক্রান্ত কোনও সতর্কতা আপাতত জারি করা হয়নি। শুধু বিক্ষিপ্ত ভাবে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি হতে পারে কলকাতা-সহ বিভিন্ন জেলায়।

    উত্তরবঙ্গে জারি লাল সতর্কতা (Weather Update) 

    হাওয়া অফিস জানিয়েছে, মঙ্গলবার উত্তরের পাঁচ জেলাতেই বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহারে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়াও দার্জিলিং, কালিম্পং এবং উত্তর দিনাজপুরে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বৃষ্টির সঙ্গে বজ্রপাত ও দমকা ঝোড়ো হওয়ার আশঙ্কাও রয়েছে। এর মধ্যে কেবল আলিপুরদুয়ারেই জারি হয়েছে লাল সতর্কতা। ওই জেলায় ২০ সেন্টিমিটারের বেশি বৃষ্টি হতে পারে বুধবার। 
    অন্যদিকে উত্তর দিনাজপুরের কিছু জায়গায় বৃহস্পতিবার ভারী বৃষ্টি হতে পারে। তবে দক্ষিণ দিনাজপুর এবং মালদহের জন্য আপাতত কোনও সতর্কতা জারি করা হয়নি। ওই দুই জেলায় বিক্ষিপ্ত ভাবে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি চলবে, এমনটাই জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। 

    আবহাওয়া দফতরের সতর্কতা (West Bengal weather) 

    উত্তরবঙ্গে ভারী বৃষ্টির ফলে ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে ব্যাপকভাবে। হাওয়া অফিস ইতিমধ্যেই ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কার কথা জানিয়ে সতর্ক করেছে। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, বৃষ্টির পরিমান বাড়লে পার্বত্য এলাকায় ধস নামতে পারে। একইসঙ্গে, নদীর জলস্তর বেড়ে নিচু এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এমনকি সড়ক যোগাযোগও বিচ্ছিন্ন হতে পারে।

    আরও পড়ুন: রায়গঞ্জে বিজেপি প্রার্থীর সমর্থনে সুকান্ত-শুভেন্দুর মিছিলে পড়ল ডিম, অভিযুক্ত তৃণমূল

    দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়ার পূর্বাভাস  

    দক্ষিণবঙ্গে রবিবার থেকে বৃষ্টি হ্রাস পাওয়া শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার ও বুধবার বৃষ্টির সম্ভাবনা কম দক্ষিণবঙ্গে। বিক্ষিপ্তভাবে দু-এক পশলা বৃষ্টি (Weather Update) কয়েক জেলায় হতে পারে। তবে, বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপের সম্ভাবনা জোরালো হলে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়তে পারে। এমনটা হলে বৃহস্পতিবার থেকে ফের বৃষ্টির সম্ভাবনা বাড়বে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে, পূর্বাভাস আলিপুর আবহাওয়া দফতরের। 
    অন্যদিকে কলকাতায় মঙ্গলবার আংশিক মেঘলা আকাশ (Weather Update)। মঙ্গলবার ও বুধবার বৃষ্টির সম্ভাবনা কম। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেশি থাকলেও আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি ভোগাবে। তবে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা আপাতত নেই। বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সামান্য সম্ভাবনা রয়েছে। বৃষ্টির সম্ভাবনা বাড়বে বৃহস্পতিবার থেকে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Raiganj: রায়গঞ্জে বিজেপি প্রার্থীর সমর্থনে সুকান্ত-শুভেন্দুর মিছিলে পড়ল ডিম, অভিযুক্ত তৃণমূল

    Raiganj: রায়গঞ্জে বিজেপি প্রার্থীর সমর্থনে সুকান্ত-শুভেন্দুর মিছিলে পড়ল ডিম, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রায়গঞ্জ (Raiganj) উপ-নির্বাচনে শেষদিনের প্রচারে ঝড়় তুলতে হাজির হয়েছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এবং বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। দলীয় প্রার্থীর সমর্থনে মিছিলে পা মেলান তাঁরা। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন হাজার হাজার কর্মী-সমর্থক। বিজেপির সেই মিছিল লক্ষ্য করে ডিম ছোড়ার অভিযোগ উঠেছে। তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এই কাজ করেছে বলে অভিযোগ। এই ঘটনা জানাজানি হতেই রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Raiganj)

    জানা গিয়েছে, আগামী ১০ জুলাই রয়েছে উপ-নির্বাচন (Raiganj)। সেই মতো সব রাজনৈতিক দলের প্রস্তুতি তুঙ্গে। সোমবারই ছিল শেষ প্রচার। রায়গঞ্জের বিজেপি প্রার্থী মানস ঘোষের সমর্থনে বিজেপির পক্ষ থেকে মিছিলের আয়োজন করা হয়। সেই মিছিলে হাঁটেন শুভেন্দু-সুকান্ত। দুপুর নাগাদ শিলিগুড়ি মোড় থেকে শুরু হয় বিজেপি-র মিছিল। অভিযোগ, মিছিলটি শিলিগুড়ি মোড়ে যেতেই একটি বাড়ির ছাদ থেকে তাঁদের লক্ষ্য করে ডিম ছোড়া হয়। বিজেপির এক কর্মী বলেন, আমরা স্লোগান দিতে দিতে মিছিলে হাঁটছিলাম। রাস্তার দুধারে মানুষ দাঁড়িয়ে আমাদের মিছিল দেখছিলেন। আচমকা আমাদের মিছিলে ওপর থেকে ডিম ছোড়া হয়। বাড়ির ছাদ থেকেই ডিম ছোড়া হয়েছে। আমরা এই ঘটনার পূর্ণ তদন্তের দাবি জানাচ্ছি।

    ভাইপো বাহিনীর কাজ

    এ প্রসঙ্গে বিজেপির (BJP) রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, “ভাইপো বাহিনীর কাজ। পিসির লোকেদের কাজ। কাপুরুষের মতো আচরণ। লড়াই করার ইচ্ছা থাকলে সামনে এসে লড়াই করুন। ছাদ থেকে লুকিয়ে ডিম মারা হচ্ছে আমাদের নেতৃত্বের দিকে। এটা রায়গঞ্জের সংস্কৃতি নয়। আমি তো এখানকার মানুষ। কোনও দিন এই সংস্কৃতি দেখিনি। এই জঘন্য সংস্কৃতি ভাইপোর লোকেরা আমদানি করেছে।” শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “এই রায়গঞ্জ ভোটের মিছিলে এর জবাব দেবে। এটা কোনও আক্রমণ নয়। দেউলিয়া রাজনীতির নিকৃষ্ট পরিচয়। এটা তৃণমূলের মতো নোংরা দলের পক্ষেই সম্ভব।”

    তৃণমূল নেতৃত্ব কী সাফাই দিলেন?

    জেলা তৃণমূলের মুখপাত্র সন্দীপ বিশ্বাস বলেন, “এটা ষড়যন্ত্র। এর তদন্ত করতে বলব পুলিশ ও নির্বাচন কমিশনকে। যখন ওরা দেখছে এই আসনে জয়ী হবেন কৃষ্ণ কল্যাণী, সেই সময় নির্বাচন প্রক্রিয়ায় বিঘ্ন ঘটাতে ওরা এই ষড়যন্ত্র করছে বিজেপি (BJP)।” 

         

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bogtui: ফের খবরে বগটুই! মাটির নীচে মিলল জার ভর্তি বোমা, শোরগোল

    Bogtui: ফের খবরে বগটুই! মাটির নীচে মিলল জার ভর্তি বোমা, শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের খবরে বীরভূমের বগটুই (Bogtui) গ্রাম। এই গ্রামে জার ভর্তি বোমা উদ্ধার হয়েছে। মাটি চাপা দেওয়া ছিল জারটি। বগটুই গণহত্যাকাণ্ডের ঘটনাস্থল থেকে ১০০ ফুটের মধ্যে এই বোমাগুলি উদ্ধার করা হয়। শনিবার রামপুরহাট থানার পুলিশ সেগুলি উদ্ধার করে। এই ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    কীভাবে মিলল বোমা?(Bogtui)

    জানা গিয়েছে, ২০২২ সালের ২১ মার্চ বগটুই (Bogtui) গণহত্যাকাণ্ড ঘটেছিল। তার প্রায় আড়াই বছর পর সেই গ্রামে বোমা উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ২০২২ সালের ঘটনার অন্যতম সাক্ষী ছিলেন মিহিলাল শেখ। বগটুইকাণ্ডে তিনি হারিয়েছিলেন স্ত্রী, মা ও সন্তানকে। পরে, বিজেপিতে যোগ দেন তিনি। ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভোটেও লড়েন পদ্ম প্রতীকে। বগটুই গণহত্যাকাণ্ডে মিহিলাল শেখের আত্মীয় ফটিক শেখের বাড়িও আগুন ধরিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। সেই মিহিলাল ও ফটিকের বাড়ির অদূরে প্লাস্টিকের জারে বোমাগুলি রাখা ছিল। অভিযোগ, অন্ধকারে কেউ মাটি খুঁড়ে এই জার রেখে যায়। শনিবার সেখানে গাছ বসানোর সময় মাটি গর্ত করতে গেলে তা নজরে আসে। এরপরই রামপুরহাট থানায় তা জানানো হয়। রামপুরহাট থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বোমাগুলি উদ্ধার করে। খবর দেওয়া হয় বম্ব স্কোয়াডেও।

    আরও পড়ুন: সোনারপুরে বিজেপি কর্মীর ওপর হামলা, স্ত্রী-পুত্রকে ধারালো অস্ত্রের কোপ, অভিযুক্ত তৃণমূল

    স্থানীয় বাসিন্দারা কী বললেন?

    স্থানীয় বাসিন্দা মিহিলাল শেখ বলেন, “এর আগেও বোমা (Bomb) উদ্ধার হয়েছে। খুবই স্পর্শকাতর এলাকা। এর আগেও তো এ গ্রামে এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে। আমার পরিবারকে আগুন লাগিয়ে শেষ করা হয়েছে। আমার পুরো পরিবারকে শেষ করেছে। এখন এ গ্রাম তৃণমূলেরই হাতে। গ্রাম, পঞ্চায়েত সবই ওদের হাতে। সেখানে বোমা (Bomb) উদ্ধার হলে সেটাও দেখতে হবে। এটা নিয়ে নতুন করে আর কী বলব। তবে প্রশাসন এখন যথেষ্ট সজাগ। কোথাও কোনও ঝামেলা যাতে না হয় সেদিকে নজর রয়েছে। আমরা এই ঘটনার তদন্তের দাবি জানাচ্ছি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Kamarhati: বুলডোজার নিয়ে উচ্ছেদ অভিযানে বাধা, তৃণমূল কাউন্সিলরদের ঘিরে তুমুল বিক্ষোভ

    Kamarhati: বুলডোজার নিয়ে উচ্ছেদ অভিযানে বাধা, তৃণমূল কাউন্সিলরদের ঘিরে তুমুল বিক্ষোভ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বুলডোজার নিয়ে উচ্ছেদ করতে গিয়ে তুমুল বিক্ষোভের মুখে পড়তে হল তৃণমূল কাউন্সিলরদের। শনিবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে কামারহাটি (Kamarhati) পুরসভার ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের উড়ানপাড়া এলাকায়। এলাকাবাসীর বিক্ষোভের জেরে কার্যত এদিন তৃণমূল কাউন্সিলররা উচ্ছেদ করার সাহস দেখাননি। বাধ্য হয়ে বুলডোজর ঘুরিয়ে ফিরে আসতে বাধ্য হন। আর এই ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Kamarhati)

    মুখ্যমন্ত্রী সরকারি জায়গায় দখলদারদের উচ্ছেদ করার নির্দেশ জারি করেন। আর তারপরই রাজ্যজুড়ে শুরু হয় তৎপরতা। টনক নড়ে কামারহাটি (Kamarhati) পুরসভারও। এই পুরসভার আগরপাড়ার উড়ানপাড়া এলাকায় রাস্তার পাশে ড্রেন দখল করে দোকান রয়েছে। বহু বসতি রয়েছে সরকারি জায়গায়। এর আগে পুরসভার পক্ষ থেকে দোকান সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু, পুরসভার নির্দেশ মেনে কেউ দোকান সরিয়ে নিয়ে যাননি। এদিন ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বিমল সাহার নেতৃত্বে একাধিক কাউন্সিলর উড়ানপাড়া এলাকায় যান। সঙ্গে বুলডোজার নিয়ে যান। উচ্ছেদ অভিযান শুরু করতে গিয়ে তাঁরা বিক্ষোভের মুখে পড়েন। বিক্ষোভকারীদের বক্তব্য, “আমরা এখন কোথায় যাব। দোকান করেই সংসার চলে। গায়ের জোরে উচ্ছেদ করে দিলে পরিবার নিয়ে সকলকে পথে বসতে হবে। তাই, আমরা এদিন উচ্ছেদ করতে দিইনি। এই বিষয় নিয়ে সব জায়গায় দরবার করব। আমরা উচ্ছেদ করতে দেব না।” জানা গিয়েছে, উড়ানপাড়ার বাসিন্দাদের বিক্ষোভের মুখে পড়ে তৃণমূল কাউন্সিলররা (Trinamool Congress) বাধ্য হয়ে বুলডোজার ঘুরিয়ে নিয়ে চলে যান।

    আরও পড়ুন: সোনারপুরে বিজেপি কর্মীর ওপর হামলা, স্ত্রী-পুত্রকে ধারালো অস্ত্রের কোপ, অভিযুক্ত তৃণমূল

    তৃণমূল কাউন্সিলর কী সাফাই দিলেন?

    তৃণমূল (Trinamool Congress) কাউন্সিলর বিমল সাহা বলেন, “এদিন এলাকার মানুষ কোনও বিক্ষোভ দেখাননি। তাঁরা আমাদের কাছে অনুরোধ করেন। তাঁদের অনুরোধ মেনে আমরা আরও দুদিন সময় দিয়েছি। তবে, সামনের সোমবার ফের আমরা আসব। এই দুদিনের মধ্যে তাঁদের সব কিছু সরিয়ে নিতে বলেছি। কারণ, ড্রেনে দখলদার থাকার কারণে তা পরিষ্কার করা যাচ্ছে না। তাই, ওরা না সরালে আমরা সোমবার গিয়ে সব ভেঙে দেব।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: রামপুরহাটের স্কুলে শুক্রবার স্পেশাল ‘টিফিন ব্রেক’ কোন ছাত্রদের জন্য? সরব সুকান্ত

    Sukanta Majumdar: রামপুরহাটের স্কুলে শুক্রবার স্পেশাল ‘টিফিন ব্রেক’ কোন ছাত্রদের জন্য? সরব সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বীরভূমের রামপুরহাট জীতেন্দ্রলাল বিদ্যাভবনের একটি নোটিশকে কেন্দ্র করে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। স্কুল তার পড়ুয়াদের জন্য এই ধরনের নোটিশ দিতে পারে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। বিতর্কিত এই ইস্যুতে তোপ দেগেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদরও (Sukanta Majumdar)।

    কী রয়েছে নোটিশে? (Sukanta Majumdar)

    রামপুরহাট জীতেন্দ্রলাল বিদ্যাভবনে ২৯ জুন জারি করা নোটিশকে ঘিরে বিতর্ক শুরু হয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। স্কুল কর্তৃপক্ষ একটি নোটিশ জারি করে নির্দেশ দিয়েছে, শুক্রবার দুই দফায় টিফিন ব্রেক দেওয়া হবে স্কুলে। প্রথম ব্রেক বেলা ১২:১০ মিনিট থেকে ১ :১০ মিনিট পর্যন্ত। দ্বিতীয় ব্রেক অন্যান্য দিনের মতোই বেলা ১: ৪৫ মিনিটে শুরু হয়ে ২:২০ তে শেষ হবে। আর এই নোটিশকে উল্লেখ করেই রাজ্য বিজেপির ফেসবুক পেজ থেকে একটি পোস্ট করা হয়েছে। যেখানে দাবি করা হয়েছে, যে রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রী দুর্গাপুজো করতে দেন না, সেই রাজ্যেই মুসলিম ছাত্রদের জন্য শুক্রবার বেলা বারোটা থেকে একটা পর্যন্ত স্পেশাল টিফিন আওয়ারের ব্যবস্থা করছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। শুক্রবার এই সময়ে মুসলিম ধর্মাবলম্বীরা নমাজ পড়তে মসজিদে যায়। সেই সময় ছাত্র-ছাত্রীদের নমাজের সুবিধা করে দিতে এই সিদ্ধান্ত বলে মনে করছে রাজ্য বিজেপি (BJP)।

    আরও পড়ুন: সোনারপুরে বিজেপি কর্মীর ওপর হামলা, স্ত্রী-পুত্রকে ধারালো অস্ত্রের কোপ, অভিযুক্ত তৃণমূল

    শুক্রবার বিশেষ টিফিনের নির্দেশ নিয়ে সরব সুকান্ত

    আর এর বিরুদ্ধে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা পার্টি অফিসে ডক্টর শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের ১২৪ তম জন্ম জয়ন্তী পালন অনুষ্ঠানে মুখ খুলেছেন বিজেপির (BJP) রাজ্য সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। তিনি (Sukanta Majumdar) বলেন, স্কুলে এই ধরনের নির্দেশিকার মাধ্যমে ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে সাম্প্রদায়িকতার বিষ ঢুকিয়ে দেওয়া হচ্ছে। স্কুলের সকলের সমান অধিকার। সকলের জন্যই সমানভাবে চলবে। স্কুলে যে কারণে ইউনিফর্ম বা ড্রেস কোড চালু রয়েছে। এই ধরনের নির্দেশ বা সিদ্ধান্ত ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে বিভেদ তৈরি করবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Hooghly: বাঁশবেড়িয়ায় দলের পুর-চেয়ারম্যানে অনাস্থা! পদত্যাগ করলেন ১২ জন তৃণমূল কাউন্সিলর

    Hooghly: বাঁশবেড়িয়ায় দলের পুর-চেয়ারম্যানে অনাস্থা! পদত্যাগ করলেন ১২ জন তৃণমূল কাউন্সিলর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হুগলির (Hooghly) তৃণমূল পরিচালিত বাঁশবেড়িয়া পুরসভার চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে দলেরই ১২ জন কাউন্সিলর এর আগে প্রকাশ্যে মুখ খুলেছেন। চেয়ারম্যানের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন করেছেন। দাবি আদায়ের জন্য বিক্ষোভও দেখিয়েছেন তাঁরা। যদিও কাউন্সিলরদের দাবি মেনে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। অবশেষে এবার পুরসভার স্ট্যান্ডিং কমিটি থেকে পদত্যাগ করলেন বাঁশবেড়িয়ার ১২ জন তৃণমূল কাউন্সিলর। তৃণমূলের কোন্দল প্রকাশ্যে চলে এসেছে। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।

    ভোটে তৃণমূল হারতেই চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ! (Hooghly)

    লোকসভা ভোটে বাঁশবেড়িয়া (Hooghly) পুরসভা এলাকায় সাড়ে ১১ হাজার ভোটে বিজেপির কাছে হারতে হয়েছে তৃণমূলকে। তারপরই দেখা যায় তৃণমূল কাউন্সিলরদের একাংশ চেয়ারম্যান আদিত্য নিয়োগীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে শুরু করেন। সূত্রের খবর, যারা স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি, তাঁরা মিটিং ডাকেন না। তাই প্রথম বোর্ড মিটিংয়ে বিভিন্ন দফতরের ৬ ‘টি স্ট্যান্ডিং কমিটি তৈরি হলেও তা নিষ্ক্রিয়। বাঁশবেড়িয়া পুরসভার শাসকদলের কাউন্সিলররা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে বারবার এই ধরনের পদক্ষেপ করায় দল বিড়ম্বনায় পড়ছে বলে মনে করছেন তৃণমূল কর্মীরা। এই বিষয়ে পুরসভার চেয়ারম্যান আদিত্য নিয়োগী কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে চাননি।

    আরও পড়ুন: সোনারপুরে বিজেপি কর্মীর ওপর হামলা, স্ত্রী-পুত্রকে ধারালো অস্ত্রের কোপ, অভিযুক্ত তৃণমূল

    কী বললেন দলের বিক্ষুব্ধ কাউন্সিলররা?

    তৃণমূল (Trinamool Congress) কাউন্সিলর বিশ্বজিৎ দাস বলেন, “চেয়ারম্যান আমাদের কথা শোনেন না। নিজের পছন্দের কয়েকজন লোক দিয়ে কাজ করান। আমাদের কোনও গুরুত্ব দেন না। চেয়ারম্যানের অসহযোগিতার কারণে নিজেদের ওয়ার্ডে পরিষেবা দিতে পারি না। যার ফলে লোকসভা ভোটে আমাদের হার হয়েছে। এমনকী আমরা কাউন্সিলর হিসেবে এলাকার কোনও কাজ করতে পারছি না। স্ট্যান্ডিং কমিটি আমাদের কাছে অলঙ্কার ছাড়া আর কিছুই নয়। কারণ, স্ট্যান্ডিং কমিটির কোনও মিটিং হয় না। যা কিছু সিদ্ধান্ত চেয়ারম্যান নিজেই নেন।” কাউন্সিলর (Trinamool Congress) প্রিয়াঙ্কা দাস বলেন, “তিনটি স্ট্যান্ডিং কমিটির মাথায় রয়েছেন চেয়ারম্যান। কিন্তু, তিনিও কোনও মিটিং ডাকেন না। সমস্ত বিষয়ে আমরা দলের নেতৃত্বকে জানিয়েছি, তারা নিশ্চয়ই কোনও ব্যবস্থা নেবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Iskcon Rath Yatra: ৫ কিলোমিটার পথ পেরিয়ে আসবেন প্রভু জগন্নাথ, মায়াপুরে আজ সাজো সাজো রব

    Iskcon Rath Yatra: ৫ কিলোমিটার পথ পেরিয়ে আসবেন প্রভু জগন্নাথ, মায়াপুরে আজ সাজো সাজো রব

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ মহা সমারোহে পালিত হতে চলেছে মায়াপুর ইসকন (Iskcon Rath Yatra) মন্দিরে জগন্নাথ দেবের রথযাত্রা। এই উপলক্ষে হাজার হাজার দেশি-বিদেশি ভক্তের ঢল নেমেছে। ইসকন চন্দ্রোদয় মন্দির থেকে ৫ কিলোমিটার দূরে রাজাপুরের জগন্নাথ মন্দির থেকে ভগবান জগন্নাথদেবের নন্দী ঘোষ, বলদেবের তালধ্বজ ও সুভদ্রা দেবীর পদ্মধ্বজ-এই তিনটি সুসজ্জিত রথ বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা করে ও হরিনাম সংকীর্তনের মধ্যে দিয়ে মায়াপুর ইসকন চন্দ্রোদয় মন্দিরের উদ্দেশে রওনা দেবে।

    ট্যাবলো ও সুসজ্জিত বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা (Iskcon Rath Yatra)

    ইতিহাস ঘেঁটে জানা গিয়েছে, এক সময়ে মায়াপুর আর রাজাপুর নামে দু’টি গ্রাম ছিল। রাজাপুরের বেশিরভাগই ছিলেন বৈষ্ণব। কয়েকশো বছর আগে নাকি এক পুরোহিত স্বপ্নাদেশ পেয়ে প্রথম রথযাত্রার আয়োজন করেন। রাজাপুর থেকে রথ যেত মায়াপুর। সেখান থেকে আবার ফিরত রাজাপুর। বহু দিন এই উৎসব বন্ধ ছিল। পরে, ইসকন রথযাত্রা উৎসব শুরু করে। এবারও রথের (Iskcon Rath Yatra) দিন সাতটি পৃথক সংকীর্তনের দল-সহ বিভিন্ন রকম ট্যাবলো ও সুসজ্জিত বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা সহকারে জগন্নাথ, বলদেব ও সুভদ্রা মহারানিকে রথে চড়িয়ে আনা হবে মায়াপুরে। জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সমস্ত ধর্মের মানুষের আগমনে মিলনমেলায় পরিণত হয়ে ওঠে মায়াপুর ইসকনের রথযাত্রা উৎসব। প্রতি বছর ইসকনের প্রধান কেন্দ্র শ্রীধাম মায়াপুরের রথযাত্রা উৎসব যথাযথ উৎসাহ-উদ্দীপনা ও ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠানের মাধ্যমে উদযাপিত হয়। মায়াপুরের রাজাপুর গ্রামে রয়েছে জগন্নাথ মন্দির। সকাল-সন্ধ্যায় এই প্রশান্ত পল্লিতে শোনা যায় সংকীর্তনের ধ্বনি। মানুষের মহামিলনের উত্তম ক্ষেত্র এই গ্রাম। পরস্পর পরস্পরকে সুখে, দুঃখে আপন করে নেয় এই গ্রামের মানুষ। প্রতি বছর রথযাত্রাকে কেন্দ্র করে মানব-মেলবন্ধন ঘটে সকলের। তবে আজ, রবিবার রাজাপুর জগন্নাথ মন্দির থেকে দুপুর ২ টোর সময় শুরু হবে রথযাত্রা। ৫ কিলোমিটার অতিক্রম করে রথ যাবে চন্দ্রোদয় মন্দির ইসকন মায়াপুরে। উল্টোরথের দিন, ১৫ জুলাই সোমবার পুনরায় রথ ফিরে যাবে রাজাপুরের জগন্নাথ মন্দিরে।

    ৫৬ ভোগ ও দীপ দান

    এবছর ৭ জুলাই থেকে ১৫ জুলাই পর্যন্ত ইসকন (Iskcon Rath Yatra) মায়াপুরে (Mayapur) অস্থায়ী গুন্ডিচা মন্দিরে মাসির বাড়িতে জগন্নাথদেব অবস্থান করবেন। এবছর পঞ্চতত্ত্ব মন্দিরে গুন্ডিচা মন্দির স্থাপন করা হয়েছে, সেখানেই চলবে ৫৬ ভোগ, দীপ দান, জগন্নাথ অষ্টকম্-স্তোত্র পাঠ করা হবে। পাশাপাশি বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কার্যক্রম, ভজন-কীর্তন, নাটক ও নৃত্যানুষ্ঠান এবং সর্ব সাধারণের মধ্যে প্রসাদ বিতরণ করা হবে।

    টানা সাতদিন ধরে চলবে অনুষ্ঠান

    মায়াপুর ইসকন (Iskcon Rath Yatra) মন্দিরের রথযাত্রা পরিচালন কমিটির সদস্য শ্রীমধু রসোমতি দাস বলেন, রথযাত্রা উপলক্ষে মায়াপুর ইসকনে টানা সাত দিন ধরে বিভিন্ন অনুষ্ঠান চলবে। গোটা বিশ্ব থেকে বিভিন্ন ভক্ত এই সব অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন। প্রতি বছরের মতো আমরা মায়াপুর (Mayapur) ইসকন মন্দির থেকে প্রায় পাঁচ কিলোমিটার দূরে রাজাপুর থেকে বলরাম, সুভদ্রা এবং জগন্নাথদেবকে নিয়ে আসব। উল্টোরথের দিন তাঁরা পুনরায় আবার মায়াপুর ইসকন মন্দির থেকে রাজাপুরে ফিরে যাবেন। তবে, প্রতি বছর বিভিন্ন প্রতিষ্ঠিত সেলিব্রিটিরা এই রথযাত্রা উপলক্ষে ইসকন মন্দিরে আসতেন। এ বছর আমরা সেটা করছি না। ইসকন মন্দিরের সেবায়েত জগন্নাথ কৃপা দাস বলেন, ৫ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে সন্ধ্যায় রথ তিনটি প্রবেশ করবে মায়াপুর ইসকন মন্দির প্রাঙ্গনে। এই রথযাত্রা উৎসব উপলক্ষে দেশ-বিদেশ থেকে আগত দর্শনার্থীদের সার্বিক সুরক্ষার দিকে নজর রেখে প্রশাসনিক নিতাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয় মন্দির নগরী মায়াপুরকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Jalpaiguri: জলপাইগুড়িতে বিজেপি নেতাকে গ্রেফতার করে বিপাকে পুলিশ! শোরগোল

    Jalpaiguri: জলপাইগুড়িতে বিজেপি নেতাকে গ্রেফতার করে বিপাকে পুলিশ! শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সরকারি খাস জমিতে রেস্তোরাঁ বানানোর অভিযোগে বিজেপির এক নেতাকে গ্রেফতার করে বিপাকে পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাতে জলপাইগু়ড়ির (Jalpaiguri) গজলডোবার ভোরের আলো থানার পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে। অভিযোগ উঠেছিল, সরকারি খাসজমি দখল করে রেস্তোরাঁ বানিয়েছেন ওই বিজেপি (BJP) নেতা। ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দফতরের নির্দেশে উত্তম রায়কে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে পুলিশের পক্ষ থেকে পরিবারের সদস্যদের জানানো হয়। যদিও শুক্রবার উত্তম রায়কে জলপাইগুড়ি আদালতে তোলার পর সরকারি আইনজীবী মৃন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, কাগজ বদলে জমি দখল করার অভিযোগে উত্তম রায়কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। উত্তম রায় রাজগঞ্জ ব্লকের মান্তাদরি উত্তর মণ্ডলের প্রাক্তন সম্পাদক। তাঁর স্ত্রী মায়ারানি রায় বিজেপির মহিলা মোর্চার জলপাইগুড়ি জেলার সম্পাদিকা।

     গ্রেফতারি নিয়ে উঠছে প্রশ্ন (Jalpaiguri)

    রাজগঞ্জ ব্লক (Jalpaiguri) ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দফতেরে আধিকারিক সুখেন রায় বলেন, এই জমি আমরা পুলিশকে তদন্ত করে দেখতে বলেছিলাম। সরকারি নথিতে এই জমির আরও একজনের নাম মালিকানায় দেখা যাচ্ছে। কার জমি সেটা খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছিল। আমরা পুলিশ গ্রেফতার করতে বলিনি। 

    রেস্তোরাঁ ভাঙতে এসেও কেন ফিরে গেল প্রশাসন?

    শুক্রবার সকালে রাজগঞ্জের (Jalpaiguri) বিডিও প্রশান্ত বর্মন, ব্লক ভূমি ও ভূমি রাজস্ব আধিকারিক সুখেন রায় বিশাল পুলিশ বাহিনী নিয়ে উত্তম রায়ের রেস্তোরাঁ ভেঙে জমি দখলে নিতে যান। সেই সময় উত্তম রায়ের ছেলে তাপস রায় বিডিওর হাতে তাঁদের জমির পাট্টা ও অন্যান্য নথিপত্র তুলে দেন। যা  দেখার পর রেস্তোরাঁ না ভেঙে বিডিও দলবল নিয়ে সেখান থেকে ফিরে যান।

    কী বলছেন বিজেপি নেতা ও তাঁর স্ত্রী?

    মায়ারানি রায় ও উত্তম রায় শুক্রবার জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) আদালতের চত্বরে দাঁড়িয়ে সাংবাদিকদের বলেন, আমরা ৩৫ বছর ধরে এই জমিতে বসবাস করছি। জমির পাট্টা রয়েছে। সেই কাগজ দেখিয়ে ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ পেয়েছি। রান্নার গ্যাসের কমার্শিয়াল লাইন নিয়েছি। রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকে বিনা দোষে গ্রেফতার করা হয়েছে। আসলে ভূমি দফতর বিষয়টি পুলিশকে দেখার কথা বলেছে। আর আমি বিজেপি করি। তাই, পুলিশ আমাকে গ্রেফতার করে তৃণমূলের কতটা দলদাস তা বুঝিয়ে দিয়েছে। আমাদের প্রশ্ন, তাহলে শিলিগুড়ি পুরসভার তৃণমূল কাউন্সিলর রঞ্জন শীলশর্মাকে কেন গ্রেফতার করা হচ্ছে না। তিনি সরকারি জমি দখল করে পুকুর,  বাগানবাড়ি বানিয়েছিলেন। তা ভেঙে দিয়ে পুলিশ প্রশাসন জমি উদ্ধার করে সরকারের সাইনবোর্ড টাঙিয়ে দিয়েছে। আমরা এই অন্যায়ের সুবিচার চায়।

    আরও পড়ুন: সোনারপুরে বিজেপি কর্মীর ওপর হামলা, স্ত্রী-পুত্রকে ধারালো অস্ত্রের কোপ, অভিযুক্ত তৃণমূল

    কী বলছে বিজেপি?

    ডাবগ্রাম- ফুলবাড়ির বিধায়ক বিজেপির (BJP) শিখা চট্টোপাধ্যায় বলেন, উত্তম রায়কে বিনা দোষে গ্রেফতার করা হয়েছে। আমরা যতদূর যাওয়া যাবে। গজলডোবায়, শিলিগুড়ি পুরসভার একাধিক তৃণমূল কাউন্সিলর, অনেক বড় বড় নেতা সরকারি জমি দখল করে আছেন। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মেনে পুলিশ কেন তাদের গ্রেফতার করে সেই সব জমি উদ্ধার করছে না?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share