Author: ishika-banerjee

  • Modi in Maldives: প্রোটোকল ভেঙে মোদিকে স্বাগত জানাতে বিমানবন্দরে মুইজ্জু, কী ভাবছে চিন?

    Modi in Maldives: প্রোটোকল ভেঙে মোদিকে স্বাগত জানাতে বিমানবন্দরে মুইজ্জু, কী ভাবছে চিন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ব্রিটেন সফর সেরে মলদ্বীপে গেলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi in Maldives)। শুক্রবার সকালে ভেলানা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। সেখানে তাঁকে স্বাগত জানান মহম্মদ মুইজ্জু। মোদিকে ২১টি তোপধ্বনি দিয়ে অভিবাদন জানানো হয়। এই বছর দ্বীপরাষ্ট্রটিতে মোদির আগমন বিশেষ ভাবে উল্লেখযোগ্য। মুইজ্জু ক্ষমতায় আসার পর এটাই প্রধানমন্ত্রী মোদির প্রথম মলদ্বীপ সফর। শুধুমাত্র মলদ্বীপের ৬০তম স্বাধীনতা দিবস উদযাপনে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কারণেই নয়, বরং মোদির এই সফর দুই দেশের মধ্যে কূটনীতির সম্পর্কে একটি উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের চিহ্ন।

    প্রোটোকল ভেঙে মোদিক স্বাগত

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি শুক্রবার মলদ্বীপের মালেতে পৌঁছেছেন। সেখানে মলদ্বীপের রাষ্ট্রপতি মহম্মদ মুইজ্জু এবং তাঁর মন্ত্রিসভার গুরুত্বপূর্ণ সদস্যরা মোদিকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানিয়েছেন। প্রোটোকল ভেঙে এদিন মোদিকে বিমানবন্দরেই আলিঙ্গন করেন মুইজ্জু। মলদ্বীপের স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে শনিবার প্রধান অতিথি হিসেবে অংশ নেবেন নরেন্দ্র মোদি। এদিন বিমানবন্দর থেকে সরাসরি মোদি যান রিপাবলিক স্কোয়ারে, যেখানে তাঁকে দেওয়া হয় আনুষ্ঠানিক স্বাগত-সম্মান । এই আয়োজন ভারতের প্রতি মলদ্বীপের বিশেষ মর্যাদার ইঙ্গিত দিচ্ছে। যা স্বভাবতই চিনের মাথাব্যাথার কারণ।

    গেস্ট অফ অনার মোদি

    আগামিকাল, ২৬ জুলাই, মলদ্বীপের ৬০তম স্বাধীনতা দিবসে, প্রধানমন্ত্রী মোদি হবেন ‘গেস্ট অফ অনার’। নতুন রাষ্ট্রপতি মুইজ্জুর আমলে এই প্রথম কোনও বিদেশি রাষ্ট্রপ্রধানকে এমন সম্মান জানানো হচ্ছে। এটি স্পষ্টভাবে ভারতের প্রতি মলদ্বীপের কূটনৈতিক গুরুত্ব তুলে ধরছে। ভারতের “প্রতিবেশী প্রথম” নীতির গুরুত্বপূর্ণ অংশ মলদ্বীপ। এছাড়াও ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ভারতের বড় পরিকল্পনা “মহাসাগর” (MAHASAGAR – Mutual and Holistic Advancement for Security and Growth Across Regions) নীতির একটি প্রধান স্তম্ভ মলদ্বীপ। এ অঞ্চলে শান্তি ও উন্নয়নের লক্ষ্যেই ভারত কাজ করে চলেছে।

    ভারতের প্রতিবেশী প্রথম নীতি

    মলদ্বীপে গত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জিতে গদিতে বসেছিলেন চিনপন্থী মহম্মদ মুইজ্জু। এরপর থেকেই একের পর এক ইস্যুতে ভারতের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়েছিল মালে। আদতে ভারত বিরোধিতার রাজনীতিতেই গদিতে বসেছিলেন মুইজ্জু। তবে প্রয়োজনের সময় সেই ভারতের দিকেই তাকিয়ে থাকতে হচ্ছিল মলদ্বীপকে। আর দ্বীপরাষ্ট্রের চরম সংকটের সময়ে ফের একবার স্বস্তি দেয় সেই ভারতই। আর তাই মুইজ্জুও নিজের অবস্থান বদল করছেন ভারত নিয়ে। বিশেষজ্ঞদের একাংশ মনে করছেন, এক সময় ভারতকে হেয় করা মুইজ্জু ভুল বুঝতে পেরেছেন। দেশের অর্থনৈতিক শিরদাঁড়া ভগ্নপ্রায় হওয়ায় ভারতের কাছে ঝুঁকতে বাধ্য হয়েছেন সে দেশের প্রেসিডেন্ট। ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে ভারতের দেওয়া অর্থসাহায্য পেয়ে আন্তর্জাতিক স্তরে ঋণখেলাপি হওয়া এড়াতে সক্ষম হন মুইজ্জু। মলদ্বীপকে সে সময় ৭৫.৭ কোটি ডলারের সহায়তা প্রদান করেছিল ভারত। উত্তর মলদ্বীপে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, দক্ষিণ মলদ্বীপে একটি সেতু ও সড়ক প্রকল্প, রাজধানী মালেতে একটি বৃহৎ আবাসন উন্নয়ন প্রকল্প এবং মালেকে তার পশ্চিম শহরতলির দ্বীপপুঞ্জের সঙ্গে সংযুক্ত করতে নতুন সেতু নির্মাণেও সাহায্য করে ভারত।

    মূল বৈঠক ও নতুন চুক্তি

    এই সফরে মোদি ও রাষ্ট্রপতি মুইজ্জুর মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। যেখানে উন্নয়ন, নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব নিয়ে আলোচনা হবে। ইতোমধ্যেই দুই দেশ একটি ‘সমন্বিত অর্থনৈতিক ও সামুদ্রিক নিরাপত্তা অংশীদারিত্ব’-এর চুক্তি করেছে, যা এবার বাস্তবায়নের পর্যায়ে পৌঁছবে। এদিন বিকেলে দুই দেশের প্রতিনিধি দলগুলির মধ্যে আলোচনা হয় এবং একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সমঝোতা চুক্তি (MoU) সই হয়। চুক্তিগুলি বাণিজ্য, পরিকাঠামো, পর্যটন, শিক্ষা এবং সামুদ্রিক নিরাপত্তা ইত্যাদি ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে। মোদি ভার্চুয়ালি মলদ্বীপে ভারতের সহায়তায় নির্মিত বেশ কয়েকটি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধনও করেন মোদি।

    মোদি-মুইজ্জু সম্পর্কের উষ্ণতা

    এদিন সন্ধ্যায় রাষ্ট্রপতি মুইজ্জু প্রধানমন্ত্রী মোদির সম্মানে একটি বিশেষ নৈশভোজের আয়োজন করেছেন। এতে দুই দেশের শীর্ষ নেতারা উপস্থিত থাকবেন। ভারত ও মলদ্বীপের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে দৃঢ় করতে এই নৈশ ভোজ গুরুত্বপূর্ণ একটি ইঙ্গিত বহন করছে। বিশেষজ্ঞদের একাংশ মনে করছেন, ‘ইন্ডিয়া আউট’ নীতি নিয়ে মুইজ্জু ক্ষমতায় আসার পর ভারত এবং মলদ্বীপের যে কূটনৈতিক সম্পর্ক তলানিতে ঠেকেছিল, তা পুরনো অবস্থায় ফেরানোর কাজ শুরু হল মোদির সফরের পর।

    চিনের জন্য অস্বস্তি

    রাষ্ট্রপতি হওয়ার পর মুইজ্জু চিনের সাথে সামরিক সহযোগিতা বৃদ্ধি করেন। ‘নন-লেথাল’ অস্ত্র সরবরাহ চুক্তি, চীনে তাঁর রাষ্ট্রীয় সফর, এবং মলদ্বীপ সেনাদের চিনা প্রশিক্ষণ সবই ভারতের জন্য চিন্তার কারণ ছিল। তবে মোদির এই সফর ফের ভারতকে মলদ্বীপের দিকে ফিরিয়ে আনছে। মুইজ্জুর এই ভারত প্রীতি অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে চিনের জন্য। ভারত মহাসাগরে তার ভূ-কৌশলগত অবস্থানের জেরে ও এই অঞ্চলে ভারতের উপরে চাপ বজায় রাখতে মলদ্বীপকে কোনও দিনই হাতছাড়া করতে চাইবে না বেজিং। অন্য দিকে, ভারত মহাসাগরে চিনা আধিপত্য একেবারেই চায় না ভারত। তাই মলদ্বীপকে হাতে রাখতে চায় নয়াদিল্লিও।

  • Bangladeshi Hindu Got Land: উত্তরপ্রদেশে ১০,০০০ বাংলাদেশি হিন্দু পরিবারকে জমির মালিকানা দেবে সরকার

    Bangladeshi Hindu Got Land: উত্তরপ্রদেশে ১০,০০০ বাংলাদেশি হিন্দু পরিবারকে জমির মালিকানা দেবে সরকার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশ থেকে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় ও তার আগে বিতাড়িত হয়ে আসা প্রায় ১০,০০০ হিন্দু উদ্বাস্তু পরিবারকে জমির মালিকানা প্রদান করবে উত্তরপ্রদেশ সরকার। দীর্ঘ ৬০ বছরেরও বেশি সময় ধরে অনিশ্চয়তা ও আইনি অস্বীকৃতির মধ্যে বসবাস করা এই পরিবারগুলো অবশেষে জমির স্থায়ী মালিকানা পেতে চলেছে। সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ এই কথা জানিয়েছেন।

    আইনি স্বীকৃতি, ন্যায় বিচারের প্রশ্ন

    পিলভিত, রামপুর, বিজনৌর ও লখিমপুর খেরি জেলার বিভিন্ন গ্রামে এই পরিবারগুলো ১৯৬০ থেকে ১৯৭৫ সালের মধ্যে এসেছিলেন। কাগজে-কলমে জমি বরাদ্দ পেলেও কখনোই আইনি মালিকানা পায়নি এই পরিবারগুলো। প্রশাসনিক বিশৃঙ্খলা, পুরনো আইন এবং দীর্ঘদিনের অবহেলার কারণে তারা ছিন্নমূল অবস্থাতেই ছিল। মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ এই ব্যাপারে কড়া পদক্ষেপ করেন। তিনি কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন — বাস্তব পরিস্থিতি যাচাই করে, দীর্ঘদিন বসবাসকারী ও জমি চাষ করা পরিবারগুলোকে মালিকানা সনদ প্রদান করতে হবে এবং রেভিনিউ রেকর্ড করতে হবে। যোগী আদিত্যনাথ বলেন, “এটা শুধুমাত্র জমির মালিকানা নয় — এটা ন্যায়বিচার, মানবতা ও জাতীয় দায়িত্বের প্রশ্ন। এই মানুষগুলো বাইরের কেউ নয়, তারা ভারতেরই সন্তান, যারা ধর্মীয় নিপীড়নের শিকার হয়ে আমাদের এখানে আশ্রয় নিয়েছিল।”

    ইতিহাসের প্রেক্ষাপট

    ১৯৭১ সালের বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ও ইসলামপন্থী দুষ্কৃতীদের হাতে বহু হিন্দু পরিবার হত্যাকাণ্ড, ধর্ষণ ও নির্যাতনের শিকার হয়। সেই সময় বহু হিন্দু পরিবার ভারতের উত্তরপ্রদেশে আশ্রয় নেয়। ভারত সরকার তাদের সাময়িক পুনর্বাসন করলেও চূড়ান্ত আইনি স্বীকৃতি ও জমির মালিকানা দেয়নি। অনেক পরিবার আজও সরকারি রেকর্ডে মালিকানা পায়নি, কিছু জমি বন বিভাগের অধীনে থেকে গিয়েছে। কিছু জমি দখল হয়েছে বা মামলা-মোকদ্দমায় জড়িয়ে পড়েছে। এ প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী আদিত্যনাথ বলেন, “আইন মানুষের সেবার জন্য, মানুষকে দুর্ভোগে ফেলার জন্য নয়। যদি পুরনো আইন বাতিল হয়, তাহলে আমরা নতুন পথ খুঁজে বের করব। যে পরিবারগুলো প্রজন্মের পর প্রজন্ম এই জমিতে চাষ করছে, বসবাস করছে — তাদের অধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে।”

    সামাজিক প্রতিক্রিয়া

    উদ্বাস্তু পরিবারগুলো এই পদক্ষেপকে “নতুন ভোর” বলে বর্ণনা করেছে। পিলভিতে বসবাসকারী এক প্রবীণ উদ্বাস্তু বলেন, “৫০ বছর ধরে এই জমিতে চাষ করেছি, ঘর বানিয়েছি, সন্তানদের পড়াশোনা করিয়েছি — কিন্তু কখনো কাগজ পাইনি। আজ মুখ্যমন্ত্রী আমাদের মর্যাদা ফিরিয়ে দিলেন। আজ আমরা আর উদ্বাস্তু নই — আমরা ভারতের নাগরিক।” এই উদ্যোগ নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (CAA)-এর আদর্শকেও বাস্তব রূপ দেয় — যেখানে পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান থেকে আসা ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা ও অধিকার প্রদানের কথা বলা হয়েছে।

  • Islamabad: “আমাকে শুধু গুলি করতে পারো”, পরিবারের হাতে খুন হওয়ার আগে পাকিস্তানি তরুণীর শেষ কথা

    Islamabad: “আমাকে শুধু গুলি করতে পারো”, পরিবারের হাতে খুন হওয়ার আগে পাকিস্তানি তরুণীর শেষ কথা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কতটা পিছিয়ে রয়েছে পাকিস্তান, আবারও তা সামনে এল। চোখে পড়ল মধ্যযুগীয় নৃশংসতা। পাকিস্তানের বেলুচিস্তান প্রদেশে একটি মর্মান্তিক “অনার কিলিং”-এর ঘটনা দেশজুড়ে তীব্র আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, ভালবেসে করে বিয়ে করার “অপরাধে” পরিবারের হাতে নির্মমভাবে খুন হলেন এক তরুণ-তরুণী।

    কী ঘটেছিল

    ভিডিওতে দেখা যায়, কয়েকটি এসইউভি ও পিকআপ ট্রাক থেকে কিছু লোক একদল মানুষের সামনে একটি নির্জন পাহাড়ি অঞ্চলে গিয়ে এক দম্পতিকে নামিয়ে দেয়। তরুণীর মাথায় ওড়না ঢাকা। তাকে একটি কোরানের কপি দেওয়া হয়। তিনি সেটি হাতে নিয়ে সামনের দিকে হাঁটতে থাকেন। ব্রাহাভি উপভাষায় তরুণী বলেন, “আমার সাথে সাত কদম হাঁটো, তারপর তুমি আমাকে গুলি করতে পারো।” কিছুদূর হাঁটার পর তিনি আবার বলেন, “তুমি আমাকে শুধু গুলি করতে পারো, এর বেশি কিছু না।” তার কথা শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এক ব্যক্তি পিস্তল তুলে তার পিঠে গুলি চালায়। কাছ থেকে পরপর তিনটি গুলি ছোড়া হয়, এবং তরুণী মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। এরপর ভিডিওতে আরও গুলির শব্দ শোনা যায় এবং এক রক্তাক্ত তরুণকে তরুণীর পাশেই পড়ে থাকতে দেখা যায়। আশেপাশের লোকজন তখন চিৎকার করে উল্লাস প্রকাশ করে।

    মানবাধিকার কর্মীদের ক্ষোভ

    ঘটনাটি চলতি বছর মে মাসের। এই ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার পর দেশজুড়ে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। মানবাধিকার কর্মীরা দ্রুত এই ঘটনার বিচার চেয়েছেন। এ ধরনের সহিংসতার বিরুদ্ধে কঠোর আইন প্রণয়নের দাবিও উঠেছে। স্থানীয় পুলিশ সূত্রে খবর, নিহত তরুণীর নাম বানো বিবি এবং তরুণের নাম আহসান উল্লাহ। এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় ১৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, নিহত তরুণীর ভাই তার বিয়ের ব্যাপারে আপত্তি জানিয়ে একটি স্থানীয় গোষ্ঠীপতির কাছে অভিযোগ করেন। এরপর সর্দার সাতকজাই নামের সেই গোষ্ঠীপতি এ হত্যার নির্দেশ দেন। ওই সর্দার ও নিহত তরুণীর ভাইকে গ্রেফতার করা হয়েছে, বলে জানিয়েছেন পুলিশ প্রধান নাভিদ আখতার। মানবাধিকার কমিশন অব পাকিস্তানের (HRCP) তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালে দেশে অন্তত ৪০৫টি অনার কিলিং-এর ঘটনা ঘটেছে। তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি, কারণ এসব ঘটনার অনেকটাই রেকর্ডে আসে না।

  • NISAR: ৩০ জুলাই মহাকাশে পাড়ি দেবে ইসরো-নাসার যৌথ উদ্যোগে তৈরি উপগ্রহ ‘নিসার’

    NISAR: ৩০ জুলাই মহাকাশে পাড়ি দেবে ইসরো-নাসার যৌথ উদ্যোগে তৈরি উপগ্রহ ‘নিসার’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইসরোর আরও এক বিরল কৃতিত্ব। ভূমিকম্প সম্পর্কে আগাম সতর্কতা দেবে শক্তিশালী পৃথিবী পর্যবেক্ষণকারী উপগ্রহ নিসার (NISAR) অর্থাৎ নাসা-ইসরো সিন্থেটিক অ্যাপারচার রেডার (NASA-ISRO Synthetic Aperture Radar)। ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো (ISRO) এবং মার্কিন গবেষণা সংস্থা নাসা (NASA) যৌথভাবে তৈরি করেছে এই কার্যকরী উপগ্রহ। আগামী ৩০ জুলাই শ্রীহরিকোটার সতীশ ধবন মহাকাশ কেন্দ্র থেকে উৎক্ষেপণ করা হবে নিসার। ইসরো নিশ্চিত করেছে, ভারতের জিওসিঙ্ক্রোনাস স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিকল (GSLV) ব্যবহার করে বিকেল ৫:৪০ মিনিটে এই উৎক্ষেপণ করা হবে। এটি হবে ভারত ও আমেরিকার মধ্যে সবচেয়ে ব্যয়বহুল (প্রায় ১.৫ বিলিয়ন ডলার) এবং গুরুত্বপূর্ণ সহযোগী উপগ্রহ মিশন।

    বিশ্বের প্রথম দ্বৈত-ফ্রিকোয়েন্সি রেডার সহ উপগ্রহ

    নিসার উপগ্রহে রয়েছে নাসার এল-ব্যান্ড এবং ইসরোর এস-ব্যান্ড সিন্থেটিক অ্যাপারচার রেডার প্রযুক্তির সমন্বয়, যা একসঙ্গে পৃথিবীর ভূমি ও বরফ আবরণের ত্রিমাত্রিক মানচিত্র প্রস্তুত করবে অত্যন্ত নিখুঁতভাবে। এই রেডারগুলো একসঙ্গে পৃথিবীর পৃষ্ঠের সূক্ষ্ম পরিবর্তন, আগ্নেয়গিরি, ভূমিধ্বস, মেরু বরফ গলা, ভূমিকম্প ইত্যাদি নজরদারি করতে পারবে। প্রতি ১২ দিনে একবার পৃথিবীর নির্দিষ্ট অঞ্চল পর্যবেক্ষণ করবে। এটি আপাতত বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল পৃথিবী-পর্যবেক্ষণ উপগ্রহ, যা ডুয়াল এসএআর রেডার প্রযুক্তিতে সজ্জিত। এই প্রকল্পের মোট ব্যয় প্রায় ১.৫ বিলিয়ন ডলার (প্রায় ১২,৫০০ কোটি টাকা), যা এটিকে বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল আর্থ ইমেজিং স্যাটেলাইটে পরিণত করেছে।

    নিসারের বৈজ্ঞানিক লক্ষ্য ও গুরুত্ব

    নিসার যেসব গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংগ্রহ করবে, তার মধ্যে রয়েছে,

    প্রতিবেশ ব্যবস্থার পরিবর্তন ও বায়োমাসের বণ্টন।

    ভূমিকম্প, ভূমিধস ও আগ্নেয়গিরির ফলে ভূমির বিকৃতি।

    হিমবাহ ও বরফচাদরের গতি।

    মাটির আর্দ্রতা ও ভূগর্ভস্থ জলের হেরফের।

    সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা ও শহরাঞ্চলের পরিবর্তন।

    এই ডেটা ব্যবহার হবে পরিবেশ বিজ্ঞান, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, কৃষি পরিকল্পনা ও জলসম্পদ ব্যবস্থাপনায়। উপগ্রহটি দিন-রাত, মেঘ বা আবহাওয়ার বাধা অগ্রাহ্য করে কার্যক্ষম থাকবে।

    ভারতের প্রযুক্তিগত অগ্রগতি

    উৎক্ষেপণের পুরো প্রক্রিয়া পরিচালনা করছে ইসরো। ভারতের প্রযুক্তিগত উৎকর্ষতার আরেক নিদর্শন হিসেবে এই মিশনে ১২ মিটার ব্যাসের বিশাল ভাঁজযোগ্য অ্যান্টেনা সফলভাবে সংযোজন করা হয়েছে। নিসার থেকে প্রাপ্ত তথ্য বিশ্বের গবেষক ও জরুরি পরিষেবা কর্মীদের জন্য ফ্রি ও ওপেন থাকবে। দুর্যোগের সময়ে প্রায় তাৎক্ষণিক তথ্য সরবরাহ করে প্রাণ ও সম্পদ বাঁচাতে সাহায্য করবে এই মিশন। ২০১২ সালে ইসরো এবং নাসার মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে এই অভূতপূর্ব অভিযানের সূচনা হয়েছিল। ২০১৪ সালে, দুটি সংস্থার মধ্যে একটি আনুষ্ঠানিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল, যার অধীনে একটি রেডার ভারতে এবং অন্যটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে তৈরি করার কথা ছিল। আমেদাবাদের এসএসি (SAC) সেন্টারের পরিচালক ডঃ নীলেশ দেশাইয়ের মতে, এটি ভারতের প্রযুক্তিগত অগ্রগতির প্রতীক।

  • Vice President Jagdeep Dhankhar: “অর্থনৈতিক অগ্রগতি ও উন্নয়নের সাক্ষী থাকতে পেরে গর্বিত”, স্বাস্থ্যের জন্য উপরাষ্ট্রপতি পদ থেকে সরলেন ধনখড়

    Vice President Jagdeep Dhankhar: “অর্থনৈতিক অগ্রগতি ও উন্নয়নের সাক্ষী থাকতে পেরে গর্বিত”, স্বাস্থ্যের জন্য উপরাষ্ট্রপতি পদ থেকে সরলেন ধনখড়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের উপরাষ্ট্রপতি পদে ইস্তফা দিলেন জগদীপ ধনখড় (Jagdeep Dhankhar)। সোমবার সন্ধ্যায় রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে চিঠি লিখে পদত্যাগের কথা জানিয়েছেন তিনি। চিঠিতে তিনি লিখেছেন, “স্বাস্থ্যকে অগ্রাধিকার দিতে এবং চিকিৎসা পরামর্শ মেনে চলার জন্য, আমি সংবিধানের ৬৭(এ) অনুচ্ছেদ অনুসারে ভারতের উপরাষ্ট্রপতি পদ থেকে পদত্যাগ করছি। এখন থেকেই তা কার্যকর।” অর্থাৎ আজ, মঙ্গলবার থেকেই আর দায়িত্বে থাকছেন না ধনখড়।

    সকলের প্রতি কৃতজ্ঞ

    ভারতের অর্থনৈতিক অগ্রগতি ও উন্নয়নের সাক্ষী থাকতে পেরে গর্বিত বলে জানিয়েছেন ধনখড় (Jagdeep Dhankhar)। দায়িত্বে থাকাকালীন কীভাবে তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও অন্যান্য মন্ত্রীদের সমর্থন পেয়েছেন, সে কথা চিঠিতে উল্লেখ করেছেন সদ্য প্রাক্তন উপরাষ্ট্রপতি। তিনি লিখেছেন, “যে আন্তরিকতা পেয়েছি, যেভাবে আমার উপর আস্থা রাখা হয়েছে, তা আমার সারাজীবন মনে থাকবে। উপরাষ্ট্রপতি হিসেবে যে অভিজ্ঞতা আমি অর্জন করেছি, তার জন্য আমি কৃতজ্ঞ। আমাদের জাতির ইতিহাসের এই রূপান্তরমূলক যুগে সেবা করা সত্যিই সম্মানের।”

    ধনখড়ের কর্মজীবন

    ১৯৫১ সালের ১৮ মে রাজস্থানের ঝুনঝুনুতে জন্ম ধনখড়ের (Jagdeep Dhankhar)। ছিলেন বাংলার প্রাক্তন রাজ্যপাল। সুপ্রিম কোর্ট এবং রাজস্থান হাইকোর্টে তাঁর দীর্ঘ আইনি কেরিয়ার রয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের এই আইনজীবী ১৯৮৯ থেকে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত লোকসভার সদস্য ছিলেন। চন্দ্রশেখর সরকারে সংসদ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রীও থেকেছেন অল্প সময়ের জন্য। জনতা দল, কংগ্রেস হয়ে ২০০৮ সালে বিজেপিতে যোগ দেন ধনখড়। তার মধ্যে ব্যবধান ছিল প্রায় ১০ বছরের। বাংলার রাজ্যপাল নিযুক্ত হয়েই রাজনৈতিক কর্মজীবনে সবচেয়ে বেশি পরিচিতি লাভ করেন। ২০২২ সালের আগস্ট মাসে তিনি উপরাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। ৩৪৬ ভোটে বিরোধী শিবিরের প্রার্থী মার্গারেট আলভাকে তিনি পরাজিত করেন। ৫২৮টি ভোট পেয়ে উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন ধনখড়। অন্যদিকে, বিরোধী প্রার্থী ১৮২টি ভোট পেয়েছিলেন মাত্র। তবে বেশ কিছুদিন ধরেই তিনি অসুস্থ ছিলেন। গত মার্চ মাসে ৭৩ বছরের ধনকড়কে বুকে ব্যথা নিয়ে দিল্লির এইমসে ভর্তি করানো হয়। শুধু তাই নয়, গত মাসে কুমায়ুন বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়ে আচমকা অচৈতন্য হয়ে পড়েছিলেন তিনি।

  • India vs Pakistan: পহেলগাঁও কাণ্ডের প্রতিবাদ, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে খেলতে নারাজ ধবন-হরভজন-পাঠান

    India vs Pakistan: পহেলগাঁও কাণ্ডের প্রতিবাদ, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে খেলতে নারাজ ধবন-হরভজন-পাঠান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সব জায়গায় বয়কট পাকিস্তান (India vs Pakistan)। পহেলগাঁও কাণ্ডের পর কোনওভাবেই ২২ গজের মহারণে পাকিস্তানের সঙ্গে খেলতে চায় না ভারত। তা সে এশিয়া কাপ হোক বা চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি, কিংবা ‘ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপ অফ লেজেন্ডস’ (World Championship of Legends)। ১৮ জুলাই থেকে শুরু হয়েছে এই প্রতিযোগিতা। চলবে ২ অগাস্ট পর্যন্ত। বেসরকারি টি২০ প্রতিযোগিতা, যেখানে নামজাদা প্রাক্তন ক্রিকেটারদের অনেকেই অংশ নিয়ে থাকেন। কিন্তু এবছর চলতি টুর্নামেন্টে পাকিস্তানের সঙ্গে খেলতে অস্বীকার করল ভারত। ভারতীয় ক্রিকেটারদের চাপে পড়ে সিদ্ধান্ত বদলাতে বাধ্য হয়েছেন আয়োজকেরা। রবিবার, বাতিল হয়ে গিয়েছে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ।

    আফ্রিদির নেতৃত্বাধীন পাকিস্তানের সঙ্গে খেলা নয়

    পহেলগাঁও কাণ্ডের পর নিজের নিজের দেশের সমর্থনে মুখ খুলেছিলেন প্রাক্তন ক্রিকেটারেরা। ভারতীয়দের মধ্যে সকলেই পাকিস্তানের নিন্দা করেছিলেন। পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যমে ভারতকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন শাহিদ আফ্রিদি। তার জবাবে শিখর ধাওয়ান লিখেছিলেন, “কার্গিলেও তোমাদের হারিয়েছিলাম। এত নীচে নেমেছ, আর কত নামবে? উল্টোপাল্টা মন্তব্য করার চেয়ে নিজের দেশের ভাল হয় এমন কোনও কাজ করো। ভারতীয় সেনাদের নিয়ে আমরা গর্বিত।” আফ্রিদির নেতৃত্বাধীন সেই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতের খেলা নিয়েই সরব হন অনেকে। এই পরিস্থিতিতে হরভজন সিং, সুরেশ রায়না, ইরফান ও ইউসুউ পাঠান জানিয়ে দেন, তাঁরা পাকিস্তানের বিরুদ্ধে খেলতে নামবেন না। ভারতের আর এক ক্রিকেটার শিখর ধাওয়ানও সমাজমাধ্যমে জানান যে, তিনি এই ম্যাচ খেলবেন না। ফলে ম্যাচ বাতিল করতে বাধ্য হয় আয়োজকরা।

    স্পনসররাও বয়কট করেছে পাকিস্তানকে

    এরপর প্রতিযোগিতার স্পনসররাও বয়কট করেছে পাকিস্তানকে। তাদের কোনও ম্যাচের সঙ্গে যুক্ত থাকবে না ভারতীয় স্পনসর। এই প্রতিযোগিতার অন্যতম মালিক বলিউড অভিনেতা অজয় দেবগণ। প্রতিযোগিতার অন্যতম স্পনসর ‘ইজমাইট্রিপ ডট কম।’ তারা জানিয়েছে, “দু’বছর আগে এই প্রতিযোগিতার সঙ্গে পাঁচ বছরের চুক্তি হয়েছে। তার পরেও আমাদের অবস্থান স্পষ্ট। এই প্রতিযোগিতায় পাকিস্তানের কোনও ম্যাচের সঙ্গে আমরা যুক্ত নই। আমরা ভারত চ্যাম্পিয়ন্সকে সমর্থন করি। ওদের পাশে আমরা রয়েছি। নীতিগত ভাবে পাকিস্তানের কোনও ম্যাচের প্রচার আমরা করব না।”

     

     

     

     

     

  • Monsoon Session 2025: অপারেশন সিঁদুর, শুভাংশুর মহাকাশ যাত্রা, শক্তিশালী ভারত! বাদল অধিবেশনের আগে কী বললেন মোদি?

    Monsoon Session 2025: অপারেশন সিঁদুর, শুভাংশুর মহাকাশ যাত্রা, শক্তিশালী ভারত! বাদল অধিবেশনের আগে কী বললেন মোদি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অপারেশন সিঁদুরের পর সংসদের প্রথম অধিবেশনকে (Monsoon Session 2025) বিজয়োৎসব হিসেবে অভিহিত করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। আজ, থেকে শুরু সংসদের বাদল অধিবেশন। সোমবার অধিবেশন শুরুতেই দেশবাসীকে উষ্ণ শুভেচ্ছা জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। অধিবেশন শুরুর আগে সাংবাদিকদের সামনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাদল অধিবেশন দেশের উন্নয়ন, নীতিনির্ধারণ ও জনকল্যাণমূলক কাজে অগ্রগতির একটি সুযোগ। তাঁর বক্তব্যে উঠে এল অপারেশন সিঁদুর থেকে মহাকাশচারী শুভাংশু শুক্লার সাফল্য। ভাষণ দিতে গিয়ে তিনি বলেন, “বাদল অধিবেশন আমাদের কাছে বিজয়োৎসবের মতো। এই প্রথমবার আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে ভারতের পতাকা উড়েছে, সেটা প্রত্যেক ভারতীয়র কাছে গর্বের বিষয়। তাই প্রত্যেক সাংসদ একসুরে এই কীর্তির প্রশংসা করবেন।”

    অপারেশন সিঁদুর-এর সাফল্য

    বাদল অধিবেশনের (Monsoon Session 2025) শুরুতে ভাষণ দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, অপারেশন সিঁদুরে ১০০ শতাংশ সাফল্য এসেছে। ভারতীয় সেনার শক্তি দেখেছে গোটা বিশ্ব। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “২২ মিনিটে জঙ্গিদের ঘাঁটিতে ঢুকে তাদের নির্মূল করেছে ভারতীয় সেনা। এটি আমাদের সামরিক দক্ষতার জ্বলন্ত উদাহরণ।” মোদি বলেন, “পহেলগাঁওয়ে যে নৃশংস গণহত্যা হয়েছে তাতে গোটা বিশ্ব কেঁপে উঠেছে। দলগত স্বার্থ ঊর্ধ্বে তুলে রেখে জাতীয় স্বার্থে সব দলগুলি দেশের হয়ে বিশ্বের দরবারে আওয়াজ তুলেছে। তাঁরা সকলে মিলে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সফল প্রচার করে এসেছেন। আমি সেই সকল সাংসদদের ভূয়সী প্রশংসা করি। আমি সেইসব দলকেও এই কাজে সাহায্যের জন্য ধন্যবাদ জানাই। তিনি আরও বলেন, গোটা বিশ্বের কাছে এখন পাক মদতপুষ্ট সন্ত্রাসবাদ স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। বন্দুক ও বোমার বিরুদ্ধে জয়লাভ করেছে আমাদের সংবিধান।” তিনি জোর দিয়ে বলেন, “ভারতে তৈরি প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি আজ বিশ্বের নজর কাড়ছে।”

    বিরোধীদের জবাব

    এদিকে অপারেশন সিঁদুর নিয়ে বাদল অধিবেশনে ঝড় তোলার প্রস্তুতি নিচ্ছিল বিরোধী ইন্ডি ব্লক। এরই মাঝে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরেন রিজিজু রবিবার সর্বদল বৈঠকে জানিয়ে দেন, সংসদের বাদল অধিবেশনে অপারেশন সিঁদুর সহ মূল বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা করতে প্রস্তুত সরকার। উল্লেখ্য, পাকিস্তানের হামলায় ভারতের যুদ্ধবিমান ধ্বংস হয়েছে কি না, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সংঘর্ষবিরতির জন্য ট্রাম্প মধ্যস্থতা করেছেন কি না, এই ধরনের একাধিক প্রশ্ন বিরোধী শিবির থেকে উঠেছে বিগত সপ্তাহগুলিতে। এই আবহে রিজিজু বলেন, সরকার লোকসভায় বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করবে। বিরোধীদের ট্রাম্পের মন্তব্য নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘সরকার পার্লামেন্টে উপযুক্ত জবাব দেবে।’ এরপরই অপারেশন সিঁদুর নিয়ে বাদল অধিবেশনের শুরুতে বিরোধীদের অস্ত্রেই বিরোধীদের মাত দেওয়ার চেষ্টা করলেন প্রধানমন্ত্রী।

    মহাকাশে উড়ল তেরঙ্গা

    অধিবেশনের (Monsoon Session 2025) আগে বিশ্ব মঞ্চে ভারতের উল্লেখযোগ্য সাফল্যের কথা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। তিনি মহাকাশচারী শুভাংশু শুক্লার আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে ঐতিহাসিক যাত্রার উল্লেখ করেন। এই মহাকাশ অভিযানকে জাতীয় গর্বের উৎস হিসেবে বর্ণনা করেছেন তিনি। আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে (ISS) প্রথমবারের জন্য ভারতের জাতীয় পতাকা উত্তোলনকে ঐতিহাসিক সাফল্য বলে উল্লেখ করেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। তিনি বলেন, “এটি শুধু গর্বের মুহূর্ত নয়, ভারতের বৈজ্ঞানিক ও প্রযুক্তিগত অগ্রগতিরও প্রতিফলন।”

    বর্ষা মানেই উদ্ভাবন

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “বর্ষা মানেই উদ্ভাবন এবং নবজাগরণের প্রতীক। এই সময় আমাদের নতুন শক্তি ও নীতির জন্ম হয়। দেশে ভালো বর্ষা হচ্ছে যা কৃষক ও কৃষিক্ষেত্রের জন্য শুভ লক্ষণ। গত ১০ বছরের তুলনায় এবার তিনগুণ বেশি জল সঞ্চয় হয়েছে, যা দেশের অর্থনীতিকে উল্লেখযোগ্যভাবে সাহায্য করবে।” নকশালপ্রবণ অঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠার বিষয়ে এদিন প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আজ দেশের অনেক জেলা নকশাল মুক্ত হয়েছে। যেখানে আগে বন্দুকের ভাষা চলত, আজ সেখানে সংবিধানের জয় হচ্ছে। রেড করিডোর আজ সবুজ সম্ভাবনার অঞ্চলে রূপান্তরিত হচ্ছে।”

    আর্থিক অগ্রগতি ও আন্তর্জাতিক মর্যাদা

    এদিন প্রধানমন্ত্রী (Monsoon Session 2025) জানান, “২০১৪ সালের আগে ভারত ছিল বিশ্বের দশম বৃহত্তম অর্থনীতি, আর আজ তৃতীয় বৃহত্তম হওয়ার পথে। দেশবাসী আমাদের উপর যে দায়িত্ব তুলে দিয়েছিল, তা আমরা পালন করেছি। ইতিমধ্যেই ২৫ কোটি মানুষ দারিদ্র্য থেকে বেরিয়ে এসেছে, এবং মুদ্রাস্ফীতির হার অনেকটাই কমে গিয়েছে।” সাংসদদের উদ্দেশে বার্তা দিয়ে মোদি বলেন, “এই অধিবেশন হোক এক সুরে দেশগৌরবের প্রশংসা গাওয়ার উপলক্ষ। এতে দেশের জনগণ অনুপ্রাণিত হবে এবং বিশ্ব বুঝবে ভারতের প্রকৃত শক্তি।”

  • Bangladesh Crisis: বাংলাদেশে ফের আক্রান্ত হিন্দুরা! ডিমলায় বাড়িতে আগুন, মূর্তি ভাঙচুর

    Bangladesh Crisis: বাংলাদেশে ফের আক্রান্ত হিন্দুরা! ডিমলায় বাড়িতে আগুন, মূর্তি ভাঙচুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইউনূসের বাংলাদেশে (Bangladesh Crisis) অরাজকতা চলছেই। পরিস্থিতি প্রতিদিনই খারাপ হচ্ছে। চারদিকে লুটপাট চলছে। বিশেষ করে, হিন্দুদের উপর আক্রমণ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ। রবিবার ফের বাংলাদেশের নিলফামারি জেলার ডিমলা উপজেলায় একদল দুষ্কৃতী হিন্দু সম্প্রদায়ের একটি বাড়িতে আগুন দিয়েছে। ভাঙচুর চালানো হয়েছে বাড়ির মন্দিরে।

    কী ঘটেছিল

    বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা (Bangladesh Crisis) পরিস্থিতি ক্রমেই নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে। বিগত কয়েক মাস ধরে প্রতিবেশী দেশটির জায়গায় জায়গায় অরাজকতা ছড়িয়েছে। হাসিনা-বিরোধিতার নামে লুটপাট, ধ্বংসলীলা চালাচ্ছে দুষ্কৃতীরা। চলছে হিন্দু-নিধন যজ্ঞও। সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এক ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, এক হিন্দু নারী কাঁদতে কাঁদতে বলছেন, “আমাদের ঘরে আগুন দিয়েছে। আমাদের বাড়িঘর ভেঙে দিয়েছে। আমাদের মন্দির ধ্বংস করে দিয়েছে।” তিনি আরও বলেন, “আমরা পুলিশকে ফোন করেছিলাম, কিন্তু তারা আসেনি। ওরা আমাদের মন্দিরের প্রতিমা ভেঙে দিয়েছে।” ভিডিওতে একটি ঘর দাউদাউ করে জ্বলতে দেখা যায় এবং পিছনে কান্নার শব্দ শোনা যায়।

    দোষীদের শাস্তির দাবি

    গত অগাস্টে শেখ হাসিনা সরকারের (Bangladesh Crisis) পতনের পর থেকে বাংলাদেশে ভাঙা হয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়ি। ভাঙচুর চলেছে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বাড়িতেও। সত্যজিত রায়ের পৈতৃক বাড়ি ভেঙে ফেলার চেষ্টা চলছে। এছাড়াও প্রতিদিন হিন্দু-সহ সংখ্যালঘুদের বাড়িঘরে হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের ঘটনায় মানুষের মধ্যে উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা ও ভীতির সঞ্চার হয়েছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে তবুও বারবার চুপ থেকেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মহম্মদ ইউনূস। রবিবারের ঘটনায় ভিডিওতে একজনকে বলতে শোনা যায়, “এটা ছাত্রদলের কাজ, ওরা বিএনপির লোক।” স্থানীয়দের অভিযোগ, বিএনপির ছাত্রসংগঠন ছাত্রদলের সদস্যরাই এই হামলার সঙ্গে জড়িত। এখন পর্যন্ত প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি পাওয়া যায়নি। ঘটনার পর এলাকায় চরম আতঙ্ক ছড়িয়েছে। সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষজন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। এ বিষয়ে দ্রুত তদন্ত ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

  • Pilbara Region: পিলবারা অঞ্চলে খোঁজ মিলল পৃথিবীর সবচেয়ে বড় লোহা আকরিকের ভাণ্ডার, পাল্টে দেবে বিশ্বের অর্থনীতি

    Pilbara Region: পিলবারা অঞ্চলে খোঁজ মিলল পৃথিবীর সবচেয়ে বড় লোহা আকরিকের ভাণ্ডার, পাল্টে দেবে বিশ্বের অর্থনীতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ার পিলবারা অঞ্চলে এক যুগান্তকারী আবিষ্কার বিশ্ব লোহা আকরিক বাজারে বিপ্লব ঘটাতে যাচ্ছে। কার্টিন ইউনিভার্সিটির একদল ভূবিজ্ঞানী সম্প্রতি জানিয়েছেন, তাঁরা বিশ্বের বৃহত্তম লোহা আকরিকের ভাণ্ডার আবিষ্কার করেছেন। এই খনিজ সম্পদের মূল্য ধরা হচ্ছে প্রায় ৬ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার। পিলবারা অঞ্চল দীর্ঘদিন ধরেই লৌহ আকরিক উৎপাদনের জন্য বিখ্যাত। কিন্তু এই সাম্প্রতিক আবিষ্কার রীতিমতো চমকে দিয়েছে খনিজ বিশেষজ্ঞদের। নতুনভাবে খুঁজে পাওয়া ভাণ্ডারে প্রায় ৫৫ বিলিয়ন মেট্রিক টন আকরিক রয়েছে, যার লোহার ঘনত্ব ৬০ শতাংশেরও বেশি।

    প্রত্যাশার চেয়েও বড় আবিষ্কার

    প্রধান গবেষক, ড. লিয়াম কোর্টনি-ডেভিস বলেন,”এই আকরিকের পরিমাণ ও মান এতটাই বিস্ময়কর যে এটি বিশ্বে লোহা উৎপাদন ও বাণিজ্যের মানচিত্রই পাল্টে দিতে পারে।” এটি শুধু অর্থনৈতিক দিক থেকেই গুরুত্বপূর্ণ নয়, বরং পৃথিবীর ভূতাত্ত্বিক ইতিহাস সম্পর্কেও নতুন প্রশ্ন তুলছে। আগে বিজ্ঞানীরা মনে করতেন, পিলবারার লোহা আকরিক গঠন হয়েছিল প্রায় ২.২ বিলিয়ন বছর আগে। কিন্তু নতুন আইসোটোপিক বিশ্লেষণ বলছে, এই আকরিকের বয়স মাত্র ১.৪ বিলিয়ন বছর। অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর মার্টিন ডানিসিক বলেন, “এই আবিষ্কার দেখাচ্ছে, সুপারকন্টিনেন্টের গতিবিধি কীভাবে খনিজ গঠনে প্রভাব ফেলে।” নতুন আইসোটোপ ডেটিং ও রাসায়নিক বিশ্লেষণ পৃথিবীর গভীরে লুকিয়ে থাকা আকরিকের পরিমাণ ও মান তুলে ধরতে সক্ষম হয়েছে, বলে দাবি গবেষকদের।

    অর্থনীতিতে বড় প্রভাব

    এই আবিষ্কার আন্তর্জাতিক অর্থনীতিতেও বড়সড় প্রভাব ফেলবে। অস্ট্রেলিয়া ইতিমধ্যেই বিশ্বের অন্যতম প্রধান লোহা আকরিক রফতানিকারক দেশ। এই নতুন ভাণ্ডার তাদের অবস্থান আরও শক্ত করবে। চিনসহ যেসব দেশ অস্ট্রেলিয়ার আকরিকের ওপর নির্ভরশীল, তাদের কৌশলে বড় পরিবর্তন আসতে পারে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই ভাণ্ডার কয়েক দশক নয়, শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে লোহা উৎপাদনের জোগান দিতে পারবে। ফলে লোহা আকরিকের দাম, সরবরাহ, এবং ভূরাজনৈতিক কৌশলেও বিরাট পরিবর্তন আসার সম্ভাবনা রয়েছে। পিলবারায় পাওয়া এই বিশাল লোহা আকরিক ভাণ্ডার শুধু একটি খনিজ আবিষ্কার নয়—এটি একটি বৈপ্লবিক ঘটনা, যা পৃথিবীর ভূতত্ত্ব, অর্থনীতি ও বাণিজ্যকে একযোগে বদলে দিতে চলেছে।

  • Balasore suicide horror: অভিযুক্ত অধ্যাপকের পক্ষে চিঠিতে স্বাক্ষর ৭১ জনের, বালাসোরে বিএড ছাত্রীর আত্মহত্যায় ভয়ঙ্কর তথ্য

    Balasore suicide horror: অভিযুক্ত অধ্যাপকের পক্ষে চিঠিতে স্বাক্ষর ৭১ জনের, বালাসোরে বিএড ছাত্রীর আত্মহত্যায় ভয়ঙ্কর তথ্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ওড়িশার বালাসোর থেকে উঠে এল গা শিউরে ওঠা ঘটনা। কলেজের মধ্যেই অধ্যাপকের লাগাতার যৌন হেনস্থায় মানসিকভাবে বিধ্বস্ত হয়ে পড়ুয়া আত্মহত্যা করল কলেজ চত্বরে। অভিযুক্ত অধ্যাপক বর্তমানে পুলিশি হেফাজতে, কলেজের প্রিন্সিপালকেও সাসপেন্ড করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, বালাসোর জেলার একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিএড কোর্সের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ছিলেন ওই তরুণী। দিনের পর দিন তাঁকে কুরুচিকর মন্তব্য, অশ্লীল ইঙ্গিত ও শারীরিক সম্পর্কের কুপ্রস্তাব দিয়ে মানসিক নির্যাতন চালাতেন তাঁরই বিভাগের প্রধান অধ্যাপক সমীর কুমার সাহু।

    মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন ছাত্রী

    অভিযোগ, অধ্যাপকের হেনস্থা সহ্য না করতে পেরে কলেজের অভ্যন্তরীণ অভিযোগ কমিটির (Internal Complaint Committee) দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সেখানেও বাধ সেধেছিল অভিযুক্ত অধ্যাপকের ক্ষমতা। ওই ছাত্রীর ১০০ জন সহপাঠীর মধ্যে ৭১ জন, যার মধ্যে ৪১ জন মহিলাও রয়েছেন, তার চরিত্রের বিরুদ্ধে আক্রমণ করে এবং সেই অধ্যাপকের পক্ষে একটি চিঠিতে স্বাক্ষর করেছেন যার বিরুদ্ধে তিনি যৌন হয়রানির অভিযোগ করেছিলেন। ওড়িয়া ভাষায় লেখা এই চিঠিটি ১ জুলাই তারিখের। যেখানে বলা হয়, ভুক্তভোগী তার উপর হওয়া হয়রানির “ভিডিও প্রমাণ” না দিলে তাকে বহিষ্কার করা হবে। চিঠিতে ভুক্তভোগীকে যৌন হয়রানির অভিযোগকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করার এবং কম উপস্থিতির কারণে অভ্যন্তরীণ পরীক্ষায় অংশ নিতে বাধা দেওয়ার পর অধ্যাপককে লক্ষ্য করে আক্রমণ করার অভিযোগও করা হয়েছে। এরপরই পুরোপুরি ভেঙে পড়েন ওই ছাত্রী।

    বিজেডি ও কংগ্রেসের ছাত্র সংগঠনের কুমিরের কান্না

    জানা গিয়েছে, এখন যাঁরা ওই ছাত্রীর হয়ে বিচার চাইছেন একদিন তাঁরাই ওই ছাত্রীর চরিত্রকে কালিমালিপ্ত করেছিল। ওই ছাত্রীর রুমমেট প্রকাশ জানান যে আত্মহত্যা করার আগের রাতে, নির্যাতিতা ঘুম থেকে উঠেছিলেন, বিচলিত হয়েছিলেন এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারিত অপবাদে গভীরভাবে মর্মাহত হয়েছিলেন। যার বেশিরভাগই বিজু জনতা দল (বিজেডি) এবং কংগ্রেসের ছাত্র সংগঠন এনএসইউআই-এর সাথে যুক্ত ছাত্র নেতাদের দ্বারা ছড়িয়ে পড়েছিল বলে অভিযোগ। ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত অধ্যাপককে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং কলেজের প্রিন্সিপাল দিলীপ ঘোষকে সাসপেন্ড করেছে উচ্চশিক্ষা দফতর। ওড়িশা সরকারের পক্ষ থেকে গঠন করা হয়েছে তিন সদস্যের উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিটি।

LinkedIn
Share