Author: ishika-banerjee

  • PM Modi: রাষ্ট্রসংঘের সভায় যোগ দিতে আমেরিকা যাবেন না মোদি! সুকৌশলে কি বার্তা ট্রাম্পকে?

    PM Modi: রাষ্ট্রসংঘের সভায় যোগ দিতে আমেরিকা যাবেন না মোদি! সুকৌশলে কি বার্তা ট্রাম্পকে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সুচিন্তিত পদক্ষেপ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi)। রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ পরিষদের ৮০তম অধিবেশনে (UNGA Session) যোগ দেবেন না প্রধানমন্ত্রী। তাঁর পরিবর্তে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর ভাষণ দেবেন। এর আগে ঠিক ছিল, ২৬ সেপ্টেম্বর মোদি ভাষণ দেবেন। কিন্তু পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে তাঁর পরিবর্তে বিদেশমন্ত্রী ভাষণ দেবেন ২৭ সেপ্টেম্বর। মার্কিন শুল্ক নিয়ে দ্বন্দ্বের মাঝে সুপরিকল্পিত ভাবে আমেরিকা সফর এড়িয়ে গেলন প্রধানমন্ত্রী মোদি এমনই অনুমান রাজনৈতিক মহলের।

    কেন গেলেন না মোদি

    প্রথমত, এই সময় মার্কিন সফরে গিয়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পেরর সঙ্গে সাক্ষাৎ না করে বেরিয়ে এলে, তা সরাসরি বিরোধ বা সংঘাতের সামিল হত। যা ভারত এখনও পর্যন্ত এড়িয়ে গিয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের করা কোনও মন্তব্যের প্রকাশ্যে প্রত্যাঘাতের পথে হাঁটেনি ভারত। পাল্টা শুল্ক চাপায়নি। শুধু চুপ করে বসে অন্যদের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়ানোর চেষ্টা করে যাচ্ছে দিল্লি। ট্রাম্পের সঙ্গে দেখা হলে করমর্দন করতে হত, সৌজন্যতা বজায়ের জন্য সেই কাজ করলে জনমানসে ভুল বার্তা যেত। বিশেষ করে, ট্রাম্প যখন ‘‘চিন রাশিয়ার কাছে ভারতকে হারিয়ে ফেলেছি’’ বলে দাবি করে বসেছেন। দ্বিতীয়ত, হতেই পারে, মোদি আমেরিকা যাচ্ছেন শুনে ট্রাম্প আগবাড়িয়ে আচমকা ঘোষণা করে বসলেন। বলে দিতেই পারেন যে, মোদির সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে। তাঁরা দেখা করতে চলেছেন। মোদি রাজি হয়েছেন এরকম নানা কথা। এমনকি বৈঠকের দিনক্ষণ জায়গাও প্রকাশ করে ফেলতে পারতেন। কারণ অতীতে এমন অনেক কিছুই করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। অপারেশন সিঁদুরের সময় ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ বন্ধে তাঁর সক্রিয় ভূমিকার কথা বারবার দাবি করেছেন ট্রাম্প, যা আদতে মিথ্যে বলে দাবি করেছে ভারত।

    শেষ কবে রাষ্ট্রসংঘে মোদি

    জুলাই মাসে প্রকাশিত তালিকায় জানা গিয়েছিল চিন, পাকিস্তান, বাংলাদেশের প্রশাসনিক প্রধানদের সঙ্গে ২৩ থেকে ২৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হতে চলা রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ পরিষদে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও। কিন্তু এবার জানা গেল, মোদির পরিবর্ত হিসেবে জয়শঙ্করের কথা। প্রসঙ্গত, এবারের অধিবেশনে প্রথম বক্তব্য রাখার কথা ব্রাজিলের। এরপরই আমেরিকার প্রতিনিধি হিসেবে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভাষণ দেবেন। ক্ষমতায় প্রত্যাবর্তনের পর এটাই রাষ্ট্রসংঘে তাঁর অধিবেশন। নিউ ইয়র্কে হতে চলা ওই অধিবেশনে ট্রাম্প কী বলবেন, সেদিকে কড়া নজর থাকবে নয়াদিল্লির। তথ্য বলছে, শেষবার ২০২১ সালে রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভায় গিয়েছিলেন মোদি। গত বছর রাষ্ট্রসংঘের হেডকোয়ার্টারেও তিনি যান। তবে সভায় যোগ দেননি। তারপর ২০২২ সাল থেকেই রাষ্ট্রসংঘের ডিবেটে ভারতের হয়ে ময়দানে নেমেছেন এস জয়শংকর। শুক্রবারই রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভার উচ্চ পর্যায়ের ডিবেটে স্পিকারদের নাম প্রকাশ্যে আসে। সেখানে লেখা রয়েছে ভারতের তরফে এক ‘মন্ত্রী’ সেখানে যো দেবেন। জানা যাচ্ছে, ২৭ সেপ্টেম্বর, যেদিন দেশে দুর্গাপুজোর পঞ্চমী পালিত হবে, সেদিন রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভায় বক্তব্য রাখবেন বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্কর।

    এক ঢিলে দুই পাখি

    শুল্কযুদ্ধের আবহে ট্রাম্পের নানা বক্তব্যে ভারত-আমেরিকা সম্পর্কের বিবিধ টানাপোড়েন সামনে এসেছে। সম্প্রতি এসসিও বৈঠকে মোদিকে পুতিন ও জিনপিংয়ের পাশে দেখে ট্রাম্প সোশাল মিডিয়ায় লিখেছেন, ‘মনে হচ্ছে রাশিয়া ও ভারতকে অন্ধকার চিনের কাছে হারিয়ে ফেলেছি।’ বিদেশ মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, ‘এই পোস্ট নিয়ে কিছু বলার নেই এখনও পর্যন্ত।’ এর আগে প্রাক্তন মার্কিন নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বল্টন বলেছেন, ট্রাম্প ও মোদির সম্পর্ক শেষ হয়ে গিয়েছে। এবার ফের ট্রাম্পকে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে মুখ খুলতে দেখা গিয়েছে। পরে ট্রাম্প ব্যাখ্যা করে বলেছেন, তাঁর এই ধরনের মন্তব্যের নেপথ্যে রয়েছে তাঁর হতাশা। এই আবহে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মার্কিন মুলুকে পা রাখলে নানান সমস্যা দেখা দিতে পারে। মার্কিন কূটনীতির কারবারিরা মোদি-ট্রাম্পকে পাশাপাশি বসিয়ে আলোচনার চেষ্টা করবেন। তখন প্রধানমন্ত্রী মোদির সামনে একটা দ্বিধা-দ্বন্দ্ব-অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। মোদি সুকৌশলে সেই রাস্তাই বন্ধ করে দিলেন। একই সঙ্গে এক ঢিলে দুই পাখি মারল দিল্লি। এক, ট্রাম্পের মুখোমুখি হওয়ার সম্ভাবনা এড়ানো গেল। দুই, ট্রাম্পকে ঘুরিয়ে বার্তা দেওয়া হল যে, ভারত মাথা নত করবে না।

  • TET: টেট পাশ না করলে শিক্ষকদের চাকরি যাবে, সুপ্রিম নির্দেশে কাদের ছাড়?

    TET: টেট পাশ না করলে শিক্ষকদের চাকরি যাবে, সুপ্রিম নির্দেশে কাদের ছাড়?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষকতায় পদোন্নতি বা চাকরি চালিয়ে যেতে হলে টেট উত্তীর্ণ হওয়া বাধ্যতামূলক – এমনই নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। শীর্ষ আদালতের বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত ও বিচারপতি অগাস্টিন জর্জ মাসিহের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দিয়েছে, পাঁচ বছরের বেশি চাকরির অভিজ্ঞতা থাকলেও টেট পাশ না করলে শিক্ষকতায় থাকা যাবে না। তবে যে সব শিক্ষক ২০০৯ সালের শিশুদের বাধ্যতামূলক এবং বিনামূল্যে শিক্ষা অধিকার আইন কার্যকর হওয়ার আগে নিয়োগ পেয়েছেন তাদের টেট পাশ করার জন্য ২ বছরের সময় দেওয়া হয়েছে।

    টেট নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ

    সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছে, যে শিক্ষকরা টেট পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হবেন না, তাঁরা চাকরি ছেড়ে দিতে পারেন বা টার্মিনাল সুযোগ-সুবিধা নিয়ে বাধ্যতামূলক অবসরের জন্য আবেদন করতে পারেন। আসলে ২০১১-র ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর টিচার এডুকেশন ঘোষণা করেছিল শিক্ষকপদে নিয়োগে যোগ্য হতে টেট বাধ্যতামূলক। কিন্তু বাস্তবের কথা মাথায় রেখে সুপ্রিম কোর্ট এও জানিয়েছে, যাঁদের অবসর পেতে আর পাঁচ বছর বাকি, তাঁদের জন্য ছাড়। তাঁরা টেট না পাশ করলেও চাকরি করে অবসর নিতে পারবেন। কিন্তু এই সময়ে পদোন্নতি পাবেন না। সুপ্রিম কোর্টের এই রায় এসেছে একাধিক মামলার প্রেক্ষিতে। তামিলনাড়ু ও মহারাষ্ট্রের মতো রাজ্য সরকারও এই বিষয়ে মামলা করেছিল। প্রশ্ন ছিল – শিক্ষকতার জন্য টেট আদৌ বাধ্যতামূলক কিনা। এনসিটিই প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগের জন্য যখন ন্যূনতম যোগ্যতা নির্ধারণ করেছিল, তখনই টেট চালু হয়।

    সংখ্যালঘু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলির ক্ষেত্রে করণীয়

    তবে সংখ্যালঘু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলির ক্ষেত্রেও টেট বাধ্যতামূলক হবে কিনা, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়নি সুপ্রিম কোর্ট। বিষয়টি বৃহত্তর বেঞ্চে পাঠানো হয়েছে। উল্লেখ্য, স্কুলের প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষক নিয়োগের জন্য কয়েকটি ন্যূনতম শর্ত তৈরি করেছিল ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর টিচার এডুকেশন (এনসিটিই)। তারপর চালু করা হয়েছিল টেট। পশ্চিমবঙ্গেও টেট পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগ হয়। যদিও পরীক্ষার পর দীর্ঘদিন ধরে নিয়োগ প্রক্রিয়া না এগোনো এবং দুর্নীতির অভিযোগে একাধিকবার বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে।

  • India US Relation: ভারতের সঙ্গে ট্রাম্পের আচরণের সমালোচনা মার্কিন মুলুকে, কী বললেন ফিনল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট?

    India US Relation: ভারতের সঙ্গে ট্রাম্পের আচরণের সমালোচনা মার্কিন মুলুকে, কী বললেন ফিনল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ট্রাম্প জমানায় মার্কিন বিদেশনীতির কড়া সমালোচনা করলেন ফিনল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার স্টাব। রাজধানী হেলসিঙ্কিতে একটি অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘‘ইউরোপ এবং আমেরিকাকে গ্লোবাল সাউথ এবং ভারতের প্রতি সহযোগিতামূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। নইলে আমরা হেরে যাব।’’ পরাজয় কোন দিক থেকে আসবে, তা অবশ্য স্পষ্ট করেননি আলেকজান্ডার। তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, স্টাবের এই মন্তব্যের সময় তাঁর পাশে ছিলেন লিথুয়ানিয়ার প্রেসিডেন্ট গীতানাস নৌসেদা। ভারতের সঙ্গে ট্রাম্পের আচরণের (India US Relation) সমালোচনা করেছেন ডেমোক্র্যাট নেতা রো খান্না। প্রাক্তন মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা (NSA) জেক সুলিভানও ট্রাম্পের ভারতের উপর আরোপিত শুল্কনীতি এবং একতরফা ভূ-রাজনৈতিক আচরণ নিয়ে তীব্র সমালোচনা করেছেন।

    ট্রাম্প-ঘনিষ্ঠ স্টাবের আশঙ্কা

    চলতি বছরের ৩১ অগাস্ট থেকে ১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে চিনের তিয়ানজিনে চলা ‘সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন’ বা এসসিওর বৈঠকে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (India US Relation)। সেখানে চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এবং রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে আলাদা করে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন তিনি। শুধু তা-ই নয়, মোদিকে নিজের গাড়িতে করে হোটেলে নিয়ে যান পুতিন। সেই ছবি সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তেই নয়াদিল্লি ও ক্রেমলিনের সম্পর্ক নিয়ে নতুন করে কাটাছেঁড়ায় বসে একাধিক পশ্চিমি দেশ। গত ২৭ অগাস্ট থেকে ভারতীয় পণ্যে ৫০ শতাংশ করে শুল্ক ধার্য করেছে ট্রাম্পের আমেরিকা। শুধু তা-ই নয়, নয়াদিল্লি অবিলম্বে রাশিয়ার থেকে অপরিশোধিত খনিজ তেল ‘উরাল ক্রুড’ কেনা বন্ধ না করলে নিষেধাজ্ঞার অঙ্ক আরও বৃদ্ধি পাবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছে ওয়াশিংটন। যদিও এই হুমকির কাছে মাথা নোয়াতে নারাজ মোদি সরকার। কেন্দ্রের সাফ যুক্তি, জাতীয় স্বার্থে মস্কোর থেকে সস্তা দরে ‘তরল সোনা’ আমদানি করা হচ্ছে, যা কোনও অবস্থাতেই বন্ধ করে দেওয়া সম্ভব নয়। ভারতীয় পণ্যে যুক্তরাষ্ট্র শুল্কের অঙ্ক বৃদ্ধি করতেই বিকল্প বাজারের সন্ধানে কোমর বেঁধে লেগে পড়ে নয়াদিল্লি। এই পরিস্থিতিতে সাত বছর পর প্রধানমন্ত্রী মোদির চিন সফরের দিকে তাকিয়েছিল গোটা বিশ্ব। সেখানে শি এবং পুতিনের সঙ্গে তাঁকে খোশগল্প করতে দেখে প্রমাদ গুনেছে ফিনল্যান্ড ও লিথুয়ানিয়ার মতো রুশ সীমান্ত লাগোয়া পূর্ব ইউরোপের একাধিক দেশ। মস্কোর দিকে নয়াদিল্লির এ ভাবে ঝুঁকে পড়ার জন্য সম্পূর্ণ ভাবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে দায়ী করছে তারা। ফিনল্যান্ড প্রেসিডেন্ট স্টাবের কথায়, ‘‘চিনের বৈঠকে কী হয়েছে সেটা আমরা সবাই দেখেছি। পশ্চিম ইউরোপ কিন্তু যথেষ্ট ঝুঁকির মুখে রয়েছে। ভারতের মতো উদীয়মান শক্তির সঙ্গে অর্থপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তুলতে ব্যর্থ হলে সমূহ বিপদ। আমাদের পুরনো ব্যবস্থার কথা মাথায় রাখতে হবে।’’

    স্টাবস-ট্রাম্প ঘনিষ্ঠতা

    স্টাবস নেহাতই কোনও দেশের প্রেসিডেন্ট নন, তাঁর সঙ্গে ট্রাম্পের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠতা আছে। একটি মহলের তরফে দাবি করা হয়, সারা বিশ্বে যে কয়েকজন পশ্চিমী রাষ্ট্রনেতার (বিরল তালিকা) কথায় পাত্তা দেন ট্রাম্প, তাঁদের মধ্যে আছেন ফিনল্যান্ড প্রেসিডেন্ট। এমনকী ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে ইউক্রেনের যে আলোচনা চলছে, তার কেন্দ্রবিন্দুতে আছে ফিনল্যান্ড। শুধু তাই নয়, গত মার্চে ফ্লোরিডায় মার-এ-লাগো রিসর্টে ট্রাম্পের সঙ্গে সাত ঘণ্টা গলফ খেলেছিলেন ফিনল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট।

    নোবেল না পাওয়াতেই ভারতকে শাস্তি

    ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন কংগ্রেসম্যান রো খান্না এক্স-এ এক পোস্টে ট্রাম্পকে কটাক্ষ করে বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ট্রাম্পকে নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন না করায়, ট্রাম্প ভারতের উপর ৫০% শুল্ক বসিয়েছেন, যা চিনের উপর আরোপিত শুল্কের থেকেও কঠোর।” তিনি অভিযোগ করেন, “ট্রাম্প নিজের স্বার্থে তিন দশকের মার্কিন-ভারত কৌশলগত অংশীদারিত্ব ধ্বংস করছেন। এটা শুধু ভারতের রফতানি খাতকে নয়, মার্কিন নির্মাতা ও আমেরিকার অর্থনীতিকেও বিপর্যস্ত করছে।”

    পাকিস্তানে পারিবারিক ব্যবসার স্বার্থে ভারতের সঙ্গে সম্পর্কে ভাঙন

    আমেরিকার প্রাক্তন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সুলিভানও ট্রাম্পের নীতির বিরুদ্ধে সরব হয়ে বলেন, “ট্রাম্প নিজের পরিবারের ব্যবসা রক্ষা করতে পাকিস্তানের সঙ্গে আঁতাত করেছেন এবং ভারতের সঙ্গে কৌশলগত সম্পর্ক নষ্ট করেছেন।” তিনি বলেন, “যুক্তরাষ্ট্র বহু দশক ধরে দ্বিদলীয় সমর্থনে ভারতের সঙ্গে একটি গভীর সম্পর্ক গড়ে তুলেছে। এই সম্পর্ক প্রযুক্তি, প্রতিভা, অর্থনীতি ও চিন মোকাবিলায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ট্রাম্প সব কিছু এক লহমায় নষ্ট করে দিয়েছেন।” সুলিভান আরও অভিযোগ করেন, ট্রাম্প ও তাঁর পরিবারের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান ওয়ার্ল্ড লিবার্টি ফাইনান্সিয়াল ইঙ্ক (World Liberty Financial Inc বা WLFI) পাকিস্তানের ক্রিপ্টো কাউন্সিলের (PCC) সঙ্গে একাধিক চুক্তিতে আবদ্ধ হয়েছে। আমেরিকান অর্থনীতিবিদ রিচার্ড উলফ, জেফরি স্যাকস ও প্রাক্তন রাষ্ট্রদূত নিক্কি হ্যালিও ট্রাম্পের ভারতের উপর শুল্কনীতি ও একতরফা আচরণকে “কৌশলগত ভুল”, “আত্মঘাতী পদক্ষেপ” বলে অভিহিত করেছেন।

  • Recession in US: মন্দার মুখে মার্কিন অর্থনীতি, এগোচ্ছে ভারত! ট্রাম্পের শুল্কনীতিই দায়ী, দাবি মুডিজ-এর

    Recession in US: মন্দার মুখে মার্কিন অর্থনীতি, এগোচ্ছে ভারত! ট্রাম্পের শুল্কনীতিই দায়ী, দাবি মুডিজ-এর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহামন্দার মুখে দাঁড়িয়ে আমেরিকা। ভারতের অর্থনীতিকে ‘মৃত’ বলেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কিন্তু আদতে দেখা গেল আমেরিকার আর্থিক অবস্থাই শোচনীয়। কোনও রাখঢাক না করে মার্কিন আর্থিক রেটিং (US Rating Agency) সংস্থাই জানিয়ে দিল আমেরিকার বর্তমান (US Economy) পরিস্থিতি। বিশ্বের নাম করা আর্থিক রেটিং সংস্থা মুডিজ (Moodys Warning) জানিয়েছে, মন্দার মুখে মার্কিন অর্থনীতি, ট্রাম্পের (Donald Trump) সিদ্ধান্তেই বদলে এই প্রতিকূল অবস্থা তৈরি হয়েছে।

    ক্ষতি করছে ট্রাম্পের ট্যারিফ নীতি

    চলতি বছরের ৩০ জুলাই ভারতের অর্থনীতিকে ‘মৃত’ বলে কটাক্ষ করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। কিন্তু, মাত্র দু’মাসের মাথাতেই নিজের ঘর সামলাতে যে তাঁকে হিমশিম খেতে হচ্ছে, তা বলাই বাহুল্য। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প প্রায়শই আমেরিকানদের আশ্বস্ত করেন যে- তাঁর নেতৃত্বে মার্কিন অর্থনীতি এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে শক্তিশালী হয়েছে। কিন্তু মুডিজ-এর প্রধান অর্থনীতিবিদ মার্ক জান্ডি তাঁর দাবি নিয়ে প্রশ্ন তুলে ট্রাম্পকে বাস্তবের মুখ দেখিয়েছেন। মুডিজ-এর দাবি, দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্রমাগত এমন সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন, যা বিশ্ব অর্থনীতিতে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। ‘আমেরিকান ফার্স্ট’ স্লোগান দেওয়া ট্রাম্পের পদক্ষেপগুলি এখন প্রতিকূল প্রভাব ফেলছে মার্কিন অর্থনীতিতে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের উপর শুল্ক আরোপের তার নীতি বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতি আমেরিকাকে মন্দার কবলে ফেলেছে।

    মন্দার মুখে আমেরিকা

    মার্কিন অর্থনীতির বর্তমান পরিস্থি নিয়ে মার্ক জান্ডি বলেছেন, ট্রাম্প মার্কিন জিডিপি বৃদ্ধি, বিদেশি বিনিয়োগ বৃদ্ধি ও মুদ্রাস্ফীতির উপর নিয়ন্ত্রণকে তার অর্থনৈতিক সাফল্য হিসেবে তুলে ধরলেও বাস্তব কিন্তু অন্য কথা বলেছ। তাঁর মতে, আমেরিকা বর্তমানে চাকরি থেকে শুরু করে উপভোক্তা মূল্য সূচক সবেতেই নেতিবাচক অবস্থানে রয়েছে। নিউজউইককে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মুডিজ প্রধান অর্থনীতিবিদ বলেছেন- মার্কিন অর্থনীতির অবনতির অবস্থা সম্পর্কে কয়েক মাস আগে যে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছিল, তা এখন সত্যি হচ্ছে। তিনি অনুমান করছেন- ২০২৫ সালের শেষ নাগাদ মার্কিন অর্থনীতি তীব্র মন্দার কবলে পড়বে। তিনি মনে করেন না যে- মার্কিন অর্থনীতি এই মুহূর্তে মন্দার মধ্যে রয়েছে। তবে তিনি বিশ্বাস করেন যে- এটি মন্দার দরজায় দাঁড়িয়ে আছে।

    মার্ক জান্ডি কে

    মার্ক জান্ডি সেই অর্থনীতিবিদ, যিনি ২০০৮ সালের আর্থিক সংকটের সঠিক ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন। গত কয়েক মাস ধরে, তিনি ট্রাম্প প্রশাসনের বাণিজ্য ও কর্মসংস্থান নীতি নিয়ে ক্রমাগত প্রশ্ন তুলে আসছেন। যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডকে তালুর মতো চেনেন জান্ডি। তাঁর মতে, ট্রাম্পের পদক্ষেপগুলি আমেরিকান অর্থনীতির উপর মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে। জান্ডির দাবি, মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদন বা জিডিপির (গ্রস ডোমেস্টিক প্রোডাক্ট) নিরিখে আমেরিকার প্রায় এক তৃতীয়াংশ প্রদেশের সূচক রয়েছে ঋণাত্মক। এতে মার্কিন অর্থনীতিতে মন্দার ঝুঁকি কয়েক গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে বলে স্পষ্ট করেছেন তিনি। সম্প্রতি এই নিয়ে এক্স হ্যান্ডলে একটি পোস্ট করেন মার্ক। সেখানে তিনি লেখেন, ‘‘বিভিন্ন তথ্য ঘেঁটে দেখেছি, যুক্তরাষ্ট্রের এক তৃতীয়াংশ প্রদেশের জিডিপি হয় মন্দায়, নয়তো সেই রকম পরিস্থিতির মুখে দাঁড়িয়ে আছে। অন্য এক তৃতীয়াংশ কিছুটা স্থিতিশীল। বাকি এক তৃতীয়াংশের সূচক বৃদ্ধি পাচ্ছে। এক কথায় অর্থনীতি যথেষ্ট অস্থির। আমার মূল্যায়ন অনুযায়ী, আমেরিকায় মন্দা আসার মতো সহায়ক পরিস্থিতি রয়েছে।’’

    মার্কিন অর্থনীতির পক্ষে ঘুরে দাঁড়ানো কঠিন

    কোনও দেশ আর্থিক মন্দার কবলে পড়েছে, এটা বোঝার একটা সুনির্দিষ্ট উপায় রয়েছে। একটি অর্থবর্ষে পর পর দু’টি ত্রৈমাসিকে যদি জিডিপির সূচক ঋণাত্মক থাকে, তা হলে সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রটিকে মন্দা গ্রাস করেছে বলে ধরে নেওয়া হয়। চলতি আর্থিক বছরের (২০২৫-’২৬) প্রথম তিন মাস অর্থাৎ এপ্রিল থেকে জুনের মধ্যে শূন্যের নীচে নেমে যায় যুক্তরাষ্ট্রের জিডিপির সূচক। জুলাই-অগস্টে পরিস্থিতি সে ভাবে বদলায়নি। সেপ্টেম্বরে অবস্থার বিরাট পরিবর্তন না হলে মার্কিন অর্থনীতির পক্ষে ঘুরে দাঁড়ানো কঠিন হবে বলেও মনে করছেন বিশ্লেষকদের একাংশ।

    এগোচ্ছে ভারতীয় অর্থনীতি

    আমেরিকার অর্থনীতি যেখানে বেসামাল সেখানে তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, অগাস্টের একেবারে শেষে চলতি আর্থিক বছরের (পড়ুন ২০২৫-’২৬) এপ্রিল থেকে জুনে জিডিপির হার প্রকাশ করেছে ভারত সরকার। কেন্দ্রের দেওয়া সেই তথ্য অনুযায়ী, প্রত্যাশাকে ছাপিয়ে ৭.৮ শতাংশে পৌঁছে গিয়েছে সূচক। পরে ‘সেমিকন ইন্ডিয়া ২০২৫’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এই ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, ‘‘দ্রুত বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশে পরিণত হবে ভারত।’’ বর্তমানে চতুর্থ স্থানে রয়েছে নয়াদিল্লির নাম। সমীক্ষক সংস্থা ‘ইওয়াই ইকোনমিক ওয়াচ’ আবার তাদের পূর্বাভাসে জানিয়েছে, আগামী ১৩ বছরের মধ্যে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ হয়ে উঠবে ভারত। পাশাপাশি, তালিকায় এক নম্বর স্থানে থাকা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গদি টলমল হওয়ার ইঙ্গিতও দিয়েছেন আর্থিক বিশ্লেষকেরা।

  • PM Modi Hails GST 2.0: ‘শিশুদের টফিতেও কর বসিয়েছিল কংগ্রেস’, জিএসটি ২.০-এর প্রশংসা করে খোঁচা প্রধানমন্ত্রীর

    PM Modi Hails GST 2.0: ‘শিশুদের টফিতেও কর বসিয়েছিল কংগ্রেস’, জিএসটি ২.০-এর প্রশংসা করে খোঁচা প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের সাধারণ পরিবারগুলির উপর মারাত্মক করের বোঝা চাপিয়েছিল কংগ্রেস। এমনকী শিশুদের টফি-লজেন্সের উপরেও কর চাপানো হয়েছিল। বৃহস্পতিবার ‘জাতীয় শিক্ষক পুরস্কার’ প্রাপ্তদের সভায় নতুন জিএসটি হার নিয়ে কৃতিত্ব দাবি করার পাশাপাশি, বিরোধী কংগ্রেসকে নিশানা করে এমনই দাবি করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi Hails GST 2.0)। কংগ্রেসকে আক্রমণ করে মোদি বলেন, কংগ্রেস সরকার সাধারণ মানুষের রান্নাঘরের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র এবং কৃষিকাজ, এমনকী ওষুধের উপরেও উচ্চহারে কর চাপিয়েছিল। জিএসটি ২.০-এক সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত, যা দেশের মানুষের স্বার্থে গৃহীত, দাবি প্রধানমন্ত্রীর।

    কংগ্রেসকে আক্রমণ মোদির

    জিএসটি কাঠামোয় বড়সড় রদবদল ঘোষিত হয়েছে বুধবার সন্ধ্যায়। বৃহস্পতিবার সেই ইস্যুতেই কংগ্রেসের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ শানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi Hails GST 2.0)। তিনি বলেন, ‘‘নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র, খাদ্য এবং ওষুধ – যে কোনও কিছুর উপর কর আরোপ করেছে। এমনকি শিশুদের টফিতেও কর বসিয়েছিল কংগ্রেস। মোদি যদি এটা করতেন, তাহলে তাঁরা আমার চুল টেনে ছিঁড়ে ফেলত।’’ কংগ্রেসের তীব্র সমালচনা করে মোদি অভিযোগ করেন, “যদি সেই শাসনব্যবস্থা অব্যাহত থাকত, তাহলে ১০০ টাকার জিনিস কিনতে আপনাকে ২০-২৫ টাকা কর দিতে হত। কংগ্রেস জমানায় হোটেল বুকিংয়েও একাধিক কর নেওয়া হত। ভারতে চিকিৎসা অনেক ব্যয়বহুল ছিল। কংগ্রেস সরকার ডায়াগনস্টিক কিটের উপর ১৪% কর নিত। কংগ্রেস সরকার আলো, পাখা, টিভি, এসির ওপর ৩১% কর নিত। কিন্তু আমাদের সরকারের লক্ষ্য হল সাধারণ মানুষের জীবনে সর্বাধিক সঞ্চয় নিশ্চিত করা এবং তাঁদের জীবন উন্নত করা।”

    জিএসটি ২.০ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত

    নয়া জিএসটি কাঠামোর প্রশংসা করে মোদির (PM Modi Hails GST 2.0) দাবি, দেশের উন্নতিতে জিএসটি ২.০ দ্বিগুণ সাহায্য করবে। তাঁর মতে, ভারতকে আত্মনির্ভর করার জন্য এই সংস্কার ধারাবাহিকভাবে চলতে থাকবে। প্রধানমন্ত্রীর দাবি, জিএসটি ২.০ জাতির প্রতি সহায়তা এবং দেশের আর্থিক বৃদ্ধির ‘ডবল ডোজ’ হবে। সেই সঙ্গে জিএসটি হারের পরিবর্তন সম্পর্কে তাঁর মন্তব্য, ‘‘দেশের স্বাধীনতার পরে এটিই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত।’’ বুধবার পণ্য পরিষেবা কর (জিএসটি) কাঠামোয় বুধবার গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তনের কথা ঘোষণা করেছিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী তথা কাউন্সিলের চেয়ারপার্সন নির্মলা সীতারামন। জিএসটি কাউন্সিলের ৫৬তম বৈঠকের প্রথম দিনের শেষে জানিয়েছিলেন, আগামী ২২ সেপ্টেম্বর থেকে মূলত দু’টি হারে (৫, ১৮) জিএসটি কার্যকর হবে (এ ছাড়া নির্দিষ্ট কিছু ক্ষেত্রে থাকবে ৪০ শতাংশ কর)। ২০১৭ সালের জুলাইয়ে জিএসটি চালুর পর থেকে তাতে পাঁচটি (৫, ১২, ১৮, ২৮ এবং কিছু পণ্যে শূন্য) হার ছিল এতদিন পর্যন্ত। এ বার ১২ এবং ১৮ শতাংশ জিএসটি উঠে গেল। এই নয়া হারকে জিএসটি ২.০ বলেছেন মোদি।

    দেশের উন্নয়নের ক্ষেত্রে নজিরবিহীন

    প্রধানমন্ত্রী মোদি (PM Modi Hails GST 2.0) বৃহস্পতিবার বলেন, ‘‘সময়োপযোগী পরিবর্তন না হলে আজকের বিশ্ব পরিস্থিতিতে আমরা আমাদের দেশকে তার যথাযথ স্থান দিতে পারব না। আমি ১৫ অগাস্ট লালকেল্লা থেকে বলেছিলাম যে, ভারতকে স্বাবলম্বী করার জন্য পরবর্তী প্রজন্মের সংস্কারমূলক পদক্ষেপ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমি দেশবাসীকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম যে, এই দীপাবলি এবং ছট পুজোর আগে দ্বিগুণ আনন্দের ঝলক দেখা যাবে।’’ সেই প্রতিশ্রুতি তাঁর সরকার রক্ষা করেছে বলে দাবি প্রধানমন্ত্রীর। প্রধানমন্ত্রী মোদির দাবি, ‘‘এই সিদ্ধান্তে একুশ শতকে দেশের উন্নয়নের ক্ষেত্রে নজিরবিহীন অগ্রগতি হবে। জিএসটি সংস্কারের মাধ্যমে ভারতের প্রাণবন্ত অর্থনীতিতে পাঁচটি নতুন রত্ন (পঞ্চরত্ন) যুক্ত হয়েছে।’’

    যুবকদের আয় বাড়বে

    বুধবার জিএসটি কাউন্সিলের অনুমোদিত সংস্কারে, রুটি থেকে শুরু করে চুলের তেল, আইসক্রিম এবং টিভি পর্যন্ত সাধারণ মানুষের ব্যবহারের সব জিনিসের দাম কমবে বলে জানা গিয়েছে। পাশাপাশি ব্যক্তিগত স্বাস্থ্য ও জীবনবিমার উপর করের পরিমাণ শূন্যে নামিয়ে আনা হবে বলেও জানা গিয়েছে। ফিটনেস সামগ্রীতেও কর কমানো হয়েছে। অভ্যন্তরীণ ব্যয় বৃদ্ধি এবং মার্কিন শুল্কের ধাক্কা কমাতে সমস্ত ব্যক্তিগত ব্যবহারের জিনিস এবং মধ্যবিত্তদের ব্যবহারের অন্যান্য পণ্যের দাম কমবে। এদিন প্রধানমন্ত্রী মোদি (PM Modi Hails GST 2.0) বলেন, ‘‘এখন জিএসটি আরও সহজ হয়ে গিয়েছে। মাত্র দু’টি স্ল্যাব রয়েছে এখন, ৫% এবং ১৮% – যা প্রতিটি নাগরিক এবং ব্যবসায়ীদের জন্য আরও সহজ হয়ে গেল। জিএসটি ২.০ বিশেষত ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের স্বস্তি দেবে।’’ প্রধানমন্ত্রীর মতে, ‘‘জিএসটি ২.০ দরিদ্র, নব্য মধ্যবিত্ত, মধ্যবিত্ত, কৃষক, মহিলা, ছাত্র, যুবক-যুবতী সকলের জন্যই উপকারী। পনির থেকে শ্যাম্পু-সাবান সবকিছুই হবে সস্তা।’’ ১৭৫টি জিনিসের দাম কমার কথা উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর কথায়, জিএসটি শুধু কমেনি, জিএসটি সরলীকরণও করা হয়েছে। এতে যুবকদের আয় বাড়বে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ৫০ শতাংশ শাস্তিমূলক শুল্কের আবহে ভারতের রফতানি বাণিজ্য ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। ঘটনাচক্রে, সেই আবহেই এসেছে জিএসটি সরলীকরণের সিদ্ধান্ত। যা একেবারেই সময়ের দাবি বলে মত প্রধানমন্ত্রীর।

  • Suvendu Adhikari: নজিরবিহীন! চ্যাংদোলা করে বার করা হল বিজেপি বিধায়কদের, ”ওরা মার্শাল নয়, তৃণমূলের গুন্ডা” বললেন শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: নজিরবিহীন! চ্যাংদোলা করে বার করা হল বিজেপি বিধায়কদের, ”ওরা মার্শাল নয়, তৃণমূলের গুন্ডা” বললেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তপ্ত বিধানসভা, শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) পর এবার বিধানসবার বিশেষ অধিবেশনে সাসপেন্ড বিজেপির শঙ্কর ঘোষ (Shankar Ghosh)। নজিরবিহীন ঘটনা বিধানসভায়। চলল শাসকের তুঘলকি শাসন। মার্শাল ডেকে বিধানসভা (West Bengal Assembly) থেকে বার করে দেওয়া হল শঙ্কর ঘোষকে। শঙ্কর ঘোষের পর সাসপেন্ড করা হয় অগ্নিমিত্রা পাল। তারপর মিহির গোস্বামী, অশোক দিন্দা, বঙ্কিম ঘোষকেও সাসপেন্ড করা হয়। মিহির গোস্বামীকে কার্যত চ্যাংদোলা করে বার করা হয়। প্রতিবাদে ক্ষোভে ফেটে পড়েন বিজেপি বিধায়করা।

    নেত্রীর নির্দেশেই হেনস্থা!

    বাঙালি হেনস্থার প্রতিবাদে বিধানসভার বিশেষ অধিবেশন চলছিল। প্রশ্নত্তোর পর্ব এর আগে বয়কট করেছিল বিজেপি। মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য রাখার সময় সরব হয়ে ওঠেন বিজেপি বিধায়করা। দু পক্ষই একে অপর পক্ষকে চোর চোর স্লোগান দিতে শুরু করেন। সেই সময় বিরোধীদের উদ্দেশে স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় অনুরোধ করেন, বিধানসভার মর্যাদা রক্ষা করতে। বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষকে আসনে ফিরে যেতে নির্দেশ দেন স্পিকার। ‘শুভেন্দু অধিকারীকে কেন গোটা অধিবেশনের জন্য সাসপেন্ড করা হল, এমন প্রশ্নই বিধানসভায় দাঁড়িয়ে তুলেছিলেন শঙ্কর ঘোষ। পরিস্থিত জটিল দেখে বিজেপি বিধায়কদের উদ্দেশে অধ্যক্ষ বলেন, তারা যেন বিধানসভার বাইরে গিয়ে স্লোগান তোলেন। শুধু স্পিকার নন নিজের দলের বিধায়কদের উদ্দেশে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ”বিজেপি বিধায়করা যখন বলবে তখন কাউকে বলতে দেবে না।” তাই হয়, গণতন্ত্র বিসর্জন দিয়ে দলনেত্রীর কথামতো চলতে থাকে বিধানসভা।

    বিরোধী দলনেতাকে সাসপেন্ড অযৌক্তিক

    এদিন, রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) সাসপেনশন নিয়ে স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের দু’রকমের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানায় বিজেপি। শুভেন্দু এ প্রসঙ্গে বলেন, “স্পিকারের ভয়েস রেকর্ডিংও তো তাই বলেছে যে মঙ্গলবার পর্যন্ত সাসপেনশন। পরে টাইপ করে দিয়েছে। আসলে নেত্রীর নির্দেশ বিরোধী দলনেতাকে বাইরে রাখবেন। আমাদের বিধায়করা ভিতরে ঢুকবে, বুঝিয়ে দেবে, বিজেপিতে একজন শুভেন্দু নেই।” বিজেপির তরফ থেকে জানানো হয়েছে, গত মঙ্গলবার অধিবেশনের শেষ দিন শুভেন্দু অধিকারীকে সাসপেন্ড করার কথা ঘোষণা করেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানিয়েছিলেন, নির্দিষ্ট ওই দিনের জন্যই শুভেন্দু অধিকারীকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। কিন্তু পরে স্পিকার বাইরে এসে জানান, এই সেশন যতদিন চলবে, ততদিন পর্যন্তই শুভেন্দু অধিকারীকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। এই নিয়েই ধোঁয়াশা তৈরি হয়। বিজেপির বক্তব্য, স্পিকার কীভাবে বিধানসভার ভিতরে এক কথা বলতে পারেন, বাইরে আরেক কথা বলতে পারেন? এই গোটা বিষয়টিই পরিষ্কার নয়। । যদিও বিধানসভার তরফ থেকে স্পষ্ট করেই বলে দেওয়া হয়েছে এবার, কেবল ওই দিনের জন্য নয়, গোটা অধিবেশন পর্বের জন্যই শুভেন্দু অধিকারীকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।

    গণতন্ত্রের হত্যা!

    বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) বিধানসভা (West Bengal Assembly) কক্ষে পৌঁছনোর আগে থেকেই বিজেপি বিধায়কদের স্লোগান দিতে শোনা যায়। বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে সাসপেন্ড করা নিয়ে সরব হন বিজেপি বিধায়করা। মুখ্যমন্ত্রী অধিবেশন কক্ষে পৌঁছনোর পরে বিরোধিতা আরও জোরাল হয় বিজেপির। শঙ্কর ঘোষকে কার্যত টেনে হিঁচড়ে বাইরে বের করার চেষ্টা হয়। পড়ে যান তিনি। বিধানসভা কক্ষে অশান্তি যখন তুঙ্গে, অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, স্লোগান দিতে হলে বাইরে বেরিয়ে যান, বাইরে গিয়ে স্লোগান দিন। মার্শালকে অধ্যক্ষ নির্দেশ দেন, যাঁরা অশান্তি করছেন, তাঁদের বাইরে বের করে দিতে হবে। এর পরেই মার্শালের সঙ্গে বিজেপি বিধায়কদের ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়। প্রবল অশান্তি, ঠেলাঠেলিতে পড়ে যান শঙ্কর ঘোষ। অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। মেঝেতে শুয়ে পড়েন শঙ্কর। শঙ্কর ঘোষের পড়ে যাওয়ার ভিডিয়ো শেয়ার করে শুভেন্দু অধিকারী লেখেন, ‘আজ পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় গণতন্ত্রকে হত্যা করলো মমতা ও তাঁর প্রশাসন।’ শঙ্কর ঘোষের মাথায় চোট লাগে। তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) । বিরোধী দলনেতা বলেন, ওরা মার্শাল নয়, তৃণমূলের গুন্ডা। জানা গিয়েছে, শঙ্করকে জে এন রায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

  • Semicon India 2025: ভারত পেল প্রথম দেশীয় সেমিকন্ডাক্টর চিপ, ‘ডিজিটাল হিরে’, বললেন মোদি

    Semicon India 2025: ভারত পেল প্রথম দেশীয় সেমিকন্ডাক্টর চিপ, ‘ডিজিটাল হিরে’, বললেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের এক মাইলফলক স্পর্শ করল ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা। মঙ্গলবার নয়াদিল্লিতে সেমিকন্ডাক্টর শিল্প বিষয়ক এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) উপস্থিতিতে দেশের প্রথম সম্পূর্ণ দেশিয় মাইক্রোপ্রসেসর (Microprocessor) ‘বিক্রম ৩২০১’ (Vikram 3201) লঞ্চ করল ইসরো (ISRO)। এই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী মাইক্রোচিপকে ‘ডিজিটাল হিরে’ আখ্যা দিলেন। তিনি বলেন, “যদি বিগত শতক তেলের দ্বারা গঠিত হয়ে থাকে, তবে এই শতক গঠিত হবে মাইক্রোচিপ দ্বারা।”

    প্রধানমন্ত্রীকে চিপ উপহার

    মঙ্গলবার ‘সেমিকন ইন্ডিয়া ২০২৫’ সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ইলেকট্রনিক্স ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হাতে দেশের প্রথম ‘মেড ইন ইন্ডিয়া’ চিপ তুলে দেন। অশ্বিনী জানান, “ইন্ডিয়া সেমিকন্ডাক্টর মিশন চালুর পর থেকে গোটা বিশ্বের আস্থা ভারতের প্রতি বেড়েছে। বর্তমানে দেশে পাঁচটি সেমিকন্ডাক্টর ইউনিট নির্মাণ কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে।” তিনি প্রধানমন্ত্রীকে দেশের প্রথম ‘মেড ইন ইন্ডিয়া’ চিপ উপহারও দেন। মন্ত্রী আরও জানান, আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই দুটি নতুন উৎপাদন ইউনিট চালু হতে চলেছে।

    সেমিকন্ডাক্টর চিপ এখন ‘ডিজিটাল হিরে’

    ‘সেমিকন ইন্ডিয়া ২০২৫’ (Semicon India 2025) সম্মেলনের উদ্বোধনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, “গত শতক গড়ে উঠেছিল তেলের উপর। আর বর্তমান যুগ দাঁড়িয়ে আছে ছোট্ট একটি চিপের উপর (Oil Was Black Gold, Chips Are Digital Diamonds)।” তিনি বলেন, তেলকে যেমন একসময় ‘কালো সোনা’ (Black Gold) বলা হত, তেমনই সেমিকন্ডাক্টর চিপ এখন ‘ডিজিটাল হিরে’ (Digital Diamond)। প্রধানমন্ত্রীর দাবি, বিশ্ব আজ ভারতের উপর আস্থা রাখছে, বিশ্বাস রাখছে। ইতিমধ্যেই ২০২১ সালের পর থেকে ১০টি সেমিকন্ডাক্টর প্রকল্পে প্রায় ১৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। “ভারতই গড়ে তুলবে ভবিষ্যতের সেমিকন্ডাক্টর দুনিয়া,” জানিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী। উল্লেখ্য, সেমিকন ইন্ডিয়া ২০২৫ সম্মেলন আগামী তিন দিন ধরে চলবে এবং দেশের সেমিকন্ডাক্টর খাতকে গতি দিতে গবেষণা, প্রযুক্তি, বিনিয়োগ এবং নীতিনির্ধারণী দিক থেকে এক নতুন দিশা দেখাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

    ভারতে তৈরি ক্ষুদ্রতম চিপ বদলাবে দুনিয়া

    মোদি আরও জানান, কেন্দ্র ইতিমধ্যেই ইন্ডিয়া সেমিকন্ডাক্টর মিশনের পরবর্তী ধাপে কাজ শুরু করেছে। নতুন ‘ডিজাইন-লিঙ্কড ইনসেনটিভ (DLI)’ প্রকল্পকে বাস্তব রূপ দেওয়ার প্রস্তুতিও চলছে। তাঁর কথায়, “দূরে নয় সেই দিন, যেদিন ভারতে তৈরি ক্ষুদ্রতম চিপ বদলে দেবে গোটা দুনিয়া।” শুধু চিপ উৎপাদনেই সীমাবদ্ধ নয়, সেমিকন্ডাক্টরকে ঘিরে গোটা এক ইকোসিস্টেম তৈরি করছে ভারত। এমনটাই দাবি প্রধানমন্ত্রীর। তাঁর মতে, এই উদ্যোগ ভারতের শিল্পকে করবে আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতামূলক এবং আত্মনির্ভরশীল। তিনি আরও বলেন, দেশের চাহিদা মেটাতে এবং ভবিষ্যতের প্রযুক্তিগত প্রয়োজনে উপযুক্ত খনিজ পদার্থের জোগান নিশ্চিত করতে ভারত ‘ক্রিটিক্যাল মিনারেলস মিশন’-এর উপর কাজ করছে।

    মাইক্রোচিপ ‘বিক্রম’ আদতে কী?

    ‘বিক্রম-৩২০১’ একটি ৩২-বিট মাইক্রোপ্রসেসর, যার নিজস্ব ইনস্ট্রাকশন সেট আর্কিটেকচার রয়েছে। এটি একসঙ্গে ৩২ বিট ডেটা প্রসেস করতে পারে এবং প্রয়োজন অনুযায়ী বিভিন্ন ধরনের নির্দেশ পালন করতে সক্ষম। প্রসেসরটি বিশেষভাবে সমর্থন করে এডিএ প্রোগ্রামিং ভাষাকে—যা উপগ্রহ, এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল, লঞ্চ ভেহিকলসহ উচ্চ-নির্ভরযোগ্য সিস্টেমে বহুল ব্যবহৃত। কঠিন পরিবেশ মাথায় রেখেই এটি তৈরি হয়েছে। মাইনাস ৫৫ থেকে ১২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত তাপমাত্রায় নির্বিঘ্নে কাজ করতে পারে এটি। এর ফলে মহাকাশ মিশনের খরচও উল্লেখযোগ্যভাবে কমবে।

    আত্মনির্ভরতার পথে এক ধাপ

    শুধু তাই নয়, এই অগ্রগতি বেসামরিক খাতেও দেশিয় চিপ তৈরির পথ প্রশস্ত করবে। স্থানীয়ভাবে উচ্চমানের চিপ পাওয়া গেলে বিদেশি ইলেকট্রনিকস ও অটোমোবাইল জায়ান্টরা ভারতেই উৎপাদন কেন্দ্র স্থাপনে উৎসাহিত হবে। ফলে এটিকে প্রযুক্তির দুনিয়ায় ভারতের এক বড় মাইলফলক হিসেবে দেখা যেতে পারে। সেই সঙ্গে এটি আত্মনির্ভরতার ক্ষেত্রেও এটি দেশকে এগিয়ে রাখবে। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালে ভারতের সেমিকন্ডাক্টর বাজার ছিল প্রায় ৩৮ বিলিয়ন ডলার। চলতি অর্থবর্ষে তা বেড়ে ৪৫-৫০ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। ২০৩০ সালের মধ্যে বাজার আরও দ্বিগুণ হয়ে ১০০-১১০ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছনোর সম্ভাবনা রয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর দফতরের (PMO) তরফে জানানো হয়েছে, ‘সেমিকন ইন্ডিয়া ২০২৫’ (Semicon India 2025)  এই মহাসম্মেলনে অংশ নিচ্ছেন প্রায় ২০,৭৫০ জন, যাঁদের মধ্যে রয়েছেন ৪৮টি দেশের ২,৫০০-র বেশি প্রতিনিধি। বক্তব্য রাখছেন ১৫০-রও বেশি বক্তা, তার মধ্যে ৫০ জন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন শিল্পনেতা। প্রদর্শনীতে অংশ নিচ্ছে প্রায় ৩৫০ প্রতিষ্ঠান।

     

  • PM Modi on GST Reforms: “উপকৃত হবে সাধারণ মানুষ, কৃষক-মধ্যবিত্তরা”, নতুন জিএসটি-র ঘোষণাকে স্বাগত প্রধানমন্ত্রীর

    PM Modi on GST Reforms: “উপকৃত হবে সাধারণ মানুষ, কৃষক-মধ্যবিত্তরা”, নতুন জিএসটি-র ঘোষণাকে স্বাগত প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুজোর মরসুমে বড় উপহার মোদি সরকারের। ১০০টিরও বেশি নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম কমেছে। বুধবার জিএসটি (GST) কাউন্সিলের বৈঠকে যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে তাতে বিরাট স্বস্তিতে দেশবাসী। এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi)। তাঁর দাবি, এই পদক্ষেপে উপকৃত হবেন কৃষক, ক্ষুদ্র-মাঝারি শিল্প, মধ্যবিত্ত, মহিলা এবং যুব সমাজ। তিনি (PM Modi on GST Reforms) এই সিদ্ধান্তকে ‘আগামী প্রজন্মের জিএসটি’ পরিবর্তন বলে উল্লেখ করেছেন। পণ্য পরিষেবা কর (জিএসটি) কাঠামোয় কেন্দ্রীয় সরকার যে পরিবর্তনের প্রস্তাব দিয়েছিল, জিএসটি কাউন্সিল তা অনুমোদন করেছে। বুধবার কাউন্সিলের প্রথম বৈঠকের পরেই কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন নতুন জিএসটি হার ঘোষণা করেছেন। এ বার থেকে দু’টি হারে জিএসটি কার্যকর হবে— ৫ এবং ১৮ শতাংশ। ১২ এবং ২৮ শতাংশের যে জিএসটি স্তর ছিল, তা তুলে দেওয়া হল। কিছু পণ্যকে রাখা হয়েছে ৪০ শতাংশ হারের বিশেষ তালিকায়। আগামী ২২ সেপ্টেম্বর নবরাত্রির প্রথম দিন। আর সেই দিন থেকেই কার্যকর হচ্ছে জিএসটি-র নতুন স্ল্যাব।

    আগামী প্রজন্মের জিএসটি, দাবি প্রধানমন্ত্রীর

    কথা রাখলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi)। স্বাধীনতা দিবসেই লালকেল্লা থেকে ভাষণ দিতে গিয়ে বলেছিলেন জিএসটিতে সংস্কারের কথা। প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, দিপাবলীতে এই জিএসটি সংস্কার সাধারণ মানুষের জন্য বড় উপহার হতে চলেছে। সেই প্রতিশ্রুতি মতোই ঘোষণা। তুলে দেওয়া হল জিএসটির দুটি স্ল্যাব। ২৮ শতাংশ ও ১২ শতাংশের জিএসটি তুলে নেওয়া হল। ৩ সেপ্টেম্বরই অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন এই ঘোষণা করেন। বুধবার একে ‘নেক্সট-জেনারেশন রিফর্ম’ (Next Gen GST) বলে স্বাগত জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রধানমন্ত্রী এক্স-এ পোস্টে লেখেন, “স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে আমি বলেছিলাম যে আমাদের লক্ষ্য হল জিএসটিতে পরবর্তী প্রজন্ম পরিবর্তন আনা। কেন্দ্রীয় সরকার একটি বিস্তীর্ণ জিএসটি হার বিভাজন ও প্রক্রিয়ায় সংস্কারের প্রস্তাবনা এনেছে, যা সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা আরও সহজ করবে এবং দেশের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করবে।” তিনি আরও লেখেন, “জিএসটি কাউন্সিলের কেন্দ্র ও রাজ্যের মন্ত্রীরা সম্মিলিতভাবে এই প্রস্তাবনায় রাজি হয়েছেন। এতে সাধারণ মানুষ, কৃষক, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প, মধ্যবিত্ত মানুষ, মহিলা ও যুব প্রজন্ম উপকৃত হবে। এই বিশাল পরিবর্তন নাগরিকদের জীবনযাত্রা উন্নত করবে এবং ব্যবসা করতে, বিশেষ করে ছোট ব্যবসায়ী ও বিক্রেতাদের আরও সুবিধা করে দেবে।” নতুন জিএসটি-কে স্বাগত জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং-সহ অন্যান্যরা।

    অর্থমন্ত্রী নির্মলার ঘোষণা

    বুধবার ৫৬তম জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠক ছিল। বৈঠক শেষে সাংবাদিক বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। তিনি ঘোষণা করেন, “আমরা স্ল্যাব কমিয়ে এনেছি। এখন থেকে দু’টি স্ল্যাব থাকবে এবং আমরা ক্ষতিপূরণ সেসের সমস্যাগুলিরও সমাধান করছি।” অর্থমন্ত্রী বলেন, “সাধারণ মানুষের কথা ভেবে এই সংস্কার করা হয়েছে। সাধারণ মানুষের নিত্য ব্যবহার্য জিনিসপত্রের উপর প্রতিটি করের কঠোর পর্যালোচনা করা হয়েছে এবং বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই হার ব্যাপকভাবে কমানো হয়েছে। এই সংস্কারের ফলে কৃষক এবং কৃষিক্ষেত্র, সেইসঙ্গে স্বাস্থ্যক্ষেত্রও উপকৃত হবে। অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তিগুলিকে গুরুত্ব দেওয়া হবে।” অর্থমন্ত্রী ঘোষণা করেন, “যেসব পণ্যের উপর জিএসটি ৫% নামানো হয়েছে- চুলের তেল, টয়লেট সাবান, সাবানের বার, শ্যাম্পু, টুথব্রাশ, টুথপেস্ট, সাইকেল, টেবিলওয়্যার, রান্নাঘরের জিনিসপত্র এবং অন্যান্য গৃহস্থালীর জিনিসপত্র।” তবে বিলাসবহুল কিছু পণ্যের জন্য থাকছে বিশেষ উচ্চ হার। যেমন দামি গাড়ি, তামাক ও সিগারেটের ক্ষেত্রে ৪০ শতাংশ কর ধার্য করা হবে। এই নতুন হার কার্যকর হবে ২২ সেপ্টেম্বর, নবরাত্রির প্রথম দিন থেকে। অর্থমন্ত্রীর কথায়, সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন প্রয়োজনীয় প্রতিটি কর খতিয়ে দেখা হয়েছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে কর কমানো হয়েছে। এর ফলে কৃষক, শ্রমনির্ভর শিল্প ও স্বাস্থ্যখাত প্রত্যক্ষভাবে উপকৃত হবে।

    স্বাস্থ্যবিমার উপর থেকে জিএসটি প্রত্যাহার

    বর্তমানে চিকিৎসার খরচ যেভাবে বেড়েছে, তাতে বিমা না করিয়ে উপায় নেই। আর সেই বিমার সঙ্গে জিএসটি দিতে দিতে নাজেহাল হতে হত সাধারণ মানুষকে। অবশেষে স্বস্তি। জীবনবিমা ও স্বাস্থ্যবিমায় দিতে হবে না কোনও জিএসটি। বুধবার জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠকে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বর্তমানে দুটি বিমার ক্ষেত্রে ১৮ শতাংশ হারে জিএসটি দিতে হয়। অর্থাৎ কাউকে যদি ১০,০০০ টাকা প্রিমিয়াম দিতে হয়, তাহলে তার সঙ্গে আরও ১৮০০ টাকা দিতে হয় শুধু জিএসটি হিসেবে অর্থাৎ সব মিলিয়ে প্রিমিয়াম পড়ে ১১,৮০০ টাকা। এই পুরো বোঝাটাই এবার কমে যাবে। অর্থাৎ ১০,০০০ টাকা প্রিমিয়াম হলে ১০,০০০ টাকাই দিতে হবে। এছাড়া এবার থেকে লাইফ ইনসিওরেন্স বা জীবনবিমার মধ্যেই পড়বে ইউনিট লিংকড ইনসিওরেন্স ও এনডাওমেন্ট প্ল্যান। অর্থাৎ সব মিলিয়ে বিমা আরও বেশি করে সাধারণ মানুষের আয়ত্তের মধ্যে চলে আসছে।

    কোন কোন জিনিসের দাম কমল

    দুধ, ছানা, পনির, রুটি, পাউরুটির উপর পাঁচ শতাংশ জিএসটি ছিল। তা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে।

    কনডেন্‌সড মিল্ক, মাখন, ঘি, তেল, চি়জ় এবং দুগ্ধজাত যাবতীয় পণ্যের উপর ১২ শতাংশ থেকে কমিয়ে জিএসটি করা হয়েছে পাঁচ শতাংশ। একই হার প্রযোজ্য বাদাম, খেজুর, আনারস, অ্যাভোকাডো, পেয়ারা, আম এবং অন্যান্য ফলের ক্ষেত্রে।

    পশুচর্বি, সসেজ়, সংরক্ষিত বা রান্না করা মাংস, মাছ, চিনি, পাস্তা, নুডল্‌স, স্প্যাগেটি এবং বিভিন্ন সব্জির দাম কমছে। জিএসটি এ সব ক্ষেত্রে ১২ শতাংশ থেকে ৫ শতাংশে নামছে।

    জ্যাম, জেলি, মাশরুম, নারকেলের জল, ইস্ট, সরষে, সয়াবিন, ভুজিয়া এবং পানীয় জলের ২০ লিটারের বোতলের উপর থেকে জিএসটি ১২ শতাংশ থেকে কমে হল পাঁচ শতাংশ।

    মধু, মিছরি, চকোলেট, কর্নফ্লেক্‌স, কেক, পেস্ট্রি, স্যুপ, আইসক্রিম, জিলেটিনের উপর থেকে জিএসটি কমানো হয়েছে। এত দিন ১৮ শতাংশ জিএসটি ছিল এই সমস্ত পণ্যে। কমে হয়েছে পাঁচ শতাংশ।

    যাবতীয় জীবনবীমা এবং স্বাস্থ্য বীমার উপর থেকে জিএসটি সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে।

    দাম কমছে থার্মোমিটার, ক্লিনিক্যাল ডায়াপারের।

    বিড়ির দাম কমছে। বিড়ির পাতার উপর ১৮ শতাংশ থেকে জিএসটি কমে হচ্ছে পাঁচ শতাংশ। বিড়ির উপর ২৮ শতাংশ থেকে জিএসটি কমে হচ্ছে ১৮ শতাংশ।

    সালফিউরিক অ্যাসিড, নাইট্রিক অ্যাসিড, অ্যামোনিয়ার উপর জিএসটি পাঁচ শতাংশে নামিয়ে আনা হচ্ছে।

    টিভি, এসি, ছোট গাড়ি, ৩৫০ সিসি-র নীচে বাইকের দাম কমছে। এখন থেকে এই পণ্যগুলিতে ১৮ শতাংশ জিএসটি নেওয়া হবে।

    কোন কোন জিনিসে দাম বাড়ল

    বিলাসবহুল গাড়ি, মোটরসাইকেল, প্রাইভেট জেট, রেসিং কারের উপর ৪০ শতাংশ জিএসটি আরোপ করা হয়েছে।

    পান মশলা, বাড়তি চিনি মিশ্রিত পানীয়, কার্বনযুক্ত পানীয়ের দাম বাড়ছে। ২৮ শতাংশ থেকে জিএসটি করা হচ্ছে ৪০ শতাংশ।

    সিগারেট, চুরুট এবং তামাকজাত যাবতীয় পণ্যের উপর ৪০ শতাংশ হারে জিএসটি নেওয়া হবে।

    কয়লার দাম বাড়ছে। পাঁচ থেকে ১৮ শতাংশ হচ্ছে কয়লার উপর জিএসটি।

  • SIR in Bengal: রাজ্যে পুজোর আগে হচ্ছে না এসআইআর, কবে থেকে শুরু ভোটার তালিকায় বিশেষ সংশোধন?

    SIR in Bengal: রাজ্যে পুজোর আগে হচ্ছে না এসআইআর, কবে থেকে শুরু ভোটার তালিকায় বিশেষ সংশোধন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুজোর আগে রাজ্যে হচ্ছে না এসআইআর (SIR in Bengal)। ভাইফোঁটার পর পশ্চিমবঙ্গে শুরু হবে এসআইআর, এমনটাই খবর নির্বাচন কমিশন সূত্রে। বিহারে ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধনী (SIR) শুরু হওয়ার পর থেকেই বাংলায় কবে থেকে এসআইআর শুরু হবে তা নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছে। বাংলার শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস সরাসরি এসআইআরের বিরোধিতা করেছে। অন্যদিকে প্রধান বিরোধী দল বিজেপি এসআইআর করার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে। তবে এখনও তারিখ ঘোষণা না করলেও এসআইআর করার প্রস্তুতি নিয়ে ফেলেছে নির্বাচন কমিশন।

    কেন পুজোর পরে এসআইআর

    নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, এসআইআর নিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করার পর নির্বাচন কমিশনের নির্দেশকে যথাযথভাবে কার্যকর করার জন্য ন্যূনতম দশ দিন সময় লাগে। কমিশনের একটি সূত্র জানাচ্ছে চলতি মাসের তৃতীয় সপ্তাহ থেকেই একপ্রকার ছুটি পড়ে যাচ্ছে পুজোর জন্য, ফলে সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যবর্তী সময় থেকে অক্টোবর মাসের মধ্যবর্তী সময় পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গে কোনভাবেই এসআইআর করা সম্ভব নয়। রাজ্যে যেভাবে প্রস্তুতির কাজ সম্পন্ন হয়ে রয়েছে তাতে বেশ কিছু জায়গার কাজ এখনও পর্যন্ত সম্পূর্ণ করে উঠতে পারেনি রাজ্য সরকার। রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতরও তাই পুরোপুরি প্রস্তুত নয়। অতএব ভাই ফোঁটার পর নির্বাচন কমিশন এসআইআর নিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করতে পারে বলে খবর।

    চূড়ান্ত প্রস্তুতি শুরু

    নির্বাচন কমিশনের অন্য একটি সূত্র জানাচ্ছে, আগামী নভেম্বর মাসে বিহারের বিধানসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট প্রকাশ করবে কমিশন। বিহারের এসআইআর (SIR in Bengal) নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে এখনও শুনানি চলছে। তাই এই দুইয়ের মাঝে কোনোভাবেই পশ্চিমবঙ্গে পূজোর আগে এসআইআর কে সম্পন্ন করা সম্ভব নয়। তবে, প্রস্তুতি চলছে জোরকদমে। ইতিমধ্যেই দিল্লিতে নিয়ে গিয়ে রাজ্যের ১০০০ বিএলওকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। রাজ্য নির্বাচন কমিশনের ওয়েব সাইটে ২০০২ সালের ভোটার তালিকা আপলোড করে দেওয়া হয়েছে। যেখান থেকে ওই তালিকা নিজেরন নাম দেখে নিতে পারবেন ভোটাররা। রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনি আধিকারিক মনোজ আগরওয়াল কমিশনকে জানিয়ে দিয়েছেন যে তাঁরা এসআইআর করতে সম্পূর্ণ প্রস্তুত।

  • K Kavitha: সাসপেন্ড হয়েই পদত্যাগ! কবিতা-কাণ্ডে বেআইনি সম্পদের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে, দাবি তেলঙ্গানা বিজেপির

    K Kavitha: সাসপেন্ড হয়েই পদত্যাগ! কবিতা-কাণ্ডে বেআইনি সম্পদের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে, দাবি তেলঙ্গানা বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দলবিরোধী কার্যকলাপের জন্য মেয়ে কে কবিতাকে (K Kavitha) সাসপেন্ড করেছেন বিআরএস সুপ্রিমো কে চন্দ্রশেখর রাও। মঙ্গলবার ভারত রাষ্ট্র সমিতির পক্ষ থেকে সোশাল মিডিয়ায় জানিয়ে দেওয়া হয়, “দলবিরোধী কার্যকলাপের জন্য এমএলসি কবিতাকে সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কেসিআর। এই মুহূর্ত থেকে এই সাসপেনশন কার্যকর হবে।” এরপরই বুধবার, দলের প্রাথমিক সদস্যপদ এবং তেলঙ্গানা বিধান পরিষদের এমএলসি পদ থেকে পদত্যাগের কথা জানিয়ে দেন কে কবিতা। একইসঙ্গে তাঁর খুড়তুতো ভাই এবং প্রাক্তন মন্ত্রী টি হরিশ রাও এবং প্রাক্তন রাজ্যসভার সাংসদ জে সন্তোষ কুমারের সমালোচনা করেছেন কবিতা।

    বিআরএস-এ অন্তর্দ্বন্দ্ব

    কবিতা (K Kavitha) বুধবার হায়দ্রাবাদে এক সাংবাদিক সম্মেলনে তাঁর পদত্যাগের ঘোষণা করেন এবং দলের ভিতরে তাঁর বিরুদ্ধে চলা ষড়যন্ত্রের জন্য হরিশ রাও এবং সন্তোষ কুমারকে দায়ী করেন। তিনি বলেন, “আমি এমএলসি পদ এবং দলের প্রাথমিক সদস্যপদ থেকে পদত্যাগ করছি। আমি আমার পদত্যাগপত্র বিধানসভার স্পিকার এবং কেসিআর-এর কাছে পাঠাচ্ছি।” কবিতা আরও অভিযোগ করেছেন যে, তাঁর ভাই এবং বিআরএস-এর কার্যকরী সভাপতি কেটি রামা রাও (কেটিআর) তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচারের সময় তাঁকে সমর্থন করেননি। তিনি বলেন, “যখন আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচার চালানো হয়েছিল, তখন আমার ভাই রামা রাও আমাকে সমর্থন করেননি। আমার সাসপেনশন দলের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার জন্য একটি ষড়যন্ত্রের অংশ।” তিনি তাঁর বাবা কেসিআর-কে তাঁর চারপাশে ঘটে চলা ঘটনাগুলি পর্যবেক্ষণ করার আহ্বান জানান এবং বলেন, “হরিশ রাও এবং সন্তোষ আমাদের পরিবারের কল্যাণকামী নন।”

    বিজেপি’র দাবিই সত্য!

    তেলঙ্গানা বিজেপি সভাপতি এন রামচন্দ্র রাও মঙ্গলবার অভিযোগ করেছেন, বিআরএস (BRS) এমএলসি কে কবিতার সাম্প্রতিক মন্তব্য তাঁর নিজের দলের বিরুদ্ধেই ছিল এবং তা স্পষ্টভাবে কেসিআর (KCR) পরিবারে কেলেশ্বরম প্রকল্পের “অবৈধ সম্পদের ভাগবাটোয়ারা” নিয়ে অন্তর্দ্বন্দ্বকে প্রকাশ করে। রাও আরও অভিযোগ করেন, কংগ্রেস সরকার ইচ্ছাকৃতভাবে সিবিআই তদন্তে বিলম্ব করে বিআরএসকে রক্ষা করছে। প্রায় ২০ মাস ধরে তদন্ত সিবিআইয়ের কাছে হস্তান্তর না করে তারা প্রমাণ লোপাটের সুযোগ করে দিয়েছে।

    তিনটি ভাগে বিভক্ত বিআরএস

    রামচন্দ্র রাও বলেন, “বিজেপি প্রথম থেকেই কেলেশ্বরম দুর্নীতির তদন্ত দাবি করে এসেছে। কে কবিতার (K Kavitha) এই বিস্ফোরক মন্তব্যে বোঝাই যাচ্ছে, পরিবারেরই কেউ দুর্নীতিতে জড়িত। এটি আমাদের অভিযোগেরই প্রমাণ।” তিনি আরও বলেন, কবিতার বহিষ্কার বিআরএস-এর অভ্যন্তরীণ বিষয়, তাতে বিজেপির কিছু বলার নেই। তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী ও কংগ্রেস নেতা এ রেভন্ত রেড্ডিকে নিশানা করে রাও বলেন, “বিরোধীদলে থাকাকালীন রেভন্ত কেলেশ্বরম দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরব ছিলেন। কিন্তু এখন ক্ষমতায় এসে গত ২০ মাসে একটিও পদক্ষেপ করেননি। কেলেশ্বরম প্রকল্পের জলের স্রোতের সঙ্গেই প্রমাণও বোধহয় ধুয়ে গিয়েছে।” বিজেপি সাংসদ লক্ষ্মণ বিআরএস-এর তুলনা করেছেন ধসে পড়া কেলেশ্বরম প্রকল্পের স্তম্ভের সঙ্গে। তিনি কটাক্ষ করে বলেন, “যেমন কেলেশ্বরম প্রকল্প ভেঙে পড়েছে, তেমনি বিআরএস দলও এখন তিনটি ভাগে ভেঙে গিয়েছে।”

LinkedIn
Share