Category: স্বাস্থ্য

Get updates on Health News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Indian Superfoods: নারকেল থেকে কাউনের চাল, পশ্চিমের ‘সুপার ফুড’-কে টেক্কা ভারতীয় খাবারেই!

    Indian Superfoods: নারকেল থেকে কাউনের চাল, পশ্চিমের ‘সুপার ফুড’-কে টেক্কা ভারতীয় খাবারেই!

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    শরীর সুস্থ রাখতে জীবন যাপনের ধরনেই বাড়তি নজরদারি জরুরি। এমনি পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। নিয়মিত শারীরিক কসরত এবং পুষ্টিকর খাবার, এই দুই অভ্যাস রপ্ত করতে পারলেই শরীর সুস্থ থাকবে। হৃদরোগ থেকে কিডনির সমস্যা, হাড়ের ক্ষয় রোগ সহ একাধিক জটিল অসুখ সহজেই এড়ানো যাবে। ভারতীয়দের মধ্যে উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, স্থুলতার মতো জীবন যাপন সংক্রান্ত রোগের সমস্যাও বাড়ছে‌‌। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, এই সমস্যা জানান দিচ্ছে, স্বাস্থ্যকর জীবন যাপন একাধিক রোগ মোকাবিলার পথ সহজ করে।

    পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, সুস্থ থাকতে, বিশেষত নিজের ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে অনেকেই ‘সুপার ফুড’-এর (Indian Superfoods) উপরে ভরসা করেন। বিদেশ বিশেষত পশ্চিমের দেশগুলোতে এই সুপার ফুডের ধারণা খুবই জনপ্রিয়। কিন্তু পশ্চিমের এই সুপার ফুডকে সহজেই টেক্কা দিতে পারে ভারতীয় খাবার। তাঁরা জানাচ্ছেন, অতি পরিচিত ভারতীয় খাবার নিয়মিত খেলে শরীরে তার যথেষ্ট ভালো প্রভাব পড়ে। যা সুপার ফুডের তুলনায় বেশি ইতিবাচক ফল দেয়!

    সুপার ফুড (Indian Superfoods) কী?

    পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, সুপার ফুড হল এমন কিছু খাবার, যার মধ্যে প্রোটিন, ফ্যাট এবং ভিটামিনের ঠিকমতো ব্যালেন্স থাকে। পাশপাশি থাকে ‘গুড’ কার্বোহাইড্রেট। অর্থাৎ, যা শরীরে বাড়তি ওজন তৈরি করে না। বরং, শরীরের প্রয়োজনীয় এনার্জি পৌঁছে দেয়। পাশপাশি এই ধরনের খাবারে থাকে নানান রকমের খনিজ পদার্থ। যেমন, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজের মতো প্রয়োজনীয় খনিজ পদার্থও এই খাবারে পর্যাপ্ত থাকে‌। কেল, অ্যাভোকাডো, কিনোয়ার মতো খাবার সুপার ফুড বলে পরিচিত‌‌। অধিকাংশ ক্ষেত্রে এই ধরনের খাবারগুলো যথেষ্ট ব্যয়বহুল এবং সহজলভ্য নয়।

    কোন ভারতীয় খাবার সুপার ফুডকে টেক্কা দিতে পারে?

    পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, যে কোনও সুপার ফুডকে (Indian Superfoods) টেক্কা দিতে পারে নারকেল। তাঁরা জানাচ্ছেন, নারকেলে (Coconut) থাকে ডায়েটরি ফাইবার, প্রোটিন, ফ্যাট। ১০০ গ্রাম নারকেলে কার্বোহাইড্রেট থাকে ১৫ গ্রাম। এর পাশপাশি নারকেলে পাওয়া যায় প্রচুর পরিমাণে ম্যাঙ্গানিজ। এই খনিজ পদার্থ হাড়ের জন্য খুবই উপকারি। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, বয়স্কদের পাশপাশি তরুণ প্রজন্মের মধ্যে হাড়ের রোগ বাড়ছে। বিশেষত মহিলাদের মধ্যে হাড়ের রোগের প্রকোপ বাড়ছে। তাই নারকেল স্বাস্থ্যের জন্য বাড়তি উপকারি। নারকেলে থাকে সেলেনিয়াম। যা একধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এই উপাদান শরীরে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। নারকেলে ম্যাঙ্গানিজের পাশপাশি পটাশিয়াম, ফসফরাসের মতো উপাদান থাকে। এই পদার্থগুলো হৃদরোগের ঝুঁকিও কমায়। নারকেল ওমেগা-থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ একটি খাবার। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, অনেকেই অ্যাভোকাডোকে সুপার ফুড ফল হিসাবে খান। অ্যাভোকাডো যথেষ্ট উপকারি ফল। ওমেগা-থ্রি সমৃদ্ধ একটি খাবার। এই ফলে পর্যাপ্ত ভিটামিন ও ফ্যাট থাকলেও কার্বোহাইড্রেট কম থাকে। তাই ওজন নিয়ন্ত্রণে রেখে শরীর সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। কিন্তু নারকেলের মতো ফল নিয়মিত খেলে শরীরের প্রয়োজন সহজেই পূরণ করা সম্ভব হয়।

    মিলেট বা কাউনের চালের খিচুড়ি…

    ভারতীয় খাবার হিসাবে মিলেট বা কাউনের চাল (Foxtail Millet), যে কোনও ধরনের সুপার ফুডকে (Indian Superfoods) টেক্কা দিতে পারে বলেই জানাচ্ছেন‌ চিকিৎসকদের একাংশ। পুষ্টিবিদদের মতে, কিনোয়া বা অন্য যে কোনো দানাশস্যের তুলনায় পুষ্টির দিক থেকে এই ভারতীয় খাবারকে এগিয়ে রাখা যেতেই পারে। উপোস করলে অনেকেই কাউনের চালের খিচুড়ি রান্না করে খান। তবে সপ্তাহে অন্তত একদিন কাউনের চালের (Millet Rice) খিচুড়ি খেলে শরীরের একাধিক উপকার পাওয়া যাবে। পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, কাউনের চালে রয়েছে প্রোটিন, ভিটামিন বি, ফাইবার, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, জিঙ্কের মতো একাধিক উপাদান। তাছাড়া এটি গ্লুটেন-মুক্ত কার্বোহাইড্রেট এবং এই খাবারে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। তাই কাউনের চালের তৈরি খাবার খেলে শরীরে রোগ প্রতিরোধ শক্তি (Immunity Power) বাড়ে। হৃদরোগের ঝুঁকি কমে। ক্যান্সারের মতো রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করতে শরীরে উপাদান গড়ে তোলে।

    সজনে ডাঁটা, সজনে শাকের মতো খাবার যেকোনও সুপার ফুডের (Indian Superfoods) মতো উপকারি বলেই জানাচ্ছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, সজনে ফুল, সজনে ডাঁটা কিংবা সজনে শাক, এই সব খাবারেই রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন, জিঙ্ক, ভিটামিন সি, ভিটামিন এ এবং অ্যান্টি অক্সিডেন্ট। এই খাবারে শরীরে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ে। যেকোনও সংক্রামক রোগের বিরুদ্ধে লড়তে সাহায্য করে। আবার শরীরের প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও খনিজের চাহিদা সহজেই পূরণ করে। তাই যেকোনও বিদেশী সুপার ফুডকে সহজেই টেক্কা দেবে এই ভারতীয় খাবার।

     

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Ayurveda: কৃত্রিম মেধার প্রয়োগ আয়ুর্বেদে! স্বাস্থ্য পরিষেবায় ভারত নেতৃত্ব দেবে বিশ্বকে, বলল ‘হু’

    Ayurveda: কৃত্রিম মেধার প্রয়োগ আয়ুর্বেদে! স্বাস্থ্য পরিষেবায় ভারত নেতৃত্ব দেবে বিশ্বকে, বলল ‘হু’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের প্রাচীন চিকিৎসা ব্যবস্থা আয়ুর্বেদ এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সমন্বয়ে গঠিত একাধিক উদ্যোগ এবার আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিশেষ স্বীকৃতি পেল (Ayurveda)। সম্প্রতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা একটি বিবৃতি প্রকাশ করেছে যার শিরোনাম ছিল “ঐতিহ্যবাহী চিকিৎসা পদ্ধতিতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রয়োগের মানচিত্র”। সেখানে বিস্তারিতভাবে তুলে ধরা হয়েছে ভারতের আয়ুষ ব্যবস্থায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রয়োগ এবং তা থেকে উদ্ভূত বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক সম্ভাবনা।

    ভারতের প্রশংসা করল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (Ayurveda)।

    বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এই ঘোষণা প্রাচীন চিকিৎসা ব্যবস্থায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রয়োগের (Artificial Intelligence) প্রথম দিক নির্দেশিকা হিসেবেও স্বীকৃতি পেয়েছে। জানা যাচ্ছে, ওই প্রতিবেদনে বিশেষভাবে প্রশংসা করা হয়েছে ভারতের প্রাচীন জ্ঞানভাণ্ডারকে ডিজিটাল মাধ্যমে সংরক্ষণের উদ্যোগকে। যেমন “প্রচলিত জ্ঞান ডিজিটাল গ্রন্থাগার” – এইভাবে প্রাচীন চিকিৎসা পদ্ধতির জ্ঞানকে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে সংরক্ষণ করা সম্ভব হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, ভারতই প্রথম দেশ, যেটি ডিজিটাল গ্রন্থাগারের এমন উদ্যোগ নিয়ে দেশের ঐতিহ্যকে ভবিষ্যতের সঙ্গে যুক্ত করতে সক্ষম হয়েছে।

    কৃত্রিম মেধা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দৃষ্টিভঙ্গি

    এ বিষয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির যে দৃষ্টিভঙ্গি, অর্থাৎ “সবার জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা” – সমস্ত ক্ষেত্রে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার, সেটিকেও প্রশংসা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং তা তাদের বিবৃতিতে উল্লিখিত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ২০২৩ সালেই জানিয়েছিলেন যে, তার সরকার বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে (Artificial Intelligence) জনকল্যাণে ব্যবহারের লক্ষ্যে কাজ করছে। সমাজের সকল স্তরের মানুষের উন্নতির জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এক শক্তিশালী হাতিয়ার বলেও তিনি সে সময় উল্লেখ করেছিলেন (Ayurveda)।।

    এই স্বীকৃতি ভারতের ঐতিহ্য এবং প্রযুক্তির সমন্বয়ের প্রতিফলন

    এই প্রেক্ষাপটে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এমন ঘোষণাকে ঘিরে আয়ুষ এবং স্বাস্থ্য দফতরের প্রতিমন্ত্রী শ্রী প্রতাপরাও যাদব জানিয়েছেন, এই স্বীকৃতি ভারতের ঐতিহ্য এবং প্রযুক্তির সমন্বয়ের প্রতিফলন। তিনি আরও জানান, কেন্দ্রীয় সরকার “নমস্তে”, “আয়ুষ গবেষণা” প্রভৃতি পোর্টালের মাধ্যমে শুধু চিকিৎসার আধুনিকীকরণ করেনি, বরং প্রাচীন ভারতের ঐতিহ্যবাহী জ্ঞানভাণ্ডারকে একটি ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে উপস্থাপন করতে সক্ষম হয়েছে। এক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য যে “আয়ুষ গ্রিড” শুরু হয়েছিল ২০১৮ সালে। এর মাধ্যমে গড়ে তোলা হয়েছে একটি তথ্যভাণ্ডার।

    ভারতের এই ধরনের উদ্যোগ যথেষ্ট উদ্ভাবনী এবং ভবিষ্যতমুখী

    বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এই বিশেষজ্ঞ দলের মতে, ভারতের এই ধরনের উদ্যোগ যথেষ্ট উদ্ভাবনী এবং ভবিষ্যতমুখী। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে আয়ুর্বেদের (Ayurveda) নাড়ি নির্ণয়, জিভ পর্যবেক্ষণ প্রভৃতি প্রচলিত পদ্ধতিগুলিকে আরও উন্নত ও নির্ভুল করা সম্ভব হয়েছে। এর ফলে শুধু চিকিৎসার নির্ভুলতা বেড়েছে তা নয়, রোগ প্রতিরোধমূলক চিকিৎসাও অনেক বেশি কার্যকর হয়েছে।

    রোগ নির্ণয়, ওষুধের প্রতিক্রিয়া বিশ্লেষণ সহজ হয়েছে

    ওই প্রতিবেদনে ভারতীয় গবেষকদের এমন উদ্যোগের প্রশংসা করা হয়েছে। বলা হয়েছে, রাসায়নিক সংবেদকের সাহায্যে আয়ুর্বেদের গুণাগুণ এবং অন্যান্য বৈশিষ্ট্য বিচার করা এখন সম্ভব হচ্ছে। প্রতিবেদনটিতে আরও বলা হয়েছে, ভারতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সহায়তায় ঐতিহ্যবাহী ও আধুনিক চিকিৎসার মধ্যে একটি কার্যকর সেতু নির্মাণ করা সম্ভব হয়েছে। এর ফলে রোগ নির্ণয়, ওষুধের প্রতিক্রিয়া বিশ্লেষণ, ওষুধ উদ্ভাবন এবং রোগ প্রতিরোধের ক্ষেত্রে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হয়েছে।

    আগামী দিনের চিকিৎসা ব্যবস্থার পথপ্রদর্শক

    বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কেন্দ্রের মোদি সরকারের এই ধরনের উদ্যোগকে আগামী দিনের চিকিৎসা ব্যবস্থার পথপ্রদর্শক হিসেবে চিহ্নিত করেছে। এই ঘোষণা আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্যনীতি নির্ধারণে ভারতের নেতৃত্বের স্বীকৃতি বলেই মনে করছেন অনেকেই। এটি শুধু ভারতের ঐতিহ্যকে বিশ্বের সামনে তুলে ধরেনি, বরং দেখিয়েছে কীভাবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে প্রাচীন জ্ঞানকে আধুনিক বিজ্ঞান ও মানবকল্যাণের সঙ্গে যুক্ত করা যায়। কেন্দ্রীয় আয়ুষ মন্ত্রকের মতে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এই স্বীকৃতি শুধুমাত্র ভারতের ঐতিহ্যবাহী চিকিৎসা পদ্ধতির জন্য এক গর্বের মুহূর্ত নয়, বরং এটি ভবিষ্যতের জন্য আন্তর্জাতিক সহযোগিতা, গবেষণা এবং উদ্ভাবনের নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে। এই অর্জনের মাধ্যমে ভারত তার প্রাচীন জ্ঞানকে আধুনিক প্রযুক্তির সহায়তায় বৈশ্বিক মঞ্চে নিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে। এই পথ ধরেই আগামী দিনে ভারত আরও দৃঢ়ভাবে বিশ্বস্বাস্থ্য ব্যবস্থায় নেতৃত্ব দিতে পারবে বলে আশা করা হচ্ছে। পাশাপাশি, সারা বিশ্বের স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় আয়ুর্বেদের ভূমিকা আরও গভীর, কার্যকর ও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে – এমনটাই মনে করছে কেন্দ্রীয় সরকার। এই স্বীকৃতি ভারতের ঐতিহ্য, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির মেলবন্ধনের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে উঠেছে।

  • Cooking Oil: তেলেই রয়েছে লিভারের সুস্থতার চাবিকাঠি! জানেন কেমন ভাবে তেল ব্যবহার করতে হবে?

    Cooking Oil: তেলেই রয়েছে লিভারের সুস্থতার চাবিকাঠি! জানেন কেমন ভাবে তেল ব্যবহার করতে হবে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তেলেই হবে কিস্তিমাত! লিভার নিয়ে অনেকেই ভোগেন। কম বয়স থেকেই বাড়ছে লিভারের সমস্যা। ফ্যাটি লিভার কিংবা হজমের নিয়মিত গোলমাল, এমন নানান সমস্যায় জর্জরিত অনেকেই। লিভার সুস্থ রাখতে এবং স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে কয়েকটি বিষয়ে বাড়তি নজরদারির পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, ভারতীয়দের মৃত্যুর অন্যতম কারণ লিভারের রোগ। সাম্প্রতিক তথ্য অনুযায়ী,  দেশের মোট মৃত্যুর ৬৬ শতাংশ লিভার ঘটিত রোগের কারণে হয়। প্রতি তিন জনে একজন ভারতীয় লিভারের অসুখে ভোগেন। তাই লিভার নিয়ে বাড়তি সতর্কতা প্রয়োজন বলেই মনে করছেন চিকিৎস মহল।
    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, লিভার সুস্থ রাখতে রান্নার তেল নিয়ে বাড়তি সতর্কতা জরুরি। কারণ লিভারের রোগের অন্যতম কারণ তেল!

    কোন তেল বিপজ্জনক?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, অতিরিক্ত তেল লিভারের জন্য বিপজ্জনক। রান্নায় নিয়মিত অতিরিক্ত তেল ব্যবহার করলে বাড়তি বিপদ তৈরি হয়। তাই তেল ব্যবহারের ক্ষেত্রে নজরদারি প্রয়োজন। পুষ্টিবিদদেরা জানাচ্ছেন, রান্নায় অনেকেই সোয়াবিন তেল ব্যবহার করেন। কিন্তু অতিরিক্ত সোয়াবিন তেলের ব্যবহার লিভারের জন্য ক্ষতিকারক। বিশেষত উচ্চ তাপে সোয়াবিন তেলে মধ্যে ক্ষতিকার উপাদান তৈরি হয়। যা শরীরে বিশেষত লিভারের উপরে বাড়তি চাপ তৈরি করে। তাই নিয়মিত সোয়াবিন তেল ব্যবহারের ক্ষেত্রে সচেতনতা জরুরি বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। রান্নায় সর্ষের তেল ব্যবহার করা তুলনামূলক কম ক্ষতিকারক বলেই মনে করছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, সর্ষের তেলে উচ্চ তাপে রান্না করলেও বাড়তি ক্ষতি হয় না। তবে পরিমাণের দিকে নজরদারি জরুরি। তাঁরা জানাচ্ছেন, অধিকাংশ ক্ষেত্রে পরিমাণ সমস্যা তৈরি করছে। সর্ষের তেলের অতিরিক্ত পরিমাণ ব্যবহারের জেরে হৃদরোগ এবং লিভারের রোগের ঝুঁকি বাড়ছে। তাই পরিমিত পরিমাণ অর্থাৎ নিয়মিত চার চামচ সর্ষের তেলে ব্যবহার করলে লিভারের রোগ এড়ানো সম্ভব। তেলের পুনরায় ব্যবহার লিভারের জন্য খুব বিপজ্জনক বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, অনেকেই লুচি বা চপ-কাটলেট ডুবো তেলে ভাজেন। পুনরায় সেই তেল অন্য রান্নায় ব্যবহার করেন। এই ধরনের তেল আবার ব্যবহার করলে, শরীরে নানান রাসায়নিক প্রতিক্রিয়া শুরু হয়। এর ফলে লিভারে একাধিক রোগের ঝুঁকিও বেড়ে যায়।

    কীভাবে তেল ব্যবহার করলে লিভারের রোগের ঝুঁকি কমবে?

    চিকিৎসকদের একাংশের পরামর্শ, ডুবো তেলে রান্না করা খাবার খাওয়া কমাতে হবে। তাঁরা জানাচ্ছেন, লিভার সুস্থ রাখতে কম তেলের রান্নায় অভ্যস্ত হতে হবে। তাহলে অনেক রোগ এড়ানো সহজ হবে। বিশেষত দোকানে, রেস্তোরাঁয় অধিকাংশ সময়েই রান্নায় তেল পুনঃব্যবহার হয়। তাই দোকানের ভাজাভুজি এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। সামান্য তেল ব্যবহার করে স্যালাড জাতীয় খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, যেকোনও সব্জি কিংবা মাংসের পদ তৈরির সময়, আগেই কাঁচা অবস্থায় অল্প তেল মাখিয়ে দেওয়া যেতে পারে। তারপরে সেই সব্জি কিংবা মাংস অল্প আঁচে, ধীরে ধীরে রান্না করলে স্বাদ ও স্বাস্থ্য, দুই ভালো হবে। তিলের তেলে রান্নার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, তিলের তেল শরীরের জন্য কম বিপজ্জনক। কিন্তু এই তেল অল্প আঁচেও খুব তাড়াতাড়ি গরম হয়ে যায়। ধোঁয়া ওঠে। তাই সাবধানে অল্প পরিমাণ তিলের তেলে রান্না করলে লিভারের রোগ প্রতিরোধ সহজ হবে।

  • Water Borne Diseases: টানা বৃষ্টিতে ভোগান্তি বাড়ছে শিশুদের! কীভাবে সন্তানকে সুস্থ রাখবেন?

    Water Borne Diseases: টানা বৃষ্টিতে ভোগান্তি বাড়ছে শিশুদের! কীভাবে সন্তানকে সুস্থ রাখবেন?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    সপ্তাহের শুরু থেকেই বৃষ্টি। একনাগাড়ে বর্ষার (Monsooon Season) জেরে রাজ্যের একাধিক জায়গায় জল জমছে। বৃষ্টির ভিজে আবহাওয়ায় বাড়ছে নানান রোগের দাপট। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, একটানা বৃষ্টির জেরে শিশুদের মধ্যে নানান রোগের দাপট (Water Borne Diseases) বাড়ছে। তাই বাড়তি সতর্কতা জরুরি। জোর দিতে হবে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা (Immunity Power) বাড়ানোর ওপর। না হলে পরিস্থিতি জটিল হতে পারে।

    বর্ষার জেরে কোন রোগের প্রকোপ বাড়ছে?

    নিউমোনিয়া বিপদ বাড়াচ্ছে!

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, বর্ষায় নিউমোনিয়ার প্রকোপ বাড়ছে। শিশুরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, শিশুদের অনেকেই দ্রুত ইনফ্লুয়েঞ্জা এবং নানান ভাইরাস ঘটিত অসুখের কবলে পড়ে‌। যার ফলে ফুসফুসের উপরে বাড়তি প্রভাব পড়ে‌। ফুসফুসের কার্যক্ষমতাও বাধা পায়। তার জেরেই ফুসফুসে জল জমার মতো বিপদ তৈরি হতে পারে। তার ফলে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও (Water Borne Diseases) বাড়ে। শ্বাসকষ্ট সহ একাধিক সমস্যা তৈরি হয়। বর্ষায় শিশুদের নিউমোনিয়া হওয়ার ঝুঁকি বাড়ছে। তাই এই সময়ে সর্দি-কাশি নিয়ে বাড়তি নজরদারি জরুরি। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, সাধারণ ভাইরাস ঘটিত জ্বর, সর্দি-কাশি থেকেও বড় বিপদ হতে পারে। নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার ঘটনাও ঘটছে। তাই বারবার সর্দি-কাশি হলে এই আবহাওয়ায় একেবারেই অবহেলা করা যাবে না। বাড়তি সতর্কতা বড় বিপদের ঝুঁকি কমাতে পারে।

    ডায়ারিয়া নিয়ে বাড়তি সতর্কতা জরুরি!

    একটানা বৃষ্টির জেরে রাজ্যের একাধিক জায়গায় জল জমছে। পানীয় জলের সরবরাহের ক্ষেত্রেও স্বাস্থ্যবিধি কতখানি মানা হচ্ছে, সে নিয়ে আশঙ্কা করছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, রাজ্যের একাধিক জায়াগায় পেটের অসুখে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। বিশেষত শিশুদের পেটের অসুখে ভোগান্তি বাড়ছে। শিশুরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, ডায়ারিয়ার আশঙ্কাও দেখা দিচ্ছে। তাই এই আবহাওয়ায় পেটের অসুখ নিয়ে বাড়তি সতর্কতা জরুরি। কারণ, ডায়ারিয়া প্রাণঘাতী হতে পারে বলেও জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

    টাইফয়েডের ঝুঁকি বাড়ছে!

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, বর্ষায় জলবাহিত রোগের (Water Borne Diseases) প্রকোপ বাড়ছে। তাই এই সময়ে টাইফয়েডের ঝুঁকিও বাড়ছে। শিশুরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, রাজ্যের একাধিক জেলায় শিশুরা টাইফয়েডে আক্রান্ত হচ্ছে। জল থেকেই এই রোগের প্রকোপ বাড়ছে বলেই জানাচ্ছেন তাঁরা।

    জন্ডিস নিয়ে বাড়তি সতর্কতা!

    বর্ষায় জলবাহিত রোগের (Water Borne Diseases) দাপট বাড়ছে। তাই জন্ডিস নিয়ে বাড়তি সতর্কতা জরুরি। এমনটাই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, শিশুদের ঝুঁকি বেশি। কারণ, তাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ শক্তি (Immunity Power) তুলনামূলক কম থাকে। তাই যেকোনও জীবাণু সহজেই শরীরে বাসা বাঁধতে পারে। তাই বর্ষায় শিশুদের লিভারের নানান রোগের প্রকোপ বাড়ে। তাই হেপাটাইটিস থেকে বাঁচতে বাড়তি সতর্কতা নেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন শিশুরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

    কীভাবে সন্তানকে সুস্থ রাখবেন?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, এই আবহাওয়ায় শিশুকে সুস্থ রাখতে কয়েকটি ঘরোয়া উপাদান সাহায্য করবে। সচেতনতা ও সতর্কতা বাড়তি বিপদের ঝুঁকি কমাবে বলেই তাঁরা মনে করছেন। বিশেষজ্ঞদের একাংশের পরামর্শ, এই আবহাওয়ায় সুস্থ থাকতে শিশুর রোগ প্রতিরোধ শক্তির (Immunity Power) দিকে বাড়তি নজরদারি জরুরি। শরীরে রোগ প্রতিরোধ শক্তি থাকলে ভাইরাস ঘটিত রোগের দাপট সহজে এড়ানো যাবে। এর ফলে একাধিক অসুখের ঝুঁকি কমবে। সর্দি-কাশি জাতীয় অসুখের দাপট কমলে নিউমোনিয়ার মতো রোগের দাপট কমানো সহজ হবে।

    পুষ্টিবিদদের একাংশের পরামর্শ, এই সময়ে শিশুকে নিয়মিত এক ধরনের লেবু জাতীয় ফল খাওয়ানো জরুরি। কারণ এই ফলে পর্যাপ্ত ভিটামিন সি থাকে। ফলে, রোগ প্রতিরোধ শক্তি (Immunity Power) বাড়ে। সর্দি-কাশির প্রকোপ কমে‌‌। সকালে তুলসী পাতা ভেজানো জল খাওয়ানোর পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, তুলসী পাতা যেকোনও ভাইরাস ঘটিত অসুখের মোকাবিলা করতে সাহায্য করে। তাই তুলসী পাতা নিয়মিত খেলে ফুসফুসের অসুখের ঝুঁকি কমে‌।

    পেটের অসুখ মোকাবিলা করতে ডায়ারিয়া, জন্ডিসের মতো জটিল রোগের বিপদ কমাতে জলের উপরে বাড়তি নজরদারির পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। তাঁদের পরামর্শ, শিশু পরিশ্রুত জল খাচ্ছে কিনা সে দিকে খেয়াল রাখা জরুরি। এই আবহাওয়ায় জলঘটিত রোগের (Water Borne Diseases) দাপট বাড়ে। তাই পরিশ্রুত জল খেলে অনেক রোগের ঝুঁকি কমানো‌ সহজ হয়। তাঁদের পরামর্শ, এই আবহাওয়ায় বাইরের সরবৎ বা খোলা জায়গায় থাকা কাটা ফল একেবারেই খাওয়া চলবে না। এতে নানান ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাস ঘটিত রোগের ঝুঁকি বাড়ে। নিয়মিত ঘরের তৈরি হালকা সহজ পাচ্য খাবার খেলে লিভার সুস্থ থাকবে। এতে শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা (Immunity Power) বাড়বে। রোগের প্রকোপ কমবে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • High Blood Pressure: শুধু নুন নয়, এই চার খাবারেও লুকিয়ে রয়েছে উচ্চ রক্তচাপের বিপদ!

    High Blood Pressure: শুধু নুন নয়, এই চার খাবারেও লুকিয়ে রয়েছে উচ্চ রক্তচাপের বিপদ!

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    দেশ জুড়ে বাড়ছে উচ্চ রক্তচাপে (High Blood Pressure) আক্রান্তের সংখ্যা। বিশেষত তরুণ প্রজন্মের মধ্যে এই সমস্যা বাড়ছে। ভারতীয় পুরুষদের হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ উচ্চ রক্তচাপ বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, ভারতীয়দের মধ্যে অতিরিক্ত নুন খাওয়ার প্রবণতা আছে। আর তাতেই বাড়তি বিপদ তৈরি হচ্ছে। তবে, নুন খাওয়ার পাশাপাশি সম্প্রতি এক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, আরও চারটি খাবার বাড়তি বিপদ তৈরি করছে। এর ফলে উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকিও বাড়ছে। তাই বিশেষজ্ঞদের একাংশের পরামর্শ, নুন খাওয়ায় লাগাম টানার পাশাপাশি আরও চার ধরনের খাবারে (Foods to Avoid) লাগাম দেওয়া জরুরি। তবেই উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি কমবে।

    কোন চারটি খাবার বাড়তি বিপদ তৈরি করছে?

    নিয়মিত চিজ খাওয়া!

    সকালের জলখাবারে অনেকেই অমলেটের সঙ্গে কিংবা স্যান্ডুইচের মধ্যে চিজ দিয়ে খেতে পছন্দ করেন। আবার পাস্তা, পিৎজা, বার্গারের মতো মন-পসন্দ খাবারে তো অবশ্যই থাকে অতিরিক্ত পরিমাণ চিজ। আর এই চিজ বিপদ বাড়াচ্ছে। এমনটাই জানাচ্ছে সাম্প্রতিক তথ‌্য। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, ১০০ গ্রাম চিজের মধ্যে ৬২১ মিলিগ্রাম নুন থাকে। নিয়মিত পাউরুটি, রুটি কিংবা অন্যান্য খাবারের সঙ্গে চিজ খেলে রক্তে অতিরিক্ত পরিমাণ সোডিয়াম মিশতে থাকে। যার ফলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ রাখা যায় না। উচ্চ রক্তচাপের (High Blood Pressure) ঝুঁকিও বেড়ে যায়। তাই চিজ খেলে বাড়বে রক্তচাপ। হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে নুনের পাশপাশি চিজ খাওয়ায় রাশ টানার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

    প্রক্রিয়াজাত খাবারে বাড়ছে বিপদ!

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, স্বাস্থ্যকর খাবার নিয়ে বিভ্রান্তি বাড়ছে। অনেকেই শুধু বিরিয়ানি, পিৎজা হটডগ‌ কিংবা বার্গারকেই অস্বাস্থ্যকর খাবার ভাবেন। কিন্তু এই খাবারের পাশাপাশি আরও একাধিক খাবার আছে, যা শরীরের পক্ষে ক্ষতিকারক। তাঁরা জানাচ্ছেন, যে সমস্ত খাবার দীর্ঘদিন তাজা রাখার জন্য অতিরিক্ত পরিমাণ রাসায়নিক মেশানো হয়, সেই সব খাবার অস্বাস্থ্যকর। সবুজ সতেজ সব্জি, টাটকা মাছ, মাংস পরিমিত তেল মশলায় রান্না করলে তবেই তা স্বাস্থ্যকর হয়‌। তাঁরা জানাচ্ছেন, অনেকেই জলখাবারে সপ্তাহে অন্তত একাধিকবার সসেজ, হ্যাম, সালামির মতো নানান দেশি-বিদেশি মাংসের পদ খান। অনেকেই মনে করেন, এই ধরনের পদ স্বাস্থ্যকর। কিন্তু চিকিৎসকদের মতে, এই খাবার একেবারেই স্বাস্থ্যকর নয়। এই খাবার প্রক্রিয়াজাত। এগুলোতে রক্তে (High Blood Pressure) অতিরিক্ত সোডিয়াম মেশে। এর ফলে রক্তচাপ বেড়ে যায়। এই খাবারগুলো হৃদপিণ্ডের জন্য ক্ষতিকারক।

    নরম পানীয় বিপজ্জনক!

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, নোনতা জাতীয় খাবারের পাশপাশি পানীয়তেও বিপদ বাড়তে পারে। তাঁরা জানাচ্ছেন, প্যাকেটজাত নরম পানীয় অত্যন্ত ক্ষতিকারক। এতে রক্তচাপ বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। প্যাকেটজাত ফলের রস শরীরের পক্ষে ক্ষতিকারক বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, প্যাকেটজাত ফলের রসে থাকে অতিরিক্ত চিনি। এই মাত্রাতিরিক্ত শর্করা শরীরে রক্তচাপ ওঠানামা অনিয়ন্ত্রিত করে তোলে। আবার অতিরিক্ত কফি খেলেও উচ্চ রক্তচাপের (High Blood Pressure) ঝুঁকি বাড়তে পারে।

    রান্নায় সস ব্যবহারে নজর জরুরি!

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, রান্নায় নানান ধরনের মশলা এবং সস ব্যবহারের রেওয়াজ বাড়ছে। আধুনিক নানান রান্নায় সস ব্যবহারের রেওয়াজ বাড়ছে‌। তাই সেদিকে নজর দেওয়া জরুরি। সোয়া সস, টমেটো কেচাপ, বার্বিকিউ সস এবং নানান ধরনের প্যাকেটজাত মশলা নিয়মিত রান্নায় ব্যবহারের ক্ষেত্রেও নজরদারি জরুরি। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, উচ্চ রক্তচাপের (High Blood Pressure) অন্যতম কারণ এই ধরনের প্যাকেটজাত সস নিয়মিত রান্নায় ব্যবহার। এতে শরীরের পটাশিয়াম, সোডিয়ামের মাত্রা অনিয়ন্ত্রিত হয়ে যাচ্ছে। এর ফলে উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা দেখা দিচ্ছে। হৃদরোগের ঝুঁকিও বাড়ছে।

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, উচ্চ রক্তচাপের (High Blood Pressure) ঝুঁকি কমাতে নিয়মিত তাজা ফল ও সব্জি খাওয়া জরুরি। তাঁদের পরামর্শ, নিয়মিত কলা, আপেল, বেদানা এবং লেবু জাতীয় ফল খেলে শরীরে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকবে। পাশপাশি মোচা, ডুমুর, পটল, পালং শাকের মতো সব্জি খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, এই ধরনের তাজা ফল ও সব্জি নিয়মিত খেলে হৃদরোগের ঝুঁকিও কমবে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Good Sleep: সন্ধ্যা ছ’টার পরেই নিতে হবে বাড়তি সতর্কতা! কোন রোগ রুখতে এই পরামর্শ?

    Good Sleep: সন্ধ্যা ছ’টার পরেই নিতে হবে বাড়তি সতর্কতা! কোন রোগ রুখতে এই পরামর্শ?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে নানান শারীরিক জটিলতা। আবার অনেক সময়েই ডায়াবেটিস (Diabetes), উচ্চ রক্তচাপের (High Blood Pressure) মতো জটিল রোগ খুব কম বয়সেও হানা দিচ্ছে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, জীবন যাপনে কিছু বদল একাধিক রোগের ঝুঁকি কমিয়ে দিতে পারে। স্বাস্থ্যকর অভ্যাসের (Healthy Lifestyle Tips) মধ্যেই দীর্ঘ সুস্থ জীবন যাপনের চাবিকাঠি লুকিয়ে রয়েছে। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, সূর্যাস্তের পরে কিছু অভ্যাস (Good Sleep) নিয়মিত করলে শরীরে রোগের ঝুঁকি কমে। তাই সন্ধ্যা ছ’টার পরে বাড়তি নজরদারির পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

    কোন বাড়তি সতর্কতার কথা জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল?

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, সুস্থ ভাবে দীর্ঘ জীবনের জন্য সন্ধ্যার পরে খাদ্য ও পানীয়তে বাড়তি নজরদারি জরুরি। তাই তাঁদের পরামর্শ, সন্ধ্যা ছটার পরে কখনই একাধিকবার কফি জাতীয় খাবার খাওয়া উচিত নয়। তাঁরা জানাচ্ছেন, কফিতে থাকে ক্যাফিন। এই প্রাকৃতিক ক্যাফিন শরীরের স্নায়ুকে উত্তেজিত করে। সাময়িকভাবে বাড়তি এনার্জির জোগান বলে মনে হলেও এই উপাদান শরীরে গভীর প্রভাব ফেলে। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, নিয়মিত ক্যাফিন অতিরিক্ত মাত্রায় শরীরে প্রবেশ করলে ঘুম কম (Good Sleep) হতে পারে। পর্যাপ্ত ঘুম না হলেই নানান হরমোন ঘটিত সমস্যা হতে পারে।

    কফিতে নিয়ন্ত্রণের পাশপাশি বিশেষজ্ঞদের একাংশের পরামর্শ সন্ধ্যা ছটার পরে অতিরিক্ত ভারি খাবার এড়িয়ে চলা জরুরি। বিশেষত চর্বিজাতীয় প্রাণীজ প্রোটিন এবং অতিরিক্ত তেল ও মশলা জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন। তাঁরা জানাচ্ছেন, এই ধরনের চর্বিযুক্ত খাবার সন্ধ্যার পরে খেলে অন্ত্রের উপরে বাড়তি চাপ পড়ে। তাই বাড়তি সতর্কতা জরুরি। রাতে খুব উচ্চস্বরে গান শোনার অভ্যাস বিপজ্জনক বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। দীর্ঘসময় খুব উচ্চস্বরে গান-বাজনা চললে মস্তিষ্কের উপরে বাড়তি চাপ পড়ে। যার ফলে স্নায়ুর বিশ্রামে ব্যাঘাত ঘটে। যা শরীরের পক্ষে ক্ষতিকারক।

    সন্ধ্যার পরের বাড়তি সতর্কতা কোন রোগের ঝুঁকি কমাবে?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, নিয়মিত পর্যাপ্ত ঘুম (Good Sleep), একাধিক রোগের ঝুঁকি কমায়। তরুণ প্রজন্মের মধ্যে নানান রোগের দাপট বেড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ, অপর্যাপ্ত ঘুম। তাই সূর্যাস্তের পরে বাড়তি সতর্কতা জরুরি। নির্দিষ্ট সময়ে যাতে ঘুম হয়। প্রতিদিন অন্তত আট ঘণ্টা ঘুম হলে শরীরে একাধিক রোগের ঝুঁকি কমবে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, সন্ধ্যার পরে একাধিকবার কফি খাওয়ার অভ্যাস বন্ধ করলে শরীরে স্নায়ু বাড়তি উত্তেজিত থাকবে না। বরং সারাদিনের পরিশ্রমের পরে ঠিকমতো বিশ্রাম (Good Sleep) পাবে।

    রাতের খাবারে অতিরিক্ত চর্বি জাতীয় প্রাণীজ প্রোটিন লিভারের উপরেও বাড়তি চাপ তৈরি করে। আবার হজমের সমস্যাও দেখা দেয়। তাই রাতে নিয়মিত ভারী খাবার খেলে লিভারের রোগের (Liver Problem) ঝুঁকি বাড়ে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, নিয়মিত রাতে হালকা খাবার খেলে, সহজপাচ্য খাবার খেলে লিভারের রোগের ঝুঁকি কমানো যায়। আবার সহজেই হজমের গোলমাল এড়ানো‌ যায়। বারবার বমি, পেটের অসুখের মতো ভোগান্তিও কমে।

    মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা ঠিক রাখতে এবং স্মৃতিশক্তি হ্রাসের (Memory Loss) মতো সমস্যা এড়াতে সন্ধ্যা ছটার পরে বাড়তি সতর্কতা জরুরি। এমনটাই মনে করছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, নিয়মিত পর্যাপ্ত ঘুম (Good Sleep) হলেই মস্তিষ্কের স্মৃতিশক্তি হ্রাসের ঝুঁকি কমবে। কারণ শরীরে হরমোনের ভারসাম্য বজায় থাকলে এবং স্নায়ুর পর্যাপ্ত বিশ্রাম পেলেই মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বজায় থাকে। পাশপাশি স্মৃতিশক্তি হ্রাসের ঝুঁকিও কমে‌। তাই বয়স বাড়লে ডিমেনশিয়ার (Dementia) মতো রোগের ঝুঁকি কমাতে পর্যাপ্ত ঘুমের (Good Sleep) দিকে নজরদারি জরুরি‌‌ (Healthy Lifestyle Tips) বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Good Mood: মেজাজ খিটখিটে! রাগ বাড়ছে! ঘরোয়া উপাদানেই মিলবে সমাধান

    Good Mood: মেজাজ খিটখিটে! রাগ বাড়ছে! ঘরোয়া উপাদানেই মিলবে সমাধান

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    দিনভর একাধিক কাজের চাপ (Work Pressure)। ঘরের দায়িত্বের পাশপাশি কর্মজীবনেও নানান জটিলতা। সবমিলিয়ে অনেক সময়েই মানসিক চাপ (Mental Stress) বাড়ছে। যার ফলে মেজাজ খিটখিটে হয়ে যাচ্ছে। রাগ বাড়ছে‌। কাজের জায়গার পাশাপাশি ব্যক্তিগত জীবনেও যার সরাসরি প্রভাব পড়ছে। যার ফলে জটিলতা আরও বাড়ছে‌। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, মন ভালো (Good Mood) না থাকলে, অতিরিক্ত রাগ (Anger Attacks) বা বিরক্তি তৈরি হলে শরীরের উপরে গভীর প্রভাব পড়ে। উচ্চ রক্তচাপ, স্নায়ুর সমস্যা, স্মৃতিশক্তি হ্রাস এবং শরীরে একাধিক হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হয়। তাই মেজাজ ভালো (Good Mood) রাখা জরুরি। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, ঘরোয়া কিছু উপাদানই বাজিমাত করবে‌।

    মেজাজ ভালো রাখার ঘরোয়া উপাদান কী?

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, মেজাজ ভালো রাখার এবং রাগ নিয়ন্ত্রণ (Keeping Calm) করার দাওয়াই খাবারেই লুকিয়ে রয়েছে। ঠিকমতো খাবার শরীরে পৌঁছলে অনেক সময়েই এই অতিরিক্ত বিরক্তিভাব এবং রাগ নিয়ন্ত্রণ সহজ হয়ে যায়। তাঁরা জানাচ্ছেন, খাবার শুধুই পেট ভরায় না। খাবারের সঙ্গে শরীরের নানান হরমোন এবং একাধিক উপাদানের সম্পর্ক রয়েছে। যা মানসিক স্বাস্থ্যের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত। তাই কয়েকটি খাবার নিয়মিত খেলেই মন শান্ত (Good Mood) রাখা সহজ হবে।

    সকালের প্রাতঃরাশ ভারি হওয়া জরুরি!

    বাড়ি থেকে কাজে বেরোনোর আগে প্রাতঃরাশ জরুরি। আর সেটা অবশ্যই ভারি প্রাতঃরাশ হতে হবে। এমনটাই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, কাজের তাড়া থাকায় অনেকেই খুব হালকা সামান্য খাবার খেয়ে বেরিয়ে পড়েন। আর সারাদিনের কাজের উপরে এর গভীর প্রভাব পড়ে। বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, সকালের প্রাতঃরাশ প্রোটিন, ভিটামিন, কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া উচিত। একসঙ্গে প্রোটিন-ভিটামিন-কার্বোহাইড্রেট যুক্ত খাবার খেলে, তা ধীরে ধীরে হজম হয়। পেট দীর্ঘসময় ভর্তি থাকে। শরীরে রক্তচাপ এবং শর্করার পরিমাণও নিয়ন্ত্রণ থাকে। ফলে মেজাজ ভালো থাকে। পুষ্টিবিদদের একাংশের পরামর্শ, প্রাতঃরাশের মেনুতে রুটি কিংবা স্যান্ডউইচের সঙ্গে সব্জি থাকা জরুরি। এতে শরীরে কার্বোহাইড্রেট এবং ভিটামিন পৌঁছবে। তার সঙ্গে অবশ্যই সোয়াবিন, পনীর কিংবা ডিমের মতো প্রোটিন জাতীয় একটি পদ থাকা দরকার। তাহলে শরীর পর্যাপ্ত এনার্জি পাবে। এতে বিরক্তিভাব কমবে। মন শান্ত থাকবে।

    দিনভর সঙ্গী হোক বাদাম ও বীজ!

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, বাদাম ও বীজ জাতীয় খাবার মন ভালো রাখতে সাহায্য করে। স্নায়ু সক্রিয় থাকলে, মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়লে বিরক্তিভাব কমে। মেজাজ খিটখিটে হয় না। তাই সকালে ভারি খাবার খেয়ে বেরনোর সময় সঙ্গী হোক বাদাম ও বীজ জাতীয় খাবার। অর্থাৎ দিনের যেকোনও সময় কিছুটা বাদাম ও বীজ জাতীয় খাবার খেলে মানসিক স্বাস্থ্য ভালো থাকে। পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, কাজুবাদাম, কাঠবাদাম, পেস্তা যেকোনও ধরনের বাদামের পাশপাশি সূর্যমুখীর বীজ, তিল কিংবা কুমড়োর বীজ খেলে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়ে। যা মেজাজ ভালো (Good Mood) রাখতে সাহায্য করে।

    আপেল, বেদানার মতো ফল নিয়মিত থাকুক!

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ভরপুর খাবার মন ভালো রাখতে বিশেষ সাহায্য করে। তাঁরা জানাচ্ছেন, আপেল, বেদানা, কিউই জাতীয় খাবার নিয়মিত খেলে তাই মানসিক স্বাস্থ্য ভালো থাকে। রাগ কমে।

    প্রোটিন মন শান্ত করতে সাহায্য করে!

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, শরীরের এনার্জির সঙ্গে মানসিক স্বাস্থ্যের ওতোপ্রোত সম্পর্ক রয়েছে। তাই শরীর সুস্থ থাকলে, এনার্জিতে ভরপুর থাকলে রাগ ও বিরক্তি কম (Keeping Calm) হয়। না হলেই মেজাজ হারানোর ঝুঁকি বেশি থাকে। তাই তাঁদের পরামর্শ, নিয়মিত মেনুতে প্রোটিন জাতীয় খাবার জরুরি। তাঁরা জানাচ্ছেন, নিয়মিত ডিম, মাছ কিংবা মাংসের মতো পদ মেনুতে থাকলে শরীরে প্রোটিনের ঘাটতি হবে না। এর প্রভাব মানসিক স্বাস্থ্যের উপরেও পড়বে। বিরক্তিভাব কমবে।

    তুলসী পাতা দেওয়া চা বাড়তি উপকারি!

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, মন ভালো (Good Mood) রাখতে দিনে অন্তত একবার তুলসী পাতা দেওয়া চা খাওয়া উচিত। তাঁরা জানাচ্ছেন, তুলসী পাতা দেওয়া চা খেলে শরীরে কোর্টিসোল হরমোনের মাত্রা বজায় থাকে। এর ফলে মানসিক চাপ কমে। তাই নিয়মিত অন্তত একবার তুলসী পাতা দেওয়া চা খেলে শরীর ও মন সুস্থ থাকবে। কারণ, তুলসী পাতা শরীরে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়িয়ে তোলে। নানান সংক্রামক রোগের ঝুঁকিও কমায়।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Covid Vaccine: করোনা-পরবর্তীকালে বাড়ছে আকস্মিক মৃত্যু! ভ্যাকসিনের যোগ নেই, জানাল কেন্দ্র

    Covid Vaccine: করোনা-পরবর্তীকালে বাড়ছে আকস্মিক মৃত্যু! ভ্যাকসিনের যোগ নেই, জানাল কেন্দ্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ এবং এইমসের বিশদ গবেষণা থেকে এটা স্পষ্ট যে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন (Covid Vaccine) এবং কোভিড-১৯ পরবর্তীকালে প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে আকস্মিক মৃত্যুর কোনও যোগসূত্র নেই। দেশে ৪০ বছরের কম বয়সীদের মধ্যে হঠাৎ করে হৃদরোগে আক্রান্তের হার বৃদ্ধি পাওয়ায় এই গবেষণাটি করা হয়েছিল। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক স্পষ্ট করে জানিয়েছে যে, কোভিড ভ্যাকসিন এবং অল্পবয়স্কদের মধ্যে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার মধ্যে কোনও সম্পর্ক নেই। জাতীয় সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে যে জীবনযাপন এবং আগে থেকে থাকা শারীরিক অসুস্থতাই এই আকস্মিক মৃত্যুর প্রধান কারণ।

    কেন এই মৃত্যু

    ভারতের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জানিয়েছেন যে, ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ (ICMR) এবং অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সেস (AIIMS)-এর যৌথভাবে পরিচালিত বিস্তৃত গবেষণায় এটি নিশ্চিতভাবে প্রমাণিত হয়েছে যে কোভিড-১৯ টিকা (Covid Vaccine) গ্রহণ এবং টিকা পরবর্তী প্রাপ্তবয়স্কদের হঠাৎ মৃত্যুর মধ্যে কোনও প্রত্যক্ষ যোগসূত্র নেই। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আইসিএমআর ও ন্যাশনাল সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল (NCDC)-এর গবেষণাগুলি প্রমাণ করে যে ভারতে ব্যবহৃত কোভিড টিকাগুলি নিরাপদ ও কার্যকর। খুবই বিরল কিছু ক্ষেত্রে গুরুতর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা গেলেও, হঠাৎ হৃদ্‌রোগজনিত মৃত্যু একাধিক কারণে হতে পারে—যেমন জিনগত কারণ, জীবনধারা, পূর্ববর্তী স্বাস্থ্য সমস্যা এবং কোভিড-পরবর্তী জটিলতা।

    দুটি পৃথক গবেষণা

    এই বিষয়ে গভীরভাবে বিশ্লেষণ করতে দুটি পৃথক গবেষণা পরিচালিত হয়েছে—একটি পূর্বের তথ্য বিশ্লেষণ করে এবং অন্যটি চলমান রিয়েল-টাইম ভিত্তিতে। প্রথম গবেষণার ফলাফলে দেখা গিয়েছে, ১৮ থেকে ৪৫ বছর বয়সী তরুণ-তরুণীদের মধ্যে টিকাকরণ (Covid Vaccine) হঠাৎ মৃত্যুর ঝুঁকি বাড়ায় না। এইমস, নয়াদিল্লি কর্তৃক পরিচালিত দ্বিতীয় গবেষণাটি এখনও চলছে। প্রাথমিক বিশ্লেষণে জানা গিয়েছে, এই বয়সের মানুষের হঠাৎ মৃত্যুর প্রধান কারণ হৃদ্‌রোগ বা মায়োকার্ডিয়াল ইনফার্কশন। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে যে বিজ্ঞানীরা বারবার বলছেন কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন এবং আকস্মিক মৃত্যুর মধ্যে যোগসূত্র সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “চূড়ান্ত প্রমাণ ছাড়া এমন দাবি অথবা ভাবনা জনসাধারণের মধ্যে ভ্যাকসিন সম্পর্কে অনাস্থা তৈরি করতে পারে। যা অতিমারীর সময় লক্ষ লক্ষ মানুষের জীবন বাঁচানোর ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন যে ভ্যাকসিন নেওয়ার পাশাপাশি জীবনযাত্রার সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করা এবং সময়মতো স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো বেশি জরুরি।

  • Stroke Warning Signs: মাস খানেক আগেই পাওয়া যায় আঁচ! স্ট্রোকের আগে শরীর কোন পাঁচ ইঙ্গিত দেয়?

    Stroke Warning Signs: মাস খানেক আগেই পাওয়া যায় আঁচ! স্ট্রোকের আগে শরীর কোন পাঁচ ইঙ্গিত দেয়?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    বিশ্ব জুড়ে বাড়ছে উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি। বয়স কুড়ির চৌকাঠ পার হলেই অনেকে রক্তচাপ ওঠানামার সমস্যায় ভুগছেন‌। তরুণ প্রজন্মের মধ্যে উচ্চ রক্তচাপ মারাত্মক ভাবে বাড়ছে। আর তার জেরেই বাড়ছে স্ট্রোকের ঝুঁকি (Stroke Symptoms)। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো ভারতেও স্ট্রোকে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। মহিলাদের তুলনায় পুরুষরাই বেশি স্ট্রোকে আক্রান্ত হচ্ছেন। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, স্ট্রোক অনেক সময়েই প্রাণঘাতী হয়ে ওঠে। আবার অনেক সময়ে প্রাণ বাঁচানো গেলেও স্বাভাবিক জীবন যাপন সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে‌ যায়। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, তরুণ প্রজন্মের মধ্যেও স্ট্রোকের ঘটনা দেখা দিচ্ছে। স্ট্রোকের জেরে অনেকেই পরবর্তী জীবনে ঠিকমতো হাঁটাচলা করতে পারছেন না। কথা বলতেও নানান জটিলতা তৈরি হয়। দৈনন্দিন কাজের ক্ষেত্রে ও নানান বাধা তৈরি হয়। কিন্তু সতর্কতাই বাঁচাতে পারে। স্ট্রোকের ঝুঁকি কমিয়ে দিতে পারে। ফলে বড় বিপদ এড়ানো সম্ভব।

    কী বলছে সাম্প্রতিক গবেষণা?

    সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, স্ট্রোকের এই ভয়ঙ্কর বিপদ কমাতে পারে সতর্কতা।‌ ইংল্যান্ডের একদল চিকিৎসক-গবেষক জানাচ্ছেন, স্ট্রোক হওয়ার আগে শরীর জানান দেয়। একদিন কিংবা দুইদিন নয়, প্রায় মাস খানেক ধরে শরীর ইঙ্গিত (Stroke Warning Signs) দেয়। বড় বিপদ হওয়ার আগে এই ইঙ্গিত স্পষ্ট হয়। সে সম্পর্কে ওয়াকিবহাল থাকলেই স্ট্রোকের ঝুঁকি এড়ানো সম্ভব। একটি আন্তর্জাতিক বিজ্ঞানবিষয়ক পত্রিকায় প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, এই গবেষণায় দেখা গিয়েছে, শরীরে মূলত পাঁচটি ইঙ্গিত স্পষ্ট হয়। যা থেকে সতর্ক হয়ে ওঠা যেতে পারে। স্ট্রোকের মতো‌ বড় বিপদ আটকানো যেতে পারে।

    কোন পাঁচ ইঙ্গিতের কথা বলছেন চিকিৎসক-গবেষকের দল?

    বারবার বমি ও মাথা ঘোরা!

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, বারবার বমি ও মাথা ঘোরার মতো উপসর্গ দেখা দিলে সতর্কতা জরুরি। হঠাৎ করেই কেউ যদি অনুভব করেন তাঁর মাথা ঘুরছে। কয়েক দিন ধরে খেয়াল করেন, হয়তো যে কোনও সাধারণ কাজ করতে গেলেও‌ মাথা ঘুরছে, কিংবা দীর্ঘ সময় বসে থাকার পরে, ওঠার সময় বারবার মাথা ঘুরছে, তাহলে সতর্ক থাকা জরুরি। পাশপাশি স্ট্রোকের আরেক ইঙ্গিত (Stroke Warning Signs)  হলো‌ বমি। শরীরের মধ্যে অস্বস্তি, হজম করতে না পারার জেরে বারবার বমি হলে বাড়তি সতর্কতা জরুরি। কারণ মস্তিষ্ক ইঙ্গিত দেয়। সেই কারণে শরীরের অন্যান্য অঙ্গের কার্যক্ষমতা ধরে রাখতে পারে না। যার ফলেই বারবার বমি হয়।

    চোখের দৃষ্টিতে সমস্যা!

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, দৃষ্টিশক্তিতে সমস্যা হলে কখনোই অবহেলা করা উচিত নয়। যদি যেকোনও একটি চোখে হঠাৎ ঝাপসা লাগে, যেকোনও জিনিস লক্ষ্য করতে অসুবিধা হয়, তাহলে বাড়তি সতর্কতা জরুরি। অনেক সময়েই একটি জিনিস দুটি বা তিনটি মনে হয়। এই ধরনের উপসর্গ একেবারেই অবহেলা করা উচিত নয়। তাঁরা জানাচ্ছেন, স্ট্রোক মস্তিষ্কের স্নায়ুর কারণে হয়। মস্তিষ্কের স্নায়ু ঠিকমতো কাজ না করলে এই ধরনের সমস্যা দেখা যাবে। তখন সতর্ক হলে‌ বড় বিপদ আটকানো সম্ভব।

    তীব্র মাথার যন্ত্রণা!

    মাথার পিছনে অসহ্য যন্ত্রণা কখনোই অবহেলা করা উচিত নয় বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, মাইগ্রেন বা অন্য কোনও শারীরিক অসুবিধা থাকলে অনেকেই মাথার যন্ত্রণায় ভোগেন। কিন্তু এই ধরনের সমস্যা না থাকলে হঠাৎ লাগাতার যদি মাথা যন্ত্রণা হয়, তাহলে সতর্কতা জরুরি। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, মাথার পিছনে কয়েকদিন ধরে তীব্র যন্ত্রণা হলে তা একেবারেই অবহেলা করা উচিত নয়। মস্তিষ্কে রক্ত সঞ্চালনে সমস্যা হলে এই ধরনের যন্ত্রণা হয়। যা স্ট্রোকের অন্যতম ইঙ্গিত।

    মুখ কিংবা শরীরের যে কোনও অংশে অসাড়তা!

    মস্তিষ্কের জন্য শরীরের সমস্ত অঙ্গ ঠিকমতো কাজ করে। মস্তিষ্কের স্নায়ুর সঙ্গে শরীরের সমস্ত পেশি ও স্নায়ুর সমন্বয় থাকে। তবেই শরীর স্বাভাবিক ভাবে কাজ করতে পারে। মস্তিষ্কের স্নায়ুতে তাই কোনো সমস্যা হলে, গোটা শরীর তাই টের পায়। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, হঠাৎ মুখ, ঠোঁটের কোনো অংশ কিংবা শরীরের যেকোনও অংশে অসাড়তা দেখা দিলে তা নিয়ে সতর্কতা জরুরি। কারণ এটি স্ট্রোকের অন্যতম কারণ হতে পারে।

    হঠাৎ করেই স্মৃতিভ্রষ্ট হয়ে যাওয়া!

    বয়সজনিত কারণ কিংবা অন্যকোন মানসিক চাপ না থাকলেও হঠাৎ করেই খুব সাধারণ জিনিস মনে রাখতে না পারলে বাড়তি সতর্কতা জরুরি। এমনটাই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, স্ট্রোকের অন্যতম উপসর্গ এই স্মৃতিভ্রষ্ট। কারণ মস্তিষ্ক ঠিকমতো সক্রিয় থাকতে পারে না।‌ তাই স্মৃতিশক্তিতেও তার জোরালো প্রভাব পড়ে।

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ভারতে উচ্চ রক্তচাপ এবং স্ট্রোকের মতো সমস্যা বাড়ছে। তাই আগাম সতর্কতা জরুরি (Stroke Warning Signs) । বড় বিপদ এড়াতে নিয়মিত রক্তচাপ পরীক্ষা জরুরি। যাতে ঝুঁকি কতখানি সে সম্পর্কে ওয়াকিবহাল থাকা যায়। পাশপাশি তরুণ বয়স থেকেই খাদ্যাভাস ও জীবনযাপন স্বাস্থ্যকর হলে স্ট্রোকের মতো বিপদের ঝুঁকি (Stroke Symptoms) সহজেই এড়ানো সম্ভব।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Kaviraj Jamini Bhusan Roy: অ্যালোপ্যাথি ছেড়ে আয়ুর্বেদ! নতুন পথের দিশারী কবিরাজ যামিনীভূষণ রায়

    Kaviraj Jamini Bhusan Roy: অ্যালোপ্যাথি ছেড়ে আয়ুর্বেদ! নতুন পথের দিশারী কবিরাজ যামিনীভূষণ রায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বহুদিন ধরেই অযত্নে পড়ে থাকা ফড়িয়াপুকুর স্ট্রিটের ২৯ নম্বর বাড়িটায় হঠাৎই শুরু হল মেরামতির কাজ। করা হল চুনকাম। ভ্যানে করে আসতে লাগল টেবিল, চেয়ার, বেঞ্চ। ব্যাপার কী? গুঞ্জন উঠল সেখানে নাকি মেডিক্যাল কলেজ খুলবেন কোনো এক বদ্যিমশাই। কিছুদিনের মধ্যেই চালু হয়ে গেল সেই কলেজ। আসতে শুরু করল শিক্ষার্থীরা। সেইসঙ্গে শুরু হল বিনামূল্যে চিকিৎসাও। দরিদ্রদের চিকিৎসা করতে স্বয়ং সেই কলেজের প্রতিষ্ঠাতাই রোজ হাজির হতেন সেখানে। সালটা ১৯১৬, ফড়িয়াপুকুরে গড়ে উঠেছিল ‘অষ্টাঙ্গ আয়ুর্বেদ কলেজ ও হাসপাতাল’। ভারত তো বটেই, গোটা এশিয়ার মধ্যেই সেটাই ছিল প্রথম আয়ুর্বেদিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। যার নেপথ্যে ছিলেন ডঃ যামিনীভূষণ রায় (Kaviraj Jamini Bhusan Roy)। সবার কাছে তিনি জে বি রায় নামে বেশি পরিচিত। বাংলার আয়ুর্বেদ চিকিৎসাকে তিনি অন্য মাত্রায় নিয়ে গিয়েছিলেন। তবে অনেকেই ভুলতে বসেছেন তাঁর নাম।

    জাতীয়তাবোধে উদ্বুদ্ধ যামিনী

    সালটা ১৮৭৯। অধুনা বাংলাদেশের খুলনা জেলায় ১লা জন্ম যামিনীভূষণের। বাবা পঞ্চানন রায় ছিলেন খুলনার নামকরা কবিরাজ। পূর্ববঙ্গে বড়ো হয়ে উঠলেও পরবর্তীতে সংস্কৃত শিক্ষার জন্যই তিনি চলে আসেন কলকাতায়। ভবানীপুরে ভাড়া বাড়িতে থেকেই চলত পড়াশোনা। স্নাতক পরীক্ষায় ভালো নম্বর নিয়ে পাশ করার পর ভর্তি হলেন স্নাতকোত্তরেও। সংস্কৃতের পাঠ চুকিয়ে ১৯০২ সালে ভর্তি হলেন কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে। পাশাপাশি বাবার কাছেও চলতে থাকল আয়ুর্বেদ চিকিৎসার পাঠ। ১৯০৫ সালে গোল্ড মেডেল নিয়েই ব্যাচেলর অফ মেডিসিন পাস করলেন যামিনীভূষণ। হয়ে উঠলেন ‘গাইনোকলজি এবং মিডওয়াইফারি’-র বিশেষজ্ঞ। কিন্তু ব্রিটিশ সরকারের অধীনস্থ হাসপাতালে চাকরির সুযোগ থাকলেও, সে পথে গেলেন না। ঠিক করে ফেললেন বাবার মতোই আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক হবেন তিনি। আয়ুর্বেদ (Ayurveda) চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, যামিনীভূষণ রায় (J B Roy) না থাকলে হয়তো দেশে এই চিকিৎসা ব্যবস্থাই উঠে যেত।

    অ্যালোপ্যাথি ছেড়ে আয়ুর্বেদ

    প্রথাগত চিকিৎসা শাস্ত্রের থেকে সরে এসে আয়ুর্বেদ নিয়ে তাঁর গবেষণা অনেকের কাছে বোকামি হলেও, যামিনীভূষণের মতো করে ভাবলে নতুন দিশা দেখতে পাবেন সবাই। আসলে আজ যে চিকিৎসা ব্যবস্থা প্রচলিত ভারতে, সেই অ্যালোপ্যাথি এসেছে ব্রিটিশ শক্তির হাত ধরে। তারও বহু আগে থেকেই এদেশে প্রচলিত ছিল আয়ুর্বেদ। সেখানেই যে লুকিয়ে রয়েছে সংস্কৃতির শিকড়। আর অ্যালোপ্যাথি চিকিৎসায় দ্রুত আরোগ্যলাভ হলেও, দীর্ঘস্থায়ী রোগকে বাগে আনা বেশ কঠিন এই চিকিৎসায়। সেখানে আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা দুরারোগ্য রোগকেও ধীরে ধীরে সারিয়ে তুলতে পারে বলেই বিশ্বাস ছিল তাঁর। বিখ্যাত চিকিৎসক মহামহোপাধ্য়ায় কবিরাজ রিজয়রত্ন সেনের কাছ থেকে শিক্ষা নিতে শুরু করেন যামিনীভূষণ। অনেক মানা করেছিলেন তাঁকে। পরামর্শ দিয়েছিলেন, পশ্চিমী চিকিৎসায় উপার্জনের সুযোগ অনেক বেশি। তবে সে কথা না শুনেই নিজের পথ ধরেছিলেন। ব্যর্থ হননি। ইতিহাস তা-ই বলছে।

    গড়ে তুলেছিলেন ‘বৈদ্যরাজ ফার্মাসি’

    যামিনী বুঝেছিলেন আয়ুর্বেদকে আধুনিকতার ছোঁয়া দিতে গেলে প্রয়োজন অর্থের। তাই পড়াশোনার সঙ্গে বগল মাড়োয়াড়ি হাসপাতালে শুরু করলে চিকিৎসাও। সে সময় তাঁর মাসিক বেতন ছিল চল্লিশ টাকা। কিছুদিনের মধ্যেই তাঁর খ্যাতি ছড়িয়ে পড়ল গোটা ভারতে। ডাক আসতে থাকল বরোদা, গোয়ালিয়র, কোচি রাজবাড়ি থেকে। আজকের দিনের হিসেবে দেখতে গেলে এককথায় তিনি কোটিপতি হয়ে উঠেছিলেন তৎকালীন সময়ে। তবে বিলাসবহুল জীবন তাঁকে টানেনি কোনোদিনই। বরং, সেই টাকাতেই দরিদ্রদের জন্য গড়ে তুলেছিলেন ‘বৈদ্যরাজ ফার্মাসি’। আধুনিক পদ্ধতিতে আয়ুর্বেদিক ওষুধ তৈরি হত সেখানে। আর দরিদ্ররা সেই ওষুধ পেতেন বিনামূল্যেই। সেখানে রীতিমতো আয়ুর্বেদ চিকিৎসা করা হয়।

    মানুষের সেবায় নিয়োজিত

    ১৯২৬ সালে মাত্র ৪৭ বছর বয়সেই প্রয়াত হন যামিনীভূষণ। মৃত্যুর আগে নিজের সমস্ত স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তিই তিনি দান করে গিয়েছিলেন জনকল্যাণে। নিজের তৈরি আয়ুর্বেদিক চিকিৎসার গবেষণাগার ও সংগ্রহশালা তো বটেই, পাতিপুকুরে ১২ বিঘা জমির ওপর অবস্থিত বিশাল বাগানবাড়িও দান করে গিয়েছিলেন তিনি। পরবর্তীতে তাঁর মৃত্যুর ৭ বছর পর সেই বাগানবাড়িতেই ডঃ বিধানচন্দ্র রায় তৈরি করেন যক্ষ্মার হাসপাতাল। যা পাতিপুকুর টিবি হাসপাতাল বলেই পরিচিত। অদ্ভুত বিষয় হল, কিংবদন্তি এই আয়ুর্বেদ চিকিৎসকের জন্মদিন ১ জুলাই-ই। হ্যাঁ, এই একই দিনে জন্ম বিধানচন্দ্রেরও। এও যেন এক অদ্ভুত সমাপতন। চিকিৎসাশাস্ত্রে আজও অস্বীকার করা যায় না তাঁর অবদান। শিশুদের রোগ নির্ণয় হোক কিংবা টক্সিকোলজি— তাঁর লেখা বইগুলি প্রমাণ্য হয়েই রয়ে গিয়েছ। ইএনটি’র চিকিৎসার ক্ষেত্রেও দিশা দেখিয়েছিলেন যামিনীভূষণ।

LinkedIn
Share