Author: শুভ্র চট্টোপাধ্যায়

  • Information Technology: প্রযুক্তি বিশ্বে এগিয়ে চলেছে দেশ!  ‘টেকনোলজি হাব’-এর জন্য প্রস্তুত গ্রামীণ ভারতও

    Information Technology: প্রযুক্তি বিশ্বে এগিয়ে চলেছে দেশ! ‘টেকনোলজি হাব’-এর জন্য প্রস্তুত গ্রামীণ ভারতও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রযুক্তি বিশ্বে (Information Technology) ভারত এখন নিজেদের জায়গা করে নিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ২০২০ সালে আত্মনির্ভর ভারতের (Make in India)ডাক দিয়েছিলেন। দেশে এখন বিদেশি স্মার্টফোন যেমন আসে, তেমনই আবার স্বদেশি স্মার্টফোনও তৈরি হয়, আবার বিদেশি সংস্থাগুলিও এ দেশে নিজেদের ব্র্যান্ডের ফোন তৈরি করছে। শুধু ফোন নয়। নানাবিধ গ্যাজেটস থেকে শুরু করে বৈদ্যুতিক গাড়ি বা বাইকও তৈরি হচ্ছে দেশে। 

    গতি শক্তি-তে জোর

    ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিয়েছে মোদি সরকার, যার নাম দেওয়া হয়েছে ‘গতি শক্তি’। অর্থাৎ, দ্রুততাই যেখানে হবে বিকাশের শক্তি। সরকারের নতুন এ ডিজিটাল পোর্টালে প্রকল্পের নকশা জমা দিতে পারবে বিনিয়োগকারী ও বেসরকারি কোম্পানিগুলো। আর অনুমোদন প্রক্রিয়াও হবে মসৃণভাবে। নয়াদিল্লিতে এক সাক্ষাৎকারে শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের লজিস্টিক্স বিষয়ক বিশেষ সচিব অমৃত লাল মিনা বলেন, ‘সময় ও ব্যয় সীমার মধ্যে রেখে প্রকল্প বাস্তবায়নই আমাদের মিশন। বৈশ্বিক কোম্পানিগুলো যেন পণ্য প্রস্তুতের জন্য ভারতকে বেছে নেয়– সেটাই মূল লক্ষ্য’। 

    কৃত্রিম মেধার উপর ভরসা

    জিও পলিটিক্সে তথ্য-প্রযুক্তির হাত ধরে ভারত যাতে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের দিকে এগিয়ে যেতে পারে তার চেষ্টা করে যাচ্ছে বর্তমান কেন্দ্র সরকার। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন, কৃত্রিম মেধাকে প্রযুক্তির ক্ষেত্রে পাখির চোখ করার জন্য জোরালো সওয়াল করেছিলেন। সরকারে জোর দিয়েছে ‘ড্রোন-শক্তি’র মতো প্রকল্পে, যেখানে কৃত্রিম মেধার সাহায্যে বিভিন্ন আকারের ড্রোন ব্যবহার করা হবে দৈনন্দিন ব্যবসায়িক পরিসরে। গত ৬ বছরে, ভারতে স্টার্ট-আপ সংস্থাগুলোর বিনিয়োগ বেড়েছে প্রায় ১৫৪০০%। এর সিংহভাগেরই কেন্দ্রে রয়েছে কৃত্রিম মেধা-ভিত্তিক কোনও নতুন ব্যবসায়িক ধারণা। 

    আরও পড়ুন: নেতাজিই আদর্শ! তাঁর দেখানো পথেই এগিয়ে চলার বার্তা দিলেন আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত

    গত বছর সেপ্টেম্বরে প্রকাশিত ইউনেস্কো-র একটি শিক্ষা-সংক্রান্ত রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতে কৃত্রিম মেধাভিত্তিক ব্যবসার বাজার এই মুহূর্তে বছরে ২০.২% চক্রবৃদ্ধি হারে বাড়ছে, এবং ২০২৫ নাগাদ এই বাজারটির অর্থমূল্য দাঁড়াবে প্রায় ৭.৮ বিলিয়ন ডলার, বা প্রায় পঁয়ষট্টি হাজার কোটি টাকা। এই বাজারের মূল প্রসার মূলত তিনটি প্রয়োগক্ষেত্রকে ঘিরে— ভোগ্যপণ্য ও পাইকারি ব্যবসা, কৃষি, এবং ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থা। অর্থনীতি-র পূর্বাভাস অনুযায়ী, ২০৩৫ নাগাদ কৃত্রিম মেধার ব্যবসায়িক লভ্যাংশ থেকেই আসবে ভারতের লক্ষ্য যে ৫ ট্রিলিয়ন ডলারের জিডিপি, তার প্রায় ১০%। বিশ্বের পঁচিশটি দেশকে নিয়ে গঠিত সংস্থা গ্লোবাল পার্টনারশিপ অন আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা জিপিএআই-এর মূল দায়িত্ব হল সাধারণ মানুষের কল্যাণার্থে কৃত্রিম মেধার দায়িত্বশীল প্রয়োগ এবং প্রসার ঘটানো। ২০২২-২৩ সালে এই সংস্থাটির পরিচালনভার নিয়েছে ভারত। সব মিলিয়ে, ভারত এখন ডিজিটাল বিপ্লবের মঞ্চ তৈরি করছে। 

    ডিজিটাল ইন্ডিয়ার স্বপ্ন গ্রাম থেকেই

    তথ্য প্রযুক্তির হাত ধরে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নতুন প্রজন্মের উপর ভরসা রেখেছেন। ইনোভেশনের শক্তি অনুযায়ী এখন ইউপিআই- ভীম, ডিজিটাল পেমেন্ট, ফিনটেকের বিশ্বে ভারত নিজের জায়গা করে নিয়েছে। আজ বিশ্বে রিয়েল টাইম চল্লিশ শতাংশ ডিজিটাল আর্থিক লেনদেন ভারতে হয়। দেশ এখন ফাইভ জি-পর্বে পা রেখেছে। ভারতের গ্রামে গ্রামে এখন অপটিক্যাল ফাইবারের নেটওয়ার্ক পৌঁছে যাচ্ছে। ডিজিটাল ইন্ডিয়ার স্বপ্ন গ্রাম থেকেই বাস্তবায়িত করার উপর জোর দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। ভারতের চার লক্ষ কমন সার্ভিস সেন্টার গ্রামে গ্রামে গড়ে উঠছে। গ্রামের নবীন যুবক-যুবতীরা কমন সার্ভিস সেন্টার চালাচ্ছেন। দেশ গর্ব করতে পারে যে গ্রামীণ ক্ষেত্রে চার লক্ষ ‘ডিজিটাল এন্টারপ্রেনিউর’ তৈরি হয়েছে। গ্রামীণ ভারতও এখন ‘টেকনোলজি হাব’-এর জন্য প্রস্তুত বলে অনুমান বিশেষজ্ঞদের।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Mahakaleshwar temple: মহাকালেশ্বর মন্দিরে ভারতীয় ক্রিকেটাররা! প্রার্থনা করলেন ঋষভ পন্থের জন্য

    Mahakaleshwar temple: মহাকালেশ্বর মন্দিরে ভারতীয় ক্রিকেটাররা! প্রার্থনা করলেন ঋষভ পন্থের জন্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বছর শেষে দেশের মাটিতে বসবে একদিনের বিশ্বকাপের আসর। তারই প্রস্তুতিতে একের পর এক দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলতে ব্যস্ত টিম ইন্ডিয়া। শ্রীলঙ্কাকে দুরমুশ করার পর নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে পর পর দু’টি ম্যাচ জিতে ইতিমধ্যেই ওয়ান ডে সিরিজ পকেটে পুরে ফেলেছেন হার্দিক পান্ডিয়ারা। মঙ্গলবার তৃতীয় তথা অন্তিম একদিনের ম্যাচ খেলতে ভারতীয় ক্রিকেটাররা এখন ইন্দোরে। সিরিজ জয় নিশ্চিত হয়ে যাওয়ায় ভারতীয় দলের ক্রিকেটাররা ফুরফুরে মেজাজে। সোমবার সূর্যকুমার যাদবরা দল বেঁধে উজ্জয়নীর মহাকালেশ্বর মন্দিরে (Mahakaleshwar temple) পুজো দিলেন। প্রার্থনা করলেন সতীর্থ ঋষভ পন্থের জন্য। যিনি গত বছর ডিসেম্বরে গাড়ি দুর্ঘটনায় গুরুতর চোট পেয়ে আপাতত চিকিৎসাধীন। ভারতীয় উইকেটরক্ষকটি কবে ফের মাঠে ফিরবেন, তা নিয়ে অনেকেই সন্দিহান। কারণ, ঋষভের চোট গুরুতর। তবে বিশ্বকাপের আগে তিনি যাতে সুস্থ হয়ে দলে যোগ দিতে পারনে, সেটাই প্রার্থনা করছেন ভারতীয় ক্রিকেটাররাও।

    সতীর্থের জন্য প্রার্থনা

    সংবাদসংস্থাকে সূর্যকুমার বলেন, ‘পন্থকে দ্রুত সুস্থ করে তোলার জন্য ঈশ্বরের কাছে প্রাথর্না করেছি। কারণ ও আমাদের দলের খুবই গুরুকত্বপূর্ণ একজন সদস্য।’ একই সঙ্গে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে চলতি একদিনের সিরিজ প্রসঙ্গে সূর্যকুমার জানান, ‘পর পর দু’টি ম্যাচ জিতে সিরিজ নিশ্চিত করেছি আমরা। তার মানে এই নয় যে তৃতীয় ম্যাচটিকে হাল্কাভাবে নিচ্ছি। বিশ্বকাপের প্রস্তুতিতে প্রতিটি ম্যাচই গুরুত্বপূর্ণ।’’

    কিছুদিন আগে শ্রীলঙ্কাকে একদিনের সিরিজে হোয়াইটওয়াশ করেছিল ভারত। এবার পালা নিউজিল্যান্ডের। প্রথম ম্যাচে কিউয়িরা কিছুটা লড়াই করলেও দ্বিতীয় ম্যাচে ভারতীয় বোলারদের দাপটে মাথা তুলতে পারেনি। রোহিত বাহিনী জিতেছিল ৮ উইকেটে।

    আরও পড়ুন: মাঘেও উধাও শীত! গরমেই কাটবে সরস্বতী পুজো, জানিয়ে দিলেন আবহবিদরা

    সিরিজ নিশ্চিত হয়ে যাওয়ায় কোচ রাহুল দ্রাবিড় হয়তো রিজার্ভ পরখ করে নেওয়ার সুযোগ হাতছাড়া করতে চাইবেন না। তৃতীয় ম্যাচে ভারতীয় বোলিংয়ে বেশ কিছু পরিবর্তনের সম্ভাবনা থাকছে। খেলানো হতে পারে উমরান মালিক, যুজবেন্দ্র চাহাল কিংবা শাহবাজ আহমেদকে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।    

  • Indian Wrestling: তদন্তের নির্দেশ কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রীর! কুস্তি ফেডারেশনের সভাপতির পদ থেকে বরখাস্ত ব্রিজভূষণ

    Indian Wrestling: তদন্তের নির্দেশ কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রীর! কুস্তি ফেডারেশনের সভাপতির পদ থেকে বরখাস্ত ব্রিজভূষণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুরের আশ্বাস পেয়ে অবশেষে বিক্ষোভ তুলে নিলেন বজরং পুনিয়া, ভিনেশ ফোগাটরা। ভারতীয় কুস্তি ফেডারেশনের সভাপতি ব্রিজভূষণ শরণ সিংয়ের বিরুদ্ধে একাধিক গুরুতর অভিযোগ তুলে দিল্লির যন্তর মন্তরে ধর্নায় বসেছিলেন একঝাঁক তারকা কুস্তিগীর। যা ভারতীয় ক্রীড়ামহলে তোলপাড় ফেলে দিয়েছিল। অভিযোগ খতিয়ে দেখার জন্য কেন্দ্রীয় ক্রী‌ড়ামন্ত্রক সাত সদস্যের কমিটি গঠন করেছে। যতদিন তদন্ত চলবে, ততদিনের জন্য ব্রিজভূষণকে কুস্তি ফেডারেশনের সভাপতির পদ থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। ক্রীড়ামন্ত্রীর এই পদক্ষেপে খুশি বজরংরা। শুক্রবার রাতে তাঁরা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে আপাতত ধর্না তুলে নেওয়ার কথা ঘোষণা করেন।

    রাজনীতির চেষ্টা

    কুস্তি ফেডারেশনের সভাপতি ব্রিজভূষণ শরণ সিংয়ের বিরুদ্ধে খুনের হুমিক, আর্থিক তছরুপ এবং যৌন হেনস্থার মতো অভিযোগ তুলেছেন ভিনেশরা। তার পরেই বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এর ফায়দা তুলতে ময়দানে নেমে পড়েছিল। কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী থেকে সিপিএমের পলিটব্যুরোর সদস্য বৃন্দা কারাতও হাত সেঁকার চেষ্টা করেছিলেন। কংগ্রেসের আর এক নেতা তথা হরিয়ানার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী হুড্ডা বিক্ষোভকারীদের মদত জোগাচ্ছেন বলেও অভিযোগ উঠছিল।

    আরও পড়ুন: রাজনীতি করবেন না! ধর্না মঞ্চ থেকে বৃন্দা কারাতকে নামিয়ে দিলেন কুস্তিগীররা

    কড়া পদক্ষেপ কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রীর

    কেন্দ্রীয় সরকার কখনওই চায়নি, এই বিক্ষোভের মধ্যে রাজনীতি জড়িয়ে পড়ুক। বরং অভিযোগের গুরুত্ব বিচার করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের কথা বার বার বলে আসছিলেন কেন্দ্রীয় ক্রী‌ড়ামন্ত্রী। প্রথমে তিনি বিক্ষোভকারী কুস্তিগীরদের সঙ্গে কথা বলার জন্য কেন্দ্রের দূত হিসেবে পাঠিয়েছিলেন আর এক কুস্তিগীর ববিতা ফোগাটকে। তার পরেও সমাধানের পথ বেরোচ্ছিল না। কারণ, বজরংদের একটাই দাবি ছিল, ভারতীয় কুস্তি ফেডারেশনের সভাপতির পদ থেকে ব্রিজভূষণ শরণ সিংকে অবিলম্বে সরিয়ে দিতে হবে। তবে সেটা করাও সহজ ব্যাপার নয়। তিনি যেহেতু নির্বাচিত প্রতিনিধি, তাই কেন্দ্রীয় সরকার তাঁকে জোর করে পদ থেকে সরিয়ে দিলে অন্য বার্তা যেত বিশ্ব কুস্তি ফেডারেশনের কাছে। সেক্ষেত্রে ভারতের উপর নির্বাসন চাপতে পারত। তাই সাত সদস্যের কমিটি কঠিন করে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রক। পাশাপাশি শুক্রবার রাতে দফায় দফায় কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রী বিক্ষোভকারী কুস্তিগীরদের সঙ্গে কথা বলেন। এক মাসের মধ্যে তদন্ত শেষ করে যথপোযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। তার পরেই বিক্ষোভ তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন কুস্তিগীররা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • PFI: ভারতকে ইসলামিক রাষ্ট্রে পরিণত করতে চায় পিএফআই! কী বলছে এনআইএ-এর চার্জশিট?

    PFI: ভারতকে ইসলামিক রাষ্ট্রে পরিণত করতে চায় পিএফআই! কী বলছে এনআইএ-এর চার্জশিট?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশকে ইসলামিক রাষ্ট্র হিসাবে গড়ে তুলতে চায় পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া (PFI)। এই ধরনের ভাবধারায় বিশ্বাসী সংগঠনের কাজকর্ম মেনে নেওয়া যায় না। তারা নানা ধরনের অশান্তির ঘটনায় যুক্ত ছিল। সংগঠনটি শরিয়তি শাসন ব্যবস্থা কায়েমের পক্ষে। এই ভাবধারা প্রচারের জন্য তারা অর্থ সংগ্রহ করে। এমনই বিস্ফোরক তথ্য উঠে এল কেন্দ্রীয় সংস্থা এনআইএ-র (NIA) পেশ করা চার্জশিটে।

    পিএফআই-এর কিলার স্কোয়াড

    ভারতকে মুসলিম রাষ্ট্র (Islamic Country) বানানোর লক্ষ্যেই ‘কিলার স্কোয়াড’ বা ‘সার্ভিস টিম’ তৈরি করছিল পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া (PFI)। ২০৪৭ সালের মধ্যেই ভারতকে মুসলিম রাষ্ট্র হিসাবে দেখতে চায় পিএফআই। বেঙ্গালুরুর বিশেষ আদালতে এই চার্জশিট দাখিল করেছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। ২০২২ সালের ২৬ জুলাই দক্ষিণ কর্ণাটকের সুলিয়া জেলায় প্রভীন নেত্রু নামে এক বিজেপি কর্মী খুন হন। এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে পিএফআই-এর প্রত্যক্ষ যোগ রয়েছে বলে দাবি এনআইএ-র। এনআইএ-র চার্জশিটে বলা হয়েছে, ‘পিএফআই-এর কর্মীরা সন্ত্রাসবাদী আক্রমণ এবং টার্গেট কিলিং-এর জন্য প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত। তাদেরকে পরিচালনা করত এই মুসলিম কট্টরপন্থী সংগঠনটির শীর্ষ নেতৃত্ব।’ এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে গোটা দেশ জুড়ে।এনআইএ-র চার্জশিটে আরও বলা হয়েছে, পিএফআই-র একটি মিটিং হয় বেঙ্গালুরুর সুলিয়া শহর এবং বেলারি গ্রামে। সেই মিটিং-এ জেলা সেবা দলের প্রধান মুস্তফা পাচার নির্দেশ হিন্দু ধর্মের কোনও নেতাকে টার্গেট করা হয়। সেই লক্ষ্যেই খুন হন প্রভীন নেত্রু।

    আরও পড়ুন: নরেন্দ্র মোদিকে নিয়ে বিবিসির তথ্যচিত্র ভিত্তিহীন, দাবি ভারতের, সংবাদ সংস্থার সমালোচনা সুনাকেরও

    এনআইএ জানায়, মোট চারজনকে টার্গেট করে পিএফআই। এই তালিকায় নাম ছিল বিজেপির যুব মোর্চার সদস্য প্রভীন নেত্রু। গতবছরের ২৬ জুলাই অস্ত্র নিয়ে তাঁর উপর হামলা চালানো হয়। তাঁকে হত্যা করা হয় শুধুমাত্র সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করার জন্য। জানা যাচ্ছে, মোট ২০ জন পিএফআই সদস্যের নাম রয়েছে ওই চার্জশিটে। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল, মুস্তফা পাচার, মাসুদ কেএ, কোদাজি মহম্মদ শরিফ, আবু বক্কর সিদ্দিকী, উমর ফারুখ। এর পিছনে পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের মদত রয়েছে বলে ইতিপূর্বে একাধিক মামলায় জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Joshimath Disaster: প্রবল তুষারপাত, ফের ভূমিধসের আশঙ্কা! আস্তে আস্তে বসছে জোশীমঠ

    Joshimath Disaster: প্রবল তুষারপাত, ফের ভূমিধসের আশঙ্কা! আস্তে আস্তে বসছে জোশীমঠ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভূমিধসের পর এবার তুষারপাত। জোশীমঠকে কেন্দ্র করে আতঙ্ক অব্যাহত (Joshimath Sinking)। ভূমিধসের কারণে এলাকার প্রচুর বাড়িতে ফাটল। ‘বিপজ্জনক’ চিহ্নিত করে সেইসব বাড়ি ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত নেয় প্রশাসন। গত কয়েক দিনে নতুন করে আর ফাটল ধরেনি সেখানকার কোনও বাড়িতে। কিন্তু সম্প্রতি হিমালয়ের কোলে থাকা এই শহরে শুরু হয়েছে প্রবল তুষারপাত এবং বৃষ্টি। আর এতেই নয়া বিপদের আশঙ্কায় আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন সেখানকার বাসিন্দারা। 

    নিরাপদ স্থানে পুনর্বাসনের পরিকল্পনা

    প্রশাসনের তরফে শহরের বিপদগ্রস্ত এলাকাগুলি থেকে বাসিন্দাদের সরিয়ে নিয়ে গিয়ে নিরাপদ স্থানে পুনর্বাসন দেওয়া হলেও, এখনও সেখানকার প্রায় ৬০০টি বাড়িতে বাসিন্দারা রয়ে গিয়েছেন। এই সব বাড়িগুলিতে অল্প ফাটল ধরায় তাদের কেউ অন্যত্র যেতে চাননি। কিন্তু জোশীমঠবাসীর আশঙ্কা, তুষারপাত ও বৃষ্টির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় ফাটল আরও চওড়া হতে পারে। নতুন করে ভূমিধসও নামতে পারে এলাকায়। তাই আর কোনও অস্থায়ী আশ্রয় শিবির বা মাথা গোঁজার ঠাঁই নয়, এ বার গাড়োয়াল হিমালয়ের ‘ডুবন্ত’ জনপদ জোশীমঠের সকল বাসিন্দাকে পাকাপাকি সরানোর বন্দোবস্ত করতে চাইছে প্রশাসন। চলছে অন্যত্র নিয়ে যাওয়ার চিন্তাভাবনা। খোঁজ চলছে বসবাসযোগ্য উপযুক্ত জমিরও। চামোলির জেলাশাসক হিমাংশু খুরানা জানিয়েছেন, “আমরা এই পুনর্বাসনের জন্য স্থানীয় বাসিন্দাদের থেকে পরামর্শ চেয়েছি। আমরা যাতে এই প্রক্রিয়া ভালভাবে চালিয়ে যেতে পারি সেটাই এখন আমাদের প্রথম লক্ষ্য।” তিনি আরও যোগ করেন, “আমাদের উদ্দেশ্য হল স্থানীয়দের পরামর্শ নিয়ে স্থায়ী বন্দোবস্ত করা।”

    আরও পড়ুন: এবার জানা যাবে জ্ঞানবাপীর ‘শিবলিঙ্গের’ বয়স? পুরাতত্ত্ববিদদের আট সপ্তাহ সময় আদালতের

    ভয় ধরাচ্ছে স্যাটেলাইট চিত্র

    সম্প্রতি জোশীমঠের যে স্যাটেলাইট ছবি ধরা পড়েছে তাতে দেখা গিয়েছে, ২০১৮ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে উত্তরাখণ্ডের পূর্বাংশ ধীরে ধীরে বসে গেছে। একটি গবেষণা সংস্থার রিপোর্ট থেকে জানা গেছে, এই চারবছরে বেশ অনেকটাই জমি বসে গেছে। প্রতি বছরে সর্বাধিক ১০ সেন্টিমিটার করে জমি তলিয়ে গেছে। গবেষণায় আরও জানা গেছে, উত্তরাখণ্ডের পূর্বাংশ তুলনায় বেশি বসে যাচ্ছে। জোশীমঠের পরিস্থিতি নিয়ে উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি সম্প্রতি  কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, জোশীমঠের বসবাসের ৭০ শতাংশ জায়গা সুরক্ষিত রয়েছে। ভূমিধসের কবলে পড়েছে মাত্র ৩০ শতাংশ। তবে ক্ষতিগ্রস্তদের যত দ্রুত সম্ভব স্থায়ী বন্দোবস্ত করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Kharagpur IIT: ‘‘আপনার ছেলে হলে…’’, ছাত্র-মৃত্যু মামলায় খড়্গপুর আইআইটির ডিরেক্টরকে তিরস্কার বিচারপতির

    Kharagpur IIT: ‘‘আপনার ছেলে হলে…’’, ছাত্র-মৃত্যু মামলায় খড়্গপুর আইআইটির ডিরেক্টরকে তিরস্কার বিচারপতির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: খড়্গপুর আইআইটি’র ছাত্রের রহস্যমৃত্যুতে র‍্যাগিংয়ের অভিযোগ নিয়ে ডিরেক্টরের ভূমিকায় অসন্তোষ প্রকাশ করল কলকাতা হাইকোর্ট। এক জন মেধাবী ছাত্রের মৃত্যুকে কর্তৃপক্ষ গুরুত্ব দিতে চাইছেন না, শুক্রবার এমনই পর্যবেক্ষণ বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার। 

    আদালতের নির্দেশ মতো আগামী ২৪ জানুয়ারি খড়্গপুর আইআইটির ডিরেক্টর ভি কে তিওয়ারির আদালতে হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ওই দিন তিনি টোকিও যাচ্ছেন তাই হাজিরা দিতে পারবেন না বলে জানান তিওয়ারি। বিষয়টি আদালতের নজরে নিয়ে আসা হয়। এর পরই বৃহস্পতিবার তিওয়ারির হাজিরার দিন নির্ধারিত করা হয়। শুক্রবার হাই কোর্টে হাজিরা দেন ডিরেক্টর। এদিন বিচারপতি মান্থা তাঁকে ভর্ৎসনা করে বলেন,‘‘আদালতের নির্দেশের পরও তাঁরা (আইআইটি কর্তৃপক্ষ) উদাসীন। এটা উচিত নয়। কোনটা বেশি জরুরি? আদালতের প্রশ্নের উত্তর দেওয়া নাকি টোকিও যাওয়া? আপনার বাড়িতে ছেলে মেয়ে নেই ? তাদের সঙ্গে এই ধরনের পরিস্থিতি তৈরি হলে কেমন লাগবে ?’’

    আদালতে সওয়াল-জবাব

    বিচারপতি মান্থা আরও বলেন, “প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে বহু মেধাবী ছাত্ররা আইআইটি-তে পড়তে আসে, তাঁরা সুযোগ পেলে দেশ এবং দুনিয়ার উপকারে লাগবে। তাঁরা এভাবে বাধাপ্রাপ্ত হলে বিরাট ক্ষতি হবে।  র‍্যাগিং একটা জঘন্যতম ঘটনা। এটা না আটকানো গেলে ভবিষ্যতে অনেক বড় সমস্যা হবে।” আইআইটি-র ডিরেক্টরের আইনজীবী অনিন্দ্য মিত্র জানান, ওই ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনায় কর্তৃপক্ষ অনুসন্ধান করছে। এর জন্য অনুসন্ধান কমিটি গড়া (ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি) হয়েছে। এর পর ডিসিপ্লিনারি কমিটি রিপোর্ট দেয়। তার ভিত্তিতে উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গড়া হয়েছে। এ কথা শোনার পর ডিরেক্টর তিওয়ারিকে উদ্দেশ্য করে বিচারপতি আরও বলেন,  “এখানে মামলাকারিরা গুয়াহাটির প্রত্যন্ত অঞ্চলে থাকেন, সেখান থেকে আসার অর্থ পর্যন্ত নেই। আর আপনি বিষয়টাকে  হালকা ভাবে নিচ্ছেন। আদালতের প্রশ্নের সঠিক উত্তর দেওয়ার প্রয়োজন মনে করেন না?”

    আরও পড়ুন: সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদের পর এবারে তৃণমূলের যুবনেতা কুন্তলের জোড়া ফ্ল্যাটে ইডির হানা!

    গত ১৪ অক্টোবর খড়্গপুর আইআইটির হস্টেলের ঘর থেকে উদ্ধার করা হয় অসমের বাসিন্দা ফয়জান আহমেদের ঝুলন্ত দেহ। বিটেক মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে তৃতীয় বর্ষের পড়ুয়া ছিলেন তিনি। মৃতের পরিবারের অভিযোগ, আত্মহত্যা নয়, তাঁকে খুন করা হয়েছে। পরিবারের অভিযোগ, র‍্যাগিংয়ের শিকার হয়েছেন ওই ছাত্র। শুক্রবার ডিরেক্টর যে রিপোর্ট জমা দেন তার ভিত্তিতে নিজেদের বক্তব্য জানাতে মৃত ছাত্রের পরিবারকে সুযোগ দেয় আদালত। এই মামলায় পুলিশকে বিচারপতি মান্থার নির্দেশ, ‘‘আপনাদের রিপোর্ট দিতে কত দেরি হবে? ১৫-২০ দিন সময় দেওয়া যাবে না, অনেক দেরি হয়ে যাবে। দয়া করে কোনও পক্ষ নেবেন না। আগামী দিনে কেস ডায়েরি নিয়ে আসবেন। আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি এই মামলার পরবর্তী শুনানি।’’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Anubrata Mandal: নতুন বছরেও জেলে কেষ্ট! গরুপাচার মামলায় ফের জামিন খারিজ অনুব্রত, সায়গলের

    Anubrata Mandal: নতুন বছরেও জেলে কেষ্ট! গরুপাচার মামলায় ফের জামিন খারিজ অনুব্রত, সায়গলের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত অনুব্রতকে জেল হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিল আদালত। ওই দিনই গরুপাচারকাণ্ডে আবার শুনানি হবে। চোদ্দ দিন পর বৃহস্পতিবার আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালতে অনুব্রতকে পেশ করা হয়। এই মামলায় জামিনের জন্য কলকাতা হাই কোর্টে আগেই আবেদন করেছিলেন অনুব্রত। উচ্চ আদালত তৃণমূল নেতার জামিনের আবেদন খারিজ করে দেয়। খারিজ হয়ে গিয়েছে অনুব্রতর দেহরক্ষী সায়গল হোসেনের জামিনের আবেদনও। ভার্চুয়াল শুনানিতে বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী সায়গলের আইনজীবীর আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন। সেই সঙ্গে সিবিআইকে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতিও দেওয়া হয়েছে।

    সিবিআইয়ের দাবি

    আদালতে সিবিআই দাবি করে, বীরভূম কোঅপারেটিভ ব্যাঙ্কে ২৩১টি ভুয়ো অ্যাকাউন্ট পাওয়া গিয়েছে। যার মধ্যে ২০০টি অ্যাকাউন্ট একজনের সই দিয়ে খোলা হয়েছিল বলে সিবিআইয়ের দাবি। এ ছাড়াও আদালতে বাফারিং অ্যাকাউন্টের কথাও তুলে ধরে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটি। অর্থাৎ, এই ভুয়ো অ্যাকাউন্ট থেকে বিভিন্ন অ্যাকাউন্টে আর্থিক লেনদেনের হদিস পেয়েছে সিবিআই। আদালতে সিবিআইয়ের আইনজীবী জানান, সম্প্রতি ১৭৭টি সমবায় ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট সিজ করা হয়। এর মধ্যে বেশ কয়েকটি অ্য়াকাউন্টের টাকা আরও কয়েকটি অ্যাকাউন্টে ঘুরে জমা পড়েছে দুটি চালকল সংস্থার অ্যাকাউন্টে, যে ২টি চালকলের সঙ্গে অনুব্রতর যোগ রয়েছে। 

    আরও পড়ুুন: ড্রেস কোড না মেনে বোরখা পরে হিন্দু কলেজে! ঢুকতেই দিলেন না কর্তৃপক্ষ

    সায়গল প্রসঙ্গ

    বীরভূমের ডিসট্রিক্ট সেন্ট্রাল কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কে যে সমস্ত ভুয়ো অ্যাকাউন্টের হদিস মিলেছে, সে বিষয়ে অনুব্রতের দেহরক্ষী সায়গলকেও জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় সিবিআই। বৃহস্পতিবার আসানসোলের সিবিআই আদালতে সায়গলের মামলার ভার্চুয়াল শুনানি ছিল। সায়গল এখন তিহাড় জেলে। এদিন বিচারক সায়গলের জামিনের আবেদনও খারিজ করে দেন। তার পরেই সিবিআই জানায়, কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কে পাওয়া ভুয়ো অ্যাকাউন্টগুলির সঙ্গে অনুব্রতের দেহরক্ষীর যোগ রয়েছে বলে মনে করছে তারা। সিবিআইয়ের অভিযোগ, সায়গলের প্রভাবেই ব্যাঙ্কে মোট ২৩১টি ভুয়ো অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছিল। এই সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্যের জন্য তিহাড় জেলে গিয়ে সায়গলকে জিজ্ঞাসাবাদের আবেদন জানায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সিবিআইয়ের আবেদনে সাড়া দেন বিচারক। তিনি জানান, ভুয়ো অ্যাকাউন্ট নিয়ে সায়গলকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য যে কোনও সময়ে তিহাড়ে হাজির হতে পারবেন সিবিআইয়ের গোয়েন্দারা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Suvendu Adhikari: রাজ্যপালকে ‘ম্যানেজ’ করতে মরিয়া মুখ্যমন্ত্রী! বিস্ফোরক শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: রাজ্যপালকে ‘ম্যানেজ’ করতে মরিয়া মুখ্যমন্ত্রী! বিস্ফোরক শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘রাজ্যপাল থাকাকালীন মাননীয় জগদীপ ধনখড় (Ex Governor Jagdeep Dhankar) আইন-সংবিধানকে ভঙ্গ করার জন্য রাজ্য সরকারকে (state government) চেপে ধরেছিলেন। তাতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনৈতিক কাজে সমস্যা হয়েছিল’। তাই ‘এবার তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথম দিন থেকে রাজ্যপালকে ম্যানেজের জন্য মরিয়া।’ এমনই বিস্ফোরক মন্তব্য় করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (suvendu adhikari)। 

    রাজ্যপালের উপর আস্থা প্রকাশ

    বুধবার একটি রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অংশ নেওয়ার পর রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘‘বর্তমান রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস একজন শিক্ষাবিদ এবং পশ্চিমবঙ্গ সম্পর্কে তাঁর স্বচ্ছ ধারণা রয়েছে। তবে তাঁর কাজ এবং চলার পথ ভিন্ন হতে পারে, সে ব্যাপারে আমি কোনও মন্তব্য করতে চাই না। তবে মুখ্যমন্ত্রী যে ওনাকে প্রথম দিন থেকে ম্যানেজ করতে মরিয়া চেষ্টা করে যাচ্ছেন তা স্পষ্ট।” শুভেন্দুর দাবি, ‘‘কিছুদিন আগে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেদিনের বৈঠকে রাজ্যপাল মুখ্যমন্ত্রীকে জানান যে, সিকিউরিটি কমিশন নোটিফিকেশন, লোকায়ুকত বিল ও অন্যান্য বেশ কিছু বিষয়ে ছাড়পত্র দেওয়া যাবে না। রাজ্যপাল মুখ্যমন্ত্রীকে এও বলেন, আপনি বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য পদ থেকে রাজ্যপালকে সরানোর জন্য যে বিল আনতে চাইছেন, তাতেও আমি ছাড়পত্র দিতে পারব না। কারণ এক্ষেত্রে ইউজিসি এবং সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অমান্য করার প্রসঙ্গ জড়িয়ে রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যপালের কাছে আত্মসমর্পণ করে বলেন, আমি লোকায়ুত প্রত্যাহার করে নিচ্ছি। আগের রাজ্যপালের সঙ্গে আমার বিরোধ ছিল, তাই আমি ওনাকে বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য পদ থেকে সরাতে চেয়েছিলাম। কিন্তু আপনার সঙ্গে আমার কোনও বিরোধ নেই, তাই আচার্য পদ পরিবর্তন বিল নিয়ে আমি আর আপনাকে কিছু বলব না।’’

    আরও পড়ুন: সাগরদিঘিতে উপনির্বাচনের দিন ঘোষণা কমিশনের, কবে?

    শুভেন্দু  প্রাক্তন রাজ্যপাল তথা বর্তমানে দেশের উপ রাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়ের প্রশংসাও করে বলেন, ‘‘উনি থাকাকালীন রাজভবনকে একটা উচ্চতর পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছিলেন।’’বর্তমান রাজ্যপালের প্রতি পূর্ণ আস্থা রেখে বিরোধী দলনেতা জানান, ‘‘রাজ্যপালের সঙ্গে যে সমস্ত উপাচার্যরা বৈঠক করেছেন তাঁদের মধ্যে অনেকেই যোগ্যতা অনুযায়ী উপাচার্য হননি। শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে টাকা দিয়ে উপাচার্য পদে অনেকেই নিয়োগ পেয়েছেন। সমস্ত  উপাচার্যদের নিয়োগ বেআইনিভাবে হয়েছে। সুযোগ পেলে রাজ্যপালকে আমি একথা জানাব। ওনাকে তৃণমূল সম্পর্কে সতর্ক থাকার জন্য অনুরোধ করব। রাজ্যপালের উপর বিশ্বাস আছে যে, তিনি বেআইনি কাজে মুখ্যমন্ত্রীকে সঙ্গ দেবেন না, যদি সেটা হয়, তাহলে সংবিধানের রীতি মেনে যেখানে অভিযোগ জানানোর জানাব।’’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Mamata Banerjee: ইউটিউব দেখেই মেঘালয়ের তিনটে ভাষা শিখে নেবেন! কী বললেন মমতা?

    Mamata Banerjee: ইউটিউব দেখেই মেঘালয়ের তিনটে ভাষা শিখে নেবেন! কী বললেন মমতা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মেঘালয়ে একাধিকবার প্রচারে গেলেও এখনও শিখে উঠতে পারেননি খাসি, গারো, পাঁর– মেঘালয়ের এই তিন ভাষা। তাই এবার ইউটিউব দেখেই মেঘালয়ের ভাষা শিখতে শুরু করবেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মেঘালয়বাসীর কাছে আপাতত সেরকমই অঙ্গীকার করলেন মমতা।

    অন্য ভাষা শিখতে আগ্রহ

    অন্য রাজ্যে প্রচারে গেলে সেখানকার ভাষায় কথা বলটা জনসংযোগের একটা ধাপ। রাজনীতিকরা চেষ্টা করেন ভিন রাজ্যে প্রচারের সময় সেই রাজ্যের ভাষা বলার। পুরো না হলেও নিদেন পক্ষে দু-এক লাইন। মমতা বন্দ্যোপাধায়ের ক্ষেত্রেও তার অন্যথা হয় না। কিন্তু মেঘালয়ে সেই তাল কেটেছে। বুধবার মেঘালয়ের এক জনসভায় মমতা স্বীকার করে নিয়েছেন তিনি এই পাহাড়ি রাজ্যের ভাষা জানেন না। তাঁর কথায়, ‘পরের বার যখন আসব আপনাদের এলাকায় আপনাদের ভাষা শিখুতে চাই। আমায় শেখান প্লিজ! এর মধ্যে আমি ইউটিউব থেকে শিখতে আরম্ভ করব।’ আপতত ইউটিউব ভরসা হলেও তিনি মেঘালয়ের মানুষের কাছ তাঁদের ভাষা শিখতে পারলেই সবচেয়ে খুশি হবেন। তিনি বলেন, ‘আমি খুশি হব, আপনাদের কাছ থেকে আপনাদের ভাষা শিখলেই।’ 

    আরও পড়ুুন: নথি জাল করে বাবার স্কুলে চাকরি! ভূগোল শিক্ষকের কাণ্ডে সিআইডি ডাকল হাইকোর্ট

    অন্য ভাষা শেখার আগ্রহ মমতার বরাবরের। এমনই দাবি করেন তৃণমূল সুপ্রিমো। বছর কয়েক আগে বাংলায় বাণিজ্য সম্মেলনে সেই কথা নিজেই জানিয়েছিলেন। তিনি নিজে কতগুলি ভাষা জানেন, বিভিন্ন সভায় তার খতিয়ানও দিয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। যখন তিনি ভিয়েতনামে গিয়েছিলেন ভিয়েতনামি ভাষা শিখেছিলেন। রাশিয়ার গিয়ে রাশিয়ান ভাষা শিখেছেন। এছাড়া তাঁর জানা ভাষার তালিকায় রয়েছে, গুজরাটি, আসমিজ, মণিপুরী, ওড়িয়া, পঞ্জাবি, মারাঠি, বাংলা, হিন্দি, গোর্খা, নেপালি। এবার সেই তালিকায় ঢুকবে খাসি, গারো, পাঁর ভাষা।  বুধবারই নির্বাচন কমিশন ঘোষণা করেছে, আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি মেঘালয়ে বিধানসভা ভোট। মঙ্গলবারই সে রাজ্যে ভোটপ্রচারে গিয়েছেন মমতা এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার মেঘালয়ের মেদিপাথরের জনসভায় মমতা  জানান মেঘালয় তাঁর মনে। তাই সেখানকার ভাষাও রপ্ত করতে চান তিনি।  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Mohan Bhagwat: নেতাজি জন্ম-জয়ন্তী পালন! কালই রাজ্যে আসছেন আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত

    Mohan Bhagwat: নেতাজি জন্ম-জয়ন্তী পালন! কালই রাজ্যে আসছেন আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বুধবার কলকাতায় আসছেন আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত। থাকবেন আগামী সোমবার পর্যন্ত। ছ’দিনের সফরের বেশিটা জুড়েই থাকবে সাংগঠনিক বৈঠক। তার মধ্যেই বৃহস্পতিবার পূর্ব ভারতের বিভিন্ন রাজ্য থেকে আসা বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশিষ্টদের সঙ্গে কলকাতায় দেখা করবেন ভাগবত। সবটাই একান্তে। রুদ্ধদ্বার। শেষ দিন শহিদ মিনারে প্রকাশ্য কর্মসূচি। এমনই হয়ে থাকে আরএসএস তথা ভাগবতের যে কোনও রাজ্য সফরের কর্মসূচিতে। অতীতে বাংলা তথা কলকাতাতেও হয়েছে। মঙ্গলবার কলকাতা প্রেস ক্লাবে সঙ্ঘের তরফে ভাগবতের সফরসূচি ঘোষণা করা হয়।

    নেতাজি জয়ন্তী পালন

    মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠকে মূল বক্তা ছিলেন সঙ্ঘের সাংগঠনিক পূর্ব ক্ষেত্রের (পূর্ব ভারত) সঙ্ঘচালক (সভাপতি) অজয়কুমার নন্দী। ছিলেন দক্ষিণবঙ্গের প্রচার প্রমুখ বিপ্লব রায়, কলকাতার প্রচার প্রমুখ শুভ্রজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ অন্যান্যরা।  রাজ্যের প্রচার প্রমুখ বিপ্লব বলেন, ‘‘সঙ্ঘ তো বরাবরই পরিবর্তনের পক্ষে। সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার জন্যই প্রায় শতবর্ষ বয়স হতে চলা সঙ্ঘ এখনও সমান ভাবে প্রাসঙ্গিক এবং জীবন্ত। আমরা বিশ্বাস করি, আদর্শ অটুট রেখে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বহিরাঙ্গে বদল আনতে হয়।’’ আগামী বৃহস্পতিবার শহরের কোনও হোটেলে বিশিষ্টদের নিয়ে একান্তে কথা বলবেন আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত।  তবে সেখানে কে কে আসবেন তা এখনও প্রকাশ করেনি সঙ্ঘ। তবে অনুমান করা হচ্ছে কলকাতার বাসিন্দা তিন বিখ্যাত ধ্রুপদী শিল্পী অজয় চক্রবর্তী, রাশিদ খান এবং তেজেন্দ্রনারায়ণ মজুমদার আমন্ত্রণ পেতে পারেন। কারণ, গত কয়েক বছরে ‘সম্পর্ক তৈরি করতে’ এঁদের বাড়িতে গিয়েছিলেন ভাগবত।

    আরও পড়ুন: চলতি বছরের অক্টোবরেই সম্পন্ন হবে রাম মন্দিরের প্রথম তলার নির্মাণ!

    এ বার নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মদিনে কলকাতায় থাকছেন ভাগবত। সেই কারণে ২৩ জানুয়ারি শহিদ মিনারে সঙ্ঘ ‘নেতাজি লহ প্রণাম’ অনুষ্ঠান করবে। থাকবেন ভাগবত। এই কর্মসূচি প্রসঙ্গে অজয়কুমার বলেন, ‘‘নেতাজি জয়ন্তী পালন সঙ্ঘের কাছে নতুন কিছু নয়। স্বয়ংসেবকদের দৈনিক প্রাতঃস্মরণ মন্ত্রেই নেতাজি রয়েছেন। সঙ্ঘস্থান মানে শাখায় জন্মদিন অনুষ্ঠানও হয়।’’ ওই অনুষ্ঠানে মোহন ভাগবতের থাকা প্রসঙ্গে অজয়কুমার জানান, ‘‘এটা ঘটনাচক্র। এক বছর আগে থেকেই সরসঙ্ঘচালক কবে, কোন রাজ্যে যাবেন সেটা ঠিক হয়ে থাকে। এটাই আমাদের ধারা। এমন একটা দিনে তাঁকে কলকাতায় পাওয়া যাচ্ছে দেখেই ওই কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে।’’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

LinkedIn
Share