Tag: Winter

Winter

  • Pakistan: দূষণের মাত্রা ৭০৭! বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহর এখন লাহোর, ধোঁয়াশায় ঢেকেছে আকাশ

    Pakistan: দূষণের মাত্রা ৭০৭! বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহর এখন লাহোর, ধোঁয়াশায় ঢেকেছে আকাশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানের (Pakistan) লাহোরের বায়ুদূষণের মাত্রা রেকর্ড পরিমাণে বৃদ্ধি পেয়েছে। বাতাসে ধূলিকণার পরিমাণ রবিবার সকালে বিপজ্জনক মাত্রায় পৌঁছে গিয়েছে। দূষণের মাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৭০৭। তাই বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহর (Most Polluted City) হিসাবে পরিণত হয়েছে এই লাহোর। বাতাসে ঘন কালো ধূলিকণার মেঘ আচ্ছন্ন হয়ে রয়েছে। দূষণের সঙ্গে কুয়াশা মিশে বিপজ্জনক ধোঁয়াশা (ইংরেজিতে স্মগ) তৈরি হয়েছে। যা ঢেকে দিয়েছে লাহোরের আকাশ। ফলে এই অঞ্চলে শীতের বাতাস ঢুকতে বাধা পড়ছে। মানুষের জনজীবন এবং জনস্বাস্থ্য অত্যন্ত বিপদ জনক অবস্থায় পৌঁছে গিয়েছে। জঙ্গি উৎপাদনের পাশাপাশি পরিবেশ দূষণ নিয়ে বিশ্ববাসীর এখন গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়ে পাকিস্তান। 

    ইউএস কনস্যুলেট একিউআই পরিমাপ করেছে ৭০০ (Pakistan)

    সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, লাহোর এবং তার বিভিন্ন আশেপাশের এলাকাগুলিতে উদ্বেগজনকভাবে উচ্চ এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (AQI) রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছে। থকর নিয়াজ বেগ এলাকা একিউআই-এর মাত্রা ৮৭৮। জোহর টাউন এলাকায় মাত্রা ৮৯৩, সৈয়দ মারাতিব আলি রোডে ৭৫৪ এবং শাহরাহ-ই-কায়েদ-ই এলাকায় রেকর্ড হয়েছে ৬৩৩। ইউএস কনস্যুলেট ৭০০ একিউআই রেকর্ড করেছে। আবার পাকিস্তান ইঞ্জিনিয়ারিং সার্ভিসেস রিপোর্ট করেছে একিউআই-এর পরিমাণ ৬৮৮। দূষণের এই উচ্চ স্তরগুলি লাহোরকে শুধুমাত্র পাকিস্তানের সবচেয়ে দূষিত শহর (Most Polluted City) নয়, বরং বিশ্বব্যাপী সবচেয়ে খারাপ শহর হিসেবে চিহ্নিত করেছে।  ফলে পাকিস্তানের নাগরিক জীবন কতটা আশঙ্কাজনক তা অনুমান যোগ্য।

    দৃশ্যমানতা ক্রমশ হ্রাস পাচ্ছে

    বর্তমানে লাহোরের (Pakistan) তাপমাত্রা ২৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং আগামী দিনে সর্বোচ্চ ৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন ২২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছানোর পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে৷ আবহাওয়া দফতর আগামী ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টিপাতের কোনওরকম সম্ভাবনাকে নাকচ করে দিয়েছে। শহরের জনগণকে এই দূষিত বায়ুর মধ্যেই কাটাতে হবে বলে মনে করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে পাঞ্জাব এনভায়রনমেন্ট প্রোটেকশন ডিপার্টমেন্ট প্রদেশের জন্য একটি সতর্কতা জারি করেছে। তাতে বলা হয়েছে, লাহোরের গত ২৪-ঘণ্টায় গড় আইকিউআই-এর ফলে দৃশ্যমানতা ক্রমশ হ্রাস পাচ্ছে। বিষয়টি অত্যন্ত উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। শীত ঘনিয়ে আসার মুখে, লাহোরের নিচু এলাকায় এই সমস্যা আরও জটিল করে তুলছে। ঠান্ডা বাতাসকে আটকে দেয় এই ধূলিকণার ধোয়া, যা বায়ুর গুণমানকে আরও খারাপ করে দেয়। 

    ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত স্কুলএম গিয়ে কর্মকাণ্ড স্থগিত

    ভয়াবহ অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে পাক পাঞ্জাব সরকার (Pakistan) জনস্বাস্থ্য রক্ষার জন্য জরুরি সতর্কতা জারি করেছে। লাহোরের সমস্ত স্কুলের কর্মসূচি ৩১ জানুয়ারী, ২০২৫ পর্যন্ত নিষিদ্ধ করা হয়েছে। স্কুলের সময়েও পরিবর্তন করা হয়েছে। ২৮ অক্টোবর থেকে সকাল ৮টা ৪৫ মিনিটে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। বাড়ি থেকে বৃদ্ধ এবং শিশুদের বের হতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। সেই সঙ্গে আতশবাজির উপর নিষেধাজ্ঞা জানুয়ারির শেষ পর্যন্ত কার্যকর থাকবে বলে প্রশাসন জানিয়েছে। জনস্বাস্থ্য জরুরি অবস্থার প্রতিক্রিয়া হিসাবে লাহোর ট্রাফিক পুলিশ মোটরসাইকেল চালকদের সতর্কতা অবলম্বন করার পরামর্শ দিয়েছে, কারণ কিছু এলাকায় দৃশ্যমানতা কমতে কমতে এক কিলোমিটারে এসে ঠেকেছে। পরিবেশবিদ এবং চিকিৎসকরা শহরে প্রাকৃতিক উপাদান হিসেবে গাছপালার প্রয়োজনীয়তার কথা জোর দিয়ে বলেছেন। শহরের বাসিন্দাদের মাস্ক পরতে, অপ্রয়োজনীয় বাইরে বের হওয়া এড়াতে এবং বিশেষ করে সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য সতর্কতা অবলম্বনের কথা বলেছেন।

    আরও পড়ুন: মহাকুম্ভ প্যাকেজে কী কী সুবিধা মিলবে জানেন?

    ৭০ শতাংশ দূষণে নিম্নমানের যানবাহন

    পাকিস্তানের (Pakistan) স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন দেশবাসীকে। কারণ দীর্ঘস্থায়ী বিষাক্ত বাতাস ব্যাপক ভাবে শ্বাসকষ্টের সমস্যার প্রাদুর্ভাবকে বৃদ্ধি করবে। অনেক মানুষ ইতিমধ্যেই কাশি, চোখের জ্বালা, জ্বর এবং গলা ব্যথার নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। ফলে যাঁদের আগে থেকে শ্বাসকষ্ট বা হৃদযন্ত্রের সমস্যা রয়েছে তাঁদের বাইরের কার্যকলাপ সম্পূর্ণভাবে এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। পাকিস্তানের মন্ত্রী মরিয়ম আওরঙ্গজেব স্বীকার করে বলেন, “ধোঁয়াশা রোধে সরকার গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করতে চলছে। লাহোরের বাতাসের মান উন্নত হতে আরও ৮ থেকে ১০ বছর সময় লাগবে। তাঁর মতে, লাহোরের দূষণের পেছনে ৭০ শতাংশ দায়ী নিম্ন-মানের স্থানীয় যানবাহন, শিল্প নির্গমন, মৌসুমী ফসল পোড়ানো এবং বর্জ্য পুড়িয়ে ফেলার কারণে। শহরের ৪৫ হাজার মোটরসাইকেলের মধ্যে ১৮ হাজার বিষাক্ত ধোঁয়া নির্গত করে। সেই সঙ্গে ১ লক্ষ যানবাহন, ১২০০টি ভাটা এবং ৬০,৮০০টি শিল্প ইউনিটও ব্যাপক ভাবে দূষণ ছড়ায়।

    বৈশ্বিক দূষণের তালিকায় একটি হটস্পট হিসেবে লাহোরের (Most Polluted City) নাম উঠে এসেছে। পরিবেশ এবং বিশ্ববাসীর কাছে পাকিস্তান অত্যন্ত চিন্তার বিষয় বলে মনে করছেন ভারতীয় পরিবেশবিদরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Pneumonia: বসন্তেও চোখরাঙানি নিউমোনিয়ার! শিশুদের জন্য কি বাড়তি বিপদ? কীভাবে করবেন মোকাবিলা? 

    Pneumonia: বসন্তেও চোখরাঙানি নিউমোনিয়ার! শিশুদের জন্য কি বাড়তি বিপদ? কীভাবে করবেন মোকাবিলা? 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    শীতের শুরুতেই ফুসফুসের নানা সমস্যা দেখা দেয়। বয়স্ক থেকে শিশু, অনেকেই ফুসফুসের নানা রোগে (Pneumonia) আক্রান্ত হয়। কিন্তু চলতি বছরে শীতের শেষেও বিপদ কাটছে না। ফুসফুসের রোগে নাজেহাল অনেকেই‌। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, আগাম সতর্কতা জরুরি। না হলে পরিস্থিতি বিপজ্জনক হয়ে উঠবে। তাই প্রয়োজন‌ বাড়তি সুরক্ষা।

    কোন বিপদের আশঙ্কা করছেন চিকিৎসক মহল?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ফেব্রুয়ারির তৃতীয় সপ্তাহ থেকেই কলকাতা ও আশপাশের এলাকায় তাপমাত্রার পারদ চড়তে শুরু করেছে। হঠাৎ করেই উধাও শীত। হালকা গরমের আভাস পাওয়া যাচ্ছে। বসন্তের এই সময়ে বাড়ছে নিউমোনিয়ার দাপট। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, সাধারণ শীতের শুরুতে কিংবা শীত বাড়লে ফুসফুসের এই সমস্যা (Pneumonia) দেখা দেয়। কিন্তু চলতি বছরে বসন্তেও দাপট দেখাচ্ছে নিউমোনিয়া। বিশেষত শিশুদের মধ্যে এই বিপদ আরও বেশি বলেই জানাচ্ছেন শিশুরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ। কলকাতার একাধিক সরকারি এবং বেসরকারি হাসপাতালে শ্বাসকষ্ট সহ একাধিক উপসর্গ নিয়ে ভর্তি হচ্ছে বিভিন্ন বয়সের শিশুরা। যাদের অধিকাংশের বয়স পাঁচের কম। ফুসফুসের জটিল সংক্রমণ থেকেই ফুসফুসের ভিতরে এক ধরনের জল জমছে। চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় যার নাম নিউমোনিয়া।

    কেন শিশুদের জন্য বিপদ?

    শিশুরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, দেখা যাচ্ছে, হাসপাতালে ভর্তি থাকা শিশুদের অধিকাংশের নিউমোনিক্কাল ভ্যাকসিন নেওয়া নেই। নিউমোনিয়া রুখতে সদ্যোজাতের নিউমোকক্কাল ভ্যাকসিন জরুরি। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই সচেতনতার অভাবে অভিভাবকেরা এই টিকাকরণে গুরুত্ব দেননি। যার জেরে ফুসফুসের সংক্রমণ বড় আকার নেয়। পাশপাশি বাতাসে দূষণের মাত্রা মারাত্মকভাবে বাড়ছে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ফুসফুসের যে কোনও রোগের অন্যতম কারণ বায়ুদূষণ। কলকাতা ও আশপাশের এলাকা একেবারেই পরিচ্ছন্ন নয়। বাতাস দূষিত। তাই ফুসফুসের সমস্যা বাড়ছে। যার খেসারত দিচ্ছে শিশুরা। তাছাড়া, হঠাৎ আবহাওয়ার পরিবর্তনের জেরে শরীরে একাধিক ভাইরাস ঘটিত সমস্যা দেখা দিচ্ছে। যার প্রভাব ফুসফুসের উপরে পড়ছে (Pneumonia)। তাই বিপদ বাড়ছে। এমনটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

    কীভাবে সন্তানকে সুস্থ রাখবেন?

    শিশুরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, চিকিৎসকদের পরামর্শ মতো দ্রুত নিউমোক্কাল ভ্যাকসিন দেওয়া জরুরি। এই টিকা দেওয়া থাকলে নিউমোনিয়ার মতো জটিল রোগের বিরুদ্ধে লড়াই কিছুটা সহজ হয়। বড় বিপদ এড়ানো যায়। পাশপাশি আবহাওয়ার এই বদলে শিশুদের বাড়তি খেয়াল রাখতে হবে। কোনও ভাবেই ফ্যান কিংবা এসি চালানো যাবে না। হঠাৎ গরম মনে হলেও এসির হাওয়া বিপদ বাড়াবে। কারণ, এর জেরে ভাইরাসঘটিত একাধিক সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়বে। খাবারের ক্ষেত্রেও সতর্কতা জরুরি। তরল খাবার অতিরিক্ত খাওয়ানো জরুরি। বেশি পরিমাণে জল খাওয়াতে হবে। কারণ, আবহাওয়ায় শুকনো ভাব দেখা দিচ্ছে। এর জেরে শরীরে জলের পরিমাণ যাতে না কমে, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। পাশপাশি তরমুজ, ড্রাগন ফ্রুটের মতো রসালো ফল এবং নানা প্রকার লেবু আরও বেশি পরিমাণে খাওয়ানো দরকার। যাতে, শরীরে রোগ প্রতিরোধ শক্তি গড়ে ওঠে। তাতে ফুসফুসের সংক্রমণের (Pneumonia) ঝুঁকি কমবে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Heart Disease: শীতে পারদ নামতেই বাড়ছে স্ট্রোকের ঝুঁকি? কীভাবে এর মোকাবিলা সম্ভব? 

    Heart Disease: শীতে পারদ নামতেই বাড়ছে স্ট্রোকের ঝুঁকি? কীভাবে এর মোকাবিলা সম্ভব? 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্য জুড়ে নেমেছে তাপমাত্রার পারদ। শীত জাঁকিয়ে বসেছে কলকাতা থেকে জেলা সর্বত্র। শীতের দাপট বাড়তেই বাড়ছে স্ট্রোকের (Heart Disease) ঝুঁকি। সরকারি হাসপাতাল থেকে কলকাতার বেসরকারি হাসপাতাল, সর্বত্র স্ট্রোকের রোগীর সংখ্যাও বাড়ছে। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, সতর্ক না থাকলে বিপদ বাড়াবে।

    কেন শীতে স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ে?

    চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, শীতে ঘাম হয় না। রক্ত সঞ্চালনও তাই ধীরে হয়। পাশপাশি, ঘাম না‌ হওয়ার জেরে দেহে অক্সিজেনের ঘাটতি দেখা দেওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। তাই শীতে স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ে। হৃদরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, শীতে রক্ত সঞ্চালন ধীরে হওয়ার জেরে হৃদপিণ্ড থেকে দেহে রক্ত সঞ্চালনের গতিও কমে (Heart Disease)। রক্তচাপ ওঠানামা করে। আর এর জেরেই বাড়ে স্ট্রোকের ঝুঁকি।

    শীতে কাদের স্ট্রোকের ঝুঁকি বেশি? (Heart Disease)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, শীতে প্রবীণদের স্ট্রোকের ঝুঁকি বেশি থাকে। কারণ, ডায়াবেটিস, হাইপারটেনশন, কিংবা উচ্চ রক্তচাপের মতো সমস্যা প্রবীণদের মধ্যে বেশি দেখা যায়। তবে, তরুণ প্রজন্মের সতর্ক থাকা জরুরি বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, যাঁরা রক্তচাপ, স্থূলতার সমস্যায় ভুগছেন, শীতে তাঁদের বাড়তি সতর্ক থাকা জরুরি। কারণ, রক্তচাপের ওঠানামার জেরেই স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ে। স্থূলতার সমস্যায় আক্রান্তের অধিকাংশের কোলেস্টেরল আর রক্তচাপের সমস্যা থাকে (Heart Disease)। তাই বয়স যাই হোক, ডায়াবেটিস, কোলেস্টেরল, উচ্চ রক্তচাপের মতো সমস্যা থাকলেই বাড়তি সতর্কতা জরুরি। এমনই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

    এই বিপদের কীভাবে মোকাবিলা সম্ভব? (Heart Disease)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, নিয়মিত রক্তচাপ মাপা জরুরি। কারণ, রক্তচাপ অতিরিক্ত ওঠানামা করলে বিপদ বাড়ে।‌ তাই রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকা জরুরি বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ।‌ পাশপাশি, শীতে খাবারে বাড়তি নজরদারি জরুরি। অতিরিক্ত নুন খাওয়ার অভ্যাস একেবারেই ছাড়তে হবে বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, অতিরিক্ত নুন রক্তচাপের সমস্যা তৈরি করে। তাই স্ট্রোকের মতো সমস্যার বাড়তি ঝুঁকি (Heart Disease) তৈরি করে। তাই শীতে নুন খাওয়ায় রাশ‌ টানা জরুরি। পাশপাশি সহজপাচ্য খাবার তালিকায় রাখতে হবে। এমনই পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, অতিরিক্ত তেলমশলা জাতীয় এবং চর্বি জাতীয় খাবার খেলে হজমের সমস্যা তৈরি হয়। যা শরীরে রক্তচাপ আর কোলেস্টেরল বাড়ায়। তাই এই সময়ে সহজপাচ্য খাবার খাওয়া দরকার। যদিও শীতে অনেকেই নানান পদের মাংস খান। আবার অনেকেই শীতে নিয়মিত মদ্যপানে অভ্যস্ত হন।‌ কিন্তু এই অভ্যাস বিপজ্জনক। শীতে নিয়মিত শারীরিক কসরত এবং হাঁটার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। তাঁরা জানাচ্ছেন, শারীরিক কসরত বা‌ যোগাভ্যাস শরীরের রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক রাখে। এতে স্ট্রোকের ঝুঁকি অনেকটাই কমে‌। নিয়মিত হাঁটলেও শরীরে রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক হয়। তাই এগুলো নিয়মিত করার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sikkim Tourism: পর্যটকদের জন্য সুখবর, নিরাপদ এখন সিকিম, খুলে দেওয়া হল ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক

    Sikkim Tourism: পর্যটকদের জন্য সুখবর, নিরাপদ এখন সিকিম, খুলে দেওয়া হল ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বড় দিনের আগেই পর্যটকদের জন্য সুখবর। চালু হয়ে গেল সিকিমের জাতীয় সড়ক। ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক মেরমতির পর এবার স্বাভাবিক হয়ে গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। শিলিগুড়ি থেকে সিকিম যেতে আর কোনও বাধা নেই। সিকিমের পর্যটন (Sikkim Tourism) ব্যবসায়ীরা এবার আশার আলো দেখছেন।

    সিকিম প্রশাসনের বক্তব্য (Sikkim Tourism)

    সিকিম রাজ্যের তরফ থেকে একটি বিজ্ঞাপন জারি করে জানানা হয়েছে যে ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক চালু করা হয়েছে। এবার খুব সহজেই সিকিমে যাওয়া যাবে। সেই সঙ্গে ১০ নম্বর জাতীয় সড়কের সঙ্গে যুক্ত বাকি রাস্তাগুলিও সারাই করা হয়েছে। পর্যটক (Sikkim Tourism) এবং ব্যবসায়ীদের কথা মাথায় রেখে এই রাস্তা দ্রুত মেরামত করা হয়েছে। সিকিম এখন পুরোপুরি নিরাপদ। এই শীতে পর্যটনের জন্য  বেশ উপযুক্ত। 

    সিকিমের পর্যটন দফতরের সচিব বন্দনা ছেত্রি বলেন, “সোমবার থেকেই পর্যটনের জন্য সিমিক প্রবেশের জন্য সড়ক পথ খুলে দেওয়া হয়েছে। সিকিমে বেড়াতে এলে আর কোনও সমস্যা থাকবে না। তবে উত্তর সিকিমের বেশ কিছু জায়গায় যেতে নিষেধ আজ্ঞা রয়েছে।”

    ভ্রমণ নিরাপদ

    সিকিম সরকারের পক্ষ থেকে উত্তর সিকিমের কিছু কিছু এলাকা এখনও বিপর্যয়ের মুখে রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। কিন্তু ওই অংশ ছাড়া বাকি অংশগুলিতে যাওয়ার জন্য অত্যন্ত নিরাপদ। ফলে শীতের আগেই পর্যটকদের (Sikkim Tourism) টানতে এই বিপর্যয়কে অতিক্রম করতে সিকিম সরকার বিশেষ উদ্যোগী হয়েছেন। গ্যাংটক, নামচি, সোরেং, গেজিং, পাকিয়ং ইত্যাদি এলাকা এখন সম্পূর্ণ ভাবে নিরাপদ। তাই শীতের মরসুমে বেড়াতে যাওয়াতে কোনও অসুবিধা নেই বলে জানা গিয়েছে।

    হড়পা বানে বিপর্যস্ত ছিল সিকিম

    দুর্গাপুজোর আগে অক্টোবর মাসের প্রথমের দিকে মেঘভাঙা বৃষ্টির কারণে উত্তর সিকিমের লোনাক হ্রদ ভেঙে গিয়েছিল। তিস্তার জলের স্রোতে ভেঙে পড়েছিল ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক। বাড়িঘর, গাছপালা লণ্ডভণ্ড হয়ে গিয়েছিল। উত্তরবঙ্গের সঙ্গে সিকিমের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল। এর প্রভাব পড়েছিল তিস্তা নদীর পাড় সংলগ্ন জলপাইগুড়ির এলাকায়। বিপর্যয় মোকাবেলায় উদ্ধার কাজে তৎপর হয়েছিল সুরক্ষা বাহিনী। আটকে পড়েছিলেন প্রচুর পর্যটক (Sikkim Tourism)। কেন্দ্রের তরফ থেকে ঘোষণা করা হয়েছিল বিশেষ অনুদান।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Weather Update: জগদ্ধাত্রী পুজোতে শীতের আমেজ, আগামী সপ্তাহ থেকে আরও কমবে তাপমাত্রা?

    Weather Update: জগদ্ধাত্রী পুজোতে শীতের আমেজ, আগামী সপ্তাহ থেকে আরও কমবে তাপমাত্রা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উৎসবের মরশুমের মধ্যেই ধীরে ধীরে শীতের (Weather Update) প্রভাব ক্রমশ বাড়ছে। পারদ ক্রমশ নিম্নমুখী। আকাশে মেঘ-বৃষ্টির সম্ভাবনা কেটে যাচ্ছে, আকাশ আরও পরিষ্কার হয়ে উঠেছে। একে একে দুর্গাপুজো, কালীপুজো, ছটপুজোর পর জগদ্ধাত্রী পুজোতে শীতের আমেজ আরও বৃদ্ধি পাবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। পূর্বাভাস, সকাল-সন্ধ্যায় ক্রমশ শীতের প্রাবল্য বাড়বে। তবে দার্জিলিং এবং কালিম্পংয়ে হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। দক্ষিণবঙ্গে তাপমাত্রা আরও কমার সম্ভাবনা রয়েছে।

    জেলার তাপমাত্রা ২০ ডিগ্রির কম থাকবে (Weather Update)

    আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, দক্ষিণবঙ্গের আকাশ মূলত পরিষ্কার থাকবে। মেঘ কেটে গেলেও দিনের উষ্ণতা সামান্য বাড়বে। বাতাসে কিছুটা জলীয় বাস্পের পরিমাণ বৃদ্ধি থাকায় কিছুটা অস্বস্তি থাকবে। সন্ধ্যা হলেই আবার শীতের (Weather Update) আমেজ অনুভূত হবে। সেই সঙ্গে জেলার তাপমাত্রা মোটামুটি ২০ ডিগ্রির কম থাকবে। আগামী সপ্তাহ থেকে তাপমাত্রা আরও কম হবে বলে জানা গিয়েছে। দিনের তুলনায় রাতের তাপমাত্রা ২ ডিগ্রি করে কম হবে।

    উত্তরবঙ্গে বৃষ্টির সম্ভাবনা

    উত্তরবঙ্গেও দক্ষিণবঙ্গের মতো তাপমাত্রা অনেকটাই কম হবে বলে জানা গিয়েছে। তবে আকাশ অনেকটাই পরিষ্কার থাকবে। শীত (Weather Update) ক্রমশ বাড়ছে। পাহাড়ি এলাকায় অনেকটাই বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এই বৃষ্টির কারণ হবে পশ্চিমী ঝঞ্ঝা। আবহাওয়া দফতর থেকে জানা গিয়েছে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হবে। উত্তরের সমস্ত জেলায় শীতের প্রভাব বাড়বে।

    কলকাতার আবহাওয়া

    গত শুক্রবার কলকাতা শহরের আবহাওয়া মেঘলা ছিল। কোথাও কোথাও সামান্য বৃষ্টিপাত হয়েছে। আজ আকাশ বেশ পরিষ্কার। রাতের তাপমাত্রা অনেকটাই কম হয়েছে। সকাল এবং সন্ধ্যায় অপেক্ষাকৃত কম তাপমাত্রার কারণে শীতের (Weather Update) আমেজ অনুভব করা যাবে। মঙ্গলবার থেকে শহরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২০ ডিগ্রির থেকে আরও কম থাকবে। রবিবার কলকাতা সহ আশেপাশের এলাকায় সবথেকে বেশি তাপমাত্রা ছিল ২৯.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে ১ ডিগ্রি কম। আবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২১.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে ১ ডিগ্রি বেশি। বাতাসের আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৯৮ শতাংশ। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Weather Update: শীত-বিদায়ে বাড়বে তাপমাত্রা, সঙ্গে বৃষ্টির পূর্বাভাস দক্ষিণবঙ্গে

    Weather Update: শীত-বিদায়ে বাড়বে তাপমাত্রা, সঙ্গে বৃষ্টির পূর্বাভাস দক্ষিণবঙ্গে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের বৃষ্টির ভ্রুকুটি বিভিন্ন জেলায়। সর্বনিম্ন তাপমাত্রাও এক ধাপে অনেকটা বেড়ে যাওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছে আলিপুর আলিআবহওয়া দফতর। আগামী কয়েক দিনে তাপমাত্রা কমার সম্ভাবনা কম। মাঘ মাস শেষ হতে এখনও বেশ কিছু দিন বাকি। তার আগেই রাজ্য থেকে শীত বিদায় নেওয়ার পথে। বাংলার বিভিন্ন জেলায় বৃষ্টির পূর্বভাস থাকলেও কলকাতাতে ছিঁটেফোটা বৃষ্টির হতে পারে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। 

    বৃষ্টির পূর্বাভাস

    দেশে ফের সক্রিয় পশ্চিমী ঝঞ্ঝা। এই পশ্চিমী ঝঞ্ঝার প্রভাবেই সম্প্রতি বৃষ্টি হয়েছে দিল্লিতে। এ রাজ্যেও সেই পশ্চিমী ঝঞ্ঝার জেরেই বৃষ্টি হবে বলে পূর্বাভাস আবহাওয়া দফতরের। সোমবার বিকেল থেকে রাজ্যের ৯ জেলায় বৃষ্টি হতে পারে। উত্তরবঙ্গের পাঁচ জেলার পাশাপাশি মুর্শিদাবাদ, নদিয়া, পশ্চিম বর্ধমানে এবং বীরভূমে হালকা বৃষ্টি হতে পারে। মঙ্গলবারও দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টি হতে পারে।  আলিপুরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী মঙ্গলবার থেকে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে আবার বৃষ্টি হতে পারে। হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিতে ভিজতে পারে দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুর। কলকাতা-সহ দক্ষিণের বাকি জেলায় হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

    হালকা ঠান্ডার আমেজ

    এই পরিস্থিতিতে তাপমাত্রা বাড়তে পারে রাজ্যে। গত ২৪ ঘণ্টায় কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৮.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের চেয়ে দুই ডিগ্রি বেশি। রবিবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৬.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তা অবশ্য স্বাভাবিকের চেয়ে এক ডিগ্রি কম।  কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রাও ২০ ডিগ্রির উপরে চলে যেতে পারে বলে পূর্বভাস হাওয়া অফিসের। তবে এখনই পাকাপাকি শীত বিদায় নেবে না। হালকা ঠান্ডার আমেজ থাকবে সকালে ও রাতে। পারদ নামতে পারে কয়েক ডিগ্রি।

    আরও পড়ুুন: ফের গ্র্যামি সম্মান জাকির হুসেনের, সঙ্গী শঙ্কর মহাদেবন এবং রাকেশ চৌরাসিয়াও

    উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে আগামী কয়েক দিনে বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। মঙ্গলবার দার্জিলিং এবং কালিম্পং ছাড়া আর কোথাও বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। আলিপুরের হাওয়া অফিস জানিয়েছে, আগামী তিন দিনে রাজ্যের সর্বত্র দুই থেকে তিন ডিগ্রি তাপমাত্রা বাড়বে। বৃষ্টির কারণেই তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের , Twitter এবং Google News পেজ।

  • Weather Update: দিল্লির চেয়েও উষ্ণ কাশ্মীর, মার খেল পর্যটন ব্যবসা

    Weather Update: দিল্লির চেয়েও উষ্ণ কাশ্মীর, মার খেল পর্যটন ব্যবসা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফলতে শুরু করেছে বিশ্ব উষ্ণায়ন নামক বিষ বৃক্ষের ফল। যার জেরে দিল্লির চেয়েও বেশি উষ্ণ কাশ্মীর (Weather Update)। শনিবার কাশ্মীরের শ্রীনগরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত দু’ দশকে জানুয়ারি মাসে এটাই সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।

    ভূস্বর্গের আবহাওয়া চিত্র

    বদলে গিয়েছে ভূস্বর্গের আবহাওয়া চিত্র। এ বছর জানুয়ারিতে একদিনও তুষারপাত হয়নি। তুষারপাত না হওয়ায় কাশ্মীর উপত্যকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ঘোরাফেরা করছে ৬ থেকে ৮ ডিগ্রির মধ্যে। চলতি শীতের মরশুমে রবিবার দিল্লিতে শীতলতম সকাল রেকর্ড হয়েছে। তাপমাত্রা নেমেছে সাড়ে তিন ডিগ্রি সেলসিয়াস। ২১ ডিসেম্বর থেকে ২৯ জানুয়ারি সময়কালকে কাশ্মীরে বলা হয় ‘চিল্লাই কালান’ বা তীব্র ঠান্ডার চল্লিশ দিন। এর পর ২০ দিনের ‘চিল্লাই খুর্দ’ বা কম ঠান্ডা। ১৮ ফেব্রুয়ারি থেকে পরবর্তী ১০ দিন ‘চিল্লাই বাছা’ বা শিশু ঠান্ডা।

    পশ্চিমী ঝঞ্ঝা

    আবহাওয়াবিদদের মতে, শীতের (Weather Update) এই সময়টা তাপমাত্রার ওঠাপড়া খুবই সাধারণ একটি ঘটনা। গ্রীষ্মেও এই ছবি দেখা যায়। হাওয়া অফিস জানিয়েছে, অচিরেই জম্মু-কাশ্মীরে আবারও আঘাত হানবে পশ্চিমী ঝঞ্ঝা। তখন প্রচুর তুষারপাত হতে পারে। চলতি মরশুমেই উপত্যকায় দেখা যেতে পারে তুষারপাত। তুষারপাত না হওয়ায় হতাশ কাশ্মীরে বেড়াতে যাওয়া পর্যটকরা। স্কিয়িং, স্নোবোর্ডিং এবং ক্রশ-কান্ট্রি স্কিইংয়ের মতো যেসব রাইড পর্যটকদের টানে, সেগুলেতোও হা-পর্যটক দশা। কাশ্মীরে তুষারপাত হচ্ছে না জেনে গুলমার্গের বহু হোটেলের বুকিং বাতিল করেছেন পর্যটকরা।

    আরও পড়ুুন: এআই ব্যবহার করে বের করা হল রোগীর ফুসফুসের জমাট বাঁধা রক্ত!

    এদিকে, এখনও দূষণ-জালে রয়েছে দিল্লি। গ্রেডেড রেসপন্স অ্যাকশন প্ল্যানের স্টেজ থ্রি নিয়ম আরোপ করেছে কেন্দ্র। দূষণ নিয়ন্ত্রণেই এটা করা হয়েছে। বায়ু দূষণের মাত্রা কমাতে রাজধানীজুড়ে স্টেজ থ্রি অ্যাকশন প্ল্যান রূপায়ন করতে উঠেপড়ে লেগেছে কেন্দ্র। পাথর গুঁড়ো করার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। খনি এবং খনি সম্পর্কিত কাজকর্মের লাগাম পরানো হচ্ছে। বহুতল নির্মাণ ও পুরানো বাড়ি ভাঙার কাজেও আপাতত নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। দিল্লির রাজ্য সরকারও গুচ্ছ নির্দেশিকায় জারি করেছে (Weather Update)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Weather Update: কলকাতার তাপমাত্রা ১৪ ডিগ্রি! কনকনে ঠান্ডা পশ্চিমে, কতদিন থাকবে শীতের দাপট?

    Weather Update: কলকাতার তাপমাত্রা ১৪ ডিগ্রি! কনকনে ঠান্ডা পশ্চিমে, কতদিন থাকবে শীতের দাপট?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শীত পড়েছে শহরে। হাসি ফুটেছে শীতবিলাসীদের মুখে। শনিবার ফের ১৪ ডিগ্রির ঘরে নামল কলকাতার তাপমাত্রা। ভোর থেকেই ঠান্ডা হাওয়ার দাপট আর পরিষ্কার আকাশের কারণে শীতের আমেজ ভরপুর শহরে। আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, শনিবার এখনও পর্যন্ত মরশুমের শীতলতম দিন। আরও বেশ কিছুদিন শীত চলবে বলেই জানিয়েছে হাওয়া অফিস (Weather Update)।

    এখনও পর্যন্ত শীতলতম

    আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস (Weather Update) বলছে আগামী সপ্তাহে আরও নামবে পারদ। মঙ্গল ও বুধবার তাপমাত্রা আরও দু ডিগ্রি কমার সম্ভাবনা রয়েছে। এবার লম্বা শীতের স্পেল জারি থাকবে বাংলায়। কলকাতায় আজ তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে নিচে। সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৪.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা এখনও পর্যন্ত মরশুমের শীতলতম। দিনের তাপমাত্রাও স্বাভাবিকের থেকে ২ ডিগ্রি কমে ২৪.৬ ডিগ্রি। আজ, সারাদিন তাপমাত্রা ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছে থাকবে। বাতাসে জলীয় বাষ্পের সর্বোচ্চ পরিমাণ ৪৩ থেকে ৯৪ শতাংশ। রাজ্যের পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলিতে তাপমাত্রা নামল ১০ বা ৯ এর ঘরে।

    ফের পশ্চিমী ঝঞ্ঝা

    তবে, মৌসম ভবন জানাচ্ছে, আরব সাগরে ঘূর্ণাবর্ত সঞ্চালনের জেরে ১৬ ডিসেম্বর, শনিবার পশ্চিমী ঝঞ্ঝা প্রভাব ফেলবে দেশের আবহাওয়ায়। তবে এই পশ্চিমী ঝঞ্ঝা পেরিয়ে গেলেই আগামী ২০ ডিসেম্বর বুধবার থেকে রাজ্যে রাজ্যে আরও বেশি পারদ পতনের সম্ভাবনা রয়েছে। মোটের উপর শীতের অনুকূল পরিস্থিতি সারা দেশেই। আগামী কয়েকদিনে উত্তর ভারত, মধ্য ভারত ও পূর্ব ও পশ্চিম ভারতে তাপমাত্রা কমবে। উত্তর-পশ্চিম ভারতের সমতলের রাজ্যগুলিতে তাপমাত্রা ৬ ডিগ্রি পর্যন্ত নামতে পারে।

    আরও পড়ুুন: রেশন দুর্নীতির তদন্ত নিয়ে রাজ্য পুলিশের ডিজিকে পরামর্শ-চিঠি ইডির

    উত্তরবঙ্গের আবহাওয়া

    দার্জিলিং ও কালিম্পং এর পার্বত্য এলাকা ছাড়া আর কোথাও বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা এই মুহূর্তে নেই। ফের তুষারপাতের সম্ভাবনা সিকিমে এবং তার প্রভাব পড়তে পারে দার্জিলিংয়ের উঁচু এলাকায়। সোম মঙ্গলবার তুষারপাতের সম্ভাবনা বেশি। হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা থাকবে দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার ও উত্তর দিনাজপুর জেলাতে। সিকিমেও কুয়াশার প্রভাব বজায় থাকবে। কুয়াশার সম্ভাবনা প্রবল পার্বত্য জেলা ও কোচবিহারে। তুষারপাত ও হালকা বৃষ্টির পর উত্তরবঙ্গের তাপমাত্রা এবার ক্রমশ  নিম্নমুখী। সমতলের জেলাগুলিতে মঙ্গল, বুধবার পর্যন্ত তাপমাত্রা একই রকম থাকবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Cyclone Michaung: প্রবল বেগে এগোচ্ছে ঘূর্ণিঝড় মিগজাউম! রাজ্যে বৃষ্টির পূর্বাভাস, ল্যান্ডফল কখন?

    Cyclone Michaung: প্রবল বেগে এগোচ্ছে ঘূর্ণিঝড় মিগজাউম! রাজ্যে বৃষ্টির পূর্বাভাস, ল্যান্ডফল কখন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  শহর কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় সকাল থেকেই মেঘলা আকাশ। দ্রুত বেগে স্থলভাগের দিকে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় মিগজাউম (Cyclone Michaung)। আজ, সোমবার বিকেলের মধ্যে দক্ষিণ অন্ধ্রপ্রদেশ ও সংলগ্ন উত্তর তামিলনাড়ু উপকূলে ল্যান্ডফল করতে চলেছে এই ঘূর্ণিঝড়। ইতিমধ্যেই এর প্রভাবে তামিলনাড়ু উপকূল এবং অন্ধ্রপ্রদেশে (Andhra Pradesh) শুরু হয়েছে এক নাগাড়ে বৃষ্টি। ভাসছে চেন্নাই।

    ভাসছে চেন্নাই, অন্ধ্র

    এদিন সকাল থেকেই তামিলনাড়ু ও অন্ধ্রপ্রদেশে দুই রাজ্যে শুরু হয়েছে প্রবল বৃষ্টিপাত সেই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে দমকা হাওয়া (Cyclone Michaung)। সকালেই চেন্নাইয়ের (Chennai) ইস্ট কোস্টাল রোডের কানাথুর এলাকায় একটি নবনির্মিত দেওয়াল ধসে পড়ে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। গুরুতর আহত ১ জন। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবের তামিলনাড়ুর চেন্নাই-সহ একাধিক জায়গায় একটানা বৃষ্টি শুরু হয়েছে। ভেসে যাচ্ছে চেন্নাই বিমানবন্দরের (Chennai Airport) রানওয়ে। বাতিল হয়েছে একাধিক বিমান। অন্ততপক্ষে ২০টি উড়ানের সময়ে পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে।  

    ১০০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ো হাওয়া

    তামিলনাডুর পাল্লিকরণী এলাকায় হু হু করে জল ঢুকতে শুরু করেছে। পল্লিকরণী এলাকা সমুদ্র সৈকতের বেশ কাছে। ফলে সেখানে যে বহুতলগুলি রয়েছে, অতি ভারি বৃষ্টির প্রভাবে রেহাই পাচ্ছেন না সেখানকার বাসিন্দারাও। পল্লিকরণীর সাধারণ মানুষকেও সতর্ক করা হয়ছে। যদিও এক নাগাড়ে বৃষ্টির জেরে পল্লিকরণী এলাকায় রাস্তায় যে গাড়িগুলি দাঁড় করানো রয়েছে, সেগুলি জলের তোড়ে এক জায়গা থেকে অন্যত্র প্রায় ভেসে যেতে শুরু করেছে। ফলে পল্লিকরণী এলাকার অবস্থা দেখে চিন্তায় প্রশাসন। ঘূর্ণিঝড়ের জেরে প্রচণ্ড গতিতে বাতাস বইতে পারে পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগরের উপর দিয়ে। রবিবারই ৫৫-৬৫ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা থেকে বাতাসের গতিবেগ ছিল ৭৫ কিমি/ঘণ্টা। সন্ধ্যার মধ্যে যা ৯০ কিমি ঘণ্টা ছোঁয়ার আশংকা করা হয়। আজ সোমবার সকাল থেকেই ৮০-৯০ কিমি/ঘণ্টা বেগে দমকা হাওয়া বইতে পারে। যা আজ সন্ধ্যা থেকে মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত ৯০-১০০ কিমি/ঘণ্টা পর্যন্ত হওয়ার আশংকা করা হচ্ছে।

    শহরে মেঘলা আকাশ

    বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া ঘূর্ণিঝড় মিগজাউমের (Cyclone Michaung) প্রভাবে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে তিন দিন বৃষ্টি হতে পারে। তবে দুর্যোগের দাপট বেশি হবে না। বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বাংলায়। বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া ঘূর্ণিঝড় মিগজাউমের প্রভাবে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে তিন দিন বৃষ্টি হতে পারে। তবে দুর্যোগের দাপট বেশি হবে না। বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বাংলায়। আজ, সোমবার সকাল থেকেই শহরে মেঘলা আকাশ। নিম্নচাপ কাটলেই, শুক্রবারে পর থেকে রাজ্যে আবহাওয়ায় বদল আসতে পারে। ওই দিন থেকেই নতুন করে পারদ নামার সম্ভাবনা প্রবল। ফিরবে শীতের আমেজ। 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Weather Update: ভাইফোঁটার পর ফের বৃষ্টি! কালীপুজোর পরই কি ঠান্ডার আমেজ?

    Weather Update: ভাইফোঁটার পর ফের বৃষ্টি! কালীপুজোর পরই কি ঠান্ডার আমেজ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাত পোহালেই কালীপুজো (Kalipuja)। হেমন্তের মনোরম আবহাওয়াতে আলোর মালায় সেজে উঠেছে কলকাতা। রাতের দিকে বইছে ঠান্ডা হাওয়া। উত্তরে হাওয়ায় নামছে পারদ। আলিপুর আবহাওয়া (Weather Update) দফতর সূত্রে খবর, ভাই ফোঁটা পর্যন্ত রাজ্যে বৃষ্টি নেই। প্রধানত শুষ্ক আবহাওয়া বাংলা (West Bengal ) জুড়ে। নতুন করে আর তাপমাত্রা কমার বা বাড়ার পূর্বাভাস নেই বুধবার পর্যন্ত।  তবে তারপরে বৃষ্টি হতে পারে বাংলায়।

    বৃষ্টির সম্ভাবনা!

     আগামী বুধবার দক্ষিণ পূর্ব এবং দক্ষিণ পশ্চিম বঙ্গোপসাগরের মধ্যবর্তী কেন্দ্রে নিম্নচাপ তৈরি হতে চলেছে বলে পূর্বাভাস। এর জেরে বাড়বে তাপমাত্রা। বাড়বে জলীয় বাষ্পপূর্ণ অস্বস্তি। বাড়বে বৃষ্টিপাতের সম্ভবনা। হাওয়া (Weather Update) অফিসের তরফে জানান হয়েছে, ১৬ এবং ১৭ নভেম্বর গাঙ্গেয় দক্ষিণবঙ্গের কিছু জেলা এবং উপকূল বা তার লাগোয়া দক্ষিণ ও উত্তর ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর এবং ঝাড়গ্রাম জেলায় বিক্ষিপ্তভাবে হালকা থেকে মাঝারি এবং দু এক পশলা বজ্র বিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির সম্ভবনা রয়েছে।  বুধবারের পর তাপমাত্রা ও আপেক্ষিক আর্দ্রতা বাড়বে। বৃহস্পতি ও শুক্রবার বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টি হতে পারে কিছু কিছু এলাকায়। কাল দিনের তাপমাত্রা ৩০ ডিগ্রি। আজ ভোরের তাপমাত্রা ২১.৩ ডিগ্রি। বাতাসে জলীয় বাষ্পের সর্বোচ্চ পরিমাণ ৯৫ শতাংশ। সর্বনিম্ন ৫০ শতাংশ।

    আরও পড়ুন: লোহাদহ থেকে আসত ক্ষীর, ছানা, দুধ! বলি হত ১০৮টি! কেমন ছিল ঘোষালবাড়ির পুজো?

    হালকা শীতের পরশ

    আলিপুর আবহাওয়া (Weather Update) দফতরের খবর, শনিবার ভূত চতুর্দশীর দিন থেকেই পারদ পতন হতে শুরু করবে। আগামী ২-৩ দিনে তাপমাত্রা প্রায় ২ থেকে ৩ ডিগ্রি কমতে পারে। তিলোত্তমার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকবে ২১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি। অন্যদিকে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা পৌঁছাবে ৩০ ডিগ্রির আশেপাশে। পশ্চিমাঞ্চলের জেলায় ভোরে ও রাতে হালকা শীতের পরশ অনুভূত হবে। পশ্চিমাঞ্চলের কিছু জেলায় তা ১৭ থেকে ১৮ এর মধ্যে থাকবে। দক্ষিণবঙ্গের সঙ্গে সঙ্গে উত্তরবঙ্গেও এখনই বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share