Author: ishika-banerjee

  • ICC Champions Trophy: ট্রফির লক্ষ্যে আজ দুবাইয়ের বিমানে চাপলেন রোহিতরা

    ICC Champions Trophy: ট্রফির লক্ষ্যে আজ দুবাইয়ের বিমানে চাপলেন রোহিতরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মিশন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। শনিবার দুবাইগামী বিমানে উঠছে ভারতীয় দল। ২০ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করবেন রোহিত শর্মা অ্যান্ড কোং। তার আগে দিনচারেক দুবাইয়ের পরিবেশ, পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া এবং প্রস্তুতি সারবেন রোহিত-কোহলিরা। এরপর রয়েছে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ।

    সরাসরি টুর্নামেন্টে রোহিতরা

    দুবাইয়ে কোন ওয়ার্ম-আপ ম্যাচ খেলবে না ভারত। সরাসরি টুর্নামেন্টে নামবে। গৌতম গম্ভীর, রোহিত শর্মাদের বিশ্বাস, দল খেলার মধ্যে রয়েছে। ইংল্যান্ড সিরিজে প্রস্তুতিও ভালো হয়েছে। সাফল্যের ধারাটা আইসিসি টুর্নামেন্টে বজায় রাখার পালা এবার। অধিনায়ক রোহিত স্বীকার করেছেন, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি কঠিন ফর্ম্যাট। একটা ম্যাচের উনিশ-বিশে যে কোনও সময়ে স্বপ্নভঙ্গ হতে পারে। অথচ সতর্কভাবে প্রতিটি ম্যাচে পদক্ষেপ ফেলায় জোর দিতে হবে। ফোকাস পুরোপুরি বাইশ গজে রাখতে হবে। ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডও ঠিক সেটাই চাইছে। ফলস্বরূপ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে পরিবার-বন্ধুবান্ধব, ব্যক্তিগত সচিব, রাঁধুনি নিয়ে যাওয়ায় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।

    পাঁচজন স্পিনার কেন

    অস্ট্রেলিয়া সফরের বিপর্যয়, সাজঘরের পরিবেশ নিয়ে বিতর্কের পর ১০ দফা বিধিনিষেধ আনার সিদ্ধান্ত নেয় ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। গত ইংল্যান্ড সিরিজেও যা বলবৎ করা হয়েছিল। আসন্ন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে যা আরও কড়াকড়ি করা হচ্ছে। বোর্ডের নিয়মের জাঁতাকলে স্বয়ং ভারতীয় দলের হেডকোচ গৌতম গম্ভীরও। অন্যদিকে ইতিমধ্যেই দল নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তারকা স্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিন। দুবাইতে পাঁচ স্পিনার নিয়ে যাচ্ছে ভারতীয় দল। স্কোয়াডে রয়েছেন রবীন্দ্র জাদেজা, অক্ষর প্যাটেল, কুলদীপ যাদব, বরুণ চক্রবর্তী এবং ওয়াশিংটন সুন্দর। দল নির্বাচন প্রসঙ্গে নিজের ইউটিউব চ্যানেলে অশ্বিন বলেন, ‘আমি বুঝতে পারছি না কী কারণে দুবাইয়ে পাঁচজন স্পিনার নেওয়া হয়েছে। অথচ যশস্বী জয়সওয়ালকে বসিয়ে দেওয়া হয়েছে। লম্বা সফরের জন্য তিন-চারজন স্পিনার নেওয়া হয়ে থাকে, কিন্তু পাঁচজন স্পিনার দুবাইয়ের জন্য একটু বেশিই মনে হচ্ছে।’ তাঁর প্রশ্ন দুবাইয়ের পিচে অতিরিক্ত স্পিনারের বদলে ব্যাটিংয়ে জোড় দিলে ভালো হত। অতিরিক্ত ব্যাটসম্যান প্রয়োজন ছিল।

  • Jammu Kashmir High Court: ২০,০০০ টাকা জরিমানা! ডিভোর্সি শব্দের ব্যবহার নিয়ে কঠোর মন্তব্য কাশ্মীর হাইকোর্টের

    Jammu Kashmir High Court: ২০,০০০ টাকা জরিমানা! ডিভোর্সি শব্দের ব্যবহার নিয়ে কঠোর মন্তব্য কাশ্মীর হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডিভোর্সি কারুর পদবী নয়, তাহলে কেন বিবাহবিচ্ছেদের পর মহিলাদের নামের সঙ্গে বারবার ডিভোর্সি শব্দটি উচ্চারিত হবে, প্রশ্ন তুলল কাশ্মীর হাইকোর্ট। সম্প্রতি একটি শিশুর অভিভাবকত্ব মামলা সংক্রান্ত বিষয়ে পর্যালোচনা আবেদন খারিজ করে এই মত দেয় কাশ্মীর ও লাদাখ হাইকোর্ট। আদালত ডিভোর্সি শব্দটি আইনগত প্রক্রিয়ায় ব্যবহার করাকে কঠোরভাবে নিন্দা করেছে এবং এর ব্যবহার বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে।

    হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ

    পারভেজ আহমদ খান ও তার প্রাক্তন স্ত্রী আরীবের মধ্যে সন্তানদের অভিভাবকত্ব নিয়ে একটি দীর্ঘকালীন বিতর্ক চলছিল। আরীবই তাদের ছোট ছেলের মূল অভিভাবক, বলে জানিয়েছেন বিচারপতি বিনোদ চট্টোপাধ্যায়। পারভেজ খানকে ২০,০০০ টাকা জরিমানাও করেছে আদালত। পারভেজ খান তার পর্যালোচনা আবেদনপত্রে দাবি করেছিলেন যে, পূর্ববর্তী রায়টি তার আবেদনটির অধিকারিতা সম্পর্কে কোনও সিদ্ধান্ত না নিয়ে সরাসরি মূল বিষয়ে রায় দিয়েছে। তিনি আরও দাবি করেন, তার মামলা শুধুমাত্র আবেদনটির গ্রহণযোগ্যতা বিষয়ে শুনানির জন্য রেখেছিল, কিন্তু মূল বিষয়ের উপর কোনও আলোচনা হয়নি। তবে আদালত এই দাবি খারিজ করে দিয়ে জানায় যে, আবেদনটি শুনানি শেষে ২০২২ সালের ১ জুন রিজার্ভ করা হয়েছিল এবং আদালত ঠিকমতো মূল বিষয়টির উপরই রায় দিয়েছিল। বিচারপতি কৌল তার ৩৩ পৃষ্ঠার রায়ে উল্লেখ করেন, “মামলার মূল বিষয়টি খোলামেলা শুনানি হয়েছিল এবং আদালত অবশ্যই তার সিদ্ধান্তে স্বচ্ছ ছিল।”

    ডিভোর্সি শব্দটা অপমানজনক

    একই সাথে আদালত সাফ জানায়, যে কোনও মামলায় “তালাকপ্রাপ্তা” শব্দ ব্যবহার একটি অত্যন্ত অবমাননাকর আচরণ। আদালত বলেন, “একজন নারীর নামের সঙ্গে তালাকপ্রাপ্তি শব্দ যুক্ত করা যেন তার পদবী বা জাতির অংশ হয়ে দাঁড়ায়—এটি অত্যন্ত দুঃখজনক এবং অসঙ্গতিপূর্ণ। যদি একে সঠিক মনে করা হয়, তবে তালাক দেওয়া পুরুষের নামেও ‘তালাকদাতা’ শব্দ যুক্ত করা উচিত, যা অবশ্যই অশোভন হবে।” এই রায়ের পর আদালত নির্দেশ দেয় যে, কোনও আইনি নথিতে “তালাকপ্রাপ্তা” শব্দ ব্যবহার করা হলে সেই নথি নিবন্ধন বা ডায়রি করা যাবে না।

  • Indian Migrants: আমেরিকা থেকে অবৈধ অভিবাসীদের নিয়ে দ্বিতীয় বিমান ভারতে আসবে শনিবার

    Indian Migrants: আমেরিকা থেকে অবৈধ অভিবাসীদের নিয়ে দ্বিতীয় বিমান ভারতে আসবে শনিবার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আমেরিকা থেকে বেআইনি ভারতীয় অভিবাসীদের (Indian Migrants) নিয়ে দ্বিতীয় বিমানটি শনিবার পাঞ্জাবে অবতরণ করবে। দ্বিতীয় দফায় ১১৯ জন অবৈধ অভিবাসী নিয়ে মার্কিন বিমান অবতরণ করবে পাঞ্জাবের অমৃতসর বিমানবন্দরে৷ এর আগে গত ৫ ফেব্রুয়ারি প্রথম দফায় মার্কিন সেনাবাহিনীর সি-১৭ গ্লোবমাস্টার বিমানে অমৃতসর বিমানবন্দরে নামেন ১০৪ জন অবৈধ ভারতীয় অভিবাসী৷ এই অবৈধ অভিবাসীদের মধ্যে গুজরাট ও হরিয়ানার ৩৩ জন এবং পাঞ্জাবের ৩০ জন বাসিন্দা ছিলেন৷

    কখন আসবে বিমান

    সরকারি সূত্রে খবর, শনিবার রাত ১০টা নাগাদ বিমানটি অমৃতসর বিমানবন্দরে অবতরণ করতে পারে ৷ এই ১১৯ জন অবৈধ ভারতীয় অভিবাসীদের (Indian Migrants) মধ্যে ৬৭ জন পঞ্জাবের, ৩৩ জন হরিয়ানার, ৪ জন গুজরাটের, ৩ জন উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে। এর পাশাপাশি গোয়া, মহারাষ্ট্র ও রাজস্থান থেকে ২ জন করে এবং হিমাচল প্রদেশ ও জম্মু-কাশ্মীর থেকে একজন বাসিন্দা রয়েছেন ৷ এরপর ১৬ ফেব্রুয়ারি তৃতীয় দফায় অবৈধ ভারতীয়দের নিয়ে আরও একটি বিমান আমেরিকা থেকে ভারতে আসবে বলে জানা গিয়েছে ৷ ভালোভাবে বাঁচার জন্য আমেরিকায় গিয়েছিলেন এই অবৈধ অভিবাসীরা ৷ আমেরিকার সীমান্তে তাঁরা প্রশাসনের হাতে ধরা পড়েন এবং তাঁদের স্বপ্ন ভেঙে চুরমার হয়ে যায় ৷

    অবৈধ অভিবাসীদের নিয়ে সমস্যা

    এখনও পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী, বেআইনি ভারতীয় অভিবাসীদের (Indian Migrants) মোট তিন দফায় ফেরত পাঠাতে চলেছে আমেরিকা। প্রথম বিমানটি এসেছে ৫ ফেব্রুয়ারি। ১৫ তারিখ আসার কথা দ্বিতীয় বিমানের। আগের বারের মতো এ বারেও সেটি অমৃতসর বিমানবন্দরেই নামবে। পঞ্জাবের অর্থমন্ত্রী হরপাল চিমা অবশ্য এই নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। ভারতের বিদেশসচিব বিক্রম মিশ্রি জানিয়েছেন, আমেরিকার প্রশাসন ভারতকে বলেই সব কিছু করছে। আমেরিকায় নতুন সরকার ক্ষমতায় আসার পরে এ পর্যন্ত মোট ৪৮৭ জন ভারতীয়কে বেআইনি অভিবাসী বলে চিহ্নিত করেছে এবং বিতাড়নের নির্দেশিকাও জারি হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আমেরিকা সফরে গিয়ে পরিষ্কার জানিয়েছেন, শুধু ভারত নয়, অবৈধ অভিবাসীদের সমস্যা সারা বিশ্বে ৷ মার্কিন মুলুকে থাকা অবৈধ অভিবাসীদের ফেরত নেবে ভারত ৷ তিনি আরও জানান, এই অবৈধ অভিবাসীদের অধিকাংশই মানব পাচারের শিকার৷ উন্নত জীবনের স্বপ্ন দেখিয়ে তাঁদের কাছ থেকে বিপুল টাকা নেয় দালালরা৷ এরপর ওই অভিবাসীদের বেআইনি পথে আমেরিকা নিয়ে যাওয়া হয়৷

  • Dalai Lama: প্রাণঘাতী হামলার আশঙ্কা, দলাই লামাকে জেড ক্যাটাগরির নিরাপত্তা

    Dalai Lama: প্রাণঘাতী হামলার আশঙ্কা, দলাই লামাকে জেড ক্যাটাগরির নিরাপত্তা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিব্বতের আধ্যাত্মিক নেতা দলাই লামাকে (Dalai Lama) জেড-ক্য়াটাগরির নিরাপত্তা দেওয়ার কথা ঘোষণা করল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। গোয়েন্দা সূত্রের দাবি, প্রাণঘাতী হামলা হতে পারে ৮৯ বছরের বৌদ্ধ ধর্মগুরুর উপরে। এরপরই নিরাপত্তা বাড়ানোর পদক্ষেপ করা হয়। এবার থেকে দলাই লামার নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবেন ৩৩ জন নিরাপত্তা কর্মী। যার মধ্যে রয়েছে হিমাচলপ্রদেশের ধরমশালায় তাঁর বাসভবনে সশস্ত্র রক্ষী (Dalai Lama Granted With CRPF) ও এসকর্ট কমান্ডো বাহিনী। এছাড়াও সর্বক্ষণের জন্য থাকবেন ব্যক্তিগত নিরাপত্তা আধিকারিক।

    স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সূত্রে খবর, জেড ক্যাটাগরির আওতায় দলাই লামার (Dalai Lama) নিরাপত্তার জন্য সশস্ত্র রক্ষীসহ মোট ৩৩ জন সিকিউরিটি মোতায়েন করা হবে। তাঁরা ২৪ ঘণ্টা পাহারার কাজে নিযুক্ত থাকবেন। এছাড়াও, তিনটি শিফটে ১২ জন কমান্ডো তাঁকে নিরাপত্তা দেবেন। আপৎকালীন পরিস্থিতির জন্য ২৪ ঘণ্টা থাকবে প্রশিক্ষিত চালকও। উল্লেখ্য, বিগত কয়েকমাস ধরেই জনসমক্ষে আসেননি দলাই লামা। এমনকী ভক্তদের সঙ্গেও দেখাসাক্ষাৎ করেননি। ফলে স্বাভাবিক ভাবেই তাঁর স্বাস্থ্য নিয়ে চিন্তায় ছিল গোটা বৌদ্ধ সমাজ। এরইমধ্যে আইবি-র ইনপুটে হামলার আশঙ্কা ঘিরে বেড়েছিল উদ্বেগ। যার জেরে জেড ক্যাটাগরি নিরাপত্তায় সবুজ সঙ্কেত দিল কেন্দ্র।

    দলাই লামার (Dalai Lama) উপরে হামলার আশঙ্কা অবশ্য নতুন নয়। এর আগেও অনেকবারই নানা সূত্রে তাঁর উপরে হামলার নানা চক্রান্তের কথা জানা গিয়েছে। ফলে আগাগোড়াই তাঁর নিরাপত্তার দিকটি কেন্দ্রের অগ্রাধিকার পেয়ে এসেছে। এবার নতুন করে হামলার আশঙ্কা দেখা দিতেই বাড়ানো হল নিরাপত্তা। আগামী জুলাইয়ে ৯০ বছরে পা দেবেন দলাই লামা। ১৯৫৯ সালে চিনা হানাদার বাহিনীর হাত থেকে বাঁচতে তিব্বত থেকে দলবল সমেত পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নিয়েছিলেন তিনি। তারপর থেকেই তাঁকে ‘বিচ্ছিন্নতাবাদী’ বলে মনে করে বেজিং। সূত্রের খবর,সম্প্রতি দলাই লামার উপর হামলা হতে পারে বলে আইবি (Intellegence Bureau)-র পেশ করা এক রিপোর্টের ভিত্তিতেই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের এমন সিদ্ধান্ত।

  • President Murmu: “সাহসী হও, নিজেদের স্বপ্নপূরণে এগিয়ে চলো” নারীশক্তিকে দেশগঠনের আহ্বান রাষ্ট্রপতির

    President Murmu: “সাহসী হও, নিজেদের স্বপ্নপূরণে এগিয়ে চলো” নারীশক্তিকে দেশগঠনের আহ্বান রাষ্ট্রপতির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বর্তমানে মহিলারা বিভিন্ন ক্ষেত্রে শিখরে পৌঁছেছে। ‘মিসাইল থেকে মিউজিক’- সমস্ত ক্ষেত্রেই মহিলারা প্রতিবন্ধকতা জয় করেছে। দেশ গঠনে মহিলাদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। শুক্রবার বেঙ্গালুরুতে আন্তর্জাতিক নারী সম্মেলন অফ দ্য আর্ট অফ লিভিং-এর উদ্বোধনী অধিবেশনে এমনই মত প্রকাশ করলেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। দেশের মেয়েদের প্রতি রাষ্ট্রপতির আহ্বান, “সাহসী হও, নিজেদের স্বপ্নপূরণে এগিয়ে চলো। স্বপ্ন দেখো, তবেই তা পূরণ করার শক্তি পাবে।”

    উন্নত পৃথিবীর লক্ষ্যে নারী শক্তি

    এদিনের অনুষ্ঠানে সমাজ ও দেশে ‘নারী শক্তি’-র অবদানের কথা তুলে ধরে রাষ্ট্রপতি বলেন, “আগে বলা হত, প্রত্যেক সফল ব্যক্তির পিছনে এক মহিলা রয়েছে। কিন্তু, আজ বলা উচিত, প্রত্যেক সফল ব্যক্তির পাশে এক মহিলা রয়েছে।” তাঁর কথায়, “ভারতের ‘নারী শক্তি’ আজ উজ্জীবিত, তারা উচ্চাকাঙ্ক্ষী, সফল। বিজ্ঞান, ক্রীড়া, রাজনীতি, শিল্প বা সংস্কৃতির ক্ষেত্রে, আমাদের বোনেরা ও মেয়েরা মাথা উঁচু করে এগিয়ে যাচ্ছে। তারা তাদের পরিবার, প্রতিষ্ঠান এবং দেশকে গর্বিত করছে।” তাঁর বার্তা, “সীমাবদ্ধতা ভাঙা এবং স্টেরিওটাইপের বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ জানানো সম্ভব হয় না মনোবল ছাড়া। আমি প্রতিটি মহিলাকে আহ্বান জানাই, সাহসী হন, বড় স্বপ্ন দেখুন এবং আপনার সমস্ত শক্তি ও সম্ভাবনা কাজে লাগিয়ে স্বপ্ন পূর্ণ করুন। প্রতিটি ছোট পদক্ষেপ আপনাকে লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। সেই প্রতিটি পদক্ষেপই উন্নত ভারত এবং উন্নত পৃথিবীর দিকে একু একটু করে এগিয়ে চলা।”

    নেতৃত্বে নারী শক্তি

    রাষ্ট্রপতি মুর্মু বলেন, “আমরা প্রযুক্তিগত বিপর্যয়ের যুগে আছি। প্রযুক্তির অগ্রগতি আমাদের জীবনযাত্রার মান উন্নত করেছে। এই প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে, আমাদের অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে যে আমাদের মানবিক মূল্যবোধ অক্ষুণ্ণ রয়েছে। প্রকৃতপক্ষে, প্রতিটি মানুষকে করুণা, ভালোবাসা এবং ঐক্যের মানবিক মূল্যবোধ প্রচারের জন্য সচেতনভাবে অতিরিক্ত প্রচেষ্টা করা উচিত। এখানেই নারীর ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। নারীদের করুণার মাধ্যমে নেতৃত্ব দেওয়ার একটি বিশেষ ক্ষমতা রয়েছে। তারা ব্যক্তিত্বের বাইরে গিয়ে পরিবার, সম্প্রদায় এমনকি বিশ্বব্যাপী সম্পর্কের কল্যাণের জন্য কাজ করার ক্ষমতা রাখে।”

  • Gamai: অন্য বন্ধন! উমেশ রাও এবং তার গাভী ‘গাইমাই’র অবিচ্ছেদ্য ২৩ বছরের বন্ধুত্ব

    Gamai: অন্য বন্ধন! উমেশ রাও এবং তার গাভী ‘গাইমাই’র অবিচ্ছেদ্য ২৩ বছরের বন্ধুত্ব

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভালোবাসা এবং আনুগত্য সময়ের সাথে পরিবর্তিত হয় না। নিলেশ্বরমের ছোট্ট এক গ্রামের বাসিন্দা কৃষক উমেশ রাও এবং তাঁর গাভী ‘গাইমাই’ এর বন্ধন তার প্রমাণ। ৮৬ বছর বয়সী উমেশ ৩০ বছর আগে, গাভী কেনার জন্য চেরুভথুরে যান। সেখান থেকে গাইমাইয়ের মাকে নিয়ে আসেন উমেশ।

    মধুর সম্পর্কের সূচনা

    এই মুহূর্ত থেকেই এক আজীবন সম্পর্কের সূচনা হয়। বছরগুলি পেরিয়ে গাইমাই জন্ম নিলে, উমেশের সঙ্গে তার সম্পর্ক আরও গভীর হয়ে ওঠে, এবং তিনি গাইমাইয়ের মাকে আলাদা করার সিদ্ধান্ত নেন, যাতে গাইমাই তার খামারে থেকে যায়। আজ, গাইমাই শুধু এক গাভী নয়, উমেশের পরিবারে প্রিয় একজন সদস্য।

    গাইমাই-এর পরিবার

    বছরের পর বছর, গাইমাই এখন কয়েকটি বাচ্চা জন্ম দিয়েছে, এবং উমেশ তার মেয়েদের রাখতে প্রতিজ্ঞা করেছেন, যাতে গাইমাইয়ের বংশধারা তার খামারে অব্যাহত থাকে। বর্তমানে, গাইমাইয়ের বংশধারা পাঁচ প্রজন্মে বিস্তৃত হয়েছে, যার কেন্দ্রে রয়েছে গাইমাই। তার পরিবার উমেশের যত্ন এবং প্রতিশ্রুতির প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছে। যদিও গাইমাই আজকাল বুড়ো হয়ে গেছে এবং তার স্বাস্থ্যও বয়সের প্রভাবে কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তবুও উমেশের ভালোবাসা ও যত্নের কোনো ঘাটতি নেই। তার শক্তিশালী গড়ন আর নেই, তার দাঁতও নেই, কিন্তু উমেশ তাকে তেমনি যত্নের সাথে সেবা করেন, যেমনটি তিনি তাকে বাচ্চা অবস্থায় পালন করেছিলেন।

    আনন্দময় মুহূর্ত

    উমেশ প্রায়ই মজা করে বলেন, “আমাদের আর দাঁত নেই,” যা তাদের মধ্যে এক আনন্দময় মুহূর্ত তৈরি করে। সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরেও, তাদের সম্পর্ক অপরিবর্তিত রয়ে গেছে।বছরের পর বছর, অনেকেই গাইমাইকে কিনতে এসে উমেশকে প্রস্তাব দিয়েছে, কিন্তু তিনি কখনোই রাজি হননি। উমেশের জন্য এটি কোনো লাভের বিষয় নয়, এটি তার গাইমাইয়ের সাথে গড়ে ওঠা এক গভীর আবেগময় সম্পর্ক। তিনি দেখেছেন গাইমাইয়ের পরিবারের পাঁচটি প্রজন্ম বেড়ে ওঠতে এবং তার জন্য, এটি এক অমূল্য অ ভিজ্ঞতা, যা তিনি কখনোই পরিবর্তন করবেন না।

  • BSNL: ১৭ বছর বাদে লাভের মুখ দেখল বিএসএনএল

    BSNL: ১৭ বছর বাদে লাভের মুখ দেখল বিএসএনএল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত সঞ্চার নিগম লিমিটেড (BSNL) চলতি আর্থিক বছরের তৃতীয় ত্রৈমাসিকে ২৬২ কোটি টাকার মুনাফা করেছে, যা ২০০৭ সালের পর তাদের প্রথম মুনাফা। এই সাফল্যের পিছনে কোম্পানির উদ্ভাবনী প্রচেষ্টা, নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। সম্প্রতি ব্যয় সাশ্রয়ের দিকেও ঝুঁকেছে বিএসঅনএল। পাশাপাশি গ্রাহক কেন্দ্রিক পরিষেবা উন্নতির দিকেও নজর দেওয়া হয়েছে।

    বিএসএনএল-এর লাভ

    কোম্পানির ত্রৈমাসিক আর্থিক ফলাফল প্রকাশ করে বিএসএনএলের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক, এ. রবার্ট জেরার্ড রবি বলেন, “আমরা আমাদের আর্থিক ফলাফল নিয়ে সন্তুষ্ট, যা আমাদের উদ্ভাবনী প্রচেষ্টা, গ্রাহক সন্তুষ্টি এবং আক্রমণাত্মক নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণের প্রতি মনোযোগের প্রতিফলন। এই প্রচেষ্টার মাধ্যমে, আমরা আশা করছি আগামী আর্থিক বছরে ২০% এরও বেশি রাজস্ব বৃদ্ধির লক্ষ্য অর্জন করতে সক্ষম হব। গত বছরের তুলনায় মোবিলিটি, এফটিটিএইচ এবং লিজড লাইনের রাজস্ব যথাক্রমে ১৫%, ১৮% এবং ১৪% বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়াও, বিএসএনএল তাদের আর্থিক খরচ এবং মোট ব্যয় কমাতে সক্ষম হয়েছে, যার ফলে গত বছরের তুলনায় তাদের ক্ষতি ১,৮০০ কোটি টাকারও বেশি কমেছে।” তিনি আরও বলেন, “গ্রাহক অভিজ্ঞতা উন্নত করতে আমরা নতুন উদ্ভাবনগুলো চালু করেছি যেমন: ন্যাশনাল ওয়াইফাই রোমিং, বিআইটিভি, সকল মোবাইল গ্রাহকের জন্য বিনামূল্যে বিনোদন প্রভৃতি। আমাদের সেবা গুণমান এবং সেবা নিশ্চয়তার প্রতি অবিরত মনোযোগ বিএসএনএল-এর প্রতি গ্রাহকদের আস্থা আরও শক্তিশালী করেছে এবং এটি ভারতীয় টেলিকম সেবা প্রদানকারী হিসেবে আমাদের অবস্থানকে আরও দৃঢ় করেছে।”

    আত্মনির্ভর ভারত এর প্রতীক

    বিএসএনএল-এর প্রধান সেবাগুলির রাজস্ব উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে, যেখানে মোবিলিটি সেবায় ১৫%, এফটিটিএইচ সেবায় ১৮%, এবং লিজড লাইনে ১৪% বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়া, আর্থিক খরচ এবং মোট ব্যয় কমানোর ফলে তাদের ক্ষতি প্রায় ১,৮০০ কোটি টাকারও বেশি কমেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, সরকারের কৌশলগত পুনরুজ্জীবন কর্মসূচি, স্পেকট্রাম বরাদ্দ এবং মূলধন বরাদ্দের সমর্থনের সঙ্গে, বিএসএনএল দীর্ঘমেয়াদী প্রবৃদ্ধি এবং আর্থিক স্থিতিশীলতা অর্জনে সক্ষম হবে। এই চ্যালেঞ্জিং সময়ে কোম্পানির মুনাফায় ফিরে আসা ভারতের ডিজিটাল প্রবৃদ্ধি এবং ডিজিটাল ইন্ডিয়া এবং আত্মনির্ভর ভারত মিশনের জন্য তাদের অবদানকে প্রতিফলিত করে।

  • PM Modi: ভারতেই মার্কিন মুলুকের মতো পড়াশোনা! কী ভাবছেন মোদি-ট্রাম্প?

    PM Modi: ভারতেই মার্কিন মুলুকের মতো পড়াশোনা! কী ভাবছেন মোদি-ট্রাম্প?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আমেরিকার বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে ভারতেও ক্যাম্পাস খুলতে আমন্ত্রণ জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউসে প্রধানমন্ত্রী মোদি ও ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে দুই রাষ্ট্রনেতাই উভয় দেশের মধ্যে প্রতিভার চলাচল এবং শিক্ষার্থী, গবেষক ও কর্মীদের গতিবিধি সম্পর্কে সন্তোষ জ্ঞাপন করেছেন। দুই দেশের মানুষের স্বার্থে শিক্ষাক্ষেত্রে ভারত-মার্কিন আদান প্রদানের উপর জোড় দিয়েছেন মোদি ও ট্রাম্প।

    মার্কিন মুলুকে ভারতীয় শিক্ষার্থী

    ২০৩০ সালের মধ্যে ভারত ও আমেরিকার মধ্যে বাণিজ্য দ্বিগুণ হতে চলেছে। যা ৫০০ বিলিয়ন ডলার হবে। আমেরিকায় ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকের পর যৌথ সাংবাদিক বৈঠকে শুক্রবার এমনই বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এই বৈঠকের পর ট্রাম্প জানান, বিশ্বের সব থেকে পুরনো গণতন্ত্র আমেরিকা। বিশ্বের সব থেকে বৃহত্তম গণতন্ত্র ভারত। তিনি বলেন, “আমি ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ঘোষণা করছি, যা একবিংশ শতাব্দীতে প্রত্যেক ক্ষেত্রে আমাদের অংশীদারিত্ব আমাদের অর্থনৈতিক চুক্তিগুলিকে আরও শক্তিশালী করবে।” এই প্রেক্ষাপটে তারা উল্লেখ করেছেন যে, ৩০০,০০০-এর বেশি ভারতীয় শিক্ষার্থী যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিতে প্রতি বছর ৮ বিলিয়ন ডলার অবদান রাখে এবং বহু সরাসরি ও পরোক্ষ চাকরি করে।

    ভারতেই মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস

    উল্লেখ্য, ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে যুক্তরাষ্ট্রে পড়াশোনা করা ভারতীয় শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৩,৩১,৬০২। এই শিক্ষাবর্ষে ২০২২-২৩ সালের তুলনায় ২৩ শতাংশ শিক্ষার্থী বৃদ্ধি পেয়েছে, তখন সংখ্যা ছিল ২,৬৮,৯২৩। এদিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এবং প্রধানমন্ত্রী মোদি দুই দেশের মধ্যে জনগণ-জনগণের সম্পর্ক উন্নত করার গুরুত্ব সম্পর্কে আলোচনা করেছেন। এক্ষেত্রে শিক্ষা জগতের ভূমিকা প্রচুর। প্রধানমন্ত্রী মোদি, আমেরিকার শীর্ষস্থানীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির অফশোর ক্যাম্পাস ভারতেও প্রতিষ্ঠার দিকে নজর দেওয়ার কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী মোদি আরও বলেন, “আমেরিকায় ভারতীয় কমিউনিটি আমাদের সম্পর্কের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের জনগণ-জনগণের সম্পর্ক আরও গভীর করতে আমরা শীঘ্রই লস অ্যাঞ্জেলেস এবং বোস্টনে নতুন ভারতীয় কনস্যুলেট খুলবো।” তিনি আরও বলেন, “আমরা আমেরিকান বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর কাছে ভারতেই অফশোর ক্যাম্পাস খুলতে আমন্ত্রণ জানিয়েছি।”

    ক্যাম্পাস খুলতে গেলে গাইডলাইন

    সম্প্রতি ইউনিভার্সিটি গ্রান্ট কমিশন জানিয়েছে, বিদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলি (Foreign Universities) ভারতে তাদের ক্যাম্পাস তৈরি করতে পারবে। শুধু তাই নয় এই ক্যাম্পাস পরিচালনার ব্যাপারে তারা স্বশাসিত সিদ্ধান্তও নিতে পারবে। ভর্তির প্রক্রিয়া, খরচের পরিকাঠামো – এইসব ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষই সিদ্ধান্ত নিতে পারবে। জাতীয় শিক্ষা নীতি ২০২০ অনুসারে এই নয়া নোটিফিকেশনের গাইডলাইন তৈরি করা হয়েছে। এর সাহায্যে বিশ্বের বিভিন্ন সেরা বিশ্ববিদ্যালয় ভারতে কাজ করার সুযোগ পেয়েছে।

    বিশ্বমানের পড়াশোনা

    বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে ভারতীয়দের কিছু সংখ্যকের মধ্যে মার্কিন মুলুকে পড়াশোনা করতে যাওয়ার যে হিড়িক রয়েছে, ভারতে মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়গুলি ক্যাম্পাস খুললে তা হয়তো কিছুটা কমতেও পারে। আমেরিকার যেসব প্রতিষ্ঠান ভারতের মাটিতে ক্যাম্পাস তৈরি করবে। সেখানে যেন বিদেশের ক্যাম্পাসের মতোই পড়ুয়াদের পঠনপাঠন চলে, সেদিকেও দৃষ্টি রাখবে মোদি সরকার। সমস্ত নিয়ম-কানুন মেনেই চালু থাকবে বিশ্বমানের পড়াশোনা। ভারতে যে সমস্ত আমেরিকার শিক্ষাকেন্দ্র প্রতিষ্ঠান গড়তে ইচ্ছুক তাদের বিশ্বব্যাপী র‍্যাঙ্কিংয়ের নিরিখে প্রথম ৫০০-র মধ্যে থাকতে হবে। অথবা বিষয় ভিত্তিক ক্যাটেগরির নিরিখে প্রথম ৫০০- র মধ্যে থাকতে হবে এইসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে। যেসমস্ত মার্কিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ভারতে তাদের বিশ্ববিদ্যালয় বা ক্যাম্পাস তৈরি করবে সেখানে তারা একাধিক কোর্স চালু করতে পারবে। এই তালিকায় থাকছে স্নাতক, স্নাতকোত্তর, ডক্টরাল, পোস্ট-ডক্টরাল, ডিপ্লোম ডিগ্রি, রিসার্চ বা গবেষণা, বিভিন্ন সার্টিফিকেট কোর্স। সমস্ত প্রোগ্রামের ১০ শতাংশ লেকচার বা পঠনপাঠন অনলাইনে হতে পারে, তবে তার বেশি নয়।

    একাধিক ক্যাম্পাস 

    জানা গিয়েছে, একটি মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয় একাধিক ক্যাম্পাস তৈরি করতে পারবে ভারতে। তবে প্রতিটির জন্য আলাদা করে আবেদন জানাতে হবে। মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয় ভারতে ক্যাম্পাস গঠন করলেও ইউজিসিকে বার্ষিক কোনও ফি দিতে হবে না। কেবলমাত্র একটি এককালীন অ্যাপ্লিকেশন ফি দিতে হবে ইউজিসিকে। নিজেদের পরিকাঠামো, ফিজিক্যাল এবং হিউম্যান রিসোর্স, জমির উপর ভিত্তি করেই ক্যাম্পাস তৈরি করতে পারবে মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়গুলি। এছাড়াও পড়ুয়াদের জন্য বৃত্তি অর্থাৎ স্কলারশিপ এবং কনসেশন অর্থাৎ ছাড়ের ব্যবস্থাও করতে পারবে তারা।

     

  • Modi-Trump Meeting: ‘ভারত-মার্কিন দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য দ্বিগুণ হবে’, জানিয়েছেন মোদি

    Modi-Trump Meeting: ‘ভারত-মার্কিন দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য দ্বিগুণ হবে’, জানিয়েছেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দু’হাজার তিরিশ সালের মধ্যে ভারত-মার্কিন দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য দ্বিগুণ হবে। বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউসে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকের পর জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রধানমন্ত্রী জানান, দু’দেশের মধ্যে তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাসের মতো জ্বালানির ব্যবসা আরও মজবুত হবে। পরমাণুক্ষেত্রে বাড়বে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা। ভারত-আমেরিকার মধ্যে প্রযুক্তি বিনিময় নিয়েও ট্রাম্পের সঙ্গে কথা হয়েছে। লস অ্যাঞ্জেলস এবং বস্টনে ভারতের নতুন বাণিজ্যিক দূতাবাস হবে। প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, ভারতে মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস খোলা হবে। ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ফের ভারতে আসার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

    ট্রাম্প-মোদি বৈঠক 

    এদিন ট্রাম্প জানান, আমেরিকা থেকে ভারতে আমদানিকৃত পণ্যে শুল্ক কমানো এবং আরও বেশি করে যুক্তরাষ্ট্র থেকে খনিজ তেল ও সামরিক বিমান কেনার ব্যাপারে এদিন মোদির সঙ্গে আলোচনা হয়েছে তাঁর। তিনি বলেন, “উনি আমার চেয়ে আরও শক্ত এবং ভাল মধ্যস্থতাকারী। এই নিয়ে আমাদের মধ্যে কোনও প্রতিযোগিতা চলতে পারে না।” উল্লেখ্য, দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের নিরিখে আমেরিকার থেকে এগিয়ে রয়েছে ভারত। অর্থাৎ আমেরিকা থেকে ভারতে রফতানি হওয়া পণ্যের তুলনায় ভারত থেকে সে দেশে রপ্তানি হওয়া পণ্যের পরিমাণ বেশি। আর এই আবহে ভারত আমেরিকা থেকে আরও বেশি করে খনিজ তেল কেনার আশ্বাস দিয়েছে বলেই জানিয়েছেন ট্রাম্প।

    মেক ইন্ডিয়া গ্রেট এগেইন

    বৃহস্পতিবার, দ্বিপাক্ষিক বৈঠক থেকেই ২০৩০ সালের মধ্যে ভারত-আমেরিকার বাণিজ্য দ্বিগুণ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন দুই রাষ্ট্রনেতা। ট্রাম্পের ‘মেক আমেরিকা গ্রেট এগেইন’-এর আদলেই ‘মেক ইন্ডিয়া গ্রেট এগেইন’-এর স্লোগান দিয়েছেন মোদি। শক্তি, প্রতিরক্ষা, প্রযুক্তি-সহ আরও একাধিক খাতে আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে ৫০০ বিলিয়ন ডলার বা ভারতীয় মুদ্রায় ৪৩ লক্ষ ৪১ হাজার ৯৮৭ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে দুই দেশ। এছাড়াও, মহাকাশ গবেষণায় যৌথ ভাবে কাজ করবে নাসা-ইসরো, সেই প্রতিশ্রুতিটাও দিয়েছেন নরেন্দ্র মোদি। উল্লেখ্য, ভারতের হাত মজবুত করতে আগ্রহ দেখিয়েছেন ট্রাম্পও।

  • Trump Modi Meets: ট্রাম্প-মোদি বৈঠকে সাফল্য, মুম্বই হামলার অভিযুক্ত রানাকে ভারতে ফেরাতে রাজি আমেরিকা

    Trump Modi Meets: ট্রাম্প-মোদি বৈঠকে সাফল্য, মুম্বই হামলার অভিযুক্ত রানাকে ভারতে ফেরাতে রাজি আমেরিকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুম্বই হামলার অন্যতম অভিযুক্ত তাহাউর রানাকে ভারতে প্রত্যর্পণ করার কথা ঘোষণা করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Trump Modi Meets)। বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ বৈঠক হয় ট্রাম্পের। তারপরই রানাকে প্রত্যর্পণের কথা জানান ট্রাম্প। ভারত বহু বছর ধরেই তাহাউরের প্রত্যর্পণের দাবি জানিয়ে আসছিল। আমেরিকার এই সিদ্ধান্তে ভারতের বড় কূটনৈতিক জয় বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

    ট্রাম্প-মোদি বৈঠকের পর ঘোষণা

    বর্তমানে আমেরিকার উচ্চ সুরক্ষা সম্পন্ন জেলে রয়েছেন রানা। গত কয়েক বছর ধরে বারবার তাঁর প্রত্যর্পণের আর্জি জানিয়েছে ভারত। দীর্ঘ আইনি লড়াই লড়েছেন রানাও। তাই মোদির (Trump Modi Meets) সঙ্গে বৈঠকের পর ট্রাম্প (Donald Trump) যে ঘোষণা করেছেন, তা ভারতের জন্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। বৈঠক শেষে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, “২৬/১১ মুম্বই হামলার অন্যতম অভিযুক্ত, এক দুষ্কৃতীকে আমরা ভারতে প্রত্যর্পণ করছি। আমরা এক ভয়ঙ্কর অপরাধীকে ভারতের হাতে তুলে দিচ্ছি।” এদিন ট্রাম্প যে ঘোষণা করেছেন তার প্রশংসা করেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। মুম্বই হামলার অভিযুক্তকে প্রত্যর্পণ করার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থানের প্রশংসা করে ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি।

    তাহাউর রানাকে প্রত্যর্পণের সিদ্ধান্ত

    সম্প্রতি মার্কিন সুপ্রিম কোর্ট তাহাউর রানাকে ভারতের হাতে প্রত্যর্পণের সিদ্ধান্তে সিলমোহর দেয়। ভারত-মার্কিন (Trump Modi Meets) বন্দি প্রত্যর্পণ চুক্তি অনুযায়ী এই পদক্ষেপ করা হয়। এর আগে একাধিক ফেডারাল কোর্টে আইনি লড়াইতে হেরে গিয়েছিলেন রানা। গত বছরের ১৩ নভেম্বর মার্কিন সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন তিনি। ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট পদে শপথ নেওয়ার ঠিক পরের দিন অর্থাৎ গত ২১ জানুয়ারি রানার সেই আর্জি খারিজ হয়ে যায়। পাকিস্তানের নাগরিক তাহাউর রানা পেশায় ব্যবসায়ী বলেই জানা যায়। ২০০৮ সালে তাজ হোটেলে যে জঙ্গি হামলায় ১৬৪ জনের মৃত্যু হয়, সেই ঘটনায় জড়িত হিসেবে রানার নাম উঠে আসে। এবার সেই রানাকে ভারতে এনে জেরা করতে পারবেন গোয়েন্দারা। জানা গিয়েছে, রানাকে ভারতে ফিরিয়ে এনে জাতীয় তদন্ত সংস্থা (NIA), মুম্বই পুলিশ এবং অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থা জিজ্ঞাসাবাদ করবে। তাঁকে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে এবং ২৬/১১ হামলায় ভূমিকার কথা মাথায় রেখে কড়া শাস্তির মুখে পড়বেন তিনি।

LinkedIn
Share