Author: pranabjyoti

  • Indias Drone Strikes: ভারতের ড্রোন হামলায় নড়ে গিয়েছে পাকিস্তানের অর্থনীতির ভিত!

    Indias Drone Strikes: ভারতের ড্রোন হামলায় নড়ে গিয়েছে পাকিস্তানের অর্থনীতির ভিত!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের ড্রোন হামলায় (Indias Drone Strikes) নড়ে গিয়েছে পাকিস্তানের অর্থনীতির ভিত! ভারত-পাক সংঘাতের (Pakistans Economy) আবহে এক সপ্তাহের নাটকীয় পতনের পর শুক্রবার করাচি স্টক এস্কচেঞ্জের ট্রেডিং সেশনে খানিক পুনরুদ্ধারের লক্ষণ দেখা গিয়েছে। পড়শি এই দুই দেশের মধ্যে তীব্র উত্তেজনার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত কেএসই- ১০০ সূচকটি ইতিবাচক পরিবর্তনের সঙ্গে শুরু হয়েছে। প্রাথমিক লেনদেনে ৮০০ পয়েন্টেরও বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। যদিও দিনের বেলায় এটি প্রায় ৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছিল, পরে সূচকটি প্রায় ১ শতাংশ হ্রাস পায়। বিশেষজ্ঞদের মতে, এটি চারদিনের বিশৃঙ্খল পতনের পর সামান্য একটি প্রত্যাবর্তন।

    প্রচণ্ড ধাক্কা (Indias Drone Strikes)

    এই সপ্তাহের শুরুতে পাকিস্তানের বাজার পূর্ণাঙ্গ সংঘাতের আশঙ্কায় প্রচণ্ড ধাক্কা খেয়েছিল। বৃহস্পতিবার পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার নেয়। কেএসই-১০০ রকেটের গতিতে পড়ে যায়। এক সেশনেই এটি ৬ শতাংশেরও বেশি পড়ে যায় এবং লেনদেন বন্ধ হয়ে যায়। এটি ছিল স্টক এক্সচেঞ্জের সাম্প্রতিক ইতিহাসের সব চেয়ে খারাপ মন্দার মধ্যে একটি, যেখানে বিনিয়োগকারীদের ৮২ হাজার কোটি টাকারও বেশি হ্রাস পায়। টানা তিনটি লেনদেন দিনের মধ্যে মোট ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়ায় ১.৩ লাখ কোটি, যা দেশের অর্থনৈতিক অস্থিরতা নিয়ে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। বেঞ্চমার্ক সূচক তার সর্বোচ্চ থেকে প্রায় ১০ শতাংশ কমে গিয়েছে। যার জেরে দেশের আর্থিক স্থিতিশীলতা নিয়ে ব্যাপক উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে।

    ট্রেডিং সেশন

    করাচি ও লাহোর-সহ একাধিক শহরে ভারতীয় ড্রোন হামলার (Indias Drone Strikes) খবরের পর আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। তার জেরেই পতন ঘটে বাজারের। প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবারের ট্রেডিং সেশনটি তীব্র ওঠানামার জন্য চিহ্নিত হয়ে থাকবে। এদিন সূচকটি ১০ হাজার পয়েন্টেরও বেশি ওঠানামা করে। কেএসই-১০০ সূচকটি সাময়িকভাবে ১ হাজার ৮৭২টি পয়েন্ট বেড়ে যায়। পরে ফের ৮ হাজার ৪১০ পয়েন্ট পড়ে যায়। বিনিয়োগকারীদের ভয় এবং অনিশ্চয়তাই এর কারণ (Indias Drone Strikes) বলে বিশেষজ্ঞদের ধারণা (Pakistans Economy)। এই তীব্র পতনে সূচকটি ১ লাখ ৭ হাজার ০০৭ পয়েন্টে নেমে আসে।

  • Birbhum: বীরভূম থেকে ধৃত ২ জামাত সদস্য, জঙ্গিদের আঁতুড়ঘর হয়ে উঠছে পশ্চিমবঙ্গের এই গ্রাম?

    Birbhum: বীরভূম থেকে ধৃত ২ জামাত সদস্য, জঙ্গিদের আঁতুড়ঘর হয়ে উঠছে পশ্চিমবঙ্গের এই গ্রাম?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত-পাক সংঘাতের আবহে পশ্চিমবঙ্গ (Birbhum) থেকে গ্রেফতার ২ জামাত-উল-মুজাহিদিন জঙ্গি। মূলত মুসলিম তরুণদের মগজধোলাই করে (Militants Arrested) ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধের উসকানি দেওয়ার কাজই এরা করত বলে অভিযোগ। বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে বীরভূমের নলহাটি এবং মুরারইয়ে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে এসটিএফ। শুক্রবার রামপুরহাট আদালতে পেশ করা হলে ধৃতদের ১৪ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত।

    বীরভূম থেকে ধৃত ২ (Birbhum)

    বছর আঠাশের আজমল হোসেন ও সাহেব আলি খান দুজনেই বীরভূমের বাসিন্দা। প্রথমজন থাকেন নলহাটিতে, আর অন্যজন মুরারইয়ে। তবে দুজনেই জামাত-উল-মুজাহিদিনের সদস্য। জামাতের যে মডিউলের সদস্য এরা, তাদের দায়িত্ব ছিল মুসলমান যুবকদের মগজধোলাই করা। অশিক্ষিত এবং অর্ধশিক্ষিত মুসলমানদের মধ্যে রাষ্ট্রদ্রোহী এবং ধর্মীয় উসকানিমূলক বার্তাও ছড়িয়ে দিত এরা। পুরোটাই হত এনক্রিপ্টেড ভার্সানে। দেশের সার্বভৌমত্ব নষ্ট করতে বিশেষ বিশেষ জায়গা ও বিশেষ কয়েকজন ব্যক্তির ওপর হামলার ছকও কষেছিল তারা। সেই নীল নকশা বাস্তবায়ন করতে নিরন্তর মগজধোলাই করে যেত মুসমনান তরুণদের।

    বাজেয়াপ্ত হয়েছে এই জিনিসগুলি

    এসটিএফ সূত্রে খবর, আজমলের বাড়ি থেকে বাংলাদেশের বেশ কয়েকটি ধর্মীয় বই, একটি ল্যাপটপ, একটি মোবাইল এবং জঙ্গি কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত বেশ কিছু জিনিস বাজেয়াপ্ত করেছেন এসটিএফের আধিকারিকরা। আজমল বেশ কয়েকবার বাংলাদেশে ঢোকার চেষ্টা করেছিল। বিভিন্ন অ্যাপের মাধ্যমে বাংলাদেশের কট্টরপন্থী ও জেহাদি কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্তদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছিল সে। আজমল বিস্ফোরক তৈরির প্রশিক্ষণ নিতে বাংলাদেশে যেতে চেয়েছিল বলে খবর। ইন্টারনেটের মাধ্যমে বাংলাদেশি দেশবিরোধী শক্তির সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখত আজমল ও সাহেব। জেহাদিদের সঙ্গে টাকা লেনদেনও করত আজমল ও তার দোসর। আজমলের বাবা জার্জেশ মণ্ডলের অবশ্য দাবি, তাঁর ছেলে কোনওভাবেই জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত নয়। আজমল ছেলে কোনওদিন বাংলাদেশেও যায়নি বলেও দাবি তার। তিনি বলেন (Birbhum), “সাহেব মাঝে মাঝে আমার ছেলের কাছে আসত। সে-ই বইটই দিয়ে যেত। বৃহস্পতিবার রাতে আড়াই ঘণ্টা ধরে পুলিশ বাড়িতে তল্লাশি চালায় (Militants Arrested)। মোবাইল, ল্যাপটপ এবং বাংলাদেশি কিছু বই উদ্ধার করে নিয়ে গিয়েছে তারা।”

    কী বলছে অপারেশন টিম

    অপারেশন টিমের ওসি ইন্দ্রজিৎ বসু বলেন, “এরা দুজনেই সক্রিয় ছিল দেশবিরোধী কাজে। দুজনকেই ১৪ দিনের হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। এদের জেরা করে সম্পূর্ণ চক্রের হদিশ পাওয়া যাবে বলে আশা করছি।” তিনি বলেন, “দেশের বাইরে দেশবিরোধী শক্তির সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখত আজমল এবং সাহেব। তাদের সঙ্গে রীতিমতো টাকার লেনদেনও চলত বলে খবর।” জানা গিয়েছে (Birbhum), ধৃতদের আরও কয়েকজন সহযোগী বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে রয়েছে। তাদের সাহায্যে আজমল ও সাহেব আগ্নেয়াস্ত্র সংগ্রহের চেষ্টা করেছিল। এর পাশাপাশি ধৃতেরা ‘গাজওয়াতুল হিন্দ’-এর মতাদর্শ প্রচার ও বিস্ফোরক প্রস্তুত করার পরিকল্পনা করেছিল। ‘গাজওয়াতুল হিন্দ’ শব্দের অর্থ ‘ভারতে সশস্ত্র জেহাদ’ (Militants Arrested)। সূত্রের খবর, চণ্ডীপুর গ্রামের আজমল পেশায় হাতুড়ে ডাক্তার। আর পাইকর থানার রুদ্রনগরের বাসিন্দা সাহেব দর্জির কাজ করে। স্বাভাবিকভাবেই তাদের কাজে লোকজন আসত। সেই সুযোগেই তরুণদের মগজ ধোলাই এবং সংগঠনে নিয়োগের চেষ্টা করত তারা।

    বীরভূমের সঙ্গে জঙ্গি যোগ নতুন নয়

    বীরভূমের (Birbhum) সঙ্গে জঙ্গি যোগ নতুন নয়। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, তৃণমূল জমানায় বেশ বাড়বাড়ন্ত হয়েছে জঙ্গিদের। যেহেতু মুসলমানদের ভোটে ক্ষমতায় রয়েছেন বলে বিভিন্ন সময় প্রকাশ্যে দাবি করেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং যেহেতু তিনি অবিরাম তুষ্টিকরণের রাজনীতি করে চলেছেন, তাই, বিরোধীদের মতে, পেয়ে বসেছে জঙ্গিরা। পশ্চিমবঙ্গকে নিরাপদ আশ্রয় ঠাওরে নিয়ে আড়ে বহরে বাড়ছে জঙ্গিরা। শুধু তাই নয়, মগজ ধোলাইয়ের কাজও করে চলেছে অবিরাম। অসমর্থিত সূত্রের খবর, মুর্শিদাবাদের হিন্দু বিতাড়নের ঘটনায়ও বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠনের উসকানি ছিল।

    জঙ্গি ধরা পড়েছে আগেও

    তবে বীরভূমের এই পাইকর থানা এলাকা নানা সময় খবরের শিরোনামে এসেছে জঙ্গি ধরা পড়ার কারণে। বছর পাঁচেক আগে এই থানারই কাশিমনগর গ্রামের বাসিন্দা নাজিবুল্লা হাক্কানিকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। সেও জেএমবির সদস্য। নাজিবুল্লার আত্মীয়রা তাকে (Birbhum) নির্দোষ দাবি করলেও, এসটিএফ সেই সময় দাবি করেছিল, অন্য ধর্মের প্রতি ঘৃণা ও বিদ্বেষমূলক প্রচারের সূত্র ধরে গ্রেফতার হওয়া নাজিবুল্লা আদতে জঙ্গি সংগঠনের তাত্বিক নেতা। তার হাত ধরেই বীরভূমে নয়া মডিউল তৈরির কাজ এগোচ্ছিল। তার সপক্ষেও নাজিবুল্লার কাছ থেকে বেশ কিছু নথি উদ্ধার হয়েছিল বলে দাবি করেছিলেন গোয়েন্দারা।

    বর্ধমানের খাগড়গড়কাণ্ডে যে ১৯ জনকে সাজা শুনিয়েছিল আদালত, তাদের মধ্যে ছিল ওই বিস্ফোরণের প্রত্যক্ষদর্শী আবদুল হাকিমও। তার বাড়ি বীরভূমেরই দেউচায় (Militants Arrested)। ২০১৪ সালে বর্ধমানের খাগড়াগড় বিস্ফোরণের পরে যেসব জেলায় জঙ্গি জাল ছড়ানোর হদিশ পেয়েছিল এনআইএ, সেই তালিকায় ছিল বীরভূমও। ওই কাণ্ডে একাধিক অভিযুক্তের (Militants Arrested) খোঁজ মিলেছিল বীরভূমের (Birbhum) নিমড়া গ্রামে।

  • RSS: “পাকিস্তান জন্মলগ্ন থেকেই হিংসা ও রক্তপাতের মধ্যে রয়েছে,” বললেন প্রবীণ আরএসএস প্রচারক ইন্দ্রেশ

    RSS: “পাকিস্তান জন্মলগ্ন থেকেই হিংসা ও রক্তপাতের মধ্যে রয়েছে,” বললেন প্রবীণ আরএসএস প্রচারক ইন্দ্রেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “পাকিস্তান এমন একটি দেশ যা জন্মলগ্ন থেকেই হিংসা ও রক্তপাতের মধ্যে রয়েছে। দেশটি অচিরেই পাঁচভাগে বিভক্ত হয়ে যেতে পারে।” শুক্রবার ‘অপারেশন সিঁদুর’ (Operation Sindoor) প্রসঙ্গে এমনই মন্তব্য করলেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (RSS) প্রবীণ প্রচারক ইন্দ্রেশ কুমার। পহেলগাঁওকাণ্ডের প্রেক্ষিতে অপারেশন সিঁদুর শুরু করে ভারত। এই অপারেশনে পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের ৯টি জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংস ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী।

    কী বললেন ইন্দ্রেশ (RSS)

    ইন্দোরে খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের ‘জিএএফসিওএন-এবিসিআই নর্থ ইন্ডিয়া লিডারস কনফারেন্স’-এ বক্তব্য রাখার সময় তিনি বলেন, “আমরা জানি না পাকিস্তানের কী হবে। কিন্তু মানুষ বলছে এই দেশ পাঁচ ভাগে বিভক্ত হয়ে ছিন্নভিন্ন হয়ে যাবে।” ইন্দ্রেশ কুমার ব্যাখ্যা করেন, ‘কিছু লোক মনে করে পাকিস্তান জন্মলগ্ন থেকেই হিংসা ও রক্তপাতের শিকার। তারা এও মনে করে যেহেতু দেশটি ইতিমধ্যেই ৮০ বছর পূর্ণ করে ফেলেছে, তাই এর অস্তিত্বের সময় হয়তো শেষের পথে। কারণ প্রতিটি সৃষ্ট বস্তুই এক সময় বিলুপ্ত হয় (RSS)।’

    ভারতের সাংস্কৃতিক ধারাবাহিকতা

    ভারতের সাংস্কৃতিক ধারাবাহিকতার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, “ভারত সনাতন সংস্কৃতিতে গড়ে ওঠা দেশ যার কোনও নির্দিষ্ট জন্মতারিখ নেই। সেখানে পাকিস্তান ও বাংলাদেশ তুলনামূলকভাবে নতুন রাষ্ট্র।” তিনি বলেন, “এই সাংস্কৃতিক ধারাবাহিকতা পাকিস্তানের যে নয়া রাষ্ট্রস্বত্ত্বা তার সঙ্গে কোনওভাবেই মেলে না।”

    অনুষ্ঠান শেষে সংবাদমাধ্যমে প্রবীণ এই আরএসএস নেতা বলেন, “পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ মহল থেকে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে স্বাধীনতার দাবি উঠছে। সিন্ধু, বালুচিস্তান, পশতু অঞ্চল এবং পাঞ্জাবের মতো এলাকাগুলো আলাদা হতে চাইছে। আর পাকিস্তান অধিকৃত জম্মু ও কাশ্মীর ভারতের সঙ্গে যুক্ত হতে চায়।” তাঁর মতে, এসব আন্দোলন পাকিস্তানের রাষ্ট্র হিসেবে ঐক্যবদ্ধ থাকার ক্ষমতা নিয়েই প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। তিনি দেশবাসীকে জাতপাত, দলীয় রাজনীতি, ধর্মীয় গোষ্ঠী ও ভাষাভিত্তিক বিভাজন অতিক্রম করে সম্মিলিতভাবে সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলার আহ্বানও জানান। বলেন, “আমাদের নিজেদের মধ্যের পার্থক্য ভুলে একত্রিতভাবে সন্ত্রাসের অবসান ঘটাতে হবে এবং পাকিস্তানকে শক্ত বার্তা দিতে হবে।”

    প্রসঙ্গত, পাকিস্তানে জঙ্গি পরিকাঠামোর বিরুদ্ধে ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর সাম্প্রতিক পদক্ষেপ গোটা দেশে প্রশংসিত হয়েছে। এটি আদতে (Operation Sindoor) সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের জিরো টলারেন্স মনোভাবেরই প্রতিফলন (RSS)।

  • Operation Sindoor: ‘অপারেশন সিঁদুরে’র জের, পাঞ্জাব-গুজরাট-রাজস্থানে জারি হাই অ্যালার্ট

    Operation Sindoor: ‘অপারেশন সিঁদুরে’র জের, পাঞ্জাব-গুজরাট-রাজস্থানে জারি হাই অ্যালার্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘অপারেশন সিঁদুরে’র (Operation Sindoor) পর কমপক্ষে তিনটি সীমান্তবর্তী রাজ্যে হাই অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে (Air Defence)। এই রাজ্যগুলি হল পাঞ্জাব, রাজস্থান এবং গুজরাট। এই রাজ্যগুলিতে সব সরকারি অনুষ্ঠান বাতিল করা হয়েছে। বন্ধ রাখা হয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। নজরদারি বাড়ানো হয়েছে স্পর্শকাতর বিভিন্ন এলাকায়।

    দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে বেছে বেছে ২৭ জন হিন্দু পর্যটককে হত্যা করে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা। তার পক্ষকাল পরেই পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরের জঙ্গি ঘাঁটিতে অপারেশন সিঁদুর চালায় ভারত। এই যে জঙ্গি ঘাঁটিগুলিতে ভারত হামলা চালিয়েছে, সেগুলির মধ্যে কয়েকটি সন্ত্রাসী লঞ্চপ্যাডও রয়েছে। সূত্রের খবর, পাকিস্তানের বাহাওয়ালপুরে জৈশ-ই-মহম্মদ ও মুরিদকেতে লস্কর-ই-তৈবার জঙ্গি ঘাঁটিগুলিকে  টার্গেট করে গুঁড়িয়ে দিয়েছে ভারত।

    পাঞ্জাবে সতর্কতা জারি (Operation Sindoor)

    ৫৩২ কিলোমিটার আন্তর্জাতিক সীমান্তবিশিষ্ট পাঞ্জাব প্রথম থেকেই কড়া সতর্কতার সঙ্গে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। রাজ্য মন্ত্রিসভার মন্ত্রী অমান আরোরা ঘোষণা করেন, সমস্ত সীমান্তবর্তী জেলাকে উচ্চ সতর্কতায় রাখা হয়েছে এবং সাবধানতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে সরকারি অনুষ্ঠান-সহ সব ধরনের জনসমাবেশ বাতিল করা হচ্ছে। বিবৃতি জারি করে তিনি বলেন, “পাঞ্জাবের মানুষ সেনার পিছনে একজোট হয়ে রয়েছে। জাতির অখণ্ডতা যখনই চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে, পাঞ্জাবিরা জীবন দিতেও পিছপা হয় না।”

    পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান এসবিএস নগর ও জলন্ধরে তাঁর নির্ধারিত মাদকবিরোধী কর্মসূচি বাতিল করেছেন। এদিকে, পাঞ্জাব পুলিশকে দ্বিতীয় প্রতিরক্ষা সারি হিসেবে সতর্ক অবস্থায় রাখা হয়েছে। কোনও আকস্মিক ঘটনার মোকাবিলায় ভারতীয় সেনাবাহিনীর সঙ্গে পাঞ্জাব সমন্বয় রেখে চলছে বলেও জানান প্রশাসনের কর্তারা। আরোরা বাসিন্দাদের প্রতি সরকারি নির্দেশ সাবধানে মেনে চলতে এবং বিশেষ করে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে আতঙ্ক ছড়ানো এড়াতে অনুরোধ করেছেন (Air Defence)।

    ধ্বংসাবশেষ মিলেছে পাঞ্জাবের গ্রামে

    এদিকে, পাকিস্তান এবং পাক-অধিকৃত কাশ্মীরের ৯টি জঙ্গি ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী। এর পরপরই ভারতের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় করা হয়েছিল। জানা গিয়েছে, বুধবার রাতে এই প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা যা সন্দেহভাজন পাকিস্তানি প্রজেক্টাইলগুলিকে সফলভাবে প্রতিহত করেছে। পাক ক্ষেপণাস্ত্রের ধ্বংসাবশেষগুলি পাঞ্জাবের সীমান্তবর্তী গ্রামে এসে পড়েছে। প্রসঙ্গত, পাঞ্জাব রাজ্যটি পাক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পাল্লার একেবারে গোড়ায় অবস্থিত। ফলে, এখানে হামলার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি।

    ছুটি বাতিল

    এদিকে, রাজ্য পুলিশ সমস্ত কর্মীদের ছুটি বাতিল করেছে পাঞ্জাব। রাজ্য সরকার ছ’টি সীমান্তবর্তী জেলায় স্কুল বন্ধ করে দিয়েছে। প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, পাঞ্জাবের সীমান্তবর্তী ৬টি জেলা – ফিরোজপুর, পাঠানকোট, ফাজিলকা, অমৃতসর, গুরুদাসপুর এবং তারন তারানের সমস্ত স্কুল পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে (Operation Sindoor)। রাজস্থানে, পাকিস্তানের সঙ্গে ১,০৩৭ কিলোমিটার সীমান্তজুড়ে রাজ্য প্রশাসন জরুরি প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। ১০ মে পর্যন্ত কিশানগড় ও যোধপুর বিমানবন্দর বন্ধ রাখার পাশাপাশি বিএসএফের শক্তি বৃদ্ধি করা হয়েছে। সক্রিয় করা হয়েছে বিমান প্রতিরক্ষা ইউনিট (Air Defence)।

    ৪ ঘণ্টার জন্য ব্ল্যাকআউট

    বারমের, জয়সলমির, যোধপুর, বিকানের ও শ্রী গঙ্গানগর জেলার সব স্কুল, অঙ্গনওয়াডি ও কোচিং সেন্টার অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। জয়সলমিরে মধ্যরাত থেকে ভোর ৪টা পর্যন্ত ৪ ঘণ্টার জন্য ব্ল্যাকআউট করা হয়। এদিনের সমস্ত পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে এবং সরকারি কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করে সদর দফতরে অবস্থান করতে বলা হয়েছে। রাজ্যের হাসপাতালগুলিকে রক্ত ও জরুরি ওষুধ মজুত রাখতে বলা হয়েছে। জ্বালানি স্টেশনগুলিকে পর্যাপ্ত সরবরাহ নিশ্চিত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ গ্রামগুলি খালি করার পরিকল্পনা প্রস্তুত রাখা হয়েছে। জেলা কালেক্টরদের সীমান্তবর্তী সংবেদনশীল স্থান চিহ্নিত করে সুরক্ষিত করতে এবং কেন্দ্রীয় সংস্থা ও সামরিক বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় বজায় রাখতে বলা হয়েছে (Operation Sindoor)।

    গুজরাটেও জারি হাই অ্যালার্ট

    গুজরাটের কচ্ছ জেলা-সহ সীমান্তবর্তী এলাকায় হাই অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। ভুজ ও রাজকোট বিমানবন্দর থেকে সব অসামরিক বিমান পরিষেবা তিনদিনের জন্য স্থগিত করা হয়েছে এবং এখন কেবলমাত্র সামরিক বিমান ব্যবহার করছে এই এয়ারবেসগুলি। জামনগর, হালার সৈকত এবং অন্যান্য উপকূলীয় এলাকায় মেরিন পুলিশ, স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ, টাস্কফোর্স কমান্ডোদের মোতায়েন করা হয়েছে। প্রতিটি স্পর্শকাতর এলাকায় চলছে নিরাপত্তা তল্লাশি (Operation Sindoor)। আহমেদাবাদ রেল স্টেশনেও নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। রেলওয়ে প্রোটকশন ফোর্স, সরকারি রেল পুলিশ এবং কুইক রিঅ্যাকশন টিম যৌথ টহল দিচ্ছে। লাগেজ স্ক্রিনিং, অ্যান্টি-সাবোটাজ ড্রিল এবং ফ্ল্যাগ মার্চ চালানো হয়েছে (Air Defence)।

    প্রসঙ্গত, অপারেশন সিঁদুরকে ভারতের একটি কৌশলগত সাফল্য হিসেবে দেখা হচ্ছে। তবে এর জেরে দেশের সীমান্তবর্তী অঞ্চলে চরম সতর্কতা বজায় রাখা হয়েছে। পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছে কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকার (Operation Sindoor)।

  • Operation Sindoor: ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর সাফল্য ও প্রভাব, সর্বদলীয় বৈঠকে সব বলল কেন্দ্র

    Operation Sindoor: ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর সাফল্য ও প্রভাব, সর্বদলীয় বৈঠকে সব বলল কেন্দ্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৃহস্পতিবারের সর্বদলীয় বৈঠকে (All Party Meeting) ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর (Operation Sindoor) সাফল্য এবং এর প্রভাব সম্পর্কে অবগত করল কেন্দ্রীয় সরকার। গত ২২ এপ্রিল দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে বেছে বেছে খুন করা হয় ২৭ জন হিন্দু পর্যটককে। তার প্রতিশোধ নিতে মঙ্গলবার গভীর রাতে পাকিস্তানে অপারেশন সিঁদুর চালায় ভারত। ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা বেড়ে যাওয়ায় গত দু’সপ্তাহের মধ্যে এটি দ্বিতীয় বৈঠক। কেন্দ্রের তরফে এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর, মন্ত্রী জেপি নাড্ডা এবং নির্মলা সীতারামন।

    বিরোধী দলগুলির তরফে যাঁরা ছিলেন (Operation Sindoor)

    বিরোধী দলগুলির তরফে উপস্থিত ছিলেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে, সাংসদ রাহুল গান্ধী, তৃণমূলের সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, ডিএমকের টিআর বালু এবং সিপিআই(এম)-এর সাংসদ জন ব্রিটাস। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সমাজবাদী পার্টির রাম গোপাল যাদব, আপের সঞ্জয় সিং, শিবসেনা (ইউবিটি)-র সঞ্জয় রাউত, এনসিপি-এপির সুপ্রিয়া সুলে, বিজেডির সস্মীত পাত্র, জেডি (ইউ) নেতা সঞ্জয় ঝা, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা এলজেপি (রামবিলাস) নেতা চিরাগ পাশোয়ান এবং (Operation Sindoor) এআইএমআইএম সাংসদ আসাদউদ্দিন ওয়েইসি।

    কী বললেন কিরেন রিজিজু

    সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী কিরেন রিজিজু বলেন, “এই বৈঠকের উদ্দেশ্য ছিল ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর জবাবি হামলার পর রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে স্বচ্ছতা ও ঐক্য গড়ে তোলা।” মঙ্গলবার গভীর রাতে ভারতীয় বাহিনী পাকিস্তান ও পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীরের ৯টি জঙ্গি ক্যাম্পে মিসাইল হামলা চালায়। এর মধ্যে বাহাওয়ালপুরের জইশ-ই-মহম্মদ ও মুরিদকের লস্কর-ই-তৈবার মতো সংগঠনের জঙ্গি ঘাঁটিগুলিও ছিল। পহেলগাঁওয়ে ২৮ জন অসামরিক নাগরিকের হত্যার জবাবে ভারত করে অপারেশন সিঁদুর (All Party Meeting)। তাতেই ধ্বংস হয় পাকভূমে থাকা জঙ্গিদের ডেরা।

    প্রসঙ্গত, পহেলগাঁও হামলা সম্পর্কে নেতাদের অবগত করতে সরকার গত ২৪ এপ্রিল একটি সর্বদলীয় বৈঠকের আয়োজন করেছিল। বর্তমান বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয় সামরিক অভিযানের কৌশলগত ফল ও জাতীয় নিরাপত্তা পরিস্থিতি সম্পর্কে রাজনৈতিক দলগুলিকে অবগত করতে (Operation Sindoor)।

  • Operation Sankalp: সীমান্তপারে জঙ্গি-নিধনে ‘অপারেশন সিঁদুর’, দেশে ‘অপারেশন সঙ্কল্পে’ খতম অন্তত ২৬ মাওবাদী

    Operation Sankalp: সীমান্তপারে জঙ্গি-নিধনে ‘অপারেশন সিঁদুর’, দেশে ‘অপারেশন সঙ্কল্পে’ খতম অন্তত ২৬ মাওবাদী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তান ও পাক-অধিকৃত কাশ্মীরের জঙ্গি-ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিতে  ‘অপারেশন সিঁদুর’ চালিয়েছে ভারতীয় ফৌজ। সীমান্তপার সন্ত্রাস যেমন এক হাতে দমন করা হচ্ছে, ঠিক একইভাবে, দেশের ভেতর মাওবাদীদের দমন করতে চলছে  ‘অপারেশন সঙ্কল্প’ (Operation Sankalp)। আর এই অভিযানে খতম অন্তত ২৬ মাওবাদী গেরিলা (Maoists Killed)। ছত্তিশগড়ের বস্তার ডিভিশনের বিজাপুর জেলা এবং পড়শি রাজ্য তেলঙ্গানার সীমানায় পাহাড়-জঙ্গলঘেরা এলাকায় যৌথবাহিনীর সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে নিকেশ হয়েছে ওই মাওবাদীরা। গত ১৮ দিন ধরে ওই এলাকায় ধারাবাহিক সংঘর্ষ চলছে। নিহত মাওবাদীদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র এবং বিস্ফোরকও উদ্ধার করেছে যৌথবাহিনী। সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে সিআরপিএফের এক আধিকারিক বলেন, “চার মহিলা-সহ মোট ২৬ জন মাওবাদী এই অভিযানে নিহত হয়েছে। প্রচুর পরিমাণে বিস্ফোরক, অস্ত্র তৈরির ফ্যাক্টরি ও সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে।” জানা গিয়েছে, এই অপারেশন চালানোর জন্য ১৯ এপ্রিল থেকে সিআরপিএফের ডিরেক্টর জেনারেল জিপি সিং রায়পুর ও জগদলপুরে ঘাঁটি গেড়েছিলেন।

    অপারেশন সঙ্কল্প (Operation Sankalp)

    দিন কুড়ি আগে ওই জঙ্গলে ৫০০-রও বেশি মাওবাদী জড়ো হয়েছে বলে খবর পায় যৌথবাহিনী। তার পরেই শুরু হয় ‘অপারেশন সঙ্কল্প’। জঙ্গলটি ঘিরে রেখেছে প্রায় ২৪ হাজার আধাসেনা ও পুলিশ। সিআরপিএফের জঙ্গলযুদ্ধ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কমান্ডো বাহিনী কোবরা-র পাশাপাশি ছত্তিশগড়ের সশস্ত্র পুলিশ, বস্তার ফাইটার্স ও ডিস্ট্রিক্ট রিজার্ভ গার্ড বাহিনী, মহারাষ্ট্র পুলিশের সি-৬০, তেলঙ্গানা পুলিশের মাওবাদী দমন বাহিনীও রয়েছে এই অভিযানে। প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, নিষিদ্ধ সংগঠন সিপিআই (মাওবাদী)-র সশস্ত্র শাখা পিএলজিএ-র এক নম্বর ব্যাটেলিয়নের ঘাঁটি রেগুট্টা এবং দুর্গামগুট্টার ঘন জঙ্গলে ঘেরা পাহাড় ঘিরে গত ২১ এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া ‘অপারেশন সঙ্কল্প’ নামের ওই অভিযান সংহত করা হচ্ছে (Operation Sankalp)।

    বাহিনীর জাঁতাকলে আটকে ৫০০

    ছত্তিশগড়ের রাজধানী রায়পুর থেকে প্রায় সাড়ে চারশো কিলোমিটার দূরে বস্তার ডিভিশনের ওই দুর্গম এলাকায় মাওবাদীদের কেন্দ্রীয় কমিটির কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ নেতাও বাহিনীর জাঁতাকলে আটকে পড়েছেন বলে গোয়েন্দা সূত্রে খবর। এই দলেই রয়েছে তেলঙ্গানা রাজ্য কমিটি ও দণ্ডকারণ্য বিশেষ জোনাল কমিটির অধিকাংশ গেরিলা কমান্ডার। এই পরিস্থিতিতে নজরদারির কাজে হেলিকপ্টার ও ড্রোন ব্যবহার করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ২০২৬ সালের ৩১ মার্চের মধ্যে মাওবাদীদের (Maoists Killed) নিশ্চিহ্ন করার কথা ঘোষণা করেছেন। সেই লক্ষ্যেই ‘অপারেশন সঙ্কল্প’ ছত্রিশগড় সরকারের (Operation Sankalp)।

  • Pakistan Army: বিনা প্ররোচনায় নিয়ন্ত্রণরেখায় বসতি লক্ষ্য করে গোলাবর্ষণ পাক সেনার, যোগ্য জবাব ভারতের

    Pakistan Army: বিনা প্ররোচনায় নিয়ন্ত্রণরেখায় বসতি লক্ষ্য করে গোলাবর্ষণ পাক সেনার, যোগ্য জবাব ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৭-৮ মে মধ্যরাতের মধ্যে জম্মু-কাশ্মীরের কুপওয়ারা, বারামুলা, উরি এবং আখনুর এলাকায় নিয়ন্ত্রণ রেখাজুড়ে পাক সেনারা (Pakistan Army) ছোট অস্ত্র ও কামানের গোলা দিয়ে কোনও প্ররোচনা ছাড়াই গোলাবর্ষণ শুরু করেছে (LOC)। বৃহস্পতিবার এ খবর জানিয়েছে ভারতীয় সেনা। সূত্রের খবর, পাক সেনা হামলার পাল্টা জবাব দিয়েছে ভারতও।

    পাকিস্তান সেনার গোলাবর্ষণ (Pakistan Army)

    এদিকে, বুধবার জম্মু-কাশ্মীরে লাইন অফ কন্ট্রোল বরাবর পাকিস্তান সেনার গোলাবর্ষণের সময় এক জওয়ানও শহিদ হন। ল্যান্স নায়েক দীনেশ কুমার মঙ্গলবার গভীর রাতের গোলাবর্ষণে নিহত হন। হোয়াইট নাইট কোরের তরফে এক্স হ্যান্ডেলে তাঁর মৃত্যু নিশ্চিত করে লেখা হয়েছে, “জিওসি এবং হোয়াইটনাইট কোরের সকল সদস্যরা ৫ ফিল্ড রেজিমেন্টের ল্যান্স নায়েক দীনেশ কুমারের সর্বোচ্চ ত্যাগকে স্যালুট জানাচ্ছেন, যিনি ৭ মে ২৫ তারিখে পাকিস্তান সেনার গোলাবর্ষণের সময় প্রাণ উৎসর্গ করেছেন। পুঞ্চ সেক্টরে নিরীহ নাগরিকদের লক্ষ্য করে হামলার সকল শিকার ব্যক্তির সঙ্গেও আমরা সংহতি প্রকাশ করছি।” জানা গিয়েছে, পাকিস্তান সেনাবাহিনী ৬ মে রাতে তাংধর এবং অন্যান্য সীমান্তবর্তী অঞ্চলে অসামরিক এলাকাগুলিতে গোলাবর্ষণ শুরু করে এবং ৭ মে পর্যন্ত তা অব্যাহত রাখে। এই গোলাবর্ষণে এখনও পর্যন্ত ১৫ জন সাধারণ কাশ্মিরীর মৃত্যু হয়েছে। বহু ঘরবাড়ির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। অনেক স্থানীয় বাসিন্দাকে পালাতে বাধ্য করা হন।

    ভারতীয় সেনার পাশে স্থানীয়রা

    স্থানীয়রা দৃঢ়ভাবে অটল থেকে ভারতীয় সেনাবাহিনীর অপারেশন সিঁদুরের প্রতি সমর্থন জানান। প্রসঙ্গত, পহেলগাঁওয়ে বেছে বেছে হিন্দু পর্যটকদের হত্যা করে পাক মদতপুষ্ট সন্ত্রাসীরা (Pakistan Army)। তারই পাল্টা জবাবে পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীরে সন্ত্রাসী ঘাঁটিগুলি ধ্বংস করতে উদ্যোগী হয় ভারত। অভিযানের নাম দেওয়া হয় ‘অপারেশন সিঁদুর’। অপারেশন সিঁদুরের পরেও বুধবার পাকিস্তান যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন অব্যাহত রেখেছে। এদিনও অসামরিক এলাকায় গোলাবর্ষণ করে আতঙ্ক ছড়িয়ে দেয় স্থানীয়দের মধ্যে। পুঞ্চ এবং রাজৌরি সেক্টরে অভিযানের পরেও গোলাবর্ষণের খবর মিলেছে। স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, “আমরা এই জায়গা ছেড়ে যাব না এবং ভারতীয় সেনাবাহিনীকে সমর্থন করব। যুদ্ধবিরতি আজও লঙ্ঘন হতে পারে। এই অভিযান একটি যথোপযুক্ত জবাব। আমরা এখান থেকে মহিলা ও শিশুদের সরিয়ে নিয়েছি, কিন্তু পুরুষরা এখানেই থাকব (LOC)।”

  • Vikram Misri: ‘অপারেশন সিঁদুর’ একটি লক্ষ্যযুক্ত, পরিমিত এবং অনুত্তেজক অভিযান, বিশ্বকে বলল ভারত

    Vikram Misri: ‘অপারেশন সিঁদুর’ একটি লক্ষ্যযুক্ত, পরিমিত এবং অনুত্তেজক অভিযান, বিশ্বকে বলল ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পহেলগাঁওকাণ্ডের জেরে পাকিস্তানে যে ‘অপারেশন সিঁদুর’ পরিচালিত হয়েছে, তা লক্ষ্যযুক্ত, পরিমিত এবং অনুত্তেজক। রাষ্ট্রসংঘের (UNSC) ১৩টি দেশের রাষ্ট্রদূত ও প্রতিনিধিদের এ কথা জানান ভারতের বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রি (Vikram Misri)। তিনি বলেন, “পহেলগাঁওয়ে যে ২৮ জন নিহত হয়েছেন গত ২২ এপ্রিল, তা আমাদের কাছে উত্তেজনা বৃদ্ধিকারী ছিল।” তাঁর ইঙ্গিত, লস্কর-ই-তৈবার ছায়া সংগঠন ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’ এই হামলার দায় স্বীকার করলেও, পরে সুরক্ষার অজুহাতে পিছিয়ে যায়। পাকিস্তান রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বিবৃতি আদায়ে জোর চেষ্টা করে চলেছে জানিয়ে মিস্রি ওই রাষ্ট্রদূত ও প্রতিনিধিদের জানান, এ থেকে স্পষ্ট এখানে কোনও পরিকল্পনা কাজ করছে। এর পরেই তিনি বলেন, “ভারতের প্রতিক্রিয়া কেবল জঙ্গি লক্ষ্যবস্তুতেই পরিমিত এবং অনুত্তেজক স্ট্রাইকের মধ্যেই ছিল।”

    বর্বরোচিত সন্ত্রাসী আক্রমণ (UNSC)

    এদিকে, পাকিস্তান কাশ্মীরের পুঞ্চ এলাকায় বেসরকারি পরিকাঠামোগুলিতে নিরন্তর হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। পহেলগাঁওয়ের সন্ত্রাসী হামলাকে বর্বরোচিত আক্রমণ আখ্যা দিয়ে মিস্রি বলেন, “বিশ্ববাসী এর প্রকৃতি প্রত্যক্ষ করেছে। ভারতের পদক্ষেপ কেবল সন্ত্রাসী ঘাঁটিকে লক্ষ্য করেই পরিচালিত হয়েছে।” মিস্রি বুধবার সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, পাকিস্তান যদি জবাব দেয়, তাহলে ভারতও জবাব দেবে। তিনি জানান, জম্মু-কাশ্মীরে লাইন অফ কন্ট্রোল বরাবর গোলাবর্ষণ চলছে। তিনি জানান, ভারত পাকিস্তানের কোনও সামরিক কাঠামোয় আঘাত করেনি, আঘাত করেছে জঙ্গি সংগঠনগুলির ৯টি ঘাঁটিতে। তিনি সাফ জানিয়ে দেন, পাকিস্তান যদি অসামরিক পরিকাঠামোয় হামলা করে, তাহলে ভারতও জবাব দেবে।

    ভারতের কাছে বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ রয়েছে

    বিদেশি রাষ্ট্রদূত ও প্রতিনিধিদের উদ্দেশে মিস্রি বলেন, “ভারতের কাছে বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ রয়েছে যে, তারা যে ৯টি জায়গায় আঘাত হেনেছে, সেগুলি ব্যবহৃত হত জঙ্গিদের প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ও অভিযানের ঘাঁটি হিসেবে।” জানা গিয়েছে, জঙ্গি পরিকাঠামোটি এমন একটি কমপ্লেক্সে অবস্থিত যেখানে মাদ্রাসা, মসজিদ, খেলার মাঠ, ছাত্রাবাস ও প্রশিক্ষণ দেওয়ার এলাকা রয়েছে। ভারত এই কমপ্লেক্সগুলিকে আঘাত করেছে, যা জঙ্গিদের প্রশিক্ষণক্ষেত্র হিসেবে ব্যবহৃত হত। মিস্রি জানান, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ভারতের মিশন সমস্ত ইউএনএসসি (UNSC) সদস্যদের সঙ্গেও যোগাযোগ করেছে। মিস্রি (Vikram Misri) বলেন, ‘‘হত্যার পদ্ধতির মাধ্যমে নিহতদের পরিবারবর্গকে ইচ্ছাকৃতভাবে মানসিক আঘাত দেওয়া হয়েছিল, সঙ্গে এই বার্তা দেওয়া হয়েছিল যে তারা যেন এই সংবাদ পৌঁছে দেয়। এই হামলার পেছনে স্পষ্ট উদ্দেশ্য ছিল কাশ্মীরে স্বাভাবিকতা ফিরে আসাকে ব্যাহত করা।’’

    ‘‘সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার অধিকার প্রয়োগ’’

    ভারতের বিদেশ সচিব বলেন, “ভারতীয় বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা দীর্ঘদিন ধরে জঙ্গি কার্যকলাপের ওপর নজরদারি করছে এবং ভারতে আরও জঙ্গি হামলার আশঙ্কা রয়েছে।” তিনি বলেন, ‘‘আমাদের গোয়েন্দা তথ্যে জানা গিয়েছে যে ভারতে আরও হামলা হতে পারে। তাই, প্রতিরোধ ও প্রতিহত করার জন্য বাধ্য হয়েই ভারত সীমান্তজুড়ে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার অধিকার প্রয়োগ করেছে।” তিনি বলেন, “আমাদের পদক্ষেপগুলি পরিমিত, উত্তেজনা না বাড়ানো, সমানুপাতিক ও দায়িত্বশীল ছিল। এগুলি কেবল জঙ্গিদের পরিকাঠামো ধ্বংসের লক্ষ্যে কেন্দ্রীভূত ছিল (UNSC)।’’

    পহেলগাঁওকাণ্ডের বদলা

    প্রসঙ্গত, গত ২২ এপ্রিল দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে বেছে বেছে খুন করা হয় ২৭ জন হিন্দু পর্যটককে। এর পরেই সন্ত্রাসী হামলার প্রতিশোধ নিতে সেনাবাহিনীকে ফ্রিহ্যান্ড দিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। অপারেশনের নামও ঠিক করে দেন তিনি – ‘অপারেশন সিঁদুর’। মঙ্গলবার গভীর রাতের ওই অভিযানে বেশ কয়েকজন জঙ্গি নিহত হয়েছে বলে সূত্রের খরব (Vikram Misri)। বুধবার সাংবাদিক সম্মেলন করা হয় সেনার তরফে। সেখানে উইং কমান্ডার ব্যোমিকা সিং জানান,  মোট ৯টি জঙ্গি ঘাঁটি টার্গেট করে সফলভাবে ধ্বংস করা হয়েছে। তিনি দাবি করেন, অসামরিক মানুষ ও তাঁদের পরিকাঠামোর ক্ষতি যাতে না হয়, সেই বিষয়টি মাথায় রেখে এই জায়গাগুলি বেছে নেওয়া হয়েছিল। তিনি বলেন, ‘‘পহেলগাঁও জঙ্গি হামলায় নিহতদের ও তাঁদের পরিবারের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী ‘অপারেশন সিঁদুর’ চালায়। ৯টি জঙ্গি শিবির সফলভাবে ধ্বংস করা হয়। বেসামরিক পরিকাঠামোর ক্ষতি বা প্রাণহানি এড়াতেই এই জায়গাগুলি বেছে নেওয়া হয়েছিল (UNSC)।’’ এদিনের সাংবাদিক বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কর্নেল সোফিয়া কুরেশিও। তিনি জঙ্গি শিবির ধ্বংসের ভিডিও চিত্র তুলে ধরেন। প্রসঙ্গত, পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার পরে সরকার জানিয়েছিল, অপরাধীদের কঠোর শাস্তির মুখোমুখি করা হবে (Vikram Misri)।

  • Operation Sindoor: “ভারতীয় সেনা আমাদের মা-বোনেদের সিঁদুরের প্রতিশোধ নিয়েছে,” বললেন গর্বিত হালিমা

    Operation Sindoor: “ভারতীয় সেনা আমাদের মা-বোনেদের সিঁদুরের প্রতিশোধ নিয়েছে,” বললেন গর্বিত হালিমা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ভারতীয় সেনাবাহিনী আমাদের মা-বোনেদের সিঁদুরের প্রতিশোধ নিয়েছে।” কথাগুলি বললেন কর্নেল সোফিয়া কুরেশির (Colonel Sofiya Qureshi) মা হালিমা কুরেশি। পহেলগাঁওকাণ্ডের জেরে পাকিস্তানের জঙ্গিঘাঁটিতে ‘অপারেশন সিঁদুর’ (Operation Sindoor) চালিয়েছে ভারত। বুধবার সকালে ভারতীয় সেনার এ সংক্রান্ত সাংবাদিক বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কর্নেল সোফিয়া কুরেশি। কীভাবে পাকিস্তানের জঙ্গি ঘাঁটিগুলিকে নিশানা করে করে ধ্বংস করা হয়েছে উইং কমান্ডার ব্যোমিকা সিংয়ের সঙ্গে সাংবাদিক বৈঠকে তার ব্যাখ্যা দিয়েছেন সোফিয়াও। ভারতীয় সেনার গুরুত্বপূর্ণ পদে রয়েছেন তিনি।

    কী বলছেন হালিমা (Operation Sindoor)

    মেয়ের কাজে গর্বিত হালিমা। তিনি বলেন, “সোফিয়া দীর্ঘদিন ধরে তার বাবা ও জেঠুর পদাঙ্ক অনুসরণ করতে চেয়েছিল। তারা দুজনেই সেনাবাহিনীতে চাকরি করেছে। ও (সোফিয়া) ছোট থেকেই বলত বড় হয়ে সেনাবাহিনীতে যোগ দেবে। দেশের সেবা করবে।” মেয়ের সাফল্যে খুশি সোফিয়ার বাবা তাজ মহম্মদ কুরেশিও। তিনি বলেন, “আমরা অত্যন্ত গর্বিত। আমাদের মেয়ে আমাদের দেশের জন্য একটি মহান কাজ করেছে। পাকিস্তানের ধ্বংস হওয়াই উচিত। আমার দাদা, আমার বাবা এবং আমি – আমরা সবাই সেনাবাহিনীতে ছিলাম। এখন আমার মেয়ে আছে।”

    ‘এমন প্রতিশোধ আশা করিনি’

    সোফিয়ার ভাই মহম্মদ সঞ্জয় কুরেশি বলেন, “পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার ঘটনার পর থেকে গোটা দেশ অপেক্ষা করছিল, কবে প্রতিশোধ নেওয়া হবে। তবে এভাবে যে প্রতিশোধ নেওয়া হবে, তা কখনওই আশা করিনি (Operation Sindoor)।” সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে তিনি বলেন, “ও (সোফিয়া) আমার আদর্শ। আমরা দীর্ঘদিন ধরে প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য অপেক্ষা করছিলাম। কিন্তু আমরা কখনওই এমন প্রতিশোধ আশা করিনি বা প্রেস কনফারেন্সটি একটি পরিবারের সদস্য কর্তৃক পরিচালিত হবে, তাও আশা করিনি। আমাদের পরিবারকে এমন একটি বড় সুযোগ দেওয়ায় আমরা খুব খুশি।”

    গত ২২ এপ্রিল দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে বেছে বেছে হিন্দু পর্যটকদের হত্যা করে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা। এক জঙ্গির হাত থেকে আগ্নেয়াস্ত্র কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করায় খুন করা হয় স্থানীয় এক মুসলমান যুবককেও। এই জঙ্গি হামলার পর সেনাবাহিনীকে ফ্রিহ্যান্ড দিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তার পরেই বুধবার ভোরে পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের ৯টি জায়গায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ভারত। এই অপারেশনের নাম (Colonel Sofiya Qureshi) ছিল “অপারেশন সিঁদুর”। যার প্রশংসায় পঞ্চমুখ সোফিয়ার পরিবার (Operation Sindoor)।

  • Supreme Court: “হয় পদত্যাগ করুন, নয়তো ইমপিচমেন্টের মুখোমুখি হোন,” বিচারপতি ভার্মাকে নির্দেশ প্রধান বিচারপতির

    Supreme Court: “হয় পদত্যাগ করুন, নয়তো ইমপিচমেন্টের মুখোমুখি হোন,” বিচারপতি ভার্মাকে নির্দেশ প্রধান বিচারপতির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “হয় পদত্যাগ করুন, নয়তো ইমপিচমেন্টের মুখোমুখি হোন।” বুধবার এলাহাবাদ হাইকোর্টের বিচারপতি যশবন্ত ভার্মার (Justice Yashwant Varma) বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) অভ্যন্তরীণ প্যানেলের অভিযোগের প্রেক্ষিতে একথা বললেন ভারতের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না। সোমবারই সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছিল, এলাহাবাদ হাইকোর্টের বর্তমান বিচারপতি যশবন্ত ভার্মার বিরুদ্ধে অভিযোগের তদন্তকারী তিন সদস্যের কমিটি রবিবার ভারতের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার কাছে তাদের তদন্ত রিপোর্ট জমা দিয়েছে।

    ভার্মার বাসভবনে অগ্নিকাণ্ড (Supreme Court)

    ১৪ মার্চ হোলির সন্ধ্যায় দিল্লিতে দুর্ঘটনাক্রমে অগ্নিকাণ্ডের সময় বিচারপতি ভার্মার বাসভবনে প্রচুর পরিমাণ নগদ অর্থ উদ্ধারের অভিযোগ ওঠায় বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন তিনি। চলতি বছরের ২২ মার্চ গঠিত তিন সদস্যের এই কমিটির দায়িত্ব ছিল ভার্মার সরকারি বাসভবনে ঘটে যাওয়া অগ্নিকাণ্ডের তদন্ত করা। পাঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি শীল নাগু, হিমাচল প্রদেশ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি জিএস সন্ধাওয়ালিয়া এবং কর্নাটক হাইকোর্টের বিচারপতি অণু শিবরামের সমন্বয়ে গঠিত ওই কমিটি ২৫ মার্চ তদন্ত শুরু করে। ৪ মে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির কাছে প্রতিবেদন জমা দেয়। সূত্রের খবর, কমিটি বিচারপতি ভার্মার বিরুদ্ধে অসদাচরণের বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ পেয়েছে এবং উক্ত নগদ টাকার উৎস ও উপস্থিতি সম্পর্কে তিনি সন্তোষজনক ব্যাখ্যা দিতে ব্যর্থ হয়েছেন।

    তাঁকে অভিযুক্ত করা হয়েছে

    বিচারপতি ভার্মার দাবি, আগুন লাগার সময় তিনি তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে ভোপালে ছিলেন। তাই নগদ টাকার বিষয়ে তাঁর জানা নেই। পুরো ঘটনাটিকে তিনি তাঁর বিরুদ্ধে ফ্রেম করার ষড়যন্ত্র বলে উল্লেখ করেন (Supreme Court)। বার অ্যান্ড বেঞ্চের একটি সূত্রের খবর, “প্রতিবেদনে তাঁকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। প্রক্রিয়া অনুযায়ী, সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি তাঁকে তলব করেছেন (Justice Yashwant Varma)। তাঁকে প্রথম যে বিকল্প দেওয়া হয়েছে তা হল পদত্যাগ করতে হবে। যদি তিনি পদত্যাগ করেন, তাহলে ভালো। যদি না করেন, তাহলে ইমপিচমেন্টের সুপারিশ করে রিপোর্ট পাঠানো হবে রাষ্ট্রপতির কাছে।” এজন্য বিচারপতি ভার্মাকে ৯ মে পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছে (Supreme Court)।

LinkedIn
Share