Author: pranabjyoti

  • Fake Birth Certificate Factory: পঞ্চায়েতের অন্দরে জাল শংসাপত্রের রমরমা কারবার, কড়ি ফেললেই মিলছে ‘কাগজ’!

    Fake Birth Certificate Factory: পঞ্চায়েতের অন্দরে জাল শংসাপত্রের রমরমা কারবার, কড়ি ফেললেই মিলছে ‘কাগজ’!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মমতা জমানায় প্রকাশ্যে এল বিরাট আন্তঃসীমান্ত পরিচয় জালিয়াতি চক্রের (Fake Birth Certificate Factory) হদিশ। ভারতের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার ভিতকেই নাড়িয়ে দিয়েছে এই জালিয়াতি চক্র। ‘বাংলাদেশি বার্থ সার্টিফিকেট কেলেঙ্কারি’ নামে পরিচিত এই ঘটনায় জড়িয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার পাঠানখালি গ্রাম পঞ্চায়েতের নাম (Bangladeshis)। অভিযোগ, কেবল ২০২৪ সালেই এখান থেকে বাংলাদেশি নাগরিকদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে ৩,৫০০-এরও বেশি জাল বার্থ সার্টিফিকেট।

    প্রকাশ্যে কেলেঙ্কারি (Fake Birth Certificate Factory)

    বিজেপি নেতা কিরীট সোমাইয়ার এক্স হ্যান্ডেলে প্রকাশিত এই কেলেঙ্কারির কথা প্রকাশ্যে আসার পরেই উঠছে নানা প্রশ্ন। প্রশ্ন উঠেছে, তৃণমূল কংগ্রেস সরকারের ভূমিকা, তাদের নজরদারির শিথিলতা এবং অনুপ্রবেশে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতার অভিযোগ নিয়েও। একসময় সুন্দরবনের একটি দ্বীপে অবস্থিত এই নিরিবিলি পঞ্চায়েতটি এখন কুখ্যাত হয়ে উঠেছে ‘ভারতের জাল বার্থ সার্টিফিকেটের রাজধানী’ হিসেবে।পাঠানখালি গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসটি রয়েছে স্থানীয় জেটি থেকে মাত্র পাঁচ মিনিটের হাঁটা পথের দূরত্বে। এই পঞ্চায়েত ভবনেরই বেগুনি-সবুজ দেওয়ালের আড়ালে তদন্তকারীরা সন্ধান পেয়েছেন একটি সুচারুভাবে পরিচালিত জালিয়াতি চক্রের। প্রশাসনিক উদাসীনতা এবং রাজনৈতিক আশ্রয় ও প্রশ্রয়ের জেরে বছরের পর বছর ধরে বিকশিত হয়েছে এই চক্র (Fake Birth Certificate Factory)।

    হাজার হাজার ভুয়ো বার্থ সার্টিফিকেট

    চলতি বছর একটি সংবাদ মাধ্যমের রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে, পাসপোর্ট চক্রের সূত্র প্রথমে পুলিশকে পাঠানখালিতে নিয়ে যায়। সেখানে দেখা যায় মাত্র ৪ হাজার পরিবারের এই ছোট্ট গ্রামপঞ্চায়েত ২০১৩ থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে হাজার হাজার ভুয়ো বার্থ সার্টিফিকেট ইস্যু করেছে। এখন এই চক্র আরও আধুনিক রূপে ফিরে এসেছে। সরকারি পোর্টাল ব্যবহার করে বিদেশিদের জন্য জাল ভারতীয় পরিচয়পত্রও তৈরি করছে। এই তদন্তের কেন্দ্রীয় ব্যক্তি হলেন গৌতম সর্দার। স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেসের এই কর্মী পাঠানখালি পঞ্চায়েত অফিসের অস্থায়ী কর্মী। ২০১৯ সালে বছরে মাত্র ৩,৫০০ টাকা পারিশ্রমিকের বিনিময়ে নিয়োগ করা হয় তাঁকে। অভিযোগ, তিনি ‘জন্ম-মৃত্যু তথ্য’ (রাজ্যের সরকারি জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন) পোর্টালে অ্যাক্সেসের অপব্যবহার করেন। তিনি নাকি গ্রাম প্রধানের লগইন তথ্য হ্যাক করে ওটিপি নিজের মোবাইল নম্বরে ঘুরিয়ে নিতেন (Bangladeshis)। ৭ জুন গ্রেফতার করা হয় সর্দারকে। অভিযোগ, তিনি বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের জন্য হাজার হাজার জাল জন্ম শংসাপত্র তৈরি করেছেন। এই সার্টিফিকেটগুলির অনেকগুলিই পরে ব্যবহার করা হয়েছে ভারতীয় পাসপোর্ট, আধার কার্ড, রেশন কার্ড ও ভোটার আইডি পেতে। কলকাতা পুলিশ ২০২২ থেকে ২০২৫ সালের মধ্যে সর্দারের অ্যাকাউন্টে বিপুল আর্থিক লেনদেনের হদিশও পেয়েছে (Fake Birth Certificate Factory)। এ থেকে স্পষ্ট, পঞ্চায়েত স্তরের কর্মীদের সঙ্গে এই চক্রের শীর্ষ পর্যায়ের ব্যক্তিদের গভীর যোগসাজশ রয়েছে।

    বাংলাদেশিদের ভারতীয় পাসপোর্ট পেতে সাহায্য

    অবশ্য এর আগেও খবরের শিরোনামে এসেছে পাঠানখালি। ২০২৫ সালের সেপ্টেম্বরেই সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছিল, এই একই পঞ্চায়েত শত শত ভুয়ো শংসাপত্র ইস্যু করে বাংলাদেশিদের ভারতীয় পাসপোর্ট পেতে সাহায্য করেছিল। সেই সময় পুলিশ কয়েকজনকে গ্রেফতারও করেছিল। এত সবের পরেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের পক্ষ থেকে কোনও কাঠামোগত সংস্কার বা ডিজিটাল অডিট ব্যবস্থা চালু করা হয়নি। যে ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা থাকা জরুরি ছিল, সেটিই পরিণত হয়েছে জালিয়াতির আঁতুড়ঘরে, বিশেষত সীমান্ত-লাগোয়া জেলাগুলিতে। এই জেলাগুলিই তৃণমূল কংগ্রেসের গুরুত্বপূর্ণ ভোটব্যাঙ্ক। রাজনৈতিক মহলের মতে, এই রাজনৈতিক লাভের উদ্দেশ্যেই পঞ্চায়েতের মধ্যেই চলছে জালিয়াতির রমরমা কারবার!

    #বাংলাদেশিবার্থসার্টিফিকেটস্ক্যাম

    এসব ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় এক্স হ্যান্ডেলে কিরীট লিখেছেন, “#বাংলাদেশিবার্থসার্টিফিকেটস্ক্যাম – শুধু ২০২৪ সালেই পাঠানখালি পঞ্চায়েত থেকে ৩,৫০০-এরও বেশি ভুয়ো বার্থ সার্টিফিকেট দিয়েছে বাংলাদেশিদের। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশাসন কি বেআইনি অভিবাসীদের জন্য বাংলার সীমান্তবর্তী গ্রামগুলিকে পাসপোর্ট কারখানায় (Bangladeshis) পরিণত করছে?” কিরীট-সহ বিজেপির অন্যান্য নেতা এই চক্রের শেকড় খুঁজতে সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছেন। তাঁদের অভিযোগ, রাজ্যের এই সংস্থাগুলি তৃণমূল-ঘনিষ্ঠ মূল অপারেটিভদের রক্ষা করছে (Fake Birth Certificate Factory)।

    বিজেপির প্রতিক্রিয়া

    বিজেপির এক প্রবীণ নেতা বলেন, “এটি কোনও দফতরের কর্মী কিংবা আধিকারিকের ভুল নয়, এটি ভারতের নিরাপত্তা কাঠামোকে ইচ্ছাকৃত ও পদ্ধতিগতভাবে দুর্বল করে দেওয়ার একটা প্রচেষ্টা। ভুয়ো বার্থ সার্টিফিকেট থেকে জাল পাসপোর্ট – এই পথ দিয়ে বৈধতা পাওয়া প্রতিটি অনুপ্রবেশকারী শেষমেশ পরিণত হচ্ছে রাজনৈতিক হাতিয়ারে।” বাংলাদেশের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের প্রায় ২ হাজার ২০০ কিলোমিটার দীর্ঘ ঝুঁকিপূর্ণ ও ফাঁক-ফোকরযুক্ত সীমান্ত থাকায় অনুপ্রবেশের বিষয়টি দীর্ঘদিন ধরেই বিতর্কিত একটি ইস্যু। এনআরসি–সিএএ বিতর্কও সবচেয়ে তীব্র বিরোধিতার মুখোমুখি হয়েছে এই বাংলায়। এটি এমন একটি রাজ্য, যেখানে নির্দিষ্ট অর্থের বিনিময়েই তৈরি করে নেওয়া যায় দলিলভিত্তিক নাগরিকত্ব। আর তার পৃষ্ঠপোষকরা এসআইআর-এনআরসি কিংবা সিএএর বিরুদ্ধে চিৎকার করেন গলার রগ ফুলিয়ে (Fake Birth Certificate Factory)।

    কথায় বলে না, চোরের মায়ের বড় গলা!

  • Sheikh Hasina: হাসিনাকে গদিচ্যুত করার নেপথ্যে সিআইএ! বড় দাবি বাংলাদেশের প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর

    Sheikh Hasina: হাসিনাকে গদিচ্যুত করার নেপথ্যে সিআইএ! বড় দাবি বাংলাদেশের প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সেনা অভ্যুত্থানের গুজব এবং শীর্ষ পর্যায়ে বিশ্বাসঘাতকতার অভিযোগকে ঘিরে উত্তাল বাংলাদেশের রাজনীতির আঙিনা। সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে একটি বই। তাতেই চাঞ্চল্যকর দাবি (CIA) করা হয়েছে। কীভাবে নিপুণভাবে ঘুঁটি সাজিয়ে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে (Sheikh Hasina) একটি বৃহৎ আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়েছিল, তার উল্লেখ করা হয়েছে বইটিতে। হাসিনা মন্ত্রিসভার প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের অভিযোগ, দেশের বর্তমান সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান নাকি সিআইএ-সমর্থিত একটি পরিকল্পনার অংশ ছিলেন, যার লক্ষ্যই ছিল হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করা। ‘ইনশাল্লাহ বাংলাদেশ: দ্য স্টোরি অফ অ্যান আনফিনিশড রেভোল্যুশন’ শিরোনামের ওই বইটি লিখেছেন দীপ হালদার, জয়দীপ মজুমদার এবং শহিদুল হাসান খোকন।

    ‘সিআইএ-র চক্রান্ত’ (Sheikh Hasina)

    বইটির তথ্য অনুযায়ী, জুন মাসের এক সকালে দিল্লির একটি হোটেলে লেখকদের সঙ্গে আলাপচারিতায় খান কামাল এসব ঘটনা জানিয়েছিলেন। তিনি বাংলাদেশে ক্ষমতার পালাবদলকে ‘একটি নিখুঁত সিআইএ (মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা) চক্রান্ত’ বলে বর্ণনা করেন। তাঁর দাবি, দীর্ঘ সময় ধরে সুচারুভাবে এই ষড়যন্ত্রের ছক কষা হয়েছিল। বইটিতে তাঁকে উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে, “আমরা জানতামই না যে সিআইএ ওয়াকারকে কব্জা করে ফেলেছে।” কামালের দাবি, দেশের প্রধান দুই গোয়েন্দা সংস্থা ডিজিএফআই এবং এনএসআই প্রধানমন্ত্রীকে এই ষড়যন্ত্র সম্পর্কে সতর্ক করতেও ব্যর্থ হয়েছিল। তাঁর ইঙ্গিত, এই দুই সংস্থার প্রবীণ কর্তারাও এতে জড়িত থাকতে পারেন, যেহেতু সেনাপ্রধান নিজেই ছিলেন এই ষড়যন্ত্রের অন্যতম চাঁই।

    কেন নেপথ্যে আমেরিকা?

    বাংলাদেশে সরকার পরিবর্তনের জন্য আমেরিকা কেন জড়াতে চাইবে? এ প্রশ্নের উত্তরে কামাল দুটি কারণ তুলে ধরেন। তিনি জানান, ওয়াশিংটন দক্ষিণ এশিয়ায় একই সময়ে অতিরিক্ত শক্তিশালী নেতাদের দেখতে চায় না। উদাহরণ হিসেবে তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, চিনের শি জিনপিং এবং শেখ হাসিনার নাম উল্লেখ করেন। তাঁর মতে, শক্তিশালী আঞ্চলিক নেতারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থ চাপিয়ে দেওয়ার কাজটা কঠিন করে তোলে (Sheikh Hasina)। দ্বিতীয় কারণ হিসেবে তিনি উল্লেখ করেন বঙ্গোপসাগরে অবস্থিত কৌশলগত সেন্ট মার্টিন দ্বীপের বিষয়টির কথা। মায়ানমারের উপকূল থেকে মাত্র কয়েক কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই দ্বীপ সাম্প্রতিক বছরগুলিতে গুরুত্ব পেয়েছে। ভারত মহাসাগর অঞ্চলে চিনের বাড়তি প্রভাবের কারণেই বেড়েছে এই দ্বীপের গুরুত্ব (CIA)।

    হাসিনার নিশানায় আমেরিকা

    ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার আগে আগে হাসিনা নিজেই সাংবাদিকদের বলেছিলেন, সেন্ট মার্টিন দ্বীপের নিয়ন্ত্রণ আমেরিকাকে দিতে ওয়াশিংটন তাঁর ওপর চাপ দিচ্ছিল। ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার আগে একটি প্রেস কনফারেন্সে তিনি দাবি করেছিলেন, তাঁকে জানানো হয়েছিল দ্বীপটির অ্যাক্সেস মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে দিলে তিনি ক্ষমতায় থাকতে পারবেন। তিনি তা প্রত্যাখ্যান করেন। তিনি একে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে সরাসরি আপস বলেও উল্লেখ করেছিলেন। পদচ্যুত হওয়ার পরেও ১১ জুন ফেসবুক লাইভেও তিনি একই দাবি করেন। তিনি বলেন, নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন নয়া সরকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবে প্রভাবিত হয়ে কাজ করছে। বইটিতে কামালের উদ্ধৃতি থেকে জানা গিয়েছে, “ভারতের সংবাদমাধ্যম এখন এটি রিপোর্ট করছে। কিন্তু আমাদের সরকার পতনের অনেক আগেই প্রধানমন্ত্রী আমাদের সতর্ক করেছিলেন যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাঁকে ক্ষমতা থেকে সরাতে চায় সেন্ট মার্টিন দ্বীপের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার জন্য (Sheikh Hasina)।”

    বাংলাদেশকে গভীরভাবে নাড়িয়ে দেবে

    প্রসঙ্গত, বইটি এমন একটি সময়ে প্রকাশিত হয়েছে যখন বাংলাদেশের সেনাবাহিনী যার নেতৃত্বে এখনও রয়েছেন জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান—ফের রাজনৈতিক বিতর্কের কেন্দ্রে (CIA)। ১১ অক্টোবর সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে স্বীকার করে যে তাদের ১৫ জন আধিকারিক নিখোঁজ ও গুমের ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে আটক রয়েছেন। এই ঘটনা ঘটেছিল হাসিনার জমানায়। এই পরিস্থিতি সেনাবাহিনীর ভেতরে উত্তেজনা ও বিভেদের আশঙ্কা বাড়িয়েছে। ওয়াকারের সৌদি আরব সফরে যাওয়ার কথা ছিল। তবে অভ্যন্তরীণ অস্থিরতার কারণে তিনি আপাতত বাতিল করেছেন তাঁর সফর। দীপ বলেন, “এটি বাংলাদেশকে গভীরভাবে নাড়িয়ে দেবে।”

    লেখকের বক্তব্য

    দীপ বলেন, এই তথ্যগুলি বাংলাদেশের রাজনীতিকে গভীরভাবে অস্থির করে তুলবে। তিনি জানান, জেনারেল ওয়াকারকে সেনাপ্রধান হিসেবে নিয়োগ করেছিলেন হাসিনা নিজেই। তিনি বলেন, “দুই শীর্ষ ব্যক্তি জেনারেল ওয়াকার এবং রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন ক্ষমতার পরিবর্তন নিয়ে নানা গুজব ও তত্ত্বের কেন্দ্রে ছিলেন।” তিনি জানান, গোপালগঞ্জের দাঙ্গা থেকে শুরু করে সেনা কর্তাদের গ্রেফতার সব ক্ষেত্রেই রাষ্ট্রপতি সেনাবাহিনীকে রাজনীতি থেকে দূরে রাখতে ব্যর্থ হয়েছেন। গত এক বছর ধরে গুজব ছিল যে জেনারেল ওয়াকার ‘ভারতের এজেন্ট’ হিসেবে কাজ করছেন। কিন্তু নতুন দাবি হল, তিনি নাকি সিআইএর সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত। প্রশ্ন উঠছে, তিনি আসলে কোন পক্ষে রয়েছেন?

    অভিমন্যুর সঙ্গে হাসিনার তুলনা

    বইটিতে খান কামাল শেখ হাসিনার (Sheikh Hasina) ভাগ্যকে মহাভারতের অভিমন্যুর সঙ্গে (CIA) তুলনা করেছেন। তিনি লেখকদের বলেছেন, “যেমন অভিমন্যুকে তাঁরই বিশ্বস্ত মানুষরা ঘিরে ধরে হত্যা করেছিল, ঠিক তেমনই ওয়াকার বাংলাদেশে মৌলবাদী শক্তিগুলির সঙ্গে হাত মিলিয়ে হাসিনাকে পদচ্যুত করার কাজটি করেছেন।” তিনি বলেন, “জামায়াতে ইসলামি বাংলাদেশ-সহ বিভিন্ন উগ্রপন্থী গোষ্ঠী, যারা বহু বছর ধরে পরস্পর শত্রু ছিল, তারা প্রথমবারের মতো একজোট হয়েছিল হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করার অভিন্ন লক্ষ্যে।” কামালের মতে, এই ইসলামি দলগুলির জোট জামায়াতের নেতৃত্বে পরিচালিত হয়েছিল এবং এর পেছনে ছিল বিদেশি গোয়েন্দা নেটওয়ার্কের মদত।

    প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দাবি

    কামাল বলেন, “ওয়াকার ২০২৪ সালের জুনে সেনাপ্রধানের দায়িত্ব নেন। তারই কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই ৫ অগাস্ট ২০২৪ তিনি হাসিনাকে দেশ ছাড়তে বাধ্য করেন। কামালের বিশ্বাস, হাসিনাকে সরানোই ছিল ওয়াকারের প্রথম গোপন মিশন, এমন একটি মিশন যার জন্য তাঁকে সেই নেত্রীরই প্রতি বিশ্বাসঘাতকতা করতে হয়েছিল, যিনি তাঁকে সর্বোচ্চ পদে উন্নীত করেছিলেন।” কামাল এও জানান, পাকিস্তানের আইএসআই দীর্ঘদিন ধরে জামায়াতের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছিল। আইএসআই-প্রশিক্ষিত লোকেরা জামায়াতে যোগ দিয়েছিল এবং জুনের শেষ দিকে হিংসা উসকে দিতে প্রধান ভূমিকা নিয়েছিল। এর মধ্যে পুলিশ কর্মীদের ওপর হামলাও ছিল। তিনি বলেন, “স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী থাকার সময় পুলিশের (CIA) শীর্ষ কর্তারা তাঁকে সতর্ক করেছিলেন এই বলে যে বিদেশি প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত জঙ্গিরা বিক্ষোভকারীদের ভিড়ে মিশে যাচ্ছে। তিনি (Sheikh Hasina) ততক্ষণাৎ খবরটি দেন হাসিনাকে। কিন্তু হাসিনা তাঁকে জানিয়েছিলেন, সেনাপ্রধান ইতিমধ্যেই তাঁকে আশ্বস্ত করেছেন যে পরিস্থিতি সামাল দিতে সেনাবাহিনীই যথেষ্ট।”

    সেনাপ্রধানের দ্বিচারিতা!

    কামালের দাবি, আইএসআই জড়িত থাকার খবর দেওয়ার পরেও ওয়াকার বারবার তাঁকে এই বলে আশ্বস্ত করেছিলেন যে পুলিশ মোতায়েনের  প্রয়োজন নেই, সেনাবাহিনীই পরিস্থিতি সামাল দিতে পারবে। হাসিনাকে দেশ ছাড়তে বাধ্য করার আগের দিন গণভবনে পরিস্থিতির মূল্যায়ন করতে একটি বৈঠক হয়। তাতে সরকার ও নিরাপত্তা সংস্থার শীর্ষ কর্তারা উপস্থিত ছিলেন। কামাল প্রস্তাব দেন, বিক্ষোভকারীরা যাতে ঢাকায় ঢুকতে না পারে, সে জন্য পুলিশ যেন সব প্রবেশপথ সিল করে দেয়। কিন্তু ওয়াকার সহমত হননি। তিনি বলেছিলেন, পুলিশের ওপর আর ভরসা নেই জনগণের। তাই সেনাবাহিনীরই দায়িত্ব নেওয়া উচিত। কামাল জানান, তিনি প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন রক্ষায় পুলিশ মোতায়েনের প্রস্তাবও দিয়েছিলেন। ওয়াকার সেই প্রস্তাবও খারিজ করে দেন এবং কামাল ও হাসিনা দু’জনকেই আশ্বস্ত করেন যে গণভবনের দিকে কাউকে এগোতে দেওয়া হবে না (CIA)। তিনি বলেন, “সেদিন রাতে তিনি (হাসিনা) তাঁর কথায় বিশ্বাস করেছিলেন। তার পরের দিন কী হয়েছিল, তা তো আমরা সবাই জানি (Sheikh Hasina)।”

  • Pakistan: ভারতে নজরদারি বাড়াতে বাংলাদেশে সক্রিয় হচ্ছে পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই?

    Pakistan: ভারতে নজরদারি বাড়াতে বাংলাদেশে সক্রিয় হচ্ছে পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত এবং বঙ্গোপসাগর অঞ্চল-সহ ভারতের পূর্ব ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ওপর নজরদারি করতে বাংলাদেশে নীরবে সংগঠন মজবুত করার কাজ শুরু করেছে পাক (Pakistan) চর সংস্থা আইএসআই (ISI)। বিভিন্ন সূত্রের খবর, সম্প্রতি বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা সফর করে পাক সেনাবাহিনীর একটি উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি দল। এই সফরে ছিলেন আইএসআইয়ের কর্তারাও। তাঁদের লক্ষ্য ছিল, বাংলাদেশের গোয়েন্দা সংস্থাগুলির সঙ্গে গোপন সহযোগিতা মজবুত করা।

    শেখ হাসিনার জমানা (Pakistan)

    শেখ হাসিনার দীর্ঘ রাজত্বে বাংলাদেশে সেভাবে মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারেনি আইএসআই। তাঁর জমানায় ঢাকার নিরাপত্তা নীতি ছিল নয়াদিল্লির নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। জেনারেল শামসাদ মিরজার নেতৃত্বে আসা ওই প্রতিনিধি দল বাংলাদেশের ন্যাশনাল সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স (এনএসআই) ও ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্স (ডিজিএফআই)-এর শীর্ষ কর্তাদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করে। আলোচনায় যাঁরা উপস্থিত ছিলেন, তাঁদের মতে, উভয় পক্ষ যৌথ গোয়েন্দা-তথ্য বিনিময় ব্যবস্থার সম্ভাবনা খতিয়ে দেখেছে। প্রস্তাবিত কাঠামোর লক্ষ্য হবে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও বঙ্গোপসাগরের নিকটবর্তী সামুদ্রিক অঞ্চলে নজরদারি জোরদার করা।

    পাকিস্তানের বৃহত্তর কৌশলেরই অংশ

    বাংলাদেশ সম্পর্কে যাঁরা বিশেষভাবে খোঁজখবর রাখেন, তাঁদের মতে, এই উন্নয়ন পাকিস্তানের বৃহত্তর কৌশলেরই অংশ, এবং সেটা হল ভারতের পূর্ব সীমান্তজুড়ে পুরানো গোয়েন্দা নেটওয়ার্ক পুনর্গঠনের চেষ্টা চালিয়ে যাওয়া। ১৯৭১ সালে স্বাধীন বাংলাদেশ গঠনের আগে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে (অধুনা বাংলাদেশ) পাক সেনাবাহিনী ও পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থার শক্তিশালী উপস্থিতি ছিল। বিশ্লেষকদের মতে, শেখ হাসিনার সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর আইএসআই এখন ফের প্রভাব বিস্তারের সুযোগ খুঁজছে। উল্লেখ্য যে, পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছিল শেখ হাসিনার সরকার (Pakistan)।

    পাক মদতপুষ্ট জঙ্গি নেটওয়ার্ক

    ২০০৯ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের রাশ ছিল আওয়ামি লিগ সুপ্রিমো শেখ হাসিনার হাতে। সেই সময় ঢাকা আইএসআইয়ের সঙ্গে যুক্ত সমস্ত কার্যকলাপ দমন করতে কঠোর ব্যবস্থা (ISI) নিয়েছিল। ভারতের নিরাপত্তা সংস্থা প্রায়ই হাসিনার সরকারকে এ নিয়ে কৃতিত্বও দিত। বাংলাদেশের মাটি ব্যবহার করে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গি নেটওয়ার্কগুলি যাতে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলকে টার্গেট করতে না পারে, সেই বিষয়ে কঠোর নজরদারির জন্য সর্বদা সক্রিয় ছিল হাসিনা সরকার। কিন্তু ২০২৪ সালে ব্যাপক ছাত্র আন্দোলন ও বিরোধী নেতৃত্বাধীন অস্থিরতার জেরে ক্ষমতাচ্যুত হন হাসিনা। ক্ষমতায় আসে মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার। এর ফলে সেই সব শক্তির জন্য নতুন ক্ষেত্র তৈরি হয়, যাদের এতদিন রাজনৈতিকভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখা হয়েছিল (Pakistan)।

    আইএসআইয়ের নীরব উত্থান

    সূত্রের খবর, আইএসআই আগে থেকেই একটু একটু করে বাংলাদেশের রাজনৈতিক ও ধর্মীয় বিভিন্ন গোষ্ঠীর মাধ্যমে কাজ করে আসছিল। ইউনূস জমানায় তারাই ভীষণভাবে সক্রিয় হয়ে ওঠে। এদের (ISI) প্রতি সহানুভূতিশীল বিভিন্ন সংগঠন, যার মধ্যে রয়েছে বিএনপির একটা অংশ এবং জামায়াতে ইসলামীও সক্রিয় হয়ে ওঠে। রিপোর্ট অনুযায়ী, এই নেটওয়ার্ক-সহ আরও কিছু গোষ্ঠী শেখ হাসিনার পতনে বিক্ষোভ-আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছিল। ফলে এখন আইএসআইয়ের উপস্থিতি বাড়ানোর চেষ্টা একদিকে যেমন তাদের পুরস্কৃত করা, তেমনি অন্যদিকে ঢাকার সহানুভূতিশীল শক্তিগুলির সঙ্গে সহযোগিতা বাড়ানো এবং ভারতের প্রভাব মোকাবিলা করার কৌশলগত প্রয়াস (Pakistan)।

    তিনটি মূল লক্ষ্য

    বিশ্লেষকদের মতে, এই জায়গাগুলি তিনটি মূল লক্ষ্যকে সামনে রেখে ব্যবহার করা হতে পারে। প্রথমত, সীমান্ত নিরাপত্তা চলাচল পর্যবেক্ষণ, দ্বিতীয়ত, সামুদ্রিক তৎপরতা নজরদারি, এবং সর্বোপরি, পাকিস্তানের স্বার্থের প্রতি সহানুভূতিশীল বিভিন্ন নেটওয়ার্কের সঙ্গে যোগাযোগ আরও মজবুত করা। বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্ব উপকূল বিশেষ করে টেকনাফ এবং কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শিবির সংলগ্ন এলাকাকে গোপন অপারেশনের কার্যকরী জায়গা হিসেবে বিবেচনা করা হয় (ISI)। নয়াদিল্লির নিরাপত্তা বিশ্লেষকদের মূল্যায়ন, বাংলাদেশে আইএসআইয়ের নতুন করে সক্রিয়তা শুধু ভারতের পূর্বাঞ্চল সম্পর্কে গোয়েন্দা তথ্য জোগাড়ের উদ্দেশ্যেই নয়, বরং এই অঞ্চলে প্রভাব বিস্তারের বিকল্প পথ গড়ে তোলার একটি প্রচেষ্টাও। তালিবানরা আফগানিস্তানের দখল নেওয়ার পর সেখানে চলতে থাকা অপারেশনের ক্ষেত্র সংকুচিত হওয়ায়, ইসলামাবাদ বাংলাদেশের দিকে বেশি করে মনোযোগ দিচ্ছে। কারণ কৌশলগতভাবে পাকিস্তানের কাছে বাংলাদেশের গুরুত্ব অপিরসীম (Pakistan)।

    বাংলাদেশে আইএসআইয়ের কার্যকলাপ

    স্পষ্টতই, বাংলাদেশে আইএসআইয়ের কার্যকলাপের এই সম্প্রসারণ এলাকাটির গোয়েন্দা প্রেক্ষাপটে গোপন কিন্তু তাৎপর্যপূর্ণ পরিবর্তন এনে দিয়েছে। ভারতের জন্য এটি পূর্ব সীমান্তের ঝুঁকিপূর্ণ প্রকৃতি, গুপ্তচরবৃত্তি ও সম্ভাব্য জঙ্গি তৎপরতা সম্পর্কে পুরানো আশঙ্কাকে নতুনভাবে সামনে নিয়ে আসছে। বাংলাদেশের কাছে অন্যতম প্রধান চ্যালেঞ্জ হল দ্রুত পরিবর্তনশীল আঞ্চলিক প্রেক্ষাপটে জাতীয় স্বার্থ রক্ষা করা এবং বাইরের চাপের সঙ্গে ভারসাম্য বজায় রাখা। এই যোগাযোগ দীর্ঘমেয়াদি সহযোগিতায় রূপ নেবে, নাকি শুধু সতর্কতার মধ্যেই সীমিত থাকবে, তা নির্ভর করবে (ISI) ঢাকার রাজনৈতিক সদিচ্ছা এবং আগামী মাসগুলিতে নয়াদিল্লির প্রতিক্রিয়ার ওপর (Pakistan)।

  • Kerala: ‘রাজ্যে চরম দরিদ্র মানুষ নেই’, কেরল সরকারের ঘোষণায় সমালোচনার ঝড়

    Kerala: ‘রাজ্যে চরম দরিদ্র মানুষ নেই’, কেরল সরকারের ঘোষণায় সমালোচনার ঝড়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘রাজ্যে কোনও চরম দরিদ্র মানুষ নেই।’ গত ৩১ অক্টোবর এমনই দাবি করেছিল কেরল (Kerala) সরকার। পরের দিন, রাজ্য গঠন দিবসেও বিধানসভার বিশেষ অধিবেশনে সেটি ফের জানানো হয় আনুষ্ঠানিকভাবে। এদিন বলা হয় (Data Manipulation), যে কেরল এক সময় দেশে দারিদ্রসীমার নীচে বসবাসকারী মানুষের সংখ্যায় শীর্ষে ছিল, সেই রাজ্যই এখন হয়ে গিয়েছে চরম দারিদ্রমুক্ত রাজ্য। ওই দিনই সন্ধেবেলায় সরকার তিরুবনন্তপুরমে তাদের এই দাবির প্রচারের জন্য একটি বিশাল অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এতে যোগ দেন জনপ্রিয় মালয়ালম অভিনেতা মাম্মুটি। যদিও অনুষ্ঠানে যোগ দেননি দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার প্রাপ্ত অভিনেতা মোহনলাল এবং সেরা অভিনেতার পুরস্কারজয়ী কমল হাসান।

    এলডিএফের ঘোষণা (Kerala)

    কেরলের ক্ষমতায় রয়েছে সিপিএম নেতৃত্বাধীন বাম গণতান্ত্রিক জোট এলডিএফ। তারাই ঘোষণাটি করেছে। তার পরেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। বিশেষজ্ঞদের মতে, কেরল সরকারের এই ঘোষণাটি একটি স্রেফ ফাঁপা বুলি। যদিও স্থানীয় স্বশাসনমন্ত্রী এমবি রাজেশ বিরোধীদের সমালোচনাকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে দাবি করেছেন। তাঁর দাবি, চরম দারিদ্র্যের মধ্যে থাকা পরিবারগুলিকে সরকার স্বচ্ছ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে শনাক্ত করেছে। সমাজবিজ্ঞানীরা অবশ্য সরকারের এহেন দাবির (চরম দারিদ্রমুক্ত রাজ্য) সমালোচনায় সরব হয়েছেন।

    খোলা চিঠিতে প্রশ্ন

    কমবেশি ২০ জন অর্থনীতিবিদ ও সামাজিক কর্মীর স্বাক্ষরিত একটি খোলা চিঠিতে প্রশ্ন তোলা হয়েছে, রাজ্য সরকার যে প্রক্রিয়ায় ৬৪ হাজার ৬টি পরিবারকে চরম দারিদ্র্যপীড়িত হিসেবে চিহ্নিত করেছে, তা কতটা বিশ্বাসযোগ্য, এবং কোন কোন মানদণ্ডের ভিত্তিতে সরকার ঘোষণা করল যে চরম দারিদ্র্য বিভাগে আর কোনও পরিবার নেই! ওই চিঠিতে যাঁরা সই করেছেন, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন সমাজবিজ্ঞানী তথা অধ্যাপক আরভিজি মেনন এবং আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন অর্থনীতিবিদ কেপি কান্নানও। ওই চিঠিতে কেরল সরকারকে আহ্বান জানানো হয়েছে, চরম দারিদ্র্যপীড়িত মানুষদের শনাক্ত করার জন্য যে সমীক্ষা করা হয়েছে, তার বিস্তারিত তথ্য যেন সরকার প্রকাশ করে (Kerala)। স্বাক্ষরকারীদের প্রশ্ন, রাজ্যের ১.১৬ লাখ আদিবাসী পরিবার এবং অন্ত্যোদয় অন্ন যোজনার আওতায় থাকা ৫.৯২ লাখ মানুষ কি সত্যিই চরম দারিদ্র্যের বাইরে চলে গিয়েছেন? চরম দারিদ্র্য যে অতীত হয়েছে, এই দাবি প্রমাণের নির্ভরযোগ্য তথ্যই বা কী (Data Manipulation)? চরম দারিদ্র্য নির্মূল প্রকল্পের জন্য কোন সংস্থা তথ্য সংগ্রহ করেছে? সরকার কি আনুষ্ঠানিকভাবে মাত্র ৬৪ হাজার ৬টি পরিবারকেই চরম দারিদ্র্য অবস্থায় খুঁজে পেয়েছে? তাঁদের আশঙ্কা, চরম দারিদ্র্য বিভাগের জন্য যে সব পরিবার বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছে, তাদের অনেকেই এই তালিকা থেকে বাদ পড়ে যেতে পারে।

    বিজেপির তোপ

    বিজেপির রাজ্য সভাপতি রাজীব চন্দ্রশেখর বলেন, “এই ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রী-নেতৃত্বাধীন বাম গণতান্ত্রিক ফ্রন্টের একটি নির্বাচনী চাল ছাড়া আর কিছুই নয়। সরকারের প্রকাশ করা পরিসংখ্যানে অসংখ্য বিরোধাভাস রয়েছে। বিশ্বব্যাংকের নথি অনুযায়ী, দারিদ্র্য দূরীকরণে কেরল (Kerala) সব চেয়ে পিছিয়ে থাকা রাজ্য। গত সাড়ে ন’বছরে সরকার কিছুই করেনি। আর এখন নানাভাবে নাটক করে মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করছে।” বিজেপিরই রাজ্য সাধারণ সম্পাদক এমটি রমেশ সরকারের এই ঘোষণাকে নিছক মিথ্যাচার বলে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, “কোন মানদণ্ড ব্যবহার করে এই সংখ্যা নির্ধারণ করা হয়েছে, তা স্পষ্ট নয়। গত সেপ্টেম্বর মাসে মন্ত্রী জিআর অনিলকুমার বিধানসভায় বলেছিলেন (Data Manipulation) যে রাজ্যে ছ’লাখ দারিদ্র্যসীমার নীচে থাকা মানুষ রয়েছেন। তাহলে সরকার কীভাবে এত দ্রুত এত বিশাল সংখ্যক মানুষকে দারিদ্র্যমুক্ত করল? নীতি আয়োগের নথি অনুযায়ী, রাজ্যে এখনও বিপুলসংখ্যক মানুষ চরম দারিদ্র্যের মধ্যে বসবাস করছেন।” কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক কেসি বেণুগোপালও বলেন, “সরকারের এই ঘোষণা নিছকই পিআর স্টান্ট। তারা ক্ষুধার্ত মানুষদের নির্বাচনী হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে (Kerala)।”

  • ESTIC 2025: ‘ইমার্জিং সায়েন্স, টেকনোলজি অ্যান্ড ইনোভেশন কনক্লেভ  ২০২৫’ এর উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

    ESTIC 2025: ‘ইমার্জিং সায়েন্স, টেকনোলজি অ্যান্ড ইনোভেশন কনক্লেভ  ২০২৫’ এর উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নয়াদিল্লির ভারত মন্ডপমে ‘ইমার্জিং সায়েন্স, টেকনোলজি অ্যান্ড ইনোভেশন কনক্লেভ  ২০২৫’-এর (ESTIC 2025) উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সোমবার ওই অনুষ্ঠানে ভাষণ দিতে গিয়ে তিনি ভারতের গবেষণা ও উদ্ভাবন-ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করার প্রতি সরকারের বিশেষ গুরুত্বের কথা তুলে ধরেন।

    ১ লাখ কোটি টাকার ফান্ড (ESTIC 2025)

    দেশের গবেষণা ও উদ্ভাবন পরিকাঠামোয় গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হিসেবে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) ১ লাখ কোটি টাকার রিসার্চ ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড ইনোভেশন (আরডিআই) স্কিম ফান্ডেরও উদ্বোধন করেন। এই তহবিলের লক্ষ্যই হল ভারতকে একটি বেসরকারি খাত–নির্ভর গবেষণা ও উন্নয়ন ব্যবস্থা গড়ে তুলতে সাহায্য করা। চলতি বছরের ৩ থেকে ৫ নভেম্বর আয়োজিত তিন দিনের এই কনক্লেভে শিক্ষাঙ্গন, গবেষণা প্রতিষ্ঠান, শিল্পক্ষেত্র ও সরকারি সংস্থাগুলির ৩ হাজারেরও বেশি প্রতিনিধি যোগ দিয়েছিলেন। এদের মধ্যে নোবেল বিজয়ী, বিশিষ্ট বিজ্ঞানী, উদ্ভাবক এবং নীতি–নির্ধারকরাও উপস্থিত ছিলেন। বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ভারত এখন জ্ঞান, প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনের যুগে প্রবেশ করেছে। এই তহবিল তরুণ গবেষক ও উদ্ভাবকদের নয়া স্বপ্ন পূরণের মঞ্চ করে তুলবে। এই প্রকল্পের আওতায় উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান, স্টার্টআপ, শিল্পখাত এবং গবেষণা সংস্থাগুলিকে আর্থিক সাহায্য দেওয়া হবে, যাতে তারা বিশ্বমানের প্রযুক্তি উদ্ভাবনে সক্ষম হয়।”

    যেসব ক্ষেত্রে গুরুত্ব

    ‘ইমার্জিং সায়েন্স, টেকনোলজি অ্যান্ড ইনোভেশন কনক্লেভ ২০২৫’-এ প্রধানত যে ১১টি বিষয়ের ওপর আলোচনা হয়েছে, সেগুলি হল উন্নত (ESTIC 2025) উপকরণ ও উৎপাদন প্রযুক্তি, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, বায়ো–ম্যানুফ্যাকচারিং, ব্লু ইকোনমি, ডিজিটাল যোগাযোগ, ইলেকট্রনিক্স ও সেমিকন্ডাক্টর উৎপাদন, উদীয়মান কৃষি প্রযুক্তি, জ্বালানি, পরিবেশ ও জলবায়ু, স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা প্রযুক্তি, কোয়ান্টাম বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি এবং মহাকাশ প্রযুক্তি। এই কনক্লেভে শীর্ষস্থানীয় বিজ্ঞানীদের বক্তব্য, প্যানেল ডিসকাসন, উপস্থাপনা এবং প্রযুক্তি প্রদর্শনীও হয়েছে। গবেষক, শিল্প-নেতা এবং তরুণ উদ্ভাবকদের মধ্যে সহযোগিতার একটি মঞ্চ হিসেবেও কাজ করছে এটি, যা ভারতের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি পরিবেশ ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করতে সহায়তা করবে বলেই (ESTIC 2025) ধারণা সংশ্লিষ্ট মহলের (PM Modi)।

  • SIR: বাংলা ছেড়ে ‘দেশে’ পালাতে গিয়ে সীমান্তে ধৃত অন্তত ৪৮ বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী

    SIR: বাংলা ছেড়ে ‘দেশে’ পালাতে গিয়ে সীমান্তে ধৃত অন্তত ৪৮ বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসআইআরের (SIR) ঢাকে কাঠি পড়তেই পশ্চিমবঙ্গ ছেড়ে বাংলাদেশে (Bangladeshis) পালানোর হিড়িক অনুপ্রবেশকারীদের! রবিবার উত্তর ২৪ পরগনা এলাকায় সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে ফিরে যাওয়ার চেষ্টা করতে গিয়ে বিএসএফের হাতে আটক অন্তত ৪৮ জন অনুপ্রবেশকারী। পশ্চিমবঙ্গে এসআইআর ঘোষণা হতেই সীমান্তে জারি করা হয়েছে হাই অ্যালার্ট। এদিন বসিরহাট সীমান্ত থেকেই গ্রেফতার করা হয় ওই অনুপ্রবেশকারীদের।

    বিএসএফের বক্তব্য (SIR)

    বিএসএফের আধিকারিকরা জানান, এসআইআর প্রক্রিয়া জোর কদমে শুরু হওয়ার পর গ্রেফতার বা দেশছাড়া হওয়ার ভয়ে আগেভাগেই বাংলাদেশে ফিরে যাওয়ার চেষ্টা করছে অনুপ্রবেশকারীরা। তখনই পড়ছে ধরা। বিএসএফের এক প্রবীণ আধিকারিক বলেন, “আটক ব্যক্তিদের বেশিরভাগই কলকাতা, উত্তর ২৪ পরগনা এবং সংলগ্ন এলাকায় গৃহকর্মী, শ্রমিক এবং ক্ষুদ্র পেশার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ভোটার তালিকা যাচাইয়ের সময় পরিচয় ধরা পড়ে যাবে, এই ভয়ে তারা গোপনে সীমান্তে পেরোতে চেয়েছিল।”

    সীমান্তে চলছে গ্রেফতারি

    রবিবার বিএসএফ মোট ৩৩ জনকে আটক করে স্বরূপনগর থানার হাতে তুলে দেয়। শনিবার রাতে গ্রেফতার করা হয়েছিল আরও ১৫জনকে। আদালতে তোলা হলে বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠানো হয় তাদের। জানা গিয়েছে, গত তিন দিনে ওই এলাকায় প্রায় ৯০ জন বাংলাদেশিকে অবৈধভাবে সীমান্ত পার হওয়ার চেষ্টা করার অভিযোগে আটক করা হয়েছে। শনিবার উত্তর ২৪ পরগনার হাকিমপুরে আরও ৪৫ জন বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীকে গ্রেফতার করা হয়। এদের মধ্যে রয়েছে ১১টি শিশু এবং ১৫ জন নারীও (SIR)।

    বাসিরহাটের পুলিশ সুপার হোসেন মেহেদি রহমান জানান, রাতে টহল দেওয়ার সময় বিএসএফ তাদের আটক করে পুলিশে হস্তান্তর করে। তিনি বলেন, “তারা কলকাতা ও রাজারহাটে কাজ করছিল। অনুমোদনহীন পথে বাংলাদেশে ফিরে যাওয়ার চেষ্টা করছিল।” তাদেরও ১৪ দিনের বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠানো হয়। এসব ঘটনার পর থেকেই ভারত–বাংলাদেশ সীমান্তে টহলদারি বাড়িয়েছে বিএসএফ। এসআইআর প্রক্রিয়ার সময় কেউ যাতে অনুপ্রবেশ করতে বা অবৈধভাবে (Bangladeshis) সীমান্ত পার হতে না পারে, তাই নিরাপত্তা সংস্থাগুলি স্থানীয় পুলিশের সঙ্গে সমন্বয় সাধন করে নজরদারি জোরদার করেছে বলেই খবর (SIR)।

  • BJP: বিশ্বকাপজয়ী ভারতের মহিলা দলকে অভিনন্দন মমতার, ‘‘ওঁরা ১২টা পর্যন্ত খেলছিলেন’’! মুখ্যমন্ত্রীকে খোঁচা বিজেপির

    BJP: বিশ্বকাপজয়ী ভারতের মহিলা দলকে অভিনন্দন মমতার, ‘‘ওঁরা ১২টা পর্যন্ত খেলছিলেন’’! মুখ্যমন্ত্রীকে খোঁচা বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “রাত সাড়ে ১২টায় কীভাবে বাইরে বেরলো?” দুর্গাপুরে মেডিক্যাল পড়ুয়া ছাত্রী ধর্ষণকাণ্ডের পর এমনই মন্তব্য করেছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। মহিলা এই মুখ্যমন্ত্রী মহিলাদের রাত ৮টার (BJP) মধ্যেই ঘরে ‘সেঁধিয়ে’ যাওয়ার পরামর্শও দিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি করেছিলেন। সেই তিনিই এবার শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মহিলাদের একদিনের ক্রিকেটে প্রথমবার বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হওয়া ভারতীয় দলকে।

    মহিলা ওয়ান ডে ক্রিকেটে বিশ্বকাপ জয় ভারতের (BJP)

    রবিবার দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে মহিলা ওয়ান ডে ক্রিকেটে বিশ্বকাপের ফাইনালে দুরন্ত জয় ছিনিয়ে নেয় ভারত। প্রথমে ব্যাট করে ২৯৮ রান তোলে হরমনপ্রীত কৌরের নেতৃত্বাধীন ভারত। পাল্টা ব্যাট করতে নেমে ২৪৬ রানে সব উইকেট হারিয়ে গোহারা হারে দক্ষিণ আফ্রিকা। রাত ১২টার কিছু পরে বিশ্বকাপ ওঠে ভারতের মহিলা ক্রিকেট দলের হাতে। তার পরেই দেশজুড়ে শুভেচ্ছার বন্যায় ভেসে যান ভারতীয় ক্রিকেট দলের মহিলা সদস্যরা। এই টিম ইন্ডিয়াকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি-সহ সমাজের বিভিন্ন জগতের মানুষ। এই তালিকায় রয়েছেন মমতাও। তার পরেই কার্যত তাঁকে ধুয়ে দিল বিজেপি। মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য তুলে ধরেই তাঁর অভিনন্দন-বার্তাকে খোঁচা দিয়েছে পদ্মশিবির।

    মুখ্যমন্ত্রীর অভিনন্দন-বার্তায় খোঁচা বিজেপির

    ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট টিমকে অভিনন্দন জানাতে গিয়ে এক্স হ্যান্ডেলে মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, “আজ, গোটা দেশ উইমেন ইন ব্লু-র বিশ্বকাপ ফাইনালের কৃতিত্বের জন্য গর্বিত। টুর্নামেন্টজুড়ে তাঁরা যে লড়াই এবং যে কর্তৃত্ব দেখিয়েছেন, তা তরুণীদের প্রজন্মে অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে। আপনারা প্রমাণ করেছন যে আপনারা শীর্ষ স্তরে একটি বিশ্বমানের দল এবং আপনারা আমাদের কিছু অসাধারণ মুহূর্ত উপহার দিয়েছেন। আপনারা আমাদের নায়ক। ভবিষ্যতে আপনাদের জন্য আরও বড় সাফল্য অপেক্ষা করে রয়েছে। আমরা (Mamata Banerjee) আপনাদের সঙ্গে রয়েছি।” রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা পুলিশমন্ত্রীর এহেন বক্তব্য তুলে ধরেই এক্স হ্যান্ডেলে তাঁকে খোঁচা দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ বিজেপি (BJP)। “ওএমজি (ও মাই গড) ওঁরা ১২টা পর্যন্ত খেলছিলেন! কিন্তু আপনি তো ৮টার মধ্যেই বাড়ি ঢুকে যেতে বলেছেন।”

    মুখ্যমন্ত্রীর প্রশ্ন

    প্রসঙ্গত, দুর্গাপুরকাণ্ডের পর মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, “ওটি একটি প্রাইভেট কলেজ। মেয়েটির নিরাপত্তার দায়িত্ব তো সেই প্রাইভেট কলেজেরই। রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ মেয়েটি কীভাবে ক্যাম্পাসের বাইরে গেল? জঙ্গল এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে বলে শুনেছি। কী হয়েছে, জানি না। পুলিশ খতিয়ে দেখছে। প্রাইভেট মেডিক্যাল কলেজগুলির উচিত নিরাপত্তা আরও জোরদার করা। বিশেষ করে ছাত্রীদের নিরাপত্তা আরও জোরদার করা উচিত। রাতে তাদের বাইরে বেরোতে দেওয়া উচিত নয়। পুলিশ কীভাবে জানবে রাতে কে কখন বেরোবে? বিভিন্ন রাজ্যের ছেলেমেয়েদের অনুরোধ করব রাতে তারা যেন না বেরোয়। প্রাইভেট মেডিক্যাল কলেজেরও একটা দায়িত্ব রয়েছে। কেউ যদি রাত সাড়ে ১২টায় কোথাও যায়, পুলিশ তো আর তাদের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে বসে থাকবে না (BJP)।”

    একজন মহিলা মুখ্যমন্ত্রী তথা রাজ্যের পুলিশমন্ত্রীর এহেন মন্তব্যের জেরে স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গবাসী। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এমন মন্তব্য করা মুখ্যমন্ত্রীই কিনা এখন রাত ১২টা পর্যন্ত খেলে চ্যাম্পিয়ন হওয়া মহিলা ক্রিকেট দলকে ‘শুভনন্দন’ (শুভ অভিনন্দন না বলে এই শব্দটি ব্যবহার (Mamata Banerjee) করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং। যদিও শব্দটি কোনও অভিধানেই নেই।) জানাচ্ছেন (BJP)!

    ভূতের মুখে রাম নাম!

  • RSF: সুদানে চলছে নির্মম গণহত্যা, পরিস্থিতি অত্যন্ত গুরুতর, বলছে রাষ্ট্রসংঘ

    RSF: সুদানে চলছে নির্মম গণহত্যা, পরিস্থিতি অত্যন্ত গুরুতর, বলছে রাষ্ট্রসংঘ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সুদানে (Sudan) অ-মুসলিম সম্প্রদায়ের ওপর গণহত্যার ঘটনা ক্রমেই বাড়ছে। আরএসএফ (RSF) পরিচালিত এই নির্মম গণহত্যায় নারী ও শিশু-সহ হাজার হাজার মানুষের মৃত্যু। সম্প্রতি আরএসএফ বিদ্রোহীরা এল শাফির শহর দখল করার পর এই নৃশংসতা শুরু হয়। সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠী ও তাদের বিরোধী হিসেবে বিবেচিত ব্যক্তিদের লক্ষ্য করে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হচ্ছে। রাষ্ট্রসংঘের মতে, পরিস্থিতি অত্যন্ত গুরুতর। কারণ অনলাইনে প্রচারিত ভয়ঙ্কর ভিডিওয় দেখা যাচ্ছে আরএসএফ সদস্যরা মাটিতে শুয়ে থাকা মানুষদের গুলি করে হত্যা করছে। প্রাথমিক রিপোর্টে জানা গিয়েছে, মাত্র দু’দিনের এই হিংসায় প্রায় ২ হাজার মানুষ নিহত হয়েছেন।

    ক্ষমতার দ্বন্দ্ব (RSF)

    সুদানের জনসংখ্যার বেশিরভাগই সুদানি আরব বংশোদ্ভূত। তবে তারা যাদের টার্গেট করেছে, তাদের মধ্যে রয়েছেন খ্রিষ্টান ও স্থানীয় অ-আরব উপজাতির সদস্যরা। এই অশান্তির মূল কারণ হল সুদানের সামরিক বাহিনী এবং আরএসএফের মধ্যে দীর্ঘদিনের ক্ষমতার দ্বন্দ্ব, যা এক বছরেরও বেশি সময় ধরে চলছে। ২০১৯ সালে দীর্ঘদিনের স্বৈরশাসক ওমর আল-বশিরকে উৎখাতের পর, সুদানি সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান জেনারেল আবদেল ফাত্তাহ আল-বুরহান এবং আরএসএফ কমান্ডার জেনারেল মহম্মদ হামদান দাগালোর মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধি পায়। তাঁদের এই দ্বন্দ্বের জেরেই বর্তমানে দেশটি দীর্ণ গৃহযুদ্ধে (RSF)।

    নিহতের খতিয়ান

    সংঘাত শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ১ লাখ ৫০ হাজার মানুষ নিহত হয়েছেন। ১ কোটি ২০ লাখেরও বেশি মানুষ গৃহহীন হয়ে নিরাপত্তার খোঁজে অন্যত্র পালাতে বাধ্য হয়েছেন। সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি (UAE), লিবিয়া ও চাদ-সহ কিছু ইসলামিক দেশ আরএসএফকে অর্থ ও অস্ত্র দিয়ে সাহায্য করছে। এদিকে, সুদানের সরকারি সেনাবাহিনী সমর্থন পাচ্ছে মিশর, তুরস্ক ও ইরানের। এগুলিও মুসলিম-প্রধান দেশ। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, সুদানে যে অভিযান চলছে, তা আফ্রিকা মহাদেশজুড়ে ইসলামায়নের বৃহত্তর প্রচেষ্টার অংশ। আরএসএফ সম্প্রতি (Sudan) দারফুর অঞ্চলে সেনাবাহিনীর প্রধান ঘাঁটি এল ফাশের শহরের দখল নেয়। তার জেরে সাধারণ মানুষের ওপর হিংসার ঘটনা আরও বেড়ে গিয়েছে। সৌদি ম্যাটারনিটি হাসপাতালে ঢুকে প্রায় ৪৬০ জনকে হত্যা করা হয়েছে। এর ঠিক আগের দিনই সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলির হাতে ২ হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছিলেন।

    বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বক্তব্য

    বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) তথ্য অনুযায়ী, গত রবিবার ছিল এক মাসের মধ্যে এই হাসপাতালে চতুর্থ হামলা। সর্বশেষ হামলায় এক নার্স নিহত হন, জখম হয়েছেন তিনজন চিকিৎসাকর্মীও। ঘটনার ভিডিও ফুটেজ থেকে দেখা গিয়েছে, হাসপাতালের মেঝেজুড়ে রাশি রাশি লাশ পড়ে রয়েছে। চারদিকে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে ভেঙে-চুরে যাওয়া চিকিৎসা সরঞ্জাম (RSF)। সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, ভারী মর্টার হামলায় অস্ত্রোপচার চলাকালীন সার্জেনরা পর্যন্ত অস্ত্রোপচার কক্ষ ছেড়ে পালাতে বাধ্য হন। এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, অপারেশন চলাকালীন একটি বিস্ফোরণে রোগীর দেহে গুরুতর ক্ষতের সৃষ্টি হয়। বোমাবর্ষণ শুরু হতেই হাসপাতালজুড়ে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়। সুদান ডক্টরস নেটওয়ার্ক এসব ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। সংগঠনটির অভিযোগ, আরএসএফ ছ’জন স্বাস্থ্যকর্মী, যার মধ্যে চারজন চিকিৎসকও রয়েছেন, তাঁদের অপহরণ করেছে। মুক্তিপণ বাবদ দাবি করা হয়েছে (Sudan) ১,৫০,০০০ মার্কিন ডলার।

    জাতিগতভাবে লক্ষ্য করে হামলা

    প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের এপ্রিল মাস থেকে শুরু হওয়া সংঘাতের পর থেকে আরএসএফ এবং তাদের মিত্র মিলিশিয়াদের বিরুদ্ধে বারবার জাতিগতভাবে লক্ষ্য করে হামলার অভিযোগ উঠেছে, বিশেষত অ–আরব সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে। এল ফাশের এখন পুরোপুরি আরএসএফের নিয়ন্ত্রণে থাকায় ২,৫০,০০০ এর বেশি মানুষ, যাঁদের অনেকেই সংখ্যালঘু উপজাতির সদস্য, শহরের ভেতর আটকে পড়ে গিয়েছেন। বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা। ঘটনাস্থলের খবর যাতে বাইরে পৌঁছতে না পারে এবং জরুরি সাহায্য বাধাপ্রাপ্ত হয়, তাই এই পথ অবলম্বন করেছে আরএসএফ (RSF)।

    বর্তমানে দারফুর ও কর্ডোফান অঞ্চলের বেশিরভাগ অংশই আরএসএফের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। সুদানি সশস্ত্র বাহিনী দেশের মধ্য ও পূর্বাঞ্চল, রাজধানী খার্তুম-সহ দেশের একটা অংশ তাদের দখলে রেখেছে। দুই প্রতিদ্বন্দ্বী সামরিক (Sudan) বাহিনীর সংঘর্ষ চলতে থাকায় সাধারণ মানুষের হতাহতের সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। সীমিত হয়ে পড়ছে মানবিক সাহায্যের পথ (RSF)।

  • Hindus Under Attack: দেশ-বিদেশে অব্যাহত হিন্দু নির্যাতন, দেখুন এই সপ্তাহের ছবি

    Hindus Under Attack: দেশ-বিদেশে অব্যাহত হিন্দু নির্যাতন, দেখুন এই সপ্তাহের ছবি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত, বাংলাদেশ এবং বিশ্বের আরও কয়েকটি দেশে অব্যাহত হিন্দু এবং হিন্দু ধর্মের ওপর আক্রমণ (Hindus Under Attack)। বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে এই নিপীড়ন ধীরে ধীরে এক ধরনের গণহত্যার রূপ নিচ্ছে। দশকের পর দশক ধরে বিশ্ব এই আক্রমণগুলির গভীরতা ও ব্যাপ্তিকে উপেক্ষা করেছে (Roundup Week)। কারণ এর পেছনে রয়েছে ভয়াবহ হিন্দু-বিদ্বেষমূলক মানসিকতা। খুন, জোরপূর্বক ধর্মান্তর, জমি দখল, ধর্মীয় উৎসবের ওপর আক্রমণ, মন্দির ও মূর্তি ভাঙচুর, বিদ্বেষমূলক বক্তব্য, যৌন হিংসা থেকে শুরু করে প্রাতিষ্ঠানিক ও আইনি বৈষম্য পর্যন্ত সব ক্ষেত্রেই হিন্দুরা এখন তাদের অস্তিত্বের ওপর ক্রমবর্ধমান আক্রমণ ও অভূতপূর্ব হিন্দু-বিদ্বেষের মুখোমুখি। এক ঝলকে দেখে নেওয়া যাক, গত ২৫ অক্টোবর থেকে ১ নভেম্বর তারিখ পর্যন্ত কী কী ঘটনা ঘটেছে দেশ-বিদেশে।

    পশ্চিমবঙ্গের ছবি (Hindus Under Attack)

    প্রথমে দেখে নেওয়া যাক ভারতের ছবিটা। পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপের হারউড পয়েন্ট কোস্টাল থানার উত্তর চন্দ্রনগর গ্রামে স্থানীয় কালী মন্দিরে হামলার ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে। মূর্তির মাথা ভেঙে দেওয়া হয়েছে। ঘটনাটি স্থানীয় বাসিন্দাদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানে। এই ঘটনায় স্থানীয় তৃণমূল কর্মী নারায়ণ হালদারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।   দক্ষিণ ২৪ পরগনারই মল্লিকপুর গ্রামের বটতলা এলাকায় একাধিক জগদ্ধাত্রী প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে। স্থানীয় এক কারিগরের স্টুডিওয় জগদ্ধাত্রী মূর্তি ভাঙা হয়। অভিযোগ, রাতের অন্ধকারে দুষ্কৃতীরা মূর্তিগুলির মাথা ভেঙে নিয়ে যায়।

    সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা

    পুনের কন্ধওয়ার মহালক্ষ্মী জুয়েলার্সে গয়নার ওয়ারেন্টি সংক্রান্ত বিবাদ গড়ায় হাতাহাতিতে। ঘটনায় ছড়ায় সাম্প্রদায়িক উত্তেজনাও। ক্রেতা পারভেজ নবী শেখের দাবি, ওয়ারেন্টি পিরিয়ডের মধ্যেই তাঁর কানের দুল ভেঙে গিয়েছে। তাই তার বদলে তিনি অন্য একটি দুল চান। দোকানের মালিক জানান, দুলটি ব্যবহার করা হয়েছিল, তাই পরিবর্তন সম্ভব নয়। এরপরেই দু’পক্ষে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় শুরু হয়। বিজনেস ভিসার অপব্যবহার, ধর্মীয় প্রচারমূলক অনুষ্ঠানের আয়োজন এবং ভারতের মধ্যে ফান্ডরেইজিং নেটওয়ার্ক পরিচালনার অভিযোগে নাইজেরিয়ান নেতৃত্বাধীন ‘ক্রাইস্ট এমব্যাসি’র বিরুদ্ধে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে চিঠি দিয়েছে এলআরপিএফ (Hindus Under Attack)। আইনি অধিকার সুরক্ষা ফোরামের এই অভিযোগপত্রে বিদেশি নাগরিক ও তাদের সংগঠনের কার্যকলাপ নিয়ে অবিলম্বে তদন্তের দাবি জানানো হয়েছে।

    ধর্মান্তরিত করার চেষ্টা

    সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী, খ্রিস্টান ধর্মপ্রচারকদের একটি দল (Roundup Week), যার মধ্যে দুই মহিলাও ছিলেন, পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়। তারা অর্থ ও বাসস্থানের লোভ দেখিয়ে হিন্দু মহিলাদের ধর্মান্তরিত করার চেষ্টা করছিলেন। অভিযোগের ভিত্তিতে মধ্যপ্রদেশ ফ্রিডম অফ রিলিজিয়ন অ্যাক্টের ধারা ৩ ও ৫, ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ধারা ১১৫ (২ ) এবং এসসি / এসটি অ্যাক্টের ধারা ৩(১)(সি) অনুযায়ী এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। বেঙ্গালুরুর দেবারা বেসনহাল্লির ঐতিহাসিক ভেঙ্কটেশ্বরস্বামী মন্দিরে ঘটে চাঞ্চল্যকর ঘটনা। অভিযোগ, বাংলাদেশি বলে পরিচিত কবীর নামে এক ইসলামপন্থী যুবক জুতো পরা অবস্থায়ই জোর করে গর্ভগৃহে ঢুকে পড়ে এবং চপ্পল ব্যবহার করে দেবতার মূর্তি অপবিত্র করে।  টাটা ইনস্টিটিউট অব সোশ্যাল সায়েন্সেসের স্কুল অফ সোশ্যাল জাস্টিসের অধ্যাপক ব্রিনেল ডি’সুজার ধর্মভিত্তিক কর্মশালা ও রাজনৈতিক সক্রিয়তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশিত হয়েছে। অভিযোগ, তিনি সরকারি ফান্ড ব্যবহার করে ‘শুধু ক্যাথলিকদের জন্য’ ওয়ার্কশপ পরিচালনা করছেন।

    নজরে বাংলাদেশ

    এদিকে, বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর অবিরাম আক্রমণ চলছে। লক্ষ্য হল, দেশটি থেকে ধর্মীয় এই সংখ্যালঘুদের ধীরে ধীরে নির্মূল করা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর আবুল বরকতের এক গবেষণা অনুযায়ী, পদ্ধতিগত ও প্রাতিষ্ঠানিক নির্যাতনের কারণে ২০৫০ সালের মধ্যে বাংলাদেশে আর কোনও হিন্দু অবশিষ্ট থাকবে না। মন্দির ভাঙচুর, জমি দখল, মিথ্যা ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তুলে নারী ও কন্যাশিশুর ধর্ষণ বা জোরপূর্বক ধর্মান্তর, ঘৃণাবাচক (Roundup Week) বক্তব্য – এসবই হিন্দুদের আতঙ্কিত ও দেশছাড়া করার প্রধান হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। রাজশাহির গোদাগাড়ি উপজেলার বাবুদয়িং গ্রামে এক মানবিক বিপর্যয় ঘটেছে, যেখানে আদালতের নির্দেশে আদিবাসী সম্প্রদায়ের পাঁচটি পরিবারকে উচ্ছেদ করা হয়েছে। দুই দশকেরও বেশি সময় আগে নির্মিত তাদের ঘরবাড়ি ভেঙে ফেলা হয়েছে। তার জেরে রাতারাতি বহু পুরুষ, নারী ও শিশুকে গৃহহীন অবস্থায় রাস্তায় দাঁড়াতে হয়েছে (Hindus Under Attack)।

    ‘বিদেশি দানব’!

    এদিকে, প্রকাশ্য হিন্দুফোবিয়ার এক ঘটনায়, মুখোশধারী কিছু ব্যক্তি ভগবান বিষ্ণু ও গণেশের ছবি কেটে দেওয়া বা ক্রস চিহ্ন দেওয়া ব্যানার প্রদর্শন করে তাঁদের ‘বিদেশি দানব’ বলে অপমান করেছে। ওই মুখোশধারীরা যে ব্যানার দেখিয়েছিল (Roundup Week) তাতে লেখা ছিল, ডোন্ট ইন্ডিয়া মাই টেক্সাস, ডিপোর্ট এইচ-১বি স্ক্যামার্স, রিজেক্ট ফরেন ডেমনস এবং জেসাস ক্রাইস্ট ইজ মাই লর্ড (Hindus Under Attack)।

  • Odisha: ওড়িশায় রাজ্যের প্রথম কম্পাউন্ড সেমিকন্ডাক্টর প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন, কী বললেন মুখ্যমন্ত্রী?

    Odisha: ওড়িশায় রাজ্যের প্রথম কম্পাউন্ড সেমিকন্ডাক্টর প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন, কী বললেন মুখ্যমন্ত্রী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উন্নত ইলেকট্রনিক্স ও সেমিকন্ডাক্টর উৎপাদনের একটি কেন্দ্র হিসেবে আত্মপ্রকাশের পথে পদক্ষেপ করল ওড়িশা (Odisha)। ১ নভেম্বর ভুবনেশ্বরের জাতনি এলাকার ইনফো ভ্যালিতে স্থাপন করা হয়েছে রাজ্যের প্রথম কম্পাউন্ড সেমিকন্ডাক্টর প্রকল্পের (CM Majhi) ভিত্তিপ্রস্তর। অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যোগ দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় ইলেকট্রনিক্স ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। অনুষ্ঠানে সশরীরে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মোহন চরণ মাজি এবং ওড়িশার তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মুকেশ মাহলিং।

    কর্মসংস্থান হবে প্রায় ৫ হাজার (Odisha)

    কেন্দ্রটি নির্মাণ করবে সিকসেম (SiCSem) প্রাইভেট লিমিটেড। এটি হবে ওড়িশার শিল্প ও প্রযুক্তি খাতের ক্ষেত্রে একটি মাইলফলক। ২ হাজার ৬৭ কোটি টাকার বিনিয়োগে গড়ে ওঠা এই প্রকল্পটিতে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে কর্মসংস্থান হবে প্রায় ৫ হাজার জনের। এটি রাজ্যের হাই-টেক ম্যানুফ্যাকচারিং সেক্টরকে উল্লেখযোগ্যভাবে এগিয়ে নিয়ে যাবে বলেই ধারণা বিশেষজ্ঞদের।

    মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য

    অনুষ্ঠানে ভাষণ দিতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মোহন চরণ মাজি প্রকল্পটিকে ওড়িশার জন্য একটি ঐতিহাসিক মাইলফলক বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, “আজ আমাদের রাজ্যের জন্য এক গৌরবময় দিন। আমরা উন্নত ইলেকট্রনিক্স ও সেমিকন্ডাক্টর উৎপাদনের একটি প্রধান কেন্দ্র হয়ে ওঠার দিকে এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিলাম। ইনফো ভ্যালিতে সিকসেম প্রাইভেট লিমিটেডের কম্পাউন্ড সেমিকন্ডাক্টর ফেসিলিটির ভূমিপুজো আমাদের আত্মনির্ভর ভারতের দৃষ্টিভঙ্গির প্রতিফলন। এটি ওড়িশার এগিয়ে চলার নীতি, বিশ্বমানের পরিকাঠামো এবং দ্রুত বর্ধনশীল উদ্ভাবন পরিবেশের পরিচায়ক (Odisha)।” তিনি বলেন, “সেমিকন্ডাক্টর ইউনিটটি ওড়িশার সেই বৃহত্তর কৌশলের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ, যার লক্ষ্য হল ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত শিল্প, যেমন, ইলেকট্রনিক্স, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং উদীয়মান প্রযুক্তির বিকাশ।” মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “উদ্ভাবন-চালিত শিল্পকে উৎসাহিত করে এবং উচ্চ-প্রযুক্তি খাতের জন্য শক্তিশালী নীতি দিয়ে সাহায্য করে ওড়িশাকে ভারতের অন্যতম বিনিয়োগবান্ধব গন্তব্য হিসেবে গড়ে তুলতে আমাদের সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”

    নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে ভারত

    তিনি বলেন, “এই প্রকল্পটি ওড়িশার জন্য একটি বড় পাওয়া। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে ভারত আর প্রযুক্তিগত অগ্রগতিতে কোনও দেশের থেকে পিছিয়ে নেই। প্রগতিশীল নীতি, আধুনিক পরিকাঠামো এবং দক্ষতাভিত্তিক প্রবৃদ্ধির মাধ্যমে আমরা একটি শক্তিশালী, আত্মনির্ভরশীল ও প্রযুক্তিনির্ভর অর্থনীতি গড়ে তুলছি।” মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “ভারত সরকারের অবিচল সমর্থন এবং আমাদের শিল্প অংশীদারদের সহযোগিতায়, ওডিশা ভারতের পূর্বাঞ্চলের উন্নয়নগাঁথায় অবদান রাখতে থাকবে — উদ্ভাবন, কর্মসংস্থান এবং সমৃদ্ধিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে একটি ‘সমৃদ্ধ ওডিশা’ এবং ‘বিকশিত ভারত’-এর লক্ষ্যে (CM Majhi)।” কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, “ডাবল-ইঞ্জিন সরকার রেল, সড়ক, ইলেকট্রনিক্স, টেলিকম এবং সেমিকন্ডাক্টর-সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ওড়িশায় উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি করেছে। আইআইটি ভুবনেশ্বরে একটি অত্যাধুনিক সেমিকন্ডাক্টর গবেষণাগারও স্থাপন করা হবে।”

    প্রসঙ্গত, ভারত সেমিকন্ডাক্টর মিশনের (ISM) অনুমোদনে নির্মাণাধীন যৌগিক সেমিকন্ডাক্টর ফ্যাব্রিকেশন সুবিধাটি বছরে ৬০ হাজার ওয়েফার উৎপাদন সক্ষমতা এবং ৯৬ মিলিয়ন ইউনিট প্যাকেজিং ক্ষমতা নিয়ে গড়ে উঠবে। এই ইউনিটে বৈদ্যুতিক যানবাহন, প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, রেলওয়ে এবং পুনর্নবীকরণ শক্তি প্রযুক্তিতে ব্যবহৃত জরুরি উপাদানগুলি তৈরি করা হবে (Odisha)।

    প্রসঙ্গত, বর্তমানে ভারত সেমিকন্ডাক্টর উপাদানের জন্য ব্যাপকভাবে নির্ভর করে চিন, তাইওয়ান, দক্ষিণ কোরিয়া এবং সিঙ্গাপুরের মতো দেশের ওপর। ভুবনেশ্বরে এই প্রকল্পটি গড়ে উঠলে একদিকে যেমন কমবে আমদানিনির্ভরতা, বাড়বে দেশীয় উৎপাদন ক্ষমতা, তেমনি মেক ইন ইন্ডিয়া ও ডিজিটাল ইন্ডিয়া মিশনের অধীনে ভারতের সেমিকন্ডাক্টর উৎপাদন ইকোসিস্টেম আরও শক্তিশালী (CM Majhi) হবে বলেই আশা বিশেষজ্ঞদের। কর্তৃপক্ষের মতে, প্রকল্পটি শুধু ওড়িশার প্রযুক্তিগত সক্ষমতাই বাড়াবে না, বরং ভারতকে বৈশ্বিক সেমিকন্ডাক্টর কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে। এটি দেশের আত্মনির্ভরতা বৃদ্ধি এবং মজবুত শিল্পোন্নয়নেও সহায়তা করবে।

LinkedIn
Share