Author: suman-das

  • Ramakrishna 483: “স্বপনে কিছু দেখ? আগুন-শিখা, মশালের আলো? সধবা মেয়ে? শ্মশান-মশান?”

    Ramakrishna 483: “স্বপনে কিছু দেখ? আগুন-শিখা, মশালের আলো? সধবা মেয়ে? শ্মশান-মশান?”

    ৪৪ ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ বলরাম-মন্দিরে ভক্তসঙ্গে

    চতুর্থ পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৫, ১২ই এপ্রিল
    কামিনী-কাঞ্চন ও তীব্র বৈরাগ্য

    পরিবারের বন্ধন 

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna) হরির প্রতি—তুই কেন আসিস নাই? তোর পরিবার এসেছে বুঝি?

    আর একটি ছোকরা ভক্ত (পূর্ণ) আসিয়া উপস্থিত হইলেন। ঠাকুর তাঁহাকে অনেক কষ্টে ডাকাইয়া আনিয়াছেন, বাড়ির লোকেরা কোনও মতে আসিতে দিবেন না। মাস্টার যে বিদ্যালয়ে পড়ান সেই বিদ্যালয়ে পঞ্চম শ্রেণীতে এই ছেলেটি পড়েন। ছেলেটি আসিয়া ভূমিষ্ঠ হইয়া প্রনাম করিলেন। ঠাকুর নিজের কাছে তাহাকে বসাইয়া আস্তে আস্তে কথা কহিতেছেন — মাস্টার শুধু কাছে বসিয়া আছেন, অন্যান্য ভক্তেরা অন্যমনস্ক হইয়া আছেন। গিরিশ এক পাশে বসিয়া কেশবচরিত পড়িতেছেন।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (ছোকরা ভক্তটির প্রতি)—এখানে এস।

    গিরিশ (মাস্টারের প্রতি)—কে এ ছেলেটি?

    মাস্টার (বিরক্ত হইয়া)—ছেলে আর কে?

    গিরিশ (সহাস্যে)—It needs no ghost to tell me that.

    মাস্টারের ভয় হইয়াছে পাছে পাঁচজন জানিতে পারিলে ছেলের বাড়িতে গোলযোগ হয় আর তাঁহার নামে দোষ হয়। ছেলেটির সঙ্গে ঠাকুরও সেইজন্য আস্তে আস্তে কথা কহিতেছেন।

    শ্রীরামকৃষ্ণ—সে সব কর?—যা বলে দিছিলাম?

    ছেলেটি—আজ্ঞা, হাঁ।

    শ্রীরামকৃষ্ণ—স্বপনে কিছু দেখ?—আগুন-শিখা, মশালের আলো? সধবা মেয়ে?—শ্মশান-মশান? এ-সব দেখা বড় ভাল।

    ছেলেটি—আপনাকে দেখেছি—বসে আছেন—কি বলছেন।

    শ্রীরামকৃষ্ণ—কি—উপদেশ?—কই, একটা বল দেখি।

    ছেলেটি—মনে নাই।

    শ্রীরামকৃষ্ণ—তা হোক,—ও খুব ভাল!—তোমার উন্নতি হবে—আমার উপর তো টান আছে?

    কিয়ৎক্ষণ পরে ঠাকুর বলিতেছেন—“কই সেখানে যাবে না?”—অর্থাৎ দক্ষিণেশ্বরে। ছেলেটি বলিতেছে, “তা বলতে পারি না।”

    শ্রীরামকৃষ্ণ—কেন, সেখানে তোমার আত্মীয় কে আছে না?

    ছেলেটি—আজ্ঞা হাঁ, কিন্তু সেখানে যাবার সুবিধা হবে না।

    গিরিশ কেশবচরিত পড়িতেছেন। ব্রাহ্মসমাজের শ্রীযুক্ত ত্রৈলোক্য শ্রীযুক্ত কেশব সেনের ওই জীবনচরিত লিখিয়াছেন। ওই পুস্তকে লেখা আছে যে পরমহংসদেব আগে সংসারের উপর বড় বিরক্ত ছিলেন, কিন্তু কেশবের সহিত দেখাশুনা হবার পরে তিনি মত বদলাইয়াছেন — এখন পরমহংসদেব বলেন যে, সংসারেও ধর্ম হয়। এই কথা পড়িয়া কোন কোন ভক্তরা ঠাকুরকে বলিয়াছেন। ভক্তদের ইচ্ছা যে, ত্রৈলোক্যের সঙ্গে আজ এই বিষয় লইয়া কথা হয়। ঠাকুরকে বই পড়িয়া ওই সকল কথা শোনান হইয়াছিল।

    ঠাকুরের অবস্থা—ভক্তসঙ্গ ত্যাগ 

    গিরিশের হাতে বই দেখিয়া ঠাকুর গিরিশ, মাস্টার, রাম ও অন্যান্য ভক্তদের বলিতেছেন — “ওরা ওই নিয়ে আছে, তাই ‘সংসার সংসার’ করছে! — কামিনী-কাঞ্চনের ভিতর রয়েছে। তাঁকে লাভ করলে ও কথা বলে না। ঈশ্বরের আনন্দ পেলে সংসার কাকবিষ্ঠা হয়ে যায়, — আবার মাঝে ভক্তসঙ্গ-ফঙ্গও ত্যাগ করেছিলাম! দেখলুম পট্‌ পট্‌ মরে যায়, আর শুনে ছট্‌ফট্‌ করি! এখন তবু একটু লোক নিয়ে থাকি।”

  • ORS: গুণমান ছাড়া শিশুদের পানীয়তে ওআরএস লেবেলিং নিষিদ্ধ করল কেন্দ্র

    ORS: গুণমান ছাড়া শিশুদের পানীয়তে ওআরএস লেবেলিং নিষিদ্ধ করল কেন্দ্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ড অথরিটি অফ ইন্ডিয়া (FSSAI) আইন অমান্যের কারণ দেখিয়ে পানীয়ের ওপর থেকে ওআরএস (ORS) লেখা বাদ দেওয়ার নির্দেশ। কেন্দ্রশাসিত এবং রাজ্যগুলিতে এই নির্দেশিকা সমানভাবে কার্যকর হবে। চিনিযুক্ত পানীয় থেকে ওআরএস লেবেলিং সরিয়ে দেওয়ার জন্য হায়দ্রাবাদের শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তার শিবরঞ্জনী সন্তোষ ৮ বছরেরও বেশি সময় ধরে বিশেষ সচেতনতা অভিযান চালিয়ে সরব হয়েছিলেন। তাঁর কথায়, “চিনিযুক্ত পানীয় যা ওআরএস, তা কার্যত শিশুস্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর।” অবশেষে মিলেছে সাফল্য। সাফল্যে অত্যন্ত আবেগপূর্ণ তিনি।

    আমরা জিতেছি!

    সরকারের তরফে ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ড অথরিটি অফ ইন্ডিয়া (FSSAI) গত ১৪ অক্টোবর একটি নির্দেশিকা দিয়ে জানিয়েছে, ওআরএস একটি স্বতন্ত্র শব্দ। এখন থেকে ওআরএসকে ট্রেডমার্ক হিসেবে ব্যবহার করলে ২০০৬ সালের আইন অনুযায়ী বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সামাজিক মাধ্যমে একটি পোস্ট করে শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ সন্তোষ খুব স্পষ্ট করে বলেন, “আমরা জিতেছি! আজ একটা নির্দেশিকা জারি হয়েছে। এখন থেকে শিশুদের পানীয়তে কোনও কোম্পানি আর ওআরএস ব্যবহার করতে পারবে না। ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন দ্বারা স্বীকৃতি এবং তাদের ফর্মুলাকে অনুসরণ করেই ব্যবহার করতে হবে। আমি এফএসএসএআই, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ধন্যবাদ জানাই। আজ রাত ১০টা ২০ মিনিটে আমি বলছি এবং যাঁরা শুনছেন প্রত্যেক শিশুর অভিভাবক, ডাক্তার, শিশু, প্রভাবশালী, শিক্ষাবিদ, শিক্ষক, সাংবাদিক, অ্যাডভোকেট, অভিনেতা-অভিনেত্রী, পডকাস্ট, ইউটিউবার-সহ সকলকে আমার পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ জানাই।”

    কেন ক্ষতিকর পানীয় (ORS)?

    বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা প্রতি লিটার পানীয়তে ২৪৫ মোট অসমোলারিটি সহ একটি ওআরএস (ORS) দ্রবণ সুপারিশ করে। এতে প্রতি লিটার জলে ২.৬ গ্রাম সোডিয়াম ক্লোরাইড, ১.৫ গ্রাম পটাসিয়াম ক্লোরাইড, ২.৯ গ্রাম সোডিয়াম সাইট্রেট এবং ১৩.৫ গ্রাম ডেক্সট্রোজ অ্যানহাইড্রাস চিনি থাকাটাই দস্তুর। কিন্তু ওআরএস বলে দাবি করা অনেক বাণিজ্যিক পানীয়তে এই মানদণ্ড মেনে চলা হয় না বলে অভিযোগ। এই উপাদানগুলি ওই সব পানীয়তে উল্লেখযোগ্যভাবে কম থাকে। এই সব পানীয়তে প্রায়শই প্রতি লিটারে ১২০ গ্রাম চিনি থাকে এবং এর প্রায় ১১০ গ্রামই আসে অতিরিক্ত চিনি থেকে। এগুলির ইলেক্ট্রোলাইটের মাত্রাও অসামঞ্জস্যপূর্ণ, যেমন প্রতি লিটারে ১.১৭ গ্রাম সোডিয়াম, ০.৭৯ গ্রাম পটাসিয়াম এবং ১.৪৭ গ্রাম ক্লোরাইড, যা ডব্লুএইচও (WHO)-এর সুপারিশকৃত পরিমাণের চেয়ে ঢের কম।

    আইনি লড়াই

    ২০২২ সালে ডাক্তার সন্তোষ তেলেঙ্গনা হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিলেন। তিনি নিজের করা পিআইএল-এ উল্লেখ করে বলেন, “ডব্লুএইচও (WHO)-এর মান পূরণ না করে কোনও কোম্পানি ফলের রসে ওআরএস বাজারজাত করতে পারবে না। কারণ এই সব পানীয়তে অতিরিক্ত পরিমাণে চিনি এবং অসাম্যঞ্জস্যপূর্ণভাবে ইলেক্ট্রোলাইটের সমীকরণ থাকে, যা স্বাস্থ্যের পক্ষে ভীষণ ক্ষতিকর। শিশুদের পানীয় হিসেবে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ এই লেবেল যুক্ত ওআরএস।” বিষয়টি প্রথম নজরে আসে তৎকালীন স্বাস্থ্য এবং পরিবার কল্যাণ দফতরের সচিব রাজেশ ভূষণের। তারপরেই শুরু হয় বিচার বিভাগীয় তদন্ত। পরবর্তীকালে ২০২২ সালের ৮ এপ্রিল সরকার নির্দেশিকা জারি করে এবং বিজ্ঞপানে ওআরএস লেবেল সীমিত করে। কিন্তু গত ১৪ জুলাই বেশ কিছু কোম্পানি পাল্টা মামলা করলে সাময়িকভাবে নিয়ন্ত্রণ শিথিল করা হয়। চূড়ান্ত রায় না আসা পর্যন্ত কোম্পানিগুলি পেটেন্ট, ডিজাইন এবং ট্রেড মার্কে পণ্যের নামে ওআরএস (ORS) ব্যবহার চালিয়ে যায়। এরপর  ১৪ অক্টোবর ২০২৫ আসে সেই চূড়ান্ত নির্দেশিকা।

  • Archery World Cup Final 2025: তিরন্দাজ বিশ্বকাপে ব্রোঞ্জ জিতে ঐতিহাসিক জয় জ্যোতির

    Archery World Cup Final 2025: তিরন্দাজ বিশ্বকাপে ব্রোঞ্জ জিতে ঐতিহাসিক জয় জ্যোতির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২৫ সালের তিরন্দাজ বিশ্বকাপ (Archery World Cup Final 2025) ফাইনালে ব্রোঞ্জ জিতে ঐতিহাসিক জয় পেলেন জ্যোতি সুরেখা ভেন্নাম (Jyothi Surekha Vennam)। জ্যোতি হলেন প্রথম ভারতীয় যিনি এই বছরে শেষের শোপিসে মহিলাদের একক কম্পাউন্ড ইভেন্টে পদক জয়ী হয়েছেন। উল্লেখ্য, পুরুষদের ব্রোঞ্জ ইভেন্টে ঋষভ যাদবের হাতছাড়া হয়েছে পদক। গত কয়েক বছরে ভারত অলিম্পিক থেকে আইসিসি ক্রিকেট ম্যাচ-সহ ক্রীড়া জগতে বিশেষ সাফল্যের নজির গড়েছে। অবশ্য কেন্দ্রের মোদি সরকারের ‘খেল ইন্ডিয়া, ফিট ইন্ডিয়া’র মতো প্রকল্প দেশের ভেতরে বিরাট সাড়া ফেলেছে।

    একক পদক জয়ী হওয়ার বিশেষ খেতাব (Archery World Cup Final 2025)

    শনিবার চিনের নানজিংয়ে অনুষ্ঠিত আর্চারি ওয়ার্ল্ড কাপ ফাইনাল (Archery World Cup Final 2025) ২০২৫ এ মহিলাদের ব্যক্তিগত কম্পাউন্ড  ইভেন্টে ব্রোঞ্জ জিতেছেন জ্যোতি (Jyothi Surekha Vennam)। ব্রোঞ্জ পদকের ম্যাচে গ্রেট ব্রিটেনের বিশ্বের দ্বিতীয় নম্বর এলা গিবসনকে ১৫০-১৪৫ ব্যবধানে হারিয়ে পদক নিশ্চিত করেছেন জ্যোতি। এর আগে, টুর্নামেন্টে তৃতীয় স্থান অধিকারী এই ভারতীয় তিরন্দাজ কোয়ার্টার ফাইনালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অ্যালেক্সিস রুইজকে ১৪৩-১৪০ ব্যবধানে পরাজিত করেছিলেন। কিন্তু সে বার সেমিফাইনালে মেক্সিকোর বিশ্বের ১ নম্বর খেলোয়াড় আন্দ্রেয়া বেসেরার কাছে ১৪৫-১৪৩ ব্যবধানে হেরে গিয়েছিলেন। তৃতীয় রাউন্ডের পরে ভারতীয় তিরন্দাজ ৮৭-৮৬ ব্যবধানে এগিয়ে ছিলেন, যদিও শেষ দুটিতে হেরে যান। এই পদক জ্যোতি সুরেখাকে প্রথম ভারতীয় মহিলা কম্পাউন্ড তিরন্দাজ হিসেবে আর্চারি ওয়ার্ল্ড কাপ ফাইনালে একক পদক জয়ী হওয়ার বিশেষ খেতাব দিয়েছে।

    ২০২২ এবং ২০২৩ সালে বিশ্বকাপ ফাইনালে খেলেছিলেন

    জ্যোতি হলেন একমাত্র ভারতীয় মহিলা কম্পাউন্ড তিরন্দাজ যিনি মরশুমের শেষ তিরন্দাজ প্রতিযোগিতায় (Archery World Cup Final 2025) পদক জিতেছেন। ২০১৮ সালে তিনি অভিষেক ভার্মার সাথে মিশ্র দল ইভেন্টে রৌপ্য জিতেছিলেন। ভারতীয় তিরন্দাজ ২০২২ এবং ২০২৩ সালে বিশ্বকাপ ফাইনালে এক ইভেন্টে অংশ নিয়েছিলেন, কিন্তু উভয় অনুষ্ঠানেই প্রথম রাউন্ডে হেরে গিয়েছিলেন।

    আবার পুরুষদের একক কম্পাউন্ড ড্র-য়ে, ভারতের ঋষভ যাদব ব্রোঞ্জ পদকের ম্যাচে বিশ্বের দ্বিতীয় নম্বর নেদারল্যান্ডসের মাইক শ্লোসারের কাছে শ্যুটআউটে হেরে যাওয়ার পর অল্পের জন্য প্রথম স্থান থেকে বঞ্চিত হন। পাঁচ রাউন্ড শেষে তিরন্দাজরা ১৪৭ পয়েন্টে সমতায় থাকার পর শুটঅফে দু’জনেই ১০-১০ করেন। তবে, ডাচম্যানের তির কেন্দ্রের কাছাকাছি থাকায় জয় লাভ করেন।

    এর আগে, ঋষভ যাদব কোয়ার্টার ফাইনালে কোরিয়া প্রজাতন্ত্রের কিম জংহোকে ১৪৪-১৪৩ ব্যবধানে হারিয়ে ছিলেন এবং সেমিফাইনালে ডেনমার্কের বিশ্বের এক নম্বর ম্যাথিয়াস ফুলারটনের কাছে ১৪৮-১৪৪ ব্যবধানে হেরেছিলেন। ২০২৫ সালের তিরন্দাজি বিশ্বকাপ ফাইনাল রবিবার রিকার্ভ ইভেন্টের মাধ্যমে শেষ হবে।

  • DIG Harcharan Singh Bhullar: ৭.৫ কোটির বেশি নগদ টাকা, ২.৫ কেজি সোনা, ৫০ টি সম্পত্তি উদ্ধার হরিচরণ ভুল্লার বাড়িতে

    DIG Harcharan Singh Bhullar: ৭.৫ কোটির বেশি নগদ টাকা, ২.৫ কেজি সোনা, ৫০ টি সম্পত্তি উদ্ধার হরিচরণ ভুল্লার বাড়িতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঘুষকাণ্ডে গ্রেফতার হয়েছেন পঞ্জাবের ডিআইজি হরিচরণ ভুল্লার (DIG Harcharan Singh Bhullar)। তাঁর মতো পুলিশ অফিসার যে দুর্নীতি করে বিপুল সম্পত্তির পাহাড় গড়েছিলেন সেই সত্যকেই এবার প্রকাশ করেছে সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই জানিয়েছে, ৭.৫ কোটির বেশি নগদ টাকা, ২.৫ কেজি সোনা, ৫০ টি সম্পত্তি এবং আরও নানা জিনিসের হদিশ পাওয়া গিয়েছে। সিবিআই-এর (CBI) এই অভিযানে একশ্রেণীর মানুষের মনে প্রশ্ন উঠেছে সরকারি অফিসার এতো সম্পত্তির মালিক কীভাবে হলেন? স্তম্ভিত গোটা পুলিশ মহল এবং আমজনতা! উত্তর নেই ভুল্লারের কাছেও। অবশ্য ভুল্লার নিজেও দুর্নীতি দমনে খুব দক্ষ অফিসার ছিলেন, অথচ নিজেই সেই কাজে এখন অভিযুক্ত। এই প্রশ্নই এখন দেশজুড়ে সমাজমাধ্যমে ব্যাপক শোরগোল ফেলেছে।

    ১০০টি তাজা কার্তুজ সহ চারটি আগ্নেয়াস্ত্রও বাজেয়াপ্ত (DIG Harcharan Singh Bhullar)

    সিবিআই (CBI) সূত্রে জানা গিয়েছে, ডিআইজি ভুল্লারের (DIG Harcharan Singh Bhullar) বাসভবনে অভিযান চালিয়ে উদ্ধার করা হয়েছে ৫ কোটি নগদ টাকা এবং ১.৫ কেজি সোনার অলঙ্কার। সেই সঙ্গে এই বাড়ি থেকে অভিযান চালিয়ে আরও বিপুল পরিমাণ মূল্যবান জিনিসপত্রও উদ্ধার করা হয়েছে। আবার ভুল্লারের চণ্ডীগড়ের বাসভবন থেকে প্রায় ৭.৫ কোটি টাকা নগদ অর্থ, ২.৫ কেজি ওজনের সোনার গয়না, রোলেক্স এবং রাডোর মতো ব্র্যান্ড সহ ২৬টি বিলাসবহুল ঘড়িও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। পরিবারের সদস্যের নামে সন্দেহজনক বেশকিছু বেনামী সম্পত্তিরও খোঁজ মিলেছে। এখনও পর্যন্ত ৫০টিরও বেশি স্থাবর সম্পত্তির নথি, লকারের চাবি এবং একাধিক ব্যাংক অ্যাকাউন্টের বিবরণের তথ্য উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়াও তাঁর বাড়ি থেকে ১০০টি তাজা কার্তুজ সহ চারটি আগ্নেয়াস্ত্রও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। আবার সমরালায়ে ওঁই অফিসারের মালিকানাধীন খামারবাড়ি থেকে ১০৮ বোতল মদ, ৫.৭ লক্ষ টাকা নগদ অর্থ এবং ১৭টি তাজা গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।

    ৫ লক্ষ টাকা ঘুষ নিয়ে মোহালিতে গ্রেফতার

    সিবিআই (CBI) আরও জানিয়েছে, ভুল্লার (DIG Harcharan Singh Bhullar) আরও একজন সহযোগীর বাড়ি থেকে ২১ লক্ষ টাকা নগদ পাওয়া গেছে। সেই সঙ্গে দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর নথিও উদ্ধার হয়েছে। অভিযুক্ত পঞ্জাব পুলিশের রোপার রেঞ্জের ডিআইজি হরচরণ সিং ভুল্লার এবং তাঁর সহযোগীকে আজ চণ্ডীগড়ের সিবিআই আদালতে হাজির করা হয়েছে। আদালত অভিযুক্ত অফিসার এবং তাঁর সহযোগীকে ১৪ দিনের বিচারবিভাগীয় হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে। উল্লেখ্য ৫ লক্ষ টাকা ঘুষ নেওয়ার সময় মোহালিতে সিবিআইয়ের  হাতে ধরা পড়েন ভুল্লার। এরপরই তথ্যের সূত্রে ধরে চলে অভিযান এবং অবৈধ সম্পত্তি টাকা উদ্ধারের কাজ।

  • Bangladesh: ত্রিপুরায় তিন মৃত বাংলাদেশি গরু পাচারে অভিযুক্ত, দাবি বিদেশ মন্ত্রকের

    Bangladesh: ত্রিপুরায় তিন মৃত বাংলাদেশি গরু পাচারে অভিযুক্ত, দাবি বিদেশ মন্ত্রকের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুক্রবার ত্রিপুরায় তিন বাংলাদেশি নাগরিকের মৃত্যু প্রসঙ্গে ভারতের বিদেশ মন্ত্রক (Ministry of External Affairs) বিবৃতি জারি করে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে যে গণপিটুনির দাবি সম্পূর্ণ ভাবে মিথ্যা। নিহত তিন বাংলাদেশি নাগরিক (Bangladesh) চোরাকারবারের সঙ্গে যুক্ত ছিল। প্রথমে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে অবৈধ ভাবে অনুপ্রবেশ করেছিল তারা এবং সেই সঙ্গে সীমান্তবর্তী গ্রামবাসীদের ওপরে হামলা চালিয়ে হিংসাত্মক কাজ করে। ফলে ইউনূস সরকারের মিথ্যা অভিযোগকে সম্পূর্ণভাবে আরও একবার প্রত্যাখান করায় মুখ পুড়ল বাংলাদেশেরই।

    গ্রাম থেকে গরু চুরি করার অপচেষ্টা করে

    বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র (Ministry of External Affairs) রণধীর জয়সওয়ালের সাফ কথা, ঘটনাটি গত ১৫ অক্টোবর ত্রিপুরায় ঘটেছিল। ভারতীয় সীমান্ত খোয়াই জেলার ৩ কিমি ভিতরে এই এলাকা। বাংলাদেশ (Bangladesh) থেকে তিনজন দুষ্কৃতীর একটি দল আন্তর্জাতিক সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতে ঢুকে পড়েছিল। এরপর বিদ্যাবিল গ্রাম থেকে গরু চুরি চেষ্টা করে তারা। সেই সঙ্গে তারা লোহার দা ছুরি দিয়ে আক্রমণ করে এবং একজন গ্রামবাসীকে কুপিয়ে খুন করে। এরপর গ্রামবাসীরাই চোরদের আক্রমণের জবাব দেয়। ঘটনাস্থলে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। দুই চোরকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ। অপর আরেকজনকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে পরের দিন মৃত্যু হয়।

    প্রয়োজনীয় স্থানে বেড়া দিতে হবে

    নিহত তিন চোরাকারবারির মৃতদেহ শনাক্ত করার পর জানা গিয়েছে, অভিযুক্তরা বাংলাদেশের (Bangladesh) হবিগঞ্জের বাসিন্দা। তাদের পরিচয় জুয়াল মিয়া, সজল মিয়া এবং পণ্ডিত মিয়া। তিন জনের মৃতদেহ বাংলাদেশের প্রশাসনের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তবে মৃতদেহ পাঠানোর সময় ভারতের বিএসএফ এবং বাংলাদেশের বিজেবি সহ পুলিশ কর্তারা উপস্থিত ছিলেন। ইতিমধ্যে ত্রিপুরা সরকার এই বিষয়ে একটি মামলাও দায়ের করেছে। তবে বাংলাদেশের গণমাধ্যম এবং সামাজিক মাধ্যমে এই ঘটনাকে ঘিরে বিভ্রান্তি ছড়ালে ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রক কঠোর ভাবে নিন্দা জানায়। ভারতের বিদেশ মন্ত্রক (Ministry of External Affairs) ইতিমধ্যে দুই দেশের সীমান্তে শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য আবেদন করেছে। চোরাচালান ও অনুপ্রবেশ রোধের জন্য প্রয়োজনীয় স্থানে বেড়া দেওয়ার বিষয়েও মত প্রকাশ করেছে। একই ভাবে দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের কথা মাথায় রেখে উভয় সীমান্তে সতর্কতার বার্তাও দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

  • Amit Shah: “বাংলায় এসআইআর হবেই”, মমতাকে হুঁশিয়ারি দিয়ে অনড় বার্তা অমিত শাহের

    Amit Shah: “বাংলায় এসআইআর হবেই”, মমতাকে হুঁশিয়ারি দিয়ে অনড় বার্তা অমিত শাহের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “বাংলায় এসআইআর হবেই।” এবার মমতাকে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়ে জবাব দিলেন দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। বাংলাদেশি, রোহিঙ্গা এবং ভুয়ো ভোটারদের ভোটার লিস্ট থেকে বাদ দিতে জাতীয় নির্বাচন কমিশন নিবিড় সংশোধন করবে। আর এই কাজের সরাসরি বিরোধিতা করেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। মমতার দাবি, কেন্দ্র নাকি এসএইআর-কে হাতিয়ার করে এনআরসি করার গভীর ষড়যন্ত্র করছে। ইতিমধ্যে রাজ্যের বিরোধী দলনেতাও নাগরাকাটায় সাফ জানিয়েছেন, এসআইআর-এ (SIR) বাধা দিলে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হবে রাজ্যে।

    জালিয়াতি রুখতে এসআইআর

    প্রতিবেশী রাজ্য বিহারে নভেম্বরেই বিধানসভা নির্বাচন। ওই রাজ্যে এসআইআর-এর কারণে ৬৭ লক্ষের বেশি অবৈধ নাম বাদ পড়েছে। নির্বাচনের আবহেই পশ্চিমবঙ্গে এসআইআর প্রসঙ্গ নিয়ে আজতক সংবাদ মাধ্যমে একটি সাক্ষাৎকার দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। তিনি বলেন, “বিহারেও অনেক রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব একই কথা বলেছিলেন। সেখানেও সকলেই নথি জমা দিয়েছেন। এখন নির্বাচনও হবে। আর একই বিষয় বাংলাতেও হবে। ভোট ব্যাঙ্কে প্রভাব পড়বে, তাই বিরোধীদের চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। নির্বাচনে জালিয়াতি রুখতে এসআইআর (SIR) একান্ত প্রয়োজন।” শাহ খুব স্পষ্ট করে বলে দেন বঙ্গে বিধানসভা নির্বাচনের আগে এসআইআর হবেই।

    ১৯৫৩ সালে এই কাজ শুরু হয়েছে

    বাংলায় এসআইআর ইস্যু নিয়ে লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধীকে তোপ দেগে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) বলেন, “দেশে এই প্রথমবার এসআইআর (SIR) হচ্ছে না। ১৯৫৩ সালে এই কাজ শুরু হয়েছে। অর্থাৎ রাহুল গান্ধির ঠাকুমার বাবার আমল থেকেই এই কাজ শুরু হয়েছে। আমাদের সংবিধান নির্মাতারাই এই ব্যবস্থা তৈরি করে দিয়ে গেছেন। ভোটার তালিকাকে সংশোধন করতেই এই কাজ করা হয়। গত ১০, ১২ এবং ১৭ বছরে অনেক ভোটারদের মৃত্যু হয়েছে। এই সত্য হয়তো রাহুলকে কেউ বলেননি। এমন অনেকে রয়েছেন যারা কাজের জন্য ঠিকানা বদল করে নিয়েছে। এই সমস্ত ভোটারদের নাম বাতিল করা প্রয়োজন। তাই এসআইআর হবেই।”

  • Ramakrishna 482: “এদের কি বাড়ি ঘর-দোর নাই? আর কাজকর্ম নাই? এরা আসে কেমন করে?”

    Ramakrishna 482: “এদের কি বাড়ি ঘর-দোর নাই? আর কাজকর্ম নাই? এরা আসে কেমন করে?”

    ৪৪ ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ বলরাম-মন্দিরে ভক্তসঙ্গে

    চতুর্থ পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৫, ১২ই এপ্রিল
    কামিনী-কাঞ্চন ও তীব্র বৈরাগ্য

    “আর তোমার তো ছেলেপুলে নাই যে মন অন্যমনস্ক হবে। একজন ডেপুটি, আটশো টাকা মাইনে, কেশব সেনের বাড়িতে (নববৃন্দাবন) নাটক দেখতে গিছল। আমিও গিছলাম, আমার সঙ্গে রাখাল আরও কেউ কেউ গিছল। নাটক শুনবার জন্য আমি—যেখানে বসেছি তারা আমার পাশে বসেছে। রাখাল তখন একটু উঠে গিছল। ডেপুটি এসে ওইখানে বসল। আর তার ছোট ছেলেটিকে রাখালের জায়গায় বসালে। আমি বললুম, এখানে বসা হবে না,—আমার এমনি অবস্থা যে, কাছে যে বসবে সে যা বলবে তাই করতে হবে, তাই রাখালকে কাছে বসিয়েছিলাম। যতক্ষণ নাটক হল ডেপুটির কেবল ছেলের সঙ্গে কথা। শালা একবারও কি থিয়েটার দেখলে না! আবার শুনেছি নাকি মাগের দাস—ওঠ বললে ওঠে, বোস বললে বসে,—আবার একটা খাঁদা বানুরে ছেলের জন্য এই… তুমি ধ্যান-ট্যান তো কর?”

    মহেন্দ্র—আজ্ঞে, একটু একটু হয়।

    শ্রীরামকৃষ্ণ—যাবে এক-একবার?

    মহেন্দ্র (সহাস্যে)—আজ্ঞে, কোথায় গাঁট-টাঁট আছে আপনি জানেন,—আপনি দেখবেন।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (সহাস্যে)—আগে যেও।—তবে তো টিপে-টুপে দেখব, কোথায় কি গাঁটি আছে! যাও না কেন?

    মহেন্দ্র—কাজকর্মের ভিড়ে আসতে পারি না,—আবার কেদেটির বাড়ি মাঝে মাঝে দেখতে হয়।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (ভক্তদের দিকে অঙ্গুলিনির্দেশ করিয়া, মহেন্দ্রের প্রতি)—এদের কি বাড়ি ঘর-দোর নাই? আর কাজকর্ম নাই? এরা আসে কেমন করে?

    হরি—আজ্ঞা, না।

    শ্রীরামকৃষ্ণ—তবে কেন ভুলে গেলি?

    হরি—আজ্ঞা, অসুখ করেছিল।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (ভক্তদের)—কাহিল হয়ে গেছে,—ওর ভক্তি তো কম নয়, ভক্তির চোট দেখে কে! উৎপেতে ভক্তি। (হাস্য)

    ঠাকুর একটি ভক্তের পরিবারকে ‘হাবীর মা’ বলতেন। হাবীর মার ভাই আসিয়াছে, কলেজে পড়ে, বয়স আন্দাজ কুড়ি। তিনি ব্যাট খেলিতে যাইবেন,—গাত্রোত্থান করিলেন। ছোট ভাইও ঠাকুরের ভক্ত, সেই সঙ্গে গমন করিলেন। কিয়ৎ পরে দ্বিজ ফিরিয়া আসিলে ঠাকুর বলিলেন, “তুই গেলিনি?”

    একজন ভক্ত বলিলেন, “উনি গান শুনিবেন তাই বুঝি ফিরে এলেন।”

    আজ ব্রাহ্মভক্ত শ্রীযুক্ত ত্রৈলোক্যের গান হইবে। পল্টু আসিয়া উপস্থিত। ঠাকুর বলিতেছেন, কে রে,—পল্টু যে রে!

  • Gujarat: গুজরাট মন্ত্রিসভায় বিরাট রদবদল, বহু নতুন মুখ, মন্ত্রী হলেন ক্রিকেটার জাডেজার স্ত্রী

    Gujarat: গুজরাট মন্ত্রিসভায় বিরাট রদবদল, বহু নতুন মুখ, মন্ত্রী হলেন ক্রিকেটার জাডেজার স্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গুজরাটে (Gujarat) বিজেপি সরকারের বড়সড় প্রশাসনিক রদবদলে ২৬ জন নতুন মন্ত্রীর নাম ঘোষণা করেছে। মন্ত্রী পদে একাধিক নতুন মুখ উঠে এসেছে। যার মধ্যে বিশেষ চমক রয়েছে ভারতীয় ক্রিকেটার রবীন্দ্র জাদেজার স্ত্রী রিভাবা জাদেজা। তবে মন্ত্রীপরিষদে এই রদবদলের আগে মুখ্যমন্ত্রী ভুপেন্দ্র প্যাটেল (Bhupendra Patel) ছাড়া বাকি সমস্ত মন্ত্রীকে ইস্তফাপত্র দিতে হয়েছিল। ২০২৭ সালে গুজরাট বিধানসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব এক কৌশলগত রণনীতির প্রয়োগ করেছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ। নরেন্দ্র মোদির হাত ধরেই লাগাতার গুজরাটে একক ভাবে ক্ষমতায় রয়েছে বিজেপি। তাই আগামী নির্বাচনে বিজেপির জয়কে আরও সুনিশ্চিত করতে আড়াই বছরের মাথায় এই রদবদল বিরাট ইঙ্গিত দেবে বলে মনে করেছে রাজ্যের ওয়াকিবহাল মহল।

    ২৬ জন মন্ত্রী শপথ গ্রহণ করেছেন (Gujarat)

    বৃহস্পতিবার গুজরাট (Gujarat) বিজেপির এক প্রবীণ বিজেপি নেতা সাংবাদিক সম্মলেন করে জানিয়েছিলেন, দুপুরের মধ্যে সমস্ত মন্ত্রীরা পদত্যাগপত্র দেবেন। সেই মতোই মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করে দফতরও খালি করাও হয়েছিল। এরপর মুখ্যমন্ত্রী ভুপেন্দ্র প্যাটেল (Bhupendra Patel) রাজ্যপাল আচার্য দেবব্রতের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং নতুন মন্ত্রিসভার নাম সহ তালিকা জমা করেছিলেন। শুক্রবার আনুষ্ঠানিক ভাবে গুজরাটের নতুন উপমুখ্যমন্ত্রী হিসেবে হর্ষ সাংভি শপথ গ্রহণ করেন।

    নতুন মন্ত্রীসভায় ভুপেন্দ্রের নেতৃত্বে মোট ২৬ জন মন্ত্রী শপথ গ্রহণ করেছেন। মন্ত্রীসভায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন ত্রিকম বিজলি ছাঙ্গা, স্বরূপজি সরদারজি ঠাকোর, প্রভেণকুমার মালি, রুষিকেশ গণেশভাই প্যাটেল, পিসি বারাণ্ডা, দর্শনা এম ভাগেলা, কান্তারতালাল শিবলাল আমরুতিয়া, কুন্বরজি মোহনভাই বাভালিয়া, রিভাবা রবীন্দ্রসিনহ্ জাদেজা, অর্জুনভাই দেবাভাই মোঢ ভাডিয়া, ড. প্রদ্যুমান বাজা, কৌশিক কান্তিভাই ভেজারিয়া, পুরুষোত্তম ও. সোলাঙ্কি এবং জিতেন্দ্রভাই সাভজিভাই ভাগানি।

    এছাড়াও মন্ত্রী সভায় রয়েছেন রামনভাই ভিখাভাই সোলাঙ্কি, কামলেশভাই রমেশভাই প্যাটেল, সঞ্জয়সিনহ্ রাজয়সিনহ্ মাহিদা, রমেশভাই ভুরাভাই কাটারা, মনীষা রাজীবভাই ভাকিল, ঈশ্বরসিনহ্ ঠাকোরভাই প্যাটেল, প্রফুল পন্সেরিয়া, হর্ষ সাংঘভি (উপ-মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন), ড. জয়রামভাই চেমাভাই গামিত, নরেশভাই মাগনভাই প্যাটেল এবং কানুভাই মোহনলাল দেশাই। ১৮২ বিধানসভা আসনবিশিষ্ট গুজরাটের সর্বোচ্চ ২৭ জনকে মন্ত্রী করা যায়। আগের মন্ত্রীসভায় মোট ১৭ জন সদস্য ছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও আটজন পূর্ণমন্ত্রী এবং আটজন প্রতিমন্ত্রী ছিলেন। এইবারে সংখ্যাটা বৃদ্ধি হওয়ায় একে সম্প্রসারণই বলা যায়।

    ফের ২০২৭ সালে ক্ষমতায়নের লক্ষ্য

    নতুন মন্ত্রীদের মধ্যে জাতি ভিত্তিক অঙ্ককেও মাথায় রেখে সমীকরণ করা হয়েছে। গুজরাটের (Gujarat) নতুন মন্ত্রীসভায় আটজন সদস্য ওবিসি তালিকা ভুক্ত। যার মধ্যে ছয়জন গুজরাটের প্রভাবশালী পাটিদারগোষ্ঠীর মানুষ। চারজন আদিবাসী সম্প্রদায় ভুক্ত, তিনজন তফশিলি জনজাতি সম্প্রদায়ের মানুষ। মন্ত্রীদের মধ্যে দুজন ক্ষত্রিয় সম্প্রদায়, একজন ব্রাহ্মণ আর একজন জৈন। গুজরাট বিজেপির পর্যবেক্ষকদের অবশ্য মত নতুন মন্ত্রীসভা গঠনে দল আরও মজবুত হবে। দলের সাংগঠনিক কাজের গতি আরও বৃদ্ধি পাবে। সরকারের নানা জনমুখী প্রকল্পের বাস্তবায়ন আরও দ্রুত হবে। রাজনৈতিক, প্রশাসনিক এবং সাংগঠনিক ভাবে বিজেপির শক্তিকে ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে আরও সুদূরপ্রসারী করতেই দলের এই সিদ্ধান্ত বলে বলে মনে করেছেন বিশেজ্ঞরা।

    রাজনৈতিক ওঠা-পড়া

    গুজরাটে (Gujarat) বিজেপির সাংগঠনিক এবং প্রশাসনিক রদবদল অবশ্য নতুন কিছু নয়। আগেও একাধিকবার পট পরিবর্তন হয়েছে। ২০১৪ সালে গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি প্রধানমন্ত্রী পদে দায়িত্ব গ্রহণের পর পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন আনন্দীবেন প্যাটেল। তিনি অবশ্য পরবর্তী সময়ে উত্তর প্রদেশের রাজ্যপাল হিসেবে নিযুক্ত হন। কিন্তু ২০১৬ সালের অগাস্ট মাসেই কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের নির্দেশে পদত্যাগপত্র দিলে পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রীর পদে বসেন বিজয় রুপাণী। বিজয়ের নেতৃত্বে সেই বছর বিধানসভা নির্বাচন লড়ে বিজেপি। কিন্তু বিজয়কে ২০২১ সালে দলের নির্দেশে নির্বাচনের আগেই মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়াতে হয়। পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হন ভুপেন্দ্র প্যাটেল (Bhupendra Patel) এবং তাঁর নেতৃত্বে ২০২২ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি ক্ষমতায় আসে। ২০২৭ সালের গুজরাট নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে বিজেপির এই রণকৌশল আরও সাফল্য অর্জন করবে বলে আত্মবিশ্বাসী বিজেপির কর্মী সমর্থকরা।

  • Suvendu Adhikari: এসএইআর করতে না দিলে বাংলায় হবে রাষ্ট্রপতি শাসন”, মমতাকে আক্রমণ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: এসএইআর করতে না দিলে বাংলায় হবে রাষ্ট্রপতি শাসন”, মমতাকে আক্রমণ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “এসএইআর করতে না দিলে বাংলায় হবে রাষ্ট্রপতি শাসন”, মমতা সরকারের (Mamata Banerjee) বিরুদ্ধে ঠিক এইভাবেই আক্রমণ করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। নাগরাকাটায় বন্যাবিধস্থ এলাকায় ত্রাণ পরিষেবা দিতে গিয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে আবারও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। উল্লেখ্য নাগরাকাটায় বন্যাকবলিত মানুষকে ত্রাণ দিতে গিয়ে মালদা উত্তরের বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু এবং শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ তৃণমূল দুষ্কৃতীদের দ্বারা মারত্মাক ভাবে আক্রান্ত হয়েছিলেন। এরপর থেকেই বিরোধী জনপ্রতিনিধিদের ওপর আক্রমণের ঘটনায় রাজ্য রাজনীতি উত্তাল হয়ে ওঠে।

    বাংলাদেশি-রোহিঙ্গা এবং ভূতুড়ে ভোটার বাদ (Suvendu Adhikari)

    নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী নাগরাকাটায় গিয়ে বলেন, “বাংলায় এসএইআর করতে না দিলে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হবে। নিবিড় সংশোধন হলে তালিকা থেকে বাংলাদেশি-রোহিঙ্গা এবং ভূতুড়ে ভোটারদের নাম বাদ যাবে। তবে এক্ষেত্রে ভারতীয় মুসলমানদের নাম বাদ যাবে না। ছাব্বিশে বিজেপি ক্ষামতায় এসে সরকার গড়বে, তারপর বদলাও হবে এবং বদলও হবে।” এদিন এলাকায় ধিক্কার মিছিল করে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) হুঁশিয়ারি দিয়ে শুভেন্দু আরও বলেন, “২৬ সালে হলেই সুদে আসলে বদলা হবে। কালী পুজোর পরই বামনডাঙায় অভিযান হবে। সবে তো ট্রেলার দেখিয়েছি, এরপর সিনেমা দেখাব।”

    সময় শেষ হওয়ার আগেই মমতা সরকারের পতন?

    ভোটার তালিকায় সংশোধন নিয়ে নির্বাচন কমিশন এবং মমতা সরকারের নানা স্তরের সংঘাত নজরে এসেছে। এসআইআর নিয়ে খোদ মমতা (Mamata Banerjee) একাধিকবার সোচ্চার হয়েছেন। গত সপ্তাহে পশ্চিমবঙ্গে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের একাধিক আধিকারিকরা বৈঠক করে সবরকম প্রস্তুতি করে গিয়েছেন। কালীপুজোর পর থেকেই রাজ্যে এসআইআর কাজ শুরু হওয়ার কথা। কিন্তু যদি রাজ্য সরকার নির্বাচন কমিশনের কাজে বাঁধা প্রধান করে তাহলে সেই ক্ষেত্রে রাজ্যে সাংবিধানিক সঙ্কট তৈরি হতে পারে। আর তা যদি আরও প্রকটরূপ ধারণ করে তাহলে সে ক্ষেত্রে রাষ্ট্রপতি শাসন জারিও হয়ে যেতে পারে। ফলে নির্ধারিত সময় শেষ হওয়ার আগেই মমতা সরকারের পতন হয় কিনা তাই এখন দেখার।

  • AI Curriculum: ২০২৬-২৭ শিক্ষাবর্ষ থেকেই তৃতীয় শ্রেণির স্কুল পাঠ্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের

    AI Curriculum: ২০২৬-২৭ শিক্ষাবর্ষ থেকেই তৃতীয় শ্রেণির স্কুল পাঠ্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২৬-২৭ সালের শিক্ষাবর্ষে তৃতীয় শ্রেণির স্কুল পাঠ্যক্রমে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI Curriculum) বা এআই চালু করবে কেন্দ্রীয় সরকার। তবে ২০২০ সালের জাতীয় শিক্ষা নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই এই পাঠ্যক্রম চালু করা হবে। ইতিমধ্যে সিবিএসই এক কোটির বেশি শিক্ষককে প্রশিক্ষণ দিয়ে স্কুলের কাঠামো নির্মাণের ভাবনাচিন্তাকে সম্প্রসারিত করার লক্ষ্য মাত্রা স্থির করেছে। পরিচালনা ব্যবস্থা এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় সাক্ষরতা প্রদান বিষয় বর্তমান প্রজন্মের কাছে কতটা প্রয়োজনীয় সেই দিকগুলিকেই সামনে রেখে বিস্তৃত ভাবে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রক (School Education)।

    ১ কোটি শিক্ষককে বিশেষ প্রশিক্ষণ (AI Curriculum)

    ২০৪৭ সালের মধ্যে ভারতকে বিকশত ভারত হতে গেলে সমস্ত প্রযুক্তি এবং টেকনোলজিকে নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। বর্তমান সময়ে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI Curriculum) একটি উল্লেখযোগ্য প্রযুক্তি। এআই ছাড়া কোনও ভাবেই নতুন প্রজন্মকে প্রযুক্তির শিক্ষা দেওয়া সম্ভব নয়। তাই ভবিষ্যতের কথা ভেবে ভারতকে বর্তমানে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার শিক্ষা দিতেই হবে। কেন্দ্রীয় স্কুল সচিব সঞ্জয় কুমার বলেন, “কেন্দ্রীয় মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড বিভিন্ন শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মধ্যে এআই সম্পর্কে পড়াশুনার একটি পরিমণ্ডল তৈরি করতে চলেছে। দেশের মোট ১ কোটি শিক্ষককে এই সম্পর্কে বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং তাকে কীভাবে জানা যাবে, শিক্ষার জন্য কোন কোন দক্ষতা থাকবে ইত্যাদি, সমস্ত বিষয়ের জন্য বিশেষ পরিকল্পনা করা হয়েছে। দেশের বেশিরভাগ শিক্ষক এবং ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে এই প্রযুক্তির শিক্ষাকে দ্রুত ছড়িয়ে দিতে এই পরিকল্পনা করা হয়েছে। আমাদের পদক্ষেপ এমন থাকবে শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীরা (School Education) যেন আগামী ২-৩ বছরের মধ্যেই এই প্রযুক্তির সঙ্গে নিজেরা সামাঞ্জ্যপূর্ণ জ্ঞান অর্জন করতে পারেন।”

    ১৮০০০০- এর বেশি সিবিএসই স্কুলে পাঠ

    কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (AI Curriculum) জন্য আগে প্রয়োজন উপযুক্ত শিক্ষকের। শিক্ষকদের সঠিক পাঠ দিতে ইতিমধ্যেই ‘পাইলট প্রোজেক্ট’-এর কথা ভাবা হয়েছে। এই পর্যায় সম্পর্কে বলা হয়েছে, এই ব্যবস্থার মাধ্যমে শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীদের ডিজিটাল অর্থনীতির জন্য প্রস্তুত করতে হবে। ১.৮ লক্ষের বেশি সিবিএসই স্কুলে ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে ১৫ ঘণ্টার বিশেষ মডিউল ঠিক করা হয়েছে। একই ভাবে আবার নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত এআইকে ঐচ্ছিক বিষয় করে রাখা হয়েছে। ২০১৯ সাল থেকে ইন্টেল, আইবিএম এবং ন্যাশনাল ইনস্টিউট অফ ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড ইনফরমেশন টেকনোলজি এর সহায়তায় ১০ হাজারের বেশি শিক্ষককে প্রশিক্ষণের কাজ ইতিমধ্যে শেষ করেছেন। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা মডিউলে শিক্ষার্থী ভর্তির হার তীব্রভাবে বৃদ্ধি পেয়ছে। নবম-দশম শ্রেণিতে ৭.৯ লক্ষ এবং একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির ৫০ হাজারের বেশি শিক্ষার্থীরা এআইকে বেছে নিয়েছে। তবে শিক্ষাবিদদের মতে ক্রমবর্ধমান প্রযুক্তি নির্ভর শিক্ষায় মৌলিক সাক্ষরতা (School Education) বিষয়েও এআই দারুণ ভাবে কার্যকর হবে।

    ৮ মিলিয়ন কর্মসংস্থান বৃদ্ধি

    এই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (AI Curriculum) নীতিটি জাতীয় শিক্ষা নীতি ২০২০-এর সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। সকল স্কুল পাঠ্যক্রমের মধ্যে এআই এবং ইন্টারনেট অফ থিংস (আইওটি) এর মতো উদীয়মান প্রযুক্তিগুলিকে একীভূত করার ভাবনাকে একই সংযোজন করে রাখা হয়েছে। শুধু পড়াশুনাই নয় এআই অপর দিকে চাকরি বা ব্যবহারিক প্রয়োগের উপর নির্ভর করে পাঠ্যক্রম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। কেন্দ্রের নীতি আয়োগের একটি প্রতিবেদন প্রকাশের মাধ্যমে দক্ষতা বৃদ্ধি এবং জরুরি প্রয়োজনীয়তাকে তুলে ধরে এআইকে তুলে ধরা হয়েছে। নীতি আয়োগের সিইও বিভিআর সুব্রহ্মণ্যম সতর্ক করে বলেছেন, “কৌশলগত ভাবে প্রযুক্তির সম্প্রসারণকে অগ্রাধিকার না দেওয়া হলে ভারতের ৭.৫ মিলিয়ন আইটি কর্মী ২০৩০ সালের মধ্যে ৬ মিলিয়নে নেমে আসবে। এআই কাজ, কর্মী এবং কর্মক্ষেত্রে বিরাট পরিবর্তন করে দিয়েছে। প্রায় দুই মিলিয়ন প্রথাগত বা ঐতিহ্যবাহী কাজের পরি সমাপ্তি ঘটতে পারে। সেই সঙ্গে হতে পারে কর্মেরচ্যুতিও। তবে আমরা যদি সঠিক ভাবে পরিকাঠামো গড়তে পারি তাহলে ৮ মিলিয়ন নতুন কর্ম ক্ষমতাকে বৃদ্ধি ঘটাতে পারি।

    কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কেবল ঐচ্ছিক বিষয় হিসেবেই থাকবে না। মৌলিক পাঠেও এই এআইকে রাখা হবে। আজকের সময়ে দাঁড়িয়ে এখনই যদি শিক্ষা বা জ্ঞান অর্জন না করা যায় তাহলে ২০৩৫ সালের মধ্যে যে সব পড়ুয়ারা স্নাতক হবেন তাঁদের জন্য সবথেকে বেশি অসুবিধা হবে। তাই সময় এবং যুগের চাহিদাকে মাথায় রেখে প্রযুক্তি এবং কৌশলকে বিশেষ ভাবে গুরুত্ব দেওয়া একান্ত আবশ্যক বলে মনে করে কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রক (School Education)।

LinkedIn
Share