Author: suman-das

  • Suvendu Adhikari: “অঙ্গ দিয়েছে, কলিঙ্গ হয়ে গিয়েছে, বাকি আছে বঙ্গ”, লাড্ডু বিলি করে ঘোষণা শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “অঙ্গ দিয়েছে, কলিঙ্গ হয়ে গিয়েছে, বাকি আছে বঙ্গ”, লাড্ডু বিলি করে ঘোষণা শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিহার জয়ের পর থেকেই বঙ্গ বিজেপির নেতৃত্বে এখন ব্যাপক উন্মাদনা। অঙ্গ অর্থাৎ বিহার, কলিঙ্গ অর্থাৎ ওড়িশা জয়ের পর এবার লক্ষ্য বাংলা। বিহারের নির্বাচনী ফল ঘোষণার পরেই বিধানসভায় গেরুয়া আবির খেলে রীতিমতো লাড্ডু খেয়ে বিজয় উল্লাস প্রকাশ করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। বছর ঘুরলেই বাংলায় বিধানসভা নির্বাচন। বিজেপির জয় নিয়ে মত প্রকাশ করেছেন সুকান্ত মজুমদারও। তাই এখন থেকেই বিহারের জয়কে সমানে রেখে বাংলার রাজনীতিতে তৃণমূলকে হারানোর অঙ্গীকার নিতে শুরু করেছে বিজেপি। শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) এদিন জয়ের উল্লাস প্রকাশ করে বলেন, “অপারেশন সিঁদুরের পর প্রথম নির্বাচন হয়েছে বিহারে। মানুষ দেশকে শক্তিশালী করতে প্রধানমন্ত্রী মোদির উপর আস্থা রাখতে শুরু করেছেন। বিহারের মানুষ নীতীশ কুমারের উপর আস্থা রেখেছেন।”

    গণতন্ত্র এবং উন্নয়নের জয় (Suvendu Adhikari)

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বিহার জয়ের প্রেক্ষিতে বলেন, “বিহার-বাংলা ১৯০৫ সালের আগে একই ছিল। অঙ্গ-বঙ্গ-কলিঙ্গ এক ছিল। অঙ্গ দিয়েছে, কলিঙ্গ হয়ে গিয়েছে, বাকি আছে বঙ্গ। বিভিন্ন মণ্ডলে মণ্ডলে যেন এই জয় উৎসবের মতো পালন করা হবে।” একই ভাবে আবার নিজের এক্স হ্যান্ডল থেকে রাজ্যবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে শুভেন্দু লিখেছেন, “বিহারে এনডিএ-এর ঐতিহাসিক জয়। গণতন্ত্র এবং উন্নয়নের জয় হয়েছে। বিহারের জনগণ স্পষ্টতার সঙ্গে কথা বলেছেন, জাতীয় গণতান্ত্রিক জোটকে অভূতপূর্ব জনাদেশ প্রদান করেছে। আমাদের এই গৌরবময় বিজয়ের নেতৃত্বে ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তাঁর নির্দেশনায় জনকল্যাণ, পরিকাঠামোর উন্নয়নের প্রতি জোর দিয়েছেন। তাঁর দূরদর্শীতাকে আমরা শ্রদ্ধাঞ্জলি জানাই।”

    পদ্ম ফুটবে বাংলায়

    বিহার নির্বাচনে এনডিএ সরকারের বিরাট সাফল্যের জন্য কেন্দ্রীয় এবং রাজ্য সরকারের স্বচ্ছ কাজকেই রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা একমাত্র কারণ বলে মনে করছেন। সুশাসন, স্থিতিশীল সরকার, উন্নয়ন মূলক প্রকল্প, ভোটার তালিকা সংশোধন সহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ এনডিএ সরকারকে আরও একবার ক্ষমতায় ফিরিয়ে এনেছে। অপর দিকে আরজেডি-কংগ্রেস তোষণনীতিকে বিশেষ ভাবে গুরুত্ব দেওয়ায় ভরাডুবি হয়েছে। তবে গত ২০২৪ সালের লোকসভার সময় ওড়িশা বিধানসভায় নির্বাচনে ক্ষমতায় এসেছে বিজেপি। বিহারে এইবার বিজেপি একক ভাবে সবচেয়ে বেশি আসন পেয়েছে। ফলে থাকল বাংলা। বাংলাতেও দ্রুত পদ্ম ফুটবে বলে আশাবাদী বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্ব।

    বিহারে হিংসা হয়নি

    বালুরঘাটের সাংসদ তথা কেন্দ্রীয়মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বিহারের জয়কে বাংলার প্রেক্ষিতে দেখে বঙ্গে বিজেপির জয় নিয়ে বিরাট আশা প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, “অঙ্গ রাজ্যের অবস্থান ছিল বর্তমান বিহারের পুর্বাঞ্চল থেকে বর্তমান পশ্চিমবঙ্গের উত্তরাংশ জুড়ে ছড়িয়ে থাকা এক এলাকা। বিহার নির্বাচন ২০২৫ সালে বিপুল জয় এনে দেখিয়েছে এনডিএ। অঙ্গ, বঙ্গ, কলিঙ্গ বিজেপি দখল করে নেবে। কলিঙ্গ, অঙ্গে চলে এসেছে এবার বঙ্গের পালা। বিহার স্পষ্ট প্রমাণ করেছে ভারতের মানুষ জঙ্গলরাজ এবং সুশাসন বলতে ঠিক কি বোঝেন। মানুষ ভোট দিয়ে বুঝিয়েছে এই জঙ্গলরাজ সরকার আর কোনও দিন আসবে না। বিহারে জঙ্গলরাজ শেষ হয়েছে। এবার বাংলার জঙ্গলরাজ শেষ হবে। বিহারে দেখা গিয়েছে গণতন্ত্র কেমন হয়, কোন হিংসার ঘটনা ঘটেনি, এবার বাংলার জঙ্গলরাজ শেষ করবে বিজেপি।”

    ২০২৬ সালের নির্বাচন কতটা ভয় মুক্ত?

    বাংলা জয় নিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিং বলেছেন, “বিহার জয়ের পর এবার বাংলা টার্গেট। বিহার আমাদের জয় হেবেই। বাংলায় দিদির পরাজয় পরবর্তী পালা। বাংলাদেশি এবং রোহিঙ্গাদের তারাতে পারলেই অনুপ্রবেশকারীমুক্ত হবে। আর তা হলেই বাংলা জয় নিশ্চিত। লালু নিজেই সবচেয়ে বড় দুর্নীতিবাজ। ওঁর পরিবার সব থেকে বেশি লাভবান হয়েছে। মহিলাদের জন্য নরেন্দ্র মোদি এবং নিতীশ কুমার লাখপতি দিদি-র মতো প্রকল্প এনেছেন।”

    তবে বাংলার নির্বাচনে শাসক বিরোধী রাজনৈতিক সংঘাতের ঘটনা গত ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে যেমন মারাত্মক ছিল একইভাবে গত পঞ্চায়েত এবং লোকসভাতেও উল্লেখ যোগ্যভাবে ছিল। তৃণমূলের হাতে প্রচুর বিরোধী নেতা-কর্মীরা নিহত হয়েছিলেন। পাশাপাশি এইবারে বিহারের নির্বাচনে হিংসার নমুনা নেই বললেই চলে। ফলে আগামী দিনে বঙ্গ রাজনীতি এবং ভোট পরবর্তী হিংসা কোন মাত্রায় প্রবাহিত হয় তাও দেখার বিষয়।

  • Delhi Blast: দিল্লি বিস্ফোরণ মামলায় উত্তর দিনাজপুর থেকে এনআইএ-র হাতে গ্রেফতার আরও এক অভিযুক্ত

    Delhi Blast: দিল্লি বিস্ফোরণ মামলায় উত্তর দিনাজপুর থেকে এনআইএ-র হাতে গ্রেফতার আরও এক অভিযুক্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লির লালকেল্লার সমানে বিস্ফোরণকাণ্ডে (Delhi Blast) এবার বাংলা যোগ আরও স্পষ্ট হয়েছে। উত্তর দিনাজপুরের (Uttar Dinajpur) সূর্যাপুর বাজার এলাকা থেকে এনআইএ গ্রেফতার করেছে এক ডাক্তারি পড়ুয়াকে। তাঁর নাম যাহ নিশার আলম। তিনি হারিয়ানার আল ফালাহ্ বিশ্ববিদ্যালায়ের এমবিবিএসের ছাত্র। শুক্রবার ভোরে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার বিশেষ টিম সুর্যাপুর বাজার চত্বর থেকে তাঁকে আটক করা হয়েছে। উল্লেখ্য এই বিস্ফোরণ মামলায় জঙ্গি সংগঠনের তরফে চিকিৎসকদের একটা বড় গ্রুপকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে।

    লুধিয়ানার তৌহিদ আলমের সঙ্গে যোগ নিশারের (Delhi Blast)!

    দিল্লি বিস্ফোরণকাণ্ড (Delhi Blast) ধৃত নিশার আলমের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, যাহ নিশার আলমের আদি বাড়ি লুধিয়ানায় হলেও তাঁর পৈতৃক বাড়ি উত্তর দিনাজপুরের ডালখোলা থানার অধীনে কোনাল গ্রামে। তাঁর বাবা তৌহিদ আলম কর্মসূত্রে কয়েক দশক আগে লুধিয়ানায় গিয়ে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন। তবে কোনাল গ্রামের সঙ্গে বিশেষ সম্পর্ক রয়েছে। দুই একদিন আগে পারিবারিক একটি বিয়েতে যাহ নিশার তাঁর মা ও বোনকে নিয়ে কোনাল গ্রামে এসেছিলেন। এবার এই কাজে এসেই কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার জালে ধরা পড়েছে অভিযুক্ত নিশার। এনআইএ সূত্রে জানা গিয়েছে, বিস্ফোরণ মামলার তদন্তে প্রথম লুধিয়ানার তৌহিদ আলমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। সেখান থেকেই জানা যায়, নিশার বর্তমানে উত্তর দিনাজপুরের বাড়িতে রয়েছে। এরপর তদন্তকারী অফিসাররা দ্রুত উত্তরবঙ্গে আসে। বৃহস্পতিবার গভীর রাতেই সুর্যাপুরের উদ্দেশে রওনা দেয়। শুক্রবার ভোরে নেমেই নিশারের বাড়িতে অভিযান চালায় তদন্তকারী অফিসাররা।

    হতবাক পরিবার

    পুলিশ জানিয়েছে, প্রথমে নিশারের মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে লোকেশন ট্র্যাক করা হয়। এরপর মোবাইলের লোকেশন সূর্যাপুর বাজারের লোকেশন স্থির করা হয়। তারপর সেখানে পৌঁছায় তদন্তকারী দল এবং এরপর নিশারকে পাকড়াও করে নিয়ে আসা হয় ইসলামপুর (Uttar Dinajpur) থানায়। পরে আরও জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য শিলিগুড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। এদিকে পরিবার ছেলের কাণ্ডে সম্পূর্ণ ভাবে হতবাক। নিশারের কাকা আবুল কাশেম বলেন, “ভাইপোকে আমরা খুবই শান্ত-স্বভাব ও ভদ্র ছেলে হিসেবে চিনি। সে পড়াশোনা ছাড়া কোনও বিষয়ে মাথা ঘামায় না।” গ্রামের বাসিন্দারাও জানিয়েছেন নিশার অত্যন্ত ভদ্র এবং শিক্ষিত পরিবারের ছেলে। এত বড় ঘটনার সঙ্গে তার নাম কীভাবে জড়িয়েছে তা ভেবেই হয়রান।

  • Ramakrishna 509: “তিনি নানারূপে দর্শন দেন, কখন নররূপে, কখন চিন্ময় ঈশ্বরীয় রূপে, রূপ মানতে হয়, কি বল?”

    Ramakrishna 509: “তিনি নানারূপে দর্শন দেন, কখন নররূপে, কখন চিন্ময় ঈশ্বরীয় রূপে, রূপ মানতে হয়, কি বল?”

    ৪৯ শ্রীশ্রীরথযাত্রা বলরাম-মন্দিরে

    প্রথম পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৫, ১৩ই জুলাই

    পূর্ণ, ছোট নরেন, গোপালের মা

    “দৈবস্বভাব—দেবতার প্রকৃতি। এতে লোকভয় কম থাকে। যদি গলায় মালা, গায়ে চন্দন, ধূপধুনার গন্ধ দেওয়া যায়; তাহলে সমাধি হয়ে যায়!—ঠিক বোধ হয়ে যায় যে, অন্তরে নারায়ণ আছেন—নারায়ণ দেহধারণ (Ramakrishna) করে এসেছেন। আমি টের পেয়েছি।”

    পূর্বকথা—সুলক্ষণা ব্রাহ্মণির সমাধি—রণজিতের ভগবতী কন্যা

    “দক্ষিণেশ্বরে যখন আমার প্রথম এইরুপ অবস্থা হল, কিছুদিন পরে একটি ভদ্রঘরে বামুনের মেয়ে এসেছিল। বড় সুলক্ষণা। যাই গলায় মালা আর ধূপধুনা দেওয়া হল অমনি সমাধিস্থ। কিছুক্ষণ পরে আনন্দ,—আর ধারা পড়তে লাগল। আমি তখন প্রণাম করে বললুম, ‘মা, আমার হবে?’ তা বললে, ‘হাঁ!’ তবে পূর্ণকে আর একবার দেখা। তা দেখবার সুবিধা কই?

    “কলা বলে বোধ হয়। কি আশ্চর্য অংশ শুধু নয়, কলা!

    “কি চতুর!—পড়াতে নাকি খুব।—তবে তো ঠিক ঠাওরেছি!

    “তপস্যার জোরে নারায়ণ সন্তান হয়ে জন্মগ্রহণ করেন। ও-দেশে যাবার রাস্তায় রণজিত রায়ের দীঘি আছে। রণজিত রায়ের ঘরে ভগবতী কন্যা হয়ে জন্মেছিলেন। এখনও চৈত্রমাসে মেলা হয়। আমার বড় যাবার ইচ্ছা হয়!—আর এখন হয় না।

    “রণজিত রায় ওখানকার জমিদার ছিল। তপস্যার জোরে তাঁকে কন্যারূপে পেয়েছিল। মেয়েটিকে বড়ই স্নেহ করে। সেই স্নেহের গুণে তিনি আটকে ছিলেন, বাপের কাছ ছাড়া প্রায় হতেন না। একদিন সে জমিদারির কাজ করছে, ভারী ব্যস্ত; মেয়েটি ছেলের স্বভাবে কেবল বলছে, ‘বাবা, এটা কি; ওটা কি।’ বাপ অনেক মিষ্টি করে বললে — ‘মা, এখন যাও, বড় কাজ পড়েছে।’ মেয়ে কোনমতে যায় না। শেষে বাপ অন্যমনস্ক হয়ে বললে, ‘তুই এখান থেকে দূর হ’। মা তখন এই ছুতো করে বাড়ি থেকে চলে গেলেন। সেই সময় একজন শাঁখারী রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিল। তাকে ডেকে শাঁখা পরা হল। দাম দেবার কথায় বললেন, ঘরের অমুক কুলুঙ্গিতে টাকা আছে, লবে। এই বলে সেখান থেকে চলে গেলেন, আর দেখা গেল না। এদিকে শাঁখারী টাকার জন্য ডাকাডাকি করছে। তখন মেয়ে বাড়িতে নাই দেখে সকলে ছুটে এল। রণজিত রায় নানাস্থানে লোক পাঠালে সন্ধান করবার জন্য। শাঁখারীর টাকা সেই কুলুঙ্গিতে পাওয়া গেল। রণজিত রায় কেঁদে কেঁদে বেড়াচ্ছেন, এমন সময় লোকজন এসে বললে, যে, দীঘিতে কি দেখা যাচ্ছে। সকলে দীঘির ধারে গিয়ে দেখে যে শাঁখাপরা হাতটি জলের উপর তুলেছেন। তারপর আর দেখা গেল না। এখনও ভগবতীর পূজা ওই মেলার সময় হয়—বারুণীর দিনে (Kathamrita)।

    (মাস্টারকে)—“এ সব সত্য।”

    মাস্টার—আজ্ঞা, হাঁ।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—নরেন্দ্র এখন এ-সব বিশ্বাস করে।

    “পূর্ণর বিষ্ণুর অংশে জন্ম। মানসে বিল্বপত্র দিয়ে পূজা করলুম, তা হল না;—তুলসী-চন্দন দিলাম, তখন হল!

    “তিনি নানারূপে দর্শন দেন। কখন নররূপে, কখন চিন্ময় ঈশ্বরীয় রূপে। রূপ মানতে হয়। কি বল?”

    মাস্টার—আজ্ঞা, হাঁ!

    গোপালের মার প্রকৃতিভাব ও রূপদর্শন

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—কামারহাটির বামনী (গোপালের মা) কত কি দেখে! একলাটি গঙ্গার ধারে একটি বাগানে নির্জন ঘরে থাকে, আর জপ করে। গোপাল কাছে শোয়! (বলিতে বলিতে ঠাকুর চমকিত হইলেন)। কল্পনায় নয়, সাক্ষাৎ! দেখলে গোপালের হাত রাঙা! সঙ্গে সঙ্গে বেড়ায়!—মাই খায়!—কথা কয়! নরেন্দ্র শুনে কাঁদলে!

    “আমি আগে অনেক দেখতুম। এখন আর ভাবে তত দর্শন হয় না। এখন প্রকৃতিভাব কম পড়ছে। বেটাছেলের ভাব আসছে। তাই ভাব অন্তরে, বাহিরে তত প্রকাশ নাই।

    “ছোট নরেনের পুরুষভাব,—তাই মন লীন হয়ে যায়। ভাবাদি নাই। নিত্যগোপালের প্রকৃতিভাব। তাই খ্যাঁচা ম্যাঁচা;—ভাবে তার শরীর লাল হয়ে যায়।”

  • Rahul Gandhi: আরও একটি নির্বাচন, আরও একবার পরাজয়! রাহুলকে পুরস্কার দিন, তোপ অমিত মালব্যের

    Rahul Gandhi: আরও একটি নির্বাচন, আরও একবার পরাজয়! রাহুলকে পুরস্কার দিন, তোপ অমিত মালব্যের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরও একটি নির্বাচন, আরও একটি পরাজয়! বিহারে হারের (Bihar Election Results) পর রাহুল গান্ধীকে কটাক্ষ করে তোপ দাগল বিজেপি। বিহারে ভোট গণনা শুরু হওয়ার পর থেকেই সামাজিক মাধ্যমে একটি মানচিত্র প্রকাশ করে গত দুই দশকে ৯৫টি নির্বাচনী পরাজয় দেখিয়ে লোকসভার বিরোধী দলনেতার সমালোচনা করেছে বিজেপি। কার্যত রাহুলের নেতৃত্বে লালুপুত্র তেজস্বীকেও বড়সড় হারের মুখে পড়তে হয়েছে বলে কটাক্ষ করেছেন বিজেপি নেতা অমিত মালব্য। সোনিয়া গান্ধীর পর দলের কমান সামলেছেন পুত্র রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। তবে আশানুরূপভাবে সাফল্য পায়নি দল। একের পর এক কংগ্রেস শাসিত রাজ্য হাত ছাড়া হয়েছে। উল্লেখ্য, বিহার ভোটের প্রচারে রাহুল জাতীয় নির্বাচন কমিশন এবং এসআইআর ইস্যুতে ভোট চুরির প্রসঙ্গ তুলে ধরলেও, বিহারবাসী ইভিএমের ভোটে তার কড়া জবাব দিয়েছেন বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ।

    পরাজয়ের পুরস্কার (Rahul Gandhi)!

    বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য একটি পোস্ট করে রাহুলকে নিশানা করে বলেন, “২০০৪ থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত নানা নির্বাচনে রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi) যেখানে যেখানে নেতৃত্ব দিয়েছেন সেখানে সেখানে পরাজয়ের মুখ দেখেছে কংগ্রেস। বিহারের এই নির্বাচন (Bihar Election Results) আরও এক পরাজয়। তবে হ্যাঁ এই পরাজয় ধারবাহিক পরাজয়। এভাবে লাগাতার পরাজয়ের জন্য যদি কোনও পুরস্কার থেকে থাকতো তাহলে সবগুলি পুরস্কার তিনি একাই পেতেন।”

    লোকসভা বিধানসভা কেন্দ্রে পরাজয়

    ভারতের একটি মানচিত্রের গ্রাফিক্স প্রকাশ করেন বিজেপি নেতা মালব্য। তাতে রাজ্যগুলির ৯৫টি তির চিহ্ন দিয়ে মানচিত্রও শেয়ার করেছেন। সেখানে রাহুল দলের কেন্দ্রীয় প্রচারক হয়ে ভোট প্রচারে যাওয়ার জন্য সেখানে সেখানে কংগ্রেসকে পরাজয়ের মুখ দেখাতে হয়েছে। এই তালিকায় প্রায় প্রতিটি প্রধান রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। যেমন- হিমাচল প্রদেশ (২০০৭, ২০১৭) এবং পাঞ্জাব (২০০৭, ২০১২, ২০২২) থেকে শুরু করে গুজরাট (২০০৭, ২০১২, ২০১৭, ২০২২), মধ্যপ্রদেশ (২০০৮, ২০১৩, ২০১৮, ২০২৩), মহারাষ্ট্র (২০১৪, ২০১৯, ২০২৪) এবং দিল্লি, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ এবং বিহারের একাধিক ভোট কেন্দ্র রয়েছে। তবে এই তালিকায় উত্তর-পূর্ব, দক্ষিণ রাজ্য, কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিতে পরাজয় এবং ওড়িশা ও অন্ধ্রপ্রদেশের নানা আসনও রয়েছে। ওই মানচিত্রে ভোটকেন্দ্র এবং আসনগুলি লোকসভা এবং বিধানসভা উভয় কেন্দ্রের পরাজয়গুলিকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

    সরকার গড়ার পথে এগিয়ে এনডিএ

    বিহারে (Bihar Election Results) বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএর মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন নীতীশ কুমার। বিজেপি, জেডিইউ, চিরাগ পাসয়ানের দল, জিতেন রাম মাঝির দল এখন বিরাট জয়ের পথে। সরকার গড়তে গেলে বিহারে ২৪৩টি আসনের মধ্যে ১২২টি আসন প্রয়োজন। তবে এখনও পর্যন্ত ২০৩টিরও বেশি আসনে এগিয়ে রয়েছে। তাই জয় নিশ্চিত মনে করেছে এনডিএ জোট। অপরে বাম কংগ্রেস এবং আরজেডি মহাজোট ৩৬ আসনে এগিয়ে।

    মোদির সভায় বেশি জয়

    এই জয়কে অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি লিখেছেন, “সুশাসন, বিকাশ, জনকল্যাণ এবং সামাজিক ন্যায়বিচারের জয় হয়েছে। বিহারে শাসকজোটের এই সাফল্য ঐতিহাসিক এবং অভূতপূর্ব। মানুষের এই রায় সাধারণ জনতার সেবা করার এবং বিহারের জন্য নতুন সংকল্পে কাজ করার শক্তি দেবে আমাদের।” উল্লেখ্য এক সমীক্ষায় বলা হয়েছে প্রধানমন্ত্রী যে যে এলাকায় সভা করেছেন সেখানে সেখানে বিজেপি বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছে। আর রাহুল (Rahul Gandhi) যেসব এলাকায় প্রচারে গিয়েছেন, সেখানে কংগ্রেসের ভোট কমেছে।

    প্রভাব ফেলেছে এসআইআর

    পরিসংখ্যান বলছে, বিহার নির্বাচনে ২৪৩টি বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে ১০৬টি কেন্দ্রে এসআইআরের কারণে সবচেয়ে বেশি নাম বাদ পড়েছে। পটনা, মধুবনি এবং পূর্ব চম্পারণ জেলা বাতিলের তালিকায় শীর্ষে। এসআইআর প্রভাবিত এই ১০৬টি আসনের মধ্যে অধিকাংশ জায়গায়ই জয়ী হতে চলেছে বিজেপির নেতৃত্বাধীন জোট। মহাগঠবন্ধনের দখলে থাকতে পারে হাতেগোনা কয়েকটি আসন। ফলে একটি বিষয় স্পষ্ট, এসআইআরের বিরুদ্ধে বিরোধীদের অপপ্রচার এবং অভিযোগ ভোটবাক্সে প্রভাব ফেলেনি।

  • Bihar Election Results: “বিহার জয়ের পর এবার টার্গেট  বাংলা”, গণনার মধ্যেই হুঁশিয়ারি গিরিরাজের

    Bihar Election Results: “বিহার জয়ের পর এবার টার্গেট বাংলা”, গণনার মধ্যেই হুঁশিয়ারি গিরিরাজের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিহারের (Bihar Election Results) পর এবার বাংলার পালা। বিজেপি জোট তথা এনডিএ জোট বিহারের নির্বাচনে বিরাট ব্যবধানে এগিয়ে রয়েছে। আরও একবার সরকার গড়ার পথে বিজেপি জোট। এই আবহে বিহারের পর বাংলা জয়ের ডাক দিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিং (Giriraj singh)। বিহারে কিছু দিন আগেই জাতীয় নির্বাচন কমিশন এসআইআর করেছে। ৬৫ লক্ষের বেশি ভুয়ো ভোটারের নাম বাদ গিয়েছে। বাংলায় এসআইআর-এর কাজ চলছে ফলে জাল ভোটারের নাম বাদ যাবে, তাই বাংলায় বিজেপি সরকার গঠনের প্রক্রিয়াও অনেক সহজ হয়ে যাবে বলে মনে করছেন বিজেপি নেতৃত্ব।

    অনুপ্রবেশকারীমুক্ত হলেই বাংলা জয় (Bihar Election Results)

    শুক্রবার সকাল ৮টা থেকেই বিহারের ভোট গণনা (Bihar Election Results) শুরু হয়। গণনার তিন ঘণ্টার মধ্যে মমতার শাসনকে উৎখাত করার হুঁশিয়ারি দিয়ে নিশানা করলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা গিরিরাজ সিং (Giriraj singh)। তিনি স্পষ্ট বলেন, “বিহার জয়ের পর এবার বাংলা টার্গেট। বিহার আমাদের জয় হবেই। বাংলায় দিদির পরাজয় পরবর্তী পালা। বাংলাদেশি এবং রোহিঙ্গাদের তাড়াতে পারলেই বাংলা অনুপ্রবেশকারীমুক্ত হবে। আর তা হলেই বাংলা জয় নিশ্চিত। লালু নিজেকে গরিবের মসিহা বলেছিলেন। শেষে দেখা গেলো ওঁর পরিবার সব থেকে বেশি লাভবান হয়েছে। মহিলাদের জন্য নরেন্দ্র মোদি এবং নীতীশ কুমার লাখপতি দিদি-র মতো প্রকল্প এনেছেন। বিহারের প্রত্যকে মহিলা নীতীশ এবং মোদিকে প্রচণ্ড শ্রদ্ধা করেন। আমি প্রথম দিন থেকেই বলে আসছিলাম যে বিহারে আমাদের ফলাফল দারুণ হবে। বিহারের মানুষ এই সরকারের প্রতি সবসময় উৎসাহী ছিল। জনজীবনে শান্তি, ন্যায়বিচার এবং উন্নয়নের পক্ষে সবসময় ভোট দিয়েছে মানুষ।”

    সরকার গড়বে বিজেপি

    বিহার ভোট গণনা (Bihar Election Results) শুরু হয়ে গিয়েছে। শেষ আপডেট পাওয়া পর্যন্ত জানা গিয়েছে ২৪৩ আসনে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট এগিয়ে ২০২ টি-তে। মহাগঠবন্ধন জোট ৩৫টি আসনে এগিয়ে। এখনও পর্যন্ত হিসেবে এনডিএ জোট বিরাট মার্জিনে এগিয়ে। আত্মবিশ্বাসও বেড়ে গিয়েছে কয়েকগুণ। আরজেডি, কংগ্রেস এবং তৃণমূলকে ব্যাপক ভাবে তুলোধনা করছে বিজেপি। তোষণের রাজনীতিকে সম্পূর্ণ ভাবে নস্যাৎ করতে বিজেপি আরও দৃঢ় প্রত্যয়ী।

  • Election Commission: ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত ৯৫ শতাংশ এনুমারেশন ফর্ম বিলি শেষ, জমা ১৭ নভেম্বর থেকে

    Election Commission: ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত ৯৫ শতাংশ এনুমারেশন ফর্ম বিলি শেষ, জমা ১৭ নভেম্বর থেকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৩ নভেম্বর, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যে ছটা পর্যন্ত রাজ্যের ৯৫ শতাংশ এনুমারেশন ফর্ম বিলি করেছেন বিএলওরা। জানা গিয়েছে, প্রথম ১০ দিনে ৭.২৭ কোটি ভোটারের কাছে ফর্ম বিলি করেছে। তবে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক দফতর (Election Commission) জানিয়েছে, অনলাইন ও ডিজিটাল মাধ্যমে ইতিমধ্যে প্রায় ৬ লক্ষ এনুমারেশন ফর্ম জমা পড়েছে। নির্বাচন বাকি কাজ আরও ২-৩ দিনের মধ্যে ফর্ম বিলি শেষ হয়ে যাবে। আগামী সোমবার ১৭ নভেম্বর থেকে ফর্ম জমা (SIR) নেওয়ার কাজ শুরু হবে। এদিকে রাজ্যে এসআইআর আবহে শাসক বিরোধী তর্জা তুঙ্গে।

    লোকজনকে সবরকম সহযোগিতা কমিশনের (Election Commission)

    সময়ের মধ্যেই কমিশন কাজ করবে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। ৪ নভেম্বর থেকে ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত এনুমারেশন ফর্ম বিলি এবং জমা নেওয়ার কাজ চলবে। এসআইআর (SIR) কাজ শুরুর পর থেকেই কমিশন বারবার বলেছে সঠিক ভাবে আবেদন পূরণের জন্য সমস্ত লোকজনকে সবরকম সহযোগিতা করা হবে। একই ভাবে সংবাদ মাধ্যম এবং সামাজিক মাধ্যমেও একই বার্তা দেওয়া হয়েছে। আগামী সোমবার থেকে বিএলওরা এই কাজ করবেন।

    খসড়ায় কাদের নাম থাকবে না?

    আবার কমিশন সূত্রে খবর, রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক দফতের (Election Commission) ফর্ম বিলি চলাকালীন একটি নতুন সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে। বহুক্ষেত্রে বহুতলের বাসিন্দাদের দোরগোড়ায় বারবার পৌঁছে সাড়া পাচ্ছেন না বিএলও-রা। আর তাই নির্দিষ্ট ভোটারকে না পেয়ে তাঁদের এনুমারেশন ফর্ম চলে যাচ্ছে ইআরও-দের কাছে। তবে এই রকম বাসিন্দাদের সংখ্যাটাও কম নয়। অপর দিকে বিভিন্ন বস্তির ক্ষেত্রেও একই সমস্যা হচ্ছে। বস্তিতে গিয়েও ভোটারদের খোঁজ মিলছে না। কিছু কিছু ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে অ্যাপে হয়তো ফর্ম বিলি হয়ে যাচ্ছে কিন্তু বাস্তবে খোঁজ মিলছে না। তবে নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, অনেক ভোটারের নাম আগামী ৯ ডিসেম্বর খসড়া ভোটার তালিকা থাকবে না কারণ তাঁরা এনুমারেশন ফর্ম জমা দেননি।

    তবে ৯ ডিসেম্বর থেকে ৮ জানুয়ারি পর্যন্ত সময়ে যাদের নাম খসড়া তালিকায় থাকবে না, নামের বানান ভুল থাকবে, ঠিকানা পরিবর্তন হবে অথবা ছবি ব্যবহারের ক্ষেত্রে নতুন ছবি ব্যবহার করবেন সেই সমস্ত ক্ষেত্রে তাঁরা নতুন করে আবেদন করতে পারবেন ।

  • Ramakrishna 508: “সাশ্রুনয়নে—আহা! পরমার্থের সংযোগ, ঈশ্বরের জন্য ব্যাকুল না হলে এইরূপ হয় না।”

    Ramakrishna 508: “সাশ্রুনয়নে—আহা! পরমার্থের সংযোগ, ঈশ্বরের জন্য ব্যাকুল না হলে এইরূপ হয় না।”

    ৪৯ শ্রীশ্রীরথযাত্রা বলরাম-মন্দিরে

    প্রথম পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৫, ১৩ই জুলাই

    পূর্ণ, ছোট নরেন, গোপালের মা

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna) বলরামের বাড়ির বৈঠকখানায় ভক্তসঙ্গে বসিয়া আছেন। (৩০শে আষাঢ়, ১২৯২) আষাঢ় শুক্লা প্রতিপদ, সোমবার, ১৩ই জুলাই, ১৮৮৫, বেলা ৯টা।

    কল্য শ্রীশ্রীরথযাত্রা। রথে বলরাম ঠাকুরকে নিমন্ত্রণ করিয়া আনিয়াছেন। বাড়িতে শ্রীশ্রীজগন্নাথ-বিগ্রহের নিত্য সেবা হয়। একখানি ছোট রথও আছে,—রথের দিন রথ বাহিরের বারান্দায় টানা হইবে (Kathamrita)।

    ঠাকুর মাস্টারের সহিত কথা কহিতেছেন। কাছে নারাণ, তেজচন্দ্র, বলরাম ও অন্যান্য অনেক ভক্তেরা। পূর্ণ সম্বন্ধে কথা হইতেছে। পূর্ণের বয়স পনর হইবে। ঠাকুর মাস্টারের সহিত কথা কহিতেছেন। কাছে নারাণ, তেজচন্দ্র, বলরাম ও অন্যান্য অনেক ভক্তেরা। পূর্ণ সম্বন্ধে কথা হইতেছে। পূর্ণের বয়স পনর হইবে। ঠাকুর তাঁহাকে দেখিবার জন্য ব্যাকুল হইয়াছেন।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (মাস্টারের প্রতি) — আচ্ছা, সে (পূর্ণ) কোন পথ দিয়ে এসে দেখা করবে? — দ্বিজকে ও পূর্ণকে তুমিই মিলিয়ে দিও।

    “এক সত্তার আর এক বয়সের লোক, আমি মিলিয়ে দিই। এর মানে আছে। দুজনেরই উন্নতি হয়। পূর্ণর কেমন অনুরাগ দেখেছ।”

    মাস্টার—আজ্ঞা হাঁ, আমি ট্রামে করে যাচ্ছি, ছাদ থেকে আমাকে দেখে, রাস্তার দিকে দৌড়ে এল,—আর ব্যাকুল হয়ে সেইখান থেকেই নমস্কার করলে।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna) সাশ্রুনয়নে—আহা! আহা!—কি না ইনি আমার পরমার্থের (পরমার্থলাভের জন্য) সংযোগ করে দিয়েছেন। ঈশ্বরের জন্য ব্যাকুল না হলে এইরূপ হয় না।

    পূর্ণের পুরুষত্তা, দৈবস্বভাব,—তপস্যার জোরে নারায়ণ সন্তান

    “এ তিনজনের পুরুষসত্তা—নরেন্দ্র, ছোট নরেন আর পূর্ণ। ভবনাথের নয়—ওর মেদী ভাব (প্রকৃতিভাব)।

    “পূর্ণর যে অবস্থা, এতে হয় শীঘ্র দেহনাশ হবে—ঈশ্বরলাভ হল, আর কেন;—বা কিছুদিনের মধ্যে তেড়েফুঁড়ে বেরুবে (Kathamrita)।

     

  • Sukanta Majumdar: “বিধানসভায় ফের ফিরে আসা চাইই চাই”, বিজেপি বিধায়কদের বার্তা সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: “বিধানসভায় ফের ফিরে আসা চাইই চাই”, বিজেপি বিধায়কদের বার্তা সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বছর ঘুরলেই বিধানসভা নির্বাচন। রাজ্যে এসআইআর আবহে রাজনৈতিক উত্তাপ এখনই চরম শিখরে। রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে পাহাড় প্রমাণ দুর্নীতির বোঝা। অপর দিকে নারী নির্যাতন এবং ধর্ষণের ঘটনা পাল্লা দিয়ে রোজ বাড়ছে। চাকরি নেই কর্মস্থান নেই, নেই রাজ্য সরকারের কর্মচারীদের ডিএ। সংখ্যালঘু তোষণ এবং হিন্দু নির্যাতণের মতো ঘটনা এই রাজ্যে অহরহ ঘটছে। এই পরিস্থিতিতে বিজেপি বিধায়কদের ২০২৬ সালের বিধানসভায় ফের জিতে আসার বার্তা দিয়েছেন প্রাক্তন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। তাঁর সাফ কথা, “বিধানসভায় ফের ফিরে আসা চাইই চাই।”

    আরেকবার জয়ী হয়ে আসতে হবে (Sukanta Majumdar)

    বুধবার পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য বিধানসভায় বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদারকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। সেখানে বিজেপি বিধায়কগণ এবং কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বৈঠক করেন। এখানে একদিকে বিভিন্ন এলাকার সমস্যা বিষয়ে যেমন কথা হয়, ঠিক একই ভাবে কেন্দ্রীয় সরকারের কোন কোন সহযোগিতা প্রয়োজন তা নিয়েও বিধায়কদের মতামত জানতে চান সুকান্ত মজুমদার। হাতে মাত্র আর কয়েকটা মাস সময়, তাই সময়কে কাজে লাগিয়ে কীভাবে মানুষের বেশি বেশি সমর্থন নিয়ে আরেকবার বিধানসভায় জয়ী হয়ে আসা যায়, সেই বিষয়ে পরামর্শ দেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। যদিও বিজেপির পক্ষ থেকে এই বৈঠককে বিজয়া সম্মিলনী বলা হয়েছে।

    আপনারা দলের প্রকৃত সৈনিক

    এদিনের সৌজন্যমূলক সাক্ষাৎকারে বিজেপি বিধায়কদের সুকান্ত সাফ বার্তা দেন, “প্রত্যেকে বিজেপি বিধায়কদের আবারও ফিরে আসতে হবে। আপনাদের অনেকেই নানা প্রলোভন, চাপ, হুমকির মুখে থেকেও দল ছাড়েননি। আপনারা দলের প্রকৃত সৈনিক। আপনাদের সাহসের জন্যই সংগঠন টিকে আছে। আপনাদের অনেকেই নানা প্রলোভন, চাপ, হুমকির মুখে থেকেও দল ছাড়েননি। আপনারা দলের প্রকৃত সৈনিক। আপনাদের সাহসের জন্যই সংগঠন টিকে আছে।” এদিন ঠিক ১২ টা নাগাদ বিধানসভায় আসেন সুকান্ত। উল্লেখ্য রাজ্য বিধানসভায় নিজে বিজেপির রাজ্য সভাপতি থাকাকালীন সময়েও এসেছলেন। নানা সময়ে বিধায়ক এবং কর্মীদের মনে সাহস জুগিয়েছেন। তবে সুকান্তর আসাকে ঘিরে বিজেপি বিধায়কদের ঘিরে প্রস্তুতি ছিল দেখার মতো। ফটকের বাইরে স্বাগত পোস্ট ঝোলানো হয়েছিল। বেশিরভাগ বিধায়ক এদিন উপস্থিত ছিলেন বিধানসভায়। একইভাবে উপস্থিত ছিলেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।

    ২০২১ সালে বিজেপির জয়ী বিধায়ক সংখ্যা ছিল ৭৭। এখন কমে দাঁড়িয়েছে ৬৫। আর সামনেই বিধানসভা নির্বাচন। তাই বিধানসভা স্তরে দলের সংগঠনকে আরও শক্তিশালী করতে এই বিশেষ বৈঠক হয়েছে বলে মনে করছেন ওয়াকি বহাল মহল।

  • SIR: রাজ্যে মৃত ভোটার কত? কমিশন কীভাবে বাছাই করছে জানেন?

    SIR: রাজ্যে মৃত ভোটার কত? কমিশন কীভাবে বাছাই করছে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে চলছে এসআইআর-এর (SIR) কাজ। রাজ্যে মৃত ভোটারের সংখ্যা কত? এবার এই পরিসংখ্যান জানতে বিশেষ উদ্যোগী হয়েছে নির্বাচন কমিশন। আধার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠকের পাশাপাশি রাজ্যের সব সামাজিক প্রকল্প এখন থেকে খতিয়ে দেখার নির্দেশ কমিশন দিয়েছে জেলা শাসকদের। আধার সংস্থা থেকে মিলেছে মৃত ভোটারদের তালিকা। পরিসংখ্যান বলছে, রাজ্যের মৃত ভোটার সংখ্যা প্রায় ৪৩ লক্ষ। সূত্রে জানা গিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যনির্বাচনী আধিকারিক সিইও (Election Commission) মনোজ আগরওয়ালের সঙ্গে আধার দফতরের আধিকারিক শুভদীপ চৌধুরী বৈঠক করেছেন।

    ৪৩ লক্ষ মৃত ভোটার (SIR)!

    রাজ্যে এনুমারেশন ফর্ম (SIR) বিলির কাজ প্রায় শেষের পথে। এবার করা হবে ভেরিফিকেশনের কাজ। জেলা শাসকদের সাফ নির্দেশ, বিভিন্ন জনমুখী পরিকল্পনায় যেসব বিধবা ভাতা, স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে কারা নাম তুলেছে তা খতিয়ে দেখতে হবে ভালো করে। অপরদিকে আধার সংস্থার পক্ষ থেকে জানা গিয়েছে ৩৩-৩৪ লক্ষ মৃত ভোটার রয়েছে। এই সংক্রান্ত তথ্য দিয়েছে কমিশনকে (Election Commission)। ব্যাঙ্কে যাদের কেওয়াইসি দেওয়া হয়নি, সেই সব বন্ধ অ্যাকাউন্টের নিরিক্ষে জানা গিয়েছে। সেই সঙ্গে আরও ১৩ লক্ষ লোকের নাম পাওয়া গিয়েছে। এই ব্যক্তিদের অবশ্য আধার কার্ড নেই। ইতিমধ্যে তাদের মৃত্যু হয়েছে অনেকের। তাই আধার কর্তৃপক্ষকে এই কাজে তালিকা প্রস্তুত করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কমিশন আধার সংস্থাকে সব রাজ্যে এই মর্মে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছে। তবে যদি কোনও মৃত ব্যক্তির নামে এনুমারেশন ফর্ম জমা দেওয়া হয়, তাহলে যিনি জমা করেছে তাকে ডাকা হবে। বক্তব্য শুনবেন ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন অফিসার।

    ৭৫ শতাংশের কম ফর্ম বিলি হয়েছে

    কমিশন সূত্রে খবর, শিলিগুড়ি, কালিয়াগঞ্জ, তপন, রাণাঘাট উত্তর পূর্ব, জগদ্দল, নোয়াপাড়া, খড়দহ, পানিহাটি, রাজারহাট, নিউটাউন, বিধাননগর, রাজারহাট-গোপালপুর, জয়পুর, বারুইপুর পূর্ব, বারুইপুর পশ্চিম, সোনারপুর দক্ষিণ ও উত্তর, যাদবপুর, টালিগঞ্জ, বেহালা, মহেশতলা,মেটিয়াব্রুজ, কলকাতা বন্দর, বেলেঘাটা, জোড়াসাঁকো, কাশীপুর বেলগাছিয়া, বালি, হাওড়া উত্তর, হাওড়া দক্ষিণ, খড়্গপুর সদর, দুবরাজপুর, সিউড়ি, আলিপুরদুয়ার, কুলটি, কসবা-এই সব জায়গায় ৭৫ শতাংশের কম ফর্ম বিলি (SIR) হয়েছে। বুধবার ৬ কোটি ৮৭ লক্ষ এনুমারেশন ফর্ম (Election Commission) বিলি হয়েছে।

  • Murshidabad: দিল্লি বিস্ফোরণ তদন্তে এবার বাংলা যোগ, এক সন্দেহভাজনের বাড়িতে তল্লাশি

    Murshidabad: দিল্লি বিস্ফোরণ তদন্তে এবার বাংলা যোগ, এক সন্দেহভাজনের বাড়িতে তল্লাশি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লি বিস্ফোরণ তদন্ত করতে গিয়ে উঠে এসেছে এবার পশ্চিমবঙ্গ যোগ। বিস্ফোরণের মাত্র ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) জেলায় হাজির জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ। বুধবার মুর্শিদাবাদের নবগ্রামে এসে পৌঁছেছে এনআইএ-এর বিশেষ টিম। তদন্তকারী সংস্থা স্পষ্ট জানিয়েছে, লালকেল্লার সামনে বিস্ফোরণের পর যেসব অভিযুক্ত এবং সন্দেহকারীদের পাকড়াও করা হয়েছে তাঁদের কাছে মোবাইল নম্বরে এই বাংলা যোগ মিলেছে।

    পরিযায়ী শ্রমিকের জঙ্গিযোগ (Murshidabad)

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মুর্শিদবাদের নবগ্রাম থানায় অভিযান চালায় এনআইএ। এলাকার মইনুল হাসান নামক এক ব্যক্তির বাড়িতে যায় এনআইএ-এর তদন্তকারী দল। সন্দেহভাজন মইনুল হাসানকে ডেকে দীর্ঘ সময় ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তল্লাশি চলে বাড়িতে বাড়িতেও। তবে জেরায় জানা গিয়েছে, তিনি একজন পেশায় পরিযায়ী শ্রমিক। কখনও দিল্লি আবার কখনও মুম্বইতে পরিযায়ী শ্রমিকের কাজ করতেন। কাজের সময় কয়েকজন জঙ্গিসংগঠনের লোকজনের সঙ্গে মইনুলের পরিচয় হয়।

    এলাকাবাসীরা রীতিমতো আতঙ্কিত

    দিল্লি বিস্ফোরণের পর জঙ্গি সংগঠনের একাধিক ব্যক্তির কাছে এই মইনুল হাসানের নম্বর মেলে। মইনুলের বাড়িতে তল্লাশিও করা হয়। তবে মইনুল ছাড়াও আরও একাধিক ব্যক্তির নাম পাওয়া গিয়েছে। ইতিমধ্যে জায়গায় জায়গায় তল্লাশি এবং জিজ্ঞাসাবাদ করছে তদন্তকারী অফিসাররা। বিস্ফোরণকাণ্ডে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে অভিযুক্তদের যোগসূত্র রয়েছে কিনা তাই ক্ষতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে এই ঘটনায় এলাকাবাসীরা রীতিমতো আতঙ্কে রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।

    আগেও মিলেছে জঙ্গি যোগ

    জঙ্গিযোগে বাংলার মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) জেলার নাম বার বার উঠে আসছে। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে আনসারুল্লা বাংলা টিমের কয়েকজন জঙ্গিকে গ্রেফতার করা হয় এই জেলা থেকেই। পরে অসম সহ আরও একাধিক জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে এবিটি জঙ্গিদের সন্ধান পায়। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার হয় প্রচুর অস্ত্র। লালকেল্লা বিস্ফোরণ মামলায় ইতিমধ্যে এখনও পর্যন্ত ১৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। চারজন চিকিৎসকদের খোঁজ পেয়েছে পুলিশ। এই বিস্ফোরণকাণ্ডে আরও অনেক বড় মাথার যোগ রয়েছে বলে মনে করছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। তবে দিল্লি বিস্ফোরণ কাণ্ডে গ্রেফতার হওয়া সন্দেহভাজনদের জিজ্ঞাসাবাদ এবং তাদের থেকে একাধিক সামগ্রী পাওয়ার পর সেই সূত্র ধরে জানা গিয়েছে, জঙ্গি মডিউল আরও সক্রিয় করার জন্য বেশ কয়েক বছর ধরে একাধিক বাংলাদেশিকে এদেশ তথা এরাজ্যে ভুয়ো আইডি বানিয়ে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে।

LinkedIn
Share