Author: ishika-banerjee

  • Mehul Choksi: পিএনবি কেলেঙ্কারিতে ১৩,৫০০ কোটির প্রতারণা! ভারতের অনুরোধে বেলজিয়ামে গ্রেফতার মেহুল চোকসি

    Mehul Choksi: পিএনবি কেলেঙ্কারিতে ১৩,৫০০ কোটির প্রতারণা! ভারতের অনুরোধে বেলজিয়ামে গ্রেফতার মেহুল চোকসি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের তরফে অনুরোধের পরেই পলাতক হিরে ব্যবসায়ী মেহুল চোকসিকে (Mehul Choksi) গ্রেফতার করল বেলজিয়াম। পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কের (PNB Loan Fraud Case) আর্থিক তছরুপ মামলায় অভিযুক্ত মেহুল। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই সোমবার সকালে জানিয়েছে যে, ৬৫ বছর বয়সি চোকসিকে গত শনিবার বেলজিয়াম পুলিশ গ্রেফতার করে। বর্তমানে তিনি সেখানকার এক জেলে বন্দি রয়েছেন। জানা গিয়েছে, গ্রেফতারের সময় বেলজিয়াম পুলিশ মুম্বইয়ের এক আদালত থেকে জারি করা দুটি ‘ওপেন-এন্ডেড’ গ্রেফতারি পরোয়ানার উল্লেখ করে। এই পরোয়ানাগুলি জারি হয়েছিল যথাক্রমে ২৩ মে ২০১৮ এবং ১৫ জুন ২০২১ তারিখে।

    ভারতের উদ্যোগেই গ্রেফতার 

    ভারত সরকারের তরফে পলাতক অপরাধী হিসেবে ঘোষিত চোকসিকে (Mehul Choksi)  দেশে ফেরাতে উদ্যোগী হয় কেন্দ্র। বেলজিয়াম সরকারকে এনিয়ে আবেদনও জানানো হয় ভারতের তরফে। সেই আবেদনে সাড়া দিয়ে অবশেষে মেহুল চোকসিকে গ্রেফতার করল পুলিশ। চোকসির বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য পরোয়ানা জারি করেছিল মুম্বইয়ের আদালত। তাঁকে দেশে ফেরাতে সরকারকে আবেদন জানিয়েছিল সিবিআই ও ইডি। চোকসির গ্রেফতারি প্রসঙ্গে বেলজিয়াম সরকারের পররাষ্ট্র বিষয়ক দফতরের মুখপাত্র তথা সোশ্যাল মিডিয়া সার্ভিসের প্রধান ডেভিড জর্ডনস জানান, চোকসির গ্রেফতারি ও তাঁর অপরাধ সংক্রান্ত মামলা বাড়তি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। সরকার গোটা অপরাধ সম্পর্কে অবগত রয়েছে।

    পলাতক চোকসি কীভাবে বেলজিয়ামে

    ২০১৮ সালের জানুয়ারি মাসে পিএনবি কেলেঙ্কারিতে নাম জড়ানোর পর ভারত ছেড়ে পালিয়ে যান চোকসি (Mehul Choksi) । থাকতে শুরু করেন অ্যান্টিগা ও বারবুডায়। সেখানকার নাগরিকত্বও জোগাড় করে ফেলেন। ২০২১ সালে সেখান থেকে রহস্যজনক ভাবে উধাও হয়ে গিয়েছিলেন তিনি। অনেকে মনে করেছিলেন, ভারত সরকার তাঁকে অপহরণ করেছে। কিন্তু পরে তাঁকে ডমিনিকায় পাওয়া যায়। এর পর বেলজিয়ান স্ত্রীর সাহায্যে ২০২৩ সালের ১৫ নভেম্বর থেকে ‘এফ রেসিডেন্সি কার্ড’ জোগাড় করে বেলজিয়ামে থাকতে শুরু করেন মেহুল। এই কার্ডের মাধ্যমে অন্য কোনও দেশের নাগরিক বৈবাহিক সঙ্গীর সঙ্গে কিছু শর্তসাপেক্ষে বেলজিয়ামে থাকতে পারেন। তবে মেহুল চোকসি এখনও অ্যান্টিগা ও বারবুডার নাগরিক।

    জামিনের আর্জি জানাবেন চোকসি

    আপাতত বেলজিয়ামের জেলে রয়েছেন চোকসি। তবে খুব তাড়াতাড়ি জামিনের আর্জি জানিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হবেন মেহুল, এমনটাই অনুমান করা যাচ্ছে। ৬৫ বছর বয়সি মেহুলের একাধিক শারীরিক সমস্যা রয়েছে। তার ভিত্তিতেই জামিন চাইতে পারেন তিনি। ২০২৪ সালের ডিসেম্বর মাসেই কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন সংসদে জানিয়েছিলেন, মেহুল চোকসির ২২ হাজার ২৮০ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে এবং তা বিক্রির প্রস্তুতি চলছে প্রতারণার টাকা মেটানোর জন্য। জের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ ‘রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র’ বলে এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন মেহুল চোকসি।

    মেহুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ

    মেহুল চোকসি (Mehul Choksi)  ও নীরব মোদি পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কে ১৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকার প্রতারণা (PNB Loan Fraud Case) করেছিলেন। মুম্বইয়ের ব্রাডি হাউস ব্রাঞ্চ থেকে ভুয়ো লেটার অব আন্ডারটেকিং ও ফরেন লেটার অব ক্রেডিট দেখিয়ে এই বিপুল অর্থ ঋণ নিয়েছিলেন। ২০১৮ সালের জানুয়ারি মাসে চোকসি ও নীরব মোদি দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান। এর কয়েক সপ্তাহ পরে প্রকাশ্য়ে আসে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম ব্যাঙ্কের এই বিপুল আর্থিক প্রতারণা। ততক্ষণে দুজনেই নাগালের বাইরে চলে গিয়েছেন। গত মাসেই বেলজিয়ামের বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছিল, মেহুল চোকসি গা ঢাকা দিয়ে রয়েছেন। তাঁর স্ত্রী প্রীতি চোকসি বেলজিয়ামের নাগরিক। সেই সূত্র ধরেই বেলজিয়ামে নাগরিকত্ব পাওয়ার চেষ্টা করছিলেন চোকসি। বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে সেদিকে নজর রাখা হচ্ছে বলেও জানায় বেলজিয়াম সরকার। শোনা যায়, চোকসির প্রত্যর্পণের জন্য বেলজিয়াম সরকারের কাছে অনুরোধও জানাবে ভারত।

    ভারতে প্রত্যর্পনের প্রয়াস

    পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কে ১৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকার ঋণ প্রতারণার মামলায় অভিযুক্ত হিরে ব্যবসায়ী মেহুল চোকসি। দীর্ঘদিন ধরেই গা ঢাকা দিয়েছিলেন। এই প্রতারণায় তাঁর ভাইপো নীরব মোদিও অভিযুক্ত। বর্তমানে লন্ডনে রয়েছেন নীরব। তাঁকেও ভারতে প্রত্যর্পণের জন্য আবেদন করেছে সরকার। শীঘ্রই ভারতে প্রত্যর্পণ করা হতে পারে চোকসিকেও। সিবিআই ও ইডি- দুই তদন্তকারী সংস্থার ওয়ান্টেড লিস্টে ছিলেন মেহুল চোকসি। গত মাসেই জানা গিয়েছিল, চোকসিকে ভারতে ফেরানোর প্রক্রিয়া শুরু করেছে নয়াদিল্লি। বেলজিয়াম সরকারের সঙ্গে সে বিষয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। তাঁর ভাগ্নে নীরব মোদিও পিএনবি-কাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত। তাঁকে ভারতে ফেরানোর জন্য ব্রিটেন সরকারের সঙ্গে আইনি কথাবার্তা চলছে। উল্লেখ্য, গত সপ্তাহেই ২৬/১১ হামলার মূল চক্রী তাহাউর রানার প্রত্যর্পণ সম্পন্ন করেছে ভারত। এবার কি দেশে ফেরানো যাবে ঋণখেলাপি মেহুল চোকসিকেও?

  • Nil Sasthi 2025: আজ, বাংলার ঘরে ঘরে পালিত হচ্ছে নীলষষ্ঠী, জানেন এই ব্রতর তাৎপর্য?

    Nil Sasthi 2025: আজ, বাংলার ঘরে ঘরে পালিত হচ্ছে নীলষষ্ঠী, জানেন এই ব্রতর তাৎপর্য?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘নীলের ঘরে দিয়ে বাতি, জল খাওগো পুত্রবতী’! শুধু পুত্র নয়, পুত্র-কন্যা সবার জন্যই এই ব্রত রাখেন বাংলার মায়েরা। চৈত্র সংক্রান্তির আগের দিন প্রতি বছর পালিত হয় নীল ষষ্ঠী (Nil Sasthi 2025)। বাংলার ১২ মাসের ১৩ পার্বনের মধ্যে অন্যতম পার্বন হল নীল ষষ্ঠীর ব্রত। এটি বাংলার একটি নিজস্ব লোকায়ত ধর্মীয় উত্‍সব। এই বছর আজ, রবিবার, ১৩ এপ্রিল পালিত হবে নীল ষষ্ঠী।

    কেন নাম নীল ষষ্ঠী

    নীল ষষ্ঠীর (Nil Sasthi 2025) পরের দিন চৈত্র সংক্রান্তি। তার পরের দিন বাংলা নববর্ষের শুরু। পুরাণ অনুসারে, নীল ষষ্ঠীর দিনেই মহাদেবের সঙ্গে নীল চণ্ডিকার বিয়ে হয়। নীলকণ্ঠ, মহাদেবের সঙ্গে এদিন নীল চণ্ডিকা বা নীলাবতীর বিয়ের কারণেই এই দিনটি নীলষষ্ঠী নামে পরিচিত। আর এই ষষ্ঠীর পুজোকে নীল পুজো বলা হয়। গ্রামীন অঞ্চলে চৈত্র সংক্রান্তিতে চরক পুজো উপলক্ষে গাজনের মেলাও বসে।

    কীভাবে পালন করা হয় নীল ষষ্ঠী

    চৈত্র সংক্রান্তির আগের দিন প্রচণ্ড গরমের মধ্যে সারাদিন নির্জলা উপবাস রাখতে হয়। সন্ধেবেলা শিবলিঙ্গে জল ঢেলে মহাদেবের পুজোর প্রসাদ মুখে দিয়ে উপবাস ভাঙা হয়। উপোস ভাঙার পরও এদিন ফল, সাবু ইত্যাদি ছাড়া ময়দার তৈরি খাবারই খেতে হয়। চৈত্র সংক্রান্তির আগের দিন পঞ্জিকা অনুসারে ষষ্ঠী তিথি নয়। তা হলেও এদিন নীল ষষ্ঠীর ব্রত পালন করা হয়। নীল ষষ্ঠীতে (Nil Sasthi Brata) ষষ্ঠী দেবীর সঙ্গেই সন্তানের মঙ্গল কামনা করে মহাদেবের আরাধনা করা হয়ে থাকে। শিবের মাথায় বেলপাতা, ফুল ও একটি ফল ছুঁয়ে রাখতে হয়। অপরাজিতা বা আকন্দ ফুলের মালা পরিয়ে, সন্তানের নামে একটি মোমবাতি জ্বালিয়ে প্রার্থনা করা হয়।

    নীল ষষ্ঠী ২০২৫ পুজোর সময়

    ১৩ এপ্রিল ২০২৫, বাংলা ক্যালেন্ডারে ৩০ চৈত্র ১৪৩১ রবিবার পালিত হবে নীল পুজো। প্রতিপদ পড়েছে রবিবার ভোর ৫টা ৫২ মিনিটে। পঞ্জিকা অনুসারে নীলকণ্ঠ শিবের পুজো করুন কাল সকাল ৯টা ৩২ মিনিটের মধ্যে। তবে দেবীর ষোড়শ যাত্রার মধ্যে অন্যতম হল নীলযাত্রা। দেবী নীলাবতীর পুজো করতে হবে সন্ধেবেলা। নীলের পুজোয় অবশ্যই পঞ্চামৃত নিবেদন করতে হবে। এই পঞ্চামৃত হল দুধ, দই, ঘি, মধু ও চিনি। এর সঙ্গে একটু কালো তিল ও সিদ্ধি পাতা মিশিয়ে দিতে পারলে খুবই ভালো ফল পাওয়া যায়। এছাড়া গঙ্গাজল, আকন্দ ফুল, ধুতরো, নীল অপরাজিতা ও কাঁচা আম দিয়ে এ দিন মহাদেবের পুজো করুন।

  • ISL 2024-25: যুবভারতী সবুজ-মেরুন! চ্যাম্পিয়ন মোহনবাগান, ম্যাকলারেনের গোলে ইতিহাস মেরিনার্সদের

    ISL 2024-25: যুবভারতী সবুজ-মেরুন! চ্যাম্পিয়ন মোহনবাগান, ম্যাকলারেনের গোলে ইতিহাস মেরিনার্সদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জোড়া মুকুট  মোহনবাগানের (Mohun Bagan Super Giants)। লিগ-শিল্ডের পর আইএসএল কাপের (ISL 2024-25) রংও সবুজ-মেরুন। এই ম্য়াচে মেরিনার্স ব্রিগেডের হয়ে একটি করে গোল করলেন জেমি ম্য়াকলারেন এবং জেসন কামিন্স। ফাইনাল ম্য়াচে ২-১ গোলে জয়লাভ করল মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট। শনিবারের রাতে যুবভারতীতে উৎসবে মাতল মেরিনার্সরা।

    সমানে সমানে লড়াই

    আইএসএল কাপ ফাইনালে এদিন মুখোমুখি হয়েছিল মোহনবাগান (Mohun Bagan Super Giants) ও বেঙ্গালুরু এফসি। ঘরের মাঠ যুবভারতীতে দ্বিমুকুট জয়ের লক্ষ্যে নেমেছিল মোলিনার দল। অন্যদিকে টক্কর দিতে প্রস্তুত সুনীল ছেত্রীর বেঙ্গালুরু। লিগ শিল্ড জয়ের পর আইএসএল কাপও যাতে সবুজ-মেরুন হয়, তার জন্য মাঠ ভরিয়েছিল মেরিনার্সরা। ৬০ হাজারের যুবভারতী ছিল কানায় কানায় পূর্ণ। এই হাই-ভোল্টেজ ম্যাচে প্রথমার্ধ শেষে উভয় দলই গোলশূন্য ড্র নিয়ে মাঠ ছাড়ে। তবে ম্যাচের শুরু থেকেই তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা এবং উত্তেজনা মাঠের চারপাশে ছড়িয়ে পড়ে। মোহনবাগানের ঘরের মাঠে খেলা হলেও বেঙ্গালুরু এফসি সময়ের সঙ্গে সঙ্গে চাপ বাড়িয়ে ম্যাচে নিজেদের প্রভাব বিস্তার করতে শুরু করে।

    সাফল্য মানেই মোহনবাগান

    সবুজ-মেরুন জার্সি গায়ে চাপিয়ে এদিন স্টেডিয়ামে পৌঁছে গিয়েছিলেন ভক্তরা। এর আগে ২০২২-২৩ মরশুমের ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল মোহনবাগান এবং বেঙ্গালুরু এফসি। যেখানে পেনাল্টি শুটআউটে ম্যাচ জেতে শতাব্দী প্রাচীন ক্লাব (Mohun Bagan Super Giants)। ঘরে ওঠে ট্রফি। কিন্তু এবার লড়াইটা জমে উঠছিল। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই ঘটেছিল সেই অঘটন। অ্যালবার্তো রডরিগসের আত্মঘাতী গোলে এগিয়ে গিয়েছিল বেঙ্গালুরু এফসি (Bengaluru FC)। কিন্তু, পেনাল্টিতে কামিন্সের শট সমতা ফেরাল মোহনবাগান। ম্য়াচের ফলাফল ১-১। ম্যাচের ৭২ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করলেন জেসন কামিন্স। বলটা লেফট বটম কর্নার দিয়ে বেঙ্গালুরুর জালে জড়িয়ে যায়। গুরপ্রীত শরীর ভাসিয়ে বলটা আটকানোর চেষ্টা করলেও, কামিন্সের শটে যে গতি ছিল, তার সঙ্গে এঁটে উঠতে পারেননি। খেলা গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। অতিরিক্ত সময়ে পাঁচ মিনিটের মাথায় মোহনবাগানকে এগিয়ে দিলেন জেমি ম্যাকলারেন। বক্সের মধ্যে বল বাড়ান গ্রেগ স্টুয়ার্ট। বেঙ্গালুরুর ডিফেন্ডার চিংলেনসানার ভুল থেকে বল পান ম্যাকলারেন। গোল করতে ভুল করেননি তিনি। এগিয়ে যায় মোহনবাগান। আর ম্যাচে ফিরতে পারেনি বেঙ্গালুরু। রেফারি বাঁশি দিতেই গোটা সল্টলেক স্টেডিয়ামের ৬০,০০০ দর্শক একসঙ্গে গর্জন করে ওঠে। তাঁরাই চ্যাম্পিয়ন।

  • India Bangladesh Relation: সময়ের মধ্যে উৎপাদিত পোশাক পাঠানোর চাপ! তুলোর জন্য ভারতের ওপরই নির্ভর বাংলাদেশ

    India Bangladesh Relation: সময়ের মধ্যে উৎপাদিত পোশাক পাঠানোর চাপ! তুলোর জন্য ভারতের ওপরই নির্ভর বাংলাদেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশে ভারত (India Bangladesh Relation) বিরোধিতা ক্রমেই বাড়ছে। হাসিনা পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর নির্যাতন ও ভারত-বৈরিতা নিত্যদিনের ঘটনা। তবে দুই দেশের বাণিজ্য পরিসংখ্যান অনুযায়ী, প্রকৃতপক্ষে পণ্য আমদানিতে ভারতের ওপর বাংলাদেশের নির্ভরতা আরও বেড়েছে। ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে বাংলাদেশে ভারত থেকে আমদানি বেড়েছে ১৭.২৭ শতাংশ। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ভারত থেকে বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি আমদানি হয় তুলো। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে খাদ্যশস্য। বিশ্বব্যাপী সরবরাহ শৃঙ্খলের সময়সীমা (লিড টাইম) দ্রুত কমে যাওয়ায় বাংলাদেশ এখন আমদানির জন্য ভারতের ওপর ক্রমেই বেশি নির্ভরশীল হয়ে উঠছে।

    প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার চেষ্টা

    আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ড ও খুচরা বিক্রেতাদের অর্ডার সম্পাদনের সময়সীমা সারা পৃথিবীতে ৯০ দিন থেকে নেমে এসেছে মাত্র ৪৫ দিনে। এমন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের (India Bangladesh Relation) রফতানিকারক ও উৎপাদকরা দ্রুত ও নির্ভরযোগ্য উৎস খুঁজতে গিয়ে ভারতের দিকেই ঝুঁকছেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই পরিবর্তনের সবচেয়ে বড় কারণ হলো সময়। আফ্রিকা, লাতিন আমেরিকা বা যুক্তরাষ্ট্র থেকে তুলো ও অন্যান্য কাঁচামাল আনতে যেখানে ৪৫ দিনের বেশি সময় লাগে, সেখানে ভারত থেকে এসব কাঁচামাল পৌঁছাতে সময় লাগে মাত্র ২-৩ দিন। বাংলাদেশ থেকে সবচেয়ে বেশি রফতানি করা হয় তৈরি পোশাক। এটাই ঢাকার আয়ের মূল ভিত্তি। তাই কম সময়ে ভারত থেকে তুলো নিয়ে গিয়ে বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার চেষ্টা করছে বাংলাদেশ।

    ভারত নির্ভরতা বাংলাদেশের

    বাংলাদেশ (India Bangladesh Relation) ব্যাঙ্কের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালের অক্টোবর-ডিসেম্বর প্রান্তিকে ভারত থেকে আমদানি বেড়েছে ২.০৯ শতাংশ। যা ২০২৩ সালের একই সময়ে ২.০৪ বিলিয়ন ডলার থেকে বেড়ে হয়েছে ২.৩৬ বিলিয়ন ডলার। গত অর্থবছরের (২০২৪-২৫) প্রথম দশ মাসে দেশটি থেকে বাংলাদেশের আমদানি করা পণ্যের অর্থমূল্য ছিল ৯৩৯ কোটি ৯ লাখ ৮০ হাজার ডলার। এর আগে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরের এপ্রিল থেকে জানুয়ারি সময়ে আমদানি হয়েছে ৮৮০ কোটি ৯৯ লাখ ডলারের পণ্য। শুধু গত জানুয়ারিতেই ভারত থেকে বাংলাদেশ পণ্য আমদানি করেছে ১০৭ কোটি ৫৬ লাখ ৭০ হাজার ডলারের। আর ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে আমদানি হয়েছিল ৯১ কোটি ৭৩ লাখ ডলারের।

    কেন বাড়ছে ভারত-নির্ভরতা

    তুলো আমদানিই এই বাণিজ্যের মূল চালিকাশক্তি। বাংলাদেশ (India Bangladesh Relation) বছরে প্রায় ৩ বিলিয়ন ডলারের তুলো আমদানি করে, যার অর্ধেকের বেশি আসে ভারত থেকে। ২০২৩ অর্থবর্ষে ভারত থেকে বাংলাদেশ তুলো আমদানি করেছিল ১.৯২ বিলিয়ন ডলার, ২০২৪ অর্থবর্ষে তা বেড়ে হয়েছে ২.৩৬ বিলিয়ন ডলার। তুলোর পাশাপাশি, সুতো, কাপড়, টেক্সটাইল কেমিক্যালস এবং হ্যান্ডলুম পণ্যও উল্লেখযোগ্য পরিমাণে ভারত থেকে আমদানি করা হয়। ২০২৩ সালের মাঝামাঝি সময়ে রাজনৈতিক ও শ্রম অসন্তোষের কারণে বাংলাদেশের অনেক কারখানায় উৎপাদন বিঘ্নিত হয়। এতে দ্রুত এবং নির্ভরযোগ্য আমদানি উৎসের প্রয়োজনীয়তা আরও বেড়ে যায়। সীমান্ত নিরাপত্তা ও অবকাঠামোর উন্নতির ফলে এখন ২৪টি স্থলবন্দর এবং তিনটি রেলবন্দর দিয়ে পণ্য পরিবহন হচ্ছে।এছাড়া, ডলার সংকটের কারণে দূরবর্তী দেশের সঙ্গে লেটার অব ক্রেডিট (LC) খোলা কঠিন হয়ে পড়েছে। ভারতীয় ব্যবসার সঙ্গে নিকটতা, তুলনামূলক সহজ আর্থিক ব্যবস্থা এবং ভাষা ও বাণিজ্য সংস্কৃতির পরিচিতিও বাণিজ্যে সুবিধা দিচ্ছে।

  • Jammu and Kashmir: জম্মুর কিস্তওয়ারে সেনা অভিযানে খতম জইশ কমান্ডার সহ তিন জঙ্গি, আখনুরে শহিদ জওয়ান

    Jammu and Kashmir: জম্মুর কিস্তওয়ারে সেনা অভিযানে খতম জইশ কমান্ডার সহ তিন জঙ্গি, আখনুরে শহিদ জওয়ান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জম্মু-কাশ্মীরের (Jammu and Kashmir) নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে খতম এক জইশ-ই-মহম্মদ কমান্ডার সহ গোষ্ঠীর তিন জঙ্গি। শুক্রবার সকাল থেকে উধমপুর ও কিস্তওয়ারে শুরু হওয়া জঙ্গিদমন অভিযানে এই সাফল্য মিলেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। সেনা সূত্রে খবর, কিস্তওয়ার (Kishtwar) জেলার চাতরুতে পাহাড় ঘেরা নাইদগাম জঙ্গলে শুক্রবার সকালে সেনার সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে এক জইশ কমান্ডারের মৃত্যু হয়েছিল। রাতে আরও দু’জন সংঘর্ষে মারা যায়। নিহত তিন জনের নাম, সইফুল্লাহ, ফরমান এবং বাশা। তাদের প্রত্যেকের মাথার দাম ছিল পাঁচ লক্ষ টাকা। নানা নাশকতা মূলক কার্যকলাপের পাশাপাশি ওই তিন জইশ কমান্ডার জম্মু ও কাশ্মীরের তরুণদের মগজধোলাই করে জঙ্গি দলে নাম লেখানোর কাজ চালাত।

    পাকিস্তান থেকে এসে বড় ষড়যন্ত্রের পরিকল্পনা

    নিরাপত্তা বাহিনী সুত্রে জানানো হয়েছে, বহুদিন ধরে ওই তিন জঙ্গি পাকিস্তান (Pakistani Terrorist) থেকে এসে উপত্যকার জঙ্গলের গ্রামগুলিতে আশ্রয় নিয়েছিল। জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের একজন পদস্থ কর্তা জানিয়েছেন, শুক্রবার সকালে নতুন করে অপারেশন শুরু হলে এক জঙ্গি নিহত হয়। বাকি দু’জন লড়াই চালিয়ে যাচ্ছিল। পরে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে দু’জনই নিহত হয়। অভিযানে সেনা বাহিনী, আধা সেনা সিআরপিএফ এবং জম্মু-কাশ্মীর (Jammu and Kashmir) পুলিশের স্পেশ্যাল অপারেশন গ্রুপের কমান্ডোরা অংশ নেন। নিরাপত্তা বাহিনী সুত্র জানানো হয়েছে, অভিযানে বিশেষ ভূমিকা পালন করে সেনা হেলিকপ্টার। কপ্টার থেকে বিশেষ ক্যামেরার সাহায্যে জঙ্গলের মধ্যে জঙ্গিদের চিহ্নিত করা হয়।

    গত এক বছর ধরে সন্ত্রাসের ছক

    নিরাপত্তা বাহিনীর কাছে খরব, পাকিস্তানি জঙ্গিদের বড় একটা দল জম্মু-কাশ্মীরের একাধিক জেলায় ছড়িয়ে পড়েছে। মনে করা হচ্ছে, শীত বিদায় নেওয়ার সময় সীমান্ত পেরিয়েছে জঙ্গিরা। তারা একাধিক জেলায় এক সঙ্গে হামলার প্রস্তুতি নিয়েছিল বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও নিরাপত্তা বাহিনী বহু জঙ্গিকে হত্যা এবং গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে। গত মাসের গোড়া থেকে দফায় দফায় সংঘর্ষ চলছে জম্মু-কাশ্মীরে। এদিনের সংঘর্ষে নিহত জইশের অন্যতম শীর্ষ কমান্ডার সইফুল্লা গত এক বছর ধরে চেনাব উপত্যকায় সন্ত্রাসী কার্যকলাপ জারি রেখেছিল।

    বারবার বানচাল জঙ্গিদের চাল

    উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে ৩৭০ ধারা বাতিলের পর থেকেই উত্তেজনা তৈরির চেষ্টা করছে পাকিস্তান বলে অভিযোগ গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর। ভারতে জঙ্গি অনুপ্রবেশ করিয়ে নাশকতার চেষ্টা করছে তারা। সম্প্রতি এক গোয়েন্দা রিপোর্টে বলা হয়, জম্মু ও কাশ্মীরে নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর সন্ত্রাসবাদী হামলার লঞ্চপ্যাডগুলো সক্রিয় করেছে পাক সেনা। সেখান থেকে জইশ-ই-মহম্মদ, লস্কর-ই-তইবার জঙ্গিরা ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করছে। কিন্তু কড়া হাতে সেই চক্রান্ত ব্যর্থ করেছে ভারতীয় সেনা। সেনা সূত্রে খবর, কয়েকদিন ধরেই কিস্তওয়ার-সহ উপত্যকার একাধিক জায়গায় চলছে ‘অপারেশন ছতরু’। জেহাদের জাল ছিঁড়তে অভিযান চালাচ্ছে সেনাবাহিনী। জানা গিয়েছে,

    আখনুরে শহিদ জওয়ান

    অন্যদিকে, জম্মু ও কাশ্মীরের আখনুর সেক্টরের নিয়ন্ত্রণ রেখায় অনুপ্রবেশের ছক কষেছিল পাক জঙ্গিরা। গোয়েন্দা সূত্রে খবর পেয়ে সেখানে অভিযানে নামে নিরাপত্তাবাহিনী। শুক্রবার রাতে আখনুর সেক্টরের কেরি বট্টল এলাকায় ব্যাপক গুলির লড়াই চলে। সেখানেই গুরুতর আহত হন ভারতীয় সেনার জুনিয়র কমিশন্ড অফিসার (জেসিও) কুলদীপ চাঁদ। শনিবার সকালে তিনি মারা হয়েছেন। বিবৃতি দিয়ে সেনা তাঁর মৃত্যুর খবর জানিয়ে শোকপ্রকাশ করেছে। পাশাপাশি জঙ্গিদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার হয়েছে বলেও জানানো হয়েছে। যার মধ্যে এম-৪ রাইফেল-সহ গোলাবারুদ রয়েছে।সেনার হোয়াইট নাইট কোরের তরফে এক্স হ্যান্ডেলে জানানো হয়েছে, ‘‘সুবেদার কুলদীপ এবং তাঁর সঙ্গীরা জঙ্গিদের অনুপ্রবেশ রুখে দিয়েছেন। কিন্তু সেই সংঘর্ষে ভারতীয় সেনা এক জন সাহসী জওয়ানকে হারাল।’’

    বরফে মোড়া দুর্গম এলাকায় আত্মগোপনের চেষ্টায় জঙ্গিরা

    গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে সেনার দুই, পাঁচ এবং ন’নম্বর প্যারাকমান্ডো ইউনিটের পাশাপাশি সিআরপিএফ এবং জম্মু ও কাশ্মীর (Jammu and Kashmir) পুলিশের এসওজি (স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ) গত বৃহস্পতিবার থেকে জম্মুর আখনুর সেক্টরে পাহাড়, জঙ্গলে তল্লাশি অভিযান শুরু করেছিল। সঙ্গে ছিল সদ্য কাশ্মীরে সন্ত্রাস দমনে নিয়ে যাওয়া অসম রাইফেলস বাহিনীও। নিয়ন্ত্রণরেখা (এলওসি) লাগোয়া এলাকায় পাক জঙ্গিদের অনুপ্রবেশ চিহ্নিত করার পরেই এলাকা ঘেরার কাজ শুরু হয় বলে কিস্তওয়ারের পুলিশ সুপারের দাবি। বরফে মোড়া দুর্গম এলাকায় যাতে জঙ্গিরা আত্মগোপন করতে না পারে, তা নিশ্চিত করে অভিযানে নামানো হয় আর্মি অ্যাভিয়েশন কোরের হেলিকপ্টারও। জম্মু-কাশ্মীরে নিয়ন্ত্রণরেখায় বার বার যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করছে পাকিস্তান। রাজৌরি, আখুনর সেক্টরে নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর গুলি চালানোর অভিযোগ উঠেছে পাক সেনার বিরুদ্ধে। আর এই সুযোগে নিয়ন্ত্রণরেখা দিয়ে জঙ্গি অনুপ্রবেশের চেষ্টা চলছে। কিন্তু পাকিস্তানের সেই চেষ্টা আরও একবার ভেস্তে গেল সেনার তৎপরতায়।

  • Suvendu Adhikari: ‘‘বাংলাদেশের থেকেও খারাপ অবস্থা রাজ্যের’’, চাঁপদানী-আমতলা-সুতির ঘটনায় শঙ্কিত শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: ‘‘বাংলাদেশের থেকেও খারাপ অবস্থা রাজ্যের’’, চাঁপদানী-আমতলা-সুতির ঘটনায় শঙ্কিত শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশের থেকেও খারাপ অবস্থা পশ্চিমবঙ্গের। মুর্শিদাবাদের সুতিতে ওয়াকফ সংশোধনী বিলের বিরোধিতার নামে তাণ্ডবের নিন্দা করে এমনই অভিমত ব্যক্ত করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। এদিন তিনি রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় হিন্দুরা আক্রান্ত হয়েছেন বলে অভিযোগ করেন। একই সঙ্গে উদ্ভূত পরিস্থিতির জন্য পুলিশের নিষ্ক্রিয়তাকে কাঠগড়ায় তোলেন তিনি।

    ব্যর্থ মমতার সরকার, আক্রান্ত পুলিশও

    সাংবাদিক বৈঠক করে শুক্রবার শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) দাবি করেন, ‘‘দুপুর আড়াইটের পর থেকেই রাজ্যে বেশিরভাগ জায়গায় জঙ্গিপুর কায়দায় হামলার ঘটনা ঘটেছে। মুর্শিদাবাদ থেকে শুরু করে হুগলি, আমতলা সব জায়গায় একই রকম ঘটনার সম্মুখীন হয়েছেন মানুষ। পুলিশও আক্রান্ত। এটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর সরকারের ব্যর্থতা।’’ শুভেন্দুর দাবি, বেছে বেছে হিন্দুদের ওপরই আক্রমণ করা হয়েছে। এদিন দক্ষিণ ২৪ পরগনার আমতলায় ভাঙচুর চালানো হয় পুলিশের গাড়িতে। কয়েকজন পুলিশ কর্মী আহতও হয়েছে।

    বিক্ষোভের নামে তাণ্ডব

    গত কয়েকদিনের মতো এদিনও ওয়াকফ সংশোধনী বিল প্রত্যাহারের দাবিতে উত্তপ্ত হয় মুর্শিদাবাদ। তার জেরে বিভিন্ন রেল স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকে একাধিক ট্রেন। দফায় দফায় চলে বিক্ষোভ। ফলে পুলিশ টিয়ার গ্যাসের সেল ফাটাতে বাধ্য হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে নামানো হয় কেন্দ্রীয় বাহিনী। ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রাখতে জঙ্গিপুর মহকুমার বিভিন্ন রেল স্টেশনে আরপিএফ মোতায়েন করা হয়। শুক্রবার তাণ্ডবের ছবি দেখা গিয়েছে মুর্শিদাবাদের সুতি থেকে দক্ষিণ ২৪ পরগনার আমতলায়। মুর্শিদাবাদের সুতি, সামসেরগঞ্জে পরপর বোমার শব্দ শোনা যায় শুক্রবার বিকেলে। তাণ্ডবের মাঝেই গুলিবিদ্ধ হয়েছে এক কিশোর সহ দুজন। এদিকে, আমতলায় রাস্তা অবরুদ্ধ হয়ে যায় শুক্রবার দুপুরের পর থেকে। ভাঙচুর চালানো হয় পুলিশের গাড়িতে। শুক্রবার মুর্শিদাবাদের ধুলিয়ানের ডাকবাংলো মোড় অবরোধ করে সংখ্য়ালঘুরা। পুলিশ সরাতে এলে, শুরু হয়, ইটবৃষ্টি। পুলিশকে লক্ষ্য় করে ছোড়া হয় ইট-পাটকেল। দফায় দফায় চলে সংঘর্ষ। শুধু সামসেরগঞ্জই নয়। একই কারণে বিক্ষোভে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে, সুতির সাজুর মোড়। ভেঙে দেওয়া হয় পুলিশ কিয়স্ক। একের পর এক গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় যাত্রীবাহী বাসে।

    পরিস্থিতি বাংলাদেশের থেকেও খারাপ 

    এদিন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘‘বাংলাদেশের থেকেও খারাপ অবস্থা এই রাজ্যের (Mamata Govt)। কড়েয়া থানা এলাকায় জলযাত্রীদের ওপর আক্রমণ হয়েছে। চাঁপদানিতে পুলিশ ফাঁড়ির পাশে হিন্দুদের পতাকা নামানো হয়েছে। মুর্শিদাবাদের ধূলিয়ান পুরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডে দুর্গামণ্ডপ ও রাধাকৃষ্ণ মন্দির ভাঙচুর করা হয়েছে। ওই এলাকায় বসবাসকারী হিন্দুদের বাড়ি ও দোকান তছনছ করা হয়েছে। অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। ধূলিয়ান লাগোয়া সামসেরগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্র এলাকার ডাকবাংলো মোড়, কাঞ্চনতলাতে ৩০টা হিন্দু দোকান ভাঙচুর করা হয়েছে। ঠিক একই ভাবে ১৯ সালে ঔরঙ্গাবাদ, উমরপুর, নিমতিতাতে ৬৮টা দোকান ভাঙা হয়েছিল, লুঠ করা হয়েছিল। ধূলিয়ান শহর থেকে ৪ কিলোমিটার দূরে একটি মন্দির ভাঙা হয়েছে।’’

    ভোগান্তির শিকার অসংখ্য রেলযাত্রী

    স্থানীয় সূত্রের খবর, ওয়াকফ সংশোধনী আইন বাতিলের দাবিতে এদিন রাজ্যের নানা প্রান্তে মিছিল করছিল একটি গোষ্ঠী। নিরাপত্তা দেখভালের জন্য রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে ছিলেন পুলিশের কর্মীরাও। অভিযোগ, মিছিল থেকে আচমকা পুলিশের গাড়িতে আক্রমণ চালানো হয়। শুভেন্দুর খোঁচা, ‘‘ডায়মন্ড হারবার মডেল, যিনি ৭ লক্ষ ভোটে জিতেছেন, তাঁর এলাকায় পুলিশ আক্রান্ত।’’ হুগলির চাঁপদানীতেও পুলিশের ওপর আক্রমণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ। জেলার বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভকারীরা রেললাইনে বসে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। তার জেরে নিউ ফরাক্কা, জঙ্গিপুর, সাগরদিঘি ও নিমতিতা স্টেশনে আপ ও ডাউনের বেশ কয়েকটি ট্রেন আটকে পড়ে। আন্দোলনের নামে ব্যাপক তাণ্ডব চালিয়েছে রেলের সম্পত্তিতে। পূর্ব রেলের তরফে জানানো হয়েছে, মুর্শিবাবাদের ধুলিয়ান গঙ্গা এবং নিমতিতা স্টেশনের মাঝে যে ৪৩ নম্বর রেলগেট রয়েছে, সেটাকে সম্পূর্ণ ভেঙে দেয় বিক্ষোভকারীরা। ভাঙচুর চালানো হয় রেলের রিলে রুমে। বিভিন্ন বৈদ্যুতিক যন্ত্রাংশ পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে। ভাঙা হয়েছে কন্ট্রোল রুম, লিফটিং ব্যারিয়ার সহ একাধিক সম্পত্তি। ভোগান্তির শিকার হন অসংখ্য রেলযাত্রী। রেল জানিয়েছে, দু’টি প্যাসেঞ্জার ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। দু’টি ট্রেনকে গন্তব্যের আগেই থামিয়ে দিতে হয়েছে। পাঁচটি ট্রেন চালাতে হয়েছে ঘুরপথে।

    একজোট হন, প্রতিরোধ গড়ুন

    প্রশাসনকে কাঠগড়ায় তুলে বিরোধী দলনেতার (Suvendu Adhikari) দাবি, ‘‘মুখ্যসচিব ও জেলাশাসককে বারবার বলেছি, কেন্দ্রীয় বাহিনীর সহযোগিতা নিন। মোথাবাড়িতে ৮৬ জন নিরীহ মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। একই ভাবে সামসেরগঞ্জ ও ধূলিয়ানে যা করেছেন বর্বরোচিত। রাজীব কুমারের তৈরি ফর্মুলা আছে। প্রথমে যা হওয়ার হয়ে যাবে। তার পর ফোন – ইন্টারনেট বন্ধ হয়ে যাবে। জেলাশাসকের তরফে ১৬৩ ধারা জারি করা হবে। সাংবাদিকদের ঢুকতে দেওয়া বন্ধ হবে। এই মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata Govt) শাসনে বারবার নিশানা করা হচ্ছে হিন্দু ধ্বজকে। যা রাজনৈতিক পতাকা নয়। হিন্দু মন্দিরকেও নিশানা করা হচ্ছে। আমি জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আবেদন করছি। সম্ভব হলে প্রতিরোধ করার চেষ্টা করছি। আর নিজেদের সুরক্ষিত রাখুন। আর কোনও উপায় নেই। দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়েছে। আত্মরক্ষার অধিকার সবার আছে। সবাইকে অনুরোধ করছি, মুর্শিদাবাদ, দক্ষিণ ২৪ পরগনায় হিন্দুরা একজোট হয়ে নিরাপদে থাকুন। ভাঙচুর যা হয়েছে তার ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা আমরা করব।’’

  • Hanuman Jayanti 2025: আজ দেশজুড়ে বজরংবলীর আরাধনা, জানুন কখন হনুমান চালিশা পড়লে কাটবে সর্ব সঙ্কট?

    Hanuman Jayanti 2025: আজ দেশজুড়ে বজরংবলীর আরাধনা, জানুন কখন হনুমান চালিশা পড়লে কাটবে সর্ব সঙ্কট?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ হনুমান জয়ন্তী (Hanuman Jayanti)। ভক্তদের বিশ্বাস, চৈত্র মাসের পূর্ণিমা তিথিতে ভগবান হনুমানের জন্ম হয়েছিল। বিশ্বাস মতে, এই পবিত্র দিনে হনুমান চালিশা পাঠ করে বজরংবলীর পুজো করলে মনের সকল বাসনা পূরণ হয়। দেশজুড়ে হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা এই উৎসবটি জাঁকজমকভাবে উদযাপন করেন। হনুমানজিকে বলা হয় সংকটমোচন। বিশ্বাস করা হয়, রামভক্ত হনুমান কলিযুগেও জীবিত আছেন। তাঁর নাম শুনলেই সকল প্রকার কষ্ট ও ভয় দূর হয়ে যায়। হনুমান ভক্তরা দর্শনের জন্য মন্দিরের বাইরে লম্বা লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকেন।

    হনুমান জয়ন্তীর গুরুত্ব

    হনুমানজিকে শ্রী রামের সবচেয়ে বড় ভক্ত হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তাঁর সাহায্যে শ্রী রাম রাবণকে বধ করেন এবং মাতা সীতাকে অযোধ্যায় ফিরিয়ে আনেন। ঈশ্বরের প্রতি তাঁর অটল ভক্তি এবং অপরিসীম শক্তির জন্য পরিচিত, হনুমান সাহস, নিঃস্বার্থ সেবা এবং নিষ্ঠার প্রতীক। তাঁর উপাসনা জীবনের সমস্ত বাধা দূর করে এবং নেতিবাচক শক্তি থেকে সুরক্ষা প্রদান করে।

    হনুমান জয়ন্তী ২০২৫ তারিখ এবং শুভ সময়

    এই বছর হনুমান জন্মোৎসব ১২ এপ্রিল, শনিবার পালিত হবে। প্রতি বছর চৈত্র পূর্ণিমায় এই উৎসব পালিত হয়। এবার পূর্ণিমা তিথি ১২ এপ্রিল ব্রহ্ম মুহুর্তে ০৩:২১ মিনিটে শুরু হবে এবং ১৩ এপ্রিল ভোর ০৫:৫১ মিনিটে শেষ হবে। হনুমান জয়ন্তীতে পুজোর প্রথম শুভ সময় ১২ এপ্রিল সকাল ৭:৩৪ টা থেকে ৯:১২ টা পর্যন্ত। এর পরে, দ্বিতীয় শুভ সময় হবে সন্ধে ৬.৪৬ থেকে রাত ৮টা ০৮ মিনিট পর্যন্ত।

    হনুমান চালিশা পাঠ ও পুজো পদ্ধতি

    হনুমান জয়ন্তীর দিনটিকে অত্যন্ত পবিত্র বলে মনে করা হয়। এই দিনে ব্রহ্ম মুহুর্তে ঘুম থেকে উঠুন। স্নান করুন। পরিষ্কার পোশাক পরে পুজো করুন। এরপর হনুমানজিকে তাঁর প্রিয় নৈবেদ্য উৎসর্গ করুন। তাতে বোঁদের লাড্ডু, মিষ্টি পান, গুড় এবং কলা দিতে ভুলবেন না। অনেক ভক্ত এই উপলক্ষে উপোসও করেন। এই দিনে, যদি কেউ সত্যিকারের হৃদয়ে হনুমান চালিশা বা সুন্দর কাণ্ড কাণ্ড পাঠ করে, তার সমস্ত ইচ্ছা হনুমানজি নিজেই পূরণ করেন। শাস্ত্রবিদদের মতে, হনুমান চালিশার এমন কিছু শ্লোক আছে, যা পাঠ করলে সমস্ত দুঃখ-দুর্দশা দূর হয়। এর সঙ্গে ভক্তরা সম্পদ এবং বুদ্ধিমত্তার আশীর্বাদ লাভ করতে পারবেন। ভক্তদের বিশ্বাস হনুমান চালিশা দ্বারা সমস্ত ইচ্ছা পূরণ হয়। কোনও ব্যক্তি হয়তো সমস্যায় পড়েছেন এবং সামনের দিকের সমস্ত পথ বন্ধ বলে মনে হচ্ছে। সেই সময় তিনি যদি হনুমান চালিশা পাঠ করেন, তাহলে ওই ব্যক্তির সমস্ত ইচ্ছা পূরণ হয়। এমনকী, জীবনের সমস্ত বাধা-বিপত্তিও দূর হয়।

  • SSC Scam: চাকরি বাতিল প্রসঙ্গে সুপ্রিম-নির্দেশের অবমাননা! মুখ্যমন্ত্রী মমতাকে আইনি  নোটিশ

    SSC Scam: চাকরি বাতিল প্রসঙ্গে সুপ্রিম-নির্দেশের অবমাননা! মুখ্যমন্ত্রী মমতাকে আইনি নোটিশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চাকরি বাতিল (SSC Scam) প্রসঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের রায় নিয়ে ‘মন্তব্য’ করায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) আদালত অবমাননার নোটিশ পাঠাল ‘আত্মদীপ’ নামের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। মুখ্যমন্ত্রীকে আইনি নোটিস পাঠিয়েছেন দিল্লির আইনজীবী সিদ্ধার্থ দত্ত। নোটিসে তিনি জানিয়েছেন, দেশের শীর্ষ আদালতের রায় সকলকেই মেনে নিতে হবে। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী এই রায় কার্যকর করবেন না বলেই দাবি ওই আইনজীবীর। তাঁর হুঁশিয়ারি, মুখ্যমন্ত্রী যদি নিজের মন্তব্যের জন্য প্রকাশ্যে ক্ষমা না চান, তা হলে তাঁর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা করা হবে।

    নোটিশে কী বলা হয়েছে

    নোটিশে দাবি করা হয়েছে যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তার মন্তব্যের মাধ্যমে ইচ্ছাকৃত, পরিকল্পিত ভাবে ভারতের সুপ্রিম কোর্টের রায়ের প্রতি অবমাননা করেছেন। নোটিশে বলা হয়েছে, আইনগতভাবে বাধ্য থাকা সত্ত্বেও মুখ্যমন্ত্রী সুপ্রিম কোর্টের রায়ের বাস্তবায়ন করবেন না। যা স্পষ্টতই একটি ইচ্ছাকৃত কাজ। মুখ্যমন্ত্রী যে বক্তব্য রেখেছেন, তা সরাসরি আদালত অবমাননার শামিল। তিনি তাঁর বক্তব্যে সুপ্রিম কোর্টকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ করেছেন মমতা। আইনি নোটিসে বলা হয়েছে, নেতাজি ইন্ডোরের সভায় মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, ‘‘শিক্ষা ব্যবস্থাকে ভেঙে ফেলার জন্য… একটা চক্রান্ত চলছে… একটা পরিকল্পনা চলছে। ৯, ১০, ১১, ১২-তে যাঁরা শিক্ষক, গেটওয়ে অফ হায়ার এডুকেশন তৈরি করছেন, তাঁরা অন্যদের খাতা দেখছেন, তাঁদের মধ্যে গোল্ড মেডেলিস্ট আছেন। তাঁদের জীবনেও ভাল রেজাল্ট ছিল। তাঁদের সবাইকে চোর বলে দিচ্ছেন। সবাইকে অযোগ্য বলে দিচ্ছেন। এই বলার অধিকার আপনাকে কে দিল? আমি সরাসরি চ্যালেঞ্জ করছি।’’

    কী বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী

    ২০১৬ সালের এসএসসির সম্পূর্ণ প্যানেল সম্প্রতি বাতিল করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। যার জেরে চাকরিহারা প্রায় ২৬ হাজার জন। এই পরিস্থিতিতে চাকরিহারাদের একাংশকে নিয়ে নেতাজি ইন্ডোরে সভা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee)। সেখানে সুপ্রিম কোর্টের রায় নিয়ে নিজের মতামত জানিয়েছিলেন তিনি। বলেছিলেন, ‘‘আমি এই রায় মানতে পারছি না।’’ মুখ্যমন্ত্রীকে আদালত অবমাননার যে নোটিস পাঠানো হয়েছে, তাতে নেতাজি ইন্ডোরের সভায় মুখ্যমন্ত্রীর বক্তৃতার কিছু অংশ তুলে দেওয়া হয়েছে। নোটিসে লেখা হয়েছে, গত ৭ এপ্রিলের ভাষণে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, ‘‘কারও চাকরি কাড়ার এই অধিকার কারও নেই। আমাদের প্ল্যান— এ রেডি, বি রেডি, সি রেডি, ডি রেডি আর ই রেডি। এই কথা বলার জন্য আমাকে জেলে, হ্যাঁ, ভরে দেওয়া হতে পারে। কিন্তু আই ডোন্ট কেয়ার (আমি পরোয়া করি না)। আপনারা আপনাদের কাজ করুন। কে আপনাদের আটকাচ্ছে? সুপ্রিম কোর্ট? সে ক্ষেত্রে মনে রাখবেন যা-ই বিকল্প হোক, আমরা করব।’’ এরপরই দেশের শীর্ষ আদালতকে অবমাননার দায়ে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে ও নবান্নে নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

  • Kolkata Saffron Flag Remove: ‘খাস কলকাতায় জোর করে গেরুয়া পতাকা খোলাল মৌলবাদীরা, দাঁড়িয়ে দেখছে পুলিশ’! কী চান মমতা? প্রশ্ন বিজেপির

    Kolkata Saffron Flag Remove: ‘খাস কলকাতায় জোর করে গেরুয়া পতাকা খোলাল মৌলবাদীরা, দাঁড়িয়ে দেখছে পুলিশ’! কী চান মমতা? প্রশ্ন বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: খোদ কলকাতায় বাস থেকে গেরুয়া পতাকা (Kolkata Saffron Flag Remove) খুলতে বাধ্য করা হয়েছে বলে অভিযোগ তুললেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, জোর করে বাসচালককে ওই পতাকা খোলান ওয়াকফ আন্দোলনকারীরা। ভিডিও পোস্ট করে শুভেন্দুর দাবি, যে গেরুয়া পতাকা সাহস, ত্যাগ এবং বীরত্বের প্রতীক, সেটিকে জোর করে একটি বাস থেকে খুলে ফেলেছে উগ্রপন্থীরা। এনিয়ে রাজ্যজুড়ে প্রতিবাদের ডাক দিয়েছেন বিরোধী দলনেতা। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই তালতলা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে একটি হিন্দু সংগঠন। শ্রী রাম স্বাভিমান পরিষদ ট্রাস্টের তরফে তালতলা থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

    শুভেন্দুর অভিযোগ

    কলকাতায় বাস থেকে গেরুয়া পতাকা (Kolkata Saffron Flag Remove) খোলা প্রসঙ্গে শুভেন্দু বলেন, ‘‘যে কলকাতা স্বামী বিবেকানন্দের জন্মভূমি, সেখানে ভয়ংকর দৃশ্য ধরা পড়ল। যে গেরুয়া পতাকা সাহস, ত্যাগ এবং বীরত্বের প্রতীক, সেটিকে জোর করে একটি বাস থেকে খুলে ফেলেছে উগ্রপন্থীরা। স্বামীজি এই সম্প্রীতি ও সহনশীলতার হয়ে সওয়াল করেছিলেন? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শাসনে বাধাহীনভাবে এরকম কাজ হয়। আর পুলিশে দাঁড়িয়ে-দাঁড়িয়ে দেখে। আমাদের সংস্কৃতি এবং মূল্যবোধের প্রতি কোন শ্রদ্ধা কোথায়? মমতা, আপনার শাসনামলে হিন্দু হওয়া কখন অপরাধ হয়ে দাঁড়িয়েছে? নাকি এখন আপনার একমাত্র নীতি হল তোষণ?’’ সেইসঙ্গে একটি ভিডিও শেয়ার করে পুরো বিষয়টি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, রামকৃষ্ণ মিশনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন শুভেন্দু। একইসুরে বঙ্গ বিজেপির মিডিয়ার কো-ইনচার্জ কেয়া ঘোষ অভিযোগ করেছেন, গেরুয়া পতাকা খুলে নেওয়ার পাশাপাশি অশ্লীল ভাষাও প্রয়োগ করা হয়েছে।

    হনুমান জয়ন্তীতে প্রতিবাদ

    বৃহস্পতিবার ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদে কলকাতায় বিক্ষোভ সমাবেশ করে জামাত উল উলেমা হিন্দ। মিছিলের কারণে কলকাতার কয়েকটি রাস্তা প্রায় স্তব্ধ হয়ে যায়। যানজটে আটকে পড়ে বহু গাড়ি। এর মধ্য়েই অভিযোগ ওঠে কলকাতার লেনিন সরণিতে একটি বাসে লাগানো গেরুয়া পতাকা জোর করে খুলে দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। সেই ঘটনার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বিজেপি নেতা তরুণজ্যোতি তিওয়ারি ছবি পোস্ট করে এনিয়ে সরব হন। এদিন কলকাতা-সহ পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন প্রান্তে তাণ্ডব চলেছে। ভাঙচুর করা হয়েছে সরকারি সম্পত্তি। শুভেন্দু বলেন, ‘‘ওটা বিজেপির পতাকা ছিল না। এটি ছিল একটি জয় শ্রী রাম পতাকা। এটা বিশ্বাসের অপমান। হিন্দুদের অপমান করা হয়েছে। কলকাতায় গেরুয়া পতাকা খোলা হয়েছে? বাস চালককে পুলিশের সামনেই পতাকা খুলে ফেলতে বাধ্য করা হয়েছে। এটা লজ্জার বিষয়। হিন্দু সংগঠনগুলি গতকালই একটি এফআইআর দায়ের করেছে। আজ আমরা ডিসি সেন্ট্রালে প্রতিবাদ করব। আগামীকাল হনুমান জয়ন্তী। পুরো রাজ্যে প্রতিবাদ হবে।’’

    পশ্চিম বাংলাদেশ তৈরির প্রেক্ষাপট

    এই ঘটনা প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী তিলোত্তমা কলকাতার বুকে জোর করে বাস থেকে গেরুয়া পতাকা খোলা হচ্ছে। হিন্দু সমাজ দেখুক, পশ্চিম বাংলাদেশ তৈরির প্রেক্ষাপট তৈরী হচ্ছে।’’ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তাঁর প্রশ্ন, ‘‘এখানে আপনি হামাস, প্যালেস্তাইন, পাকিস্তান, সিরিয়া এবং আইসিস-এর পতাকা উড়তে দেখতে পাবেন, কিন্তু গাড়ি থেকে রাম নবমীর পতাকা সরিয়ে ফেলা হয়। কলকাতা কি ঢাকা, সিরিয়া নাকি আফগানিস্তান হয়ে গিয়েছে? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কি এটাই চান?’’

  • Tahawwur Rana Trial: ২০১১ থেকেই মোদির ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ তালিকায় তাহাউর রানা, প্রধানমন্ত্রীর কূটনৈতিক সাফল্য দেখছেন নেটিজেনরা

    Tahawwur Rana Trial: ২০১১ থেকেই মোদির ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ তালিকায় তাহাউর রানা, প্রধানমন্ত্রীর কূটনৈতিক সাফল্য দেখছেন নেটিজেনরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাল ২০১১। তখনও তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী হননি। তাঁর পরিচয় গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তখন থেকেই তাঁর ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ তালিকায় ছিলেন তাহাউর রানা (Tahawwur Rana Trial)। অবশেষে ২৬/১১-এর ‘মাস্টার মাইন্ড’কে ভারতে এনেছে তাঁর সরকার। রানার প্রত্যর্পণের জন্য প্রধানমন্ত্রী মোদিকে ধন্যবাদ জানিয়েছে দেশবাসী। মুম্বই হামলার ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ তাহাউর রানাকে বৃহস্পতিবারই ভারতে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। এরপরই মোদির একটি পুরনো পোস্ট সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হচ্ছে। সেই পোস্টে তাহাউর রানাকে আমেরিকার ছাড়পত্র দেওয়া নিয়ে ভারতে তৎকালীন ইউপিএ সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন মোদি (Narendra Modi)।

    কী রয়েছে সেই পোস্টে

    ২০১১ সালে করা সেই পোস্টে তাহাউর রানাকে (Tahawwur Rana Trial) মার্কিন আদালতের দেওয়া ছাড়পত্র নিয়ে নরেন্দ্র মোদি তৎকালীন ইউপিএ সরকারকে দুষেছেন। নরেন্দ্র মোদি সেই পুরোনো পোস্টে লিখেছিলেন, “তাহাউর রানাকে মার্কিন সরকারের নির্দোষ তকমা দেওয়া আদতে ভারতের সার্বভৌমত্বে আঘাত। এটা দেশের বিদেশনীতির বিরাট ব্যর্থতা।” নতুন করে ছড়িয়ে পড়া এই পোস্ট নেটিজেনদের চর্চার বিষয় হয়ে উঠেছে। তাহাউর রানাকে ভারতে প্রত্যর্পণের দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ নিয়েও বিস্তর আলোচনা চলছে। তাহাউর রানাকে ভারতে সফল ভাবে প্রত্যর্পণ করানোর জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জয়গান গাইছেন নেটিজেনরা। কেউ বলছেন, ‘আরও এক প্রতিশ্রুতি পূরণ হল।’ আবার কারও কথায়, ‘আপনি করে দেখিয়েছেন স্যার। আপনাকে কুর্নিশ।’ অনেকের পোস্টেই দেখা গিয়েছে, ‘মোদি হ্যায় তো মুমকিন হ্যায়’ স্লোগান।

    অমিত-বার্তা

    ২০১১ সালে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র রানাকে মুম্বই হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগ থেকে বেকসুর খালাস বলে ঘোষণা করে। প্রধানমন্ত্রী মোদি সেই সময় প্রশ্ন তুলেছিলেন আমেরিকা কিসের ভিত্তিতে মুম্বই জঙ্গি হামলার অপরাধীদের নির্দোষ বলে ঘোষণা করেছে। মুম্বই হামলার ‘মাস্টার মাইন্ড’ রানাকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ভারতে আনা হয়েছে। রানাকে বিমানবন্দর থেকে সরাসরি পাটিয়ালা হাউস কোর্টে আনা হয়। আদালত রানাকে ১৮ দিনের এনআইএ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেছেন, রানাকে দেশে ফেরানো মোদি সরকারের বিরাট কূটনৈতিক সাফল্য। এবং সেই সঙ্গেই কংগ্রেসকে আক্রমণ করে তাঁর দাবি, ‘যে সরকারের আমলে ওই হামলা হয়েছিল তারা কিন্তু ওকে দেশে ফেরাতে পারেনি।’ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “মোদি সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ তাদের ফিরিয়ে আনার জন্য যারা ভারতের মাটি অপব্যবহার করেছে, দেশের সম্মান অবমাননা করেছে, এমনকি ভারতীয় নাগরিকদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেছে। তাদের ভারতীয় আইনের অধীনে বিচার করার জন্য দেশে ফিরিয়ে আনা হবেই।”

    মোদির জিরো টলারেন্স নীতির ফল

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জিরো টলারেন্স নীতির ফলে এই প্রত্যার্পণ সম্ভব হয়েছে বলে দাবি করেছে বিজেপি। মুম্বইয়ে এক সাংবাদিক বৈঠকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গোয়েল বলেন, “কংগ্রেস সরকার কিছুই করেনি ২০০৮ সালের হামলার পর। একজন মাত্র জঙ্গি ধরা পড়েছিল— আজমল কাসব, তাকেও জেলে বসে বিরিয়ানি খাওয়ানো হয়েছিল। আর এখন যারা দেশকে আক্রমণ করেছে, তাদের দেশের মাটিতে এনে শাস্তি দেওয়ার দৃঢ়তা দেখিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। এই হচ্ছে নতুন ভারতের সংকল্প।”  ইউপিএ আমলে ভোটব্যাঙ্কের কথা ভেবে সন্ত্রাসের সঙ্গে সর্বদা নরম মনোভাব দেখিয়েছে কংগ্রেস, দাবি বিজেপির। বিজেপি মুখপাত্র শেহজাদ পুনাওয়ালা বলেন, “ইউপিএ আমলে যারা সন্ত্রাসকে আশ্রয় দিয়েছে, তাদের ‘মোস্ট ফেভার্ড নেশন’ মর্যাদা দেওয়া হয়েছিল। আজকের ভারত পাল্টে গেছে। উরি কিংবা পুলওয়ামার মতো ঘটনার জবাব এমএফএন দিয়ে নয়, এমটিজে— ‘মুহ তোড় জবাব’ দিয়ে দেওয়া হয়।”

    মুখ খুলেছে আমেরিকা

    রানার ভারতে প্রত্যর্পণ নিয়ে মুখ খুলেছে আমেরিকাও। সংবাদ সংস্থা এএনআই-এর প্রতিবেদন অনুসারে, আমেরিকার প্রতিরক্ষা দফতরের মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস বলেন, “এই ধরনের হামলার সঙ্গে যাঁরা যুক্ত, তাঁদের বিচারের আওতায় আনার জন্য ভারতের উদ্যোগকে দীর্ঘ দিন ধরে সমর্থন করে এসেছে আমেরিকা। এখন উনি (রানা) ভারতের হাতে। আমরা খুশি।” মার্কিন আদালতে রানা বার বার আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন যে, ভারতের জেলে তাঁর উপর অত্যাচার চালানো হবে। তবে ভারত অবশ্য আমেরিকার সঙ্গে থাকা প্রত্যর্পণ চুক্তির শর্ত ভঙ্গ হবে না বলে আশ্বাস দিয়েছে। নয়াদিল্লির তরফে জানানো হয়েছে, জেলেও সুরক্ষিত থাকবেন রানা। এদিকে, মুম্বই হামলার চক্রীকে ভারতে আনা হতেই, প্রধানমন্ত্রী মোদিকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়ণবীশ। উল্লেখ্য ২ মাস আগে, মোদির মার্কিন সফরের সময়ই রানার প্রত্যর্পণ ইস্যুটি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর আলোচনায় উত্থাপিত হয়েছিল। তারপরই দ্রুত পদক্ষেপ করা হয়। অবশেষে এখন ভারতে রানা। জনৈতিক চাপানউতোরের মধ্যেও এই ঘটনা আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের কূটনৈতিক সাফল্যের বড় দৃষ্টান্ত হয়ে থাকল,অভিমত বিশেষজ্ঞদের।

     

     

LinkedIn
Share