Author: ishika-banerjee

  • Indian Navy: ভারতীয় নৌসেনার অভিযানে পশ্চিম ভারত মহাসাগরে উদ্ধার ২৫০০ কেজি মাদক!

    Indian Navy: ভারতীয় নৌসেনার অভিযানে পশ্চিম ভারত মহাসাগরে উদ্ধার ২৫০০ কেজি মাদক!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় নৌসেনার (Indian Navy) অভিযানে এবার পশ্চিম ভারত মহাসাগর থেকে উদ্ধার হল বিপুল পরিমাণ মাদক। গোপন খবরের ভিত্তিতে সম্প্রতি ভারত মহাসাগরে অভিযান চালায় ভারতীয় নৌসেনা। পশ্চিম ভারতীয় মহাসাগরে ২৫০০ কেজিরও বেশি মাদক উদ্ধার করতে সফল হয়েছে।

    মাদক পাচার রোধ নৌসেনার

    জানুয়ারি ২০২৫ থেকে পশ্চিম ভারত মহাসাগরে মেরিটাইম সিকিউরিটি অপারেশনে নিযুক্ত ভারতীয় নৌবাহিনীর ফ্রিগেট আইএনএস তর্কশ। এটি কম্বাইনড টাস্ক ফোর্স (CTF) ১৫০ এর অধীনে কাজ করছে, যা বাহরিনে অবস্থিত কম্বাইনড মেরিটাইম ফোর্সেস (CMF) এর অংশ। এই জাহাজটি অপারেশন “অ্যানজ্যাক টাইগার”-এ অংশগ্রহণ করছে। নৌসেনা (Indian Navy) সূত্রে জানা যাচ্ছে,৩১ মার্চ পেট্রোলিংয়ের সময়, ভারতীয় নৌবাহিনীর ওই জাহাজ থেকে সন্দেহজনক নৌকাগুলি দেখতে পায় সেনা। এরপর মহাসাগরে অভিযানে নামে নৌসেনার পি-৮আই নজরদারি বিমান। মাঝসমুদ্রে সন্দেহজনক নৌকাগুলির চলাচল নিশ্চিত করেন পাইলটরা। এই নৌযানগুলিকে অবৈধ কার্যকলাপ, বিশেষত মাদক পাচার, এর সঙ্গে যুক্ত মনে করা হয়েছিল। সেগুলির দিকে যাওয়ার জন্য আইএনএস তর্কশ তার পথ পরিবর্তন করে। সমস্ত সন্দেহভাজন নৌযানকে পরীক্ষা করার পর, আইএনএস তর্কশ একটি সন্দেহজনক “ঢো” বা নৌকা আটক করে। পি৮আই বিমান এবং মুম্বইয়ের মেরিটাইম অপারেশন সেন্টারের সমন্বয়ে এই অভিযানটি চালানো হয়। আরও সুরক্ষা নিশ্চিত করতে, জাহাজটি একটি হেলিকপ্টারও পাঠায়, যাতে সন্দেহজনক নৌযানের কার্যকলাপ মনিটর করা যায় এবং এলাকায় অন্যান্য সন্দেহভাজন নৌযান সনাক্ত করা যায়।

    সদা সক্রিয় ভারতীয় নৌবাহিনী

    এরপর বিশেষজ্ঞ এবং মেরিন কমান্ডোদের একটি দল সন্দেহজনক নৌকায় উঠতে সক্ষম হয়। এখান থেকেই বিভিন্ন সিল করা প্যাকেট উদ্ধার করা হয়। পরবর্তীতে, অনুসন্ধান এবং জিজ্ঞাসাবাদে ২৫০০ কেজিরও বেশি মাদক (২৩৮৬ কেজি হাশিশ এবং ১২১ কেজি হেরোইন) উদ্ধার হয়। এই অভিযান ফের ভারতীয় নৌবাহিনীর দক্ষতা এবং পেশাদারিত্বকে তুলে ধরেছে। সমুদ্রে মাদক পাচার এবং অন্যান্য অবৈধ কার্যকলাপকে রুখে দিতে সদা সক্রিয় ভারতীয় নৌবাহিনী।

  • Waqf Bill 2025: নতুন ওয়াকফ আইন কেন আনা দরকার? মুসলমানদের জন্য কতটা প্রয়োজন এই সংশোধনী?

    Waqf Bill 2025: নতুন ওয়াকফ আইন কেন আনা দরকার? মুসলমানদের জন্য কতটা প্রয়োজন এই সংশোধনী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভায় পেশ হচ্ছে ওয়াকফ সংশোধনী বিল, ২০২৫ (Waqf Bill 2025)। রাজ্যসভায় পেশ হওয়ার কথা বৃহস্পতিবার ৩ এপ্রিল। বর্তমান ওয়াকফ আইনের ৪০ নম্বর ধারা অনুযায়ী, যে কোনও সম্পত্তিকে ওয়াকফ হিসাবে ঘোষণার অধিকার রয়েছে ওয়াকফ বোর্ডের হাতেই। নতুন সংশোধনীতে ওয়াকফ বোর্ডের সেই একচ্ছত্র অধিকার কেড়ে নিয়ে কোনও সম্পত্তি ওয়াকফ কি না, সেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা দেওয়া হবে জেলাশাসক বা সম পদমর্যাদার কোনও আধিকারিকের হাতে। সরকারের যুক্তি, বর্তমানে যে আইন রয়েছে, তাতে ওয়াকফের দখল করা জমি বা সম্পত্তিতে কোনও ভাবেই পর্যালোচনা করার সুযোগ থাকে না। কারও আপত্তি সত্ত্বেও জমি বা সম্পত্তি দখল করতে পারে ওয়াকফ বোর্ড। তাতে হস্তক্ষেপ করার সুযোগ থাকে না সরকারের। নতুন বিলে তার বন্দোবস্ত রয়েছে।

    ওয়াকফ সম্পত্তি কী

    ওয়াকফ (Waqf Bill 2025) হল মুসলিম আইন দ্বারা স্বীকৃত ধর্মীয়, ধার্মিক বা দাতব্য উদ্দেশ্যে স্থাবর বা অস্থাবর সম্পত্তির স্থায়ী উৎসর্গ। ওয়াকফ সম্পত্তি ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের দ্বারা দান করা হয় এবং বোর্ডের সদস্যদের দ্বারা পরিচালিত হয়। প্রতিটি রাজ্যের একটি ওয়াকফ বোর্ড আছে। এটি একটি আইনি সংগঠন যা সম্পত্তি অর্জন, ধারণ এবং হস্তান্তর করতে পারে। ওয়াকফ সম্পত্তি স্থায়ীভাবে বিক্রি বা লিজ দেওয়া যাবে না।

    ভারতে ওয়াকফ বোর্ডের জমির পরিমাণ

    ওয়াকফ বোর্ড দেশ জুড়ে ৮.৭ লক্ষ সম্পত্তির ৯.৪ লক্ষ একর জমি নিয়ন্ত্রণ ও পরিচালনা করে। যার আনুমানিক মূল্য ১.২ লক্ষ কোটি টাকা। এর ফলে ওয়াকফ বোর্ড ভারতের তৃতীয় বৃহত্তম জমির মালিক। ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী এবং ভারতীয় রেলের ঠিক পরেই। দেশজুড়ে ৩০টি ওয়াকফ বোর্ড রয়েছে। প্রধানত, কৃষিজমি, ভবন, দরগা/মাজার, কবরস্থান, ঈদগাহ, খানকাহ, মাদ্রাসা, মসজিদ, প্লট, পুকুর, স্কুল, দোকান এবং অন্যান্য বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ওয়াকফ সম্পত্তি হতে পারে। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, ওয়াকফ ট্রাইব্যুনালে ৪০,৯৫১টি মামলা বিচারাধীন রয়েছে। ওয়াকফ ট্রাইব্যুনাল ওয়াকফ বা ওয়াকফ সম্পত্তি সম্পর্কিত বিরোধ নিষ্পত্তিকারী সংস্থা। যার মধ্যে ৯,৯৪২টি মামলা মুসলিম সম্প্রদায় কর্তৃক ওয়াকফ পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠানগুলির বিরুদ্ধে দায়ের করা হয়েছে।

    ভারতে ওয়াকফ আইন

    ভারতে ওয়াকফগুলি (Waqf Bill 2025) ওয়াকফ আইন, ১৯৯৫ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। একজন সার্ভে কমিশনার স্থানীয় তদন্ত পরিচালনা করে, সাক্ষীদের তলব করে এবং নথিপত্র সংগ্রহ করে ওয়াকফ হিসাবে ঘোষিত সমস্ত সম্পত্তি তালিকাভুক্ত করেন। ওয়াকফটি একজন মুতাওয়াল্লি দ্বারা পরিচালিত হয়, যিনি একজন তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে কাজ করেন। বিভিন্ন সময় নানা ধরণের আইনি সমস্যার মুখে পড়তে হয়েছে ওয়াকফ বোর্ডকে। কখনও সম্পত্তি সংক্রান্ত, কখনও মহিলা প্রতিনিধি সংক্রান্ত বিষয়ে। ওয়াকফ ট্রাইব্যুনালে সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে যাওয়ার বিধান রয়েছে। হাইকোর্ট ট্রাইব্যুনালের সিদ্ধান্ত পাল্টে দিতে পারে।

    কেন ওয়াকফ আইনে সংশোধনী

    ওয়াকফ আইনের (Waqf Bill 2025) ৪০ নম্বর ধারা অনুযায়ী, যে কোনও সম্পত্তিকে ওয়াকফ হিসাবে ঘোষণার অধিকার এত দিন ছিল ওয়াকফ বোর্ডের হাতেই। ওয়াকফ বোর্ডের বিরুদ্ধে বার বার বহু গরিব মুসলিমের সম্পত্তি, অন্য ধর্মাবলম্বীদের ব্যক্তির সম্পত্তি অধিগ্রহণের অভিযোগ উঠেছে। নতুন সংশোধনীতে ওয়াকফ বোর্ডের সেই একচ্ছত্র অধিকার কেড়ে নিয়ে কোনও সম্পত্তি ওয়াকফ কি না, সেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা দেওয়া হবে জেলাশাসক বা সম পদমর্যাদার কোনও আধিকারিকের হাতে। এর পাশাপাশি ওয়াকফ বোর্ডে মহিলাদের অন্তর্ভুক্তি বাধ্যতামূলক করা হতে পারে। নতুন বিল অনুসারে, একজন অমুসলিমও বোর্ডের শীর্ষপদে বসতে পারবেন। কমপক্ষে দু’জন সদস্য অমুসলিম হওয়ার কথাও বলা রয়েছে সংশোধনীতে।

    নতুন ওয়াকফ বিলের মূল বৈশিষ্ট্য

    নতুন ওয়াকফ বিলটি অনেক দিক থেকে সংস্কারমূলক এবং মুসলিম সম্প্রদায়ের জন্য লাভজনক হতে পারে। এর মধ্যে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য রয়েছে:

    ১. ওয়াকফ সম্পত্তির উন্নত ব্যবস্থাপনা:

    নতুন বিলটি ওয়াকফ সম্পত্তির জন্য একটি স্বচ্ছ এবং শক্তিশালী ব্যবস্থাপনা কাঠামো তৈরি করবে। এতে ওয়াকফ বোর্ডের কার্যক্রম ডিজিটালাইজড হবে, যা সম্পত্তির ব্যবস্থাপনা ও রক্ষণাবেক্ষণকে আরও সহজ এবং দক্ষ করবে। এতে করে ওয়াকফ সম্পত্তি ব্যবস্থাপনায় জটিলতা কমবে এবং আরও সঠিকভাবে তা ব্যবহৃত হবে।

    ২. মুসলিমদের জন্য অর্থনৈতিক সহায়তা:

    নতুন বিলে ওয়াকফ সম্পত্তি থেকে আয় করা অর্থ মুসলিমদের শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, এবং সামাজিক উন্নয়নের জন্য ব্যবহার করা হবে। এই আয় থেকে মুসলিম শিশুদের শিক্ষার জন্য স্কুল ও কলেজ চালানো, দরিদ্রদের সহায়তা করা, এবং মসজিদ-মাদ্রাসা সংস্করণে সহায়তা প্রদান করা হবে। এটি মুসলমানদের জীবনযাত্রার মান উন্নত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

    ৩. ওয়াকফ বোর্ডের শক্তিশালী কর্তৃপক্ষ:

    নতুন বিলে ওয়াকফ বোর্ডের ক্ষমতা বৃদ্ধি করা হয়েছে। বর্তমানে অনেক ওয়াকফ বোর্ড কার্যক্রমে নানা ধরনের দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনার শিকার হয়ে থাকে। এই নতুন আইনে ওয়াকফ বোর্ডকে আরও শক্তিশালী, স্বচ্ছ এবং কার্যকরী করে তোলা হবে।

    ৪. অপ্রাপ্ত বয়সী ও নারীদের জন্য সুবিধা:

    মুসলিম নারীদের জন্য বিশেষ কিছু সুবিধা থাকবে। তারা ওয়াকফ সম্পত্তি থেকে উপকৃত হওয়ার পাশাপাশি নিজেদের উন্নতির জন্য সহায়তা পাবে। নারীদের জন্য শিক্ষার সুযোগ বৃদ্ধি, কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং অন্যান্য সাহায্য পাওয়া সম্ভব হবে।

    ৫. সমাজে ওয়াকফের গুরুত্ব বৃদ্ধি:

    নতুন বিলে মুসলিম সমাজে ওয়াকফের গুরুত্ব আরও বাড়ানো হবে। ওয়াকফ সম্পত্তি ব্যবহারের মাধ্যমে মুসলমানরা নিজেদের ধর্মীয় ও সামাজিক দায়িত্ব পালন করতে পারবেন। এছাড়া, এই বিলটি সমাজে মুসলিমদের প্রতি সরকারি সহানুভূতির পরিমাণও বৃদ্ধি করবে।

    মুসলমানদের জন্য কেন গুরুত্বপূর্ণ?

    ওয়াকফ (Waqf Bill 2025) ব্যবস্থাপনার সঠিক এবং স্বচ্ছ পদ্ধতি মুসলমানদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। দীর্ঘকাল ধরে, অনেক ওয়াকফ সম্পত্তি অব্যবস্থাপনার শিকার হয়ে পড়েছে, এবং এর সুবিধা মুসলিম সমাজে সঠিকভাবে পৌঁছায়নি। নতুন ওয়াকফ বিলটি এই সমস্যার সমাধান করতে পারে। এতে মুসলমানরা তাদের ধর্মীয় সম্পত্তির সঠিক ব্যবহারের মাধ্যমে অর্থনৈতিক উন্নয়ন, শিক্ষা, এবং স্বাস্থ্য সেবায় আরো বেশি সুবিধা পাবেন। উল্লেখযোগ্যভাবে, ভারতের মুসলিম সম্প্রদায় একটি বৃহৎ জনগণ, এবং তাদের উন্নয়নের জন্য রাষ্ট্রীয় সহযোগিতা অত্যন্ত জরুরি। নতুন ওয়াকফ বিলটি এদের জন্য সেই সহযোগিতার একটি বড় হাতিয়ার হতে পারে। এটি মুসলিমদের শিক্ষার মান উন্নত করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে এবং তাদের স্বাস্থ্য ও সামাজিক অবস্থার উন্নতি ঘটাবে। নতুন ওয়াকফ বিলটি একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ, যা মুসলিম সম্প্রদায়ের উন্নয়ন ও কল্যাণে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারে। ওয়াকফ সম্পত্তির সঠিক ব্যবস্থাপনা এবং উন্নত ব্যবহারের মাধ্যমে মুসলমানরা তাদের ধর্মীয়, শিক্ষা, ও সামাজিক অবস্থার উন্নতি ঘটাতে সক্ষম হবে। আশা করা যায়, এই বিলটি মুসলিমদের জীবনযাত্রার মান উন্নত করবে এবং একটি সুখী, সমৃদ্ধ সমাজ প্রতিষ্ঠায় সহায়ক ভূমিকা রাখবে।

  • Jammu-Kashmir: জম্মুতে ফের যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন পাকিস্তানের, ভারতের পাল্টা জবাবে নিহত ৫ পাক জওয়ান

    Jammu-Kashmir: জম্মুতে ফের যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন পাকিস্তানের, ভারতের পাল্টা জবাবে নিহত ৫ পাক জওয়ান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জম্মু-কাশ্মীরে (Jammu-Kashmir) ফের অনুপ্রবেশের চেষ্টা চালাল পাকিস্তানি জঙ্গিরা। অনুঘটক হিসেবে তাদের কভারিং ফায়ার দিতে নিয়ন্ত্রণরেখায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন (Pakistan Violates Ceasefire) করে গুলি চালাল পাকিস্তান সেনা। তবে, প্রস্তুত ছিল ভারতও। জম্মু ও কাশ্মীরের পুঞ্চের কৃষ্ণঘাটি (Krishna Ghati) সেক্টরে মঙ্গলবার যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর এলোপাথাড়ি গুলি চালায় পাকিস্তান। পাল্টা জবাব দেয় ভারত। সূত্রের খবর, এই গুলির লড়াইয়ে পাকিস্তান সেনার একাধিক সদস্যর মৃত্যু হয়েছে। শেষ খবর, অন্তত পাঁচ পাক জওয়ান নিহত হয়েছেন। সীমান্তে একাধিক পাক বাঙ্কার গুঁড়িয়ে দিয়েছে ভারতীয় ফৌজ।

    কৃষ্ণাঘাঁটি সেক্টরে ক্রস-ফায়ারিং (Jammu-Kashmir) 

    ভারতীয় সেনাবাহিনী জানিয়েছে, এলওসি-তে (Line of Control) একটি মাইন বিস্ফোরণের পরপরই দুই পক্ষের মধ্যে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য গোলাগুলি বিনিময় হয়। পাকিস্তানি বাহিনী প্রথমে সংঘর্ষ শুরু করে, যার পাল্টা জবাব দেয় ভারতীয় সেনা। ভারতের দিকে কোনও হতাহতের ঘটনা না ঘটলেও, পাকিস্তানি বাহিনীর বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। জানা গিয়েছে, পুঞ্চে নিয়ন্ত্রণরেখায় (Jammu-Kashmir) কৃষ্ণঘাটি সেক্টরে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন (Pakistan Violates Ceasefire) করে গুলি চালিয়েছে। এর জবাব দিয়েছেন নাঙ্গি টেকরি ব্যাটালিয়নের জওয়ানরা। সেনা সূত্রে খবর, এর আগে ফেব্রুয়ারি মাসেও কৃষ্ণাঘাটি সেক্টরে ক্রস-ফায়ারিংয়ের ঘটনা ঘটেছিল। মঙ্গলবারের ঘটনায় পাকিস্তানের সেনার একাধিক সদস্য হতাহত হয়েছেন বলে দাবি করা হয়েছে।

    পাকিস্তানের প্রয়াস ব্যর্থ করল ভারত 

    স্থানীয় সূত্রে খবর, সীমান্তরেখা এলাকার বাসিন্দারা দাবি করেছেন, ওই গুলির লড়াইয়ে পাক-অধিকৃত কাশ্মীর (Jammu-Kashmir) এলাকায়, ৪-৫ জন পাক সেনা সদস্য আহত হয়েছেন। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরে তাঁদের মৃত্যু হয়েছে বলেও দাবি করা হচ্ছে। এই নিয়ে সরকারি ভাবে কিছু জানানো হয়নি। তবে ভারতীয় সেনার তরফে জানানো হয়েছে, দিন ভর সেখানে গুলির লড়াই চলে। ওই এলাকা দিয়ে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করা হয়। তবে সেই চেষ্টা ব্যর্থ করে দিয়েছেন ভারতীয় সেনা জওয়ানরা। গত দুই মাস ধরে দক্ষিণ পীর পঞ্জাল এলাকায়, সীমান্তরেখায় ক্রশ-ফায়ারিংয়ের (Pakistan Violates Ceasefire) সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। ওই এলাকায় সেনা এবং জঙ্গিদের লড়াইও হচ্ছে। শনিবার তল্লাশি অভিযানের সময় সেনার রাইজিং স্টার কোর-র প্রত্যাঘাতে নিহত হয় দুই জঙ্গি। বিপুল পরিমাণ অস্ত্র এবং বিস্ফোরক উদ্ধার করে বাহিনী।

  • Lakshmi Puja: চৈত্র মাসের শুক্লপক্ষের বৃহস্পতিবার মা লক্ষ্মীর আরাধনা করুন, সৌভাগ্য থাকবে সারা বছর

    Lakshmi Puja: চৈত্র মাসের শুক্লপক্ষের বৃহস্পতিবার মা লক্ষ্মীর আরাধনা করুন, সৌভাগ্য থাকবে সারা বছর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৪৩১ শেষের পথে। কথায় রয়েছে, বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণ। প্রতি মাসেই বাঙালি হিন্দুদের কিছু না কিছু উৎসব লেগেই থাকে। আর ধনলক্ষ্মীর পুজো তো হয় প্রতিদিনই। সপ্তাহে প্রতি বৃহস্পতিবারই হল লক্ষ্মীবার। দেবী লক্ষ্মীর প্রতিদিন বাড়িতে পুজো করা হয়। তবে বিশেষ আশীর্বাদ লাভের জন্য ভাদ্র, কার্তিক, পৌষ ও চৈত্র মাস দেবী লক্ষ্মীর আরাধনা (Lakshmi Puja) করা হয়। এই সময়ে দেবী লক্ষ্মীর আরাধনা করলে ধন, সৌভাগ্য, সমৃদ্ধি, সৌন্দর্য ও শক্তি বৃদ্ধি পায়।

    চৈত্র মাসে লক্ষ্মীপুজোর প্রচলিত কাহিনী

    চৈত্র মাসের শুক্লপক্ষের বৃহস্পতিবার চৈত্র মাসের লক্ষ্মীপুজো ব্রত পালন করা হয়। বলা হয় এই ব্রত করলে সংসারে মা লক্ষ্মী বিরাজ করেন। পুরাণ বর্ণিত কাহিনী অনুযায়ী, একদিন নারায়ণের ইচ্ছ হলে তিনি -মা লক্ষ্মীকে সঙ্গে নিয়ে তাঁর পুষ্পরথ করে মর্ত্যে ঘুরতে এলেন। মর্ত্যে এসে বামুন আর বামনির বেশ ধরে তাঁরা ঘুরতে লাগলেন। নারায়ণ-লক্ষ্মীকে উত্তর দিকে যেতে না করলেন। লক্ষ্মী নারায়ণের বারণ না শুনে উত্তর দিকে গিয়ে দেখলেন তিল ফুলের বাগান। লক্ষ্মী ওই তিল ফুল তুলে খোঁপায় দিলেন, গলায় পরলেন। এমন সময় সেই বাগানের মালী এসে লক্ষ্মীকে ফুল তোলার শাস্তি হিসেবে আটকে রাখলেন। নারায়ণ এসে প্রশ্ন করলে ওই মালী বললেন তাঁর বাগানে ফুল তোলার শাস্তি হিসেবে লক্ষ্মীকে তাঁর বাড়িতে ১২ বছর রাঁধুনির কাজ করতে হবে। নারায়ণ লক্ষ্মীকে রেখে চলে গেলেন। লক্ষ্মীকে বামুন বাড়িতে নিয়ে গেল। বামুনের বাড়িতে চাল-ডাল বাড়ন্ত। কিন্তু লক্ষ্মী আসাতে তাঁর ঘর ভরে গেল। দেখতে দেখত বারো বছর কেটে গেল। লক্ষ্মীর কৃপায় বামুনের ঘর ভরে উঠেছিল। এবার নারায়ণ লক্ষ্মীকে নিয়ে যেতে এলেন, বামনি লক্ষ্মীকে ছাড়তে চাইলেন না। কেঁদে কেঁদে তাঁর পায়ে পড়লেন। লক্ষ্মী বামনীকে বললেন তাঁরা যেন ভাদ্র, কার্তিক, পৌষ ও চৈত্র মাসে লক্ষ্মীপুজো করেন তাহলেই সংসারে আর অভাব থাকবে না। এভাবেই চৈত্র মাসে লক্ষ্মী পুজর প্রচলন হল।

    কেন লক্ষ্মী আরাধনা

    হিন্দু ধর্মে সম্পদের দেবী হলেন লক্ষ্মী (Goddess Lakshmi)। তিনি ধনসম্পদ, আধ্যাত্মিক সম্পদ, সৌভাগ্য ও সৌন্দর্যের দেবী। তিনি বিষ্ণুর পত্নী। তার অপর নাম মহালক্ষ্মী, ইনি স্বত্ত্ব গুনময়ী। লক্ষ্মীর পূজা (Lakshmi Puja) অধিকাংশ হিন্দুর গৃহেই অনুষ্ঠিত হয়। দীপাবলি ও কোজাগরী পূর্ণিমার দিন তার বিশেষ পূজা হয়। এছাড়া বৃহস্পতিবারকে লক্ষ্মীবারই বলা হয়ে থাকে। লক্ষ্মী পুজো নিয়ে রীতিমতো বিভিন্ন রীতি পালন করে ধনদেবীর আরাধনা করা হয়। একটু পুরনো ইতিহাস ঘাঁটলে দেখা যাবে লক্ষ্মীপুজোর দিন সন্ধেবেলাতেই মায়ের আরাধনা করা হত। আসল নিয়ম এটাই। তবে সময় বদলেছে। বহু মানুষ বর্তমানে সুবিধার জন্য সকালের দিকে বা বিকেল নাগাদ পুজো সেরে নেন। তবে এখনও লক্ষ্মীপুজোর দিন সন্ধেবেলায় বাঙালির ঘরে, তুলসীতলায় জ্বলে ওঠে সন্ধ্যাপ্রদীপ।

    চলতি বছর চৈত্র মাসে লক্ষ্মী পুজো

    দুর্গাপুজোর ঠিক পরেই আশ্বিন মাসের শেষে পূর্ণিমা তিথিতে লক্ষ্মী দেবীর আরাধনা করা হয় শহর জুড়ে। ধন, সম্পদ, বৈভবের আশায় মায়ের কাছে প্রার্থনা করেন আপামোর সাধারণ জনতা। তবে শুধু মাত্র আশ্বিনেই নয়, বছরের অন্যান্য সময়েও পূজিতা হন দেবী লক্ষ্মী — ভাদ্র, পৌষ, চৈত্র। কোথাও মা লক্ষ্মীকে মূর্তি হিসেবে, কোথাও বা সরায় আঁকা পটে পুজো করা হয়। চলতি বছর বৃহস্পতিবার, ৩ মার্চ লক্ষ্মী পুজো হবে। ওই দিন এই বছর আবার চৈত্রমাসের শুক্লাপক্ষের ষষ্ঠী তিথিতে এই অশোক ষষ্ঠী ব্রতও পালন করা হবে। অশোক ষষ্ঠীর তিথি বুধবার, ২ এপ্রিল রাত থেকে এই শুরু হলেও, বৃহস্পতিবার এই অশোক ষষ্ঠী পালিত হবে। ২০২৫ সালে অশোক ষষ্ঠীর তিথি শুরু হবে ২ এপ্রিল রাত ১১ টা ৫০ মিনিটে। আর ৩ এপ্রিল রাত ৯ টা ৪১ মিনিটে এই তিথি শেষ হবে।

    লক্ষ্মী পুজোর দিন কী করবেন

    এই দিনে স্নানের পর পরিস্কার কাপড় পরিধান করুন এবং দেবী লক্ষ্মীর পুজো করুন। পুজোর সময় মাকে শস্য, হলুদ ও গুড় নিবেদন করুন। এই দিনে বাড়িতে শ্রী যন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা অত্যন্ত শুভ বলে মনে করা হয়। তাই এই যন্ত্র স্থাপনের পর শ্রীসুক্ত ও পদ্ম ফুলের মন্ত্র দিয়ে যজ্ঞ করুন। যজ্ঞের পর মাকে সাজসজ্জার সামগ্রী নিবেদন করুন। এর পরে, দেবী লক্ষ্মীকে লাল ফুল এবং ভগবান বিষ্ণুকে হলুদ রঙের কাপড় অর্পণ করুন। এছাড়াও এই দিনে দেবী লক্ষ্মীকে ক্ষীর নিবেদন করা উচিত। শাস্ত্র মতে লক্ষ্মী পঞ্চমীর দিনে দান করতে হবে। এছাড়াও এই দিনে গরুকে খাওয়ান, কারণ এই দিনে গরুকে খাওয়ালে দেবী লক্ষ্মীর আশীর্বাদ পাওয়া যায়।

  • Dragon-Elephant Tango: ‘একসঙ্গে নৃত্য হোক হাতি-ড্রাগনের’, ট্রাম্পের ট্যারিফের আবহে চিন-ভারত সম্পর্কের হয়ে সওয়াল জিনপিংয়ের

    Dragon-Elephant Tango: ‘একসঙ্গে নৃত্য হোক হাতি-ড্রাগনের’, ট্রাম্পের ট্যারিফের আবহে চিন-ভারত সম্পর্কের হয়ে সওয়াল জিনপিংয়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিন এবং ভারতের সম্পর্ক (India China Relation) একটি “ড্রাগন-এলিফ্যান্ট ট্যাঙ্গো” (Dragon-Elephant Tango) এর মতো হওয়া উচিত, যা তাদের প্রতীকী প্রাণীদের শান্তিপূর্ণ নৃত্যের প্রতিফলন। মঙ্গলবার, দুই দেশের ৭৫ বছরের কূটনৈতিক সম্পর্ক উদযাপন উপলক্ষে, ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে শুভেচ্ছা বার্তা বিনিময় করার সময় এই মন্তব্য করেন চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। তাঁর কথায়, দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা জোরদার করা প্রয়োজন। শি জিনপিং এবং রাষ্ট্রপতি মুর্মু ছাড়াও, চিনের প্রধানমন্ত্রী লি চিয়াং এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও এই বিশেষ উপলক্ষে একে অপরকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন, যা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নতির সূচক।

    বিশ্বাসযোগ্যতা প্রয়োজন

    মার্কন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যে সময় ট্যারিফ নিয়ে ভারতকে ‘হুঁশিয়ারি’ দিচ্ছেন, সেই সময়ে জিনপিংয়ের মুখে ভারতের উদ্দেশে ‘ট্যাঙ্গো’র বার্তা অর্থবহ। চিনের প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘‘দু’দেশের মধ্যে পারস্পরিক রাজনৈতিক আস্থা বাড়াতে, প্রত্যক্ষ সহযোগিতা তৈরি করতে এবং মতপার্থক্য কমাতে আমি ভারতের রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সম্মিলিত ভাবে পদক্ষেপ করতে প্রস্তুত।’’ কূটনৈতিক শিবিরের বক্তব্য, ভারতের সামরিক বাহিনীর সর্বাধিনায়ক রাষ্ট্রপতি। তাঁর সঙ্গে কাজ করার প্রস্তাব দিয়ে বিশেষ বার্তা দিলেন চিনের সামরিক বাহিনীর সর্বাধিনায়ক শি জিনপিং। তিনি আরও বলেছেন, ভারত এবং চিন দুটি গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্র। এই অঞ্চলের এবং গোটা বিশ্বের শান্তি, উন্নয়ন এবং স্থিতিশীলতা বজায় রাখার প্রশ্নে দুই দেশের ভূমিকা অপরিসীম। এই দুই দেশের বিকাশের সঙ্গে তাদের মৌলিক স্বার্থ জড়িত। দরকার একে অপরের প্রতি বিশ্বাসযোগ্য সম্পর্ক তৈরি করা।

    ড্রাগন-এলিফ্যান্ট ট্যাঙ্গো

    “ড্রাগন-এলিফ্যান্ট ট্যাঙ্গো” (Dragon-Elephant Tango) একটি রূপক যা ভারত এবং চিনের মধ্যে জটিল এবং মাঝে মাঝে সংবেদনশীল সম্পর্কের বর্ণনা দেয়। “ড্রাগন” চিনের প্রতীক, যা এর উন্নত অর্থনৈতিক, সামরিক এবং ভূরাজনৈতিক শক্তিকে প্রতিনিধিত্ব করে, আর “এলিফ্যান্ট” ভারতের প্রতীক, যা এর উত্থানশীল বৈশ্বিক অর্থনীতি এবং ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক গুরুত্বকে প্রতিনিধিত্ব করে। “ট্যাঙ্গো” এই সম্পর্কের মধ্যে জটিল, কিন্তু সতর্ক নৃত্যকে বোঝায়, যা কখনও কখনও সহযোগিতা এবং প্রতিদ্বন্দ্বিতার মধ্যে বিরোধী শক্তির প্রতিফলন। ভারত-চিন সম্পর্কও খানিকটা এরকম। বহু ওঠানামার মধ্য দিয়ে গিয়েছে। এখন ভুল বুঝতে পেরে দুই দেশের জনগণের জন্য একযোগে কাজ করা কথা বলছে চিন।

  • Waqf Bill: চলতি অধিবেশনেই নয়া আইন পাশ করাতে উদ্যোগী কেন্দ্র, বুধেই সংসদে পেশ ওয়াকফ বিল?

    Waqf Bill: চলতি অধিবেশনেই নয়া আইন পাশ করাতে উদ্যোগী কেন্দ্র, বুধেই সংসদে পেশ ওয়াকফ বিল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সংসদে ওয়াকফ বিল (Waqf Bill) পাশ করাতে উদ্যোগী মোদি সরকার। মঙ্গলে বৈঠকের পর, বুধে সংসদে পেশ হতে পারে ওয়াকফ বিল। দ্বিতীয় পর্বের বাজেট অধিবেশন শেষ হতে আর বেশি দিন বাকি নেই। তার আগেই সংসদে এই নতুন বিল পাশ করাতে চাইছে কেন্দ্র। আজ অর্থাৎ মঙ্গলবারেই ওয়াকফ বিষয়ে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করতে পারে সরকার।

    মঙ্গলে বিশেষ বৈঠক

    গত বাদল অধিবেশনেই ওয়াকফ বিল (Waqf Bill) সংসদে পেশ করে শাসক গোষ্ঠী। কিন্তু তা পেশ করতেই উত্তাল হয় পরিস্থিতি। বিল নিয়ে আলোচনার জন্য একটি জেপিসি বা যৌথ সংসদীয় কমিটি গঠন করা হয়। কিছু সংশোধনের পর, জগদম্বিকা পালের নেতৃত্বে এই কমিটি সরকারের কাছে প্রতিবেদন জমা দেয়। এবারের বাজেট অধিবেশনের শুরুতেই বিল লোকসভায় জমা দেওয়া হয়েছে জেপিসির তরফে। তবে তা নিয়ে এখনও আলোচনা হয়নি। চলতি অধিবেশনে সেই কাজটা শেষ করতে চায় শাসক দল বিজেপি। জানা গিয়েছে, আজ অর্থাৎ মঙ্গলবারেই ওয়াকফ বিষয়ে অবস্থান স্পষ্ট করার পাশাপাশি, দুপুরে এই নিয়ে একটি বিজনেস অ্যাডভাইসরি কমিটির (Business Advisory Committee) বৈঠকও ডেকেছেন লোকসভা অধ্যক্ষ ওম বিড়লা। সংসদ সূত্রে খবর, মঙ্গলের বিশেষ বৈঠকে কোন কক্ষ হয়ে বিল পাশ করানো হবে সেই নিয়েই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। সেই কাজ মিটলেই আগামিকাল অর্থাৎ বুধবার লোকসভায় ওয়াকফ বিল নিয়ে শুরু হতে পারে আলোচনা। কেন্দ্রের প্রত্যাশা, এই অধিবেশন শেষের আগেই সংসদ থেকে পাশ করানো হবে ওয়াকফ বিল।

    ১০০ শতাংশ উপস্থিতি প্রয়োজন

    সূত্রের খবর, বিল (Waqf Bill) পাশ করাতে ইতিমধ্যেই দলীয় সংসদদের ১০০ শতাংশ হাজিরা নিশ্চিত করতে তিন লাইনের হুইপও জারি করা হয়েছে বিজেপির তরফে। এই প্রসঙ্গে সংসদের পরিষদীয় মন্ত্রী কিরেন রিজিজু জানাচ্ছেন, ‘সাংসদদের কাছে এটা আমার বিশেষ অনুরোধ, যখন আমরা বিল আনার পরিকল্পনা কষছি, সেই সময় আলোচনার জন্য তাদেরও ১০০ শতাংশ উপস্থিতি প্রয়োজন।’

  • India Bangladesh Relation: চিন সফরে ভারতের ‘সেভেন সিস্টার্স’ নিয়ে উস্কানি, ইউনূসকে তুলোধনা হিমন্তের

    India Bangladesh Relation: চিন সফরে ভারতের ‘সেভেন সিস্টার্স’ নিয়ে উস্কানি, ইউনূসকে তুলোধনা হিমন্তের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের ভারত-বিরোধী মন্তব্যে বিতর্ক উসকে দিলেন বাংলাদেশের (India Bangladesh Relation) অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূস (Muhammad Yunus )। চিন সফরে গিয়ে উত্তরপূর্ব ভারতের ৭ রাজ্যকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করলেন ইউনূস। তাঁর দাবি, ‘‘উত্তর-পূর্বে ভারতের সাতটি রাজ্য ভারতের স্থলবেষ্টিত অঞ্চল। তাদের সমুদ্রে পৌঁছনোর কোনও উপায় নেই। এই অঞ্চলে আমরাই সমুদ্রের অভিভাবক। এটি একটি বিশাল সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করে।’’ ইউনূসের এই মন্তব্যের কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন উত্তর-পূর্ব ভারতের সবচেয়ে বড় রাজ্য অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। শর্মা এই মন্তব্যকে “অপমানজনক এবং কঠোরভাবে নিন্দনীয়” বলে অভিহিত করেছেন।

    ভারতের আঞ্চলিক অখণ্ডতাকে অস্থির করার প্রয়াস

    অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা এ প্রসঙ্গে বলেন, এই মন্তব্য ভারতের সার্বভৌমত্বকে চ্যালেঞ্জ করার লক্ষ্যে করা হয়েছে এবং এটি “চিকেন’স নেক” করিডরের মতো গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চলের ভঙ্গুরতা প্রদর্শন করছে। মুখ্যমন্ত্রী শর্মা সতর্ক করেছেন, এই ধরনের মন্তব্য উপেক্ষা করা উচিত নয়, কারণ এটি পূর্বে কিছু শক্তির দ্বারা ভারতের আঞ্চলিক অখণ্ডতা প্রশ্নবিদ্ধ করার প্রয়াসের পুনরাবৃত্তি। তিনি আরও বলেন, ‘‘ভারতে এমন কিছু সংগঠন রয়েছে যারা এই গুরুত্বপূর্ণ করিডরটি বিচ্ছিন্ন করার প্রস্তাব দিয়েছে, যা উত্তর-পূর্ব ভারতকে অস্থির করে তুলবে।’’ এই পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য তিনি বিশেষভাবে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের অবকাঠামোগত উন্নয়নের উপর জোর দিয়েছেন। হিমন্ত বিশ্ব শর্মা কেন্দ্রের কাছে এই অঞ্চলে রেলপথ এবং সড়ক যোগাযোগে উন্নতি আনার প্রস্তাব দিয়েছেন, যার মধ্যে ভূগর্ভস্থ পথ এবং চিকেন’স নেক করিডর বাইপাস করার জন্য বিকল্প সড়ক নির্মাণের বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করা কঠিন হলেও, সঠিক সংকল্প এবং উদ্ভাবনী চিন্তাভাবনা দিয়ে এই কাজ সম্ভব বলে দাবি করেন হিমন্ত।

    ভুল ধারণা সৃষ্টির চেষ্টা

    এ বিষয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত (India Bangladesh Relation) ভারতের প্রাক্তন হাইকমিশনার শ্রীমতি ভীনা সিক্রি মন্তব্য করেছেন, “ইউনূসের এই মন্তব্য অত্যন্ত বিস্ময়কর। তাঁর এই ধরনের বক্তব্য দেওয়ার কোনও অধিকার নেই।” তাঁর কথায়, “তিনি জানেন যে, উত্তর-পূর্ব ভারত ভারতীয় ভূখণ্ডের অবিচ্ছেদ্য অংশ এবং বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে এই অঞ্চলের বঙ্গোপসাগরের মাধ্যমে যোগাযোগের জন্য আমাদের ফরমাল চুক্তি রয়েছে… এই মন্তব্যের তীব্র নিন্দা করা উচিত।” তিনি সাফ জানিয়ে দেন, “বাংলাদেশ যদি উত্তর-পূর্ব ভারতকে সংযোগের অধিকার দিতে আগ্রহী না হয়, তবে তারা নদী-সংলগ্ন রাষ্ট্র হিসেবে কোনও অধিকার দাবি করতে পারে না। তাই তাদের এটি স্পষ্টভাবে বুঝে নেওয়া উচিত। এ বিষয়ে কোনও ভুল ধারণা পোষণ যেন না করে বাংলাদেশ।”

    বিকল্প পথ তৈরি করেই জবাব

    ইউনূসের মন্তব্যের সমালোচনা করেছেন ত্রিপুরার রাজ পরিবারের সদস্য তথা টিপ্রা মথা দলের সভাপতি প্রদ্যুৎ কিশোর মানিক্য দেববর্মা। তিনি বলেন, ‘‘এটা ভারতের জন্য আদর্শ সময়, আমাদের উচিত আদিবাসী জনগণের সমর্থনে মহাসাগরের দিকে একটি রুট তৈরি করা, যারা একসময় চট্টগ্রাম শাসন করত, যাতে আমরা আর কোনও কৃতঘ্ন শাসকের উপর নির্ভরশীল না থাকি।’’ দেববর্মা তার এক্স হ্যান্ডলে আরও লিখেছেন, ‘‘১৯৪৭ সালে ভারতের জন্য সবচেয়ে বড় ভুল ছিল চট্টগ্রাম বন্দরের অধিকার হারানো, যদিও সেখানে বসবাসরত পাহাড়ি জনগণ ভারতের সঙ্গে যুক্ত হতে চেয়েছিল। ইউনূস হয়ত ভাবেন তিনি মহাসাগরের রক্ষক, তবে বাস্তবতা হল তিনি প্রায় ৮৫ বছর বয়সি এক অস্থায়ী নেতা।’’ টিপ্রা মথা নেতা আরও মনে করিয়ে দেন যে, উত্তর-পূর্ব ভারত চট্টগ্রাম থেকে খুব বেশি দূরে নয়। তিনি লিখেছেন, ‘‘চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ত্রিপুরা শুধু কয়েক মাইল দূরে অবস্থিত।’’

    ক্ষুব্ধ নয়াদিল্লি

    যদিও ইউনূসের এই মন্তব্য নিয়ে কোনও প্রকাশ্য বিবৃতি দেয়নি ভারত (India Bangladesh Relation)। তবে সূত্রের খবর, বাংলাদেশ সরকারের প্রধান উপদেষ্টার করা এই মন্তব্য প্রত্যাহারের দাবি জানাতে পারে নয়াদিল্লি। উত্তরপূর্ব ভারতের ৬ রাজ্যে অস্থিরতা তৈরির জন্য চিনের নির্দেশেই ইউনূস এই বিবৃতি দিয়ে থাকতে পারেন বলে মনে করছে নয়াদিল্লি। ভারত সরকার মনে করছে উত্তরপূর্বের ৭ রাজ্য সমুদ্রে পৌঁছতে বাংলাদেশের উপর নির্ভরশীল এই তথ্য সম্পূর্ণ ভ্রান্ত। উত্তর-পূর্বের সাতটি রাজ্য ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ। এবং এই এলাকা মোটেই স্থলবেষ্ঠিত নয়। ভারতের একটি সুবিশাল উপকূল এলাকা রয়েছে। যেখান থেকে সারা দেশকে পরিষেবা দেওয়া হয়। ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল বাংলাদেশের সঙ্গে আইনত বাধ্যতামূলক চুক্তির মাধ্যমে সংযুক্ত।

    নির্ভয় ভারত

    চিনে বাংলাদেশের বাণিজ্য নিয়ে কথা বলতে গিয়ে ভারতকে টেনে আনার প্রসঙ্গে ইউনূসের কড়া সমালোচনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির অর্থনৈতিক উপদেষ্টা পর্ষদের সদস্য সঞ্জীব স্যান্যাল। এক্স পোস্টে তিনি লেখেন, ‘‘বাংলাদেশে চিন বিনিয়োগ করতেই পারে। কিন্তু এতে ভারতের স্থলবেষ্টিত সাত রাজ্যের কথা টেনে আনার কী তাৎপর্য? এটা সত্যিই বিরক্তিকর। এর যথাযথ ব্যাখার প্রয়োজন রয়েছে। চিনের সঙ্গে উত্তর-পূর্বের সাত রাজ্যকে জড়িয়ে দিতে চাইছেন ইউনূস? তাই কি জনসমক্ষেই সেই ঘোষণা করে দিলেন ইউনূস?’’ প্রথমে পাকিস্তান, আর এবারে চিন। ভারতের বিরুদ্ধে দল ভারী করছেন বাংলাদেশের শাসক ইউনূস। তাতে অবশ্য উদ্বেগের কোনও কারণ নেই ভারতের। শিলিগুড়ি করিডর দিয়ে ভারতের উত্তর পূর্বের সাত রাজ্যে যোগাযোগ রয়েছে মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে। বাংলাদেশের তিন দিকের সীমানার অধিকাংশই আবদ্ধ ভারত দিয়ে। আর সেই বাংলাদেশে বিনা নির্বাচনে ক্ষমতায় থাকা ইউনূস বললেন, চিনের দিক থেকে ভারত মহাসাগরের নাগাল পাওয়ার জন্য একমাত্র উন্মুক্ত স্থান বাংলাদেশ। এ মন্তব্য হাস্যকর বলেই মনে করছে কূটনৈতিক মহল।

    অস্থির বাংলাদেশে ভারত বিরোধিতা

    উল্লেখ্য, এর আগে ক্ষমতায় আসার সময়ও ভারতকে সেভেন সিস্টার্স নিয়ে কার্যত হুমকি দিয়েছিলেন ইউনূস। তিনি বলেছিলেন, ভারত যদি বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল রত চায়, তাহলে তাদের ভোলা উচিত না, ওদেরও সেভেন সিস্টার্স আছে। এরপরে আবার ইউনূসের সরকারের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম ফেসবুকে বিতর্কিত পোস্ট দিয়ে বাংলাদেশের মানচিত্রের অধীনে সেভেন সিস্টার্সকে অন্তর্গত করেছিলেন। তবে পরবর্তীতে ইউনুসের সুর ‘বদল’ হয়। ইউনূস বলেন, ‘ভারতের সেভেন সিস্টারের সঙ্গে অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাজ করব আমরা। আমাদের সমুদ্র বন্দরে ভারত পণ্য আনা-নেওয়া করতে পারবে। তাতে তারাও আমাদের পণ্য আমদানি-রফতানি করবে। এই সুযোগ পেলে তারা আনন্দিত হবে। তাদের ব্যবসার সঙ্গে আমাদেরও ব্যবসা সমৃদ্ধ হবে।’ আসলে ইউনূস জানেন, চাল, পেঁয়াজের মতো প্রয়োজনীয় পণ্যের জন্যে এখনও সেই ভারতের দিকেই তাকিয়ে থাকতে হয় বাংলাদেশকে। অপরদিকে সম্প্রতি আবার বিদ্যুতের জন্যে আদানির কাছে নতুন করে ‘আবদার’ করেছিল ঢাকা। ইউনূস আসলে জানেন যতই ভারত বিরোধিতা করুক না কেন, বাংলাদেশ ভারতের উপর নির্ভরশীল। গত ৬ মাস ধরে সরকার চালালেও বাংলাদেশের অর্থনীতির হাল এখনও ফেরাতে পারেননি ইউনূস। দুর্ভোগ কমেনি সেই দেশের সাধারণ মানুষের। তাই সেই দুর্ভোগ চাপা দিতে ভারতকেই বারবার আশ্রয় করে বাংলাদেশ। কখনও সাহায্য চেয়ে আবার কখনও বিরোধিতা করে।

  • India’s Gold: বিশ্বব্যাঙ্ক, আমেরিকা নস্যি! ২৫ হাজার টন সোনা সঞ্চিত ভারতের জনতার কাছেই, মূল্য জানেন কত?

    India’s Gold: বিশ্বব্যাঙ্ক, আমেরিকা নস্যি! ২৫ হাজার টন সোনা সঞ্চিত ভারতের জনতার কাছেই, মূল্য জানেন কত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের সোনার (India’s Gold) প্রতি আবেগ চিরকালীন। এটা শুধু সাংস্কৃতিক নয়, এটি অর্থনৈতিক শক্তিও জোগায়। সম্ভ্রান্ত ভারতীয় পরিবারে সোনার গয়না এক ঐতিহ্য। উত্তরাধিকারী গয়না থেকে শুরু করে জরুরি সঞ্চয় পর্যন্ত, দেশজুড়ে পরিবারগুলির কাছে প্রায় ২৫,০০০ টন সোনা রয়েছে। এর ফলে ভারতীয় পরিবারগুলি বিশ্বের সবচেয়ে বড় ব্যক্তিগত সোনার মালিক হয়ে উঠেছে। এই সোনালী ভান্ডার শুধুমাত্র অলঙ্কার নয়, এটি একটি কৌশলগত ঢাল, যা আর্থিক নিরাপত্তা এবং ক্ষমতার অনুভূতি প্রদান করে, বিশেষত মহিলাদের জন্য। সোনার দাম বাড়ার সঙ্গে, এই ঐতিহ্য দ্রুত বাস্তব সম্পদে পরিণত হচ্ছে।

    ভারতে সোনার প্রতি আবেগ

    ভারতে সোনার (India’s Gold) প্রতি জাতীয় আবেগের কথা তুলে ধরে, সেবি-র অধীনে এক গবেষক বিশ্লেষক সম্প্রতি একটি চমকপ্রদ পরিসংখ্যান শেয়ার করেছেন। তাঁর কথায়, “ভারতীয় পরিবারগুলি শুধু সোনার মাধ্যমে এক বছরে প্রায় ৭৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার (৬৪ লক্ষ কোটি টাকা) সম্পদ বৃদ্ধি করেছে।” একটি পোস্টে ওই বিশ্লেষক বিস্তারিতভাবে জানিয়েছেন কীভাবে ভারতের ব্যক্তিগত সোনার ভান্ডার, যা প্রায় ২৫,০০০ টন। এই পরিমাণ আমেরিকা, জার্মানি, চিন, এমনকি ভারতের রিজার্ভ ব্যাঙ্ক সহ পৃথিবীর শীর্ষ ১০টি কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের সম্মিলিত সোনার মজুদকেও ছাড়িয়ে গিয়েছে।  ২০২৪ সেপ্টেম্বর -এর সেপ্টেম্বরে সোনার রেকর্ড দাম ৭৫,৫৪৯ টাকা প্রতি ১০ গ্রামে পৌঁছানোর সময়, এই সোনার মজুদ প্রায় ১৮৮.৯ লক্ষ কোটি টাকা মূল্যমান অর্জন করে, যা বর্তমানে ২২০ লক্ষ কোটির কাছাকাছি।

    স্বর্ণ সুরক্ষা

    ভারতীয় পরিবারগুলোর জন্য সোনা দীর্ঘদিন ধরে মুদ্রাস্ফীতি, মুদ্রার পরিবর্তন, এবং অর্থনৈতিক অস্থিরতার বিরুদ্ধে একটি সুরক্ষা কাঠামো হিসেবে কাজ করে আসছে। এটি উদযাপনের একটি কেন্দ্রবিন্দু, বিশেষত গ্রামীণ এলাকায় যেখানে এটি প্রায়ই প্রথাগত ব্যাঙ্কিং সিস্টেমের বিকল্প হিসেবে ব্যবহৃত হয়।বাণিজ্য ঘাটতির উপর এর প্রভাব সত্ত্বেও, সোনার ভূমিকা গৃহস্থালির পোর্টফোলিওতে অপরিবর্তিত রয়েছে। যদিও ভারত চিনের পর দ্বিতীয় বৃহত্তম সোনা ভোগকারী দেশ, দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কও তার সোনার মজুদ বাড়াচ্ছে, যা একটি বৈশ্বিক প্রবণতা, যেখানে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কগুলো সোনাকে একটি আর্থিক ভিত্তি হিসেবে গ্রহণ করছে।

  • UPI New Rules: ইউপিআই, আয়কর থেকে ব্যাঙ্ক, ১ এপ্রিল থেকে বদলে যাচ্ছে একগুচ্ছ নিয়ম

    UPI New Rules: ইউপিআই, আয়কর থেকে ব্যাঙ্ক, ১ এপ্রিল থেকে বদলে যাচ্ছে একগুচ্ছ নিয়ম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নতুন অর্থবর্ষ শুরু হচ্ছে ১ এপ্রিল, মঙ্গলবার থেকে। ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষের শুরু থেকেই ফিনান্সিয়াল সেক্টরে বেশ কিছু নিয়মে পরিবর্তন আসছে। ব্যাঙ্কিং, শেয়ার মার্কেট, ইনকাম ট্যাক্স, বিভিন্ন ইনভেস্টমেন্ট স্কিম- একাধিক সেক্টরেই বিভিন্ন রকমের পরিবর্তন করছে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক। সেই সব নিয়ম সঠিকভাবে না জানা থাকলে বিপদে পড়তে হবে সকলকেই। এক ঝলকে দেখে নেওয়া যাক, কোন কোন নিয়মে আসছে বদল—

    আয়কর সীমা:

    ২০২৫ সালের বাজেটে কেন্দ্রীয় সরকার আয়করের ঊর্ধ্বসীমা বৃদ্ধি করেছিল। ট্যাক্স স্ল্যাব, টিডিএস, ট্যাক্স রিবেটে ছাড় দেওয়া হয়েছিল। এই নিয়মগুলি ১ এপ্রিল থেকে কার্যকর হতে চলেছে। ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষে ১২ লক্ষ টাকা রোজগার পর্যন্ত কোনও আয়কর দিতে হবে না চাকুরিজীবীদের। ৮৭এ ধারায় ট্যাক্স রিবেট ২৫ হাজার থেকে বেড়ে হবে ৬০ হাজার টাকা।

    অব্যবহৃত ইউপিআই নম্বর ডিঅ্যাক্টিভেট:

    দীর্ঘদিন ধরে সক্রিয় না থাকা মোবাইল নম্বরগুলির সঙ্গে যে ইউপিআই (UPI New Rules) আইডিগুলি যুক্ত রয়েছে, সেগুলিকে ব্যাঙ্ক রেকর্ড থেকে মুছে ফেলা হবে। অর্থাৎ এরফলে বেশ কিছু ইউপিআই পরিষেবা নাও পাওয়া যেতে পারে। গত ১২ মাস ধরে যে সমস্ত ইউপিআই নম্বর ব্যবহার হয়নি সেগুলিই ডিঅ্যাক্টিভেট করে দেওয়া হবে, বলে জানানো হয়েছে। ১ এপ্রিল থেকেই তা কার্যকর হবে। তাই আপনার কোনও ফোন নম্বর যদি দীর্ঘদিন ব্যবহার না হয়ে থাকে এবং সেই নম্বরে যদি ইউপিআই থাকে, তাহলে ৩১ মার্চের মধ্যেই তা অ্যাক্টিভেট করে নিন।

    ডিভিডেন্ড ইনকাম:

    আধারের সঙ্গে প্যান সংযুক্ত না করা থাকে তাহলে ১ এপ্রিল থেকে কোনও ডিভিডেন্ড পাওয়া যাবে না। প্যান-আধারের লিঙ্ক না থাকলে ডিভিডেন্ড ক্যাপিটাল গেনের জন্য টিডিএস বেশি পরিমাণে কাটা হবে।

    জিএসটি হার বৃদ্ধি:

    যে সব হোটেলের কোনও ঘরের একদিনের ভাড়া সাড়ে সাত হাজার টাকার বেশি, সে ক্ষেত্রে ১৮ শতাংশ জিএসটি লাগু হবে।

    জিএসটিতে আইডিএস সিস্টেম বাস্তবায়ন:

    ভারত সরকার পণ্য ও পরিষেবা করের নিয়মে অনেক পরিবর্তন এনেছে। এর অধীনে, ইনপুট সার্ভিস ডিস্ট্রিবিউটর সিস্টেম ১ এপ্রিল থেকে বাস্তবায়িত হতে চলেছে। এই সিস্টেমের উদ্দেশ্য হল রাজ্যগুলির মধ্যে কর রাজস্বের সঠিক বণ্টন নিশ্চিত করা।

    ব্যাঙ্কের ন্যূনতম ব্যালেন্স সংশোধন:

    স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া-সহ বেশ কেয়কটি ব্যাঙ্ক ১ এপ্রিল থেকে গ্রাহকদের সেভিংস অ্যাকাউন্টে ন্যূনতম ব্যালেন্স সম্পর্কিত নিয়মে বদল আনতে চলেছে। ন্যূনতম ব্যালেন্সের ক্ষেত্রে একটি নতুন সীমা নির্ধারণ করা হতে পারে। সেই মতো পরিমাণ টাকা খাতায় না থাকলে করা হতে পারে জরিমানাও। স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (এসবিআই), পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক (পিএনবি) এবং কানাড়া ব্যাঙ্কের সেভিংস অ্যাকাউন্টে মিনিমাম ব্যালেন্স বজায় রাখতে হবে গ্রাহকদের। না হলে জরিমানার মুখে পড়তে হবে। মিনিমাম ব্যালেন্সের পরিমাণ কোন ব্রাঞ্চের অ্যাকাউন্ট তার উপর নির্ভর করবে। অর্থাৎ গ্রামীণ এলাকার কোনও ব্রাঞ্চে যা মিনিমাম ব্যালেন্স রাখতে হবে, তার থেকে শহরের কোনও ব্যাঙ্কের ব্রাঞ্চের অ্যাকাউন্টে মিনিমাম ব্যালেন্সের পরিমাণ বেশি হবে।

    ক্যাশ উইথড্রল:

    এটিএম থেকে ফ্রি-তে টাকা তোলার সর্বোচ্চ সীমাতেও পরিবর্তন আসবে ১ এপ্রিল থেকে। প্রতি মাসে অন্য ব্যাঙ্কের এটিএম থেকে মাত্র তিনটি লেনদেন বিনামূল্যে করা যাবে। তার পর থেকে লেনদেন প্রতি ২০ থেকে ২৫ টাকা ফি নেওয়া হবে।

    ফিক্সড ডিপোজিট রেট:

    নতুন অর্থবর্ষের শুরুতে ফিক্সড ডিপোজিটে সুদের হারে পরিবর্তন আসতে পারে। বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান নতুন অর্থবর্ষে নতুন রেটের কথা জানাতে পারে।

    ডেবিট কার্ডের নতুন নিয়ম:

    ১ এপ্রিল থেকে রুপে ডেবিট সিলেক্ট কার্ডে নয়া আপডেট আসছে। প্রতি ত্রৈমাসিকে একবার দেশীয় লাউঞ্জ এবং বছরে দু’বার আন্তর্জাতিক লাউঞ্জ অ্যাক্সেসের সুবিধা পাবেন গ্রাহকরা। দুর্ঘটনায় মৃত্যু বা স্থায়ী অক্ষমতার জন্য ১০ লক্ষ টাকার কভারও থাকবে। তাছাড়া ত্রৈমাসিকে একবার বিনামূল্যে জিম সদস্যপদও মিলবে।

    ইউনিফায়েড পেনশন স্কিম (UPS):

    ১ এপ্রিল থেকে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের জন্য ইউনিফায়েড পেনশন স্কিম (UPS) চালু হচ্ছে। কর্মীরা এনপিএস বা ইউপিএস যেকোনও একটি স্কিম বেছে নিতে পারবেন। ইউপিএস-এর অধীনে সর্বনিম্ন পেনশন হবে ১০,০০০ টাকা মাসিক, যদি কর্মচারী ন্যূনতম ১০ বছরের পরিষেবা দেন।

    ক্রেডিট কার্ডের রিওয়ার্ডে বদল:

    ১ এপ্রিল থেকে এসবিআই-এর সিম্পলিক্লিক ক্রেডিট কার্ডে সুইগি রিওয়ার্ড পয়েন্ট ৫ গুণ থেকে কমিয়ে অর্ধেক করা হবে। এয়ার ইন্ডিয়া সিগনেচার পয়েন্টও ৩০ থেকে কমিয়ে ১০ করা হবে। আইডিএফসি ফার্স্ট ব্যাঙ্ক ক্লাব ভিসতারা মাইলস্টোন রিওয়ার্ড সুবিধা বন্ধ করছে।

    আরবিআইয়ের পজিটিভ পে বেতন ব্যবস্থা:

    জালিয়াতি এড়াতে, আরবিআই পজিটিভ পে সিস্টেম বাস্তবায়ন করেছে। অনেক ব্যাঙ্ক এই ব্যবস্থা বাস্তবায়ন করছে। পিপিএসের অধীনে, যদি আপনি ৫০,০০০ টাকার বেশি মূল্যের চেক ইস্যু করেন, তাহলে আপনাকে চেক সম্পর্কে কিছু তথ্য ইলেকট্রনিকভাবে ব্যাঙ্কে প্রদান করতে হবে।

  • Operation Brahma: ভূকম্প-বিধ্বস্ত মায়ানমারে ভারতের ‘অপারেশন ব্রহ্মা’, তৈরি অস্থায়ী হাসপাতাল, পৌঁছেছে ১৪০ টন ত্রাণ

    Operation Brahma: ভূকম্প-বিধ্বস্ত মায়ানমারে ভারতের ‘অপারেশন ব্রহ্মা’, তৈরি অস্থায়ী হাসপাতাল, পৌঁছেছে ১৪০ টন ত্রাণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্দিনে প্রতিবেশীর পাশে দাঁড়ানোই রীতি ভারতের। ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত পড়শি রাষ্ট্র মায়ানমারে (Myanmar Earthquake) ত্রাণ এবং উদ্ধারকাজের জন্য ইতিমধ্যেই বিশেষ অভিযান শুরু করেছে ভারত। নাম দেওয়া হয়েছে ‘অপারেশন ব্রহ্মা’ (Operation Brahma)। ত্রাণসামগ্রী নিয়ে আন্দামান থেকে মায়ানমারের উদ্দেশে পাঠানো হয়েছে ভারতীয় নৌসেনার দু’টি জাহাজকে। জরুরি পরিস্থিতির জন্য ভারতীয় সেনার বিশেষ অস্থায়ী হাসপাতাল (ফিল্‌ড হসপিটাল)-ও পাঠানো হচ্ছে। ওই অস্থায়ী হাসপাতালে ভূমিকম্পে আহতদের জরুরি চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়ার জন্য গিয়েছে চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মী-সহ ১১৮ জনের একটি দল। এখনও পর্যন্ত ভারত পাঁচটি বিমান এবং চারটি জাহাজের মাধ্যমে ১৪০ টনেরও বেশি ত্রাণ সামগ্রী মায়ানমারে পাঠিয়েছে। প্রতিবেশীর চরম বিপদের দিনে ভারত সরকারের এই মানবিক সাহায্যের উদ্যোগ বিশ্বের নজর কেড়েছে।

    ভারতীয় নৌসেনার প্রচেষ্টা

    ৭.৭ মাত্রার ভূমিকম্পে কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে মায়ানমার (Myanmar Earthquake)। প্রতিবেশীর চরম বিপদের দিনে তাকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে ভারত। প্রতিবেশীর পাশে থাকার বার্তা দিয়ে ইতিমধ্যেই মায়ানমারের সেনাপ্রধানের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। নৌসেনার জাহাজ আইএনএস সাতপুরা এবং আইএনএস সাবিত্রীর সোমবারের মধ্যে ইয়াঙ্গনে পৌঁছে যাওয়ার কথা। শনিবার ভোরেই ১০ টন ত্রাণ নিয়ে প্রথম জাহাজটি রওনা দিয়েছে মায়ানমারের উদ্দেশে। পরে আরও ৩০ টন ত্রাণ নিয়ে দ্বিতীয় জাহাজটি রওনা দেয় শনিবার বিকেলে। দু’টি জাহাজ মিলিয়ে ৪০ টন ত্রাণ পাঠানো হচ্ছে ভারত থেকে। এ ছাড়া আন্দামান-নিকোবর কমান্ডের অন্তর্গত শ্রীবিজয়পুরম থেকে নৌসেনার আরও দু’টি জাহাজ আইএনএস কারমুক এবং এলসিইউ ৫২ রওনা হয়েছে। মোট ৫০ টন ত্রাণ সামগ্রী ইয়াঙ্গনে পৌঁছানোর জন্য পাঠানো হয়েছে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে তাঁবু, কম্বল, স্লিপিং ব্যাগ, খাবারের প্যাকেট, হেলথ কিট, জেনারেটর ও প্রয়োজনীয় ওষুধ।

    ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্রচেষ্টা

    সক্রিয় সাহায্য করছে ভারতীয় সেনাও। শত্রুজিত ব্রিগেডের মেডিক্যাল রেসপন্ডারদের ১১৮ সদস্যের একটি দল, লেফটেন্যান্ট কর্নেল জগনীত গিলের নেতৃত্বে, আক্রান্ত জনগণের চিকিৎসা শুরু করেছে। আর্মির এয়ারবোর্ন এঞ্জেল্স টাস্ক ফোর্স দুর্যোগ প্রভাবিত অঞ্চলে উন্নত চিকিৎসা ও সার্জিক্যাল সেবা দেওয়ার জন্য প্রস্তুত। সেনাবাহিনী একটি ৬০ শয্যার মেডিক্যাল ট্রিটমেন্ট সেন্টার স্থাপন করেছে যাতে আহতদের জরুরি চিকিৎসা প্রদান করা হচ্ছে। ৩০ মার্চ, প্রথম ত্রাণ ও উদ্ধার দলটি ১০ জন কর্মীসহ মায়ানমারের মান্দালে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায়। দলটি মাঠ হাসপাতাল স্থাপনের জন্য জায়গা নির্বাচনের রেকি শুরু করেছে এবং বর্তমানে অপারেশন এলাকার পূর্বপ্রস্তুতির কাজ করছে। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর ৮০ জন সদস্যের দলের সঙ্গে পাঠানো হয়েছে উদ্ধার অভিযানের জন্য প্রয়োজনীয় অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি। কংক্রিট কাটার যন্ত্র, ড্রিল করার যন্ত্রের সঙ্গে পাঠানো হয়েছে উদ্ধার অভিযানের জন্য প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সারমেয় দলও (কে৯ স্কোয়াড)। ধ্বংসস্তূপের নীচে আটকে থাকা মানুষদের উদ্ধারের জন্য মায়ানমারের স্থানীয় প্রশাসনকে সাহায্য করে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর এই দল। এছাড়াও অপারেশন ব্রহ্মায় (Operation Brahma) অংশ নিতে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ৬০টি প্যারা ফিল্ড অ্যাম্বুলেন্স মায়ানমারের উদ্দেশে রওনা হওয়ার জন্য প্রস্তুত হচ্ছে। এরই সঙ্গে সেনার একটি বিশেষ মেডিক্যাল টাস্কফোর্সও মায়ানমারে যাচ্ছে।

    ভারতীয় বায়ুসেনার প্রচেষ্টা

    ভারতীয় বায়ুসেনা এই ভূমিকম্প দুর্গতদের সহায়তার জন্য একযোগে কাজ করছে। উইং কমান্ডার জয়দীপ সিং বলেন, “মায়ানমারের জনগণের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে ভারতীয় বায়ুসেনা নিরলসভাবে ‘অপারেশন ব্রহ্মা’ এ কাজ করছে। কিছু ঘণ্টার মধ্যেই ভারতীয় বায়ুসেনা তাদের বিমানগুলোকে উদ্ধার কার্যক্রমে নিয়োজিত করেছে। এখনও পর্যন্ত, ৯৬.৩ টন জরুরি সরঞ্জাম এবং ১৯৮ জন সেনা চিকিৎসক ও এনডিআরএফ কর্মীকে তিনটি সি-১৩০জি এবং দুটি সি-১৭ বিমান ব্যবহার করে আকাশপথে পাঠানো হয়েছে।

    সক্রিয় ভারতীয় দূতাবাস

    ভূমিকম্পের জেরে মায়ানমারে (Myanmar Earthquake) এখনও পর্যন্ত অন্তত ১৬৪৪ জনের মৃত্যুর খবর সামনে এসেছে। ভূমিকম্পে প্রধান সেতু ও সড়কসহ গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো ধ্বংস হয়ে গেছে, ফলে উদ্ধার ও ত্রাণ সরবরাহকারীদের পক্ষে ক্ষতিগ্রস্থ এলাকায় পৌঁছানো কঠিন হয়ে পড়েছে। এদিকে ইয়াঙ্গন-নেপিডো-মন্দালয় এক্সপ্রেসওয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় পরিষেবা বিঘ্নিত হয়েছে। ভারতের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল এক্স হ্যান্ডেলে জানান, ভয়ংকর ভূমিকম্পের পর মায়ানমারকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে ভারত শুরু করেছে অপারেশন ব্রহ্মা (Operation Brahma)। মায়ানমারে থাকা ভারতের রাষ্ট্রদূত নিজে ত্রাণ হস্তান্তরের বিষয়টি দেখছেন। মায়ানমার প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় রেখে কাজ করা হচ্ছে। অন্যদিকে, মায়ানমারের ভারতীয় দূতাবাসের তরফে জানানো হয়েছে, ‘আমরা মায়ানমারের প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় রেখে কাজ করছি। মায়ানমারে থাকা ভারতীয়দের সঙ্গেও যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। এখনও পর্যন্ত এই দুর্ঘটনায় কোনও ভারতীয়র হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। আমাদের তরফ থেকে ভারতীয় নাগরিকদের জন্য একটি ফোন নম্বর প্রকাশ করা হয়েছে। যা হল, +৯৫-৯৫৪১৯৬০২।’

LinkedIn
Share