Author: pranabjyoti

  • UN Security Council: ভেটো ক্ষমতা সহ রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে স্থায়ী সদস্য করা হোক ভারতকে, চাইছে কুয়েত-ফ্রান্স

    UN Security Council: ভেটো ক্ষমতা সহ রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে স্থায়ী সদস্য করা হোক ভারতকে, চাইছে কুয়েত-ফ্রান্স

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতকে (India) ‘বিশ্ব মঞ্চে প্রধান খেলোয়াড়’ বলে অভিহিত করলেন রাষ্ট্রসংঘে নিযুক্ত কুয়েতের স্থায়ী প্রতিনিধি এবং আন্তঃসরকার আলোচনার (আইজিএন) সহ-সভাপতি তারেক আলবানাই। রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে (UN Security Council) ভারতের স্থায়ী সদস্যপদ লাভের প্রতি সমর্থনও করেছেন তিনি। কাউন্সিলের সম্প্রসারণ হলে ভারতও একটি প্রতিযোগী হবে বলেও জানান তিনি।

    ভারতের পক্ষে সওয়াল কুয়েতের (UN Security Council)

    আলবানাইয়ের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সংস্কার নিশ্চিত করতে কী কী প্রয়োজন? তখনই তিনি বলেন, “গত বছর আমি আনন্দিত ছিলাম, কারণ আমি আমার বিশিষ্ট সহ-সভাপতি অ্যাক্সেল মার্চিকের সঙ্গে ভারত সফর করে সর্বোচ্চ পর্যায়ে আলোচনা করেছি। এই সংস্কার করা পরিষদের লক্ষ্য অবশ্যই প্রতিনিধিত্বমূলক হতে হবে এবং স্পষ্টতই, ভারত আজ বিশ্ব মঞ্চে একটি প্রধান খেলোয়াড়। কিন্তু এটি ১৯৩টি দেশের সদস্য, তাই না?” তিনি বলেন, “তাই নিশ্চিতভাবেই যদি কাউন্সিলের সম্প্রসারণ ২১ থেকে ২৭ সদস্যের মধ্যে যে কোনও স্থানে করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, তাহলে অবশ্যই ভারত এতে একটি প্রতিদ্বন্দ্বী হবে এবং বৃহত্তর সদস্যপদ সিদ্ধান্তের অধীন হবে।”

    ভারতকে সমর্থন ফ্রান্সেরও

    কুয়েতের পাশাপাশি ভারতকে সমর্থন করেছে ফ্রান্সও। গত ১ এপ্রিল ভারতে অবস্থিত ফরাসি দূতাবাস বলেছিল, ফ্রান্স রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের মাসিক সভাপতিত্ব গ্রহণ করার সঙ্গে সঙ্গে ভারতকে স্থায়ী আসন দেওয়ার লক্ষ্যে রাষ্ট্রসংঘে নিরাপত্তা পরিষদের সংস্কারের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেবে (UN Security Council)। এক্স হ্যান্ডেলে দূতাবাসের তরফে একটি পোস্টে জানানো হয়েছে, ফ্রান্সের নিরাপত্তা পরিষদের মাসিক সভাপতিত্বের অধীনে এটি বিশ্বশান্তি, নিরাপত্তা এবং মানবিক প্রভাবের ক্ষেত্রগুলিতে আলোচনা পরিচালনা করবে। দূতাবাসের তরফে এও বলা হয়েছে, ফ্রান্স রাষ্ট্রসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের সংস্কারের প্রয়োজনীয়তার কথা আবারও বলবে, যা ভারতকে স্থায়ী আসন দেবে। এক্সের ওপর একটি পোস্টে ভারতে অবস্থিত ফরাসি দূতাবাস জানিয়েছে, “আজ ফ্রান্স রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের মাসিক সভাপতিত্ব গ্রহণ করছে। এটি মানবিক প্রভাবের ওপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে বিশ্বব্যাপী শান্তি ও নিরাপত্তা সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা পরিচালনা করবে। আজকে বিশ্বকে প্রতিফলিত করার জন্য ফ্রান্স রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সংস্কারের প্রয়োজনীয়তার কথা পুনর্ব্যক্ত করে যাতে ভারতকে ভেটো ক্ষমতা সহ স্থায়ী আসন দেওয়া হয়।

    প্রসঙ্গত, রাষ্ট্রসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্যের সংখ্যা ৫। এই দেশগুলি হল আমেরিকা, চিন, ফ্রান্স, ব্রিটেন এবং রাশিয়া। চিনের ভেটো প্রয়োগের জেরে বারবার (India) আটকে যাচ্ছে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি হওয়া (UN Security Council)।

  • Bangladesh Crisis: বাংলাদেশে হিন্দু নেতাকে অপহরণ করে পিটিয়ে খুন, মুখে কুলুপ ইউনূসের, তুলোধনা ভারতের

    Bangladesh Crisis: বাংলাদেশে হিন্দু নেতাকে অপহরণ করে পিটিয়ে খুন, মুখে কুলুপ ইউনূসের, তুলোধনা ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশে (Bangladesh Crisis) অব্যাহত হিন্দু নিধন যজ্ঞ (Hindu Leader Killed)! ইসলামি মৌলবাদীদের অত্যাচার ক্রমেই ভয়াবহ আকার ধারণ করছে। এমতাবস্থায় পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদে ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদে হিংসা নিয়ে ভারতকে ‘জ্ঞান’ও দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূসের প্রেস সচিব। সঙ্গে সঙ্গেই ভারত তার যোগ্য জবাব দিয়ে দেয়। এমতাবস্থায় বাংলাদেশে যে সংখ্যালঘুরা নিরাপদ নন, তা ফের প্রকাশ্যে এল। জানা গিয়েছে, বাংলাদেশের উত্তর দিনাজপুরে হিন্দু সম্প্রদায়ের এক বিশিষ্ট নেতাকে তাঁর বাড়ি থেকে অপহরণ করে নিয়ে গিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেছে দুষ্কৃতীরা।

    অপহরণ করে খুন (Bangladesh Crisis)

    মৃতের নাম ভবেশচন্দ্র রায়। বছর আঠান্নর ওই ব্যক্তি ঢাকা থেকে ৩৩০ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে দিনাজপুরের বাসুদেবপুর গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন। ১৭ এপ্রিল রাত ১০টার দিকে দেহ উদ্ধার হয় তাঁর। পুলিশ ও মৃতের পরিবারকে উদ্ধৃত করে বাংলাদেশের সংবাদ মাধ্যম ‘দ্য ডেইলি স্টার’ জানিয়েছে, ১৭ এপ্রিল বিকেলে ভবেশকে বাড়ি থেকে অপহরণ করে দুষ্কৃতীরা। তাঁর স্ত্রী সান্ত্বনা জানান, ১৭ এপ্রিল বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ একটি ফোন আসে। দুষ্কৃতীরা নিশ্চিত হয় তিনি বাড়িতে আছেন কিনা। ফোন আসার আধঘণ্টা পরে দুটি বাইকে করে চারজন লোক এসে ভবেশকে তাঁর বাড়ি থেকে জোর করে তুলে নিয়ে যায়। ভবেশকে নিয়ে যাওয়া হয় নরবাড়ি গ্রামে। সেখানে উন্মত্ত মৌলবাদী জনতা তাঁকে নির্মমভাবে মারধর করে। পরে দুষ্কৃতীরা তাঁকে ভ্যানে করে নিয়ে এসে বাড়ির উঠোনে ফেলে যায়। পরিবারের লোকজন ভবেশকে নিয়ে যান দিনাজপুর হাসপাতালে। সেখানে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।

    হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রভাবশালী নেতা

    ভবেশ বাংলাদেশ (Bangladesh Crisis) পুজো উদযাপন পরিষদের সহ-সভাপতি ছিলেন। তিনি স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রভাবশালী নেতাও। বিরল থানার ভারপ্রাপ্ত ওসি আবদুস সবুর সংবাদ (Hindu Leader Killed) মাধ্যমে বলেন, “শীঘ্রই এ বিষয়ে মামলা দায়ের করা হবে। দেহ উদ্ধার করে পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য।” ওই থানারই এক পুলিশ আধিকারিক জানান, অভিযুক্তদের শনাক্ত করা ও গ্রেফতার করার প্রস্তুতি চলছে।

    চরমে হিন্দু নির্যাতন

    গত বছরের ৫ অগাস্ট পতন ঘটে আওয়ামি লিগের সরকারের। প্রবল আন্দোলনের জেরে প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে বাংলাদেশ ছাড়েন আওয়ামি লিগ সুপ্রিমো শেখ হাসিনা। বস্তুত, তার পর থেকেই ভারতের পড়শি এই দেশটিতে সংখ্যালঘু নির্যাতন চরমে ওঠে। বেছে বেছে হিন্দুদের বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি ভাঙচুর করা হয় মন্দির, বিগ্রহ। লুট করা হয় হিন্দুদের দোকানদানি (Bangladesh Crisis), নৃশংসভাবে করা হয় খুন। গত মাসেই ঢাকার একটি মানবাধিকার প্রতিষ্ঠান আইন ও সালিশ কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়, বাংলাদেশজুড়ে হিন্দুদের বাড়ি, দোকানপাট ও মন্দির ভাঙচুরের ১৪৭টি ঘটনা ঘটেছে। আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে ৩৬টি বাড়িতে।

    তীব্র নিন্দা ভারতের

    বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দু ও অন্যান্য সম্প্রদায়ের ওপর অত্যাচার নিয়ে বহুবার উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারত। সম্প্রতি বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর সংসদে জানিয়েছিলেন, ২০২৪ সালের অগাস্ট মাস থেকে এখনও পর্যন্ত বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর ২ হাজার ৪০০টিরও বেশি হিংসার ঘটনা ঘটেছে (Hindu Leader Killed)। চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত ৭২টি হিংসার ঘটনা ঘটেছে (Bangladesh Crisis)। হিন্দু নেতাকে অপহরণ ও হত্যার প্রেক্ষিতে কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছে ভারত। বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, ‘‘বাংলাদেশের হিন্দু সংখ্যালঘু নেতা শ্রী ভবেশ চন্দ্র রায়ের অপহরণ ও নৃশংস হত্যাকাণ্ডে আমরা মর্মাহত। এই হত্যাকাণ্ড বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে হিন্দু সংখ্যালঘুদের উপর পদ্ধতিগত নির্যাতনের একটি নমুনা অনুসরণ করে। এই ধরনের আগের ঘটনাগুলির অপরাধীরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে।’’ তিনি যোগ করেন, ‘‘আমরা এই ঘটনার নিন্দা জানাচ্ছি এবং আবারও সেদেশের অন্তর্বর্তী সরকারকে স্মরণ করিয়ে দিচ্ছি যে, তারা যেন অজুহাত না দেখিয়ে বা ভেদাভেদ না করে হিন্দু সহ সকল সংখ্যালঘুদের সুরক্ষার দায়িত্ব পালন করে।’’

    মুর্শিদাবাদে তাণ্ডব   

    প্রসঙ্গত, সংশোধিত ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদে কার্যত তাণ্ডব চালায় মুসলিম সম্প্রদায়ের একাংশ। অন্তত এমনই অভিযোগ স্থানীয়দের। তাণ্ডবের জেরে মৃত্যু হয় তিনজনের। জখম হন শতাধিক মানুষ। রাতের অন্ধকারে নদী পেরিয়ে হিন্দুরা পালিয়ে গিয়ে আশ্রয় নেন পড়শি জেলা মালদায়। ওই ঘটনার প্রেক্ষিতে মহম্মদ ইউনূসের প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছিলেন, “মুর্শিদাবাদে যে হিংসার ঘটনা ঘটেছে, সেটার সঙ্গে বাংলাদেশকে যুক্ত করার যে কোনও প্রচেষ্টার তীব্র নিন্দা করছি। আমরা মুসলমানদের ওপরে হামলার তীব্র নিন্দা জানাই। যে ঘটনার জেরে প্রাণহানি ও সম্পত্তিহানি হচ্ছে। আমরা ভারত সরকার ও পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে সংখ্যালঘু মুসলমানদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য আর্জি জানাচ্ছি (Bangladesh Crisis)।”

    বাংলাদেশকে মুখের মতো জবাব ভারতের

    ভারত ইতিমধ্যেই শফিকুলের এহেন বিভ্রান্তিকর ও ভিত্তিহীন মন্তব্যকে (Hindu Leader Killed) প্রত্যাখ্যান করেছে। ভারতের বিদেশমন্ত্রকের তরফে বাংলাদেশকে মুখের মতো জবাব দেওয়া হয়েছে। মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়ালের তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “পশ্চিমবঙ্গের ঘটনা নিয়ে বাংলাদেশের মন্তব্য আমরা সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাখ্যান করছি। এটি বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর নৃশংসতা সম্পর্কে ভারতের উদ্বেগের সঙ্গে তুলনা করার একটি প্রচ্ছন্ন ও ভুল প্রচেষ্টা। এই ধরনের ঘটনার সঙ্গে যুক্ত অপরাধীরা বাংলাদেশে অবাধে ঘুরে বেড়াচ্ছে। বাংলাদেশের উচিত অপ্রয়োজনীয় মন্তব্য ও নৈতিকতা প্রদর্শনের (Hindu Leader Killed) পরিবর্তে সংখ্যালঘুদের অধিকার রক্ষায় মনোযোগী হওয়া (Bangladesh Crisis)। ভারতের আশঙ্কা যে ঠিক, তার প্রমাণ মিলল একদিন পরই। ওপার বাংলা থেকে এল হিন্দু-নিধনের খবর।

  • Amit Shah: ছত্তিশগড়ে ফের আত্মসমর্পণ ২২ নকশালের, কী বললেন শাহ?

    Amit Shah: ছত্তিশগড়ে ফের আত্মসমর্পণ ২২ নকশালের, কী বললেন শাহ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কাজ হয়েছে ‘শাহি দাওয়াই’য়ে! ফের আত্মসমর্পণ করলেন ২২ জন নকশাল। শুক্রবার ছত্তিশগড়ের (Chhattisgarh) সুকমায় আত্মসমর্পণ করেন তাঁরা। দৃশ্যতই খুশি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। ফের একবার নকশালদের অস্ত্র ত্যাগ করার আহ্বান জানান তিনি। বলেন, ২০২৬ সালের মার্চের মধ্যে নকশালবাদের অবসান ঘটানোর জন্য মোদি সরকার দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।

    কী বললেন শাহ (Amit Shah)

    এক্স হ্যান্ডেলে শাহ লেখেন, “ছত্তিশগড়ের বিজাপুর জেলায় বিভিন্ন অভিযানে কোবরা কমান্ডো ও রাজ্য পুলিশ আধুনিক অস্ত্র ও বিস্ফোরক সামগ্রী-সহ ২২ জন নকশালকে গ্রেফতার করেছে। সুকমার বাদেসেট্টি পঞ্চায়েতে ১১ জন নকশাল আত্মসমর্পণ করেছে, যার ফলে এই পঞ্চায়েত সম্পূর্ণ নকশালমুক্ত হয়েছে।” তিনি বলেন, “আমি নকশালদের প্রতি আবেদন জানাই, তাঁরা যত শীঘ্র সম্ভব অস্ত্র সমর্পণ করুন এবং মোদি সরকারের আত্মসমর্পণ নীতি গ্রহণ করে মূলধারায় ফিরে আসুন। ২০২৬ সালের ৩১ মার্চের আগেই আমরা দেশকে নকশালবাদের অভিশাপ থেকে মুক্ত করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।”

    ২২ জন নকশালের আত্মসমর্পণ

    এদিকে, ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী বিষ্ণু দেব সাই বলেন, আত্মসমর্পণকারী নকশালদের পুনর্বাসনের জন্য নিয়ম অনুযায়ী সর্বাত্মক চেষ্টা চালানো হবে। সুকমা জেলায় নিরাপত্তা বাহিনীর কাছে ৪০ লক্ষ টাকার পুরস্কারপ্রাপ্ত ১১ জন-সহ মোট ২২ জন নকশাল আত্মসমর্পণ করেছে। তিনি জানান, এটি আনন্দের বিষয় যে মাওবাদীরা এখন মূলস্রোতের সমাজে ফিরে আসার চেষ্টা করছে। আত্মসমর্পণকারী নকশালদের পুনর্বাসনে নিয়ম অনুসারে সবরকম সাহায্য করা হবে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহজির সংকল্প অনুযায়ী, ২০২৬ সালের মার্চের মধ্যে দেশ ও রাজ্য থেকে লাল সন্ত্রাসের সম্পূর্ণ উচ্ছেদ নিশ্চিত (Amit Shah)।

    ছত্তিশগড় বিজেপির প্রধান কিরণ সিং দেব বলেন, রাজ্যের বস্তার জেলা শান্তির দিকে এগিয়ে চলেছে। তিনি বলেন, “বস্তার জেলা ধীরে ধীরে শান্তির পথে এগোচ্ছে। পূর্বে দুর্গম ছিল এমন অনেক সরকারি কল্যাণমূলক প্রকল্প ও উন্নয়নমূলক উদ্যোগ এখন জেলার বিভিন্ন অঞ্চলে পৌঁছতে পারছে। সকলের উচিত মূলস্রোতের সঙ্গে যুক্ত হওয়া।”

    এর আগে আজ, সুকমায় পুলিশ সুপারিন্টেন্ডেন্ট (এসপি) কিরণ গঙ্গারাম চবানের উপস্থিতিতে ৯ জন মহিলা-সহ (Chhattisgarh) মোট ২২ জন নকশাল আত্মসমর্পণ করেন (Amit Shah)।

  • Bengal Violence: ‘অযৌক্তিক মন্তব্য না করে নিজেদের সংখ্যালঘুদের রক্ষা করুক বাংলাদেশ’, সাফ জানাল ভারত

    Bengal Violence: ‘অযৌক্তিক মন্তব্য না করে নিজেদের সংখ্যালঘুদের রক্ষা করুক বাংলাদেশ’, সাফ জানাল ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সংশোধিত ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদে হিংসার আগুনে পুড়েছে মুর্শিদাবাদের (Bengal Violence) বহু হিন্দুর ঘর। ওই হিংসায় মৃত্যু হয়েছে তিনজনের। জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছিল পুলিশের গাড়ি। হিংসা কবলিত এলাকায় মোতায়েন করা হয় কেন্দ্রীয় বাহিনী। এহেন আবহে বাংলাদেশের (Bangladesh) অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ভারতকে বার্তা দিয়ে বলেন, “মুর্শিদাবাদে ওয়াকফ অশান্তির জেরে ক্ষতিগ্রস্ত সংখ্যালঘু মুসলমান সম্প্রদায়কে রক্ষা করুন, যেখানে তিনজন নিহত ও শত শত জখম হয়েছেন।”

    বাংলাদেশের মন্তব্য প্রত্যাখ্যান (Bengal Violence)

    বাংলাদেশের মন্তব্য প্রত্যাখ্যান করেছে ভারত। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল জানান, বাংলাদেশ যেন অযৌক্তিক মন্তব্য করার পরিবর্তে তার নিজস্ব সংখ্যালঘুদের অধিকার রক্ষার দিকে মনোনিবেশ করে। এও বলা হয়, “পশ্চিমবঙ্গের ঘটনা নিয়ে বাংলাদেশি পক্ষের মন্তব্য আমরা প্রত্যাখ্যান করছি। বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতনের বিষয়ে ভারতের উদ্বেগের সঙ্গে তুলনা করার জন্য এটি একটি খারাপ প্রচেষ্টা। সেখানে এই ধরনের অপরাধের অপরাধীরা এখনও মুক্তভাবে ঘুরে বেড়াচ্ছে।” তিনি বলেন, “অনর্থক মন্তব্য করা ও বাস্তবতার সঙ্গে মেলে না এমন অবস্থান প্রকাশ না করে বাংলাদেশের উচিত নিজেদের সংখ্যালঘুদের অধিকার রক্ষায় মনোযোগ দেওয়া।” তিনি বলেন, “ভারতের উদ্বেগের সঙ্গে সামঞ্জস্য খোঁজার এটা একটা অসৎ ও প্রচ্ছন্ন চেষ্টা।”

    হিন্দু নির্যাতন

    প্রবল আন্দোলনের জেরে গত বছরের ৫ অগাস্ট প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে বাংলাদেশ ছাড়েন আওয়ামি লিগ সুপ্রিমো শেখ হাসিনা। তার পর থেকে সে দেশে সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচারের মাত্রা বাড়তে থাকে। বস্তুত, পড়শি দেশের শুরু হয় হিন্দুমেধ যজ্ঞ। যে যজ্ঞে বলি হন শয়ে শয়ে হিন্দু। ভাঙচুর করা হয় হিন্দু মন্দির, বিগ্রহ। গ্রেফতার করা হয় একের পর এক হিন্দু নেতাদের (Bengal Violence)। মিথ্যে অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময়কৃষ্ণ দাসকেও।

    প্রসঙ্গত, গত মাসেই বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর সংসদে জানিয়েছিলেন, রাজনৈতিক অস্থিরতা শুরু হওয়ার পর থেকে ২০২৪ সালে বাংলাদেশে (Bangladesh) ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর ২,৪০০টি অত্যাচারের ঘঠনা ঘটেছে এবং ২০২৫ সালে এখন পর্যন্ত এই সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭২টিতে (Bengal Violence)।

  • PM Modi: শুল্কযুদ্ধের আবহেই ফোনে কথা মোদি-মাস্কের, কী আলোচনা হল দু’জনের?

    PM Modi: শুল্কযুদ্ধের আবহেই ফোনে কথা মোদি-মাস্কের, কী আলোচনা হল দু’জনের?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুল্কযুদ্ধের আবহেই ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) সঙ্গে দীর্ঘ সময় ফোনে কথা হল টেসলা ও স্পেসএক্সের কর্তা ইলন মাস্কের (Elon Musk)। প্রযুক্তি ও উদ্ভাবন ক্ষেত্রে ভারত ও আমেরিকার মধ্যে সহযোগিতার সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা হয়েছে দু’জনের মধ্যে। মাস্কের সঙ্গে ফোনালাপের বিষয়টি নিজেই সমাজমাধ্যমে পোস্ট করেছেন প্রধানমন্ত্রী। চলতি বছরের শুরুতেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সফরের সময় ওয়াশিংটনে মাস্কের সঙ্গে বৈঠক হয়েছিল মোদির। এবার হল টেলিফোনিক কনভার্সেশন।

    কী বললেন মোদি? (PM Modi)

    মাস্কের সঙ্গে কথা বলার বিষয়টি জানিয়ে মোদি লেখেন, “বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। চলতি বছরের শুরুতে ওয়াশিংটন ডিসিতে আমাদের মধ্যে যে আলোচনা হয়েছিল, সেই বিষয়গুলিও উঠে এসেছে। আমরা প্রযুক্তি এবং উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে সহযোগিতার সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেছি। এই সব ক্ষেত্রে আমেরিকার সঙ্গে আমাদের অংশীদারিকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”

    টেলিফোনে কথাবার্তা

    মাস্কের সংস্থা ভারতে বৈদ্যুতিন গাড়ি শিল্পে নিয়োগ শুরু করেছে। যদিও তারা আনুষ্ঠানিকভাবে এখনও ভারতে প্রবেশ করেনি। অতীতে বৈদ্যুতিন গাড়ি শিল্প নিয়ে ভারত সরকার ও মাস্কের মধ্যে চাপানউতোর ছিল। মাস্কের প্রধান উদ্বেগের বিষয় ছিল, ভারতে বৈদ্যুতিন গাড়িতে উচ্চ আমদানি শুল্ক! তবে গত বছরের মার্চে বৈদ্যুতিন গাড়িতে শুল্ক কমানোর সিদ্ধান্ত নেয় ভারত। তার পরেই ওয়াশিংটনে হয় মোদি-মাস্ক মুখোমুখি বৈঠক (PM Modi)। এবার হল টেলিফোনে কথাবার্তা।

    মার্কিন রাজনীতিতে মাস্কের প্রভাব কারও অজানা নয়। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সরকারেও তাঁর গুরুত্ব অপরিসীম। দ্বিতীয়বার প্রেসিডেন্ট পদে শপথ নেওয়ার পর মাস্ককে গুরুত্বপূর্ণ পদে বসিয়েছেন ট্রাম্প। ডিপার্টমেন্ট অফ গভর্নমেন্ট এফিসিয়েন্সির মাথায় বসানো হয় তাঁকে। মার্কিন প্রশাসনের সমস্ত খরচের হিসেব রাখে এই দফতর।

    প্রসঙ্গত, ওয়াশিংটনের ব্লেয়ার হাউসে মুখোমুখি বৈঠক হয়েছিল ইলন মাস্কের। সেই সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন সঙ্গিনী শিভন জিলিস ও মাস্কের তিন শিশু সন্তান। মাস্কের সংস্থা স্পেসএক্স মহাকাশযানের একটি অংশও প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দিয়েছিলেন মাস্ক। প্রধানমন্ত্রীও মাস্কের (Elon Musk) তিন সন্তানের জন্য বই নিয়ে গিয়েছিলেন। সেই তালিকায় ছিল রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা বইও (PM Modi)।

  • Waqf Amendment Act: ওয়াকফ আইনকে পূর্ণ সমর্থন, মুসলিম প্রতিনিধি দল ধন্যবাদ জানালেন মোদিকে

    Waqf Amendment Act: ওয়াকফ আইনকে পূর্ণ সমর্থন, মুসলিম প্রতিনিধি দল ধন্যবাদ জানালেন মোদিকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সংশোধনী ওয়াকফ আইনের (Waqf Amendment Act) প্রতিবাদে জ্বলছে পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ, ভাঙড়। বেছে বেছে টার্গেট করা হয়েছে হিন্দুদের বাড়িঘর-দোকানদানি। ভাঙচুর করার পাশাপাশি লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে আগুন। এই আইন নিয়ে ১০০টিরও বেশি পিটিশন জমা পড়েছে সুপ্রিম কোর্টে। এহেন আবহে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন মুসলমানদের একটা বড় অংশ। সংশোধনী ওয়াকফ আইনের জন্য তাঁরা প্রধানমন্ত্রীর ভূয়সী প্রশংসাও করলেন। বৃহস্পতিবার নয়াদিল্লিতে দাউদি বোহরা সম্প্রদায়ের এক প্রতিনিধি দল প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন লোককল্যাণ মার্গে যান। সেখানেই তাঁরা সংশোধিত ওয়াকফ আইনের জন্য তাঁকে ধন্যবাদ জানান।

    প্রধানমন্ত্রীর অকুণ্ঠ প্রশংসা (Waqf Amendment Act)

    এই প্রতিনিধি দলের সদস্যরা প্রধানমন্ত্রীকে জানান, তাঁদের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল এই ওয়াকফ সংশোধনী। তাঁরা জানান, প্রধানমন্ত্রীর সবকা সাথ, সবকা বিকাশ, সবকা বিশ্বাসের দর্শনেও পূর্ণ আস্থা রয়েছে তাঁদের। পরে এক্স হ্যান্ডেলে প্রধানমন্ত্রী লেখেন, “দাউদি বোহরা সম্প্রদায়ের সদস্যদের সঙ্গে দারুণ বৈঠক হল। কথোপকথনের সময় আমরা বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেছি।” বৈঠকের সময় প্রতিনিধি দলের এক সদস্য প্রধানমন্ত্রীকে জানান, তাঁরা ১৯২৩ সাল থেকে ওয়াকফ বিধি থেকে ছাড়ের দাবি জানিয়ে আসছেন। নয়া আইনের মাধ্যমে ‘সংখ্যালঘুদের মধ্যে সংখ্যালঘু’ যাঁরা, তাঁদের যত্ন নিতে উদ্যোগী হওয়ায় প্রধানমন্ত্রীর অকুণ্ঠ প্রশংসা করেন প্রতিনিধি দলের ওই সদস্য।

    কেনা সম্পত্তিকে ওয়াকফ বলে দাবি!

    প্রতিনিধি দলের আর এক সদস্য জানান, ২০১৫ সালে তাঁদের সম্প্রদায় মুম্বইয়ের ভিন্ডি বাজারে একটি প্রকল্পের জন্য একটি দামি সম্পত্তি কিনেছিল। ২০১৯ সালে নাসিকের এক ব্যক্তি সেটিকে ওয়াকফ সম্পত্তি বলে দাবি করেছিল। এই আবহে সংশোধিত ওয়াকফ আইনে তাঁরা খুব খুশি বলেই জানান প্রতিনিধি দলের সদস্যরা (Waqf Amendment Act)। দাউদি বোহরা মুসলমান সম্প্রদায়েরই অংশ। ভারতের পশ্চিম অংশেই মূলত এঁদের বাস। গোটা বিশ্বের ৪০টি দেশে ছড়িয়ে রয়েছেন এই সম্প্রদায়ের মুসলমান। এঁরা মেনে চলেন আল-দাই-আল-মুতলাক নামে এক ধর্মগুরুর আদর্শ। ওয়াকফ সংক্রান্ত আইনে বদল আনার কথা বারবার বলেছিলেন তাঁরা। শেষমেশ মোদি সরকার তা কার্যকর করায় খুশি তাঁরা। সেই কারণেই প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ দিতে এসেছিলেন (PM Modi) তাঁরা।

    ওয়াকফ পরিচালনায় স্বচ্ছতা আনাই লক্ষ্য

    ওয়াকফের অধীনে ভারতে মোট সম্পত্তি রয়েছে ৮.৭ লাখ। এর নিয়ন্ত্রণ ও পরিচালনা করে ওয়াকফ বোর্ড। এই পরিমাণ সম্পত্তির আনুমানিক মূল্য ১.২ লাখ কোটি টাকা। দেশে সব চেয়ে বেশি ওয়াকফ সম্পত্তি রয়েছে উত্তরপ্রদেশে। মোট ওয়াকফ সম্পত্তির ২৭ শতাংশই রয়েছে এই রাজ্যে। এই তালিকায় উত্তরপ্রদেশের পরেই রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। এ রাজ্যে ওয়াকফ সম্পত্তি রয়েছে ৮০ হাজার ৫৪৮টি। বাংলায় ওয়াকফ সম্পত্তির ওপরে রয়েছে ১৫৮টি স্কুল, ৪টি মডেল ইংলিশ মিডিয়াম মাদ্রাসা, ১৯টি মুসলিম হস্টেল, ৯টি হাসপাতাল বা স্বাস্থ্যকেন্দ্র। বীরভূমে ওয়াকফের জমির ওপরে রয়েছে একটি শপিং কমপ্লেক্সও। তবে এত সম্পত্তি থাকা সত্ত্বেও ভারতে ওয়াকফে বার্ষিক আয় মাত্রই ১৬৩ কোটি টাকা (Waqf Amendment Act)। অভিযোগ, ওয়াকফ সম্পত্তি পরিচালনায় গাফিলতি রয়েছে। ওয়াকফ পরিচালনায় স্বচ্ছতা আনতেই সংশোধিত ওয়াকফ আইন আনা হয়েছে বলে দাবি কেন্দ্রের (PM Modi)।

    সৈয়দনা সাহেবের ভূয়সী প্রশংসা প্রধানমন্ত্রীর

    এদিনের বৈঠকে সংশোধিত ওয়াকফ আইন গঠনে দাউদি বোহরা সম্প্রদায়ের গুরুত্বপূর্ণ অবদানের উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। খসড়া প্রণয়ন প্রক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনের জন্য দাউদি বোহরা আধ্যাত্মিক নেতা সৈয়দনা মুফাদ্দাল সাইফুদ্দিনেরও প্রশংসা করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “হয়ত আপনাদের মধ্যে খুব কম লোকই জানেন যে, যখন আমার মাথায় সংশোধিত ওয়াকফ আইন নিয়ে কাজ করার ধারণা আসে, তখন আমি সর্বপ্রথম যাঁর সঙ্গে পরামর্শ করেছিলাম, তিনি হলেন সৈয়দনা সাহেব।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “সৈয়দনা সাহেব তাঁর পূর্ণ সমর্থন দিয়েছেন এমনকি আইনের আইনি পর্যালোচনা ও খসড়া তৈরিতে সাহায্য করার জন্য বোহরা সম্প্রদায়ের সদস্যদেরও পাঠিয়েছেন। তিনি পরে আপনাকে আমার কাছে পাঠিয়েছেন। এরপর আমি তিন বছর ধরে তাঁকে বিরক্ত করেছিলাম, তাঁকে তাঁর নিজস্ব উপায়ে এটি দেখতে, আমাকে আইনি পরামর্শ দিতে, আমাকে একটি খসড়া দিতে বলেছিলাম। পরামর্শের সময় তিনি আমাকে কতটা সাহায্য করেছিলেন, তা আপনারা কল্পনাও করতে পারবেন না। তিনি আপনার সম্প্রদায় থেকে জ্ঞানী ব্যক্তিদের নিয়ে এসেছিলেন, এমনকি কমা এবং দাঁড়ি (PM Modi) পর্যন্ত – প্রতিটি পদক্ষেপে আমি ওঁর সাহায্য পেয়েছি (Waqf Amendment Act)।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “উনিশের লোকসভা নির্বাচনে জয়ের পর মুসলিম সম্প্রদায়ের কাছ থেকে ১,৭০০ এরও বেশি অভিযোগ এসেছিল। এর মধ্যে বেশিরভাগই ছিল ন্যায়বিচার চাওয়া নারী ও কন্যার। তখনই আমি এই আইনের বাস্তবতাটা বুঝতে পেরেছিলাম (Waqf Amendment Act)।”

  • Murshidabad Incident: বেছে বেছে হামলা, হিংসার আগে হিন্দুদের বাড়িগুলিতে দেওয়া হয় কালো কালির চিহ্ন!

    Murshidabad Incident: বেছে বেছে হামলা, হিংসার আগে হিন্দুদের বাড়িগুলিতে দেওয়া হয় কালো কালির চিহ্ন!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সংশোধিত ওয়াকফ আইন ছুতো মাত্র। মুর্শিদাবাদে (Murshidabad Incident) হিন্দুদের বাড়িতে যে হামলা হবে, তা পূর্বপরিকল্পিত (Hindu) বলে গোয়েন্দা সূত্রে খবর। জানা গিয়েছে, হিংসার আবহে যাতে হিন্দু-মুসলমানের বাড়ি গুলিয়ে না যায়, তাই বেছে বেছে হিন্দুদের বাড়িগুলিতে কালো কালি দিয়ে চিহ্নিত করা হয়েছিল। বৃহস্পতিবার এই তথ্য ফাঁস করেছে এনএমএফ নিউজ নামে এক সংবাদমাধ্যম।

    হিন্দুদের বাড়িতে কালির দাগ (Murshidabad Incident)

    গ্রাউন্ড জিরোতে গিয়ে সংস্থার সাংবাদিককে বলতে শোনা যায়, ওরা (মুসলমানরা) এই চিহ্নগুলো দিয়ে রেখেছে, যাতে দাঙ্গাবাজরা জানতে পারে কোন বাড়িতে বোমা নিয়ে হামলা করতে হবে, কোন বাড়িতেই বা লাগিয়ে দিতে হবে আগুন। তিনি বলেন, ‘‘দাঙ্গা শুরুর আগে হিন্দুদের বাড়িগুলি এভাবে চিহ্নিত করা হয়েছিল। এই এলাকার প্রতিটি হিন্দু বাড়িতে কালো কালি দিয়ে চিহ্ন দেওয়া হয়েছিল। দাঙ্গার সময় শুধুমাত্র সেই সব বাড়িকেই আক্রমণ করা হয়েছিল। বোমা নিক্ষেপ করা হয়েছিল এবং বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছিল।’’ স্থানীয় হিন্দুদের সঙ্গে কথা বলে ওই সাংবাদিক জানতে পারেন, উন্মত্ত মুসলমান জনতা হিন্দু অধ্যুষিত এলাকায় ঢুকে আগে থেকে চিহ্ন দিয়ে রাখা বাড়িগুলিতে হামলা চালায়।

    তাণ্ডব, ভাঙচুর, লুটপাট

    প্রসঙ্গত, শুক্রবার জুম্মার নমাজ আদায় শেষে শুরু হয় মুসলমানদের তাণ্ডব। মুর্শিদাবাদের বিভিন্ন অংশে বেছে বেছে নিশানা করা হয় হিন্দুদের বসত ভিটে, দোকানদানি। বাড়ি ভাঙচুরের পাশাপাশি চালানো হয় অগ্নিসংযোগ এবং লুটপাটও। প্রথমে অত্যাচার শুরু হয় সূতি ও সামশেরগঞ্জে। পরে তা ছড়িয়ে পড়ে জেলার বিস্তীর্ণ অংশে। জানা গিয়েছে, শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভের ছদ্মবেশে উন্মত্ত মুসলমান জনতা এক হিন্দু দম্পতির মিষ্টির দোকান ধ্বংস করে তাদের সমস্ত জিনিসপত্র লুট করে নেয়। দোকানের মালিক কাঁদতে কাঁদতে শুধু বললেন, “এখানে আমার একটি মিষ্টির দোকান ছিল।” আর কথা বলতে পারলেন না ওই নির্যাতিত। কেবল ইঙ্গিত করলেন ধ্বংসপ্রাপ্ত তাঁর সাধের ‘শুভ স্মৃতি হোটেল’-এর দিকে। দোকান মালিকের স্ত্রী বলেন, “ওরা দোকানের ভিতরে রাখা নগদ টাকা-সহ আমাদের সব কিছু কেড়ে নিয়েছে (Hindu)। কিছুই আর অবশিষ্ট নেই। এখন আমরা কী খাব?” মুসলিমরা ‘শ্রী হরি হিন্দু হোটেল অ্যান্ড লজ’ নামের আরও একটি প্রতিষ্ঠানও ভাঙচুর করেছে। সংবাদ সংস্থা এএনআই এই ক্ষয়ক্ষতির ছবি শেয়ার করেছে (Murshidabad Incident)।

    ভাঙা হয়েছে মূর্তি

    মুর্শিদাবাদের বিভিন্ন এলাকায় হিন্দু মন্দিরেও হামলা হয়েছে। হয়েছে মূর্তি ভাঙাও। সংবাদ মাধ্যমের শেয়ার করা একটি ভিডিওতে স্থানীয় সাংসদ তৃণমূল কংগ্রেসের খলিলুর রহমান প্রকাশ্যে স্বীকার করেছেন, জঙ্গিপুরে একটি মন্দির ভাঙচুর করা হয়েছে। সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশ, সংখ্যালঘু-অধ্যুষিত জেলায় হিন্দু পরিবারগুলির একাধিক বাড়িকে টার্গেট করা হয় এবং দোকানে হামলা চালানো হয়। বিক্ষোভকারীরা হিংসার মধ্যে পড়ে যাওয়া একটি অ্যাম্বুলেন্সকেও রেহাই দেয়নি। তাতে আগুন লাগিয়ে দেয়। অ্যাম্বুলেন্সটিতে আগুন লাগানোর আগে চালককে নিষ্ঠুরভাবে মারধর করা হয়। সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, “মুসলিমরা একটি অ্যাম্বুলেন্সে আগুন ধরিয়ে দেয় এবং চালককে আক্রমণ করে।”

    আক্রমণকারীরা স্থানীয় মুসলিম!

    ওই প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, ‘‘আমরা ভয়ে ঘরের ভিতরে বসেছিলাম। আমি আমার বাবা-মা, স্ত্রী ও শিশুদের বাড়িতে লুকিয়ে রেখেছিলাম।’’ তিনি বলেন, “আক্রমণকারীরা স্থানীয় মুসলিম, বাইরের কেউ নয়।” সম্প্রতি অনলাইনে প্রকাশিত একটি সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে, এক আক্রমণকারী একটি হিন্দু (Hindu) পরিবারের গাড়ি ভাঙচুর করছে। মুসলমানদের এই হিংসার শিকার হয়েছিলেন আরও এক হিন্দু। তিনি বলেন, “ওরা আমার বাইক ভাঙচুর করে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে। আমাদের জিনিসপত্র লুট করে নিয়েছে এবং দোকানে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে।” তিনি আরও বলেন, ‘‘ওই রাতে আমি ঘুমোতে পারিনি। ভয়ে সবাই জেগে ছিলাম। হিংসা চলাকালীন এখানে কোনও পুলিশ আসেনি। প্রাণ বাঁচাতে কয়েকজন পুলিশ কর্মীকেও দৌড়তে দেখেছি (Murshidabad Incident)।”

    ‘‘মেয়েটার কিছু হয়ে গেলে কী করতাম?’’

    হিন্দু ব্যবসায়ী অমর ভগতের স্ত্রী মঞ্জু ভগত সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে বলেন, ‘‘ওরা (মুসলিম জনতা) সামনের গেট দিয়ে আমাদের বাড়িতে ঢোকার চেষ্টা করেছিল। ব্যর্থ হয়ে পিছনের গেট দিয়ে ঢোকার চেষ্টা করে। ওরা আমাদের বাইক ভেভেছে, বাড়ি ভাঙচুর করেছে, চেয়ার, গদি, টিভি থেকে শুরু করে দামি দামি গৃহস্থালির জিনিসপত্র সব লুটে নিয়ে গিয়েছে (Hindu)।’’ তিনি আরও বলেন, “আমরা ছাদে লুকিয়ে ছিলাম। মনে মনে শুধুই ভগবানকে ডেকে গিয়েছি। লোকগুলো যাতে দ্রুত আমাদের বাড়ি ছেড়ে চলে যায়, তাই। ওই সময় আমার মেয়েটার কিছু হয়ে গেলে আমি কী করতাম?” শুক্রবার শুরু হওয়া হিংসার এই ঘটনা ঘটতে থাকে শনিবার দুপুর পর্যন্ত। ওই রাতেই ভিটে ছেড়ে মালদায় গিয়ে আশ্রয় নেন হাজার হাজার হিন্দু (Murshidabad Incident)।

  • Amit Shah: “ব্রহ্মাকুমারীরা প্রতিটি মানুষের আধ্যাত্মিক সাধনার প্রদীপ প্রজ্জ্বলিত করার কাজ করছেন,” বললেন শাহ

    Amit Shah: “ব্রহ্মাকুমারীরা প্রতিটি মানুষের আধ্যাত্মিক সাধনার প্রদীপ প্রজ্জ্বলিত করার কাজ করছেন,” বললেন শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ব্রহ্মাকুমারীরা (Brahma Kumari Sansthan) যোগ ও ধ্যানের মাধ্যমে বিশ্বজুড়ে প্রতিটি মানুষের শান্তি ও আধ্যাত্মিক সাধনার প্রদীপ প্রজ্জ্বলিত করার কাজ করছেন।” বৃহস্পতিবার রাজস্থানে কথাগুলি বললেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। তিনি বলেন, “এখানে প্রতিটি মানুষের অন্তর্নিহিত ভালো গুণকে জাগ্রত করার চেষ্টা করা হয় এবং তারা দীর্ঘদিন ধরে এই কাজ করে চলেছেন।” শাহ জানান, এখানে এসেই একজন অবিশ্বাস্য শান্তিপূর্ণ পরিবেশ অনুভব করতে পারেন, যা এই স্থানের আধ্যাত্মিক শক্তির ফল।

    আলোর পথে (Amit Shah)

    তিনি বলেন, “যখন কেউ তাঁর জীবনে একজন গুরু খুঁজে পান, তখন তিনি ধার্মিকতার পথে চলতে সক্ষম হন। এর অসংখ্য উদাহরণ রয়েছে। কিছু মানুষ এমন কাজ করেন যা প্রতিটি মানুষের আত্মাকে আলোর প্রদীপে রূপান্তরিত করে এবং তাঁদের আলোর পথে এগিয়ে নিয়ে যান।” কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “ব্রহ্মাকুমারী প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে লেখরাজ কৃপালনীজি প্রতিটি মানুষের আত্মাকে একটি প্রদীপে পরিণত করে আলোর পথে এগিয়ে চলার এক মহান আহ্বান জানিয়েছিলেন, যা আজ সমাজে গভীর প্রভাব ফেলেছে।”

    ব্রহ্মাকুমারীদের ত্যাগ-তপস্যা

    তিনি বলেন, “ব্রহ্মাকুমারীরা তাঁদের ত্যাগ, তপস্যা ও মেধার মাধ্যমে বিশ্বজুড়ে সরলতা, সংযম ও সহযোগিতার (Brahma Kumari Sansthan) এক অনন্য পরিবেশ গড়ে তুলেছেন (Amit Shah)।”
    স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “আজ এখানে এক সঙ্গে দুটি কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে – প্রথমত, ব্রহ্মাকুমারী সংস্থানের ২০২৫-২৬ সালের থিম “ধ্যান: বিশ্ব ঐক্য ও বিশ্ববিশ্বাসের জন্য” চালু করা, এবং দ্বিতীয়ত, নিরাপত্তা বাহিনীর কর্মীদের আত্ম-শক্তিবৃদ্ধির লক্ষ্যে অভ্যন্তরীণ জাগরণ বিষয়ক জাতীয় সংলাপের সূচনা।” তিনি বলেন, “স্বাধীনতার ৭৫ বছর পর ভারত দীর্ঘ পথ অতিক্রম করে বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতিতে পরিণত হয়েছে। কয়েক বছরের মধ্যেই আমরা তৃতীয় স্থান অধিকার করব।” কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে ২০৪৭ সালে স্বাধীনতার শতবর্ষে আমরা বিশ্বের প্রতিটি ক্ষেত্রে নেতৃত্বদানকারী শক্তি হিসেবে গড়ে ওঠার লক্ষ্য রাখছি। বিশ্ব ভ্রাতৃত্ববোধের দিকে পরিচালিত করতে সক্ষম, প্রতিটি মানুষের আত্মাকে ঐশ্বরিক সত্তার সঙ্গে যুক্ত করতে এবং প্রতিটি জীবনকে সদগতির পথে নিয়ে যেতে সক্ষম আমাদের (Brahma Kumari Sansthan) ঐতিহ্যকে এগিয়ে নেওয়াই ভারতের লক্ষ্য হওয়া উচিত এবং এই দিকে ব্রহ্মাকুমারীসের মতো সংগঠনগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে (Amit Shah)।”

  • Sukanta Majumder: রাজ্যের পুলিশমন্ত্রীর পুলিশ কি ওয়েব সিরিজ বানাচ্ছিল? প্রশ্ন সুকান্তর

    Sukanta Majumder: রাজ্যের পুলিশমন্ত্রীর পুলিশ কি ওয়েব সিরিজ বানাচ্ছিল? প্রশ্ন সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ওয়াকফ সংশোধনী আইনের প্রতিবাদে মুর্শিদাবাদে (Murshidabad Incident) যে হিংসা ও অশান্তির ছবি দেখা গিয়েছে, তার কোনওটাই স্বতঃস্ফূর্ত জনরোষের কারণে নয়। বরং সেখানকার সূতি, ধুলিয়ান ও সামশেরগঞ্জের বিভিন্ন অংশকে উপদ্রুত বানানোর ব্লু-প্রিন্ট তিন মাস আগেই তৈরি হয়েছিল। তদন্ত করে এমনই জানতে পেরেছেন গোয়েন্দারা। তারা কেবল একটা সুযোগের অপেক্ষায় ছিল। ওয়াকফ আইন পাশ হয়ে যেতেই তাকেই ইস্যু করা হয়। তাই যদি হয়, তাহলে সব জানার পরেও কেন আগে থেকে কোনও পদক্ষেপ করলেন না পুলিশমন্ত্রীর গোয়েন্দারা? প্রশ্ন ছুড়ে দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumder)।

    রাজ্যপালের সঙ্গে মুর্শিদাবাদের ঘরছাড়াদের সাক্ষাৎ (Sukanta Majumder)

    বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজ্যপালের সঙ্গে মুর্শিদাবাদের ঘরছাড়াদের সাক্ষাৎ করিয়ে দেন সুকান্ত। তার পরেই মুখোমুখি হন সাংবাদিকদের। সেখানেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ-প্রশাসনকে কাঠগড়ায় তোলেন তিনি। বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, “পুলিশের গোয়েন্দাবিভাগ বলে তো একটা বিভাগ ছিল। তারা কী করছিল? সবাই তো শুনলাম ওরা জানত, বলছে তিন মাস ধরে মুর্শিদাবাদে অশান্তির ছক কষা হয়েছে। তুরস্ক থেকে নাকি টাকা এসেছে। তা যদি এতদিন ধরে ছক কষা হয়েই থাকে, তাহলে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর তত্ত্বাবধানে থাকা গোয়েন্দা বিভাগ কী করছিল? ওয়েব সিরিজ বানাচ্ছিল? নাকি বসে বসে ফ্যাক্ট চেক করছিল? ওদের তো এখন কাজই হল ফ্যাক্ট চেক করা।” ঘরছাড়াদের পাশে দাঁড়িয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি মনে করিয়ে দেন, “এঁরা মুখ্যমন্ত্রীর ওপর ভরসা রেখেছিলেন। কিন্তু তারপর কী হল? পুলিশের সামনেই ঘর লুট হল, নির্যাতনের শিকার হলেন। এর দায় কার (Murshidabad Incident)?”

    গোয়েন্দাদের হাতে বিস্ফোরক তথ্য

    দু’দিন আগেই জানা গিয়েছিল, মুর্শিদাবাদের ওই তিন অংশে যে কায়দায় হিংসাত্মক ঘটনাগুলি ঘটানো হয়েছে, তাতে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক বিশৃঙ্খলার ছাপ স্পষ্ট। শুক্রবার অশান্তি শুরুর দিনও সীমান্তের ওপার থেকে জঙ্গিপুর মহকুমায় ফোন এসেছিল ৩০টিরও বেশি। গোয়েন্দাদের দাবি, আন্দোলনকে ঢাল করে কীভাবে হিংসাশ্রয়ী হতে হবে, তার নির্দেশ দেওয়া আরও ৭০টি ঘরোয়া মোবাইল কলকে ইতিমধ্যেই চিহ্নিত করা হয়েছে। তদন্তকারীরা এমন ৫০ জনের হদিশ পেয়েছেন (Sukanta Majumder), যাঁরা এই হামলার পরিকল্পনায় যুক্ত ছিল। জানা গিয়েছে, রেললাইনের পাথর মজুত করা, দোকানপাট লুট, বাছাই করে কিছু বাড়িতে হামলা, সরকারি সম্পত্তি ধ্বংস, অগ্নিসংযোগ, সড়ক ও রেল যোগাযোগ থমকে দেওয়া – সবই পূর্ব পরিকল্পিত।

    মুখ্যমন্ত্রীর আবেদনে সাড়া দিলেন না রাজ্যপাল

    এদিকে, মুখ্যমন্ত্রীর আবেদনে সাড়া দিলেন না রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। তিনি জানিয়ে দেন, আজ, বৃহস্পতিবারই মুর্শিদাবাদের পথে রওনা দিচ্ছেন তিনি। এদিন রাজভবনে ঘরছাড়াদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করার কথা ঘোষণা করেন রাজ্যপাল। তিনি জানান, মুর্শিদাবাদের যেসব জায়গায় অশান্তি হয়েছে, শুক্রবার সেই সব জায়গা ঘুরে দেখবেন তিনি। তিনি বলেন, “সত্যিই যদি শান্তি ফেরে তার চেয়ে ভালো খবর আর কিছুই হতে পারে না।” তবে কী পরিস্থিতি সেখানকার, গ্রাউন্ড জিরো ঘুরে চাক্ষুষ করতে চান তিনি। সেই মতো রিপোর্টও তৈরি করবেন বলে জানান রাজ্যপাল।

    মুখ্যমন্ত্রীর অনুরোধ

    প্রসঙ্গত, রাজ্যপাল মুর্শিদাবাদ যাচ্ছেন শোনার পরেই মুখ্যমন্ত্রী কার্যত তাঁকে অনুরোধ করেন, তিনি যেন এখনই সেখানে না যান। মমতা বলেন, “আমি আবেদন করব কিছুদিন অপেক্ষা করুন। মহিলা কমিশনও যেতে চেয়েছিল। কিন্তু তাদেরও কয়েকদিন অপেক্ষা করতে বলেছি।” তিনি বলেন, “বাইরে থেকে কেউ কেউ এসে অত্যাচারটা করেছে। তারা ভয় দেখাচ্ছে। হোম মিনিস্টারকে ত্রিপুরায়, মণিপুরে যেতে বলুন।” মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “এলাকায় যে শান্তির বাতাবরণ ফিরে এসেছে, প্রশাসন যে কনফিডেন্সটা বিল্ড আপ করেছে, আমরা কেউ যেন গিয়ে সেটা নষ্ট না করি (Sukanta Majumder)।”

    সুকান্তর নিশানায় মমতা

    মমতার এহেন বক্তব্যের প্রেক্ষিতে বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, “উনি যাচ্ছেন না কেন, উনি তো ইমামদের নিয়ে মিটিং করছেন। আর ওখানে গেলেই অসুবিধা হবে রাজ্যপালকে কেন বারণ করছেন? তিনি কী লুকোতে চাইছেন? পুরো সত্যটা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছেন।” সুকান্ত বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী নিজে যেহেতু যেতে পারেননি, তাই তিনি সেখানে যেতে বারণ করছেন। এদের সবার বাড়িঘর, দোকান, মন্দির তৈরি করে দিতে হবে, চাকরির ব্যবস্থা করতে হবে, সব থেকে বড় কথা বিএসএফ ক্যাম্প তৈরি করতে হবে (Murshidabad Incident)।”

    সুকান্ত বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী মিথ্যেবাদী। আপনি যে কোনও মানুষকে জিজ্ঞাসা করুন। পুলিশকে বলছে হাতে চুড়ি পরে থাকুন। আর বিএসএফকে বলছে ভগবান। ওখানকার মানুষই এসব কথা বলছেন।” সুকান্ত বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী অসংলগ্ন কথাবার্তা বলছেন (Sukanta Majumder)।”

  • Two Nation Theory: দ্বিজাতি তত্ত্বের আড়ালে ঐক্যবদ্ধ মুসলিম ব্লক গঠনের চেষ্টা পাক সেনা প্রধানের! তুলোধনা ভারতের

    Two Nation Theory: দ্বিজাতি তত্ত্বের আড়ালে ঐক্যবদ্ধ মুসলিম ব্লক গঠনের চেষ্টা পাক সেনা প্রধানের! তুলোধনা ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাক সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল আসিম মুনির দ্বি-জাতি তত্ত্বের (Two Nation Theory) প্রচার করছেন। পাকিস্তানিরা হিন্দুদের থেকে “ভিন্ন”– এমন মন্তব্যও করছেন। তাঁর এহেন বক্তব্য প্রমাণ করে যে তিনি একটি গভীরভাবে হতাশ এবং একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রের জেনারেল হিসেবে নিজেকে প্রমাণ করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। সংবাদ মাধ্যমে এমনই প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন ভারত সরকারের এক শীর্ষ কর্তা। তিনি জানিয়েছেন, মুনিরের সাম্প্রতিক হিন্দুবিরোধী বক্তব্যকে অভ্যন্তরীণ রাজনীতি, আঞ্চলিক উত্তেজনা এবং ভারতের ওয়াকফ আইন সংশোধনের সময়ের প্রেক্ষাপটে দেখা উচিত। তিনি ভারতের বিরুদ্ধে একটি ঐক্যবদ্ধ মুসলিম ব্লক গঠন করতে চাইছেন, যেখানে মৌলবাদী, চরমপন্থী ও জঙ্গিদের আক্রমণ চালানোর আহ্বান জানানো হচ্ছে।

    পাক সেনা প্রধানের লক্ষ্য (Two Nation Theory)

    ওই কর্তা বলেছেন, ‘‘মুনিরের বক্তব্যের লক্ষ্যই হল লস্কর ও জইশের মতো পাকিস্তানের দেশি জঙ্গি গোষ্ঠীগুলিকে ভারত ও হিন্দু শক্তির বিরুদ্ধে সক্রিয় করতে উদ্বুদ্ধ করা। তাঁর মতে, মুনিরের কাহিনিটি হিন্দু-মুসলিম সভ্যতাগত পার্থক্যকে তুলে ধরার ওপর নির্ভরশীল এবং এই বিভাজনে পাকিস্তানকে নেতৃত্বের অবস্থানে স্থাপন করা হয়েছে। ভারতকে মুসলিমদের নিপীড়ক হিসেবে তুলে করে তিনি ভারতের বৈশ্বিক অবস্থানকে দুর্বল করতে চাইছেন। এই কৌশলটি ভারতকে একটি গুরুত্বপূর্ণ হুমকি হিসেবে উপস্থাপন করে বালুচিস্তানের বিদ্রোহের মতো অভ্যন্তরীণ সংকট থেকে মনোযোগ সরানোর কাজেও ব্যবহৃত হচ্ছে।’’

    কাশ্মীর দখলকে অবৈধ!

    কেন্দ্রের ওই কর্তার মতে, ‘ভারত কাশ্মীর দখল করেছে’ দাবি করে মুনির পাকিস্তানের সামরিক অবস্থানকে বিশ্বব্যাপী মুসলিম সংহতির সঙ্গে একাত্ম করেছেন, যা গাজায় প্যালেস্তাইনিদের প্রতি তাঁর সমর্থনেরই প্রতিফলন। ওই কর্তার মতে, ‘‘এটি এমন সময়ে এসেছে যখন পাকিস্তানের শাসনব্যবস্থার ব্যর্থতা ক্রমেই প্রকাশ্যে আসছে। মুনির নিজেকে বিশ্বব্যাপী মুসলিম স্বার্থের রক্ষক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চাইছেন (India)।’’

    ভারতের ধর্মনিরপেক্ষ ভাবমূর্তিকে ক্ষুণ্ণ করা

    ভারত সরকারের ওই কর্তা আরও জানান, ভারতের সংশোধিত ওয়াকফ আইন এবং বর্তমানে ঘটে চলা বিক্ষোভের সময় কৌশলগতভাবে মুনির এই বক্তব্য রাখছেন, যাতে সাম্প্রদায়িক বিভাজনের (Two Nation Theory) ন্যারেটিভগুলিকে শক্তিশালী করে ভারতকে মুসলিমবিরোধী হিসেবে দেগে দেওয়া যায়। তিনি বলেন, ‘‘ওয়াকফ ইস্যুর টানাপোড়েনকে কাজে লাগিয়ে মুনিরের লক্ষ্য, ভারতের ধর্মনিরপেক্ষ ভাবমূর্তিকে ক্ষুণ্ণ করা, এবং এর পাশাপাশি ভারত ও বাংলাদেশে ইসলামপন্থী গোষ্ঠীগুলিকে উৎসাহিত করা। অভ্যন্তরীণভাবে, তিনি (মুনির) এমন এক পরিস্থিতিতে নিজের অবস্থান পাকাপোক্ত করতে চাইছেন যেখানে নির্বাচিত সরকারের মেয়াদের সঙ্গেই সেনাপ্রধানের দায়িত্বকাল শেষ হয়। তাঁর এই বক্তব্য উগ্রবাদী ভোটার ও ধর্মীয় গোষ্ঠীগুলোর কাছে সামরিক বাহিনীর ভূমিকাও শক্তিশালী করছে। মুনিরের বক্তব্য বৃহত্তর ভূ-রাজনৈতিক কৌশলের অংশ, যেখানে বাংলাদেশের সঙ্গে চাল আমদানি ফের শুরু ও উচ্চপর্যায়ের সফর বজায় রেখে সম্পর্ক জোরদারের চেষ্টা চলছে নিরন্তর।’’

    জাতির জন্মকাহিনি

    প্রসঙ্গত, বুধবার ইসলামাবাদে (Two Nation Theory) পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূতদের সম্মেলনে ভাষণ দিতে গিয়ে মুনির বলেন, “প্রতিটি পাকিস্তানি নাগরিকের উচিত তাদের সন্তানদের কাছে জাতির জন্মকাহিনি বর্ণনা করা। তিনি বলেন, “আপনাদের সন্তানদের কাছে পাকিস্তানের গল্প বলতে হবে, যাতে তারা ভুলে না যায় কীভাবে আমাদের পূর্বপুরুষরা জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে নিজেদের হিন্দুদের থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন মনে করতেন।” তিনি বলেন, “আমাদের দেশের রাষ্ট্রদূতদের ভুলে যাওয়া উচিত নয় যে তাঁরা একটি উন্নততর ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির ধারক। আপনাদের অবশ্যই আপনার সন্তানদের কাছে পাকিস্তানের গল্প বলা উচিত। আমাদের পূর্বপুরুষরা ভাবতেন যে জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে আমরা হিন্দুদের থেকে আলাদা। আমাদের ধর্ম, আমাদের রীতিনীতি, ঐতিহ্য, চিন্তাভাবনা এবং উচ্চাকাঙ্খা পৃথক। এটাই ছিল দ্বিজাতি তত্ত্বের ভিত্তি (India)।”

    “পাকিস্তানের নিয়তি”

    বালুচিস্তানে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপের কথা ঘোষণা করে সেনাপ্রধান এ অঞ্চলকে “পাকিস্তানের নিয়তি” বলে আখ্যায়িত করেন। তিনি বলেন, “জঙ্গিদের আগামী দশ প্রজন্মও বালুচিস্তান ও পাকিস্তানের ক্ষতি করতে পারবে না।” তিনি বলেন, “কাশ্মীর হল ইসলামাবাদের গলার শিরা। তাই পাকিস্তানিরা কখনওই তাকে ভুলতে পারবে না।” বালুচ বিদ্রোহীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “বালুচিস্তান পাকিস্তানের গর্ব! তোমরা এত সহজেই এটা কেড়ে নেবে?” তিনি বলেন, “আপনাদের কি মনে হয় জঙ্গিরা পাকিস্তানের ভাগ্য নির্ধারণ করবে? ভারতের সেনার সংখ্যা ১৩ লাখের (India) বেশি। তবুও আমরা তাদের পরোয়া করি না। জঙ্গিরা তো কোন ছার (Two Nation Theory)!”

LinkedIn
Share