Category: পড়াশোনা

Get updated Education and Career news from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • US Student Visa: রেকর্ড সংখ্যক ভারতীয় পড়ুয়াকে এবছর স্টুডেন্ট ভিসা দেওয়ার পথে আমেরিকা!

    US Student Visa: রেকর্ড সংখ্যক ভারতীয় পড়ুয়াকে এবছর স্টুডেন্ট ভিসা দেওয়ার পথে আমেরিকা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত বছরে মার্কিন কনস্যুলেন্ট রেকর্ড ১ লাখ ৪০ হাজার স্টুডেন্ট ভিসা (US Student Visa) ইস্যু করেছিল ভারতীয় পড়ুয়াদের জন্য। চলতি বছরে এই সংখ্যা আরও ছাপিয়ে যেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবারই ইউএস মিশন ভারতে অষ্টম বার্ষিকী স্টুডেন্ট ভিসা দিবস পালন করেছে। এই অনুষ্ঠানটি নয়াদিল্লি, চেন্নাই, হায়দরাবাদ, কলকাতা এবং মুম্বইয়ে অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে হাজির ছিলেন বিভিন্ন মার্কিন কনস্যুলার এবং স্টুডেন্ট ভিসা আবেদনকারীরা। সকাল থেকেই রাজধানী দিল্লিতে মার্কিন দূতাবাসে ব্যাপক লাইন দেখা যায়। আমেরিকার বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে প্রচুর সংখ্যক ভারতীয় পড়তে যান।

    ভারপ্রাপ্ত কনস্যুলার জেনারেল সৈয়দ মুজতবা আন্দ্রাবি কী জানালেন

    নয়াদিল্লিতে মার্কিন দূতাবাসের ভারপ্রাপ্ত কনস্যুলার জেনারেল সৈয়দ মুজতবা আন্দ্রাবি জানিয়েছেন, ভারতবর্ষ হল সেই সমস্ত দেশগুলির মধ্যে অন্যতম যেখান থেকে সব থেকে বেশি পড়ুয়া আমেরিকায় পড়তে যায়। গত বছরে এনিয়ে আমরা রেকর্ড (US Student Visa) স্পর্শ করতে পেরেছি, যখন ভারতের এক লাখ চল্লিশ হাজার পড়ুয়া আমেরিকাতে পড়তে যাওয়ার জন্য স্টুডেন্ট ভিসা নিয়েছেন। এই বছরে এই সংখ্যা আরও বাড়তে চলেছে। জানা গিয়েছে, ২০২৩ সালের স্টুডেন্ট ভিসা ২০১৮, ২০১৯ ও ২০২০ সালের মোট স্টুডেন্ট ভিসাকেও ছাপিয়ে গিয়েছে। সৈয়দ মুজতবা আন্দ্রাবি আরও জানিয়েছেন, আমেরিকাতে সাধারণত জুন মাসে পড়ুয়াদের গ্রীষ্মকালীন সেশন শুরু হয়। তবে চলতি বছরে তা মে মাস থেকেই শুরু করা হবে। এটি অগাস্টের শেষ পর্যন্ত চলবে। জানা গিয়েছে, এমন সিদ্ধান্তের কারণ শুধুমাত্র বেশি সুযোগ দেওয়ার জন্যই। যাতে আরও অধিক সংখ্যক ছাত্রছাত্রীর সুযোগটা নিতে পারে।

    প্রত্যেক পড়ুয়া ভারতের জন্য একজন রাষ্ট্রদূত 

    ভারতীয় ছাত্রদের প্রশংসা করে আন্দ্রাবি আরও জানিয়েছেন, প্রত্যেক পড়ুয়া ভারতের জন্য একজন রাষ্ট্রদূত। একসঙ্গে আমরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ভারতের সম্পর্ককে এভাবেই এগিয়ে নিয়ে চলেছে। জানা গিয়েছে, বর্তমানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় ২ লাখ ৭০ হাজার ভারতীয় পড়ুয়া (US Student Visa) রয়েছেন, মোট আন্তর্জাতিক ছাত্রদের নিরিখে এই সংখ্যা এক চতুর্থাংশেরও বেশি। প্রসঙ্গত, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাড়ে চার হাজারেরও বেশি স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভারতীয় পড়ুয়ারা পাঠ নেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • JEE 2024 Toppers: জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষায় সাফল্যের চাবিকাঠি কী? জানাল এছরের দুই কৃতি ছাত্র

    JEE 2024 Toppers: জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষায় সাফল্যের চাবিকাঠি কী? জানাল এছরের দুই কৃতি ছাত্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘কঠোর অধ্যয়ন এবং শিক্ষকদের পরামর্শ অনুসরণ’-এই নীতি মেনে চললে সাফল্য নিশ্চিত, জানালেন এবছরের জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষার কৃতি ছাত্র বেদ লাহোতি। গত ৯ জুন জয়েন্ট এন্ট্রান্স এক্সামিনেশন (JEE) অ্যাডভান্সড ২০২৪-এর ফলাফল ঘোষণা করেছে ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি (IIT) মাদ্রাজ। আর সেই পরীক্ষাতেই শীর্ষস্থান অধিকার (JEE 2024 Toppers) করেছেন আইআইটি দিল্লির বেদ লাহোতি। তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ৩৫৫। আর তারপরেই দ্বিতীয় স্থানাধিকারী আদিত্য। তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ৩৪৬।  
    এবছর ২৬ মে জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ৭,৯৬৪ জন মহিলা প্রার্থী সহ মোট ৪৮,২৪৮ জন পরীক্ষার্থী সফলভাবে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন। অর্থাৎ ৪৮,২৪৮ জন পরীক্ষার্থীকে পেছনে ফেলে সফলতার শিখরে (JEE 2024 Toppers) পৌঁছেছেন বেদ ও আদিত্য। জানা গিয়েছে, ১৮০,২০০ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে যাঁরা পেপার ১ এবং পেপার ২ উভয়ের জন্য উপস্থিত হয়েছিলেন তাঁদের মধ্যে বেদ প্রথম স্থানাধিকারী।    

    সফলতা নিয়ে বেদের মন্তব্য (JEE 2024 Toppers) 

    পরীক্ষায় সফলতার পর তাঁর কৃতিত্ব নিয়ে বেদ লাহোতি জানিয়েছিলেন, প্রথম প্রচেষ্টাতেই শীর্ষস্থান অর্জন করার খবরে বিস্মিত হয়েছিলেন তিনি।  তিনি বলেন, “আমি ভাল ফলাফল, ভাল নম্বরের আশা করছিলাম, কিন্তু অল ইন্ডিয়ায় ১ নম্বর র‍্যাঙ্ক আশা করিনি।” 

    আরও পড়ুন: পুজোয় বেড়াতে যাওয়ার প্ল্যান রয়েছে? এখনও টিকিট কাটা না হলে জেনে নিন রেলের এই নতুন উদ্যোগ

    পরীক্ষা প্রস্তুতির কৌশল ভাগ করে নিল শীর্ষ স্থানাধিকারীরা 

    এ প্রসঙ্গে (JEE Preparation Strategies) বেদ বলেন, ” আমার জেইই প্রস্তুতির জন্য, আমি ২ বছর আগে কোটায় এসেছিলাম। এখানে আমি আমার শিক্ষকদের নির্দেশনায় এবং মা বাবার বিপুল সমর্থনে প্রস্তুতি শুরু করি। শিক্ষকরা আমাকে যা কিছু পরামর্শ দিয়েছিলেন আমি সেটাই করেছিলাম। তাই আজ আমি এখানে পৌঁছেছি।” অন্যদিকে, দ্বিতীয় স্থানাধিকারী আদিত্য জানিয়েছেন, ছোটবেলা থেকেই ইঞ্জিনিয়ারিং-এর প্রতি তাঁর ভালোলাগা ছিল। পদার্থবিদ্যায় তাঁর অনুরাগ, বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা এবং মডেল প্রস্তুতির প্রতি আকর্ষণ তাঁকে যথেষ্ট প্রেরণা জুগিয়েছে। আদিত্য জানান, তাঁর দিদির থেকে সে প্রভাবিত হয়েছিল। কারণ, তাঁর দিদি বর্তমানে আইআইটি দিল্লিতে ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং শাখায় বিটেক করছেন। তাই তাঁর থেকেই অনুপ্রাণিত হয়ে আদিত্যরও স্বপ্ন ছিল আইআইটি থেকে ডিগ্রি নেওয়ার।  তাই সকল পরীক্ষার্থীরা শুধু মন দিয়ে লক্ষ্য স্থির রেখে একাগ্র চিত্তে পড়াশোনা করে যাও। সফলতা ঠিকই আসবে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • CBSE: ইন্টারনাল অ্যাসেসমেন্টের নম্বর নিয়ে দু’নম্বরি করেছে স্কুলগুলি! বড় দাবি সিবিএসই-র

    CBSE: ইন্টারনাল অ্যাসেসমেন্টের নম্বর নিয়ে দু’নম্বরি করেছে স্কুলগুলি! বড় দাবি সিবিএসই-র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পরীক্ষার নম্বর নিয়েই দু’নম্বরি করার অভিযোগ উঠল সিবিএসই-র (CBSE) পরীক্ষায়। দিল্লির এই বোর্ডের কর্মকর্তাদের ধারণা দশম-দ্বাদশে ইন্টারনাল অ্যাসেসমেন্টের নম্বরে ব্যাপক কারচুপি হয়েছে এবং এই কারচুপির পিছনে রয়েছে স্কুলগুলি। সিবিএসই-র কর্তাদের মতে স্কুলগুলি পরীক্ষার্থীদের খাতায় আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা এআই কাজে লাগিয়ে দেখা গিয়েছে প্র্যাকটিক্যাল এবং থিওরির পেপারের নম্বরের মধ্যে ব্যাপক অমিল রয়েছ।

    ইন্টারনাল অ্যাসেসমেন্টে নম্বর বাড়িয়ে দেওয়র অভিযোগ

    সিবিএসই (CBSE) সূত্রে জানা গিয়েছে, যে সমস্ত পড়ুয়ারা স্কুলের হাতে থাকা ইন্টারনাল অ্যাসেসমেন্টে ভালো নম্বর পেয়েছে তাঁরাই আবার বোর্ডের থিওরি পরীক্ষায় খারাপ ফল করেছে। ভালো ছাত্র-ছাত্রী বা যুক্তি-তর্কের জায়গায় এই তারতম্য হওয়ার কথা নয়। এখানেই প্রশ্ন উঠছে স্কুলের হাতে থাকা ইন্টারনাল অ্যাসেসমেন্টের স্বচ্ছতা নিয়ে। এক্ষেত্রে স্কুলে হাতে থাকা ইন্টারনাল অ্যাসেসমেন্ট এর স্বচ্ছতা ও নির্ভরযোগ্যতা ফিরিয়ে আনতে বেশ কিছু গাইডলাইন পাঠানো হচ্ছে স্কুলগুলিকে। যাতে আগামীতে এই ধরণের গরমিল না করা হয়। সিবিএসই মনে করছে সারা দেশের ৫০০-র বেশি স্কুল ৫০ শতাংশর বেশি ছাত্রছাত্রীকে ইন্টারনাল অ্যাসেসমেন্টের মাধ্যমে বেশি নম্বর পাইয়ে দিয়েছে স্কুল। বোর্ডের পড়ুয়াদের মোট নম্বরের একটা বড় অংশ স্কুলের হাতে থাকে। সেখানে প্রাকটিক্যাল ও প্রজেক্টের মাধ্যমে স্কুল নিজেদের ছাত্র-ছাত্রীদের মূল্যায়ন করে থাকে। সেই মূল্যায়নের নম্বর বোর্ডের কাছে পরবর্তীকালে জমা দেওয়া হয়। সব মিলিয়ে চূড়ান্ত নম্বর দেওয়া হয় ছাত্রছাত্রীদের।

    আরও পড়ুন: এবার থেকে বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে বছরে দুবার ভর্তির সুযোগ! বড় সিদ্ধান্ত ইউজিসির

    এক্ষেত্রে কলকাতার নামকরা সিবিএসই স্কুল ভারতী বিদ্যাভবনের প্রিন্সিপাল অরুণ দাশগুপ্ত বলেন, “যদি সত্যিই গরমিল হয়ে থাকে তাহলে পড়ুয়ারা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। পরবর্তী ক্লাসে ভর্তির ক্ষেত্রে অসুবিধার পাশাপাশি পরবর্তী ক্লাসে তাঁদের পড়া বুঝতে অসুবিধা হতে পারে। কেউ যদি মনে করে স্কুলগুলি এই গরমিল করেছে তাহলে সেই স্কুলগুলোর নাম প্রকাশে তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।”

    কী ব্যবস্থা নিল সিবিএসই (CBSE)

    এক্ষেত্রে সিবিএসই স্কুলগুলির নাম প্রকাশ্যে না আনলেও অ্যাডভাইজরি জারি করেছে। যাতে আগামী দিনে এই ধরনের গরমিল ঠেকানো যায়। এছাড়াও শিক্ষা ক্ষেত্রে মানোন্নয়নের জন্য বোর্ডের তরফে একটা ক্লাসে সর্বোচ্চ কতজন ছাত্র ভর্তি নেওয়া যাবে তাও জানানো হয়েছে। ছাত্রের সঙ্গে শিক্ষকের অনুপাত কী হবে সেসব বিষয়ে গাইডলাইন দিয়েছে (CBSE) বোর্ড। এক্ষেত্রে উল্লেখ্য স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের মার্কস বাড়িয়ে দেওয়ার রোগ শুধুমাত্র সিবিএসইতে রয়েছে এমনটা নয়। পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদ এবং উচ্চ শিক্ষা সংসদেও এই অভিযোগ উঠেছে এর আগেও। ২০২১ সালে করোনা কালে মাধ্যমিক পরীক্ষা হয়নি। সেবার স্কুলকে এই নম্বর দিতে বলা হয়েছিল। তখন দেখা যায় ২৫০ জন ছাত্রছাত্রী মাধ্যমিকে ফুল মার্কস পেয়েছিল। পরে বোর্ডে সন্দেহ হওয়ায় মার্কস ট্যাবুলেশন শিট চেয়ে পাঠানো হয়। পরে সেই সংখ্যা ২৫০ থেকে ৭৯তে নেমে আসে। এমনকী, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্গত কলেজের প্রাকটিক্যাল পরীক্ষার যে নম্বর কলেজের হাতে থাকে, সেখানেও দেখা যায় ছাত্র-ছাত্রীদের বাড়তি নম্বর দেওয়া হয়। অনেক সময় এক্ষেত্রে নেপোটিজম বা স্বজনপোষণের অভিযোগও ওঠে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • UGC: এবার থেকে বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে বছরে দুবার ভর্তির সুযোগ! বড় সিদ্ধান্ত ইউজিসির

    UGC: এবার থেকে বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে বছরে দুবার ভর্তির সুযোগ! বড় সিদ্ধান্ত ইউজিসির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার থেকে বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে বছরে দুবার ভর্তির (Biannual Admission In Universities) সুযোগ পাবেন পড়ুয়ারা, জানিয়েছে ইউজিসি (UGC)। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে জুলাই-আগস্ট এবং জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি এই দুইবার বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে ভর্তির প্রক্রিয়া শুরু করার নির্দেশিকা দিয়েছে। তবে এই নির্দেশিকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপর চাপিয়ে দেওয়া হবে না।

    নয়া সিদ্ধান্তে কারা উপকৃত হবেন?

    এক একটি রাজ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি ও ফল প্রকাশের সময় আলাদা। ফলে এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে উচ্চশিক্ষার জন্য যারা যাবেন তাঁরা এর ফলে উপকৃত হবেন। একই সঙ্গে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ফল প্রকাশের দেরি হলে অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়া সুযোগ হাতছাড়া হবে না। অনেক ক্ষেত্রে পড়ুয়াদের পছন্দসই বিশ্ববিদ্যালয় ফল প্রকাশের বিলম্বের জেরে ভর্তির ক্ষেত্রে এক বছর অপেক্ষা করতে হত। এবারে সেসব দিন অতীত।ইউজিসির (UGC) সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, অসুস্থতা বা ব্যক্তিগত কারণে জুলাই-আগস্টে বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি হতে পারেননি, তাঁরাও ছয়মাসের ব্যবধানে জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি (Biannual Admission In Universities) শিক্ষাবর্ষে বিশ্ববিদ্যালয় পড়ার সুযোগ পাবেন। ফলে বছরে দুবার ভর্তির প্রক্রিয়া হলে কোনও পড়ুয়ারই গোটা বছর নষ্ট হবে না। বছরে দুবারে ক্যাম্পাসে নিয়োগের পরীক্ষাও চালানো হবে। সেই মত  ক্লাসরুম, গবেষণাগার পর্যাপ্ত সংখ্যক শিক্ষকের ব্যবস্থাও রাখতে বলা হয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিকে।

    নয়া সিদ্ধান্ত কবে থেকে কার্যকর হবে? (Biannual Admission In Universities)

    প্রসঙ্গত পৃথিবীর বহু দেশে বিশ্ববিদ্যালয় বছরের দুবার ভর্তির প্রক্রিয়া চালু রয়েছে। ভারতে এরকম চালু হলে আখেরে দেশের পড়ুয়াদের সুবিধে হবে (UGC)। বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়গুলির সঙ্গে দেশের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি সংযোগ বৃদ্ধি হবে। দুই দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরস্পরের মধ্যে পড়ুয়া বিনিময় করতে পারবে সহজে। গোটা বছর নষ্ট হবে না। প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারবেন তাঁরা। তবে এখনও সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে কিছু পরিকাঠামোতে বদল আনতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে কারণ দ্বিবার্ষিক ভর্তি প্রক্রিয়া (Biannual Admission In Universities)  চালু করলেই হবে না, সেই মতো পরিকাঠামো রাখতে হবে। প্রশাসনিক বিষয়টিও দেখতে হবে।

    আরও পড়ুন: নিট-এ দেশের সেরা বাংলার রূপায়ণ- সক্ষম, দুজনেই এইমসে পড়তে চান

    বর্তমানে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির যা সম্পদ রয়েছে তার ব্যবহারের পাশাপাশি পরিকাঠামোতে বৃদ্ধি আনার পরিকল্পনারও প্রয়োজন রয়েছে। যারা ভিন্ন সময়ে ভর্তি হবেন তাদের পড়াশোনার জন্য যথেষ্ট ব্যবস্থা রাখতে হবে। শিক্ষাকর্মী, শিক্ষক, ক্লাসরুম এবং রুটিন প্রস্তুত করতে হবে। কিছু রাজ্যে কেন্দ্র-রাজ্য সম্পর্ক গোটা প্রক্রিয়ায় বাধা হতে পারে। আরও জানা গিয়েছে, উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি এই বছরে দুবার (Biannual Admission In Universities) করে আগাম ভর্তি করাতে বাধ্য নয়। এ ব্যবস্থা চালু হলে নিয়মে প্রয়োজনীয় বদল করা হবে (UGC)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • 18th Lok Sabha: নেই কোনও নিরক্ষর সাংসদ! ১৮তম লোকসভায় ৮০ শতাংশ সদস্যই স্নাতক

    18th Lok Sabha: নেই কোনও নিরক্ষর সাংসদ! ১৮তম লোকসভায় ৮০ শতাংশ সদস্যই স্নাতক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সম্প্রতি গঠিত হল দেশের নতুন সরকার। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি নেতৃত্বাধীন জাতীয় উন্নয়ন জোট এনডিএ-এর ২৯৩ জন সাংসদ নির্বাচিত হয়েছেন। বিভিন্ন এক্সিট পোল যা পূর্বাভাস দিয়েছিল তার চেয়ে ভাল পারফরম্যান্স করেছে। বিরোধী জোটের ২৩২ জন সাংসদ ১৮তম লোকসভার (18th Lok Sabha) অংশ হতে চলেছেন। তবে লোকসভায় নির্বাচিত এই নতুন সাংসদদের শিক্ষাগত মান (MPs Educational Qualification) কত? জানা গিয়েছে নবনির্বাচিত ১৮তম লোকসভায় কোনও নিরক্ষর সাংসদ তো নেই-ই, উপরন্তু প্রায় ৮০ শতাংশ সাংসদের শিক্ষাগত মান স্নাতক এবং কেউ কেউ স্নাতকোত্তর।  

    নতুন লোকসভায় শিক্ষাগত যোগ্যের তালিকা 

    নব-নির্বাচিত ৫৪৩ জন সাংসদের মধ্যে সিংহভাগই উচ্চ-শিক্ষিত। নির্বাচিত সাংসদদের শিক্ষাগত বিভিন্ন ডিগ্রি রয়েছে। একটি রিপোর্ট অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, বিজয়ী প্রার্থীদের মধ্যে প্রায় ১৯ শতাংশ প্রার্থীর  শিক্ষাগত যোগ্যতা পঞ্চম শ্রেণী থেকে দ্বাদশ শ্রেণীর মধ্যে। বাকি সকলেই উচ্চশিক্ষিত। ১৮তম লোকসভার (18th Lok Sabha) ৫ শতাংশ সাংসদের ডক্টরেট ডিগ্রি রয়েছে, যার মধ্যে তিনজন মহিলা সাংসদ রয়েছে। 

    শিক্ষাগত যোগ্যতার দল-ভিত্তিক বিশ্লেষণ 

    লোকসভায় নবনির্বাচিত (18th Lok Sabha) সাংসদের শিক্ষাগত যোগ্যতা অনুযায়ী ভারতীয় জনতা পার্টির (BJP) ২৪০ জন সাংসদের মধ্যে ৬৪ জন স্নাতক এবং ৪৯ জন স্নাতকোত্তর। কংগ্রেসের  ৯৯ জন সাংসদের মধ্যে ২৪ জন স্নাতক ও ২৭ জন স্নাতকোত্তর। এছাড়াও ২১ জন সাংসদের স্নাতক ডিগ্রি রয়েছে। অন্যদিকে ১০৫ জন সাংসদ সদস্যের শিক্ষাগত যোগ্যতা (MPs Educational Qualification) পঞ্চম থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত রয়েছে। তবে এটাও উল্লেখ করা দরকার যে, পুরনো দলের কোনো সাংসদের শিক্ষাগত যোগ্যতা দশম শ্রেণি পাশের নিচে নেই। এই গোষ্ঠীতে বিভিন্ন দলের সদস্যও রয়েছে যেমন সমাজবাদী পার্টির (SP) ৬জন সাংসদ সহ আরও অনেকে।  

    আরও পড়ুন: জমকালো অনুষ্ঠানে ফের প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ মোদির, মন্ত্রিসভায় কারা?

    এছাড়াও উচ্চ শিক্ষার জন্য, ১৪৭ জন সাংসদ স্নাতক ডিগ্রিধারী এবং আরও ১৪৭ জনের স্নাতকোত্তর যোগ্যতা রয়েছে। উপরন্তু, স্নাতক এবং ডিপ্লোমা যোগ্যতা সহ ৯৮ জন সাংসদ রয়েছেন। ফলে এই গোটা বিষয়টি সংসদের মধ্যে শিক্ষাগত (MPs Educational Qualification) বৈচিত্র্যকে আরও জোরদার করেছে। নতুন লোকসভায় কলেজে পড়া সাংসদের সংখ্যাও বেড়েছে। সর্বোপরি লক্ষ্য করলে দেখা যাবে বর্তমানে লোকসভায় ধীরে ধীরে নিরক্ষর সাংসদের তালিকা কমছে। স্নাতক নন এমন সাংসদের তালিকা ১৭ তম লোকসভার ২৭ শতাংশ থেকে ১৮তম লোকসভায় (18th Lok Sabha) ২২ শতাংশে নেমে এসেছে। এই লোকসভার ৭৮ শতাংশ সাংসদ কমপক্ষে স্নাতক শিক্ষা সম্পন্ন করেছেন।  নবনির্বাচিত নারী সংসদ সদস্যদের ক্ষেত্রেও এই অনুপাত একই। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • NEET Exam 2024: নিট-এ দেশের সেরা বাংলার রূপায়ণ- সক্ষম, দুজনেই এইমসে পড়তে চান

    NEET Exam 2024: নিট-এ দেশের সেরা বাংলার রূপায়ণ- সক্ষম, দুজনেই এইমসে পড়তে চান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মেডিক্যালে ভর্তির সর্বভারতীয় প্রবেশিকা নিট-এ (NEET Exam 2024) দেশের সেরাদের মধ্যে রয়েছেন রাজ্যের তিনজন। এরমধ্যে মুর্শিদাবাদের বহরমপুরের রূপায়ণ মণ্ডল এবং শিলিগুড়ির সক্ষম আগরওয়াল। এছাড়া কলকাতার একজন রয়েছেন। তিনজনই ৭২০ নম্বরের মধ্যে ৭২০ নম্বর পেয়েছেন। দেশের মধ্যে সেরা হওয়ায় পরিবারে খুশির হাওয়া।

    ভালো সার্জেন হতে চান রূপায়ন (NEET Exam 2024)

    পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, রূপায়ণের বাড়ি মুর্শিদাবাদের বহরমপুরে। তিনি মাধ্যমিকে ৯৮ শতাংশ নম্বর পেয়েছিলেন। উচ্চমাধ্যমিকে ৯৫ শতাংশ নম্বর পান। তিনি লালবাগ নবাব বাহাদুর ইনস্টিটিউশনের ছাত্র। যদিও মাধ্যমিকে ডন বস্কো স্কুল থেকে পড়াশুনা করেছেন। বাবা জ্যোতিকান্ত মণ্ডল পেশায় স্কুল শিক্ষক। তিনি ছোট থেকেই ছেলেকে পড়াতেন। পড়াশুনার পাশাপাশি গল্পের বই পড়তে তিনি ভালোবাসেন। মা রুবি বিশ্বাসও পেশায় শিক্ষিকা। তিনি বলেন, পড়াশোনা চালানোর পাশাপাশিই ‘নিট’-এর (NEET Exam 2024) প্রস্তুতির জন্য একটি কোচিংয়েও যোগ দেয়। সেখানে নিয়মিত মক টেস্ট সে দিত। পড়াশুনার পাশাপাশি এই প্রস্তুতি চালানো বেশ কঠিন ছিল। ছেলের এই সাফল্যে আমরা গর্বিত। ও একজন ভালো সার্জেন হতে চায়।

    সফলতা নিয়ে কী বার্তা দিলেন সক্ষম?

    শিলিগুড়ির সক্ষম আগরওয়ালের পড়াশোনায় প্রিয় বিষয় পদার্থবিদ্যা হলেও পেশায় এক জন সফল চিকিৎসক হতে চান সক্ষম। ‘নিট’-এ বহরমপুরের রূপায়নের মতো ৭২০ পেয়ে দেশের সেরা হয়েছেন তিনি। শিলিগুড়ির মাটিগাড়ার একটি উপনগরীর বাসিন্দা। সক্ষমের বাবা চেতন আগরওয়াল পেশায় চিকিৎসক। অ্যানাস্থেসিস্ট হিসাবে তিনি একটি নার্সিংহোমে কাজ করছেন। সক্ষমের মা মায়া কুমারী গৃহবধূ। বিহারের মধুরপুরায় জন্ম সক্ষমের। ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ার সময় শিলিগুড়িতে চলে আসা। এখানে দাগাপুরে সিবিএসসি বোর্ডের একটি স্কুলে পড়াশোনা। একাদশ শ্রেণিতে নির্মাণ বিদ্যাজ্যোতি স্কুলে ভর্তি হন সক্ষম। স্কুলে পড়াশোনা চালানোর পাশাপাশিই ‘নিট’-এর (NEET Exam 2024) প্রস্তুতির জন্য একটি কোচিংয়েও যোগ দেন তিনি। স্কুলের সঙ্গে দুই বছর কোচিংয়ের পড়ার তাল মেলানো কঠিন ছিল। সক্ষমের কথায়, “নতুন চ্যাপ্টার পড়ার সঙ্গে কিন্তু পুরনো পড়াগুলো নিয়মিত ঝালিয়ে নিতে হবে। না হলে ভুলে গেলে পরিশ্রম মাটি হবে। তাই নিয়মানুবর্তিতা খুবই জরুরি।” খুব কঠিন হলে বাড়িতে ছয়-সাত ঘণ্টা পড়ার জন্য রাখতেন সক্ষম।

    দিল্লির এইমস-এ সক্ষম পড়তে চান

    প্রস্তুতির সময় গল্পের বইপড়া বা সিনেমা দেখে সময় নষ্ট করতে রাজি নন সক্ষম। তাই সমাজমাধ্যম থেকেও নিজেকে সংযত করে রাখতেন। পড়ার ফাঁকে কখনও ফুটবল বা ব্যাডমিন্টন বা টেবল টেনিস খেলতে ভালবাসেন তিনি। সক্ষমের সাফল্যে খুশি বাবা চেতন আগরওয়াল। তিনি বলেন, “চিকিৎসক হিসাবে একদিন মানুষের উপকার করবে সেটাই আশা করি।” দিল্লির এমস-এ সক্ষম পড়তে চান। এখন সেই প্রস্তুতি চলছে ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • WBJEE Result 2024: প্রকাশিত হল রাজ্য জয়েন্টের ফল, মেধাতালিকায় জায়গা পেলেন কারা?

    WBJEE Result 2024: প্রকাশিত হল রাজ্য জয়েন্টের ফল, মেধাতালিকায় জায়গা পেলেন কারা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রকাশিত হল রাজ্য জয়েন্ট এন্ট্রান্স (WBJEE Result 2024) পরীক্ষার ফল। ৬ জুন, বৃহস্পতিবার দুপুর আড়াইটেয় একটি সাংবাদিক বৈঠকের মাধ্যমে ফল ঘোষণা করা হল। এদিন ওয়েস্ট বেঙ্গল জয়েন্ট এন্ট্রান্স এগ্‌জামিনেশন বোর্ড (ডব্লিউবিজেইইবি)-এর সভাপতি মলয়েন্দু সাহা ঘোষণা করলেন প্রথম দশ জন পরীক্ষার্থীর নাম। 

    কীভাবে পাবেন রেজাল্ট

    আজ বিকেল ৪টার পর থেকেই পরীক্ষার্থীরা জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ডের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে এই ফলাফল দেখতে পাবেন। এদিন বিকেল থেকেই পরীক্ষার্থীরা www.wbjeeb.nic.in এবং www.wbjeeb.in ওয়েবসাইট থেকে জয়েন্ট এন্ট্রান্সের র‍্যাঙ্ককার্ড বা স্কোরকার্ড ডাউনলোড করে নিতে পারবেন। এই স্কোরকার্ডে পরীক্ষার্থীদের ছবি, হল টিকিট নম্বর, অ্যাপ্লিকেশন নম্বর, প্রাপ্ত নম্বর ইত্যাদি সব তথ্য উল্লেখ থাকবে। এই নম্বরের ভিত্তিতে মেধাতালিকাও তৈরি হয়েছে। 

    প্রথম দশে কারা

    জয়েন্টের মেধাতালিকায় প্রথম দশজনের মধ্যে রয়েছে সিবিএসই বোর্ডের ৪ জন পরীক্ষার্থী। আবার পশ্চিমবঙ্গ উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা পর্ষদের অধীনে পাশ করেছেন ৪ জন পরীক্ষার্থী এবং বাকি দুজন আইএসসি বোর্ডের ছাত্র-ছাত্রী। রাজ্য জয়েন্টে প্রথম হয়েছেন বাঁকুড়া জেলা স্কুলের কিংশুক পাত্র। দ্বিতীয় হয়েছেন কল্যাণীর শুভ্রদীপ পাল। তৃতীয় হয়েছেন কৃষ্ণগরের বিবস্বন বিশ্বাস। উচ্চ মাধ্যমিকে প্রথম আলিপুরদুয়ারের অভীক দাস, জয়েন্টে সপ্তম স্থান অর্জন করেছেন।

    আরও পড়ুন: সুনীলের শেষ ম্যাচে ইতিহাসের দোড়গোড়ায় ভারত! কখন ও কোথায় দেখবেন কুয়েতের সঙ্গে লড়াই

    কত জন পরীক্ষার্থী

    এ বারের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন ১,১২,৯৬৩ জন, ২০২৩-এ পাশ করেছিলেন ৯৬,৯১৩ জন। চলতি বছরের পরীক্ষায় পাশের হার বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ৯৯.৫৩ শতাংশ, ২০২৩-এর পরীক্ষায় পাশের হার ছিল ৯৯.৩৭ শতাংশ। ২০২৪ সালে পরীক্ষা দিয়েছেন ১,১৩,৪৯২ জন (৮০ শতাংশ)। পুরুষ ৭৯,০২৫ জন। মহিলা ৩৪,৪৬৭ জন। এবার পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও আন্দামান, দমন ও দিউ এবং জম্মু ও কাশ্মীরের পড়ুয়ারাও পরীক্ষা দিয়েছিলেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • CBSE 12th Result 2024: এগিয়ে মেয়েরা, প্রকাশিত সিবিএসই-র দ্বাদশের পরীক্ষার ফলাফল

    CBSE 12th Result 2024: এগিয়ে মেয়েরা, প্রকাশিত সিবিএসই-র দ্বাদশের পরীক্ষার ফলাফল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রকাশিত হল চলতি বছরের সেন্ট্রাল বোর্ড অব সেকেন্ডারি এডুকেশন (CBSE 12th Result 2024) দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষার ফল। পাশের হারে ছেলেদের চেয়ে এগিয়ে মেয়েরা। এ বছর পাশের হার ৮৭.৯৮ শতাংশ। গত বছর ছিল ৮৭.৩৩ শতাংশ । ছেলেদের পাশের হার ৮৫.১২ শতাংশ এবং মেয়েদের পাশের হার ৯১.৫২ শতাংশ। ট্রান্সজেন্ডারদের পাশের হার ৫০ শতাংশ।

    অঞ্চলভিত্তিক পাশের হার

    এ বছর ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয়েছিল সিবিএসই-র দ্বাদশের পরীক্ষা (CBSE 12th Result 2024)। যা শেষ হয় ২ এপ্রিল। সিবিএসইয়ের দ্বাদশ শ্রেণির জন্য ২০২৪ সালে মোট ১৬,৩৩,৭৩০ জন নাম নথিভুক্ত করেছিলেন।  এ বছর মোট ১৬২১২২৪ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দিয়েছিলেন। এর মধ্যে পাশ করেছেন ১৪২৬৪২০ জন। পাশের হারের নিরিখে দেশের মধ্যে প্রথম হয়েছে তিরুবনন্তপুরম। তারপর আছে যথাক্রমে অন্ধ্রপ্রদেশের বিজয়ওয়াড়া (৯৯.০৪ শতাংশ), তামিলনাড়ুর চেন্নাই (৯৮.৪৭ শতাংশ) এবং কর্ণাটকের বেঙ্গালুরু (৯৬.৯৫ শতাংশ)।

    আরও পড়ুুন: ‘‘আসুন, গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করি’’, চতুর্থ দফায় ভোট দানের আর্জি প্রধানমন্ত্রী মোদির

    কী ভাবে দেখবেন ফল:

    পরীক্ষার্থীদের প্রথমে সিবিএসই-র ওয়েবসাইট cbseresults.nic.in বা results.cbse.nic.in-এ যেতে হবে। এর পর ‘হোমপেজ’ থেকে রেজাল্ট লেখা লিঙ্কে ক্লিক করতে হবে। সেখানে নিজেদের রোল নম্বর, স্কুল নম্বর এবং অ্যাডমিট কার্ড আইডি লিখে ক্লিক করলে রেজ়াল্ট দেখতে পারবেন পরীক্ষার্থীরা। এর পর সেটি ডাউনলোড করে প্রিন্ট আউট নিয়ে রাখতে হবে তাঁদের। এ ছাড়াও ফল দেখা যাবে ডিজিলকার অ্যাপের মাধ্যমেও। বেশ কয়েক দিন ধরেই সিবিএসই-র ফলাফল কবে বেরোবে তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছিল। এই আবহে সম্প্রতি নেট দুনিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে একটি ভুয়ো বিজ্ঞপ্তি। বিষয়টি চোখে পড়ার পর এই নিয়ে সাবধান করেছিল সিবিএসই। অবশেষে প্রকাশিত হল দ্বাদশের ফল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

     

  • NCERT: ভারতের সুমেরু-কুমেরু-হিমালয় অভিযানের অগ্রগতি এবার স্থান পাবে এনসিইআরটির বইয়ে

    NCERT: ভারতের সুমেরু-কুমেরু-হিমালয় অভিযানের অগ্রগতি এবার স্থান পাবে এনসিইআরটির বইয়ে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আর্কটিক, আন্টার্টিকা এবং হিমালয় নিয়ে  ভারতের গবেষণার অগ্রগতি স্থান পেতে চলেছে স্কুল পাঠ্য বইগুলিতে। এমনটাই জানা গিয়েছে এনসিইআরটি-র (NCERT) তরফ থেকে। সূত্রের খবর কেন্দ্রীয় ভূবিজ্ঞান মন্ত্র এ বিষয়ে এনসিইআরটিকে সুপারিশ করেছে।

    কেন্দ্রীয় ভূবিজ্ঞান মন্ত্রকের সচিব এম রবিচন্দ্রন কী বললেন?

    কেন্দ্রীয় ভূবিজ্ঞান মন্ত্রকের সচিব এম রবিচন্দ্রন এ বিষয়ে সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘‘এনসিআরটি (NCERT) স্কুলের পাঠ্যপুস্তকে এই ক্ষেত্রগুলির গবেষণার গুরুত্ব তুলে ধরার জন্য একটি কমিটিও ইতিমধ্যে গঠন করা হয়েছে। ভূবিজ্ঞান মন্ত্রকের সচিবের আরও সংযোজন, ‘‘আমরা এনসিইআরটিকে একটি চিঠি লিখেছি। সম্প্রতি আন্টার্টিকা অভিযান, হিমালয় ও জলবায়ু পরিবর্তন সহ আরও বেশ কিছু বিষয় তুলে ধরার জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে এবং তারা ইতিমধ্যে কাজও শুরু করেছে।’’

    ২০২৬ সালের মধ্যেই এই বিষয়গুলি পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবে

    জানা গিয়েছে এনসিইআরটির (NCERT) পাঠ্য পুস্তকে ইতিমধ্যে আন্টার্টিকা অভিযানের বেশ কিছু বিষয় রয়েছে। বিভিন্ন শ্রেনীতে তা পড়ানো হয়। তবে সেগুলির সর্বশেষ সংস্করণ এখনও পর্যন্ত মেলেনি। তাই আন্টার্টিকা এবং হিমালয় অঞ্চলে ভারতের গবেষণার সর্বশেষ আপডেট খুব শীঘ্রই এনসিইআরটির স্কুল পাঠ্য বইগুলিতে দেখা যাবে। প্রসঙ্গত, করোনা মহামারীর পরবর্তীকালে এনসিইআরটির (NCERT) পাঠ্য পুস্তক থেকে জলবায়ু পরিবর্তন, বর্ষা, গ্রিনহাউস প্রভাবের মত অনেক বিষয়েই বাদ দেওয়া হয়েছে। এনসিইআরটির সূত্রে জানা গিয়েছে, সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ২০২৬ সালের মধ্যেই এই বিষয়গুলি পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবে। জানা গিয়েছে, চলতি মে মাসের কুড়ি থেকে ত্রিশ তারিখ কোচিতে আন্টার্টিকা অভিযান নিয়ে একটি আলোচনা হবে।

    ১৯৮৩ সালে স্থাপিত হয় দক্ষিণ গঙ্গোত্রী

    প্রসঙ্গত, দক্ষিণ মেরুতে ভারতের প্রথম গবেষণা কেন্দ্রের নাম ছিল দক্ষিণ গঙ্গোত্রী, ১৯৮৩ সালে যা স্থাপিত হয়। পরে এটি বরফে ডুবে যায় এবং পরিত্যক্ত হয়ে ওঠে। এই মুহূর্তে ভারতের দুটি সক্রিয় গবেষণাগার রয়েছে। একটি মৈত্রী, অপরটি হল ভারতী। জানা গিয়েছে, বিগত কয়েক বছর ধরে বহু ভারতীয় ছাত্র দক্ষিণ মেরু গবেষণায় নিজেদেরকে যুক্ত করেছেন। কিন্তু স্কুলস্তরের সব ছাত্রদের ছাত্ররা দক্ষিণ মেরুতে নিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়, তার একটাই কারণ, তা হল প্রচুর খরচ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ancient Universities of India: নালন্দা থেকে তক্ষশীলা! প্রাচীন ভারতের বিশ্ববিদ্যালয়গুলি সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন

    Ancient Universities of India: নালন্দা থেকে তক্ষশীলা! প্রাচীন ভারতের বিশ্ববিদ্যালয়গুলি সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাচীন ভারত ছিল শিক্ষার পীঠস্থান (Ancient Universities of India)। অতীত ভারতের বেশকিছু বিশ্ববিদ্যালয় ছিল যা নিয়ে আজও আমরা গর্ব অনুভব করি। পঠনপাঠন শিক্ষাদানের কৌশল- এ সমস্ত কিছুতে প্রাচীন ভারত অনেকটাই এগিয়েছিল। তক্ষশীলা বিশ্ববিদ্যালয় এবং নালন্দা ভারতের এই দুই প্রাচীন বিশ্ববিদ্যালয় আজও বিশ্বজুড়ে সমাদৃত। বিশ্বের অন্যতম প্রাচীনতম বিশ্ববিদ্যালয়গুলির সারিতে স্থান পেয়েছে এই দুই বিশ্ববিদ্যালয়। সে সময় বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকেও ভারতে আসতেন পড়ুয়ারা। দর্শন, গণিত, চিকিৎসাবিদ্যা, কলা বিদ্যা, প্রভৃতি বিষয়ে পাঠদান চলত বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে। আজকে আমরা ভারতবর্ষের এমনই কিছু বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে আলোচনা করব।

    নালন্দা ও তক্ষশীলা বিশ্ববিদ্যালয়

    নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়

    – জানা যায়, ভারতে নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয় (Ancient Universities of India) ৪২৭ থেকে ১১৯৭ সাল পর্যন্ত ভারতের উচ্চ শিক্ষার অন্যতম কেন্দ্র হয়ে উঠেছিল।

    – নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয় পঞ্চম শতাব্দীতে স্থাপিত হয়েছিল। অবস্থান ছিল বর্তমান দক্ষিণ নেপাল সীমান্তের কাছে উত্তর-পূর্ব ভারতে।

    – নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ে বৌদ্ধ বিষয়গুলিতে পাঠদান করা হতো। এর পাশাপাশি চিকিৎসাশাস্ত্র, গণিত, জ্যোতির্বিদ্যা, রাজনীতি, যুদ্ধবিদ্যা ইত্যাদি বিষয়ে সেখানে পাঠদান চলত বলে জানা যায়।

    – নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে ৮ টি বড় বড় প্রাঙ্গণ ছিল। দশটি মন্দির ছিল। ধ্যান ঘর ছিল, আলাদা আলাদা বিষয়ে পাঠদানের জন্য শ্রেণীকক্ষ ছিল। বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরেই ছিল হ্রদ। সময় কাটানোর জন্য পার্কও ছিল। একটি নয় তলা লাইব্রেরী ছিল, যেখানে সন্ন্যাসীরা হাতে লিখে বিভিন্ন বইকে অনুবাদ করতেন।

    – নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রাবাসও ছিল। সেখানে ১০,০০০ এরও বেশি ছাত্রদের থাকার ব্যবস্থা ছিল। জানা যায়, অধ্যাপকদের থাকার জন্য সেখানে আবাসন গড়ে উঠেছিল এবং এগুলিতে দুই হাজারেরও বেশি অধ্যাপক থাকতেন।

    – নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ে কোরিয়া, জাপান, চিন, তিব্বত, ইন্দোনেশিয়া, তৎকালীন পারস্য বা বর্তমান দিনের ইরান, তুরস্ক সহ অন্যান্য দেশ থেকে পন্ডিত ও ছাত্ররা আসতেন বলে জানা যায়।

    – বর্তমান দিনে নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয় (Ancient Universities of India) হদিশ মেলে রাজগীর থেকে ঠিক আধাঘন্টা বাসযাত্রার করলেই। এখানে পাওয়া যায় বৌদ্ধ ধর্মের সারিপুত্রের স্তূপ। এগুলোতেই সন্ন্যাসীরা থাকতেন এবং পড়াশোনা করতেন বলে জানা যায়।

    – নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয় বৌদ্ধ ধর্মের শিক্ষায় অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র ছিল। চিন থেকে এসেছিলেন হিউয়েন সাং। অন্যান্য বিদেশী পর্যটকরাও নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন বিষয়ে অধ্যয়ন ও গবেষণা করতেন।

    – ৭০০ বছর ধরে এই বিশ্ববিদ্যালয় ধীরে ধীরে বিকাশ লাভ করেছিল। কিন্তু দ্বাদশ শতকে ইখতিয়ারউদ্দিন বখতিয়ার খিলজি, এই বিশ্ববিদ্যালয় আক্রমণ করে। নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরীকেও তিনি জ্বালিয়ে দেন। তখনই ধ্বংস হয় নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়।

    – উনিশ শতকের শেষের দিক থেকে খননকার্য শুরু হয় এবং সেখান থেকেই বিভিন্ন তথ্য পাওয়া যায় নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে।

    – নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাঙ্গণটি বর্তমানে সরকারি উদ্যোগে সংরক্ষণ করা হয়েছে। সেখানে একটি ছোট জাদুঘর নির্মাণ করা হয়েছে।

     তক্ষশীলা বিশ্ববিদ্যালয়

    – তক্ষশীলা বিশ্ববিদ্যালয় ভারতবর্ষের অন্যতম একটি প্রাচীন শিক্ষা কেন্দ্র। জানা যায় খ্রিস্টপূর্ব পঞ্চম শতাব্দীতে এই বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে ওঠে।

    – পঞ্চম শতাব্দীর কাছাকাছি সময়ে সে সময় জাতকের গল্পে তক্ষশীলা বিশ্ববিদ্যালয়ের উল্লেখ পাওয়া যায়।

    – তক্ষশীলা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে উল্লেখযোগ্যভাবে জড়িয়ে রয়েছে চাণক্যের নাম, যিনি বিখ্যাত অর্থশাস্ত্র গ্রন্থ রচনা করেছিলেন। তক্ষশীলা বিশ্ববিদ্যালয় বহু শতাব্দী ধরে শিক্ষা ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেছিল ভারত সহ বিশ্বে।

    – জানা যায়, তক্ষশীলা বিশ্ববিদ্যালয়ে বেদ কলা বিভাগের বিভিন্ন বিষয়, আইন শাস্ত্র, চিকিৎসা, সামরিক বিজ্ঞান- এ সমস্ত কিছুতেই শিক্ষা প্রদান করা হত।

    – তক্ষশীলা বিশ্ববিদ্যালয়ের ধ্বংসাবশেষের খোঁজ পাওয়া যায় তিনটি আলাদা আলাদা শহরে।

    – তক্ষশীলা বিশ্ববিদ্যালয়ের যেখানে অবস্থিত ছিল তার আশেপাশে গড়ে উঠেছিল বিভিন্ন বৌদ্ধ বিহার ও স্তুপ।

    – জানা যায়, রাজা তক্ষ বা তক্ষকের নামানুসারেই শহরের নাম হয় তক্ষশীলা এবং সেখান থেকেই তক্ষশীলা বিশ্ববিদ্যালয়।

    – হিন্দু এবং বৌদ্ধ ধর্মের অনুসারীদের কাছে তক্ষশীলার ব্যাপক ঐতিহাসিক ও ধর্মীয় গুরুত্ব রয়েছে। বিশেষত, বৌদ্ধ ধর্মের মহাজান সম্প্রদায়ের বিকাশে তক্ষশীলা বিশ্ববিদ্যালয়ের উল্লেখযোগ্য অবদান ছিল বলে মনে করা হয়।

    – চাণক্য, সম্রাট চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য এবং চরকের মতো খ্যাতনামা ব্যক্তিত্বরা তক্ষশীলা বিশ্ববিদ্যালয় সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।

    ভারতের অন্যান্য প্রাচীন বিশ্ববিদ্যালয়

    ওদন্তপুরী বিশ্ববিদ্যালয় (Ancient Universities of India)

    – দেশের অন্যতম প্রাচীন বিশ্ববিদ্যালয়গুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল, বিহারে অবস্থিত ওদন্তপুরী বিশ্ববিদ্যালয়। পাল রাজবংশের রাজা প্রথম গোপালের সময় এটি নির্মিত হয়েছিল বলে জানা যায়।

    – ওদন্তপুরী বিশ্ববিদ্যালয় বৌদ্ধ মহাবিহার হিসেবে ব্যাপক গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষার কেন্দ্র ছিল এবং তা মঠ হিসেবেও কাজ করতো
    – কিন্তু পরবর্তীকালে মুসলিম আক্রমণে ওদন্তপুরীদের সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করা হয় এই আক্রমণ করেন

    বিক্রমশিলা বিশ্ববিদ্যালয়

    – জানা যায়, বিক্রমশীলা বিশ্ববিদ্যালয় বর্তমান বিহারের ভাগলপুর জেলায় অবস্থিত। পাল বংশের রাজা ধর্মপাল এই বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থাপন করেছিলেন।

    – জানা যায়, বিক্রমশীলা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকদের জন্য শুধু ভারত নয়, সারা বিশ্বব্যাপী বৌদ্ধ ধর্মের প্রচার হয়েছিল।

    – বিক্রমশীলা বিশ্ববিদ্যালয় চলত বৌদ্ধ ধর্মের বজ্রযান মত অনুসারে।

    – বৌদ্ধ ধর্মের বিভিন্ন বিষয় অধ্যয়নের পাশাপাশি এখানে যুক্তিবিদ্যা, বেদ, জ্যোতির্বিদ্যা, নগর পরিকল্পনা, আইন, ব্যাকরণ দর্শন সমেত অন্যান্য বিষয়ে পাঠদান চলতো।
     
    জগদ্দল বিশ্ববিদ্যালয় (Ancient Universities of India)

    – বাংলায় অবস্থিত ছিল জগদ্দল বিশ্ববিদ্যালয়। জানা যায়, বৌদ্ধ ধর্মের বজ্রযান সম্প্রদায়ের মত অনুসারে এই বিশ্ববিদ্যালয় পাঠদান চলত।

    – নালন্দা ও বিক্রমশীলা বিশ্ববিদ্যালয় মুসলিম আক্রমণে ধ্বংস হওয়ার পরে অসংখ্য পণ্ডিত জগদ্দল বিশ্ববিদ্যালয়ে চলে আসেন বলে জানা যায়।

    – রাজবংশের রাজা রামপাল এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন।

    ভালভী  বিশ্ববিদ্যালয়

    – গুজরাটের সৌরাষ্ট্রে অবস্থিত হল ভালভী বিশ্ববিদ্যালয়। বৌদ্ধ ধর্মের হীনযান মত অনুসারে এই বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালিত হত।

    – প্রশাসন, শিল্প, আইন, দর্শন প্রভৃতি বিষয়ক পাঠদান করানো হত এখানে।

    – চিনা পরিব্রাজক হিউয়েন সাং এই বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শন করেন।

    কাঞ্চীপুরম বিশ্ববিদ্যালয়

    – প্রথম শতাব্দীতে নির্মিত কাঞ্চীপুরম বিশ্ববিদ্যালয় হিন্দু ধর্ম, জৈন ধর্ম এবং বৌদ্ধ ধর্মের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র হয়ে উঠেছিল।

    – জানা যায়, পল্লব রাজবংশের আমলে এই বিশ্ববিদ্যালয় খ্যাতি ছড়িয়ে পড়ে।

    মানখেতা বিশ্ববিদ্যালয়

    – মানখেতা বিশ্ববিদ্যালয় বর্তমান কর্ণাটকে মালখেত নামে পরিচিত।

    – রাষ্ট্রকূট রাজবংশের আমলে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের খ্যাতি দুনিয়া ব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে বলে জানা যায়।

    পুষ্পগিরি বিহার ও ললিতগিরি

    – ওড়িশার পুষ্পগিরি বিহার এবং ললিতাগিরি খ্রিস্টীয় তৃতীয় শতাব্দীতে কলিঙ্গ রাজাদের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল বলে জানা যায়। উদয়গিরি পাহাড়ের কাছে বৌদ্ধ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে এটি গড়ে উঠেছিল।

    শারদা পীঠ

    – শারদা পীঠ বর্তমানে পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরে অবস্থিত। এটি সংস্কৃত শিক্ষাবিদদের একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র ছিল।

    – দেবী শারদাকে উৎসর্গ করে তৈরি করা হয়েছিল এই পীঠ। হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস এখানে স্বয়ং দেবাদিদেব মহাদেব বাস করেন।

    নাগার্জুনকোন্ডা বিশ্ববিদ্যালয়

    – অন্ধ্রপ্রদেশের অমরাবতী থেকে ১৬০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত নাগার্জুনকোন্ডা একটি বিখ্যাত বৌদ্ধ কেন্দ্র ছিল।

    – শ্রীলঙ্কা, চিন সহ বিভিন্ন দেশের পণ্ডিতরা এখানে এসেছিলেন বলে জানা যায়।

    – নাগার্জুনকোণ্ডা নামটি দক্ষিণ ভারতের একজন বিশিষ্ট মহাযন বৌদ্ধ শিক্ষক নাগার্জুনকে শ্রদ্ধা জানিয়ে তৈরি হয়েছিল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share