Author: suman-das

  • VHP: ‘ধর্ম রক্ষা’ অভিযানে ১০ লক্ষ পরিবারে বিশেষ অভিযান চালাচ্ছে ভিএইচপি

    VHP: ‘ধর্ম রক্ষা’ অভিযানে ১০ লক্ষ পরিবারে বিশেষ অভিযান চালাচ্ছে ভিএইচপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিন্দু ধর্মের জাগরণ, ধর্ম রক্ষা (Dharma Raksha) এবং ভারতের অভ্যন্তরে হিন্দুত্বকে পুনঃ জাগরণের জন্য বিরাট কর্মসূচির ঘোষণা করেছে ভিএইচপি (VHP)। “ধর্ম রক্ষা” অভিযানে নেমেছে আরএসএস-এর এই শাখা সংগঠন। দেশজুড়ে ধর্মান্তকরণ এবং গোহত্যার বিরুদ্ধে বিরাট অভিযানে চালাতে শুরু করেছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। দশ লক্ষ পরিবারকে এই ধর্মজগরণ কর্মসূচিতে যোগদান করার জন্য প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছে ভিএইচপি।

    ৫ নভেম্বর পর্যন্ত চলবে অভিযান? (VHP)

    উত্তরপ্রদেশের কাশী প্রান্তের উদ্যোগে গত ৫ অক্টোবর থেকে ৫ নভেম্বরের মধ্যে ১০ লক্ষ হিন্দু পরিবারের মধ্যে ‘ধর্ম রক্ষা’ (Dharma Raksha) এবং সচেতনতার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে ধর্ম রক্ষার (VHP) জন্য যে যে বিষয়গুলির উপর জোর দেওয়া হয়েছে তার মধ্যে হল- ধর্মান্তকরণ, লাভ জিহাদ, গো-হত্যা, মন্দিরের জমি দখল, অধিকৃত জমি পুনরুদ্ধার সহ একাধিক কর্মসূচি। অভিযানের অংশ হিসেবে, ভিএইচপি কর্মীরা মোট ২২টি জেলার ২০০০টিরও বেশি গ্রাম ও শহরে বাড়ি বাড়ি গিয়ে হিন্দু ধর্মরক্ষার জন্য হিন্দু পরিবারগুলিকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানাবে। ভিএইচপির তরফে নিতিন জানিয়েছেন, এই অভিযান মূলত হিন্দুদের মধ্যে সম্মিলিত কর্তব্যবোধকে পুনরুজ্জীবিত করার প্রচেষ্টা থাকবে। হিন্দু সমাজের কাছে অস্তিত্বের জন্য যে যে বিষয়গুলি সঙ্কটের, সেগুলিকে নিয়ে প্রতিটি বাড়িতে গিয়ে আলোচনা করা হবে। তাই ধর্ম সংরক্ষণের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ পরিবারগুলির কাছ থেকে সব রকম সহযোগীতার আবেদন জানাই।”

    শেকড়ের কাছাকাছি নিয়ে যেতে হবে

    কাশী প্রান্তের বিশ্ব হিন্দু পরিষদের (VHP) রাজ্য সভাপতি কেপি সিং বলেন,  “হিন্দু সংস্কৃতি কেন্দ্র, গোশালা, বেদ বিদ্যালয়, নার্সিং সেন্টার এবং কর্মসংস্থানের নানা কেন্দ্রগুলির সকল স্থানে হিন্দু ধর্ম জাগরণের বিষয়কে পৌঁছে দেওয়া হবে। বর্তমানে, কাশী প্রদেশে ৪০টিরও বেশি ধর্মসংস্কার মূলক কেন্দ্র এবং বেশ কয়েকটি একল বিদ্যালয় কাজ শুরু করেছে। আমাদের এই কেন্দ্রগুলির প্রধান লক্ষ্য ধর্মান্তর (Dharma Raksha) হয় এমন ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলগুলিতে সবরকম পরিষেবা এবং সচেতনতা বৃদ্ধি করা। হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রত্যেক বর্গের মানুষকে মূল শিকড়ের সঙ্গে সংযুক্ত করাই আমাদের প্রধান উদ্দেশ্য।

    ২০২২ সালে ২৫,০০০ হিন্দু কন্যাকে রক্ষা

    উল্লেখ্য ২০২২ সালেও বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (VHP) ২১ থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশজুড়ে একই রকম ধর্মরক্ষা অভিযান পরিচালনা করেছিল। যার সাফল্যও ছিল অভূতপূর্ব। ওই সময়ে ২৩ ডিসেম্বর স্বামী শ্রদ্ধানন্দজির তিরধান দিবসের সঙ্গে ভাবনাগুলি প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছিল। অভিযানের উল্লেখ্য যোগ্য সাফল্যগুলি হল, ভিএইচপি ৬২ লক্ষ হিন্দুকে ধর্মান্তরিত হওয়া থেকে রক্ষা করেছে, ৯ লক্ষ ব্যক্তিকে তাদের আসল ধর্মে ফিরিয়ে এনেছে এবং ২০ লক্ষ গরুকে নিধনের হাত থেকে উদ্ধার করেছে। একই ভাবে লাভ জিহাদের কবল থেকে ২৫,০০০ হিন্দু কন্যাকে রক্ষা করা হয়েছিল। এই উদ্যোগে দেশজুড়ে যজ্ঞ, কথকথা-প্রবচন, শোভাযাত্রা এবং ধর্মীয় সচেতনতার (Dharma Raksha) মাধ্যমে ব্যাপক অংশগ্রহণ লক্ষ্য করা গিয়েছিল।

  • Suvendu Adhikari: ধর্ষকদের শেষ করতে মা কালীর খড়গটা লাগবে, তৃণমূলকে আক্রমণ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ধর্ষকদের শেষ করতে মা কালীর খড়গটা লাগবে, তৃণমূলকে আক্রমণ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে লাগাতার ধর্ষণের ঘটনায় তৃণমূলের বিরদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন রাজ্যেরই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। গতবছর ৯ অগাস্ট ঘটেছিল আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসক তরুণীর গণধর্ষণ এবং হত্যাকাণ্ড। ন্যায় বিচারের দাবিতে আন্দোলন রাজ্য রাজনীতি থেকে সারা দেশে ব্যাপক তোলপাড় ফেলে দিয়েছিল। এই বছর দুর্গাপুরে ফের আরও এক চিকিৎসক তরুণীর গণধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। রাজ্য প্রশাসন এবং তৃণমূল সরকারের নারী সুরক্ষানীতি সত্যই প্রশ্নের মুখে। যে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী একজন মহিলা, সেই রাজ্যের নারীরা যদি সুরক্ষিত না থাকেন তাহলে প্রশ্ন তো উঠবেই। পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রামে কালীপুজোর উদ্বোধন করতে এসে রাজ্যের মেয়েরা সুরক্ষিত নয় বলে মন্তব্য করলেন শুভেন্দু অধিকারী। একইভাবে এসআইআর নিয়ে তৃণমূলকে আয়নাও দেখালেন।

    ধর্ষকদের শেষ করতে হবে (Suvendu Adhikari)

    কালীপুজোর দিনে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা রাজ্যের প্রত্যকে নারীর সুরক্ষার জন্য তৃণমূলকে সরিয়ে বিজেপিকে আনার বার্তা দিয়েছেন। সেই সঙ্গে লাগাতার ধর্ষণকাণ্ডে নাম জড়িয়েছে তৃণমূল ঘনিষ্ঠদের। তাই শাসকদলের বিরুদ্ধে তোপ দেগে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, “বাংলায় তৃণমূলের রাজত্বে প্রচুর ধর্ষকদের সংখ্যা বেড়ে গিয়েছে। কোনও বোন, কন্যা এবং মায়েরা এই মমতার রাজ্যে সুরক্ষিত নন। এই ধর্ষকদের শেষ করতে মা কালীর খড়গটা লাগবে। মা দুর্গার কাছে প্রার্থনা করেছিলাম এবার মা তোমার ত্রিশূলটা লাগবেই। অভয়া থেকে দুর্গাপুর মেডিক্যাল কলেজ আমাদের কোনও বোন কোনও মেয়ে বাংলায় সুরক্ষিত নয়। মা দুর্গার ত্রিশূল আর মা কালীর খড়গটা দিয়ে ধর্ষকদের শেষ করতে হবে। পুজোর দিনে মায়ের কাছে এই প্রার্থনা করি।”

    সরকার ব্যবস্থাই বা আছে কী করতে?

    লাগাতার তৃণমূলের দ্বারা সংগঠিত নারী নির্যাতনের ঘটনা রাজ্যের জন্য অস্থির পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে। শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) তৃণমূলের বিরুদ্ধে তোপ দেগে বলেন, “মা আমাদের শক্তি দিক, যাতে আমরা সুরক্ষা দিতে পারি। কন্যাদের সুরক্ষা দিতে পারি। মেয়েদের সুরক্ষার দায়িত্ব যদি নিজেরাই নেন তাহলে আমরা আছি কি করতে। সরকার ব্যবস্থাই বা আছে কী করতে? ভারতকে আমরা মাতা বলি, তাই এই রাজ্যের প্রত্যেক নারীর সুরক্ষার দায়িত্ব আমাদের। প্রত্যেক কন্যা আমাদের রত্ন। তাদের সুরক্ষিত রাখাই আমার কর্তব্য। আর মাত্র কয়েকমাস পর আসছে সেই সুযোগ। বিধানসভা নির্বাচনে এই সরকারকে বিদায় দিতে পারলেই উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের মতো আমরাও বাংলায় মহিলাদের সুরক্ষা দিতে পারব।”

    আমাদের রেশন কেন ওঁরা খাবে?

    পশ্চিমবঙ্গে রোহিঙ্গা এবং বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীরা যে মাটি শক্ত করছে তা নিয়ে বিজেপি বারবার তৃণমূলের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে। রাজ্য সরকার অনুপ্রবেশকারীদের ভোটে আরও একবার ক্ষমতায় আসতে চাইছে। সেই আশাতে জল ঢেলে তোপ দেগেছেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। তিনি বলেন, “বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের ভোটে কেন জয়ী হবেন? ভোটার তালিকা সংশোধনের বিষয়টি নির্বাচন কমিশন বুঝে নেবে। আমাদের শুধু নজরদাড়ি আর চৌকিদারি চালাতে হবে। আমরা তো ভারতীয় মুসলিমদের নিয়ে বলছি না। নন্দীগ্রামে বাংলাদেশের মহিলা ধরা পড়েছে। নন্দীগ্রাম ১ নম্বর ব্লকের ভোটার তালিকায় বাংলাদেশ থেকে মেয়েদের পটিয়ে নিয়ে এসে এখানে দ্বিতীয় বিয়ে এবং তৃতীয় বিয়ে করে রেখেছে। এখানেও বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের ঢুকিয়ে দিয়েছে। ভারতীয় সম্পত্তি এবং জমিতে অধিকার বসাচ্ছে বহিরাগতরা। নন্দীগ্রামের সীমান্ত তো আর বাংলাদেশের সীমান্ত নয়। কতটা বিপদজনক পরিস্থিতি বোঝাই যাচ্ছে। বাংলাদেশি ভোটারা এই রাজ্যে এসে তৃণমূলের মদতে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছে। তাই আমরা কেন অভারতীয়দের নিয়ে চলব। আমাদের রেশন কেন ওঁরা খাবে? আমার ভোট কেন ওঁরা দেবে? বিদেশি লোকের ভোটে কেন আমরা বিধায়ক হব? বিদেশি ভোটে কেন মমতা মুখ্যমন্ত্রী হবেন? বিদেশি ভোটে কেন মোদিজি প্রধানমন্ত্রী হবেন? এই লড়াইটা ভারতীয়দের সঙ্গে অভারতীয়দের। সকল হিন্দুদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে এবং রাষ্ট্রবাদী মুসলমানদের এক সঙ্গে নিতে হবে।”

  • Bangladesh: বাংলাদেশে হিন্দু নির্যাতন নিয়ে চরম উদ্বেগ প্রকাশ ব্রিটেনের সংসদে, পেশ হল নিন্দা-প্রস্তাব

    Bangladesh: বাংলাদেশে হিন্দু নির্যাতন নিয়ে চরম উদ্বেগ প্রকাশ ব্রিটেনের সংসদে, পেশ হল নিন্দা-প্রস্তাব

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশে (Bangladesh) সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর অত্যাচারের ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছে ব্রিটিশ সরকার (United Kingdom MP)। দীপান্বিতা কালী পুজো এবং দীপাবলি আলোর উৎসবে সারা বিশ্বের হিন্দুরা যেখানে মেতে উঠেছে, সেখানে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের সমস্ত অনুষ্ঠান যেন মাটিতে পরিণত হয়েছে। বাংলাদেশের ছবিটা সম্পূর্ণ ভাবে ভিন্ন। গত বৃহস্পতিবার ১৪ অক্টোবর বাংলাদেশের সংখ্যালঘু হিন্দু এবং অন্যান্য ধর্ম সম্প্রদায়ের ওপর নিপীড়নের বাস্তব চিত্র নিয়ে অত্যন্ত উদ্বেগ প্রকাশ করেন ব্রিটেনের বিরোধী দলের সাংসদ। শুধু তাই নয় হাউজ অফ কমন্স-এ ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের উপর হিংসার নিন্দায় একটি বিবৃতিও পেশ করা হয়। গত ৫ অগাস্ট ২০২৪ সালে হাসিনাকে বিতাড়িত করার পর থেকেই বাংলাদেশে লাগাতার ধর্মীয় নিপীড়ন চলছে। অথচ প্রধান উপদেষ্টা ইউনূস এইসব অত্যাচারের ঘটনাকে সংবাদ মাধ্যমের ভুয়ো তথ্য বলে উল্লেখ করেছেন।

    হিন্দুদের কোন অধিকার নেই (United Kingdom MP)!

    সারা বিশ্বে হিন্দু, বৌদ্ধ, শিখ, জৈন, পার্সি সমাজের মানুষ দীপাবলি পালন করেন। কিন্তু বাংলাদেশে (Bangladesh) সংখ্যালঘু হিন্দুদের জন্য এই উৎসব অন্ধকারে পরিণত হয়েছে। হিন্দুদের ধর্মীয় রীতিনীতি পালনে বাংলাদেশে কোনও অধিকার নেই। ব্রিটেনের সংসদের নিম্নকক্ষ হাউজ অফ কমন্স-এ এই বিষয়টি উত্থাপন করেছেন বিরোধী কনজারভেটিভ পার্টির সাংসদ বব ব্ল্যাকম্যান। তিনি ব্রিটিশ হিন্দুদের ‘অলপার্টি পার্লামেন্টারি গ্রুপ’-এর প্রধান। এই সাংসদ বাংলাদেশে হিন্দু-সহ অন্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর অত্যাচার সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন তুলে ধরেন৷ ‘ইনসাইট ইউকে’ নামের একটি ব্রিটিশ সংস্থার (United Kingdom MP) এই সাম্প্রতিক রিপোর্টে বাংলাদেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের উপর কীভাবে অমানবিক অত্যাচার চালানো হয়েছে তা প্রকাশ করেছে ৷

    ধর্মীয় স্বাধীনতা রক্ষার্থে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ

    সাংসদ বব ব্ল্যাকম্যান (United Kingdom MP) বলেন, “দীপাবলি পালনের সময় যেখানে অন্ধকারকে ছাপিয়ে আলোর জয় হয় সেখানে বাংলাদেশে (Bangladesh) হিন্দুরা এই উৎসব থেকে বঞ্চিত। তাঁরা এই উৎসব উদযাপন করতে পারবেন না৷ তাঁদের উপর নিপীড়ন চলছে ৷ হিন্দুদের সঙ্গে হিংসার ঘটনা ঘটছে ৷ মন্দির থেকে বাড়িঘর সবকিছু ধ্বংস করা হচ্ছে ৷ আমি এই বিষয়ে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি, যেন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়।”

    হিংসার ঘটনার তীব্র ধিক্কার

    আবার লেবার পার্টি সরকারের তরফে হাউজ অফ কমন্স-এর নেতা স্যার অ্যালান ক্যাম্পবেল (United Kingdom MP) বলেন, “আমরা সংখ্যালঘু ধর্মীয় সম্প্রদায়ের উপর এই ধরনের হিংসার ঘটনার তীব্র ধিক্কার জানাই ৷ বাংলাদেশের মানবিক পরিস্থিতি নিয়ে সক্রিয় ভাবে কাজ করছি ৷ একটি শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক সরকার গড়ার জন্য আমরা অন্তর্বর্তী প্রশাসনকে সমর্থন জানাই ৷ বাংলাদেশে ধর্মীয় স্বাধীনতা রক্ষার্থে আমরা গভীরভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ৷” একই ভাবে বিজনেস অফ দ্য হাউজ-এর সাংসদ বব ব্ল্যাকম্যান বলেন, “আগামী সপ্তাহে, হিন্দু, শিখ, জৈন ও বৌদ্ধরা দীপাবলি উদযাপন করবেন ৷ হিন্দুদের নতুন বছরের সূচনা হবে ৷ এটা একটা উৎসবের সময় ৷ সবাই আনন্দ করবে ৷ কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত বাংলাদেশে তা হবে না ৷ বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর হিংসার ঘটনার কথা বলা হয়েছে ৷ তাদের মেরে ফেলা হচ্ছে ৷ মন্দিরগুলি ধ্বংস করে দেওয়া হচ্ছে এবং তাদের সম্পত্তি জ্বালিয়ে দিচ্ছে ৷”

    মাতৃশক্তি আরাধনার ক্ষেত্র বাংলাদেশ

    সম্প্রতি ঢাকার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে সুপ্রাচীন কালীপুজো। দুর্গাপুজো যেমন হিন্দু বাঙালির সবচেয়ে বড় পুজো ঠিক তেমনি গোটা হিন্দু সমাজের কাছে সারা বিশ্বে দীপাবলি আলোর উৎসব হল আন্তর্জাতিক ভাবে বড় উৎসব। বাঙালিরা এই সময় ঘরে ঘরে প্রদীপ জ্বালান, গ্রাম বাংলায় চলে মা কালীর সাধনা। রক্ষাকালী, শ্মাশান কালী, শ্যাম কালীর পুজোতে মেতে ওঠে গ্রামবাংলা। এই পুজোর মধ্যে রয়েছে সুপ্রাচীন কাল হতে চলে আসা তন্ত্রের প্রভাব। অমাবস্যার জাগ্রতপীঠে সাধকরা সম্মিলিত হন চলে যজ্ঞ, বলি এবং তান্ত্রিক সাধনা। উত্তরপূর্ব ভারত এবং পূর্ব ভারতের অংশ হিসেবে বাংলার আদি সংস্কৃতি ও কৃষ্টির পরিচয় হল মাতৃশক্তি কালী মাতার সাধনা। বাংলাদেশও (Bangladesh) গত কয়েক হাজার বছর ধরে হিন্দু সংস্কৃতির ধারাবাহিকতা বিরাট ভাবে ছিল। কিন্তু ইসলাম ধর্মপ্রধান দেশ বাংলাদেশ হওয়ায় গত ৭০ বছরে সেই সনাতনী প্রবাহে বিরাট নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। তবে সবটাই ধর্মীয় নিপীড়নের কারণে ঘটছে বলে মনে করছেন সমাজতাত্ত্বিকেরা।

  • Ramakrishna 485: “নদে টলমল টলমল করে গৌরপ্রেমের হিল্লোলে রে”

    Ramakrishna 485: “নদে টলমল টলমল করে গৌরপ্রেমের হিল্লোলে রে”

    ৪৪ ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ বলরাম-মন্দিরে ভক্তসঙ্গে

    পঞ্চম পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৫, ১২ই এপ্রিল
    সংকীর্তনানন্দে ভক্তসঙ্গে

    ঠাকুর ঘরের মধ্যে ফিরিয়া আসিয়া ত্রৈলোক্যকে বলিতেছেন,—একটু আনন্দময়ীর গান,—ত্রৈলোক্য গাইতেছেন:

       কত ভালবাস গো মা মানব সন্তানে,
    মনে হলে প্রেমধারা বহে দুনয়নে (গো মা)।
    তব পদে অপরাধী, আছি আমি জন্মাবধি,
    তবু চেয়ে মুখপানে প্রেমনয়নে, ডাকিছ মধুর বচনে,
    মনে হলে প্রেমধারা বহে দুনয়নে।
    তোমার প্রেমের ভার, বহিতে পারি না গো আর,
    প্রাণ উঠিছে কাঁদিয়া, হৃদয় ভেদিয়া, তব স্নেহ দরশনে,
    লইনু শরণ মা গো তব শ্রীচরণে (গো মা) ॥

    গান শুনিতে শুনিতে ছোট নরেন গভীর ধ্যানে নিমগ্ন হইয়াছেন, যেন কাষ্ঠবৎ! ঠাকুর মাস্টারকে বলিতেছেন, “দেখ, দেখ, কি গভীর ধ্যান! একেবারে বাহ্যশূন্য! (Kathamrita)”

    গান সমাপ্ত হইল। ঠাকুর (Ramakrishna) ত্রৈলোক্যকে এই গানটি গাইতে বলিলেন—‘দে মা পাগল করে, আর কাজ নাই জ্ঞান বিচারে।’

    রাম বলিতেছেন, কিছু হরিনাম হোক! ত্রৈলোক্য গাইতেছেন:

    মন একবার হরি বল হরি বল হরি বল।
    হরি হরি হরি বলে, ভবসিন্ধু পারে চল।

    মাস্টার আস্তে আস্তে বলিতেছেন, ‘গৌর-নিতাই তোমরা দুভাই।’

    ঠাকুরও (Ramakrishna) ওই গানটি গাইতে বলিতেছেন। ত্রৈলোক্য ও ভক্তেরা সকলে মিলিয়া গাইতেছেন:

    গৌর নিতাই তোমরা দুভাই পরম দয়াল হে প্রভু!

    ঠাকুরও যোগদান করিলেন। সমাপ্ত হইলে আর একটি ধরিলেন:

    যাদের হরি বলতে নয়ন ঝরে তারা দুভাই এসেছে রে।
    যারা মার খেয়ে প্রেম যাচে তারা তারা দুভাই এসেছে রে।
    যারা ব্রজের কানাই বলাই তারা তারা দুভাই এসেছে রে।
    যারা আচণ্ডালে কোল দেয় তারা তারা দুভাই এসেছে রে।

    ওই গানের সঙ্গে ঠাকুর আর একটা গান গাহিতেছেন:

    নদে টলমল টলমল করে গৌরপ্রেমের হিল্লোলে রে।

    ঠাকুর আবার ধরিলেন (Kathamrita):

    কে হরিবোল হরিবোল বলিয়ে যায়?
    যা রে মাধাই জেনে আয়।
    বুঝি গৌর যায় আর নিতাই যায় রে।
    যাদের সোনার নূপুর রাঙা পায়।
    যাদের নেড়া মাথা ছেঁড়া কাঁথা রে।
    যেন দেখি পাগলেরই প্রায়।

    ছোট নরেন বিদায় লইতেছেন —

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—তুই বাপ-মাকে খুব ভক্তি করবি।—কিন্তু ঈশ্বরের পথে বাধা দিলে মানবিনি। খুব রোখ আনবি—শালার বাপ!

    ছোট নরেন—কে জানে, আমার কিছু ভয় হয় না।

    গিরিশ বাড়ি হইতে আবার আসিয়া উপস্থিত। ঠাকুর ত্রৈলোক্যের সহিত আলাপ করিয়া দিতেছেন; আর বলিতেছেন, ‘একটু আলাপ তোমরা কর।’ একটু আলাপের পর ত্রৈলোক্যকে বলিতেছেন, ‘সেই গানটি আর একবার,’—ত্রৈলোক্য গাইতেছেন (Kathamrita):

    ঝিঁঝিট খাম্বাজ—ঠুংরী

       জয় শচীনন্দন, গৌর গুণাকার, প্রেম-পরশমণি, ভাব-রস-সাগর।
    কিবা সুন্দর মুরতিমোহন আঁখিরঞ্জন কনকবরণ

  • Brahmos Missile Latest: ঘুম উড়বে পাকিস্তানের! ৮০০ কিমি পাল্লার ব্রহ্মস মিসাইলের পরীক্ষা চালাচ্ছে ভারত

    Brahmos Missile Latest: ঘুম উড়বে পাকিস্তানের! ৮০০ কিমি পাল্লার ব্রহ্মস মিসাইলের পরীক্ষা চালাচ্ছে ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার আরও দূরে আঘাত হানতে পারবে ভারতের সুপারসনিক ক্রুজ মিসাইল ব্রহ্মস (Brahmos Missile Latest)। পাকিস্তান সহ শত্রুদেশগুলির ঘুম উড়বে অচিরেই। ব্রহ্মস মিসাইলের নতুন সংস্করণ আসতে চলেছে। নতুন ব্রহ্মসের পাল্লা বাড়িয়ে ৮০০ কিলোমিটার করা হচ্ছে। যা এখন পরীক্ষাধীন রয়েছে। এই মিসাইলে একটি নতুন ইঞ্জিন থাকবে। সেই সঙ্গে আরও একাধিক ধরনের সর্বাধুনিক প্রযুক্তি এখানে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, এই ক্ষেপণাস্ত্রটি আগামী ২০২৬-২৭ সালের মধ্যে সম্পূর্ণ ভাবে প্রস্তুত হয়ে যাবে। উল্লেখ্য পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার পর পাকিস্তানের সীমাকে অতিক্রম করে মোট ৯টি জঙ্গি শিবিরে আঘাত হেনেছিল ভারত। সেই সময় দেশীয় ব্রহ্মস দারুণ কার্যকর আঘাত হেনেছিল। এবার এই  ক্ষেপণাস্ত্রকে আরও উন্নীত করা হচ্ছে।

    সুখোই-৩০ বিমান থেকে পাকিস্তানে হয়েছিল আক্রমণ (Brahmos Missile Latest)

    দুই বছরের মধ্যেই ভারতীয় সেনাবাহিনীর হাতে চলে আসবে আরও উন্নত এবং আধুনিক ব্রহ্মস (Brahmos Missile Latest)। সেই সঙ্গে ২০০ কিমির বেশি পাল্লার ‘অস্ত্র’ ক্ষেপণাস্ত্রের উৎপাদন ২০২৬-২৭ থেকে শুরু হবে। বর্তমানে ব্রহ্মস ক্ষেপাস্ত্রগুলি ৪৫০ কিমি রেঞ্জের। খুব উচ্চগতি সম্পন্ন এবং দ্রুত লক্ষ্য বস্তুতে আঘাত হানতে পারে এই ব্রহ্মস। কয়েকমাস আগে অপারেশন সিঁদুরের (Operation Sindoor) সময় সুখোই-৩০ বিমান থেকে পাকিস্তানে আক্রমণ করতে ব্যবহার হয়েছিল এই ব্রহ্মস। এবার এই মিসাইলের সফটওয়্যারকে আরও উন্নত করা হয়েছে। একইসঙ্গে, কিছু কিছু প্রযুক্তিগত উন্নতির জন্য গতিতে পরিবর্তন করা হয়েছে। সেইসঙ্গে তথ্যসূত্রে জানা গিয়েছে, ক্ষেপণাস্ত্রের স্থল ও নৌ সংস্করণটি প্রথমে তৈরি হবে। বায়ুসেনার জন্য এয়ার-লঞ্চ ক্ষেপনাস্ত্রটি প্রস্তুত হতে আরও কিছু সময় লাগবে।

    ১৬০ কিমি থেকে ২০০ কিমির বেশি

    ‘অস্ত্র মার্ক-২’ ক্ষেপণাস্ত্রের পাল্লা বাড়িয়ে ১৬০ কিমি থেকে ২০০ কিমি করা হচ্ছে। ভারতীয় বিমান বাহিনী ক্ষেপণাস্ত্র হিসেবে ২৮০টির বেশি অস্ত্র মার্ক-১ ক্ষেপণাস্ত্রকে (Brahmos Missile Latest) যুক্ত করেছে। বর্তমানে এই মিসাইলগুলি ১০০ কিমি পর্যন্ত লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারে। ‘অস্ত্র মার্ক-২’ মিসাইলগুলির পরীক্ষা সফল হওয়ার ৬ মাসের মধ্যে মিসাইলের উৎপাদন শুরু হতে পারে। ভারতীয় বায়ুসেনার সুখোই-৩০ এবং তেজস বিমানের জন্য ৭০০টি ‘অস্ত্র’ মার্ক-২ ক্ষেপনাস্ত্র কেনার পরিকল্পনা করা হেয়েছে। সেই সঙ্গে ৩৫০ কিমি পাল্লার মার্ক-৩ সংস্করণ নির্মাণের কাজ করছে যা আগামী বছর তিনেকের মধ্যে সম্পন্ন হয়ে যাবে।

    অপারেশন সিঁদুর ট্রেলার ছিল

    দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং গত ১৮ অক্টোবর আত্মনির্ভর ভারত মিশন প্রকল্পের প্রথম ব্যাচ ব্রহ্মস মিসাইলের উদ্বোধন করেছেন উত্তরপ্রদেশে। এখানে ব্রহ্মস অ্যারোস্পেস প্রোডাকশন ইউনিটে তৈরি হবে জানিয়েছেন তিনি। একটি অনুষ্ঠানে ভাষণ দিতে গিয়ে রাজনাথ সিং বলেছেন, “দেশ আত্মবিশ্বাসী যে আমাদের প্রতিপক্ষরা আর কোনও ভাবেই ব্রহ্মসের আঘাত থেকে পালাতে পারবে না। অপারেশন সিঁদুরে (Operation Sindoor) যা হেয়েছে তা কবেল মাত্র একটি ট্রেলার ছিল। সেই ট্রেলার বুঝেছে পাকিস্তান। ভারত যদি পাকিস্তানের জন্ম দিতে পারে তাহলে আগামীদিনে ভারত আর কী কী করতে পারে তাও বুঝে নেওয়া উচিত।” শুধু তাই নয় ভারতীয় অস্ত্রের গুরুত্ব এবং উৎপাদন ক্ষমতা ইতিমধ্যে বিশ্বের বাজারে বিরাট চাহিদা বৃদ্ধি করেছে। সেই সঙ্গে নিরাপত্তা এবং আঘাতহানার ক্ষমতা কতটা মজবুত তাও গোটা বিশ্বের মানুষ বুঝতে সক্ষম হয়েছে। ব্রহ্মসের (Brahmos Missile Latest) আধুনিক ক্ষমতা আরও কতটা শক্তিশালী হবে তা খুব সহজেই অনুমেয়।

    প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর বিশেষ অনুদান

    বেসরকারি সংবাদ সংস্থার একটি প্রতিবেদনে জানা গিয়েছে, ভারত-রাশিয়ার যৌথ উদ্যোগে ব্রহ্মোস অ্যারোস্পেসের চুক্তি ৫৮০০০ কোটি টাকা ছাপিয়ে গিয়েছে। গত বছরের মার্চে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক নৌবাহিনীর জন্য ২২০ টির বেশি ব্রহ্মস ক্ষেপনাস্ত্র কেনার জন্য ১৯৫১৯ কোটি টাকার বৃহত্তম চুক্তি স্বাক্ষর করেছিল। সর্বশেষ ডেস্টায়ার এবং ফ্রিগেট সহপ্রায় ২০টি যুদ্ধজাহাজ ইতিমধ্যে এই অস্ত্র দিয়ে সজ্জিত করা হয়েছে। অপারেশন সিঁদুরের জন্য রাজনাথ সিং ভারতীয় বায়ু সেনার জন্য ১০৮০০ কোটি টাকায় ১১০টি এয়ার লঞ্চ করা ব্রহ্মস (Brahmos Missile Latest) ক্ষেপনাস্ত্রের জন্য অনুমোদন করেছে।

  • Ramakrishna 484: “তবু চেয়ে মুখপানে প্রেমনয়নে, ডাকিছ মধুর বচনে, মনে হলে প্রেমধারা বহে দুনয়নে”

    Ramakrishna 484: “তবু চেয়ে মুখপানে প্রেমনয়নে, ডাকিছ মধুর বচনে, মনে হলে প্রেমধারা বহে দুনয়নে”

    ৪৪ ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ বলরাম-মন্দিরে ভক্তসঙ্গে

    পঞ্চম পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৫, ১২ই এপ্রিল
    সংকীর্তনানন্দে ভক্তসঙ্গে

    গিরিশ বাড়ি চলিয়া গেলেন। আবার আসিবেন।

    শ্রীযুক্ত জয়গোপাল সেনের সহিত ত্রৈলোক্য আসিয়া উপস্থিত। তাঁহারা ঠাকুরকে প্রনাম করিলেন ও আসন গ্রহণ করিলেন। ঠাকুর তাঁহাদের কুশল প্রশ্ন করিতেছেন। ছোট নরেন আসিয়া ঠাকুরকে ভূমিষ্ঠ হইয়া প্রণাম করিলেন। ঠাকুর (Ramakrishna) বলিলেন, — কই তুই শনিবারে এলিনি? এইবার ত্রৈলোক্য গান গাইবেন।

    শ্রীরামকৃষ্ণ—আহা, তুমি আনন্দময়ীর গান সেদিন করলে,—কি গান! আর সব লোকের গান আলুনী লাগে! সেদিন নরেন্দ্রের গানও ভাল লাগল না। সেইটে অমনি অমনি হোক না।

    ত্রৈলোক্য গাইতেছেন—‘জয় শচীনন্দন’ (Kathamrita)।

    ঠাকুর মুখ ধুইতে যাইতেছেন। মেয়ে ভক্তেরা চিকের পার্শ্বে ব্যাকুল হইয়া বসিয়া আছেন। তাঁহাদের কাছে গিয়া একবার দর্শন দিবেন। ত্রৈলোক্যের গান চলিতেছে।

    ঠাকুর ঘরের মধ্যে ফিরিয়া আসিয়া ত্রৈলোক্যকে বলিতেছেন,—একটু আনন্দময়ীর গান,—ত্রৈলোক্য গাইতেছেন:

    কত ভালবাস গো মা মানব সন্তানে,
    মনে হলে প্রেমধারা বহে দুনয়নে (গো মা)।
    তব পদে অপরাধী, আছি আমি জন্মাবধি,
    তবু চেয়ে মুখপানে প্রেমনয়নে, ডাকিছ মধুর বচনে,
    মনে হলে প্রেমধারা বহে দুনয়নে।
    তোমার প্রেমের ভার, বহিতে পারি না গো আর,
    প্রাণ উঠিছে কাঁদিয়া, হৃদয় ভেদিয়া, তব স্নেহ দরশনে,
    লইনু শরণ মা গো তব শ্রীচরণে (গো মা) ॥

    গান শুনিতে শুনিতে ছোট নরেন গভীর ধ্যানে নিমগ্ন হইয়াছেন, যেন কাষ্ঠবৎ! ঠাকুর মাস্টারকে বলিতেছেন, “দেখ, দেখ, কি গভীর ধ্যান! একেবারে বাহ্যশূন্য! (Kathamrita)”

    গান সমাপ্ত হইল। ঠাকুর (Ramakrishna) ত্রৈলোক্যকে এই গানটি গাইতে বলিলেন—‘দে মা পাগল করে, আর কাজ নাই জ্ঞান বিচারে।’

    রাম বলিতেছেন, কিছু হরিনাম হোক! ত্রৈলোক্য গাইতেছেন:

    মন একবার হরি বল হরি বল হরি বল।
    হরি হরি হরি বলে, ভবসিন্ধু পারে চল।

  • Paris: প্যারিসের লুভ্যর জাদুঘর থেকে চুরি গিয়েছে নেপোলিয়ানের অলঙ্কার!

    Paris: প্যারিসের লুভ্যর জাদুঘর থেকে চুরি গিয়েছে নেপোলিয়ানের অলঙ্কার!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবিবার সকালে প্যারিসের (Paris) জাদুঘরে ডাকতির ঘটনায় শোরগোল। কার্যত ফিল্মি কায়দায় জানালা ভেঙে লুভ্যরের একটি ঘরে ঢুকে লাখ লাখ টাকার গয়না লুট করেছে দুই দুষ্কৃতী। ঘরের বাইরে দাঁড়িয়েছিল তৃতীয় একজন। জানা গিয়েছে, চুরি যাওয়া গয়নাগুলি হল ফরাসি সম্রাট নেপোলিয়ান বোনাপার্ট (Napoleon-era jewels) এবং সম্রাজ্ঞী জোসেফইনের। মুহূর্তের মধ্যেই দর্শনার্থীদের মধ্যে শোরগোল পড়ে যায় জাদুঘরজুড়ে। ঘটনায় তদন্তে নেমেছে পুলিশ। দেশজুড়ে সৃষ্টি হয়েছে চাঞ্চল্য।

    ডিস্ক কাটার দিয়ে কাটা হয়েছে (Paris)

    ফ্রান্সের (Paris) সংস্কৃতি মন্ত্রী রাচিদা দাতি এক্স হ্যান্ডলে বলেন, “রবিবার জাদুঘর খুলতেই ডাকাতি হয়। ডিস্ক কাটার দিয়ে কাটা হয়েছে কাঠামো। নেপোলিয়ন (Napoleon-era jewels) এবং সম্রাজ্ঞীর অলঙ্কার সংগ্রহ থেকে ন’টি নগদ অর্থ চুরি হয়েছে। তবে কেউ হতাহত হননি। আপাতত জাদুঘর বন্ধ রাখা হয়েছে।” পুলিশ ঘটনার বিবরণ দিয়ে জানিয়েছে, জাদুঘরের শ্যেন নদীর দিকে সংস্কারের কাজ চলছিল। ওই জায়গা দিয়ে লিফটে করে অভিযুক্তরা ঢুকেছে জাদুঘরে। এরপর ঢুকে পড়ে সোজাসুজি গয়না রাখার ঘরে। তারপর চলে দেদার লুটপাট।

    কী কী আছে জাদুঘরে

    এই জাদুঘর লুভ্যরে (Paris) রয়েছে মোনালিসার ছবি। প্রতিদিন ৩০ হাজার দর্শক আসেন। এখানে ৩৩ হাজারেরও বেশি নিদর্শন রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে প্রাচীন জিনিসপত্র, ভাস্কর্য এবং চিত্রকর্ম। প্রধান আকর্ষণ হল মোনালিসার ছবি, যা বিশ্বের সর্বাধিক পরিচিত শিল্পকর্ম। সেই সঙ্গে রয়েছে ভেনাস ডি মিলো এবং সামোথ্রেসের উইংড ভিক্টরি। প্রায় ৩ লাখ ৮০ হাজার দ্রষ্টব্য রয়েছে জাদুঘরের সংগ্রহে। ৩৫ হাজার জিনিস রয়েছে প্রদর্শনীতে। প্রতি বছর ৮০ থেকে ৯০ লাখ মানুষ এই জাদুঘর পরিদর্শনের (Napoleon-era jewels) জন্য যান। আগেও এখান থেকে বহু মূল্যবান জিনিস চুরি গিয়েছে। ১৯১১ সালেই এখান থেকে চুরি গিয়েছিল মোনালিসার ছবি। যদিও সেই ছবি চুরি করেছিলেন জাদুঘরের কর্মীরাই। দু’বছর পরে অবশ্য উদ্ধার হয়েছিল সেই ছবি।

  • Bangladesh: জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে নিষিদ্ধ কালী পুজো! বিক্ষোভ ছাত্রদের

    Bangladesh: জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে নিষিদ্ধ কালী পুজো! বিক্ষোভ ছাত্রদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশের (Bangladesh) রাজধানী ঢাকার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে নিষিদ্ধ করা হল কালী পুজো। এই বিশ্ববিদ্যালয় ঢাকার অন্যতম প্রাচীন বিশ্ববিদ্যালয়। উল্লেখ্য, এই বিশ্ববিদ্যালয়ের জমিটি একজন হিন্দু জমিদার দান করেছিলেন। হিন্দু সমাজের মানুষের দেওয়া জমির ওপর বিশ্ববিদ্যালয়, অথচ এখানেই আজ সনাতন ধর্মের কালী পুজোকে (Kali Puja) নিষিদ্ধ করেছে প্রশাসন। প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছেন হিন্দু ছাত্র, শিক্ষক এবং কর্মচারীরা। বাংলাদেশে ইউনূসের রাজত্বে হিন্দু ধর্মের মানুষরা যে কতটা বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন, তার আরও একটি বাস্তব চিত্র এই ঘটনা।

    উদ্দেশ্যপূর্ণ ভাবে বন্ধ পুজো (Bangladesh)

    জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যলয়ে (Bangladesh) কালী পুজো বন্ধের নির্দেশের স্বপক্ষে সাফাই গেয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। কর্তৃপক্ষের তরফে এক ব্যক্তি বলেন, “কালী পুজো (Kali Puja) উত্তর ভারতের সংস্কৃতির অংশ।” কিন্তু এই মন্তব্য ঐতিহাসিক ভাবে বাঙালি সংস্কৃতির পরিপন্থী। এটি সম্পূর্ণভাবে রাজনৈতিক চক্রান্ত। শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে বঙ্গে কালীপুজো হয়ে আসছে। তারা, কালিকা, দুর্গা, উমা, ভগবতী বাঙালির শক্তিরূপা দেবী শক্তির প্রতীক। বাংলার সংস্কৃতির সঙ্গে অঙ্গাঙ্গি ভাবে জড়িয়ে রয়েছে এই পুজো। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের হিন্দু ছাত্র এবং অধ্যাপকদের মত খুব স্পষ্ট। হিন্দু সমাজকে নিপীড়ন করতে প্রশাসন পুজো বন্ধ করেছে। ঢাকার বুকেই যদি পুজো বন্ধ হয়, তাহলে দেশজুড়ে কী হবে? সেই প্রশ্নই এখন ঘোরাফেরা করছে বাংলাদেশজুড়ে।

    সামাজিক মাধ্যমেও আন্দোলন

    জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক প্রাক্তন ছাত্র ক্ষোভ উগরে দিয়ে বলেন, “এটা হৃদয়বিদারক ঘটনা। হিন্দু দানশীল ব্যক্তিরা যে বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য জমি দিয়ে গিয়েছেন, এখন বর্তমান প্রশাসনের কর্তৃপক্ষের লোকেরা কালীপুজো বন্ধ করেছেন। এটা কোন ধরনের ধর্ম নিরপেক্ষতা? এই বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি কেন্দ্রীয় উপাসনালয়ের আবেদন জানিয়ে একটি মন্দির স্থাপনের আবেদন জানানো হয়েছিল। তাতেও সম্মতি মেলেনি। ফলে বাংলাদেশে সার্বিকভাবে বৈচিত্র্যময় কাঠামোকে ভেঙে ফেলতেই এই সিদ্ধান্ত। ইতিমধ্যে ছাত্রছাত্রীরা হ্যাসট্যাগ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, কালী পুজোর (Kali Puja) মতো অভিযান শুরু করেছে আন্দোলনকারীরা। উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের ৫ অগাস্ট থেকে হাসিনাকে বিতাড়িত করার পর থেকেই হিন্দু সমাজের ওপর অত্যাচার ক্রমেই বেড়ে চলেছে। সব জেনেশুনেও ইউনূস প্রশাসন (Bangladesh) চুপ!

  • JITO: ২১ কোটি ছাড়ে ১৮৬টি বিলাসবহুল গাড়ি কিনল জৈন গ্রুপ

    JITO: ২১ কোটি ছাড়ে ১৮৬টি বিলাসবহুল গাড়ি কিনল জৈন গ্রুপ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জৈন গ্রুপ ২১ কোটি ছাড়ে ১৮৬টি বিলাসবহুল গাড়ি কিনেছে। এই বিলাসবহুল গাড়িগুলির আনুমানিক দামছিল ৬০ লাখ থেকে ১.৩ কোটির মধ্যে। জৈন ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড অর্গানাইজেশন (JITO)-এর একটি উদ্যোগের অধীনে একাধিক চুক্তিও সম্পন্ন হয়েছে। এই গ্রুপের সারা ভারত জুড়ে মোট ৬৫,০০০জন সদস্য রয়েছেন। দীপাবলি উৎসবে এই গাড়ি ক্রয়-বিক্রয়ের বাজারে এই খবর বিনিয়োগকারীদের জন্য অত্যন্ত সুখবর। সাধারণত উৎসবের মরশুমে গাড়ির বাজারে (Car Business) বিরাট বিনিয়োগের প্রবণতা দেখা যায়। সেই দিক থেকে এই খবর অত্যন্ত আশাব্যাঞ্জক।

    ১৮৬টি উচ্চমানের বিলাসবহুল গাড়ি কিনেছে (JITO)

    ব্যবসা এবং বিনিয়োগে ঐতিহ্যগত ভাবেই বিশেষভাবে পরিচিত জৈন গ্রুপ। এবার দীপাবলির আগে ২১ কোটি টাকার বিশাল ছাড় পেয়েছে এই গ্রুপ। আর তাই বিএমডব্লিউ, অডি এবং মার্সিডিজের মতো ১৮৬টি উচ্চমানের বিলাসবহুল গাড়ি কিনেছে। এভাবে গাড়ি কেনার জন্য গ্রুপের ক্রয় ক্ষমতা একটি অসাধারণ চমকপ্রদ বিষয়। জৈন আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সংস্থা (JITO)-র একটি বিশেষ উদ্যোগের আওতায় এই চুক্তিগুলি করা হয়েছে। আগামীদিনে এই চুক্তির ফলে সরকার এবং বাণিজ্যিক সংস্থা গাড়ির বাজারে (Car Business) বিরাট বিনিয়োগের সম্ভাবনার দিক উন্মোচন করেছে।

    ৮ থেকে ১৭ লাখ টাকা সাশ্রয়

    জৈন আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সংস্থা (JITO)-র সহ-সভাপতি হিমাংশু শাহ এই বিলাসবহুল ব্র্যান্ডগুলির সঙ্গে চুক্তিকে বিশেষ ধরনের চুক্তিপত্রের উল্লেখ করেছেন। এই সংস্থার পক্ষ থেকে বিএমডবলু (BMW) এবং মারসডিস ব্রেঞ্জ (Mercedes)-এর মতো শীর্ষ ব্র্যান্ডের ১৫ জন ডিলারের সঙ্গে সহযোগিতা করবেন বলে মত প্রকাশ করেছেন। তবে দামের বিষয়ে গ্রাহকদের মার্কেটে সুবিধা দিতে আলোচনাও হয়েছে। সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে শাহ বলেন, “বেশিরভাগ বিলাসবহুল গাড়ি গুজরাটের জৈনরা কিনেছিলেন। এই গাড়িগুলির দাম ৬০ লক্ষ থেকে ১.৩ কোটি টাকার মধ্যে ছিল। জানুয়ারি থেকে জুনের মধ্যে গাড়িগুলি ক্রেতাদের হস্তান্তর করা হয়েছে। আমাদের সদস্যদের ২১ কোটি টাকা সাশ্রয় করতে সাহায্য করেছে। সব মিলিয়ে ১৮৬টি গাড়ি কেনা হয়েছিল এবং ২১ কোটি টাকা সাশ্রয় হয়েছে। এটি আবার পরিবারের একজন সদস্যের কাছে আর একটি করে গাড়ি কেনার (Car Business) জন্য যথেষ্ট সহজলভ্য হতে পারে।”

  • Raju Bista: খগেন-শঙ্কর-মনোজের পর এবার দুষ্কৃতী হামলার শিকার রাজু বিস্ত

    Raju Bista: খগেন-শঙ্কর-মনোজের পর এবার দুষ্কৃতী হামলার শিকার রাজু বিস্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শনিবার উত্তরবঙ্গে বন্যা কবলিত মানুষকে ত্রাণ বিলি করে ফেরার পথে এবার দুষ্কৃতীদের হাতে আক্রান্ত দার্জিলিং লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ বিজেপির রাজু বিস্ত (Raju Bista)। বন্যা দুর্গত এলাকা পরিদর্শন করে ফেরার সময় এই বিজেপি নেতার গাড়ি লক্ষ্য করে হামলা করা হয়। এই ঘটনায় দার্জিলিং (Darjeeling) জেলার সুখিয়া পোখরির কাছে মাসধুরায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ায়। উল্লেখ্য, আগে উত্তরবঙ্গে নিপীড়িত মানুষকে ত্রাণ দিতে দিয়ে তৃণমূল দুষ্কৃতীদের তাণ্ডবে গুরুতর জখম হন সাংসদ বিজেপির খগেন মুর্মু, বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ এবং বিধায়ক মনোজ ওঁরাও। এই তালিকায়ই এবার জুড়ে গেল রাজুর নামও।

    পাহাড়ে শান্তি বিঘ্নিত করছে দুষ্কৃতীরা

    এক্স হ্যান্ডেলে রাজু যে অভিযোগ করেছেন, তার তির তৃণমূলের দিকেই। তিনি বলেন, “উত্তরবঙ্গের পাহাড়ে শান্তি বিঘ্নিত করছে দুষ্কৃতীরা। সুখিয়া পোখরির কাছে মাসধুরায় আমার গাড়িতে হামলা করেছে। আমার গাড়ির পিছনে আঘাত করা হয়েছে। এটা কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, পরিকল্পনা করে আমার ওপর আক্রমণ করা হয়েছে। তবে যে বা যারা এই কাণ্ড করেছে, তারা যদি ভাবে বিজেপিকে এই সব করে দমিয়ে রাখা যাবে, তা হলে ভুল হবে। দার্জিলিংয়ের (Darjeeling) উন্নয়ন এবং শান্তি শৃঙ্খলাকে চক্রান্ত করেই ভোটের আগে উত্তপ্ত করেছে তৃণমূল।”

    বড় পাথর দিয়ে আঘাত করা হয়

    সাংসদের (Darjeeling) সঙ্গে থাকা বিজেপি কর্মীদেরও আঘাত করা হয়। রাজুর (Raju Bista) সহযোগী সঞ্জীব লামার গাড়িতেও বড় পাথর ছোড়া হয়। বিজেপির দাবি, অজ্ঞাত পরিচয় দুষ্কৃতীরা আচমকা আক্রমণ করে। তবে এই হামলার ঘটনায় হতাহতের কোনও খবর নেই। সঠিক তদন্ত এবং অপরাধীদের চিহ্নিত করতে জোড়বাংলো থানায় একটি অভিযোগও দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ ইতিমধ্যে সিসিটিভির ফুটেজ খতিয়ে দেখছে। সাংসদ বলেন, “উত্তরবঙ্গের ঘরে ঘরে বিজেপি পৌঁছে গিয়েছে। মানুষকে সব রকম সুবিধা পৌঁছে দেওয়াই একমাত্র কাজ বিজেপির। তৃণমূলের আসল চরিত্র সকলেই বুঝে গিয়েছেন। বিরোধীদলের জনপ্রতিনিধিদের ওপর হামলার সঠিক প্রতিবাদ গ্রাম বাংলার মানুষ আরও কড়াভাবে দেবেন।”

LinkedIn
Share