Tag: WHO

WHO

  • Quit Tobacco: ‘তামাক বর্জন করুন…’, আহ্বান জানিয়ে প্রথম গাইডলাইন আনল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

    Quit Tobacco: ‘তামাক বর্জন করুন…’, আহ্বান জানিয়ে প্রথম গাইডলাইন আনল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তামাক সেবন (Quit Tobacco) বন্ধ করতে সম্প্রতি একটি কর্মসূচি নিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)। হু-এর কথায় তামাক হচ্ছে ভবিষ্যতের অগ্রগতির পথে বাধা (Tobacco–a threat to Development)। তামাক সেবনের জেরে যাতে আগামী প্রজন্ম আক্রান্ত না হয়, তার দিকে সদা নজর রাখছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। হু-এর প্রতিনিধিরা দেখেছেন, অনেকে তামক বর্জনের চেষ্টা করেও ফল পাচ্ছেন না। তাই হু-এর তরফে এবার তামাক বর্জনের জন্য নির্দেশিকা জারি করা হল।

    ভয়ঙ্কর পরিসংখ্যান 

    পরিসংখ্যান বলছে, একটি সিগারেট ১১ মিনিট করে জীবন কমিয়ে দেয়। একটি পুরো প্যাকেট সিগারেট শেষ করে দেয় জীবনের অমূল্য ৪০টা মিনিট। আমাদের দেশে প্রতি ঘণ্টায় তামাক সেবনের জেরে মৃত্যু হয় ১৩৭ জনের। আর বিশ্বে প্রতি ৬ সেকেন্ডে একজনের মৃত্যু হয়। ধূমপায়ীদের আয়ু, যাঁরা ধূমপান করে না, তাদের চেয়ে গড়ে ২২ থেকে ২৬ শতাংশ কম হয়। হু (WHO)-র সার্ভে বলছে, ২০৫০ সালের মধ্যে তামাক সেবনকারী মানুষের সংখ্যা হবে ২২০ কোটি। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শ হলো, ধূমপান ছেড়ে দিন। কারণ সুস্থ থাকতে চাইলে ধূমপান বর্জন করা জরুরি। অনেকেই ধূমপান ছাড়তে চেয়েও পারেন না। কারণ তাদের এই অভ্যাস ত্যাগের প্রক্রিয়া অনেক সময় সঠিক থাকে না। ধূমপানের মতো অভ্যাস (Quit Tobacco) চাইলেই একদিনে ছাড়া সম্ভব হয় না। কিছুটা সময় নিতে হয়।

    আরও পড়ুন: প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা নিয়ে কড়া বার্তা ভারতের, সীমান্ত সমস্যা মেটাতে উদ্যোগী চিন

    তামাক বর্জনে নানা ওষুধ (Quit Tobacco)

    নেশা ছাড়ার ইচ্ছে ও মনোবল থাকলে, কাউন্সেলিংয়ের পাশাপাশি ওষুধ ও নিকোটিন রিপ্লেসমেন্ট থেরাপির (এনআরটি) মিশেলে তামক বর্জনের (Quit Tobacco) কাজটা তুলনায় অনেক সহজ। ভার্নেক্লাইন নামক একটি বড়ির সাহায্য নিতে পারা যায়। এটি কিনতে গেলে চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন লাগে। নানা ওষুধ ব্যবহার করেও যাঁরা তামাক বর্জন করতে পারেনি তাৎা এই ওষুধ ব্যবহার করতে পারেন। বুপ্রোপিওন (Bupropion) প্রধানত বিষণ্ণতা রোধের জন্য ব্যবহৃত একটি অ্যান্টিডিপ্রেসেন্ট ওষুধ। এটি ধূমপান বন্ধ করতে সহায়তা করে। উদ্ভিদের দেহ থেকে পাওয়া যৌগ সাইটিসাইন (stop smoking compound) সাধারণ ভাবে ধূমপানের নেশা ছাড়াতে ‘নিকোটিন রিপ্লেসমেন্ট থেরাপি’-র থেকেও বেশি কার্যকরী। সমস্যা একটাই। মধ্য ও পূর্ব ইউরোপের দেশগুলি ছাড়া বিশ্বের প্রায় অন্য কোথাও এর ব্যবহারে লাইসেন্স নেই। এবার সাইটিসাইন ব্যবহারের কথা বলল বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থাও (WHO)।

    নিকোটিন রিপ্লেসমেন্ট থেরাপি 

    নিকোটিন রিপ্লেসমেন্ট থেরাপি হল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) অনুমোদিত ১২ সপ্তাহের একটি চিকিৎসা পদ্ধতি, যা ধূমপায়ীদের আসক্তি কমাতে ও ধূমপান ছাড়তে সাহায্য করে। ৬০ থেকে ৯০ দিনের এই থেরাপি করাতে প্রতি দিনের খরচ ১০ থেকে ১৩ টাকা। এই পদ্ধতিতে চিউইংগাম ছাড়াও ধূমপান ছাড়ানোর জন্য লজেন্স ও ট্রান্সডারমাল প্যাচের মতো দ্রব্য ব্যবহার করা হয়। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • World Blood Donor Day: রাজ্যের অধিকাংশ ব্লাড ব্যাঙ্কের সামনে লম্বা লাইন! কেন বাড়ছে সংকট?

    World Blood Donor Day: রাজ্যের অধিকাংশ ব্লাড ব্যাঙ্কের সামনে লম্বা লাইন! কেন বাড়ছে সংকট?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    রাজ্য জুড়ে বাড়ছে রক্তের সংকট। ভোগান্তি বাড়ছে রোগীদের। এক হাসপাতাল থেকে আরেক হাসপাতালে ছুটছেন রোগীর আত্মীয়-পরিজন। সরকারি হোক কিংবা বেসরকারি, রাজ্যের অধিকাংশ ব্লাড ব্যাঙ্কের সামনে লম্বা লাইন। দীর্ঘ অপেক্ষার পরেও কার্যত বিফল হয়েই ফিরে যেতে হচ্ছে। আর এর জেরেই বিপদ বাড়ছে রোগীদের। রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, জটিল অস্ত্রোপচার থেকে মুমূর্ষু রোগী, ব্লাড ব্যাঙ্কে রক্তের আকালের (World Blood Donor Day) জেরে ভোগান্তি বাড়ছে।

    কাদের বিপদ বাড়ছে?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, রক্তের সংকটের জেরে সব চেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত হাজার হাজার মানুষ। তাঁরা জানাচ্ছেন, এই রাজ্যের কয়েক লাখ মানুষ থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত। আক্রান্তের তালিকায় শিশু থেকে বয়স্ক, সব বয়সের মানুষ রয়েছেন। নির্ধারিত সময়ে তাদের রক্তের প্রয়োজন হয়। কিন্তু ব্লাড ব্যাঙ্কে পর্যাপ্ত রক্ত না থাকায়, তাদের বিপদ বাড়ছে (Blood Crisis)। ঠিক সময়ে রক্তের জোগান না হলে তাদের প্রাণ-সংশয় হতে পারে। 
    রক্তের অসুখে আক্রান্ত রোগীদের পাশপাশি যে কোনও জটিল অস্ত্রোপচারের ক্ষেত্রে বাধার কারণ হচ্ছে রক্তের সংকট (World Blood Donor Day)। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, যে কোনও জটিল অস্ত্রোপচারে রক্তের জোগান থাকা জরুরি। কিন্তু বর্তমানে রাজ্যের একাধিক ব্লাড ব্যাঙ্কে রক্তের জোগান নেই। তাই পরিস্থিতি বিপজ্জনক। 
    এছাড়াও জরুরি বিভাগে রোগীর চিকিৎসা করা কঠিন হয়ে উঠছে বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ।‌ তাঁরা জানাচ্ছেন, দুর্ঘটনা বা কোনও আপৎকালীন রোগীকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালের ব্লাড ব্যাঙ্কে সব গ্রুপের পর্যাপ্ত রক্তের জোগান থাকা জরুরি। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রে রক্ত পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে চিকিৎসা শুরু করতেই অনেকটা সময় চলে যাচ্ছে।

    রক্তের সংকট কতখানি? কী বলছে স্বাস্থ্য দফতরের হিসেব? (World Blood Donor Day)

    স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, গত কয়েক বছর ধরেই রাজ্যে রক্তের সংকট দেখা দিচ্ছে। স্বাস্থ্য দফতরের এক কর্তা জানান, গোটা রাজ্যে দৈনিক গড়ে চার থেকে পাঁচ হাজার ইউনিট রক্তের প্রয়োজন হয়। অর্থাৎ বছরে ১৪ লাখ ইউনিটের বেশি রক্তের প্রয়োজন হয়। গত বছরেও রাজ্যের সরকারি ও বেসরকারি ব্লাড ব্যাঙ্ক মোট ১০ লাখ ইউনিট রক্ত সংগ্রহ করেছিল। চলতি বছরে এই সংগ্রহের পরিমাণ আরও কম হতে পারে বলেই আশঙ্কা করছেন স্বাস্থ্য কর্তাদের একাংশ।

    কেন রাজ্যে রক্তের সংকট? (Blood Crisis)

    রক্তদান কর্মসূচির সঙ্গে যুক্ত কর্মীদের একাংশ জানাচ্ছেন, রাজ্যের মোট রক্তদান শিবিরের ৬০ শতাংশ রাজনৈতিক দলের উদ্যোগে হয়। বাকি ৪০ শতাংশ স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বা ব্যক্তিগত উদ্যোগে হয়। কিন্তু চলতি বছরে গরমের পারদ বেশি‌। তাই প্রথম থেকেই রক্তদান শিবিরের আয়োজন (World Blood Donor Day) কম হয়েছে। তার উপরে ছিল নির্বাচন। রাজনৈতিক দল নির্বাচনের কাজেই ব্যস্ত ছিল। ফলে, রক্তদান শিবিরের আয়োজন বিভিন্ন জায়গায় দীর্ঘ দিন ধরে হয়নি। এছাড়াও, স্বেচ্ছায় রক্তদানের পরিবর্তে, উপহারের বিনিময়ে রক্তদানের আয়োজনে মদত দিচ্ছেন অনেক রাজনৈতিক দল। এমন অভিযোগও উঠছে। এই সব কিছুর জেরেই রক্তদানের উৎসাহ কমছে। যার জেরে ভোগান্তি বাড়ছে রোগীদের।

    বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শ কী? (who) 

    ১৪ জুন ওয়ার্ল্ড ব্লাড ডোনার ডে। এই উপলক্ষে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, তরুণ প্রজন্মের মধ্যে রক্তদানের উৎসাহ বাড়ানো দরকার। তাহলেই রক্তের সংকট কমবে। কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে রক্তদান কর্মসূচি পালনে জোর দিতে হবে। রক্তদান সামাজিক দায়িত্ব-এই বিষয়ে সব মহলের আরও জোরালো প্রচার জরুরি বলেও জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। পাশপাশি, রক্তদান করলে রক্তদাতাও সুস্থ থাকে, এবিষয়েও প্রচার জরুরি (World Blood Donor Day)।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • World Hemophilia Day 2024: এখনই সতর্ক হোন, হিমোফিলিয়ার সমস্যা গুরুতর আকার নিতে পারে!

    World Hemophilia Day 2024: এখনই সতর্ক হোন, হিমোফিলিয়ার সমস্যা গুরুতর আকার নিতে পারে!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেটে যাওয়ার কিছু ক্ষণের মধ্যে রক্তপাত বন্ধ হয়ে যাওয়াই তো স্বাভাবিক। কিন্তু অনেকের ক্ষেত্রেই দেখা যায় রক্তপাত বন্ধ হতেই চায় না। এই সমস্যা গুরুতর আকার নিতে পারে। আজ অর্থাৎ ১৭ এপ্রিল বিশ্ব হিমোফিলিয়া দিবস (World Hemophilia Day 2024)। হিমোফিলিয়া বা রক্ত বন্ধ না হওয়ার সমস্যায় ভুগছে সারা বিশ্বে লক্ষ লক্ষ প্রাপ্তবয়স্ক মহিলা ও অল্পবয়সী মেয়েরা। হিমোফিলিয়ার সমস্যা সম্পর্কে আমাদের সচেতনতা প্রায় নেই বললেই চলে। তাই এই সমস্যায় সচেতনতা (awareness) গড়ে তুলতে ১৭ এপ্রিলকে বিশ্ব হিমোফিলিয়া দিবস ঘোষণা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)। একটি রিপোর্ট অনুসারে, ভারতে প্রতি ১০,০০০ জন্মে ১ জন (পুরুষ ও মহিলা) হিমোফিলিয়ায় ভুগছেন।

    কেন হয় হিমোফিলিয়া(World Hemophilia Day 2024)?

    সাধারণত বাবা অথবা মা, অথবা উভয়ের কাছ থেকেই এই রোগ শিশুর দেহে বাহিত হয়। আসলে, কখনও কখনও জন্মের পরে, অটোইমিউন ডিসঅর্ডার, ক্যানসার, মাল্টিপল স্কলেরোসিস, ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ও কখনও কখনও গর্ভাবস্থায়, ক্লোটিং ফ্যাক্টর প্রোটিন তৈরিকারী জিনটির সমস্যা হতে শুরু করে। যা এই রোগের কারণ হতে পারে । এমন অনেক জন্মগত রোগ রয়েছে, যেগুলির সময়মতো চিকিৎসা (Treatment) না হলে পরে মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে। এরকম একটি মারাত্মক রোগ হল হিমোফিলিয়া (World Hemophilia Day 2024)।

    রোগের লক্ষণ

    যে শিশুরা হিমোফিলিয়া (World Hemophilia Day 2024) নিয়ে জন্মায় তাদের শরীরে সহজে কালশিটে পড়ে বা ভিতরে ভিতরে রক্তপাত হওয়ার সমস্যা দেখা যায়। সাধারণত শরীরের বিভিন্ন গাঁটের কাছে রক্তপাত হয়। রক্তপাতের সময় গাঁটে অস্বস্তি বা কোনও রকম ব্যথা অনুভূত হতে পারে। এছাড়াও দুর্ঘটনা বা আঘাতের পরে দীর্ঘ সময় ধরে ক্ষত থেকে অবিরাম রক্তপাত৷ ঘন ঘন নাক থেকে রক্তপাত (Bleeding)৷ মাড়ি থেকে রক্তপাত এবং দাঁত অপসারণ বা ভাঙার পরে বা যেকোনও ধরনের অস্ত্রোপচারের পরে রক্তপাত বন্ধ করতে দেরি বা অক্ষমতা। টিকা বা ইনজেকশনের পরে রক্তপাত এই রোগের লক্ষণ৷

    আরও পড়ুনঃ তাপপ্রবাহের সতর্কতা কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের ১৫ জেলায়, বিশেষ বুলেটিন হাওয়া অফিসের

    যদি চিকিৎসা না করা হয় তা হলে জয়েন্ট স্টিফনেস হতে পারে। কোনও কোনও ক্ষেত্রে গাঁট ফুলে উঠতে পারে। প্রকৃতপক্ষে, হিমোফিলিয়া (Hemophilia) নামের মারাত্মক রোগটি শিশুর জন্মের পর থেকেই ৮ এবং ৯ ফ্যাক্টরের অভাবের কারণে ঘটে। এমতাবস্থায় প্রাথমিক পর্যায়ে এটি শনাক্ত এবং চিকিৎসা না করা হলে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই রোগ মারাত্মক আকার ধারণ করে। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, হিমোফিলিয়া কখনই সম্পূর্ণ সারানো সম্ভব নয়। তবে সচেতন থাকলে চিকিৎসার মাধ্যমে গুরুতর সমস্যা থেকে দূরে থাকা যায়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Corona Update: করোনার গ্রাফ উর্ধ্বমুখী হতেই বিতর্কে রাজ্য! পরীক্ষা নিয়ে গড়িমসির অভিযোগ!

    Corona Update: করোনার গ্রাফ উর্ধ্বমুখী হতেই বিতর্কে রাজ্য! পরীক্ষা নিয়ে গড়িমসির অভিযোগ!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বছর শেষে ফের চোখ রাঙানি! করোনা সংক্রমণ (Corona Update) নিয়ে উদ্বিগ্ন গোটা দেশ। কয়েক দিন‌ আগেই কেরলে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছিল। সতর্ক হয়েছিল গোটা দেশ। কিন্তু করোনার গ্রাফ বাড়তেই ফের বিতর্কে পশ্চিমবঙ্গ। সংশ্লিষ্ট মহল জানাচ্ছে, ডেঙ্গি হোক বা করোনা‌, যে কোনও ধরনের সংক্রামক রোগ সামলাতেই বারবার রাজ্যের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ ওঠে। কবে ঠিক হবে পরিস্থিতি?

    কী অভিযোগ উঠছে? (Corona Update)

    রাজ্যের একাধিক জায়গায় খোদ চিকিৎসকদের একাংশ অভিযোগ করছেন, করোনা‌ পরীক্ষা নিয়ে অনাবশ্যক জটিলতা তৈরি হচ্ছে।‌ জ্বর, সর্দি,‌ কাশির মতো উপসর্গ দেখা দিলে করোনা পরীক্ষার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। বহু রোগী, যাদের ডায়বেটিস, হৃদরোগ কিংবা কিডনির মতো সমস্যা রয়েছে, তাদের জন্য করোনা পরীক্ষা দ্রুত হওয়া উচিত। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই পরীক্ষা করানো নিয়ে গড়িমসি হচ্ছে। পাশপাশি কোথায় করোনা পরীক্ষা করা হবে, সে নিয়েও রোগী ও পরিজনকে হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে।‌ অভিযোগ, বহু ক্ষেত্রে সরকারি হাসপাতালে গিয়ে জানা যাচ্ছে, করোনা (Corona Update) পরীক্ষা করার নমুনা সংগ্রহের উপকরণ নেই। তাই পরীক্ষা করা যাবে না।‌ রোগী এক হাসপাতাল থেকে আর এক হাসপাতালে ঘুরতে বাধ্য হচ্ছেন।

    সংক্রামক রোগ মোকাবিলায় কেন প্রশ্নের মুখে রাজ্য?

    সংক্রামক রোগে বারবার প্রশ্নের মুখে রাজ্যের ভূমিকা। এমনই জানাচ্ছেন চিকিৎসক মহল। বছরভর ডেঙ্গি পরীক্ষা নিয়ে রাজ্যের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ ওঠে। পরীক্ষার পাশপাশি ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা নিয়ে নানান বিতর্ক তৈরি হয়। কেন্দ্রের কাছে তথ্য না পাঠানো, এমনকী সঠিক তথ্য প্রকাশ না করার মতো অভিযোগ ওঠে বারবার।‌ এবার করোনা পরীক্ষা নিয়েও গড়িমসির অভিযোগ।‌ জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, করোনা পরীক্ষা সময়মতো করতে না পারলে বিপদ বাড়বে। রাজ্যবাসীকেই ভুগতে হবে। কারণ, রোগ সময়মতো নির্ণয় করতে না পারলে, নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না। যে কোনও সংক্রামক রোগ প্রথম থেকে নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে, বিপদ বাড়বে। তাই করোনা (Corona Update) পরীক্ষা করার সুযোগ সব জায়গায় রাখতে হবে। তবেই করোনার এই‌ নতুন প্রজাতির বিরুদ্ধে লড়াই সহজ হবে।

    কী বলছেন রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারা?

    রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারা অবশ্য কোনও রকম গড়িমসির অভিযোগ মানতে নারাজ। এক স্বাস্থ্যকর্তা জানান, দিন কয়েক আগেই করোনা (Corona Update) পরিস্থিতি নিয়ে উচ্চস্তরের বৈঠক‌‌ হয়েছে। রাজ্য প্রশাসনের শীর্ষ মহল করোনা পরিস্থিতিতে নজর রাখছে। গড়িমসির প্রশ্নই নেই। তবে, কোথাও কোনও সমস্যা হলে সংশ্লিষ্ট মহল দ্রুত পদক্ষেপ করছে। করোনা পরিস্থিতি এ রাজ্যে উদ্বেগজনক নয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • WHO: মিষ্টি পানীয় ও মদের ওপর বেশি কর চাপানোর প্রস্তাব দিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, কেন জানেন?

    WHO: মিষ্টি পানীয় ও মদের ওপর বেশি কর চাপানোর প্রস্তাব দিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অ্যালকোহল এবং মিষ্টি জাতীয় সমস্ত রকমের অস্বাস্থ্যকর খাদ্য-পানীয়ের ওপর বেশি করে কর চাপানোর পরামর্শ দিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)। মঙ্গলবারই বিশ্ব সংস্থা সংস্থার তরফে একটি রিপোর্ট সামনে এসেছে। সেখানে বিশ্বের প্রায় সমস্ত দেশেরই মদ এবং মিষ্টি পানীয়ের উপরে যে কর রয়েছে বর্তমানে, তা পর্যালোচনা করা হয়েছে। ওই রিপোর্টে বলা হচ্ছে, অস্বাস্থ্যকর এই সমস্ত পানীয়ের ওপর যে কর দেশগুলি চাপিয়েছে, তা খুবই কম। বিশেষত ইউরোপের দেশগুলির ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে যে মদের উপরে তারা কোনও করই চাপায়নি।

    মদ্যপানের কারণে প্রতিবছর মারা যান ২৬ লাখ মানুষ

    বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী প্রতিবছরই ২৬ লাখ মানুষের মৃত্যু হয় শুধুমাত্র অতিরিক্ত মদ্যপানের কারণে। ৮০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয় অস্বাস্থ্যকর খাবারের কারণে। তাই ‘হু’ (WHO) মনে করে এই সমস্ত খাদ্য পানীয়গুলির উপরে অতিরিক্ত পরিমাণে কর চাপালে মানুষের মৃত্যুর হার অনেকটাই হ্রাস পাবে। এবং সারা বিশ্বের সামগ্রিক স্বাস্থ্য অনেকটাই ভালো হবে। এর পাশাপাশি মদ এবং মিষ্টি জাতীয় পানীয় এড়িয়ে চলার জন্যও সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছে ‘হু’ (WHO)।  অন্যদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা উদাহরণ দিয়েছে, মদ্যপানের কারণে মৃত্যুর ঘটনা বাড়তে থাকে লিথুয়ানিয়া নামক দেশে। ২০১৭ সালে সেদেশের সরকার অ্যালকোহল জাতীয় পানীয়ের ওপর করের পরিমাণ অনেকটাই বাড়িয়ে দেয়। এর ফলে সে দেশের মৃত্যুর হার দু’ বছরে ২৩.৪ শতাংশ থেকে কমে ১৮.১ শতাংশ নেমে আসে।

    মদ্যপান এড়িয়ে গেলে কমে আসে নানা রোগের ঝুঁকি

    বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এটাও মনে করে যে মানুষের ওপর মদ বা মিষ্টি পানীয়গুলির খারাপ প্রভাব সম্পর্কে সচেতনতা বাড়লে ক্যানসার, ডায়াবেটিস, হার্টের অসুখ, উচ্চ রক্তচাপ এবং স্থূলত্বের মতো সমস্যাগুলিও নিয়ন্ত্রণে থাকবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) তরফে রাডিগার ক্রেচ এবিষয়ে বলেন, “অস্বাস্থ্যকর পানীয়ের উপর কর ধার্য করলে যদি মানুষের হুঁশ ফেরে। শুধু স্বাস্থ্যই নয়, সমাজের উপরেও ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে যদি মানুষ একটু সচেতন হন। মদের উপর করের পরিমাণ বাড়লে রাস্তাঘাটে দুর্ঘটনা কিংবা ট্র্যাফিক আইন ভাঙার প্রবণতাও কমবে বলে মনে হয়।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ayush: প্রথাগত ঔষধি নিয়ে ‘হু’ এবং আয়ুষ মন্ত্রকের আন্তর্জাতিক সম্মেলনের ঘোষণা

    Ayush: প্রথাগত ঔষধি নিয়ে ‘হু’ এবং আয়ুষ মন্ত্রকের আন্তর্জাতিক সম্মেলনের ঘোষণা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘হু’ এবং কেন্দ্রীয় আয়ুষ মন্ত্রকের (Ayush) যৌথ উদ্যোগে প্রথাগত ঔষধির উপর হতে চলেছে আন্তর্জাতিক সম্মেলন। আগামী ১৭ এবং ১৮ অগাস্ট গুজরাটের গান্ধীনগরে তা হবে বলে দিল্লিতে ন্যাশনাল মিডিয়া সেন্টারে সাংবাদিক সম্মেলন করে জানিয়েছে কেন্দ্রের আয়ুষ মন্ত্রক।

    কেন্দ্রীয় আয়ুষ (Ayush) মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী কী বললেন?

    কেন্দ্রীয় আয়ুষ মন্ত্রকের (Ayush) প্রতিমন্ত্রী মুঞ্জপারা মহেন্দ্রভাই কালুভাই ওই সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, এই সম্মেলনের প্রধান আয়োজক ‘হু’। সেই সঙ্গে ভারতের আয়ুষ মন্ত্রক সহকারী আয়োজক হিসাবে একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলনের আয়োজন করবে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সেই সঙ্গে বলেন, ভারতীয় প্রথাগত ঔষধি এবং চিকিৎসা পদ্ধতির এই আলোচনাচক্র বিশেষভাবে লাভজনক হবে। হু ভারতের প্রথাগত ঔষধি এবং চিকিৎসা পদ্ধতিকে আন্তর্জাতিক স্তরে নিয়ে যেতে বেশ কার্যকর হবে বলে মত প্রকাশ করেছেন এই মন্ত্রী। তিনি আরও বলেন, গত বছর গুজরাটের জামনগরে প্রথাগত ঔষধির একটি বিশেষ কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। এই কেন্দ্রটি ইতিমধ্যে দেশের প্রথাগত ঔষধিকে আন্তর্জাতিক স্তরে নিয়ে যেতে বেশ ভালো কাজ করছে। এই সম্মেলন ভারতের প্রথাগত ঔষধির আন্তর্জাতিক বাজার তৈরিতেও বিশেষ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করেন তিনি। ভারতের ডিজিটাল পরিকাঠামো, প্রশিক্ষণ এবং সেই সঙ্গে অনুশীলন-সবটা মিলিয়ে ভারতের বিশ্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষার দিকে ক্রমশ এগিয়ে যাওয়ার কথাও সাংবাদিক সম্মেলনে তুলে ধরেন তিনি।

    সম্মেলন কেমন হবে?

    ডব্লুএইচও (হু)-এর মহা নির্দেশক ডঃ টেড্রোস আধানম ঘেব্রেয়েসুস, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মান্ডাভিয়া এবং আয়ুষের (Ayush) কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে উদ্বোধন করবেন। এছাড়াও দেশ-বিদেশ থেকে প্রচুর চিকিৎসক, অধ্যাপক, ছাত্র, গবেষক, স্বাস্থ্যকর্মী এবং বিভিন্ন সামজিক সংস্থা থেকে বিশেষজ্ঞরা যোগদান করবেন। এই সম্মেলনের মধ্যে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের প্রথাগত ঔষধির ওপর বিশেষ প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করা হবে। যোগা, মেডিটেশনের উপর বিশেষ প্রশিক্ষণের কথাও জানা গেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Covid: উদ্বেগ বাড়াচ্ছে করোনার নয়া প্রজাতি ‘ইজি-৫’, মৃত্যুর ঝুঁকি সবথেকে বেশি, বলছে ‘হু’

    Covid: উদ্বেগ বাড়াচ্ছে করোনার নয়া প্রজাতি ‘ইজি-৫’, মৃত্যুর ঝুঁকি সবথেকে বেশি, বলছে ‘হু’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: করোনা ভাইরাসের (Covid) নয়া প্রজাতি উদ্বেগ বাড়াচ্ছে বিশ্ববাসীর। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে নয়া এই প্রজাতির নাম EG.5। বর্তমানে ‘হু’ একাধিক করোনা ভাইরাসের প্রজাতি নিয়ে গবেষণা চালাচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। ‘হু’ জানিয়েছে, EG.5 প্রজাতির ভাইরাস আমেরিকা ও ইংল্যান্ডে ছড়িয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ডিরেক্টর জেনারেল টেড্রস আদহানম এক বিবৃতিতে একথা জানিয়েছেন। তাঁর মতে, ‘‘এটা আরও ভয়াবহ প্রজাতি। এর ঝুঁকি আরও বেশি। এর জেরে রোগের প্রকোপ আরও দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে। এতে মৃ্ত্যুর সংখ্য়া ক্রমশ বাড়তে পারে।’’ শুধু তাই নয়, EG.5 নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ঝুঁকি সংক্রান্ত একটি রিপোর্টও প্রকাশ করেছে।

    প্রতিটি দেশের কাছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সুপারিশ

    বুধবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কোভিড সম্পর্কিত ব্যাপারে একটা নয়া পরামর্শ সামনে এনেছে। সেখানে বিশ্বের সব দেশকেই বলা হচ্ছে যাতে তারা কোভিড সম্পর্কিত তথ্য দ্রুত জমা করে। শুধু জমা নয়, সেই তথ্য়ের উপর গবেষণাও করতে বলা হয়েছে। মূলত এই নয়া প্রজাতির ভাইরাসের (Covid) ক্ষেত্রে মৃত্যুহার কেমন, সেটা দেখার জন্যই একথা বলা হয়েছে। পাশাপাশি সমস্ত দেশে ভ্যাকসিন সংক্রান্ত ব্যাপারে কোথাও কোনও ঘাটতি রয়েছে কি না, সেটা দেখতে বলা হয়েছে ওই সুপারিশে।

    উদ্বেগ বাড়াচ্ছে নতুন প্রজাতির ভাইরাস

    ২০২০ সালের মার্চ মাসে ভারতে আঘাত হানে করোনা। তারপর চলতে থাকে একের পর এক ঢেউ। পরবর্তীকালে ২০২১ সালে এদেশে ভ্যাকসিন আসে। বিশ্বের সব থেকে শক্তিশালী ভ্যাকসিন হিসেবে আমাদের দেশের টিকা মান্যতা পেয়েছে। কোভিড নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে ভীতি আর তেমন নেই। এখন রাস্তাঘাটে আর সেভাবে মুখে মাস্কও দেখা যায় না। কোভিডে আক্রান্ত হওয়ার সংখ্য়াও কমছে। তার সঙ্গেই কোভিড (Covid) নিয়ে উদ্বেগও কমেছে। তবে  ‘হু’-এর নতুন নির্দেশিকা অনুসারে নতুন করে উদ্বেগ ছড়িয়েছে সাধারণ মানুষের মধ্যে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • HIV: এইচআইভি নিয়ে সচেতনতা তলানিতে, স্কুলের কর্মশালা বন্ধ! প্রশ্নের মুখে রাজ্যের ভূমিকা! 

    HIV: এইচআইভি নিয়ে সচেতনতা তলানিতে, স্কুলের কর্মশালা বন্ধ! প্রশ্নের মুখে রাজ্যের ভূমিকা! 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    বাঙালি পুরুষদের মধ্যে এইচআইভি (HIV) নিয়ে সচেতনতা কমছে। বিশেষত, বয়ঃসন্ধিকালে থাকা কিশোরদের মধ্যে এই নিয়ে সচেতনতা তলানিতে। আর এর জেরে বাড়ছে বিপদ। প্রশ্নের মুখে রাজ্য সরকারের ভূমিকা!

    কী বলছে সমীক্ষার রিপোর্ট? 

    সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রকের রিপোর্ট অনুযায়ী, পশ্চিমবঙ্গে এইচআইভি (HIV) নিয়ে সচেতনতা কমছে। বিশেষত ছেলেদের মধ্যে এই প্রসঙ্গে সচেতনতার হার বেশ কম। ওই সমীক্ষার রিপোর্ট অনুযায়ী, ১৫-২৫ বছর বয়সি ৫৪ শতাংশ ছেলের এইচআইভি সংক্রমণ সম্পর্কে ভ্রান্ত ধারণা রয়েছে। কীভাবে এই রোগ সংক্রমিত হয়, এই রোগের জেরে কী ধরনের শারীরিক সমস্যা হতে পারে, সে সম্পর্কে বিশেষ ধারণা নেই।

    বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শ মতো কী নির্দেশ (HIV) দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার? 

    বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শ অনুযায়ী, স্কুল স্তর থেকেই সমস্ত পড়ুয়াদের এইচআইভি সংক্রমণ সম্পর্কে সতর্ক করতে হবে। বয়ঃসন্ধিকালে থাকা পড়ুয়াদের পাঠ্যসূচিতেও রাখতে হবে। কীভাবে এই রোগ ছড়াতে পারে, এই ভাইরাস সম্পর্কে বৈজ্ঞানিক ভাবনাচিন্তা তৈরি করতে হবে, যাতে সমাজে কোনও রকম ভ্রান্ত ধারণা তৈরি না হয়। প্রয়োজনীয় কর্মশালার আয়োজন করতে হবে। 
    কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশ অনুযায়ী, স্কুলের পাঠ্যপুস্তকেই আটকে থাকলে চলবে না। পড়ুয়াদের সচেতন করতে একাধিক কর্মশালার আয়োজন জরুরি। এই রোগে আক্রান্ত মানেই সে অস্পৃশ্য নয়, কিংবা এই রোগ গোপন রাখার প্রয়োজন নেই, সে সম্পর্কে বোঝাতে হবে। প্রয়োজনীয় শারীরিক পরীক্ষার মাধ্যমে রোগ (HIV) নির্ণয় ও তার চিকিৎসা কতখানি জরুরি সে সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য স্কুল স্তর থেকেই নানান কর্মসূচি করতে হবে। সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে, সংক্রমণ আটকানো সম্পর্কে সতর্ক করার বিষয়ে। কোন ধরনের সাবধানতা অবলম্বন করলে এই রোগ সংক্রমণ আটকানো সম্ভব, সে সম্পর্কেও স্কুল স্তর থেকেই সচেতনতা তৈরি করার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।

    রাজ্য সরকারের ভূমিকায় প্রশ্ন কেন? 

    কিন্তু রাজ্যে এইচআইভি নিয়ে সচেতনতার হার কমার জন্য সবচেয়ে বেশি প্রশ্নের মুখে রাজ্য সরকারের ভূমিকা। স্কুল স্তরে নবম-দশম শ্রেণির পাঠ্য বইতে এইচআইভি (HIV) ভাইরাস সম্পর্কে উল্লেখ থাকলেও, এই নিয়ে কর্মশালা বা প্রয়োজনীয় আলোচনা স্কুলে হয় না বলেই অভিযোগ। স্বাস্থ্য ভবনে এই বিষয়ে দায়িত্বে থাকা এক কর্তা জানান, গত দেড় বছর ধরে রাজ্যের শিক্ষা দফতরের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করেও কর্মসূচি চূড়ান্ত করা যায়নি। কীভাবে বিভিন্ন জেলার স্কুল পড়ুয়াদের একসঙ্গে নিয়ে কর্মসূচি করা যায়, তা নিয়ে সমন্বয়ের অভাব রয়েছে। যদিও রাজ্য স্কুল শিক্ষা দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, গত আড়াই বছর করোনা মহামারির জেরে ঠিকমতো নিয়মিত স্কুল চালু হয়নি। অনিয়মিত স্কুলের জেরেই নানান কর্মসূচি আটকে রয়েছে। তাই সচেতনতা কর্মসূচি নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। কিন্তু আস্তে আস্তে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হচ্ছে। তাই ঘাটতি পূরণ দ্রুত হবে।

    কী বলছে বিশেষজ্ঞ মহল? 

    কিন্তু রাজ্য সরকারের এইচআইভি নিয়ে সচেতনতা প্রসারের সদিচ্ছা নিয়েও প্রশ্ন তুলছে বিশেষজ্ঞ মহল। সম্প্রতি রাজ্যের এক সরকারি হাসপাতাল জে এন এম মেডিক্যাল কলেজে ডায়লিসিস করাতে গিয়ে এইচআইভি সংক্রমণের অভিযোগ উঠেছিল। অভিযোগকারীদের সম্পর্কে কটূক্তি করেছিলেন রাজ্যের শাসক দলের একাধিক নেতা। বিশেষজ্ঞ মহলের প্রশ্ন, এই ভাইরাস ঘটিত রোগ (HIV) সম্পর্কে মানুষের একাধিক ভ্রান্ত ধারণা রয়েছে। তারপরেও যাঁরা এগিয়ে এসে এই রোগ সম্পর্কে মুখ খুলেছেন, যখন তাঁদের হুমকি দেওয়া হয়, তখন এই রোগ সম্পর্কে আদৌ সচেতনতা তৈরি করতে চায় কি রাজ্য? সে নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়। কিন্তু এই রোগ সম্পর্কে বিজ্ঞানসম্মত ধারণা গড়তে না পারলে, ভবিষ্যতে এইচআইভিও কিন্তু আরেক মহামারির রূপ ধারণ করতে পারে। এমনই আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Skin Cancer: দেশে বাড়ছে স্কিন ক্যানসার! কী বলছে বিশেষজ্ঞ মহল?

    Skin Cancer: দেশে বাড়ছে স্কিন ক্যানসার! কী বলছে বিশেষজ্ঞ মহল?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    ত্বকের ক্যানসারের ঝুঁকি কম ছিল ভারতে। কিন্তু সাম্প্রতিক এক রিপোর্ট কপালে ভাঁজ ফেলেছে বিশেষজ্ঞ মহলের। বিশ্বের প্রথম সারির বিভিন্ন দেশ বিশেষত ইউরোপীয় দেশগুলির অন্যতম স্বাস্থ্য সমস্যা ত্বকের ক্যানসার (Skin Cancer), যা এখন ভারতীয়দের জন্যও বেশ চিন্তা বাড়াচ্ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা মে মাসকে স্কিন ক্যানসার অ্যাওয়ারনেস মান্থ হিসাবে ঘোষণা করেছে। ভারতীয় ক্যানসার বিশেষজ্ঞ মহল জানাচ্ছে, আমাদেরও সতর্ক হওয়ার সময় এসেছে। তাই মে মাস জুড়ে চলছে নানান সচেতনতা কর্মসূচি। 

    কী বলছে সমীক্ষার রিপোর্ট? 

    ক্যানসার নিয়ে কাজ করা এক সর্বভারতীয় সংস্থা সম্প্রতি এক রিপোর্টে জানিয়েছে, ভারতে বাড়ছে ত্বকের ক্যানসার (Skin Cancer)। ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতে মোট ত্বকের ক্যানসারে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১ শতাংশ। কিন্তু গত এক বছরে তা বেড়ে হয়েছে, ৩.৫ শতাংশ।

    ভারতে কোন রাজ্যে স্কিন ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ছে? 

    ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, উত্তর-পূর্ব ভারতে, বিশেষত নাগাল্যান্ডে স্কিন ক্যানসারের (Skin Cancer) ঝুঁকি বাড়ছে। ভারতে যে স্কিন ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ছে, তার মধ্যে প্রথম সারিতেই রয়েছে নাগাল্যান্ড। বিশেষজ্ঞ মহলের ধারণা, ওই অঞ্চলের আবহাওয়ার পাশাপাশি খাদ্যাভ্যাস ও জীবন যাপনের ধরন স্কিন ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে। 

    কীভাবে বুঝবেন স্কিন ক্যানসার? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, চামড়ার রংয়ের পরিবর্তন স্কিন ক্যানসারের (Skin Cancer) প্রথম উপসর্গ। তাঁরা জানাচ্ছেন, দেহের যেসব জায়গা জামাকাপড়ে ঢাকা থাকে না, সূর্যের স্পর্শ পায়, সেখানে যদি চামড়ার রং দ্রুত বদলে যায়, আরও বাদামি বা কালো হতে থাকে, তাহলে তা স্কিন ক্যানসারের উপসর্গ বলা যেতে পারে। তার উপর যদি সাদা রঙের একাধিক শক্ত কিছু অনুভব হয়, তাহলে সেটাকেও চিকিৎসকরা উপসর্গ বলেই জানাচ্ছেন। আসলে, ওই শক্ত সাদা অংশ হল চামড়ার ভিতরের কোষগুলো কার্যহীন হয়ে পড়া। সেটা স্কিন ক্যানসারের অন্যতম উপসর্গ। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, চামড়ার রং পরিবর্তন ছাড়াও স্কিন ক্যানসারের অন্যতম উপসর্গ হল, তিলের চেহারা বদল। দেহের কোনও অংশে তিল থাকলে, হঠাৎ তার আকার আর রং বদলে গেলে, সেটা স্কিন ক্যানসারের লক্ষণ হতে পারে। তাই সতর্কতা জরুরি। 

    কী পরামর্শ দিচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহল? 

    বিশেষজ্ঞ মহল জানাচ্ছে, স্কিন ক্যানসারের (Skin Cancer) চিকিৎসা সম্ভব। কিন্তু এ দেশে এই সম্পর্কে সচেতনতা খুব কম। অনেক সময়ই চিকিৎসা ঠিক সময়ে শুরু করা হয় না। ফলে, দেরি হয়ে যায়। প্রথম ধাপেই চিকিৎসা শুরু হলে বড় বিপদ এড়ানো সম্ভব। তাই দেরি না করে, চামড়ায় কোনও রকম দাগ বা কোনও রকম বাড়তি মাংসপিণ্ড দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • School Hygiene: অনেক স্কুলেই নেই শৌচালয়, হাইজিন উইক-এ কাঠগড়ায় রাজ্যের পরিকাঠামো! 

    School Hygiene: অনেক স্কুলেই নেই শৌচালয়, হাইজিন উইক-এ কাঠগড়ায় রাজ্যের পরিকাঠামো! 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    সুস্থ থাকার প্রথম শর্ত পরিচ্ছন্নতা! হাত-পা পরিষ্কার করা, নিয়মিত স্নান, শৌচালয়ের ব্যবহার, শৌচাগারে পর্যাপ্ত জলের ব্যবহার আর মেয়েদের ঋতুস্রাব হলে নির্দিষ্ট স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা, এগুলি সম্পর্কে স্কুলেই পাঠ দেওয়া হোক শিশুদের। স্বাস্থ্যবিধি (School Hygiene) নিয়ে সতর্কতা তৈরি হলে জনস্বাস্থ্য নিয়েও সচেতনতা তৈরি হবে। এমনই পরিকল্পনা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার। মে মাসে তাই হাইজিন উইক পালন করা হয়। কিন্তু যে রাজ্যের একাধিক জেলায় স্কুলে একটিও শৌচালয় নেই, সেখানে স্বাস্থ্যবিধির পাঠ অনেকটাই সোনার পাথরবাটি বলেই মনে করছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।

    কী অবস্থায় রয়েছে রাজ্যের স্কুলগুলি? 

    সম্প্রতি এক আন্তর্জাতিক সংস্থা বিহার, ঝাড়খণ্ড, পশ্চিমবঙ্গ, অসম সহ পূর্ব ভারতের একাধিক রাজ্যের স্কুল নিয়ে সমীক্ষা চালায়। স্কুলের স্বাস্থ্যবিধির (School Hygiene) পরিকাঠামো নিয়েই মূলত ওই সমীক্ষা হয়। তার রিপোর্টে বলা হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গের একাধিক জেলায় বহু স্কুল ‘নো-টয়লেট’! অর্থাৎ, স্কুলে একটিও শৌচালয় নেই। ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়ি, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর, বীরভূমের অবস্থা এরমধ্যে সবচেয়ে শোচনীয়! জলপাইগুড়ি ও উত্তর দিনাজপুরের ২২ শতাংশ স্কুল ‘নো-টয়লেট’ অর্থাৎ, ২২ শতাংশ স্কুলে একটিও শৌচালয় নেই। বীরভূমের ১৭ শতাংশ স্কুল ও পুরুলিয়ার ১২ শতাংশ স্কুলে একটিও শৌচালয় নেই। 

    স্কুলে শৌচালয় না থাকায় কোন সমস্যা বাড়ছে?

    স্কুলে শৌচালয় (School Hygiene) না থাকার জেরে বাড়ছে স্কুলছুটের সংখ্যা। বিশেষত মেয়েরা স্কুলছুট হচ্ছে। কারণ, ঋতুস্রাবের সময় তাদের শৌচালয়ের বিশেষ প্রয়োজন হয়। কিন্তু সেই ন্যূনতম পরিকাঠামো না থাকায়, তাদের সমস্যা হয়। তাই ঋতুস্রাব হলে অধিকাংশ গ্রামীণ এলাকায় মেয়েরা স্কুলেই যায় না। তাছাড়া, তাদের স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহার সম্পর্কেও সচেতন করা হয় না। ফলে, নানান রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও থাকে। স্কুলে শৌচালয় না থাকা এক অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ বলেই জানাচ্ছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞেরা। স্কুলপড়ুয়ারা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও স্বাস্থ্যবিধি সম্পর্কে তখনই ওয়াকিবহাল হবে, যখন তারা অন্তত শৌচালয় ব্যবহারের সুযোগ পাবে। সেই পরিকাঠামো না থাকলে, স্বাস্থ্যবিধি বা হাইজিন, এই শব্দগুলি শুধু বইয়ের পাতার শব্দ হয়েই থেকে যাবে। জীবনে তার প্রয়োগ করতে তারা শিখবে না। স্কুলে শৌচালয় না থাকার জন্য নানা রোগের শিকার হচ্ছে পড়ুয়ারা। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞেরা জানাচ্ছেন, করোনা মহামারির সময় মানুষ টের পেয়েছেন, হাত ধোয়ার মতো স্বাস্থ্যবিধি কতখানি জরুরি। রোগ সংক্রমণ ঠেকাতে স্বাস্থ্যবিধি কতখানি সাহায্য করে। কিন্তু যেখানে রাজ্যের অধিকাংশ স্কুলে শৌচালয়, জলের কল নেই, সেখানে নানা সংক্রামক রোগ শক্তি বাড়াবে এবং পড়ুয়ারাও নানা ভাইরাসঘটিত রোগে ভুগবে, এই আশঙ্কা অমূলক কিছু নয়। কলেরা, ডায়ারিয়ার মতো রোগের ঝুঁকি তাই সব সময় গ্রামীণ এলাকায় বেশি হচ্ছে। বিশেষত এ রাজ্যের শিশুদের মধ্যে ডায়ারিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা প্রায়ই জানা যায়। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, স্কুলে শৌচালয় না থাকার জেরেই এই ধরনের রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে।

    কী বলছে ইউনিসেফ? 

    করোনা মহামারির প্রথম পর্ব শেষ হতেই আশঙ্কা প্রকাশ করেছিল ইউনিসেফ (United Nations children’s Funds)। তারা এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়েছিল, করোনা মহামারি থেকে শিক্ষা নিয়ে অন্তত সজাগ হোক সমস্ত স্কুল কর্তৃপক্ষ। শিশুদের স্বাস্থ্য সুরক্ষিত রাখতে স্বাস্থ্যবিধির তালিম দেওয়া হোক। বিশেষত হাত ধোয়ার উপরে বাড়তি জোর দেওয়া হোক। কীভাবে সাবান দিয়ে দু’হাত ঘষে ধুতে হবে, তা নিয়ে তাদের সচেতন করতে হবে। তবে, সেই বিজ্ঞপ্তিতে তারা জানিয়েছিল, অধিকাংশ স্কুলে পর্যাপ্ত জল নেই। তাই কতখানি স্বাস্থ্যবিধি (School Hygiene) বজায় থাকবে, তা নিয়ে আশঙ্কা থেকেই যাবে। রাজ্যের কয়েক হাজার স্কুলপড়ুয়া নিয়মিত স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে, রোগ সংক্রমণের ঝুঁকি নিয়েই পড়াশোনা করছে। মহামারির একাধিক ঢেউ পেরিয়েও হুঁশ ফেরেনি রাজ্য সরকারের। নিয়োগ নিয়ে দুর্নীতি, মিড-ডে মিল নিয়ে গড়মিলের ভিড়ে হারিয়ে যাচ্ছে শিশুদের নূন্যতম সুরক্ষা কবচ। এমনটাই মনে করছে অভিজ্ঞ মহল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share