Author: ishika-banerjee

  • Weather Update: ঝেঁপে বৃষ্টি, সঙ্গে বজ্রপাত! শহর থেকে জেলায় জারি কমলা-হলুদ সতর্কতা

    Weather Update: ঝেঁপে বৃষ্টি, সঙ্গে বজ্রপাত! শহর থেকে জেলায় জারি কমলা-হলুদ সতর্কতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:সকাল থেকেই আকাশের মুখ ভার (Weather Update)। বেলা ১০টা বাজতেই ঝেঁপে বৃষ্টি নামল উত্তর থেকে দক্ষিণ। অফিস টাইমেই ভিজল কলকাতা (Rainfall in Kolkata)। রাস্তায় বেরিয়ে বিপদে পড়ল শহরবাসী। শীত বিদায়ের পর থেকেই বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছিল আলিপুর আবহাওয়া অফিস। সেই পূর্বাভাস মেনে ইতিমধ্যেই জেলায়-জেলায় মুষলধারে বৃষ্টি হয়েছে। সঙ্গে শিলাবৃষ্টি। একই সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়া। এ দিকে হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী, কলকাতা, হাওড়া, উত্তর ২৪ পরগনা ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় বৃহস্পতিবার সারা দিন বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে।

    শহরে ধারাপাত

    আলিপুর আবহাওয়া (Weather Update) দফতর বলেছে, রবিবার পর্যন্ত বিক্ষিপ্তভাবে বজ্রবিদ্যুৎ সহ ঝড়-বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বঙ্গে। বৃষ্টির সঙ্গে শিলাবৃষ্টিও হবে। সেই আভাস মিলিয়ে কলকাতা, হাওড়া, উত্তর ২৪ পরগনা ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় বৃষ্টি তো শুরু হয়েছেই, বেশ কয়েক জায়গায় পড়ছে শিলও। সঙ্গে বইছে ঝোড়ো হাওয়া। বৃষ্টির সম্ভাবনা বেশি থাকবে শনি ও রবিবার। কলকাতায় বেশিরভাগ সময়ে আংশিক মেঘলা আকাশ থাকবে এই ক’দিন। কখনও পুরোপুরি মেঘলা আকাশও থাকতে পারে। বিক্ষিপ্তভাবে টানা চারদিন বৃষ্টির আভাস দেওয়া হয়েছে। বৃষ্টির পাশাপাশি ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার বেগে দমকা ঝোড়ো বাতাস বইবে পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান এবং হুগলি জেলায়। ওই জেলাগুলির জন্য কমলা সতর্কতা জারি হয়েছে। কলকাতা, পূর্ব মেদিনীপুর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনায় হাওয়ার গতিবেগ থাকবে ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার। রবিবার পর্যন্ত কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। তবে সোমবার থেকে আবহাওয়ার পরিবর্তন হবে বলে জানিয়েছে আলিপুর।

    জারি কমলা-হলুদ সতর্কতা

    ইতিমধ্যেই রাজ্যে জারি হয়েছে কমলা-হলুদ সতর্কতা (Weather Update)। সকাল থেকেই বৃষ্টি হচ্ছে বাঁকুড়া-বর্ধমান জেলায়। বৃষ্টির সঙ্গে ঝড়-বজ্রপাতের আশঙ্কা। উত্তরবঙ্গে দার্জিলিঙের উঁচু পার্বত্য এলাকায় হতে পারে হালকা তুষারপাত। তুষারপাতের সম্ভাবনা থাকবে আগামী রবিবার পর্যন্ত। বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকবে সোমবার পর্যন্ত। জলপাইগুড়ি জেলায় বৃষ্টির সম্ভাবনাও থাকছে। তবে এখনই তাপমাত্রার বড়সড় পরিবর্তন হবে না। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নতুন করে উল্লেখযোগ্যভাবে কমার সম্ভাবনা নেই বলে মনে করছেন আবহাওয়াবিদরা। আলিপুর জানিয়েছে, উত্তর ও পূর্ব ভারতে রাজস্থান এবং অসমে রয়েছে জোড়া ঘূর্ণাবর্ত। এ ছাড়া বঙ্গোপসাগরে একটি বিপরীত ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয়েছে। সঙ্গে উত্তর-পশ্চিম ভারত থেকে পূর্ব ভারতের দিকে এগোচ্ছে নতুন একটি পশ্চিমি ঝঞ্ঝা। এ সবের কারণেই বৃষ্টির অনুকূল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বঙ্গে। তবে এই সময়ে রাজ্য জুড়ে বৃষ্টিতে রবি শস্যের ক্ষতির আশঙ্কা করছেন কৃষিবিজ্ঞানীরা। সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হতে পারে আলু চাষে।

  • India vs Bangladesh: আজ ভারত-বাংলাদেশ ম্যাচে বৃষ্টির সম্ভাবনা! কখন, কোথায় দেখবেন লড়াই?

    India vs Bangladesh: আজ ভারত-বাংলাদেশ ম্যাচে বৃষ্টির সম্ভাবনা! কখন, কোথায় দেখবেন লড়াই?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাইব্রিড মডেলে, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির (ICC Champions Trophy 2025) সবকটি ম্যাচ দুবাইয়ে খেলবে ভারত। বাংলাদেশের (India vs Bangladesh) বিরুদ্ধে এ বারের মিনি বিশ্বকাপে যাত্রা শুরু করবেন রোহিত-বিরাটরা। বর্তমান ভূ-রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের মতোই ভারত-বাংলাদেশ ম্যাচও সমান গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। ভারতীয় দল সদ্য ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলেছে। উল্টোদিকে বাংলাদেশ এই ফরম্যাটে শেষ ম্যাচ খেলেছে গত বছরের শেষে। তবে বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা সদ্য দেশের ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট লিগে খেলে এসেছেন। তাই ভাল ম্যাচ দেখার আশায় ক্রিকেটপ্রেমীরা।

    পাকিস্তানের পরাজয়

    ভারতীয় সময় অনুযায়ী, বুধ-দুপুরে বোধন হয়েছে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির (ICC Champions Trophy 2025)। আট টিমের এই টুর্নামেন্টকে ক্রিকেট মহলে মিনি বিশ্বকাপও বলা হয়। প্রতিটা দলের কাছেই সবকটি ম্যাচ ডু অর ডাই। জিতলে ট্রফির দৌড়ে থাকবে কোনও টিম। আর হারলেই খাদের কিনারায় পৌঁছে যাবে। উদ্বোধনী ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল পাকিস্তান ও নিউজিল্যান্ড। প্রায় তিন দশক পর আইসিসির টুর্নামেন্ট আয়োজন করছে পাকিস্তান। তবে, উদ্বোধনী ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের কাছে ৬০ রানের বিশাল ব্যবধানে হার মেনেছে পাকিস্তান।

    প্রস্তুত ভারত

    চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির জন্য প্রস্তত ভারত (India vs Bangladesh)। সদ্য ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দাপটে একদিনের সিরিজ জিতেছে রোহিতরা। ওপেনিংয়ে শুভমন গিল ধারাবাহিকতা দেখিয়েছেন। রোহিত সেঞ্চুরি করেছেন। বিরাট কোহলি এক ম্যাচে হাফসেঞ্চুরি করেছেন। তবে মিডল অর্ডারে ভারতের ভরসা হয়ে দেখিয়েছেন শ্রেয়স আইয়ার। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে তিন ম্যাচেই দুর্দান্ত এবং কার্যকরী ইনিংস খেলেছেন। মিডল ওভারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছেন শ্রেয়সই। ভারতীয় পেস বোলিং কম্বিনেশনে হর্ষিত রানার একটা সম্ভাবনা থাকলেও পরিস্থিতি বলছে মহম্মদ শামির সঙ্গে স্পেশালিস্ট পেসার হিসেবে দেখা যাবে অর্শদীপ সিংকে। বুমরাকে ছাড়া বড় টুর্নামেন্ট ভারতের কাছে চ্যালেঞ্জ। বোলিংয়ে নেতৃত্ব দেবেন শামিই।

    পিচ কেমন

    দুবাইয়ে দুটি নতুন পিচ প্রস্তুত রাখা হয়েছে। বাংলাদেশের বিপক্ষে কোনটি ব্যবহার করা হবে এবং পিচ কেমন আচরণ করবে তা নিয়ে কিছুটা অনিশ্চয়তা আছে। ম্যাচের আগের দিন সেন্টার উইকেটে দুটি পিচের ছবি উঠে এসেছে। তার মধ্যে ডানদিকের পিচটাকে বেশি রোলিং করতে দেখা গিয়েছে। কিন্তু কেমন হবে পিচ, ভারতীয় দল পাঁচ স্পিনার আছে, পাণ্ডিয়াকে নিয়ে চার পেসার আছে। ফলে স্পিনাররা পিচ থেকে সুবিধা না পেলে সমস্যা হতে পারে ভারতের।

    বৃষ্টিপাতের সম্ভবনা

    ভারত-বাংলাদেশ ম্যাচে (India vs Bangladesh) বৃষ্টিপাতের সম্ভবনা আছে। আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুসারে, বৃহস্পতিবার ভারত বনাম বাংলাদেশ ম্যাচের দিন ৩৫ শতাংশ বৃষ্টিপাতের সম্ভবনা আছে। দুবাইয়ে তাপমাত্রা থাকতে পারে ২৪ ডিগ্রির আশে পাশে। আপেক্ষিক আদ্রর্তা ৪৮ শতাংশ থাকতে পারে। ফলে বৃষ্টি কিন্তু ভারত বমাম বাংলাদেশের মধ্যে মেগা ম্যাচে ছন্দ নষ্ট করতে পারে।

    ভারতের সম্ভাব্য একাদশ: রোহিত শর্মা, শুভমন গিল, বিরাট কোহলি, শ্রেয়স আইয়ার, অক্ষর প্য়াটেল, লোকেশ রাহুল, হার্দিক পান্ডিয়া, রবীন্দ্র জাডেজা, কুলদীপ যাদব/বরুণ চক্রবর্তী, মহম্মদ সামি, অর্শদীপ সিং/হর্ষিত রানা।

    ম্যাচ শুরু: আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভারত বনাম বাংলাদেশের ম্যাচটি ভারতীয় সময় অনুযায়ী শুরু হবে দুপুর ২.৩০ মিনিটে। ম্যাচের আগে ২টো নাগাদ টস হবে।

    ম্যাচের লাইভ স্ট্রিমিং: আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভারত বনাম বাংলাদেশের ম্যাচটির লাইভ স্ট্রিমিং (Live streaming) দেখা যাবে টিভিতে স্টার স্পোর্টস ২ ও স্পোর্টস ১৮-১ এবং স্পোর্টস ১৯-খেল চ্যানেলে। এ ছাড়া মোবাইলে দেখা যাবে জিওহটস্টার অ্যাপ্লিকেশনে।

  • ICC Champions Trophy 2025: চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভারত-বাংলাদেশ ম্যাচ ঘিরে চড়ছে পারদ, কে এগিয়ে?

    ICC Champions Trophy 2025: চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভারত-বাংলাদেশ ম্যাচ ঘিরে চড়ছে পারদ, কে এগিয়ে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বার বার ২২ গজের লড়াইয়ের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছে রাজনীতি। বুধবার থেকে শুরু হওয়া চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিও তার ব্যতিক্রম নয়। ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে তো বরাবর রাজনীতির রঙ লাগে। এবার নয়া সংস্করণ ভারত-বাংলাদেশ ম্যাচ। কারণ বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে (ICC Champions Trophy 2025) বৃহস্পতিবার দুই দেশ মুখোমুখি হবে। রবিবারের ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের থেকেও এই ম্যাচ নিয়ে উন্মাদনা বেশি।

    পরিবর্তিত পরিস্থিতি

    বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের ক্রিকেট সম্পর্ক একটা সময় পর্যন্ত ছিল দাদা-ভাইয়ের মত। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) প্রাক্তন সভাপতি জগমোহন ডালমিয়ার উদ্যোগে ২০০০ সালে টেস্ট খেলার মর্যাদা পায় বাংলাদেশ। তার পরও বিভিন্ন সময় বাংলাদেশের ক্রিকেটের উন্নতিতে পাশে থেকেছে বিসিসিআই। গত কয়েক দশক ভারত-বাংলাদেশ ক্রিকেট আবহে মৈত্রী, সৌজন্যের অভাব হয়নি। পরিস্থিতি বদলাতে শুরু করেছে কিছু দিন ধরে, গত অগাস্টে বাংলাদেশে রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর থেকে। সাধারণ মানুষের বিদ্রোহের মুখে বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেছেন। আশ্রয় পেয়েছেন ভারতে। বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতির আঁচ সীমান্ত পেরিয়ে এ দেশে এসেছে। হাসিনাকে ভারত রাজনৈতিক আশ্রয় দেওয়ায় বাংলাদেশের মানুষের একাংশ ক্ষুব্ধ। বাইশ গজে রোহিতদের হারিয়ে তার জবাব দিতে চাইছে তারা।

    এগিয়ে ভারত

    যশপ্রীত বুমরাহ-র অনুপস্থিতি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভারতকে ভোগাবে বলেই মনে করেন অনেকে। তবে সম্প্রতি হর্ষিত রানার পারফরম্যান্স দলকে ভরসা জুগিয়েছে। গত এমার্জিং এশিয়া কাপের ম্যাচে বাংলাদেশের সৌম্যর সঙ্গে বিবাদে জড়িয়েছিলেন হর্ষিত রানা। আম্পায়ারদের হস্তক্ষেপ করতে হয়েছিল পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। তাঁরা দু’জনেই রয়েছেন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির (ICC Champions Trophy 2025) দলে। ভারত-বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের বাগ্‌যুদ্ধ নতুন নয়। ২০০৭ সালে এক দিনের বিশ্বকাপে বাংলাদেশের কাছে হেরে ছিটকে গিয়েছিল ভারত। তাই সতর্ক রোহিতরাও। তবে, ২০১৭ সালে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিফাইনালে উঠেছিল। কিন্তু, শেষ চারের লড়াইয়ে তারা ভারতের কাছে ৯ উইকেটে হেরে গিয়েছিল। ভারত-বাংলাদেশ ওডিআই দ্বৈরথে ৪১টি ম্যাচের ৩২টিতেই জিতেছে ভারত। ৮টিতে বাংলাদেশ, একটি পরিত্যক্ত। দুই দলের দ্বৈরথে সর্বাধিক দলগত স্কোর ভারতের। ২০২২ সালে চট্টগ্রামে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ভারত তুলেছিল ৮ উইকেটে ৪০৯।

  • KIIT Suicide: কলিঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রীমৃত্যুর ঘটনায় নেপালি পড়ুয়াদের পাশে এবিভিপি

    KIIT Suicide: কলিঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রীমৃত্যুর ঘটনায় নেপালি পড়ুয়াদের পাশে এবিভিপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত-নেপাল কূটনৈতিক বিবাদের সূত্রপাত ঘটতে যাচ্ছিল ওড়িশায় নেপালি ছাত্রীর আত্মহত্যাকে কেন্দ্র করে। তবে তার আগেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে ভারত সরকার। এই ঘটনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয় ওড়িশা বিজেপি ও অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ (এবিভিপি)। নেপালি ছাত্রছাত্রীদের পাশে দাঁড়ায় এবিভিপি। নেপাল দূতাবাসের ভারতীয় শাখা দুই কর্মকর্তাকে পাঠানোর আগে, এবিভিপি ও তাদের ওড়িশা শাখা তিনটি দিকনির্দেশনা দেয়: শিক্ষার্থীদের সাহায্য করা, অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া এবং অবিলম্বে বিক্ষোভ শুরু করা। এবিভিপি সূত্রে জানা গিয়েছে, নির্দেশনা ছিল স্পষ্ট  “ওডিশায় নেপালি শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা দেওয়া এবং বৃহত্তর পরিপ্রেক্ষিতে সঠিক জায়গায় থাকার জন্য যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করা।”

    কী ঘটেছিল কলিঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে

    গত রবিবার ভুবনেশ্বরের কলিঙ্গ ইনস্টিটিউট অব ইন্ডাস্ট্রিয়াল টেকনোলজি(KIIT) বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে মেয়েদের হস্টেলের ঘর থেকে এক নেপালি ছাত্রীর দেহ উদ্ধার হয়। জানা গিয়েছে, তিনি বি টেক তৃতীয় বর্ষের পড়ুয়া ছিলেন। হস্টেলের ঘর থেকে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। ছাত্রীর দেহ উদ্ধারের পর নেপালি পড়ুয়ারা ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ দেখান। এরপর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নেপালি পড়ুয়াদের ক্যাম্পাস খালি করার নির্দেশ দেয়। ২০ বছর বয়সী নেপালি ছাত্রী প্রাকৃতী লামসালের আত্মহত্যা দুই দেশের সম্পর্কেও চিড় ধরাতে শুরু করে। যদিও ভারতে নেপালি ছাত্রদের পাশে দাঁড়ায় এবিভিপি।

    নেপালি পড়ুয়াদের পাশে থাকার বার্তা

    ভুবনেশ্বরে কেআইআইটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে নেপালি ছাত্রীর দেহ উদ্ধারের পর নেপালে ফিরে যাচ্ছেন ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের নেপালি পড়ুয়ারা। আর নিজের দেশে ফিরে যাওয়ার পথে যাতে খাবার কিংবা অন্য কোনও অসুবিধায় তাঁদের না পড়তে হয়, সেজন্য এগিয়ে যায় অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ। বিভিন্ন স্টেশনে খাবার, জল-সহ নানা সামগ্রী নিয়ে পৌঁছে যান এবিভিপির সদস্যরা। নেপালি পড়ুয়াদের দিকে সবরকম সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলেন। উত্তরপ্রদেশ ও বিহারের গোরখপুর, রাক্সৌল, মুজফ্ফরপুর, পটনা-সহ বিভিন্ন স্টেশনে পৌঁছে যান এবিভিপি সদস্যরা। এছাড়াও এই দুই রাজ্যের সঙ্গে অন্য রাজ্যে একাধিক ট্রানজিট পয়েন্টে উপস্থিত ছিলেন তাঁরা। নেপালি পড়ুয়াদের সুরক্ষা ও ভারতে তাঁদের যাতে কোনও অসুবিধা না হয়, তা নিশ্চিত করার ছিল এবিভিপি-র কাজ।

    কূটনৈতিক দ্বন্দ্ব এড়ানোর চেষ্টা

    ভুবনেশ্বর কলিঙ্গ ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডাস্ট্রিয়াল টেকনোলজি (কেআইআইটি)-তে নেপালি ছাত্রীর রহস্যমৃত্যুর ঘটনায় বিতর্কের ঝড় উঠেছে নানা মহলে। বিক্ষোভরত নেপালি ছাত্র-ছাত্রীদের উদ্দেশে ‘জাতিবিদ্বেষী’ এবং ‘অপমানজনক’ মন্তব্য করার অভিযোগও উঠেছে। এদিকে, নেপালি পড়ুয়াদের এভাবে ক্যাম্পাস ছাড়ার নির্দেশ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধেও সরব হয়েছে এবিভিপি। ওড়িশার এবিভিপি ইউনিট এক্স হ্যান্ডলে এই নির্দেশের নিন্দা করে। এদিকে, ক্যাম্পাসে ছাত্রীর মৃত্যুর ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে ওড়িশা সরকার। এমনকি, নেপালি পড়ুয়াদের ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এবিভিপি তিনটি মোবাইল নম্বর প্রকাশ করে, যার মাধ্যমে নেপালি শিক্ষার্থীরা তাদের সাহায্য নিতে পারেন।

    ওড়িশা বিজেপির প্রয়াস

    নির্যাতিত শিক্ষার্থীদের সহায়তার জন্য, এবিভিপি বিভিন্ন স্থানে প্রতিবাদ শুরু করে, কেআইআইটির ক্যাম্পাসের বাইরে এবং ভুবনেশ্বরে বাইক র‍্যালি আয়োজন করে। এবিভিপি নেতা, বীরেন্দ্র সোলাঙ্কি, শিক্ষামন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান। এদিকে, রাজ্য বিজেপি শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়িয়ে, বিধায়ক বাবু সিং, কেআইআইটি প্রতিষ্ঠাতা অচ্যুত সমন্তাকে গ্রেফতারের দাবি তোলেন। ওডিশার উচ্চ শিক্ষা মন্ত্রী সূর্যবানশী সুরাজও জানতে চান, “নেপালি শিক্ষার্থীদের কটক রেলওয়ে স্টেশনে কেন নামানো হয়েছিল? কেন কেআইআইটি কর্তৃপক্ষ সরকারকে এ বিষয়ে জানায়নি?”

  • Mamata’s ‘Mrityu-Kumbh’: ‘‘ক্ষমা চান’’, মুখ্যমন্ত্রী মমতার ‘মৃত্যুকুম্ভ’ মন্তব্যে ক্ষুব্ধ সাধু-সমাজ

    Mamata’s ‘Mrityu-Kumbh’: ‘‘ক্ষমা চান’’, মুখ্যমন্ত্রী মমতার ‘মৃত্যুকুম্ভ’ মন্তব্যে ক্ষুব্ধ সাধু-সমাজ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহাকুম্ভকে ‘‘মৃত্যুকুম্ভে’’র সঙ্গে তুলনা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্যে বিজেপির পাশাপাশি সাধু সম্প্রদায়ও অসন্তোষ প্রকাশ করেছে। প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার দাবিও জোরালো হচ্ছে। বিধানসভায় মহাকুম্ভ সম্পর্কে বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে প্রবল সমালোচনার মুখে পড়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। সাধু সম্প্রদায় বলেছে যে মমতার বক্তব্য সনাতন ধর্মের অপমান। তাঁর মন্তব্য সনাতন ধর্মের এবং মহাকুম্ভের পবিত্রতার প্রতি অবমাননা। সাধু-সন্তদের মতে, মহাকুম্ভ শুধুমাত্র একটি অনুষ্ঠান নয়, বরং সনাতন সংস্কৃতির আত্মা, যা কোটি কোটি ভক্তের কাছে গভীর আধ্যাত্মিক এবং সাংস্কৃতিক গুরুত্ব বহন করে।

    মহাকুম্ভের মহিমা দেখেছে বিশ্ব

    শ্রী পঞ্চায়েতি আখড়া মহাননির্বাণীর জাতীয় সম্পাদক মহন্ত যমুনা পুরী বলেছেন যে, দায়িত্বশীল পদে থেকেও এই ধরনের বক্তব্য দেওয়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শোভা পায় না। তিনি বলেন, ‘‘প্রয়াগরাজ মহাকুম্ভ হল অমৃত পর্ব, যার দেবত্ব এবং মহিমা সমগ্র বিশ্ব দেখেছে। মহাকুম্ভের নামের সাথে এই ধরনের অবমাননাকর শব্দ ব্যবহার করা উচিত নয়।’’ এবং এই মন্তব্যের জন্য প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার দাবিও জানানো হয়েছে। পঞ্চ দশনাম আবাহন আখড়ার আচার্য মহামণ্ডলেশ্বর স্বামী অরুণ গিরি বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের তীব্র সমালোচনা করে বলেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গ হিন্দু সনাতনীদের জন্য ‘মৃত্যুর রাজ্য’ হয়ে উঠছে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘তাঁর উচিত উত্তরপ্রদেশের নয়, নিজের রাজ্যের কথা চিন্তা করা।’ যোগী আদিত্যনাথ মহাকুম্ভের জন্য বিশ্বব্যাপী স্বীকৃতি পেয়েছেন এবং তিনি এই মহৎ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে একটি নতুন ইতিহাস তৈরি করেছেন।’’

    সনাতন ধর্মের ওপর আক্রমণ

    নির্মোহী আনি আখাড়ার মহান্ত রাজেন্দ্র দাস মমতার মন্তব্যকে সনাতন ধর্মের ওপর আক্রমণ বলে আখ্যা দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘‘প্রয়াগরাজ মহাকুম্ভ সনাতন ধর্মকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছে। মমতা এর গুরুত্ব বুঝতে পারেন না কারণ তিনি সবসময় সনাতন মূল্যবোধ এবং ঐতিহ্যকে অবমাননা করেছেন।’’ তিনি মন্তব্য করেন। মহামণ্ডলেশ্বর ঈশ্বর দাস মহারাজ মমতার মন্তব্যের সমালোচনা করে বলেন, ‘‘এটা তাঁর সনাতন বিরোধী মনোভাবের প্রতিফলন। তিনি সনাতন ধর্মের বিরুদ্ধে ছিলেন এবং তিনি পশ্চিমবঙ্গকে আরেকটি বাংলাদেশে পরিণত করতে চান।’’

    প্রয়াগরাজে আসুন মমতা

    অযোধ্যা হনুমান গড়ী মন্দিরের মহান্ত রাজু দাস মমতার মন্তব্যকে ‘‘অলভনীয়’’ বলে অভিহিত করেছেন এবং তাঁর কাছে ক্ষমা চাওয়ার আবেদন জানান। একইভাবে, স্বামী জিতেন্দ্রনন্দ সরস্বতী এই মন্তব্যের নিন্দা করে বলেন, ‘‘মহাকুম্ভ সনাতন সংস্কৃতি ও বিশ্বাসের প্রতীক। সন্ন্যাসী সম্প্রদায় মমতার কথার নিন্দা করেছে।’’ গোবর্ধন মঠ পুরী’র স্বামী অঢোকশজনন্দ দেব তীর্থ মমতাকে প্রয়াগরাজ মহাকুম্ভে আসার পরামর্শ দিয়েছেন, যাতে তিনি এর আধ্যাত্মিক মহিমা উপলব্ধি করতে পারেন। তিনি বলেন, ‘‘৫০ কোটিরও বেশি সনাতনিরা এই ‘অমৃত কুম্ভ’ থেকে দৈবিক অভিজ্ঞতা লাভ করেছেন। একে ‘মৃত্যু কুম্ভ’ বলা অত্যন্ত নিন্দনীয়। রাজনীতিকদের ধর্মীয় বিষয় নিয়ে মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকা উচিত।’’

  • ICC Champions Trophy: ভুল সংশোধনে বাধ্য হল পাকিস্তান, করাচির স্টেডিয়ামে উড়ল ভারতের পতাকা

    ICC Champions Trophy: ভুল সংশোধনে বাধ্য হল পাকিস্তান, করাচির স্টেডিয়ামে উড়ল ভারতের পতাকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভুল শুধরে নিল পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় যে ছবি ঘুরছে, তাতে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে অংশগ্রহণকারী অন্যান্য দেশের সঙ্গে রয়েছে ভারতের পতাকাও। আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির (ICC Champions Trophy) মাঠে ভারতের সঙ্গে পাকিস্তানের (India vs Pakistan) মহারণ। তার আগে বিসিসিআই-এর দাবি মেনে নিতে বাধ্য হল পিসিবি।

    ভুল স্বীকার পিসিবির

    আইসিসির (ICC Champions Trophy) নিয়ম অনুযায়ী প্রতিটি আয়োজক দেশকে তাদের মাটিতে খেলা প্রতিটি দলের পতাকা ওড়ানোর ব্যবস্থা করতে হবে। কিন্তু চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির প্রথম দু’দিন পাকিস্তানের করাচি স্টেডিয়ামে ভারতের পতাকা দেখা যায়নি। এই ঘটনা নিয়ে ক্রিকেটপ্রেমীরা সোশ্যাল মিডিয়ায় পিসিবির বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করতে শুরু করেন। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড এই পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করে বলেছিল যে দলের খেলোয়াড়রা পাকিস্তানে খেলবেন, শুধুমাত্র তাদের পতাকা উড়বে। তবে ভারতের ক্ষেত্রে যেহেতু তারা দুবাইয়ে খেলা চালিয়ে যাবে, তাই পাকিস্তানের স্টেডিয়ামে ভারতীয় পতাকা রাখা হয়নি। কিন্তু পিসিবির এই যুক্তি শেষমেশ বাস্তবে কার্যকর হয়নি। বিসিআই-এর দাবি মেনে তড়িঘড়ি উদ্যোগ নিয়ে সমস্যা মিটিয়ে ফেলতে বাধ্য হয় পিসিবি। এবার সোশ্যাল মিডিয়ায় যে ছবি শেয়ার করা হয়েছে, তাতে ভারত সহ আট দেশের পতাকাই রয়েছে।

    পাকভূমে উড়ল ভারতের পতাকা

    বিসিসিআইয়ের ভাইস-চেয়ারম্যান রাজীব শুক্লা বিষয়টি নিয়ে সরাসরি হস্তক্ষেপ করেন। তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন, পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডকে নিশ্চিত করতে হবে, যাতে অন্যান্য দেশের পতাকার সঙ্গে ভারতের তেরঙ্গাও ওড়ে। রাজীব শুক্লার এই ‘হুঙ্কারে’ পিসিবি বাধ্য হয় সিদ্ধান্ত বদলাতে। মঙ্গলবার রাতেই সেই ‘ফয়সালা’ আসে এবং টুর্নামেন্ট শুরুর দিন পাকিস্তানে ভারতের পতাকা ওড়ানো হয়। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি নিয়ে ভারতের সঙ্গে টেক্কা নিতে গিয়ে বারবারই মুখ থুবড়ে পড়ছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। টুর্নামেন্ট শুরুর দিনও একইভাবে নিজের ভুল শুধরে নিতে বাধ্য হল পিসিবি। পাকভূমে ভারতীয় পতাকা না রাখার যে ‘স্পর্ধা’ তারা দেখিয়েছিল, হাজারো বিতর্কের পর সেই ইস্যুতে নতিস্বীকার করে নিলেন নাকভিরা। বুধবার অন্যান্য দেশের পতাকার পাশাপাশি বাবর আজমদের দেশে উড়ল তেরঙ্গাও। এবার লড়াই বাইশ গজে। আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি, রবিবাসরীয় সন্ধ্যায় পাকিস্তানকে টেক্কা দেওয়ার পালা বিরাট-রোহিতদের।

  • Mobile Phone Exports: মোবাইল ফোন রফতানিতে নতুন রেকর্ড ভারতের

    Mobile Phone Exports: মোবাইল ফোন রফতানিতে নতুন রেকর্ড ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মোবাইল ফোনের রফতানিতে অতীতের সমস্ত রেকর্ড ভেঙে যেতে চলেছে চলতি অর্থবর্ষেই। এই প্রথম ১.৮ লক্ষ কোটি টাকার মোবাইল ফোন রফতানি করতে পারে ভারত। ভারত সেলুলার এবং ইলেকট্রনিক্স অ্যাসোসিয়েশনের (ICEA)দেওয়া রিপোর্ট থেকে মিলেছে এই তথ্য। সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, ভারতের মোবাইল ফোন (Mobile Phone Exports) রফতানি (Indian Exports) ২০২৫ অর্থবর্ষে ৪০% বৃদ্ধির মাধ্যমে ১.৮ লাখ কোটি টাকার মাইলফলক অতিক্রম করতে পারে। “এই বৃদ্ধিটি গত আর্থিক বছরের তুলনায় প্রায় ৪০ শতাংশ, যেখানে রফতানি ছিল ১.২৯ লাখ কোটি টাকা এবং ২০২০-২১ অর্থবছরের পিএলআই স্কিমের সূচনার পর থেকে প্রায় ৬৮০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।”

    কত টাকার রফতানি 

    ভারত থেকে রফতানি (Indian Exports) হওয়া স্মার্টফোনের (Mobile Phone Exports) মধ্যে শীর্ষে রয়েছে অ্যাপলের আইফোন। তার পর স্যামসাং। রফতানি করা মোবাইলের সিংহভাগই এই দুই সংস্থার। তিনটি ভেন্ডর সংস্থার মাধ্যমে আইফোন অ্যাসেম্বল হয় ভারতে। এই তিন সংস্থার অ্যাসেম্বল করা আইফোনের ৮০ শতাংশই রফতানি হয়েছে। এর মধ্যে সবথেকে বেশি আইফোন রফতানি হয়েছে তামিলনাড়ুতে অবস্থিত ফক্সকনের ফ্যাক্টরি থেকে। কর্নাটকে অবস্থিত টাটা ইলেক্ট্রনিক্সের ফ্যাক্টরি এবং পেগাট্রনও প্রচুর আইফোন রফতানি করেছে। আইসিইএ জানিয়েছে যে, মোবাইল ফোন রফতানি ইলেকট্রনিক্স খাতে সবচেয়ে বড় প্রবৃদ্ধি চালক এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভারতের তৈরি স্মার্টফোনের একটি প্রধান বাজার। ২০২৫ অর্থবর্ষে-এর মধ্যে মোবাইল ফোন রফতানি ইতিমধ্যেই ১.৫ লাখ কোটি টাকার ওপরে পৌঁছেছে, যা পিএলআই স্কিমের সফল বাস্তবায়নের ফল।

    অবিশ্বাস্য উৎপাদন বৃদ্ধি

    প্রোডাকশন লিঙ্কড ইনসেনটিভ (PLI) স্কিমের অধীনে ভারতে স্মার্টফোনের উৎপাদন বেড়েছে। সেই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে রফতানি। কেন্দ্রীয় সরকারের (Indian Exports) তথ্য অনুযায়ী, ইলেক্ট্রনিক্স ও তথ্য প্রযুক্তি ক্ষেত্রে পিএলআই স্কিম অন্য সেক্টরের থেকে অনেক বেশি সফলতা পেয়েছে। ২০১৯ সালে মোবাইল রফতানিতে ভারতের স্থান ছিল ২৩। এখন সেই র‌্যাঙ্ক ৩। পিএলআই স্কিম চালুর পর থেকে ভারতের মোবাইল ফোন (Mobile Phone Exports) উৎপাদন দ্বিগুণ হয়ে গিয়েছে, ২০২৪ অর্থবর্ষে ২.২ লাখ কোটি টাকা থেকে ২০২৫-এ ৪.২২ লাখ কোটি টাকায় পৌঁছেছে। আইসিইএ অনুমান করছে, ২০২৫ অর্থবর্ষে উৎপাদন ৫.১ লাখ কোটি টাকায় পৌঁছাবে, যা ভারতকে একটি বৈশ্বিক উৎপাদন শক্তিতে পরিণত করবে। পিএলআই স্কিমের জেরে কর্মসংস্থানের সুযোগ হয়েছে অনেক বেশি। এর জন্য তিন লক্ষ মানুষ সরাসরি কাজ পেয়েছেন। পরোক্ষভাবে ৬ লক্ষ মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে।

  • Mamata’s ‘Mrityu-Kumbh’: ‘‘মহাকুম্ভকে মৃত্যুকুম্ভ বলছেন’’! ক্ষমা চান মুখ্যমন্ত্রী, মমতাকে তোপ সুকান্ত-শুভেন্দুর

    Mamata’s ‘Mrityu-Kumbh’: ‘‘মহাকুম্ভকে মৃত্যুকুম্ভ বলছেন’’! ক্ষমা চান মুখ্যমন্ত্রী, মমতাকে তোপ সুকান্ত-শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিধানসভায় মহাকুম্ভকে মৃত্যকুম্ভ বলে বিপাকে পড়লেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata’s ‘Mrityu-Kumbh’)। বিজেপি বিধায়কেরা সে সময়ে অধিবেশন কক্ষে ছিলেন না। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর ওই মন্তব্যের খবর ও ভিডিও ছড়িয়ে পড়তে না পড়তেই আক্রমণ তুঙ্গে তুলেছে বিজেপি। রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজমুদার বা বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী তো বটেই, মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করেছেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা অমিত মালব্যও। একযোগে মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়েছেন সাধু-সন্তরাও।

    ক্ষমা চান মুখ্যমন্ত্রী

    শুভেন্দু তাঁর এক্স হ্যান্ডলে লেখেন, ‘লজ্জাজনক, নিন্দনীয় এবং অসম্মানজনক! পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী বলছেন এটা মহাকুম্ভ নয়, মৃত্যুকুম্ভ! যে পবিত্র মহাকুম্ভ ১৪৪ বছর পর হচ্ছে, তার সম্পর্কে মুখ্যমন্ত্রীর কোনও ধারণাই নেই।’ শুভেন্দুর দাবি, ‘‘ মুখ্যমন্ত্রী (Mamata’s ‘Mrityu-Kumbh’) এই মন্তব্য প্রত্যাহার করুন, ক্ষমা চান। মহাকুম্ভকে মৃত্যুকুম্ভ বলতে পারেন না। ৪০ কোটি হিন্দু পুণ্যার্থী এখানে স্নান করেছেন। হিন্দু সমাজ, সন্ত সমাজকে বলছি প্রতিবাদ করুন। এটা হিন্দুদের উপর আঘাত, মহাকুম্ভের উপর আঘাত।’’

    বাংলা থেকে অমৃত-কুম্ভের সন্ধানে

    মঙ্গলবার বিধানসভার অধিবেশনে রাজ্যপালের ভাষণের উপর বক্তব্য রাখতে গিয়ে মহাকুম্ভের প্রসঙ্গ টেনে মৃত্যুকুম্ভ (Mamata’s ‘Mrityu-Kumbh’) বলেন মুখ্যমন্ত্রী। অধিবেশনে মহাকুম্ভ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যের পাল্টা বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “মহাকুম্ভের পুণ্যস্নান, এক হয়েছে হিন্দুস্থান। মহাকুম্ভকে কেন্দ্রকে গোটা পৃথিবীর হিন্দুরা অনেকদিন পর ঐক্যবদ্ধ হয়েছেন। দলদাস আইপিএসরা ওনাকে যে রিপোর্ট দিয়েছেন, তাতে পশ্চিমবঙ্গ থেকে কয়েক লক্ষ হিন্দু, সেটা ১ কোটির বেশি ২ কোটিও হতে পারে, স্রোতের মতো গিয়েছেন। তৃণমূলের অনেক পরিচিত সাংসদ, রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ তাঁরাও নিজেদের মহাকুম্ভে ডুব দেওয়ার ছবি দিয়েছেন। বাধ্য হয়েছেন ছাড়তে। তাই মুখ্যমন্ত্রী আজকে ভয় পাচ্ছেন কুম্ভকে দেখে।”

    কুম্ভের অপমান সহ্য করবে না হিন্দুস্থান

    বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) আরও বলেন, “এখনও পর্যন্ত মহাকুম্ভে ৪০ কোটি মানুষ গিয়েছেন। সবাই আশা করছেন, আরও ১০ কোটি মানুষ যাবে। সেখানে আপনি মহাকুম্ভকে মৃত্যুকুম্ভ বলেছেন। আপনি বলেছেন কুম্ভমেলা টাকা রোজগারের জন্য করা হয়েছে। এতবড় অপরাধ ক্ষমার অযোগ্য। এই মন্তব্যের খেসারত আপনাকে দিতে হবে। মহাকুম্ভের অপমান হিন্দুস্থান সহ্য করবে না। হিন্দুস্থান আপনাকে গণতান্ত্রিকভাবে সবক শেখাবে। মহাকুম্ভকে অপমান করার জন্য যেখানেই সুযোগ পাবেন, মুখ্যমন্ত্রীর কুশপুত্তলিকা পোড়ান। প্রয়াগরাজের সব আখড়াকে অনুরোধ করব, এই অপমানের উপযুক্ত জবাব দিতে হবে।”

    প্রতিবাদ মিছিল বিজেপির

    শুভেন্দুর আরও বক্তব্য, ‘তাঁর (মমতার) জানা উচিত যে, এ বার পশ্চিমবঙ্গ থেকে রেকর্ড সংখ্যক পুণ্যার্থী মহাকুম্ভে গিয়েছেন এবং এখনও যাচ্ছেন।’ মমতার শব্দবন্ধ কেন্দ্র করে কর্মসূচিও ঘোষণা করে দিয়েছেন শুভেন্দু। মুখ্যমন্ত্রীর ‘মৃত্যুকুম্ভ’ শব্দবন্ধ এবং বিজেপি বিধায়কদের সাসপেনশনের প্রতিবাদে বিজেপি পরিষদীয় দল বৃহস্পতিবার গোটা বিধানসভা জুড়ে মিছিল করবে বলে শুভেন্দু ঘোষণা করেছেন। বিধানসভা চত্বর থেকে বেরিয়ে সেই মিছিল যাবে রাজভবনে। রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের কাছে অভিযোগ জানানো হবে মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে। সে জন্য মঙ্গলবারই রাজ্যপালের কাছ থেকে সময় চাওয়া হয়েছে।

    মহাকুম্ভ পৃথিবীর ঐতিহ্য

    রাজ্য বিজেপির সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) আপাতত সরকারি সফরে আন্দামানে। সেখান থেকেই তিনি বলেছেন, ‘‘মহাকুম্ভ শুধু হিন্দুদের উৎসব নয়, এটা গোটা পৃথিবীর কাছে একটা ঐতিহ্য। কিন্তু শুধু নিজের ভোটব্যাঙ্ককে তোষণ করবেন বলে তিনি মহাকুম্ভ সম্পর্কে এই কথা বললেন।’’ বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে চ্যালেঞ্জ করে সুকান্ত বলেন, ‘‘মহাকুম্ভ ঘুরে আসুন। যেখানে ইতিমধ্যেই ৫০ কোটি ভক্ত ডুব দিয়েছেন, সেখানকার জন্য কী বিশাল ব্যবস্থাপনা করা হয়েছে দেখে আসুন।’’ বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা তথা বাংলার সহ-পর্যবেক্ষক অমিত মালব্য লিখেছেন, ‘‘মহাকুম্ভকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অযাচিত আক্রমণ হল ২০২৬ সালে তাঁর আশু পরাজয়ের প্রথম লক্ষণ। দিল্লিতে অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে যেতে দেখে তিনি ঘাবড়ে গিয়েছেন। তিনি চূড়ান্ত পরাজয়ের ভয় পাচ্ছেন।’’

    ভয় পাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী

    মহাকুম্ভ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) মন্তব্যের তীব্র নিন্দা করেছেন অন্ধ্রপ্রদেশের উপ মুখ্যমন্ত্রী পবন কল্যাণও। তিনি বলেন, ‘‘আমার মনে হয় সমস্যা হল সনাতন ধর্ম নিয়ে মন্তব্য করা খুবই সহজ। একই স্তরে অন্য কোনও ধর্মের সমালোচনা করতে পারে না। বুঝতে পারে না যে তাঁরা কোটি কোটি মানুষের অনুভূতিতে আঘাত করছে।’’ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্যে ক্ষুব্ধ অখিল ভারতীয় সন্ত সমিতি জাতীয় সাধারণ সম্পাদক স্বামী জিতেন্দ্রানন্দ সরস্বতী। তিনি বলেন, ‘‘মহাকুম্ভকে মৃত্যুকুম্ভ বলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্যের কড়া নিন্দা করছি। মমতাদিদি এটা সত্যি যে মহাকুম্ভ নয় আপনার জন্য এটা মৃত্যুকুম্ভের বরাবর। ঝাড়খণ্ড, ওড়িশা, পশ্চিমবঙ্গ, পূর্ব ভারত থেকে যেভাবে আসছেন কুম্ভস্নানের জন্য আসছেন। আপনার অস্থির হওয়ার জন্য যথেষ্ট কারণ রয়েছে। রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে আপনার রাজনৈতিক কেরিয়ারের জন্য মৃত্যুকুম্ভই হতে চলেছে।’’

  • Ranveer Allahabadia: ‘ইউটিউবের কনটেন্ট নিয়ন্ত্রণ করুক কেন্দ্র’, রণবীর মামলায় অভিমত সুপ্রিম কোর্টের

    Ranveer Allahabadia: ‘ইউটিউবের কনটেন্ট নিয়ন্ত্রণ করুক কেন্দ্র’, রণবীর মামলায় অভিমত সুপ্রিম কোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘মা-বাবার যৌনতা দেখবে সন্তান’! সম্প্রতি ইউটিউব শোয়ে এমন মন্তব্য করে ঘোর বিপাকে ইউটিউবার, কমেডিয়ান রণবীর এলাহাবাদিয়া (Ranveer Allahabadia)। তাঁর মন্তব্য ‘প্রচণ্ড নোংরা মানসিকতার প্রতিফলন’ এমনই অভিমত প্রকাশ করল সুপ্রিম কোর্ট। জনপ্রিয় ইউটিউবারের আবেদনের শুনানি চলাকালীন এই কথাই বলল শীর্ষ আদালত। বাকস্বাধীনতা থাকলেও সমাজবিরোধী মন্তব্য করার লাইসেন্স মেলে না, সাফ জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। একই সঙ্গে ইউটিউবে কত পর্নোগ্রাফি কন্টেন্ট রয়েছে সেই নিয়ে কেন্দ্রের কাছেও রিপোর্ট চাইল সুপ্রিম কোর্ট।

    আদালতের পর্যবেক্ষণ

    মঙ্গলবার রণবীরের আবেদনের শুনানি শুরু হয় বিচারপতি সূর্য কান্ত এবং এন কোটিশ্বর সিংয়ের এজলাসে। প্রথম থেকেই শীর্ষ আদালতের তীব্র ভর্ৎসনার মুখে পড়তে হয় রণবীরকে (Ranveer Allahabadia)। বিচারপতি কান্ত বলেন, “রণবীরের মানসিকতা, চিন্তাভাবনা অত্য়ন্ত নোংরা। সেটারই প্রকাশ ঘটেছে তাঁর কথায়। নিজের বাবা-মায়েরও বিপুল সম্মানহানি করেছেন তিনি। জনপ্রিয় হলেই যা খুশি বলা যায় সমাজের তোয়াক্কা না করে-এমনটা মোটেই ভাবা যায় না। যে ভাষায় কথা বলা হয়েছে, তাতে গোটা সমাজ লজ্জিত।” এমন ভাষা প্রয়োগ করা ব্যক্তির কথা আদালত শুনবে কেন, সেই প্রশ্নও তোলেন দুই বিচারপতি।

    ইউটিউবে কনটেন্টে নজরদারি

    রণবীর (Ranveer Allahbadia) নিয়ে শুনানির সময় কেন্দ্রের ভূমিকার কথা উল্লেখ করেন দুই বিচারপতি। ইউটিউব-সহ অন্যান্য সোশাল মিডিয়ায় কত পর্নোগ্রাফি রয়েছে, সেই নিয়ে বিস্তারিত তথ্য চাওয়া হয়েছে কেন্দ্রের কাছেও। সোশাল মিডিয়ায় ‘ইন্ডিয়াজ গট ল্যাটেন্টে’র মতো কন্টেন্ট নিয়ন্ত্রণ করতে কেন্দ্র কোনও পদক্ষেপ করছে কিনা, সেই প্রশ্নও রেখেছে শীর্ষ আদালত। এদিন অন্য একটি মামলার কারণে আদালতে উপস্থিত ছিলেন অ্যাডিশনাল সলিসিটর জেকনারেল ঐশ্বর্যা ভাটি। তাঁকে জানানো হয়, রণবীরের মামলার পরবর্তী শুনানির সময়ে যেন কেন্দ্রের জবাব আদালতে পেশ করা হয়। কেন্দ্র ইউটিউবে কনটেন্ট নিয়ন্ত্র করুক এমন কথাও বলে শীর্ষ আদালত।

    ণবীরকে রক্ষাকবচ

    ‘বাবা-মায়ের যৌনতা দেখবে?’ ইউটিউবার, পডকাস্টার রণবীরের এহেন মন্তব্যে তোলপাড় হয় দেশ। নিন্দার ঝড় উঠেছে সমাজমাধ্যমে। অসম থেকে মহারাষ্ট্র, দেশের একাধিক থানায় দায়ের হয়েছে এফআইআর। দেশজুড়ে দায়ের হওয়া যাবতীয় অভিযোগের বিচার যেন একসঙ্গে হয় এবং গ্রেফতারি এড়াতে যেন আগাম জামিন দেওয়া হয়- শীর্ষ আদালতের কাছে এই আবেদন জানিয়েছিলেন জনপ্রিয় ইউটিউবার। এদিন বিচারপতি সূর্য কান্ত ও বিচারপতি এন কোটিশ্বর সিংয়ের বেঞ্চ রণবীরের মন্তব্যের তীব্র নিন্দা করলেও গ্রেফতারি নিয়ে তাঁকে রক্ষাকবজ দেয়। একইসঙ্গে তাঁকে আপাতত অন্য কোনও অনুষ্ঠানে যোগ না দেওয়ার কথা বলেছে। দন্তে সহযোগিতা করার নির্দেশ দিয়েছে। রণবীর এলাহাবাদিয়াকে তাঁর পাসপোর্ট থানে পুলিশের কাছে জমা রাখতে হবে। সুপ্রিম কোর্টের অনুমতি ছাড়া তিনি দেশ ছাড়তে পারবেন না।

  • ICC Champions Trophy: বোলিং নিয়ে গম্ভীর-চিন্তা! চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে নজির গড়ার পথে ভারত

    ICC Champions Trophy: বোলিং নিয়ে গম্ভীর-চিন্তা! চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে নজির গড়ার পথে ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাত পোহালেই শুরু হচ্ছে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি (ICC Champions Trophy)। দীর্ঘ ৮ বছর পর ক্রিকেট বিশ্বের সেরা আটটি দেশকে নিয়ে আইসিসি-র চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আয়োজিত হচ্ছে পাকিস্তান ও সংযুক্ত আরবআমিরশাহি-তে। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভারতের প্রথম ম্যাচ অবশ্য বৃহস্পতিবার, ২০ ফেব্রুয়ারি, বাংলাদেশের বিপক্ষে। রাজনৈতিক কারণে ভারত এবার পাকিস্তানে খেলতে রাজি না হওয়ায়, টুর্নামেন্টে টিম ইন্ডিয়ার সব কটি ম্যাচই হচ্ছে দুবাইয়ে। এমনকি, রোহিতরা সেমিফাইনাল ও ফাইনালে উঠলেও দুবাইয়ে খেলবেন। আর ভারত ছাড়া টুর্নামেন্টের বাকি সব কটি খেলাই হবে পাকিস্তানের তিনটি কেন্দ্রে-লাহোর, করাচি ও রাওয়ালপিন্ডিতে। ভারত না উঠলে ফাইনাল হবে লাহোরে, আর টিম ইন্ডিয়া খেললে সেটি হবে দুবাইয়ে।

    বিরল নজির গড়ার সামনে ভারত

    এই টুর্নামেন্টে (ICC Champions Trophy) এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি ম্যাচ জিতেছে ভারত। আর দুটো ম্যাচ জিতলে ২০টি ম্যাচ জয়ের নজির গড়বে মেন ইন ব্লু। যা অন্য কোন দলের নেই। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ জয়ের তালিকায় শীর্ষে ভারত। তাদের পিছনে রয়েছে ইংল্যান্ড এবং শ্রীলঙ্কা, যারা ১৪টি ম্যাচ জিতেছে। এই দুই দলই ভারতের তুলনায় অনেক পিছিয়ে। অপরদিকে, ক্যারিবিয়ানরা, যারা একসময় চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জিতেছিল, তারা ১৩টি জয়ে চতুর্থ স্থানে রয়েছে, তবে তারা এই সংস্করণের জন্য যোগ্যতা অর্জন করতে পারেনি। অস্ট্রেলিয়া, যারা বর্তমানে ওডিআই বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন, অবাক করা হলেও, ১২টি জয়ে পঞ্চম স্থানে অবস্থান করছে। পাকিস্তান, ২৩ ম্যাচে মাত্র ১১টি জয় নিয়ে আট নম্বরে রয়েছে।

    সমস্যায় ভারতের বোলিং বিভাগ

    বাবা মারা যাওয়ায় জরুরি ভিত্তিতে দুবাই ছেড়ে দক্ষিণ আফ্রিকা ফিরেছেন ভারতীয় দলের বোলিং কোচ মর্নি মর্কেল। বিসিসিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার বাবা অ্যালবার্টের মৃত্যুর খবর পান মর্কেল। এরপরেই তিনি দক্ষিণ আফ্রিকায় নিজের বাড়ির উদ্দেশে রওনা হন। তিনি বাবার শেষকৃত্য সম্পন্ন করে ফের ভারতীয় দলে যোগ দিতে পারেন। তবে বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ম্যাচের আগে ভারতীয় দলের বোলিং কোচ দুবাইয়ে ফিরবেন কি না, সে বিষয়ে কিছু জানা যায়নি। চোটের জন্য আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে খেলতে পারছেন না ভারতীয় দলের সেরা পেসার জসপ্রীত বুমরা। ফলে ভারতের পেস বোলিং আক্রমণের শক্তি কমে গিয়েছে। এরই মধ্যে বোলিং কোচ দেশে ফিরে যাওয়ায় ভারতের বোলিং বিভাগে সমস্যা তৈরি হয়েছে।

    গ্রুপে ভারতের প্রতিপক্ষ কারা

    ২০ ফেব্রুয়ারি, বৃহস্পতিবার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে (ICC Champions Trophy) নিজেদের প্রথম ম্যাচ খেলতে নামবে ভারত। প্রতিপক্ষ বাংলাদেশ। ২৩ ফেব্রুয়ারি, রবিবার ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ। ২ মার্চ গ্রুপের শেষ খেলায় নিউ জিল্যান্ডের বিরুদ্ধে খেলবে ভারত। আপাতত প্রথম দুই ম্যাচই পাখির চোখ রোহিতদের। বাংলাদেশ ও চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানকে হারিয়ে টুর্নামেন্টে নিজেদের যাত্রা শুরু করতে চান রোহিতরা। এই দুই ম্যাচ ভারতের কাছে মর্যাদার লড়াই।

LinkedIn
Share