Category: পরম্পরা

Get updated History and Heritage and Culture and Religion related news from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Kali Puja 2023: ভারতীয় ‘হ্যালোউইন’, নাকি অন্য কিছু! ভূত চতুর্দশীতে কার পুজো করা হয়?

    Kali Puja 2023: ভারতীয় ‘হ্যালোউইন’, নাকি অন্য কিছু! ভূত চতুর্দশীতে কার পুজো করা হয়?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কার্তিক মাসের কৃষ্ণপক্ষের চতুর্দশী তিথিতে পালিত হয় ভূত চতুর্দশী (Bhoot Chaturdashi 2023)। এই তিথিকে আবার অনেকে নরক চতুর্দশী বলেও জানেন। দীপাবলির (Kali Puja 2023) একদিন আগে ও ধনতেরসের একদিন পর ভূত চতুর্দশী পালিত হয়। এই তিথিটি ছোট দীপাবলি, রূপ চতুর্দশী বা নরকা পুজো নামেও পরিচিত। এদিন মৃত্যুর দেবতা যম ও কৃষ্ণের পুজো করা হয়। অকাল মৃত্যু থেকে বাঁচতে নরক চতুর্দশীতে পুজো করা হয়। অনেকে এই দিনটিকে পশ্চিমী হ্যালোউইনের ভারতীয় সংস্করণ হিসেবেও দেখেন।

    কৃষ্ণ-সত্যভামার হাতে নরকাসুর-বধ কাহিনী

    ভূত চতুর্দশী বা নরক চতুর্দশীতে মুক্তিলাভের আশায় পুজো করা হয়। এদিন সূর্যোদয়ের আগে উঠে স্নান করার প্রথা রয়েছে। মনে করা হয় এর প্রভাবে যমলোকের দর্শন করতে হয় না। বিষ্ণু পুরাণ ও শ্রীমদ্ভাগবত পুরাণ অনুযায়ী, নরকাসুর নামক এক অসুর নিজের শক্তির দ্বারা দেবতা ও মনুষ্যদের অতিষ্ঠ করে তুলেছিল। ১৬ হাজার স্ত্রী এবং সাধুকে বন্দি বানিয়ে রেখেছিল নরকাসুর। এরপর মুনি-ঋষিরা কৃষ্ণের দ্বারস্থ হন। নরকাসুরের হাত থেকে রক্ষা করার দায়িত্ব নেন কৃষ্ণ। কিন্তু শুধু স্ত্রীর হাতে মৃত্যুর অভিশাপ পেয়েছিল নরকাসুর। এই কারণে কৃষ্ণ নিজের স্ত্রী সত্যভামাকে সারথী করেন এবং তাঁর সাহায্যে নরকাসুরকে বধ করেন। যেদিন নরকাসুর বধ হয়েছিল, সেই দিনটি ছিল কার্তিক মাসের কৃষ্ণপক্ষের চতুর্দশী তিথি (Kali Puja 2023)। তাই তিথিকে নরক চতুর্দশী বলা হয়।

    এদিন বেরিয়ে আসে অশরীরী প্রেতাত্মারা!

    আবার এই তিথিটিকে ভূত চতুর্দশী (Bhoot Chaturdashi 2023) বলার পিছনের আরেক ব্যখ্যা হল, মনে করা হয়, এই তিথিতে সন্ধ্যা নামলেই অশরীরী প্রেতাত্মারা বেরিয়ে আসে। তাদের হাত থেকে মুক্তি পেতে এই তিথিতে গৃহস্থ বাড়িতে ১৪টি প্রদীপ জ্বালানো হয়। আবার আর একটি প্রচলিত বিশ্বাস অনুযায়ী, এই তিথিতে চোদ্দ পুরুষের আত্মার আসা-যাওয়া থাকে। মনে করা হয় তাঁদের যাতায়াতের পথ আলোকিত রাখার জন্যই প্রদীপ প্রজ্জ্বলিত করার প্রথা রয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kali Puja 2023: স্বপ্নে দেবীর দর্শন পেয়েছিলেন অন্নদা ঠাকুর, প্রতিষ্ঠা করেন আদ্যাপীঠের, জানুন ইতিহাস

    Kali Puja 2023: স্বপ্নে দেবীর দর্শন পেয়েছিলেন অন্নদা ঠাকুর, প্রতিষ্ঠা করেন আদ্যাপীঠের, জানুন ইতিহাস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণেশ্বরের ভবতারিণী মন্দিরের কিছু দূরেই অবস্থান আদ্যাপীঠের (Kali Puja 2023)। এখানে দেবী কালী আদ্যাশক্তি মহামায়া রূপে বিরাজ করেন বলে ভক্তদের বিশ্বাস। কথিত আছে, এই মন্দিরটি প্রতিষ্ঠা করেন রামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের শিষ্য শ্রী অন্নদা ঠাকুর (Kali Puja 2023)। আদ্যাপীঠ মঠের অবস্থান প্রায় ২৭ বিঘা জায়গা জুড়ে। এই পীঠের সঙ্গে জুড়ে রয়েছে অজস্র অলৌকিক কাহিনীও। দেবী আদ্যার মূর্তি ছাড়াও দেখতে পাওয়া যায় এখানে রাধাকৃষ্ণ এবং শ্রীরামকৃষ্ণদেবের মূর্তিও। গবেষকরা বলেন, মন্দিরের প্রতিষ্ঠাতা অন্নদা ঠাকুরের বাড়ি ছিল অধুনা বাংলাদেশের চট্টগ্রামে। তাঁর পৈতৃক নাম অন্নদাচরণ ভট্টাচার্য। বাংলার ১৩২১ সালে অন্নদা ঠাকুর চট্টগ্রাম থেকে কলকাতায় কবিরাজি পড়তে আসেন। এই সময়ে কলকাতার বর্তমান আমহার্স্ট স্ট্রিটে এক বন্ধুর বাড়িতে থাকতেন অন্নদাচরণ। সেখান থেকেই কবিরাজি পাস করেছিলেন বৃত্তি সমেত। তাঁর বন্ধুর বাবার সাহায্যে কবিরাজির চেম্বারও তৈরি করেছিলেন বলে জানা যায়।

    স্বপ্নাদেশে কী নির্দেশ পান অন্নদাশঙ্কর

    কথিত আছে, এই সময়ে অন্নদা ঠাকুরকে স্বপ্নাদেশ দেন আদ্যা মা। শ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংসদেবও সেই স্বপ্নাদেশে এসেছিলেন। ওই স্বপ্নাদেশে, শ্রী রামকৃষ্ণ তাঁকে (অন্নদাচরণকে) ইডেন গার্ডেন্সে গিয়ে ঝিলের পাশে নারকেল এবং পাকুর গাছের কাছ থেকে কালি মূর্তি (Kali Puja 2023) নিয়ে আসতে বলেন। ঝিলের পাশ থেকে অন্নদাচরণ ১৮ ইঞ্চি আদ্যা মায়ের কোষ্ঠী পাথরের মূর্তি পান। ঘটনাক্রমে, সেদিন ছিল রামনবমী তিথি। রাতেই দেবী তাঁকে দেখা দিয়ে বলেন, ‘‘অন্নদা কাল বিজয়া দশমী, তুমি আমায় গঙ্গায় বিসর্জন দিও।’’ দেবীর এই কথা শুনে অন্নদা একপ্রকার আঁতকে ওঠে। সে ভাবতে থাকে পুজোপাঠ করিনি তাই হয়তো দেবী রাগ করে চলে যাচ্ছেন। তখন দেবী বলেন, ‘‘সহজ সরল প্রাণের ভাষায় যে ভক্ত নিজের ভোগ্য বস্তু আমাকে নিবেদন করেন সেটাই আমার পুজো। যদি কোনও ভক্ত আমার সামনে আদ্যাস্তোত্র পাঠ করে, তাহলে আমি বিশেষ আনন্দিত হই।’’ এরপরেই দেবী আদ্যাস্তোত্র পাঠ করেন, অন্নদা ঠাকুর তা লিখে রাখেন। স্বপ্নের মধ্যেই বিজয়া দশমীতে আদ্যা দেবীকে (Kali Puja 2023) বিসর্জন দেন অন্নদা। তবে স্বপ্নাদেশে পাওয়া সেই মাতৃমূর্তি ছবি নিজের মনে রেখে দিয়েছিলেন অন্নদা ঠাকুর। পরে তা থেকেই তৈরি হয় বর্তমান মূর্তিটি। বাংলার ১৩২৫ সালে শ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংসদেব তাঁকে স্বপ্নেই সন্ন্যাসী দীক্ষা দেন বলে জানা যায়।

    আদ্যাপীঠের ভোগ

    আদ্যাপীঠে রাধা কৃষ্ণের জন্য সাড়ে ৩২ সের চালের রান্না হয়। দেবী আদ্যার জন্য সাড়ে ১২ সের চাল রান্না হয়। রামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের রান্না হয় সাড়ে ১২ সের চালে। সেই ভোগ পঞ্চ ব্যঞ্জন এ নিবেদন করা হয়। এর সঙ্গে থাকে পরমান্ন ভোগ। অন্নদা ঠাকুরের নির্দেশ অনুযায়ী, বড় মন্দিরে ভোগ যায় না। মন্দিরের পাশে ভোগালয় তা সাজিয়ে রাখা হয়। সেখানেই নিবেদন করা হয় ভোগ। তিনি নির্দেশ দিয়েছিলেন, শুধুমাত্র পরমান্ন ভোগই যাবে দেবীর কাছে। আজও সেই রীতি বজায় রয়েছে আদ্যাপীঠে (Kali Puja 2023)। রাতে পরমান্ন ভোগ দেওয়া হয় ঘি এবং উৎকৃষ্ট চাল সহযোগে। বাংলার ১৩৩৫ সালে অন্নদা ঠাকুর পুরীতে প্রয়াত হন বলে জানা যায়। তাঁর ভক্তরা আজও পালন করে চলেছেন অন্নদা ঠাকুরের দেওয়া শিক্ষা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kali Puja 2023: বাস্তবেই ছিলেন ভবানী পাঠক ও দেবী চৌধুরানী! জানুন তাঁদের কালীপুজোর কথা

    Kali Puja 2023: বাস্তবেই ছিলেন ভবানী পাঠক ও দেবী চৌধুরানী! জানুন তাঁদের কালীপুজোর কথা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আনন্দমঠের পর এটাই ছিল বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত দ্বিতীয় কোনও উপন্যাস, যেখানে ব্রিটিশ বিরোধী সশস্ত্র সংগ্রাম এবং চরমপন্থী জাতীয়তাবাদ স্থান পেয়েছিল। বুঝতেই পারছেন, এখানে ‘দেবী চৌধুরানী’ উপন্যাসের কথাই বলা হচ্ছে। ১৮৮৪ খ্রিস্টাব্দে লিখিত এই উপন্যাসের চরিত্র হরবল্লভের পুত্রবধূ মানে ব্রজেশ্বরের স্ত্রী প্রফুল্ল-র শ্বশুরবাড়ি থেকে বিতাড়িত হওয়া এবং জঙ্গলের মধ্যে ডাকাত দলের সর্দার ভবানী পাঠকের সুনিপুণ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ‘দেবী চৌধুরানী’ হয়ে ওঠার গল্প প্রত্যেক বাঙালির কাছেই এভারগ্রিন। কখনও পুরনো হয় না (Kali Puja 2023)‌।

    কাল্পনিক নয়, বাস্তবিক চরিত্র

    শার্লক হোমসের লন্ডনের ঠিকানায় (২২১বি বেকার স্ট্রিট) এক সময় প্রচুর চিঠি পাঠাতেন পাঠকরা। তাঁরা ভাবতেন আর্থার কোনান ডায়েল সৃষ্ট এই চরিত্র কাল্পনিক নয় বরং বাস্তবিক। শার্লক হোমস তো কাল্পনিক ছিল। কিন্তু জানেন কি, ভবানী পাঠক এবং দেবী চৌধুরানী সত্যি-সত্যিই ঐতিহাসিক চরিত্র ছিলেন এবং তাঁরা মা কালীর আরাধনা করতেন! তাঁদের প্রচলিত কালীপুজো (Devi Chaudhurani Kali Puja) আজও ধুমধাম করে অনুষ্ঠিত হয় পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন স্থানে। শুধু তাই নয়, জলপাইগুড়িতে রয়েছে একটি মন্দির যেখানে ভবানী পাঠক ও দেবী চৌধুরানীর মূর্তিও রয়েছে।

    উত্তরবঙ্গের দেবী চৌধুরানী মন্দির

    জলপাইগুড়ি জেলার শিকারপুর চা বাগান ঘেরা ছোট্ট গ্রামে রয়েছে ঐতিহাসিক দেবী চৌধুরানী মন্দির। পাশাপাশি দুটি মন্দির রয়েছে এখানে। তার মধ্যে একটি মা কালীর মন্দির (Devi Chaudhurani Kali Puja)। কালী মন্দিরের পাশের মন্দিরে একটি পুরুষ ও নারী মূর্তি রয়েছে। পাশাপাশি বাঘ, শিয়াল ও আরও কিছু বিগ্রহ আছে। অনেক ইতিহাসবিদ মনে করেন এটি শিব-পার্বতীর মন্দির। তবে স্থানীয় বাসিন্দাদের বিশ্বাস, বিগ্রহটি ভবানী পাঠক এবং দেবী চৌধুরানীর। মূলত, দেবী চৌধুরানীর মন্দিরের খ্যাতিতেই বিভিন্ন প্রান্তের গবেষকরা এখানে আসেন। বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের পর্যটকদের কাছে এটি বাড়তি আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু। 

    তবে এখানকার কালী মন্দিরও জাগ্রত ও প্রসিদ্ধ বলেই স্থানীয় ভক্তদের বিশ্বাস রয়েছে। এই মন্দিরে রীতিমতো নিয়ম ও নিষ্ঠার সঙ্গে বছরে দুবার কালীপুজো হয়। একবার আষাঢ় মাসে, আরেকবার কার্তিক মাসে। বরং এখানকার কালীপুজোর আলাদা রোমাঞ্চ রয়েছে ভক্তদের কাছে। ঝোপ-জঙ্গলে ভরা, অরণ্যের মাঝে এই কালী মন্দিরের অবস্থান। শহরের কোলাহল থেকে নির্জন বনে দেবীর উপাসনা ভক্তদের মধ্যে ‘দেবী চৌধুরানী’ উপন্যাসকে জীবন্ত করে তোলে‌। শিলিগুড়ি-জলপাইগুড়ি সহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকার মানুষ সারারাত জেগে এই পুজো দেখতে যান।

    মালদায় কালী মাতা ঠাকুরানি মন্দির

    অন্যদিকে, মালদার রতুয়া ২ নম্বর ব্লকের গোবরজনা গ্রামের কালী মাতা ঠাকুরানি মন্দির (Devi Chaudhurani Kali Puja)। প্রচলিত বিশ্বাস মতে, ঘন অরণ্যে ঘেরা ছিল গোবরজনা গ্রাম। পাশেই বয়ে চলেছে কালিন্দী নদী। জনশ্রুতি যে, একবার ভবানী পাঠক এবং দেবী চৌধুরানী বজরা নিয়ে যাচ্ছিলেন কালিন্দী নদী বেয়ে। তাঁদের গন্তব্য ছিল উত্তরবঙ্গ। কিন্তু তাঁদের বজরা মাঝ পথেই থেমে গিয়েছিল নদীর এক বালিয়াড়িতে। দেবী চৌধুরানী স্বপ্নাদেশ পেলেন মা কালীর। তিনি সেখানে তাঁদের পুজো নিতে চান। ভবানী পাঠক এবং দেবী চৌধুরানী সেখানেই মায়ের মূর্তি তৈরি করে পুজো সম্পন্ন করলেন। এই পুজোয় আজও লক্ষাধিক মানুষের সমাগম হয়‌। 

    যদিও, ধুমধাম করে সম্পন্ন হওয়া গোবরজনার এই কালীপুজো দেবী চৌধুরানীই যে চালু করেছিলেন, তা অনেকেই আবার মানতে চান না‌। ভবানী পাঠক ও দেবী চৌধুরানীর কর্মকাণ্ড শুধুমাত্র উত্তরবঙ্গ কেন্দ্রিক ছিল না‌। রাঢ়বঙ্গে পশ্চিম বর্ধমান জেলার দুর্গাপুরের সঙ্গেও জড়িয়ে রয়েছে এই দুই গুরু-শিষ্যার নাম। গবেষকরা মনে করেন, দেবী চৌধুরানী যে বজরা নিয়ে ডাকাতি করতে যেতেন, সেই বজরা নিয়ে ভেসে এসে দামোদরের পারে গভীর জঙ্গলে আস্তানা গড়ে তুলেছিলেন। পরবর্তী ক্ষেত্রে এই জায়গা থেকেই নিজের কাজ চালিয়ে যেতেন ঐতিহাসিক দুই চরিত্র ভবানী পাঠক ও দেবী চৌধুরানি।

    দুর্গাপুরে ভবানী মাতার মন্দির

    বর্তমান দুর্গাপুরের অম্বুজা কলোনিতে রয়েছে ভবানী মাতার মন্দির। এই মন্দিরটি ভবানী পাঠকের মন্দির বলে জনশ্রুতি রয়েছে। একটা সময় এই মন্দিরে এসে আত্মগোপন করেছেন বহু বিপ্লবী। এমনকী, নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর এখানে এসে রাত্রিযাপনের কথাও প্রচলিত রয়েছে। দুর্গাপুরের এই এলাকায় জঙ্গল ঘেরা পরিবেশের এই মন্দিরে অনেক ভক্ত আসেন ভবানী পাঠক ও দেবী চৌধুরানীর মন্দির দর্শন করতে। তারাপীঠের মায়ের রীতি মেনে শ্যামাকালী পুজোর আগের নিশিরাতে ভবানী পাঠক ও দেবী চৌধুরানী আরাধিত এই মা কালীর পুজো অনুষ্ঠিত হয়। এই পুজোর বিশেষ রীতি হল ‘বন্দেমাতরম’ ধ্বনি উচ্চারণ।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kali Puja 2023: সূর্যাস্তের পর প্রতিমা তৈরি করে ভোরের আলো ফোটার আগেই বিসর্জন!

    Kali Puja 2023: সূর্যাস্তের পর প্রতিমা তৈরি করে ভোরের আলো ফোটার আগেই বিসর্জন!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সূর্যের মুখ দেখেন না দেবী। তাই সূর্যাস্তের পর প্রতিমা তৈরি করে, রাতে শ্যামা মায়ের পুজো করে, ভোরের আলো ফোটার আগেই বিসর্জন হয়। প্রায় পাঁচশো বছর ধরে এমনই রীতি মেনে দীপাবলির রাতে কালীপূজো হয়ে আসছে উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জ শহরের দেবীনগর কালীবাড়ির মন্দিরে। শুধু তাই নয়, দেবীর আদেশে এই মন্দিরে নেই কোনও ছাদ বা আচ্ছাদন। চারদিক দেওয়াল দিয়ে ঘিরে মন্দির থাকলেও খোলা আকাশের নিচেই পরম জাগ্রত দেবীনগর কালীবাড়ির দেবী পূজিতা হন বেদিতেই (Kali Puja 2023)।

    ভিনরাজ্য থেকে দর্শনার্থীদের সমাগম (Kali Puja 2023)

    শুধু উত্তর দিনাজপুর নয়, রাজ্যের অন্যান্য জেলা সহ কলকাতা, এমনকি ভিনরাজ্য থেকে হাজার হাজার দর্শনার্থীর সমাগম হয় দীপাবলির রাতে, ঐতিহ্যবাহী দেবীনগর কালীবাড়ির শ্যামাপুজোয়। কথিত আছে, রায়গঞ্জ শহরের দক্ষিণ প্রান্তে দেবীনগরে রাজপথের ধারে এই কালীমন্দিরে এক সময় গাছের তলায় ডাকাতদল পুজো করত। দিনাজপুরের জমিদার তাঁর লোকজন নিয়ে এসে এখানে পুজো করে ফিরে যেতেন। একবার এই পথ দিয়ে ভূপালপুর রাজবাড়ি যাওয়ার পথে এই স্থানে আটকে পড়েন তৎকালীন দিনাজপুরের জমিদার। সেই সময় তিনি দেবীর আদেশ পান এই স্থানে মন্দির তৈরি করে পুজো করার। দেবীর এই আদেশও ছিল মন্দির হবে ছাদ খোলা। মা রোদ-বৃষ্টি-ঝড়ে এখানে পূজিতা হবেন (Kali Puja 2023)। দিনাজপুরের রাজা স্বপ্নাদেশ পেয়েছিলেন দীপাবলির অমাবস্যায় সূর্য অস্ত যাওয়ার পরে মায়ের মূর্তি তৈরি করা শুরু হবে। আর সূর্য উদয় হওয়ার আগেই মায়ের বিসর্জন দিয়ে দিতে হবে। বাকি সারাটা বছর মা পূজিতা হবেন বেদিতেই। মায়ের স্বপ্নাদেশ পেয়ে দিনাজপুরের জমিদার রায়গঞ্জ শহরের দেবীনগরে রাজপথের ধারে তৈরি করে দেন ছাদ খোলা মায়ের মন্দির। সেই থেকে আজও এই ছাদ খোলা মন্দিরে বেদিতে মা কালীর আরাধনা হয়। দীপাবলির রাতে এক রাতেই মায়ের মূর্তি তৈরি করে পুজো করে ভোরের আলো ফোটার আগে বিসর্জন দিয়ে দেওয়া হয় কালী প্রতিমার। একটিবারের জন্যও এই রীতির অন্যথা হয়নি রায়গঞ্জ শহরের দেবীনগর কালীবাড়ির পুজোয়।

    জাগ্রত দেবী বলে এর খ্যাতি (Kali Puja 2023)

    জাগ্রত দেবী বলে এর খ্যাতি ছড়িয়েছে গোটা দেশজুড়ে। অসম থেকে ঝাড়খণ্ড, ওডিশা, বিহার সহ বিভিন্ন রাজ্য থেকে হাজার হাজার ভক্তের সমাগম হয় দীপাবলির কালীপুজোর রাতে। স্থানীয় পুরোহিত সাধন মুখার্জী বলেন, “আনুমানিক ৫০০ বছরের পুরনো এই পুজো। তৎকালীন দিনাজপুরের জমিদার স্বপ্নাদেশ পেয়ে এই পুজো শুরু করেছিলেন। সেই থেকে পুজো হয়ে আসছে। দেবী সূর্যের মুখ দেখেন না। তাই সন্ধ্যায় চক্ষুদান হয় এবং ভোর হওয়ার আগেই বিসর্জন হয়। এখানে বৈষ্ণব মতে পুজো (Kali Puja 2023) হয়। অন্নভোগ হয় না। দেবী জাগ্রত হওয়ায় দূর-দূরান্ত থেকে ভক্তদের সমাগম হয় এখানে। ” 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kali Puja 2023: অ্যান্টনির নাম জড়িয়েই কি ফিরিঙ্গি কালীবাড়ি? জানেন এর ইতিহাস?

    Kali Puja 2023: অ্যান্টনির নাম জড়িয়েই কি ফিরিঙ্গি কালীবাড়ি? জানেন এর ইতিহাস?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোককথা থেকে রূপোলি পর্দায় বার বার উঠে এসেছে এই মন্দিরের কথা। কথিত আছে, এই মন্দিরে বসে গান গাইতেন অ্যান্টনি কবিয়াল। ভিনদেশি ভক্ত কবিয়ালের নামেই পরিচিত পেয়েছে মন্দির। যদিও অনেকে একথা মানতে নারাজ। তাঁদের দাবি, ফিরিঙ্গি পাড়ার কাছাকাছি হওয়াতেই নাম হয়েছে ফিরিঙ্গি কালীবাড়ি (Kali Puja 2023)। নতুবা এই কালীবাড়ি বহু প্রাচীন।

    কোথায়, কবে তৈরি হয় এই মন্দির?

    ২৪৪, বিপিন বিহারী গাঙ্গুলী স্ট্রিট, ৭০০০১২। বউবাজার থেকে চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউয়ের দিকে যে রাস্তা গিয়েছে, সেই রাস্তার ডান দিকে ফিরিঙ্গি কালীবাড়ি। এক সময় এই অঞ্চলটি ছিল শ্মশান। হোগলাপাতার একটি ঘরে ছিল শিবের অবস্থান। সামনে ছিল গঙ্গা থেকে আসা একটা খাল। কালীবাড়ির ইতিহাস থেকে জানা গেছে, ১৪৩৭ সনে ভাগীরথী নদীর তীরে জঙ্গলের মধ্যে প্রতিষ্ঠা হয়েছিল শিব ও কালী বিগ্রহের। মূলত মন্দিরটি প্রথমে ছিল একটি শিবমন্দির। ফিরিঙ্গি কালীবাড়ির সঠিক প্রতিষ্ঠাকাল সম্পর্কে জানা যায় না। জনশ্রুতি অনুযায়ী, মন্দিরটি ৫০০ বছরের পুরনো।

    কেন ফিরিঙ্গি কালীবাড়ি

    জানা যায়, ১৮২০ থেকে ১৮৮০ সাল পর্যন্ত এই মন্দিরের পূজারি ছিলেন নিঃসন্তান শ্রীমন্ত পণ্ডিত। কালীমন্দির ও দেবীমূর্তি সর্বপ্রথম কে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, কেউই তা জানেন না। কথিত আছে, এই শিবমন্দিরে কবিয়াল অ্যান্টনি ফিরিঙ্গি আসতেন। একদিন এখানেই প্রতিষ্ঠিত হল অ্যান্টনি ফিরিঙ্গির সিদ্ধেশ্বরী কালী। পর্তুগিজ অ্যান্টনি মায়ের পুজোর দায়িত্ব দিলেন শ্রীমন্ত পণ্ডিতকে। ১৮৮০ সালে শশীভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় ৬০ টাকার বিনিময় এই দেবোত্তর সম্পত্তি হাতে পান। সেই থেকে বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবার এখনও এই ফিরিঙ্গি কালীবাড়ির সেবায়েত। 

    সিদ্ধেশ্বরী মাতৃমূর্তি

    ফিরিঙ্গি কালীবাড়ি একটি চাঁদনি স্থাপত্যের মন্দির। এই মন্দিরের কালী মূর্তিটি মাটির তৈরি। বিগ্রহটির উচ্চতা প্রায় সাড়ে পাঁচ ফুট। বিগ্রহটি সবসনা। ত্রিনয়নী সুদর্শনা। মন্দির সংলগ্ন শিবের মন্দিরটি আটচালা। কালীমূর্তি ছাড়াও মন্দিরে আছে শীতলা, মনসা, দুর্গা, শিব ও নারায়ণের মূর্তি। সিদ্ধেশ্বরী মায়ের মূর্তিটি দেখার মতো। চোখে পড়ে দেবীর রুপোর মুকুটটি। ত্রিনয়নে কোনও উগ্রতা নেই। নানা অলংকারে দেবী সজ্জিতা। হিন্দু, মুসলমান, খ্রিস্টান, বৌদ্ধ, জৈন-সব ধর্মের মানুষ দেবীকে প্রণাম করেন, জানান তাঁদের অন্তরের কথা। 

    আরও পড়ুন: বৈদিক আদর্শ পুনঃস্থাপনে ব্রতী হয়েছিলেন, প্রয়াণ দিবসে স্বামী দয়ানন্দ সরস্বতীর জীবনী

    মন্দিরে বিশেষ পুজো

    মন্দিরে প্রতি অমাবস্যায় কালীপুজো ও প্রতি পূর্ণিমায় সত্যনারায়ণ পুজো হয়। প্রতিদিন মন্দির রাত ন’টায় বন্ধ হলেও দীপান্বিতা কালীপুজোর (Kali Puja 2023) দিন যতক্ষণ অমাবস্যা থাকবে মন্দির খোলা থাকবে। প্রতি বছর কালীপুজোর আগে মায়ের অঙ্গরাগ হয়। কালীপুজোর দিন মায়ের ভোগে থাকে গোবিন্দভোগ চালের খিচুড়ি, পাঁচ রকমের ভাজা, দু’রকমের তরকারি, পোলাও, চাটনি, পায়েস। এছাড়া থাকে দই, মিষ্টি। দেবীকে দেওয়া হয় নিরামিষ ভোগ। এখনও এখানে পুজো হয় সম্পূর্ণ বৈদিক মতে। একদা পশুবলি হলেও এখন আর তা হয় না। এখন মন্দিরের ছয় শরিক। সেই অনুযায়ী পালা পড়ে। এ বছর যাবতীয় আচার মেনেই কালীপুজো সম্পন্ন হবে।  

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kali Puja 2023: সাত মণ্ডপে সাত কালী, পুজো করেন একজন পুরোহিতই!

    Kali Puja 2023: সাত মণ্ডপে সাত কালী, পুজো করেন একজন পুরোহিতই!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রায় ৩০০ বছর ধরে বালুরঘাটে হয়ে চলেছে একসঙ্গে সাত কালীর পুজো (Kali Puja 2023)। ডাঙা গ্রাম পঞ্চায়েতের হাজিপুর এলাকায় গ্রামবাসীরা এই পুজো করে আসছেন। যদিও সাত কালীর মধ্যে বর্তমানে একটি কালীর পুজো বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এইসব পুজোর বিশেষত্ব হল, ওই এলাকায় সাতটি মণ্ডপে থাকা সাত কালীর পুজো করেন একজন পুরোহিতই। রাত পেরিয়ে সকালে হয় সর্বশেষ ঘাটকালীর পুজো। সারাদিন পুজো করার পরে সন্ধায় সব কালীর একসঙ্গে বিসর্জন হওয়ার রীতি রয়েছে এখানে।

    সাত কালী সাত বোন (Kali Puja 2023)

    এলাকাবাসীদের মতে, এই সাত কালীকে তাঁরা সাত বোন হিসেবেই দেখেন। আজ থেকে প্রায় ৩০০ বছর আগে ওই এলাকার সুকুল জমিদার এই পুজো শুরু করেন। একজন পুরোহিত পুরো এলাকা ঘুরে সাত কালীর পুজো সারতেন। সবশেষে ঘাটকালীর পুজো করতে গিয়ে সকাল হয়ে যেত। সেই থেকেই আজও অমাবস্যার তিথি পেরিয়ে গেলেও ঘাটকালীর পুজো সকালেই করা হয়। যা বিকেল পর্যন্ত চলে। এই পুজোর আরেক বিশেষত্ব হল, কালীপুজোর রাতে অন্য কালীপুজো হওয়ার পরের দিন ঘাটকালীর কাছে সব কালী প্রতিমা জমায়েত হয়। সেদিন বিকেলেই সব কালী একসঙ্গে বিসর্জন দেওয়া হয়। ওই এলাকার স্কুল মোড়ে রয়েছে বামাকালী, এক ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের সামনে সুরকালী, মাহিনগর এলাকায় চন্ডীকালী, নদীর পাড়ে নির্দয়া কালী, মিশন এলাকায় বুড়াকালী, সন্ন্যাসকালী ও বিসর্জনের ঘাটে ঘাটকালী। তবে বর্তমানে সন্ন্যাসকালী মণ্ডপের জায়গা সরকারি কৃষিফার্মের অধীনে চলে গিয়েছে। যার জেরে এই পুজো বন্ধ হয়েছে বলে জানিয়েছেন উদ্যোক্তারা। প্রতি বছর ঘাটকালী পুজোর মাঠে বিশাল মেলা বসে ও প্রচুর মানুষের ভিড় হয় (Kali Puja 2023)। এই মন্দিরের ভিতরেই শীতলা দেবী, ষষ্ঠী দেবী ও মহাদেবের বেদী স্থাপিত রয়েছে।

    কালীদহ পুকুরেই বিসর্জন (Kali Puja 2023)

    ঘাটকালী সেবা সমিতির সম্পাদক সৌভিক সরকার বলেন, ‘স্থানীয় বিশ্বাসে এই সাত কালীমাতা সাত বোন। তার মধ্যে সবচেয়ে ছোট বোন ঘাটকালী। তাই তার পুজো সবার শেষে করার রীতি চলে আসছে। সারারাত ধরে একজন পুরোহিত এই সব কালী পুজো করেন বলে ঘাটকালীর পুজো পরের দিন সকালে হয়। সেদিনই সন্ধ্যায় সব কালী প্রতিমা এসে ঘাট কালীর দর্শন করবেন। তখনই তাদের একসঙ্গে বিসর্জন দেওয়া হয়। এই সাত কালীপুজোর প্রতিষ্ঠাতা নদীতে প্রতিমা (Kali Puja 2023) বিসর্জন করতেন না। নদীর ধারে একটি পুকুর কেটে সেখানে বিসর্জন দেওয়ার রীতি চালু করেছিলেন। পুরনো সেই নিয়ম মেনে কালীদহ পুকুরেই বিসর্জন হবে।’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kali Puja 2023: মালদার হবিবপুরে মুসলিম মহিলার হাতেই পুজো পান ‘শেফালী কালী’

    Kali Puja 2023: মালদার হবিবপুরে মুসলিম মহিলার হাতেই পুজো পান ‘শেফালী কালী’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মা কালীর পুজো। সেটাও আবার করছেন একজন মুসলিম মহিলা! ভাবতে অবাক লাগলেও এমনটাই দীর্ঘ কয়েক দশক ধরে ঘটে আসছে মালদায়। আরও স্পষ্ট করে বললে মালদার হবিবপুর থানার বুলবুলচন্ডী এলাকার মধ্যম কেন্দুয়া গ্রামে। এই গ্রামেরই এক মুসলিম বিধবা মহিলা শেফালী বেওয়ার হাতে পূজিতা হন মা কালী। তাও সমস্ত শাক্ত রীতি-নীতি মেনে। জেলায় ধর্মপ্রাণ মানুষের কাছে অন্যতম আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে ওঠে মুসলিম মহিলা আয়োজিত এই কালীপুজো (Kali Puja 2023)।

    পুজো শুরুর ইতিহাস (Kali Puja 2023)

    এই পুজোর সূত্রপাত প্রায় চার দশক আগে। মধ্যম কেন্দুয়া গ্রামের বাসিন্দা শেফালী বেওয়া এক সময় জটিল রোগে অসুস্থ হয়ে পড়েন। তিনি জানান, সে সময় কোনও চিকিৎসায় কাজ না হওয়ায় প্রাণের আশা প্রায় ত্যাগ করে ফেলেছিলেন। হঠাৎ করেই মা কালীর স্বপ্নাদেশ পান তিনি। সেই স্বপ্নাদেশে ভর করেই তিনি শুরু করেন মা কালীর পুজো। একজন মুসলিম হয়ে এই পুজো শুরু করাটা মোটেও সহজ কাজ ছিল না। তবে প্রথম প্রথম এক রকম চুপিসারেই নিজের উদ্যোগে মা কালীর পুজো শুরু করেন তিনি। ক্রমে লোকমুখে প্রচারিত হয় শেফালী বেওয়ার এই পুজোর কথা। এমনকি তাঁর পূজিতা কালী অত্যন্ত জাগ্রত বলেও এলাকার মানুষ মানতে শুরু করেন। তারপর থেকেই শাক্ত‌ রীতিতে ধুমধাম করেই কালীপুজো (Kali Puja 2023) করে আসছেন শেফালী বেওয়া।

    সমস্তটাই নিজের তত্ত্বাবধানে (Kali Puja 2023)

    আর দিন কয়েক বাদেই শুরু হবে সেই পুজো। মধ্যম কেন্দুয়া গ্রামে রেল লাইনের ধারেই ছোট্ট এক চিলতে ঘরে বসবাস শেফালী বেওয়ার। সেই ঘরের সামনেই ছোট বেদীতে চলছে মা কালীর মূর্তি তৈরীর কাজ। মূর্তি তৈরি থেকে পুজো সমস্তটাই নিজের তত্ত্বাবধানে করেন শেফালী বেওয়া। শেফালী বেওয়ার নাম অনুসারে এই কালীপুজো শেফালী কালী নামেই বেশি পরিচিত।

    প্রার্থনা নিয়ে ভক্তরা ছুটে আসেন (Kali Puja 2023)

    গ্রামেরই বাসিন্দা রেখা ঘোষ জানালেন, “মুসলিম মহিলা হলেও তিনি একেবারে হিন্দু মতেই দীর্ঘদিন ধরে এই কালীপুজো (Kali Puja 2023) করে আসছেন। তাঁর কালী পুজো দেখতে গ্রামের মানুষের পাশাপাশি দূর-দূরান্ত থেকেও বহু মানুষ ছুটে আসেন। এই কালী অত্যন্ত জাগ্রত। মনের নানারকম প্রার্থনা নিয়ে ভক্তরা ছুটে আসেন শেফালী কালীর কাছে। এই পুজোয় কোনও রকম ভেদাভেদ থাকে না।” গ্রামে যদি কারও অসুখ বা কোনও সমস্যা হয়, তখন এই শেফালিদেবীর কাছেই ছুটে আসেন গ্রামবাসীরা।  গ্রাম ছাড়াও জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে এই মায়ের কাছে ছুটে আসেন অনেক ভক্তরা।মায়ের মূর্তির সামনে থাকা পুকুরে ১৫ দিন পরে বিসর্জন করা হয়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kali Puja 2023: জঙ্গলের মাঝে তান্ত্রিক শুরু করেন পুজো, জানুন ঠনঠনিয়া কালীবাড়ির ইতিহাস

    Kali Puja 2023: জঙ্গলের মাঝে তান্ত্রিক শুরু করেন পুজো, জানুন ঠনঠনিয়া কালীবাড়ির ইতিহাস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেখতে দেখতে চলে এল কালীপুজো (Kali Puja 2023)। বাঙালি ফের একবার মেতে উঠবে মা কালীর আরাধনায়। এমনিতে কালীপুজো সারা বছর ধরেই বিভিন্ন অমাবস্যায় অনুষ্ঠিত হয়। তবে কার্তিক মাসের অমাবস্যায় কালীপুজো সবচেয়ে প্রসিদ্ধ। পশ্চিমবঙ্গের জনপ্রিয় কালী মন্দিরগুলির মধ্যে অন্যতম হল ঠনঠনিয়া কালীবাড়ি। ভক্তদের বিশ্বাস, ঠনঠনিয়া কালীবাড়ির দেবী অত্যন্ত জাগ্রত। দেবীর আশীর্বাদে ভক্তদের মনস্কামনা পূরণ হয় বলেও বিশ্বাস। এই কালীমন্দিরের অবস্থান উত্তর কলকাতার কলেজ স্ট্রিট থেকে একটু দূরেই বিধান সরণিতে।

    কীভাবে নাম হল ঠনঠনিয়া কালীবাড়ি? 

    নিশ্চয়ই পাঠকের প্রশ্ন রয়েছে, কীভাবে এই মন্দিরের নাম হল ঠনঠনিয়া কালীবাড়ি? জনশ্রুতি রয়েছে, জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে যখন কেউ যেতেন, তখন দূর থেকেও শোনা যেত এই কালী মন্দিরের (Kali Puja 2023) ঘণ্টাধ্বনি। ঠনঠন আওয়াজ থেকেই এলাকার নাম হয় ঠনঠনিয়া। উত্তর কলকাতার এই কালীপুজোতে দেবী পূজিতা হন সিদ্ধেশ্বরী রূপে। এই মন্দিরের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে রামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের ইতিহাসও। কথিত আছে, কামারপুকুর থেকে যখন কিশোর গদাধর চট্টোপাধ্যায় কলকাতায় আসেন, তখন মন্দিরের কাছেই ঝামাপুকুরে থাকতেন তিনি। ঠনঠনিয়া কালীমন্দিরে দেবী মূর্তির সামনে বসে গানও গাইতেন গদাধর। দক্ষিণেশ্বেরে গিয়ে রামকৃষ্ণ পরমহংস হওয়ার পরেও বেশ কয়েকবার এখানে এসেছেন তিনি। আবার গবেষকদের মতে, সাধক রামপ্রসাদও জড়িত ছিলেন এই সিদ্ধেশ্বরী কালী মন্দিরের সঙ্গে।

    কালীমন্দিরের ইতিহাস

    কথিত আছে, সুতানুটি গ্রাম একেবারে জঙ্গল অধ্যুষিত ছিল। নদীর পাশেই অরণ্যবেষ্টিত এক শ্মশানে তান্ত্রিক উদয়নারায়ণ ব্রহ্মচারী তৈরি করেন সিদ্ধেশ্বরী কালী মূর্তি, যা বর্তমানে ঠনঠনিয়া কালীবাড়ির (Kali Puja 2023) অধিষ্ঠাত্রী দেবী। সেটা ছিল আনুমানিক ১৭০৩ সাল অর্থাৎ আজ থেকে ৩২০ বছর আগে। তান্ত্রিক উদয়নারায়ণ ব্রহ্মচারীর কালীপুজোর প্রায় ১০০ বছর পরে জনৈক শঙ্কর ঘোষ নামের এক ব্যবসায়ী সিদ্ধেশ্বরী কালী মূর্তির মন্দিরটি গড়ে তোলেন। বর্তমানে শঙ্কর ঘোষের বংশধররাই এখন এই মন্দিরের সেবায়েত রয়েছেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kali Puja 2023: কালীপুজোর দিন কালীঘাটে হয় মা লক্ষ্মীর পুজো, কেন জানেন?

    Kali Puja 2023: কালীপুজোর দিন কালীঘাটে হয় মা লক্ষ্মীর পুজো, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তামাম বাংলা যখন কালীপুজোয় (Kali Puja 2023) মেতে, তখন কালীঘাটে হয় লক্ষ্মীপুজো। অলক্ষ্মীকে বিদায় জানিয়ে এদিন প্রদোষকালে (সূর্যাস্তের পর ঘণ্টা দেড়েক সময়) আরাধনা করা হয় মা লক্ষ্মীর। খড়ের পুতুলে আগুন জ্বালিয়ে মা কালীর মন্দির প্রদক্ষিণ করা হয় সাত পাক। তারপর কালীঘাটের অধিষ্ঠাত্রী দেবী কালিকাকেই লক্ষ্মীরূপে পুজো করা হয়।

    কালীঘাট সতীপীঠ

    কালীঘাট সতীপীঠ। দেবীর ৫১ পীঠের একটি এটি। লোকশ্রুতি, এখানে পড়েছিল সতীর ডান পায়ের বুড়ো আঙুল সহ চারটি আঙুল। দেবী এখানে দক্ষিণা কালিকা হিসেবে পুজো পান। ভৈরব নকুল। কালীঘাট মন্দিরে প্রতিদিনই দুপুরে দেবীকে নিবেদন করা হয় অন্নভোগ। কালীপুজোর দিনও এর অন্যথা হয় না। মন্দিরের এক সেবাইত জানান, প্রতিদিনের মতোই এদিনও মা কালীকে (Kali Puja 2023) সকালে ফল, নৈবেদ্য নিবেদন করা হয়। দুপুরে মায়ের ভোগে থাকে শুক্তো, পাঁচ রকম ভাজা, সাদা ভাত, মাছের কালিয়া, পাঁঠার মাংস, পোলাও এবং পায়েস।

    দক্ষিণা কালীকেই লক্ষ্মীরূপে পুজো

    কালীপুজোর দিন মন্দিরের সব সেবাইতের বাড়ি থেকেই মায়ের জন্য ভোগ আসে। লক্ষ্মীপুজোর পর ফের দেওয়া হয় একপ্রস্ত ভোগ। কালীঘাটে নিত্য ছাগ বলি হয়। সেই মাংসই রান্না করে নিবেদন করা হয় মা কালীকে। তবে মা লক্ষ্মীকে যে ভোগ নিবেদন করা হয়, তাতে বলির মাংস থাকে না। মন্দিরের এক সেবাইত বলেন, “কালীঘাটে শাস্ত্রমতে দক্ষিণা কালীকেই লক্ষ্মীরূপে পুজো করা হয়। সন্ধ্যায় অলক্ষ্মী দূর করার উদ্দেশ্য সমাজ থেকে অন্ধকার দূর করা। সমাজ ও সংসার থেকে অন্ধকার দূর করে আলোয় ভরিয়ে দেওয়ার লক্ষ্যেই কালীপুজোর দিন কালীঘাটে দক্ষিণা কালীকেই লক্ষ্মীরূপে পুজো করা হয়।”

    আরও পড়ুুন: লক্ষ্মীপুজোর পর শুরু হয় ‘দুর্গাপুজো’, মেতে ওঠেন গ্রামের বাসিন্দারা, কোথায় জানেন?

    কালীঘাটের বর্তমান মন্দির তৈরি করেন বড়িশার সাবর্ণ রায়চৌধুরীরা, ১৮০৯ সালে। যদিও মায়ের পুজো হয়ে আসছে তারও ঢের আগে থেকে। কথিত আছে, জঙ্গলাকীর্ণ কালীঘাটে গঙ্গাতীরে সন্ধ্যা-আহ্নিক করে ফেরার পথে উজ্জ্বল আলোর শিখা দেখে বিস্মিত হন এক ব্রাহ্মণ। আলোর উৎস অনুসরণ করে জঙ্গলের গভীরে চলে যান ওই ব্রাহ্মণ। সেখানে গিয়ে দেখেন একটি প্রস্তরখণ্ড থেকে উৎসারিত হচ্ছে আলোক ধারা। ব্রাহ্মণ দেখেন, প্রস্তরখণ্ডটি ডান পায়ের চারটি আঙুলের মতো। তিনি সেই প্রস্তরখণ্ডকে দেবী জ্ঞানে পুজো করেন। জঙ্গলের যে জায়গায় প্রস্তরখণ্ডটি পড়েছিল, সেখানেই হোগলা পাতা দিয়ে অস্থায়ী মন্দির তৈরি করেন ওই ব্রাহ্মণ। অনেক পরে আকবরের সেনাপতি মানসিংহ আত্মারাম ব্রহ্মচারী নামে এক ব্রাহ্মণকে কালীঘাট মন্দিরের সেবাপুজোর দায়িত্ব দেন। পরে নির্মিত হয় নয়া মন্দির (Kali Puja 2023)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dayanand Saraswati: বৈদিক আদর্শ পুনঃস্থাপনে ব্রতী হয়েছিলেন, প্রয়াণ দিবসে স্বামী দয়ানন্দ সরস্বতীর জীবনী

    Dayanand Saraswati: বৈদিক আদর্শ পুনঃস্থাপনে ব্রতী হয়েছিলেন, প্রয়াণ দিবসে স্বামী দয়ানন্দ সরস্বতীর জীবনী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আর্য সমাজের প্রতিষ্ঠাতা স্বামী দয়ানন্দ সরস্বতীর (Dayanand Saraswati) প্রয়াণ দিবস আজ। দয়ানন্দ সরস্বতী জন্মগ্রহণ করেন ১২ ফেব্রুয়ারি ১৮২৪ সালে। উনবিংশ শতকের এই মহান কর্মযোগী দার্শনিক এবং সনাতন ধর্মের প্রচারক হিসাবে সামাজিক এবং শিক্ষামূলক বিভিন্ন সংস্কার আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছেন। তাঁর মূল বাণী ছিল, ‘বেদের যুগে ফিরে চলো’। এই আদর্শেই তিনি জীবন অতিবাহিত করেছেন। সমগ্র হিন্দু সমাজকে সংগঠিত করার ক্ষেত্রে তাঁর অবদান অনস্বীকার্য। ঊনবিংশ শতকের এই মহান কর্মযোগী মাত্র ৫৯ বছর বয়সে ৩০ অক্টোবর ১৮৮৩ সালে প্রয়াত হন।

    জন্ম ও প্রথম জীবন

    স্বামী দয়ানন্দ সরস্বতীর (Dayanand Saraswati) জন্ম ফাল্গুন মাসের কৃষ্ণ দশমী তিথিতে হয়েছিল বলে জানা যায়। বর্তমান গুজরাটের কাঠিয়ার নামক স্থান ছিল তাঁর পৈতৃক বাসস্থান। বাল্যকালে তাঁর নাম ছিল শঙ্কর তেওয়ারি। কর্শানজি লালজি তিওয়ারি ছিলেন তাঁর পিতা এবং মাতার নাম ছিল যশোদাবাঈ। ১৮৪৬ সালে মাত্র ২২ বছর বয়সেই তিনি জীবনের লক্ষ্য নির্ধারণ করে ফেলেন। সাংসারিক জীবনে আবদ্ধ না হওয়ার সিদ্ধান্ত তখনই নেন। স্বামী দয়ানন্দ সরস্বতী (Dayanand Saraswati) জীবনের পরবর্তী সময়কাল সত্যের সন্ধানে একজন সন্ন্যাসী হয়ে কাটান। এই সময়ে গুরু হিসাবে তিনি সান্নিধ্য লাভ করেন ব্রিজানন্দর। কথিত আছে, গুরুদক্ষিণা হিসেবে তিনি সনাতন সমাজে বেদের আদর্শকে পুনঃস্থাপনের ব্রত নেন।

    সামাজিক, ধর্মীয় এবং শিক্ষামূলক নানা সংস্কার আন্দোলন 

    সামাজিক, ধর্মীয় এবং শিক্ষামূলক নানা সংস্কার আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছেন দয়ানন্দ সরস্বতী। এর মধ্যে ১৮৭৫ খ্রিস্টাব্দে তিনি স্থাপন করেন আর্য সমাজ। যার মূল উদ্দেশ্য ছিল বেদের প্রচার এবং ব্যক্তি জীবন ও সমাজ জীবনের সর্বাঙ্গীন বিকাশ। বেদের যুগে ফিরে যাওয়া ছাড়াও আর্য সমাজের অন্যতম উদ্দেশ্য ছিল বর্ণবিদ্বেষের বিরুদ্ধে লড়াই। তিনি শুদ্ধি আন্দোলনও শুরু করেছিলেন। যে সমস্ত হিন্দুরা ধর্মান্তরিত হতেন, শুদ্ধি আন্দোলনের মাধ্যমে পুনরায় তাঁদের হিন্দু ধর্মে ফিরিয়ে আনা হতো।

    ‘বেদের যুগে ফিরে চলো’

    বৈদিক সাহিত্যের প্রচার এবং বৈদিক শিক্ষার জন্য সারা জীবন প্রয়াস চালিয়ে গিয়েছেন স্বামী দয়ানন্দ সরস্বতী (Dayanand Saraswati)। কারণ তিনি মনে করতেন যে হিন্দু ধর্মের আধ্যাত্মিকতা, শারীরিক, মানসিকভাবে যে কোনও হিন্দুর বিকাশ সম্ভব বেদকে অধ্যয়ন করে, বেদের অন্তর্নিহিত সত্যকে উপলব্ধি করে। আধুনিক শিক্ষা ব্যবস্থা এবং জ্ঞানের বিকাশের জন্য বৈদিক সাহিত্য অপরিহার্য বলেই তিনি মনে করতেন। বৈদিক সাহিত্যের প্রচারের জন্য তিনি স্কুল এবং কলেজ স্থাপনও করতেন। দয়ানন্দ সরস্বতী ‘সত্যার্থ প্রকাশ’ নামে একটি পত্রিকা বের করতেন। পত্রিকার মাধ্যমে সামাজিক এবং বিভিন্ন ধর্মীয় কুসংস্কারের বিরুদ্ধে তিনি আওয়াজ তুলতেন। এটা মনে করা হয় যে ভারতবর্ষের চরমপন্থী জাতীয়তাবাদের বিকাশেও স্বামী দয়ানন্দ সরস্বতীর চিন্তাধারা যথেষ্ট প্রভাব ফেলেছিল। পরবর্তীকালে লোকমান্য তিলক যে ‘স্বরাজ’-এর কথা বলতেন, সেই ধারনা তিনি স্বামী দয়ানন্দ সরস্বতীর (Dayanand Saraswati) কাছ থেকেই পেয়েছিলেন বলে মনে করা হয়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share