Author: ishika-banerjee

  • Amit Shah: “জন্মহার নয়, অনুপ্রবেশই জনবিন্যাসে বদল ঘটাচ্ছে”, দেশে মুসলিম জনসংখ্যা বৃদ্ধি নিয়ে স্পষ্ট বার্তা শাহের

    Amit Shah: “জন্মহার নয়, অনুপ্রবেশই জনবিন্যাসে বদল ঘটাচ্ছে”, দেশে মুসলিম জনসংখ্যা বৃদ্ধি নিয়ে স্পষ্ট বার্তা শাহের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের ধর্মভিত্তিক জনসংখ্যা পরিবর্তন নিয়ে বিস্ফোরক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। দিল্লিতে জনসংখ্যা ও জনবিন্যাস বিষয়ক এক আলোচনা সভায় তিনি বলেন, দেশে মুসলিম জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারণ শুধু জন্মহার নয়, বরং পাকিস্তান ও বাংলাদেশ থেকে ব্যাপক অনুপ্রবেশই তার মূল কারণ। ভারতে হিন্দু জনসংখ্যা (Hindu Population) উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে। অন্যদিকে, লক্ষণীয় বৃদ্ধি ঘটেছে মুসলিমদের (Muslim Population)। শাহের দাবি, এই অনুপ্রবেশ দেশের সংস্কৃতি, ভাষা ও স্বাধীনতার ওপর সরাসরি প্রভাব ফেলছে।

    পাকিস্তান ও বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশ

    স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য, মুসলিম জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারণ জন্মহার নয়। পাকিস্তান ও বাংলাদেশ (Inflitartors from Pakistan, Bnagladesh) থেকে অনুপ্রবেশের ফলে মুসলিম জনসংখ্যা ভারতে উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। তাঁর কথায়, অনুপ্রবেশ, জনসংখ্যাগত পরিবর্তন এবং গণতন্ত্র অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। যতদিন না দেশের প্রতিটি নাগরিক, বিশেষ করে যুব সমাজ এই বিষয়গুলোর গুরুত্ব অনুধাবন করবে এবং এর থেকে উদ্ভূত সমস্যাগুলি সম্পর্কে সচেতন হবে, ততদিন পর্যন্ত আমরা আমাদের দেশ, সংস্কৃতি, ভাষা এবং স্বাধীনতার সুরক্ষা নিশ্চিত করতে পারব না।

    উল্লেখযোগ্য ও উদ্বেগজনক পরিবর্তন

    অমিত শাহ (Amit Shah) জানান, ১৯৫১, ১৯৭১, ১৯৯১ ও ২০১১ সালে ভারতে জন গণনায় ধর্ম ভিত্তিক তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। ১৯৫১ সালে যখন এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, তখন তাঁর দল বিজেপি ছিল না। তাঁর কথায়, যদি দেশভাগ না হতো, তাহলে হয়তো ধর্মের ভিত্তিতে জনগণনার দরকার হতো না। কিন্তু যেহেতু দেশভাগ ধর্মের ভিত্তিতে হয়েছিল, সে কারণে তৎকালীন শাসকদলের নেতারা ১৯৫১ সালের জনগণনায় ধর্মের উল্লেখকে যথোপযুক্ত মনে করেছিলেন। তিনি জানান, ১৯৫১ সালে দেশে হিন্দুদের সংখ্যা ছিল ৮৪ শতাংশ, মুসলিমদের ৯.৮ শতাংশ। ২০১১ সালে হিন্দুদের সংখ্যা কমে দাঁড়ায় ৭৯ শতাংশে, আর মুসলিমদের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ১৪.২ শতাংশে। এই পরিসংখ্যানকে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন বলে চিহ্নিত করে শাহ বলেন, এটা অনুপ্রবেশের কারণে হয়েছে। এই পরিবর্তনকে ‘উল্লেখযোগ্য ও উদ্বেগজনক’ বলে ব্যাখ্যা করে শাহ বলেন, “এটা জন্মহারের ফল নয়, এটা অনুপ্রবেশের ফল।”

    রাজ্য সরকারগুলোকেও দায়িত্ব নিতে হবে

    শাহ স্পষ্ট ভাবে বলেন, ভারতে মুসলিম জনসংখ্যা ২৪.৬ শতাংশ হারে বেড়েছে, যেখানে হিন্দু জনসংখ্যা কমেছে ৪.৫ শতাংশ হারে। তাঁর দাবি, এই পার্থক্যের মূলে রয়েছে অবৈধ অনুপ্রবেশ, বিশেষ করে সীমান্তবর্তী রাজ্যগুলোতে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর (Amit Shah) দাবি, অসমে ২০১১ সালের জনগণনা অনুযায়ী মুসলিম জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ছিল ২৯.৬ শতাংশ, যা অনুপ্রবেশ ছাড়া অসম্ভব। পশ্চিমবঙ্গের সীমান্তবর্তী জেলাগুলিতে এই হার ৪০ শতাংশেরও বেশি, কোথাও কোথাও ৭০ শতাংশ পর্যন্ত পৌঁছেছে। ঝাড়খণ্ডে আদিবাসী জনসংখ্যা কমার পেছনেও অনুপ্রবেশকেই তিনি দায়ী করেন। শাহ বলেন, “এই সমস্যার সমাধান শুধু কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষে সম্ভব নয়, রাজ্য সরকারগুলোকেও দায়িত্ব নিতে হবে। কিছু রাজ্য সরকার অনুপ্রবেশে সহায়তা করছে।”

    অনুপ্রবেশকারীকে চিহ্নিত করতেই হবে

    ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধন (SIR) প্রসঙ্গে শাহ বলেন, এটি কোনও রাজনৈতিক নয়, জাতীয় ইস্যু। “যদি প্রশাসন অনুপ্রবেশকারীকে চিনতেই না পারে, তবে অনুপ্রবেশ বন্ধ হবে কীভাবে?” তিনি অভিযোগ করেন, কিছু রাজনৈতিক দল অনুপ্রবেশকারীদের ভোটব্যাঙ্ক হিসেবে ব্যবহার করছে। এই প্রসঙ্গে শাহ সতর্ক করে বলেন, “যদি অনুপ্রবেশকারীরা ভোটার তালিকায় ঢুকে যায়, তারা দেশের নীতি নির্ধারণে অংশ নেবে যা গণতন্ত্রের জন্য হানিকর।” তিনি বলেন, ভারত একটি ভূ-সাংস্কৃতিক জাতি। ধর্মের ভিত্তিতে দেশভাগ ছিল এক ঐতিহাসিক ভুল। তিনি বলেন, সরকার অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত করবে, ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেবে এবং তাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর জন্য কাজ করবে। কারণ অনুপ্রবেশকারীরা সীমান্ত অঞ্চলগুলোতে আইনশৃঙ্খলা এবং শহরে দরিদ্র শ্রমিকদের অধিকার হরণ করছে।

  • Amit Shah: ‘‘এদেশের মাটিতে আমার অধিকারের সমান অধিকার পাক-বাংলাদেশ থেকে আসা হিন্দুদেরও’’, সিএএ নিয়ে অমিত শাহ

    Amit Shah: ‘‘এদেশের মাটিতে আমার অধিকারের সমান অধিকার পাক-বাংলাদেশ থেকে আসা হিন্দুদেরও’’, সিএএ নিয়ে অমিত শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন কারও নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার জন্য নয়, বরং নির্যাতিতদের নাগরিকত্ব দেওয়ার জন্য‌ করা হয়েছে। দিল্লিতে জনসংখ্যা ও জনবিন্যাস সংক্রান্ত এক আলোচনা সভায় এমনই দাবি করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (CAA) নিয়ে বিরোধীদের সমালোচনার জবাব দিতে গিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে বিতাড়িত হিন্দুরা নিজেদের নামে বাড়ি কিনতে পারেননি। তারা সরকারি চাকরি পাননি, রেশন কার্ড পাননি, এমনকি সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাও হয়নি। তাদের অধিকার দেওয়ার জন্যই সিএএ।”

    কাদের জন্য নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন

    স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) বলেন, “ধর্মের ভিত্তিতে দেশভাগের সিদ্ধান্ত সংসদ নয়, কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটি নিয়েছিল। সেই ভুল সিদ্ধান্তের জন্য এই মানুষগুলোর চার প্রজন্ম নিপীড়নের শিকার হয়েছে। এখন তারা কি সস্তায় রেশন, বছরে ৫ লাখ টাকার স্বাস্থ্যবিমার চিকিৎসা, ভোটাধিকার এবং সম্পত্তি কেনার অধিকার পাবে না?” এ প্রসঙ্গে প্রতিবেশী দেশগুলির তুলনা টেনে শাহ জানান, পাকিস্তানে ১৯৫১ সালে হিন্দু জনসংখ্যা ছিল ১৩ শতাংশ, বর্তমানে তা কমে মাত্র ১.৭৩ শতাংশে। বাংলাদেশে হিন্দু জনসংখ্যা ২২ শতাংশ থেকে নেমে এসেছে ৭.৯ শতাংশে। আফগানিস্তানে হিন্দু-শিখ মিলিয়ে একসময় ছিল ২.২ লক্ষ, এখন মাত্র ১৫০ জন। শাহের বক্তব্য, এই হ্রাস ধর্মান্তরের কারণে নয়, বরং নির্যাতনের ফলে তারা ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন। তিনি জানান, “যারা ধর্মরক্ষার জন্য ভারতে এসেছে, তারা উদ্বাস্তু। কিন্তু যারা অর্থনৈতিক বা রাজনৈতিক স্বার্থে অবৈধভাবে ঢুকেছে, তারা অনুপ্রবেশকারী।” অমিত শাহের দাবি, নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (CAA) আনার মাধ্যমে এই অবহেলিত মানুষদের ন্যায্য অধিকার ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। শাহ বলেন, “ভারতের মাটিতে কারা প্রকৃত শরণার্থী আর কারা অনুপ্রবেশকারী, সেই সীমারেখা স্পষ্টভাবে টানা জরুরি। যাঁরা ধর্মীয় নিপীড়নের কারণে এই দেশে আশ্রয় খুঁজেছেন, তাঁদের নৈতিক ও সাংবিধানিক অধিকার রয়েছে ভারতের নাগরিকত্ব পাওয়ার। যতটা অধিকার আমার এই দেশের মাটিতে, ঠিক ততটাই অধিকার পাকিস্তান ও বাংলাদেশের হিন্দুদেরও এই মাটিতে।”

    নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে অপপ্রচার

    নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (CAA) নিয়ে শাহ (Amit Shah) বলেন, সিএএ নিয়ে অন্যায়ভাবে অপপ্রচার চালানো হয়েছে এবং অযথা প্রতিবাদ হয়েছে। তাঁর কথায়, “এই আইন কারও নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার জন্য নয়, বরং নির্যাতিতদের নাগরিকত্ব দেওয়ার জন্য।” তাঁর দাবি, ১৯৫১ থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে যে ঐতিহাসিক ভুলগুলো হয়েছে, মোদি সরকার তা সংশোধন করেছে। শাহ আরও বলেন, “যারা ভারতে আশ্রয় নিয়েছে তারা উদ্বাস্তু। কিন্তু অবৈধভাবে ঢোকা মানে অনুপ্রবেশ। উদ্বাস্তুদের আমরা নাগরিকত্ব দিচ্ছি, অনুপ্রবেশকারীদের নয়। কারণ, যদি সবাইকে ঢুকতে দেওয়া হয়, তবে ভারত একদিন ধর্মশালা হয়ে যাবে।”

  • Election Commission: অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণিত হলে ১ বছরের জেল ও জরিমানা! মুখ্যসচিবের ভূমিকায় কেন বিরক্ত নির্বাচন কমিশন?

    Election Commission: অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণিত হলে ১ বছরের জেল ও জরিমানা! মুখ্যসচিবের ভূমিকায় কেন বিরক্ত নির্বাচন কমিশন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক (সিইও) মনোজ আগরওয়াল-এর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এনেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সামনেই ২০২৬-এর বিধানসভা নির্বাচন। যে কোনও দিন শুরু হয়ে যাবে ভোটার তালিকার বিশেষ সংশোধন। এসআইআর (SIR) নিয়ে কোমর বেঁধে নেমে পড়েছে নির্বাচন কমিশন। জেলায় জেলায় চলছে প্রস্তুতি বৈঠক। এই আবহে রাজ্য়ের মুখ্য় নির্বাচনী আধিকারিকের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ তুলেছেন মুখ্য়মন্ত্রী। একপ্রকার তাঁকে হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন মাননীয়া। মমতার মন্তব্যের সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থও। এই নিয়ে নির্বাচন কমিশন অসন্তুষ্ট বলে জানা গিয়েছে।

    মুখ্যসচিবের ভূমিকা ক্ষুব্ধ কমিশন

    লোকপাল আইন অনুযায়ী, হলফনামা ছাড়া কোন সরকারি আধিকারিককে অভিযোগ দেওয়া যায় না। মিথ্যা অভিযোগ প্রমাণিত হলে এক বছরের জেল হতে পারে। বৃহস্পতিবার এসআইআর নিয়ে একরাশ বিরক্ত প্রকাশ করে কমিশনের তুলোধনা করেন মমতা। তিনি বলেন, “এখানে যিনি রাজ্য থেকে গিয়েছেন, তাঁর বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ আছে। সেগুলি সময় হলে বলব।” আর তারপরই বলেন, “আশা করি তিনি বেড়ে খেলবেন না। তিনি বড্ড বেশি অফিসারদের থ্রেট করছেন। এদিকে তিনি নিজেই দুর্নীতির অভিযোগে বিদ্ধ।” বাস্তবে, কোনও সিইও পদমর্যাদার অফিসারের বিরুদ্ধে উপযুক্ত প্রমাণ ছাড়া প্রকাশ্যে এ ভাবে দুর্নীতির অভিযোগ করা যায় না। লোকপাল আইন অনুযায়ী, কোনও সরকারি কর্মচারীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ করতে হলে লিখিত স্বীকারোক্তি দিতে হয়। এমনকি, সেই অভিযোগ সঠিক না হলে অভিযোগকারীর জেল এবং জরিমানাও হতে পারে। কমিশনের এক আধিকারিক জানাচ্ছেন, লোকপাল আইনের ওই অংশটি মুখ্যসচিবের জানা উচিত। তাই কমিশনের বক্তব্য, সেই সময়ে তাঁর ওই বৈঠক ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়া উচিত ছিল।

    কমিশনকে হুমকি দেওয়ার চেষ্টা

    এ প্রসঙ্গে সরব হয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর সাফ কথা মমতা যে ভাষা প্রয়োগ করেছেন, তা নির্বাচন কমিশনকে হুমকি দেওয়ার নামান্তর। শুভেন্দু বলেন, “মনোজ আগারওয়ালের বিরদ্ধে কী তথ্য আছে তা পশ্চিমবঙ্গের জনগণ জানতে চায়। আমরা প্রধান বিরোধী দল জানতে চাই। মুখ্যমন্ত্রী না বললে দীপাবলির পরে সিইও দফতরে ধর্না দেব।”  এ বিষয়ে তিনি সিইও দফতরে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন বলেও জানান শুভেন্দু। কমিশনের এক আধিকারিকের কথায়, কোনও অভিযোগ থাকলে মুখ্য়মন্ত্রী, মুখ্যসচিবকে দিয়ে দরকারে নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ করাতে পারেন, কিন্তু প্রকাশ্যে এ ধরনের মন্তব্য করা অপরাধ।

    মুখ্যসচিবের বিরুদ্ধে অভিযোগ

    কমিশন সূত্রে খবর,  মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যের সময় তাঁর সঙ্গে থেকে একইভাবে দোষী রাজ্যের মুখ্যসচিবও। এই নিয়ে সিইও দফতরে শুভেন্দু যে চিঠি দিয়েছেন, তাতে ওই বৈঠকে মুখ্যসচিবের উপস্থিতি নিয়ে অসন্তোষ ব্যক্ত করেছেন। সেই চিঠি নির্বাচন কমিশনকে পাঠিয়েছে সিইও-র দফতর। তাদের বক্তব্য, কমিশনে কেউ কোনও অভিযোগ জানালে সিইও দফতর নিয়ম মেনেই তা দিল্লিতে পাঠিয়ে দেয়। বিরোধী দলনেতার ক্ষেত্রেও সেই পদ্ধতি মানা হয়েছে। এখন জাতীয় নির্বাচন কমিশন এনিয়ে ফের মুখ্যসচিবের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করতে পারে বলে অুনমান রাজনৈতিক মহলে।

  • India vs West Indies: দ্বিশতরানের পথে যশস্বী, ক্যারিবিয়ানদের বিরুদ্ধে প্রথম দিনের শেষে চালকের আসনে ভারত

    India vs West Indies: দ্বিশতরানের পথে যশস্বী, ক্যারিবিয়ানদের বিরুদ্ধে প্রথম দিনের শেষে চালকের আসনে ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আমেদাবাদের পর দিল্লিতেও দাপট দেখালেন ভারতের ব্যাটাররা। ফের একবার ওয়েস্ট ইন্ডিজের (India vs West Indies) বিরুদ্ধে একটা গোটা দিন আধিপত্য ধরে রাখল ভারতীয় দল। মাত্র দুই উইকেট হারিয়ে প্রথম দিনে ৩১৮ রান তুলে ফেলল টিম ইন্ডিয়া। দিনের শেষে যশস্বী ১৭৩ ও শুভমন গিল ২০ রানে ক্রিজে অপরাজিত রয়েছেন। তবে অল্পের জন্য এদিন শতরান হাতছাড়া হল সাই সুদর্শনের।

    টস জিতলেন শুভমন

    ভারতের (India vs West Indies) টেস্ট অধিনায়ক হওয়ার পর সপ্তম টেস্টে প্রথম টস জিতলেন শুভমন। ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিলেন। শুভমন টসে জেতায় মাঠেই তাঁরে শুভেচ্ছা জানান কোচ গৌতম গম্ভীর থেকে শুরু করে সতীর্থেরা। ব্যাট করতে নেমে শুরুটা সাবধানে করেন যশস্বী ও লোকেশ রাহুল। নতুন বল ধরে খেলেন তাঁরা। প্রথম ঘণ্টা শেষ হওয়ার পর আক্রমণ শুরু করল ভারত। হাত খোলেন রাহুল। স্পিনারকে এগিয়ে এসে ছক্কাও মারেন। দ্বিতীয় বার সেই শট মারতে গিয়ে জোমেল ওয়ারিকানের বলে স্টাম্প আউট হন রাহুল।

    যশস্বীর জমকালো ইনিংস

    টেস্টে (India vs West Indies) প্রথম শতরানের পথে এগোচ্ছিলেন সাই সুদর্শন। কিন্তু ৮৭ রানের মাথায় জোমেল ওয়ারিকানের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফিরলেন ভারতীয় ব্যাটার। ২৫১ রানে ভারতের দ্বিতীয় উইকেট পড়ল। মধ্যাহ্নভোজের বিরতির পর রান তোলার গতি বাড়ায় ভারত। বল কিছুটা পুরনো হয়ে যাওয়ায় বিশেষ কিছু হচ্ছিল না। ১৪৮ বলে নিজের শতরান পূর্ণ করেন যশস্বী। টেস্টে এটি তাঁর সপ্তম শতরান। টেস্টে তাঁর সাতটি শতরানের মধ্যে পাঁচটিই ১৫০-র বেশি। দ্বিতীয় দিন দ্বিশতরানেরও সুযোগ রয়েছে ভারতীয় ওপেনারের। ইতিমধ্যে তিনি ৩ হাজার রান পূরণ করে ফেলেছেন যশস্বী। এখনও পর্যন্ত তিনি একটাই মাত্র ওয়ানডে ম্য়াচ খেলেছেন। ভারতের কাছে এই সিরিজটা যে একেবারেই ‘ছেলেখেলা’ তা বলা যেতে পারে। প্রথম ম্য়াচে তো টিম ইন্ডিয়া ইতিমধ্যেই জয়লাভ করেছে। এবার দ্বিতীয় ম্য়াচের কথা যদি বলতে হয়, তাহলে তিন দিনের মধ্যে এই ম্য়াচও শেষ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হোয়াইটওয়াশ করতে চাইবে। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে টিম ইন্ডিয়ার ঝুলিতে পয়েন্ট আসবে।

  • Nobel Peace Prize: নোবেল শান্তি পুরস্কার পেলেন ভেনিজুয়েলার মারিয়া করিনা মাচাদো, জানেন তাঁর পরিচয়?

    Nobel Peace Prize: নোবেল শান্তি পুরস্কার পেলেন ভেনিজুয়েলার মারিয়া করিনা মাচাদো, জানেন তাঁর পরিচয়?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আশা ভেঙে দিয়ে ২০২৫ সালে নোবেল শান্তি পুরস্কার ( Nobel Peace Prize) পেলেন ভেনেজুয়েলার প্রধান বিরোধী নেত্রী মারিয়া কোরিনা মাচাদো। শুক্রবার নোবেল কমিটি ঘোষণা করে, গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের পক্ষে নিরলস লড়াইয়ের জন্য এই সম্মান পাচ্ছেন তিনি। বর্তমানে আত্মগোপনে থাকা এই রাজনীতিক ‘ভেনেজুয়েলার আয়রন লেডি’ নামেও পরিচিত। ভেনেজুয়েলায় মুক্ত নির্বাচনের পক্ষে দশকের পর দশক ধরে সওয়াল করেছেন মারিয়া। বিচারব্যবস্থার নিরপেক্ষতা, মানবাধিকারের দাবিতে আন্দোলন করেছেন। ২০২৪ সালে ভেনেজুয়েলার নির্বাচনে বিরোধীদের মুখ হিসেবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন তিনি।

    মারিয়া ভবিষ্যতের অনুপ্রেরণা

    শুক্রবার অসলোতে ঘোষণা করা হল মারিয়ার নাম। এ বছর কমিটির ভাবনায় ছিল ৩৩৮টি নাম। যার মধ্যে ২৪৪ জন ব্যক্তি এবং ৯৪টি সংস্থা। তার মধ্যে কমিটি বেছে নিল মারিয়া করিনা মাচাদোকে। নোবেল কমিটি ঘোষণায় জানিয়েছে, গণতন্ত্রের জন্য মারিয়ার অবিচল সংগ্রাম ও অহিংস প্রতিরোধ সারা বিশ্বের কাছে অনুপ্রেরণা। মারিয়া কোরিনা মাচাদো শুধু ভেনেজুয়েলায় নয়, বরং সারা বিশ্বের গণতন্ত্রকামী জনগণের কাছে অনুপ্রেরণা। ভেনেজুয়েলাকে একনায়কতন্ত্র থেকে গণতন্ত্রের পথে ফেরানোর সময়ে তাঁর লড়াইকে সম্মান জানানো হলো নোবেল কমিটির তরফে। কমিটির তরফে বলা হয়েছে, ‘২০২৫ সালে শান্তির জন্য লড়াই করা সাহসী এক ব্যক্তিকে পুরস্কৃত করা হল। এক মহিলা, যিনি আঁধার ঘনিয়ে এলেও গণতন্ত্রের জন্য মশাল জ্বেলে রেখেছিলেন।’ কমিটির তরফে জানানো হয়েছে, ভেনেজুয়েলার গণতান্ত্রিক শক্তির অন্যতম মুখ মারিনা কোরিনা মাচাদো গোটা দক্ষিণ আমেরিকার নাগরিক আন্দোলনকে সাহস জুগিয়েছেন। ভেনেজুয়েলার রাজনৈতিক ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ মুখও ইনি।

    হতাশ ট্রাম্প

    ২০২৪ সাল পর্যন্ত ১০৫ বার মোট ১৪২ জনকে নোবেল শান্তি পুরস্কারে ভূষিত করা হয়েছে। ব্যক্তিগত ভাবে যাঁরা পেয়েছেন, তাঁদের মধ্যে ৯২ জন পুরুষ এবং ১৯ জন মহিলা। ২০২৪ সালে নোবেল শান্তি পুরস্কারে সম্মানিত হয়েছিলেন জাপানের নিহন হিদানকো। পরমাণু বোমা হামলায় ক্ষতিগ্রস্তদের নিয়ে একটি সংগঠন রয়েছে তাঁর। বিশ্বকে পরমাণু অস্ত্রমুক্ত করার পক্ষে সওয়াল করেছিলেন তিনি। তবে, চলতি বছর দীর্ঘদিন ধরেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট দাবি করে আসছেন যে, বিশ্বের ‘আটটি যুদ্ধ’ শেষ করার জন্য নোবেল শান্তি পুরস্কার তাঁরই প্রাপ্য। তবে শেষমেষ নোবেল কমিটি এবার বেছে নিল মারিয়াকেই।

  • BJP West Bengal: পাখির চোখ বিধানসভা! ফের রাজ্যে বিজেপি-র কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক, বৈঠকে ভূপেন্দ্র যাদব-বিপ্লব দেব

    BJP West Bengal: পাখির চোখ বিধানসভা! ফের রাজ্যে বিজেপি-র কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক, বৈঠকে ভূপেন্দ্র যাদব-বিপ্লব দেব

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুজো শেষ হতেই ২০২৬ সালের বিধানসভা (BJP West Bengal) ভোট প্রস্তুতি শুরু করে দিল বঙ্গ বিজেপি। সংগঠনের মোর্চা প্রধানদের নিয়ে কলকাতার হেড অফিসে সভার আয়োজন করা হল। সেখানে উপস্থিত থাকবেন ভোট প্রস্তুতির পর্যবেক্ষণের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিপ্লব দেব এবং ভূপেন্দ্র যাদব। দায়িত্ব নেওয়ার পর এটা তাদের দ্বিতীয় মিটিং। এই মিটিংয়ে সংগঠনের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে পর্যালোচনা হবে বলেই খবর। সেখানে সংগঠনের ত্রুটি এবং শক্তির জায়গা নিয়েও বিস্তারিত আলোচনা হবে। সেই মতো পরবর্তী রুটম্যাপ ঠিক হবে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। বৈঠকে থাকবেন শুভেন্দু অধিকারী, শমীক ভট্টাচার্য, সুকান্ত মজুমদার। বৈঠকে থাকার কথা বঙ্গ বিজেপির অন্যান্য নেতা-নেত্রীদেরও।

    ভোটের প্রস্তুতি চলছে

    পুজোর আগে তিন তিনবার রাজ্য়ে ঘুরে গেছেন খোদ প্রধানমন্ত্রী। পুজোর আগে এবং পুজোর মধ্যে রাজ্যে এসেছেন অমিত শাহ। সূত্রের দাবি, চলতি মাস থেকেই ধারাবাহিক কর্মসূচি শুরু করে দিচ্ছে বিজেপি। অক্টোবর ও নভেম্বর জুড়ে চলবে লাগাতার কর্মসূচি। জানুয়ারি থেকে দ্বিগুণ তৎপরতা নিয়ে এরাজ্য়ে ঝাঁপাবে বিজেপি। একাদশীতেই কলকাতায় এসে ছাব্বিশের প্রাথমিক ‘স্ট্র্য়াটেজি মিটিং’ সেরে ফেলেছেন বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষকরা। আলোচনার মাধ্যমে সংগঠনের একদম বুথ লেভেলের পরিস্থিতি জানতে চাইছেন ভূপেন্দ্র যাদব এবং বিপ্লব দেব। কোথাও নিচু তলার সংগঠন দুর্বল হলে, সেটা ঠিক করার পরামর্শ দিচ্ছে তারা। তবে কোথায় পরিস্থিতি খারাপ, আর কোথায় ভালো, সেটা বুঝতে গেলে সংগঠনের সঙ্গে জড়িতদের সঙ্গে কথা বলতে হবে। তাই দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকেই সভা করে যাচ্ছেন দুই কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক বলে দাবি।

    কী কী নিয়ে আলোচনা

    পশ্চিমবঙ্গে (BJP West Bengal) আগামি বছর হবে বিধানসভা ভোট। সেই মতো রাজ্যে এসআইআর-এর প্রস্তুতি নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন। এই মাসেই হয়তো ভোটার তালিকায় নিবিড় সংশোধনের দিন ঘোষণা হয়ে যাবে। সেই সময় বিজেপি-এর সভ্যরা ঠিক কীভাবে কাজ করবে, সেটাও আগেভাগে ছকে রাখতে চাইছে বিজেপি। এখানেই শেষ নয়, সূত্রের খবর, ২০২৬ সালের ভোটের আগে নিজেদের আরও শক্ত ভিতের উপর দাঁড় করাতে চাইছে বিজেপি। তারা প্রাথমিকভাবে সংগঠনের বাস্তবিক পরিস্থিতি ঝালিয়ে নিচ্ছে। এর পর কোন আসনে কাকে দাঁড় করানো যায়, সেটা দেখার পালা। তবে এখনই এই নিয়ে কোনও নির্দিষ্ট সিদ্ধান্ত হবে না। বরং একটা সম্ভাব্য লিস্ট সাজিয়ে রাখতে চাইছেন উচ্চ নেতারা। সেই লিস্টে এখনও অনেক অদলবদলের রয়েছে সম্ভাবনা। একদম ভোটের আগেই বেরবে শেষ প্রার্থী তালিকা।

  • IAF: রাওয়ালপিন্ডিকে ‘রোস্ট’ করে খেল ভারত! প্রতীকী মেনুতে পাকিস্তানকে কটাক্ষ বায়ুসেনার, নেটদুনিয়ায় প্রশংসার বন্যা

    IAF: রাওয়ালপিন্ডিকে ‘রোস্ট’ করে খেল ভারত! প্রতীকী মেনুতে পাকিস্তানকে কটাক্ষ বায়ুসেনার, নেটদুনিয়ায় প্রশংসার বন্যা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এয়ার ফোর্স ডে ডিনার পার্টিতে পাকিস্তানকেই ‘রোস্ট’ করে খেয়ে নিলেন এয়ার চিফ মার্শাল এপি সিংয়ের ছেলেরা। মেনুর শুরুতে ‘রাওয়ালপিন্ডি চিকেন টিক্কা মশলা’, একেবারে শেষে ‘মুরিদকে মিষ্টি পান’। উপলক্ষ্য ভারতীয় বায়ুসেনার ৯৩-তম প্রতিষ্ঠা দিবস। আর এই বিশেষ দিনটিতে বায়ুসেনার নৈশভোজের মেনুকার্ড এখন ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়। মেনুকার্ডের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পাকিস্তানকে ‘কটাক্ষ’ করা হয়েছে। বায়ু সেনার এই মেনু বুঝিয়ে দিয়েছে, ভারত কোনও আক্রমণ ভোলে না, প্রয়োজনে জবাব দেয় নিজের মতো করে। “ইনফ্যালিবল, ইম্পারভিয়াস অ্যান্ড প্রিসাইস” স্লোগানের নিচে সাজানো এই মেনু সেই আত্মবিশ্বাসেরই প্রতিফলন।

    বায়ুসেনার মেনু নজরকাড়া

    ৮ অক্টোবর ছিল বায়ুসেনা দিবস। এদিন বায়ুসেনার বিশেষ ভোজে পরিবেশিত খাবারের নামগুলি যেন ছিল একেবারে যুদ্ধক্ষেত্রের গল্প বলার মতো — ‘রাওয়ালপিন্ডি চিকেন টিক্কা মাসালা’ থেকে শুরু করে ‘ভোলারি পনির মেথি মালাই’, ‘মুজাফফরাবাদ কুলফি ফালুদা’ এবং ‘বালাকোট টিরামিসু’। শোনা যাচ্ছে, ভারতের সামরিক সাফল্যের প্রতীক হিসেবেই এই মেনুর প্রতিটি পদ রাখা হয়েছিল। প্রথম নজরে এটি হয়তো এক সাধারণ উৎসবের ভোজ মনে হতে পারে, কিন্তু বাস্তবে এই মেনু ছিল পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতের সামরিক অভিযানের সাফল্যের এক রসিক উপস্থাপনা। বিশেষত, ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর সময় পাকিস্তানের ভেতরে বায়ুসেনার সফল আঘাতগুলিকে যেন থালায় সাজিয়ে পরিবেশন করা হয়েছে ভারতের বীর বায়ুসেনা সদস্যদের সামনে। ‘অপারেশন সিঁদুর’ ও পহেলগাঁও হামলার পর দেশ জুড়ে এক অদম্য মনোভাব তৈরি হয়েছে। পাক বিরোধিতা চোখে পড়েছে ক্রিকেটের ময়দানেও। ভারত পাক দ্বন্দ্বের আবহে অনেকে এই মেনুকে দেখছেন প্রতিশোধ ও আত্মগর্বের এক নীরব প্রতীক হিসেবে। ৯৩ বছরে এসে বায়ু সেনার বার্তা স্পষ্ট – “আমরা নির্ভুল, অদম্য ও অনমনীয়।”

    পাকিস্তানকে নিয়ে কার্যত ছেলেখেলা

    অপারেশন সিঁদুর-এ পাকিস্তানকে নাস্তানাবুদ করার পর এবার সোশ্যাল মিডিয়াতেও পাকিস্তানকে নিয়ে কার্যত ছেলেখেলা করেছে ভারতের বায়ুসেনা। মেনুতে খাবারের নাম- ‘রফিকি রাড়া মটন’, ‘ভোলারি পনির মেথি মালাই’, ‘সুক্কুর শাম সবেরা কোফতা’, ‘সারগোধা ডাল মাখানি’, ‘জ্যাকোবাবাদ মেওয়া পোলাও’, ‘বাহাওয়ালপুর নান’। মেনুতে সেই সব জায়গার নামের সঙ্গে ভারতীয় খাবারের নাম জুড়ে দেওয়া হয়েছে, যেগুলি ভারতের সেনা পহেলগাঁও হামলার প্রত্যাঘাতের সময় পাকিস্তানে ধ্বংস বা ক্ষতিগ্রস্ত করে দিয়ে এসেছে। পাক সেনা বা সরকার তা স্বীকার না করলেও রীতিমতো স্যাটেলাইট ইমেজ দেখিয়ে বিদেশমন্ত্রক, দেশের সেনা প্রধান, বায়ুসেনা প্রধানরা সে সবের প্রমাণ দিয়েছেন। ‘ভোলারি পনির মেথি মালাই’ নামটি সরাসরি পাকিস্তানের সিন্ধ প্রদেশের ভোলারি বিমানঘাঁটি-র প্রতি ইঙ্গিত করছে, যেখানে ভারতীয় বায়ুসেনার হামলায় বড় ক্ষতি হয়েছিল বলে ধারণা করা হয়। আর মিষ্টান্নে পরিবেশিত ‘বালাকোট টিরামিসু’ যেন ২০১৯ সালের সেই ঐতিহাসিক বালাকোট এয়ার স্ট্রাইক-এর প্রতীক — যেখানে ভারত জয়ীভাবে জবাব দিয়েছিল সন্ত্রাসের আশ্রয়স্থলকে। এই প্রতীকী পদগুলির মাধ্যমে বায়ুসেনা দিবসের ভোজ যেন হয়ে উঠেছিল ভারতের সামরিক সাহসিকতা ও কৌশলের এক সৃজনশীল উদযাপন।

  • India-Britain Relation: ‘উগ্রপন্থার কোনও স্থান নেই’, খালিস্তানি ইস্যুতে স্টার্মারকে স্পষ্ট বার্তা প্রধানমন্ত্রী মোদির

    India-Britain Relation: ‘উগ্রপন্থার কোনও স্থান নেই’, খালিস্তানি ইস্যুতে স্টার্মারকে স্পষ্ট বার্তা প্রধানমন্ত্রী মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: খালিস্তানি চরমপন্থা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi)। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টার্মারের (Keir Starmer) সঙ্গে বৈঠকে মোদি জোর দিয়ে বলেন, গণতান্ত্রিক সমাজে উগ্রপন্থা ও সহিংসতা কোনওভাবেই বরদাস্ত করা যায় না। বৈঠক শেষে দুই প্রধানমন্ত্রীর যৌথ বিবৃতিতে সন্ত্রাসবাদ ও সহিংস উগ্রপন্থার বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করা হয়েছে। তাঁরা জিরো টলারেন্স নীতির ওপর জোর দিয়ে বলেন, সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক স্তরে একসঙ্গে লড়াই করা জরুরি। এই প্রক্রিয়ায় রাষ্ট্রসঙ্ঘের সনদ ও আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করা হয়।

    খালিস্তান প্রসঙ্গে কঠোর বার্তা

    ভারত ও ব্রিটেনের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক আলোচনার পর, বিদেশ সচিব বিক্রম মিশ্রি সাংবাদিকদের জানান, “খালিস্তানি চরমপন্থা নিয়ে দুই নেতার মধ্যে আলোচনা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী মোদি স্পষ্ট করে বলেন, সমাজে যে স্বাধীনতা ও অধিকার রয়েছে, তা কোনওভাবেই সহিংস উগ্রপন্থার হাতিয়ার হতে পারে না। এই ধরনের কার্যকলাপের বিরুদ্ধে দুই দেশকেই তাদের আইনি কাঠামোর মধ্যে থেকে কড়া ব্যবস্থা নিতে হবে।” প্রধানমন্ত্রী মোদি সম্প্রতি ম্যানচেস্টারে ঘটে যাওয়া সন্ত্রাসী হামলায় নিহতদের প্রতি সমবেদনা জানান। ওই ঘটনায় একটি গাড়ি নিয়ে পথচারীদের উপর হামলা করা হয়, যাতে দুই জন প্রাণ হারান।

    সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় পাশাপাশি

    বিদেশমন্ত্রক সূত্রে খবর, প্রধানমন্ত্রী মোদি ও ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী স্টার্মারের মধ্যে সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় তথ্য আদান-প্রদান, আইনি সহযোগিতা ও সক্ষমতা বৃদ্ধিতে দুই দেশ আরও ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার কথা হয়েছে। যৌথ বিবৃতিতে সন্ত্রাসী অর্থায়ন, সীমান্ত পেরিয়ে জঙ্গিদের চলাচল, প্রযুক্তির অপব্যবহার, ও নতুন নিয়োগে রাশ টানতে একসঙ্গে পদক্ষেপ করা হবে বলেও জানানো হয়েছে। ২০২৫ সালের এপ্রিল মাসে জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে ঘটে যাওয়া সন্ত্রাসী হামলারও তীব্র নিন্দা করা হয়েছে।

    ভারতীয় অর্থনীতির ভূয়সী প্রশংসা

    ভারতের অর্থনৈতিক উন্নয়নেরও ভূয়সী প্রশংসা করেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টার্মার (Keir Starmer)। জানান ভারতে ক্যাম্পাস খুলবে ব্রিটেনের ৯টি বিশ্ববিদ্যালয়। বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi)সঙ্গে মুম্বইয়ে দেখা করেন স্টার্মার। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরে এটি স্টার্মারের প্রথম ভারত সফর। দু’দেশের সম্পর্ক আরও মজবুত করার বার্তা দিয়েছেন দুই রাষ্ট্রনেতাই। বৈঠকে মূলত প্রতিরক্ষা ও বাণিজ্য বিষয়েই জোর দেওয়া হয়। বৈঠকের পর একটি যৌথ বিবৃতিও প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, ‘ভারত এবং ব্রিটেন দীর্ঘ দিনের বন্ধু। দু’দেশেই গণতন্ত্র, স্বাধীনতা এবং আইনের শাসন রয়েছে। ভারত এবং ব্রিটেন একে অপরের উন্নতি এবং বিভিন্ন স্তরে অগ্রগ্রতির জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’

    আরও মজবুত ভারত (India)-ব্রিটেন সম্পর্ক

    সরকারি সূত্রে জানা গেছে, মোদি ও স্টার্মারের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে দুই দেশের কৌশলগত অংশীদারিত্বকে আরও গভীর করার বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। বিশেষ করে ২০৩৫ সালের রোডম্যাপকে সামনে রেখে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, প্রযুক্তি, প্রতিরক্ষা, শিক্ষা এবং জলবায়ু পরিবর্তনসহ নানা ক্ষেত্রে সহযোগিতা বৃদ্ধির পথ খোঁজা হয়। কূটনৈতিক সূত্রের খবর, এই বৈঠকের ফলে দুই দেশের মধ্যে প্রযুক্তি ও প্রতিরক্ষা সহযোগিতার ক্ষেত্র আরও প্রসারিত হবে। পাশাপাশি, সবুজ শক্তি, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, শিক্ষা ও স্টার্ট-আপ খাতে যৌথ বিনিয়োগের বিষয়ও আলোচনায় এসেছে।

    স্টার্মারের সফরের রাজনৈতিক গুরুত্ব

    বিশেষজ্ঞদের মতে, স্টার্মারের সফরের রাজনৈতিক গুরুত্বও কম নয়। ব্রিটেনের ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাইরে অবস্থান এবং দক্ষিণ এশিয়ার কৌশলগত গুরুত্বের প্রেক্ষিতে ভারত (India) এখন ব্রিটেনের সবচেয়ে বড় সম্ভাবনাময় অংশীদার। অন্যদিকে, মোদি সরকারের ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ এবং ‘ডিজিটাল ইন্ডিয়া’ উদ্যোগে ব্রিটিশ বিনিয়োগকে স্বাগত জানাতে আগ্রহী নয়াদিল্লি। কূটনৈতিক মহলের ধারণা, এই সফরের মাধ্যমে ভারত-ব্রিটেন সম্পর্ক এক নতুন উচ্চতায় পৌঁছাবে, যা আগামী দশকে দুই দেশের অর্থনীতি ও প্রতিরক্ষায় গভীর প্রভাব ফেলবে।

    শিক্ষাখাতে বিনিয়োগ

    বৈঠক শেষে যৌথ সাংবাদিক সম্মেলনে স্টার্মার জানান, ভারতে ক্যাম্পাস খুলবে ব্রিটেনের ৯টি বিশ্ববিদ্যালয়। তবে সেই তালিকায় কোন কোন ব্রিটিশ বিশ্ববিদ্যালয় থাকবে, তা এখনও জানা যায়নি। শিক্ষা খাতে ভারত-ব্রিটেন সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করার কথাও বলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। তাঁর কথায়, “ভারতের তরুণ প্রজন্মই ২০৪৭ সালের লক্ষ্য পূরণে নেতৃত্ব দেবে।” গত জুলাইয়ে ভারত-ব্রিটেনের মধ্যে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি হয়। সেই চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার পর এই প্রথম বৈঠক করলেন দুই রাষ্ট্রনেতা মোদি ও স্টার্মার। প্রযুক্তি এবং উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে ভারত ও ব্রিটেনকে ‘বিশ্বনেতা’ হিসেবে বর্ণনা করে স্টারমার বলেন, “আমরা প্রযুক্তি ও নিরাপত্তা খাতে আমাদের সহযোগিতা আরও গভীর করছি—এআই, উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি নিয়ে নতুন উদ্যোগ নিচ্ছি।” তিনি আরও জানান, বলিউডকে কেন্দ্র করে ব্রিটেনে চলচ্চিত্র নির্মাণের এক নতুন চুক্তির ঘোষণা করা হবে। উল্লেখ্য, স্টার্মার বৃহস্পতিবার ইয়াশরাজ ফিল্ম স্টুডিও পরিদর্শন করেন। বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠক করে স্টার্মার বলেন, ‘‘ভারতের উন্নতির রেখাচিত্র অসাধারণ।’’ ভারত-ব্রিটেন ফ্রি-ট্রেড ডিল, সামরিক প্রশিক্ষণেও একে অপরকে সাহায্য করবে দু’দেশ বলেও জানান তিনি। তাঁর কথায়, ‘‘ভবিষ্যতের দিকে নজর রেখে আধুনিক উন্নত অংশিদারিত্ব করতে চলেছে দুই দেশ।’’ দু’দিনের সফরে মুম্বইয়ে এসেছেন স্টার্মার। তাঁর সঙ্গে রয়েছেন সেখানকার বিশিষ্ট ব্যবসায়ী, নেতা, উদ্যোক্তা, শিক্ষাবিদদের ১২৫ জনের একটি দল।

  • SIR in Bengal: সাত দিনের সময়সীমা! এসআইআর প্রস্তুতি শেষ করতেই হবে ১৫ তারিখের মধ্যে জানাল কমিশন

    SIR in Bengal: সাত দিনের সময়সীমা! এসআইআর প্রস্তুতি শেষ করতেই হবে ১৫ তারিখের মধ্যে জানাল কমিশন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাত দিনের মধ্যে বাংলায় ‘স্পেশাল ইন্টেনসিভ রিভিশন’ বা বিশেষ নিবিড় সমীক্ষা (SIR in Bengal) সহ যাবতীয় নির্বাচনী প্রস্তুতি সেরে ফেলার নির্দেশ দিল নির্বাচন কমিশন (Election Commission)। বুধবার রাজ্যের (West Bengal) সব জেলার জেলাশাসকদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠকে এমনই কড়া বার্তা দেয় কমিশনের প্রতিনিধি দল। ডেপুটি নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ ভারতীর নেতৃত্বে এদিন বৈঠকও হয়। আর সেই বৈঠকে যে ইঙ্গিত মিলেছে, তাতে ১৫ অক্টোবরের পরই বাংলায় এসআইআর (SIR) হতে পারে। এই আবহে বুধবার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেন রাজ্যে এসআইআর হলে চার ধরনের নাম বাদ পড়তে পারে।

    পূর্ব মেদিনীপুরে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের প্রতিনিধি দল

    পূর্ব মেদিনীপুর জেলা সফরে রয়েছে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের প্রতিনিধি দল। কমিশনের নজরে তিন জেলা-পূর্ব মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া। কোলাঘাট অডিটোরিয়ামে তিন জেলার আধিকারিক ও ৫০০ বিএলও-কে নিয়ে বৈঠক করবেন ডেপুটি ইলেকশন কমিশনার জ্ঞানেশ ভারতী। বেলা দুটো থেকে বৈঠক শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। বৃহস্পতিবার, প্রথমে জেলাশাসক ও ইআরও-দের সঙ্গে বৈঠক হবে। পরে বিএলআরও-দের সঙ্গে বৈঠক হবে। অত্য়ন্ত তাৎপর্যপূর্ণ, বাঁকুড়া। কারণ এই জেলায় ২০০২-এর ভোটার তালিকার সঙ্গে ২০২৫ সালের ভোটার তালিকায় বিস্তর ফারাক রয়েছে। অর্থাৎ, যাঁদের ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় নাম ছিল, তাঁদের অনেকেই ২০২৫ সালের ভোটার তালিকায় নাম খুঁজে পাচ্ছেন না। এরকম একাধিক জেলার ক্ষেত্রে এই অভিযোগ উঠলেও, বাঁকুড়ার ক্ষেত্রে এই সংখ্যাটা অত্যন্ত বেশি। যে রিজিয়নগুলোতে বেশি অভিযোগ উঠছে, তাতেই সব থেকে বেশি নজর দিচ্ছে কমিশনের প্রতিনিধি দল।

    এসআইআর প্রক্রিয়াকে স্বাগত শুভেন্দুর

    এসআইআর প্রক্রিয়াটিকে স্বাগত জানিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি মনে করেন, এই প্রক্রিয়া গণতন্ত্রের স্বার্থে অপরিহার্য। শুভেন্দুর কথায়, ভোটার তালিকা থেকে শুধুমাত্র চার ধরনের নাম বাদ যাওয়ার কথা। মৃত ভোটার, ডাবল বা ট্রিপল এন্ট্রি, ভুয়ো ভোটার এবং অবৈধ অনুপ্রবেশকারী। বিশেষত রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশি মুসলিম অনুপ্রবেশকারীদের নাম বাদ যাবে বলে উল্লেখ করেছেন তিনি। তাঁর দৃঢ় বিশ্বাস, এই প্রক্রিয়া চলার ফলে কোনও ভারতীয় নাগরিক, তিনি যে ধর্ম বা সম্প্রদায়েরই হোন না কেন, তাঁর নাম বাদ যাবে না। বিহারের প্রসঙ্গ টেনে শুভেন্দু উল্লেখ করেন, সেখানে ৬৫ লক্ষ ভোটারের নাম বাতিল হয়েছিল। পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে তিনি আশা প্রকাশ করেন যে, যদি এই প্রক্রিয়া সঠিকভাবে সম্পন্ন হয়, তবে এক কোটিরও বেশি মৃত, ভুয়ো এবং অবৈধ অনুপ্রবেশকারীর নাম তালিকা থেকে বাদ পড়বে। শুভেন্দু বলেন, “মৃত ভোটারের নাম বা অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের নাম ভোটার তালিকায় থাকা গণতন্ত্রের পক্ষে সমীচীন নয়। একটি নির্বাচন সুষ্ঠু ও ত্রুটিমুক্ত করার প্রথম ধাপই হল ভোটার তালিকা সংশোধন করা এবং তাকে ত্রুটিমুক্ত করা।”

    এসআইআর নিয়ে সতর্ক কমিশন

    মঙ্গলবার রাতেই দিল্লি থেকে কলকাতায় এসে পৌঁছেছে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের উচ্চপর্যায়ের দল। তাতে রয়েছেন উপ-নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ ভারতী, তথ্যপ্রযুক্তি শাখার ডিরেক্টর জেনারেল সীমা খান্না, কমিশনের সচিব এসবি যোশী এবং উপ-সচিব অভিনব আগরওয়াল। বুধবার সকালে তাঁদের নেতৃত্বেই হয় রাজ্যের জেলাশাসকদের সঙ্গে বৈঠক। কমিশন সূত্রের খবর, এদিন একে একে সমস্ত জেলার প্রস্তুতির খতিয়ান চাওয়া হয়। কোথায় কতটা কাজ এগিয়েছে, সরেজমিনে সেই ছবি দেখা হয়। এদিনের বৈঠকে বিহারের উদাহরণ টেনে কড়া বার্তা দিয়েছেন জ্ঞানেশ ভারতী। কমিশনের তরফে জানানো হয়, বিহারে দায়িত্বে গাফিলতির অভিযোগে সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বাংলাতেও যদি কেউ গাফিলতি করেন, তা হলে রেহাই নেই।

    কীভাবে হবে কাজ তা-ও স্পষ্ট করল কমিশন

    কমিশনের তরফে স্পষ্ট জানানো হয়েছে, ১৫ অক্টোবরের মধ্যে শেষ করতে হবে সমস্ত প্রস্তুতি। সময়মতো বিজ্ঞপ্তি জারি ও ফর্ম বিতরণে যেন কোনও গাফিলতি না হয়, তা-ও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের চার-পাঁচ দিনের মধ্যেই অন্তত ৩০ শতাংশ ফর্ম ছাপানোর কাজ শেষ করতে হবে। প্রতিটি জেলার নিজস্ব পরিকাঠামো ব্যবহার করে সেই ছাপার কাজ করতে হবে। বিহারের মতো এক জায়গা থেকে ফর্ম পাঠানোর পথে হাঁটবে না কমিশন। রাজ্যে এই মুহূর্তে প্রায় ৭.৬৫ কোটি ভোটার। তাঁদের জন্য ছাপাতে হবে অন্তত ১৫ কোটিরও বেশি আবেদনপত্র। প্রতিটি ভোটারের জন্য দু’টি করে ফর্ম-একটি ভোটারের হাতে থাকবে, অন্যটি সংগ্রহ করে আনবেন বিএলও। দিল্লি থেকে সফট কপি পাঠানোর পরই ফর্ম ছাপার কাজ শুরু হবে। তার পর সেই ফর্ম বিলি করা হবে বুথ লেভেল অফিসারদের (BLO) হাতে। এরপর বাড়ি বাড়ি গিয়ে সেগুলি পৌঁছে দেবেন তাঁরাই। ভারতীয় সংবিধানের ৩২৪ থেকে ৩২৯ ধারার কথা উল্লেখ করে শুভেন্দু জানান, নির্বাচন কমিশন একটি সম্পূর্ণ স্বাধীন সাংবিধানিক সংস্থা, যা বাবাসাহেব আম্বেদকর তৈরি করে গিয়েছেন। তাই কোনও শাসক বা বিরোধী নেতার কথায় নির্বাচন কমিশন চলবে না, কমিশন চলবে সংবিধানের নিয়ম মেনে। শুভেন্দুর কথায়, “একটি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ভোটার তালিকাই হল গণতন্ত্রের সবচেয়ে বড় স্তম্ভ।”

  • Weather Update: বৃষ্টি বিদায়ের আগেই জাঁকিয়ে শীত! দেশের বিভিন্ন প্রান্তে আগাম ঠান্ডা পড়ার ইঙ্গিত

    Weather Update: বৃষ্টি বিদায়ের আগেই জাঁকিয়ে শীত! দেশের বিভিন্ন প্রান্তে আগাম ঠান্ডা পড়ার ইঙ্গিত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৃষ্টি বিদায় (Weather Update) নেয়নি এখনও। দেশ তথা রাজ্যের নানা প্রান্তে মাঝেমাঝেই হচ্ছে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিপাত। তারই মধ্যে উত্তর-ভারতে (North India) শীতের পরশ লাগতে শুরু করেছে। হিমাচল প্রদেশ (Himachal Pradesh) ও জম্মু–কাশ্মীরের (Jammu Kashmir) অধিকাংশ এলাকায় তুষারপাত হয়েছে। পাশাপাশি দিল্লি এবং সমতলের অনেক রাজ্যে তাপমাত্রার পারদও নামতে শুরু করেছে। এই আবহেই মৌসভ ভবনের (IMD) পূর্বাভাস, চলতি বছর নির্ধারিত সময়ের আগেই দেশে শীত (Winter Prediction) পড়তে পারে। শহর কলকাতাতেও ভোরের দিকে হালকা শিরশিরানি অনুভূত হচ্ছে। জোড়ে পাখা বা এসি কোনওটাই চালানো যাচ্ছে না।

    কবে বিদায় নিতে পারে বর্ষা?

    আবহাওয়া দফতর (Weather Update) বলছে, গুজরাটের বড় অংশ থেকেই বর্ষা বিদায়ের পর্ব শুরু হয়ে গিয়েছে। যে অংশে বর্ষা এখনও থমকে রয়েছে সেখান থেকে আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই বর্ষা চলে যেতে পারে। পাশাপাশি মধ্যপ্রদেশ, উত্তরপ্রদেশ, মহারাষ্ট্রের একটা বড় অংশেও বর্ষা বিদায়ের অনুকূল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এখান থেকেও বর্ষা বিদায় নিতে পারে বর্ষা। আর তার পরের ফেজেই বাংলাতেও বর্ষা বিদায়ের অনুকূল পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে বলে মনে করেছেন আবহবিদদের বড় অংশ। তবে, শুক্রবারও বঙ্গোপসাগরে নতুন ঘূর্ণাবর্তের পূর্বাভাস রয়েছে। বাংলাদেশের ঘূর্ণাবর্তের প্রভাবে এদিনও থাকছে বৃষ্টির পূর্বাভাস। বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির হলুদ সতর্কতা থাকছে দক্ষিণবঙ্গে। বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি হতে পারে কলকাতাতেও।

    শীতের অনুকূল পরিবেশ

    আইএমডি (Winter Prediction) জানিয়েছে, অক্টোবর মাসে দেশের বেশিরভাগ অংশে স্বাভাবিকের তুলনায় প্রায় ১৫ শতাংশ বেশি বৃষ্টিপাত হতে পারে। পরিসংখ্যান বলছে, ১৯৭১–২০২০ সালের গড় ৭৫.৪ মিলিমিটারের তুলনায় এবারের বৃষ্টি সেই গড় ছাড়িয়ে যাবে। তবে, মধ্য ও দক্ষিণ ভারতের বাইরে দেশের অধিকাংশ স্থানে অক্টোবর মাসে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। অন্যদিকে, অক্টোবর–ডিসেম্বর মাসে দক্ষিণের রাজ্যগুলিতে (South Indian States) আর্দ্রতা বাড়ার সম্ভাবনা। বিশেষ করে তামিলনাড়ু, কেরল ও উপকূলীয় অন্ধ্রপ্রদেশে গড়ের তুলনায় প্রায় ১২ শতাংশ বেশি বৃষ্টিপাত হতে পারে বলে পূর্বাভাস। আবহাওয়া দফতরের ইঙ্গিত, এই পরিস্থিতি আগামী কয়েক সপ্তাহ চলবে এবং তার জেরেই আগাম শীতের পরিবেশ তৈরি হতে পারে। বর্ষা বিদায়ের পর শীত আসার আগে শুরু হবে সাইক্লোনের মরসুম। অক্টোবর থেকে ডিসেম্বরের প্রথম ভাগ পর্যন্ত এই ঘূর্ণিঝড়ের সময় চলবে। এর মাঝেই ঘটবে শীতের আগমন।

    উত্তর-পশ্চিম ভারতে তুষারপাত

    এরইমধ্যে অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহেই ব্য়াপক তুষারপাতের ছবি দেখা গিয়েছে উত্তর-পশ্চিম ভারতে। উত্তর ভারতের বড় অঞ্চল বরফের চাদরে ঢাকা পড়েছে। কাশ্মীর, হিমাচলপ্রদেশের বড় অংশ তো বটেই, তুষারপাত দেখা গিয়েছে উত্তরাখণ্ডের বড় অংশেও। কেদারনাথ থেকে গুলমার্গ, মানালি ধবধবে সাদা বরফে ঢাকা পড়তেই খুশির হাওয়া পর্যটকদের মধ্যেও। অনন্তনাগ জেলার পহেলগাঁওয়ের আরু ভ্যালিতেও তুষারপাতের ছবি দেখা যায়। অন্যদিকে, উত্তরাখণ্ডের চামোলি জেলার হেমকুন্ড সাহিব গুরুদ্বার বরফে ঢাকা পড়ে। একইসঙ্গে কেদারনাথেও পুণ্যার্থীরা বছরের প্রথম তুষারপাত (Snowfall in Himachal) দেখেন।

    আগে পুজো, আগে শীত

    হাওয়া অফিস (Weather Update) বলছে আচমকা পশ্চিমী ঝঞ্ঝার আগমণের কারণেই বরফ পড়ছে পার্বত্য অঞ্চলে। তবে অক্টোবরের শুরুতে এভাবে পশ্চিমী ঝঞ্ঝা সাধারণত দেখা যায় না। সেদিক থেকে দেখলে এবার যেন সবটাই আগাম। আগে পুজোর মতোই, আগে শীতের নাচন। এই তুষারপাতের জেরে ঠান্ডা শীতল বাতাস পেতে শুরু করে দিচ্ছে দিল্লি, পঞ্জাবের বড় অংশ। দিল্লি এবং উত্তরের সমতলভূমির বহু অংশে বৃষ্টির পরে তাপমাত্রা কমে গিয়েছে হু হু করে। বাংলাতে যদিও এখনও শীতের পরিবেশ আসেনি। পাওয়ার-প্লে-র শেষের দিকে ঝোড়ো ব্যাটিং চালাচ্ছে বর্ষা। বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত উত্তরবঙ্গ। দক্ষিণবঙ্গেও মাঝেমাঝেই চলছে ধারাপাত। পুজোর মুখে ভারী বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিল দক্ষিণবঙ্গ। আর পুজো কাটতে ভেসেছে উত্তরবঙ্গ। এখনও পাহাড়ের বিভিন্ন জায়গায় দুর্যোগের ক্ষতচিহ্ন স্পষ্ট।

    কলকাতার আকাশ রোদ ঝলমল!

    বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শহরের আকাশে রোদ ঝলমল করছে। কলকাতার আকাশ পরিষ্কার থাকলেও বৃহস্পতিবারও হাওড়া, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, নদিয়ায় বৃষ্টির সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়ার জন্য হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। আগামী সোমবার পর্যন্ত দক্ষিণের জেলাগুলিতে বিক্ষিপ্ত ভাবে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। অস্বস্তিকর গরম নয়, তবে শুষ্ক থাকবে দিন। বাংলায় এই মুহূর্তে ঠান্ডার কোনও লক্ষণ নেই। বরং ঠান্ডা-গরম আবহাওয়ার মিশ্রণে অনেকেই অসুস্থ হচ্ছেন। আলিপুর হাওয়া অফিসের তথ্য অনুসারে এই ধরনের আবহাওয়া আপাতত বাংলায় অব্যাহত থাকবে। এই সপ্তাহে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২ থেকে ৩ ডিগ্রি হ্রাস পাবে এটা সত্য, তবে এর অর্থ এই নয় যে শীত (Winter Prediction)  শুরু হবে। বরং এই মাসজুড়ে তাপমাত্রা স্থিতিশীল থাকবে।

LinkedIn
Share