Category: পড়াশোনা

Get updated Education and Career news from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • US Visas: ভারতীয় পড়ুয়াদের রেকর্ড ভিসা! যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ বাইডেন প্রশাসনের

    US Visas: ভারতীয় পড়ুয়াদের রেকর্ড ভিসা! যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ বাইডেন প্রশাসনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২২-২৩ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আড়াই লাখেরও বেশি ভারতীয় পড়ুয়াকে ভিসা (US Visas) প্রদান করেছে, যা রেকর্ড। সংখ্যাটা হল ২ লক্ষ ৬৮ হাজার ৯২৩। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা পরিষেবার উচ্চতম এক আধিকারিক জানিয়েছেন, গত বছর ভারতে আমেরিকান দূতাবাস সপ্তাহে ছয় থেকে সাত দিন কাজ করে নতুন ভিসা মঞ্জুর করেছে। সমস্ত ভারতীয় পড়ুয়া ক্লাস শুরুর আগে ইন্টারভিউ পর্যায়ে যাতে সঠিকভাবে পৌঁছাতে পারেন, সেই উদ্দেশ্যেই বাইডেন প্রশাসন যুদ্ধকালীন তৎপরতার মাধ্যমে আড়াই লাখেরও বেশি ভিসা প্রদান করেছে। পরবর্তী সময়ে আরও বাড়তে পারে ভারতীয় ভিসার সংখ্যা। উল্লেখ্য, আগের বছর এই সংখ্যাটা ছিল প্রায় দু’লাখ (১ লক্ষ ৯৯ হাজার ১৮২)। সেই হিসাবে দু’বছরের ব্যবধানে বৃদ্ধির হার ৩৫ শতাংশ।

    এই প্রথম এত ভিসা একসঙ্গে (US Visas)

    বর্তমানে ভারত থেকে আমেরিকাতে পড়তে যাওয়া পড়ুয়াদের সংখ্যা আগের থেকে অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। আর ভারতীয়দের এই উদ্দেশ্যকে সফল করতে আমেরিকান সরকার বেশ অনেকটাই তৎপর হয়েছে। আমেরিকান দূতাবাসের আধিকারিকরা জানান, “ইতিহাসে এই প্রথমবার এত ভিসা একসাথে মঞ্জুর করতে পারায় আমরা অনেক খুশি হয়েছি। পরবর্তীতে এই সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পাবে বলেই আমরা মনে করছি। এমনকি চলতি বছরেও বহু ভারতীয় পড়ুয়া ভিসার (US Visas) জন্য আবেদন করেছেন। শুধু পড়ুয়া নন রয়েছেন, বেশ কয়েক হাজার কর্মী। বর্তমানে যেসব ভারতীয় পড়ুয়ারা আমেরিকায় পড়াশোনার জন্য যেতে চান, তাঁদের ক্ষেত্রে বিশেষ অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে আমেরিকান সরকারের পক্ষ থেকে। শুধু ভারতীয় নয়, বহু দেশ থেকেই পড়ুয়াদের আগমন হয় আমেরিকাতে পড়াশোনার জন্য। কিন্তু সেই তালিকায় ভারতীয়দের সংখ্যা সব থেকে বেশি, যা নয়া রেকর্ড গড়েছে। গ্র্যাজুয়েট বিভাগে ভারতীয় পড়ুয়ার সংখ্যা চিনকেও ছাপিয়ে গিয়েছে।

    মার্কিন বিদেশ দফতর কী জানিয়েছে?

    মার্কিন বিদেশ দফতরের জারি করা এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে ২০১৭ সালের পর থেকে এত পড়ুয়াকে ভিসা (US Visas) দেওয়া বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু পরবর্তীতে ২০২২ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়গুলি ফের ভারতীয় পড়ুয়াদের জন্য তাদেরকে ভিসা দেওয়ার দরজা উন্মুক্ত করে দেয়। শুধু ভারতই নয়, বিশ্বের অনেক দেশের পড়ুয়াকে প্রচুর ভিসা প্রদান করেছে আমেরিকা, যার পরিমাণ প্রায় এক কোটি ছাড়িয়েছে। গত বছর পড়ুয়া, কর্মী, পর্যটক সব মিলিয়ে প্রায় ১২ লক্ষের কাছাকাছি ভারতীয়কে ভিসা প্রদান করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • NCERT: রামায়ণ-মহাভারত হতে চলেছে পাঠ্যসূচির অংশ? প্রস্তাব এনসিইআরটি-এর সমাজবিজ্ঞান কমিটির

    NCERT: রামায়ণ-মহাভারত হতে চলেছে পাঠ্যসূচির অংশ? প্রস্তাব এনসিইআরটি-এর সমাজবিজ্ঞান কমিটির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার পাঠ্য বইয়ের অন্তর্ভুক্ত হতে চলেছে রামায়ণ ও মহাভারত। ইতিহাসের বিষয়বস্তু হিসেবেই এই দুই ভারতীয় মহাকাব্যকে পড়ানো হবে। এনসিইআরটি-এর (NCERT) একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এনসিইআরটি-এর সমাজবিজ্ঞান বিভাগের যে কমিটি রয়েছে, সেই কমিটির প্রস্তাবেই ইতিহাসের পাঠ্য বইয়ে নানা বদল আসতে পারে বলে জানা গিয়েছে। ওই কমিটি আরও প্রস্তাব দিয়েছে বৈদিক সাহিত্য এবং আয়ুর্বেদের বিভিন্ন বিষয়কেও পাঠ্যসূচির অন্তর্ভুক্ত করার জন্য। তবে এখনও পর্যন্ত এনসিইআরটি-এর (NCERT) চূড়ান্ত সিলমোহর পায়নি এই প্রস্তাব।

    কী বলছেন এনসিআরটি-এর শীর্ষ আধিকারিক?

    এনসিইআরটি-এর (NCERT) প্যানেলের শীর্ষ আধিকারিক প্রফেসর সি আই ইসাকের মতে, ‘‘ইতিহাসকে চারটি শ্রেণিতে ভাগ করার জন্য প্যানেল প্রস্তাব দিয়েছে। যার মধ্যে থাকবে প্রাচীন ইতিহাস, মধ্যযুগীয় ইতিহাস, ব্রিটিশ যুগ এবং আধুনিক ভারত।’’ প্রসঙ্গত, এতদিন পর্যন্ত তিনটি বিভাগই পড়ানো হতো ইতিহাসে এবং তা হল প্রাচীন ইতিহাস, মধ্যযুগের ইতিহাস এবং আধুনিক ভারত। জানা গিয়েছে, প্রাচীন ইতিহাসের অন্তর্ভুক্ত হতে চলেছে ভারতের দুই বিখ্যাত মহাকাব্য রামায়ণ এবং মহাভারত। এনসিআরটির-এর ওই শীর্ষ আধিকারিক আরও জানিয়েছেন, তাঁদের প্রস্তাব হল রামচন্দ্রের বিষয়ে ছাত্রদের ধারণা তৈরি করা। রামচন্দ্র কে ছিলেন এবং তাঁর রাজত্ব কেমন ছিল, তিনি কখনও প্রজাদের মধ্যে ভেদাভেদ করেননি এই সমস্ত বিষয়ই ছাত্রদের জানাতে চায় এনসিইআরটি।

    শ্রেণিকক্ষের দেওয়ালে লেখা থাকবে সংবিধানের প্রস্তাবনা 

    এছাড়া ওই কমিটির তরফ থেকে আরও প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে যে, সংবিধানের প্রস্তাবনাকে শ্রেণিকক্ষের দেওয়ালে লেখার জন্য। বিভিন্ন আঞ্চলিক ভাষাতেই ওই প্রস্তাবনা লেখার সুপারিশ করা হয়েছে। এর পাশাপাশি জাতীয় বীর নেতাজি সুভাষচন্দ্র বোস সম্পর্কে আরও বিস্তৃত ব্যাখার প্রয়োজন বইয়ে রয়েছে বলে মনে করছে এনসিআরটি-এর (NCERT) কমিটি। এ বিষয়ে এনসিইআরটি-এর আধিকারিক সি আই ইসাক বলেন, ‘‘আমাদের ছাত্রদের অবশ্যই জানা উচিত জাতীয় বীরদের সম্পর্কে এবং তাদের লড়াই সম্পর্কে। এর ফলে ছাত্রদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি পাবে।’’ প্রসঙ্গত এর আগেই এনসিইআরটির তরফ থেকে প্রস্তাব নেওয়া হয় যে পাঠ্য বইতে এবার থেকে ইন্ডিয়ার বদলে ভারত পড়ানো হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • India and Bharat: ‘ইন্ডিয়া’ নয়, দেশের নাম ‘ভারত’, পাঠ্যপুস্তকে নাম বদলের সুপারিশ এনসিইআরটির

    India and Bharat: ‘ইন্ডিয়া’ নয়, দেশের নাম ‘ভারত’, পাঠ্যপুস্তকে নাম বদলের সুপারিশ এনসিইআরটির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের নাম সর্বত্র ইন্ডিয়ার বদলে ভারত করা হব, এমন জল্পনা চলছিলই। এই আবহে স্কুলের পাঠ্যপুস্তকে এবার থেকে দেশের নাম ইন্ডিয়া নয় শুধুই ভারত পড়ানো হবে, এমনই সিদ্ধান্ত নিল এনসিইআরটি (NCERT)। সূত্রের খবর, এনসিইআরটি অনুমোদিত সকল পাঠ্যপুস্তকে এবার থেকে শুধু দেশের নাম ভারত (India and Bharat) পড়ানো হবে, এই নির্দেশিকা খুব তাড়াতাড়ি জারি হতে চলেছে। এতেই জল্পনা বাড়ছে, এরপর কি তবে দেশের নাম ইন্ডিয়ার বদলে শুধুই ভারত হতে চলেছে?  এই প্রশ্নের উত্তর অবশ্য আগামীদিনেই পাওয়া যাবে।

    ইন্ডিয়া নাকি ভারত?

    প্রসঙ্গত, ইংরেজিতে দেশের নাম কী হবেে, ভারত নাকি ইন্ডিয়া (India and Bharat), তা নিয়ে বিগত কয়েকদিন ধরে এই জোর চর্চা চলছে। গত মাসেই জি২০ শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় ভারতে। সে সময়েই আমন্ত্রিত অতিথিদের কার্ডে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর নামের নিচে লেখা ছিল ‘প্রেসিডেন্ট অফ ভারত’। অন্যদিকে জি২০ মঞ্চে ‘ইন্ডিয়া’র বদলে সর্বত্র স্থান পায় ‘ভারত’ নাম। প্রধানমন্ত্রীর নামের নিচেও লেখা থাকতে দেখা যায় ‘ভারত’ নাম। এরপর থেকেই জল্পনা আরও জোরালো হয়, তবে কি দেশের নাম এবার থেকে ‘ইন্ডিয়া’র বদলে শুধুই ‘ভারত’ (India and Bharat) হবে?

    কী বলছে ওয়াকিবহাল মহল?  

    ইতিহাসবিদদের একাংশের মতে দেশের নাম ‘ইন্ডিয়া’ (India and Bharat) আসলে ঔপনিবেশিকতার প্রতীক। প্রসঙ্গত মোদি সরকার যে পঞ্চ প্রতিজ্ঞার ঘোষণা করেছে সেখানে অন্যতম একটি বিষয় হিসেবে রয়েছে যে, পরাধীনতার সমস্ত কিছু মুছে ফেলা হবে। ওয়াকিবহাল মহলের একাংশের মতে, ঔপনিবেশিকতার প্রতীক ‘ইন্ডিয়া’ শব্দ তাই মুছে ফেলতে চায় মোদি সরকার। আগামী দিনে যদি দেশের নাম ‘ইন্ডিয়া’র বদলে শুধুই ‘ভারত’ হয়, তাতে অবশ্য কিছু ভুল দেখছে না ওয়াকিবহাল মহল। কারণ তাঁদের মতে এই নামটি যথার্থ এবং প্রাচীন ভারতের যে কোনও শাস্ত্র অথবা ঐতিহাসিক গ্রন্থগুলোতে এই নামই পাওয়া যায়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Viral Video: ঠেলা গাড়িতে ফল বিক্রির সঙ্গে সন্তানদের পড়াশোনা! মায়ের সংগ্রামে আপ্লুত নেটদুনিয়া

    Viral Video: ঠেলা গাড়িতে ফল বিক্রির সঙ্গে সন্তানদের পড়াশোনা! মায়ের সংগ্রামে আপ্লুত নেটদুনিয়া

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাস্তায় ফল বিক্রি করে ব্যতিক্রমী দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন মা। সেই সঙ্গে মায়ের ভালোবাসার কথায় চোখ ভেজালেন নেটপাড়ার নাগরিকরা। রাস্তায় ফল বিক্রি করতে করতেই মায়ের কাছে পড়াশোনা করছে সন্তানরা, এই ভিডিওকে ঘিরে সামাজিক গণমাধ্যম ব্যাপক সরগরম। ভিডিও ভাইরাল (Viral Video) হতেই আবেগে ভাসছেন নেট নাগরিকরা। কেউ কেউ জানিয়েছেন স্যালুট।

    ঘটনা কী ঘটছে (Viral Video)?

    ঠেলা গাড়িতে বিক্রি করতে হয় ফল। তার পাশেই প্লাস্টিক পেতে পড়াশুনা করতে দেখা যাচ্ছে দুই সন্তানকে। হাতে ধরে স্লেটে লেখাপড়া শেখাচ্ছেন মা। এক দিকে সন্তানদের পড়াশোনা, অপর দিকে ফল বিক্রি, দুই কাজেই জীবনের কঠিন লড়াই করছেন মা-সন্তানরা। এই দৃশ্য (Viral Video) নেটপাড়ার নাগরিকদের মন ছুঁয়ে গেছে। জীবনের কঠিন বাস্তবতায় মানুষের মনকে অত্যন্ত ভাবুক করে তুলেছে।

    সংগ্রামী মা

    আমরা সবাই জানি, পণ্ডিত বিদ্যাসাগর মশাই রাস্তার পাশে ল্যাম্প পোস্টের আলোতে কত কষ্ট করে পড়াশুনা করছেন। নানা গল্প, উপন্যাস, সিনেমার মধ্যেও দেখা গেছে মায়েদের জীবন সংগ্রাম কতটা কঠিন হয়। মা তাঁর নিজের সর্বস্ব সন্তানের জন্য উজার করে দেন। সন্তানকে বড় করতে মা সকল দুঃখ-কষ্টকে সাদরে গ্রহণ করেন। সন্তানের জন্য দু’ বেলা অন্নের সংস্থান করা এবং পড়াশুনা করিয়ে তাঁদের ভবিষ্যতে জীবনকে সহজ-সুন্দর করতে সব রকম চেষ্টা করেন মা। আজকের দিনে পড়াশুনা না জানলে, আগামীদিনের জীবন কতটা কঠিন হতে পারে, সেই কথা ভেবেই মা ঠেলার মধ্যে ফল বিক্রি করতে করতে সন্তানদের পড়াশুনার পাঠ দিচ্ছেন। এই দৃশ্য মানুষের মনকে সিক্ত করেছে। চোখে জল এনে দিয়েছে অনেকের। এমন ভিডিও ভাইরাল (Viral Video) হতেই মানবিক মন সত্যই আপ্লুত হয়ে পড়ে।

    কোথায় বিনিময় করা হয়েছে?

    জানা গেছে @dc_sanjay_jas নামে একটি ট্যুইটার পেজ থেকে ভিডিওটি (Viral Video) বিনিময় করা হয়েছে। ক্যাপশনে লেখা রয়েছে, আমার কাছে কোনও শব্দ নেই! কীভাবে মায়ের জীবন সংগ্রামকে উপস্থাপন করবো! এই নিয়ে কোনও ভাষা হয় না। এখনও পর্যন্ত ভিডিওটি ১ লাখের বেশি মানুষ দেখেছেন। নেট নাগরিকদের মধ্যে থেকে এসেছে নানা মতামত। কেউ কেউ দেখেই প্রণাম, স্যালুট এবং অভিনন্দন জানিয়েছেন। সন্তানের ভালোবাসায় মা কতটা আত্মত্যাগী হতে পারেন, সেই দৃষ্টান্ত যেন চোখে পড়ল এই ভিডিওতে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • India Book of Records: ৫ মিনিটে ইংরেজি থেকে বাংলায় তর্জমা ১৫৮ টি! খুদের কীর্তিতে গর্বিত পরিবার

    India Book of Records: ৫ মিনিটে ইংরেজি থেকে বাংলায় তর্জমা ১৫৮ টি! খুদের কীর্তিতে গর্বিত পরিবার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুর্শিদাবাদ জেলার সাগরদিঘির এক প্রাইমারি শিক্ষকের ছেলে সৌম্যজিৎ রবিদাস। বয়স ৫ বছর ১০ মাস। কিন্তু এই বয়সেই বাজিমাত করেছে সে। ছোট্ট শিশুটি নাম তুলেছে ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডস-এ (India Book of Records)। সৌম্যজিতের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, সে যখন কথা বলা শুরু করল, সেই সময় থেকেই ওর স্মরণশক্তির প্রখরতা খুব বেশি। ওকে কোনও কিছু একবার বলে দেওয়ার একমাস পর জিজ্ঞেস করলেও সেটা বলে দিতে পারত। গত জুলাই মাসের ২৬ তারিখে ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডস-এ আবেদনপত্র জমা দেন তাঁর বাবা। তারপর ভিডিও মারফত ইংরেজি থেকে বাংলায় পাঁচ মিনিটে ১৫৮ টি তর্জমা করে জমা দেওয়া হয়। এরপর গত ২৮ শে অগাস্ট ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডস থেকে জানানো হয়, সৌম্যজিৎ রবিদাসের  নাম বুক অফ রেকর্ডস-এ স্থান পেয়েছে। ২৮ শে অগাস্ট ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ড-এর শংসাপত্র সহ মেডেল আসে সৌম্যজিতের বাড়িতে।

    ছোট থেকেই শখ বই পড়ার (India Book of Records)

    সৌম্যজিৎ রবিদাসের মা’র ইচ্ছা, তাঁর ছেলে ডাক্তার হোক। বাবা পেশায় প্রাইমারি স্কুল শিক্ষক। তিনি বলেন, প্রত্যেক মা-বাবাই সন্তানদের দেখভাল করেন এবং তাদের কীসে ভাল হবে, সে বিষয়ে সব কিছু ত্যাগ করে সন্তানের পিছনে পড়ে থাকেন। এটাই স্বাভাবিক। তিনি বলেন, ও যখন কথা বলতে শিখলো, তখন ওকে যা বলা হত ও সেটা অনেকদিন পর্যন্ত মনে রাখতে পারতো। ছোট থেকেই ওর শখ বই নিয়ে নাড়াচাড়া করা। ফোনের প্রতি সৌম্যজিতের প্রচণ্ড অনীহা। ছোট থেকেই পাশাপাশি দুটো জিনিস ফোন এবং বই রেখে দিলেও বইটা নিয়েই পড়াশোনা করতে বেশি ব্যস্ত হয়ে পড়তো। জানার আগ্রহ প্রবল। কোনও নতুন ইংরেজি শব্দ শুনলেই মায়ের কাছে ছুটে চলে যেত তার বাংলা তর্জমা কী হবে, জানার জন্য। কোনও কারণে মায়ের বলতে অসুবিধা হলেও, ও কিন্তু ছাড়ার পাত্র নয়। অভিধান দেখেও ওর মাকে বলতে হতো, ইংরেজি থেকে ওই বাক্যের তরজমা (India Book of Records)।

    ডাক্তার হিসাবে দেখতে চায় পরিবার (India Book of Records)

    খুশি সৌম্যজিতের পরিবারের লোকজন সহ সাগরদিঘির মানুষজন। বাড়ির সকলের ইচ্ছে, যদি সৌম্যজিৎ পড়াশোনা ঠিকমত চালিয়ে নিয়ে যেতে পারে, তাহলে তাঁরা তাকে ডাক্তার হিসেবে দেখতে চাই। সেই কারণে আজ সৌম্যজিতের বাবা-মা সমস্ত মানুষের আশীর্বাদ চাইলেন যাতে তাঁর ছেলে শিক্ষার আলোয় প্রভাবিত হয়ে মা-বাবার মুখ উজ্জ্বল করতে পারে। এই আশায় সৌম্যজিতের (India Book of Records) পরিবার।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • IIEST Shibpur: শিবপুর আইআইইএসটি-তে নেই র‍্যাগিং বা ছাত্র সংঘর্ষের ঘটনা, কীভাবে সম্ভব হল?

    IIEST Shibpur: শিবপুর আইআইইএসটি-তে নেই র‍্যাগিং বা ছাত্র সংঘর্ষের ঘটনা, কীভাবে সম্ভব হল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: র‍্যাগিংয়ের অভিযোগে ছাত্রমৃত্যুতে উত্তাল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। অথচ এরকমই ছাত্রমৃত্যুর পর বন্ধ হয়ে গিয়েছিল হাওড়ার শিবপুর আইআইইএসটি-তে ছাত্র সংঘর্ষ ও র‍্যাগিংয়ের ঘটনা। অভিযোগ, ২০০৬ সালের আগে বারবার র‍্যাগিং ও ছাত্র সংঘর্ষের অভিযোগ আসত হাওড়ার শিবপুরের বেঙ্গল ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড সায়েন্স ইউনিভার্সিটি থেকে। ২০০৬ সালে তৎকালীন বেঙ্গল ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড সায়েন্স ইউনিভার্সিটি বা বেসু-র ১১ নম্বর হস্টেলের দোতলার বারান্দা থেকে নিচে পড়ে গিয়ে মৃত্যু হয় সৌমিক বসু নামে তৃতীয় বর্ষের ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্রের। সেই সময় বেসুতে এসএফআই  এবং ইন্ডিপেন্ডেন্ট কনসলিডেশন নামে দুই ছাত্র গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ প্রায়শই লেগে থাকত। মাঝে মধ্যে অভিযোগ আসত র‍্যাগিংয়েরও।

    কীভাবে মৃত্যু হয়েছিল সৌমিক বসুর?

    সৌমিক বসু এসএফআই-এর সমর্থক ছিলেন। ২০০৬ সালের ৭ই অগাস্ট রাতে ১১ নম্বর হস্টেলে দুই ছাত্র গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ হয়। ৮ ই অগাস্ট যখন ততকালীন রেজিস্ট্রার ইন্দ্রনাথ সিনহা (বর্তমানে মাইনিং ডিপার্টমেন্টের অধ্যাপক) হস্টেলে ঢুকছিলেন, সেই সময় ওই ছেলেটি মনে করেন যে ইন্দ্রনাথবাবু পুরো ব্যাপারটা জেনে গেছেন। তখন তিনি ছুটে পালাতে যান। তখন ছিল বর্ষাকাল। বারান্দা ভিজে ছিল। পা পিছলে দোতলা থেকে নিচে পড়ে যান ওই যুবক। মুখ দিয়ে গ্যাঁজলা বেরোতে থাকে। প্রথমে কলেজের ছাত্র ও শিক্ষকরা দ্রুত তাঁকে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখান থেকে গ্রিন করিডোর করে সিএমআরআই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু তার পরেও বাঁচানো যায়নি। ১২ তারিখ অর্থাৎ ঘটনার তিন দিন পর তাঁর মৃত্যু হয়।

    কীভাবে ধীরে ধীরে বন্ধ হয়ে গেল র‍্যাগিং?

    সেই সময় মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের নির্দেশে সিআইডি তদন্ত শুরু হয়। সিআইডির তদন্ত রিপোর্ট পাওয়া যায়নি। পরে পরশমণি চট্টোপাধ্যায় কমিশন গঠন করা হয়। পরশমণি চট্টোপাধ্যায় বেসু-র প্রাক্তন উপাচার্য ছিলেন। তিনি এই ক্যাম্পাসে গন্ডগোল এবং র‍্যাগিং রুখতে বেশ কিছু পরামর্শ দেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকেও এ ব্যাপারে বেশ কিছু কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হয়। তার ফলে ক্যাম্পাসে সংঘর্ষ আস্তে আস্তে কমে যায় এবং র‍্যাগিংয়ের ঘটনাও পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। পরবর্তীকালে ২০১৪ সালে বেঙ্গল ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড সায়েন্স ইউনিভার্সিটি বেসু রূপান্তরিত হয় শিবপুর আইআইইএসটি-তে। কেন্দ্রের মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের অধীনে চলে আসে বেসু। শিবপুরের ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ ইঞ্জিনিয়ারিং সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি বর্তমানে ইউজিসি সরাসরি নিয়ন্ত্রণ করে।

    এরপর ‍র‍্যাগিং বা ছাত্র সংঘর্ষের ঘটনা রুখতে আইআইইএসটির অধ্যাপকরা উদ্যোগী হন। ‍র‍্যাগিং এবং ছাত্র সংগঠনের ঘটনা বন্ধে যেমন অ্যান্টি র‍্যাগিং কমিটিকে সক্রিয় করা হয়, এর পাশাপাশি ছাত্রদের অভাব-অভিযোগ নিয়ে নিয়মিত বৈঠক হয়। ক্যাম্পাস চত্বরে সিসিটিভি, অ্যান্টি রাগিং হেল্পলাইন চালু করা, বাইরের রাজনীতি থেকে শিক্ষা ক্ষেত্রে রাজনীতি বন্ধ করা, আইআইইএসটি-র গেটে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা, কোনও রকম আইডি কার্ড ছাড়া কাউকে ক্যাম্পাসে ঢুকতে না দেওয়া, এই সমস্ত নানা পদক্ষেপের ফলে র‍্যাগিং ও ক্যাম্পাসে সংঘর্ষ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়।

    কী বলছেন ছাত্ররা?

    আইআইইএসটির এক ছাত্র বলেন, যাদবপুরে যেমন বহিরাগত রাজনৈতিক দলের হস্তক্ষেপ অনেক বেশি দেখা যায়, সে দিক থেকে শিবপুর আইআইইএসটি সম্পূর্ণ ভাবে বাইরের রাজনীতি থেকে মুক্ত। কেন্দ্র সরকারের অধীনে সরাসরি চলে যাওয়ার পর সেখানে ছাত্র নির্বাচন বন্ধ হয়ে যায়। ছাত্রছাত্রীরা নিজেরাই তাঁদের লিডার নির্বাচন করেন। এছাড়া হস্টেল ক্যাম্পাসে পাশ আউট ছাত্রদের থাকার কোনও ব্যবস্থা নেই। হস্টেল, লাইব্রেরি সহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সব ধরনের বিভাগ থেকে ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট দিলে তবেই ছাত্রদের হাতে মার্কশিট দেওয়া হয়। স্বাভাবিকভাবেই আইআইইএসটি-তে বহিরাগত বা পাশ আউট ছাত্রছাত্রীরা থাকার কোনও ব্যবস্থা নেই।

    কী বলছেন জয়েন্ট রেজিস্ট্রার? 

    বর্তমান জয়েন্ট রেজিস্ট্রার (অ্যাকাডেমিক) নির্মাল্যকুমার ভট্টাচার্য বলেন, ২০০৬ সালে ছাত্রমৃত্যুর ঘটনার পর ছাত্র-ছাত্রীদের উপলব্ধি হয় যে অযথা নিজেদের মধ্যে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ছেন তাঁরা। তারপর থেকে নিজেরাই আস্তে আস্তে এই ধরনের কর্মকাণ্ড বন্ধ করে দেন। অন্যদিকে বর্তমান ছাত্র-ছাত্রীরা জানিয়েছেন, বর্তমানে এখানে র‍্যাগিং বলে কিছু নেই। উল্টে তাঁরা সিনিয়রদের কাছ থেকে সহযোগিতা পান অনেক বেশি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • National Teacher Awards: দেশের সেরা ৫০ জনের মধ্যে বাংলার ‘জাতীয় শিক্ষক’ কে?

    National Teacher Awards: দেশের সেরা ৫০ জনের মধ্যে বাংলার ‘জাতীয় শিক্ষক’ কে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এ বছর ‘জাতীয় শিক্ষক’ সম্মান (National Teacher Awards) পাচ্ছেন হাওড়া জেলার বালির নিশ্চিন্দার রঘুনাথপুর নফর অ্যাকাডেমির শিক্ষক চন্দন মিশ্র। আগামী ৫ সেপ্টেম্বর শিক্ষক দিবসের দিন দিল্লিতে তাঁর হাতে জাতীয় শিক্ষক সম্মান তুলে দেবেন ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। দেশের সেরা ৫০ জন শিক্ষকের মধ্যে এ রাজ্য থেকে জায়গা করে নিয়েছেন বালির অভয়নগর এলাকার ওই প্রধান শিক্ষক চন্দন মিশ্র।

    কে এই চন্দন মিশ্র (National Teacher Awards)? 

    স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, চন্দনবাবু বিগত ২২ বছর ধরে শিক্ষকতা করছেন৷ চাকরি সূত্রে হাওড়ার এই স্কুলে থাকলেও তিনি আদতে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বরানগরের বাসিন্দা। কর্মজীবনে শিক্ষক হিসেবে একাধিক পুরস্কার ও সম্মান পেয়েছেন। ২০২২ সালে রাজ্য সরকার তাঁকে শিক্ষারত্ন সম্মানে ভূষিত করে। তিনি বরানগর রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রম হাইস্কুল থেকে প্রাথমিক পড়াশোনা করেন। এরপর স্কটিশ চার্চ থেকে উচ্চ শিক্ষা এবং তারপর বিএড করেন। ২০০১ সালে শিক্ষকতা শুরু করেন খিদিরপুর অ্যাকাডেমিতে। চার বছর সেখানে পড়ান। এর পর চলে যান হাওড়ার বাগনানের কুলগাছিয়া কামিনা হাইস্কুলে। টানা ১০ বছর সেখানকার শিক্ষক ছিলেন চন্দনবাবু। এর পর নিশ্চিন্দা রঘুনাথপুর নফর অ্যাকাডেমিতে শিক্ষকতা শুরু। অন্যান্য শিক্ষকদের মতো নিজেকেও চন্দনবাবু মানুষ গড়ার কারিগর হিসাবেই ভাবতে ভালবাসেন। পুঁথিগত শিক্ষাদানের পাশাপাশি প্রত্যেক পড়ুয়াকে ভাল মানুষ হওয়ার পাঠও সব সময় দিয়ে যান এই শিক্ষক। সেই মানুষ গড়ার কারিগরকেই এই সম্মান (National Teacher Awards) জানাতে চলেছেন রাষ্ট্রপতি।

    খুশি তিনি, ছাত্রছাত্রী এবং জেলার বাসিন্দারা (National Teacher Awards)

    তাঁদের প্রধান শিক্ষক আদর্শ শিক্ষকের এই সম্মান পাওয়ার খবরে খুশি তাঁর অসংখ্য ছাত্রছাত্রী। এই খবরে খুশি চন্দনবাবু, তাঁর স্কুল ও হাওড়া জেলার বাসিন্দারা। চন্দনবাবু বলেন, আমিও আশা করতাম, একদিন রাষ্ট্রপতি আমাকে জাতীয় শিক্ষকের সম্মান (National Teacher Awards) তুলে দেবেন। আজ সেই স্বপ্ন সত্যি হতে চলেছে। এটা আমার কাছে যেমন আনন্দের, তেমন গর্বের। ৩ সেপ্টেম্বর আমাকে দিল্লিতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। শিক্ষক দিবসে সম্মানীয় রাষ্ট্রপতি পুরস্কার তুলে দেবেন। তিনি বলেন, শিক্ষকরা সমাজ ও মানুষ গড়ার কারিগর। এই সম্মান তাঁকে আগামী দিনে আরও ভাল কাজ করতে উদ্বুদ্ধ করবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

  • Jadavpur University: র‍্যাগিং রুখতে শিক্ষক-পড়ুয়ার সরাসরি যোগাযোগ যাদবপুরে নেই কেন? কাদের স্বার্থে?

    Jadavpur University: র‍্যাগিং রুখতে শিক্ষক-পড়ুয়ার সরাসরি যোগাযোগ যাদবপুরে নেই কেন? কাদের স্বার্থে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কখনও হস্টেলে, আবার কখনও কলেজ ক্যাম্পাসে। সিনিয়র পড়ুয়াদের বিরুদ্ধে একাধিক বার হেনস্তার অভিযোগ উঠেছে। রাজ্যের একাধিক মেডিক্যাল কলেজে নানা ঘটনায় প্রকাশ্যে এসেছে র‍্যাগিং রোগের ছবি! কিন্তু গত কয়েক বছরে পড়ুয়া-শিক্ষক সরাসরি যোগাযোগ ব্যবস্থাকে পোক্ত করে অধিকাংশ মেডিক্যাল কলেজ রুখেছে র‍্যাগিং রোগ! প্রশ্ন উঠছে, অধিকাংশ মেডিক্যাল কলেজ পারলে, রাজ্যের প্রথম সারির শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় (Jadavpur University) কেন শিক্ষক-পড়ুয়ার সহজ সম্পর্ক তৈরি করতে পারল না? কেন কর্তৃপক্ষের কাছে যাওয়ার জন্য এখনও লাল ফিতের গেড়োয় আটকে থাকতে হয় সাধারণ পড়ুয়াদের? মুক্তচিন্তার প্রাঙ্গণে কেন সহজ নয় পড়ুয়া ও কর্তৃপক্ষের যোগাযোগের মাধ্যম?

    কীভাবে মেডিক্যাল কলেজগুলিতে যোগাযোগ সহজ হয়েছে? 

    রাজ্যের অধিকাংশ মেডিক্যাল কলেজের হস্টেলে বিভিন্ন জেলা থেকে পড়ুয়ারা আসেন। বিভিন্ন সময়েই এই হস্টেলগুলিতেও প্রথম বর্ষের পড়ুয়ারা র‍্যাগিংয়ের অভিযোগ তোলেন। কিন্তু গত কয়েক বছরে র‍্যাগিং রুখতে নতুন পন্থা নিয়েছে সংশ্লিষ্ট মহল। অধিকাংশ কলেজে তৈরি হয় হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ। প্রথম বর্ষের পড়ুয়ারা ভর্তির পরেই তাদের নিয়ে গ্রুপ তৈরি হয়। সেই গ্রুপে থাকেন কলেজের একাধিক বিভাগের অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক, শিক্ষাকর্মী, হস্টেলের সুপার। কোনও রকম অসুবিধার সম্মুখীন হলেই পড়ুয়া ওই গ্রুপে লিখতে পারবেন। একাধিক ব্যক্তি তাঁর সমস্যার কথা জানতে পারবেন। দ্রুত পদক্ষেপ সহজ হবে। আর তাতেই কাজ হচ্ছে বলে জানাচ্ছে পড়ুয়াদের একাংশ। কলেজ ক্যাম্পাস হোক কিংবা হস্টেল, সরাসরি কলেজের কর্তৃপক্ষ স্থানীয় একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগের সুবিধা পাওয়ায় পঠনপাঠন থেকে অন্যান্য সমস্যা সহজেই জানানো যাচ্ছে। ফলে, হেনস্তা কমছে।

    যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jadavpur University) ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন কোথায়? 

    দিন কয়েক আগে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক স্তরের বাংলা বিভাগের প্রথম বর্ষের এক ছাত্রের দেহ বিশ্ববিদ্যালয়ের মেন হস্টেল থেকে উদ্ধার হয়। অভিযোগ, সিনিয়র ছাত্ররা তাঁকে র‍্যাগিং করে। আর তার জেরেই ওই ছাত্র মারা যান। এরপরেই প্রশ্নের মুখে পড়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। হস্টেল সুপার, ডিন অব স্টুডেন্টের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। কেন একজন প্রথম বর্ষের পড়ুয়া নির্দিষ্ট নিয়মমাফিক হস্টেলে থাকতে পারলেন না, সে নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। পড়ুয়াদের একাংশ জানাচ্ছে, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে (Jadavpur University) কোনও রকম হেনস্তার অভিযোগ করতে হলে ই-মেল মারফত করতে হয়। কিন্তু রাতে হস্টেলে একাধিকবার র‍্যাগিংয়ের অভিযোগ উঠেছে। তৎক্ষণাৎ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগের কোনও রকম উপায় নেই। কার্যত কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সাধারণ পড়ুয়ার যোগাযোগ করা বেশ কঠিন। আর তার ফলেই প্রশ্ন উঠেছে, মুক্তমনা বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন থাকবে এই লাল ফিতের গেড়ো?

    কী বলছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় (Jadavpur University) কর্তৃপক্ষ? 

    সাম্প্রতিক পড়ুয়া মৃত্যুর ঘটনা দুঃখজনক সে কথা জানালেও কেন এমন ঘটনা ঘটলো এবং তার দায় কতখানি কর্তৃপক্ষের, সে নিয়ে মুখে কুলুপ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের! হস্টেল সুপার এবং ডিন অব স্টুডেন্টের ভূমিকা নিয়েও থাকছে প্রশ্ন! আর এসবের কোনও উত্তর দিতে নারাজ বিশ্ববিদ্যালয় (Jadavpur University) কর্তৃপক্ষ!

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • JU Student death: আসছে ইউজিসি, চলে যেতে পারে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘বিশিষ্ট’ তকমা

    JU Student death: আসছে ইউজিসি, চলে যেতে পারে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘বিশিষ্ট’ তকমা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ছাত্রমৃত্যুর কারণে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় (JU Student death) এখন ঘরে-বাইরে আলোচনার শিরোনামে। পরের সপ্তাহে আসতে চলেছেন ইউজিসির প্রতিনিধিরা। যাদবপুর আইওইউ বা Institutions of Eminence (IoE) এর তকমা কি হারাবে? এই প্রশ্নই উঠছে যাদবপুরের ক্যাম্পাসে। 

    ইনস্টিটিউশনস অব এমিনেন্স বা বিশিষ্টতার তকমা কী (JU Student death)?

    ২০১৮ সাল থেকে ইউজিসি বিশেষ প্রকল্পের সুচনা করেছিল। তাতে বলা হয়, দেশের মোট ১০ টি সরকারি এবং ১০ টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়কে বিশিষ্টর তকমা দিয়ে বড় অনুদান দেওয়া হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকাঠামো, গবেষণা এবং উন্নত ক্লাসের সুবিধার জন্য এই অনুদান মিলবে কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রক থেকে। সেই সঙ্গে থাকবে বিশ্ববিদ্যালয়গুলির সম্পূর্ণ পাঠ্যক্রমে স্বায়ত্ত শাসনের অধিকার। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১৯ সালের ছাত্র সংসদের নির্বাচনে অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ এই ইনস্টিটিউশনস অব এমিনেন্স-এর জন্য বিশেষ প্রচার অভিযান চালায়। উল্লেখ্য যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় (JU Student death) এবং রাজ্যকে বিশিষ্টতার জন্য সহযোগিতা এবং বিশেষ অনুদান পাওয়ার জন্য প্রতিবেদন পাঠাতে বলা হয়। কিন্তু রাজ্য সরকার বা যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় এই তকমা নিয়ে খুব একটা সক্রিয়তা দেখায়নি বলে অভিযোগ ওঠে।

    কেন এই তকমা বাতিল হতে পারে?

    যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় (JU Student death) সম্পর্কে ইউজিসির এক আধিকারিক বলেন, রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয় হিসাবে যাদবপুর ৩ হাজার ২৯৯ কোটি টাকার বাজেট জমা দিয়েছে ইউজিসির কাছে। কিন্তু পরে কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রকের তরফে রাজ্য সরকারের কাছে অনুদানের ১০০০ কোটি টাকা বহন করতে বলা হয়েছিল। কিন্তু তাতে রাজ্য সরকার এবং রাজ্যের শিক্ষা দফতর সক্রিয়তা দেখায়নি। প্রস্তাবকে সংশোধন করে রাজ্য শিক্ষা দফতর পাঠালেও, সেখানে বাজেটের পরিমাণ কম করা হয় বলে ইউজিসিকে জানানো হয়। এর ফলে কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রক যাদবপুরের ইনস্টিটিউশনস অব এমিনেন্স তকমা বাতিল করার সুপারিশ করে। একই ভাবে জামিয়া হামদর্দ বিশ্ববিদ্যালয় বিশিষ্টতার তকমা হারাবে বলে জানা গেছে। বিশ্ববিদ্যালয় এবং রাজ্য সরকার যদি অনুদানের একটা অংশ বহন না করে, তাহলে এই বিশেষ তকমার অনুদান না পাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।

    স্বপ্নদীপের মৃত্যুতে যাদবপুর এখন সরগরম। মৃত্যুর কারণ হিসাবে র‍্যাগিং এবং কর্তৃপক্ষের দায়বদ্ধতা নিয়েও উঠছে প্রশ্না। ইউজিসি আসার পর এখন তদন্তের গতি কোন পথে এগোয় তাই দেখার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • UPSC: ইউপিএসসি পরীক্ষায় ইঞ্জিনিয়ারদের সাফল্যের হার সবথেকে বেশি, বলছে রিপোর্ট

    UPSC: ইউপিএসসি পরীক্ষায় ইঞ্জিনিয়ারদের সাফল্যের হার সবথেকে বেশি, বলছে রিপোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিগত ১০ বছরে ইউপিএসসি পরীক্ষায় ইঞ্জিনিয়ারদের সাফল্যের হার সবথেকে বেশি। দেখা যাচ্ছে, বর্তমান প্যানেলের ৭০ শতাংশেরও বেশি প্রার্থী বাছাই হয়েছেন সিভিল সার্ভিসে যাঁরা টেকনিক্যাল অথবা মেডিক্যাল ব্যাকগ্রাউন্ডের ছাত্র বা ছাত্রী। ইউপিএসসি (UPSC) কর্তারা বলছেন যে বেশিরভাগ ইঞ্জিনিয়ার এবং ডাক্তাররা ইউপিএসসিকে পছন্দের তালিকায় রাখছেন। এর ফলে দেশে  ভাল ডাক্তার এবং ইঞ্জিনিয়ারদের অভাব বাড়তে থাকবে। ইউপিএসসির (UPSC) কর্তারা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন যে এই প্রবণতা যদি চলতে থাকে তাহলে আগামী দিনে অন্যান্য ক্ষেত্রে মেধাকে হারিয়ে ফেলবে আমাদের দেশ।

    ইঞ্জিনিয়ারদের সাফল্যের হার বেশি

    ওয়াকিবহাল মহলের মতে, ডাক্তার এবং ইঞ্জিনিয়ারদের মধ্যে  থেকে যদি বেশি সংখ্যায় ইউপিএসসি (UPSC) সিভিল সার্ভেন্ট পাওয়া যায়, তবে সেক্ষেত্রে চিকিৎসা শাস্ত্র অথবা ইঞ্জিনিয়ারিং এর ক্ষেত্রগুলিতে মেধার অভাব দেখা দেবে। সম্প্রতি, এই ডেটা প্রস্তুত করা হয়েছে ২০১১ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত ইউপিএসসি (UPSC) পরীক্ষায় যারা সফল হয়েছেন তাঁদের  পূর্ববর্তী শিক্ষাগত যোগ্যতার উপর। এবং সেখানে দেখা যাচ্ছে, ২০১১ সালে ৪৬ শতাংশ ইঞ্জিনিয়ার ইউপিএসসি (UPSC) পরীক্ষার সফল হয়েছিলেন, ২০২০ সালের ইউপিএসসি পরীক্ষার সফল হয়েছেন ৬৫ শতাংশ ইঞ্জিনিয়ার ছাত্র-ছাত্রী।  অন্যদিকে দেখা যাচ্ছে ২০১১ সালে মেডিক্যাল ছাত্র-ছাত্রীদের সাফল্যের হার ১৪ শতাংশ ছিল, ২০২০ সালে তা নেমে এসেছে ৪ শতাংশে। অন্যদিকে হিউম্যানিটিস নিয়ে পড়াশোনা করেছেন এমন পড়ুয়ারা ২০১১ সালের ইউপিএসসি-তে সফল হয়েছিলেন ২৩ শতাংশ। এবং ২০২০ তে সেই সাফল্যের হার ২৮ শতাংশ। মাঝখানে হিউম্যানিটিসের ছাত্র-ছাত্রীদের সাফল্যের হার বেড়ে গিয়েছিল ২০১২ সালে। সেবার ৪০ শতাংশের বেশি ছাত্র-ছাত্রী সফল হন ইউপিএসসি-তে (UPSC)। 

    কমিটির প্রস্তাব

    ইতিমধ্যে  কমিটি আর্জি জানিয়েছে, ইউপিএসসির সমস্ত পর্ব যাতে ছয় মাসের মধ্যে সম্পন্ন হয়। কমিটির মতে, সাধারণ মানুষের সঙ্গে সরকারের যোগসূত্র গড়ে তোলেন সিভিল সার্ভেন্টরা। তাই একজন দক্ষ এবং পেশাদার সিভিল সার্ভেন্ট (UPSC) গড়ে তুলতে ভাল মানের প্রশিক্ষণের কথা বলা হয়েছে ঐ রিপোর্টে। কমিটির পরামর্শ,  আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতি অবনতি হলে কীভাবে সিভিল সার্ভেন্টরা তা নিয়ন্ত্রণ করবেন, এ বিষয়ে সব থেকে জোর দিতে হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share