Author: শুভ্র চট্টোপাধ্যায়

  • India Cricket Team: রোহিতদের পারফরম্যান্সে খুশি নয় বিসিসিআই! দলে একগুচ্ছ পরিবর্তনের সম্ভাবনা

    India Cricket Team: রোহিতদের পারফরম্যান্সে খুশি নয় বিসিসিআই! দলে একগুচ্ছ পরিবর্তনের সম্ভাবনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ইংল্যান্ড এর কাছে ১০ উইকেটে হেরে বিদায় নিয়েছে ভারত ( India Cricket Team)। ২০১৪ সাল থেকে ধারাবাহিকভাবে আইসিসি টুর্নামেন্টে খেতাব অর্জন করতে ব্যর্থ টিম ইন্ডিয়া। বারবার ফিরতে হয়েছে খালি হাতে। কখনও ফাইনালে কখনও আবার সেমিফাইনালে, স্বপ্নভঙ্গ হয়েছে ১৩০ কোটি ভারতবাসীর। তবে বৃহস্পতিবার অ্যাডিলেডে যশ বাটলারের দলের বিরুদ্ধে রোহিত বাহিনীর নির্লজ্জ আত্মসমর্পণ অনেকেই মন থেকে মেনে নিতে পারছেন না।

    অখুশি বিসিসিআই

    বিরাট কোহলি, হার্দিক পান্ডিয়া, সূর্য কুমার যাদবের মত হাতে গোনা কয়েকজন ভালো পারফর্ম করলেও টিম ইন্ডিয়ার সার্বিক পারফরম্যান্সে খুশি নয় বিসিসিআই। বিশেষ করে কোচ রাহুল দ্রাবিড় এবং তাঁর সহযোগীদের ওপর বেজায় ক্ষুব্ধ সকলে। অস্ট্রেলিয়া থেকে বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মারা দেশে ফিরলেও এই দলের অনেকে অ্যাডিলেড থেকেই নিউজিল্যান্ড উড়ে যাবেন দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলতে। আর এই সিরিজে রাহুল দ্রাবিড়কে ছুটি দেওয়া হয়েছে। তাঁর বদলে হার্দিক পান্ডিয়াদের কোচের দায়িত্ব সামলাবেন ভিভিএস লক্ষ্মণ। যা দেখে অনেকের মনে প্রশ্ন, তাহলে কি, ভারতের (Indian CRicket Team) টি-টোয়েন্টি দলে ব্যাপক পরিবর্তন হতে চলেছে? সেই সম্ভবনা উসকে দিয়ে বিসিসিয়ের এক শীর্ষকর্তা জানিয়েছেন, ‘পরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ২০২৪ সালে। আপাতত দু’বছর ধরে প্রস্তুতি নিতে হবে। এই মুহূর্তে আমরা কাউকেই অবসর নেওয়ার কথা বলছি না। কিন্তু আগামী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে অন্যদেরও সুযোগ দেওয়া প্রয়োজন। স্বাভাবিকভাবেই অনেকে টি-টোয়েন্টি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে তাই সরে দাঁড়াতে চাইবেন। বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মার মতো সিনিয়রদের ওয়ার্কলোড কমানোয় নজর দিতে হবে। পরের বছর দেশের মাটিতে বসবে ওয়ানডে বিশ্বকাপের আসর। আপাতত সেটাকেই পাখির চোখ করা উচিত। পাশাপাশি রোহিত, কোহলিরা যদি সমান্তরাল ভাবে টেস্ট ক্রিকেটে মনোনিবেশ করেন তাহলে আমরা টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপেও ভালো জায়গায় থাকতে পারি। T-২০ ফরম্যাটে তাই ব্যাপক রদবদলের সম্ভাবনা থাকছে।’

    আরও পড়ুন: শোয়েব-সানিয়া বিচ্ছেদ! কী বলছেন তারকা দম্পতি?

    গাভাস্কারের পছন্দ হার্দিক

    তবে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে চরম ব্যর্থতার পর দীনেশ কার্তিক, রবিচন্দ্রন অশ্বিন, মহম্মদ সামির মতো সিনিয়ার ক্রিকেটারদের আর হয়তো টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে দেশের জার্সিতে খেলতে দেখা যাবে না। ইংল্যান্ডের কাছে হারার পর ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মা, যেভাবে ঘুরিয়ে ভুবেনশ্বর কুমারকে তুলোধোনা করেছেন তাতে তাঁর পক্ষেও জায়গা ধরে রাখা মুশকিল। রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলিরা যদি বেছে বেছে টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেন তাহলে নতুন অধিনায়ক খুঁজে নিতে হবে জাতীয় নির্বাচকদের। সে ক্ষেত্রে হার্দিক পান্ডিয়া দৌড়ে এগিয়ে। নিউজিল্যান্ডের মাটিতে টি-টোয়েন্টি সিরিজে তিনি নেতৃত্ব দেবেন ভারতীয় দলকে (Indian Cricket team)। শুধু তাই নয়, প্রাক্তন অধিনায়ক সুনীল গাভাস্কার সরাসরি হার্দিকের হয়ে সওয়াল করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘সামনের দিকে তাকানোর সময় এসেছে। অনেক সিনিয়র ক্রিকেটারই অবসর নেবে এই ফরম্যাট থেকে। আমি ব্যক্তিগতভাবে চাই টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ভারতকে নেতৃত্ব দিক হার্দিক পান্ডিয়া।’

  • Suvendu Adhikari: নাকা চেকিংয়ের আওতায় পড়ুক মুখ্যমন্ত্রীর কনভয়ও! দাবি শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: নাকা চেকিংয়ের আওতায় পড়ুক মুখ্যমন্ত্রীর কনভয়ও! দাবি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে ভিআইপি-দের গাড়িতে করে চলছে অস্ত্র পাচার। লেনদেন হচ্ছে টাকার। প্রশাসনিক বৈঠকে সতর্কবার্তা মুখ্যমন্ত্রীর। পুলিশকে নাকা চেকিং বাড়ানোর নির্দেশ দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁকে সমর্থন করেই পাল্টা দিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বলেলন, মুখ্যমন্ত্রীর কনভয়ও যেন নজরদারির আওতায় থাকে। জনগণের নিরাপত্তার জন্য সেই কনভয়ও যেন বাদ না পড়ে।

    ভিডিওগ্রাফি করে চেকিংয়ের দাবি শুভেন্দুর

    নন্দীগ্রামে, নিজের বিধানসভা কেন্দ্রে এক  কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে শুভেন্দু বলেন, “একবার নয়, ১০০ বার চেকিং করতে পারে। শুধু চেকিং করাই নয়, ভিডিওগ্রাফি করে চেকিং করতে হবে। আর অবশ্যই এই নজরদারি প্রক্রিয়ায় মুখ্যমন্ত্রীকেও রাখতে হবে। নাকা চেকিং চালু হলে নিয়ম সবার ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য হবে। কারণ উনিও (মুখ্যমন্ত্রী) তো ভিআইপি।” উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার নদিয়ার প্রশাসনিক বৈঠকে মমতা বলেন, “ভিআইপি’দের গাড়িতে যেন অস্ত্র আমদানি না হয়। ভিআইপি’দের স্পেশাল প্রটোকশনের নাম করে অনেকে অস্ত্র ও নোট ক্যারি করে। তাই নাকা চেকিং বাড়াতে হবে। ” মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্যের পরে শুভেন্দু বলেন, ‘‘একবার নয়, পুলিশ একশো বার বিরোধী দলনেতার গাড়িতে তল্লাশি করতে পারে। তবে ভিডিয়োগ্রাফির মাধ্যমে আইপিসি এবং সিআরপিসি মেনেই তল্লাশি করতে হবে। আর পুলিশকে তৃণমূল বেতন দেয় না। তারা সরকারের টাকায় বেতন পান। তাই মুখ্যমন্ত্রীর ক্ষেত্রেও এটা প্রযোজ্য হবে।’’ মুখ্যমন্ত্রী ও বিরোধী দলনেতার দাবি-পাল্টা দাবি নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশাসনিক মহলে চাপান-উতোর শুরু হয়েছে।

    আরও পড়ুন: নবান্ন অভিযানেও ছিলেন টেট-চাকরিপ্রার্থীকে কামড় দেওয়া পুলিশকর্মী! কী বললেন শুভেন্দু?

    মমতার দাবি, সুকান্তের অভিযোগ

    কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ-এর দিকেও অভিযোগের আঙুল তোলেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর কথায়,“একটা চক্রান্ত চলছে। স্পর্শকাতর জায়গাগুলো দেখে রাখুন। বিহার থেকে হাজার টাকায় অস্ত্র আসছে। ও-পার থেকে চলে আসছে। এখান-সেখান থেকে চলে আসছে। এগুলো সামলাতে হবে।” অশান্তির আশঙ্কা সম্পর্কে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্তের মন্তব্য, ‘‘উনি ভয় পেয়েছেন দেখে ভাল লাগছে। আমরা তো শুধু বলেছি ডিসেম্বরে ঠান্ডা পড়বে, ওঁর সরকার কাঁপবে। আর তো কিছু বলিনি। বাকি কথা তো উনিই বলছেন। বাংলার মানুষ ২ মে ২০২১ থেকে শান্তি দেখেছে। উনি কি সেই শান্তির কথা বলছেন? শ্মশানের শান্তি?’’ 

    আরও পড়ুন : নবান্ন অভিযানে গিয়ে ‘মিথ্যা’ মামলায় গ্রেফতার, হাইকোর্টের দ্বারস্থ বঙ্গ বিজেপি

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Sania Mirza: শোয়েব-সানিয়া বিচ্ছেদ! কী বলছেন তারকা দম্পতি?

    Sania Mirza: শোয়েব-সানিয়া বিচ্ছেদ! কী বলছেন তারকা দম্পতি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শোয়েব মালিক ও সানিয়া মির্জার বিবাহ বিচ্ছেদ। ক্রীড়া ও বিনোদন জগতে কান পাতলেই শোনা যাচ্ছে এই খবর। শোয়েব মালিকের বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জেরে তাদের ১২ বছরের সম্পর্কের অবসান ঘটে বলে খবর। তাঁদের সন্তান ইজহান মির্জা মালিক কার কাছে থাকবে তা নিয়েও আলোচনা চলছে। তবে এ ব্যাপারে এখনও প্রকাশ্যে মুখ খোলেননি পাকিস্তানের তারকা ক্রিকেটার বা ভারতের টেনিস কুইন। 

    বিচ্ছেদের খবর

    শোয়েব-সানিয়ার আনুষ্ঠানিক বিচ্ছেদের খবর নিশ্চিত করেছেন দু’জনের ঘনিষ্ঠ এক বন্ধু। যিনি আবার শোয়েব মালিকের ম্যানেজমেন্ট দলের সদস্যও। সেই বন্ধুটি বলেছেন, “সানিয়া মির্জা ও শোয়েব মালিকের আনুষ্ঠানিক বিচ্ছেদ হয়ে গেছে, যা এই দম্পতির জন্য দুঃখজনক।” তিনি আরও বলেছেন, বিচ্ছেদের পর হতাশায় ভুগছেন সানিয়া। তাঁরা এখন আলাদা থাকাও শুরু করে দিয়েছেন।  একাধিক রিপোর্ট অনুযায়ী শোয়েব সানিয়ার সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। যা মেনে নিতে পারেননি ভারতের টেনিস সুন্দরী। তাঁদের একমাত্র সন্তান ইজহানকে যদিও তাঁরা একসঙ্গেই দেখাশোনা করছেন বলে জানা গিয়েছে।

    আরও পড়ুন: কাতার বিশ্বকাপে নেই ফিলিপে কুটিনহো! ব্রাজিলের ২৬ জনের দল ঘোষিত

    সানিয়ার পোস্ট

    শোয়েব-সানিয়াকে নিয়ে চলা গুঞ্জনের মধ্যেও একে অপরকে সোশাল মিডিয়ায় এখনও ফলো করছেন দুজনে। সোশাল মিডিয়ায় একে অপরকে নিয়ে সক্রিয় তাঁরা। মাঝেমাঝেই পারিবারিক ছবি পোস্ট করে থাকেন তাঁরা। যদিও সম্প্রতি সানিয়ার পোস্টে তাঁদের বিচ্ছেদের জল্পনাকেই নাড়া দেয়। সূত্রের খবর, সানিয়া সম্প্রতি দুবাইতে তাঁর নতুন বাড়িতে গেছেন। এরআগে তিনি শোয়েব মালিকের সঙ্গে দুবাইতে পাম জুমেইরাতে থাকতেন। সেখান থেকে তিনি সরে গেছেন তাঁর নতুন বাড়িতে। সানিয়া তাঁর ছেলের সঙ্গে রয়েছেন সেখানে। সম্প্রতি ইনস্টাগ্রামে একটি স্টোরিতে সানিয়া লিখেছিলেন, “ভাঙা হৃদয় কোথায় যায়? ঈশ্বর খুঁজতে।” ভারতের অন্যতম সেরা টেনিস তারকা ছেলের সঙ্গে একটি ছবিও পোস্ট করেন। তাতে দেখা যাচ্ছে ইজহান তাঁকে চুমু খাচ্ছে। সেই সঙ্গে সানিয়া লিখেছিলেন, “যে মুহূর্তগুলো কঠিন সময় পার করে দেয়।”

     

     

     
     
     
     
     
    View this post on Instagram
     
     
     
     
     
     
     
     
     
     
     

    A post shared by Sania Mirza (@mirzasaniar)

  • T-20 World Cup: আইসিসি সবার সঙ্গেই সমান আচরণ করে! সমালোচকদের কড়া বার্তা বিসিসিআই প্রেসিডেন্টের

    T-20 World Cup: আইসিসি সবার সঙ্গেই সমান আচরণ করে! সমালোচকদের কড়া বার্তা বিসিসিআই প্রেসিডেন্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আইসিসি ভারতকে কোনও বিশেষ সুবিধা দেয় না। বাংলাদেশ সমর্থক ও পাকিস্তানের প্রাক্তন অধিনায়ক শাহিদ আফ্রিদির অভিযোগের যোগ্য জবাব দিলেন বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট রজার বিনি (Roger Binny)। বাংলাদেশি ক্রিকেট সমর্থকদের সুরে সুর মিলিয়ে পাকিস্তানের প্রাক্তন অধিনায়ক শাহিদ আফ্রিদি অভিযোগ তুলেছিলেন আইসিসি (ICC) ভারতের প্রতি পক্ষপাতদুষ্ট। চলতি টি-২০ বিশ্বকাপে ভারতকে সেমিফাইনালে তোলার মরিয়া চেষ্টা করছে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থা। আফ্রিদির এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিনি বলেন, “এটা একেবারে ঠিক নয়। আমি মনে করি না আইসিসি আমাদের প্রতি পক্ষপাতিত্ব করেছে বলে। সবার সঙ্গেই সমান আচরণ করা হয়। কোনওভাবেই একথা (পক্ষপাতিত্বের) বলা যায় না। অন্য দলগুলির থেকে আমরা বাড়তি কী সুবিধা পেয়েছি? সন্দেহ নেই ভারত আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের বড় পাওয়ার হাউস। তবে আইসিসি সবাইকে সমান চোখে দেখে।”

    আরও পড়ুন: শেষ চারে যেতে গেলে জিততে হবে ভারতকে! না হলে নানান অঙ্ক, জেনে নিন কোন দল কোন জায়গায়

    প্রসঙ্গত, অ্যাডিলেডে বৃষ্টি বিঘ্নিত ম্যাচে ভারতের কাছে পাঁচ রানে হেরে যায় বাংলাদেশ। শুরুতে বেঙ্গল টাইগাররা ভাল খেললেও, বৃষ্টির পরেই ঘটে ছন্দপতন। খেলা শেষে  ভিজে মাঠকে হারের অজুহাত হিসেবে খাড়া করে বাংলাদেশ শিবির। এক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থা ভারতের প্রতি পক্ষপাতিত্ব করছে বলে প্রাকারান্তরে দাবি তোলে পাক সংবাদমাধ্যমও। এবার সেই অভিযোগেরই জবাব দিলেন  ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডের নতুন প্রেসিডেন্ট। আইসিসি ইভেন্টে ভারত গত কয়েক বছর ধরে ভালো খেলা সত্ত্বেও কি কারণে ট্রফি জিততে পারছে না? এর উত্তরে রজার বিনি বলেছেন, “আমি আশা করব, গত বারের বিশ্বকাপের ফলাফলটা একটা ব্যতিক্রম হিসেবে থাকবে। এই বছর অস্ট্রেলিয়াতে বিশ্বকাপটা ভারতই জিতবে। আমরা শিরোপার অনেক কাছে এসেছি। শেষ কয়েকটি টি-২০ বিশ্বকাপে কোয়ার্টার ফাইনাল, সেমিফাইনাল এবং ফাইনালেও পৌঁছেছি। সেই নির্দিষ্ট দিনটায় আমাদেরকে ভালো খেলতে হবে।”

    আরও পড়ুন: বিরাট রেকর্ড কোহলির! সচিনকে পিছনে ফেলে বিদেশের মাঠে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক কে জানেন?

    রোহিত শর্মার অধিনায়কত্ব প্রসঙ্গে বিনি জানান প্রত্যেক অধিনায়কের খেলানোর ধরন আলাদা। কপিলদেব, মহেন্দ্র সিং ধোনি, বিরাট বা কোহলি প্রত্যেকে নিজেদের মতো করে দল পরিচালনা করেছেন বা করেন। বিনির কথায়, “রোহিত একজন খুব অভিজ্ঞ ক্রিকেটার। ও একাধিক ম্যাচ খেলেছে। বিভিন্ন ধরনের পরিস্থিতির সামনে পড়েছে। প্রত্যেকের খেলার ধরন আলাদা। ধোনি সম্পূর্ণ আলাদা। ওর সাথে এই ভাবে অন্য কাউকে তুলনা করা যায় না। কপিল দেব বা গাভাসকরেরও (সুনীল) খেলার ধরন আলাদা আলাদা ছিল। দু’জনেই দু’টি আলাদা পন্থায় দলকে চালিয়েছেন।”

     

  • T20 WORLD CUP: ঝড়ো ব্যাটিং হার্দিকের! সংযমী বিরাট, ইংল্যান্ডের সামনে জয়ের জন্য ১৬৯ রানের লক্ষ্য

    T20 WORLD CUP: ঝড়ো ব্যাটিং হার্দিকের! সংযমী বিরাট, ইংল্যান্ডের সামনে জয়ের জন্য ১৬৯ রানের লক্ষ্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় সেমি ফাইনালে (T20 WORLD CUP) টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ভারত ৬ উইকেটে ১৬৮ রান তুলল। দুরন্ত ব্যাটিং করলেন হার্দিক পান্ডিয়া ও বিরাট কোহলি। তবে ভারতের শুরুটা ভালো হয়নি। ওপেনার লোকেশ রাহুল মাত্র ৫ রান করে আউট হন। অধিনায়ক রোহিত শর্মা ভালোই খেলছিলেন। কিন্তু ২৭ রানে তাকে ডাগ আউটে ফিরতে হয় জর্ডনের বলে আউট হয়ে। প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ সূর্য কুমার যাদব। তিনি ১৪ রান করে মাঠ ছাড়েন। পর পর উইকেট হারাতেই রানের গতি মন্থর হয়ে যায় ভারতের। তবে বিরাট কোহলি ও হার্দিক পান্ডিয়ার যুগলবন্দী ভারতকে বড় ইনিংস খাড়া করতে সাহায্য করে। কোহলির সংগ্রহ ৪০ বলে ৫০ রান। অন্যদিকে ঝড় তোলেন হার্দিক। মাত্র ৩৩ বলে করেন ৬৩ রান। পন্থ (৬) রান আউট হন। টি-২০ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে আজ ৪২ রান করলেই রেকর্ড গড়তেন বিরাট। তাঁর ব্যাট থেকে এদিন আসে সংযমী অর্ধশতরান। এর সুবাদে আন্তর্জাতিক টি-২০ ক্রিকেটে ৪ হাজার রানের মাইলস্টোন ছুঁয়ে ফেললেন কোহলি। 

    এদিন টস-ভাগ্য সঙ্গ দিল না রোহিতের। ভারতের বিরুদ্ধে হাই ভোল্টেজ ম্যাচে টস জিতে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নিল ইংল্যান্ড। ভারতকে প্রথমে ব্যাট করতে পাঠালেন ব্রিটিশ অধিনায়ক জোস বাটলার। নিউজিল্যান্ডকে কার্যত একপেশে ম্যাচে হারিয়ে ইতিমধ্যেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ (T20 WORLD CUP) ফাইনালে পৌঁছে গিয়েছে পাকিস্তান। এবার ভারতের সামনে ফাইনালে ওঠার লড়াই। প্রতিপক্ষ ওয়ানডে বিশ্বকাপের ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড। ধারে-ভারে ভারত অনেকটাই এগিয়ে। তবে খেলাটা ক্রিকেট আর ম্যাচটা টি-টোয়েন্টি। তাই যেকোনও দিন, যে কেউ ম্যাচ বার করে নিতে পারে। 

    অপরিবর্তিত ভারতীয় দল

    ভারতীয় দল অপরিবর্তিত রয়েছে। অর্থাৎ জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে গ্রুপের শেষ ম্যাচে যাঁরা খেলেছিলেন, তাঁরাই সুযোগ পেয়েছেন। দীনেশ কার্তিক নয়, ঋষভ পন্থেই আস্থা রেখেছে টিম ম্যানেজমেন্ট। ইংল্যান্ড দলের একাধিক তারকা থাকছেন না মহাযুদ্ধে। মার্ক উড, দাভিদ মালানের মত টি২০ স্পেশ্যালিস্টরা অনিশ্চিত চোটের কারণে। জনি বেয়ারস্টো তো বিশ্বকাপেই আসেননি। কার্যত ভাঙাচোরা দল নিয়েই ভারতের মোকাবিলা করতে হবে ইংরেজদের। অন্যদিকে, ভারতীয় দলে কোনও চোট-আঘাতের সমস্যা নেই। নেট অনুশীলনে রোহিত-কোহলি আহত হলেও ফিট হয়েই খেলতে নামছেন দুজনে।

    চলতি মহারণে ৫ ম্যাচের ৪টিতে জিতে ভারত গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে সেমিফাইনালে উঠেছে। অন্যদিকে নেট রান-রেটের নিরিখে নিউজিল্যান্ডের কাছে পিছিয়ে পড়ায় অন্য গ্রুপের দ্বিতীয় দল হিসেবে শেষ চারে জায়গা পাকা করে ইংল্যান্ড। উভয় দলের খেলাই নজর কেড়েছে। ফলে ভারত-ইংল্যান্ড সেমিফাইনাল ব্যাট-বলে রুদ্ধশ্বাস হতে চলেছে বলেই মনে করছেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। 

    বৃষ্টি এলে কী হবে

    চলতি বিশ্বকাপে (T20 WORLD CUP) বারবার ব্যাঘাত ঘটিয়েছে বৃষ্টি। বৃহস্পতিবার অ্যাডিলেডে বৃষ্টির জন্য ভারত ইংল্যান্ড সেমিফাইনাল ম্যাচ ভেস্তে গেলে পরদিন রিজার্ভ ডে-তে ওই খেলা হবে। নির্ধারিত দিনে প্রতি ইনিংসে ন্যূনতম ১০ ওভার খেলা সম্ভব না হলেই ম্যাচ গড়াবে রিজার্ভ ডে-তে। রিজার্ভ ডে-তেও ম্যাচ আয়োজন করা না গেলে, সুপার টুয়েলভের লিগ টেবিলে যে দলের অবস্থান ভাল, তারা ফাইনালের টিকিট হাতে পাবে। সেক্ষেত্রে গ্রুপ টুয়ের এক নম্বর দল ভারত ফাইনালে যাবে।

    আরও পড়ুন: নিউজিল্যান্ডকে ৭ উইকেটে হারিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে পাকিস্তান

    ইংল্যান্ডের প্রথম একাদশ
    জোস বাটলার (ক্যাপ্টেন ও উইকেটকিপার), অ্যালেক্স হেলস, ফিল সল্ট, বেন স্টোকস, হ্যারি ব্রুক, লিয়াম লিভিংস্টোন, মইন আলি, স্যাম কারান, ক্রিস জর্ডন, ক্রিস ওকস ও আদিল রশিদ।

    ভারতের প্রথম একাদশ
    লোকেশ রাহুল, রোহিত শর্মা (ক্যাপ্টেন), বিরাট কোহলি, সূর্যকুমার যাদব, হার্দিক পান্ডিয়া, ঋষভ পন্ত (উইকেটকিপার), অক্ষর প্যাটেল, রবিচন্দ্রন অশ্বিন, ভুবনেশ্বর কুমার, মহম্মদ শামি ও অর্শদীপ সিং।

  • Interns: ইন্টার্নদের বেসরকারি হাসপাতালে কাজ করার নয়া নির্দেশ নিয়ে বিতর্ক

    Interns: ইন্টার্নদের বেসরকারি হাসপাতালে কাজ করার নয়া নির্দেশ নিয়ে বিতর্ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সরকারি হাসপাতালে এমবিবিএস পড়ার সময় বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার কাজে নিযুক্ত হওয়া যাবে। ইন্টার্নদের (Interns) বেসরকারি হাসপাতাল ও নার্সিংহোমে যুক্ত হওয়ার অনুমতি দিল রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। রাজ্য সরকারের এই নতুন নির্দেশিকায় হতবাক রাজ্যের চিকিৎসক মহল। সরকারি স্বাস্থ্য পরিষেবাকে আরও পঙ্গু করতেই এমন সিদ্ধান্ত বলে মনে করছেন চিকিৎসকদের একাংশ। সম্প্রতি স্বাস্থ্য দফতর এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, ইন্টার্নরাও বেসরকারি হাসপাতাল ও নার্সিংহোমে যুক্ত হতে পারেন। আর তার জেরেই তৈরি হয়েছে বিতর্ক। দেশের কোথাও এমন কোনও আইন নেই। এমনকি রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলেও এমন নিয়ম নেই। পড়াচলাকালীন এমন কিছু করা আইনের বিরুদ্ধে বলেও উল্লেখ রয়েছে। তারপরেও স্বাস্থ্য দফতর কীভাবে এমন বিজ্ঞপ্তি জারি করল, সে নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।

    চিকিৎসকদের অভিমত 

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, সরকারি হাসপাতালের পড়ুয়া কীভাবে বেসরকারি হাসপাতাল কিংবা নার্সিংহোমে চিকিৎসার কাজে যুক্ত হবেন? ইন্টার্নরা (Interns) স্থায়ী রেজিস্ট্রেশন নম্বর পান না। কারণ তখনও তাঁদের এমবিবিএস-র কোর্স সম্পূর্ণ হয় না। তাই তাঁরা কীভাবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বাইরে রোগী পরিষেবা দেবেন? সেটা কি আদৌও বৈধ হবে? একজন চিকিৎসকের স্থায়ী রেজিস্ট্রেশন নম্বর না থাকলে, আইনত সে চিকিৎসা পরিষেবা দিতে পারেন না। সেক্ষেত্রে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর কীসের ভিত্তিতে এমন নির্দেশ দিলেন?

    রাজ্যের সরকারি হাসপাতালে রোগীর লম্বা লাইন। যে কোনও রোগের নিরাময়ের জন্য অপেক্ষা করতে হয় কয়েক মাস। সরকারি হাসপাতালে কর্মী সঙ্কট চরম। চিকিৎসকের অভাবের জেরেই রোগীদের ভোগান্তি বাড়ে। প্রয়োজনের তুলনায় এ রাজ্যে চিকিৎসক কম। জেলার হাসপাতালগুলোতে প্রতিদিনের পরিষেবা ব্যহত হয় পর্যাপ্ত চিকিৎসকের অভাবে। সরকারি হাসপাতালে জরুরি পরিষেবা থেকে স্ত্রী রোগ কিংবা মেডিসিন, যে কোনও বিভাগেই রোগী পরিষেবা দেন জুনিয়র চিকিৎসকেরাই (Interns)। তাঁরাই মূলত সব সময় হাসপাতালে থাকেন। এইরকম পরিস্থিতিতে সেই জুনিয়র চিকিৎসকদের যদি বেসরকারি হাসপাতালে কাজ করার অনুমতি দেওয়া হয়, তাহলে চিকিৎসক সঙ্কট আরও বাড়বে। রোগীদের হয়রানিও বাড়বে। সরকারি হাসপাতালের পরিষেবা আরও ভেঙে পড়বে। এমনটাই আশঙ্কা করছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

    আরও পড়ুন: জেলার মেডিক্যাল কলেজ কী শুধুই বিজ্ঞাপন? এসএসকেএমের নতুন রেকর্ডে নয়া বিতর্ক

    রাজ্যে বেহাল স্বাস্থ্য পরিষেবা

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, রাজ্যে স্বাস্থ্য পরিষেবা এখন স্বাস্থ্য সাথী নির্ভর করা হচ্ছে। সরকারি হাসপাতালের পরিকাঠামোগত উন্নতিতে নজর নেই। ফলে, সরকারি ক্ষেত্রে রোগীদের ভোগান্তি বাড়ছে। স্বাস্থ্য সাথীর বিজ্ঞাপন দেওয়া হচ্ছে। মানুষকে কার্ড দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু পরিষেবা পাওয়া যাচ্ছে না। অধিকাংশ বেসরকারি হাসপাতালে স্বাস্থ্য সাথী কার্ড থাকলেও পরিষেবা পাওয়া যাচ্ছে না বলে বারবার অভিযোগ উঠছে। তারপরেও বেসরকারি হাসপাতালে ইন্টার্নদের (Interns) কাজ করার অনুমতি কেন, সে নিয়ে প্রশ্ন থাকছেই!

    স্বাস্থ্য দফতরের কর্তাদের কাছেও এ নিয়ে কোনও স্পষ্ট উত্তর নেই। এক কর্তা বলেন, রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্য সাথী কার্ড নিয়ে সাধারণ মানুষ বেসরকারি হাসপাতালে যাচ্ছেন। সেখানেও রোগীর চাপ বাড়ছে। তাই ইন্টার্নরা সেখানেও কাজ শিখতে পারবে। এই ভাবনা থেকেই নতুন বিজ্ঞপ্তি। কিন্তু সরকারি হাসপাতালে রোগীর চাপের তুলনায় বেসরকারি হাসপাতালে রোগীর চাপ অনেকটাই কম। তারপরেও কেন এমন ভাবনা? সে নিয়ে অবশ্য কোনও সদুত্তর পাওয়া যায়নি।

     

  • TET Agitation: টেট বিক্ষোভকারীর হাতে কামড় পুলিশের! জামিন অযোগ্য ধারায় গ্রেফতার আক্রান্তই

    TET Agitation: টেট বিক্ষোভকারীর হাতে কামড় পুলিশের! জামিন অযোগ্য ধারায় গ্রেফতার আক্রান্তই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চাকরি চেয়ে পুলিশের (Kolkata Police) কামড় খাওয়া চাকরিপ্রার্থীকেই, গ্রেফতার করল পুলিশ। টেট (TET Agitation) বিক্ষোভে আক্রান্ত চাকরিপ্রার্থী অরুণিমা পাল (Arunima Paul)-সহ আরও ৩০ জনকে জামিন অযোগ্য ধারায় গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে হিংসা ছড়ানো, পুলিশের উপর হামলা-সহ একাধিক ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। আজ, বৃহস্পতিবার তাঁদের আদালতে পেশ করা হবে। বুধবার এক্সাইড মোড়ে ২০১৪-র টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীদের জমায়েত-বিক্ষোভ ঘিরে ধুন্ধুমার বাঁধে। দিনভর চলে উত্তেজনা। বিক্ষোভ সরাতে চ্যাংদোলা করে চাকরিপ্রার্থীদের তুলে নিয়ে যায় পুলিশ। প্রিজন ভ্যানের নীচে শুয়ে পড়ে বিক্ষোভ দেখান বেশকিছু বিক্ষোভকারী। তাঁদের টেনে হিঁচড়ে বের করে পুলিশ। গ্রেফতার করা হয়েছে ২৮২ জন চাকরিপ্রার্থীকে। বুধবার রাতে ৩০ জন বাদে বাকি চাকরিপ্রার্থীদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে হেয়ার স্ট্রিট থানা থেকে।

    কী ঘটেছিল এদিন

    বুধবার দুপুরে এক্সাইড মোড় থেকে একদল চাকরিপ্রার্থী দৌড়তে দৌড়তে, ক্যামাক স্ট্রিটে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) অফিসের সামনে এসে পড়ে।  স্মারকলিপি জমা দিতে তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দফতরের কাছে যাওয়ার চেষ্টা করেন তাঁরা। তাঁদের টেনে হিচড়ে তোলার চেষ্টা করে পুলিশ। বিক্ষোভকারীদের (TET Agitation) অভিযোগ, ঠিক তখনই আচমকাই দৌড়ে এসে এক আন্দোলনকারীর হাতে কামড়ে দেন কলকাতা পুলিশের এক মহিলা কনস্টেবল। প্রশিক্ষিত উর্দিধারী পুলিশ কর্মীদের এহেন আচরণে হতবাক প্রাক্তন পুলিশ কর্তারাও!অভিযুক্ত ওই পুলিশকর্মী তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। পাল্টা পুলিশের অভিযোগ ওই আন্দোলনকারীই পুলিশকর্মীকে কামড়ে দিয়েছেন। পুলিশকর্মীর হাতে রয়েছে, কামড়ানোর দাগ! SSKM হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে ওই পুলিশকর্মীকে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। 

    আরও পড়ুন: বরখাস্ত শিক্ষকেরা চাইলে চাকরিতে যোগ দিতে পারেন, জানাল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ

    উদ্বিগ্ন অরুণিমার পরিবার

    টেট বিক্ষোভকারীদের (TET Agitation) কথায়, চিকিত্‍‍সা চেয়েছিলেন অরুণিমা। সূত্রের খবর, হেয়ার স্ট্রিট থানায় যখন অরুণিমাকে আটক করে রাখা হয়েছিল, সেই সময় তিনি অসুস্থ বোধ করেন। তাঁর চিকিৎসার জন্য পুলিশকে অনুরোধ করেন সহযোদ্ধারা। অভিযোগ, প্রাথমিক পর্যায়ে অরুণিমার চিকিৎসা করাতে রাজি হয় না পুলিশ। অভিযোগ আরও বড়। চাকরিপ্রার্থীদের দাবি, “একজন অফিসার বলেন ওঁ যদি মারা যায় সেই দায় আমরা নেব…” পরে অবশ্য ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজে স্বাস্থ্যপরীক্ষা করানো হয় আক্রান্ত অরুণিমার। অরুণিমার গ্রেফতারির খবর জানতে পেরে চরম উৎকন্ঠায় তাঁর পরিবার। অরুণিমার শারীরিক অবস্থা নিয়েও চরম উদ্বিগ্ন তাঁর স্বামী, সন্তান সহ পরিবারের অন্যান্যরা।

    আরও পড়ুন: ‘হয় নিয়োগ দিন, নয়…’, টেট প্রার্থীদের বিক্ষোভে এক্সাইড মোড়ে ধুন্ধুমার, ঝরল রক্ত

    বিক্ষোভ শহরের বিভিন্ন প্রান্তে

    সকালেই ২০১৪-র টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীদের প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ অফিস অভিযান ঘিরে উত্তেজনা ছড়ায়। সল্টলেকের করুণাময়ীতে জমায়েতের (TET Agitation) ডাক দেন চাকরিপ্রার্থীরা। সেক্টর ফাইভ মেট্রো স্টেশনেই বিক্ষোভকারীদের আটকে দেয় পুলিশ। আটক বেশ কয়েকজন বিক্ষোভকারী। এদিন চাকরিপ্রার্থীদের অভিযান ঠেকাতে সল্টলেকের বিভিন্ন মেট্রো স্টেশন ও রাস্তার মোড়ে মোড়ে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। শিয়ালদা স্টেশনেও তল্লাশি চালায় পুলিশ। বিক্ষোভকারী সন্দেহে বেশ কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পরে সন্ধ্যায় শিয়ালদহে মোমবাতি মিছিল করেন টেট আন্দোলনকারীরা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।   

  • GSDP: যেভাবে ঋণ নিচ্ছে রাজ্য, তাতে ভেঙে পড়তে পারে অর্থনৈতিক কাঠামো! আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের

    GSDP: যেভাবে ঋণ নিচ্ছে রাজ্য, তাতে ভেঙে পড়তে পারে অর্থনৈতিক কাঠামো! আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আর্থিক বিপর্যয়ের খাঁড়া অচিরেই কি নেমে আসতে চলেছে পশ্চিমবঙ্গের ওপর? সরকারি নথি সেই আশঙ্কারই ইঙ্গিত দিচ্ছে। বর্তমানে শাসক দল যেভাবে যথেচ্ছভাবে ঋণ নিতে শুরু করেছে, তাতে অদূর ভবিষ্যতে রাজ্যের সমগ্র অর্থনৈতিক কাঠামো ভেঙে পড়তে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। 

    কেন এমন আশঙ্কার সৃষ্টি হচ্ছে?

    National Institute of Public Finance and Policy-র পরিচালিত একটি সমীক্ষা বলছে, প্রাক-কোভিড বছরে (২০১৯-২০ অর্থবর্ষ) ১৮টি রাজ্যের সম্মিলিত সরকারি ঋণের পরিমাণ রাজ্যগুলোর মোট জিডিপি বা জিএসডিপি-র (GSDP) ২০.৫৩ শতাংশ ছিল। পরের বছর, অর্থাৎ ২০২০-২১ অর্থবর্ষে তা বেড়ে দাঁড়ায় ২৩.৫ শতাংশ। তবে, তার পর থেকে ধীরে ধীরে এই ঋণের পরিমাণ কমতে শুরু করে। ২০২০-২১ অর্থবর্ষের সংশোধিত হিসেব অনুযায়ী, এই সম্মিলিত ঋণের পরিমাণের গড় সামান্য বেড়ে ২৩.৬৬ শতাংশ হয়। ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে তা আরও সামান্য বেড়ে ২৩.৯৩ শতাংশ হতে পারে।

    এ তো গেল সম্মিলিত রাজ্যগুলোর কথা। এবার, এক-একটি রাজ্যের ওপর পৃথকভাবে নজর দিলে সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলোর সরকারি ঋণ-সম্পর্কিত বাস্তব পরিস্থিতি স্পষ্ট হবে। ২০২০ সালের অক্টোবর মাসে পঞ্চদশ অর্থ কমিশন তাদের রিপোর্টে জানিয়েছিল, কীভাবে রাজ্যগুলো ঋণের বোঝায় জর্জরিত। রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রতিটি রাজ্যকে তাদের সরকারি ঋণের পরিমাণ তাদের নিজ নিজ মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদনের (GSDP) একটি নির্দিষ্ট শতাংশের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছিল কেন্দ্র।

    রাজ্যগুলোকে কী নির্দেশ দিয়েছিল কেন্দ্র?

    সেই শতাংশের ঊর্ধ্বসীমা কত হবে তাও রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছিল। সেই অনুযায়ী, ২০২০-২১ অর্থবর্ষের জন্য রাজ্যগুলোকে বলা হয়েছিল সরকারি ঋণের পরিমাণ তাদের নিজ নিজ রাজ্য জিডিপি বা জিএসডিপি-র (GSDP) ৩১.১ শতাংশের নীচে বেঁধে রাখতে। একইভাবে, ২০২১-২২ সালের জন্য এই ঊর্ধ্বসীমা ছিল ৩০.৭ শতাংশ। ২০২২-২৩ সালের জন্য তা ছিল ৩১.৩ শতাংশ। বাকি রাজ্যগুলো এই মাপকাঠি অনুযায়ী নিজেদের ঋণের পরিমাণ বেঁধে রাখতে সক্ষম হলেও, ২টি রাজ্যের পরিমাণ এই সীমা অতিক্রম করে। সেই ২ রাজ্য হল — পশ্চিমবঙ্গ ও পাঞ্জাব। 

    আরও পড়ুন: গুজরাটে বিজেপির প্রার্থী তালিকায় চমক, কে কে লড়ছেন জানেন?

    পশ্চিমবঙ্গের ঋণের হাল-হকিকৎ কেমন?

    সরকারি খতিয়ান বলছে, ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষে পশ্চিমবঙ্গের ঋণের পরিমাণ ছিল জিএসডিপি’র (GSDP) ৩৫.৬৮ শতাংশ। ২০২০-২১ অর্থবর্ষে তা দাঁড়িয়েছে ৩৭.০৫ শতাংশে। অনুমান, ২০২৬-‘২৭ অর্থবর্ষের মধ্যে এই দুটি রাজ্যের ঋণ এবং জিএসডিপি-র অনুপাত প্রায় ৪০ শতাংশের কাছাকাছি পৌঁছে যেতে পারে বলে ধারণা রিজার্ভ ব্যাঙ্কের। যা আর্থিকভাবে আরও পঙ্গু করে তুলবে ভারতের এই রাজ্যকে। 

    রাজ্যের অর্থ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্য সরকার ২০,৫০০ কোটি টাকা বাজার থেকে ধার করতে চলেছে। এরমধ্যে, অক্টোবরে ৪৫০০ কোটি, নভেম্বরে ৭০০০ কোটি এবং ডিসেম্বরে ৯০০০ কোটি। চলতি বছরে রাজ্য ঋণ নিচ্ছে ৭৩,২৮৬ কোটি। মোট ঋণ হবে ৫ লক্ষ ৮৬ হাজারের বেশি কোটি টাকা। দেখা গিয়েছে, রাজ্য যত টাকা ধার করেছে, তার ৭১.৫৩ শতাংশ খরচ করেছে আগের ধার শোধ করতে।

  • Ram Temple: তিন বছর আগে এদিনই রাম মন্দির নির্মাণের রায় দেয় শীর্ষ আদালত! জেনে নিন দ্বন্দ্বের শুরু থেকে শেষ

    Ram Temple: তিন বছর আগে এদিনই রাম মন্দির নির্মাণের রায় দেয় শীর্ষ আদালত! জেনে নিন দ্বন্দ্বের শুরু থেকে শেষ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনবছর আগে আজকের দিনেই রাম মন্দির (Ram Temple) নির্মাণের ঐতিহাসিক রায় দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। ৯ই নভেম্বর ২০১৯ সালে সুপ্রিম রায়ে নিষ্পত্তি হয়েছিল রামমন্দির-বাবরি মসজিদ বিতর্কের। ইতিমধ্যে রামমন্দির নির্মাণের কাজ চলছে। এরমধ্যে , এই মেগা মন্দির প্রজেক্টের উদ্বোধনের দিনক্ষণও স্থির হয়ে গিয়েছে। ১৪ই জানুয়ারি ২০২৪ এই মন্দির উদ্বোধনের কথা রয়েছে।  প্রসঙ্গত , ১৯৯২ সালের ৬ই ডিসেম্বর ভেঙে ফেলা হয়েছিল বিতর্কিত ধাঁচা। হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস ছিল, ওই স্থান ভগবান রামচন্দ্রের জন্মস্থান এবং জোরপূর্বক তা দখল করে ওখানে বাবরি মসজিদ নির্মাণ করা হয়।

    ১৫২৭ সালে ওই মসজিদ নির্মাণ করেন বাবরের সেনাপতি মীর বাকি। এই দ্বন্দ্ব দীর্ঘদিন ধরেই চলছিল , কিন্তু বিবাদ সব থেকে প্রকট আকার ধারণ করে স্বাধীনতার ঠিক দুই বছর পরে, ১৯৪৯ সালে যখন বিতর্কিত ধাঁচা থেকে পাওয়া যায় রামলালার মূর্তি। দেশের প্রধানমন্ত্রী তখন জওহরলাল নেহেরু। তিনি তৎকালীন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী গোবিন্দ বল্লভ পন্থকে ওই রামলালার মূর্তি অপসারণের নির্দেশ দেন।  দেশের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর পর্যবেক্ষণ ছিল যে “ওখানে একটি বিপজ্জনক দৃষ্টান্ত স্থাপন করা হচ্ছে”। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী এবং মুখ্যমন্ত্রীর এ নির্দেশ মানতে অস্বীকার করেন তৎকালীন জেলা ম্যাজিস্ট্রেট। আদালত ওখানে রিসিভার বসিয়ে দেয়। পুলিশি নিরাপত্তায় রামলালার মূর্তি পূজা চলতে থাকে ওখানে। মন্দিরের পূজারীকেও নিয়োগ করে আদালত। দেশে রাম মন্দির (Ram Temple) আন্দোলন তখন থেকেই বিস্তৃত হতে থাকে।

    রাম মন্দির আন্দোলন

    ১৯৮৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে বিতর্কিত এলাকার তালা খুলে দেওয়ার নির্দেশ দেয় আদালত। কেন্দ্রে তখন রাজীব গান্ধীর নেতৃত্বে সরকার চলছে। আদালতের এই নির্দেশের প্রতিবাদ জানায় বাবরি মসজিদ অ্যাকশন কমিটি। তখন থেকেই শুরু হলো আইনি লড়াই। এতদিন যে মামলার পর্যবেক্ষণ করছিল জেলা আদালত ,সেই মামলা এবার পৌঁছলো লখনউ হাইকোর্টে। এর মধ্যে আবার , নির্বাচনে লাভ হতে পারে, এই সমীকরণকে মাথায় রেখে ,রাম রাজ্য প্রতিষ্ঠার স্লোগান দিয়ে ,বিতর্কিত এলাকার খুব কাছেই রাম মন্দিরের শিলান্যাস করিয়ে দেন রাজীব গান্ধী। ১৯৮৯ এর লোকসভা নির্বাচনে হেরে গেলেন তিনি। এই সময় সর্বোচ্চ গতি ধারণ করল রাম মন্দির (Ram Temple) আন্দোলন।   এরপর ১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর ঘটলো বিতর্কিত ধাঁচার ধ্বংসকাণ্ড।

    আরও পড়ুন: ভারতের জি-২০ সভাপতিত্বের লোগো, থিম এবং ওয়েবসাইটের প্রকাশ! জানেন কী বললেন প্রধানমন্ত্রী?

    ২০০২ সালে এলাহাবাদ হাইকোর্টে শুরু হল মামলা। ২০০৩ সালে কোর্ট আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইণ্ডিয়াকে দায়িত্ব দেওয়ার পর  তারা যে রিপোর্ট জমা দিল তাতে বলা হল ‘বিতর্কিত স্থানে একটি পরিকাঠামো রয়েছে। যার সঙ্গে সাদৃশ্য রয়েছে অতি প্রাচীনকালের হিন্দু মন্দিরের।’  মুসলিমরা এই দাবির সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন। ২০১০ সালের সেপ্টেম্বর মাসে, এলাহাবাদ হাইকোর্ট বিতর্কিত জমিকে তিনভাগে ভাগ করে দেয়। যার একটি ভাগ দেওয়া হয় সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডকে। একটি অংশ পায় নির্মোহী আখড়া। বাকি অংশ দেওয়া হয় রামলালাকে। যদিও এই রায়ে তিন বিচারপতি সহমত পোষণ করেননি। হাইকোর্টের এই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় হিন্দু মহাসভা ও সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড।

    সুপ্রিম নির্দেশ

    এলাহাবাদ হাইকোর্টের এই রায়ের ৯ বছর পরে, ৯ নভেম্বর ২০১৯। রাম জন্মভূমি মামলায় ঐতিহাসিক রায় দেয় সুপ্রিম কোর্ট। প্রধান বিচারপতি ছিলেন রঞ্জন গগৈ। অযোধ্যার যে ২.৭৭ একর জমিকে বিরোধের মূল কেন্দ্র বলে গণ্য করা হয়, তার মালিকানা দেওয়া হয় ‘রামলালা’কে। বলা হয় , “কোটি কোটি হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস রয়েছে যে ওই স্থান রামলালার”। আদালত এই বিশ্বাসকে মর্যাদা দিচ্ছে। অযোধ্যাতেই ৫ একর জমি দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয় মুলসিমদের মসজিদ নির্মাণের জন্য। প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ ছাড়া বেঞ্চের অন্য বিচারপতিরা ছিলেন এস এ বোড়বে, চন্দ্রচূড়, অশোক ভূষণ ও এস আবদুল নাজির। এই মন্দির ও মসজিদ বানানোর জন্য কেন্দ্রীয় সরকারকে একটি ট্রাস্ট গঠনেরও নির্দেশ দেয় দেশের সর্বোচ্চ আদালত।

     

  • Sagar Dutta Hospital: হোস্টেলে ঘর পেতে, দিতে হবে টাকা! তৃণমূল ছাত্রনেতাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজে

    Sagar Dutta Hospital: হোস্টেলে ঘর পেতে, দিতে হবে টাকা! তৃণমূল ছাত্রনেতাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলেজের হোস্টেল পাওয়ার নিয়ম বাড়ির দূরত্ব অনুযায়ী। কিন্তু সেই নিয়মকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে নতুন নিয়ম তৈরি করেছে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। প্রথম বর্ষের পড়ুয়াদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতাদের মাথা পিছু ৩ হাজার টাকা না দিলে হোস্টেলের ঘর পাওয়া যাবে না। প্রতিবাদ করলে জুটছে শারীরিক হেনস্থা। এমনই অভিযোগ উঠেছে সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (Sagar Dutta Hospital)। অভিযোগ, প্রথম বর্ষের ছাত্র ভর্তি হতেই হোস্টেলের জন্য আবেদন জমা পড়ে। এরপর কলেজ কর্তৃপক্ষ নয়, তৃণমূল ছাত্র পরিষদ, সেই আবেদনকারীদের সঙ্গে যোগাযোগ করে। তারাই ঠিক করে,কার হোস্টেলের আবেদন মঞ্জুর হবে। 

    সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজের (Sagar Dutta Hospital) প্রথম বর্ষের পড়ুয়াদের একাংশের অভিযোগ, তৃণমূল ছাত্র পরিষদের তরফে তাদের জানানো হয়, ছাত্র নেতাদের ৩০০০ টাকা দিতে হবে। তবেই তাদের আবেদন মঞ্জুর হবে। ‘ঘুষ’ নেওয়ার অভিযোগ প্রকাশ্যে আসতে দ্বিতীয় ও তৃতীয় বর্ষের পড়ুয়াদের একাংশ ঘটনার প্রতিবাদ করেন। তাঁরা অধ্যক্ষ ও ডিনের কাছে অভিযোগ করেন। যদিও এর কোনও সুরাহা হয়নি বলেই অভিযোগ জুনিয়র চিকিৎসকদের একাংশের। জুনিয়র চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, তৃণমূল ছাত্র পরিষদের এই ‘ঘুষ’ নেওয়ার প্রতিবাদ করলে শারীরিক হেনস্থার শিকার হতে হচ্ছে। দ্বিতীয় ও তৃতীয় বর্ষের ছাত্ররা  যে হোস্টেলে থাকেন,তাঁদের ঘরে ঢুকে ভাঙচুর করা হচ্ছে, তাঁদেরকে শারীরিক নিগ্রহ করা হচ্ছে। ক্যাম্পাসের মধ্যে হুমকি দেওয়া হচ্ছে।

    অভিযোগ, সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ (Sagar Dutta Hospital) কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার জানালেও তাঁরা কোনও পদক্ষেপ করেননি। ভুক্তভোগী এক পড়ুয়ার অভিযোগ, “তৃণমূলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করলে শিক্ষকরাও পাশে থাকছেন না। তাই ডিনকে বারবার সমস্ত ঘটনা জানালেও তিনি কোনও সাহায্য করছেন না। এরকম হেনস্থা চললে পড়াশোনা চালানো কঠিন হয়ে যাচ্ছে। কীভাবে কোর্স শেষ করব জানি না। প্রতি রাতে হোস্টেলের ঘরে ঢুকে হুমকি দিচ্ছে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতারা। ” 

    আরও পড়ুন: রাজ্যে ডেঙ্গির পরিস্থিতি ভয়াবহ, এর থেকে রেহাই পেতে কী করবেন ও কী করবেন না?

    হাসপাতাল প্রশাসন রাজ্যের শাসক দলের হয়েই পরোক্ষে কাজ করে এ অভিযোগ ব্যতিক্রম নয়। রাজ্যের চিকিৎসক মহলের একাংশ জানাচ্ছেন, সরকারি হাসপাতাল প্রশাসন এখন শাসক দলের অঙ্গুলি হেলনেই চলে। আর তাই রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের নির্বাচনে অধ্যক্ষের ঘরেই শাসকের হয়ে ছাপ্পা ভোট দেওয়া থেকে শুরু করে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের ‘ঘুষ’ নেওয়ার অভিযোগে নীরব থাকছে কর্তৃপক্ষ। সবকিছুই চলছে অবাধে। কোথাও প্রশাসনের পদক্ষেপ দেখা যাচ্ছে না। 

    এই ঘটনা প্রসঙ্গে মুখ খোলেননি সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ (Sagar Dutta Hospital) কর্তৃপক্ষ। কলেজের অধ্যক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “ঘটনার অভিযোগ পেয়েই তদন্ত কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছি। সেই নির্দেশ কার্যকরী হয়েছে। কমিটি মিটিং করেছে। সমস্ত অভিযোগ খতিয়ে দেখা হবে। অভিযোগ সত্যি হলে দোষীরা উপযুক্ত শাস্তি পাবে। ” যদিও এই তদন্ত কমিটির উপর আস্থা নেই ভুক্তভোগীদের। তাঁরা জানাচ্ছেন, একাধিক মেডিক্যাল কলেজেই তৃণমূল ছাত্র পরিষদের জুলুম চলছে। এরকম তদন্ত কমিটি তৈরি হচ্ছে ঠিকই। কিন্তু তার কোনও ফল পাওয়া যাচ্ছে না। সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজের তদন্ত কমিটিতেও অধ্যক্ষ উপস্থিত থাকছেন না। তদন্ত কমিটির অন্য সদস্যেরা ভুক্তভোগীদের জানিয়ে দিচ্ছেন, প্রত্যেক মুহূর্তে সকলকে নিরাপত্তা দেওয়া কলেজ কর্তৃপক্ষের পক্ষে সম্ভব নয়। নিজেদের সাবধান থাকতে হবে। 

LinkedIn
Share