Author: ishika-banerjee

  • Religious Tourism: ধর্মীয় পর্যটন বৃদ্ধিই লক্ষ্য, বিশ্বের ৩২ লাখ মন্দিরকে একত্রিত করে একটি ব্লক গঠনে উদ্যোগী কেন্দ্র

    Religious Tourism: ধর্মীয় পর্যটন বৃদ্ধিই লক্ষ্য, বিশ্বের ৩২ লাখ মন্দিরকে একত্রিত করে একটি ব্লক গঠনে উদ্যোগী কেন্দ্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একটি ঐতিহাসিক উদ্যোগ হিসেবে, বিশ্বের প্রায় ৩২ লাখ মন্দির, প্রধানত ভারতে, একটি একক ফেডারেশনের আওতায় সংযুক্ত হতে চলেছে, যার মোট অর্থনীতি প্রায় ৬ লক্ষ কোটি টাকা। এর লক্ষ্য হলো মন্দিরগুলোর কার্যক্রম এবং ধর্মীয় পর্যটন (Religious Tourism) ব্যবস্থাপনাকে সংগঠিত ও আধুনিকভাবে পরিচালনা করা, যাতে সেগুলি সাধারণ জনগণের জন্য সহজে এবং স্বচ্ছভাবে প্রবেশযোগ্য হয়। এই উদ্যোগ বাস্তবায়নের জন্য, “ইন্টারন্যাশনাল টেম্পলস কনভেনশন অ্যান্ড এক্সপো (ITCX) ২০২৫” অনুষ্ঠিত হবে, যা বিশ্বের সবচেয়ে বড় মন্দির প্রশাসন ও ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত সম্মেলন। এটি ১৭-১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ তারিখে তিরুপতির আশা কনভেনশনে অনুষ্ঠিত হবে। এই সম্মেলনটি আন্তঃযোগাযোগ এবং আধুনিকীকরণের মাধ্যমে মন্দির ইকোসিস্টেমকে শক্তিশালী ও যুগোপযোগী করার লক্ষ্যে হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ এবং জৈন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে একত্রিত করবে।

    ৫৮টি দেশের ২০০০টি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের অংশগ্রহণ

    প্রাথমিকভাবে, এই সম্মেলনে ৫৮টি দেশের প্রায় ২০০০টি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান অংশ নেবে। এই সম্মেলন, যেটি “মহাকুম্ভ অফ টেম্পলস” হিসেবে পরিচিত, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে (Religious Tourism) আরও সক্রিয় ও শক্তিশালী করার পাশাপাশি মন্দির অর্থনীতিকে আরও উন্নত করার লক্ষ্যে কাজ করবে। কোভিড পরবর্তী সময়ে, আধ্যাত্মিক পর্যটন গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে এবং বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে ভ্রমণকারীর সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। উদাহরণস্বরূপ, বৈষ্ণো দেবী মন্দিরে প্রতিদিন ৩২,০০০ থেকে ৪০,০০০ তীর্থযাত্রী আসেন, যা কোভিডের আগে ১০,০০০ থেকে ১৫,০০০ ছিল।

    পর্যটন মন্ত্রক, সংস্কৃতি মন্ত্রকের নয়া উদ্যোগ

    এই সম্মেলনে মন্দির পরিচালনা সম্পর্কিত বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে, যেমন তহবিল ব্যবস্থাপনা, ভিড় নিয়ন্ত্রণ, নিরাপত্তা প্রোটোকল, এবং আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার যেমন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, ডিজিটাল টুলস এবং ফিনটেক সলিউশন। বিশেষত খাবার বিতরণ ব্যবস্থা, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, পুনর্ব্যবহার, এবং টেকসই শক্তি ব্যবস্থার মতো বিষয়গুলির উপর আলোকপাত করা হবে। এতে মন্দিরগুলোর বিভিন্ন সামাজিক সেবাও অন্তর্ভুক্ত থাকবে, যেমন স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা প্রোগ্রাম এবং দাতব্য উদ্যোগ। ভারত সরকারের পর্যটন মন্ত্রক, সংস্কৃতি মন্ত্রক এবং “ইনক্রেডিবল ইন্ডিয়া” উদ্যোগের অংশ। মহারাষ্ট্র ট্যুরিজম ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশনও (MTDC) এক্ষেত্রে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া এবং অন্ধ্র প্রদেশ, কেরালা, কর্নাটকসহ বিভিন্ন রাজ্যের পর্যটন এবং এনডোওমেন্ট বোর্ডও এতে সহযোগিতা করছে।

  • New Income Tax Bill: রয়েছে সাড়ে পাঁচশোরও কম ধারা, লোকসভায় নতুন আয়কর বিল পেশ নির্মলার

    New Income Tax Bill: রয়েছে সাড়ে পাঁচশোরও কম ধারা, লোকসভায় নতুন আয়কর বিল পেশ নির্মলার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রতীক্ষার অবসান, বৃহস্পতিবার, লোকসভায় নতুন আয়কর বিল পেশ (New Income Tax Bill) করলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন (Nirmala Sitharaman)। ১৯৬১ সালের আয়কর আইনের সংশোধন নয়, বরং পুরনো আইনকে ভুলে নতুন আয়করের বিধানে দেশকে চালাতে চান কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। নতুন বিলে ‘করবর্ষ’ চালু করার কথা বলেছে সরকার। আর্থিক বছরের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এই করবর্ষ আনা হচ্ছে বলে খবর সূত্রের।

    নয়া বিলে কী পরিবর্তন

    সংসদে বিলটি পেশ করার সময় কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী (Nirmala Sitharaman) জানান, ‘আয়কর আইনের ধারা কমিয়ে ৮১৯ থেকে নামানো হয়েছে ৫৩৬এ’। যার মাধ্যমে সাধারণের কাছে আগের তুলনায় আয়কর বিধিগুলি বুঝতে অনেকটা সহজ বলে মত কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রকের। তবে আয়করের ধারা কমানো ছাড়াও আরও এক গুচ্ছ পরিবর্তন আনা হয়েছে এই নতুন আইনে। সূত্রের খবর, বিল আইনে পরিণত হলে ট্যাক্স রিটার্ন দাখিল আরও সহজ হবে। এই নয়া আইনের হাত ধরে আয়কর স্ল্যাব সম্বন্ধে সাধারণের ধারণা আরও স্পষ্ট হবে। অনেক সময়ই দেখা গিয়েছে, না বুঝে আয়কর নিয়ে আইনি সংঘাতে পড়ে যান বহু করদাতা। সেই সমস্যার সুরাহা করতেই নয়া বিলে আনা হয়েছে পরিবর্তন। আইনি সংঘাত কমাতে নেওয়া হয়েছে বড় পদক্ষেপ।

    কেন পরিবর্তন

    চলতি বছরের ১ ফেব্রুয়ারি সংসদে ২০২৫-’২৬ আর্থিক বছরের পূর্ণাঙ্গ বাজেট পেশ করেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা (Nirmala Sitharaman)। বাজেট বক্তৃতাতেই নতুন আয়কর বিল আনার কথা জানিয়েছিলেন তিনি। এর পর গত সপ্তাহে প্রথামাফিক বিলে চূড়ান্ত অনুমোদন দেয় কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি মন্ত্রিসভা। দেশের কর ব্যবস্থাকে সরল ও আধুনিক করতে নতুন বিলটি আনা হয়েছে বলে দাবি করেছে সরকার। প্রসঙ্গত, নয়া বিল আনা হলেও নতুন করে কোনও আয়কর আরোপ করা হবে না বলে আগেই স্পষ্ট করেছিল কেন্দ্র। এ প্রসঙ্গে অর্থসচিব বলেন, ‘‘বিলটি আইনে পরিণত হলে আয়করের ক্ষেত্রে হ্রাস পাবে আইনি জটিলতা। করদাতারা সহজ সম্মতিতে অনেক সমস্যার সমাধান করতে পারবেন।’’ কেন্দ্রের দাবি, বর্তমানে চালু থাকা আইনের তুলনায় ৫০ শতাংশ ধারা কমিয়ে নতুন বিলটি তৈরি করা হয়েছে। এর অন্যতম প্রধান লক্ষ্য হল মামলা-মোকদ্দমার সংখ্যা কমানো।

  • Donald Trump: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে নয়া উদ্যোগ, পুতিন ও জেলেনস্কিকে ফোন ট্রাম্পের

    Donald Trump: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে নয়া উদ্যোগ, পুতিন ও জেলেনস্কিকে ফোন ট্রাম্পের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাশিয়া এবং ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে আলোচনয়া রাজি দুই রাষ্ট্রপ্রধান। সমাজমাধ্যমে একথা জানালেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। গত তিন বছর ধরে রাশিয়া এবং ইউক্রেনের মধ্যে চলা যুদ্ধ বন্ধ করতে উদ্যোগী ট্রাম্প। বুধবার তিনি এই বিষয়ে কথা বলেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে। তারপরই ট্রাম্প জানান, প্রথমে তিনি কথা বলেন পুতিনের সঙ্গে। এরপর আলোচনার বিষয়বস্তু জানিয়ে ট্রাম্প ফোন করেন জেলেনস্কিকে।

    ট্রাম্প-পুতিন ফোনালাপ

    মস্কোর তরফে ট্রাম্প-পুতিন ফোন কথোপকথনের বিষয়টি স্বীকার করে নেওয়া হয়েছে। তাদের তরফে জানানো হয়েছে, প্রায় দেড় ঘণ্টা ট্রাম্প এবং পুতিনের মধ্যে কথা হয়। পুতিন ট্রাম্পকে রাশিয়ায় (Russia Ukraine War) যাওয়ার আমন্ত্রণ জানান। ট্রাম্পও পুতিনকে আমেরিকায় যাওয়ার আমন্ত্রণ জানান। পুতিনের সঙ্গে তাঁর কথোপকথনের বিষয়ে ট্রাম্প (Donald Trump) বলেন, “প্রেসিডেন্ট পুতিনের চিন্তাভাবনা কী তা মানুষ সত্যিই জানত না। তবে আমি আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বলতে পারি, তিনি এই যুদ্ধের শেষ দেখতে চান ৷ তাই এটি ভালো দিক এবং আমরা এই যুদ্ধ শেষ করার বিষয়ে যত দ্রুত সম্ভব কাজ করতে চলেছি ।” ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনার নির্যাস জানিয়ে সমাজমাধ্যমে পোস্ট করেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি। তিনি জানান, শান্তিরক্ষার বিষয়ে ট্রাম্পের সঙ্গে তাঁর অর্থবহ আলোচনা হয়েছে।

    শান্তির পক্ষে সওয়াল

    প্রসঙ্গত, ট্রাম্পের পূর্বসূরি জো বাইডেন পুতিনের সঙ্গে প্রায় তিন বছর কোনও আলাপ-আলোচনা করেননি। বরং রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য অর্থ, অস্ত্র এবং রসদ জুগিয়েছিলেন ইউক্রেনকে। ট্রাম্প অবশ্য অতীতেও পুতিনের প্রশংসা করেছেন। দ্বিতীয় দফায় ক্ষমতায় এসে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধ (Russia Ukraine War) বন্ধ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ট্রাম্প। বুধবার ট্রাম্প যুদ্ধ বন্ধ করার বিষয়ে আলোচনা শুরুর জন্য আমেরিকার বিদেশ সচিব মার্কো রুবিও এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইকেল ওয়াল্টজকে নির্দেশ দিয়েছেন। যুদ্ধ বন্ধে রাশিয়া ইউক্রেন দুই তরফে ইতিবাচক সাড়া মিলেছে, এমনটাই দাবি ডোনাল্ড ট্রাম্পের ৷ তবে বৈঠক কবে এবং কোথায় হবে, তা এখনও নিশ্চিত হয়নি৷ ওভাল অফিসে সাংবাদিকদের ট্রাম্প বলেন, “আমি মনে করি প্রেসিডেন্ট পুতিন শান্তি চান এবং প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কিও শান্তি চান এবং আমিও শান্তি চাই। আমি চাই, মানুষ হত্যা বন্ধ হোক।”

  • Modi Trump Meeting: আজই বৈঠকে মোদি-ট্রাম্প, আলোচনায় উঠতে পারে কোন কোন প্রসঙ্গ?

    Modi Trump Meeting: আজই বৈঠকে মোদি-ট্রাম্প, আলোচনায় উঠতে পারে কোন কোন প্রসঙ্গ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফ্রান্স সফর শেষ করে আমেরিকা পৌঁছেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। বৃহস্পতিবারই তিনি বৈঠকে বসবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে। বিমানবন্দরে মোদিকে স্বাগত জানান মার্কিন আধিকারিক ও আমেরিকায় নিযুক্ত ভারতের রাষ্ট্রদূত বিনয়মোহন কোয়াত্রা। দ্বিতীয়বার হোয়াইট হাউসে প্রবেশ করার পর এই প্রথম ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক করতে চলেছেন মোদি (Modi Trump Meeting)। অনাবাসী ভারতীয়দের ফেরত পাঠানো এবং শুল্ক চাপানোর হুঁশিয়ারির মাঝে ট্রাম্পের সঙ্গে মোদির এই সাক্ষাৎ অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।

    প্রধানমন্ত্রী মোদিকে স্বাগত

    দু’‌দিনের আমেরিকা সফরে ওয়াশিংটনের ব্লেয়ার হাউসে থাকবেন মোদি। এদিকে, মোদি ব্লেয়ার হাউসে যাচ্ছেন শুনে বহু অনাবাসী ভারতীয় সেখানে জড়ো হন। তাঁদের হাতে ধরা ছিল আমেরিকা এবং ভারতের পতাকা। মোদি তাঁদের সঙ্গে দেখা করেন। এদিকে, ওয়াশিংটনে পৌঁছেই আমেরিকার জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার ডিরেক্টর তুলসী গাবার্ডের সঙ্গে দেখা করেন মোদি।

    ট্রাম্প-মোদি বৈঠকে গুরুত্ব

    এদিন ট্রাম্প ও মোদির বৈঠকে (Modi Trump Meeting) বাণিজ্য, প্রতিরক্ষা, সুরক্ষা, প্রযুক্তিগত উন্নতি ও অংশীদারিত্ব নিয়ে আলোচনা হতে পারে। উঠে আসতে পারে বাংলাদেশ ইস্যুও। ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট পদে ফেরার পরে নরেন্দ্র মোদির প্রথম ওয়াশিংটন সফরে আমেরিকা থেকে সি-১৩০ হারকিউলিস সামরিক পরিবহণ বিমান, পি-এআইটআই সামুদ্রিক নজরদারি বিমান কেনার চুক্তি করতে পারে দিল্লি। পরমাণু ক্ষেত্রে বিনিয়োগ নিয়েও আলোচনা হবে। জিই এবং ওয়েস্টিংহাউসসংস্থা থেকে পরমাণু চুল্লি কেনার বিষয়েও কথা হতে পারে। কূটনীতিকরা মনে করছেন, ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পরে মোদির প্রথম সফরে প্রতিরক্ষা চুক্তি নিয়ে নতুন ঘোষণা হতে পারে।

    সদর্থক বার্তা নিয়েই ওয়াশিংটনে মোদি

    দু’দেশের বৈঠকে এ বার মূলত শুল্ক, বাণিজ্য ও প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রই প্রধান বিষয় হয়ে উঠবে বলে কূটনীতিকরা মনে করছেন। প্রধানমন্ত্রীর এই সফরের আগে গত ১ ফেব্রুয়ারির বাজেটে মোদি (PM Modi) সরকার ২০টি আমেরিকা থেকে আমদানি করা পণ্যে শুল্ক কমিয়েছে। আমেরিকার সংস্থাগুলি যাতে ভারতের পরমাণু বিদ্যুৎ ক্ষেত্রে লগ্নি করতে পারে, তার জন্য পরমাণু দুর্ঘটনা দায়বদ্ধতা আইন সংশোধন করার ঘোষণা করা হয়েছে। ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয়বার আমেরিকার প্রেসিডেন্ট পদে বসার পরে এই দুই সদর্থক বার্তা নিয়েই ওয়াশিংটন পৌঁছচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী।

  • Sheikh Mujibur Rahman: মুজিবুর রহমানের বাড়ির পর এবার নজর সমাধি! জানেন বাংলাদেশে জামাতের লক্ষ্য কী?

    Sheikh Mujibur Rahman: মুজিবুর রহমানের বাড়ির পর এবার নজর সমাধি! জানেন বাংলাদেশে জামাতের লক্ষ্য কী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঢাকার ৩২ নম্বর ধানমন্ডিতে শেখ মুজিবুর রহমানের (Sheikh Mujibur Rahman) ঐতিহাসিক বাড়িটিতে আগুন লাগিয়ে তার ছাদে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন হিযবুত তাহরীর এবং ইসলামিক স্টেটস-এর পতাকা ওড়ানো হয়েছিল। তখনই স্লোগান উঠেছিল ‘এ বার চলো টুঙ্গিপাড়া’। এখানেই রয়েছে মুজিবুর রহমানের সমাধিভবন। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, বাংলাদেশে (Bangladesh Crisis) ‘মুক্তিযুদ্ধপন্থী’-দের মেরুদণ্ড ভেঙে দেওয়ার লক্ষ্যেই ওই সমাধিভবনও গুঁড়িয়ে দিতে চায় জামাত। এই ভবন ভেঙে দেওয়া হলে আওয়ামী লীগের মনোবল এবং আবার রাজনীতিতে ফেরার চেষ্টাও ধরাশায়ী হবে।

    কী পরিকল্পনা

    গোয়েন্দারা খবর পেয়েছেন, টুঙ্গিপাড়ায় হামলা চালাতে রীতিমতো বাহিনী তৈরি করছে মৌলবাদীরা। ভারতের বসিরহাট সীমান্তবর্তী সাতক্ষীরায় জামায়াতের প্রশিক্ষিত ক্যাডারদের একটি দলকে এ জন্য গোপালগঞ্জের অদূরে নিয়ে গিয়ে রাখা হয়েছে। একই ভাবে ফরিদপুরের একটি বাহিনীকেও তৈরি রাখা হয়েছে। সেই বাহিনীটি সম্প্রতি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার একটি শিবিরে প্রাক্তন সেনাদের কাছে প্রশিক্ষণ নিয়ে এসেছে। বিস্ফোরক তৈরি এবং বসানোর পাশাপাশি পিস্তলের মতো ছোট অস্ত্রের ব্যবহার শেখানো হয়েছে তাদের। সঙ্গে জঙ্গি সংগঠন হিযবুত তাহরীর এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় রাখা হয়েছে। যোগাযোগ রাখা হচ্ছে হেফাজতে ইসলামীর সঙ্গে, যাতে খুব কম সময়ে তারা ট্রাকে চড়িয়ে কয়েকশো মারমুখি লোককে টুঙ্গিপাড়ায় নিয়ে আসতে পারে।

    আওয়ামী লীগের ঘাঁটি

    ১৯৭৫-এর ১৫ অগস্ট শেখ মুজিবকে (Sheikh Mujibur Rahman) হত্যার পরে বিদ্রোহী সেনারা হেলিকপ্টারে করে দেহ এনে তাঁদের পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করেছিলেন। পরে শেখ হাসিনা সরকার এই কবরকে ঘিরে মনোরম একটি সমাধিভবন ও কমপ্লেক্স তৈরি করেছে, বাংলাদেশ সফরে আসা রাষ্ট্রপ্রধানেরা যেখানে এসে মুজিবকে শ্রদ্ধা জানিয়ে যান। পাশেই শেখ পরিবারের বাসভবন। কিন্তু গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় মুজিবের এই সমাধিস্থলে আক্রমণ করাটা যে সহজসাধ্য নয়, তা ভালোই জানে জামাত ও কট্টর ইসলামপন্থীরা। আওয়ামী লীগের এই দুর্দিনেও গোপালগঞ্জ ও টুঙ্গিপাড়ায় এখনও খুবই শক্তিশালী এই দলের সংগঠন। তাই ভেবে চিন্তে পরিকল্পনা মাফিক এগোতে চাইছে জামাত।

  • State Budget 2025: ‘নারী সুরক্ষা, লক্ষ্মী ভাণ্ডার, মহিলাদের জন্য কিছুই নেই’ রাজ্য বাজেটকে নিশানা শুভেন্দুর

    State Budget 2025: ‘নারী সুরক্ষা, লক্ষ্মী ভাণ্ডার, মহিলাদের জন্য কিছুই নেই’ রাজ্য বাজেটকে নিশানা শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্য বাজেটকে (State Budget 2025) বেকার বিরোধী বলে মন্তব্য করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে বুধবার শেষ পূর্ণাঙ্গ বাজেট পেশ করল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। রাজ্য সরকারি কর্মীদের চার শতাংশ ডিএ বৃদ্ধির পাশাপাশি পঞ্চায়েতে ও গ্রামোন্নয়নে এবার বরাদ্দ করা হলো ৪৪ হাজার কোটি টাকা। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর মতে, ‘এটি বেকার-বিরোধী বাজেট।’ ২০২৬ সালের পূর্ণাঙ্গ বাজেট বিজেপি সরকারই তৈরি করবে বলে দাবি করেছেন তিনি।

    মহিলাদের জন্য ভাবনা কোথায়

    এদিন, বিধানসভায় বাজেট (State Budget 2025) পেশ করেন রাজ্যের অর্থ প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। তাঁর বাজেট বক্তৃতা শেষ হতে না হতেই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে ওয়াকআউট করেন বিজেপি বিধায়করা। বিধানসভার বাইরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শুভেন্দু বলেন, ‘এই বাজেট বেকার-বিরোধী। মহিলাদের জন্য একটি শব্দও খরচ করা হয়নি। ডিএ বেড়েছে মাত্র চার শতাংশ। কেন্দ্রের সঙ্গে এখনও ফারাক অনেকটাই। সর্বোপরি যুব সম্প্রদায়ের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করা হয়েছে। বেকার শিক্ষিত যুবক-যুবতীদের এই দুর্মূল্যের বাজারে ঠকিয়েছে রাজ্য সরকার।’

    রাজ্য বাজেটে যা নেই

    ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান পশ্চিম মেদিনীপুরের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিবছর বৃষ্টিতে জলের তলায় যায় ঘাটাল-সহ বিস্তীর্ণ এলাকা। এই এলাকায় বন্যার সমস্যা দূর করার জন্য মাস্টার প্ল্যান প্রয়োজন। মাস্টার প্ল্যান নিয়ে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘ঘাটালে তো জমি অধিগ্রহণই হয়নি, সেখানে আবার বরাদ্দ কীসের?’ বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম, পূর্ব মেদিনীপুরের মানুষ জল পান না। পাহাড়ের জনজাতির জন্য কোনও পরিকল্পনা নেই। অভিযোগ তাঁর। বিরোধী দলনেতা বলেন, ‘মতুয়াদের জন্য একটা বাক্য নেই। সুন্দরবনের কথা নেই। নতুন পে কমিশনেরও প্রস্তাব নেই।’

    নারী সুরক্ষার কথা নেই

    বুধবার রাজ্যের পেশ করা বাজেটে (State Budget 2025)  নারী সুরক্ষার বিষয়ে কিছুই উল্লেখ নেই বলে জানান শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। পাশাপাশি এও মনে করিয়ে দেন, মহিলাদের জন্য সামাজিক প্রকল্প লক্ষ্মীর ভান্ডারের জন্যও বরাদ্দ বৃদ্ধি করা হয়নি বাজেটে। তুলনায় টানতে ওড়িশা, মহারাষ্ট্র, হরিয়ানার মতো বিজেপিশাসিত রাজ্যগুলির কথা তুলে আনেন তিনি। এমনকি দিল্লিতেও বিজেপি মহিলাদের জন্য মাসে ২৫০০ টাকা করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, তা-ও স্মরণ করিয়ে দেন বিরোধী দলনেতা। শুভেন্দুর সংযোজন, রাজ্যে বিজেপির ডাবল ইঞ্জিন সরকার হলে ‘প্রত্যেক বাড়িতে একটি করে চাকরির প্রতিশ্রুতি দেবে বিজেপি। ২০২৬ সালের প্রথম পূর্ণাঙ্গ বাজেট তৈরি করবে বিজেপি সরকারই।’

  • State Budget 2025: “চার শতাংশ ডিএ ভিক্ষা”! রাজ্য বাজেটকে কটাক্ষ সুকান্তর

    State Budget 2025: “চার শতাংশ ডিএ ভিক্ষা”! রাজ্য বাজেটকে কটাক্ষ সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নির্বাচনকে সামনে রেখে ভাঁওতার বাজেট (State Budget 2025) পেশ করেছে রাজ্য সরকার। বুধবার এমনই দাবি করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Mjumdar)। আগামী অর্থবর্ষের জন্য তৈরি করা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের এই বাজেটের সমালোচনা করেছেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী তথা বঙ্গ-বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও ৷ এদিন হুগলির ত্রিবেণীতে কুম্ভস্নানের পর এই নিয়ে প্রতিক্রিয়া দেন তিনি ৷ সুকান্তর দাবি, এই বাজেটের মাধ্যমে রাজ্যবাসীকে ভাঁওতা দিয়েছে মমতার সরকার ৷

    ডিএ নিয়ে সরব

    রাজ্য সরকারি কর্মীদের ডিএ বাড়ল ৪ শতাংশ। ২০২৫ সালের ১ এপ্রিল থেকে ৪ শতাংশ বর্ধিত ডিএ পাবেন রাজ্যের সরকারি কর্মীরা। এর ফলে রাজ্যের সরকারি কর্মীদের ডিএ বেড়ে দাঁড়াল ১৮ শতাংশ। সরকারি কর্মচারিদের চার শতাংশ ডিএ বৃদ্ধি নিয়ে সুকান্তর প্রতিক্রিয়া, “কেন্দ্রের সঙ্গে এখনও কত তফাত। পে কমিশন ঘোষণার দরকার যেখানে, সেখানে ডিএ দিচ্ছে, তাও চার শতাংশ। বিজেপি ক্ষমতায় এলে চার শতাংশর ভিক্ষা নয়। কেন্দ্রীয় হারে ডিএ দেওয়া হবে।”

    মিথ্যার ফুলঝুড়ি

    রাজ্য বাজেট (State Budget 2025) পেশের পর এদিন সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Mjumdar) বলেন, “এই বাজেট নির্বাচনকে সামনে রেখে মিথ্যা কথার ফুলঝুরি। বাজেট কেমন হয় কেন্দ্রীয় বাজেটটা দেখুন।” বাজেটে ৭০ হাজার আশাকর্মীকে স্মার্টফোন দেওয়ার ঘোষণাকে কটাক্ষ করে সুকান্ত বলেন, “আশা ও অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের মোবাইল কিনতে দুশো কোটি টাকা, এটা কেন্দ্রের টাকা। মুখ্যমন্ত্রীর টাকা নয়। আমরা মামলা করব ভাবছিলাম। বাজেটে ঘোষণা করে মামলার হাত থেকে বাঁচল। ভারতবর্ষের সব রাজ্যের আশা ও আইসিডিএস কর্মীরা আগে থেকে মোবাইল ব্যবহার করে। এটা এগিয়ে বাংলা না পিছিয়ে বাংলা!”

    শিল্পের কোনও দিশা নেই

    শিল্প এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে রাজ্যে ২ কোটি চাকরি তৈরি হয়েছে বলে জানান চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। তিনি আরও দাবি করেন, রাজ্যে বেকারত্বের হার কমেছে ৪০ শতাংশ। এ প্রসঙ্গে সুকান্ত বলেন, মুখেই বলা হচ্ছে কিন্তু কাজ কোথায়। রাজ্য বাজেটে শিল্পেরও কোনও দিশা নেই বলে অভিযোগ বিজেপি সাংসদের। তিনি বলেন, “বেকার ছেলেদের চাকরি পাওয়ার রাস্তা কোথায়। সরকারি চাকরি না পেলে প্রাইভেট জায়গায় যে কাজ করবে তার রাস্তা কোথায়। শিল্পই নেই।”

  • India vs England: ইংল্যান্ডকে হোয়াইট ওয়াশ, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে দুরন্ত ছন্দে ভারত

    India vs England: ইংল্যান্ডকে হোয়াইট ওয়াশ, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে দুরন্ত ছন্দে ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির (Champions Trophy) আগে একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দুরন্ত ছন্দে ভারত (India vs England)। ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডকে হোয়াইট ওয়াশ করল রোহিত ব্রিগেড। আমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে ধুম ধাড়াকা ক্রিকেট দেখলেন ভারতীয় ক্রীড়াপ্রেমীরা। শুরুটা করেছিলেন ভারতের ব্যাটারা, আর শেষটা করলেন বোলাররা। আমেদাবাদে শেষ ওডিআইতে ইংল্যান্ডকে ১৪২ রানে হারাল ভারত। ম্যাচের সেরা শুভমান গিল। ভারতের ৩৫৬ রানের জবাবে ম্যাচে মাত্র ৩৪.২ ওভারে ২১৪ রান করে গুটিয়ে যায় ইংল্যান্ড।

    ভারতের দাপট

    ভারত (India vs England) প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৩৫৬ রান করে ইংল্যান্ডের সামনে একটা বড় টার্গেট দেয়। আমেদাবাদে ব্যাটিং সহায়ক পিচে এই রান হওয়াটা স্বাভাবিক। কিন্তু এই রান তাড়া করার জন্য এই দক্ষতা দরকার ছিল, সেটা ইংল্যান্ডের ছিল না। এই ম্যাচে তিন বোলারকে বসিয়ে খেলতে নামে ভারত। সেই পরিবর্তনটাও পার্থক্য তৈরি করল না। ইংল্যান্ডের ব্যাটারদের মধ্যে সর্বোচ্চ রান করলেন টম ব্যান্টন। তাঁকে জ্যাকব বেথেলের জায়গায় খেলানো হয়েছে। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দলেও সুযোগ পেয়েছেন টম ব্যান্টন। তিনি করেন ৩৮ রান। বেন ডাকেট করেন ৩৪ রান। এরা বাদে আর কেউ লড়াই দিতে পারেননি।

    সফল বোলাররা, রান পেলেন বিরাট

    ভারতের (India vs England) বোলিংয়ের মধ্যে প্রশংসনীয় বোলিং করেন হর্ষিত রানা। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে (Champions Trophy) জশপ্রীত বুমরার জায়গায় সুযোগ পেয়েছেন তিনি। কেন তাঁকে বুমরার বিকল্প হিসেবে বাছা হয়েছে সেটার প্রমাণ দিয়েছেন তিনি। অর্শদীপ সিং ও হার্দিক পান্ডিয়া ভালো বোলিং করেন। ভারতের প্রত্যেক বোলারই উইকেট পান। এই ম্যাচ ও সিরিজের পর সরাসরি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলতে নামবে ভারত। এদিন দুটি করে উইকেট নেন অর্শদীপ সিং, হর্ষিত রানা, অক্ষর প্যাটেল ও হার্দিক পান্ডিয়া। একটি করে উইকেট নেন ওয়াশিংটন সুন্দর ও কুলদীপ যাদব। এর আগে, টস জিতে ভারতকে ব্যাট করতে পাঠায় ইংল্যান্ড। ভারত ৫০ ওভারে তোলে ৩৫৬ রান। শুভমান গিল ১০২ বলে ১১২, শ্রেয়স আইয়ার ৬৪ বলে ৭৮, বিরাট কোহলি ৫৫ বলে ৫২, লোকেশ রাহুল ২৯ বলে ৪০ রান করেন।

  • Sikh Riots Case: শিখ বিরোধী দাঙ্গায় দোষী সাব্যস্ত প্রাক্তন কংগ্রেস সাংসদ সজ্জন কুমার

    Sikh Riots Case: শিখ বিরোধী দাঙ্গায় দোষী সাব্যস্ত প্রাক্তন কংগ্রেস সাংসদ সজ্জন কুমার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইন্দিরা গান্ধী হত্যা-পরবর্তী শিখ দাঙ্গা মামলায় দোষী সাব্যস্ত হলেন প্রাক্তন কংগ্রেস নেতা সজ্জন কুমার। ১৯৮৪ সালের ১ নভেম্বর দিল্লি ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় সরস্বতী বিহারে শিখ ধর্মাবলম্বী পিতা-পুত্রকে খুনের ঘটনায় সজ্জন প্রত্যক্ষ ভাবে জড়িত ছিলেন বলে জানিয়েছে রাউস অ্যাভিনিউ আদালত। গুরুদ্বারে অগ্নিসংযোগের ঘটনা সংক্রান্ত ওই মামলায় ‘প্রধান প্ররোচনাকারী’ বলে হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে সজ্জনকে।

    কী বলল আদালত

    বুধবার বিশেষ বিচারক কাবেরী বাওয়েজা, প্রাক্তন কংগ্রসে সাংসদকে দোষী সাব্যস্ত করার আদেশ দেন। ১৮ ফেব্রুয়ারি তাঁর সাজার পরিমাণ নিয়ে যুক্তিতর্ক হবে। এদিন সজ্জন কুমারকে তিহার জেল থেকে আদালতে হাজির করানো হয়। প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর হত্যার পর ১৯৮৪ সালে কার্যত শিখনিধন যজ্ঞ চলেছিল দেশে। সেই অশান্তি চলাকালীন ১ নভেম্বর যশবন্ত সিং নামের এক ব্যক্তি ও তাঁর পুত্র তরুণদীপ সিংকে খুনের ঘটনায় কংগ্রেস নেতা সজ্জন কুমারের নাম জড়ায়। সেইসময় দিল্লির রাজনগরেরই সাংসদ ছিলেন সজ্জন কুমার। প্রাথমিক ভাবে পাঞ্জাবি বাগ থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। এরপরই এক বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করা হলে তাদের হাতেই তদন্তের দায়ভার দেওয়া হয়। ২০২৪-এর ডিসেম্বরেই এই মামলার শুনানি সম্পূর্ণ হয়েছিল। শুনানির সময়, সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল সজ্জন কুমারের নেতৃত্বে সশস্ত্র জনতা শিখ সম্প্রদায়ের উপর ব্যাপক লুটপাট চালিয়েছিল। বহু মানুষের ঘর-বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছিল, তাদের সম্পত্তি ধ্বংস করেছিল।

    কোন কোন মামলায় অভিযুক্ত

    দিল্লিতে শিখবিরোধী হিংসার অন্য একটি মামলায় ২০১৮ সালে দোষী সাব্যস্ত সজ্জনের যাবজ্জীবন জেলের সাজা হয়েছিল। বর্তমানে তিনি তিহাড় জেলে বন্দি। সেখান থেকেই রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে হাজির করানো হয়েছিল তাঁকে। প্রসঙ্গত, ১৯৮৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর নিজের শিখ দেহরক্ষীদের গুলিতে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী নিহত হওয়ার পরই দেশ জুড়ে শিখবিরোধী দাঙ্গা শুরু হয়। ১ নভেম্বর দক্ষিণ দিল্লির রাজনগরে এক শিখ পরিবারের পাঁচ জন সদস্যকে হত্যা এবং ওই এলাকার একটি গুরুদ্বার জ্বালিয়ে দেওয়ার ঘটনাতেও নেতৃত্ব দিয়েছিলেন সজ্জন কুমার। সেই মামলায় ২০১৮ সালে তাঁর সাজা হয়েছিল।

  • Supreme Court: ‘বিনামূল্যে পেয়ে কাজের ইচ্ছা চলে যাচ্ছে’ খয়রাতির রাজনীতি নিয়ে কঠোর পর্যবেক্ষণ সুপ্রিম কোর্টের

    Supreme Court: ‘বিনামূল্যে পেয়ে কাজের ইচ্ছা চলে যাচ্ছে’ খয়রাতির রাজনীতি নিয়ে কঠোর পর্যবেক্ষণ সুপ্রিম কোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিনামূল্যে রেশন। পরিশ্রম না-করেই অ্যাকাউন্টে টাকা! খয়রাতির রাজনীতি, অর্থাৎ, নির্বাচনের আগে বিনামূল্যের উপহার ঘোষণা করার প্রথার তীব্র নিন্দা করল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। আদালত বলেছে বিনামূল্যে রেশন এবং অর্থ পেয়ে মানুষ কাজ করার ইচ্ছা হারিয়ে ফেলছে। আর এই ভাবে তৈরি হচ্ছে একটা পরজীবী শ্রেণি। আদালতের বক্তব্য, এর ফলে মানুষ কাজ করতে চাইছেন না। বিনামূল্যে খাবার পেয়ে গেলে, বিনা শ্রমে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ভরে গেলে আর পরিশ্রম করার প্রয়োজন পড়ে না। এতে সমাজের ক্ষতি হচ্ছে।

    সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ

    শহরাঞ্চলে দারিদ্র দূর করার লক্ষ্যে উদ্যোগী হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। সেই সংক্রান্ত একটি মামলা চলছে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি বিআর গাভাই এবং বিচারপতি অগাস্টিন জর্জ মাসিহ্‌র বেঞ্চে। শীর্ষ আদালতে কেন্দ্র জানায়, শহরাঞ্চলে দারিদ্র দূরীকরণ মিশন চূড়ান্ত করার প্রক্রিয়া চলছে। যাঁরা শহরের রাস্তায় গৃহহীন, তাঁদের আশ্রয়ের বন্দোবস্ত করা হবে। এ ছাড়াও শহরবাসী দরিদ্র মানুষের বিভিন্ন সমস্যার সমাধানের চেষ্টা করবে কেন্দ্রীয় সরকার। এই প্রেক্ষিতেই বিচারপতি গাভাই বলেন, ‘‘শহরাঞ্চলের দরিদ্র মানুষের জন্য যে আপনারা ভাবছেন, সেটা খুবই ভাল কথা। কিন্তু তাঁদের যদি সমাজের মূলস্রোতের অঙ্গ করে তোলা যায়, তাঁদের যদি দেশের উন্নয়নের কাজে লাগানো যায়, সেটা কি আরও ভাল হবে না?’’

    কেন এই পর্যবেক্ষণ

    শহরাঞ্চলে দারিদ্র্য দূরীকরণ অভিযান কার্যকর করতে কত সময় লাগবে, তা কেন্দ্রের কাছ থেকে যাচাই করার জন্য অ্যাটর্নি জেনারেল আর ভেঙ্কটরমানিকে নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত। ভেঙ্কটরমানি জানান, নগরাঞ্চলে দারিদ্র্য দূরিকরণ অভিযান চূড়ান্ত করার প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে কেন্দ্র। এই অভিযান নগরাঞ্চলে গৃহহীনদের জন্য আশ্রয়ের ব্যবস্থা-সহ বিভিন্ন বিষয়ের মোকাবিলা করবে। ভোটের আগে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি দিয়ে থাকে। মানুষের সুবিধার্থে নানা নতুন প্রকল্পের ঘোষণা করা হয়। কোথাও বলা হয়, বিনামূল্যে রেশন পাবেন মানুষ। কোথাও আবার মাসে মাসে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থসাহায্যের কথা ঘোষণা হয়। সরকারি এই প্রকল্পগুলির ফলে মানুষকে আর আগের মতো পরিশ্রম করতে হয় না। বিনা পরিশ্রমেই মেলে সুযোগসুবিধা। ভোট-রাজনীতির এই ‘খয়রাতি’ নিয়েই অসন্তোষ প্রকাশ করেছে শীর্ষ আদালত। ছ’সপ্তাহ পরে এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে।

LinkedIn
Share