Author: শুভ্র চট্টোপাধ্যায়

  • Nabadwip: নবদ্বীপের রাসে রয়েছে হরেক কাহিনী! জানেন সেই গল্প?

    Nabadwip: নবদ্বীপের রাসে রয়েছে হরেক কাহিনী! জানেন সেই গল্প?

    শুভ্র চট্টোপাধ্যায়: ভারতবর্ষের মন্দির নগরী বলা হয়ে থাকে ‘বারাণসী’ কে। নবদ্বীপ ঘুরলে মনে হতেই পারে এ যেন বারাণসীর আরেকটি নতুন সংস্করণ। প্রাচীন বাংলার বিদ্যাচর্চার কেন্দ্র ছিল নবদ্বীপ। প্রাচীন এই নগরীকে  বলা হতো ‘বাংলার অক্সফোর্ড’। বহুগুণী এবং পন্ডিত মানুষদের পান্ডিত্যে সমৃদ্ধ এই জনপদে জন্ম নিয়েছিলেন গৌরাঙ্গ মহাপ্রভু। বাংলার সেন রাজাদের এই রাজধানী আক্রমণ করেন ইখতিয়ার উদ্দিন বখতিয়ার খিলজী। লুন্ঠন, হত্যা ধর্মান্তরকরণের পরেও অক্ষত ছিল ঐতিহ্যবাহী এই নগরীর সাংস্কৃতিক পরিবেশ। হিন্দু ধর্মের শাক্ত, বৈষ্ণব, শৈবদের পীঠস্থান বলুন বা তীর্থস্থান বলুন, সেটা নবদ্বীপ। পুণ্যতোয়া গঙ্গা নদীর স্রোতের ধ্বনি, বৈদিক মন্ত্রোচ্চারণের রীতি দেখলে মনে হতেই পারে যেন ঋক বৈদিক যুগের কোনও নগরীতে আপনি উপস্থিত হয়েছেন।

    নবদ্বীপের  ‘রাস’ অতি জনপ্রিয়। রাস পূর্ণিমার বিশেষ তিথিতে গোটা নবদ্বীপ শহর সেজে ওঠে আলোর মালায়। চোখে পড়ে মণ্ডপের কারুকার্য। নবদ্বীপের এই রাস উৎসবকে কেন্দ্র করে অগণিত মানুষের সমাবেশ ঘটে। রাজ্য, দেশ ছাড়িয়ে বিদেশ থেকেও অনেক মানুষ রাস উৎসবে অংশগ্রহণ করেন। জনশ্রুতি রয়েছে, শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু নবদ্বীপে প্রথম রাসযাত্রার সূচনা করেন। বলা হয়ে থাকে ‘রস’ থেকে ‘রাস’ শব্দটি এসেছে। এর অর্থ আনন্দ বা দিব্য অনুভূতি। গোপিনীরা শ্রী কৃষ্ণের সাথে এই আনন্দ ভাগ করে নিতেন। পৌরাণিক এই ঘটনার স্মরণেই রাস যাত্রার উদ্ভব বলে বিশ্বাস রয়েছে। মূলত বৈষ্ণবীয় ভাবধারার এই রাস যাত্রা নবদ্বীপে আজ অনেকটাই পরিবর্তিত হয়েছে। শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর মৃত্যুর পর রাসযাত্রার ওপরে বৈষ্ণবীয় ভাবধারার প্রভাব ক্ষীণ হতে থাকে। সেই শূন্যস্থান পূরণ করতে থাকে ‘শাক্ত’ ভাবধারা। তাই নবদ্বীপে বর্তমান যে রাসযাত্রা সেটার উপর শাক্ত ভাবধারার প্রভাব সব থেকে বেশি। মদ ,মাংস ,আড়ম্বর এগুলি হলো বীরাচার বা শাক্ত ভাবধারার অন্যতম প্রধান বৈশিষ্ট্য। নবদ্বীপের রাসযাত্রায় এগুলো বিশেষভাবে পরিলক্ষিত হয়।

    আরও পড়ুন: রাত পোহালেই জগদ্ধাত্রীর আরাধনায় মাতবে বাঙালি! জানেন কে এই পুজোর শুরু করেন?

    জনশ্রুতি আছে, মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্র নবদ্বীপে শাক্ত রাসের প্রবর্তন করেন। একাধারে এই রাজার নামের সাথে বাংলায় প্রথম জগদ্ধাত্রী পূজার ইতিহাস যেমন সম্পর্কিত, একইভাবে রাসযাত্রার ইতিহাসও সম্পর্কিত। শক্তি, বীরাচার এবং রাজসিক গুণের আচরণ রাজা করবেন, একথাই তো স্বাভাবিক। মনে করা হয়, বৈষ্ণব ভাবধারার প্রভাব রাসযাত্রার উপর থেকে ক্ষীণ হতে শুরু করে যখন থেকে রাজা কৃষ্ণচন্দ্র এখানে শাক্ত রাসের সূচনা করেন। রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের প্রপৌত্র গিরিশচন্দ্র পোড়ামাতলায় ভবতারণ শিব ও ভবতারিণী শক্তিমূর্তি নির্মাণ করেছিলেন। কথিত আছে, রাসযাত্রায় তিনি নবদ্বীপের পণ্ডিতকে প্রচুর দানধ্যান করতেন। রাসযাত্রার প্রথমদিকে নবদ্বীপে শুধুই পটপুজো হতো। কথিত আছে, মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্র নাটোর থেকে মৃৎশিল্পী নিয়ে আসেন। তারপর থেকেই রাসযাত্রায় মূর্তিপূজা হতে থাকে।

    গোবিন্দদাসের পদাবলীতে উল্লেখিত বৃন্দাবনে গোপিনীদের সঙ্গে কৃষ্ণ যখন রাসলীলায় মগ্ন, স্বর্গের দেবদেবীরা তখন তা দেখতে বৃন্দাবনে এসেছিলেন। ভক্তদের বিশ্বাস, রাসলীলা দেখার জন্য দেবদেবীরা এসেছিলেন নবদ্বীপেও। চৈতন্য মহাপ্রভুর জন্মস্থানে রাস উপলক্ষে সাড়ে তিনশো দেবদেবীর পুজো হয়। পোড়ামাতলায় মহিষমর্দিনী মাতার পুজো হয়। রাসে কেবলমাত্র এই প্রতিমার পুজোই তিনদিন ব্যাপী দুর্গামন্ত্রে হয়। শতবর্ষ প্রাচীন ওলাদেবীতলার মুক্তকেশীর ভোগ দেওয়ার রীতি রয়েছে ইলিশমাছ সহযোগে। খড়েরগোলার বিন্ধ্যবাসিনী অষ্টভুজার আরাধনা বৈষ্ণব মতে হয়ে থাকে। নবদ্বীপের রাসে শাক্তমূর্তি বেশী দেখা যায়। দেবী কালিকা কত বিচিত্র নামে পূজিতা হন এই রাসযাত্রায়—বামকালী, নৃত্যকালী, উড়ন্তকালী, মুক্তকেশীকালী, মহানিশাকালী, তোতাপুরীকালী ইত্যাদি। সাধক রামপ্রসাদের কালী ভাবনার পূর্ণ প্রতিফলন দেখা যায় ‘শবশিবার’ রূপকল্পনায়। এখানে ভূমিতে পরে আছে শব তার উপরে শায়িত আছেন শিব এবং সর্বোপরি দেবী মহামায়ার অধিষ্ঠান। দেবীর পাদস্পর্শে শব রূপান্তরিত হয়েছে শিবে। বড় বড় প্রতিমাগুলি নবদ্বীপ শহর পরিক্রমণ করে। রাসযাত্রার অন্যতম প্রধান আকর্ষণ এটি। বিশালাকার গৌরাঙ্গি মাতার শোভাযাত্রা দেখতে গোটা নবদ্বীপ শহরে ভিড় উপচে পড়ে। রাসযাত্রার এই কয়েকটা দিনে হিন্দু ধর্মের প্রধান দেব-দেবীদের একসাথে পুজো নবদ্বীপ শহরেই দেখা যায়।

  • TET Exam 2017: আশার আলো! ২০১৭ সালে টেটের ফল প্রকাশিত, ২০১৪-এর কবে?

    TET Exam 2017: আশার আলো! ২০১৭ সালে টেটের ফল প্রকাশিত, ২০১৪-এর কবে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অবশেষে ফলপ্রকাশ। ২০১৭ সালের টেট পরীক্ষার্থীদের নম্বর প্রকাশ করল পর্ষদ। সোমবার পর্ষদের ওয়েবসাইটে নম্বর প্রকাশ করা হয়েছে। খুব শীঘ্রই ২০১৪ সালের পরীক্ষার্থীদের নম্বরও প্রকাশ করা হবে বলে পর্ষদের তরফে জানানো হয়েছে। পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল বলেন, ‘‘মোট ১৫০ নম্বরের পরীক্ষায় কে কত নম্বর পেয়েছে, আমরা সেটা দিয়ে দিয়েছি। আশা করছি, ২০১৪ সালের ক্ষেত্রে এই সপ্তাহের মধ্যেই নম্বর জানিয়ে দিতে পারব। যদি কাজ শেষ করতে পারি, তার আগেও জানিয়ে দিতে পারি।” তবে শংসাপত্র এখনই দিচ্ছে না পর্ষদ। যদিও এতে কোনও সমস্যা হবে না বলেও জানানো হয়েছে। পর্ষদের তরফে মোট ১৮৮ পাতার নির্দেশিকা প্রকাশিত হয়েছে।

    আরও পড়ুন: সকালে গরম, বিকেলে নরম…! নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআইয়ের উপরেই আস্থা বিচারপতির

    প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের যোগ্যতামান নির্ণায়ক টেট-এ অংশগ্রহণ করেছিলেন ১ লক্ষ ৮৯ হাজার ৫১৪ জন। উত্তীর্ণ হন ৯ হাজার ৮৯৬ জন। হাই কোর্টের নির্দেশে ৮২ নম্বর পাওয়া প্রার্থীদেরও উত্তীর্ণ ঘোষণা করা হয়েছে। বর্তমানে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ ১১ হাজার ৭৬৫ শূন্যপদে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করেছে। ২০১৪ কিংবা ২০১৭ সালের টেট পরীক্ষা নেওয়া হলেও এত দিন পর্যন্ত পরীক্ষার্থীরা নিজেদের নম্বর জানতে পারেননি। হাতে পাননি শংসাপত্রও। পর্ষদ সভাপতি কার্যত স্বীকার করে নিয়েছেন, পরীক্ষায় পাওয়া নম্বর কিংবা শংসাপত্র এত দিন না দেওয়ার বিষয়ে গাফিলতি ছিল। সোমবারের সংবাদিক সম্মেলনে গৌতম পাল বলেন, ‘‘এবার থেকে টেট পরীক্ষার নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই পরীক্ষার নম্বর ও সার্টিফিকেট দেওয়া হবে। কিছু আইনি জটিলতার কারণে পরীক্ষার নম্বর প্রকাশের ক্ষেত্রে বিলম্ব হয়েছে৷’’

    আরও পড়ুন: ৬০০ দিন পেরোলো চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলন, আরও জোরদার আন্দোলনের হুঁশিয়ারি

    উল্লেখ্য, কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে প্রাথমিকের শিক্ষকপদ থেকে বরখাস্ত করা হয়েছিল ২৬৯ জনকে। সুপ্রিম কোর্ট ওই রায়ে স্থগিতাদেশ দেয়। সেই নির্দেশের ভিত্তিতেই এদিন পর্ষদের তরফে নয়া বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়,  যোগ্যতা থাকলে ওই ২৬৯ জন চাইলে চাকরিতে ফের যোগ দিতে পারেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Justice Abhijit Ganguly: সকালে গরম, বিকেলে নরম…! নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআইয়ের উপরেই আস্থা বিচারপতির

    Justice Abhijit Ganguly: সকালে গরম, বিকেলে নরম…! নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআইয়ের উপরেই আস্থা বিচারপতির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি মামলার শুনানিতে প্রথমে সিবিআইয়ের  (CBI) ভূমিকা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করলেও দিনের শেষবেলায় সিবিআই তদন্তের উপরই আস্থা প্রকাশ করলেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Gangopadhyay)। সোমবার দিনের শুরুতে সিবিআইয়ের গঠন করা বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করলেও বিকেলে তিনি বলেন, ‘‘সিবিআইয়ের উপর আমার আস্থা ও বিশ্বাস রয়েছে।’’

    আরও পড়ুন: ৬০০ দিন পেরোলো চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলন, আরও জোরদার আন্দোলনের হুঁশিয়ারি

    এদিন, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলার শুনানিতে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, যোগ্য প্রার্থীরা কেন চাকরি পাননি তদন্ত করে তা সিবিআইকে জানাতে হবে। নইলে বিচারব্যবস্থা ও প্রশাসনের ওপর তাদের আস্থা উঠে যাবে। সিবিআইয়ের গঠিত সিটের কয়েক জন সদস্য ঠিক মতো কাজ করছেন না বলে সোমবার সকালে এই মামলায় পর্যবেক্ষণ করেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।  প্রয়োজনে ওই সদস্যদের পরিবর্তন করার কথাও বলেন তিনি। কিন্তু দুপুরে তিনি জানান, ‘বিচারব্যবস্থা যোগ্যদের কথা ভাবে। রাজ্যের ভবিষ্যতের কথা ভাবে। সিবিআইয়ের ওপর আমার আস্থা রয়েছে। কেন দেরি হয়েছে তদন্তকারী আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলে বুঝতে পেরেছি। সিবিআইকে নিজের জায়গা ধরে রাখতে হবে। অনেকে বলছেন মুড়ি মুড়কির মতো সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছি। মুড়ি মুড়কির মতো দুর্নীতি হচ্ছে তাই সিবিআই। সিবিআই ম্যাজিক দেখাতে পারে। আশা করব তারা দেখাবে’।

    আরও পড়ুন: এবার ভারতীয় মেট্রো ক্যাশ অ্যান্ড ক্যারির মালিকও আম্বানি? জানুন কত টাকায় হচ্ছে হস্তান্তর 

    সোমবার এই মামলার শুনানিতে আদালতে OMR শিট দুর্নীতি সংক্রান্ত রিপোর্ট পেশ করে সিবিআই। কিন্তু এদিন সেই রিপোর্ট গ্রহণ করেননি বিচারপতি। সুপ্রিমকোর্টে মানিক ভট্টাচার্য এই সংক্রান্ত মামলা দায়ের করায় রিপোর্ট সেখানে জমা দিতে বলেছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। অন্যদিকে, চাকরিপ্রার্থীদের ধর্নার বিরোধিতায় সম্প্রতি কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়। আবেদনে বলা হয়, প্রতিবাদকে দুর্ভোগ বানানো যায় না। ট্রাফিকের সমস্যা তৈরি হতে দেওয়া যায় না। সোমবার প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের বেঞ্চে এই মামলার শুনানি শেষ হয়েছে। রায়দান স্থগিত রেখেছেন বিচারপতি।   

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • Danushka Gunathilaka: ধর্ষণে অভিযুক্ত ক্রিকেটার দানুষ্কা গুণতিলকাকে নির্বাসিত করল শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ড

    Danushka Gunathilaka: ধর্ষণে অভিযুক্ত ক্রিকেটার দানুষ্কা গুণতিলকাকে নির্বাসিত করল শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ড

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ধর্ষণে অভিযুক্ত ক্রিকেটার দানুষ্কা গুণতিলকার জামিনের আর্জি খারিজ করে দিয়েছে সিডনির একটি আদালত। একই সঙ্গে গুণতিলকাকে সব ধরনের ক্রিকেট থেকে নির্বাসিত করল শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ডও। সোমবার শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ডের এগজিকিউটিভ কমিটি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আগামী দিনে শ্রীলঙ্কার হয়ে গুণতিলকাকে আর খেলতে দেখা যাবে না।

    সোমবার ভিডিও মাধ্যমে ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে হাজিরা দেন গুণতিলকা। তাঁর আইনজীবী জামিনের আবেদন করেন। কিন্তু ম্যাজিস্ট্রেট রবার্ট উইলিয়ামস তাঁকে জামিন দেননি। আগামী বুধবার এই মামলা আরও একবার আদালতে উঠবে। ততদিন পুলিশি হেফাজতেই থাকতে হবে শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটারকে। ধর্ষণের অভিযোগে রবিবার ভোররাতে সিডনির একটি হোটেল থেকে গ্রেফতার করা হয় তাঁকে।  দানুষ্কাকে ছাড়াই রবিবার সকালে দেশে ফেরার বিমান ধরেছেন দাসুন শনাকারা। নিউ সাউথ ওয়েলস পুলিশের পক্ষ থেকে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘‘একটি ডেটিং অ্যাপে যোগাযোগের পর ২৯ বছরের এক মহিলার সঙ্গে এক জন পুরুষ দেখা করেছিলেন। মহিলার অভিযোগ, গত ২ নভেম্বর বুধবার সন্ধ্যায় ওই ব্যক্তি তাঁকে যৌন নিগ্রহ করেছেন। অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা তদন্ত শুরু করেছি। পুলিশ বিভাগের অপরাধ বিশেষজ্ঞরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন।’’

    আরও পড়ুন: শেষ চারে যেতে গেলে জিততে হবে ভারতকে! না হলে নানান অঙ্ক, জেনে নিন কোন দল কোন জায়গায়

    সিডনি পুলিশের বিবৃতিতে অভিযুক্তের পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি। শুধু বলা হয়েছে অভিযুক্ত শ্রীলঙ্কার নাগরিক। তাঁর বয়স ৩১ বছর। সিডনির যে হোটেলে শ্রীলঙ্কা দল ছিল, সেই হোটেলে এই ঘটনা ঘটেনি। কাছেরই অন্য একটি হোটেলে ওই মহিলার সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটার গুণতিলকা। চলতি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলতে অস্ট্রেলিয়ায় ছিল শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট দল। সুপার টুয়েলভ থেকেই বিদায় নিয়েছে দ্বীপরাষ্ট্র। এবার তাদের দেশের এক ক্রিকেটারের বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযোগ ওঠায় বিব্রত শ্রীলঙ্কার ক্রিকেট বোর্ড।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Facebook: ট্যুইটারের পথে মেটা! বড় কর্মী-ছাঁটাইয়ের পথে মার্ক জুকারবার্গের সংস্থা?

    Facebook: ট্যুইটারের পথে মেটা! বড় কর্মী-ছাঁটাইয়ের পথে মার্ক জুকারবার্গের সংস্থা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ট্যুইটারের পর এবার ফেসবুক। দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের  (Wall Street Journal) প্রতিবেদন অনুযায়ী,  খুব তাড়াতাড়ি তারা সংস্থার বহু কর্মীকে ছাঁটাই করতে পারে ফেসবুকের মালিক সংস্থা মেটা। ছাঁটাই প্রক্রিয়া শুরু হতে পারে বুধবার থেকেই। সংস্থার তরফে এ সপ্তাহের শুরুতে কর্মীদের কোথাও অপ্রয়োজনীয় ভ্রমণে যেতে বারণ করা হয়েছে। সম্প্রতি ট্যুইটার (Twitter) থেকে কর্মী ছাঁটাই করেছেন ইলন মাস্ক (Elon Musk)। একই পথে হাঁটতে চলেছে ফেসবুকের (Facebook) প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জুকারবার্গও (Mark Zuckerberg)।

    আরও পড়ুন: ‘‘ভুল হয়েছে, ফিরে আসুন…’’! বহু সদ্যপ্রাক্তন কর্মীকে পুনরায় কাজে যোগ দেওয়ার আবেদন ট্যুইটারের

    অক্টোবর মাসে মেটার তরফে  বলা হয়েছিল, আগামী বছর স্টক মার্কেট ভ্যালু ৬৭ বিলিয়ন ডলার কমে যেতে পারে। এ বছর ইতিমধ্যেই এক ট্রিলিয়ন ডলারের অর্ধেক ভ্যালু নষ্ট হয়েছে। এই দুর্দশার কারণ দুনিয়াজুড়ে অর্থনীতি মন্থর হয়ে পড়ছে।  জুনে, মেটার প্রধান পণ্য কর্মকর্তা ক্রিস কক্স কর্মীদের ‘গুরুতর সময়ের’ বিষয়ে সতর্ক করেছিলেন। সেই সময়ে তিনি জানান যে কর্মীদেরকে অবশ্যই ‘ধীরগতির বৃদ্ধির পরিবেশে নির্ভুলভাবে কর্মসম্পাদনা করতে হবে’। মেটার সিইও মার্ক জুকারবার্গ একই সময়ে কর্মীদের উপর চাপ বৃদ্ধি করতে শুরু করেছিলেন। তিনি জানিয়েছিলেন যে ‘সম্ভবত কোম্পানিতে এমন এক গুচ্ছ লোক রয়েছেন যাদের এখানে থাকা উচিত নয়’। জুকারবার্গ পরবর্তীতে সেপ্টেম্বরে নিয়োগ স্থগিত করে এবং সতর্ক করে দেন যে অদূর ভবিষ্যতে কোম্পানির আকার কমতে পারে। 

    আরও পড়ুন: কর্মী ছাঁটাই শুরু করেছে ট্যুইটার, ভয় বাড়ছে H1B ভিসাধারীদের

    প্রসঙ্গত, গত জুন মাসেই ইঞ্জিনিয়ারদের চাকরিতে নিয়োগ ৩০ শতাংশ কমিয়ে দিয়েছিল মেটা। বর্তমানে  ৮৭,০০০ এরও বেশি কর্মচারী রয়েছে মেটায়। কিন্তু এই ছাঁটাই প্রক্রিয়া শুরু হলে কর্মীদের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ কমে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। জানা গিয়েছে এই ছাঁটাই ট্যুইটারে ব্যাপক ছাঁটাইয়ের তুলনায় মেটাকে আরও বেশি প্রভাবিত করতে পারে। ট্যুইটারের ছাঁটাই কোম্পানির ৭,৫০০ কর্মচারীর মধ্যে প্রায় অর্ধেককে প্রভাবিত করেছিল।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Anubrata Mondal: লটারির মাধ্যমেও চলত কালো টাকা সাদা করার প্রয়াস! অনুব্রতকে জেরা সিবিআইয়ের

    Anubrata Mondal: লটারির মাধ্যমেও চলত কালো টাকা সাদা করার প্রয়াস! অনুব্রতকে জেরা সিবিআইয়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে হাওয়ায় উড়ছে কালো টাকা। চলছে সাদা করার নানান প্রয়াস। তারই একটা নয় তো লটারি, অনুমান গোয়েন্দাদের। বীরভূমের দাপুটে তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলের পর লটারিকাণ্ডে এবার ইডির নজরে রাজ্যের এক বিধায়কের স্ত্রী। ওই মামলায় বিধায়কের স্ত্রীকে দিল্লিতে তলব করেছে ইডি। লটারিতে অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) কোটি টাকা প্রাপ্তি আসলে কি সত্য ঘটনা, নাকি এর পিছনে রয়েছে কোন গভীর ষড়যন্ত্র? তা জানতে বোলপুরে  পৌঁছে যায় সিবিআই (CBI) অফিসাররা। কিছুদিন আগে অনুব্রত মণ্ডল ডিয়ার লটারিতে ১ কোটি টাকা জিতেছিলেন। তদন্তকারীরা মনে করছেন, ওটা কালো টাকা সাদা করার একটা ধাপ।

    আরও পড়ুন: আদৌ কি লটারি জিতেছিলেন অনুব্রত? লটারি বিক্রেতার বয়ানে ঘনীভূত রহস্য

    লটারিকাণ্ডের তদন্ত পৃথক একটি এফআইআর দায়ের করেছে ইডিও। ইডি সূত্রে খবর, বিভিন্ন জেলায় একাধিক লোকের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে যারা বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে টিকিট কিনে নিয়ে কালো টাকা সাদা করেছেন। পাশাপাশি, লটারি কোম্পানির মালিকরাও ইডির নজরে রয়েছেন। কীভাবে ওই গোটা প্রক্রিয়া চলত তা জানার চেষ্টা করছে ইডি। এর জন্যই ওই তৃণমূল বিধায়কের স্ত্রীকে আগামী ১১ নভেম্বর দিল্লিতে ইডির অফিসে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে। তিনিও কিছুদিন আগে লটারি জেতেন। সূত্রের খবর,  কিছুদিন আগে ডিয়ার লটারিকাণ্ডে একটি তল্লাশি অভিযান চালিয়েছিল ইডি। তখনই একাধিক গুরুত্বপূর্ণ নথি আসে ইডির হাতে। ওইসব নথি থেকে তাঁরা জানতে পারেন শুধুমাত্র অনুব্রত মণ্ডলই নয়, আরও কয়েকজন রয়েছেন যাদের কালো টাকা সাদা করা হতো লটারির মাধ্যমে। তদন্তকারীরা মনে করছেন, ওই বিধায়কের স্ত্রীকে জেরা করে আরও অনেক তথ্য উঠে আসবে। অনুব্রত ছাড়া আর কারা লটারির মাধ্যমে কালো টাকা সাদা করতেন তা জানা যাবে। 

    আরও পড়ুন: গরু পাচার মামলায় নতুন মোড়! বখরা পেতেন ২ বিধায়ক! ইডি-কে জানাল সায়গল

    লটারি জেতা প্রসঙ্গে আসানসোল সংশোধনাগারে গিয়ে অনুব্রতকে জিজ্ঞাসবাদ করে সিবিআই। দীর্ঘক্ষণ জেরা চলে। সিবিআই সূত্রে খবর, অনুব্রত এ বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছু বলেননি। অনুমান, অনুব্রতকে জেরা করে পাওয়া তথ্য থেকেই তৃণমূল বিধায়কের স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলবে তদন্তকারীরা। দুজনের থেকে প্রাপ্ত তথ্য মিলিয়ে দেখা হবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • T20 World Cup: শেষ চারে যেতে গেলে জিততে হবে ভারতকে! না হলে নানান অঙ্ক, জেনে নিন কোন দল কোন জায়গায়

    T20 World Cup: শেষ চারে যেতে গেলে জিততে হবে ভারতকে! না হলে নানান অঙ্ক, জেনে নিন কোন দল কোন জায়গায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৃষ্টি বিঘ্নিত ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৩৩ রানে হারিয়ে টি-২০ বিশ্বকাপের (T-20 World Cup) সেমি-ফাইনালে ওঠার আশা জাগিয়ে রাখল পাকিস্তান (Pakistan)। আইসিসি’র নিয়ম অনুযায়ী দু’টি গ্রুপ থেকে দু’টি করে দল সেমি-ফাইনালে উঠবে। এই মুহূর্তে দু’নম্বর গ্রুপে চারটি ম্যাচ খেলে ৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে রয়েছে ভারত। দ্বিতীয় স্থানে দক্ষিণ আফ্রিকার ঝুলিতে সমসংখ্যক ম্যাচে ৫ পয়েন্ট। অনেকটা পিছিয়ে থেকে তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে পাকিস্তান। চার ম্যাচে বাবরদের সংগ্রহ ৪ পয়েন্ট। বাংলাদেশও চার পয়েন্ট নিয়ে রয়েছে চতুর্থ স্থানে।

    আরও পড়ুন: আমার ক্যাপ্টেনের হাসি মুখটা যেন একই রকম থাকে! ইমরানের উপর হামলায় আবেগঘন ট্যুইট মুস্তাকের

    গ্রুপের শেষ ম্যাচে ভারত খেলবে জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে। দক্ষিণ আফ্রিকার লড়াই নেদরাল্যান্ডসের বিরুদ্ধে। আর পাকিস্তান মুখোমুখি হবে বাংলাদেশের। ভারত যদি জিম্বাবোয়েকে হারিয়ে দেয় তাহলে রোহিত শর্মারা শীর্ষে থেকেই সেমি-ফাইনালে উঠবেন। নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে জেতা উচিত দক্ষিণ আফ্রিকার। সেক্ষেত্রে বাভুমাদের পয়েন্ট দাঁড়াবে সাত। তাদেরও শেষ চারের টিকিট নিশ্চিত হবে। তবে বৃষ্টিতে যদি এই ম্যাচ ভেস্তে যায়, তাহলে অঙ্ক বদলে যেতে পারে। কারণ, সেক্ষেত্র প্রোটিয়া বাহিনীর হবে ৬ পয়েন্ট। আর পাকিস্তান যদি বাংলাদেশকে বড় ব্যবধানে হারিয়ে দেয়, তাহলে তাদেরও ঝুলিতে থাকবে ৬ পয়েন্ট। সেক্ষেত্রে দেখা হবে নেট রান রেট। দক্ষিণ আফ্রিকার নেট রান রেট ১.৪৪১ আর পাকিস্তানের নেট রান রেট ১.১১৭। তাই বাংলাদেশের বিরুদ্ধে পাকিস্তানকে জিতলেই হবে না, মার্জিনও অনেক বড় রাখতে হবে। তবে ভারত যদি কোনওভাবে জিম্বাবোয়ের কাছে হেরে যায়, তাহলে সুবিধা হবে পাকিস্তানের। কারণ, রোহিত শর্মাদের নেট রান রেট (০.৭৩০) পাকিস্তানের তুলনায় খারাপ। আর জিম্বাবোয়ে যেহেতু পাকিস্তানকে হারিয়ে দিয়েছে, তাই রোহিতরা মোটেও সিকন্দর রাজাদের হাল্কাভাবে নেবেন না।  

    আরও পড়ুন: বিরাট রেকর্ড কোহলির! সচিনকে পিছনে ফেলে বিদেশের মাঠে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক কে জানেন?

    দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে নেদারল্যান্ডস যদি অঘটন ঘটিয়ে দেয়, তাহলে সবচেয়ে বেশি খুশি হবে পাকিস্তান। সেক্ষেত্রে বাবর আজমরা শুধু জিতলেই হবে। কারণ, তখন আর নেট রান রেট দেখার প্রয়োজন পড়বে না। দক্ষিণ আফ্রিকা আটকে থাকবে ৫ পয়েন্টে। আর পাকিস্তান জিতলে ৬ পয়েন্ট নিয়ে সেমি-ফাইনালে চলে যাবে। তাই নিশ্চিন্তে নেই কোনও দলই। শেষ পর্যন্ত কারা সেমি-ফাইনালে ওঠে সেটাই দেখার।

  • T20 World Cup: ভারতকে হারাতে পারলে জিম্বাবোয়ের কোন ক্রিকেটারকে বিয়ের প্রস্তাব দেবেন পাক অভিনেত্রী? নজরে কে সিকন্দর রাজা?

    T20 World Cup: ভারতকে হারাতে পারলে জিম্বাবোয়ের কোন ক্রিকেটারকে বিয়ের প্রস্তাব দেবেন পাক অভিনেত্রী? নজরে কে সিকন্দর রাজা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতকে (India) হারাতে পারলে বিয়ে (marry) করব তোমাদের মধ্যে একজনকে। টি-২০ বিশ্বকাপে (T20 World Cup) গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের আগে জিম্বাবোয়েন ক্রিকেটারদের এমনই প্রস্তাব দিলেন পাকিস্তানের বিতর্কিত অভিনেত্রী সেহর শিনওয়ারি (Pakistani actress Sehar Shinwari)। রবিবার মেলবোর্নে দু’নম্বর গ্রুপে শেষ ম্যাচে জিম্বাবোয়ের (Zimbabwe) মুখোমুখি হবে টিম ইন্ডিয়া। এই ম্যাচটা ভারত হারলে পাকিস্তানের সেমি-ফাইনালে ওঠার সম্ভাবনা জিইয়ে থাকবে। আর সেই কারণেই সিকন্দর রাজাদের জয় চাইছেন শিনওয়ারি। পরিবর্তে তিনি জিম্বাবোয়ে দলের এক ক্রিকেটারকে বিয়ে করতেও রাজি বলে জানিয়েছেন।

    তবে এটাই প্রথম নয়। এর আগেও পাক অভিনেত্রীর ট্যুইট তোলপাড় ফেলেছিল ক্রিকেট মহলে। সম্প্রতি এশিয়া কাপের সময় তিনি বলেছিলেন, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারত জিতলে আর কখনও ট্যুইট করবেন না। যদিও রোহিত শর্মাদের কাছে গ্রুপের ম্যাচে হেরে গিয়েছিলেন বাবররা। শিনওয়ারি কথা রাখেননি। তাই এবারও তাঁর ট্যুইটকে সেভাবে কেউ পাত্তা দিতে চাইছেন না। অনেকে বলছেন, এটা আসলে সস্তায় প্রচারে আসার একটা উপায়।

    আরও পড়ুন: শেষ চারে যেতে গেলে জিততে হবে ভারতকে! না হলে নানান অঙ্ক, জেনে নিন কোন দল কোন জায়গায়

    মাঠের ভিতরে পাকিস্তানের বিরুদ্ধ ঝাঁঝ দেখা গিয়েছিল কোহলির ব্যাটে। মাঠের বাইরে ভারতীয় সমর্থকরাও একই মেজাজে। পাক অভিনেত্রীর ট্যুইট ভাইরাল হওয়ার পর টিম ইন্ডিয়ার সমর্থকরা শিনওয়ারিকে খোঁচা দিতে ছাড়েননি। তবে ক্রিকেট দেবতার কী নিষ্ঠুর পরিহাস যে জিম্বাবোয়ের কাছে হেরে পাকিস্তানের সেমি-ফাইনাল ভাগ্য এখন বিশবাঁও জলে, সেই জিম্বাবোয়ের হয়েই এখন পাক সমর্থকরা সাফল্য প্রার্থনা করছেন।

    ট্যুইটারে ব্যাপকভাবে ট্রোলড হচ্ছেন সেহর শিনওয়ারি। কেউ লিখেছেন, ‘মনের কথা খুলে বলতেই পারতেন যে জিম্বাবোয়ের সিকন্দর রাজাকে ভালো লেগেছে। তাঁকে বিয়ে করতে চান। এত নাটকের কোনও প্রয়োজন নেই।’ আসলে বাবরদের বিরুদ্ধে দুর্দান্ত পারফর্ম করেছিলেন পাক বংশোদ্ভূত জিম্বাবোয়ের অলরাউন্ডার সিকন্দর রাজা। তাঁর লক্ষ্য ছিল পাক এয়ারফোর্সে চাকরি করা। কিন্তু চোখের সমস্যার কারণে সেই স্বপ্ন পূরণ হয়নি। পরে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে চলে যান গ্লাসগো। সেখানেই ক্রিকেটের প্রতি তাঁর ভালোবাসা জন্মায়। আর বাকিটা ইতিহাস।

  • Dengue in Kolkata: রাজ্যে ক্রমশ ভয়ঙ্কর আকার নিচ্ছে ডেঙ্গি! আক্রান্ত ৫০ হাজার ছুঁইছুঁই

    Dengue in Kolkata: রাজ্যে ক্রমশ ভয়ঙ্কর আকার নিচ্ছে ডেঙ্গি! আক্রান্ত ৫০ হাজার ছুঁইছুঁই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে ডেঙ্গি পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর আকার নিয়েছে। গত ২৭ অক্টোবর রাজ্যে মোট ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৪২ হাজার ৬৬৬। ৫ দিনে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৫০ হাজারের কাছাকাছি চলে গিয়েছে। রাজ্যে ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা ৭০ পেরিয়েছে। প্রতিদিন তরতরিয়ে বাড়ছে সংক্রমণের গ্রাফ। আজই ডেঙ্গি সংক্রমিত হয়ে বেলেঘাটা আইডি-র প্রশাসনিক কর্তার মৃত্যু হল। অনির্বাণ হাজরা,নামে ওই প্রশাসনিক কর্তা  ১ নভেম্বর ভর্তি হয়েছিলেন বেলেঘাটা আইডি-তে। তাঁর বয়স হয়েছিল ৪২ বছর। গতকাল অনির্বাণের প্লেটলেট নেমে আসে ১৬ হাজারে। পরে পরিস্থিতি স্থিতিশীল হলেও, শুক্রবার সকালে ফের অবস্থার অবনতি হয়। অনির্বাণকে সিসিইউ-তে স্থানান্তরিত করা হয়, সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। 

    আরও পড়ুন: ফের পারদ নামল কুড়ির ঘরে, শীতের প্রাক্কালে নিম্নচাপ! বাংলায় কি প্রভাব পড়বে?

    আক্রান্তের সংখ্যার নিরিখে এই মুহূর্তে সবথেকে খারাপ অবস্থা কলকাতা সহ তিন জেলায়। সব থেকে ভয়ানক পরিস্থিতি উত্তর ২৪ পরগনায়। এক সপ্তাহে সেখানে ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছেন, ১ হাজার ১৬৬ জন।এর পরেই রয়েছে মুর্শিদাবাদ। সেখানে শেষ এক সপ্তাহে আক্রান্তের সংখ্যা ৮৬৪ জন। তৃতীয় স্থানে রয়েছে কলকাতা। গত এক সপ্তাহে কলকাতায় ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ৬৮১ জন। পার্বত্য শহর কালিম্পংয়েও ভয়ঙ্কর ডেঙ্গির প্রকোপ। সেখানে পজিটিভিটি রেট ১৯.০৫%। 

    আরও পড়ুন: রেকর্ড পারদ-পতন কলকাতায়! অক্টোবরেই তাপমাত্রা নামল ২০ ডিগ্রির নীচে

    স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, মুর্শিদাবাদ, নদিয়া, বসিরহাট, ডায়মন্ড হারবার, আলিপুরদুয়ার এবং পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় ডেঙ্গি সংক্রমণের হার দ্রুত বাড়ছে। কলকাতার পাশাপাশি উদ্বেগ বাড়াচ্ছে ব্যারাকপুর ও হাওড়া পুরসভার পরিসংখ্যানও। ব্যারাকপুরে এক সপ্তাহে ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছে ৪০৮ জন। হাওড়ায় ২৩১ জন। পুরসভার ১, ৮, ৯, ১০, ১১ , ১২, ১৩ নম্বর বরোয় ডেঙ্গি সংক্রমণের বৃদ্ধির হার বেশি। তাই ওই বরোগুলির দিকে বাড়তি নজর রাখছে প্রশাসন। এই পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার সমস্ত জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক করেন স্বাস্থ্য সচিব। সূত্রের খবর, দক্ষিণ কলকাতায় সংক্রমণ বৃদ্ধির হার নিয়ে বিশদে আলোচনা হয়েছে। সরকারি ভাবে না মানলেও, স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারা আড়ালে স্বীকার করছেন, এ বছরের ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা গত কয়েক বছরের মধ্যে রেকর্ড গড়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

LinkedIn
Share