Author: শুভ্র চট্টোপাধ্যায়

  • Fake School Teacher: একজনের নিয়োগপত্রে অন্যজনের চাকরি! মুর্শিদাবাদের স্কুলে ভুয়ো শিক্ষক

    Fake School Teacher: একজনের নিয়োগপত্রে অন্যজনের চাকরি! মুর্শিদাবাদের স্কুলে ভুয়ো শিক্ষক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একজনের নিয়োগপত্রে চাকরি করছেন আর এক জন। এরকমই চাঞ্চল্যকর (Shocking) ঘটনা সামনে এল মুর্শিদাবাদ জেলায়। মুর্শিদাবাদের DI-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, অন্যের নিয়োগপত্রের মেমো নম্বর জালিয়াতি করে সুতির স্কুলে শিক্ষকপদে চাকরি করছেন অনিমেষ তিওয়ারি। স্কুল সার্ভিস কমিশনের নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে একের পর চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আসছে, এবার আর এক অন্যরকম দুর্নীতি। সুতি ১ নম্বর ব্লকের (Suti Block) গোথা এ রহমান স্কুলের ঘটনা। কর্মশিক্ষার (Work Education) শিক্ষক অনিমেষ তিওয়ারি (Animesh Tiwari) আসলে ভুয়ো শিক্ষক। মুর্শিদাবাদ জেলা স্কুল পরিদর্শকের (DI) রিপোর্টেই সেই তথ্য উঠে এসেছে। ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষক ও স্কুলের প্রধান শিক্ষক আশিস তিওয়ারিকে (Ashis Tiwari) আত্মপক্ষ সমর্থনে হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। আশিস আবার অনিমেষের বাবা। 

    ভুয়ো নিয়োগ

    কলকাতা হাইকোর্টে বুধবার মুর্শিদাবাদের ভুয়ো শিক্ষক নিয়োগের চাঞ্চল্যকর অভিযোগ আসে। এরপরেই এসএসসি ও মধ্যশিক্ষা পর্ষদের রিপোর্ট তলব করেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। শুক্রবারের মধ্যে রিপোর্ট তলব করা হয়। আইনজীবী ফিরদৌস সামিম কর্মশিক্ষা ও শারীরশিক্ষা অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরি সংক্রান্ত মামলার শুনানি চলাকালীন এই বিস্ফোরক অভিযোগ হলফনামা আকারে আনেন। ২০১৮ সাল থেকে ওই ভুয়ো শিক্ষক চাকরি করছেন, এমনকী নিয়মিত বেতনও তুলছেন! এ নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেন বিচারপতি। তিনি এই মামলায় এসএসসি এবং শিক্ষা পর্ষদের কাছেও রিপোর্ট চেয়েছেন। কর্মশিক্ষার শিক্ষক পদে ওই শিক্ষকের স্কুল রেজিস্ট্রার সহ যাবতীয় নথি বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দেন বিচারপতি। তিনি বলেন, এটা প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতি না ব্যতিক্রমী দুর্নীতি সেটাই খতিয়ে দেখতে চাই।

    আরও পড়ুন: “বড়দিনের উৎসবে মাস্ক পরুন, দূরত্ববিধি মেনে চলুন”, সংসদ থেকে বিশেষ বার্তা স্বাস্থ্যমন্ত্রীর

    আদালতের নির্দেশ

    জানা গিয়েছে, ভূগোলের শিক্ষক পদে অরবিন্দ মাইতি নিয়োগপত্র পান বেলডাঙার একটি স্কুলে। তাঁর নিয়োগপত্রের মেমো নম্বর জালিয়াতি করে অনিমেষ তিওয়ারি চাকরি করছেন। প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে এরকমই বিস্ফোরক তথ্য। শিক্ষা দফতরের ওয়েবসাইটে তথ্য বলছে ওই স্কুলের কর্মশিক্ষার শিক্ষক অনিমেষ তিওয়ারি। কিন্তু দেখা যায়,অনিমেষের বিষয়(মেথড সাবজেক্ট) ইতিহাস। তাহলে স্কুল কীভাবে বলছে তিনি কর্মশিক্ষার শিক্ষক? আবার  আরটিআই তথ্য বলছে ‘এসএলএসটি ২০১৬’ পরীক্ষার্থী নয় অনিমেষ। কর্মশিক্ষা শিক্ষক নিয়োগের আগের পরীক্ষা হয় ২০১২ সালে। সেই সময়ে পরীক্ষা দিলে অনিমেষ তিওয়ারি বয়স হয় ১৭ বছর। কারণ তাঁর জন্ম বছর ১৯৯৫। কর্মশিক্ষা শিক্ষক হওয়ার নূন্যতম বয়স ২০ বছর। ২০১২ পরীক্ষা দিলে,১৭ বা ১৮ বছরে কী ভাবে পরীক্ষায় বসলেন অনিমেষ? এই সব দেখেই সন্দেহ হয় আদালতের। আর কেঁচো খুঁড়তেই বেড়িয়ে পড়ে কেউটে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Recruitment Scam: উত্তরপত্র ফাঁকা, তবু প্রাপ্ত নম্বর ৫৩! এসএসসি-এর বিকৃত ওএমআর শিট প্রকাশ হতেই চক্ষু চড়কগাছ

    Recruitment Scam: উত্তরপত্র ফাঁকা, তবু প্রাপ্ত নম্বর ৫৩! এসএসসি-এর বিকৃত ওএমআর শিট প্রকাশ হতেই চক্ষু চড়কগাছ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শেষ পর্যন্ত কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে নবম-দশমের ৯৫২ জন শিক্ষকের তালিকা প্রকাশ করল স্কুল সার্ভিস কমিশন। বৃহস্পতিবার সন্ধেয় নিজেদের সাইটে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ওই ৯৫২ জনের বিবরণ দিয়েছে এসএসসি। সেই তালিকা দেখে চক্ষু চড়কগাছ। স্কুলের নিয়োগ পরীক্ষায় কোনও উত্তর না লিখেই পাশ করেছেন অনেকে। এমনকি বিভিন্ন স্কুলে শিক্ষকতাও করছেন তাঁরা। বুধবার, কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে-স্কুল সার্ভিস কমিশনের ওয়েবসাইটে যে উত্তরপত্র প্রকাশ করা হয়েছে,তাতেই উঠে এসেছে এই চিত্র।

    ফের শিরোনামে পরেশ অধিকারী

    নবম-দশমের বিকৃত ওএমআর শিট প্রকাশ হতেই আবারও শিরোনামে মন্ত্রী পরেশ অধিকারী। মন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারীর চাকরি করা স্কুল ইন্দিরা গার্লস হাইস্কুলে আবারও এক ভুয়ো শিক্ষকের সন্ধান মিলল। বৃহস্পতিবার,এসএসসি ওয়েবসাইটে তালিকা আসতেই শুক্রবার থেকে স্কুলে যাচ্ছেন না ওই স্কুলের ইংরেজি শিক্ষক কনিকা বর্মন। অভিযোগ, ওএমআর শিট কারচুপি করে নাম্বার বাড়িয়ে ইংরেজি শিক্ষক হয়েছিলেন কনিকা। যদিও এ বিষয়ে মুখ খুলতে চাননি স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা রঞ্জনা রায় বসুনিয়া সহ অন্যান্যরা। প্রসঙ্গত, এই মেখলিগঞ্জ ইন্দিরা উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে রাষ্ট্রবিজ্ঞান পদে নিযুক্ত ছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারী। 

    আরও পড়ুন: “বড়দিনের উৎসবে মাস্ক পরুন, দূরত্ববিধি মেনে চলুন”, সংসদ থেকে বিশেষ বার্তা স্বাস্থ্যমন্ত্রীর

    ভাইরাল ওএমআর শিট

    ইতিমধ্যেই একের পর এক OMR শিট ভাইরাল হচ্ছে সোস্যাল মিডিয়ায়। যেখানে দেখা যাচ্ছে কেউ কেউ একটিও গোল ভরাট করেননি আবার কেউ ৫৫টি প্রশ্নেরই উত্তর করেছেন। যদিও প্রায় সব উত্তরই ভুল। তবে সবার প্রাপ্ত নম্বর ৫৩। কোন জাদুবলে এই ভাবে নম্বর বেড়েছে তা নিয়ে জোর জল্পনা সোশ্যাল মিডিয়ায়। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া কালনা মহারাজা বিদ্যালয়ে ভূগোলের শিক্ষকের ওএমআর শিট একেবারে ফাঁকা। বৃহস্পতিবার তিনি আর স্কুলে আসেননি। ওএমআর-এ দেখা যাচ্ছে, রোল নম্বর সহ যাবতীয় বিষয়ের সার্কেল ভরাট করা হলেও একটিও প্রশ্নের উত্তরের সার্কেল ভরাট করা হয়নি। ফাঁকা খাতা জমা দিয়ে, শুধুমাত্র টাকার বিনিময়ে অনেককে চাকরি দেওয়া হয়েছে। অনেক দিন ধরেই এই অভিযোগে তুলে সরব হয়েছেন নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষকপদে চাকরিপ্রার্থীরা। আর, সেই অভিযোগ যে সত্য,তা কমিশনের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্য থেকেই স্পষ্ট হচ্ছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Covid in China: সংক্রমিতের সংখ্যা আড়াল করছে বেজিং! চিনে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন হু

    Covid in China: সংক্রমিতের সংখ্যা আড়াল করছে বেজিং! চিনে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন হু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: করোনা সংক্রমণ নিয়ে তথ্য গোপন করছে চিন। হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা থেকে শুরু করে মৃত্যুর হার কোনও তথ্যই সঠিকভাবে দিতে পারছে না চিন সরকার। এমনই তথ্য উঠে এল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা-হু-এর রিপোর্টে। চিনকে সরাসরি দায়ী না করে বলা হয়েছে, চিনে আক্রান্তের সংখ্যা হু হু করে বাড়ছে, তাই হিসাব রাখাও সম্ভব হচ্ছে না। চিনের তথ্য গোপন করার চেষ্টাতে সন্দেহ প্রকাশ করেছে বিভিন্ন দেশ।

    তথ্য আড়ালের চেষ্টা

    বৃহস্পতিবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে চিকিৎসক মাইকেল রায়ান বলেন, “ইতিমধ্যেই চিনের হাসপাতালগুলির সমস্ত বেড ভর্তি হয়ে গিয়েছে। খালি নেই আইসিইউ-ও। আগামী কয়েকদিনে পরিস্থিতি আরও ভয়ঙ্কর হবে। করোনা আক্রান্তের সংখ্যা হঠাৎ করে বেড়ে যাওয়ায় হাসপাতালগুলিতে বেডের সংখ্যার নিরিখে বেশি রোগীকে ভর্তি করা হয়েছে। ফলে অধিকাংশ হাসপাতালের ওয়ার্ডেই গাদাগাদি করে সংক্রমিতদের রাখা হচ্ছে। এমনকী হাসপাতালের করিডোরেও রাখা হচ্ছে কোভিড রোগীদের। এতে সংক্রমণ কমার বদলে উলটে বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। আইসিইউ-তে ভর্তি হয়ে যাওয়ায় দেখা দিতে পারে অক্সিজেন সংকটও।” 

    আরও পড়ুন: দৈনিক সংক্রমণ প্রায় ১০ লক্ষ, মৃতের সংখ্যা ৫ হাজারের কাছে! চিনে ভয়াবহ করোনা পরিস্থিতি

    বর্ষশেষে হঠাৎ এই সংক্রমণ বৃদ্ধির নেপথ্যে রয়েছে ওমিক্রনের অতি শক্তিশালী সাব ভ্যারিয়েন্ট বিএফ.৭ (BF.7 Sub Variant)। আগামী তিন মাসের মধ্যে চিনের ৬০ শতাংশ মানুষই করোনা আক্রান্ত হতে পারেন বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে বিভিন্ন রিপোর্টে। সংক্রমণ রুখতে চিনে যাতে টিকাকরণের হার বাড়ায়, তা নিয়ে অনুরোধ জানান হু প্রধান টেড্রোস আধানম গ্রেবেয়াসিস। তিনি বলেন, “চিনের পরিবর্তিত পরিস্থিতি নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অত্য়ন্ত উদ্বিগ্ন। চিনে আক্রান্তদের স্বার্থে আমরা ক্লিনিক্যাল কেয়ার ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থা রক্ষার জন্য সমর্থন ও সহায়তা জারি রাখব।” বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে চিনকে সংক্রমণ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য, হাসপাতালে রোগী ভর্তি হওয়া ও ইনটেনসিভ কেয়ারে কতজন ভর্তি রয়েছেন তা বিশদে জানাতে বলা হয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Covid in China: দৈনিক সংক্রমণ প্রায় ১০ লক্ষ, মৃতের সংখ্যা ৫ হাজারের কাছে! চিনে ভয়াবহ করোনা পরিস্থিতি

    Covid in China: দৈনিক সংক্রমণ প্রায় ১০ লক্ষ, মৃতের সংখ্যা ৫ হাজারের কাছে! চিনে ভয়াবহ করোনা পরিস্থিতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ক্রমেই ভয়াবহ হয়ে উঠছে চিনের করোনা পরিস্থিতি। সম্প্রতি এক তথ্যে দাবি করা হয়েছে, চিনে এই মুহূর্তে দৈনিক সংক্রমণ প্রায় ১০ লক্ষ। দৈনিক মৃত্যুসংখ্যাও নাকি ঘোরাফেরা করছে ৫ হাজারের আশেপাশে।  জরুরি বিভাগে মৃতপ্রায় রোগীদের বাঁচাতে কঠোর পরিশ্রম করছেন সে দেশের চিকিৎসকরা। চিনের মর্গগুলিতে মৃতদেহ উপচে পড়ছে। রীতিমতো লাইন দিয়ে শেষকৃত্য সম্পন্ন করতে হচ্ছে।অতিমারি-বিশেষজ্ঞ এরিক ফাইল-ডিংয়ের মতে চিনে জ্বরের ওষুধ প্রায় অমিল। তিনি জানিয়েছেন, দোকানে জ্বরের ওষুধ বাড়ন্ত হওয়ায় সরাসরি ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থার গুদামে গিয়ে ওষুধ কিনে আনছেন সে দেশের অনেক নাগরিক। কোভিড পরীক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় অ্যান্টিজেন টেস্ট কিটও অমিল চিনে। 

    শীতেই কোভিডের তিনটে ঢেউ 

    গণবিক্ষোভের মুখে শূন্য কোভিড নীতি থেকে সরে এসেছিল চিন। কিন্তু তারপরই সে দেশে করোনা সংক্রমণের রেখচিত্র ক্রমশ ঊর্ধ্বমুখী হতে থাকে। কোভিডের যে উপরূপটি চিনের এই নয়া বিপর্যয়ের কারণ হয়ে উঠেছে, সেটি হল বিএফ.৭। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন এই উপরূপটির আগের উপরূপগুলির তুলনায় অনেক বেশি সংক্রামক। অতিমারি বিশেষজ্ঞদের মতে, ২০১৯ সালে সূচনা ঘটলেও, এই মুহূর্তে কার্যত কোভিড বিস্ফোরণ ঘটেছে চিনে। পরিস্থিতি আরও ভয়ঙ্কর হওয়ার দিকে এগোচ্ছে। অতিমারির চলতি ঢেউয়ের আঘাতে দৈনিক সংক্রমণ ৩৭ লক্ষে গিয়ে ঠেকতে পারে জানুয়ারি নাগাদই। লন্ডনের এয়ারফিনিটি লিমিটেড নামক গবেষণা সংস্থার দাবি, মার্চ নাগাদ চিনে দৈনিক সংক্রমণ ৪২ লক্ষে গিয়ে ঠেকতে পারে। 

    আরও পড়ুন: করোনা পরীক্ষা ছাড়া তাজমহলে প্রবেশ নয়, নির্দেশিকা কেন্দ্রের

    তথ্য আড়াল না করার আবেদন

    ভাইরাস বিশেষজ্ঞেরা জানাচ্ছেন, এই শীতে তিনটি কোভিড-ঢেউ আছড়ে পড়তে চলেছে চিনে। যদিও চিনা সরকারি তথ্য এই সব কিছুই স্বীকার করেনি। এই আবহে চিনের স্বচ্ছতার অভাব নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সমালোচনা হচ্ছে বেজিংয়ের। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফেও চিনকে আবেদন করা হয়েছে যাতে তারা তথ্য গোপন না করে। হু-এর প্রধান টেড্রস অ্যাডানম গেব্রিয়েসাস বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন চিনের কোভিড পরিস্থিতির কথা জানতে পেরে তিনি নিজেও উদ্বিগ্ন। সঠিক প্রতিষেধক ব্যবহার করার জন্য তিনি চিন প্রশাসনকে অনুরোধ জানিয়েছেন। এর পাশাপাশি তিনি চিন প্রশাসনের কাছে কোভিড সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য প্রকাশ্যে আনার অনুরোধ জানিয়েছেন। 

    একটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, চিনের মোট জনসংখ্যার ৮৫ শতাংশ যদি চতুর্থ বুস্টার টিকা নেন, তবেই সংক্রমণের গতিরোধ করা সম্ভব। তাতে ৩ থেকে ৫৯ বছর বয়সি ৯৫ শতাংশ জনসংখ্যা লাভবান হবেন। তাই ৩ থেকে ৫৯ এবং ১৮ থেকে ৫৯ বছর বয়সিদের মধ্যে বুস্টার টিকার হার যদি ৯৫ শতাংশ থাকে, তবেই প্রতি ১০ লক্ষে সামগ্রিক মৃত্যুহার ২৪৯ এবং ৩০৫-এ বেঁধে রাখা যাবে বলে দাবি করা হয়েছে সমীক্ষায়।  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Sunil Gavaskar: কুলদীপের বাদ পড়া নিয়ে ক্ষুব্ধ গাভাসকার! ১২বছর অপেক্ষার পর টেস্ট দলে উনাদকাট

    Sunil Gavaskar: কুলদীপের বাদ পড়া নিয়ে ক্ষুব্ধ গাভাসকার! ১২বছর অপেক্ষার পর টেস্ট দলে উনাদকাট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টেস্টে বাদ পড়লেন স্পিনার কুলদীপ যাদব। টিম ম্যানেজেন্টের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে শুরু হয়েছে জোর বিতর্ক। চট্টগ্রামে প্রথম টেস্টে ভারতের জয়ের নায়ক ছিলেন কুলদীপ। ব্যাটে বলে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স মেলে ধরেছিলেন তিনি। পেয়েছিলেন ম্যাচের সেরার পুরস্কারও। তার পরেও কুলদীপ বাদ পড়ায় স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠছে। এমন কী ঘটলো যে কুলদীপকে প্রথম একাদশে রাখা গেলো না? মজার ব্যাপার হলো কুলদীপকে বসিয়ে খেলানো হলো পেসার জয়দেব উনাদকাটকে। ২০১০ সালে প্রথম টেস্ট খেলেছিলেন উনাদকাট। তারপর এই ম্যাচ। বাংলাদেশের ওপেনার জাকির হাসানকে আউট করে এদিন জীবনের প্রথম টেস্ট উইকেট পান উনাদকাট। এছাড়াও তিনি আজ তুলে নেন মুসফিকুর রহিমের উইকেট। 

    গাভাসকরের মত

    ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্টের কুলদীপকে বসিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্তকে কোনওভাবেই মেনে নিতে পারছেন না সুনীল গাভাসকর। সানি স্পষ্ট জানান যে, আগের টেস্টের ম্যান অফ দ্য ম্যাচকে বসিয়ে দিচ্ছে কোনও দল, এমনটা ভাবাই তাঁর পক্ষে সম্ভব নয়। গাভাসকর বলেন, ‘অবিশ্বাস্য। আমি আরও কড়া শব্দ ব্যবহার করতে পারতাম। তবে শুধু অবিশ্বাস্য বলেই থামছি। আগের ম্যাচের সেরা ক্রিকেটারকে বসিয়ে দেওয়া মেনে নেওয়া যায় না। পিচ নিয়ে ক্যাপ্টেন ধাঁধায় রয়েছে শুনলাম। পিচ যেমনই হোক, আগের টেস্টের ম্যান অফ দ্য ম্যাচকে অবশ্যই খেলানো উচিত। তুমি আরও ২ জন স্পিনার খেলাচ্ছ। তাদের মধ্যে থেকে কাউকে বসাতে পারতে। যে ২০টি উইকেটের মধ্যে ৮টি উইকেট নিয়েছে, তাকে বাদ দেওয়া যুক্তিহীন।’ কুলদীপ এবার চট্টগ্রাম টেস্টে ব্যাট হাতে ৪০ রানের কার্যকরী ইনিংস খেলার পাশাপাশি প্রথম ইনিংসে ৫টি ও দ্বিতীয় ইনিংসে ৩টি উইকেট নেন। 

    আরও পড়ুন: শুক্রবার আইপিএলের মিনি নিলাম! কলকাতার পকেটে সবচেয়ে কম টাকা

    লোকেশ যা বললেন

    জয়দেবকে সুযোগ দেওয়া নিয়ে টসের সময় ভারতীয় দলের অধিনায়ক লোকেশ রাহুল বলেন, ” উইকেটের চরিত্র বুঝতে সমস্যা হচ্ছে। তবে একটু স্যাঁতসেতে ভাব রয়েছে। প্রথম দিকে এই ধরনের পিচে জোরে বোলাররা সুবিধা পায়। তাই আমাদের মনে হয়েছে জয়দেবকে খেলানো উচিত। না চাইলেও তাই কুলদীপকে বসাতে হয়েছে। রবিচন্দ্রন অশ্বিন, অক্ষর প্যাটেল ব্যাটিংটা ভালো করে। স্পিনার হিসাবে ওরা কাজটা করে দিতে পারবে বলে মনে হয়।”

    লোকেশ রাহুল যাই বলুন, ভারতীয় দল কিন্তু পিচের সুবিধা সেভাবে কাজে লাগাতে পারেনি এখনও পর্যন্ত। প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ ৩ উইকেট হারিয়ে ১২৩ রান তুলেছে। উমেশ যাদব, জয়দেব উনাদকাট ও অশ্বিন একটি করে উইকেট পেয়েছেন। জয়দেব উনাদকাট প্রথম টেস্ট খেলেছিলেন ২০১০ সালে। তারপর ১২ বছর তিনি আর কোনও ম্যাচ খেলেননি দেশের হয়ে। এই সময়ে ভারতীয় দল ১১৮টি টেস্ট খেলেছে। কোনও ভারতীয় ক্রিকেটার হিসেবে এত অপেক্ষা আর কাউকে করতে হয়নি। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Anubrata Mandal: টাকা নিয়ে অভিযোগ দায়ের! অনুব্রত মামলায় বিস্ফোরক দাবি শিবঠাকুরের আত্মীয় দীপকের

    Anubrata Mandal: টাকা নিয়ে অভিযোগ দায়ের! অনুব্রত মামলায় বিস্ফোরক দাবি শিবঠাকুরের আত্মীয় দীপকের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একটি মামলায় রাতারাতি পাল্টে দিয়েছে সব সমীকরণ। গরুপাচার মামলায় গ্রেফতার বীরভূমের দোর্দণ্ডপ্রতাপ তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal), দিল্লিযাত্রা প্রায় নিশ্চিত ছিল। কিন্তু দুবরাজপুরের তৃণমূল কর্মী শিবঠাকুর মণ্ডলের (Shib Thakur Mondal)করা মামলার জেরে অনুব্রতকে সাত দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত। বড়দিনের আগে আর অনুব্রতকে নিয়ে দিল্লি পাড়ি দেওয়া হয় না ইডির। 

    সাজানো মামলা

    এখন প্রশ্ন হঠাতই এই মামলা সাজানো নয় তো? অভিযোগ, এক বছর আগে শিবঠাকুরকে গলা টিপে মারার চেষ্টা করেছিলেন অনুব্রত মণ্ডল!যেদিন অনুব্রতকে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার ছাড়পত্র পায় ইডি, সেদিনই শিবঠাকুরের মনে হয়েছে, অনুব্রতর বিরুদ্ধে এবার থানায় অভিযোগ দায়ের করতে হবে! তার ভিত্তিতেই এখন অনুব্রত দিল্লির পরিবর্তে নিজের জেলা বীরভূমে! জেলের পরিবর্তে পুলিশি হেফাজতে! জোরালভাবে প্রশ্ন উঠছে। তাহলে অনুব্রত মণ্ডলের দিল্লি যাওয়া রুখতেই কি শিবঠাকুরকে দিয়ে অভিযোগ দায়ের করানো হয়েছে ? পুরোটাই কি পরিকল্পিত চিত্রনাট্য় ? খোদ অভিযোগকারী শিবঠাকুর মণ্ডলের কথাতেও উঠে এসেছে একাধিক অসঙ্গতি!এরই মধ্যে দীপক মণ্ডল নামে এক ব্যক্তি, যিনি নিজেকে শিবঠাকুরের দূরসম্পর্কের কাকা বলে পরিচয় দিচ্ছেন, তিনি দাবি করেন,“মনে হয় এটা ওর সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন কথা। চক্রান্ত করে অনুব্রত মণ্ডলের দিল্লি যাত্রা আটকানোর জন্যই মনে হয় ওকে কিছু টাকা-পয়সা দিয়ে এই এফআইআর করিয়ে নিয়েছে।”

    আরও পড়ুন: বছরটা বাংলাতেই কাটছে অনুব্রতের! পরবর্তী শুনানি পর্যন্ত দিল্লি যাত্রায় স্থগিতাদেশ হাইকোর্টের

    শিবঠাকুর প্রসঙ্গে দীপক

    শিবঠাকুর প্রসঙ্গে দীপক মণ্ডল বলেন, “প্রচুর দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত ছিল। প্রচুর টাকা নয়-ছয় করেছে। এলাকার মানুষকে চাকরি দেওয়ার নাম করে অনেকের থেকে টাকাও নিয়েছে। বিভিন্ন দফতরে চাকরি দেওয়ার নাম করে টাকা আত্মসাৎ করেছে।” দীপক মণ্ডলের দাবি, সেই প্রতারিতদের তালিকায় তিনি নিজেও রয়েছেন। তাঁর ছেলের চাকরি দেওয়ার নাম করে শিবঠাকুর দেড় লাখ টাকা নিয়েছেন । শিবঠাকুরের সঙ্গে অনুব্রত মণ্ডলের সম্পর্কের বিষয়ে দীপক বলেন, “অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে তাঁর একেবারে দারুণ ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক। অনুব্রত যে ওনাকে মারতে যাবেন, তা আমি একেবারেই বিশ্বাস করতে পারছি না।” অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে শিবঠাকুরের একটি ‘বিরাট যোগসূত্র’ রয়েছে বলেই দাবি করেন দীপক। যদিও দীপকের দাবি উড়িয়ে দেন শিবঠাকুর।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Covid 19 Update: ফের করোনা-ঢেউয়ের ভ্রুকুটি! রাজ্যে কোভিড নজরদারিতে বিশেষ কমিটি

    Covid 19 Update: ফের করোনা-ঢেউয়ের ভ্রুকুটি! রাজ্যে কোভিড নজরদারিতে বিশেষ কমিটি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বুধবার নবান্ন সভাঘরে গঙ্গাসাগর মেলার প্রস্তুতি বৈঠকে চিনের সাম্প্রতিক করোনা পরিস্থিতির কথা শুনে উদ্বেগ প্রকাশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণনস্বরূপ নিগমকে এ নিয়ে নজরদারি চালানোর নির্দেশ দিলেন তিনি। চিনের বর্তমান পরিস্থিতির কথা শুনে বৈঠকে মমতা বলেন, ‘‘আমাদের স্বাস্থ্য দফতরকে একটু খবর রাখতে বলব। চিনে যে ভাবে ছড়াচ্ছে… যাঁরা এই রোগটি সম্পর্কে বোঝেন, তাঁদের নিয়ে একটি টিম গঠন করুন।’’ মুখ্যমন্ত্রীই জানিয়ে দেন, ওই দলে কারা কারা থাকবেন। তিনি বলেন, ‘‘ওই টিমটাকে নেতৃত্ব দেবেন স্বাস্থ্যসচিব। থাকবেন ডিএম, ডিএইচএসও।’’

    রাজ্যে করোনা নজরদারিতে নতুন কমিটি

    চিনে করোনা সংক্রমণ নিয়ে সতর্ক কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকও। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রের তরফে রাজ্যগুলিকে সতর্ক থাকার কথা বলা হয়েছে। এ রাজ্যেও পরিস্থিতির উপর নজর রাখার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার এ নিয়ে তিনি একটি কমিটি গড়ার নির্দেশ দিয়েছেন। সেই নির্দেশ মতো নজরদারি কমিটিও গঠন করেছে স্বাস্থ্য দফতর। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মেনেই ওই কমিটির মাথায় রাখা হয়েছে রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিবকে। এ ছাড়াও ওই কমিটিতে করোনা চিকিৎসার অভিজ্ঞতা রয়েছে এমন কোভিড বিশেষজ্ঞদের রাখা হবে। 

    আরও পড়ুন: ‘ভিড়ে মাস্ক পরুন, বুস্টার ডোজ নিন’, চিনে করোনার বাড়বাড়ন্তর পরই পরামর্শ কেন্দ্রের

    স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবারই বৈঠকে বসতে পারে ওই কমিটি। কোভিড পরিস্থিতির বিষয়টি নজরে রেখে ভবিষ্যতে কী কী নির্দেশিকা জারি করা যেতে পারে, এই বৈঠকে তা নিয়ে আলোচনার সম্ভাবনা রয়েছে। মাস্ক পরা, শারীরিক দূরত্ববিধি বজায় রাখার মতো নিয়মের উপর আবার জোর দেওয়া নিয়েও আলোচনা হতে পারে। পৌনে তিন বছর পর গত শনিবার রাজ্যে দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা শূন্যে নেমে গিয়েছিল। এর পর মঙ্গলবারই রাজ্যে সাত জন করোনা আক্রান্তের হদিস মেলে। মৃত্যুও হয় এক জনের।

    কেন্দ্রের সতর্কতা

    কোভিডের চোখ রাঙানিতে উদ্বেগ বাড়ছে জাপান, কোরিয়া ও আমেরিকায়। বিপদের আঁচ পৌঁছে গিয়েছে ভারতেও। চিনে যে ওমিক্রন সাব ভ্যারিয়েন্ট তাণ্ডব চালাচ্ছে, সেই বিএফ.৭-র হদিশ মিলেছে এ দেশে। ওড়িশার একজন, আর গুজরাটে দু’জনের শরীরে পাওয়া গিয়েছে নয়া প্রজাতির ভাইরাস। স্রেফ রাজ্যগুলিকে সতর্ক করা নয়, এদিন করোনা পরিস্থিতি নিয়ে জরুরি বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য। ফের কিছু কিছু বিধিনিষেধ জারি করা যায় কি না, তা নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়। জিনোম সিকোয়েন্সিয়ের উপর জোর দিচ্ছে কেন্দ্র। রিপোর্ট পজিটিভ হলেই, নমুনা জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের জন্য পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Anubrata Mondal: বছরটা বাংলাতেই কাটছে অনুব্রতের! পরবর্তী শুনানি পর্যন্ত দিল্লি যাত্রায় স্থগিতাদেশ হাইকোর্টের

    Anubrata Mondal: বছরটা বাংলাতেই কাটছে অনুব্রতের! পরবর্তী শুনানি পর্যন্ত দিল্লি যাত্রায় স্থগিতাদেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাময়িক স্বস্তি! আপাতত বছরের শেষে আর দিল্লি যেতে হচ্ছে না গরু পাচার মামলায় অভিযুক্ত বীরভূমের দাপুটে তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলকে। অনুব্রতের  দিল্লি যাত্রার বিষয়ে প্রোডাকশন ওয়ারেন্টে স্থগিতাদেশ দিল দিল্লি হাইকোর্ট৷ সেখানে বলা হয়েছে, সেই আদালতে পরবর্তী শুনানি পর্যন্ত প্রোডাকশন ওয়ারেন্টে স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছে। দিল্লি হাইকোর্টে এই মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ৯ জানুয়ারি। এর ফলে শুধু বছরের শেষই নয়, আগামী বছরের শুরুটাও নিজের রাজ্যেই থাকতে পারবেন কেষ্ট।

    আদালতের স্থগিতাদেশ

    গরু পাচার মামলায় জেরার জন্য বীরভূমের দোর্দণ্ডপ্রতাপ তৃণমূল নেতাকে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার অনুমতি পেয়েছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED)। দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টের এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে মঙ্গলবার দিল্লি হাই কোর্টে (Delhi High Court) আবেদন জানান অনুব্রতর আইনজীবী। বুধবার সেই মামলাতেই স্বস্তি পেলেন তৃণমূল নেতা। জানানো হল, আপাতত তাঁকে দিল্লি নিয়ে যাওয়া যাবে না। প্রথমে মামলাটি দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি জয়রাম ভাম্বানির বেঞ্চে উঠেছিল। পরে অনুব্রতর আইনজীবী কপিল সিব্বলের আর্জি মেনে মামলার বেঞ্চ বদল হয়। বুধবারই বিচারপতি যশমীত সিং-এর বেঞ্চে শুনানি হয়। এদিন বিচারপতি জানান, পরবর্তী শুনানির দিন যা রায় দেওয়া হবে, তা জানার পরেই পরবর্তী পদক্ষেপ করতে হবে। তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটকেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তারা যাতে ই মেল করে দিল্লি হাইকোর্টকে লিখিত ভাবে জানায় যে, তারা এখনই প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট কাজে লাগাবে না। 

    আরও পড়ুন: ‘‘ডাকাতকে বাঁচাতে সরকার যা করছে, তাতে বিপদ বাড়ছে’’, অনুব্রত প্রসঙ্গে শুভেন্দু

    আগামী শুক্রবার থেকে দিল্লি হাইকোর্টে বড়দিনের ছুটি পড়ে যাচ্ছে। আদালত সূত্রে খবর, বিচারপতি যশমীত সিং নিজেও ছুটিতে যাচ্ছেন। অবকাশকালীন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হবে না। তাই শুনানির দিন কিছুটা পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। আগামী ৯ জানুয়ারি পরবর্তী শুনানি হবে। ফলে এবছর আর অনুব্রতর দিল্লি যাওয়ার কোনও সম্ভাবনা রইল না। বছরের শুরুটাও তিনি নিজ ভূমেই কাটাতে পারবেন। এর ফলে অনুব্রত অনেকটা সময় পেয়ে যাচ্ছেন বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • IPL Auction 2023: সাকিবকে দেড় কোটিতে নিয়ে কি ভুল করল কেকেআর?

    IPL Auction 2023: সাকিবকে দেড় কোটিতে নিয়ে কি ভুল করল কেকেআর?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাঠের লড়াইয়ে কলকাতা নাইট রাইডার্স বাকি দলগুলিকে কতটা টক্কর দেবে সেটা সময় বলবে। তবে ১৬তম আইপিএলের নিলামে (IPL Auction 2023) শাহরুখ খানের দল খুব একটা পাত্তা পেল না। নামী ক্রিকেটার বলতে একমাত্র শাকিব-আল-হাসানকেই শেষ বেলায় দেড় কোটি টাকা দিয়ে নিয়েছে কেকেআর। আর তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। কারণ, ২০২১ সালেও তো বাংলাদেশের অলরাউন্ডারটি কলকাতা নাইট রাইডার্সের জার্সি পরেছিলেন। কিন্তু আহামরি পারফরম্যান্স মেলে ধরতে না পারায় তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। গত বছর কোনও দল পাননি শাকিব। হঠাৎ করে এবার কেন তাঁর পিছনে দেড় কোটি টাকা ঢালতে গেল নাইট রাইডার্স, তা দেখে অনেকেই বিস্মিত।

    শাকিব কি পারবে?

    শাকিবের এখন নতুন করে কিছু দেওয়ার নেই। ২০১৪ সালে কেকেআরের চ্যাম্পিয়ন দলের সদস্য ছিলেন ঠিকই, কিন্তু আট বছর সময় পেরিয়ে গিয়েছে। এই শাকিব এখন ধারে নয়, নামের ভারে কাটে। ২০২২ সালে দেশের হয়ে ১৫টি টি-২০ খেলে ৩৪৯ রান করেছে। তার মধ্যে অর্ধশতরান তিনটি। উইকেটও তিনটি। পরিসংখ্যান মোটেও আকর্ষণীয় নয়। সেই কারণেই নিলামের শুরুতে তাঁর নাম ওঠার পর কোনও সাড়া মেলেনি। বাংলাদেশের অলরাউন্ডারটি অবিক্রিত থেকে গিয়েছিলেন। শেষ বেলায় কলকাতা নাইট রাইডার্স দেড় কোটি টাকা দিয়ে কিনে নেয় শাকিবকে।

    আরও পড়ুন: স্বল্প পুঁজিতেই ঘর গোছানোর চেষ্টা কলকাতা নাইট রাইডার্সের

    ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ইডেনের পিচে গ্রীষ্মকালীন আইপিএলে স্পিনাররা সুবিধা পায়। সেক্ষেত্রে শাকিবের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে। তাছাড়া তিনি ব্যাটও করতে পারেন। তাতে মিডল ও লোয়ার মিডল অর্ডার মজবুত হবে। আর আন্দ্রে রাসেলের নির্ভরতা কমানোর যে পরিকল্পনা কেকেআর টিম ম্যানেজমেন্ট নিয়েছে, তারই অঙ্গ হিসেবেই শাকিবকে রিক্রুট করা হল বলে ধারণা। তাছাড়া বিভিন্ন দেশের টি-২০ লিগে নিয়মিত খেলেন শাকিব। সেই অভিজ্ঞতাও কাজে লাগাতে চায় কলকাতা নাইট রাইডার্স। শাকিব একা নন, বাংলাদেশের আরেক তারকা ব্যাটার লিটন দাসকেও দলে নিয়েছে কেকেআর। লিটনকে তাঁর ন্যূনতম দর ৫০ লক্ষ টাকাতেই কেনে এপার বাংলার ফ্রাঞ্চাইজি। উল্লেখ্য সম্প্রতি এই লিটন দাসের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ দল দেশের মাটিতে ভারতকে হারিয়ে ওয়ানডে সিরিজ জিতেছে।

LinkedIn
Share