Author: ishika-banerjee

  • Piyush Goyal On Tariff: ‘কারও কাছে মাথা নত না করেই জয়ী হবে ভারত’, শুল্ক-হুমকির মুখে স্পষ্ট বার্তা বাণিজ্য মন্ত্রীর

    Piyush Goyal On Tariff: ‘কারও কাছে মাথা নত না করেই জয়ী হবে ভারত’, শুল্ক-হুমকির মুখে স্পষ্ট বার্তা বাণিজ্য মন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত কারও কাছে মাথা নত করবে না। এরকম অনেক পরিবর্তন দেখেছে ভারতবাসী। তারা সবসময় দুর্যোগকে সুযোগে পরিণত করেছে। বিশ্ব ভারতের দিকে তাকিয়ে আছে। বিভিন্ন দেশ ভারতের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অযৌক্তিক শুল্ক চাপানোর প্রেক্ষিতে এমনই অভিমত প্রকাশ করলেন কেন্দ্রীয় বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল। ‘বিটি ইন্ডিয়া@১০০’ শীর্ষ সম্মেলনে অংশগ্রহণ করে ট্যারিফ-বাণিজ্য একাধিক বিষয়ে বক্তব্য পেশ করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। বিশ্ব-বাণিজ্যে ট্রাম্পের চাপানো অতিরিক্ত শুল্কের ফলে ভারতের পরিস্থিতি ও প্রতিবন্ধকতা নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গোয়েলকে। সেই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “আজকের ভারত অনেক বেশি শক্তিশালী ও আত্মবিশ্বাসী। বার্ষিক সাড়ে ৬ শতাংশ হারে জিডিপি বৃদ্ধি হচ্ছে ভারতের এবং আগামিদিনে তা আরও হবে।”

    ভারতই ভরসা বিশ্বের

    ভারতের অর্থনীতিকে ‘মৃত’ বলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ভারতের উপরে ৫০ শতাংশ শুল্ক চাপিয়েছে আমেরিকা। চিন্তা বাড়ছে বাণিজ্য নিয়ে। এরই মাঝে কেন্দ্রীয় বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল সাফ জানিয়ে দিলেন, “আমার বিশ্বাস যে ভারত গত বছরের তুলনায় এই বছরে আরও বেশি রফতানি করবে। গোটা বিশ্ব জানে যে বিশ্ব প্রবৃদ্ধিতে ভারতের অবদান ১৬ শতাংশ, আমাদের শেয়ার বাজার, মুদ্রা, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। আজ বিশ্ব ভারতের ১.৪ বিলিয়ন মানুষের প্রতিভা নিয়ে কাজ করতে চায়। ভারতের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল।” ডি-গ্লোবালাইজেশন নয়, বরং দেশগুলি তাদের বাণিজ্যিক পথ ও সঙ্গী বদলাচ্ছে বলেই যুক্তি দেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। বাণিজ্যিক যে বাধাগুলি আসছে, তা মোকাবিলা করার জন্য পদক্ষেপ করা হচ্ছে বলেও তিনি জানান।

    ভারত বিশ্বের দ্রুততম বর্ধনশীল অর্থনীতি

    বিটি ইন্ডিয়া@১০০ শীর্ষ সম্মেলনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গোয়েল বলেছেন যে এটি ভারতের সময়, প্রধানমন্ত্রী মোদির নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে চলেছে। প্রতিটি পরিস্থিতিতে ভারত দৃঢ়ভাবে দাঁড়িয়ে রয়েছে। যা সমগ্র দেশবাসীর মনোবল বাড়িয়েছে। পীযূষ গোয়েল বলেন, “আমাদের কৃষক, উদ্যোক্তাদের চিন্তা করার দরকার নেই, নতুন বিশ্ব ব্যবস্থায় ভারত এগিয়ে থাকবে। আজ ভারত বিশ্বের দ্রুততম বর্ধনশীল অর্থনীতি এবং বিশ্ব তার শক্তি স্বীকার করেছে।” সম্প্রতিই ইংল্যান্ডের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষর করেছে ভারত। পীযূষ গোয়েল বলেন, “ভারতের দৃষ্টিভঙ্গি শুধুমাত্র বাণিজ্যে কর ছাড় থেকে অনেকটা এগিয়ে। আমরা ৪ ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতি। বিশ্বের সবথেকে দ্রুত বৃদ্ধি পাওয়া বড় অর্থনীতি আমাদের। বাকিদের জনসংখ্যা যেখানে ক্রমশ বৃদ্ধ হচ্ছে, আমাদের কাছে সেখানে যুব প্রজন্মের শক্তি রয়েছে।”

    দুর্যোগকে-সুযোগে পরিণত করবে ভারত

    ভারত-মার্কিন বাণিজ্য চুক্তি সম্পর্কে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, “তারা তাদের দুগ্ধজাত পণ্যের জন্য আমাদের বাজার উন্মুক্ত করার দাবি জানাচ্ছে, কিন্তু আমরা এখনও পর্যন্ত কোনও বাণিজ্য চুক্তিতে এমন অনুমতি দিইনি। ভারত সরকার কৃষকদের স্বার্থের দিকে তাকিয়ে কাজ করবে। ভারত এ জাতীয় অনেক পরিবর্তন দেখেছে এবং ভারতের হাজার হাজার বছরের ইতিহাস রয়েছে। এই সময়ে, কেবল বিশ্বই নয়, ভারতও বাণিজ্যের নতুন পথে এগিয়ে চলেছে।” কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ১৯৯৯ সালে বিশ্বের আইটি শিল্পে যে সংকট দেখা দিয়েছিল, তার কথা উল্লেখ করেন, যা ওয়াই টু কে(Y2K) সংকট নামে পরিচিত। তিনি বলেন, “১৯৯৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর রাত ১২ টায় সমস্ত ব্যবস্থা ভেঙে পড়ে এবং বিশ্বে বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়, তখন দেশে অটলবিহারী বাজপেয়ীর সরকার ক্ষমতায় ছিল, তিনি এটিকে একটি সুযোগ হিসেবে দেখেছিলেন, বিভিন্ন উপায়ে তিনি তথ্যপ্রযুক্তি খাতে সরকারি হস্তক্ষেপের অবসান ঘটিয়েছিলেন এবং তাদের সম্পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়েছিলেন। আজ ভারতের আইটি শিল্পের মূল্য ৩০০ বিলিয়ন ডলার এবং লক্ষ লক্ষ মানুষকে কর্মসংস্থান দিচ্ছে। আমরা কখনও পিছনে ফিরে তাকাইনি।”

    করোনা মহামারীর সময়ও শক্ত ভারত

    পীযূষ গোয়েল এদিন করোনার সময়ের কথাও উল্লেখ করেন। বলেন, “এই অতিমারির সময়ও ভারত তার শক্তি দেখিয়েছে এবং সমস্ত জল্পনা-কল্পনা ভুল প্রমাণ করেছে। করোনা অতিমারির সময় মানুষ ভেবেছিল যে ভারত তা সহ্য করতে পারবে না এবং দুর্ভিক্ষের মতো পরিস্থিতি তৈরি হবে। কিন্তু ভারত তার সক্ষমতা দেখিয়েছে এবং আমরা কেবল দেশে টিকা নিয়ে গবেষণাই করিনি, বরং এটি তৈরিও করেছি। সেই সময় ভারত বিশ্বের ১০০টিরও বেশি দেশকে বিনামূল্যে টিকা সরবরাহ করেছিল। এর মধ্যে দরিদ্র দেশগুলিও ছিল যাদের কেউ সাহায্য করতে প্রস্তুত ছিল না।”

    ভারত জয়ী হবেই

    তিনি জানান যে ইএফটিএ (EFTA) সদস্য দেশগুলি ভারতে ১০০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করতে চলেছে। আগামী অক্টোবর মাসেই এই চুক্তি কার্যকর হবে এবং এতে ভারতে ১০ লাখ সরাসরি চাকরি ও মোট ৫০ লক্ষ কর্মসংস্থান হবে। ভারতের অর্থনীতি যে ডুবন্ত বা মৃত নয়, তা স্পষ্ট করে দিয়েই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানান, দেশে অর্থভান্ডার, বৈদেশিক মুদ্রা ভান্ডার, স্টক মার্কেট মজবুত রয়েছে। মুদ্রাস্ফীতিও বিশ্বের মধ্যে অন্যতম কম ভারতেই। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্পষ্টভাবে বলেছেন যে, ভারতে করোনার সময়কালে একজনও মানুষ অনাহারে মারা যায়নি, বরং সরকার ৮০ কোটি মানুষকে দ্বিগুণ রেশন সরবরাহ করেছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর মতে, “এই অতিমারি থেকে দ্রুত সেরে উঠে আমরা স্বাবলম্বী হয়েছি এবং আমাদের খাদ্য সরবরাহকারী কৃষকদের শক্তির কারণেই এই সবকিছু সম্ভব হয়েছে। আমরা কোভিডকেও সুযোগে পরিণত করেছি। যত কঠিন পরীক্ষাই আসুক না কেন, ভারতই জয়ী হবে।”

  • Rahul Gandhi: একটিও আপিল করেনি কংগ্রেস? রাহুলের ‘ভোট চুরি’র অভিযোগ ভিত্তিহীন, দাবি কমিশনের

    Rahul Gandhi: একটিও আপিল করেনি কংগ্রেস? রাহুলের ‘ভোট চুরি’র অভিযোগ ভিত্তিহীন, দাবি কমিশনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi) ভোট-চুরির অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিলেন বিভিন্ন রাজ্যের নির্বাচনী অফিসাররা। ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে ব্যাপক ভোট চুরির অভিযোগ তুলে নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন রাহুল। হরিয়ানা, মহারাষ্ট্র ও কর্ণাটকের নির্বাচন কমিশন (Election Commission)স্পষ্টভাবে জানিয়েছে—কংগ্রেস কোনো ধরনের লিখিত অভিযোগ, আপিল বা প্রতিক্রিয়া পেশ করেনি নির্বাচনী তালিকা নিয়ে। তারা রাহুল গান্ধীর উদ্দেশ্যে জানিয়েছে, যদি তাঁর অভিযোগ সত্য হয়, তাহলে তিনি যেন আইন অনুযায়ী হলফনামা জমা দেন এবং নির্দিষ্ট তথ্য পেশ করেন। রাহুল যে সব অভিযোগ করছেন, সেসব ভিত্তিহীন এবং ভুয়ো। পুরোটাই নির্বাচন কমিশনের ভাবমূর্তি নষ্টের চেষ্টা। যা গণতন্ত্রের পক্ষে ক্ষতিকারক।

    রাহুলের অভিযোগ

    বৃহস্পতিবার ইন্ডিয়া জোটের নৈশভোজে একইভাবে কমিশের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছিলেন রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi) ৷ সেখানেও তিনি তথ্য তুলে ধরে জোট শরিকদের বোঝানোর চেষ্টা করেন কীভাবে ভোট চুরি করছে কমিশন ৷ এদিন রাহুল গান্ধীর ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশিত একটি ভিডিয়োতে এমনই একের পর এক বিস্ফোরক অভিযোগ করতে দেখা গিয়েছে ৷ এই ভিডিয়োতেই তিনি আরও দাবি করেছেন, “বিহারে এসআইআর করা হয়েছে কারণ, কমিশন জানে যে আমরা তাদের চুরি ধরে ফেলেছি ৷” তাঁর দাবি, কর্ণাটকের বেঙ্গালুরু সেন্ট্রাল লোকসভা আসনের মহাদেবপুরা বিধানসভা কেন্দ্রে পাঁচ ধরণের কারচুপির মাধ্যমে এক লক্ষেরও বেশি ভোট চুরি করা হয়েছে। তিনি বলেন, “২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে মহাদেবপুরা বিধানসভা কেন্দ্রে ১০০২৫০টি ভোট চুরি করা হয়েছিল। আমি নিশ্চিত যে, ভারতে এমন ১০০টিরও বেশি আসন রয়েছে, যা এখানে ঘটেছে তা সেই আসনগুলিতেও ঘটেছে ৷”

    একটিও আপিল করেনি কংগ্রেস

    এ প্রসঙ্গে ৭ অগাস্ট, ২০২৫ তারিখে প্রকাশিত এক চিঠিতে হরিয়ানার মুখ্য নির্বাচন অফিসার (Election Commission) সাফ জানিয়েছেন, কংগ্রেস দল একটিও প্রথম স্তরের বা দ্বিতীয় স্তরের আপিল দায়ের করেনি। তিনি আরও বলেন, ২০২৪ সালের অগাস্ট ও সেপ্টেম্বর মাসে খসড়া ও চূড়ান্ত ভোটার তালিকা কংগ্রেসের প্রতিনিধিদের দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু দলটি কোনো আনুষ্ঠানিক অভিযোগ জানায়নি। তিনি রাহুল গান্ধীকে (Rahul Gandhi) স্মরণ করিয়ে দেন যে, ভোট নিয়ে আপত্তি থাকলে তা আদালতের মাধ্যমে তোলা উচিত, সাংবাদিক সম্মেলনে নয়। হলফনামা দিয়ে নির্দিষ্ট ‘অযোগ্য’ ভোটারদের নাম দিতে বলা হয়েছে রাহুলকে।

    কোনো অভিযোগই জমা পড়েনি

    কর্নাটকের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক জানিয়েছেন, নভেম্বর ২০২৪ ও জানুয়ারি ২০২৫-এ ভোটার তালিকার খসড়া ও চূড়ান্ত সংস্করণ প্রকাশিত হয়েছিল এবং কংগ্রেসকে সরবরাহ করা হয়েছিল। অথচ দলটির তরফ থেকে একটি অভিযোগও জমা পড়েনি। তাই ‘ভোট চুরি’ নিয়ে প্রকাশ্যে দেওয়া মন্তব্যকে সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলেই মনে করছে নির্বাচন কমিশন। তিনি রাহুল গান্ধীকে (Rahul Gandhi) আইনি ভাষায় মনে করিয়ে দেন—যদি তিনি তাঁর অভিযোগে অটল থাকেন, তবে ১৯৬০ সালের নির্বাচক নিবন্ধন বিধিমালার ২০(৩)(খ) ধারা অনুযায়ী হলফনামা জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক।

    পুরোপুরি স্বচ্ছ প্রক্রিয়া, প্রমাণ নেই

    মহারাষ্ট্রের নির্বাচন দফতরও একইভাবে জানিয়েছে—ভোটার তালিকা তৈরির প্রক্রিয়া ছিল স্বচ্ছ এবং কংগ্রেস কোনো ধরনের লিখিত অভিযোগ বা আপত্তি জানায়নি। চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, রাহুল গান্ধী যেন নির্দিষ্ট ভোটারদের নাম, অংশ নম্বর ও সিরিয়াল নম্বর উল্লেখ করে শপথনামা জমা দেন। এ প্রসঙ্গে সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী কিরেন রিজিজু বলছেন, “রাহুল গান্ধী এবং তাঁর টিম যে গবেষণা করছে পুরোটাই ভিত্তিহীন। এর কোনও অর্থ নেই। পুরোটাই নির্বাচন কমিশনকে বদনাম করার চেষ্টা।” রিজিজুর প্রশ্ন, “ওরা যখনই হারে তখনই কমিশনকে দোষ দেয়। এই কংগ্রেসই মহারাষ্ট্র এবং হরিয়ানায় লোকসভায় জেতার পর কমিশনকে বাহবা দিত। বিধানসভায় হারতেই কমিশনের দোষ। আসলে সবটাই করা হচ্ছে কমিশনের ভাবমূর্তি নষ্টের লক্ষ্যে।” বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্যও নির্বাচন কমিশনের ভাষায় রাহুলকে চ্যালেঞ্জ করেছেন। তাঁর বক্তব্য, যে ভুয়ো ভোটারের দাবি বিরোধী দলনেতা করছেন, সেই তালিকা হলফনামা আকারে কমিশনে জমা দিতে হবে তাঁকে। আর সেটা যদি না পারেন তাহলে বুঝতে হবে বিরোধী দলনেতা মিথ্যা কথা বলে দেশকে বিভ্রান্ত করছেন। মানুষের মনে সন্দেহের বীজ বপন করা হচ্ছে। এই ধরনের আচরণ গণতন্ত্রের জন্য ক্ষতিকারক।

    আইনি সঙ্কটে রাহুল গান্ধী

    তিন রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী অফিসাররা রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi) কাছে যে হলফনামা ফর্ম পাঠিয়েছেন, তাতে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে—মিথ্যা তথ্য দিলে ১৯৫০ সালের প্রতিনিধিত্ব আইন (Section 31) এবং ২০২৩ সালের ভারতীয় দণ্ডবিধির (Bharatiya Nyaya Sanhita) ধারা ২২৭ অনুসারে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হবে। এই পরিস্থিতিতে রাহুল গান্ধীর সামনে দুটি পথ খোলা রয়েছে হয় তিনি নির্দিষ্ট প্রমাণ-সহ হলফনামা জমা দিয়ে অভিযোগের সত্যতা প্রমাণ করবেন, নয়তো স্বীকার করতে হবে যে তাঁর বক্তব্য নিছক রাজনৈতিক বক্তব্য ছাড়া কিছু নয়। ফলে এখন উভয় সঙ্কটে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী।

     

     

     

     

  • SIR: কোনও বুথেই ১২০০ বেশি ভোটার নয়, এসআইআর শুরু করতে প্রস্তুত রাজ্য নির্বাচনী দফতর, চিঠি গেল কমিশনে

    SIR: কোনও বুথেই ১২০০ বেশি ভোটার নয়, এসআইআর শুরু করতে প্রস্তুত রাজ্য নির্বাচনী দফতর, চিঠি গেল কমিশনে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধন (SIR) শুরু হতে চলেছে। সেই লক্ষ্যেই রাজ্যের ২৪টি জেলায় ২০০২ সালের ভোটার তালিকা প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন। তবে রাজ্যের প্রায় ৫ শতাংশ জেলায় এই তালিকা প্রকাশ করা হয়নি এখনও। রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের ওয়েবসাইটে গিয়ে দেখা যাবে এই তালিকা। জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাজ্যের সব জেলা থেকে আসা এসআইআর-প্রস্তুতি সংক্রান্ত রিপোর্ট সবিস্তারে নির্বাচন কমিশনের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছে রাজ্যের সিইও দফতর।

    এসআইআর-প্রস্তুতি সংক্রান্ত রিপোর্ট

    ভোটার লিস্ট সংশোধন প্রক্রিয়ার প্রস্তুতি সম্পর্কে জানার জন্য রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতরে বুধবার চিঠি পাঠিয়েছিল জাতীয় নির্বাচন কমিশন। বৃহস্পতিবার এসইও-র দফতর রাজ্যের সব জেলা থেকে আসা এসআইআর-প্রস্তুতি সংক্রান্ত রিপোর্ট একত্রিত করে তা সবিস্তার নির্বাচন কমিশনে পাঠিয়ে দিয়েছে বলে খবর। কমিশন সূত্রে জানানো হয়েছে, এসআইআর হলে রাজ্যের সিইও-র দফতর যে এই মুহূর্তে সব দিক থেকেই প্রস্তুত রয়েছে, তা পরিষ্কার ভাষায় জানিয়ে দেওয়া হয়েছে নির্বাচন কমিশনকে। নির্বাচন কমিশন নির্দেশ দিয়েছিল, এ বার থেকে আর কোনও বুথেই ১২০০ বেশি ভোটার থাকবে না। ওই সূত্র জানাচ্ছে, সেই নীতিনির্দেশিকা মেনে রাজ্যের ৮০৬৮০টি বুথ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯৪ হাজারের কিছু বেশি। ইতিমধ্যেই সেই বর্ধিত বুথের সংখ্যা পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে রাজ্যের সব স্বীকৃত রাজনৈতিক দলের কাছে।

    প্রতিটি ভোটারের বাড়িতে গিয়ে সমীক্ষা

    সিইও দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, এই সমীক্ষা হবে সম্পূর্ণ সুসংগঠিত। সিইও-র নেতৃত্বে জেলা নির্বাচনী আধিকারিক (DEO), অতিরিক্ত জেলাশাসক, ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন অফিসার, অতিরিক্ত ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন অফিসার এবং বুথ লেভেল অফিসাররা (BLO) প্রতিটি ভোটারের বাড়িতে গিয়ে সমীক্ষা চালাবেন। প্রতিটি পরিবারের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করে একটি ফর্ম পূরণ করা হবে এবং তা যাচাই করা হবে। তবে ২০০২ সালের প্রকাশিত এসআইআর তালিকায় যাদের নাম রয়েছে, তাঁদের অতিরিক্ত নথি জমা দেওয়ার প্রয়োজন হবে না। এমনকি, যাদের অভিভাবকদের নাম সেই তালিকায় আছে, তাঁদের ক্ষেত্রেও প্রক্রিয়াটি সহজ হবে। তবে, যারা নতুন ভোটার, অন্য রাজ্য থেকে এসেছেন অথবা ২০০২ সালের তালিকায় যাদের নাম নেই, তাঁদের পৃথক ফর্ম ও নথি জমা দিতে হবে। অনলাইন প্রক্রিয়ার মাধ্যমেও এই কাজ সম্পন্ন করা যাবে। এই পুরো প্রক্রিয়ায় রাজনৈতিক দলগুলির বুথ স্তরের প্রতিনিধিরাও যুক্ত থাকবেন।

    কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের দফতরে বিজেপি

    অন্য দিকে, বৃহস্পতিবার বিকেলে পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি সাংসদরা রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের দফতরে গিয়ে চিঠি জমা দিয়েছেন। কমিশনের আধিকারিকদের সঙ্গে তাঁদের বৈঠকও হয়েছে। মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের উদ্দেশে লেখা চিঠিতে বিজেপি অভিযোগ করেছে যে, পশ্চিমবঙ্গে অবাধ এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের কোনও পরিস্থিতিই থাকতে দিতে চাইছেন না মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজে যুক্ত সরকারি আধিকারিক ও কর্তাদের উদ্দেশে মমতা প্রকাশ্যে হুমকি দিচ্ছেন বলে চিঠিতে লেখা হয়েছে। মমতার বক্তব্যের ভিডিয়ো ক্লিপ এবং সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনও কমিশনে জমা দিয়েছে বিজেপি।

  • India Brazil Relation: ট্রাম্পের শুল্ক নীতির বিরুদ্ধে সরব! প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে ফোনে কথা ব্রাজিলের প্রেসিডেন্টের

    India Brazil Relation: ট্রাম্পের শুল্ক নীতির বিরুদ্ধে সরব! প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে ফোনে কথা ব্রাজিলের প্রেসিডেন্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের চাপিয়ে দেওয়া অতিরিক্ত শুল্ক নিয়ে অতিষ্ঠ ভারত-ব্রাজিল (India Brazil Relation)। এই নিয়ে বৃহস্পতিবার প্রায় এক ঘণ্টা ফোনে কথা হয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুলা দা সিলভার। সূত্রের খবর, আসন্ন ব্রিকস ফোরামে ট্রাম্পের শুল্ক নীতির বিরুদ্ধে একটি যৌথ ও সম্মিলিত প্রতিক্রিয়া জানানোর লক্ষ্যেই এই ফোনালাপ (PM Modi talk with President Lula)। এক ঘণ্টার এই কথোপকথনে দুই রাষ্ট্রনেতা দ্বিপাক্ষিক এবং বিভিন্ন আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক বিষয় নিয়েও আলোচনা করেন।

    কেন কথা দুই দেশের

    এখনও পর্যন্ত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যে যে দেশের উপরে শুল্ক বা ট্যারিফ বসিয়েছেন, তার মধ্যে সর্বোচ্চ ট্য়ারিফ ভারত ও ব্রাজিলের (India Brazil Relation) উপরেই। ভারতের উপরে যেমন তাঁর রাগ রাশিয়া থেকে তেল কেনার জন্য, তেমনই আবার ব্রাজিলে স্রেফ পূর্বতন প্রেসিডেন্ট জয়েস বলসেনারোকে ফিরিয়ে আনতে শুল্কের খাঁড়া বসিয়েছেন ট্রাম্প। এই পরিস্থিতিতেই ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট সাফ জানিয়েছিলেন, ফোন করতে হলে তিনি ট্রাম্পকে নন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে করবেন। যেমন বলা তেমন কাজ। গতকালই তিনি মোদিকে ফোন করেন এবং এক ঘণ্টা কথা বলেন। এদিন দুই রাষ্ট্রনেতা ভারত-ব্রাজিল পারস্পারিক কূটনৈতিক সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার সেই প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।

    আলোচনা ফলপ্রসূ বললেন মোদি

    সমাজমাধ্যমে মোদি জানিয়েছেন, এর আগে ব্রাজিলের (India Brazil Relation) প্রেসিডেন্টের সঙ্গে তাঁর ব্রিকস সম্মেলনে দেখা হয়েছিল। তার পরে ‘পারস্পরিক সহযোগিতা’ নিয়ে ফোনালাপে ‘ভাল আলোচনা’ হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, জ্বালানি, বাণিজ্য থেকে শুরু করে স্বাস্থ্য, প্রযুক্তি, প্রতিরক্ষা-সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ভারত ও ব্রাজিল দুই দেশ কৌশলগত ভাবে পরস্পরকে সাহায্য করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়েছে। মোদীর দাবি, এর ফলে দক্ষিণের দেশগুলিও উপকৃত হবে। ভারতের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, মোদীর কাছে প্রথম ফোন এসেছিল ব্রাজিলের তরফেই। জানা গিয়েছে, কৃষিক্ষেত্রেও দুই দেশ পরস্পরকে সহযোগিতা করবে। এ ছাড়াও বৈঠকে উঠে আসে বিশ্বের বিভিন্ন বিষয়ও।

    ভারতে আসবেন লুলা

    সমাজমাধ্যমে ব্রাজিলের (India Brazil Relation) প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন, ‘এক তরফা শুল্ক আরোপ’-এর পরে ‘আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি’ নিয়ে দুই দেশের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। তাঁর দাবি, ভারত ও ব্রাজিল দু’টি ‘ক্ষতিগ্রস্ত’ দেশ পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য বৃহত্তম সংহতি ‘অন্বেষণ’-এ জোর দিচ্ছে। এর আগে, ট্রাম্পের শুল্ক নীতির বিরুদ্ধে ব্রিকসের একটি সম্মিলিত প্রতিক্রিয়া তৈরির লক্ষ্যে চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গেও কথা বলেছেন লুলা। চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই এই বিষয়ে ব্রাজিলের সার্বভৌমত্ব ও উন্নয়ন অধিকারের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন এবং এই ধরনের শুল্ককে “অস্থিতিশীল” বলেও আখ্যা দিয়েছেন। ব্রাজিলের প্রেসিডেন্টের দাবি আগামী বছরের শুরুর দিকেই তিনি সে দেশের ভাইস প্রেসিডেন্টকে নিয়ে ভারতে আসবেন। লক্ষ্য হবে মূলত বাণিজ্য। উপস্থিত থাকবেন সে দেশের মন্ত্রী ও ব্যবসায়ীরাও। আলোচনা হতে পারে খনিজ, জ্বালানি, স্বাস্থ্য ও ডিজিটাল সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে। লুলার আরও দাবি, ২০৩০ সালের মধ্যে দুই দেশের মধ্যে অর্থনীতি ২০ বিলিয়ন ডলারের বেশি বৃদ্ধি সম্পর্কিত বিষয় নিয়েও আলোচনা হয়েছে।

  • Election Commission: স্পষ্ট সংঘাত! রাজ্যের পাঠানো আধিকারিকদের নামের তালিকা পছন্দ হল না নির্বাচন কমিশনের

    Election Commission: স্পষ্ট সংঘাত! রাজ্যের পাঠানো আধিকারিকদের নামের তালিকা পছন্দ হল না নির্বাচন কমিশনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটের এখনও কয়েক মাস বাকি। তার আগেই শুরু হয়ে গিয়েছে রাজ্য বনাম কমিশন , জোর সংঘাত। ভোটার লিস্টে কারচুপির অভিযোগে, ২ ইআরও, ২ এইআরওকে সাসপেন্ড করে তাদের বিরুদ্ধে এফআইআরের নির্দেশ দিয়েছে কমিশন (Election Commission)। যা নিয়ে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জানিয়েছেন, রাজ্যের কোনও অফিসারকে তিনি সাসপেন্ড হতে দেবেন না। এর পরই কমিশনের স্পষ্ট কথা, নির্দেশ মেনে পদক্ষেপ না হলে মুখ্যসচিবের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে। এই আবহে রাজ্য নির্বাচনী আধিকারিকের (CEO) দফতরে অতিরিক্ত সিইও, ডেপুটি সিইও এবং যুগ্ম সিইও পদমর্যাদার আধিকারিক পদে রাজ্যের পাঠানো ৯ জনের প্যানেলই বাতিল করল কমিশন। রাজ্যের কাছে নতুন তালিকা চেয়ে পাঠানো হয়েছে।

    নয়া তালিকা পাঠাতে নির্দেশ

    রাজ্য মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতরে প্রয়োজন অতিরিক্ত সিইও, ডেপুটি সিইও এবং যুগ্ম সিইও পদমর্যাদার আধিকারিক। নিয়ম অনুযায়ী ওই সব পদের জন্য কমিশনে নামের তালিকা পাঠায় রাজ্য। সেই মতো এ বারেও নামের তালিকা পাঠিয়েছিলেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ। তবে সেই তালিকা সম্পূর্ণ খারিজ করে দিল কমিশন (Election Commission)। আবার নতুন করে নামের তালিকা পাঠাতে বলা হয়েছে। যে তিনটি পদে আধিকারিকদের দায়িত্ব দেওয়া হবে সাধারণত ওই পদগুলির দায়িত্ব সামলান ডব্লিউবিসিএস পদমর্যাদার আধিকারিকেরা। সেই অনুযায়ী প্রতি পদের জন্য রাজ্যের পক্ষ থেকে তিন জন করে আধিকারিকের নাম পাঠানো হয়েছিল কমিশনে। তবে নয় জনের মধ্যে থেকে এক জনকেও ‘পছন্দ’ হয়নি কমিশনের। তাই ‘আপত্তি’ জানিয়ে নতুন করে নবান্নে নামের তালিকা চেয়ে পাঠিয়েছে কমিশন।

    রাজ্যের তালিকায় কাদের নাম

    ইতিমধ্যেই কমিশনে এসআইআর নিয়ে তোড়জোড় শুরু হয়েছে। কমিশনের তরফে সিইও দফতরে সেই বিষয়ে চিঠিও দেওয়া হয়েছে। অতিরিক্ত মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক (অ্যাডিশনাল সিইও) হিসেবে বিশেষ সচিব সুদীপ মিত্র, বিধাননগর পুরসভার বিশেষ সচিব সুজয় সরকার ও পঞ্চায়েত ও গ্রাম উন্নয়নের অতিরিক্ত সচিব সুদীপ সরকারের নাম পাঠানো হয়। যুগ্ম মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক (জয়েন্ট সিইও) হিসেবে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প দফতরের অতিরিক্ত সচিব অরুন্ধতী ভৌমিক, স্টাফ সিলেকশন কমিশনরের সচিব সৌম্যজিৎ দেবনাথ ও স্বাস্থ্য দফতরের অতিরিক্ত সচিব বহ্নিশিখা দে-র নাম পাঠানো হয় ও ডেপুটি সিইও পদের জন্য বিদ্যুৎ দফতরের যুগ্ম সচিব বা জয়েন্ট সেক্রেটারি রঞ্জন চক্রবর্তী, বিধাননগরের ল্যান্ড ম্যানেজার রাজীব মণ্ডল ও পূর্ত দফতরের যুগ্ম সচিব প্রিয়রঞ্জন দাসের নাম পাঠিয়েছিল রাজ্য। বুধবার কমিশনের (Election Commission) তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ওই তালিকা পছন্দ নয়। নতুন তালিকা বানিয়ে পাঠাতে হবে কমিশনে। অন্যদিকে, এটাও মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছে যে বেশিদিন ওই শূন্যপদ ফেলে রাখা যাবে না।

  • Election Commission: মুখ্যসচিবের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা! ৪ অফিসারের বিরুদ্ধে এফআইআর-এর নির্দেশ কমিশনের

    Election Commission: মুখ্যসচিবের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা! ৪ অফিসারের বিরুদ্ধে এফআইআর-এর নির্দেশ কমিশনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটার লিস্টে কারচুপির অভিযোগে মঙ্গলবার বারুইপুর পূর্ব ও ময়না বিধানসভা কেন্দ্রের দুই ইআরও (Electoral Registration Officer) এবং দুই সহকারী ইআরও-কে সাসপেন্ড করেছে নির্বাচন কমিশন। পাশাপাশি এক ডেটা এন্ট্রি অপারেটরের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা রুজুর নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। দ্রুত এঁদের বিরুদ্ধে এফআইআর করার নির্দেশ দিয়ে রাজ্যের মুখ্যসচিবের কাছে চিঠি পাঠিয়েছে নির্বাচন কমিশন। পুঙ্খাপুঙ্খানুরূপে ব্যবস্থা নেওয়ার পর কমিশনের কাছে একটি রিপোর্ট পাঠাতে বলা হয়েছে। সূত্রের খবর, নির্দেশ মতো ব্যবস্থা না-হলে মুখ্যসচিবের বিরুদ্ধেও পদক্ষেপ করতে পারে কমিশন (Election Commission)।

    কী অভিযোগ আধিকারিকদের বিরুদ্ধে

    নির্বাচন কমিশনের (Election Commission) তরফে জানানো হয়েছে, ওই চার আধিকারিক কমিশনের হয়ে কাজ করার সময় গোপনীয়তা বজায় রাখতে পারেননি। কয়েকজন ব্যক্তির হাতে তাঁদের লগ-ইন আইডি ও পাসওয়ার্ড তুলে দিয়েছেন। অন্যদিকে নাম নথিভুক্তির সময়েও বেশ কিছু ভুল তথ্য নথিভুক্ত করেছেন। আধিকারিকদের এই ধরনের কার্যকলাপকে অপরাধমূলক বলে অ্যাখ্যা দিয়েছে কমিশন। এই কারণেই দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় নিযুক্ত মোট চারজনকে সঙ্গে সঙ্গে সাসপেন্ড করা হয়েছে। কমিশন সূত্রে খবর, বারুইপুর পূর্বের ইআরও এবং এইআরও ছিলেন দেবোত্তম দত্ত চৌধুরী এবং তথাগত মণ্ডল। ময়না বিধানসভা কেন্দ্রে ওই দুই পদে কাজ করছিলেন বিপ্লব সরকার ও সুদীপ্ত দাস। এই চারজন আধিকারিক ছাড়াও সুরজিৎ হালদার নামে একজন ডেটা এন্ট্রি অপারেটরের নামেও এফআইআর করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এরা সকলেই ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজে যুক্ত ছিলেন।

    মমতার হুমকি

    এ প্রসঙ্গে নির্বাচনকেন্দ্রিক প্রশাসনের কর্মীদের পাশে দাঁড়ানোর বার্তা দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। তাঁর মতে, এই সাসপেনশনের সিদ্ধান্ত আদতে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। নির্বাচন আসার আগেই পরিকল্পিতভাবে রাজ্যের প্রশাসনিক পরিকাঠামোয় চাপ সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে কমিশন। হুঁশিয়ারির সুরে তিনি এও বলেন, “ভোট তো এখনও আট মাস বাকি। এখন থেকেই অফিসারদের ভয় দেখাচ্ছো? ক্ষমতা দেখাচ্ছো? কার ক্ষমতা দিয়ে এই কাজ করছো? আমরা সহ্য করব না।” তিনি বলেছেন, ‘‘আমি কারও কোনও পানিশমেন্ট (শাস্তি) হতে দেব না।’’

    কমিশনের পাল্টা

    ঘটনাচক্রে, মুখ্যমন্ত্রীর (EC Mamata Conflict) ওই মন্তব্যের পরই কমিশন সূত্রে জানা যায়, নির্দেশ মোতাবেক পদক্ষেপ না হলে মুখ্যসচিবের বিরুদ্ধেও পদক্ষেপ করতে পারে তারা। তাদের ব্যাখ্যা, ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজ সারা বছর ধরে হতে পারে। এর সঙ্গে নির্বাচনের কোনও সম্পর্ক নেই। সংবিধানের ৩২৪ ধারা কমিশনকে পূর্ণ ক্ষমতা দিয়েছে ভোটার তালিকা তৈরি করা এবং নির্বাচন করানোর। সেই কাজে লোক দিতে বাধ্য রাজ্য সরকার। কমিশন এবং ইআরও-র মাঝে আর কেউ নেই বলেই দাবি ওই সূত্রের।

    মানবিক দৃষ্টিতে দেখার আর্জি

    ওই চার জনের মধ্যে দু’জন রয়েছেন ডব্লিউবিসিএস আধিকারিক। তাঁদের বিরুদ্ধে কমিশনের নির্দেশের প্রেক্ষিতে বুধবার নবান্নে চিঠি পাঠিয়েছে আমলাদের এক সংগঠন। কমিশনের ওই নির্দেশের বিরুদ্ধে হস্তক্ষেপের আর্জি জানিয়ে রাজ্যের মুখ্যসচিবকে চিঠি পাঠিয়েছে ডব্লিউবিসিএস (এক্সিকিউটিভ) অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন। কমিশনের ওই নির্দেশকে মানবিক দৃষ্টিভঙ্গিতে বিবেচনা করার জন্য মুখ্যসচিবকে অনুরোধ করেছে আমলাদের সংগঠন। চিঠিতে তারা জানিয়েছে, নির্বাচনী প্রক্রিয়ার পবিত্রতা এবং সততা বজায় রাখা যেমন প্রয়োজন, তেমনই এই ধরনের সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে ন্যায্য ভাবে তা বিবেচনা করা উচিত।

    অপরাধ প্রমাণিত হলে, জেল!

    ১৯৫০ সালের জনপ্রতিনিধিত্ব আইন মোতাবেক, রাজ্যের যেসকল কর্মী ভোটার তালিকার সংশোধন বা সমীক্ষা সংক্রান্ত কাজে যুক্ত থাকেন, তাঁরা ডেপুটেশনে নির্বাচন কমিশনের কর্মী হিসেবে কাজ করছেন বলে গণ্য হয়। সেই হিসেবে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের পাশাপাশি জেলা নির্বাচন আধিকারিক, নির্বাচন নিবন্ধন আধিকারিক, সহকারী নির্বাচন নিবন্ধন আধিকারিকরাও কমিশনের অধীনস্থ এই সময়। কমিশনের (Election Commission) নির্দেশ মেনে তাঁরা কাজ না করলে তাঁদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে পারে কমিশন। অপরাধ প্রমাণ হলে তিন মাস থেকে দু’বছর পর্যন্ত কারাদণ্ডও হতে পারে। রাজ্যের মুখ্যসচিবকে পাঠানো চিঠিতে সে কথাও মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছে।

  • US Tariff on India: ‘‘অন্যায্য, অন্যায় ও অযৌক্তিক’’! আমেরিকার ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ নিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া ভারতের

    US Tariff on India: ‘‘অন্যায্য, অন্যায় ও অযৌক্তিক’’! আমেরিকার ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ নিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাশিয়ার কাছে তেল কেনা বন্ধ না করায় ভারতের পণ্যে আমেরিকার বাড়তি ২৫ শতাংশ শুল্ক (US Tariff on India) আরোপের সিদ্ধান্তের নিন্দা করল বিদেশ মন্ত্রক। বুধবারই ভারতের উপর শুল্কের পরিমাণ দ্বিগুণ করে দিয়েছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ফলে মোট শুল্কের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৫০ শতাংশ। আমেরিকার এই পদক্ষেপ ‘অন্যায্য, অন্যায় ও অযৌক্তিক’ বলে ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের তরফে প্রতিক্রিয়া জানানো হয়েছে। পাশাপাশি স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়, ‘জাতীয় স্বার্থ সুরক্ষিত করতে প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ করবে ভারত।’

    কেন এই পদক্ষেপ

    মঙ্গলবারই প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইঙ্গিত দিয়েছিলেন যে, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে, আমেরিকা ভারতের উপর ‘খুব উল্লেখযোগ্যভাবে’ শুল্ক (US Tariff on India) বৃদ্ধি করতে চলেছে। রাশিয়ার সঙ্গে ভারত বাণিজ্য অব্যাহত রাখায় এই সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে আমেরিকা। সেইমতোই রাশিয়ার কাছে তেল কেনা বন্ধ না করায় ভারতের উপর অতিরিক্ত আরও ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের কথা ঘোষণা করলেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট। এই মর্মে এক্সকিউটিভ অর্ডারে তিনি সইও করে দিয়েছেন। এরই পাল্টা হিসেবে কড়া বিবৃতি জারি করল ভারত। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বিবৃতিটি সমাজমাধ্যমেও পোস্ট করেছেন।

    বিদেশমন্ত্রকের বিবৃতি

    বিদেশমন্ত্রকের বিবৃতি অনুযায়ী, ‘‘গত কয়েক দিন ধরে রাশিয়া থেকে ভারতের তেল আমদানিকে নিশানা করেছে আমেরিকা। আমরা এ বিষয়ে আমাদের অবস্থান ইতিমধ্যেই স্পষ্ট করেছি। আমাদের আমদানি বাজারের পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে। ভারতের ১৪০ কোটি মানুষের জ্বালানির নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই আমাদের লক্ষ্য। অন্য অনেক দেশ জাতীয় স্বার্থ সুরক্ষিত করতে একই পদক্ষেপ করছে। তা সত্ত্বেও বাড়তি শুল্ক আরোপের জন্য আমেরিকা বেছে নিচ্ছে ভারতকে, যা দুর্ভাগ্যজনক। এই পদক্ষেপ অন্যায্য, অযৌক্তিক এবং অন্যায়। আমরা এর প্রতিবাদ করছি। জাতীয় স্বার্থ সুরক্ষিত করতে ভারত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করবে।’’

    কবে থেকে কার্যকর অতিরিক্ত শুল্ক

    ভারতীয় পণ্যের উপর শুল্ক (US Tariff on India) নিয়ে মোট ন’দফা নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাম্প। বলা হয়েছে, রুশ সরকারের কাছ থেকে প্রত্যক্ষ এবং পরোভাবে তেল কিনে চলেছে ভারত সরকার। এর ফলে ভারতের উপর ২৫ শতাংশ বাড়তি শুল্ক চাপবে। এই নির্দেশিকার ২১ দিনের মাথায়, মধ্যরাত ১২টা বেজে ১ মিনিট থেকে নয়া হারে শুল্ক কার্যকর হবে আমেরিকার বাজারে এসে পৌঁছনো, গুদাম থেকে বের করা ভারতীয় পণ্যের উপর। ট্রাম্প আরও জানিয়েছেন, ভারতের উপর ইতিমধ্যে যে শুল্ক, কর, ফি, আরোপ করা হয়েছে, তার উপর অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ শুল্ক চাপবে। ট্রাম্প জানিয়েছেন, আরও যেমন যেমন তথ্য হাতে পাবেন তিনি, এই নির্দেশিকায় তেমন তেমন রদবদলও ঘটাতে পারেন। আগেই ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছিল ভারতীয় পণ্যে। তা ৭ অগাস্ট থেকে কার্যকর হওয়ার কথা। বুধবারের বাড়তি ২৫ শতাংশের ফলে আগামী ২৭ অগাস্ট থেকে ভারতকে আমেরিকায় রফতানি করতে হলে ৫০ শতাংশ শুল্ক দিতে হবে। এই ঘোষণার পর আমেরিকার আরোপিত সর্বোচ্চ শুল্কের তালিকায় চলে এল ভারতের নাম। এ ছাড়া, ব্রাজিলের পণ্যের উপরেও ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছে।

    জাতীয় স্বার্থ দেখেই কাজ করবে দিল্লি

    ২০২২ সালে রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণ করেছিল। এখনও পূর্ব ইউরোপে দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধ চলছে। রাশিয়ার আগ্রাসনের প্রতিবাদে আমেরিকা-সহ পশ্চিমি বিশ্ব তাদের উপর একাধিক বিধিনিষেধ আরোপ করেছিল। আন্তর্জাতিক বাজারে রুশ বাণিজ্য যে কারণে বড়সড় ধাক্কা খায়। সেই সময়ে রাশিয়া সস্তায় খনিজ তেল বিক্রি শুরু করে। জাতীয় স্বার্থের কথা মাথায় রেখে ভারত রাশিয়া থেকে তেল কেনা কয়েক গুণ বাড়িয়ে দিয়েছিল সেই সময়। ভারত সারা বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম তেল আমদানিকারক দেশ। এই মুহূর্তে ভারত যে তেল আমদানি করে তার ৩৫ শতাংশই রাশিয়া থেকে। আমেরিকার লাগাতার হুমকির মুখেও এখনও পর্যন্ত রাশিয়ার তেল আমদানি বন্ধের কথা বলেনি নয়াদিল্লি। আগেই এ বিষয়ে অবস্থান স্পষ্ট করেছিল। বলা হয়েছিল, জাতীয় স্বার্থ এবং আন্তর্জাতিক বাজারদরের কথা মাথায় রেখে ভারত তার বাণিজ্যনীতি নির্ধারণ করে থাকে। অর্থাৎ, বাজারে কে কত দাম নিচ্ছে, সেই বিষয়টিকেই প্রাধান্য দেওয়া হয়। রাশিয়া সস্তায় তেল বিক্রি করে বলেই ভারত তা কিনে থাকে। ভারত বারবার বলেছে, রাশিয়ার সঙ্গে তার বাণিজ্য, বিশেষ করে জ্বালানি আমদানি, আন্তর্জাতিক আইনের আওতায় এবং কোনও একক দেশের আরোপিত নিষেধাজ্ঞার মধ্যে পড়ে না। কিন্তু আমেরিকার বক্তব্য, ভারত রাশিয়া থেকে তেল কেনার ফলে সেই টাকা ইউক্রেনে যুদ্ধ চালাতে কাজে লাগাচ্ছে মস্কো। যুদ্ধে অর্থসাহায্য হচ্ছে ভারতের দেওয়া টাকায়। এই প্রেক্ষিতে ট্রাম্পের সিদ্ধান্ত ও নীতির ফলে ভারত-মার্কিন সম্পর্কে টানাপড়েনের সৃষ্টি করল বলেই, অনুমান আন্তর্জাতিক মহলের।

  • India Philippines Relation: ৯ টি চুক্তি স্বাক্ষরিত, ফিলিপিন্সের সঙ্গে সম্পর্কের সমীকরণ নিয়ে বিশেষ বার্তা মোদির

    India Philippines Relation: ৯ টি চুক্তি স্বাক্ষরিত, ফিলিপিন্সের সঙ্গে সম্পর্কের সমীকরণ নিয়ে বিশেষ বার্তা মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মার্কিন শুল্ক নীতি নিয়ে ট্রাম্পের হুমকির মাঝেই এবার ফিলিপিন্সের (India Philippines Relation) সঙ্গে সম্পর্কের সমীকরণ নিয়ে বিশেষ বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সদ্য ভারতে সফরে এসেছেন ফিলিপিন্সের প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়র। আর তাঁর এই ভারত সফরের সময়ই ভারত-ফিলিপিন্স কৌশলী অংশিদারিত্বের সমঝোতা হয়। এছাড়াও ভারতীয় পর্যটকদের ভিসা ছাড়াই সেদেশে প্রবেশের বিষয়ে ফিলিপিন্স ছাড়পত্র দিয়েছে। পাশাপাশি ভারতও প্রতিশ্রুতি দিয়েছে দিল্লি-ম্যানিলা আরও বেশি সরাসরি বিমান চলাচল হবে।

    দুই দেশের মধ্যে কোন কোন চুক্তি

    সোমবার, চারদিনের ভারত সফরে এসেছেন ফিলিপিন্সের (India Philippines Relation) প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়র। ২০২২ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর এটি তাঁর প্রথম ভারত সফর। মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দেখা করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, ‘ভারত এবং ফিলিপিন্স ইচ্ছানুযায়ী বন্ধু এবং ভাগ্যানুযায়ী অংশীদার। ভারত মহাসাগর থেকে প্রশান্ত মহাসাগর পর্যন্ত, আমরা ভাগ করে নেওয়া মূল্যবোধের দ্বারা ঐক্যবদ্ধ। আমাদের বন্ধুত্ব কেবল অতীতের বন্ধুত্ব নয়, এটি ভবিষ্যতের প্রতিশ্রুতি। ‘ভারত এবং ফিলিপিন্স কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৭৫ বছর উদযাপন করছে এবং এই উপলক্ষে দুই রাষ্ট্রনেতা একটি ডাকটিকিট প্রকাশ করেছেন। দুই দেশের মধ্যে ৯ টি চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। ফিলিপিন্স ভারত থেকে প্রতিরক্ষা সামগ্রী কেনার ইচ্ছাও প্রকাশ করেছে। প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন যে, আমাদের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা তিন বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে গিয়েছে। এটি আরও বাড়ানোর জন্য, ভারত-আসিয়ান ‘মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি’র পর্যালোচনা শীঘ্রই সম্পন্ন হবে। এর সাথে সাথে, একটি দ্বিপাক্ষিক অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তির দিকেও কাজ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন যে আমাদের কোম্পানিগুলি ফিলিপাইনের প্রতিটি ক্ষেত্রে কাজ করছে, যার মধ্যে তথ্য ও ডিজিটাল প্রযুক্তি, স্বাস্থ্য, অটোমোবাইল, পরিকাঠামো, খনিজ পদার্থ রয়েছে।

    অ্যাক্ট ইস্ট নীতিতে ফিলিপিন্স গুরুত্বপূর্ণ 

    প্রধানমন্ত্রী মোদি এদিন স্পষ্ট করে দেন, ভারতের অ্যাক্ট ইস্ট নীতিতে ফিলিপিন্স (India Philippines Relation) একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার, এবং ভারতের ‘মহাসাগর’ নীতিরও সহযোগী। মোদি স্পষ্ট জানান,’আমরা ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে শান্তি, নিরাপত্তা, সমৃদ্ধি এবং নিয়ম-ভিত্তিক শৃঙ্খলার প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে নৌ-চলাচলের স্বাধীনতাকে সমর্থন করি।’উল্লেখ্য, রবিবার থেকে ‘বিতর্কিত’ দক্ষিণ চিন সাগরে ভারত এবং ফিলিপিন্সের নৌবাহিনী যৌথ যুদ্ধমহড়া শুরু করেছে। দক্ষিণ চিন সাগর অঞ্চলে বেজিংকে চাপে রাখার জন্য আমেরিকা গত বছর ‘স্কোয়াড’ নামে যে চতুর্দেশীয় সামরিক জোট গড়েছ, অস্ট্রেলিয়া, জাপানের পাশাপাশি ফিলিপিন্স তার অন্যতম সদস্য। এই আবহে নয়াদিল্লি-ম্যানিলার এই সামরিক সমঝোতা চিনকে চাপে ফেলবে বলেই মনে করা হচ্ছে।

  • RBI: বিশ্ব অর্থনীতিতে আমেরিকার চেয়ে বেশি অবদান রাখছে ভারত, দাবি আরবিআই গভর্নরের

    RBI: বিশ্ব অর্থনীতিতে আমেরিকার চেয়ে বেশি অবদান রাখছে ভারত, দাবি আরবিআই গভর্নরের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় অর্থনীতি খুব ভালোভাবে চলছে। বিশ্ব প্রবৃদ্ধিতে যুক্তরাষ্ট্রের চেয়েও বেশি অবদান রাখছে ভারত। এমন মন্তব্য করলেন রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর (RBI) সঞ্জয় মালহোত্রা। সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারতের অর্থনীতিকে (Indian Economy) “মৃত” বলে মন্তব্য করার পর এই প্রতিক্রিয়া দেন তিনি। বুধবার রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ার আর্থিক নীতি কমিটির (MPC) বৈঠক হয়। সেখানেই রেপো রেট অপরিবর্তিত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানালেন আরবিআইয়ের গভর্নর সঞ্জয় মালহোত্রা। ফলে রেপো রেট ৫.৫ শতাংশই থাকছে।

    ভারতীয় অর্থনীতির সম্ভাবনা উজ্জ্বল

    আরবিআই (RBI) সদর দফতরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সঞ্জয় বলেন, “চলতি অর্থবছরে ভারতের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ৬.৫ শতাংশ হবে বলে আশা করা হচ্ছে, যেখানে আইএমএফ ২০২৫ সালে বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধি ৩ শতাংশ বলে অনুমান করছে। আমরা প্রায় ১৮ শতাংশ অবদান রাখছি, যা যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে বেশি — তাদের অবদান প্রায় ১১ শতাংশ বা তারও কম।” তিনি বলেন, “আমরা খুব ভালো করছি এবং ভবিষ্যতেও উন্নতির পথে এগিয়ে যাবো।” তাঁর মতে, ভারতীয় অর্থনীতির সম্ভাবনা উজ্জ্বল। তিনি বলেন, “ভারতীয় অর্থনীতিতে মার্কিন শুল্কের বড় কোনও প্রভাব পড়বে বলে আমাদের মনে হয় না।”

    পাশে রয়েছে ভারত সরকার

    ভারত-মার্কিন বানিজ্য নীতি নিয়ে আলোচনার সময় আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারতের সমালোচনা করে বলেছিলেন, “আমি পরোয়া করি না ভারত রাশিয়ার সঙ্গে কী করে। ওরা একসাথে নিজেদের মৃত অর্থনীতি নিয়ে এগিয়ে যাক।” ভারতের (Indian Economy) রাশিয়া থেকে সস্তায় তেল কেনা চালিয়ে যাওয়ার ইঙ্গিত নিয়েই ট্রাম্প এ মন্তব্য করেন বলে মনে করা হচ্ছে। এই ধরনে মন্তব্য শুধুমাত্র ভারত-মার্কিন সম্পর্ককে উত্তেজনার দিকে ঠেলে দিতে পারে না, বরং ভারতের ওপর ভবিষ্যতে নির্দিষ্ট শুল্ক বা রাশিয়ান তেল আমদানির কারণে সম্ভাব্য মার্কিন নিষেধাজ্ঞার আশঙ্কাও তৈরি করেছে। আরবিআই-এর ডেপুটি গভর্নর পুনম গুপ্ত বলেন, “এই ভূ-রাজনৈতিক বিষয়গুলোর প্রাথমিক পর্যায়ে দেশের মুদ্রাস্ফীতির ওপর কোনো প্রভাব পড়বে না।” এমনকি যুক্তরাষ্ট্রের চাপে পড়ে ভারত যদি রাশিয়ান তেল আমদানি বন্ধও করে দেয়, তাহলেও দেশীয় মুদ্রাস্ফীতির ওপর তার কোনো প্রভাব পড়বে না বলে জানান আরবিআই গভর্নর। তিনি বলেন, “চলতি অর্থবছরে যদি তেলের দাম বেড়ে যায়, তাহলে সরকার প্রয়োজনে শুল্ক কমাতে পারে যাতে সাধারণ মানুষের ওপর এর প্রভাব না পড়ে।”

  • Uttarkashi Cloudburst: আরও বৃষ্টির পূর্বাভাস! হড়পা বানের পর ভূমিধস, উত্তরকাশীতে বিচ্ছিন্ন যোগাযোগ ব্যবস্থা

    Uttarkashi Cloudburst: আরও বৃষ্টির পূর্বাভাস! হড়পা বানের পর ভূমিধস, উত্তরকাশীতে বিচ্ছিন্ন যোগাযোগ ব্যবস্থা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হড়পা বানে বিপর্যস্ত উত্তরকাশী (Uttarkashi Cloudburst)। আর এই হড়পা বানেই ভেসে গেল উত্তরাখণ্ডের হরশিলের (Uttarakhand’s Dharali) একটি সেনা ছাউনি। ৯ জন জওয়ান নিখোঁজ বলে জানা গিয়েছে। এদিকে, হড়পা বানে এখনও পর্যন্ত ৫ জন সাধারণ নাগরিকের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। উদ্ধার করা হয়েছে অন্তত ১৩০ জনকে। মেঘভাঙা বৃষ্টির কারণে মঙ্গলবার দুপুর ১টা ৪৫ মিনিটে উত্তরাখণ্ডের উত্তরকাশীর ধারালী গ্রামে আচমকা নেমে আসে হড়পা বান। জলের তোড়ে ভেসে গিয়েছে গ্রামের অনেক অংশ। শুধু উত্তরকাশী নয়, প্রাকৃতিক দুর্যোগের কবলে পড়তে পারে উত্তরাখণ্ডের আরও কয়েকটি জেলা। এমনই আশঙ্কা করছে প্রশাসন।

    সাহায্যের আশ্বাস প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর

    হরপা বানে বিপর্যস্ত উত্তরকাশীতে পরিস্থিতি মোকাবিলায় জরুরি বৈঠকে বসেন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি। আপাতত কেদারনাথ যাত্রা বন্ধ রাখা হচ্ছে। হড়পা বানে এই ক্ষয়ক্ষতিকে দুঃখজনক বলে মন্তব্য করেছেন ধামি। তাঁর সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। উদ্ধার কাজে সবরকম সহায়তার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রের তরফে। উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যানাথও। রাজ্য এবং জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী উদ্ধারকাজ করছে। সঙ্গে রয়েছে ভারতীয় সেনাও এবং ইন্দো-তিব্বত সীমান্ত রক্ষী বাহিনী। দুর্গতদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে আনার জন্য চারটি হেলিকপ্টারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। কিন্তু খারাপ আবহাওয়ার কারণে হেলিকপ্টারগুলিকে কাজে লাগানো সম্ভব হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন সেনার এক উচ্চপদস্থ কর্তা।

    ভেসে গেল সেনা ছাউনিও

    মঙ্গলবার দুপুরে উত্তরকাশীতে (Uttarkashi Cloudburst) শুরু হয় মেঘভাঙা বৃষ্টি। তার জেরে আচমকা নেমে আসা হড়পা বানে ভেসে যায় একের পর এক বাড়ি, হোটেল। ধারালী গ্রাম জলের তলায়। গঙ্গোত্রী যাওয়ার পথে পুণ্যার্থীরা এই ধারালীতে আশ্রয় নেন। সেজন্য এখানে অনেক হোটেল, রেস্তরাঁ এবং হোম স্টে রয়েছে। জলের তোড়ে ভেসে যায় হর্ষিলের এক সেনা ছাউনিও। নিখোঁজ ন’জন জওয়ান। তবে সেই ধাক্কা সামলে হড়পা বানের বিধ্বস্ত এলাকা থেকে বাসিন্দাদের উদ্ধারের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে সেনা। সেনার তরফে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “ঘটনার ১০ মিনিটের মধ্যে ১৫০ জওয়ান ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান। পরিস্থিতির উপর নজরদারি চালানো হচ্ছে। বিপর্যস্ত নাগরিকদের সবরকম সাহায্য করতে দায়বদ্ধ ভারতীয় সেনা।”

    জায়গায় জায়গায় ধস, চলবে বৃষ্টি

    জায়গায় জায়গায় ধস (Uttarakhand’s Dharali) নামার কারণে উদ্ধারকাজ বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে। সাতটি রাজ্য সড়ক, পাঁচটি জাতীয় সড়ক, দু’টি সীমান্ত সড়ক-সহ রাজ্যে মোট ১৬৩টি রাস্তা ধসের জেরে বন্ধ হয়ে গিয়েছে। উত্তরকাশীতে ধসের নীচে কেউ চাপা পড়ে আছেন কি না, খুঁজে বার করার জন্য বিশেষ প্রশিক্ষিত কুকুর নিয়ে আসা হয়েছে। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর তিনটি দল উদ্ধারকাজে নেমেছে। অতিরিক্ত আরও দু’টি দলকে দেরাদুন বিমানবন্দর থেকে আকাশপথে নিয়ে আসা হবে বলে প্রশাসন সূত্রে খবর। বুধবারও বৃষ্টি থামার সম্ভাবনা কম বলেই জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। জারি করা হয়েছে লাল সতর্কতা।

    জেলা প্রশাসনের তরফে হেল্পলাইন নম্বর চালু

    রাজ্যের এই আবহে প্রশাসনের তরফে একাধিক পদক্ষেপ করা হয়েছে। ন’জেলার সব স্কুল বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন। উত্তরাখণ্ডের প্রিন্সিপাল সচিব আরকে সুধাংশু জানিয়েছেন, ৪০ থেকে ৫০টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জেলা প্রশাসনের তরফে হেল্পলাইন নম্বর চালু করা হয়েছে। নম্বরগুলি হল ০১৩৭৪-২২২১২৬, ২২২৭২২ এবং ৯৪৫৬৫৫৬৪৩১। উদ্ধার অভিযানে নেতৃত্ব দিচ্ছেন সিনিয়র আইপিএস অফিসাররা—আইজি এসডিআরএফ অরুণ মোহন জোশী, আইজি গড়ওয়াল রেঞ্জ রাজীব স্বরূপ, প্রদীপ কুমার রাই, অমিত শ্রীবাস্তব, সুরজিৎ সিং পানওয়ার ও শ্বেতা চৌবে।

    যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন

    ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে উত্তরকাশী-হর্ষিল (Uttarkashi Cloudburst) সড়কে ধস নেমেছে। ফলে ওই সড়কে বেশ কয়েকটি অংশ বন্ধ। প্রভাব পড়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থার উপর। ধসের কারণে উত্তরকাশীর সঙ্গে ধারালী এবং গঙ্গোত্রীর যোগাযোগ পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন। ফলে উদ্ধারকাজ থমকে রয়েছে বহু জায়গায়। মৌসম ভবন জানিয়েছে, আগামী ২৪ ঘণ্টা হরিদ্বার, নৈনিতাল এবং উধম সিং নগর জেলায় ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। রাজ্যের অন্য জেলাগুলিতেও কম-বেশি বৃষ্টি চলবে। কোথাও লাল সতর্কতা জারি, আবার কমলা সতর্কতা। ৯ অগাস্ট পর্যন্ত চলবে দুর্যোগ।

    পরিষেবা পুনরুদ্ধারের চেষ্টা

    প্রকৃতির এমন দুর্যোগপূর্ণ রূপে ব্যাপক সমস্যায় তীর্থযাত্রীরা। চারধাম যাত্রা শুরু হয়ে গেলেও গন্তব্যে পৌঁছতে ব্যাপক সমস্যায় পড়েছেন তীর্থ যাত্রীরা। কেদারনাথ, গঙ্গোত্রী যাত্রা আপাতত স্থগিত করা হয়েছে। এক মাস আগেই উত্তরকাশীতে হরপা বান নামে। উত্তরাখণ্ডে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া প্রাকৃতিক দুর্যোগের পর প্রশাসনের পক্ষ থেকে উদ্ধারকাজের পাশাপাশি প্রাথমিক পরিষেবাগুলির পুনরুদ্ধারে জোর দেওয়া হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার লক্ষ্যে বিদ্যুৎ দফতর ও উত্তরাখণ্ড জল বিদ্যুৎ নিগম যৌথভাবে কাজ করে চলেছে। সরকার ইতিমধ্যেই ভারতীয় বায়ুসেনার সহায়তা চাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। চণ্ডীগড় এয়ার বেসে চিনুক, এমআই১৭ভি৫, এএলএইচ এবং চিতা হেলিকপ্টার standby তে রাখা হয়েছে, যাতে আবহাওয়ার উন্নতি ঘটলেই সেগুলি দ্রুত উদ্ধার সামগ্রী ও প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি নিয়ে পাঠানো যায়।

LinkedIn
Share