Author: suman-das

  • Children’s Disease:  সন্তান পেটের অসুখে কাবু? শীতের মরশুমে কেন বাড়ছে এই ভোগান্তি?

    Children’s Disease: সন্তান পেটের অসুখে কাবু? শীতের মরশুমে কেন বাড়ছে এই ভোগান্তি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শীতের মরশুমে (Winter Season) দাপট বাড়াচ্ছে পেটের অসুখ! বিশেষত শিশুরা পেটের অসুখে (Children’s Disease) বেশি কাবু হচ্ছে। শিশুরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, চলতি মরশুমে শিশুদের পেটের অসুখ বাড়ছে। সঙ্গে হচ্ছে জ্বর। আর এই ভোগান্তি বেশ দীর্ঘমেয়াদি। ফলে, একাধিক সমস্যা দেখা দিচ্ছে। আর তাই প্রয়োজন বাড়তি সতর্কতা এবং ডাক্তারদের পরামর্শ।

    কেন শিশুদের পেটের অসুখ বাড়ছে?

    শিশুরোগ (Children’s Disease) বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, শীতের এই মরশুমে (Winter Season) পেটের অসুখ বাড়ছে! তার কারণ আবহাওয়া এবং খাবার। তাঁরা জানাচ্ছেন, এই আবহাওয়ায় শরীরের ভিতর গরম হওয়ার প্রবণতা তৈরি হয়। বাইরের পরিবেশের তাপমাত্রা কমে যায়। তাই শরীর নিজস্ব ভাবে তাপমাত্রা তৈরি করে, যাতে এই আবহাওয়ায় মানিয়ে নিতে পারে। তার সঙ্গে শীতের মরশুমে নানান উৎসব থাকে। চলে নানান রকমের খাবার খাওয়া। আর এই দুইয়ের জেরেই বাড়ছে পেটের অসুখ। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, শরীর গরম থাকার কারণে অনেক সময়েই হজমের গোলমাল হয়। তার জেরেই পেটের অসুখ হতে পারে। আবার শীতে অনেকেই অতিরিক্ত প্রাণীজ প্রোটিন খায়। বাড়ির ছোটদেরও দেওয়া হয় ওই খাবার। আর প্রাণীজ প্রোটিন‌ সহজপাচ্য হয় না। তাই পেটের সমস্যাও হতে পারে।

    কীভাবে সন্তানকে সুস্থ রাখবেন?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, খাবারের দিকে বাড়তি নজরদারি জরুরি। তাঁদের পরামর্শ, অতিরিক্ত তেলমশলা জাতীয় খাবার নিয়মিত খাওয়া যাবে না।‌ বিশেষত শিশুদের রাতের দিকে অতিরিক্ত মশলা জাতীয় প্রাণীজ প্রোটিন দেওয়া যাবে না। তাতে হজমের গোলমাল হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। মাছ, মাংস কিংবা ডিম জাতীয় খাবারের সঙ্গে পর্যাপ্ত সবজি থাকা জরুরি। এতে হজম ভালো‌ হয়, অন্ত্র সুস্থ থাকে। ফলে পেটের অসুখের ঝুঁকি কমে। নিয়মিত স্নান জরুরি। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, শীতের আবহাওয়ায় (Winter Season) শরীর প্রাকৃতিক ভাবেই গরম থাকে। তাই পেটের গোলমাল এড়াতে নিয়মিত স্নান জরুরি। নিয়মিত স্নান করলে শরীর সুস্থ থাকবে। অসুখের ঝুঁকিও কমবে।

    নিয়মিত ৩-৪ লিটার জল খাওয়া দরকার

    খাবারের জলের দিকে বাড়তি নজরদারি দরকার। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, শিশুদের পেটের অসুখের ঝুঁকি কমাতে নিয়মিত পরিশ্রুত জল নিশ্চিত করতে হবে। পাশপাশি পর্যাপ্ত পরিমাণ জল শিশু খাচ্ছে কিনা সেটাও নজরদারি জরুরি‌। কারণ, শরীরে জলের ঘাটতি হলে অন্ত্র এবং পাকস্থলীর নানান অসুখের ঝুঁকি বাড়ে। শীতকালে (Winter Season) আরও বেশি পেটের সমস্যা দেখা যায়। নিয়মিত ৩-৪ লিটার জল খাওয়া দরকার। তাছাড়া, হাত পরিষ্কার করার দিকেও‌ নজর দিতে হবে। খাওয়ার আগে এবং পরে, বাইরে থেকে এসে হাত পরিষ্কার করা হচ্ছে কিনা সেদিকে নজরদারি জরুরি। কারণ, হাত থেকেই নানান ব্যাক্টেরিয়া শরীরে পৌঁছয়, যার থেকে একাধিক অসুখের ঝুঁকি বেড়ে যায়।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Arvind Kejriwal: “দিল্লি বিশ্ব বিখ্যাত ডুবের জন্য অপেক্ষা করছে”, যমুনার স্বচ্ছতা প্রসঙ্গে কেজরিকে নিশানা শাহের

    Arvind Kejriwal: “দিল্লি বিশ্ব বিখ্যাত ডুবের জন্য অপেক্ষা করছে”, যমুনার স্বচ্ছতা প্রসঙ্গে কেজরিকে নিশানা শাহের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “দিল্লি (Delhi) বিশ্ব বিখ্যাত ডুবের জন্য অপেক্ষা করছে”। যমুনা নদীর দূষণকে কেন্দ্র করে অরবিন্দ কেজরিওয়াল (Arvind Kejriwal) সরকারকে এই ভাষায়ই আক্রমণ করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে গিয়ে তিনি আপ সরকারকে কাঠগড়ায় তোলেন। খুব স্পষ্টভাবে এই প্রবীণ বিজেপি নেতা অভিযোগ করেন, গত ১০ বছরে ক্ষমতায় আসার পরে দিল্লির সরকার যমুনা দূষণ নিয়ে কোনও উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। বিজেপির দাবি, ভারতে নদীকে মাতৃসম বলে মনে করা হয়। অথচ যমুনার জলকে স্বচ্ছ এবং পরিষ্কার করার প্রতিশ্রুতি পালন করতে ব্যর্থ হয়েছে আপ সরকার।

    আপের শাসনে দিল্লির যমুনা নদী এখন ‘নোংরা ড্রেন’ (Delhi)

    বিজেপি নেতা অমিত শাহ নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে আপ নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে (Arvind Kejriwal) নিশানা করে বলেন, “প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল নিজে কথা দিয়েছিলেন যে ৭ বছরে যমুনা নদীকে স্বচ্ছ এবং পরিষ্কার করবেন। এই যমুনা (Delhi) নদী হবে লন্ডনের টেমস্ নদীর মতো।” একই ভাবে দিল্লিবাসীকে তিনি বলেন, “এই যমুনায়ও ডুব দেবেন। তাই মানুষ অধীর অপেক্ষায় রয়েছেন কবে সেই বিশ্ব বিখ্যাত ডুব দেবেন। তবে যমুনায় যদি যেতে না পারেন তাহলে মহাকুম্ভে যেতে পারেন, তাঁর এই পাপ থেকে মুক্তি পেতে ডুব দিতে পারেন ওখানে।”
    উল্লেখ্য, আগে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ সংবাদ মাধ্যম এবং একাধিক প্রচার সভায় বলেছিলেন, “আপের শাসনে দিল্লির যমুনা নদী এখন ‘নোংরা ড্রেনে’ পরিণত হয়েছে। এই নদী কার্যত কেজরিওয়ালের পাপ স্বরূপ। আমি আমার রাজ্যের মন্ত্রীদের নিয়ে ত্রিবেণী সঙ্গমে ডুব দিয়েছি। দিল্লির যমুনা নদীতে কেজরিওয়ালজিকে তাঁর রাজ্যের মন্ত্রীদের নিয়ে স্নান করার সাহস দেখাতে বলব।”

     

    “আমি ব্যর্থ হয়েছি, আমায় ভোট দেবেন না”

    এদিন দিল্লি বিধানসভার (Delhi) বিজেপি প্রার্থী পারভেশ শর্মাও আপকে তীব্র আক্রমণ করেছেন। তিনি প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে (Arvind Kejriwal) আক্রমণ করে তাঁর নামাঙ্কিত কাটআউট নদীতে ভাসিয়ে দেন। তাতে লেখা, আমি ব্যর্থ হয়েছি, আমায় ভোট দেবেন না। শর্মা বলেন, “বিজেপি ক্ষমতায় এলে যমুনা নদীর জল সম্পূর্ণ স্বচ্ছ করা হবে। এই কাজে কোনও রকেট সায়েন্স লাগবে না। মেশিনের মাধ্যমে সমস্ত পলি অপসারণ করা উচিত। স্যুয়ারেজ ট্রিটমেণ্ট প্ল্যান্ট তৈরি করা উচিত। ঠিক যেমনটা আমাদের প্রধানমন্ত্রী সবরমতী নদীর ওপর কাজ করেছিলেন। একই ভাবে যমুনা রিভারেণ্ট তৈরি করা যেতে পারে।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Attorney Karan Joshi: নতুন দিল্লি থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসী অ্যাটর্নি করণ জোশী, সাফল্যের চাবিকাঠি কী জানেন?

    Attorney Karan Joshi: নতুন দিল্লি থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসী অ্যাটর্নি করণ জোশী, সাফল্যের চাবিকাঠি কী জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অ্যাটর্নি করণ জোশী (Attorney Karan joshi) হলেন ভারতের নতুন দিল্লির (New Delhi) একজন সফল অভিবাসী। জীবনের চরম সাফল্যের পথ কতটা মসৃণ ছিল জানেন? তাঁর সাফল্য এখন লক্ষ লক্ষ মানুষের জীবনের অনুপ্রেরণা। তাঁর অধ্যাবসায়, উচ্চাকাঙ্খা এবং কঠোর পরিশ্রম দারুণ ভাবে প্রভাবিত করছে ভারতীয়দের। নিজের দেশ থেকে মার্কিন মুলুকে গিয়ে সেখানকার নানা কঠিন প্রতিবন্ধকতার সঙ্গে সংঘর্ষ করে আজ নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। তাই বর্তমানে সফলতার আর এক নাম অ্যাটর্নি করণ জোশী। বর্তমানে তিনি অরেঞ্জ ল-ইউএসএ-এর প্রতিষ্ঠাতা এবং সিইও। এনআরআই ভারতীয় নাগরিক এবং মার্কিন অভিবাসন ব্যবস্থার মধ্যে ব্যবধান দূর করার কাজকে বিশেষভাবে পর্যবেক্ষণ করেন তিনি। এই যুবক এখন ভারতীয় সমাজের কাছে আইডিয়াল। দেশের গণ্ডি পার করে কীভাবে বিদেশের মাটিতে গিয়ে ভারতীয় সংস্কৃতিকে তুলে ধরতে হয়, সেই পথ দেখালেন তিনি। তিনি এখন সংবাদ মাধ্যমে বহুল চর্চিত এক ব্যক্তিত্ব।

    প্রথম জীবন (Attorney Karan joshi)

    করণ জোশী শৈশবে পড়াশোনা করেছেন নতুন দিল্লির (New Delhi) বারাখাম্বা রোডের মর্ডান স্কুলে। তাঁর পরিবার ছিল উচ্চ-মধ্যবিত্ত। তাঁর আশপাশের লোকজনের গতানুগতিক কেরিয়ার গঠনের বাইরে খুব একটা নজর ছিল না। তাই স্কুল জীবন শেষ করে অভিবাসী জীবনের দিকে যাত্রা শুরু করেছিলেন তিনি। একদিকে ভিন্ন দেশে ভাষার প্রতিবন্ধকতা, সাংস্কৃতিক পার্থক্য এবং সম্পূর্ণ একটি নতুন দেশে সবদিক থেকে মানিয়ে নেওয়া খুব কষ্টসাধ্য ছিল। সেখানে পড়াশোনার পাশাপাশি পার্ট টাইমে চাকরিও করতে শুরু করেছিলেন। এরপর ধীরে ধীরে পরিবর্তনশীল পরিবেশে নিজেকে মানিয়ে নেন। একদিকে নতুন সংস্কৃতিকে গ্রহণ এবং নিজের পুরাতন সংস্কৃতিকে নিজের মধ্যে বাঁচিয়ে রাখা তাও খুব কঠিন কাজ ছিল। তবুও নিজের লক্ষ্যে অবিচল ছিলেন তিনি।

    আইনি জগতে বিশেষ স্বীকৃতি

    করণ জোশী (Attorney Karan joshi) তাঁর আইনি শিক্ষা শেষ করে চাকিরি জীবনে প্রবেশ করেন। প্রথমে ছোট একটি আইনি সহযোগিতার সংস্থায় কাজ করতেন। এরপর সমস্যা এবং সমস্যা সমাধানের জন্য নানা অভিজ্ঞতা অর্জন করেন। পরে কারিগরি এবং স্টার্টআপ জগতে কাজের দক্ষতা অর্জন করেন। ধীরে ধীরে ওই দেশের একাধিক শীর্ষ কোম্পানিতে নিজের দক্ষতায় আইন বিশেষজ্ঞরূপে কাজ করার সুযোগ পেয়েছিলেন। পরবর্তী সময়ে করণ হিউস্টন, টেক্সাস, অরেঞ্জ ল-এর বাইরে ক্রমবর্ধমান আইন সংস্থার মালিক এবং পরিচালনার কাজও করেছেন। আইন জাগতে একজন সফল ব্যক্তি হয়েও সব সময় নিজের জীবনের অভিজ্ঞতার কথা শোনাতেন নবীন প্রজন্মের ছেলে-মেয়েদের। উৎসাহও দিতেন। নানা রকমের ইভেন্ট এবং সেমিনারে অংশগ্রহণ করে কীভাবে ভালো কেরিয়ার গড়া যায় সেই দিকে পথনির্দেশিকা দিয়ে থাকেন তিনি। সব সময় ঝুঁকি নেওয়া এবং আত্মবিশ্বাসের কথা বলে অনুপ্রেরণা দেওয়ার কাজও করেন তিনি।

    বর্তমান প্রজন্মের কাছে আদর্শ

    করণ জোশী (Attorney Karan joshi) মনে প্রাণে বিশ্বাস রাখতেন যে ভারতীয়রা (New Delhi) পৃথিবীর যে কোনও প্রান্তে গিয়ে নিজের প্রতিভা, শ্রম, নিষ্ঠা এবং প্রতিশ্রুতি দিয়ে কাজ করতে পিছপা হয় না। তাঁরা সব রকমের স্বপ্ন পূরণ করতে সব কাজ করতে জান লড়িয়ে দেন। করণ নিজেও একজন অভিবাসী হয়ে সবরকম ভাবে নিজেকে আজ প্রতিষ্ঠিত করেছেন। তিনি বর্তমান প্রজন্মের কাছে আদর্শ। দেশের বাইরে আজ ভারতীয়রা নানা ভাবে নেতৃত্ব দানের কাজের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছেন। তার এক উজ্জ্বল উদাহরণ হলেন করণ। শুধু আমেরিকায়ই নয়, আজ ইংল্যান্ড, জার্মানি, ফ্রান্স, অস্ট্রেলিয়া, রাশিয়া, কানাডা, জাপান এবং মধ্য প্রাচ্যেও ভারতীয়দের ব্যবসা, শিল্প, কারিগরি, প্রযুক্তি, বিনিয়োগে ভারতীয় বা ভারতীয় বংশোদ্ভূতরাই নেতৃত্ব দিতে শুরু করেছেন। ফলে অভিজ্ঞমহলের মত ২০৩০ সালের মধ্যে গোটা বিশ্বে ভারতের ভাবমূর্তি আরও উজ্জ্বল হবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Amit Shah: “১০ বছরে দেশের জাতীয় রাজধানী দিল্লিকে ধ্বংস করেছেন কেজরিওয়াল”, তোপ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের

    Amit Shah: “১০ বছরে দেশের জাতীয় রাজধানী দিল্লিকে ধ্বংস করেছেন কেজরিওয়াল”, তোপ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাতে গোনা আর মাত্র কয়েকদিন বাকি দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনের। ইতিমধ্যে রাজনৈতিক দলের প্রচার অভিযান ব্যাপকভাবে জমে উঠছে। এদিন প্রবীণ বিজেপি নেতা তথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) আপ প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন। তিনি বলেন, “কেজরিওয়াল (Arvind kejriwal) ১০ বছরে দিল্লিকে সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করেছেন, তিনি একজন মিথ্যাবাদী।”

    প্রতারণা করেছেন কেজরিওয়াল (Amit Shah)

    দিল্লি বিধানসভার মোট আসন ৭০। আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন, ফল ঘোষণা ৮ ফেব্রুয়ারি। শনিবার বিজেপির নির্বাচনী ইস্তেহার প্রকাশ অনুষ্ঠানে অংশ গ্রহণ করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। রাজৌরি গার্ডেনে বিজেপি প্রার্থী মনজিন্দর সিং সিরসার সমর্থনে বিশেষ সমাবেশও করেন। গত ১০ বছরে আপ সরকারের বিভিন্ন কর্মকাণ্ড নিয়ে তীব্র সমালোচনা করেন শাহ। বলেন, “গত ১০ বছর ধরে কেজরিওয়ালজির (Arvind kejriwal) আপ সরকার দিল্লিতে অপশাসন করেছে শুধু। একইভাবে, বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের নামে আর্থিক দুর্নীতি এবং মিথ্যাচার করে গিয়েছে। দেশের জাতীয় রাজধানীকে ধ্বংস করেছে। আপ সরকার শহরকে সম্পূর্ণ ভাবে জগাখিচুড়িতে পরিণত করেছে। জনগণকে দেওয়া সকল প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করেছে। সাধারণ মানুষের বিশ্বাসের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন অরবিন্দজি।”

    ৫৪০০ কোটি টাকার রেশন কার্ড, ৪৫০০ টাকার বাস কেলেঙ্কারি

    বিজেপির প্রবীণ নেতা অমিত শাহ দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে নিশানা করে বলেন, “আপ (Arvind kejriwal) সরকার সংযোগের নামে মানুষকে ভাঙা রাস্তা দিয়েছে কেবলমাত্র। মহ্ললা ক্লিনিকের নামে তারা মেডিক্যাল টেস্টে প্রতারণা করেছে। বর্ষার জমা জলে দিল্লি বার বার প্লাবিত হয়। নিকাশি ব্যবস্থার জন্য কোনও কাজ করেনি। সরকারি স্কুলের পরিকাঠামোর জন্য কোনও উন্নয়নের কাজ করেনি। এই এলাকার গুরুদ্বার, মন্দির এবং স্কুল ময়দানের কাছে মদের দোকান খোলা হয়েছে। টাকার বিনিময়ে অবৈধ আবগারি নীতিকে বাস্তবায়ন করেছে। নিজের পরিচিত মদ ব্যবসায়ীদের বেছে বেছে মোটা টাকার বিনিময়ে লাইসেন্স দিয়েছে। আপ দল এবং দলের নেতা-কর্মীরা ৫৪০০ কোটি টাকার রেশন কার্ড, ৪৫০০ টাকার বাস কেলেঙ্কারি, ৫৭১ কোটি টাকার সিসিটিভি কেলেঙ্কারি, ৫২ কোটির শিশমহল নির্মাণের কেলেঙ্কারির অভিযোগ উঠেছে। কিন্তু আমরা দিল্লির জনতাকে আশ্বাস দিচ্ছি বিজেপি ক্ষমতায় এলে এই কুশাসনের জায়গায় সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হবে। জনকল্যাণমূলক কোনও প্রকল্পের কাজ বন্ধ হবে না। প্রধানমন্ত্রী মোদিজির উন্নয়নের ধারায় দিল্লিবাসীর জন্য কাজ করব আমরা।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sambhal: সম্ভলের বিতর্কিত মসজিদ এলাকা থেকে উদ্ধার রাম-সীতা-লক্ষ্মণের ছবিসহ স্বর্ণমুদ্রা

    Sambhal: সম্ভলের বিতর্কিত মসজিদ এলাকা থেকে উদ্ধার রাম-সীতা-লক্ষ্মণের ছবিসহ স্বর্ণমুদ্রা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তরপ্রদেশের সম্ভলে (Sambhal) যে প্রাচীন মুদ্রা আবিষ্কার করেছে ভারতীয় পুরাতাত্ত্বিক দফতর, তার মধ্যে আনুমানিক ৪০০ বছরের পুরনো রাম, সীতা এবং লক্ষ্মণের চিত্রযুক্ত মুদ্রা (Ram-Sita-Lakshman Coins) রয়েছে। উল্লেখ্য, এই খনন কার্য চালানো হয়েছিল খুর্দ এবং শাহী জামা মসজিদের কাছে একটি এলাকায়। ইতিমধ্যে বিতর্কিত মসজিদ কাঠামোটিকে ঘিরে হিন্দু পক্ষের দাবি হল এই মসজিদ আদতে হরিহর বা ভগবান বিষ্ণুর মন্দির। মুসলমান শাসকের আমলে মন্দির ভেঙে তার স্থাপত্যের মধ্যেই মসজিদ নির্মাণ করা হয়েছিল। ইতিমধ্যে গত ২৪ নভেম্বর বিতর্কিত স্থানে এএসআই সমীক্ষা করতে গেলে কট্টরপন্থী মুসলমানরা সরকারি কর্মীদের উপর পাথর-ইট, লাঠি, অগ্নিসংযোগ এবং গুলিও চালায়। পরে পুলিশের সঙ্গে দুষ্কৃতীদের সংঘর্ষে চার জনের মৃত্যু পর্যন্ত হয়। এলাকায় রীতিমতো আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি করে মৌলবাদীরা। এবার এই স্থানে আবিষ্কৃত মুদ্রা থেকে হিন্দু পক্ষের দাবি আরও জোরালো হবে বলে মনে করছেন অভিজ্ঞ মহল।

     

    হিন্দু সংস্কৃতির পরিচয় বাহী মুদ্রা উদ্ধার (Sambhal)

    সম্ভলের (Sambhal) এই বিতর্কিত মসজিদ কাঠামোর স্থানকে সুরক্ষিত করে খনন কার্য চালানো হয়েছিল। এসডিএম বন্দনা মিশ্র, এএসআই দলের সঙ্গে স্বয়ং এই গ্রামকে পরিদর্শন করেন। যখন খননের কাজ করা হচ্ছিল সেই সময় বেশকিছু অস্বভাবিক শব্দ শোনা গিয়েছিল। আচমকা গর্তের মধ্যে একটি বড় পাত্র পাওয়া যায়। এরপর সেখানে বেশকিছু প্রাচীন মুদ্রা উদ্ধার হয়। এই মুদ্রাগুলি ছিল স্বর্ণমুদ্রা, যার মধ্যে বেশ কিছু ছিল ব্রিটিশ আমলের এবং বাকিগুলি ছিল আরও পুরনো। বিশেষজ্ঞদের মধ্যে এই মুদ্রাগুলি (Ram-Sita-Lakshman Coins) আনুমানিক ৩০০-৪০০ বছরের পুরনো। এই প্রাচীন এবং অতি প্রাচীন মুদ্রাগুলি এলাকার ঐতিহাসিক স্মৃতিচিহ্নের বাহক। গবেষকরা মুদ্রাগুলিকে এখন নিজেদের গবেষণাগারে নিয়ে গিয়ে পরীক্ষা করে দেখছেন এবং তাতে লুকিয়ে থাকা আরও তথ্য সংগ্রহ করার চেষ্টা চালাচ্ছেন। অনেকে মনে করছেন গুরু অমরপতি যুগের সময়কেও নির্দেশ করছে এই সামগ্রীগুলি। বিশেষজ্ঞদের মতে, মুদায় খোদাই করা রাম, সীতা এবং লক্ষণের ছবি হিন্দু ধর্ম-সংস্কৃতিকেই প্রকাশ করছে। অবশ্য এলাকাকে এএসআই ১৯২০ সাল থেকে সংরক্ষণ করছে বলে জানিয়েছে প্রশাসন।

     

    ধর্মীয় সাংস্কৃতিক পীঠস্থান ছিল কিনা? তাই এখন প্রশ্ন

    এএসআই সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্ভলে (Sambhal) উদ্ধার হওয়া পাত্র এবং স্বর্ণমুদ্রা এখানকার স্থানীয় প্রাচীন ইতিহাসকেই চিহ্নিত করে। এলাকায় ঐতিহাসিক ভাবে কোনও বাণিজ্য কেন্দ্র ছিল কি না? ধর্মীয় সাংস্কৃতিক পীঠস্থান ছিল কি না? তাছাড়া অর্থনীতির আদান-প্রদানে হিন্দু সংস্কৃতির একটা প্রত্যক্ষ যোগ সহ-ইত্যাদি বিষয়গুলির ইঙ্গিত পাওয়ার ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। একইভাবে, শাহী জামে মসজিদের কাছেই গত ২২ জানুয়ারি খনন কার্য চালিয়ে একটি কূপ উদ্ধার করেছে প্রশাসন। বিশেজ্ঞরা বলছেন,  এলাকার প্রাচীন ১৯টি কূপের মধ্যে একটি হল এই কূপ। এই কূপ ছিল ধর্মীয় স্থান। এখানে জন্ম, মৃত্যু, বিবাহের নানা হিন্দু রীতিনীতি (Ram-Sita-Lakshman Coins) কেন্দ্রিক অনুষ্ঠান পালন করা হত। তবে কূপের বাইরের চিত্র দেখেই মনে হচ্ছে দীর্ঘদিন ধরে জরাজীর্ণ হয়ে পড়ে ছিল। কূপের সঙ্গে যে একটা ধর্মীয় ইতিহাসের চেতনা লুকিয়ে রয়েছে, তা আবিষ্কার না হলে সত্যটা আড়ালেই থেকে যেত। গত নভেম্বর মাসে এই মসজিদের প্রায় ৫০ মিটার দূরে একটি এলাকায় খননকার্য চালাতে গিয়ে পুলিশ, নিরাপত্তা কর্মীদের সঙ্গে এলাকার কট্টর মুসলমানদের বিরাট সংঘর্ষ হয়।

     

    ভাবী প্রজন্মকে ইতিহাসের সত্যকে দেখানো দরকার

    স্থানীয় বাসিন্দা সঞ্জয় কুমার বলেন, “এই কূপটি হরিহর (Sambhal) মন্দিরের কাছে অবস্থিত। এই কূপের কাছে হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষজন পুজো, পার্বণ এবং নানা ঐতিহ্যের রীতিনীতি (Ram-Sita-Lakshman Coins) পালন করতেন। ভগবানকে প্রার্থনা জানানোর একটা অন্যতম স্থল ছিল এই কূপ। সময়ের সঙ্গে এলাকা দখলের সঙ্গে সঙ্গে কূপের উপর নানা রকম আচ্ছাদন পড়তে শুরু করে। এরপর ধীরে ধীরে সব চাপা পড়তে শুরু করে এবং একপ্রকার হারিয়ে যায়। আমরা আশা করব এখন পুনরুদ্ধারের মাধ্যমে এরআসল রূপটি যেন ফিরে পাওয়া যায়। ভাবী প্রজন্মকে ইতিহাসের সত্যকে দেখানোই আমাদের উদ্দেশ্য।” তবে স্থানীয় প্রশাসনের সহকারী পুলিশ সুপার শিরীষ চন্দ্র বলেন, “প্রাথমিক তদন্তে দেখা যাচ্ছে, কূপটি দখল করে ঢেকে দেওয়া হয়েছিল। আমরা এখন তাকে উন্মুক্ত করে পুনরুদ্ধার করার চেষ্টা করছি।” ওয়াকিবহাল মহল মনে করছেন এই সব ঐতিহাসিক প্রমাণ হিন্দু পক্ষের দাবিকে আরও মজবুত করবে।

  • Vande Bharat Express: নজির গড়ল ভারতীয় রেল, বিশ্বের উচ্চতম সেতুর ওপর দিয়ে চলল বন্দে ভারত

    Vande Bharat Express: নজির গড়ল ভারতীয় রেল, বিশ্বের উচ্চতম সেতুর ওপর দিয়ে চলল বন্দে ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আকাশ ছোঁয়া বিশ্বের উচ্চতম রেল ব্রিজ দিয়ে ট্রেন চালালো ভারতীয় রেল। এ যেন এক নতুন রেকর্ড গড়ল বন্দে ভারত ট্রেন। জম্মু-কাশ্মীরে (Jammu Kashmir) চেনাব রেল ব্রিজ এবং প্রথম কেবল সেতু আঞ্জি খাড় হল দেশের উচ্চতম রেল সেতু। প্রথমবারের জন্য রেলের (Vande Bharat Express) ট্রায়াল সম্পন্ন হওয়ার চিত্র এবং ভিডিও প্রকাশ্যে এসেছে। রেলযাত্রীরা অত্যন্ত উৎসাহী হয়ে সামাজিক মাধ্যমে বিনিময় করে যাত্রার করার মত বিনিময় করেছেন।

    চারপাশে যদি সাদা বরফে ঢেকে যায় তবুও চলবে ট্রেন (Vande Bharat Express)

    জানা গিয়েছে, শ্রীমাতা বৈষ্ণো দেবী কাটার স্টেশন থেকে শ্রীনগর স্টেশন (Jammu Kashmir) পর্যন্ত এই ট্রেনর ট্রায়াল (Vande Bharat Express) সম্পন্ন হয়েছে। জম্মু-কাশ্মীরের আবহাওয়া এবং ভূ-প্রকৃতি যেহেতু বাকি রাজ্যের তুলনায় একে বারে অন্যরকম তাই সেই বিষয়কে মাথায় রেখে ভারতীয় রেল বন্দে ভারত একপ্রেস বিশেষ ভাবে চালানোর পরিকল্পনা করেছে। যে ট্রেনটি চালানো হবে তার গাড়ি নম্বর ২৪৪০২৭ এবং ১৩৬ টি বন্দে ভারত থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। এই গাড়ি মাইনাস ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াসও অনায়াসে ছুটতে পারবে এই ট্রেন। এমনকি লাইনের চারপাশে যদি সাদা বরফে ঢেকে যায় তাহলেও এই ট্রেন ছুটে যাবে অনায়সে। এই ট্রেন হবে সেমি হাই স্পিড এক্সপ্রেস।

    উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী

    জানা গিয়েছে ট্রেনটি (Vande Bharat Express) শনিবার সকাল ৮ টায় কাটরা থেকে রওনা দেয় এবং কাশ্মীরের শেষ স্টেশন শ্রীনগরে পৌঁছায় সকাল ১১টায়। ১৬০ কিমি পথ পৌঁছাতে সময় লেগেছে ৩ ঘণ্টা। এই ট্রেনে রয়েছে অ্যাডভান্স হিটিং সিস্টেম, যা ট্রেনের জলকে কোনও ভাবেই বরফ হতে দেবে না। একই ভাবে বায়ো-টয়লেট ট্যাঙ্কও রয়েছে এই ট্রেনে। সূত্রে জানা গিয়েছে, কমিশন অফ রেলওয়ে সেফটি বিষয়ে সবুজ সংকেত দেওয়ার পর ট্রেনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কাটরা-বারামুল্লা (Jammu Kashmir) রুটে এই ট্রেন চলবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Indian Coast Guard: আন্দামান জলসীমায় ভারতীয় নৌবাহিনীর বড়সড় সাফল্য, ৫ টন মাদক উদ্ধার

    Indian Coast Guard: আন্দামান জলসীমায় ভারতীয় নৌবাহিনীর বড়সড় সাফল্য, ৫ টন মাদক উদ্ধার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাদক চোরাচালান রুখতে ভারতীয় নৌসেনার (Indian Coast Guard) বড়সড় সাফল্য। আন্দামান সমুদ্র (Andaman water) সীমায় ৫ টন মাদক আটক করেছে ভারতীয় নৌসেনা। প্রতিরক্ষা বাহিনীর তরফ থেকে বলা হয়েছে, একটি মাছ ভর্তি নৌকায় করে এই মাদক পাচারের চক্র ফাঁদা হয়েছিল। অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা গিয়েছে। ইতিমধ্যে এই সাফল্যে বিরাট চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।

    চোরাকারবারকে আটক করতে সক্ষম (Indian Coast Guard)

    ভারতীয় নৌসেনার (Indian Coast Guard) প্রতিরক্ষা দফতর সূত্রে বলা হয়েছে, “ভারতীয় উপকূল বাহিনীর বিশেষ অভিযানে আন্দামান জলসীমার (Andaman water) কাছ থেকে একটি মাছ ধরার নৌকায় প্রায় ৫ টনের বেশি একটি বিরাট চোরাকারবারকে আটক করতে সক্ষম হয়েছে। তবে এই অভিযান ভারতীয় উপকূল রক্ষীর কাছে সব থেকে বড় মাদক পাচার চক্র ফাঁসের ঘটনা। ঘটনার সম্পূর্ণ তদন্ত করতে ইতিমধ্যে তল্লাশি চলাচ্ছে বাহিনী। সন্দেহজনক নানা সূত্র ধরে সবরকম তল্লাশি শুরু করেছে তদন্তকারী অফিসারেরা।”

    ৭০০ কিলোগ্রাম মেথামফেটামিন বাজেয়াপ্ত হয়েছিল

    সমুদ্রপথে (Andaman water) মাদক দ্রব্যপাচারের সঙ্গে যুক্ত একাধিক এজেন্সিগুলির চোরাচালানে এইবারের অভিযানে বিরাট ধাক্কা খেয়েছে বলে মনে করছেন নিরাপত্তা এবং সুরক্ষা বিশেজ্ঞরা। উল্লেখ্য এই মাসের শুরুর দিকে একটি বিশাল মাদকদ্রব্য পাচারের অভিযান চালিয়েছিল নিরাপত্তা রক্ষীরা (Indian Coast Guard)। সেই সময় এই অভিযানে ৭০০ কিলোগ্রাম মেথামফেটামিন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। মূলত গুজরাট উপকূল থেকে ভারতীয় আঞ্চলিক জলসীমা বরাবার এলাকা থেকে ৮ জন ইরানি নাগরিককে গ্রেফতার করা হয়েছিল। কোডনাম সাগর মন্থন-৪ গোয়েন্দাদের গোপন তথ্যের উপর নির্ভর করে এই অভিযান চালানো হয়েছিল। একই ভাবে এনসিবি একটি বিবৃতি দিয়ে স্পষ্ট ভাবে জানিয়েছে, এই জাহাজগুলিকে এখন থেকে সমুদ্রে বিশেষ নজরদারিতে রাখার নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে সন্দেহজনক জাহাজগুলিকে এখন থেকে জিজ্ঞাসাবাদ এবং তল্লাশি করা হবে।    

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Uttar Pradesh: সম্ভলের শাহী জামা মসজিদ জরিপের কাজে বাধা, ইট-পাথর বর্ষণ দুষ্কৃতীদের

    Uttar Pradesh: সম্ভলের শাহী জামা মসজিদ জরিপের কাজে বাধা, ইট-পাথর বর্ষণ দুষ্কৃতীদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) সম্ভ্লের শাহী জামা মসজিদ জরিপ করতে গেলে ব্যাপক ভাবে পাথর বর্ষণ করল মুসলিম (Muslim) সম্প্রদায়ের একাংশ। শান্তিপূর্ণ ভাবে এই জরিপের কাজে গেলে সরকারি আধিকারিকদের উপর আচমকা হামলা করে দুষ্কৃতীরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নামানো হয় বিশাল পুলিশ বাহিনী। কাঁদানে গ্যাসের শেলও ফাটানো হয়। পুলিশ জানিয়েছে “সরকারি কাজে বাধা এবং সরকারি কর্মীদের ব্যাপক ভাবে আঘাত করা হয়।”

    পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে (Uttar Pradesh)

    সম্ভলে (Uttar Pradesh) মজসিদের জমি নিয়ে বিবাদ দেখা দিলে সরকার পক্ষ  সম্পূর্ণ মসজিদকে জরিপ করতে যায়। উত্তরপ্রদেশ পুলিশের ডিজিপি প্রশান্ত কুমার বলেছেন, “পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে। আদালতের নির্দেশে সম্বলে একটি মসজিদে সমীক্ষা চলছিল। কিন্তু স্থানীয় মুসলমান সম্প্রদায়ের বেশ কিছু দুষ্কৃতী কাজে বাধা দেয় এবং লাগাতার পাথর-ইট বর্ষণ শুরু করে। যারা এই কাজের নেতৃত্ব দিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে সরকার অবিলম্বে ব্যবস্থা গ্রহণের কাজ শুরু করেছে। বেশ কিছু সরকারি কর্মী ঘটনায় মারাত্মক আহত হয়েছেন। তাঁদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।”

    মসজিদ পূর্বে মন্দির ছিল!

    এই প্রসঙ্গে সিনিয়র আইনজীবী বিষ্ণু শঙ্কর জৈনের দায়ের করা একটি পিটিশনে দেখা গিয়েছে এই সমীক্ষা একটি আইনি প্রক্রিয়ার অংশ ছিল। মসজিদ মূলত পূর্বে মন্দির (Uttar Pradesh) ছিল। মন্দির ভেঙে সেই জায়গায় মসজিদ নির্মাণ করা হয়েছে। যদিও গত ১৯ নভেম্বরে স্থানীয় পুলিশ, মসজিদ (Muslim) কমিটির সহযোগে জরিপের কাজে তদারকি শুরু হয়েছিল। যদিও স্থানীয় মানুষের কাছে কোনও রকমের কাজে বাধা এবং কোনও রকম প্ররোচনা থেকে দূরে থাকার আবেদন করা হয়েছিল। কিন্তু তারপরেও রবিবার সকালে দুষ্কৃতীরা আক্রমণ করে। এলাকার শান্তিশৃঙ্খলাকে বিঘ্নিত করে। ইতিমধ্যেই অভিযুক্তদের (Muslim) চিহ্নিত করে ধরপাকড় শুরু করেছে।  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Jyotiraditya Scindia: ২০২৭ সালের মধ্যেই ভারত বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশে উন্নীত হবে, বললেন জ্যোতিরাদিত্য

    Jyotiraditya Scindia: ২০২৭ সালের মধ্যেই ভারত বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশে উন্নীত হবে, বললেন জ্যোতিরাদিত্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী মোদির নেতৃত্বে ২০২৭ সালের মধ্যেই ভারত বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির (Largest Economy) দেশে উন্নীত হবে। ভারত ও জার্মানি-দুই দেশের বন্ধনকে আরও নিবিড় করতে স্টুটগার্ট শহরে আয়োজিত হয়ে হয়েছিল বিশেষ অনুষ্ঠান। এই অনুষ্ঠানের প্রথম দিনে ভারত-জার্মানির দৃঢ় বন্ধনের কথা তুলে ধরেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া (Jyotiraditya Scindia)।

    ঠিক কী বললেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী (Largest Economy)?

    কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া (Jyotiraditya Scindia) এদিন মোদি সরকারের কাজের কথা তুলে ধরে বলেন, “গত দশ বছরে এক বিরাট পরিবর্তন (Largest Economy) এসেছে দেশ জুড়ে। ভারত এক অদ্ভূত পরিবর্তনের দিকে এগিয়ে গিয়েছে। গোটা বিশ্ব এখন সেই স্বীকৃতি দিতে বাধ্য হয়েছে। এই রূপান্তর ভারতের চাহিদার অন্যতম কারণ হিসেবে বলা যায়। মোদির নির্দেশনায় ভারত এক নতুন উচ্চতা শিখরে পৌঁছে গিয়েছে। দেশ যে কেবল নিজের পরিবর্তনের জন্য এগিয়ে গিয়েছে তা নয়, উন্নয়নের নিরিখে ১৮০ ডিগ্রি রূপান্তর ঘটেছে ভারতের। উন্নয়ন কেবলমাত্র সংখ্যাতত্ত্বের বিচার নয়। আদতে লক্ষ্য এমন হওয়া উচিত যেখানে প্রকল্প, সুবিধা, পরিষেবাকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়। দেশকে দিশা দেখাতে এই ভাবনার একান্ত প্রয়োজন।”

    আর কি বললেন?

    কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া (Jyotiraditya Scindia) আরও বলেন, “গত ১০ বছরে আমরা ১০ মিলিয়ন বাড়ি তৈরি করেছি। একই সময়ে সারা দেশে ১২০ মিলিয়নেরও বেশি শৌচালয় তৈরি করা হয়েছে, এই উন্নয়নমূলক প্রকল্পগুলোকে একটি ডিজিটাল সিস্টেমে স্থানান্তরিত করাও হয়েছে। আজ ভারতীয় কোম্পানি, ভারতের নামীদামি বহুজাতিক সংস্থাগুলো নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে। আর তার ফল চেইন সিস্টেমে বিস্তৃত হচ্ছে দেশে। দেশের বাজার এবং বহিঃদেশীয় বাজারে বিরাট প্রভাব ফেলতে শুরু করেছে ভারত। খুব দ্রুত চতুর্থ অর্থনীতির (Largest Economy) দেশে পরিণত হবে ভারত এবং আগামী ২০২৭ সালের মধ্যে বিশ্বের তৃতীয় অর্থনীতির দেশে পরিণত হবে।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • India Post: ‘লজিস্টিক পোস্ট’ ও ‘মোবাইল পার্সেল ভ্যান’ পরিষেবা চালু করল ভারতীয় ডাকঘর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় ডাকঘরের (India Post) হাতে এখন নতুন দুই প্রকল্প। এক দিকে ‘লজিস্টিক পোস্ট’ (Logistic Post) এবং অপর দিকে ‘মোবাইল পার্সেল ভ্যান’-এই দুই পরিষেবা দেবে ডাকঘর। ফলে এখন থেকে গ্রাহকেরা দেশের মধ্যে যে কোনও জায়গায় এবং পাশপাশি বিদেশেও পণ্য পাঠাতে পারবেন। দুই ক্ষেত্রেই গ্রাহকের বাড়ি থেকে দ্রব্য তুলে নিয়ে গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়া হবে। অনেকই ভাবছেন, এতে উপকৃত হবেন অনেক দর্শক।

    ৩৫ কেজি পণ্য পৌঁছে দেবে(India Post)

    ভারতীয় ডাক বিভাগ (India Post) সূত্রে খবর, ৩৫ কেজি পর্যন্ত ওজনের পণ্য পৌঁছে দেবে মোবাইল পার্সেল ভ্যান পরিষেবায়। তারপর তিন টন পর্যন্ত ওজন হলে লজিস্টিক পোস্ট। এই মাসের প্রথমেই বীরভূমের সিউড়ি থেকে দিঘা পর্যন্ত পরিষেবা দেওয়া হয়েছে। তবে এই পরিষেবা কেবল মাত্র ব্যবসায়িক পণ্য পরিবহণের কাজে লাগবে। ব্যক্তিগত পণ্য পাঠানোর সুবিধা দেবে মোবাইল পার্সেল ভ্যান (Logistic Post)। পশ্চিমবঙ্গ সার্কলের চিফ পোস্টমাস্টার জেনারেল নীরজ কুমার বলেন, “৩২টি রুটে প্রধান ডাকঘরগুলিকে কেন্দ্র করে আপাতত মোবাইল পার্সেল ভ্যান পরিচালিত হচ্ছে। অনেক মানুষ এই পরিষেবা উপভোগ করছেন। প্রচুর জিনিসপত্র আদানপ্রদান করছেন। একই ভাবে সুবিধা নিচ্ছেন শিল্প সংস্থাগুলিও।”

    ওয়েবসাইটে বুকিং করতে হবে

    ডাক বিভাগ (India Post) সূত্রে জানা গিয়েছে, এই বিভাগের ওয়েবসাইটে গিয়ে বুকিং করতে হবে। এরপর একটা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পার্সেল ভ্যান যাবে বাড়িতে। সেখান থেকে পণ্য তুলে অন্য গন্তব্যে নিয়ে যাবে। ঠিক যেমন বড় ক্যুরিয়র সংস্থা পরিষেবা দেয়, সেই ভাবেই কাজ হবে। তবে এই পরিষেবার খরচ বেসরকারি সংস্থাগুলি থেকে প্রায় অর্ধেক। ডাক বিভাগ সূত্রে জানা গিয়েছে, শান্তিপুরের শাড়ি এবং শান্তিনিকেতনের হস্তশিল্পের নানা উপাদান খুব দ্রুত দেশের এক স্থান থেকে অন্যস্থানে পাড়ি (Logistic Post) দেবে। এই পরিষেবায় পণ্য পাঠাতে কিলোমিটারে খরচ ২ টাকা থেকে শুরু। সর্বাধিক ২৯.৩৬ টাকা। এই খরচে আর কেউ পণ্য বহন করে না। লজিস্টিক পোস্টে পণ্যের বিমাও করাবে ডাক বিভাগ। ফলে কোনও ক্ষতি হলে ক্ষতিপূরণও দেওয়া হবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share