Category: স্বাস্থ্য

Get updates on Health News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Bad Cooking Practices: রান্নাঘরের এই পাঁচ অভ্যাস বাড়াচ্ছে বিপদ! কীভাবে এড়াবেন?

    Bad Cooking Practices: রান্নাঘরের এই পাঁচ অভ্যাস বাড়াচ্ছে বিপদ! কীভাবে এড়াবেন?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    শরীর সুস্থ রাখার চাবিকাঠি রয়েছে রান্নাঘরে! কী খাবার তৈরি হচ্ছে, কীভাবে সেটা রান্না হচ্ছে আর কখন খাওয়া হচ্ছে, এই সবকিছুই জরুরি। এগুলোর উপরে শরীর সুস্থ থাকার শর্ত অনেকটাই নির্ভর করে। অন্তত এমনটাই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, বহু শিশু নিয়মিত পেটের অসুখে ভোগে। অনেকেই বমি কিংবা হজমের গোলমালের জেরে হয়রানি হয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখা যায়, এই ধরনের নানান সমস্যা হয় খাবার থেকেই। তাই রান্নাঘরের অভ্যাস নিয়ে সচেতনতা জরুরি। তাঁরা জানাচ্ছেন, অনেকেই জানেন না, খুব সাধারণ রান্নাঘরের পাঁচটি অভ্যাস আসলে বিপজ্জনক। শরীরের মারাত্মক ক্ষতি করছে।

    নিয়মিত বাসি ভাত এবং ডিম খাওয়ার অভ্যাস!

    জীবনের ব্যস্ততা বাড়ছে। অনেকেই এখন কাজ কমাতে একসঙ্গে অনেকটা রান্না করে রাখেন‌। তারপরে সময় মতো গরম করে খান। কিন্তু চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, এই অভ্যাস খুবই বিপজ্জনক। তাঁরা জানাচ্ছেন, কিছু খাবার পুনরায় গরম করে খেলে, তার পুষ্টিগুণ একেবারেই থাকে না। বরং আরও বেশি শারীরিক ক্ষতি করে। তেমনি দুটো খাবার হলো ভাত এবং ডিম। পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, বাসি ভাতে নানান ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ হতে পারে। বাসি ভাত খেলে ডায়রিয়ার ঝুঁকি কয়েকগুণ বেড়ে যায়। দেখা যায়, নিয়মিত বাসি ভাত খেলে অনেকেই পেটের অসুখে ভুগছেন। ভাতের পাশাপাশি ডিম খাওয়ার ক্ষেত্রেও এই পরামর্শ দিচ্ছেন। তাঁরা জানাচ্ছেন, বাসি ডিম শরীরের জন্য ক্ষতিকারক। কারণ ডিম পুনরায় গরম করে খেলে ডিমের মধ্যে থাকা প্রোটিন একেবারেই নষ্ট হয়ে যায়। ফলে শরীরে কোনও উপকার হয় না। বরং নানান রোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়।

    প্লাস্টিকের বোতলে জল রাখার অভ্যাস!

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, প্লাস্টিক পরিবেশের জন্য যেমন ক্ষতিকারক, তেমনি শরীরের জন্যও ক্ষতিকারক। অধিকাংশ বাড়িতেই প্লাস্টিকের বোতলে জল রাখার রেওয়াজ। যা একাধিক রোগের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে। তাঁরা জানাচ্ছেন, অধিকাংশ প্লাস্টিক বোতল একবার ব্যবহারযোগ্য। কিন্তু বহু বাড়িতেই ওই বোতল দিনের পর দিন ব্যবহার হয়। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, প্লাস্টিকের বোতল তৈরির সময় বিসফেনল জাতীয় উপাদান ব্যবহার করা হয়। এই উপাদান রক্তচাপের ভারসাম্য নষ্ট করে। হরমোনের সমস্যা তৈরি করে। এমনকি ইনসুলিন ক্ষরণের ক্ষেত্রেও নানান জটিলতা তৈরি করে। দীর্ঘদিন প্লাস্টিকের বোতলে জল রেখে জল খেলে ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, হরমোন ঘটিত অসুখ এমনকি ক্যান্সারের ঝুঁকিও তৈরি হয়।

    রান্নাঘরে অতিরিক্ত সুগন্ধি ব্যবহার!

    রান্নাঘরে মাছ-মাংসের আঁশটে গন্ধ দূর করতে অনেকেই বাজারে সহজলভ্য সুগন্ধি ব্যবহার করেন। অনেকেই এখন রান্নার পরে ঘরে এয়ার ফ্রেশনার কিংবা সুগন্ধযুক্ত মোমবাতি জ্বালিয়ে গন্ধ দূর করেন। এতে সাময়িক স্বস্তি হলেও শরীরে মারাত্মক প্রভাব ফেলে বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, অধিকাংশ এই সুগন্ধিতেই থ্যালেট সহ একাধিক রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করা হয়। এগুলো শরীরের পক্ষে বিপজ্জনক। হৃদপিণ্ড, ফুসফুসের উপরে এগুলোর গভীর প্রভাব পড়ে। তাই রান্নাঘরে নিয়মিত এই ধরনের সুগন্ধি ব্যবহারের ক্ষেত্রেও সতর্কতা জরুরি বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। বরং তাদের পরামর্শ রান্নার পরে রান্নাঘর নিমপাতা এবং লেবুর রস মেশানো ঘরোয়া মিশ্রণে পরিষ্কার করলে জীবাণু দূর হবে আবার বাজে গন্ধ ও থাকবে না।

    পুরনো ননস্টিক বাসনে রান্না!

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, কী খাওয়া হচ্ছে, এর পাশপাশি কীভাবে রান্না করা হচ্ছে এটাও সমান জরুরি। শরীর সুস্থ রাখতে তাই কোথায় কীভাবে রান্না হচ্ছে সেটার দিকে নজরদারি প্রয়োজন। তাই তাঁদের পরামর্শ পুরনো ননস্টিক বাসনে রান্না করা একেবারেই উচিত নয়। তাঁরা জানাচ্ছেন, ননস্টিক বাসনে টেফলন নামে একটি রাসায়নিকের আস্তরন থাকে। পুরোনো বাসন বারবার ঘষা মাজার ফলে সেই আস্তরন ছিঁড়ে যায়। এতে বাসনের মধ্যে একধরনের রাসায়নিক ক্রিয়া হয়। ওই বাসনে রান্না করলে, ওই রাসায়নিক খাবারে মিশে যেতে পারে। বিষক্রিয়া দেখা দিতে পারে। যার প্রভাব শরীরেও পড়ে।

    অতিরিক্ত তেল ও কৃত্রিম চিনির ব্যবহার!

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, দেশজুড়ে ডায়াবেটিস এবং হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ছে। তাঁরা জানাচ্ছেন, তরুণ প্রজন্মের সুস্থ থাকার সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠছে। ডায়াবেটিস ও হৃদরোগের সবচেয়ে বড় কারণ জীবন‌ যাপন সংক্রান্ত নানান অভ্যাস। তাঁরা জানাচ্ছেন, অতিরিক্ত তেলে রান্না করা খাবার খাওয়া এবং কৃত্রিম চিনি খাওয়ার অভ্যাস শরীরে নানান রোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিচ্ছে। তাঁরা জানাচ্ছেন, অনেকেই নিয়মিত তেলে ভাজা জাতীয় খাবার খান‌। অনেকেই একবার রান্না করা তেল, পুনরায় ব্যবহার করেন। যা খুবই বিপজ্জনক। একবার রান্না করার পরে আবার সেই তেল পুনরায় ব্যবহার করলে শরীরে নানান জীবাণু সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়ে যায়‌। ডায়াবেটিসের ঝুঁকি রুখতে তরুণ প্রজন্মের একাংশ কৃত্রিম চিনি নিয়মিত ব্যবহার করছে। যা খুবই বিপজ্জনক। এমনটাই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, কৃত্রিম চিনিতে নানান ক্ষতিকারক রাসায়নিক থাকে। যার ফলে ক্যান্সারের মতো রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়। তাঁদের পরামর্শ, কম তেলে রান্না করতে হবে। চিনি কিংবা কৃত্রিম চিনি কোনোটাই শরীরের জন্য উপকারী নয়। তাই এগুলো‌ বাদ দেওয়া উচিত।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Diet And Nutrition: পুষ্টির ঘাটতিতে দেখা দিচ্ছে একাধিক শারীরিক সমস্যা! বাড়ছে কোন কোন রোগের প্রকোপ?

    Diet And Nutrition: পুষ্টির ঘাটতিতে দেখা দিচ্ছে একাধিক শারীরিক সমস্যা! বাড়ছে কোন কোন রোগের প্রকোপ?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    মাত্র তিরিশের চৌকাঠ পেরিয়ে কেউ ভুগছেন হাঁটু ও কোমরের যন্ত্রণায়। আবার কেউ লাগাতার ক্লান্তিবোধ অনুভব করেন। অনেকেই সিঁড়িতে কয়েক ধাপ ওঠার পরেই শ্বাসকষ্ট অনুভব করেন। দৈনন্দিন জীবনে এমন নানান শারীরিক অসুবিধায় অনুভব করছেন তরুণ প্রজন্মের একাংশ। তবে চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, এই ধরনের সমস্যার নেপথ্যে সব সময় জটিল অসুখ থাকছে না। পুষ্টির অভাবেই অধিকাংশ সময়ে এই ধরনের সমস্যা দেখা দিচ্ছে। পুষ্টি সম্পর্কে অসচেতনতা প্রতিদিনের স্বাভাবিক জীবন যাপনে বাধা তৈরি করছে‌।

    কেন তরুণ প্রজন্মের মধ্যে পুষ্টির অভাব দেখা দিচ্ছে?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, খাবারের অভাবেই পুষ্টির সমস্যা হয় না। বরং ভারতের মতো দেশে খাবার সম্পর্কে সচেতনতার অভাবে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে পুষ্টির অভাব বাড়ছে। তাঁরা জানাচ্ছেন, তরুণ প্রজন্মের একাংশ স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস সম্পর্কে সতর্ক নন।‌ তার ফলেই তাঁদের শরীরে নানান জটিলতা দেখা দিচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, তরুণ প্রজন্মের একাংশ দীর্ঘ সময়ের ব্যবধানে খাবার খান। এর ফলে অন্ত্র এবং লিভারের উপরে এর গভীর প্রভাব পড়ে‌। আবার অধিকাংশ সময়েই তাঁদের খাবারে প্রোটিনের পরিমাণ অধিক থাকে। ব্যালেন্স ডায়েট খুব কম মেনে চলেন। আর এর জেরেই বিপদ বাড়ে। অনেকেই দীর্ঘ সময়ের ব্যবধানে খিদে মেটাতে পিৎজা কিংবা বার্গারের মতো খাবার খাচ্ছেন। কেউ আবার প্যাকেটজাত খাবার চটজলদি বানিয়ে নিচ্ছেন। ফলে শরীরের সমস্ত চাহিদা পূরণ হচ্ছে না। নিয়মিত খাবারে পর্যাপ্ত পরিমাণ প্রোটিনের পাশপাশি ভিটামিন, ফাইবার, আয়রন, কার্বোহাইড্রেট না থাকলে শরীর সুস্থ থাকবে না। শরীরে একাধিক সমস্যা দেখা দেবে।

    পুষ্টির অভাবে কোন রোগের প্রকোপ বাড়ছে?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, হাড়ের সমস্যা বেড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ পুষ্টির অভাব। বিশেষত মহিলারা তিরিশের পরেই হাড়ের সমস্যায় আক্রান্ত হচ্ছেন। হাঁটু কিংবা কোমরে যন্ত্রণা, দীর্ঘ সময় দাঁড়ানো কিংবা হাঁটাচলা করায় সমস্যা দেখা দিচ্ছে। পুষ্টির অভাবেই এই সমস্যা হচ্ছে। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, নিয়মিত শরীর পর্যাপ্ত ক্যালসিয়াম পাচ্ছে না। কারণ, দুধ, ডিম, ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার অর্থাৎ লেবু, কিউইর মতো ফল অনেকেই নিয়মিত খান না। এর ফলে শরীরে শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি দেখা যায়। তার থেকেই বাড়ে ভোগান্তি।

    ক্লান্তিবোধ অনেকের নিয়মিত কাজে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, শরীরে আয়রনের ঘাটতি অনেক সময় এই ক্লান্তিবোধের নেপথ্যে কাজ করে। প্রক্রিয়াজাত মুখরোচক মাছ-মাংসের পদ খেলে শরীরে পুষ্টির চাহিদা পূরণ হয় না। বরং নানান রোগের প্রকোপ বাড়ে। তাঁরা জানাচ্ছেন, নিয়মিত প্রোটিন জাতীয় খাবার খাওয়া জরুরি। তাতে আয়রনের চাহিদা মেটে। কিন্তু মাছ, মাংস, সোয়াবিনের মতো পদ হালকা মশলা, কম তেলে টাটকা রান্না করে খেলে শরীরে প্রোটিনের চাহিদা মেটে। আয়রনের অভাব পূরণ হয়। আবার প্রোটিনের পাশপাশি নিয়মিত মোচা, ডুমুর, কাঁচকলার মতো সব্জি খাওয়া জরুরি বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, এই ধরনের সব্জিতে প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকে‌। তাই এগুলো নিয়মিত খেলে শরীরে ক্লান্তি বোধ কমে।

    শরীরকে রোগ মুক্ত রাখতে ভিটামিন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আর ভিটামিনের অন্যতম মূল উৎস হল সব্জি! এমনটাই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, তরুণ প্রজন্মের একাংশ নিয়মিত শাক-সব্জি খায় না। আর এর ফলেই শ্বাসকষ্ট, চুল পড়া, দাঁতের সমস্যা এমনকি দৃষ্টিশক্তির সমস্যাও দেখা যায়। তাঁরা জানাচ্ছেন, টমেটো, লাউ, পালং শাক, পটল, ঢ্যাঁড়শ কিংবা উচ্ছের‌ মতো‌ সব্জি নিয়মিত খেলে শরীরে ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, ভিটামিন বি-র মতো একাধিক প্রয়োজনীয় ভিটামিনের চাহিদা পূরণ হওয়ার পাশাপাশি পটাশিয়াম, সোডিয়াম, ম্যাঙ্গানিজের মতো নানান খনিজের চাহিদা ও পূরণ হয়। এই উপাদানগুলো শরীরে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ায়। হৃদপিণ্ড থেকে কিডনি, একাধিক গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গের সুস্থতার চাবিকাঠি। আবার মস্তিষ্ক সক্রিয় রাখে। সবমিলিয়ে নিয়মিত সবুজ সব্জি শরীর সুস্থ রাখতে পারে।

    তাই চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, শরীর সুস্থ রাখতে এবং রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়াতে, পুষ্টি সম্পর্কে সতর্ক থাকা জরুরি। শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় উপাদান খাবার থেকেই সহজে সংগ্রহ করা যায়। তাই প্রতিদিনের খাবার কতখানি পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ, সে সম্পর্কেও ওয়াকিবহাল থাকলে সুস্থ জীবন যাপন সহজ হয়ে যাবে।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • National Ayurveda Day: ধনতেরসে নয়, এবার থেকে প্রতি বছর ২৩ সেপ্টেম্বর পালিত হবে জতীয় আয়ুর্বেদ দিবস

    National Ayurveda Day: ধনতেরসে নয়, এবার থেকে প্রতি বছর ২৩ সেপ্টেম্বর পালিত হবে জতীয় আয়ুর্বেদ দিবস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আন্তর্জাতিক পরিসরে আয়ুর্বেদকে আরও স্বীকৃতি দেওয়া এবং উদযাপনের তারিখে ধারাবাহিকতা আনার লক্ষ্যে, ভারত সরকার ঘোষণা করেছে যে এখন থেকে প্রতি বছর ২৩ সেপ্টেম্বর ‘আয়ুর্বেদ দিবস’ হিসেবে পালিত হবে। জাতীয় আয়ুর্বেদে (National Ayurveda Day) দিবস পালন করা হয় আয়ুর্বেদের শক্তি ও অন্যান্য চিকিত্‍সা নীতিগুলির উপর ফোকাস করার জন্য। আয়ুর্বেদের সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে সাধারণ থেকে কঠিন রোগের সমস্যা মেটাতেই এই উদ্যোগ কেন্দ্রীয় সরকারের। প্রাচীনকাল থেকেই ভারতে আয়ুর্বেদ চর্চা হয়ে আসছে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা থেকে শুরু করে নানান জটিল রোগের সমাধান করতে সক্ষম এই চিকিত্‍সা পদ্ধতি। ইমিউনিটির সঙ্গে জড়িত সব রোগেরই সমাধানসূত্র পাওয়া যাবে এখানে।

    কেন দিন পরিবর্তন

    পূর্বে এই দিবসটি ধনতেরস উপলক্ষে উদযাপন করা হতো, যা হিন্দু চন্দ্র পঞ্জিকার উপর নির্ভর করে প্রতিবছর ভিন্ন তারিখে পড়ে। সাধারণত ধনতেরস অক্টোবর-মধ্য থেকে নভেম্বরের মধ্যে পড়ে, যার ফলে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্তরে বৃহৎ পরিসরে আয়োজিত অনুষ্ঠানগুলো পরিকল্পনা করতে অসুবিধা হতো। এই সমস্যার সমাধানে আয়ুষ মন্ত্রক একটি বিশেষ কমিটি গঠন করে এবং স্থায়ী তারিখ নির্ধারণের জন্য বিভিন্ন সম্ভাব্য বিকল্প বিশ্লেষণ করা হয়। শেষ পর্যন্ত ২৩ সেপ্টেম্বর তারিখটি নির্ধারিত হয়, যেটি শরৎকালীন বিষুব (Autumnal Equinox)-এর কাছাকাছি, যখন দিন ও রাত প্রায় সমান হয়। এই প্রাকৃতিক ভারসাম্যই আয়ুর্বেদের মূল দর্শনের প্রতীক—শরীর, মনের ও আত্মার মধ্যে ভারসাম্য।

    আয়ুর্বেদের গুরুত্ব

    আয়ুষ মন্ত্রক (Aayush Mantrac) দেশের সাধারণ মানুষ, চিকিৎসক, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে আহ্বান জানিয়েছে, যেন তারা ২৩শে সেপ্টেম্বর আয়ুর্বেদ দিবস (National Ayurveda Day) হিসেবে পালন করেন এবং এই প্রাচীন ভারতীয় চিকিৎসা বিজ্ঞানকে বৈশ্বিক স্বাস্থ্যপরিসরে আরও সুদৃঢ়ভাবে তুলে ধরতে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন। এই পরিবর্তনের মাধ্যমে আয়ুর্বেদের গুরুত্ব ও গ্রহণযোগ্যতা যেমন বাড়বে, তেমনি প্রতিরোধমূলক ও টেকসই স্বাস্থ্যচর্চা হিসেবেও এর ভূমিকা আরও জোরদার হবে বলে আশা করা হচ্ছে। আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞদের মতে, আয়ুর্বেদে ব্যবহৃত এমন অনেক ভেষজ রয়েছে, যা কমপক্ষে ১০০ ধরনের রোগের চিকিত্‍সা ও প্রতিরোধের জন্য একাই একশো। যদিও আয়ুর্বেদের ভেষজগুলির কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। তবে ১০-১৫ দিনে ব্যবধানে খাওয়া উচিত। মনে রাখবেন, কোনও ভেষজ গ্রহণ করার আগে আয়ুর্বেদে বিশেষজ্ঞের সঙ্গে পরামর্শ করে নেবেন।

  • Hair Fall Problem: বর্ষায় চুল নিয়ে দুর্ভোগ! এই সময়ে চুলের সমস্যায় ভোগেন অনেকেই, কোনও রোগের ইঙ্গিত?

    Hair Fall Problem: বর্ষায় চুল নিয়ে দুর্ভোগ! এই সময়ে চুলের সমস্যায় ভোগেন অনেকেই, কোনও রোগের ইঙ্গিত?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    একনাগাড়ে বৃষ্টিতে নাজেহাল বঙ্গবাসী। জল যন্ত্রণা, নানান রোগের পাশপাশি অনেকেই চুলের সমস্যাতেও জেরবার। বর্ষায় চুল অতিরিক্ত ঝরে পড়ার (Monsoon Hair Treatment) সমস্যায় অনেকেই ভোগেন। যাকে বলা হয় হেয়ার ফল প্রবলেম (Hairfall Problem)। আবার অনেকের মাথার চামড়ায় অতিরিক্ত চুলকানি হয়। লাল গোল দাগ হয়ে যায়। অতিরিক্ত চুল পড়া এবং এই ধরনের মস্তিষ্কের ত্বকের সমস্যার জেরে ভোগান্তি বাড়ে। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, বর্ষায় এই ধরনের সমস্যা দেখা দিলে একেবারেই অবহেলা করা উচিত নয়। বরং বাড়তি সতর্কতা জরুরি। এই সমস্যা অন্য রোগের ইঙ্গিত হতে পারে। সতর্ক না থাকলে সমস্যা আরও জটিল হতে পারে।

    কোনও রোগের ইঙ্গিত হতে পারে?

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, চুলের যে কোনও সমস্যার (Hairfall Problem) প্রধান কারণ মস্তিষ্কের ত্বক। চুলের গোড়া আটকে আছে সেই ত্বকে। তাই সেখানে কোনো ধরনের সমস্যা হলেই চুলে তার প্রভাব পড়বে। চিকিৎসকদের ভাষায় মাথার ত্বকে রোগ হয়েছে কিনা সে বিষয়ে যাচাই করা দরকার। অর্থাৎ মাথার ত্বক শুষ্ক হয়ে যাওয়া, কিংবা কোনো ধরনের অ্যালার্জি হয়েছে কিনা, সেটা পরীক্ষা জরুরি। বর্ষায় এই সমস্যা সবচেয়ে বেশি হয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, বর্ষায় ছত্রাক সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়ে যায়। কারণ একনাগাড়ে বৃষ্টিতে পরিবেশে স্যাঁতস্যাঁতে ভাব তৈরি হয়। এই জন্য ছত্রাকের বংশবৃদ্ধি পায়। সক্রিয়তা ও বাড়ে। তাই এই সময়ে চুলের সমস্যাও বাড়ে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, বর্ষায় অনেকেই এই ধরনের ছত্রাক সংক্রমণে আক্রান্ত হন। শরীরের অন্যান্য অংশে না হলেও, চুলের ভিতরে অর্থাৎ মাথার ত্বকে সংক্রমণ হয়। তাই চুলের সমস্যা (Hairfall Problem) বাড়ে‌।

    কীভাবে সমাধান পাওয়া যাবে?

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, ছত্রাক সংক্রমণের ঝুঁকি কমানো সবচেয়ে প্রথম উপায় হলো পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকা। তাঁরা জানাচ্ছেন, বর্ষার স্যাঁতস্যাঁতে ভাব থাকলেও শরীরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা জরুরি। অর্থাৎ নিয়মিত পরিষ্কার জলে স্নান জরুরি। তাঁরা জানাচ্ছেন, শরীরের অন্যান্য অংশে পরিষ্কারের পাশপাশি নিয়মিত মাথার ত্বকও পরিষ্কার রাখতে হবে। যাতে কোনো রকম সংক্রমণ না হয়। মাথা পরিষ্কার জলে ধোয়ার পরে ভালোভাবে শুকিয়ে নিতে হবে। এতে রোগ সংক্রমণের ঝুঁকি কমবে (Hairfall Problem)।

    নিয়মিত অত্যাধিক রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, তরুণ প্রজন্মের একাংশ নিয়মিত চুলে এবং মাথার ত্বকে একাধিক রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করেন (Monsoon Hair Treatment)। সাজসজ্জার অংশ হিসাবেই এই ব্যবহার হয়। কিন্তু মারাত্মক পরিমাণে নিয়মিত এই রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার মস্তিষ্কের ত্বকের পক্ষে ক্ষতিকারক হয়ে উঠছে। এর ফলে শুষ্কতা বাড়ছে। এছাড়াও ত্বকে নানান রকমের অ্যালার্জি দেখা দিচ্ছে। মাথার ত্বকে বারবার ফুসকুড়ি দেখা দিলে, লাল গোল চাকা হয়ে উঠলে কিংবা চুলকানি বাড়লে অবহেলা করা উচিত নয়। বরং দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল।

     

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Heart Attack Among Women: শুধু পুরুষরা নন, মহিলারাও আক্রান্ত হচ্ছেন হৃদরোগে! কী বলছে নয়া গবেষণা?

    Heart Attack Among Women: শুধু পুরুষরা নন, মহিলারাও আক্রান্ত হচ্ছেন হৃদরোগে! কী বলছে নয়া গবেষণা?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    দেশ জুড়ে হৃদরোগে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। গত কয়েক বছরে পুরুষদের পাশপাশি মহিলারাও হৃদরোগে উল্লেখযোগ্য ভাবে বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, সতর্কতা আর সচেতনতা না বাড়ালে মৃত্যুর আশঙ্কাও বাড়বে। স্বাভাবিক সুস্থ জীবন যাপনের জন্য সচেতনতা জরুরি। সাম্প্রতিক এক গবেষণায় চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, হঠাৎ হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা শোনা গেলেও, সবকিছু আচমকা হয় না। কয়েক সপ্তাহ ধরেই শরীর নানান ভাবে জানান দেয়। কিন্তু অসচেতনতার ফলে মানুষ এই ধরনের উপসর্গগুলোর গুরুত্ব বুঝতে পারেন না। বিশেষত ওই গবেষণায় চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, মহিলাদের চল্লিশের পরে কয়েকটি লক্ষণ স্পষ্ট হলে কখনোই অবহেলা করা উচিত নয়। বরং বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরি।

    কেন চল্লিশের চৌকাঠ পেরনোর পরে মহিলাদের বাড়তি সতর্কতার নিদান?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, মহিলাদের চল্লিশের পরে বাড়তি সতর্কতা জরুরি। তাঁরা জানাচ্ছেন, চল্লিশের পরে অধিকাংশ মহিলার ঋতুস্রাব বন্ধ হয়ে যায়। অর্থাৎ পোস্ট মেনোপজ শুরু হয়। এই সময়ে শরীরে হরমোনের একাধিক পরিবর্তন হয়। এর ফলে একাধিক শারীরিক সমস্যাও তৈরি হয়। তাই চল্লিশের পরে শরীর নিয়ে মহিলাদের বাড়তি সতর্কতা জরুরি। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, হরমোনের ভারসাম্য বদলে যাওয়ার কারণে চল্লিশ থেকে পঞ্চাশ বছর বয়সের মধ্যে মহিলাদের ওজন ওঠানামা করে। অধিকাংশ মহিলা স্থূলতার সমস্যায় ভোগেন। যার সঙ্গে কোলেস্টেরল, রক্তচাপের ওঠানামার সরাসরি সম্পর্ক রয়েছে। এগুলোর প্রভাব হৃদযন্ত্রের উপরে পড়ে। তাই বাড়তি সতর্কতা জরুরি। আবার এই বয়সে মহিলাদের শরীরে পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজের মতো একাধিক গুরুত্বপূর্ণ খনিজের চাহিদা ও অনেক সময় পূরণ হয় না। এর ফলে হৃদরোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়। মহিলাদের পোস্ট মেনোপজ পর্বে হরমোনের একাধিক পরিবর্তনের জেরে মানসিক স্বাস্থ্যে প্রভাব পড়ে। এর ফলে মানসিক অবসাদ তৈরি হয়। এগুলোও হৃদপিণ্ডের উপরে গভীর প্রভাব ফেলে। তাই চল্লিশের পরে মহিলাদের হৃদরোগ নিয়ে বাড়তি সতর্কতা জরুরি।

    কোন লক্ষণ হার্ট অ্যাটাকের জানান দেয়?

    এক আন্তর্জাতিক সংস্থার সাম্প্রতিক গবেষণায় প্রকাশিত এক রিপোর্টে অনুযায়ী, হঠাৎ হৃদরোগে আক্রান্ত হলেও শরীর কয়েক সপ্তাহ ধরে জানান দেয়। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, সেই ইঙ্গিত সম্পর্কে ওয়াকিবহাল থাকা জরুরি। ওই গবেষণার তথ্য অনুযায়ী, হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার আগে মারাত্মক ভাবে বমি ভাব বেড়ে যায়। বিশেষত মহিলাদের ক্ষেত্রে এই লক্ষণ প্রবলভাবে দেখা যায়। কয়েকদিন ধরে লাগাতার বমি ভাব এবং মাথা ঘোরার মতো উপসর্গ দেখা দিলে তা এড়িয়ে চলা উচিত নয়।

    অনেকেই হজমের গোলমাল ভেবে বিশেষ গুরুত্ব দেন না। কিন্তু চিকিৎসকদের একাংশের পরামর্শ, চল্লিশোর্ধ্ব মহিলার লাগাতার এই বমি ভাব কিংবা মাথা ঘোরার মতো উপসর্গ দেখা দিলে বারবার রক্তচাপ মেপে নেওয়া জরুরি। কারণ রক্তচাপ খুব বেশি ওঠানামা করলে এবং এই ধরনের উপসর্গ দেখা দিলে বাড়তি সতর্কতা জরুরি। মাথার পিছনে ঘাড় বরাবর যন্ত্রণা অনুভব করলে আগাম সতর্কতা জরুরি বলেই ওই গবেষণায় জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। তাঁরা জানাচ্ছেন, হার্ট অ্যাটাকের আগে এই ধরনের যন্ত্রণা দেখা যায়। এই ব্যাপারেও সতর্ক হলে বড় বিপদ এড়ানো সহজ হবে।

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, হৃদরোগে আক্রান্ত হলে আরেকটি বড় লক্ষণ হলো মস্তিষ্কে অক্সিজেনের অভাব। এর জেরে হঠাৎ করেই জ্ঞান‌ হারানো কিংবা সাধারণ জিনিস ভুলে যাওয়ার মতো উপসর্গ দেখা দেয়। বিশেষজ্ঞেরা জানাচ্ছেন, এই ধরনের উপসর্গ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। রক্ত সঞ্চালনে সমস্যা হলেই মস্তিষ্কে অক্সিজেনের অভাব দেখা দেয়। আর তার ফলেই জ্ঞান হারানো কিংবা স্মৃতির সমস্যা দেখা দিতে পারে। এই ধরনের উপসর্গ নিয়ে বাড়তি সতর্কতা জরুরি বলেই মনে করছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

     

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Monsoon Illness: বর্ষার অসুখ রুখতে দাওয়াই এই ফলগুলি! বলছেন বিশেষজ্ঞরা, আপনি খাচ্ছেন তো?

    Monsoon Illness: বর্ষার অসুখ রুখতে দাওয়াই এই ফলগুলি! বলছেন বিশেষজ্ঞরা, আপনি খাচ্ছেন তো?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    বৃষ্টিতে নাজেহাল বঙ্গবাসী! জমা জল আর একনাগাড়ে বৃষ্টির পাশপাশি ভোগান্তি বাড়াচ্ছে অসুখ। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, জুলাইয়ের মাঝামাঝি থেকেই জ্বর, সর্দি-কাশি এবং পেটের সমস্যায় ভোগান্তি নিয়ে রোগীদের ভিড় বাড়ছে। বিশেষত শিশুদের ভোগান্তি বেশি। জ্বর, সর্দি-কাশির পাশপাশি বমি, পেট ব্যথার মতো নানান উপসর্গ দেখা দিচ্ছে। এর ফলে তাদের শারীরিক ভোগান্তি বাড়ছে। পড়াশোনাও ক্ষতি হচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, লাগাতার বৃষ্টির জেরে বাতাসে নানান ভাইরাসের দাপট বেড়েছে। তেমনি জমা জল থেকে নানান ব্যাক্টেরিয়া এবং ছত্রাক শক্তি বাড়াচ্ছে। আর এর ফলেই সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্য ভোগান্তি বাড়ছে। শিশুদের রোগ প্রতিরোধ শক্তি তুলনামূলক কম। তাই তাদের নানান সমস্যা দেখা দিচ্ছে। চিকিৎসকদের একাংশের পরামর্শ, বর্ষার অসুখকে মোকাবিলা করতে পারে বর্ষার মরশুমের ফল! তাঁরা জানাচ্ছেন, খাবারেই রয়েছে সুস্থ থাকার দাওয়াই। একাধিক রোগের ঝুঁকিও কমাতে পারে খাবার। তাই বর্ষার কয়েকটি ফল নিয়মিত মেনুতে রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

    বর্ষার মরশুমের কোন ফলে ভরসা রাখছেন চিকিৎসক মহল?

    আনারস!

    বর্ষা মরশুমের অন্যতম ফল আনারস। চিকিৎসকেরা এই সময়ে আনারস খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন। তাঁরা জানাচ্ছেন, আনারস শুধু স্বাদে নয়, স্বাস্থ্যগুণেও ফুল মার্কস পাবে। তাই বর্ষার নানান অসুখের ভোগান্তি কমাতে আনারস খাওয়ার নিদান বিশেষজ্ঞ মহলের। তাঁরা জানাচ্ছেন, আনারসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট। বর্ষায় সর্দি-কাশি সবচেয়ে বড় ভোগান্তি। তার থেকেই জ্বর হয়। ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল হওয়ায় এই ফল খেলে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়বে। আবার অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট ইমিউনিটি পাওয়ার বাড়াতে সাহায্য করে। তাই এই ফল খেলে অসুখের ঝুঁকি কমে। এছাড়া আনারসে ব্রোমেলিন নামে একটি উপাদান থাকে। বর্ষার আরেক অসুখ হল পেটের সমস্যা। এই আবহাওয়ায় যেহেতু ব্যাক্টেরিয়া আর ছত্রাকের বাড়বাড়ন্ত হয়, তাই পেটের সমস্যায় অনেকেই কাবু হন। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, আনারসের এই ব্রোমেলিন উপাদান পেটের অসুখ কমাতে সাহায্য করে। আবার হজম শক্তিও বাড়িয়ে দেয়। এছাড়াও আনারস ম্যাঙ্গানিজ এবং ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার। তাই এই ফল খেলে হাড়ের রোগের ঝুঁকিও কমে।

    মুসাম্বি লেবু!

    বর্ষার সময়ে বাজারে দেদার পাওয়া যায় মুসাম্বি লেবু। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, বর্ষার ভোগান্তি কমাতে এই ফলের উপকারিতা প্রচুর। তাঁরা জানাচ্ছেন, ভিটামিন সি সমৃদ্ধ এই ফল সপ্তাহে অন্তত তিন দিন খাওয়া উচিত। এই ফলে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ে। আবার বর্ষায় বহু মানুষ চামড়ার রোগে আক্রান্ত হন। ত্বক খসখসে হয়ে যাওয়া কিংবা যে কোনও ছত্রাকের সংক্রমণের মতো সমস্যাও এই ঋতুতে দেখা যায়। নিয়মিত মুসাম্বি লেবু খেলে ত্বক ভালো থাকে। ত্বক উজ্জ্বল হয়। আর যে কোনও চর্মরোগের ঝুঁকি কমে। পাশপাশি এই সময়ে অনেকেই হজমের সমস্যায় ভোগেন। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, মুসাম্বি লেবুতে ফ্ল্যাভোনয়েড থাকে। এই উপাদান হজম শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। তাছাড়া টানা বর্ষায় অনেকেই মানসিক অবসাদে ভোগেন। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, মুসাম্বী লেবু মানসিক স্বাস্থ্যের জন্যও ভালো। মুসাম্বি লেবুর গন্ধ মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে। আবার ভিটামিন সি সমৃদ্ধ এই ফল খেলে হাড়ের ক্ষয় রোগের ঝুঁকিও কমে। দৃষ্টিশক্তি ভালো থাকবে।

    বেরি!

    বর্ষার বিপত্তির পাশপাশি একাধিক জীবন যাপন সংক্রান্ত রোগ মোকাবিলার দাওয়াই হিসাবেও বেরিতে ভরসা রাখছেন বিশেষজ্ঞ মহল। তাঁরা জানাচ্ছেন, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ এই ফল নিয়মিত খেলে শরীরে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ে। পাশপাশি কোষগুলো সজীব থাকে। এর ফলে যে কোনো সংক্রামক রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও কমে। তবে এর পাশপাশি সাম্প্রতিক একাধিক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, বেরি নিয়মিত খেলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে। টাইপ টু ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ও বেরি বিশেষ উপকারি। তাছাড়া বেরি স্নায়ু ও কোষের উপরে যথেষ্ট প্রভাব ফেলে তাই মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা ও বাড়ে। শরীরে ক্লান্তি বোধ হয় না। তাই এই আবহাওয়ায় নিজেকে সক্রিয় রাখতে ও দৈনন্দিন কাজ ঠিকমতো করতে নিয়মিত বেরি খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

    পেয়ারা!

    বাঙালির অতি পরিচিত ফল পেয়ারা। আর এই ফলেই রয়েছে একাধিক ভোগান্তি রুখতে পারার শক্তি। তাই চিকিৎসকদের একাংশের পরামর্শ নিয়মিত পেয়ারা খাওয়া জরুরি। তাঁরা জানাচ্ছেন, পটাশিয়াম, ভিটামিন সি, ফাইবার এবং অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট সমৃদ্ধ এই ফল নিয়মিত খেলে একাধিক রোগ প্রতিরোধ সম্ভব। তাঁরা জানাচ্ছেন, পেয়ারা রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়াতে বিশেষ সাহায্য করে। পাশপাশি ফাইবার সমৃদ্ধ এই ফল নিয়মিত খেলে হজম শক্তি বাড়ে। লিভার ভালো থাকে। পেয়ারা শরীরকে অতিরিক্ত ক্যালোরি গ্রহণ থেকে আটকে রাখতে পারে। তাই নিয়মিত একটা পেয়ারা খেলে শরীরের স্থূলতার সমস্যা কমতে থাকে। পেয়ারায় থাকে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম। তাই ঋতুকালীন ভোগান্তি কমানোর পাশপাশি পেয়ারা হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়‌। রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে ও সাহায্য করে।

     

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Diabetes: আগেই জানান দেবে! ইঙ্গিত বুঝলেই ডায়াবেটিসের বিপদ এড়ানো সম্ভব?

    Diabetes: আগেই জানান দেবে! ইঙ্গিত বুঝলেই ডায়াবেটিসের বিপদ এড়ানো সম্ভব?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

     

    বিপদ বাড়ছে। বয়সের সীমারেখা পেরিয়ে এখন স্কুল পড়ুয়ার শরীরেও অসুখ হাজির হচ্ছে। ডায়াবেটিস আর শুধুই প্রৌঢ়ত্বের সঙ্গে হাজির হচ্ছে না। বরং খুব কম বয়সিদের মধ্যেও এই রোগের প্রকোপ দেখা দিচ্ছে। এমনকি স্কুল পড়ুয়ারাও টাইপ টু ডায়াবেটিস আক্রান্ত হচ্ছে। জীবনভর তাদের এই রোগের বোঝা নিয়েই চলতে হচ্ছে। এর ফলে সুস্থ স্বাভাবিক জীবন যাপনে সমস্যা হচ্ছে। বিশেষত ভারতে গত কয়েক বছরে মারাত্মক ভাবে ডায়াবেটিসের প্রকোপ বেড়েছে। তাই উদ্বিগ্ন চিকিৎসক মহল। তাঁরা জানাচ্ছেন, প্রি-ডায়াবেটিক রোগীদের চিহ্নিত করতে পারলেই বিপদের ঝুঁকি অনেকটাই কমবে। স্বাভাবিক জীবন যাপনের সুযোগ থাকবে। তাই ডায়াবেটিস হওয়ার আগেই সতর্কতা জরুরি। কে ডায়াবেটিস আক্রান্ত হতে পারেন, সে সম্পর্কে সতর্ক থাকলেই বড় বিপদ এড়ানো সহজ হতে পারে।

    কীভাবে প্রি-ডায়াবেটিক রোগী চিহ্নিত হবে?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, নিয়মিত রক্ত পরীক্ষা করলেই সহজেই পরিস্থিতি সম্পর্কে সতর্ক থাকা যাবে। তাঁরা জানাচ্ছেন, ভারতকে ডায়াবেটিস রোগের ক্যাপিটাল বলা হয়। গত কয়েক বছরে এ দেশে ডায়াবেটিস আক্রান্তদের সংখ্যা কয়েক গুণ বেড়েছে। কমবেশি সব পরিবারেই কেউ ডায়াবেটিস আক্রান্ত রয়েছেন। পরিবারের কেউ ডায়াবেটিস আক্রান্ত হলে, তার পরবর্তী প্রজন্মের এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বেড়ে যায়। তাই বাড়ির কেউ ডায়াবেটিস আক্রান্ত হলে, পরিবারের অন্যদের ও বছরে অন্তত একবার ডায়াবেটিস পরীক্ষা করানো জরুরি। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ডায়াবেটিস পরীক্ষা একেবারেই খরচ সাপেক্ষ। তাই সে নিয়ে বাড়তি দুশ্চিন্তার দরকার নেই। সহজ রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে শরীরে শর্করার পরিমাণ অনিয়ন্ত্রিত কিনা সেটা বোঝা যায়। তাই বয়স বছর তিরিশের চৌকাঠ পেরোলেই বছরে অন্তত একবার রক্তের শর্করার পরিমাণ ঠিক রয়েছে কিনা, তা পরীক্ষা করে দেখা দরকার। নিয়মিত রক্ত পরীক্ষা করালেই চিকিৎসক বুঝতে পারবেন, রোগীর ডায়াবেটিস হতে পারে কিনা!

    কাদের ঝুঁকি বেশি?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ডায়াবেটিস বংশানুক্রমিক ভাবে সবচেয়ে বেশি প্রকোপ দেখায়। তাই বাড়িতে কেউ ডায়াবেটিস আক্রান্ত থাকলে, অন্যদের সতর্ক থাকা জরুরি। তাঁরা সহজেই প্রি-ডায়াবেটিক রোগীদের তালিকায় থাকতে পারেন। এছাড়াও, যাদের শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যায়, উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় ভোগেন, তাঁদের ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে। তাই তাঁরাও প্রি-ডায়াবেটিক রোগীদের তালিকায় সহজেই থাকেন। তাঁদের ও বাড়তি সতর্কতার প্রয়োজন আছে বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। স্থুলতার সমস্যা থাকলে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ে। তাই শরীরের ওজন নিয়েও বাড়তি সতর্কতা প্রয়োজন।

    কীভাবে প্রি-ডায়াবেটিক রোগী সতর্ক থাকবেন?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ডায়াবেটিস শরীরে নানান রোগের কারণ। রক্তে শর্করা বেড়ে গেলে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বেড়ে যায়। ডায়াবেটিস দৃষ্টিশক্তির সমস্যা তৈরি করে। আবার ডায়াবেটিস হলে কিডনির সমস্যাও দেখা দিতে পারে। বন্ধ্যাত্বের মতো সমস্যার কারণ ও অনেক সময় ডায়াবেটিস হয়। তাই এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার আগেই বাড়তি সতর্কতা জরুরি। যাতে এই রোগের প্রকোপে স্বাভাবিক জীবন যাপন ব্যহত না হয়। তাই চিকিৎসকদের একাংশের পরামর্শ, প্রি-ডায়াবেটিক রোগীদের কয়েকটি বিষয়ে বাড়তি সতর্কতা জরুরি। নিয়মিত হাঁটাচলা করা প্রয়োজন। তাঁদের পরামর্শ দিনে তিরিশ থেকে চল্লিশ মিনিট নিয়মিত হাঁটাচলা করতে হবে। হাঁটলে শরীরে রক্তচাপ স্বাভাবিক থাকে। রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে থাকে। আবার নিয়মিত হাঁটলে সহজেই ক্যালোরি ক্ষয় হয়। ফলে স্থূলতাকেও নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। তাই নিয়মিত হাঁটাচলা করা জরুরি।

    খাদ্যাভ্যাস নিয়ে বাড়তি সতর্কতা প্রয়োজন

    ধারাবাহিক ভাবে কয়েক বছরের রক্ত পরীক্ষার রিপোর্ট অনুযায়ী যদি কেউ প্রি-ডায়াবেটিক রোগী হিসাবে চিহ্নিত হয়, তবে তাঁকে খাদ্যাভ্যাস নিয়ে বাড়তি সতর্ক থাকতে হবে। এমনটাই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁদের পরামর্শ, চিনি একেবারেই খাওয়া চলবে। চিনি রক্তে শর্করার পরিমাণ মারাত্মক ভাবে বাড়িয়ে দেয়। তাই চিনি খাওয়া একেবারেই চলবে না। যেকোনও ধরনের মিষ্টি জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।‌ তাঁরা জানাচ্ছেন, প্রি-ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য মিষ্টি বিপজ্জনক। তাছাড়া, পাকা আম, কলা জাতীয় ফল খাওয়ার ক্ষেত্রে পরিমাণে নজর দেওয়া জরুরি। ভাতের মতো কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার খাওয়ার ক্ষেত্রেও পরিমাণ নিয়ে সচেতনতা জরুরি। প্রি-ডায়াবেটিক রোগীদের নিয়মিত পনীর, টক দই, করলা, পটল, লেবুর মতো খাবার খাওয়ায় পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

    রোগের ঝুঁকি কমাতে শরীরে রোগ প্রতিরোধ শক্তি খুব জরুরি। তাই প্রি-ডায়াবেটিক রোগীদের ঠিকমতো পর্যাপ্ত ঘুম অত্যন্ত জরুরি। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, অনিয়মিত ঘুম ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। কারণ, ঘুম পর্যাপ্ত না হলে শরীরে রোগ প্রতিরোধ শক্তি কমে যায়। এছাড়াও একাধিক অঙ্গের কার্যক্ষমতা কমে। তাই নিয়মিত অন্তত সাত থেকে আট ঘণ্টা যাতে ঘুম হয়, সেটা নিশ্চিত করা জরুরি। শরীর পর্যাপ্ত বিশ্রাম পেলে, রোগ মোকাবিলা সহজ হবে।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Child Stubbornness: শিশুর মারাত্মক জেদ সামলাতে হিমশিম! কীভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখবেন?

    Child Stubbornness: শিশুর মারাত্মক জেদ সামলাতে হিমশিম! কীভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখবেন?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    সময় মতো খেতে বসা কিংবা ঘুমোনোর জন্যও হয়রানি হচ্ছে। মনোযোগের অভাবে সাধারণ জিনিসেও ভুল হচ্ছে। আবার মনের মতো কিছু না হলেই বিপত্তি! পরিবারের একরত্তি সদস্যের মারাত্মক জেদ আর খিটখিটে‌ মেজাজ সামলাতে অনেক বাবা-মা হিমশিম খাচ্ছেন। মনোরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, শিশুদের এই মেজাজ হারানোর সমস্যায় অধিকাংশ অভিভাবক নাজেহাল। অতিরিক্ত জেদ এবং খিটখিটে মেজাজের জন্য অনেক সময়েই তাদের পড়াশোনায় ক্ষতি হচ্ছে। এমন অনেক আচরণ তারা করছে, যা একেবারেই কাম্য নয়। ফলে বাবা-মায়ের দুশ্চিন্তা বাড়ছে। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, আট থেকে বারো বছর বয়সি ছেলেমেয়েদের মধ্যে এই সমস্যা বেশি দেখা দিচ্ছে। তবে অনেক সময় এর থেকেও কম বয়সিদের মধ্যেও এই ধরনের অস্থিরতা দেখা দিচ্ছে।

    কেন সন্তান জেদি এবং খিটখিটে হয়ে উঠছে?

    মনোরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, সন্তান যেকোনও সামান্য বিষয়েও মারাত্মক জেদ করলে কিংবা দিনের অধিকাংশ সময়ে খুব খিটখিটে মেজাজে থাকলে তার প্রতি বাড়তি যত্ন ও নজরদারি জরুরি। তাঁরা জানাচ্ছেন, অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখা যায়, সন্তানের লাগাতার জেদ আর খিটখিটে স্বভাবের জন‌্য অভিভাবকেরা তাকে অতিরিক্ত শাসন করেন‌। এর ফল হয় উল্টো। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, অতিরিক্ত চাপ এবং ক্লান্তিবোধ শিশুকে খিটখিটে স্বভাবের করে তুলতে পারে। এর ফলেই তৈরি হয় একগুঁয়ে আর জেদি মনোভাব। তাঁরা জানাচ্ছেন, অধিকাংশ শিশু খুব কম বয়স থেকেই স্কুলে ভর্তি হয়ে যায়। পড়াশোনার পাশাপাশি একাধিক বিষয় তারা তালিম নেয়। অর্থাৎ, দিনের অধিকাংশ সময় নানান প্রশিক্ষণের মধ্যেই কাটে। একটা মানসিক চাপ সব সময় কাজ করে। এর ফলে তারা শারীরিক ও মানসিক ভাবে যথেষ্ট ক্লান্ত হয়ে থাকে। তার উপরে যেকোনও বিষয় নিয়ে আরো বাড়তি চাপ দিলে মানসিক অস্থিরতা তৈরি হতে পারে।

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, সন্তান দিনের কতটা সময় স্ক্রিন টাইম কাটায় সে দিকে নজর দেওয়া জরুরি। তাঁরা জানাচ্ছেন, অনেক বাড়িতেই বিনোদন হিসাবে সন্তানের হাতে‌ মোবাইল ধরিয়ে দেওয়া হয়‌। কিন্তু মোবাইল কখনোই শিশুর অবসর যাপনের মাধ্যম হতে পারে না। এতে মস্তিষ্কে বাড়তি চাপ তৈরি করে। চোখের পক্ষে ক্ষতিকারক। আবার শিশু মোবাইলে কী দেখছে, সেটাও নজরে রাখা প্রয়োজন। মনোরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, এমন একাধিক বিষয় শিশু মোবাইল থেকে শেখে, যা তাদের মানসিক স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকারক। আর তার থেকেই তৈরি হয় খিটেখিটে স্বভাব।

    তবে সন্তানের অতিরিক্ত জেদের কারণ একাকিত্ব বলেও মনে করছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, অধিকাংশ শিশু নিউক্লিয়ার পরিবারে বড় হচ্ছে। তাই ভাগ করে নেওয়া, অপেক্ষা করা কিংবা অন্যকে ভালো বলার মতো স্বাভাবিক গুণ ঠিকমতো বিকশিত হচ্ছে না। আধুনিক জীবনে অধিকাংশ পরিবারে বাবা এবং মা দুজনেই কাজে ব্যস্ত থাকেন। অনেক সময়েই শিশু দিনের একটা বড় অংশ মা-বাবার সঙ্গে থাকার সুযোগ পায় না। এর ফলে তাদের মধ্যে একটা একাকিত্ব গ্রাস করে। আবার নানান সামাজিক বিনিময় ও ঠিকমতো হয় না। এই সবকিছুর প্রভাব তাদের আচরণে পড়ে।

    কীভাবে পরিস্থিতি সামলাবেন?

    মনোরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশের পরামর্শ, শিশুর খুব সামান্য জিনিস নিয়ে জেদ করা কিংবা পরিবারের যেকোনও সদস্যের সঙ্গে আচরণে কোনো সমস্যা দেখা দিলে প্রথম থেকেই বাড়তি নজরদারি প্রয়োজন।‌ তাহলে পরিস্থিতি জটিল হবে না।‌ তবে কখনোই অতিরিক্ত বকাবকি চলবে না। তাঁদের পরামর্শ, শিশুর পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধুলার জন্য নির্দিষ্ট সময় বরাদ্দ রাখতেই হবে। নিজের মতো কিছুটা সময় খেলাধুলা করা জরুরি। এতে সারাদিনের ক্লান্তি এবং মানসিক চাপ কমে। অন্যান্য বিভিন্ন বিষয়ে তালিম দেওয়ার পাশপাশি যাতে শিশুর খেলার সময় থাকে, সেটা সন্তানের দৈনন্দিন রুটিন তৈরির সময় অবশ্যই নজর দিতে হবে।

    পাশাপাশি শিশুর বিশ্রামের দিকে নজরদারি জরুরি। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, দীর্ঘদিন বিশ্রামে ঘাটতি হলে শরীর ও মন ক্লান্ত হয়ে যায়। ফলে খিটখিটে মেজাজ দেখা যায়। রাগ, জেদ বাড়ে। শরীরে হরমোনের ভারসাম্যের অভাব ঘটে। আর তার ফলেই এই মানসিক অস্থিরতা তৈরি হয়। সন্তান নিয়মিত আট ঘণ্টা ঘুমোতে পারছে কিনা সেদিকে নজরদারি জরুরি। ঠিকমতো পর্যাপ্ত ঘুম হলে সন্তানের মস্তিষ্কের বিকাশ ঠিকমতো হবে। ক্লান্তি কমবে। মানসিক অস্থিরতাও থাকবে না।

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, শিশুর বিনোদন মানে কখনোই স্ক্রিন টাইম নয়। সন্তানকে ছাদে ঘুড়ি ওড়ানো, সাইকেল চালানো, রঙ করা কিংবা গল্পের বই পড়ার মতো বিষয়ে অভ্যস্ত করে তোলার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা।‌ তাঁরা জানাচ্ছেন, এই ধরনের অভ্যাসে শরীর ও মন সুস্থ থাকে। মস্তিষ্কে বাড়তি উত্তেজনা তৈরি হয় না। বরং মানসিক চাপ কমে।

    পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানোতে অভ্যস্ত করা জরুরি বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।‌ তাঁরা জানাচ্ছেন, অতিরিক্ত রাগ, জেদ নিয়ন্ত্রণে রাখার সবচেয়ে সহজ উপায় সন্তানের সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগ তৈরি। তাই ছুটির দিনে একসঙ্গে বসে দাবা, লুডো খেলা কিংবা একসঙ্গে মাঠে যাওয়া অথবা গান শোনার জন্য সময় বরাদ্দ জরুরি। এতে সন্তানের মনে কি চলছে সে সম্পর্কে সহজেই হদিশ পাওয়া যায়। আবার অনেক আচরণ সম্পর্কে তাদের সহজেই শেখানো‌ যায়। এতে জটিলতা কমে।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Kidney Stones: কিডনিতে পাথর! বারবার হতে পারে ভোগান্তি! কোন পথে সমাধান?

    Kidney Stones: কিডনিতে পাথর! বারবার হতে পারে ভোগান্তি! কোন পথে সমাধান?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    শরীর সুস্থ রাখতে এবং নিয়মিত সুস্থ জীবন যাপনের জন্য শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গের সক্রিয় থাকা এবং সুস্থ থাকা জরুরি। কিন্তু সম্প্রতি কিডনির রোগে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। বয়সের সীমানায় আর রোগের ভোগান্তি আটকে থাকছে না। খুব কম বয়সিদের মধ্যেও কিডনির রোগের ঝুঁকি বাড়ছে। বিশেষ করে কিডনিতে পাথর (Kidney Stones) হচ্ছে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, পেটে অসহ্য যন্ত্রণা, বমি, কিংবা হাত-পা অসাড় হয়ে যাওয়ায় মতো নানান সমস্যায় অনেকেই ভোগেন। চিকিৎসকের পরামর্শ মতো শারীরিক পরীক্ষা করে দেখা যায় কিডনিতে পাথর! তাঁরা জানাচ্ছেন, কিডনিতে পাথর জমা এমন একটা সমস্যা, যা বারবার ফিরে আসতে পারে। এর ফলে ভোগান্তি বাড়ে। স্বাভাবিক সুস্থ জীবন যাপন করা মুশকিল হয়ে ওঠে। খুব কম বয়সি ছেলেমেয়েদের মধ্যেও এই রোগের প্রকোপ বেশি দেখা দিচ্ছে। কিডনি দেহের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। এর ফলে শরীরে তার গভীর প্রভাব পড়ছে।

    কেন কিডনিতে পাথর (Kidney Stones) জমে?

    চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, কিডনি হল দেহের ছাঁকনি! অর্থাৎ,শরীরের সমস্ত দূষিত পদার্থ কিডনিতে গিয়ে জমা হয়। মূত্রত্যাগের মাধ্যমে শরীরে থেকে সেই দূষিত পদার্থ নিষ্কাশন হয়ে যায়। কিন্তু এই নিষ্কাশন ঠিকমতো না হলেই কিডনিতে পাথর তৈরি হয়। শরীরে ক্যালসিয়াম অক্সালেট, ক্যালসিয়াম ফসফেট, ইউরিক অ্যাসিডের মতো অতিরিক্ত অপ্রয়োজনীয় উপাদান এবং দূষিত পদার্থ জমে এই পাথর তৈরি হয়। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, অস্বাস্থ্যকর জীবন‌ যাপনের জেরেই কিডনিতে পাথর জমার মতো রোগের প্রকোপ বাড়ছে।

    কীভাবে এই রোগের ঝুঁকি কমাবেন?

    পর্যাপ্ত পরিমাণ জল খাওয়া জরুরি!

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, নিয়মিত পর্যাপ্ত পরিমাণ জল খেলে শরীরে একাধিক রোগ মোকাবিলা সহজ হয়। বিশেষত কিডনিকে সক্রিয় এবং সুস্থ রাখতে পর্যাপ্ত পরিমাণ জল খাওয়া জরুরি। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, অনেকেই প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণ জল খান না। এর ফলে শরীরের দূষিত পদার্থ ঠিকমতো নিষ্কাশন হয় না। ফলে কিডনিতে পাথর (Kidney Stones) জমে। তাঁদের পরামর্শ, নিয়মিত একজন প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের চার থেকে পাঁচ লিটার জল খাওয়া জরুরি। তাহলে এই ধরনের রোগের ঝুঁকি কমবে।

    অক্সালেট জাতীয় খাবারে রাশ জরুরি!

    কিডনিতে পাথর (Kidney Stones) জমার মতো সমস্যা এড়াতে খাবারের দিকে নজরদারি জরুরি বলেই মনে করছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস কিডনিতে পাথর জমার ঝুঁকি কমায়। তাঁদের পরামর্শ, নিয়মিত টাটকা সব্জি এবং ফল খাওয়া জরুরি। এতে শরীরে পর্যাপ্ত ভিটামিন, আয়রন এবং খনিজ পদার্থের জোগান থাকে‌। এর ফলে শরীরে অপ্রয়োজনীয় ক্ষতিকারক উপাদান তৈরি হতে পারে না। আবার অতিরিক্ত পরিমাণে লবন, চিনি, বাদাম জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলা দরকার। কারণ এগুলো কিডনিতে বাড়তি অক্সালেট জমতে সাহায্য করে‌। পাশপাশি প্রক্রিয়াজাত খাবার একেবারেই খাওয়া উচিত নয় বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, তরুণ প্রজন্মের অনেকেই নিয়মিত বার্গার, পিৎজার মতো রাসায়নিক পদার্থ মেশানো প্রক্রিয়াজাত খাবার খেতেই অভ্যস্ত হয়ে উঠছেন। তাই কিডনিতে পাথর জমার মতো সমস্যা বাড়ছে।

    দেহের ওজন নিয়ে বাড়তি সজাগ!

    দেহের ওজন বাড়লে যেমন সতর্কতা জরুরি, তেমনি অতিরিক্ত তাড়াহুড়ো করে দেহের ওজন কমাতে গেলেও বিপদ ঘটতে পারে। এমনটাই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, দেহের ওজন অতিরিক্ত বেড়ে গেলে কিংবা দ্রুত ওজন ঝরালে কিডনিতে পাথর জমার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাঁরা জানাচ্ছেন, স্থূলতা কিডনি কিংবা হৃদপিণ্ডের উপরে চাপ সৃষ্টি করে। আবার খুব দ্রুত ওজন কমালেও কিডনির উপরে চাপ পড়ে। কারণ এই দুই ক্ষেত্রেই শরীরে হরমোনের মারাত্মক হেরফের হয়। তাই কিডনিতে পাথর (Kidney Stones) জমার মতো ঝুঁকি তৈরি হয়। তাই পুষ্টিবিদদের একাংশের পরামর্শ, নিয়মিত স্বাস্থ্যকর খাবার খেলে‌ এবং শরীর চর্চা করলে স্থুলতা এড়ানো সম্ভব। আবার যদি কোনও কারণে শরীরের ওজন অপ্রয়োজনীয় ভাবে বেড়ে যায়, তাহলে তাড়াহুড়ো নয়। বরং বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ মতো নির্দিষ্ট ভাবে স্বাস্থ্যকর জীবন যাপন করেই সেই ওজন ঝরানো জরুরি। তাহলে এই ধরনের রোগ এড়ানো সহজ হয়।

     

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Parathas: সকালে প্লেটে পরোটা মানেই কি ‘অস্বাস্থ্যকর’? মিথ ভাঙছেন পুষ্টিবিদরা!

    Parathas: সকালে প্লেটে পরোটা মানেই কি ‘অস্বাস্থ্যকর’? মিথ ভাঙছেন পুষ্টিবিদরা!

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    সুস্থ জীবন যাপনের চাবিকাঠি খাবারেই লুকিয়ে রয়েছে। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, দিনভরের কাজের শক্তি সকালের জলখাবারে থাকে। শরীর কতখানি সক্রিয় থাকবে, ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকবে, হৃদরোগ থেকে কিডনির রোগের ঝুঁকি নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য করবে। তাই প্রাতঃরাশে কোন খাবার খাওয়া হবে, সে নিয়ে বাড়তি সতর্কতা জরুরি। তাঁরা জানাচ্ছেন, ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবং রোগের ঝুঁকি কমাতে অনেকেই ভারতীয় খাবার এড়িয়ে চলেন। ভরসা রাখছেন পশ্চিমী খাবারে। কিন্তু পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, এই ধারণা সবসময় ঠিক হয় না। অনেক সময়েই দেখা যাচ্ছে, একাধিক ভারতীয় খাবারের পুষ্টিগুণ অনেক বেশি। তাই সেগুলো শরীরের জন্য খুবই উপকারি।

    জলখাবারে পরোটায় ভরসায় রাখছেন পুষ্টিবিদরা?

    সকালে স্বাস্থ্যকর খাবার হিসাবে পরোটা শুনে অনেকেই নাক কুঁচকে দেন। তরুণ প্রজন্মের একাংশ ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে, হৃদরোগ, কোলেস্টেরল, ডায়াবেটিসের মতো রোগের ঝুঁকি কমাতে পরোটার মতো খাবার প্রাতঃরাশের মেনুতে রাখতে একেবারেই নারাজ। কিন্তু পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, পরোটাতেই ভরসা রাখছেন।

    পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, ময়দা দিয়ে তৈরি একেবারেই স্বাস্থ্যকর নয়। কিন্তু ভারতীয় খাবারে বৈচিত্র্য অনেক। তাই পরোটাও নানান রকমের হয়। আটা, মিলেট, রাগি, বাজরার মতো একাধিক দানাশস্য দিয়ে পরোটা তৈরি করা যায়। শুধুই দানাশস্যের তৈরি নয়। পরোটার ভিতরে নানান সব্জির পুর দেওয়া যায়। এমনকি মাংস কিংবা পনিরের পুর দিয়েও পরোটা তৈরি করা যায়। তাঁরা জানাচ্ছেন, মিলেট, বাজরা কিংবা রাগির মতো দানাশস্যের সঙ্গে টক দই মিশিয়ে অল্প পরিমাণ বাটারে পরোটা তৈরি করলে শরীরের জন্য খুবই উপকারি হবে। বিশেষত ভিতরে পালং শাক, গাজর, বিনস্, বিট, মাংসের পেস্ট কিংবা পনিরের টুকরোর পুর ঢুকিয়ে দিলে এই পরোটার পুষ্টিগুণ আরও বেড়ে যায়।

    সব্জির পুর ভরা পরোটা খেলে…

    বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, এই ধরনের জলখাবারে সপ্তাহে অন্তত তিন থেকে চারদিন খেলে শরীরের জন্য খুবই উপকারি হবে। তাঁরা জানাচ্ছেন, এই ধরনের খাবার থেকে একদিকে শরীর পর্যাপ্ত ফাইবার পাবে। কারণ, মিলেট, বাজরা, রাগির মতো দানাশস্যে থাকে পর্যাপ্ত ফাইবার। এই উপাদান কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখবে, অতিরিক্ত মেদ বাড়তে দেবে না। কোষ্ঠকাঠিন্যের ঝুঁকিও কমাবে। এর ফলে অন্ত্র ভালো থাকবে। সব্জির পুর ভরা পরোটা খেলে ফাইবারের সঙ্গে শরীরে ভিটামিন, আয়রন, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়ামের মতো প্রয়োজনীয় উপাদানের চাহিদা পূরণ হবে। পনীর কিংবা মাংসের টুকরো মেশানো পরোটা থাকলে প্রোটিনের জোগান ও থাকবে। ফলে সারাদিনের প্রয়োজনীয় এনার্জি সহজেই পাওয়া যাবে। এই ধরনের খাবারে স্বল্প পরিমাণ বাটার জাতীয় উপকরণ ব্যবহার করতে হয়। এর ফলে শরীরে ফ্যাটের চাহিদাও পূরণ হবে। আবার বাড়তি মেদ তৈরির ঝুঁকিও থাকবে না।

    তাই জলখাবারে পরোটাতে ভরসা রাখছেন বিশেষজ্ঞ মহল। তবে অবশ্যই অতিরিক্ত তেলে ভাজা ময়দার পরোটা নয়। বরং স্বাস্থ‌কর উপাদানে তৈরি পরোটা। যাতে সকালেই শরীর প্রয়োজনীয় প্রোটিন, ভিটামিন এবং ফাইবারের মতো উপাদান পায়। তাতে সারাদিনের কাজের এনার্জি সহজেই পাওয়া যাবে। আবার একাধিক রোগের ঝুঁকিও কমানো যাবে।

     

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

LinkedIn
Share