Author: suman-das

  • Ramakrishna 512: “চৈতন্যকে ভেবে কি অচৈতন্য হয়? — ঈশ্বরকে চিন্তা করে কেউ কি বেহেড হয়?—তিনি যে বোধস্বরূপ!”

    Ramakrishna 512: “চৈতন্যকে ভেবে কি অচৈতন্য হয়? — ঈশ্বরকে চিন্তা করে কেউ কি বেহেড হয়?—তিনি যে বোধস্বরূপ!”

    ৪৯ শ্রীশ্রীরথযাত্রা বলরাম-মন্দিরে

    দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৫, ১৩ই জুলাই
    কামিনী-কাঞ্চনত্যাগ ও পূর্ণাদি
    তেজচন্দ্রের সংসারত্যাগের প্রস্তাব

    ছটা বাজে। গিরিশের ভ্রাতা অতুল, ও তেজচন্দ্রের ভ্রাতা আসিয়াছেন। ঠাকুর (Ramakrishna) ভাবসমাধিস্থ হইয়াছেন। কিয়ৎক্ষণ পরে ভাবে বলিতেছেন, “চৈতন্যকে ভেবে কি অচৈতন্য হয়? — ঈশ্বরকে চিন্তা করে কেউ কি বেহেড হয়?—তিনি যে বোধস্বরূপ!”

    আগন্তুকদের ভিতর কেউ কি মনে করিতেছিলেন যে, বেশি ঈশ্বরচিন্তা করিয়া ঠাকুরের মাথা খারাপ হইয়া গিয়াছে?

    এগিয়ে পড়’—কৃষ্ণধনের সামান্য রসিকতা

    ঠাকুর কৃষ্ণধন (Ramakrishna) নামক ওই রসিক ব্রাহ্মণকে বলিতেছেন — “কি সামান্য ঐহিক বিষয় নিয়ে তুমি রাতদিন ফষ্টিনাষ্টি করে সময় কাটাচ্ছ। ওইটি ঈশ্বরের দিকে মোড় ফিরিয়ে দাও। যে নুনের হিসাব করতে পারে, সে মিছরির হিসাবও করতে পারে।”

    কৃষ্ণধন (সহাস্যে) — আপনি টেনে নিন!

    শ্রীরামকৃষ্ণ—আমি কি করব, তোমার চেষ্টার উপর সব নির্ভর করছে। ‘এ মন্ত্র নয় — এখন মন তোর!’

    “ও সামান্য রসিকতা ছেড়ে ঈশ্বরের পথে এগিয়ে পড়,—তারে বাড়া, তারে বাড়া,—আছে! ব্রহ্মচারী কাঠুরিয়াকে এগিয়ে পড়তে বলেছিল (Kathamrita)। সে প্রথমে এগিয়ে দেখে চন্দনের কাঠ, — তারপর দেখে রূপার খনি,— তারপর সোনার খনি,— তারপর হীরা মাণিক!”

    কৃষ্ণধন — এ-পথের শেষ নাই!

    শ্রীরামকৃষ্ণ — যেখানে শান্তি সেইখানে ‘তিষ্ঠ’।

    ঠাকুর একজন আগন্তুক সম্বন্ধে বলিতেছেন —

    “ওর ভিতর কিছু বস্তু দেখতে পেলেম না। যেন ওলম্বাকুল।”

    সন্ধ্যা হইল। ঘরে আলো জ্বালা হইল। ঠাকুর জগন্মাতার চিন্তা ও মধুর স্বরে নাম করিতেছেন। ভক্তেরা চতুর্দিকে বসিয়া আছেন।

    কাল রথযাত্রা। ঠাকুর আজ এই বাটীতেই রাত্রিবাস করিবেন।

    অন্তঃপুরে কিঞ্চিৎ জলযোগ করিয়া আবার ঘরে ফিরিলেন। রাত প্রায় দশটা হইবে। ঠাকুর মণিকে বলিতেছেন, ‘ওই ঘর থেকে (অর্থাৎ পার্শ্বের পশ্চিমের ছোট ঘর থেকে) গামছাটা আন তো’।

    ঠাকুরের (Ramakrishna) সেই ছোট ঘরটিতেই শয্যা প্রস্তুত হইয়াছে। রাত সাড়ে দশটা হইল। ঠাকুর শয়ন করিলেন।

    গ্রীষ্মকাল। ঠাকুর মণিকে বলিতেছেন(Kathamrita), “বরং পাখাটা আনো।” তাঁহাকে পাখা করিতে বলিলেন। রত বারটার সময় ঠাকুরের একটু নিদ্রাভঙ্গ হইল। বলিলেন, “শীত করছে, আর কাজ নাই।”

  • Dr. S Somanath: এবিভিপির ৭১ তম রাষ্ট্রীয় অধিবেশনে প্রধান অতিথি ড.এস সোমনাথ

    Dr. S Somanath: এবিভিপির ৭১ তম রাষ্ট্রীয় অধিবেশনে প্রধান অতিথি ড.এস সোমনাথ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘের ছাত্র সংগঠন অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের ৭১ তম রাষ্ট্রীয় অধিবেশন অনুষ্ঠিত হতে চলেছে দেবভূমি উত্তরাখণ্ডের দেরাদুনে। এই অধিবেশনের মুখ্য অতিথি হিসেবে থাকবেন ইসরোর প্রাক্তন চেয়ারম্যান ডক্টর এস সোমনাথ (Dr. S Somanath)। তিনি এই অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করবেন। উল্লেখ্য এবিভিপির এই বার্ষিক অনুষ্ঠান প্রত্যেক বছর হয়ে থাকে। এই বছরের অধিবেশনে সারা ভারত থেকে প্রায় ১৫০০ ছাত্র-ছাত্রী প্রতিনিধি যোগদান করবেন বলে জানা গিয়েছে।

    চন্দ্রযান-৩ সাফল্যে সোমনাথ (Dr. S Somanath)

    বিদ্যার্থী পরিষদের অধিবেশনের অর্থ হল কাশ্মীর থেকে কন্যা কুমারী এবং কচ্ছ থেকে কোহিমা পর্যন্ত ভারতের ছাত্রছাত্রীদের মহাসামাগম। আরও ভালো করে বললে, ভারতের সারমর্মকে তুলে ধরা হয় এই অনুষ্ঠানে। সারা দেশের ছাত্রছাত্রীদের উজ্জীবিত করাই প্রধান উদ্দেশ্য। এবারের অধিবেশনে ২৮ নভেম্বর ভাষণ দেবেন এস সোমনাথ (Dr. S Somanath)। তিনি একজন বিশিষ্ট মহাকাশ বিজ্ঞানী। ঐতিহাসিক চন্দ্রযান-৩, আদিত্য এল ওয়ান, সৌর মিশন, এক্সপিওএসএটি উক্ষেপণ এবং আইএনএসএটি সিরিজের জন্য কাজ করে তিনি বিরাট সুখ্যাতি অর্জন করেছেন। ভারতের মহাকাশ জগতে গবেষণায় আমূল পরিবর্তন, প্রগতি এবং উন্নয়নে নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি। বেশ কিছু পরিমাণে স্টার্ট আপের সূচনাও করেছেন তিনি। দেশের বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে কাজ করে বিশ্বের দরবারে ভারতকে অনেক উপরে নিয়ে গিয়েছেন।

    সকলকে অনুপ্রাণিত করবে

    অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের রাষ্ট্রীয় সাধারণ সম্পাদক ডাক্তার বিরেন্দ্র সোলাঙ্কি বলেছেন, “ডক্টর এস সোমনাথের (Dr. S Somanath) মহাকাশ গবেষণা বিশ্বের দরবারে বিরাট কৃতিত্ব পেয়েছে। তিনি ভারতকে বিশ্বের কাছে উন্নত রাষ্ট্রের পর্যায়ের দিকে নিয়ে যাওয়াতে আরও অনেকটা এগিয়ে দিয়েছেন। তাঁর ভাবনা আমাদের অনুপ্রাণিত করবে। তরুণ প্রজন্মকে গবেষণায় আগ্রহ যোগাবে। তাঁকে আমরা আমাদের অধিবেশনে স্বাগত জানাই।”

  • Pm Modi: ২৫ নভেম্বর অযোধ্যার রামমন্দিরে ১৬১ ফুট উঁচুতে গৈরিক ধ্বজ উত্তোলন করবেন মোদি

    Pm Modi: ২৫ নভেম্বর অযোধ্যার রামমন্দিরে ১৬১ ফুট উঁচুতে গৈরিক ধ্বজ উত্তোলন করবেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী ২৫ নভেম্বর অযোধ্যার রামমন্দিরে (Ayodhya Ram Temple) গৈরিক ধ্বজ উত্তোলনের আনুষ্ঠানিক প্রস্তুতি চরম তুঙ্গে। সারা দেশজুড়ে রামভক্তদের মনে এখন ব্যাপক উন্মাদনা। রাম মন্দির নির্মাণের কাজ সম্পূর্ণভাবে শেষ হওয়ার পথে। এই আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানে যোগদান করবেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Pm Modi)। গেরুয়া পতাকা উত্তোলনকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যে দেশের ভর কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে রামনগরী। ইতিমধ্যে শহর জুড়ে নানা আলোকসজ্জা এবং রঙিন আর্টে সাজিয়ে তোলা হয়েছে। দেশের নানা প্রান্ত থেকে হাজার হাজার ভক্ত এবং গণ্যমান্য অতিথিদের আগমন শুরু হয়েছে।

    মন্দির পূর্ণতার দিকে (Ayodhya Ram Temple)

    আযোধ্যা রামমন্দির (Ayodhya Ram Temple) হিন্দু সংস্কৃতির প্রধান ধারক বাহক। রামায়ণের শ্রীরাম এবং অযোধ্যানগরী অত্যন্ত ওতপ্রোত ভাবে জড়িত। রামকে অযোধ্যা ছাড়া কল্পনা করা যেমন অসাধ্য ঠিক তেমনি অযোধ্যাকে ছাড়া রামও অসম্পূর্ণ। ৫০০ বছরের ঐতিহাসিক, সামাজিক, ধর্মীয়, আধ্যাত্মিক এবং সাংস্কৃতিক আন্দোলনের প্রতীক রাম। রাম নাম ছাড়া জগত উদ্ধার সম্ভব নয়। হিন্দু ধর্মের পুনঃজাগরণ এবং রামলালার জন্মস্থানে মন্দির স্থাপনা করা ভারতীয় সনাতন সংস্কৃতির গভীর আস্থা এবং বিশ্বাসের সঙ্গে সম্পর্কিত একটি ভাবনা। ২০২৪ সালে রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা থেকে গৈরিক ধ্বজ উত্তোলনের সময় পর্যন্ত মন্দির যে ক্রমশ পূর্ণ থেকে পূর্ণত্তোমের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে তা অনেকেই রামভক্তরা মনে করছেন। তবে এই গেরুয়া বর্ণের পতাকা শ্রী রামের ধর্মীয় মহিমার প্রতীক। আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে এই পতাকা তৈরি করা হয়েছে।

    ১৬১ ফুট উঁচু শিখরের উপর স্থাপন

    সূর্য, ওঁ এবং কোভিদার গাছের প্রতীক বহন করবে ২২ ফুট বাই ১১ ফুট লম্বা এই পতাকাটি। আনুমানিক ১৬১ ফুট উঁচু শিখরের উপর স্থাপন করা হবে। তবে ৪২ ফুট উঁচু কাঠামো থেকে একটি স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থার মাধ্যমে উঠবে। এই বিরাট পতাকা বা ধ্বজ উত্তোলন করতে দশ সেকেন্ডের মতো সময় লাগবে। উত্তোলনের সময় ব্যবহার করা হবে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি। ধ্বজ উত্তোলনের সময় মন্দিরের ঘণ্টা বাজানো হবে এবং বৈদিক মন্ত্রের প্রতিধ্বনিত দেওয়া হবে। পতাকাটি তিন কিলোমিটার দূর থেকেও আকাশে দেখা যাবে।

    পতাক উত্তোলনের সময় দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Pm Modi) তিন ঘন্টার মতো সময় ব্যয় করে ভ্রমণ করবেন। পথে হনুমানগড়ি এবং রাম লালার গর্ভগৃহে পূজা করবেন। তারপরে সপ্ত মন্দির পরিকোটা, শেষাবতার মন্দির এবং রামায়ণের দেয়ালচিত্র পরিদর্শন একে একে পরিদর্শন করবেন। মন্দির নির্মাণের পিছনে বিভিন্ন প্রযুক্তিবিদ, শ্রমিক, ইঞ্জিনিয়ার, রক্ষীকর্মীদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বার্তালাপ করবেন।

    ৮,০০০ অতিথি আসার সম্ভাবনা

    সামগ্রিক অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি, নিরাপত্তা এবং ভিড় নিয়ন্ত্রণের কারণে ২৫ নভেম্বর জনসাধারণের দর্শনকে স্থগিত করা হয়েছে। ২৬ নভেম্বর থেকে ভক্তদের আবার প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে। পতাকা (Ayodhya Ram Temple) উত্তোলনে দিনব্যাপী উৎসবে প্রায় ৮,০০০ অতিথি আসার সম্ভাবনা রয়েছে, যেখানে মন্দিরে প্রথম রাম-সীতা বিবাহ অনুষ্ঠান দেখানো হবে। এই তীর্থ পুরমে ২,৫০০ দর্শনার্থীর জন্য তাবুতে থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। অন্যদিকে অযোধ্যা জুড়ে ৫,০০০ এরও বেশি কক্ষ বুক করা হয়েছে। রাম মন্দির ট্রাস্ট এই কক্ষগুলির মধ্যে ১,৬০০টি কক্ষকে তাদের নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে সামগ্রিক ভাবে ব্যবস্থা পরিচালনার জন্য।

    রামমন্দিরের এই গৈরিক পতাকা আমেদাবাদে তৈরি করা হয়েছে। পতাকাটি নাইলন প্যারাসুট ফ্যাব্রিক দিয়ে তৈরি, যা তাপ, বৃষ্টি এবং তীব্র বাতাস সহ্য করার জন্য তৈরি। এর ডাবল-কোটেড সিন্থেটিক স্তর আর্দ্রতা শোষণ এবং তাপমাত্রার প্রভাব কমাবে। অন্যদিকে স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থার ফলে পুরোহিতদের উচ্চ শিখরে উঠতে হবে না। তবে শ্রী রামজন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট এখনও ধ্বজ উত্তোলনের সময়সূচী নির্ধারণ করেনি।

    অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি শুরু ২১ নভেম্বর থেকেই

    মন্দির নির্মাণ কমিটির চেয়ারম্যান নৃপেন্দ্র মিশ্র বলেন, “শুভ মুহুর্তটি বেছে নেওয়া হয়েছে কারণ এটি ভগবান রামের (Ayodhya Ram Temple) জন্মের সঙ্গে সম্পর্কিত এবং তাঁর সঙ্গে সম্পর্কিত আচার-অনুষ্ঠানের জন্য সবচেয়ে শুভ সময়গুলির মধ্যে একটি। প্রস্তুতিমূলক অনুষ্ঠানগুলি ২১ নভেম্বর শুরু হবে, মূল অনুষ্ঠান পর্যন্ত যজমানরা কমপ্লেক্সের ভিতরে থাকবেন।

    থাকবেন মোহন ভাগবত এবং যোগী আদিত্য নাথ 

    রাম-সীতা বিবাহ অনুষ্ঠানে নেপালের জনকপুর থেকে অংশগ্রহণ করবেন আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত এবং মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের মতো নেতারা উপস্থিত থাকবেন। তীর্থক্ষেত্র পুরমে ১,৬০০ অতিথির জন্য একটি তাবুর শহর প্রায় প্রস্তুত, যেখানে খাবারের কাউন্টার, প্রসাদের স্টল এবং সরাসরি দেখার জন্য এলইডি স্ক্রিনও থাকবে।”

    মন্দিরের প্রসাদ প্রসঙ্গে নৃপেন্দ্র মিশ্র  আরও বলেন, “রাম লালার উদ্দেশ্যে নিবেদন এবং উপস্থিতদের মধ্যে বিতরণের জন্য ঘি, বেসন এবং শুকনো ফল দিয়ে তৈরি পাঁচশো কেজি লাড্ডু প্রস্তুত করা হচ্ছে। দর্শনার্থীদের জিনিসপত্রের জন্য ১০,০০০ এরও বেশি লকার স্থাপন করা হয়েছে। মন্দিরে প্রবেশ এবং প্রস্থান পথের পাশে দুই কিলোমিটার দীর্ঘ একটি ছাউনি ছায়া এবং আশ্রয় প্রদানের জন্য একটি শেড প্রস্তুত করা হয়েছে। অযোধ্যা এখন চূড়ান্ত প্রস্তুতির মুহূর্তে সেজে উঠছে। সনাতনী ধর্মীয় বিশ্বাস এবং রাষ্ট্রীয় নৈপুণ্যের একটি ঐতিহাসিক চিত্র প্রদর্শনের জন্য প্রস্তুত।

  • SIR: ২৮ বছর পর ‘মৃত’ ব্যক্তিকে পরিবারের সঙ্গে মিলিয়ে দিল এসআইআর

    SIR: ২৮ বছর পর ‘মৃত’ ব্যক্তিকে পরিবারের সঙ্গে মিলিয়ে দিল এসআইআর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসআইআর-এর (SIR) ফলে পরিবারের মৃত ভাবা এক ব্যক্তি তিন দশক পর বাড়িতে ফিরলেন। জানা গিয়েছে ২৮ বছর ধরে তাঁর বাড়ির সঙ্গে সম্পর্ক ছিল না। পশ্চিমবঙ্গ নিবিড় তালিকা সংশোধনের কাজ চলার মধ্যে অবশেষে বাড়ি ফিরে এলেন। ভোটার তালিকায় তাহলে কেন জীবিত ব্যক্তিকে মৃত বলা হয়েছে, নির্বাচনী ভোটার তালিকায় এমন রেকর্ড কীভাবে বা এসেছে। এই রকম নানা প্রশ্নে ব্যাপক শোরগোল পড়েছে উত্তর ২৪ পরগনার বাগদায় (North 24 Parganas)।

    ১৯৯৭ সাল থেকেই নিখোঁজ

    সোমবার বিকেলে সুপ্রিয়া মণ্ডল নিজের বাড়িতেই দরজা খুলে দেখেন, যে পুরুষের শেষকৃত্য সম্পন্ন করেছিলেন, সেই তাঁর স্বামী জগদ্বন্ধু মণ্ডল সশরীরে উপস্থিত। তাঁর বয়স এখন ৫৫, তাঁর বাবা বিজয় মণ্ডল দেখেই তাৎক্ষণিক ভাবে দেখেই চিনতে পেরেছেন ছেলেকে। তবে নির্বাচনী ভোটার তালিকায় জগদ্বন্ধু মণ্ডলের নাম মৃত ঘোষণা করে বাদ দিয়ে দিয়েছিল। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৯৯৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের শীতকালে জগদ্বন্ধু নিজের স্ত্রী এবং ছোট দুই সন্তানকে রেখে নিখোঁজ হয়েছিলেন। এরপর থেকেই নিখোঁজ ডায়েরি, আত্মীয়-স্বজনদের কাছে আবেদন, পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদও চলেছিল লাগাতার। পরে প্রশাসনের তরফে তাঁর মৃত্যু ঘোষণা করলে অসহায় পরিবারটি অবশেষে তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন করতে বাধ্য হয়। প্রায় তিন দশক ধরে পরিবারের তরফে মনে প্রাণে বিশ্বাস করেন যে জগদ্বন্ধু আর কোনও দিন বাড়ি ফিরবেন না।

    জগদ্বন্ধুকে নিয়ে নানা মহলে গুঞ্জন

    এলাকার (North 24 Parganas) বুথ কমিটির সদস্য সমীর গুহ (SIR) বলেন, “বুথ লেভেল অফিসারের কাছে গত ২৮ বছর ধরে জগদ্বন্ধু সম্পর্কে কোনও নথিপত্র এবং তথ্য ছিল না। ২০০২ সালের পর থেকে তাঁর নাম উধাও হয়ে যায়। এইবার এসআইআর আবহে তিনি আবার ফিরে এসেছেন।” তবে এসআইআর-এর জন্য যখন প্রত্যেকে ভোটার আইডি, জমির কাগজপত্র এবং বসবাসের প্রমাণপত্র দেখানোর বিষয় উঠে এসেছে তখনই জগদ্বন্ধুকে পুনরায় বাড়িতে ফিরে আসতে বাধ্য করেছে।

    তবে এলাকাবাসীদের (North 24 Parganas) জগদ্বন্ধুকে নিয়ে নানা গুঞ্জন শুরু হয়েছে। কেউ কেউ বলছেন বাঁকুড়ার ভোটার তালিকায় তাঁর নাম রয়েছে। তবে সেখানে সুলেখা মণ্ডল নামক এক মহিলার সঙ্গে বসবাস করেন। সুলেখার স্বামীর নাম জগদ্বন্ধু মণ্ডল নামেই নথিবদ্ধ। আবার অপর আরেক মহলের মত, জগদ্বন্ধু নিজে সঠিক তথ্য দেননি। গুজরাট, মুম্বই, বাঁকুড়া এবং ছত্তিশগড়ে কাজ করেছেন। তবে সম্প্রতি কাজ হারিয়েছেন তাই ফিরে এসেছেন। এদিকে জগদ্বন্ধুর পুরনো ভোটার লিস্টে (SIR) নাম বাদ গেলেও এইবার সঠিক কাগজ বা উপযুক্ত নথি দিয়ে আবার নিজের নাম তালিকায় তুলতে পারবেন। তবে এই ঘটনাকে ঘিরে রাজ্যে বিরাট শোরগোল পড়েছে।

  • Ramakrishna 511: “ঠাকুর কর্তাভজাদের সম্বন্ধে অনেক কথা বলিলেন,—রূপ, স্বরূপ, রজঃ, বীজ, পাকপ্রণালী ইত্যাদি”

    Ramakrishna 511: “ঠাকুর কর্তাভজাদের সম্বন্ধে অনেক কথা বলিলেন,—রূপ, স্বরূপ, রজঃ, বীজ, পাকপ্রণালী ইত্যাদি”

    ৪৯ শ্রীশ্রীরথযাত্রা বলরাম-মন্দিরে

    দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৫, ১৩ই জুলাই
    কামিনী-কাঞ্চনত্যাগ ও পূর্ণাদি

    তেজচন্দ্রের সংসারত্যাগের প্রস্তাব 

    ঠাকুর তেজচন্দ্রের সহিত কথা কহিতেছেন।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (তেজচন্দ্রের প্রতি) — তোকে এত ডেকে পাঠাই, — আসিস না কেন? আচ্ছা, ধ্যান-ট্যান করিস, তা হলেই আমি সুখী হব। আমি তোকে আপনার বলে জানি, তাই ডাকি।

    তেজচন্দ্র — আজ্ঞা, আপিস যেতে হয়, — কাজের ভিড়।

    মাস্টার (সহাস্যে) — বাড়িতে বিয়ে, দশদিন আপিসের ছুটি নিয়েছিলেন।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—তবে!— অবসর নাই, অবসর নাই! এই বললি সংসারত্যাগ করবি।

    নারাণ—মাস্টার মহাশয় একদিনে বলেছিলেন—wilderness of this world — সংসার অরণ্য।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (মাস্টারের প্রতি)—তুমি ওই গল্পটা বল তো, এদের উপকার হবে। শিষ্য ঔষধ খেয়ে অজ্ঞান হয়ে আছে। গুরু এসে বললেন, এর প্রাণ বাঁচতে পারে, যদি এই বড়ি কেউ খায়। এ বাঁচবে কিন্তু বড়ি যে খাবে সে মরে যাবে।

    “আর ওটাও বল—খ্যাঁচা ম্যাঁচা। সেই হঠযোগী যে মনে করেছিল যে পরিবারাদি — এরাই আমার আপনার লোক।”

    মধ্যাহ্নে ঠাকুর শ্রীশ্রীজগন্নাথদেবের প্রসাদ পাইলেন (Kathamrita)। বলরামের জগন্নাথদেবের সেবা আছে। তাই ঠাকুর বলেন, ‘বলরামের শুদ্ধ অন্ন।’ আহারান্তে কিঞ্চিৎ বিশ্রাম করিলেন।

    বৈকাল হইয়াছে। ঠাকুর ভক্তসঙ্গে (Kathamrita) সেই ঘরে বসিয়া আছেন। কর্তাভজা চন্দ্রবাবু ও রসিক ব্রাহ্মণটিও আছেন। ব্রাহ্মণটির স্বভাব একরকম ভাঁড়ের ন্যায়,—এক-একটি কথা কন আর সকলে হাসে।

    ঠাকুর কর্তাভজাদের সম্বন্ধে অনেক কথা বলিলেন,—রূপ, স্বরূপ, রজঃ, বীজ, পাকপ্রণালী ইত্যাদি।

    ঠাকুরের ভাবাবস্থা—শ্রীযুক্ত অতুল ও তেজচন্দ্রের ভ্রাতা

    ছটা বাজে। গিরিশের ভ্রাতা অতুল, ও তেজচন্দ্রের ভ্রাতা আসিয়াছেন। ঠাকুর ভাবসমাধিস্থ হইয়াছেন। কিয়ৎক্ষণ পরে ভাবে বলিতেছেন, “চৈতন্যকে ভেবে কি অচৈতন্য হয়? — ঈশ্বরকে চিন্তা করে কেউ কি বেহেড হয়?—তিনি যে বোধস্বরূপ!”

    আগন্তুকদের ভিতর কেউ কি মনে করিতেছিলেন যে, বেশি ঈশ্বরচিন্তা করিয়া ঠাকুরের মাথা খারাপ হইয়া গিয়াছে?

    এগিয়ে পড়’—কৃষ্ণধনের সামান্য রসিকতা

    ঠাকুর কৃষ্ণধন (Ramakrishna) নামক ওই রসিক ব্রাহ্মণকে বলিতেছেন — “কি সামান্য ঐহিক বিষয় নিয়ে তুমি রাতদিন ফষ্টিনাষ্টি করে সময় কাটাচ্ছ। ওইটি ঈশ্বরের দিকে মোড় ফিরিয়ে দাও। যে নুনের হিসাব করতে পারে, সে মিছরির হিসাবও করতে পারে।”

  • Saalumarada Thimmakka: ১১৪ বছর বয়সে প্রয়াত গাছেদের মা পদ্মশ্রী সালুমারাদা থিম্মাক্কা

    Saalumarada Thimmakka: ১১৪ বছর বয়সে প্রয়াত গাছেদের মা পদ্মশ্রী সালুমারাদা থিম্মাক্কা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১১৪ বছর বয়সে প্রয়াত হলেন গাছমাতা পদ্মশ্রী সালুমারাদা থিম্মাক্কা (Saalumarada Thimmakka)। বেঙ্গালুরুর এই মহিলা ছিলেন পরিবেশবিদ এবং গাছপ্রেমী (Vrikshamate)। তিনি তাঁর জীবদ্দশায় ৩৮৫টি বটগাছ লাগিয়েছিলেন। পারিবারিক সূত্রে জানা গিয়েছে, তিনি বেশ কিছুদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন, চিকিৎসাও চলছিল। তাঁর মৃত্যুতে পরিবেশবিদদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

    গাছ ছিল তাঁর সন্তান (Saalumarada Thimmakka)

    ১৯১১ সালের ৩০ জুন কর্নাটকে জন্মগ্রহণ করেছিলেন থিম্মাক্কা (Saalumarada Thimmakka) । তাঁর কোনও প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা ছিল না। তা সত্ত্বেও পরিবেশ রক্ষায় উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখে গিয়েছেন তিনি। রামনগর জেলার হুলিকাল এবং কদুরের মধ্যে ৪.৫ কিমি দীর্ঘ রাস্তায় ৩৮৫টি বট গাছের চারা রোপণ করেছেন তিনি। এজন্য জাতীয় ওআন্তর্জাতিক স্তরে বিশেষ খ্যাতি অর্জন করেছিলেন তিনি। থিম্মাক্কা নিঃসন্তান হওয়ায় গাছ লাগানোর মধ্যেই মাতৃত্বকে খুঁজে বেড়াতেন। একজন নারী হয়ে বৃক্ষ রোপণ এবং পরিচর্যার মধ্যে দিয়ে মা হওয়ার শখ পূরণ করেছেন।

    স্নেহময়ী সালুমারাদার কন্নড় ভাষায় অর্থ হল গাছের সারি। কয়েক প্রজন্মের মানুষকে অনুপ্রাণিত করেছিলেন নিজের পরিবেশপ্রেমী ভাবনার দ্বারা। তিনি নিজে বেঁচে থাকাকালীন একাধিক সম্মানে ভূষিত হয়েছিলেন। ২০১৯ সালে তিনি পান পদ্মশ্রী। ইন্দিরা প্রিয়দর্শিনী বৃক্ষমিত্র পুরস্কার পেয়েছিলেন ১৯৯৭ সালে। জাতীয় নাগরিক পুরস্কার পান ১৯৯৫ সালে। ২০১০ সালে হাম্পি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পান নাদোজা পুরস্কার।

    রাজনৈতিক মহলে শোক প্রকাশ

    তাঁর প্রয়াণে শোকের ছায়া রাজনৈতিক মহলেও। কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া শোক প্রকাশ করে বলেন, “বৃক্ষমাতা সালুমারাদা থিম্মাক্কার (Saalumarada Thimmakka) মৃত্যুর খবর পেয়ে আমি দুঃখিত। হাজার হাজার গাছ লাগিয়ে নিজের সন্তানের মতো লালন-পালন করে, থিম্মাক্কা (Vrikshamate) তাঁর জীবনের বেশিরভাগ সময়টা পরিবেশ সংরক্ষণে উৎসর্গ করেছেন।”

    কর্নাটক বিধানসভার বিরোধী দলনেতা আর অশোক বলেন, “আমাদের গর্বিত পদ্মশ্রী পুরষ্কারপ্রাপ্ত বৃক্ষমাতা ডঃ সালুমারা থিম্মাক্কার মৃত্যুর খবর শুনে আমি দুঃখিত। তিনি রাস্তার ধারে বটগাছ রোপণ করেছিলেন এবং ঘোষণা করেছিলেন গাছেরাই আমার সন্তান। থিম্মাক্কার আত্মা চির শান্তিতে বিরাজমান থাকুক। আসুন আমরা পরিবেশ সেবক, রক্ষক এবং আমাদের চারপাশের পরিবেশ লালন-পালনের ক্ষেত্রে তাঁর উদাহরণ অনুসরণ করে শ্রদ্ধা জানাই।”

  • Rohini Acharya: পরিবার-দল ছেড়েছেন লালু কন্যা রোহিণী, দায়ী করেছেন রামিজকে! নেপথ্যে কোন রহস্য?

    Rohini Acharya: পরিবার-দল ছেড়েছেন লালু কন্যা রোহিণী, দায়ী করেছেন রামিজকে! নেপথ্যে কোন রহস্য?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিহারের রাষ্ট্রীয় জনতা দল (আরজেডি) প্রধান লালু যাদবের কন্যা রোহিণী আচার্য (Rohini Acharya) শনিবার ঘোষণা করেছেন যে তিনি রামিজ নিয়ামতের জন্য রাজনীতি ছেড়ে দিয়েছেন, সেই সঙ্গে ত্যাগ করেছেন তাঁর পরিবারকেও। বিধানসভা নির্বাচনে শোচনীয় পরাজয়ের সম্মুখীন হয় আরজেডি। ২৪৩ সদস্যের বিধানসভায় মাত্র ২৫টি আসনে জয়ী হয়েছে লালুপ্রসাদ যাদবের এই দল। আর তারপর থেকেই লালুর পরিবারে শুরু হয়েছে কোন্দল। যদিও নির্বাচনের আগেই বড় ছেলে তেজ প্রতাপ পৃথক দল গড়ে বাড়ি ছেড়েছিলেন।

    লালু কন্যার অভিযোগ (Rohini Acharya)

    রোহিণী (Rohini Acharya) বলেন, “আমি রাজনীতি ছেড়ে দিচ্ছি। আমার (যাদব) পরিবারকেও অস্বীকার করছি। সঞ্জয় যাদব এবং রামিজ় (Rameez Nemat Khan) আমায় এটাই করতে বলেছিলেন। সব দায় আমি মাথা পেতে নিচ্ছি। আমার কোনও পরিবার নেই। আপনাদের তেজস্বী যাদব, সঞ্জয় যাদব এবং রামিজ়কে জিজ্ঞাসা করা উচিত। তাঁরাই আমায় পরিবার থেকে তাড়িয়েছেন। ওঁরা কোনও দায়িত্ব নিতে চান না। সকলে জিজ্ঞাসা করছে, কেন এ ভাবে ধরাশায়ী হল আরজেডি? যখনই সঞ্জয় বা রামিজের কথা বলা হয়, তখনই বাড়ি থেকে বার করে দেওয়া হয়। করা হয় অপমানও।”

    এই রোহিণীই বাবা লালুপ্রসাদকে নিজের একটি কিডনি দিয়েছিলেন। তবে এদিন রোহিণী পরিবার ছাড়ার আগে আরও এক ব্যক্তির নাম নিয়েছিলেন। সেই নামটি হল রামিজ নেমাত খান। রোহিণীর অভিযোগের পর প্রশ্ন ওঠে, এই ব্যক্তিটি কে? যদিও এই নাম বিহারের সংবাদ মাধ্যমের রাজনীতিতে দেখা যায়নি। জানা গিয়েছে, রামিজ নেমাত খান রোহিণীর ভাই তেজস্বী যাদবের পুরানো বন্ধু। তাঁরা দলের একটি অংশ। উভয়ের বন্ধুত্ব ক্রিকেট মাঠ থেকে রাজনীতি পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। তবে আরজেডি সূত্রে খবর, রামিজ তাঁর বন্ধু এবং দলের সোশ্যাল মিডিয়া এবং প্রচার কাজের তত্ত্বাবধান করতেন।

    কে রমিজ (Rameez Nemat Khan)?

    রামিজ নেমাত (Rameez Nemat Khan) খান ১৯৮৬ সালের নভেম্বরে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তাঁর বাবা নেমাতুল্লাহ খান জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক। রমিজ মথুরা রোডের দিল্লি পাবলিক স্কুলে পড়াশোনা করেছেন। জামিয়া থেকে বিএ, এমবিএ পাশ করেন। ছোটবেলা থেকেই তিনি ভালোবাসতেন ক্রিকেট খেলতে। দিল্লি এবং ঝাড়খণ্ডের বিভিন্ন বয়সের দলের হয়েও খেলেছেন। ২০০৮-০৯ সালে তিনি ঝাড়খণ্ড অনূর্ধ্ব-২২ দলের অধিনায়কও ছিলেন। এই সময়ে, তেজস্বী যাদবের সঙ্গে তাঁর বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে, যা পরবর্তী কালে তাঁর রাজনৈতিক কেরিয়ারের সূচনা করেন। ২০১৬ সালে তিনি আরজেডিতে যোগ দেন এবং তখন থেকে তেজস্বী যাদবের দলের একজন গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হিসেবে রয়েছেন।

    সমাজবাদী পার্টিতে লড়াই করেছিলেন

    রামিজ (Rameez Nemat Khan) উত্তরপ্রদেশের বলরামপুর লোকসভা আসনের প্রাক্তন সাংসদ রিজওয়ান জহিরের জামাই। বর্তমানে তাঁর কেন্দ্র শ্রাবস্তী নামে পরিচিত। রমিজের শ্বশুর সমাজবাদী পার্টির টিকিটে এবং মায়াবতীর বহুজন সমাজ পার্টির (বিএসপি) টিকিটে দু’বার সাংসদ হয়েছিলেন। তিনি একবার নির্দল প্রার্থী হিসেবেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। রিজওয়ান এক সময় উত্তরপ্রদেশের সবচেয়ে কম বয়সী বিধায়কও ছিলেন। রামিজের স্ত্রী জেবা রিজওয়ান তুলসীপুর কেন্দ্রে প্রার্থী হয়েছিলেন। যদিও দু’বার হেরে গিয়েছিলেন তিনি। একবার কংগ্রেসের টিকিটে এবং আর একবার জেলে থাকাকালীন নির্দল প্রার্থী হিসেবে দাঁড়িয়েছিলেন।

    ফিরোজ পাপ্পুর হত্যা মামলায় জড়িত

    ২০২১ সালে তুলসীপুরে জেলা পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় রাজনৈতিক সন্ত্রাসে নেতৃত্ব দেওয়ার অভিযোগে অভিযুক্ত রামিজ (Rameez Nemat Khan)। তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক মামলাও রয়েছে। কংগ্রেস নেতা দীপঙ্কর সিং এবং তাঁর অনুগামীদের ওপর আক্রমণের অভিযোগও রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। রয়েছে মারধরের অভিযোগও। ২০২২ সালে, তুলসীপুর নগর পঞ্চায়েতের প্রাক্তন সভাপতি ফিরোজ পাপ্পু হত্যা মামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে রমিজ, তাঁর স্ত্রী, শ্বশুর রিজওয়ান এবং আরও তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। রমিজ এখন বেশ কয়েকটি মামলায় জামিন পেয়েছেন, কিছু মামলা এখনও বিচারাধীন। বলরামপুরে তাঁর বিরুদ্ধে নটি এবং কৌশাম্বিতে দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছিল।

    সুপ্রিম কোর্টে আবেদনের পর কিছুটা স্বস্তিতে

    রামিজের (Rameez Nemat Khan) বিরুদ্ধে আরও যে গুরুতর অভিযোগ আনা হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে, ২০২৩ সালে প্রতাপগড়ের ঠিকাদার শাকিল খানকে হত্যার মামলাও। কুশীনগরে রেললাইনের কাছে মৃতদেহটি পাওয়া গিয়েছিল। ঠিকাদারের স্ত্রীর দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত হন রমিজ। আবার ওই বছরই উত্তরপ্রদেশ সরকার রামিজের নামে কেনা প্রায় ৪.৭৫ কোটি টাকার জমি বাজেয়াপ্ত করে। ২০২৪ সালের জুলাই মাসে তাকে গ্যাংস্টার আইনে গ্রেফতার করা হলেও, পরে জামিন পান। সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টের বিশেষ আদেশের পর থেকে রমিজ দম্পতি আরও অনেক মামলায় স্বস্তি পেয়েছেন। ফলে তাঁদের বিরুদ্ধে এরপর থেকে আর কোনও নতুন মামলা দায়ের হয়নি।

  • Delhi Blast: দিল্লি বিস্ফোরণকাণ্ডে হুন্ডাই আই ২০ গাড়ির অভিযুক্ত চালক ২০ লাখ টাকা পেয়েছিলেন!

    Delhi Blast: দিল্লি বিস্ফোরণকাণ্ডে হুন্ডাই আই ২০ গাড়ির অভিযুক্ত চালক ২০ লাখ টাকা পেয়েছিলেন!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লি বিস্ফোরণের (Delhi Blast) পেছনে থাকা হুন্ডাই আই-২০ গাড়ির (i20 Driver) চালককে এই নাশকতা মূলক কাজের জন্য ২০ লাখ টাকা দেওয়া হয়েছিল। সূত্রের খবর, অভিযুক্ত ওমর মহম্মদ ওরফে উমর নবী হরিয়ানার নুহের একটি বাজার থেকে নগদ অর্থ দিয়ে প্রচুর পরিমাণে সারও কিনেছিল। বিপুল পরিমাণে সারের টাকা এই জঙ্গি কার্যকলাপের জন্যই সে পেয়েছিল বলে তদন্তকারী সংস্থার অনুমান। উল্লেখ্য, গত সোমবার দিল্লির লালকেল্লার সামনে এই ভয়াবহ বিস্ফোরণে অন্তত ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।

    গাড়ি পার্কিংয়ের ভিডিও (Delhi Blast)

    তদন্তকারী অফিসারদের সূত্রে জানা গিয়েছে, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ইতিমধ্যেই হরিয়ানার বেশ কয়েকজন হাওয়ালা ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়েছে। গত ১০ নভেম্বর লালকেল্লার কাছে একটি পার্কিং লটে গাড়ি বিস্ফোরণ (Delhi Blast) ঘটে। আত্মঘাতী ওই জঙ্গি হামলায় নিহত হওয়ার পাশাপাশি জখমও হন অনেকে। বিস্ফোরণের অভিঘাতে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয় আশপাশের গাড়ি এবং বাড়িতেও। বিকট আওয়াজে আশপাশের প্রচুর মানুষ ছুটে আসেন। এলাকায় ছড়ায় আতঙ্ক। প্রাণ বাঁচাতে হুড়োহুড়িও করতে দেখা যায় অনেককে। বিস্ফোরক ভর্তি ওই গাড়িটি (i20 Driver) ওই পার্কিং প্লেসে ঘণ্টা দুয়েক ধরে দাঁড়িয়ে ছিল। ওই পার্কিং লটে থাকা অন্য গাড়িগুলির যাবতীয় বিবরণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেও তদন্ত সংস্থা সূত্রে খবর।

    ১৯৮৯ সালে পুলওয়ামায় জন্ম অভিযুক্তের

    জৈশ-ই-মহম্মদ এবং আনসার গাজওয়াত-উল-হিন্দের সঙ্গে জড়িত একটি হোয়াইট কলার জঙ্গি মডিউলের পর্দা ফাঁস করার সঙ্গে সঙ্গে তিন চিকিৎসককেও গ্রেফতার করা হয়েছে। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ২৯০০ কেজি বিস্ফোরক। এর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ঘটে বিস্ফোরণের ঘটনাটি। জানা গিয়েছে, জঙ্গিদের এই মডিউলের জাল বিস্তৃত কাশ্মীর, হরিয়ানা এবং উত্তরপ্রদেশেও।

    জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত উমর ১৯৮৯ সালে জম্মু-কাশ্মীরের পুলওয়ামায় জন্মেছিল। সে ফরিদাবাদের আল ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসক ছিল। তার সম্পর্কে বিশদে জানতে চলছে তদন্ত। তদন্তকারী অফিসাররা জনিয়েছেন, লালকেল্লা মেট্রো স্টেশনের ভেতর থেকে সিসিটিভি ফুটেজও পাওয়া গিয়েছে। ফলে বাইরের ট্রাফিক সিগন্যালে বিস্ফোরণের (Delhi Blast) ঠিক আগে এবং পরের মুহূর্তগুলির ভিডিও ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। গাড়িচালক হিসেবে অভিযুক্ত উমরের ছবিও দেখা গিয়েছে। গাড়িটি পার্ক করার সময় সে কারও সঙ্গে দেখা করেছিল কিনা বা কথা বলেছিল কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

    বিস্ফোরণের ঘটনায় যুক্ত সন্দেহে প্রাক্তন এক চিকিৎসককেও গ্রেফতার করা হয়েছে। কলেজ থেকে ৩৬০ কেজি অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট উদ্ধার করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) এবং জাতীয় মূল্যায়ন স্বীকৃতি কাউন্সিল (এনএএসি) নিয়ম ভাঙার জন্য ক্রাইম ব্রাঞ্চকে দুটি করে প্রতারণা ও জালিয়াতির অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করার নির্দেশ দিয়েছে।

  • Ramakrishna 510: “আমি আর কি?—তিনি। আমি যন্ত্র, তিনি যন্ত্রী, আমার ভিতর ঈশ্বরের সত্তা রয়েছে! তাই এত লোকের আকর্ষণ বাড়ছে”

    Ramakrishna 510: “আমি আর কি?—তিনি। আমি যন্ত্র, তিনি যন্ত্রী, আমার ভিতর ঈশ্বরের সত্তা রয়েছে! তাই এত লোকের আকর্ষণ বাড়ছে”

    ৪৯ শ্রীশ্রীরথযাত্রা বলরাম-মন্দিরে

    দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৫, ১৩ই জুলাই
    কামিনী-কাঞ্চনত্যাগ ও পূর্ণাদি

    বিনোদ, দ্বিজ, তারক, মোহিত, তেজচন্দ্র, নারাণ, বলরাম, অতুল 

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna) মাস্টারের প্রতি— আচ্ছা, লোকের তিল তিল করে ত্যাগ হয়, এদের কি অবস্থা।

    “বিনোদ বললে, ‘স্ত্রীর সঙ্গে শুতে হয়, বড়ই মন খারাপ হয় (Kathamrita)।’

    “দেখো, সঙ্গ হউক আর নাই হউক, একসঙ্গে শোয়াও খারাপ। গায়ের ঘর্ষণ, গায়ের গরম!

    “দ্বিজর কি অবস্থা! কেবল গা দোলায় আর আমার পানে তাকিয়ে থাকে, একি কম? সব মন কুড়িয়ে আমাতে এল, তাহলে তো সবই হল।”

    ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ কি অবতার? 

    “আমি আর কি?—তিনি। আমি যন্ত্র, তিনি যন্ত্রী। এর (আমার) ভিতর ঈশ্বরের সত্তা রয়েছে! তাই এত লোকের আকর্ষণ বাড়ছে। ছুঁয়ে দিলেই হয়! সে টান সে আকর্ষণ ঈশ্বরেরই আকষর্ণ।

    “তারক (বেলঘরের) ওখান থেকে (দক্ষিণেশ্বর থেকে) বাড়ি ফিরে যাচ্ছে। দেখলাম, এর ভিতর থেকে শিখার ন্যায় জ্বল্‌ জ্বল্‌ করতে করতে কি বেরিয়ে গেল,—পেছু পেছু!

    “কয়েকদিন পরে তারক আবার এল (দক্ষিণেশ্বরে)। তখন সমাধিস্থ হয়ে তার বুকে পা দিলে (Kathamrita)— এর ভিতর যিনি আছেন।

    “আচ্ছা, এমন ছোকরাদের মতন আর কি ছোকরা আছে!”

    মাস্টার — মোহিতটি বেশ। আপনার কাছে দু-একবার গিয়েছিল। দুটো পাশের পড়া আছে, আর ঈশ্বরে খুব অনুরাগ।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)— তা হতে পারে, তবে অত উঁচু ঘর নয়। শরীরের লক্ষণ তত ভাল নয়। মুখ থ্যাবড়ানো।

    “এদের উঁচুঘর। তবে শরীরধারণ করলেই বড় গোল। আবার শাপ হল তো সাতজন্ম আসতে হবে। বড় সাবধানে থাকতে হয়! বাসনা থাকলেই শরীরধারণ।”

    একজন ভক্ত — যাঁরা অবতার দেহধারণ করে এসেছেন(Kathamrita), তাঁদের কি বাসনা — ?

    শ্রীরামকৃষ্ণ (সহাস্যে) — দেখেছি, আমার সব বাসনা যায় নাই। এক সাধুর আলোয়ান দেখে বাসনা হয়েছিল, ওইরকম পরি। এখনও আছে। জানি কিনা আর-একবার আসতে হবে।

    বলরাম (সহাস্যে) — আপনার জন্ম কি আলোয়ানের জন্য? (সকলের হাস্য)

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)— একটা সৎ কামনা রাখতে হয়। ওই চিন্তা করতে করতে দেহত্যগ হবে বলে। সাধুরা চারধামের একধাম বাকী রাখে। অনেকে জগন্নাথক্ষেত্র বাকী রাখে। তাহলে জগন্নাথ চিন্তা করতে করতে শরীর যাবে।

    গেরুয়া পরা একব্যক্তি ঘরে প্রবেশ করিয়া অভিবাদন করিলেন। তিনি ভিতরে ভিতরে ঠাকুরের নিন্দা করেন, তাই বলরাম হাসিতেছেন। ঠাকুর অন্তর্যামী, বলরামকে বলিতেছেন — “তা হোক, বলুকগে ভণ্ড।”

  • Bihar Election Results: “মানুষ উন্নয়ন, সুশাসন এবং জাতীয়তাবাদের পক্ষে ভোট দিয়েছে”, বললেন অলোক কুমার

    Bihar Election Results: “মানুষ উন্নয়ন, সুশাসন এবং জাতীয়তাবাদের পক্ষে ভোট দিয়েছে”, বললেন অলোক কুমার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মানুষ উন্নয়ন, সুশাসন এবং জাতীয়তাবাদের পক্ষে ভোট দিয়েছে। বিহার নির্বাচনের ফল (Bihar Election Results) ঘোষণার পর এমনই প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বিশ্বহিন্দু পরিষদের আন্তর্জাতিক সভাপতি অলোক কুমার। বিহারবাসীর জোরালো জনাদেশে দেশবাসীর কাছে নয়া বার্তা পৌঁছে গিয়েছে বলে মনে করেন হিন্দু সংগঠনের (VHP) এই নেতা। তিনি বলেন, “মুসলিম ভোট ব্যাঙ্কের রাজনীতির চির সমাপ্তি ঘটবে।”

    তোষণের ভেটো ক্ষমতা কমে এসেছে (Bihar Election Results)

    বিহারের নির্বাচন (Bihar Election Results) দেশের রাজনীতিতে মুসলিম তোষণ এবং ভোট অঙ্কের রাজনীতির ভাবনা বদলে দেবে। বিশ্ব হিন্দু পরিষদের (VHP) আন্তর্জাতিক সভাপতি আলোক কুমার বলেন, “সংখ্যালঘুদের ভয় দেখানো এবং মুসলিম ভোট ব্যাঙ্কের প্রথাগত রাজনীতির ধারা আর চলবে না। তোষণের রাজনীতি করে মহাজোট দেশের অভ্যন্তরে ভয়ভীতির পরিবেশ সৃষ্টি করতে চাইছিল। মহারাষ্ট্র থেকে বিহার নির্বাচনের পর্যায় এবং ফল লক্ষ্য করলে দেখা যাবে ভোট ব্যাঙ্কের ভেটো ক্ষমতা অনেকটাই কমে এসেছে। ভারতীয় রাজনীতিতে এই ভাবনার ক্রমপরিণতি অত্যন্ত শুভ লক্ষণ। আমি ব্যক্তিগতভাবে এই ভাবনার পূর্ণ সমর্থক।”

    এনডিএজোটের দ্বিতীয়বার ২০০ পার 

    বিহার নির্বাচনে (Bihar Election Results) মহাজোটের শরিক আরজেডি, কংগ্রেস ব্যাপক ভাবে ভরাডুবির শিকার হয়েছে। একই ভাবে ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোরের জন সুরাজ পার্টিও খুব খারাপ ফল করেছে। তিনি অবশ্য বলেছিলেন, যদি ২৫ সিটের বেশি না পাই তাহলে দল রাজনীতি ছেড়ে দেব। কিন্তু খালি হাতেই ফিরতে হয়েছে পিকে-কে। এদিকে এনডিএ বিহারের ২৪৩টি আসনের মধ্যে ২০২টিতে জয়ী হয়েছে। এ নিয়ে এনডিএ দ্বিতীয়বারের জন্য ২০০ আসন অতিক্রম করতে পেরেছে। ২০১০ সালে এনডিএ জয়ী হয়েছিল ২০৬টি আসনে। তবে বিজেপি এককভাবে ৮৯টি আসন এবং জেডিইউ ৮৫টি আসন পেয়েছে। লোকজনশক্তি পার্টি (রামবিলাস) পেয়েছে ১৯টি, হিন্দুস্তানি আওম মোর্চা ৫টি এবং জাতীয় লোক মোর্চা ৪টি পেয়েছে। আর মহাজোটের শরিক আরজেডি পেয়েছে ২৫টি, সিপিআই (এল)- সিপিআই এমএল ২টি, ইন্ডিয়ান ইনকসুসিভ পার্টি-ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি ১টি,  সিপি আই এম (এম) ১টি আসন। এআইএমআইএম ৫টি এবং বহুজন সমাজবাদী পার্টি ১টি আসনে জয়ী হয়েছে।

LinkedIn
Share