Author: শুভ্র চট্টোপাধ্যায়

  • FIFA World Cup: বিশ্ব-ফুটবলের যুদ্ধ কাতার ছাড়িয়ে কলকাতাতে! শহরের রাস্তায় প্রিয় তারকাদের ছবি

    FIFA World Cup: বিশ্ব-ফুটবলের যুদ্ধ কাতার ছাড়িয়ে কলকাতাতে! শহরের রাস্তায় প্রিয় তারকাদের ছবি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  ফুটবল বিশ্বকাপের (FIFA World Cup) জ্বর কাতার ছাড়িয়ে কলকাতাতে। শহরের বিভিন্ন রাজপথে সেই ছবি স্পষ্ট।। বাঙালির ফুটবল প্রেম নতুন নয়। মোহনবাগান-ইস্টবেঙ্গল, ঘটি-বাঙালির সারা বছরের লড়াই ভুলে আপাতত কলকাতার ফুটবলপ্রেমীরা মজেছেন মেসি- নেইমারদের নিয়ে। কেউ চাইছেন ব্রাজিল ষষ্ঠবার বিশ্বকাপ জিতুক। কেউ আবার বাজি ধরছেন মেসিদের হয়ে। রোনাল্ডোর পর্তুগাল কতদূর এগোবে তা নিয়েও চায়ের দোকানে চর্চা যেন রোজ নামচা।

    বিশ্বকাপ যেন বাড়তি উন্মাদনা

    দীর্ঘ বাধা পেরিয়ে শেষ পর্যন্ত বিশ্বকাপ (FIFA World Cup) কারা জিতবে তা জানতে আমাদের অপেক্ষা করতে হবে ১৮ই ডিসেম্বর পর্যন্ত। আপাতত রাত জেগে দৃষ্টিনন্দন ফুটবল তাড়িয়ে তাড়িয়ে উপভোগ করবে কলকাতা। শহরের আর্জেন্টিনা সমর্থকরা পাড়ার মোড়ে মোড়ে মেসির বড় বড় কাটাউট লাগিয়েছেন। পিছিয়ে নেই ব্রাজিলের সমর্থকরাও। গলি যেখানে রাজপথে মিশেছে সেই পর্যন্ত শুধুই হলুদ সবুজ পতাকায় মোড়া। বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণে যেন বিশ্বকাপ বাড়তি উন্মাদনা যোগ করেছে। আসলে এই এক মাসের জন্য চার বছর অপেক্ষা করতে হয়। কলকাতায় আর্জেন্টিনা ফ্যান ক্লাবের এক সদস্য বললেন, “এবার মেসির হাতেই কাপ উঠবে। আর্জেন্টিনা দলটা দুর্দান্ত। শক্তিশালী ডিফেন্স, অভিজ্ঞ গোলকিপারের পাশাপাশি আপ ফ্রন্টে অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়া, মেসির মতো তারকা থাকায় অনেক দলই দাঁড়াতে পারবে না। গত কয়েকবার আমরা হতাশ হয়েছি। আশা করছি মেসি আমাদের স্বপ্ন পূরণ করবে। সংগঠনের পক্ষ থেকে আর্জেন্টিনার ম্যাচ দেখার বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছে। লাগানো হয়েছে জায়েন্ট স্ক্রিন। আস্ত একটা ফ্যান পার্ক তৈরি করে ফেলেছি আমরা। একেবারে বিশ্বকাপের আমেজ পাওয়া যাবে এখানে বসে খেলা দেখলে।”

    আরও পড়ুন: কাতারে বিশ্বকাপে বিয়ার বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা, হতাশ সুরাপ্রেমীরা

    রীতি ভেঙে ফুটবল-যুদ্ধ

    এবারের বিশ্বকাপ (FIFA World Cup) কিছুটা রীতি ভেঙেই হচ্ছে নভেম্বর-ডিসেম্বরে। যা মূলত জুন জুলাই হয়ে থাকে কিন্তু কাতারের গরম থেকে বাঁচতে টুর্নামেন্টের সময় বদল করতে বাধ্য হয়েছে ফিফা। বৈভব ও বৃত্তের দিক থেকে এবারের বিশ্বকাপ অনেক এগিয়ে রয়েছে ঠিকই তবে প্রাণের স্পন্দন একটু কম। রয়েছে বিতর্ক। সবকিছুকেই সঙ্গী করে রবিবার ২০২২ বিশ্বকাপ ফুটবলের ঢাকে কাঠি পড়েছে। প্রথম ম্যাচে ইকুয়েডরের মুখোমুখি হয়েছিল আয়োজক দেশ কাতার। কিন্তু লাতিন আমেরিকার দেশটির কাছে ২-০ গোলে কাতার পরাজিত হয়েছে। বিশ্বকাপের ইতিহাসে প্রথম ম্যাচে আয়োজক দেশের পরাজয়ের ঘটনা নজির বিহীন। মঙ্গলবার নামছে অন্যতম ফেভারিট আর্জেন্টিনা। আপাতত সব ভুলে মেসি ম্যাজিকের প্রতীক্ষায় প্রহর গুনছে কলকাতাবাসী।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Indian Air Force: আদালতে জয় মেয়েদের! বায়ুসেনার ৩২ জন প্রাক্তন মহিলা অফিসার পাবেন পুরো পেনশন

    Indian Air Force: আদালতে জয় মেয়েদের! বায়ুসেনার ৩২ জন প্রাক্তন মহিলা অফিসার পাবেন পুরো পেনশন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আদালতে জয় ভারতীয় বায়ুসেনার ৩২ জন প্রাক্তন মহিলা অফিসারের। দীর্ঘ ১২ বছর ধরে সুপ্রিম কোর্টে মামলা চলার পরে মহিলাদের জন্য সমান হারে পেনশনের ব্যবস্থা করতে বায়ুসেনাকে নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। বাহিনী থেকে অবসরের পর একজন কর্মী যে পেনশন পেয়ে থাকেন, ওই ৩২জন মহিলা অফিসারকে সেই হারে পেনশন দিতে হবে বলে জানিয়ে দিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত।  একই সঙ্গে আগ্রহী মহিলাদের ফের চাকরিতে পুনর্বহাল করার পক্ষেও রায় দিয়েছে শীর্ষ আদালত। 

    আরও পড়ুন: নোটবন্দির সিদ্ধান্ত সুবিবেচনা প্রসূত, সুপ্রিম কোর্টে জানাল কেন্দ্র

    মামলা কী নিয়ে

    ৩২ জন প্রাক্তন বায়ুসেনা অফিসারকে শর্ট সার্ভিস কমিশনের অধীনে নিয়োগ করা হয়েছিল। নিয়োগের পর থেকে তারা চাকরির মেয়াদ বৃদ্ধির দাবি জানিয়ে আসছিলেন। যদিও বাহিনী তাদের দাবি মানতে অস্বীকার করে। পাঁচ বছর বাদে এই ৩২জন অবসর নিতে বাধ্য হন। যেহেতু শর্ট সার্ভিস কমিশনের অধীনে নিয়োগ, তাই নিয়ম অনুসারে তারা পেনশনের সুবিধা পাওয়ার অধিকারী নন। এরপর ওই ৩২ জন মহিলা বায়ুসেনা আধিকারিক এই মামলা দায়ের করেছিলেন। বায়ুসেনার নিয়ম অনুযায়ী, মহিলারা সারাজীবন সেনাবাহিনীতে কাজ করতে পারবেন না। নির্দিষ্ট সময়ের মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে বাধ্যতামূলকভাবে তাঁদের অবসর নিতে হবে। আদালতে মামলাকারী এই ৩২ জন মহিলা আধিকারিক জানিয়েছিলেন, মেয়াদ শেষ হয়ে গেলেও বায়ুসেনাতে কাজ করতে ইচ্ছুক ছিলেন তাঁরা। 

    আরও পড়ুন: জোর করে ধর্মান্তকরণ, গুরুতর বিষয়! পদক্ষেপ নিক কেন্দ্র, অভিমত সুপ্রিম কোর্টের

    আদালতের রায়

    বুধবার সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে,আগ্রহী ও সক্ষম থাকলে মহিলা আধিকারিকরাও সারাজীবন বায়ুসেনাতে কাজ করতে পারবেন। তাঁদের পুরোপেনশন দেওয়ার কথাও বলা হয়েছে। অন্তত কুড়ি বছর সেনাবাহিনীতে কাজ করার পরে আধিকারিকরা যে হারে পেনশন পান, সেই হারেই মামলাকারীদের পেনশন দিতে হবে। আদালতের রায়ে খুশি ওই মহিলা অফিসারেরা। তাঁদের আশা, আগামী দিনে বায়ুসেনাতে যোগ দিয়ে সারাজীবন কাজ করতে পারবেন মেয়েরা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • No Jobs in Bengal: আগে কাজ জোটাত কলকাতা, এখন মজুর খাটতে বাঙালি যাচ্ছে মিজোরামেও

    No Jobs in Bengal: আগে কাজ জোটাত কলকাতা, এখন মজুর খাটতে বাঙালি যাচ্ছে মিজোরামেও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলায় কাজ নেই তাই রোজগারের আশায় উত্তর-পূর্বের পাহাড়ি রাজ্যে পাড়ি দিয়েছিলেন পাঁচ তরতাজা বাঙালি যুবক। সেখানেই পাথর-খাদানে ধস নেমে সমাধিস্থ হলেন নদিয়া জেলার চার বাসিন্দা। তেহট্ট কালীতলা পাড়ার বুদ্ধদেব মণ্ডল (২৫), মিন্টু মণ্ডল (২২) ও রাকেশ বিশ্বাস (২১) এবং চাপড়া পিঁপরেগাছির বাসিন্দা মদন দাস। মৃতদের মধ্যে রয়েছেন উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালির ঢোলখালি গ্রামের বাসিন্দা সুব্রত রপ্তান (২৪)। একটি ঠিকাদার সংস্থার অধীনে মিজোরামে জাতীয় সড়ক নির্মাণের কাজ  করতে যান তাঁরা। রাস্তা নির্মাণের সময় খাদান থেকে পাথর আনার কাজ করছিলেন ১৩ জন। তাঁদের মধ্যেই ছিলেন বুদ্ধদেবরা।

    মৃতদের পরিচয়

    টাকি গভর্নমেন্ট কলেজ থেকে স্নাতক হয়েছিলেন বছর চব্বিশের সুব্রত রপ্তান। তেমন কোনও চাকরি না পেয়ে পরিবারের আর্থিক অনটন মেটাতে শ্রমিকের কাজ জোগাড় করে চলে যান ভিন্‌ রাজ্যে। ছেলে কাজ পাওয়ায় পরিবারের কিছুটা আর্থিক সুরাহা হয়েছিল। আগে ঝাড়খণ্ডে পাথর খাদানে কাজ করেছেন। দুর্গাপুজোয় বাড়ি এসেছিলেন। ভাইফোঁটার পরে ফের কাজে যান। এবার গন্তব্য ছিল মিজোরাম। সুব্রতের বাবা শ্যামল তামিলনাড়ুতে শ্রমিকের কাজ করেন। দুই দিদির বিয়ে হয়ে গিয়েছে। বাড়িতে মা মালতি একাই থাকেন। কিন্তু এখন সব শেষ। সোমবার সন্ধ্যায় সুব্রতর এক বন্ধু বাড়িতে দুর্ঘটনার খবর দেন। এবার সুব্রতর নিথর দেহ কফিনবন্দি হয়ে সন্দেশখালির গ্রামের বাড়িতে ফিরবে। সুব্রতর কাকিমা অনিমা রপ্তান বলেন, ‘‘কোনও কাজ না পেয়ে সুব্রত শ্রমিকের কাজে যেতে বাধ্য হয়েছিল। দেহ বাড়িতে আনার ক্ষমতাও নেই ওঁদের।’’ 

    একুশ বছরের ছেলে রাকেশ বিশ্বাসকে হারিয়ে বাবা কালু বিশ্বাসের কান্নায় ভেঙে পড়েন। তিনি বলেন, ‘‘এখানে কোনও কাজ পাচ্ছিল না। তাই ওরা কাজে যায়। ওর জামাইবাবুর সঙ্গে রবিবার শেষ কথা হয়। আজ এই খবর পেলাম।’’ বুদ্ধদেবের বাবা মধুসূদন মণ্ডলের বক্তব্য, ‘‘ঠিকাদার সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করে কাজে গিয়েছিল। তার পর আর কোনও যোগাযোগ হয়নি। আজ ঠিকাদার সংস্থার তরফ থেকে খবর পেয়ে জানতে পারলাম যে,ও আর বেঁচে নেই।’’ওই ঠিকাদারি সংস্থায় কাজ করতেন স্থানীয় আরেক যুবক অমিত মণ্ডল। তিনি ছুটিতে বাড়ি ফিরেছিলেন। দুপুরে তাঁকেই ফোন করে মৃত্যুর খবর দেন সংস্থার কোনও আধিকারিক। অমিত জানান, ‘‘ছুটিতে বাড়ি না এলে আমারও হয়তো একই ভাবে মৃত্যু হত।’’

    চাকরির সন্ধানে সুকতলা ক্ষয়ে যায়

    শিক্ষিত বাঙালি যুবকদের কি এই পরিণতিই ভবিতব্য? ভিন্‌ রাজ্যে পরিযায়ী শ্রমিক হয়ে কাজে গিয়ে প্রাণ হারানো। এই ঘটনাই প্রথম নয় এবং দুর্ভাগ্যবশত এটাই শেষ ঘটনা হবে এমনটা নয়। এক বছরেই রয়েছে এমন বহু করুণ ঘটনা।

    ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২২: ভিন রাজ্যে কাজ করতে গিয়ে পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় উত্তর দিনাজপুর জেলার চার পরিযায়ী শ্রমিকের। মৃত শ্রমিকদের নাম হাকিমুল শেখ, আব্দুল্লা শেখ, মহম্মদ রাহুল ও মকিম আলম। এঁদের মধ্যে তিন জনের বাড়ি উত্তর দিনাজপুর জেলার চাকুলিয়া থানার সিরসি গ্রামে এবং একজনের বাড়ি ডুমুরিয়া এলাকায়। মধ্যপ্রদেশের ঝাঁসি স্টেশন থেকে কিছুটা দূরে পিক-আপ ভ্যান উল্টে গিয়ে তাঁদের মৃত্যু হয়। চার জনেই পরিযায়ী শ্রমিক হয়ে মধ্যপ্রদেশ গিয়েছিলেন।

    ১৮ এপ্রিল, ২০২২: দক্ষিণ কর্নাটকের বাজপেয়ী থানা এলাকায় শ্রী উল্কা লিমিটেড নামে এক মাছের সংস্থায় কর্মরত ছিলেন দেগঙ্গার প্রায় ৩০ জন বাসিন্দা। সেখানে প্যাকেজিং এর কাজ করতেন তাঁরা। এদের মধ্যে কয়েকজন একটি ম্যানহোলে ড্রেন পরিস্কার করতে নেমেছিলেন। ম্যানহোলের ভিতরে বিষাক্ত গ্যাসের কবলে পড়েন তাঁরা। মৃতরা হলেন ওমর ফারুক(৩১), সামিউল ইসলাম(১৭) নুর নগর গ্রাম পঞ্চায়েতের ফাজিলপুরের বাসিন্দা, নিজামুদ্দিন সাহাজি (১৯) আমুলিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের রায় পুরের বাসিন্দা, সরাফাতা আলি (২২) ও মিরাজুল ইসলাম (২৩) দেগঙ্গা এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের দোগাছিয়ার বাসিন্দা।

    ১২ মে, ২০২২: মুর্শিদাবাদের হরিহরপাড়া থানার প্রদীপ ডাঙা বেলতলা পাড়া এলাকার বছর কুড়ির বাসিন্দা কবিরুল শেখ বেঙ্গালুরুতে পাইপ লাইনের কাজে গিয়েছিলেন। ওই পরিযায়ী শ্রমিক কাজের সাইটে পাইপ লাইনের কাজ করছিলেন একটি বাড়ির দ্বিতীয় তলায়। সেই সময় কাজ করতে গিয়েই তিনি কোনওভাবে বিদ্যুতের তারের উপর পড়ে যান। তাঁর হাতে ছিল লোহার পাইপ। বিদ্যুতের তারে পড়ে গিয়েই বিদ্যুৎপৃষ্ট হন তিনি। অন্যান্য শ্রমিকরা তাঁকে উদ্ধার করে স্থানীয় স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যান। চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

    ২৮ মে, ২০২২: পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী, মুর্শিদাবাদের জলঙ্গী ব্লকের ফরিদপুর অঞ্চলের ইদুল হাসান (৫২) কেরলে প্রেম্বাবুর থানা এলাকায় মারা যান। পরিযায়ী শ্রমিকের কাজ করতেন তিনি।

    ১০ জুন, ২০২২: মুর্শিদাবাদের ভগবানগোলা থানার রামগড় পূর্ব হাট পাড়ার বাসিন্দা মোহনলাল মহলদার (২৩) মৃত্যু হল গুজরাটে পরিযায়ী শ্রমিকের কাজ করতে গিয়ে। গুজরাটের জামনগর অডিনার জেটিতে নির্মাণ শ্রমিক হিসেবে কাজে গিয়েছিলেন মোহনলাল। জেটির ওপর কাজ করার সময় অসাবধানতার ফলে মাথায় রডের আঘাত লেগে জেটির ওপর থেকে সমুদ্রে পড়ে যান উনি। অন্যান্যরা উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

    ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২২: বীরভূমের নলাহাটি থানার শীতল গ্রামের বাসিন্দা পিন্টু মাল (২৮) মুম্বইয়ের একটি আবাসনে পরিযায়ী শ্রমিকের কাজ করছিলেন। সেই সময়ে মাথায় খসে পড়ল চাঙর। আহত অবস্থায় সঙ্গে সঙ্গে পিন্টুকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তাঁকেও মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা।

    ৭ নভেম্বর, ২০২২: নামখানা ব্লকের হরিপুর এলাকার বাসিন্দা রাজেশ মণ্ডল, কেরলে পরিযায়ী শ্রমিকের কাজ করতে গিয়ে লিফট থেকে পড়ে গিয়ে মারা যান। রাজেশ যে বহুতলে কাজ করছিলেন সেই বহুতলের লিফটের একটি তার ছিঁড়ে যায়। সহকর্মীরা তড়িঘড়ি রাজেশকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

    আরও পড়ুন: সীমান্তে ‘বিপজ্জনক’ ২৩৩ মাদ্রাসার হদিশ রাজ্য গোয়েন্দা বিভাগের, নবান্ন চুপ

    হিমশৈলের চূড়া মাত্র

    এরকম ঘটনা প্রতিনিয়ত ভুরি ভুরি ঘটছে। যে ঘটনাগুলির উল্লেখ করা হয়েছে তা হিমশৈলের চূড়া মাত্র। ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে বাংলার প্রায় ৪০ লক্ষ মানুষ পরিযায়ী শ্রমিকের কাজে নিযুক্ত। এতদিন জানা যেত যে গুজরাট, তামিলনাড়ু, কেরল, কর্ণাটক, মহারাষ্ট্র হলো বেশির ভাগ পরিযায়ী শ্রমিকদের গন্তব্য। মিজোরামের পাথর খাদানের দুর্ঘটনা বাংলার কর্মসংস্থানের দৈন্যদশা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল। দক্ষিণ মিজোরামের যে প্রত্যন্ত এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটেছে সেখানে কলকাতা থেকে পৌঁছতেই লেগে যাবে প্রায় ৩-৪ দিন। আজ বাঙালির দুর্ভাগ্য যে প্রাণ হাতে নিয়ে এই রকম সুদূর দুর্গম এলাকায় ছুটে যেতে হচ্ছে রুজি রোজগার ও সংসারের অনটন মেটানোর জন্য। মিজোরাম কর্মসংস্থান যোগাচ্ছে বাংলাকে, এটাই হচ্ছে সাড়ে তিন দশকের বামফ্রন্ট শাসনের ও সাড়ে ১১ বছরের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজত্বের প্রাপ্তি।

    সত্যই মানবিক!

    মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের “মানবিক” মুখ কিন্তু এই ঘটনাতেও প্রচারের আলোয়। ট্যুইট করে উনি সমবেদনা জানিয়েছেন ও শোকপ্রকাশ করেছেন; ‘‘মিজোরামে পাথরখাদানে ধস নেমে পশ্চিমবঙ্গের পাঁচ শ্রমিক-সহ মোট ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনায় আমি গভীরভাবে শোকাহত। আমরা পাঁচ শ্রমিকের দেহ আনার ব‌্যাপারে মিজোরাম সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি। মৃতদের পরিবারকে সবরকম সহযোগিতার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। যাঁরা প্রিয়জনকে হারিয়েছেন, তাঁদের প্রতি আমার সমবেদনা।’’

    মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরেই মঙ্গলবার সুব্রতর বাড়িতে আসেন সন্দেশখালি পঞ্চায়েতের প্রধান দিলীপ মল্লিক, সন্দেশখালি ২ যুগ্ম বিডিও অর্ক মান্ডি। বিডিও অর্ণব মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘জেলা প্রশাসন উদ্যোগ নিয়েছে, দেহ বিমানে করে এ রাজ্যে আনার। পরিবারটি যাতে ক্ষতিপূরণ পায়,তা প্রশাসন দেখছে।’’অর্থাৎ যে বিএ পাস করা যুবক কাজের অভাবে ৩-৪ দিনের পথ অতিক্রম করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পাথর খাদানে কাজ করতে গিয়ে মারা গেলো তার নিথর দেহ কয়েক ঘণ্টায় বিমানে করে কলকাতায় এনে বাড়ি পৌঁছে দিয়েই সরকার তার দায়িত্ব পালন করে ফেলবেন এবং হয়তো আগামী বছরের কোনো “স্কচ অ্যাওয়ার্ড” পেয়ে যাবেন এতটা মানবিক হওয়ার জন্য।

    কোটি টাকার প্রশ্ন

    এই সরকারই দাবি করে যে পশ্চিমবঙ্গে নাকি চল্লিশ শতাংশ কর্মসংস্থান বৃদ্ধি হয়েছে। খাতায় কলমে হয়তো হয়েছে, কিন্তু বাস্তবে তার প্রতিফলন কোথায়? এমন দুর্ঘটনার খবর রোজ প্রকাশিত হয় না, কারণ তা মূলধারার সংবাদমাধ্যমের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হয় না। যদি প্রতিদিন এমন খবর খোঁজ নিয়ে প্রকাশিত করা যেত তাহলে জনমানসে তার প্রভাব ফেলতে কোনো মাতঙ্গিনী হাজরার মূর্তি প্রাঙ্গণ, গান্ধী মূর্তির পাদদেশ অথবা করুণাময়ীর বিকাশ ভবনের সামনে অনশন বিক্ষোভ কর্মসূচি করতে লাগতো না। বেকারত্বের এমন বিজ্ঞাপন বাঙালিদের বিবেকবোধকে নাড়িয়ে দিত।

    বাঙালির এই দুর্দশা কবে ঘুচবে তা কেউ জানে না। সরকার বদলে গেলেও প্রায় ৫০ বছরের এই গভীর ক্ষত সরিয়ে তুলতে যে সময় ব্যয় হবে তাতে আর কটা প্রজন্মকে ভুগতে হবে সেটাই কোটি টাকার প্রশ্ন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Match Fixing in Football: ম্যাচ গড়াপেটার ছায়া ভারতীয় ফুটবলে! তদন্তে সিবিআই

    Match Fixing in Football: ম্যাচ গড়াপেটার ছায়া ভারতীয় ফুটবলে! তদন্তে সিবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বকাপ জ্বরে কাঁপছে কাতার থেকে কলকাতা। উন্মাদনায় ভাসছে ফুটবল প্রেমীর দল, তখনই খারাপ খবর। ভারতীয় ফুটবলের ম্যাচ গড়াপেটার (Match Fixing) কালো ছায়া! এর জেরে পাঁচ ভারতীয় ক্লাবের বিরুদ্ধে তদন্তে নেমেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই। আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রের নামী বেটিং সংস্থার তরফে মোটা অঙ্কের টাকা নিয়ে ঘুরপথে গড়াপেটাতে বিনিয়োগ করা হয়েছে বলে অভিযোগ।

    কী অভিযোগ

    ভারতীয় ফুটবলের একটি ম্যাচে গড়াপেটার (Match Fixing) হয়েছে বলে অভিযোগ। আরও অভিযোগ, ৫টি ক্লাবে এক ম্যাচ ফিক্সার বিপুল পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ করেছে। এরই তদন্ত চালাচ্ছে সিবিআই। তদন্তকারীরা এআইএফএফের সদর দফতরে গিয়ে নথি সংগ্রহও করেছেন। সূত্রের খবর,এই তদন্তে যেই ব্যক্তির নাম উঠে এসেছে সে আগে আরও একাধিকবার গড়াপেটা করেছে বলে অভিযোগ। সিঙ্গাপুরের উইলসন রাজ পেরুমল ১৯৯৫ সালে ম্যাচ গড়াপেটার জন্য তার জেল হয়েছিল। ছাড়া পেয়ে ফের তিনি ম্যাচ গড়াপেটার কাজ শুরু করেন। এবার তার নজরে ভারত।  অতীতে অলিম্পিক্স, বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জনকারী ম্যাচ, মহিলাদের বিশ্বকাপ, কনকাফ গোল্ড কাপ ও আফ্রিকান নেশানস কাপে ম্যাচ গড়াপেটা করেছে পেরুমল। এই প্রসঙ্গে এআইএফএফ সচিব শাজি প্রভাকরণ বলেন, “ফুটবলে এধরনের কোনও অপরাধমূলক কাজকে প্রশ্রয় দেয় না ফেডারেশন। আমরা সিবিআইকে তদন্তে পূর্ণ সহায়তা করব। যে ক্লাবগুলির নাম জড়িয়েছে, তাদেরও তদন্তে সাহায্যের আরজি জানানো হয়েছে।” যে সমস্ত কোম্পানি ফুটবলার ও টেকনিক্যাল স্টাফ নিয়োগের সঙ্গে যুক্ত, তাদের পাশাপাশি আর কোন এজেন্সি, স্পনসরশিপের সঙ্গে যুক্ত ছিল ক্লাবগুলি, তার বিস্তারিত তথ্য চেয়ে প্রতিটি ক্লাবকে আলাদা করে চিঠিও পাঠিয়েছে সিবিআই। 

    আরও পড়ুন: বিশ্ব-ফুটবলের যুদ্ধ কাতার ছাড়িয়ে কলকাতাতে! শহরের রাস্তায় প্রিয় তারকাদের ছবি

    অভিযুক্ত ইন্ডিয়ান অ্যারোজ

    কোন কোন ক্লাবের নাম গড়াপেটার (Match Fixing)সঙ্গে জড়িয়েছে, তা বিস্তারিত জানানো হয়নি। তবে পাঁচটি ক্লাবই আই-লিগে খেলেছে বলে জানা গিয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে আই লিগের প্রাক্তন ক্লাব ইন্ডিয়ান অ্যারোজও। ভারতীয় ফুটবলে ম্যাচ গড়াপেটার অভিযোগ নতুন না হলেও কীভাবে ইন্ডিয়ান অ্যারোজ সন্দেহের তালিকায় পড়ল সেটাই অবাক করছে অনেককে। কেন না, এটি এআইএফএফের দল, ওড়িশা সরকারও এই দল চালাতে অর্থ দিতো। চার বছর ধরে এখানে কোনও বিদেশি প্লেয়ার বা সাপোর্ট স্টাফও ছিল না। তবে এই দলের সঙ্গে যুক্ত কারও মাধ্যমেই সন্দেহজনক কিছু ঘটে থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • IPL Trading Window: ১৬ জন ক্রিকেটারকে ছেড়ে দিল কেকেআর, নিলামে হাতে রইল সাড়ে সাত কোটি

    IPL Trading Window: ১৬ জন ক্রিকেটারকে ছেড়ে দিল কেকেআর, নিলামে হাতে রইল সাড়ে সাত কোটি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আসন্ন আইপিএলে (IPL Trading Window) কলকাতা নাইট রাইডার্স এর চেহারা অনেকটাই বদলে যাচ্ছে। কারণ গতবারের দলের ১৬ জন ক্রিকেটারকে ছেড়ে দিয়েছে কেকেআর। তালিকাটা বেশ দীর্ঘ। প্যাট কামিন্স থেকে অ্যারন ফিঞ্চ, আলেক্স হেলস থেকে আজিঙ্কা রাহানের মতো তারকাদের বেগুনি জার্সি গায়ে হয়তো পরের আইপিএলে খেলতে দেখা যাবে না। ডিসেম্বরে রয়েছে আইপিএলের মিনি নিলাম। সেখানে ক্রিকেটার কেনা বেচার জন্য কলকাতার নাইট রাইডার্স এর হাতে রয়েছে সাড়ে সাত কোটি টাকা। তারমধ্যে তিনজন বিদেশি ক্রিকেটারের স্লট পূরণ করতে হবে। নিতে হবে টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানও। স্বাভাবিক ভাবেই শক্তিশালী দল গঠনে ক্ষেত্রে স্বল্প পুঁজি অন্তরায় হয়ে দাঁড়াতে পারে, কেকেআর টিম ম্যানেজমেন্টের কাছে।

    তালিকা প্রকাশের শেষ দিন

    ক্রিকেটার ধরে রাখার তালিকা প্রকাশের (IPL Trading Window) শেষ দিন ছিল মঙ্গলবার। কলকাতা নাইট রাইডার্স থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন স্যাম বিলিংস। সেই পথে হাঁটেন পেট কামিন্স, অ্যালেক্স হেলস, অ্যারন ফিঞ্চের মতো বিদেশি ক্রিকেটাররা। তাদের প্রত্যেকেরই লক্ষ্য ২০২৩ একদিনের বিশ্বকাপ। আজিঙ্কা রাহানেকে যে শাহরুখের দল রাখবে না সেটা বোঝাই যাচ্ছিল। গতবার এক কোটি টাকা দিয়ে মুম্বাইয়ের ক্রিকেটারটিকে দলে নিয়েছিল কেকেআর। তবে রাহানের পারফরম্যান্স প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেনি। একইসঙ্গে সেল্ডন জ্যাকসন, শিবম মাভি, আফগানিস্তানের মোহাম্মদ নবি ও শ্রীলঙ্কার চামিকা করুণা রত্নেকেও দলে রাখেনি কেকেআর। তবে শ্রেয়াস আয়ারের অধিনায়কত্বে এবারও খেলতে দেখা যাবে সুনীল নারিন, আন্দ্রে রাসেলদের। ট্রেডিং উইন্ডোতে অন্য দল থেকে শার্দুল ঠাকুর, লকি ফার্গুশন ও গুজরাত টাইটান্সের উইকেট রক্ষক ব্যাটসম্যান রহুল্লাহু গুরবাজকে দলে নিয়েছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। নিলামে কেকেআর কে বিশেষ জোর দিতে হবে টপ অর্ডার ব্যাটিং ও উইকেট রক্ষক নেওয়ার দিকে। পাশাপাশি দেশের পেশারদের দিকে নজর থাকবে শাহরুখ খানের দলের। তবে হাতে খুব বেশি অর্থ না থাকায় কতটা শক্তিশালী দল কলকাতা নাইট রাইডার্স গড়ে তুলতে পারবে তা নিয়ে সন্দেহ থেকেই যাচ্ছে।

    আরও পড়ুন: নেই কামিন্স, এলেন শার্দুল! কলকাতা নাইট রাইডার্সে নতুন মুখ

    কেকেআর ছেড়ে দেয়: প্য়াট কামিন্স, স্যাম বিলিংস, আমন খান, শিবম মাভি, মহম্মহ নবি, চামিকা করুণারত্নে, অ্যারন ফিঞ্চ, অ্যালেক্স হেলস, অভিজিৎ তোমর, অজিঙ্কা রাহানে, অশোক শর্মা, বাবা ইন্দ্রজিৎ, প্রথম সিং, রমেশ কুমার, রশিখ সালাম ও শেল্ডন জ্যাকসনকে।

    কেকেআর ধরে রাখে: শ্রেয়স আইয়ার, নীতিশ রানা, বেঙ্কটেশ আইয়ার, আন্দ্রে রাসেল, সুনীল নারিন, উমেশ যাদব, টিম সাউদি, হর্ষিত রানা, বরুণ চক্রবর্তী, অনুকূল রায় ও রিঙ্কু সিংকে।

  • Delhi-Mehrauli Murder: ধর্ম পরিবর্তনে রাজি না হওয়াতেই কি খুন শ্রদ্ধা? দিল্লির নৃশংস হত্যাকাণ্ডে নয়া মোড়

    Delhi-Mehrauli Murder: ধর্ম পরিবর্তনে রাজি না হওয়াতেই কি খুন শ্রদ্ধা? দিল্লির নৃশংস হত্যাকাণ্ডে নয়া মোড়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাবা-মা কে ছেড়ে ভালবেসে ঘর ছেড়েছিলেন মহারাষ্ট্রের হিন্দু পরিবারের মেয়ে শ্রদ্ধা ওয়েলকার। সম্পর্ক গড়েছিলেন এক মুসলিম যুবকের সঙ্গে। আফতাব আমিন পুনাওয়ালার সঙ্গে লিভ-ইন করছিলেন। বিয়ের জন্য প্রেমিককে চাপ দেওয়াতেই তাঁকে খুন (Delhi-Mehrauli Murder) করে আফতাব। পুলিশকে তাই জানিয়েছে সে। কিন্তু শ্রদ্ধার বন্ধুর দাবি, লিভ-ইন ছেড়ে বিয়ের কথা বলতেই শ্রদ্ধাকে ধর্ম পরিবর্তন করতে জোর করে  আফতাব। তাতে মত দেয়নি শ্রদ্ধা। পরিবার ত্যাগ করলেও ধর্ম ছাড়তে হয়ত রাজি ছিলেন না তিনি। তাই এই পরিণতি। ধর্মান্তরণের বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশও। 

    শ্রদ্ধার বাবার দাবি

    আফতাব আমিন পুনাওয়ালার সঙ্গে আলাপ হওয়ার পরই তাঁর মেয়ে বদলে গিয়েছিল। এমনই দাবি করলেন দিল্লিতে নৃশংস হত্যার শিকার শ্রদ্ধার বাবা বিকাশ মদন ওয়েলকার। তাঁর দাবি, “শ্রদ্ধা খুব ভাল মেয়ে ছিল। ফ্যাশন ট্যাশন কিছু করত না। একদম সাধারণভাবে থাকত। যখন থেকে ও প্রথম চাকরি করা শুরু করেছিল এবং ওর সঙ্গে এই ছেলেটির দেখা হয়েছিল, তখন থেকেই লাইফস্টাইলে পরিবর্তন এসেছিল শ্রদ্ধার।” ভিন্ন ধর্ম, অন্য পরিবেশে বড় হয়ে ওঠা আফতাবের সঙ্গে সম্পর্কে যেতে দিতে রাজি ছিল না শ্রদ্ধার পরিবার। তাই বাড়ি ছাড়েন শ্রদ্ধা। কিন্তু বাড়ি ছাড়লেও শ্রদ্ধার বন্ধুর অনুমান, নিজের ধর্ম-ত্যাগ করতে রাজি ছিল না হিন্দু পরিবারের মেয়ে।  

    শ্রদ্ধার ছোটবেলার বন্ধু লক্ষ্মণ নাদার জানান, মাঝেমাঝেই শ্রদ্ধার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করত আফতাব।  সে কথা শ্রদ্ধা তাঁকে জানিয়েছিল। শ্রদ্ধাকে সে সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসার কথাও বলে। এমনকী, আফতাবকে ভয়ও দেখায় পুলিশকে জানিয়ে দেবে বলে। লক্ষ্মণ বলেন, আফতাব তখনই শ্রদ্ধার থেকে ক্ষমা চেয়ে নেয়। তারপর শ্রদ্ধাই লক্ষ্মণকে পুলিশে যেতে আটকায়। শ্রদ্ধার পরিবার সূত্রে খবর, মা ও বাবাকেও আফতাবের ব্যবহারের কথা জানিয়েছিল শ্রদ্ধা কিন্তু সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে রাজি ছিল না।

    আরও পড়ুন: দিল্লিতে হিন্দু লিভ-ইন পার্টনারকে খুন করে দেহ ৩৫ টুকরো করল মুসলিম যুবক

    তদন্তে নয়া দিক

    পুলিশকে জেরায় আফতাব জানিয়েছে খুনের এক সপ্তাহ আগে থেকেই পরিকল্পনা করেছিল সে। শ্রদ্ধা তাকে সন্দেহ করত। ফোনে কারুর সঙ্গে কথা বললে বিরক্ত হত। তার প্রতি শ্রদ্ধা অবিশ্বাস করত বলেই বিরক্ত হয়ে শ্রদ্ধাকে শেষ করার কথা ভাবে সে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শ্রদ্ধার দেহ মাটিতে পুঁতে দিলে বা কোথাও ফেললে ধরা পড়তে পারে এই আশঙ্কাতেই দেহ ৩৫ টুকরো করে ফ্রিজে রেখে দিয়েছিল আফতাব। পরে তা জঙ্গলে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পুঁতে ফেলা হয়েছিল। সেই সময়ও বাড়িতে নতুন বান্ধবীদের নিয়ে এসেছিল অভিযুক্ত আফতাব। ডেটিং অ্যাপ বাম্বেলেই তাঁদের সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল আফতাবের। এবার দিল্লি পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, কোন কোন মহিলার সঙ্গে আফতাবের সাক্ষাৎ হয়েছে সে সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য হাতে পেতে এবার বাম্বল ডেটিং অ্যাপকে চিঠি পাঠাতে পারে দিল্লি পুলিশ।  শ্রদ্ধা হত্যাকাণ্ডের (Delhi-Mehrauli Murder) পিছনে সেই মহিলাদের কোনও হাত ছিল কিনা সেই বিষয়টি খতিয়ে দেখতে চায় পুলিশ।

    পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, তদন্তের অগ্রগতির স্বার্থে প্রমাণ উদ্ধারের জন্য একাধিক দল মোতায়েন করা হয়েছে । সবার আগে শ্রদ্ধার শরীরের টুকরো অংশগুলি খুঁজে বের করতে চায় পুলিশ। এখনও পর্যন্ত শরীরের ১৩টি টুকরো পাওয়া গিয়েছে । বেশিরভাগই হাড় । এখনও ,মাথা, ধড় কিংবা শরীরের অন্য কোনও অংশ খুঁজে পাওয়া যায়নি, যা দেখে শ্রদ্ধাকে সনাক্ত করা যেতে পারে । মেহরাউলি জঙ্গলে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ । কিন্তু, এত বড়, ঘন জঙ্গলে শরীরের টুকরো অংশগুলি খুঁজে পাওয়া খুবই কঠিন বলে জানাচ্ছে দিল্লি পুলিশ। ছয় মাস হয়ে গিয়েছে শ্রদ্ধার শরীরের অংশ জঙ্গলে রয়েছে। তা পচে যেতে পারে বা কোনও প্রাণী খেয়ে ফেলতে পারে বলেও পুলিশের অনুমান।

    যে অস্ত্র দিয়ে শ্রদ্ধার দেহের (Delhi-Mehrauli Murder) টুকরো টুকরো করেছিল আফতাব, এখনও তা উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। পাশাপাশি, খুনের সময় আফতাবের রক্তমাখা জামারও খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ। জেরা চলাকালীন আফতাব পুলিশকে জানায়, আবর্জনার ভ্যানে সে তার রক্তমাখা জামাকাপড় ফেলে দিয়েছিল। এক সিনিয়র পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, কিছু প্রমাণ তাঁরা পেয়েছেন সেগুলি ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। এতটা সময়ের ব্যবধান যে তদন্তকে কঠিন করে তুলেছে, তা-ও মেনে নিয়েছেন তিনি। 

     

  • ITBP: আইটিবিপি কনস্টেবল পদে নিয়োগ, শূন্যপদ ২৯৩, জানুন বিস্তারিত

    ITBP: আইটিবিপি কনস্টেবল পদে নিয়োগ, শূন্যপদ ২৯৩, জানুন বিস্তারিত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যাঁরা দেশের জন্য কাজ করতে চান তাঁদের জন্যে সুখবর। কর্মী নিয়োগ করছে ইন্দো টিবেটিয়ান বর্ডার পুলিশ ফোর্স (ITBP)। মাধ্যমিক পাশে কেন্দ্রীয় সরকারের চাকরির জন্য এটি একটি সুবর্ণ সুযোগ ইন্দো তিব্বত বর্ডার পুলিশ বা আইটিবিপি কনস্টেবল পদে নিয়োগের অফিসিয়াল বিজ্ঞপ্তি আজকেই জারি করা হয়েছে। কনস্টেবল গ্রুপ সি নন গেজেটেড নন মিনিস্ট্রিয়াল পদে নিয়োগ হবে।

     শূন্যপদ 

    আইটিবিপি কনস্টেবল নিয়োগ ২০২২ সব পদ মিলিয়ে এখানে মোট শুন্য পদ ২৯৩ টি। হেড কনস্টেবল ১২৬টি। কনস্টেবল ১৬৭টি।

    আরও পড়ুন: ‘শান্তিকুঞ্জে’র সামনে ‘অশান্তি’ তৃণমূলের, সিবিআই চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ শুভেন্দু

    যোগ্যতা 

    মাধ্যমিক পাস হলে আবেদন করতে পারবেন। সাথে এক বছরের সার্টিফিকেট কোর্স পাস করে থাকতে হবে। হেড কনস্টেবল পদে নিয়োগের জন্য দ্বাদশ পাশ করতে হবে। সঙ্গে, অঙ্ক, পদার্থবিদ্যা, রসায়নে ৪৫ শতাংশ নম্বর থাকতে হবে। আইটিবিপি কনস্টেবল নিয়োগ অনলাইন আবেদন, বয়স, বেতন, যোগ্যতা বিস্তারিত সহ আইটিবিপি কনস্টেবল পদে কর্মী নিয়োগের জন্য অফিসিয়াল বিজ্ঞপ্তি ইতিমধ্যেই প্রকাশিত হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের যে কোনও জেলা থেকে আবেদন করতে পারবেন আইটিবিপি কনস্টেবল পদে।

    আরও পড়ুন: ‘দুয়ারে সরকার’ শিবিরেও চলতে পারে তৃণমূলের কাটমানি, সিন্ডিকেট-রাজ! আশঙ্কা খোদ রাজ্য প্রশাসনের 

    বয়স সীমা

    আইটিবিপি কনস্টেবল পদে চাকরি ২০২২ আবেদন করতে গেলে বয়স হতে হবে ১৮ থেকে ২৩ বছরের মধ্যে। তাছাড়া সরকারের নিয়ম অনুযায়ী ছাড়ের ব্যবস্থা রয়েছে বয়সের ক্ষেত্রে।

    আরও পড়ুন: বাংলায় গণতন্ত্র রক্তাক্ত, কাঁদছে, মুখ্যমন্ত্রীর ‘আবেদনে’র প্রেক্ষিতে পাল্টা দিলেন রিজিজু 
     
    নির্বাচন প্রক্রিয়া

    আইটিবিপি কনস্টেবল নিয়োগের জন্য আবেদন করতে হবে অনলাইনে নির্দিষ্ট অফিশিয়াল ওয়েবসাইট www.recruitment.itbpolice.nic.in থেকে।
    আইটিবিপি কনস্টেবল অনলাইন আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হবে ২৩ নভেম্বর থেকে। ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
  • Delhi Murder: ফ্রিজে বান্ধবীর টুকরো দেহ! সেই ঘরেই নতুন বন্ধুর সঙ্গে প্রেমালাপ আফতাবের

    Delhi Murder: ফ্রিজে বান্ধবীর টুকরো দেহ! সেই ঘরেই নতুন বন্ধুর সঙ্গে প্রেমালাপ আফতাবের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফ্রিজে বান্ধবীর টুকরো দেহ। সেই ঘরেই নতুন বান্ধবীর সঙ্গে প্রেমালাপ চালাত আফতাব পুনাওয়লা। একই সঙ্গে খুন করার পর সেই বান্ধবীকে জীবিত রাখতে তাঁর বন্ধুদের সঙ্গে ইনস্টাগ্রামে চলত বাক্যালাপ। ব্যবহার করা হত শ্রদ্ধার ক্রেডিট কার্ডও। মঙ্গলবারই, দিল্লি পুলিশ এক নৃশংস হত্যাকাণ্ডের কথা জানায়। লিভ ইনে থাকা হিন্দু বান্ধবীর দেহ ৩৫ টুকরো করে জঙ্গলে ফেলে দেয় এক মুসলিম যুবক। লাভ জিহাদ, সাইকো-কিলিং কোনও তকমাই যেন এই নৃশংসতার পিছনে খাটে না।

    তদন্তে প্রকাশ

    পুলিশ সূত্রে খবর, জেরায় আফতাব জানিয়েছে শ্রদ্ধাকে খুনের পর তাঁর ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট থেকে লগইন করেছিল সে। শ্রদ্ধা যে এখনও জীবিত তা প্রমাণ করার জন্য সঙ্গীর অ্যাকাউন্ট থেকে তাঁর বন্ধুদের ইনস্টাগ্রামে মেসেজ করত নিয়মিত। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান পরিকল্পনা ছাড়া এই নৃশংস খুন কোনওভাবেই সম্ভব নয়। জানা গিয়েছে, শ্রদ্ধাকে খুন করার পর তাঁর ক্রেডিট কার্ড বিলের টাকাও দিয়েছিল আফতাব। বিল না মেটানোয় কোনও ক্রেডিট কার্ড প্রদানকারী সংস্থা যাতে শ্রদ্ধার মুম্বইয়ের ঠিকানায় যোগাযোগ না করে, তা নিশ্চিত করতেই এই কাজ করেছিল আফতাব।

    সম্পর্কে তিক্ততা

    ২০১৯ সালে ডেটিং অ্যাপের সাহায্যে শ্রদ্ধার সঙ্গে আলাপ হয় আফতাবের। সেখান থেকেই সম্পর্ক।  শ্রদ্ধা ও আফতাব দুজনেই মহারাষ্ট্রের পালঘর জেলার ভাসাইয়ের বাসিন্দা। ছেলে ভিন্ন ধর্মের তাই সম্পর্কের স্বীকৃতি দেয়নি শ্রদ্ধার পরিবার। বাড়ি ছেড়ে প্রেমিকের হাত ধরে বেড়িয়ে আসে শ্রদ্ধা। পরিণতি তখনও ছিল অজানা। দুবছর কেটে যায় একসঙ্গে। বিয়ের জন্য শ্রদ্ধা চাপ দেয় আফতাবকে। তখন থেকেই তিক্ততার শুরু।  অবিশ্বাস এমন পর্যায়ে পৌঁছয় যে একে অপরকে ফোন করে হোয়াটস্যাপে জিপিএস লোকেশন ও আশেপাশের ছবি চেয়ে পাঠাত আফতাব-শ্রদ্ধা। সম্পর্ক বিষিয়ে যাচ্ছে দেখে ভাল সময় কাটাতে ও ভুল বোঝবুঝি মিটিয়ে নিতে এপ্রিল মাসে হিমাচল প্রদেশ ও উত্তরাখণ্ডে বেড়াতেও গিয়েছিল তারা। সেখান থেকে ফিরে এসে দিল্লিতে ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে থাকতে শুরু করে ওই যুগল। সেই ফ্ল্যাটেই খুন হয় শ্রদ্ধা। হয়ত বা হিমাচলেই হাড়হিম করা খুনের পরিকল্পনা করে আফতাব। পুলিশের অনুমান ঠান্ডা মাথায় পরিকল্পনা ছাড়া এরকমভাবে খুন করা সম্ভব নয়।

    আরও পড়ুন: দিল্লিতে হিন্দু লিভ-ইন পার্টনারকে খুন করে দেহ ৩৫ টুকরো করল মুসলিম যুবক

    নয়া সম্পর্ক

    শ্রদ্ধাকে খুন করে তাঁর দেহাবশেষ রেফ্রিজেটরে রেখে সংরক্ষণের পাশাপাশি অন্য আরেক নারীর সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিল আফতাব। শুধু তাই নয় যে বাড়ির রেফ্রিজেটরে শ্রদ্ধার দেহের অংশ সংরক্ষিত ছিল, নিজের প্রেমিকাকে সেই বাড়িতে এনেও তাঁর সঙ্গে সময় কাটিয়েছে আফতাব। পুলিশ জানিয়েছে, মোবাইলে ডেটিং অ্যাপ ইনস্টল করে তাঁর মাধ্যমে নতুন এক মহিলার সঙ্গে আলাপ হয়েছিল আফতাবের। এই অ্যাপের মধ্য দিয়েই শ্রদ্ধার সঙ্গেও সম্পর্ক হয় আফতাবের।

    কীভাবে খুন

    দক্ষিণ দিল্লির অতিরিক্ত ডিসিপি অঙ্কিত চৌহান জানিয়েছেন, গত তিন বছর আগে এক সঙ্গে থাকতে শুরু করেন আফতাব এবং শ্রদ্ধা। এর পরেই মুম্বই ছেড়ে দিল্লি চলে আসেন। এর পরেই বিয়ের জন্য আফতাবকে চাপ দিতে শুরু করেন শ্রদ্ধা। সেই নিয়ে রোজই চলত ঝামেলা। চৌহানের কথায়, ‘‘১৮ মে দু’জনের ঝামেলা চরমে ওঠে। রাগের বশে শ্রদ্ধার গলা টিপে খুন করেন আফতাব। এর পর মেয়েটির দেহ টুকরো টুকরো করে ছাতারপুর জঙ্গল এলাকায় ফেলে আসেন।’’ পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শ্রদ্ধার দেহের ৩৫টি টুকরো করেছিলেন আফতাব। এর পর একটি ফ্রিজ কিনে আনেন তিনি। সেখানেই ভরে রাখেন দেহের টুকরো। পরের ১৮ দিন ধরে রাতের অন্ধকারে দিল্লির বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে ঘুরে দেহের টুকরো ফেলে আসতেন আফতাব বলে অভিযোগ।  শ্রদ্ধার বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে শনিবার গ্রেফতার হন আফতাব। তাঁকে ৫ দিনের পুলিশি হেফাজতে পাঠিয়েছে আদালত। ধৃতকে জেরা করে পুলিশ জেনেছে, অপরাধ নিয়ে সিরিজ ‘ডেক্সটার’ দেখতেন তিনি। আমেরিকার এই জনপ্রিয় সিরিজ ২০০৬ থেকে ২০১১ পর্যন্ত চলেছিল। সিরিজের নায়ক ডেক্সটার মর্গান পুলিশের ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ ছিলেন। অবসর সময়ে খুন করে বেড়াতেন। ওই সিরিজ দেখেই ছক কষেছিলেন আফতাব।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • SSC Scam: উচ্চ প্রাথমিকে নিয়োগে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ হাইকোর্টের

    SSC Scam: উচ্চ প্রাথমিকে নিয়োগে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উচ্চ প্রাথমিকে নিয়োগে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ (SSC Scam) দিলেন হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। কর্মশিক্ষায় অতিরিক্ত ৭৫০ জনের নিয়োগে স্থগিতাদেশ দিয়েছেন তিনি। পরবর্তী শুনানি না হওয়া পর্যন্ত কোনও পদক্ষেপ করা যাবে না বলে জানিয়ে দিয়েছেন বিচারপতি। পরবর্তী শুনানি বৃহস্পতিবার, ১৭ নভেম্বর।

    কী বলল হাইকোর্ট

    মঙ্গলবার কর্মশিক্ষার শিক্ষক নিয়োগে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ (SSC Scam) দিলেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। আপাতত দু’দিনের জন্য এই নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন তিনি। হাই কোর্টের নির্দেশ, কোনও চাকরিপ্রার্থীকে এখনই সুপারিশপত্র দিতে পারবে না এসএসসি। আজ সাঁওতাল বিদ্রোহের নেতা বীরসা মুন্ডার জন্মদিন উপলক্ষে রাজ্য সরকার ছুটি ঘোষণা করেছে। তাই এদিন অফিস বন্ধ, ফলে নিয়োগপত্র দেওয়ার প্রশ্ন নেই, এমনটাই জানিয়েছে পর্ষদ। এদিন শুনানির সময়, কীভাবে ওয়েটিং লিস্ট তৈরি হয়েছে? তা পর্ষদের কাছে জানতে চায় আদালত।   

    আরও পড়ুন: টেট চাকরিপ্রার্থীকে কামড়-কাণ্ডে অভিযুক্ত পুলিশকর্মীকে জিজ্ঞাসাবাদের সম্ভাবনা

    মামলার বিষয়

    প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালে উচ্চ প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেয় রাজ্য স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি)। পরে ২০১৭ সালের জুন মাসে শুধু মাত্র কর্মশিক্ষা বিষয়ে পরীক্ষা নেওয়া হয়। ২০১৮ সালে পার্সোনালিটি টেস্ট নেওয়া হয়। ১৪ অক্টোবর অতিরিক্ত শূন্য পদ তৈরি করে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছিল। ৩ নভেম্বর কাউন্সেলিংয়ের তারিখ জানায় এসএসসি। ১০ ও ১১ নভেম্বর ওয়েটিং লিস্টে থাকা প্রার্থীদের কাউন্সেলিংয়ের তারিখ ঘোষণা করা হয়েছিল। শূন্যপদে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পরই আদালতের দ্বারস্থ হন সোমা রায় নামে এক চাকরি প্রার্থী। তাঁর অভিযোগ,  তিনি তফসিলি জাতিভুক্ত। পরীক্ষা এবং পার্সোনালিটি টেস্ট মিলিয়ে ৭২ নম্বর পেয়েছেন। কিন্তু ‘অ্যাকাডেমিক স্কোরে’ ২২-এর পরিবর্তে তাঁকে ১৮ নম্বর দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ সোমার। হাই কোর্টে সোমার দাবি, তিনি লিখিত পরীক্ষায় ৫৪ পেয়েছেন। অ্যাকাডেমিক স্কোরে ২২ পাওয়ার পর তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ৭৬ হওয়ার কথা। কিন্তু তাঁকে দেওয়া হয়েছে ৭২ নম্বর। পাশাপাশি পার্সোনালিটি টেস্টের নম্বরও যোগ করা হয়নি। তাই ৩ নভেম্বর প্রকাশিত ওয়েটিং লিস্টে তাঁর নাম নেই। 

    বিচারপতির বক্তব্য

    মঙ্গলবার, এই নিয়োগ দুর্নীতি মামলার (SSC Scam) শুনানির সময়, বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু বলেন, ‘‘প্রতিটি নাম ধরে ধরে দেখতে চাই, কী ভাবে এই নিয়োগ হল। কমিশন জানে তারা স্বচ্ছ নয়। কী বিশেষ যোগ্যতার ভিত্তিতে প্রার্থী বাছাই হয়েছে, তা পর্ষদকে বিশদে জানাতে হবে।’’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • India vs NZ: ওয়েলিংটনে নীল জলরাশির মাঝে হার্দিক, শ্রেয়স, ওয়াশিংটন সুন্দররা! জেনে নিন কবে কোথায় ম্যাচ

    India vs NZ: ওয়েলিংটনে নীল জলরাশির মাঝে হার্দিক, শ্রেয়স, ওয়াশিংটন সুন্দররা! জেনে নিন কবে কোথায় ম্যাচ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ব্যর্থতা এখন অতীত। সামনের দিকে তাকাতে চান হার্দিক পান্ডিয়ারা। নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে নামার আগে ভারতীয় ক্রিকেটাররা বেশ ফুরফুরে মেজাজে। নিউজিল্যান্ডের মাটিতে ভারত তিনটি টি-টোয়েন্টি এবং তিনটি ওয়ানডে ম্যাচ খেলবে। তবে এই সফরে নেই রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলির মতো তারকারা। তাদের বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে। টি-টোয়েন্টি সিরিজে টিম ইন্ডিয়াকে নেতৃত্ব দেবেন হার্দিক পান্ডিয়া। তাঁকে ২০২৪ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অধিনায়ক হিসেবে অনেকেই চাইছেন। সেই অর্থে এই সিরিজ হার্দিকের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। একদিনে সিরিজে ভারতকে নেতৃত্ব দেবেন শিখর ধাওয়ান।

    জলরাশির মাঝে

    ওয়েলিংটনে নীল জলরাশির হাতছানি উপেক্ষা করতে পারেননি শ্রেয়স আইয়ার, ওয়াশিংটন সুন্দররা। জার্সি খুলে, শটশ পরে তাঁরা নেমে পড়েছিলেন জলে। ওয়াশিংটন সুন্দর একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। যেখানে দেখা যাচ্ছে খালি গায়ে বিচের উপর দিয়ে হেঁটে আসছেন হার্দিকরা। তাদের সিক্স প্যাক দেখে অনেকেই ফিটনেস নিয়ে প্রশংসা করেছেন। আসলে ভারতীয় ক্রিকেটাররা নিজেদের ফিট রাখার জন্য এখন অনেক বেশি সময় কাটান জিমে। শরীর গঠনের ওপরও তারা বাড়তি জোর দেন। খাদ্যাভাসেও এসেছে বদল। তাই শ্রেয়াস আইয়ারদের  এহেন ছবি ধরা পড়েছে।

     
     
     
     
     
    View this post on Instagram
     
     
     
     
     
     
     
     
     
     
     

    A post shared by Washington Sundar (@washisundar555)

    হার্দিক যা বললেন

    শুক্রবার ওয়েলিংটনে প্রথম ম্যাচ। হার্দিক বলেছেন, ” বিশ্বকাপ জিততে না পারার ব্যথা এখনও পুরোপুরি যায়নি। তবে আমাদের সামনের দিকে তাকাতে হবে। এই দলে যাঁরা আছে, তাঁরা প্রত্যেকেই দারুন প্রতিভাবান ও দক্ষ। আমার বিশ্বাস সিনিয়রদের অভাব বোঝা যাবে না। দু’বছর পর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। হাতে অনেকটা সময়। আশা করছি এখন থেকেই আমরা সঠিক দিশা ধরে এগিয়ে যেতে পারবো।”

    কবে-কখন-কোথায়

    ভারত বনাম নিউজিল্যান্ড টি২০ সিরিজের সূচি:

    প্ৰথম টি২০ শুরু হচ্ছে আগামী শুক্রবার, ১৮ নভেম্বর। ওয়েলিংটনের স্কাই স্টেডিয়ামে।
    দ্বিতীয় টি২০ হবে রবিবার (২০ নভেম্বর), মাউন্ট মাউনগানুইয়ের বে ওভাল স্টেডিয়ামে।
    তৃতীয় টি২০ মঙ্গলবার (২২ নভেম্বর), নেপিয়ারেট ম্যাকলিয়ন পার্কে।

    আরও পড়ুন: নেই কামিন্স, এলেন শার্দুল! কলকাতা নাইট রাইডার্সে নতুন মুখ

    ভারত বনাম নিউজিল্যান্ড ওয়ানডে, টি২০ সিরিজ কোথায় দেখা যাবে?

    ভারত বনাম নিউজিল্যান্ড টি২০ এবং ওয়ানডে লাইভ স্ট্রিমিং উপভোগ করা যাবে আমাজন প্রাইমে। টিভিতে সরাসরি ম্যাচ দেখা যাবে না।

    ভারতের টি২০ স্কোয়াড:

    হার্দিক পান্ডিয়া, ঋষভ পন্থ, ঈশান কিষান, শুভমান গিল, দীপক হুডা, সূর্যকুমার যাদব, শ্রেয়স আইয়ার, সঞ্জু স্যামসন, ওয়াশিংটন সুন্দর, দীপক চাহার, কুলদীপ যাদব, জুজবেন্দ্র চাহাল, হর্শল প্যাটেল, মহম্মদ সিরাজ, ভুবনেশ্বর কুমার, আর্শদীপ সিং, উমরান মালিক

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     

LinkedIn
Share