Author: শুভ্র চট্টোপাধ্যায়

  • Tarapith: তারা মায়ের অন্নভোগের বিশেষত্বই হল পোড়া শোলমাছ মাখা! জানেন কী কী থাকে তারাপীঠে মায়ের ভোগে?

    Tarapith: তারা মায়ের অন্নভোগের বিশেষত্বই হল পোড়া শোলমাছ মাখা! জানেন কী কী থাকে তারাপীঠে মায়ের ভোগে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শক্তিপীঠ, সিদ্ধপীঠ তারাপীঠ (Tarapith)। কালীপুজোয় (Kali Puja 2022)জমজমাট বীরভূমের তারাপীঠ। অনেকে ভাবেন এটি সতীপীঠ কিন্তু তারাপীঠ সতীপীঠ নয়। কথিত আছে, একবার দেবীর মাতৃরূপ দর্শন চান বশিষ্ঠ মুনি ৷ দেবীও নিরাশ করেননি ৷ এখানেই তাঁকে মাতৃরূপে দর্শন দেন দেবী। এখানেই তপস্যা করে সিদ্ধিলাভ করেন তারা মায়ের ভক্ত বামাক্ষ্যাপা। ফলে এটি সিদ্ধ পীঠ হিসেবেও পরিচিত। আজ, সোমবার অমাবস্যায় রীতি মেনে পুজো হবে এখানে। আলোয় সেজে উঠেছে মন্দির চত্বর।

    আরও পড়ুন: জনশ্রুতি, তাঁর নামেই হয়েছে রানাঘাট শহরের নামকরণ, জানুন রণ ডাকাতের কালীপুজোর গল্প

    এদিন সকালে স্নানের পর দেবীর শিলাব্রহ্মময়ী মূর্তিকে রাজবেশে সাজিয়ে তোলা হয়।  পরানো হয় চুনরি। এরপর পঞ্চ উপাচারে মঙ্গলারতি এবং নিত্যপুজো সম্পন্ন হয়। কালী পুজোর দিন খুব সকালে ডাবের জল দিয়ে শুরু হয় মায়ের ভোগ। সকালের ভোগে থাকে পাঁচ রকম বা ন’রকমের ভাজা, সাদা অন্ন, পায়েস ও মিষ্টি। এখানে মাকে পঞ্চব্যঞ্জন সহযোগে ভোগ নিবেদন করা হয় ৷ আমিষ ভোগের মূল উপাদান হল শোল মাছ। ভোগের পাতে এই মাছ না থাকলে ভোগ গ্রহণ করেন না মা তারা। কালীপুজোর দিন তারা ভোগ হিসেবে থাকে পোলাও, খিচুড়ি, সাদা ভাত, পাঁচরকম ভাজা, পাঁচ মিশালি তরকারি, মাছ, চাটনি, পায়েস এবং মিষ্টি। এখানকার অন্নভোগের বিশেষত্বই হল পোড়া শোলমাছ মাখা। 

    আরও পড়ুন: জানুন, সাতের দশকের কলকাতার ডন ‘ফাটাকেষ্ট ও তাঁর কালীপুজোর গল্প‌’

    দীপান্বিতা অমাবস্যা উপলক্ষ্যে নিয়ম-নিষ্ঠা মেনে হয় বিশেষ সন্ধ্যারতি। এরপর নিবেদন করা হয় লুচি, পায়েস, সুজি দিয়ে শীতল ভোগ। তারা মায়ের যে ভাবে ভোগ পুজো হয়, সেই একই ভাবে পুজো করা হয় শ্মশান কালীকে। শ্মশানেই রয়েছে মায়ের আসল শিলা পাদুকা। তার পাশে বামদেবের সমাধি। তারাপীঠের নিয়ম অনুযায়ী সন্তানকে খাইয়ে তবেই তারা মা ভোগ গ্রহণ করেন। তাই বামদেবের ভোগ আগে দেওয়া হয়। ভোগের তালিকায় রয়েছে প্রেত ভোগও। ডাকিনী যোগিনীদের উদ্দেশ্যে দেওয়া এই ভোগ শ্মশানেই দেওয়া হয়। রাতে এক বারই এই ভোগ আয়োজন থাকে। বামদেবের খুব প্রিয় কুকুর ছিল শিবা। তার জন্যও থাকে বিশেষ ভোগের আয়োজন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • T20 World Cup: টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে জয়-পরাজয়ের দৌড়ে কে কোথায় ?

    T20 World Cup: টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে জয়-পরাজয়ের দৌড়ে কে কোথায় ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘মাদার অব অল ব্যাটলস’। ভারত-পাকিস্তান ম্যাচকে এভাবেই দেখে ক্রিকেট দুনিয়া। বিশ্বের যে প্রান্তই হোক না, দুই প্রতিবেশী দেশের ব্যাট-বলের যুদ্ধ ঘিরে দারুণ উন্মাদনা চোখে পড়ে। একদিনের ক্রিকেট বিশ্বকাপে একটা সময় একচেটিয়া প্রাধান্য ছিল ভারতের। টি-২০ বিশ্বকাপে এখনও পর্যন্ত দুই দলের সাক্ষাৎ ঘটেছে ছ’বার। দেখে নেওয়া যাক, করা কতবার জিতেছে?
    ২০০৭ টি-২০ বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্ব
    প্রথম টি-২০ বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বে মুখোমুখি হয়েছিল ভারত-পাকিস্তান। ম্যাচ টাই হয়। শেষ পর্যন্ত বোল-আউটে ৩-০ ব্যবধানে জয়ী হয় মহেন্দ্র সিং ধোনির ভারত।
    ২০০৭ টি-২০ বিশ্বকাপ ফাইনাল
    ফাইনালে ফের মুখোমুখি হয়েছিল ভারত-পাকিস্তান। প্রথমে ব্যাট করে ভারত ১৫৭ রান তুলেছিল। জবাবে মিসবা-উল-হকের ৪৩ রানের সুবাদে জয়ের আশা জাগিয়ে তুলেছিল পাকিস্তান। কিন্তু নাটকীয়ভাবে ম্যাচের মোড় ঘুরে যায়। ১৫২ রানে থেমে যায় পাকিস্তানের লড়াই। ৫ রানে ম্যাচ জিতে প্রথম টি-২০ বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হয় ভারত।
    ২০১২ টি-২০ বিশ্বকাপ
    গ্রুপ পর্বের লড়াইয়ের পাকিস্তানকে ৮ উইকেটে হারিয়েছিল ভারত। লক্ষ্মীপতি বালাজির অনবদ্য বোলিংয়ের সুবাদে পাকিস্তানকে ১২৮ রানে আটকে রাখতে সফল হয়েছিল টিম ইন্ডিয়া। জবাবে ব্যাট করতে নেমে সহজেই লক্ষ্যে পৌঁছে গিয়েছিল ভারত। ৭৮ রানে অপরাজিত ইনিংস উপহার দিয়েছিলেন বিরাট কোহলি।
    ২০১৪ টি-২০ বিশ্বকাপ
    দাপটের সঙ্গে পাকিস্তানকে ৭ উইকেটে হারিয়েছিল ভারত। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ১৩০ রানে গুটিয়ে যায় পাকিস্তান। জবাবে ন’বল বাকি থাকতেই জয়ের কড়ি জোগাড় করে নেয় ‘মেন ইন ব্লু’।
    ২০১৬ টি-২০ বিশ্বকাপ
    বিশের ফরম্যাটে ভারতের দাপট অব্যাহত থাকে। পর পর পাঁচটি ম্যাচ জেতার পর ভারতের বিরুদ্ধে মুখ থুবড়ে পড়েছিল পাকিস্তান। বৃষ্টি বিঘ্নিত ম্যাচে জয়ের জন্য ভারতের দরকার ছিল ১১৯ রান। কোহলি ফের ৫৫ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন। ১৩ বল বাকি থাকতেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় টিম ইন্ডিয়া।
    ২০২১ টি-২০ বিশ্বকাপ
    অবশেষে চাকা ঘোরে। দুবাইয়ে ভারতকে ১০ উইকেটে হারিয়ে দেয় পাকিস্তান। শাহিন আফ্রিদির পেসের সামনে ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা সেভাবে মাথা তুলতে পারেনি। ১৫১ রানেই সন্তুষ্ট থাকতে হয় কোহলিদের। কিন্তু বাবর আজমরা কোনও উইকেট না হারিয়েই ম্যাচ জিতে যায়।

  • T20 World Cup: হটস্টারের ভিউয়ার্সে রেকর্ড! ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে আবেগ -উন্মাদনায় ভাসল ক্রীড়াপ্রেমীরা

    T20 World Cup: হটস্টারের ভিউয়ার্সে রেকর্ড! ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে আবেগ -উন্মাদনায় ভাসল ক্রীড়াপ্রেমীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মেলবোর্নের বাইশ গজে পাকিস্তানের (Pakistan) বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে (T-twenty World Cup) প্রথম ম্যাচে এক মহাকাব্যিক ইনিংস উপহার দিয়েছেন বিরাট কোহলি (Virat Kohli)। ৫২ বলে তাঁর ৮২ রানের অপরাজিত ইনিংসের সুবাদে এক রোমাঞ্চকর জয় ছিনিয়ে নেয় ভারত (India)। যদি একটা সময় মনে হয়েছিল রোহিত বাহিনীর পক্ষে হয়তো পাকিস্তানের বাধা টপকানো সহজ হবে না। কিন্তু সেই অসাধ্য সাধন করে দেখিয়েছিলেন কোহলি। যা দীপাবলিতে (Diwali) দেশবাসীর কাছে ছিল সবচেয়ে বড় উপহার।

    ভারত পাকিস্তান ম্যাচ নিয়ে বরাবরই বাড়তি উন্মাদনা থাকে। কিন্তু গত রবিবার দুই প্রতিবেশী দেশের ব্যাট-বলের যুদ্ধ অতীতের যাবতীয় পরিসংখ্যানকে ছাপিয়ে গিয়েছে। শুধু ডিজিটাল স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম ডিজনি হটস্টারে এই ব্লকবাস্টার ম্যাচটি দেখেছেন ১.৮ কোটি রেকর্ড দর্শক। টিভিতে কত মানুষ খেলাটা দেখেছেন তার হিসেব পেতে আরও কয়েকদিন সময় লাগবে। তবে ডিজিটাল স্ট্রিমিং প্লাটফর্মে বিপুল ভিউয়ার্স দেখে অনেকেই বিস্মিত। অতীতে কোনও ক্রিকেট ম্যাচে ডিজনি হটস্টারে এত সংখ্যক ভিউয়ার্স হয়নি। সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এশিয়া কাপে ভারত পাক ম্যাচ দেখেছিলেন ১.৪ কোটি দর্শক।

    আরও পড়ুন: এক ক্যালেন্ডার বর্ষে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ জেতার রেকর্ড! অস্ট্রেলিয়াকে টেক্কা দিল ভারত

    ভুবনেশ্বর কুমার যখন প্রথম বল করেছিলেন তখন কিন্তু ডিজনি হটস্টারের ভিউয়ার্স ছিল ছত্রিশ লক্ষ। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে ম্যাচের উত্তেজনা। পাল্লা দিয়ে বেড়েছে ভিউয়ার্সও। পাকিস্তানের ইনিংস যখন শেষ হয় তখন ১.১ কোটি ক্রিকেটপ্রেমী ডিজিটাল প্লাটফর্মে চোখ রেখেছিলেন। ভারতের ইনিংস তখনও শুরু হয়নি। ধীরে ধীরে ভিউয়ার্স বাড়তে থাকে। পৌঁছে যায় ১.৪ কোটিতে। ভারতীয় ব্যাটিংয়ের শুরুতে অনেকেই ম্যাচ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিলেন। ভিউয়ার্স নেমে এসেছিল ৩৬ লক্ষে। আসলে রোহিত শর্মা, লোকেশ রাহুলরা দ্রুত ফিরে যাওয়ায় অনেকেরই মনে হয়েছিল ভারত হয়তো জিততে পারবে না। কিন্তু হার্দিক পান্ডিয়ার সঙ্গে জুটি বেঁধে ফের আসা জাগিয়ে তোলেন বিরাট কোহলি। ম্যাচে ফিরে আসে ভারত। শেষ তিন ওভারে টানটান উত্তেজনা ছিল খেলায়। কোহলির দুর্ধর্ষ ব্যাটিং ফের ডিজনি হটস্টারের ডিজিটাল প্লাটফর্মে টেনে আনে ক্রিকেটপ্রেমীদের। অন্তিম বলে অশ্বিন যখন উইনিং শট নেন, তখন ভিউয়ার্স ছিল ১.৮ কোটি। যা সর্বাধিক।

    বলিউডের একাধিক সিনেমা ফ্লপ হওয়ায় আইনক্স এবং পিভিআর এর মত মাল্টিপ্লেক্সে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ম্যাচ দেখানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। দুটি সংস্থায় ভারত পাকিস্তান ম্যাচে জায়ান্ট স্ক্রিনে খেলা দেখার জন্য দর্শকদের বিপুল উৎসাহ দেখে ভীষণই খুশি। টি-২০ বিশ্বকাপের সুপার ১২-এর শুরুটা এর থেকে আর ভালো হয় না বলে মনে করছেন সকলেই। এই হাড্ডাহাড্ডি ম্যাচ দেখার পর এবার বিশ্বকাপ বন্ধ করারও দাবি তুললেন অস্ট্রেলিয়ার অলরাউন্ডার মিচেল মার্শ।  তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি আমাদের বিশ্বকাপ বন্ধ করে দেওয়া উচিত। ভারত পাকিস্তান ম্যাচের থেকে ভালো কিছু হবে না। আমরা এখানে একটা দুর্দান্ত তিন সপ্তাহ কাটাতে এসেছি। ভারত পাকিস্তান ম্যাচ সবসময় দুর্দান্ত হয়। আমি অনুভব করতে পারছি না এই ধরনের ম্যাচে দর্শকদের মধ্যে খেলার অনুভূতি কী হতে পারে।’ 

  • T20 World Cup: এক ক্যালেন্ডার বর্ষে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ জেতার রেকর্ড! অস্ট্রেলিয়াকে টেক্কা দিল ভারত

    T20 World Cup: এক ক্যালেন্ডার বর্ষে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ জেতার রেকর্ড! অস্ট্রেলিয়াকে টেক্কা দিল ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টি ২০ বিশ্বকাপে দুরন্ত সূচনা করেছে ভারত। রোমাঞ্চকর ম্যাচে চির প্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানকে (India vs Pakistan) চার উইকেটে উড়িয়ে দিয়েছে রোহিত বাহিনী। সেই সঙ্গে আন্তর্জাতিক ম্যাচে ভারত গড়ে ফেলেছে এক অনন্য রেকর্ড। এক ক্যালেন্ডার বর্ষে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ জেতার রেকর্ড এখন ভারতের ঝুলিতে। বিরাট কোহলিরা, টপকে গিয়েছেন গতবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়াকে। চলতি বছরের মেন ইন ব্লু ৫৭ টি ম্যাচ খেলে, জয় ছিনিয়ে নিয়েছে ৩৯ টি। ২০০৩ সালে ৪৭ টি ম্যাচ খেলে অস্ট্রেলিয়া জিতেছিল ৩৮ টি।
     
     
    টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপকে পাখির চোখ করে বছর শুরু করেছিলেন রোহিত শর্মারা (Rohit Sharma)। এবছর কুড়ি-বিশের ফরম্যাটে বড় সাফল্য আসে ঘরের মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে। ক্যারিবিয়ান ব্রিগেডকে ৩-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ করেছিল টিম ইন্ডিয়া। সাফল্যের সেই ধারা অব্যাহত থাকে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে। টি-টোয়েন্টি সিরিজে দ্বীপ রাষ্ট্রকে দ্রাবিড়ের ছেলেরা হারিয়েছিলেন তিন শূন্য ব্যবধানে। আর টেস্ট সিরিজের ২-০ ব্যবধানে জিতেছিল ভারত। এরপর পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ফের দেশের মাটিতেই দক্ষিণ আফ্রিকার মুখোমুখি হয়েছিল রোহিত বাহিনী। তবে এই সিরিজ ২-২ ব্যবধানে শেষ হয়। কারণ বৃষ্টিতে ভেস্তে গিয়েছিল পঞ্চম ম্যাচটি। 
     
     
    এরপর ভারতীয় দল পাড়ি দিয়েছিল। ইংল্যান্ডে। একমাত্র টেস্ট ম্যাচটি সুখের না হলেও, টি-টোয়েন্টি এবং ওয়ানডে সিরিজ দুই-এক ব্যবধানে জিতেছিল ভারত। বিরাট কোহলিরা যখন ইংল্যান্ডের টেস্ট খেলতে ব্যস্ত ছিলেন তখন ভিভিএস লক্ষণের প্রশিক্ষণে ভারতের দ্বিতীয় দলটি আয়ারল্যান্ডে টি-টোয়েন্টি সিরিজে অংশ নিয়েছিল। জয় এসেছিল প্রত্যাশিত পথেই (২-০)। ভারতীয় দল গিয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে। ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জে ৩-০ ব্যবধানে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতেছিল টিম ইন্ডিয়া। আর একদিনে সিরিজে মেন ইন ব্লু ৪-১ ব্যবধানে উড়িয়ে দিয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজকে। জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধেও সিরিজ জেতে ভারত।
  • Diwali 2022: হোয়াইট হাউসে দীপাবলি পালন! প্রদীপ জ্বালালেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন

    Diwali 2022: হোয়াইট হাউসে দীপাবলি পালন! প্রদীপ জ্বালালেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সমুদ্র পারেও পালিত হল দীপাবলি। হোয়াইট হাউসে ধূমধাম করে দীপাবলির  (Diwali) অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হল। নিজের হাতে প্রদীপ জ্বালিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। দীর্ঘদিন ধরে হোয়াইট হাউসে দীপাবলি পালন করা হলেও প্রথমবার এত জাঁকজমক চোখে পড়ে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আমেরিকার ফার্স্ট লেডি জিল বাইডেন, ভাইস প্রেসিডেন্ট  কমলা হ্যারিস সহ বিশিষ্ট জনেরা। মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসকে আতসবাজি ফাটাতেও দেখা গিয়েছে।

    আমেরিকার ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস বলেছেন, “গোটা বিশ্ব জুড়ে প্রায় একশো কোটি মানুষ আজ দিওয়ালির উৎসব পালন করছেন। মন্দকে পরাজিত করে ভালো-র জয় উদযাপন করতে প্রদীপ জ্বালিয়েছেন সকলে। দিওয়ালির দিনে অজ্ঞানতা আর অন্ধকারের বিনাশ ঘটে। জয়ী হয় আলো আর জ্ঞান।” ভারতীয় বংশোদ্ভূত কমলা আরও বলেছেন, “দিওয়ালির দিনে জগতের সমস্ত আলোকিত বিষয়গুলির দিকে আমাদের নজর দেওয়া উচিত। অশুভ শক্তি যতই আমাদের হিংসার দিকে ঠেলে দিক না কেন, আমরা যেন শুভবুদ্ধির আলো সকলের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে পারি।”

    অন্তত ২০০ জন ভারতীয়কে হোয়াইট হাউসের (White House) এই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল।  নাচ গানে ছিল ভারতের ছন্দ, তাল, সুর। হোয়াইট হাউসে উপস্থিত সকলেই সামিল হয়েছিলেন এই আনন্দ উৎসবে। বলিউডের গানে নাচ আর ভারতীয় সেতারবাদক ঋষভ শর্মার সুরের মূর্চ্ছনায় ভরে ওঠে সন্ধ্যা। ভারতীয় পোশাকেই সেজে উঠেছিলেন অতিথিরা। ছিল ভারতীয় ভোজনের ব্যবস্থা। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রেখেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেনও। কোভিড পরবর্তী সময়ে আমেরিকাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে ভারত-সহ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলির ভূমিকা অনস্বীকার্য, এমনটাই মত বাইডেনের। তিনি বলেছেন, “সকলের জন্য সমান ভাবে কাজ করে মার্কিন অর্থনীতি। আর সেই শক্তিশালী অর্থনীতি গড়ে তোলার জন্য উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নিয়েছে দক্ষিণ এশীয় গোষ্ঠী।”

  • bhai phonta:  দুদিন ভাইফোঁটা! জেনে নিন কখন এবং কীভাবে ভাইকে ফোঁটা দেবেন

    bhai phonta: দুদিন ভাইফোঁটা! জেনে নিন কখন এবং কীভাবে ভাইকে ফোঁটা দেবেন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভাইয়ের কপালে দিলাম ফোঁটা/যমের দুয়ারে পড়ল কাঁটা  এই মন্ত্র উচ্চারণ করেই ভাইয়ের কপালে ফোঁটা দেয় বোনেরা। ভাইয়ের দীর্ঘায়ু কামনা করে। ভাইয়েরাও বোনেদের জন্য প্রার্থনা করে। আর দাদারা তাঁদের আশীর্বাদী হাত রাখে বোনেদের মাথায় । দিদিরাও ভাইদের বড় হওয়ার আশীর্বাদ করে।  প্রতিবছর কার্তিক মাসের শুক্ল পক্ষের দ্বিতীয়া তিথিতে ভ্রাতৃ দ্বিতীয়া বা ভাই ফোঁটা পালিত হয়। তবে এ বছর ভাই ফোঁটা দুই দিন। কারও মতে ২৬ অক্টোবর ভাই ফোঁটা আবার কেউ কেউ ২৭ অক্টোবর ভাই ফোঁটা পালন করবেন। 

    আরও পড়ুন: জনশ্রুতি, তাঁর নামেই হয়েছে রানাঘাট শহরের নামকরণ, জানুন রণ ডাকাতের কালীপুজোর গল্প

    পঞ্জিকা অনুযায়ী ২৬ অক্টোবর দুপুর ২টো ৪২ মিনিট থেকে দ্বিতীয়া তিথি শুরু হচ্ছে। যা ২৭ অক্টোবর ১২টা ৪৫ মিনিট পর্যন্ত থাকবে। অর্থাৎ ২৬ ও ২৭ অক্টোবর এই দুই দিনই দ্বিতীয়া তিথি থাকবে। শাস্ত্রে ভ্রাতৃ দ্বিতীয়া তিথিটি যম দ্বিতীয়া নামেও পরিচিত। এই তিথিতে নিজের বোন যমুনার বাড়ি যান যম। কাহিনি অনুযায়ী কার্তিক শুক্ল পক্ষের দ্বিতীয়া তিথি বোনের নিমন্ত্রণ স্বীকার করে তাঁর বাড়ি যান যম। সে দিন যমুনার পুজো গ্রহণ করে তাঁর গৃহ ভোজন করেন তিনি। যমুনা আশীর্বাদ চাইলে যম বলেন যে, এই তিথিতে যে ভাই নিজের বোনের বাড়ি গিয়ে তাঁর পুজো স্বীকার করবে ও তাঁর হাতে তৈরি রান্না গ্রহণ করবে, তাঁর ভাগ্যে অকালমৃত্যুর ভয় থাকবে না। 

    আরও পড়ুন: জানুন, সাতের দশকের কলকাতার ডন ‘ফাটাকেষ্ট ও তাঁর কালীপুজোর গল্প‌’

    এই পবিত্র দিনে বোনেরা ভাইয়ের কপালে চন্দনের ফোঁটা দেন। বাস্তুতন্ত্র অনুসারে ভাইকে ফোঁটা দেওযার সময় তাঁর মুখ যেন পূর্ব, উত্তর বা উত্তর-পূর্ব দিকে থাকা উচিত। এই দিনে ভাইকে ফোঁটা দেওয়ার আগে কিছু খাওয়া উচিত নয়। ভাইফোঁটার দিন ভাই-বোনেরা যেন নিজেদের মধ্যে ঝগড়া করবেন না। ভাইয়ের থেকে পাওয়া উপহার যেমনই হোক না কেন ,তাকে ও তার দেওয়া উপহারকে কখনও অসম্মান করবেন না। ভাইফোঁটার দিন কপালে ফোঁটা দেওযার আগে দুজনেই কিছু খাবেন না। ওই দিন মিথ্যা কথা একেবারেই বলবেন না। পুজোর সময় কালো কাপড় একেবারেই পরবেন না।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Dhanteras: ২৭ বছর পর দুদিন ধনতেরাসের যোগ! জানুন কখন ঘরে আনবেন সোনা-রুপো

    Dhanteras: ২৭ বছর পর দুদিন ধনতেরাসের যোগ! জানুন কখন ঘরে আনবেন সোনা-রুপো

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কালীপুজোর দু’দিন আগে ত্রয়োদশীতে পালিত হয় ধনতেরস উৎসব। ধনতেরস কথাটি এসেছে ধন এবং তেরস এই দুই শব্দের মিলনে। এর মধ্যে ধনের অর্থ হল সম্পদ। আর, তেরসের অর্থ হল তেরো বা ত্রয়োদশী। পঞ্জিকা অনুযায়ী যা কার্তিক মাসের কৃষ্ণপক্ষের ত্রয়োদশী তিথি। এই বিশেষ তিথিতে লক্ষ্মী, কুবের এবং ধন্বন্তরীর পুজো করা হয়। তাতে আরোগ্য, ধন, আয়ু-সহ বিভিন্ন আশীর্বাদ মেলে বলেই বিশ্বাস। এদিন সোনা,রুপো,কাঁসা, পিতল-সহ বিভিন্ন মূল্যবান ধাতু এবং নির্দিষ্ট কিছু জিনিস কেনার চল রয়েছে। 

    আরও পড়ুন: জনশ্রুতি, তাঁর নামেই হয়েছে রানাঘাট শহরের নামকরণ, জানুন রণ ডাকাতের কালীপুজোর গল্প

     ২৭ বছর পর এবার দু’দিন ধরে ধনতেরসের শুভমুহূর্ত পড়েছে। দৃক সিদ্ধান্ত পঞ্জিকা মতে এবছর ধনতেরস পড়েছে শনিবার ২২ অক্টোবর সন্ধ্যা ৭টা ১ থেকে পরদিন রবিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত। আবার, অন্য পঞ্জিকা মতে শনিবার ২২ অক্টোবর সন্ধ্যা ৬টা ২ নাগাদ শুরু হবে ধনতেরস। থাকবে রবিবার ২৩ অক্টোবর সন্ধ্যা ৬টা ৩ পর্যন্ত। ধনতেরসের পুজো শনিবার শেষ হবে রাত ৮টা ১৭-র মধ্যে।  পুরাণ মতে, এদিন  আবির্ভাব হয়েছিল দেবতাদের চিকিৎসক ধন্বন্তরীর। সমুদ্র মন্থনের ফলে দেবী লক্ষ্মীর পাশাপাশি অমৃতের কলসি হাতে দেবতাদের বৈদ্য ধন্বন্তরীও উঠে এসেছিলেন। তাই এদিন তাঁরও আরাধনা করা হয়। এই বিশেষ দিনে কোনও ধাতব পাত্র কিনে আনতে হয়। তবে কখনওই সেই পাত্র খালি নিয়ে ফিরবেন না। বরং তাতে চাল,দুধ কিংবা শস্যদানা ভরে নিয়ে ফিরতে হয়। তবেই পরিবারের শ্রীবৃদ্ধি হয়।

    আরও পড়ুন: জানুন, সাতের দশকের কলকাতার ডন ‘ফাটাকেষ্ট ও তাঁর কালীপুজোর গল্প‌’

    শাস্ত্র আনুযায়ী, এই দিনটিতে ধনের দেবতা কুবেরেরও আবির্ভাব ঘটে। আজ, সন্ধ্যায় একটি রৌপ্য মুদ্রা কিনুন যার উপর গণেশ-লক্ষ্মী চিত্রিত রয়েছে। জাফরানের তিলক দিয়ে তাদের পূজা করুন এবং লাল বা হলুদ কাপড়ে রাখুন। এমনকি দীপাবলির পূজাতেও এই মুদ্রা বা মূর্তিগুলির পূজা করুন এবং তারপরে সেগুলি আপনার লকারে রাখুন। দেখবেন আপনার জীবনে কোনওদিন অর্থের অভাব হবে না। ঘরে দারিদ্র্য যোগ দূর হবে বলেই বিশ্বাস অনেকের।

  • Sukhoi: ব্রহ্মোস বহনে সুখোই-এর আধুনিকীকরণ করছে বায়ুসেনা! জানেন কী হবে এর প্রভাব?

    Sukhoi: ব্রহ্মোস বহনে সুখোই-এর আধুনিকীকরণ করছে বায়ুসেনা! জানেন কী হবে এর প্রভাব?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রুশ নির্মিত মাল্টি-রোল কমব্যাট এয়ারক্র্যাফ্ট “সুখোই ৩০-এমকেআই” হল ভারতীয় বায়ুসেনার প্রধান স্তম্ভ। আকাশ থেকে নিক্ষেপযোগ্য ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্র বহনের জন্য এই বিমানের আধুনিকীকরণ করা হচ্ছে। ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্র বহনের জন্য ৪০টি সুখোই-৩০ এম কে আই-এর আধুনিকীকরণ করছে ভারতীয় বায়ুসেনা। ব্রহ্মোস ৫০০ কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম। কিন্তু এই ক্ষেপণাস্ত্রের পাল্লা ১,৫০০ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়ানো যাবে। সেক্ষেত্রে ব্রহ্মোস বহনের জন্য সুখোই-এর আধুনিকীকরণও জরুরি। সেই পরিকল্পনা নিয়েই চলছে বায়ুসেনা

    আরও পড়ুন: শীতের শুরুতে আরেকটা করোনার প্রকোপ? সতর্কতা জারি করল ‘হু’

    বায়ুসেনা সূত্রে খবর, ব্রহ্মোস বহনের জন্য সুখোই-এর বেশ কিছু অংশকে আরও শক্ত করতে হবে। বায়ুসেনা সূত্রে খবর, এই কাজ সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে করবে হিন্দুস্থান অ্যারোনটিক্স লিমিটেড (HAL)। ইতিমধ্যেই ৩৫ টি ফাইটার জেটের আধুনিকীকরণ করা হয়েছে। দ্বিতীয় ধাপে আরও ২০ থেকে ২৫ টি ফাইটার জেট  উন্নত করা হবে। বিশ্বের অন্যতম সেরা চতুর্থ প্রজন্মর যুদ্ধবিমান হল এই সুখোই-৩০। এর আধুনিকীকরণ করা হলে প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের মতে, গোটা এশিয়াতে এটি গেম চেঞ্জার হয়ে উঠতে পারে।

    আরও পড়ুন: কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ ওঠায় পূর্বতন শাসকদের দুষলেন মোদি

    প্রধানত এয়ার-টু-এয়ার সুপিরিওরিটি যুদ্ধবিমান হল সুখোই-৩০। অর্থাৎ, মাঝ-আকাশে ডগ-ফাইটে এই বিমানের জুড়ি মেলা ভার। এই বিমান শত্রুর কোনও সামরিক ঘাঁটি বা ভূমিতে থাকা কোনও লক্ষ্যবস্তুকে গুঁড়িয়ে দিতে সক্ষম। সুখোইয়ের সর্বোচ্চ গতি ঘণ্টায় ২ হাজার ১২০ কিলোমিটার। সর্বোচ্চ টেক-অফ লিফ্ট ৩৮ হাজার ৮০০ কেজি। বিভিন্ন ধরনের বম্ব, রকেট ও ক্ষেপণাস্ত্র বহনে সক্ষম সুখোই। মোট বহন ক্ষমতা প্রায় ৮ হাজার কেজি। দুই আসন বিশিষ্ট, দুই ইঞ্জিনের সুখোইতে রয়েছে একটি ৩০এমএম বন্দুক। মাঝারি পাল্লার গাইডেড এয়ার-টু-এয়ার, ইনফ্রারেড হোমিং স্বল্প পাল্লার মিসাইল সহ একাধিক ক্ষপণাস্ত্র বহন করতে পারে সুখোই। পারমাণবিক অস্ত্রবহন করতেও সক্ষম সুখোই-৩০। এবার এই বিমানে বিশ্বের একমাত্র সুপারসনিক ব্রহ্মোস ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের এয়ার-ভার্সান অন্তর্ভুক্ত করার প্রক্রিয়া চলছে। একবার তা সম্পন্ন হলে, সুখোই-৩০ অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • T20 World Cup: দেখা যাবে না ক্যারিবিয়ান ক্যালিপসো! টি-২০ বিশ্বকাপের সুপার-১২ এ পৌঁছতেই পারল না ওয়েস্ট ইন্ডিজ

    T20 World Cup: দেখা যাবে না ক্যারিবিয়ান ক্যালিপসো! টি-২০ বিশ্বকাপের সুপার-১২ এ পৌঁছতেই পারল না ওয়েস্ট ইন্ডিজ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ক্যারিবিয়ান ক্রিকেটের লজ্জা। টি-২০ বিশ্বকাপের সুপার ১২-এর যোগ্যতা অর্জন করতে পারল না দু’বারের চ্যাম্পিয়ন ওয়েস্ট ইন্ডিজ। যাঁদের শেষ চারে দেখার আশা প্রকাশ করেছিলেন ক্যারিবিয়ান তারকা ক্রিস গেইল তারা যোগ্যতাই অর্জন করতে পারল না। ২০১২ ও ২০১৬। টি২০ বিশ্বকাপ জিতেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। কিন্তু শুক্রবার আয়ারল্যান্ডের কাছে ৯ উইকেটে হেরে এবারের প্রতিযোগিতা থেকে বিদায় নিতে হল ক্যারিবিয়ানদের। 

    আরও পড়ুন: সব ম্যাচই সমান গুরুত্বপূর্ণ! পাকিস্তানকে হারিয়ে দিওয়ালিতে দেশবাসীকে জয় উপহার দিতে চান রোহিত

    হোবার্টে শুক্রবার টস জিতে শুরুতে ব্যাটিং নিয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। নির্ধারিত ২০ ওভারে পাঁচ উইকেট হারিয়ে মাত্র ১৪৬ রান করে ক্যারিবিয়ানরা। লড়াই করেন একমাত্র ব্র্যান্ডন কিং। চার নম্বরে ব্যাটিং করতে নেমে তিনি ৪৮ বলে ৬২ রান করে অপরাজিত থাকেন। তাঁর ইনিংসে ছিল ৬টি বাউন্ডারি ও একটি ছক্কা। ওয়েস্ট ইন্ডিজের আর কোনও ব্যাটার বড় রান পাননি। ১৫ বল বাকি থাকতেই মাত্র এক উইকেট হারিয়ে সেই রান টপকে যায় আইরিশরা। ৬৬ রান করে অপরাজিত থাকে  ওপেনার পল স্টার্লিং। তাঁর ৪৮ বলের ইনিংসে ছিল ৬টি বাউন্ডারি ও একজোড়া ছক্কা। অপর ওপেনার অধিনায়ক অ্যান্ড্রু বলবির্নি ২৩ বলে ৩৭ রান করেন। তিন নম্বরে নামা লরকান টাকার ৩৫ বলে ৪৫ রান করে অপরাজিত থাকেন।

    আরও পড়ুন: দীর্ঘ সাত বছর পর বাংলাদেশ সফরে যাবে ভারতীয় ক্রিকেট টিম, দেখে নিন সূচি

     গ্রুপ পর্যায়ে তিন ম্যাচের মধ্যে দু’টিতেই হেরে গেলেন জেসন হোল্ডার, নিকোলাস পুরানরা। প্রথম ম্যাচে তাঁদের সহজেই হারিয়ে দিয়েছিল স্কটল্যান্ড। ব্যাটিং ব্যর্থতার জেরে সেই ম্যাচে ৪২ রানে হারতে হয় ক্যারিবিয়ানদের। এরপর দ্বিতীয় ম্যাচে জিম্বাবোয়েকে ৩১ রানে হারিয়ে সুপার ১২-এর আশা জিইয়ে রাখতে সক্ষম হয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এদিন আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধেও জয় দরকার ছিল। কিন্তু ব্যর্থ ওয়েস্ট ইন্ডিজ। হতাশ ক্রিকেটপ্রেমীরা। টি২০ বিশ্বকাপে এবারের মতো আর দেখা যাবে না ক্যারিবিয়ান ক্যালিপসো। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Bhai phonta: ভাইফোঁটার শুরু কবে জানেন? এর পিছনের গল্পগুলো ভারি সুন্দর

    Bhai phonta: ভাইফোঁটার শুরু কবে জানেন? এর পিছনের গল্পগুলো ভারি সুন্দর

    শুভ্র চট্টোপাধ্যায়: জলযোগে বিভিন্ন রকমের মিষ্টি জাতীয় খাবার, লুচি,ঘুগনি। দুপুরে মাংস অথবা মাছ ভাত। ভাইফোঁটা মানেই যে কোনও বাঙালি বাড়ির পাতে এগুলো থাকবেই‌। সাধারণত কালীপুজোর  এক দিন পর সম্পন্ন হয় ভাইফোঁটা। এবছর অবশ্য ব্যতিক্রম। সকাল থেকেই বাঙালি বাড়িতে ব্যস্ততা তুঙ্গে ওঠে‌‌। একদিকে জলযোগের আয়োজন তো অন্যদিকে সাজগোজ। ভাই-দাদারা পাঞ্জাবি পড়বে তো দিদি-বোনেরা শাড়ি। হিন্দু ধর্মের যে কোনও পুজো বা ব্রত সম্পন্ন হয় পরিবার, আত্মীয় স্বজনদের মঙ্গল কামনার উদ্দেশ্যে। ভাইফোঁটা হলো ভাই ও বোনের মঙ্গল কামনার ব্রত। উভয়ের জীবনেই যেন সুখ, শান্তি, সমৃদ্ধি বিরাজ করে , সেই প্রার্থনাই ভাই-বোনেরা একে অপরের উদ্দেশ্যে করে থাকে এই বিশেষ তিথিতে।

    পঞ্জিকা অনুযায়ী, এই উৎসব কার্তিক মাসের শুক্লপক্ষের দ্বিতীয়াতে উদযাপিত হয়। মাঝেমধ্যে এটি শুক্লপক্ষের প্রথম দিনেও উদযাপিত হয়ে থাকে। বাঙালির ঘরোয়া এই উৎসবে অন্যান্য পুজোর মতো রীতি, আচার বা মন্ত্রোচ্চারণ সেভাবে নেই বললেই চলে। ছড়ার মতো পাঠ করা হয় – 
    “ভাইয়ের কপালে দিলাম ফোঁটা, যমের দুয়ারে পড়ল কাঁটা।
    যমুনা দেয় যমকে ফোঁটা, 
    আমি দিই আমার ভাইকে ফোঁটা”॥

    ভাইফোঁটা যেন বাঙালির নিজস্ব উৎসব। সবকিছুতেই বাঙালি মোড়ক। তবে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ভাইফোঁটার বিভিন্ন নাম রয়েছে। উত্তর ও পশ্চিম ভারতের এই উৎসব ভাইদুজ নামে পরিচিত। সেখানে ভাইফোঁটা পাঁচ-দিনব্যাপী দীপাবলি উৎসবের শেষদিন। আবার, মহারাষ্ট্র, গোয়া ও কর্ণাটকে ভাইফোঁটাকে বলে ভাইবিজ। নেপালে ও পশ্চিমবঙ্গের দার্জিলিং পার্বত্য অঞ্চলে এই উৎসব পরিচিত ভাইটিকা নামে পরিচিত। ভাঁইফোটা, ভাই ও বোনদের  উপহার পাওয়ার দিনও বটে। সময়ের পরিবর্তনের সাথে সাথে আধুনিক প্রজন্মকে ভাঁইফোটার দিন ভাই ও বোনদের জন্য পছন্দ মতো ‘গিফট আইটেম’ কিনতে দেখা যায়। কোথাও কোথাও সামাজিক সদ্ভাবনার উদ্দেশ্যে গণ ভাইফোঁটার আয়োজন করা হয়।  

    আরও পড়ুন: হিন্দু যুবককে গোমাংস খাইয়ে, সুন্নত করিয়ে ইসলামে দীক্ষা, কাঠগড়ায় কং নেতা সহ ১১

    ভাইফোঁটার নেপথ্যে  রয়েছে বেশ কয়েকটি পৌরাণিক কাহিনী। কথিত আছে, সূর্যদেব ও তার পত্নী সংজ্ঞার যমুনা নামে কন্যা এবং যম নামে পুত্র সন্তান ছিল। পুত্র কন্যা সন্তানের জন্মের পরে সূর্যদেবের উত্তাপ স্ত্রী সংজ্ঞা সহ্য করতে পারতেন না। তিনি তখন নিজের প্রতিলিপি ছায়াকে স্বর্গলোকে রেখে মর্তে নেমে আসেন। সংজ্ঞার প্রতিরূপ হওয়ার কারনে, দেবতারা ছায়াকে চিনতে পারে না। স্বর্গে বিমাতা ছায়া যমুনা ও যমের প্রতি দুর্ব্যবহার করতে শুরু করেন। কিন্তু ছায়ার মোহে অন্ধ সূর্যদেব কোন প্রতিবাদ না করায় অত্যাচারের মাত্রা দিনের পর দিন বাড়তেই থাকে। এভাবেই একদিন বিমাতা কর্তৃক স্বর্গরাজ্য থেকে বিতাড়িত হন যমুনা।  যমুনার বিয়ে হয় এক উচ্চ বংশ জাত পরিবারে। বিয়ের পর দীর্ঘকাল যমুনাকে দেখতে না পেয়ে মনে আকুলতা তৈরী হয় যমের। এরপরই মন শান্ত করতে দিদির বাড়ি যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় যম। কালী পুজোর দুদিন পরে যমুনার বাড়ি পৌঁছায় যম। ভাই এর আগমনে তারজন্য জন্য নানা রকমের খাবারের আয়োজন করেন দিদি যমুনা। দিদির আন্তরিকতায় ও ব্যবহারে মুগ্ধ হয়ে দিদিকে উপহার স্বরূপ বরদান প্রার্থনা করতে বলেন যম। সেই সময় যমুনা ভাইয়ের কাছে প্রার্থনা করেন যে, ‘ভ্রাতৃদ্বিতীয়ার দিন প্রত্যেক ভাই যেন তার বোনের কথা স্মরণ করে এবং প্রত্যেক বোন যেন তার ভাইয়ের মঙ্গল ময় দীর্ঘ জীবন কামনা করে।’ তখন থেকেই নাকি ভাইফোঁটার প্রচলন।

    অন্য একটি পৌরাণিক মত হলো ,  নরকাসুর বধের পূর্বে শ্রী কৃষ্ণ , সুভদ্রার কাছে আসেন। সুভদ্রা তখন শ্রী কৃষ্ণের মঙ্গল ও বিজয় কামনা করে , কপালে ফোঁটা দিয়ে মিষ্টি খেতে দেন শ্রী কৃষ্ণকে। এরপরই নরকাসুরকে বধ করেন শ্রী কৃষ্ণ।  আবার আরও একটি কাহিনী হলো, বালির হাতে পাতালে বন্দি হন ভগবান বিষ্ণু। তখন মাতা লক্ষ্মী বালিকে ভাই হিসেবে স্বীকার করে তাঁর কপালে তিলক এঁকে দেন। বালি উপহার স্বরূপ মাতা লক্ষ্মীকে কিছু দিতে চাইলে , দেবী লক্ষ্মী ভগবান বিষ্ণুকে চেয়ে নেন। তখন থেকেই নাকি ভাঁইফোটা প্রচলিত।

LinkedIn
Share