Author: ishika-banerjee

  • BSF: ভারতের চাপে ২২ দিন পর বাংলার বাসিন্দা বিএসএফ জওয়ানকে ফেরাল পাকিস্তান

    BSF: ভারতের চাপে ২২ দিন পর বাংলার বাসিন্দা বিএসএফ জওয়ানকে ফেরাল পাকিস্তান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের চাপের কাছে অবশেষে নতি স্বীকার করল পাকিস্তান (India Pakistan Conflict)। অপারেশন সিঁদুরের পর ভারতের আরও বড় কূটনৈতিক জয়। ২২ দিন পর পাকিস্তান থেকে ছাড়া পেলেন বাংলার বাসিন্দা, বিএসএফ (BSF) জওয়ান পূর্ণম কুমার সাউ ওরফে পিকে সাউ। সীমান্তের ওপারে ভুলবশত চলে গিয়েছিলেন পূর্ণম সাউ (Purnam Sau)। ২৩ এপ্রিল থেকে পাকিস্তানের রেঞ্জার্সের কাস্টডিতে ছিলেন। বুধবার তাঁকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। বিএসএফ জানিয়েছে, এদিন সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ আটারি-ওয়াঘা সীমান্ত দিয়ে ভারতে ফিরেছেন পূর্ণম।

    ২২ দিন পর মুক্তি

    বিএসএফ (BSF) আইজি পাঞ্জাব ফ্রন্টিয়ার জানালেন, আটারি সীমান্তে বুধবার সকালে ফ্ল্যাগ মিটিং হয়। তারপর পাকিস্তান পূর্ণম সাউকে ভারতের হাতে তুলে দেয়। জানা গিয়েছে, শারীরিকভাবে সুস্থ রয়েছেন পূর্ণম। তবে তিনি মানসিকভাবে কিছুটা বিধ্বস্ত। পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হানার পরদিন গত ২৩ এপ্রিল পাঞ্জাবের পাঠানকোটে কর্মরত অবস্থায় ভুল করে পাকিস্তানে ঢুকে গাছের তলায় বিশ্রাম নিচ্ছিলেন পূর্ণম। তখনই পাক রেঞ্জার্স তাঁকে ধরে। সীমান্তে এমন ঘটলে দু’দেশের সীমান্তরক্ষীদের মধ্যে ‘ফ্ল্যাগ মিটিং’-এর পরে সংশ্লিষ্ট জওয়ানকে মুক্তি দেওয়াই দস্তুর। কিন্তু পূর্ণমকে তখন ছাড়েনি পাকিস্তান। ২২ দিন ধরে আটকে রেখেছিল।

    ভারতের কূটনৈতিক জয়

    অপারেশন সিঁদুরে (Operation Sindoor) রীতিমতো পাকিস্তানকে উচিত শিক্ষা দিয়েছে ভারত। স্থগিত করা হয়েছে সিন্ধু জলবণ্টন চুক্তি। কেবল অস্ত্রে নয়, ভারতের কূটনৈতিক চালেও পাকিস্তান বিধ্বস্ত। প্রবল চাপের মুখে শেষমেশ পূর্ণমকে ছাড়তে বাধ্য হল পাকিস্তান। পূর্ণম হুগলির রিষড়ার বাসিন্দা। উত্তরপাড়ায় দলীয় কর্মসূচিতে এসে পূর্ণমকে দেশে ফেরানোর ব্যাপারে আশ্বাস দেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সতীশচন্দ্র দুবে। তিনি বলেছিলেন, ‘‘অভিনন্দনের মতো (বায়ুসেনার পাইলট গ্রুপ ক্যাপ্টেন অভিনন্দন বর্তমান) পূর্ণমকেও ছাড়িয়ে আনা হবে।’’

    অবশেষে প্রত্যর্পণ

    পূর্ণম পাঞ্জাবের পঠানকোটের ফিরোজপুরে ২৪ নম্বর ব্যাটেলিয়নের কনস্টেবল। স্বামীকে মুক্ত করার ব্যাপারে তদ্বির করতে আট বছরের ছেলে এবং আত্মীয়দের নিয়ে গত ২৮ তারিখ হিমাচল প্রদেশের কাংড়ায় বিএসএফের সদর দফতরে গিয়েছিলেন স্ত্রী রজনী সাউ। স্বামীর কর্মস্থলেও যান তিনি। তাঁরা ফিরোজপুর সীমান্তেও যেতে চেয়েছিলেন। কিন্তু ভারত-পাক উত্তেজনার আবহে সেখানে যাওয়ার ছাড়পত্র মেলেনি। বাড়ি ফিরে স্বামীর মুক্তির অপেক্ষায় প্রহর গুনেছেন রজনী। অবশেষে অভিনন্দনের মতো মুক্তি পেলেন তাঁর স্বামী। বুধবার বিএসএফ বিবৃতিতে জানিয়েছে, তাদের নিরন্তর চেষ্টা, পাকিস্তান রেঞ্জার্সের সঙ্গে ‘ফ্ল্যাগ মিটিং’ এবং বিভিন্ন মাধ্যম দিয়ে আলোচনা সফল হয়েছে। পূর্ণমকে প্রত্যর্পণ করেছে পাকিস্তান।

    পাক রেঞ্জারও ফিরলেন দেশে

    পূর্ণমের ছাড়া পাওয়ার পরেই সৌজন্যতা বজায় রেখে রাজস্থান থেকে আটক পাক রেঞ্জারকে মুক্তি দিল ভারত। পাকিস্তানি রেঞ্জার মোহাম্মদ্দুল্লাহ্‌কেও মুক্তি দিয়েছে ভারত। দিন কয়েক আগে রাজস্থান থেকে আটক করা হয়েছিল তাঁকে। পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা যাচ্ছে, বুধবার সকালে ওই পাক রেঞ্জারকে তাঁর দেশে ফিরিয়েছে ভারত। জানা যাচ্ছে, প্রোটোকল মেনে দুই দেশ বন্দিদের হস্তান্তর কার্যকর করল।

  • Operation Sindoor: ভারতের প্রত্যাঘাতে পাক বায়ুসেনার ২০ শতাংশ পরিকাঠামো ধ্বংস, নিহত ৫০

    Operation Sindoor: ভারতের প্রত্যাঘাতে পাক বায়ুসেনার ২০ শতাংশ পরিকাঠামো ধ্বংস, নিহত ৫০

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্তদের শাস্তি দিতে এবং সন্ত্রাস দমনে পাক-ভূমে অপারেশন সিঁদুর (Operation Sindoor) চালায় ভারত। সাধারণ পাকিস্তানিদের কথা মাথায় রেখে সতর্কতার সঙ্গে টার্গেট চিহ্নিত করে অপারেশন চালানো হয়েছে। খতম হয়েছে ১০০ জনের বেশি জঙ্গি। তবে এরপরই জঙ্গিদের হয়ে হাতিয়ার ধরে পাকিস্তানের সেনা। তারা ক্রমাগত সীমান্তে জনবসতি ও সেনা ছাউনি লক্ষ্য করে হামলা চালাতে থাকে। ভারতীয় আকাশসীমার অভ্যন্তরে ড্রোন, ক্ষেপণাস্ত্র এবং বিমান প্রবেশ করায় পাকিস্তান। ভারতের ডিফেন্স সিস্টেম সেগুলি নিষ্ক্রিয় করে। বেশ কিছু সামরিক ঘাঁটিতে হামলার চেষ্টা হলেও সেগুলির মধ্যে বেশির ভাগই প্রতিহত করা হয়। কিছু আছড়ে পড়লেও সেগুলিতে বড় ক্ষতি এড়ানো গিয়েছে। এরপরই বাধ্য হয়ে পাক সেনা পরিকাঠামোয় হামলা চালায় ভারত, সেই হামলায় ৫০ জন পাকিস্তানি জওয়ানের মৃত্যু হয়েছে। ধ্বংস হয় পাকিস্তানের একের পর এক বায়ুসেনা ও সামরিক ঘাঁটি। পাকিস্তানের ১২টিরও বেশি সামরিক ঘাঁটিতে ভারতের নির্ভুল স্ট্রাইক চালানোর ফলে পাকিস্তান বিমান বাহিনীর প্রায় ২০ শতাংশ পরিকাঠামো ধ্বংস হয়েছে।

    ক্ষতি, মানল পাকিস্তান

    ভারতের প্রত্যাঘাতে কোণঠাসা হয়ে পড়ে পাকিস্তান। প্রয়োজনীয় নথি, ছবি এবং উপগ্রহ চিত্রের মাধ্যমে তা পরিষ্কার করেছে ভারত। ভারতীয় সেনার প্রত্যাঘাতে তাদের বিপুল ক্ষতি হয়েছে, এমনটা প্রথমে মানতে চায়নি পাকিস্তান। কিন্তু ক্ষতির বহর এতটাই বেশি যে, শেষ পর্যন্ত ঢোঁক গিলেও মানতে বাধ্য হয় পাকিস্তানের সেনা। পাক সেনা সূত্রে জানানো হয়েছে, অন্তত ১১ জন সেনা ভারতের প্রত্যাঘাতে প্রাণ হারিয়েছেন। পাকিস্তান সেনা ও বায়ুসেনার অন্তত ৭৮ জন জওয়ান আহত হয়েছেন। পাকিস্তানের বায়ুসেনার ৫ জন মারা গিয়েছেন। তাঁদের নাম স্কোয়া়ড্রন লিডার উসমান ইউসুফ, চিফ টেকনিশিয়ান ঔরঙ্গজেব, সিনিয়র টেকনিশিয়ান নাজিব, কর্পোরাল টেকনিশিয়ান ফারুখ এবং সিনিয়র টেকনিশিয়ান মুবাশির। ভারতের প্রত্যাঘাতে পাক সেনার ৬ জওয়ানের মৃত্যু হয়েছে। তাঁদের নাম, নায়েক আব্দুল রহমান, ল্যান্স নায়েক দিলওয়ার খান, ল্যান্স নায়েক ইক্রামুল্লা, নায়েক ওয়াকার খালিদ, সিপাই মুহাম্মদ আদিল আকবর এবং সিপাই নিসার।

    কী কী ধ্বংস করা হয়েছে, জানাল ভারত

    তবে পাকিস্তান যাই বলুক ভারতীয় সেনাবাহিনীর ডিজিএমও লেফটেন্যান্ট জেনারেল রাজীব ঘাই জানান, এই সংঘর্ষে পাকিস্তানের ৫০ জন সেনা নিহত হয়েছে এবং ভারত তার লক্ষ্য পূরণে সম্পূর্ণ সফল হয়েছে। তিনি সতর্ক করে বলেন, “পাকিস্তান যদি ভবিষ্যতে কোনও ধরনের দুঃসাহস দেখায়, তবে তাকে তার জন্যও চরম মূল্য দিতে হবে।” তিনি জানান, সামরিক ঘাঁটি ও জনবসতি এলাকা লক্ষ্য করে পাকিস্তান আক্রমণ করার কারণে হাত গুটিয়ে বসে ছিল না ভারতীয় সেনা বাহিনী। এয়ার মার্শাল এ কে ভারতী জানান, নির্দিষ্ট কিছু পাকিস্তানি ডিফেন্স সিস্টেমের ঘাঁটি, এয়ারফিল্ড উড়িয়ে দিয়েছে সেনা। তিনি জানান, এই আক্রমণের কারণে পাকিস্তানের এয়ারফোর্সের ২০ শতাংশ পরিকাঠামো ধ্বংস হয়েছে। ধ্বংস হয়েছে বেশ কয়েকটি এফ-১৬ এবং জেএফ-১৭ যুদ্ধবিমান। উল্লেখযোগ্যভাবে, সারগোধা এবং ভোলারি বিমান ঘাঁটি এই হামলার মূল লক্ষ্য ছিল। ভোলারি এয়ার বেসে চালানো হামলায় স্কোয়াড্রন লিডার উসমান ইউসুফসহ চারজন পাক বায়ুসেনা নিহত হন। সূত্র মতে, এই আক্রমণে একাধিক পাকিস্তানি যুদ্ধবিমান সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়েছে।

    ভারতীয় বায়ুসেনা ৯০ মিনিটের মধ্যে ১২টি ঘাঁটিতে হামলা করেছে। যার মধ্যে অন্যতম —

    ১) পাসরুর এয়ার ডিফেন্স রেডার স্টেশন
    ২) চুনিয়া এয়ার ডিফেন্স রেডার স্টেশন
    ৩) আরিফওয়ালা এয়ার ডিফেন্স রেডার স্টেশন
    ৪) সারগোদা এয়ার ফিল্ড (পাকিস্তানি সেনার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এয়ারফিল্ড)
    ৫) রহিম ইয়ার খান এয়ারফিল্ড
    ৬) চাকলালা এয়ারফিল্ড
    ৭) সাক্কার এয়ারফিল্ড
    ৮) ভোলারি এয়ারফিল্ড
    ৯) জাকোবাবাদ এয়ারফিল্ড

    ভারতের সংযম প্রদর্শন

    এই প্রতিআক্রমণের অংশ হিসেবে ভারত চুনিয়ান, সিয়ালকোট, পাসরুর, মুরিদ (চকওয়াল), নূর খান (চাকলালা), রফিকি (শোরকোট), সুক্কুর, সারগোধা, স্কার্দু, ভোলারি ও জ্যাকবাবাদের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিমানঘাঁটি এবং গোলাবারুদের গুদাম লক্ষ্য করে হামলা চালায়। এয়ার মার্শাল একে ভারতী বলেন, “আমরা নিশ্চিতভাবেই পাকিস্তানের কয়েকটি বিমান ভূপাতিত করেছি, তবে সংখ্যাটি অনুমান করা কঠিন, কারণ তারা আমাদের সীমান্তের ভেতরে প্রবেশ করতে পারেনি।” তিনি যোগ করেন, “আমরা আমাদের সমস্ত লক্ষ্য পূরণ করেছি এবং আমাদের সমস্ত পাইলট নিরাপদে ফিরে এসেছেন।” তিনি বলেন, “আমরা এ পর্যন্ত অত্যন্ত সংযম প্রদর্শন করেছি। আমাদের পদক্ষেপ ছিল নির্দিষ্ট, পরিমিত এবং উত্তেজনাবর্জিত। কিন্তু ভারতের সার্বভৌমত্ব, ভৌগলিক অখণ্ডতা কিংবা নাগরিকদের নিরাপত্তার প্রতি যে কোনো হুমকির জবাব আমরা দৃঢ়ভাবে দেব।”

  • S-400: ‘সুদর্শন চক্রে’ কুপোকাত পাকিস্তান, রাশিয়া থেকে আরও এস-৪০০ রক্ষাকবচ কিনছে ভারত?

    S-400: ‘সুদর্শন চক্রে’ কুপোকাত পাকিস্তান, রাশিয়া থেকে আরও এস-৪০০ রক্ষাকবচ কিনছে ভারত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অপারেশন সিঁদুর (Operation Sindoor) চলাকালীন পাকিস্তানের পাল্টা হানা প্রতিহত করেছে ভারতের ‘সুদর্শন চক্র’ এস-৪০০ ট্রায়াম্ফ সিস্টেম (S-400)। সুর্দশন চক্রের ঘায়ে ছিন্নভিন্ন হয়ে গিয়েছে পাক ড্রোন-ক্ষেপণাস্ত্র থেকে বিমান। এই আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার অভাবনীয় সাফল্যের পর রাশিয়া থেকে আরও বেশ কয়েকটি এস-৪০০ কেনার ইচ্ছে প্রকাশ করেছে ভারত। রাশিয়ার কাছে এই বিষয়ে আবেদন করা হয়েছে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে খবর, খুব শীঘ্রই এই বিষয়ে সবুজ সঙ্কেত দিতে পারে রাশিয়া। মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আদমপুরে ভারতীয় বিমান বাহিনীর ঘাঁটি পরিদর্শন করেন। পাকিস্তানের দাবি ছিল, তারা এই ঘাঁটিতে রাখা এস-৪০০ বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করেছে। আদমপুরে বক্তব্য রাখার সময় মোদি এস-৪০০ ট্রায়াম্ফ-এর সামনে দাঁড়িয়ে বক্তব্য রাখেন।

    ‘সুদর্শন চক্র’ এস-৪০০ এর বিশেষত্ব

    মাটি থেকেই আকাশে নিক্ষেপযোগ্য দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র এস-৪০০ (S-400)। আকাশে বিভিন্ন ধরণের লক্ষ্যবস্তু ধ্বংস করার ক্ষমতা রয়েছে এটির। যার মধ্যে রয়েছে ফাইটার জেট, বোমারু বিমান, ক্রুজ এবং ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র এবং এমনকি ড্রোনকেও ধ্বংস করতে সক্ষম। এতে দু’টি ব়েডার সিস্টেম রয়েছে। যা আকাশে ৬০০ কিলোমিটার দূরত্ব পর্যন্ত এবং একসঙ্গে ৮০টি লক্ষ্যবস্তু শনাক্ত করতে পারে এবং ৩৬টি টর্গেটকে একসঙ্গে ‘লক’ করতে পারে। যে কোনও স্থানে নিয়ে গিয়ে মাত্র ১৫ মিনিটের মধ্যে সিস্টেমটিকে চূড়ান্ত রূপ দেওয়া যায়। মাত্র তিন মিনিটের মধ্যে সেটি ব্যবহারের জন্য তৈরি হয়ে যায়। লক্ষ্যবস্তু শনাক্ত করার জন্য এতে একটি জ্যামার-রোধী প্যানোরামিক ব়েডার সিস্টেম রয়েছে। বিভিন্ন ধরণের ক্ষেপণাস্ত্র সহ ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের জন্য ৪টি ব্যারেল বা স্টেশন রয়েছে এস-৪০০-এ। ভারত ও রাশিয়ার পাশাপাশি, চিন, তুরস্ক এবং বেলারুশও এই সিস্টেমটি ব্যবহার করে।

    রাশিয়ার সঙ্গে এস-৪০০ চুক্তির খুঁটিনাটি

    ২০১৮-এর অক্টোবরে পাঁচটি এস- ৪০০ (S-400) স্কোয়াড্রনের জন্য রাশিয়ার সঙ্গে চুক্তি করে ভারত। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের দিল্লি সফরের সময় প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকার চুক্তি সই হয়েছিল। ইতিমধ্যেই রাশিয়া থেকে তিনটি এস-৪০০ ভারতে এসে পৌঁছেছে। বাকি দু’টি ২০২৬ সালের মধ্যেই চলে আসবে ভারতের হাতে। ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার যুদ্ধ চলার কারণে শেষ দুটি স্কোয়াড্রনের সরবরাহে দেরি হচ্ছে, বলে জানিয়েছে মস্কো। আপাতত ভারতের চারটি জায়গায় এই সিস্টেম মোতায়েন রয়েছে। পাঞ্জাব এবং জম্মু-কাশ্মীরের নিরাপত্তার জন্য পাঠানকোটে রয়েছে এস-৪০০। এছাড়াও রয়েছে রাজস্থান এবং গুজরাট সীমান্তে।

  • Cyber Attack: ভারতের ১৫ লক্ষ ওয়েবসাইটে সাইবার হানার চেষ্টা পাকিস্তানি হ্যাকারদের! সফল মাত্র ১৫০টি

    Cyber Attack: ভারতের ১৫ লক্ষ ওয়েবসাইটে সাইবার হানার চেষ্টা পাকিস্তানি হ্যাকারদের! সফল মাত্র ১৫০টি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পহেলগাঁওয়ে সন্ত্রাসবাদী হামলার পর ভারতের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ওয়েবসাইটে ১৫ লক্ষ বার সাইবার হানার (Cyber Attack) চেষ্টা করেছিল পাকিস্তানি হ্যাকাররা। সম্প্রতি মহারাষ্ট্র সাইবার বিভাগের পক্ষ থেকে এমন সাতটি অ্যাডভান্সড পার্সিসট্যান্ট থ্রেট শনাক্ত করা হয়েছে। মহারাষ্ট্রের সাইবার সেলের একটি তদন্তমূলক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, হ্যাকারদের সাফল্য যৎসামান্যই। লক্ষ লক্ষ বার ভারতের ওয়েবসাইটগুলিকে নিশানা করলেও মাত্র ১৫০টি ক্ষেত্রে সফল হয়েছে তারা। ব্যর্থতার হার ৯৯.৯৯ শতাংশ।

    ভারতের বিরুদ্ধে সাইবার যুদ্ধ!

    মহারাষ্ট্র সাইবার সেলের (Cyber Attack) তদন্ত রিপোর্ট অনুযায়ী, কেবল পাকিস্তান থেকেই নয়, সাইবার হানা চালানো হয় বাংলাদেশ, ইন্দোনেশিয়া, মরক্কো এবং পশ্চিম এশিয়ার কয়েকটি দেশ থেকেও। তদন্ত রিপোর্টটির নাম ‘রোড অফ সিঁদুর’। এই রিপোর্টে হ্যাকারদের বেশ কয়েকটি দাবিকেও নস্যাৎ করে দেওয়া হয়েছে। এই রিপোর্টেই নোডাল সাইবার এজেন্সি জানিয়েছে যে পাকিস্তানের সঙ্গে যুক্ত বেশ কিছু হ্যাকিং গ্রুপ সাইবার যুদ্ধ চালাচ্ছে ভারতের বিরুদ্ধে। এই রিপোর্ট সমস্ত ল এনফোর্সমেন্ট এজেন্সির কাছে পাঠানো হয়েছে, ডিরেক্টর জেনারেল অফ পুলিশ এবং স্টেট ইন্টেলিজেন্স ডিপার্টমেন্টের কাছে পাঠানো হয়েছে। মহারাষ্ট্র সাইবার সেলের অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর জেনারেল অফ পুলিশ যশস্বী যাদব এ কথা জানিয়েছেন।

    ব্যর্থতাই সম্বল পাকিস্তানের

    এমন ৭টি পাকিস্তানি হ্যাকার (Cyber Attack) গ্রুপকে শনাক্ত করেছে সাইবার বিভাগ। এপিটি ৩৬, পাকিস্তান সাইবার ফোর্স, টিম ইনসেন পিকে, মিস্টিরিয়াস বাংলাদেশ, ইন্দো হ্যাকস সেক, সাইবার গ্রুপ হোয়াক্স ১৩৩৭ এবং পাকিস্তানের ন্যাশনাল সাইবার ক্রিউ। যে ১৫০টি ওয়েবসাইটে সফলভাবে হামলা চালিয়েছে হ্যাকাররা তাদের মধ্যে রয়েছে কুলগাঁও বদলাপুর মিউনিসিপ্যাল কাউন্সিলের ওয়েবসাইট, জলন্ধরের ডিফেন্স নার্সিং কলেজের ওয়েবসাইট। তবে, হ্যাকাররা দাবি করেছিলেন মুম্বইয়ের ছত্রপতি শিবাজি মহারাজ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সার্ভার থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য চুরি করা হয়েছে। তাঁদের তরফে এ-ও দাবি করা হয় যে, ভারতের বিভিন্ন বিদ্যুৎকেন্দ্রে সাইবার হানা হওয়ায় বহু জায়গায় বিদ্যুৎ পৌঁছোচ্ছে না। এই সমস্ত দাবিকে মিথ্যা বলে দাবি করা হয়েছে ওই প্রতিবেদনে।

  • IACCS: পাক হানা প্রতিরোধে ভারতের ইন্টিগ্রেটেড এয়ার কমান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল সিস্টেম, নেপথ্য নায়কদের ছবি প্রকাশ কেন্দ্রের

    IACCS: পাক হানা প্রতিরোধে ভারতের ইন্টিগ্রেটেড এয়ার কমান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল সিস্টেম, নেপথ্য নায়কদের ছবি প্রকাশ কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর সাফল্যের পিছনে ছিল ভারতীয় বায়ুসেনার এয়ার কমান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল সিস্টেম (আইএসিসিএস)। সাংবাদিক বৈঠকে এসে ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর কথা বলতে গিয়ে বায়ুসেনার এয়ার মার্শাল একে ভারতী শেষ ভাবে উল্লেখ করেছিলেন আইএসিসিএস-এর (IACCS) কথা। বলেছিলেন এই অভিযানের নেপথ্যে থাকা নায়কদের কথা। শুনিয়েছিলেন পর্দার পিছনের কাহিনী। সোমবার তারই একটা ছবি প্রকাশ করে কেন্দ্র।

    কেন্দ্রের তরফে ছবি প্রকাশ

    সেনা সূত্রে জানা যায়, ‘অপারেশন সিঁদুর’ সামরিক অভিযান পরিচালনার ক্ষেত্রে ভারতীয় বায়ুসেনার এয়ার কমান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল সিস্টেমের গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে। ওই সিস্টেম যে কক্ষ থেকে পরিচালিত হয়েছিল, সোমবার কেন্দ্রের তরফে তারই একটি ছবি প্রকাশ্যে আনা হয়েছে। ছবিতে দেখা যায়, পিছনে বৃহদাকার এলইডি স্ক্রিনে নানা ভৌগোলিক হিসেবনিকেশ করা রয়েছে। তার সামনে মুখে মাস্ক পরে দাঁড়িয়ে সেনার কয়েক জন আধিকারিক। তাঁদের পরিচয় যাতে প্রকাশ্যে না-চলে আসে, সেই জন্যই প্রত্যেকের মুখ মাস্কের আড়ালে।

    আইএসিসিএস-এর তিনটি স্তর

    সেনার একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, ভারতের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা বা এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমকে সর্বদা সতর্ক এবং সজাগ রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিল এই আইএসিসিএস (IACCS)। বায়ুসেনার প্রতিটি কার্যকলাপে নজরদারি এবং নিয়ন্ত্রণ চালায় এটি। এই আইএসিসিএস-এর তিনটি স্তর বা বিভাগ রয়েছে। একটি বিভাগ স্থল, জল এবং নৌবাহিনীর মধ্যে সমন্বয় বজায় রাখে। আর একটি বিভাগ বিভিন্ন ধরনের রেডারের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করে। তার পর সেই তথ্য পাঠিয়ে দেওয়া হয় কমান্ড এবং কন্ট্রোল সেন্টারে।

    ভারতের তিন বাহিনীর যৌথ অংশ গ্রহণ

    এই জটিল ও স্তরভিত্তিক এয়ার ডিফেন্স ব্যবস্থাটি ভারতীয় সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী এবং বায়ুসেনার যৌথ অংশগ্রহণে গঠিত হয়েছে। এতে ব্যবহৃত হয়েছে একাধিক সেন্সর ও অস্ত্রব্যবস্থা, দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি ‘সফট-কিল’ ও ‘হার্ড-কিল’ কাউন্টার-ইউএভি ব্যবস্থা, এবং প্রশিক্ষিত কর্মীবাহিনী। আইএসিসিএস (IACCS) ছিল এই প্রতিরক্ষা জালের কেন্দ্রবিন্দু, যা বিভিন্ন স্তরের অপারেশনকে সমন্বয় করেছে।

    আইএসিসিএস কী?

    আইএসিসিএস (IACCS) বা ইন্টিগ্রেটেড এয়ার কমান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল সিস্টেম হল একটি স্বয়ংক্রিয় এয়ার ডিফেন্স কমান্ড ও কন্ট্রোল সেন্টার, যা ভারতীয় বায়ুসেনার বিমান অভিযানের নিয়ন্ত্রণ ও নজরদারির জন্য তৈরি হয়েছে। আধুনিক নেটওয়ার্ক-কেন্দ্রিক যুদ্ধের যুগে ‘রেকগনাইজড এয়ার সিচুয়েশন পিকচার’ (RASP) একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই বিশেষ সিস্টেমে সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী এবং সিভিল রেডার নেটওয়ার্কের মধ্যে বিশেষ সংযোগের মাধ্যমে তথ্য বিনিময় হয়। আইএসিসিএস (IACCS) বিভিন্ন ধরনের ২-ডি ও ৩-ডি রেডার, মোবাইল পর্যবেক্ষণ পোস্ট, এয়ার ফোর্স ঘাঁটি, সিভিল এজেন্সি, এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোল থেকে রিয়েল-টাইম তথ্য সংগ্রহ করে এবং একটি সমন্বিত রেকগনাইজড এয়ার সিচুয়েশন পিকচার তৈরি করে। এই পুরো সিস্টেমটি আইপি-ভিত্তিক ওয়াইড এরিয়া নেটওয়ার্কের (WAN) মাধ্যমে সংযুক্ত।

    আইএসিসিএস-এর ভূয়সী প্রশংসা

    ভারত-পাক যুদ্ধ আবহে দেশের তিন বাহিনীর সাফল্য প্রসঙ্গে এয়ার মার্শাল ভারতী বলেন, “আমাদের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম একটা শক্তিশালী দেওয়ালের মতো দেশকে বাঁচিয়েছে ৷ শত্রুরা এই দেওয়াল ভেদ করতে পারেনি ৷ পাকিস্তানের নিরন্তর প্রচেষ্টা, প্রতিরোধ করেছে ভারতের বহুস্তরীয় ও সংহত এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম ৷ ভারতীয় সেনা, ভারতীয় নৌ-বাহিনী এবং ভারতীয় বায়ুসেনার বিভিন্ন জায়গায় এই এডিএস স্থাপন করেছিল ৷” এই বিশাল এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমে বহু সংখ্যায় বিভিন্ন ধরনের এয়ার ডিফেন্স সেন্সর এবং অস্ত্র ব্যবস্থা রয়েছে৷ যেমন- লো লেভেল এয়ার ডিফেন্স গান, কাঁধে রেখে গোলা বর্ষণের অস্ত্র (শোলডার ফায়ার্ড ম্যান প্যাডস), স্বল্প পাল্লার ভূমি থেকে আকাশ ক্ষেপণাস্ত্র (সারফেস টু এয়ার মিসাইল, এসএএমএস) ৷ এছাড়া এরিয়া ডিফেন্স ওয়েপন- যেমন এয়ার ডিফেন্স যুদ্ধবিমান, দূর পাল্লার ভূমি থেকে আকাশ ক্ষেপণাস্ত্র ৷ পাকিস্তানের পাঠানো অসংখ্য ড্রোন, আনম্যান্ড ভেহিকলকে আকাশেই ধ্বংস করেছে ভারতের নিজস্ব সফ্ট ও হার্ড কিল কাউন্টার-ইউএএস সিস্টেম এবং ভারতীয় বায়ুসেনার দক্ষ আধিকারিকরা ৷ আর এই সবকিছুর সমন্বয় ঘটিয়েছে ভারতীয় বায়ুসেনার ইন্টিগ্রেটেড এয়ার কমান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল সিস্টেম (IACCS) ৷

    মোদি সরকারকে ধন্যবাদ

    আধুনিক যুগের এই যুদ্ধ-ব্যবস্থার ক্ষমতা ইন্টারনেটকে কেন্দ্র করে তৈরি ৷ নতুন এডি সিস্টেমের পাশাপাশি পুরনো এডি সিস্টেমও এই সংঘাতে কাজ করেছে ৷ সর্বোপরি সাম্প্রতিক যুদ্ধে ভারতের নিজস্ব আকাশ এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমের পারফরমেন্স ছিল দুর্দান্ত ৷ বিগত কয়েক বছরে কেন্দ্রের মোদি সরকারের বাজেটে প্রতিরক্ষা খাতে বরাদ্দের জন্য এই অত্যাধুনিক এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম-এ ভারত শক্তিশালী হয়ে উঠেছে। ইন্টিগ্রেটেড এয়ার কমান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল সিস্টেম (IACCS) তৈরি সম্ভব হয়েছে বলে জানান এয়ার মার্শাল একে ভারতী ৷

  • CBSE Results: প্রকাশিত সিবিএসই দ্বাদশের ফল, পাশের হারে এগিয়ে মেয়েরা, কীভাবে দেখবেন রেজাল্ট?

    CBSE Results: প্রকাশিত সিবিএসই দ্বাদশের ফল, পাশের হারে এগিয়ে মেয়েরা, কীভাবে দেখবেন রেজাল্ট?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রকাশিত হল সিবিএসই (Central Board of Secondary Education) দ্বাদশ শ্রেণির ফলাফল। চলতি বছর, পাশের হার ৮৮.৩৯ শতাংশ , যা গত বছরের তুলনায় ০.৪১% বেশি। ২০২৪-এ ছিল ৮৭.৯৮ শতাংশ। পরীক্ষা শেষের ৩৯ দিনের মাথায় ফল ঘোষণা করল বোর্ড (CBSE) । এ বার পাশের হারে ছেলেদের চেয়ে এগিয়ে মেয়েরা। মেয়েদের পাশের হার ৯১.৬৪ শতাংশ, ছেলেদের পাশের হার ৮৫.৭০ শতাংশ।

    জোন ভিত্তিক পাশের হার

    পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক সান্যম ভরদ্বাজ বলেন, চলতি বছর মোট ১৭,০৪,৩৬৭ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষার জন্য নাম নথিভুক্ত করেছিলেন। এর পর মোট ১৬,৯২,৭৯৪ জন পরীক্ষা দিয়েছিলেন। এর মধ্যে পাশ করেছেন ১৪,৯৬,৩০৭ জন। পাশের হারের নিরিখে দেশের মধ্যে প্রথম স্থানে রয়েছে বিজয়ওয়াড়া। পাশের হার ৯৯.৬০ শতাংশ। যেখানে তিরুবনন্তপুরম ৯৯.৩২% পাসের হার নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। তৃতীয় স্থানে রয়েছে চেন্নাই। সেখানে পাসের হার ৯৭.৩৯%। জওহর নবোদয় বিদ্যালয় (JNVs) ৯৯.২৯% পাসের হার নিয়ে শীর্ষে রয়েছে, এরপর কেন্দ্রীয় বিদ্যালয় (KVs) ৯৯.০৫% এবং তৃতীয় স্থানে রয়েছে কেন্দ্রীয় তিব্বতি স্কুল (STSS) যেখানে পাসের হার ৯৮.৯৬%। অঞ্চল-ভিত্তিক ফলাফলের নিরিখে পূর্ব ভারত বেশ কিছুটা পিছিয়ে আছে। দক্ষিণ ভারত এগিয়ে কয়েক কদম।

    কীভাবে দেখবেন ফলাফল

    পরীক্ষার্থীরা বোর্ডের (CBSE) ওয়েবসাইট cbseresults.nic.in এবং results.cbse.nic.in -এ গিয়ে তাঁদের রেজাল্ট দেখতে পারবেন। এ ছাড়াও ফল দেখা যাবে ডিজিলকার এবং উমং অ্যাপের মাধ্যমে। পরীক্ষার্থীদের প্রথমে সিবিএসই-র ওয়েবসাইট cbseresults.nic.in বা results.cbse.nic.in-এ যেতে হবে। এর পর ‘হোমপেজ’ থেকে রেজাল্ট লেখা লিঙ্কে ক্লিক করতে হবে। সেখানে নিজেদের রোল নম্বর, স্কুল নম্বর এবং অ্যাডমিট কার্ড আইডি লিখে ক্লিক করলে রেজাল্ট দেখতে পারবেন পরীক্ষার্থীরা। এর পর সেটি ডাউনলোড করে প্রিন্ট আউট নিয়ে রাখতে হবে তাঁদের। ডিজিলকার থেকেও জানা যাবে রেজাল্ট। তাদের ওয়েবসাইট results.digilocker.gov.in। এই প্রথমবার সিবিএসই পরীক্ষার্থীদের জন্য আনল ৬ সংখ্যার অ্যাক্সেস কোড। এর মাধ্যমে চালু করা যাবে পড়ুয়াদের ডিজিলকার অ্যাকাউন্ট। এই অ্যাকাউন্ট অ্যাক্টিভেট হওয়ার পর ওখানে একটি সেকশন দেখতে পাওয়া যাবে, নাম ‘ইস্যুড ডকুমেন্টস’। সেখানে গিয়ে ক্লিক করলে অ্যাকাডেমিক রেকর্ডের ডিজিটাল ভার্সন দেখতে পাবেন পড়ুয়ারা।

  • IPL 2025: ফাইনাল হচ্ছে না ইডেনে! কলকাতা ও বেঙ্গালুরুর ম্যাচ দিয়েই ফের শুরু আইপিএল

    IPL 2025: ফাইনাল হচ্ছে না ইডেনে! কলকাতা ও বেঙ্গালুরুর ম্যাচ দিয়েই ফের শুরু আইপিএল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত-পাকিস্তান সংঘর্ষবিরতির পরে আবার শুরু হতে চলেছে আইপিএল (IPL 2025)। ভারত-পাকিস্তান সংঘর্ষের জেরে সাময়িক ভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল ক্রীড়া বিনোদনের মহাযজ্ঞ। তবে আইপিএল শুরু হলেও মন ভার কলকাতার ক্রিকেটপ্রেমীদের। আইপিএল ফাইনাল হচ্ছে না ক্রিকেটের নন্দনকানন ইডেনে। হচ্ছে না কোয়ালিফায়ার ম্যাচও। পূর্ব নির্ধারিত সুচি অনুযায়ী অবশ্য ইডেনেই ওই দুটো ম্যাচ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু পরিবর্তিত নতুন সূচিতে ইডেনে কোনও ম্যাচ দেওয়া হয়নি। অনেকের মতে, ওই সময় কলকাতায় বৃষ্টির ভালোরকম পূর্বাভাস রয়েছে, তাই বোর্ড কোনওরকম ঝুঁকি নিতে চায়নি।

    কবে থেকে শুরু খেলা

    ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (BCCI) জানিয়েছে, ১৭ মে, শনিবার থেকে আবার প্রতিযোগিতা শুরু হবে। ফাইনাল ৩ জুন, মঙ্গলবার। প্রথম কোয়ালিফায়ার হবে ২৯ মে, বৃহস্পতিবার। এলিমিনেটর ৩০ মে, শুক্রবার। দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার ১ জুন, রবিবার। গ্রুপ পর্বের ম্যাচগুলির মাঠ জানালেও, প্লে-অফের খেলা কোথায় হবে তা জানায়নি বোর্ড। আইপিএল বন্ধ হওয়ার সময়ই বোর্ড ১০ দলকে জানিয়ে দিয়েছিল, যে সব ক্রিকেটার ও সাপোর্ট স্টাফ দেশে ফিরে গিয়েছেন, তাঁরা যেন ভারতে ফিরে আসার জন্য তৈরি থাকেন। বোর্ডের সবুজ সঙ্কেত পেলেই দলের সঙ্গে যোগ দিতে হবে তাঁদের। সেই নির্দেশও পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। বিসিসিআই আশাবাদী বিদেশি ক্রিকেটাররাও নিশ্চিন্তে দ্রুতই দলের সঙ্গে যোগ দেবেন।

    কোথায় কোথায় হবে ম্যাচ

    সোমবার ভারতীয় বোর্ডের তরফ থেকে টুর্নামেন্টের বাকি ক্রীড়াসূচি ঘোষণা করা হয়। সেখানে পরিষ্কার করে বলে দেওয়া হয়, ফাইনাল-সহ টুর্নামেন্টের বাকি সতেরো ম্যাচ হবে ছ’টা শহরে। সেই তালিকায় নেই ইডেন। যে ছ’টা শহরে ম্যাচ দেওয়া হয়েছে, সেগুলো যথাক্রমে- বেঙ্গালুরু, জয়পুর, দিল্লি, লখনউ, মুম্বই আর আমেদাবাদ। গ্রুপ পর্বে কেকেআরের আর কোনও ম্যাচ নেই ইডেনে। ফলে কলকাতায় এবারের মতো আইপিএল যজ্ঞ শেষই বলা যায়। নতুন সূচি অনুযায়ী, কেকেআর ১৭ মে খেলবে আরসিবির বিরুদ্ধে বেঙ্গালুরুতে। অজিঙ্ক রাহানের টিমের গ্রুপের শেষ ম্যাচ সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে। ওই ম্যাচ হায়দরাবাদের ঘরের মাঠে দেওয়া হয়নি। তা হবে দিল্লিতে।

  • ISRO: ‘‘দেশের নিরাপত্তায় নিযুক্ত ১০টি কৃত্রিম উপগ্রহ’’, ভারত-পাক সংঘাতের মাঝেই জানালেন ইসরো প্রধান

    ISRO: ‘‘দেশের নিরাপত্তায় নিযুক্ত ১০টি কৃত্রিম উপগ্রহ’’, ভারত-পাক সংঘাতের মাঝেই জানালেন ইসরো প্রধান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহাকাশ থেকে ১০টি কৃত্রিম উপগ্রহ ২৪ ঘণ্টা ভারত এবং ভারতবাসীর নিরাপত্তা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করছে। ভারত-পাকিস্তান সংঘাতের (Indo-Pak Conflicts) আবহে এমনটাই জানালেন ভারতের মহাকাশ গবেষণাকেন্দ্র ইসরোর চেয়ারম্যান ভি নারায়ণ (ISRO chairman V Narayanan)। ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজেশন-এর (ISRO) প্রধান জানান, এই কৃত্রিম উপগ্রহগুলির কৌশলগত উদ্দেশ্য হল দেশবাসীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। সেই লক্ষ্যে নিরবচ্ছিন্ন ভাবে কাজ করে যাচ্ছে এই কৃত্রিম উপগ্রহগুলি। ২০৪০ সালের মধ্যে ভারত নিজের প্রথম মহকাশ স্টেশনও পেয়ে যাবে বলে প্রত্যয়ী নারায়ণ।

    ৭০০০ কিলোমিটার দীর্ঘ সমুদ্র উপকূলের উপর নজর

    সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে ইসরো চেয়ারম্যান জানান, এখনও পর্যন্ত ৩৪টি দেশের ৪৩৩টি কৃত্রিম উপগ্রহ ভারত থেকে মহাকাশে পাঠানো হয়েছে। দেশের সুরক্ষা এবং নিরাপত্তার ক্ষেত্রে মহাকাশ গবেষণার গুরুত্বও তুলে ধরেন তিনি। ইসরো প্রধান বলেন, “আমাদের প্রতিবেশীদের কথা আপনারা সকলেই জানেন। দেশের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হলে কৃত্রিম উপগ্রহগুলির মাধ্যমে আমাদের তা পূরণ করতে হবে। আমাদের ৭০০০ কিলোমিটার দীর্ঘ সমুদ্র উপকূলের উপর নজর রাখতে হবে। সমগ্র উত্তর ভাগের উপর আমাদের লাগাতার নজরদারি চালিয়ে যেতে হবে।” ইসরো প্রধানের মতে, দেশের সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য কৃত্রিম উপগ্রহ এবং ড্রোন প্রযুক্তির প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য।

    ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ পরিস্থিতিতে স্যাটেলাইটের ভূমিকা

    ‘অপারেশন সিঁদুর’ (Operation Sindoor) নিয়ে পাকিস্তানের (Indo-Pak Conflicts) তাবড় জঙ্গি ঘাঁটি থেকে সেনার স্ট্র্যাটেজিক ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেওয়ার প্রমাণ দিয়েছে একাধিক স্যাটেলাইট (উপগ্রহ) ছবি। ভারতীয় সেনার তরফেও বিভিন্ন স্যাটেলাইট-মাধ্যমের ছবি তুলে ধরে দেখানো হয়েছে কীভাবে ধূলিসাৎ করে দেওয়া হয়েছে পাকিস্তানের একাধিক জায়গা। ২০২৫ সালে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে গত কয়েকদিন সশস্ত্র সংঘাত পর্বে প্রযুক্তি একটি বড় ভূমিকা পালন করেছে। আধুনিক যুদ্ধবিদ্যায় প্রযুক্তি বিজ্ঞান, নতুন নতুন অধ্যায় তুলে ধরছে। এই পরিস্থিতিতে স্যাটেলাইটের দ্বারা দেশের সুরক্ষা একটি বড় বিষয়। ইসরোর (ISRO) চেয়ারম্যান ভি নারায়ণ বলেন, ‘‘দেশের সুরক্ষার জন্যই শুধু ১০টি স্যাটেলাইট কাজ করছে। এগুলি দেশের স্ট্র্যাটেজিক ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়, যা দেশের সুরক্ষা ও নাগরিক নিরাপত্তায় ব্যবহৃত হয়। ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ পরিস্থিতিতে এই উপগ্রহগুলি সীমান্ত এলাকায় পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে নজর রাখছে। যাতে শত্রুপক্ষের পদক্ষেপ সম্পর্কে আগাম সতর্ক থাকতে পারে।’’ যেমন- সীমান্তের ছাউনিতে পাক সেনার সংখ্যা বৃদ্ধি বা যুদ্ধাস্ত্রের পজিশন পরিবর্তন তাও জানা সম্ভব স্যাটেলাইট চিত্রের মাধ্যমে। উল্লেখ্য, ভারতীয় সেনা ‘অপারেশন সিঁদুর’-সহ পাকিস্তানের প্রতি প্রত্যাঘাতের প্রতিটি পদক্ষেপ ও তার অভিঘাতের প্রমাণ স্বরূপ স্যাটেলাইট চিত্র প্রকাশ করেছে। এমনকী, ‘অপারেশন সিঁদুর’-এ যে শুধু জঙ্গি ঘাঁটিকেই টার্গেট করা হয়েছিল সে প্রমাণও ভারত স্যাটেলাইট ছবির মাধ্যমেই গোটা বিশ্বকে দিয়েছে।

    জাতীয় নিরাপত্তায় উপগ্রহ

    নারায়ণ জানান, ইসরোর (ISRO) বহু স্যাটেলাইটই দেশের সাধারণ মানুষের সুবিধার্থে রয়েছে। যেমন কৃষি টেলি মেডিসিন, টেলি এডুকেশন ক্ষেত্রে রয়েছে ভারতের স্যাটেলাইট। এছাড়াও পরিবেশে নজরদারি, আবহাওয়ার পূর্বাভাস, টেলিভিশন সম্প্রচার, খাদ্য নিরাপত্তা ও স্ট্র্যাটেজিক সেক্টরের জন্য ভারতের স্যাটেলাইটগুলি রয়েছে। তিনি বলছেন, স্যাটেলাইটের ভূমিকা দেশকে বহু স্তরে সুবিধা এনে দিয়েছে। নারায়ণের কথায়, “দেশের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে গেলে আমাদের স্যাটেলাইটকে ভালো ভাবে কাজে লাগাতে হবে। স্যাটেলাইট আর ড্রোন টেকনোলজিকে কাজে লাগিয়ে অনেক কিছু করা সম্ভব।” ইসরো সূত্রে খবর, এখনও পর্যন্ত ইসরো ১২৭টি ভারতীয় উপগ্রহ উৎক্ষেপণ করেছে। এর মধ্যে কেবল সরকার পরিচালিত মিশনই নয়, বরং বেসরকারি কোম্পানি এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দ্বারা তৈরি উপগ্রহও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এর মধ্যে ২২টি উপগ্রহ লো আর্থ অরবিটে (LEO) এবং ২৯টি জিওসিনক্রোনাস আর্থ অরবিটে (GEO) অবস্থিত। এই উপগ্রহগুলির অন্যতম উল্লেখযোগ্য কাজ নজরদারিও। এর মাধ্যমে প্রয়োজনীয় জায়গায় আকাশপথে নজর রাখতে পারে ইসরো। এই ১২৭টি উপগ্রহের রয়েছে কার্টোস্যাট (CARTOSAT) এবং রিস্যাট (RISAT) সিরিজের মতো শক্তিশালী পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থা, সেই সঙ্গে এমিস্যাট (EMISAT) এবং মাইক্রোস্যাট (MICROSAT) সিরিজও রয়েছে। এগুলি পর্যবেক্ষণ, নজরদারি ও নানা গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহের কাজে লাগানো হয়।

    পাঁচ বছরে আরও ৫২টি উপগ্রহ আসছে

    ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল স্পেস প্রোমোশন অ্যান্ড অথরাইজেশন সেন্টার (IN-SPACE) এর চেয়ারম্যান পবন কুমার গোয়েঙ্কা সম্প্রতি জানিয়েছেন আরও উন্নত ৫২টি নতুন উপগ্রহ শীঘ্রই আসছে। মহাকাশ-ভিত্তিক নজরদারি ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য আগামী পাঁচ বছরে এগুলি কক্ষপথে ছাড়া হবে। নতুন উপগ্রহগুলি ভারতীয় সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী এবং বায়ুসেনাকে শত্রুর গতিবিধি ট্র্যাক করতে সাহায্য করবে। একইসঙ্গে সীমান্তে পর্যবেক্ষণ ও সামরিক অভিযানেও কয়েক কদম এগিয়ে থাকবে ভারত।

  • AkashTeer: স্তম্ভিত আমেরিকা-চিন! পাক হামলার মোকাবিলায় ভারতের বৈপ্লবিক প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি ‘আকাশতীর’

    AkashTeer: স্তম্ভিত আমেরিকা-চিন! পাক হামলার মোকাবিলায় ভারতের বৈপ্লবিক প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি ‘আকাশতীর’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বজুড়ে ইজরায়েলের আয়রন ডোমের দিকে নজর থাকলেও, গত কয়েক দিনে ভারত যে সাহসিকতা দেখিয়েছে, তা এখন সারা বিশ্বে আলোচিত। ভারত চুপচাপ তার নিজস্ব আকাশসীমা প্রতিরক্ষা সক্ষমতা শক্তিশালী করার দিকে মনোযোগ দিয়েছে আকাশতীর (AkashTeer) প্রকল্পের মাধ্যমে। ভারতীয় সেনাবাহিনীর ‘ডিকেড অব ট্রান্সফরমেশন’ এবং ‘ইয়ার অব টেক অ্যাবজর্বশন’ উদ্যোগের অধীনে আকাশতীর তৈরি করা হয়েছে, যা আধুনিক আকাশ প্রতিরক্ষা হুমকির বিরুদ্ধে কার্যকরী সুরক্ষা নিশ্চিত করেছে। সাম্প্রতিক ভারত-পাক যুদ্ধে ভারতের এই বহুস্তরীয় প্রতিরক্ষা কৌশল আমেরিকা, চিন, রাশিয়া, তুরস্ক সকলকেই চমকে দিয়েছে। আকাশতীর ভারতের আত্মনির্ভর প্রতিরক্ষা প্রযুক্তির যাত্রায় একটি গুরুত্বপূর্ণ গেম-চেঞ্জার হয়ে দেখা দিয়েছে। বিশ্বের প্রথম ন্যাটো-বহির্ভূত কোনও দেশের হাতে এত উন্নত প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি দেখেছে বিশ্ববাসী। সম্পূর্ণ দেশীয়, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) দ্বারা পরিচালিত, উপগ্রহ-সংযুক্ত স্বয়ংক্রিয় কমব্যাট সিস্টেম হিসেবে আকাশতীর বিশ্বের তামাম প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকদের চমকে দিয়েছে।

    কী এই আকাশতীর?

    “আকাশতীর” একটি বহুস্তরীয়, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা পরিচালিত, স্বয়ংক্রিয় প্রতিরক্ষা এবং আক্রমণ সমন্বয় ব্যবস্থা। বিশ্ব প্রতিরক্ষা কৌশলে এক যুগান্তকারী পরিবর্তন এনেছে ভারত। ডিআরডিও (DRDO), ভারত ইলেকট্রনিক্স লিমিটেড (BEL) এবং ইসরো (ISRO)-এর যৌথ উদ্যোগে সম্পূর্ণভাবে দেশীয় প্রযুক্তিতে নির্মিত হয়েছে “আকাশতীর”। এটি হল একটি বাস্তব-সময়ে লক্ষ্য নির্ধারণ ও স্বয়ংক্রিয় প্রতিরক্ষা এবং আক্রমণ পরিচালন পদ্ধতি। এটি কোনও একক ডিভাইস নয়, বরং একটি সমন্বিত ও স্বয়ংক্রিয় প্রতিরক্ষা নেটওয়ার্ক, যা নিজে থেকে বিপদ আঁচ করে যথাযথ প্রতিক্রিয়া নিয়ে বিপদকে নিষ্ক্রিয় করতে সক্ষম। আকাশতীর হলো বহুস্তরীয় সমন্বিত প্রতিরক্ষা এবং প্রতি-আক্রমণ ব্যবস্থাপনা প্রযুক্তি। যা এআই, স্যাটেলাইট নজরদারি, স্বয়ংক্রিয় সোয়ার্ম ড্রোন, রেডার এবং মোবাইল কমান্ড ইউনিট মিলিয়ে এক নতুন ধরনের “কমব্যাট ক্লাউড” গঠন করে।

    আকাশতীরের মূল বৈশিষ্ট্য

    সেনা সূত্রে খবর, ৭ তারিখ রাত থেকে ৮ তারিখ ভোরের মধ্যে ১৫টি সেনা ছাউনিতে হামলার পরিকল্পনা করেছিল পাক সেনা। সেই আক্রমণ শুধু প্রতিহতই করেনি ভারত। উল্টে যোগ্য জবাবও দিয়েছে। অপারেশন সিঁদুরের পর একের পর এক ড্রোন হামলা চালায় পাকিস্তান। যা রুখে দেয় ভারত। ভারতের চার স্তরের বায়ু প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। যা ‘আয়রন ডোম’-এর অনুরূপ বলে মনে করা হচ্ছে। এই সিস্টেমটি বিভিন্ন প্রযুক্তির সমন্বয়ে তৈরি এবং ‘আকাশতীর’ কমান্ড নেটওয়ার্ক দ্বারা পরিচালিত। আকাশতীর সিস্টেম সেনাবাহিনী ও বায়ুসেনার সমস্ত রেডার এবং স্যাটেলাইট ডেটা একটি একক নেটওয়ার্কের সাথে সংযুক্ত করেছিল। এই সমন্বিত চিত্রটি নির্ধারণ করেছিল যে কোন ব্যবস্থা কোন হুমকিকে ধ্বংস করবে। ফলস্বরূপ, পাকিস্তানের একের পর এক হামলা প্রতিহত করে ভারত।

    চার স্তরের আকাশতীর সিস্টেম

    ইসরোর উপগ্রহ নজরদারি: কার্টোস্যাট ও রিস্যাট উপগ্রহের মাধ্যমে রিয়েল-টাইম মানচিত্র এবং লক্ষ্য নির্ধারণ। বিদেশি স্যাটেলাইট ডেটার উপর নির্ভরতা ছাড়াই, নিজস্ব স্যাটেলাইট থেকে সরাসরি যুদ্ধভূমির তথ্য সংগ্রহ ভারতকে কয়েক কদম এগিয়ে দিয়েছে।

    নাবিক ব্যবস্থার ব্যবহার: ভারতের নিজস্ব জিপিএস ন্যাভিগেশন সিস্টেম, যা উপমহাদেশীয় ভূখণ্ডে অত্যন্ত কার্যকর। এই বিশেষ সিস্টেম পার্বত্য, মরুভূমি ও শহরাঞ্চলে অত্যন্ত কার্যকর।

    সোয়ার্ম ড্রোন: আকাশতীরের প্রতিটি সোয়ার্ম ড্রোন সিস্টেম— ৫-১০ কেজি পেলোড বহনে সক্ষম। চিনা ও পাকিস্তানি রেডার এড়াতে সক্ষম। স্টেলথ প্রযুক্তিতে সজ্জিত। উচ্চ গতিতে উড়তে সক্ষম। অনুপ্রবেশ করতে এবং স্বয়ংক্রিয়ভাবে শত্রুর ড্রোন ধ্বংস করতে সক্ষম। সেলফ-নেভিগেশন রয়েছে। নিজেই লক্ষ্যকে স্থির করে নিতে সক্ষম। মিশনের প্রয়োজন অনুযায়ী, মাঝপথে নিজের প্রোগ্রামে বদল আনতে সক্ষম। এগুলি বাণিজ্যিক ড্রোন নয়। বরং কৌশলগত, বুদ্ধিমান কামিকাজে ইউনিট যা শত্রুর হাই-ভ্যালু টার্গেট পর্যবেক্ষণ করে, শত্রুর আকাশসীমায় প্রবেশ করে স্বয়ংক্রিয়ভাবে টার্গেট ধ্বংস করতে সক্ষম।

    এআই কমব্যাট ক্লাউড: তাৎক্ষণিক তথ্য বিশ্লেষণ ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের মাধ্যমে কোনও মানুষের হস্তক্ষেপ ছাড়াই স্বয়ংক্রিয়ভাবে আক্রমণ পরিচালনা করে এই পদ্ধতি। কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে শত্রুর রেডার সংকেত, ভূখণ্ড বিশ্লেষণ, আবহাওয়ার তথ্য এবং উপগ্রহ চিত্র সহ বিস্তৃত যুদ্ধের তথ্য প্রক্রিয়া করতে পারে আকাশতীর। এআই-এর দৌলতে আকাশতীর সিস্টেম স্বয়ংক্রিয়ভাবে মিশন নতুন করে সাজাতে পারে, ড্রোন রিডিরেক্ট করতে পারে এবং সার্জিক্যাল স্ট্রাইক চালাতে পারে, যা মার্কিন বা চিনা সিস্টেমের চেয়ে অনেক উন্নত, কারণ সেখানে মানুষের প্রয়োজন হয়।

    আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া

    অপারেশন সিঁদুরের পর, ভারতের বায়ু প্রতিরক্ষা মডেল এখন বিশ্বব্যাপী আলোচিত হচ্ছে। এই মডেলটি দেখায় যে নিরাপত্তা কেবল নতুন প্রযুক্তি কেনার মাধ্যমেই আসে না, বরং সেগুলিকে একীভূত করার মাধ্যমেও আসে। কীভাবে একইসঙ্গে শত্রুর হানা রুখছে, আবার শত্রুর ডেরায় গিয়ে আঘাত হানছে আকাশতীর,তা দেখে আমেরিকা থেকে শুরু করে চিন, তুরস্ক থেকে শুরু করে পাকিস্তান— সকলেই কার্যত থ বনে গিয়েছে। বিশেষজ্ঞরা এখন ভারতের এই স্তরযুক্ত প্রতিরক্ষাকে বিশ্বের জন্য একটি নতুন মানদণ্ড হিসেবে বিবেচনা করছেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একাধিক বিশ্লেষক ভারতের এই প্রযুক্তি নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। তাঁরা আকাশতীরের অনুকরণে পেন্টাগনের অভ্যন্তরীণ কৌশল পুনর্বিবেচনার কথাও বলছেন। চিনের বেইডু স্যাটেলাইট ও ড্রোন বিশেষজ্ঞরা এখন আকাশতীরের অনুকরণে অ্যালগোরিদম পুনঃর্গঠনের চেষ্টা করছে। ভারতের অগ্রগতি দেখে অবিলম্বে বায়রাক্তার ড্রোনের প্রযুক্তি আপগ্রেডে ব্যস্ত তুরস্ক।

    কেন আকাশতীর অনন্য

    ভারত দীর্ঘদিন ধরে তার আকাশ প্রতিরক্ষা সক্ষমতা বাড়ানোর গুরুত্ব উপলব্ধি করেছে, বিশেষ করে আঞ্চলিক উত্তেজনা এবং অত্যাধুনিক বিমান আক্রমণের হুমকি বৃদ্ধি পাওয়ায়। আয়রন ডোমের মতোই ভারতের আকাশতীর এই চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলার জন্য একটি শক্তিশালী সমাধান। এটি অত্যাধুনিক রেডার, ক্ষেপণাস্ত্র নির্দেশনা এবং কমান্ড কন্ট্রোল সিস্টেমের সমন্বয়ে তৈরি। আকাশতীর বিশেষভাবে উচ্চ-গতি, কম উচ্চতার এবং স্টেলথ লক্ষ্যবস্তু শনাক্তকরণের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। আকাশতীরের রেডার সিস্টেম প্রযুক্তির ক্ষেত্রে একটি বিশাল অগ্রগতি। এটি একাধিক লক্ষ্যবস্তু বিভিন্ন উচ্চতায় শনাক্ত করতে সক্ষম, এবং অত্যাধুনিক সিগন্যাল প্রসেসিং অ্যালগোরিদমের মাধ্যমে স্টেলথ বিমান, ড্রোন এবং সুপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র পর্যন্ত শনাক্ত করতে পারে। ঐতিহ্যবাহী রেডার সিস্টেমের তুলনায়, আকাশতীরের রেডার প্রায় মাটি ঘেঁষে চলা লক্ষ্যবস্তুও শনাক্ত করতে সক্ষম, যা ভারতের গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোকে ৩৬০-ডিগ্রি সুরক্ষা প্রদান করে। একশো শতাংশ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি এই পদ্ধতি কোনও বিদেশি চিপ বা সিস্টেমের উপর নির্ভরশীল নয়। এটি দেশের সরকারি সংস্থাগুলোর দুর্দান্ত সমন্বয়ে তৈরি এক প্রকল্প। ডিআরডিও, ইসরো ও ভারত ইলেক্ট্রনিক্সের যুগান্তকারী সমন্বয়ে তৈরি আকাশতীরের পূর্ণ কৌশলগত স্বাধীনতা রয়েছে। এটি একটি মোবাইল কমান্ড ইউনিট, যা জিপে রেখেও চালানো সম্ভব। আকাশতীর শুধু একটি প্রযুক্তি নয়, এটি ভারতের প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে আত্মনির্ভরতার প্রতীক। এটি ভারতকে আর অনুসরণকারী নয়, বরং নেতৃত্বকারী হিসেবে বিশ্বমঞ্চে প্রতিষ্ঠা করেছে।

  • Virat Kohli: টেস্ট ক্রিকেটে শেষ বিরাট অধ্যায়! লাল বলের ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়ে নিলেন কিং কোহলি

    Virat Kohli: টেস্ট ক্রিকেটে শেষ বিরাট অধ্যায়! লাল বলের ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়ে নিলেন কিং কোহলি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টেস্ট ক্রিকেটে শেষ হল বিরাট অধ্যায় (Virat Kohli)। লাল বলের ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়ে নিলেন কিং কোহলি। রোহিত শর্মার অবসর ঘোষণার পর বিরাট কোহলিও সোমবার সমাজমাধ্যমে অবসরের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করলেন। রাখলেন না বিসিসিআই-এর অনুরোধ। দেশের হয়ে আর সাদা জার্সিতে দেখা যাবে না ভারতের সর্বকালের অন্যতম সেরা ব্যাটারকে। সাদা জার্সিটা তুলে রাখারই সিদ্ধান্ত নিলেন কোহলি। সোমবার সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ নিজের ইনস্টা অ্যাকাউন্টে এই সিদ্ধান্ত জানান ‘চেজ মাস্টার’।

    বিদায়-বার্তায় কী লিখলেন কোহলি 

    সমাজমাধ্যমে কোহলি (Virat Kohli) লিখেছেন, ‘‘১৪ বছর আগে প্রথম টেস্ট ক্রিকেটের নীল ব্যাগি টুপি পরেছিলাম। সত্যি বলতে তখন জানতাম না, ক্রিকেটের এই ফরম্যাট আমাকে কতটা এগিয়ে নিয়ে যাবে। কল্পনাও করিনি। এই ফরম্যাট আমার পরীক্ষা নিয়েছে। আমাকে তৈরি করেছে। আমাকে শিক্ষা দিয়েছে। সারাজীবন এই শিক্ষা বহন করব।’’ তিনি আরও লিখেছেন, ‘‘সাদা পোশাকে খেলার মধ্যে কিছু ব্যক্তিগত গভীর বিষয় থাকে। শান্ত পরিবেশ, দীর্ঘ সময় খেলা, ছোট ছোট মুহূর্তগুলো কেউ দেখতে পায় না। তবে এগুলো চিরকাল আমার সঙ্গে থাকবে।’’

    হাসিমুখেই বিদায়!

    গত বুধবার টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছেন রোহিত শর্মা। তারপর কোহলির এমন সিদ্ধান্তের প্রভাব এতটাই ছিল যে, খবর অনুযায়ী, বিসিসিআই মরিয়া হয়ে কোহলিকে তাঁর সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করার অনুরোধ করেছে। যাতে জুন-জুলাইয়ের গুরুত্বপূর্ণ ইংল্যান্ড সফরে ভারতীয় দল অনভিজ্ঞ না থেকে যায়, বোর্ডের তরফে সেই চেষ্টাই করা হচ্ছে বলে খবর। তবে, দৈনিক জাগরণের একটি প্রতিবেদনে সম্পূর্ণ বিপরীত দাবি করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে যে, কোহলিকে তাঁর সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করতে বলা হয়নি। বরং, সিদ্ধান্ত গ্রহণকারীরা কোহলিকে স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছেন যে, খারাপ ফর্মের কারণে ভারতের টেস্ট দলে তাঁর জায়গা পাওয়ার নিশ্চিত নয়। অস্ট্রেলিয়ায় তাঁর শেষ টেস্ট সিরিজে কোহলি পাঁচটি টেস্টে সাকুল্যে ১৯০ রান করেন। তাঁর ব্যাটিং গড় ছিল ২৩-এর সামান্য বেশি। আসলে সেই ১৯০ রানের মধ্যে ১০০ রান বিরাট একটি ইনিংসেই করেছিলেন। বাকি সিরিজে তাঁর সার্বিক অবদান ৯০ রানের। তবে পারফরম্যান্স যাই হোক তিনি কিং কোহলি। মাঠে তাঁর উপস্থিতি যে কোনও দলের কাছেই বড় ফ্যাক্টর।

    খুব একটা সহজ ব্যাপার নয়

    সচিন-গাভাসকর পরবর্তী যুগে ভারতীয় ক্রিকেটের ব্যাটিং ম্যস্ট্রো বিরাট কোহলি (Virat Kohli)। আবেগঘন এক পোস্টে লিখলেন, ‘‘আমি কৃতজ্ঞতায় ভরা এক হৃদয় নিয়ে সরে যাচ্ছি, এই খেলাটাকে কৃতজ্ঞতা জানাই, যাদের সঙ্গে আমি মাঠ শেয়ার করেছিলাম তাঁদের কৃতজ্ঞতা জানাই এবং প্রতিটি ব্যক্তিকে আলাদা করে কৃতজ্ঞতা জানাতে চাই। এই ফরম্যাট থেকে সরে আসার পরে মনে হচ্ছে খুব একটা সহজ ব্যাপার নয়। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে, আমি সর্বস্ব দিয়েছি এই ফরম্যাটে এবং এই ফরম্যাট আমাকে প্রত্যাশার থেকেও অনেক বেশি ফিরিয়ে দিয়েছে।’’ শেষে কোহলি লেখেন, ‘‘আমি সবসময় আমার টেস্ট কেরিয়ারের দিকে হাসিমুখে ফিরে তাকাবো।’’ দিনান্তে কোহলির নামের পাশে লেখা রইল ১২৩টি টেস্ট ম্যাচ। ৯২৩০ টেস্ট রানের মালিক তিনি। ৩০টি সেঞ্চুরি তাঁর ঝুলিতে। সর্বোচ্চ রান ২৫৪। ২০১১ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ম্যাচ দিয়ে তাঁর টেস্ট ক্রিকেটে পথচলা শুরু হয়। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে টেস্ট পরিক্রমা শেষ হল কোহলির। মাঝে কেটে গেল দীর্ঘ ১৪ বছর।

    সচিনের একশোয় একশো ধরা হল না

    সচিনের একশোয় একশো ধরা আর হল না কোহলির। বিরাট (Virat Kohli) লিখলেন, #২৬৯, সাইনিং অফ। আসলে টেস্টে বিরাট যে ভারতীয় দলের ক্যাপ পরতেন, সেটার নম্বর ছিল ২৬৯। কারণ তিনি ভারতের ২৬৯তম খেলোয়াড় হিসেবে টেস্ট খেলেছিলেন। কয়েকদিন আগে রোহিত শর্মাও যখন অবসর গ্রহণ করেছিলেন, তখন নিজের টেস্ট ক্যাপের ছবি দেখিয়েছিলেন। তাতে লেখা ছিল ২৮১। কারণ ভারতের ২৮১ তম খেলোয়াড় হিসেবে রোহিতের টেস্টে অভিষেক হয়েছিল। টেস্ট ক্রিকেট ছাড়তে চান তিনি। সে কথা ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডকে আগেই জানান কোহলি। তবে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) তাঁকে অনুরোধ করে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করতে। সামনে ইংল্যান্ড সফর। কয়েক দিন আগেই রোহিত শর্মা টেস্ট ক্রিকেটকে বিদায় বলেছেন। এই অবস্থায় কোহলিকে হারানো মানে এক ধাক্কায় ভারতের ব্যাটিং লাইনআপ থেকে বিশাল অভিজ্ঞতা সরে যাওয়া। আর সেই আশঙ্কাই সত্যি হল।

    নিজের সিদ্ধান্তে অনড় কোহলি

    ব্যাটার কোহলিকে (Virat Kohli) আর লাল বলে দেখা না গেলে সেটা টেস্ট ক্রিকেটের জন্য ভালো নয়। এমনটাই মনে করেছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান কিংবদন্তি ব্রায়ান লারা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্টে তাই লারা বলেছিলেন, কোহলিকে বুঝিয়ে টেস্টে আরও খেলতে রাজি করানো হবে। শুধু তা-ই নয়, কেরিয়ারের বাকি সময়টা কোহলি টেস্টে ৬০-এর বেশি গড়ে রান করবে। তবে লারার সেই ভবিষ্যদ্বাণী মিলল না। কোহলি নিজের সিদ্ধান্তে অনড় থাকলেন। টেস্ট ক্রিকেটে এখন শূন্যতা। বহু স্মৃতি রেখে গেলেন বিরাট কোহলি। সচিনের উত্তরসূরী দ্রুতই পাঠিয়ে দিয়েছিলেন ক্রিকেট ঈশ্বর। কিন্তু কোহলির পর সেই শূন্যতা কি পূরণ করতে পারবেন গিল, যশস্বীরা?

LinkedIn
Share