Category: পরম্পরা

Get updated History and Heritage and Culture and Religion related news from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Tarapith: সাধক শিরোমণি বামাক্ষ্যাপার তপস্যাভূমি মহাতীর্থ তারাপীঠ ঘুরে আসতে পারেন সহজেই

    Tarapith: সাধক শিরোমণি বামাক্ষ্যাপার তপস্যাভূমি মহাতীর্থ তারাপীঠ ঘুরে আসতে পারেন সহজেই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গ তথা সমগ্র ভারতের অন্যতম জনপ্রিয় হিন্দু তীর্থক্ষেত্র বীরভূম জেলার তারাপীঠ (Tarapith)। হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের কাছে তারাপীঠ এক অন্যতম শক্তিপীঠ বলেই পরিচিত। সাধক শিরোমণি বামাক্ষ্যাপার তপস্যাভূমি এই মহাতীর্থ। মূলত ভক্তজনেরা এখানে আসেন তারা মায়ের কাছে পুজো দিয়ে মনোবাঞ্ছা পূর্ণ করার অভিপ্রায়ে। তারাপীঠের তারা মায়ের মন্দিরটি প্রায় ২০৪ বছর আগে নির্মাণ করেন জগন্নাথ রায়। মন্দিরে রয়েছেন বিবিধ অলংকারে ভূষিতা তারা মা। এছাড়াও আছে কষ্টি পাথরের মাতৃমূর্তি। মহাকাল মহাদেবকে স্তন্যদুগ্ধ পান করাচ্ছেন দেবী। তবে এই মূর্তির দর্শন সর্বদা মেলে না।

    সেই বিখ্যাত শ্মশানঘাট

    দেখে নিন তারাপীঠের (Tarapith) সেই বিখ্যাত শ্মশান ঘাটটি, যেখানে বসে সাধক শ্রেষ্ঠ বামাক্ষ্যাপা সাধনা করেছিলেন। তিনি ছাড়াও বহু সিদ্ধ পুরুষ এই শ্মশানে সাধনা করেছিলেন। তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন বশিষ্ঠদেব, রাজা রামকৃষ্ণ প্রমুখ। এখানে রয়েছে বামাখ্যাপার মন্দির। প্রতি বছর শ্রাবণ মাসের ২ তারিখ বামাখ্যাপার তিরোধান দিবসে এখানে পুজো এবং উৎসব হয়। এছাড়াও দেখে নিন বামাখ্যাপার জন্মস্থান আটলা গ্রাম।

    ঘুরে নিতে পারেন নলহাটি, বক্রেশ্বর

    ইচ্ছে হলে আর হাতে সময় থাকলে ঘুরে নিতে পারেন রামপুরহাট থেকে প্রায়  ১২-১৩ কিমি দূরে ৫১ সতীপীঠের অন্যতম নলহাটি থেকেও। বাস যাচ্ছে সরাসরি এই পথে। রামপুরহাট থেকে নলহাটি যেতে বাসে সময় লাগে প্রায় ২৫-৩০ মিনিট। কথিত, এখানে সতীর কন্ঠ পতিত হয়েছিল। এখানে দেবী ললাটেশ্বরী নামে পূজিতা। ললাটেশ্বরী মন্দিরটি আকারে ছোট। সিঁদুর মাখানো পাথরের খন্ডের ওপর রূপোর চোখ, নাক, অধর বসিয়ে তৈরি করা হয়েছে দেবীর মুখাবয়ব। হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের কাছে এই মন্দির এক পরম পবিত্র স্থান। এছাড়াও তারাপীঠ (Tarapith) থেকে ঘুরে নেওয়া যায় বীরভূম জেলারই আর এক পবিত্র স্থান, বিখ্যাত শৈব তীর্থ “বক্রেশ্বর” থেকেও।

    কীভাবে যাবেন, কোথায় থাকবেন

    যাতায়াত–কলকাতা থেকে ট্রেনে এলে নামতে হবে রামপুরহাট ষ্টেশনে। যাচ্ছে কাঞ্চনকন্যা এক্সপ্রেস, সরাইঘাট এক্সপ্রেস, কলকাতা-জলপাইগুড়ি এক্সপ্রেস, উত্তরবঙ্গ এক্সপ্রেস, হাওড়া-মালদা টাউন এক্সপ্রেস, হাওড়া-রামপুরহাট এক্সপ্রেস, কলকাতা-হলদিবাড়ি এক্সপ্রেস, শিয়ালদা-রামপুরহাট এক্সপ্রেস প্রভৃতি ট্রেন। রামপুরহাট থেকে তারাপীঠের দূরত্ব প্রায় ৮ -৯ কিমি। যেতে হবে অটো অথবা ট্রেকারে। আর কলকাতার ধর্মতলা বাসস্ট্যান্ড থেকে সরাসরি বাস যাচ্ছে তারাপীঠ (Tarapith)। থাকা খাওয়া –তারাপীঠে থাকা খাওয়ার জন্য আছে বহু হোটেল, লজ প্রভৃতি। দাম ও মান অনুযায়ী এগুলোর মধ্যে থেকে পছন্দমত একটি বেছে নেওয়া যেতেই পারে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Durga Puja 2023: হাওড়ায় এই বাড়ির দুর্গাপুজোতেই আসতেন ঠাকুরবাড়ির সরলা দেবী চৌধুরানী

    Durga Puja 2023: হাওড়ায় এই বাড়ির দুর্গাপুজোতেই আসতেন ঠাকুরবাড়ির সরলা দেবী চৌধুরানী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মধ‍্য হাওড়ার ২৮ নম্বর কালী কুণ্ডু লেনের প্রাচীন বন্দ‍্যোপাধ্যায় পরিবারের বাড়িটির কিছুটা পরিবর্তন হয়েছে। কিন্তু সেই একই রয়ে গিয়েছে মন্দির এবং চাতাল নিয়ে উঠোনটি, যে মন্দিরে সাবেকি আদলে ১১৫ বছর ধরে পূজিতা হচ্ছেন মৃন্ময়ী মা দুর্গা। এই পুজোর (Durga Puja 2023) প্রতিষ্ঠাতা বিংশ শতাব্দীর এক ঋজুদেহী, পৌরোহিত‍্যে মৌলিকতার অনুষঙ্গী বিজয়কৃষ্ণ চট্টোপাধ্যায়। হুগলির বাসিন্দা বিজয়কৃষ্ণই হাওড়ার কালি কুণ্ডু লেনে নিবারণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে এই পুজো প্রতিষ্ঠা করেন। ব্রিটিশ ভারতে অখণ্ড বঙ্গদেশের অন্তত দশ-দশটি জেলার পুণ‍্যার্থীরা আসতেন এই পুজো দেখতে। আসতেন প্রতিষ্ঠিত ব‍্যক্তিরাও। যেমন আসতেন ঠাকুরবাড়ির সরলা দেবী চৌধুরানী। রবীন্দ্রনাথের ভাগ্নী ১৯৩৫ থেকে ১৯৪৪ পর্যন্ত ধারাবাহিকভাবে কখনও দুর্গাপুজোয়, কখনও জগন্মাতা পুজোয় উপস্থিত হতেন।

    সরলা দেবী চৌধুরানীর পরিচয়

    এই বাড়িতে ‘জগন্মাতা’ পুজোও হয়ে এসেছে ১৯৪৪ সাল পর্যন্ত। পরে সেটি স্থানান্তরিত হয় কালী ব‍্যানার্জি লেনের ‘মাতৃ মন্দিরে’। যে সরলা দেবী স্বদেশি যুগে পঞ্জাবের শ্বশুরবাড়ি থেকে জালিয়ানওয়ালাবাগের হত‍্যাকাণ্ডের বিবরণ নিজের গানের স্বরলিপির মধ‍্যে সুকৌশলে এই বাংলায় পৌঁছে দেন, যিনি মা স্বর্ণকুমারী দেবীর ‘সখি সমিতি’ থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে ‘ভারত স্ত্রী মহামণ্ডল’ গঠনে সদর্থক ভূমিকা পালন করেছিলেন, সকল মহিলাদের অন্তঃপুরে থেকেও ক্ষমতাবান করে তোলার প্রচেষ্টায় যিনি নিয়ত থেকেছেন, যিনি নিরাকার ব্রাহ্ম আবহে মানুষ হওয়া ইংরেজি শিক্ষায় শিক্ষিত ঠাকুরবাড়ির বিদূষী প্রতিনিধি, তিনি কেমনভাবে সাকার দেবীর পুজোয় অংশগ্রহণ করেন, তা এখনও অনেকের কাছে বিস্ময় বলে মনে করেন বিশিষ্ট ইতিহাসবিদ অনুপম মুখোপাধ্যায়। যিনি ৭২ বছর বয়সেও নিয়মিত এই পুজোয় (Durga Puja 2023) অংশ নেন। অনুপমবাবু বলেন, আদপে ওই মাথা উঁচু করে চলা সরলা দেবী ১৯৩৫ সালেই জীবনবোধের কিছু মূল প্রশ্ন নিয়ে হাজির হয়েছিলেন এই দুর্গাপুজোর প্রবর্তকের কাছে। যিনি প্রতি বছর এই পুজোতে হাজির হতেন ও লিখে রাখতেন বিজয়কৃষ্ণের উপদেশাবলী ও বিজয়কৃষ্ণের দুর্গাপুজো পদ্ধতি। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় বোমার হাত থেকে বাঁচাতে শ্রুতিলিখনে সংগৃহীত সেই উপদেশাবলী লুকিয়ে রেখেছিলেন ব‍্যাঙ্কের ভল্টে। পরে যেগুলি পুস্তক আকারে প্রকাশিত হয়।

    কারা আসতেন এই পুজোয়? (Durga Puja 2023)

    সরলাদেবীর সঙ্গে কোনওবার হায়দরাবাদ নিজামের প্রধান সরকারি কর্মচারী, কোনওবার কলকাতার বিজ্ঞান সভায় যোগ দিতে আসা বিদেশি বিজ্ঞানীরা চলে আসতেন এই পুজো প্রাঙ্গনে পুজো দেখতে। যেমন স্বতন্ত্রভাবে আসতেন হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি, সেরাইকেলার রাজারা, বিখ্যাত ডাক্তার থেকে মহিলা শিল্পীরা, ঢাকার বিখ্যাত পরিবার ভাগ‍্যকুলের রায়েরা কিংবা ব্রিটিশ পুলিশের জাঁদরেল আইবি অফিসার। ঘটনাচক্রে ওই প্রাঙ্গনেই হাওড়ার জাতীয়তাবাদী অনুশীলন সমিতির সদস‍্যরাও অলক্ষ্যে দাঁড়িয়ে পুজো নিবেদন করতেন ধরা পড়ার ভয়ে। সাত ঘড়া পবিত্র জলে মৃন্ময়ী দেবীকে স্নান করানো হত, যা এখনও হয়। এই পুজোর প্রতিষ্ঠাতা বিজয়কৃষ্ণ চট্টোপাধ্যায় নিজেই পুজো (Durga Puja 2023) করতেন তাঁর সৃষ্ট সংস্কৃত মন্ত্র ও সঙ্গে বাংলা তর্জমায়। যা বিজয়কৃষ্ণের থেকে শুনে পরবর্তীকালে বই আকারে লিখে রেখেছিলেন সরলা দেবী। এখনও সেই বই মেনেই পুজো হয় এখানে।

    বাসন্তী রঙের ত্রিনয়নী মূর্তি (Durga Puja 2023)

    বিংশ‍ শতাব্দীর প্রথম দশকে বিজয়কৃষ্ণের গীতার যৌগিক ব‍্যাখ‍্যা সাড়া ফেলেছিল বঙ্গ যুবদের মধ‍্যেও। তৎকালীন বাংলা পারিবারিক ইতিহাসেও তা মুদ্রিত হয়েছিল। এই বংশের বর্তমান সদস্য বিজয়কৃষ্ণের সুযোগ্য শিষ্য দুর্গাদাস বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাতি চণ্ডীদাস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, বিজয়কৃষ্ণ একজন পণ্ডিত মানুষ ছিলেন। যিনি হুগলি জেলার বাসিন্দা হলেও কলকাতায় চাকরি সূত্রে হাওড়ায় থাকতেন। দুর্গাদাস বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাবা নিবারণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির সদর ঘরে প্রতিদিন গীতা পাঠ করতেন। সেখানেই তিনি প্রথমে ঘটপুজো চালু করেন। পরে নিবারণবাবুর স্ত্রী শরতসুন্দরী দেবীর চোদ্দ টাকা আর্থিক সাহায্যে মাটির প্রতিমা এনে পুজো (Durga Puja 2023) শুরু করেন। বর্তমানে একই ধরনের জটাধারী বাসন্তী রঙের ত্রিনয়নী মূর্তি প্রতি বছর পুজো হয়। পুজোর মাস খানেক আগে থেকেই শুরু হয় মূর্তি তৈরির কাজ। প্রতিমাকে চার দিনই স্নান করিয়ে নতুন বেনারসি কাপড় পরানো হয় এবং ফুল দিয়ে সাজানো হয়। সন্ধি পুজোয় মাকে চামুন্ডা কালী রূপে পুজো করা হয়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Mahalaya 2023: পিতৃপক্ষ ও দেবীপক্ষের মিলনক্ষণ মহালয়া! এই দুই পক্ষ আসলে কী?

    Mahalaya 2023: পিতৃপক্ষ ও দেবীপক্ষের মিলনক্ষণ মহালয়া! এই দুই পক্ষ আসলে কী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহালয়া (Mahalaya 2023) মানেই বাঙালির কাছে নস্টালজিয়া। রেডিওতে বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের মহিষাসুরমর্দিনী দিয়ে শুরু হয়েছে সকাল। মহালয়ার দিন পিতৃপক্ষের অবসান হয়ে, দেবীপক্ষের সূচনা হয়। এদিনই আক্ষরিক অর্থে দুর্গাপুজোর ঢাকে কাঠি পড়ে। চাঁদের হ্রাস ও বৃদ্ধির ফলে দুটি পক্ষ তৈরি হয়। এই পক্ষ দুটি হচ্ছে শুক্লপক্ষ ও কৃষ্ণপক্ষ। চাঁদ যে পক্ষে হ্রাস পায়, সেটি হল কৃষ্ণপক্ষ। এই পক্ষে চাঁদ ক্ষয় হতে থাকে এবং অমাবস্যায় সম্পূর্ণরূপে অদৃশ্য হয়ে যায়। অন্যদিকে যে পক্ষে চাঁদ বৃদ্ধি পায়, সেটি হল শুক্লপক্ষ। এই পক্ষে চাঁদের আকার ধীরে ধীরে বড় হতে থাকে এবং পূর্ণিমায় পূর্ণচন্দ্রে পরিণত হয়।

    পিতৃপক্ষ ও দেবীপক্ষ

    বছরের ১২ মাসে মোট ২৪টি পক্ষ রয়েছে, তার মধ্যে ২টি পক্ষ বিশেষভাবে তাৎপর্যপূর্ণ। এই পক্ষ দুটি হচ্ছে পিতৃপক্ষ ও দেবীপক্ষ। ভাদ্র পূর্ণিমার পরের কৃষ্ণ পক্ষকে বলা হয় পিতৃপক্ষ। এই পক্ষের অমাবস্যাকে বলা হয় মহালয়া। মহালয়ার পরের পক্ষকে বলা হয় দেবীপক্ষ। অর্থাৎ মহালয়া (Mahalaya 2023) হচ্ছে পিতৃপক্ষ ও দেবীপক্ষ নামক পক্ষ দুটির মিলনক্ষণ। পিতৃপক্ষ হল স্বর্গত পিতৃপুরুষের উদ্দেশে পার্বণ শ্রাদ্ধ ও তর্পণাদির জন্য প্রশস্ত এক বিশেষ পক্ষ। সনাতন শাস্ত্র মতে, সূর্য কন্যারাশিতে প্রবেশ করলে পিতৃপক্ষ সূচিত হয়।

    পুরাণে পিতৃপক্ষ

    মহালয়ায় তর্পণের সঙ্গে পুরাণেরও যোগ রয়েছে। মহাভারতে কর্ণ সম্পর্কে বলা হয়েছে, সূর্য-পুত্র দানধ্যান করলেও তা ছিল স্বর্ণ, রত্ন, মণিমাণিক্য। তিনি পিতৃপুরুষের পরিচয় না জানায় পূর্বপুরুষদের উদ্দেশে কখনও জল বা খাদ্য দান করেননি। কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধে মৃত্যুর পর স্বর্গে গেলে খাদ্য হিসেবে তাই তাঁকে দেওয়া হয় শুধুই সোনা-রত্ন। জীবিত অবস্থায় যা দান করেছেন তারই অংশ। তখনই কর্ণকে দেবরাজ ইন্দ্র জানান, পিতৃপুরুষকে কখনও তিনি জল দেননি বলেই মৃত্যুর পরে তিনি জল পাবেন না। এই ভুল সংশোধনের জন্য এক পক্ষকাল মর্ত্যে ফিরে পিতৃপুরুষকে জল ও অন্ন দিয়ে পাপস্খলন করেন কর্ণ। সেই এক পক্ষ কালই পিতৃপক্ষ। যার শেষ মহলয়ায় (Mahalaya 2023)।

    আরও পড়ুন: কান্দির দত্ত পরিবারের পুজোয় অন্ন নয়, মাকে ৩ দিনই দেওয়া হয় লুচি ভোগ

    রামায়ণে দেবীপক্ষ 

    রামায়ণ অনুসারে ত্রেতা যুগে শ্রীরামচন্দ্র অসময়ে অর্থাত্‍ সূর্যের দক্ষিণায়ন চলার সময় দেবী দুর্গার আরাধনা করেছিলেন লঙ্কা জয় করে সীতাকে উদ্ধার করার জন্য। শাস্ত্র মতে দুর্গাপুজো বসন্তকালে হওয়াই নিয়ম। শ্রীরামচন্দ্র অকালে দুর্গাপুজো করেছিলেন বলে একে অকাল বোধন বলা হয়। সনাতন ধর্মে কোনও শুভ কাজের আগে প্রয়াত পূর্বপুরুষের উদ্দেশে অঞ্জলি প্রদান করতে হয়। লঙ্কা বিজয়ের আগে এমনটাই করেছিলেন শ্রীরামচন্দ্র। সেই থেকে দুর্গাপুজোর আগে মহালয়ায় (Mahalaya 2023) তর্পণ অনুষ্ঠানের প্রথা প্রচলিত বলে মনে করা হয়। আর দেবী পুজোর এই পক্ষই হল দেবীপক্ষ।

    দেবী দুর্গার মর্ত্যে আবির্ভাব

    শ্রী শ্রী চণ্ডীতে রাজা সুরথের কাহিনি রয়েছে। সুরথ যবনদের কাছে পরাজিত হয়ে মনের দুঃখে বনে চলে যান। সেখানেই দেখা হয় মেধা ঋষির সঙ্গে। সেখানে তিনি শোনেন মহাময়ার কাহিনি। বলা হয়, মহালয়ার দিনে তর্পণ করে সমাধি নদীর তীরে তিন বছর তপস্যার পরে দুর্গাপুজো শুরু করেন রাজা সুরথ। পিতৃপক্ষে আত্মসংযম করে দেবী পক্ষে শক্তি সাধনায় প্রবেশ করতে হয়। দেবী শক্তির আদিশক্তি, তিনি সর্বভূতে বিরাজিত। তিনি মঙ্গল দায়িনী করুণাময়ী। সাধক সাধনা করে দেবীর বর লাভের জন্য, দেবীর মহান আলয়ে প্রবেশ করার সুযোগ পান বলেই এ দিনটিকে বলা হয় মহালয়া (Mahalaya 2023)। পুরাণ মতে এই দিনেই দেবী দুর্গা মর্ত্যলোকে আবির্ভূতা হন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Mahalaya 2023: কাল মহালয়া, জেনে নিন এই বিশেষ অমাবস্যা তিথির তাৎপর্য

    Mahalaya 2023: কাল মহালয়া, জেনে নিন এই বিশেষ অমাবস্যা তিথির তাৎপর্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহালয়ার (Mahalaya) তপর্ণ (Tarpan)। পূর্বপুরুষের উদ্দেশে জলদান করার দিন। শাস্ত্র মতে, এদিন পিতৃপুরুষের উদ্দেশে জলদান করলে অক্ষয় স্বর্গলাভ হয়। শাস্ত্রের এই বিধান মেনে মহালয়ার দিন পূর্বপুরুষের উদ্দেশে জলদান করা হয়।

    কেন এই দিনে তর্পণ?

    আশ্বিন মাসের কৃষ্ণপক্ষে তর্পণ করাই বিধেয়। ভাদ্র পূর্ণিমার পরবর্তী প্রতিপদ থেকে অমাবস্যা তিথি পর্যন্ত এই ১৬ দিন পিতৃপক্ষ। পুরাণ (Puranas) অনুযায়ী, পিতৃপক্ষের সময় আমাদের প্রয়াত পূর্বপুরুষরা মর্তে আসেন তাঁদের প্রিয়জনদের সঙ্গে দেখা করার জন্য। এই সময় তাঁরা উত্তর পুরুষের হাতে জল-পিণ্ড আশা করেন। এই পক্ষে তাঁদের উদ্দেশে জল ও পিণ্ড দান করলে, তাঁরা শক্তি লাভ করেন। এটাই তাঁদের চলার পাথেয়। মহালয়া পিতৃপক্ষের শেষ দিন হওয়ায় এর বিশেষ মাহাত্ম্য রয়েছে। দেশের অনেক জায়গাতেই এই দিনটি পিতৃ অমাবস্যা, মহালয়া অমাবস্যা বা পিতৃ মোক্ষ অমাবস্যা নামে পরিচিত। এদিন প্রয়াত সমস্ত পূর্বপুরুষের উদ্দেশেই শ্রাদ্ধ তর্পণ করা যায়।

    পৃথিবীর সামগ্রিক সুখের কামনায় তর্পণ

    অনেকেই মনে করেন, তর্পণ শুধুই পূর্বপুরুষদের জন্য। কিন্তু শাস্ত্র মতে তা নয়। পৃথিবীর সামগ্রিক সুখের কামনা মিশে থাকে তর্পণে। তাই তর্পণ মন্ত্রে বলা হয়, ‘তৃপ্যন্তু সর্বমানবা’। অর্থাৎ মানব সভ্যতাকে তৃপ্ত করার দিন মহালয়া। তৃপ্তি সাধনের জন্যই তর্পণ। সিংহভাগ বাঙালি তর্পণ করেন কেবল মহালয়ার দিন। এদিন নদ্যাদি জলাশয়ে গিয়ে পিতৃপুরুষের উদ্দেশে জলদান করেন তাঁরা। যাঁদের সামর্থ্য রয়েছে, তাঁরা এদিন পিতৃপুরুষের শ্রাদ্ধও করেন।

    পূর্বপুরুষের স্মরণে তর্পণ

    আসলে তর্পণ হল স্মৃতি তর্পণ। বছরের একটি দিন শাস্ত্রজ্ঞরা উৎসর্গ করেছেন পিতৃপুরুষকে স্মরণ করার জন্য। আমরা নির্দিষ্ট দিনে বিশিষ্ট ব্যক্তিদের মৃত্যুবার্ষিকী পালন করি। এঁদের থেকে আমাদের পূর্বপুরুষ আমাদের কাছে কোনও অংশেই কম গুরুত্বপূর্ণ নয়। তাই দৈনন্দিন কাজের চাপে ভুলে যাওয়া পিতৃপুরুষকে স্মরণ করতেই শ্রাদ্ধের আয়োজন। মহালয়ার দিন এই শ্রাদ্ধ করতে পারলে পরিবারের মঙ্গল হয় বলে লোকবিশ্বাস।

    আরও পড়ুন: পুত্রকন্যা নয়, দেবী দুর্গা ঘটক পরিবারের পুজোয় আসেন জয়া-বিজয়ার সঙ্গে

    মহালয়া শুভ না অশুভ?

    অনেকেই মনে করেন, এদিন থেকেই দেবীপক্ষের সূচনা, অশুভ শক্তির বিনাশ হয়, তাই মহালয়া শুভ। দুর্গাপুজোর সূচনা হয় এই দিন। এছাড়াও হিন্দু ধর্মের যে কোনও শুভ কাজেই পিতৃপুরুষদের স্মরণ করা হয়। এছাড়াও তর্পণের বৃহত্তর অর্থ মিলন। তাই এই দিন কোনওভাবেই অশুভ হতে পারে না। আবার অনেকে মনে করেন, মহালয়ার দিন পিতৃপুরুষদের উদ্দেশে জলদান করার রীতি রয়েছে। পিতৃপুরুষদের স্মরণ করার দিনকে অনেকেই শোক পালনের দিন হিসেবে পালন করে থাকেন। তাই মহালয়াকে তাঁরা শুভ মানতে নারাজ। মহালয়া শুভ না অশুভ এই দ্বন্দ্ব চলতেই থাকবে। তব এই দিনটি দিয়েই শুরু হয় দুর্গাপুজো, বাঙালির মিলন উৎসব।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Durga Puja 2023: দেবীপক্ষের আগেই ঝাড়গ্রামের মল্লদেব রাজ পরিবারের দুর্গাপুজো শুরু হয়ে গেল

    Durga Puja 2023: দেবীপক্ষের আগেই ঝাড়গ্রামের মল্লদেব রাজ পরিবারের দুর্গাপুজো শুরু হয়ে গেল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেবীপক্ষের আগেই ঝাড়গ্রাম শহরের পুরাতন ঝাড়গ্রামের মল্লদেব রাজ পরিবারের দুর্গাপুজো (Durga Puja 2023) শুরু হল। আশ্বিন মাসের জীতাষ্টমীর পরের দিন কৃষ্ণপক্ষের নবমী তিথিতে অর্থাৎ শনিবার থেকেই শুরু হল দুর্গাপুজো। চলবে বিজয়া দশমী পর্যন্ত। প্রায় চারশো বছর ধরে চলে আসছে এই প্রথা। তবে এখানে দেবী হল পটেশ্বরী। এদিনই রাজ পরিবারের কূলদেবতার মন্দির থেকে প্রাচীন একটি খড়্গ নিয়ে এসে পুজো শুরু হয়। এই অস্ত্রপুজোর মাধ্যমে দেবী দুর্গার পুজো শুরু হয়।

    চারশো বছরের পুরনো হলেও ইতিহাস অজানা

    রাজ পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজবাড়ির সেই দস্তাবেজে পুজো শুরুর আনুমানিক সনের উল্লেখ ছিল ১০১৬ বঙ্গাব্দে। সেই অনুযায়ী এবার পুজোর ৪১৬ তম বর্ষ। ঝাড়গ্রাম রাজ পরিবারের এই পুজো অনুমানিক চারশো বছরের পুরনো হলেও পুজো শুরুর ইতিহাস অজানা। এখানে রয়েছে রাজবংশের কয়েক শতাব্দীর প্রাচীন কুলদেবী সাবিত্রী দেবীর মন্দির। মন্দিরের ভিতরে রয়েছে পৃথক চণ্ডীমণ্ডপ। সেখানেই পটে আঁকা ছবিতে দুর্গাপুজো হয়। কুলদেবী সাবিত্রীর নিত্যপুজো হয় দুর্গার ধ্যানমন্ত্রে। সেই জন্য কুলদেবী থাকায় আলাদা প্রাচীন পটটি ছিল শালপাতার ঝালরের আঁকা। বর্তমানে চণ্ডীমণ্ডপের বেদীর সামনে দেওয়ালে চিত্রিত দেবীর পটে নবকলেবর করা হয়। আশ্বিন মাসের কৃষ্ণপক্ষের জীতাষ্টমী তিথিতে সাবিত্রী মন্দিরের প্রাঙ্গণে বেলগাছের তলায় মঙ্গলঘট স্থাপন করা হয়। একে অধিবাস বলে। জীতাষ্টমীর পরের দিন কৃষ্ণপক্ষের নবমী তিথি থেকে পুজো (Durga Puja 2023) শুরু হয়। নবমী তিথি থেকেই আবার অস্ত্রপুজো শুরু হয়।

    দেবীপক্ষের আগে কেন পুজো শুরু?

    তবে দেবীপক্ষের আগে কেন পুজো শুরু হল, তা নিয়ে নানা জনশ্রুতি রয়েছে। জনশ্রুতি, কয়েকশো বছর আগে গড় ঝাড়গ্রামের জংলি মাল রাজাকে দ্বন্দ্বযুদ্ধে হারিয়ে রাজ্যপাট দখল করেন রাজপুতানার সর্বেশ্বর। তাঁর রাজ্যাভিষেকের দিনটিকে স্মরণ করে রাখার জন্য ভাদ্রমাসের শুক্লপক্ষের দ্বাদশী তিথিতে ইন্দ্রাভিষেক অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। জনশ্রতি, সেই উৎসবের রেশ ধরেই আশ্বিন মাসে পরিবারের সমৃদ্ধি ও প্রজাদের মঙ্গলকামনায় রাজবাড়িতে জীমূতবাহন অর্থাৎ ইন্দ্রের পুজো হয়। এর পাশাপাশি, শক্তিলাভের কামনায় জীতাষ্টমীর পর দিন কৃষ্ণপক্ষের নবমী তিথিতে অস্ত্রপুজোর মাধ্যমে দেবী দুর্গার পুজো শুরু হয়। আবার মহাষষ্ঠীর দিন রাতে বেলগাছের তলায় মঙ্গলঘট স্থাপন করা হয়। তারপর সপ্তমীর দিন সকালে শোভাযাত্রা সহকারে খড়্গ, রাজলক্ষ্মী, শালগ্রাম শিলা ও ঘট মন্দিরে নিয়ে যাওয়া হয় (Durga Puja 2023)।

    প্রাচীন খড়্গ নিয়ে এসে পুজো শুরু

    রাজ পরিবারের উত্তরসূরী দুর্গেশ মল্লদেব ও জয়দীপ মল্লদেব বলেন, কৃষ্ণপক্ষের নবমী তিথিতে রাজ পরিবারের প্রাচীন খড়্গ নিয়ে এসে পুজো (Durga Puja 2023) শুরু হয়। রাজ পরিবারের এই পুজোটি ঝাড়গ্রামে সবচেয়ে প্রাচীন। রাজ পরিবারের নিয়ম অনুযায়ী, বিজয়া দশমী পর্যন্ত প্রতিদিন দেবীর পুজো ও চণ্ডীপাঠ-হোম চলবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Durga Puja 2023: চাঁদপাল ঘাটের সঙ্গে বাঁকুড়ার সোমসারের মেলবন্ধন ঘটায় পালবাড়ির দুর্গাপুজো

    Durga Puja 2023: চাঁদপাল ঘাটের সঙ্গে বাঁকুড়ার সোমসারের মেলবন্ধন ঘটায় পালবাড়ির দুর্গাপুজো

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুজোর (Durga Puja 2023) কটা দিন জমিদার বাড়ি সেজে উঠত আলোর রোশনাইয়ে। নহবতের মূর্ছনা আর ঢাকের বাদ্যিতে মুখর হত ঠাকুর দালান। থাকত যাত্রাপালা, কবিগান, রামলীলা, পুতুল নাচের আসর। এখন সে সব অতীত। জমিদারির রমরমা আর নেই। নেই আগের মতো পুজোর জৌলুস। তবে পরম্পরা মেনে আজও পাল পরিবারের বর্তমান প্রজন্ম ফি বছর ব্রতী হন দেবী দুর্গার আরাধনায়। গত কয়েক বছর কোভিডের জেরে এই পুজোর ছন্দপতন ঘটেছিল। গত বছর থেকে পুরনো ছন্দে ফেরা শুরু। এবার স্বাভাবিক ভাবেই পুজোর আয়োজনে খানিক জৌলুস বাড়াতে চাইছেন পাল পরিবারের সদস্যরা।

    ইট, কাঠ, পাথরে জমিদারির সাক্ষ্য

    জেলার অন্যতম প্রাচীন এই জমিদার বাড়ির পুজোর (Durga Puja 2023) সঙ্গে রয়েছে কলকাতার চাঁদপাল ঘাটের যোগসূত্র। কথিত আছে, যার নামে চাঁদপাল ঘাট, তাঁর পোশাকি নাম চন্দ্রমোহন পাল। তিনিই সোমসারের এই দুর্গাপুজোর প্রচলন করেন৷ এই চন্দ্রমোহন পাল সেই সময় কলকাতায় বিলিতি কাপড়ের ব্যবসা করে ফুলে-ফেঁপে উঠেছিলেন। তিনিই কাপড়ের ব্যবসার জন্য গঙ্গায় গড়ে তুলেছিলেন ফেরি ঘাট, যা বর্তমানে চাঁদপাল ঘাট নামে পরিচিত। চন্দ্রমোহনবাবুই আজ থেকে প্রায় ২৫০ বছর আগে বর্ধমান রাজাদের কাছ থেকে ইন্দাসের ৬ টি মৌজা কিনে নিয়ে জমিদারির পত্তন করেন। সোমসারে গড়ে তোলেন সুবিশাল জমিদার বাড়ি। সেই বাড়ি আজও ইতিহাস বহন করে চলেছে। তবে সেই বাড়ি জুড়ে বয়সের ছাপ স্পষ্ট। ২৫০ বছরের পুরনো এই বাড়ির প্রতিটি ইট, কাঠ, পাথর জমিদারির সাক্ষ্য বয়ে চলেছে আজও। চন্দ্রমোহন পাল সেই সময় সোমসারের প্রজাদের জন্য দামোদর ঘাটে কলকাতা থেকে পুজো উপলক্ষ্যে বিলিতি কাপড় আনতেন এবং বিলি করতেন গ্রাম জুড়ে।

    অষ্টমী ও নবমীতে মাসকলাই বলি (Durga Puja 2023)

    চন্দ্রমোহনের আমল থেকে এখানে হিন্দু, মুসলিম সকলেই সমান ভাবে অংশ নেন পুজোর উৎসবে। ফলে পুজোর (Durga Puja 2023) চার দিন মিলন মেলায় পরিণত হয় সোমসারের পালবাড়ির ঠাকুর দালান। পালবাড়ির সকল সদস্য, আত্মীয়স্বজন সবাই পুজোর কটা দিন সোমসারে আসেন। এই পরম্পরা সমানে চলে আসছে। সোমসার পালবাড়ির অন্যতম সদস্য উদয়কুমার পাল তাঁর ছোটবেলার পুজোর স্মৃতি রোমন্থন করতে গিয়ে বলেন, ছোটবেলায় এই পুজোর যে জৌলুস ও জাঁকজমক ছিল, তা দিন দিন ফিকে হয়ে আসছে। তবে সেই পুজোর গোড়পত্তনের দিন থেকে একই নিয়মনিষ্ঠার সঙ্গে পুজো চলে আসছে। সেই রীতি মেনে এখনও অষ্টমী ও নবমীতে মাসকলাই বলি দেওয়া হয়। এখন পঞ্জিকা দেখে বলিদান হলেও আগে বর্ধমানের রাজবাড়ির সর্বমঙ্গলা দেবীর মন্দিরের তোপধ্বনি শুনে সন্ধিক্ষণ নির্ধারণ করা হত। এখন অবশ্য সেই প্রথার বিলুপ্তি ঘটেছে। তবে, পাল পরিবারের দেশে-বিদেশে যেখানে যাঁরা ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছেন, তাঁরা এই দুর্গাপুজোর সময় এসে মিলিত হন। ফলে কার্যত এই পুজো চাঁদপাল ঘাটের সঙ্গে মেলবন্ধন ঘটায় সোমসারের। জমিদারি নেই, নেই এই পুজোর আগের মতো আড়ম্বর। তবে জমিদারির ইতিহাসকে সঙ্গে নিয়ে প্রতিবার এখানে পুজোর বাদ্যি বেজে ওঠে। এবারও পাল বাড়িতে মা আসছেন। চলছে সাজ সাজ রব।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Durga Puja 2023: পাঁচথুপির সিংহবাহিনী বাড়ির দুর্গাপুজোয় নবমীতে হয় মহিষ বলি

    Durga Puja 2023: পাঁচথুপির সিংহবাহিনী বাড়ির দুর্গাপুজোয় নবমীতে হয় মহিষ বলি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ময়ূরাক্ষী নদীর তীরে একটি ছোট্ট গ্রাম, নাম তার পাঁচথুপি। এই গ্রামের অন্যতম প্রধান উৎসব হল সিংহবাহিনী বাড়ির দুর্গাপুজো (Durga Puja 2023)। শোনা যায়, এই পুজো সাতশো বছরের পুরনো। এই গ্রামে ২২ টি দুর্গাপুজো হত, তার মধ্যে ষোলটি পারিবারিক। এদের বংশধরদের কাছ থেকে জানা যায়, ১৩৪৯ বঙ্গাব্দে এই মন্দিরটির নির্মাণ করেন হরিপদ ঘোষ হাজরা। তারপর জমিদার পরিবারের ষষ্ঠ পুরুষ দেবী দাস ঘোষ হাজরা আনুমানিক ১৭ শতকে হুগলি জেলার পাণ্ডুয়া থেকে অষ্টধাতু নির্মিত দেবী সিংহ বাহিনীকে প্রতিষ্ঠা করেন।

    ১২৫ ফুট উঁচু সুদৃশ্য মন্দির

    যে মন্দিরে এটি প্রতিষ্ঠা করা হয়, সেটি ১২৫ ফুট উঁচু সুদৃশ্য এবং ত্রিতল বিশিষ্ট। মন্দিরের প্রথম দুটি তল অষ্টকোণ বিশিষ্ট, দোতলায় হচ্ছে মূল মন্দিরটি। আর তৃতীয় তলটি অষ্টকোণ বিশিষ্ট সরু হয়ে চূড়ার সৃষ্টি করেছে। সেই চূড়ার উপরে আমলোক এবং পতাকা দণ্ড। অষ্টধাতু নির্মিত দেবী এই পরিবারের গৃহদেবতা, যেটি প্রতিদিন পুজো (Durga Puja 2023) করা হয়। বাড়ির বর্তমান সদস্যরা জানিয়েছেন, অষ্টধাতুর মূর্তির সঙ্গে দুর্গোৎসবে মাটির প্রতিমা দেবী দুর্গা পূজিতা হন। এখানে বোধনের আগের দিন জীতাষ্টমী থেকে পুজোর সূচনা হয় এবং দশমীর দিনে প্রতিমা নিরঞ্জন।

    চতুর্দশীর দিন মায়ের পুজো শেষ (Durga Puja 2023)

    অতীতে জমিদারি প্রথা অনুযায়ী দুর্গাপুজো অনুষ্ঠিত হলেও আজ তা সবই অতীত। সপ্তমীর দিন মধ্যরাত্রিতে পুজো হয়। বিশেষত্ব ঢাক-কাঁসর না বাজিয়ে বৈদিক মন্ত্রোচ্চারণের মধ্য দিয়ে এই পুজো অনুষ্ঠিত হয়। যদিও পুজোপাঠ সার্ত্যক মতে হয়, তবুও প্রতিদিন পায়েস ভোগ দেওয়া হয়। এছাড়া পুজোর চার দিন দেবীর পুজোপাঠের জন্য সমস্ত নতুন পিতলের বাসন ব্যবহার করা হয়। এই বাসন প্রতিদিনই নতুন দেওয়া হয় বলে জানান বাড়ির সদস্যরা। এই সিংহবাহিনীর পুজোয় (Durga Puja 2023) অষ্টমী থেকে দশমী পর্যন্ত প্রতিদিন দুটি করে ছাগ বলি হয়, নবমীর দিন এখানে মহিষ বলির প্রচলন আছে। দশমী পুজোর বিসর্জনের পর বাড়িতে এসে অপরাজিত পুজো অনুষ্ঠিত হয়। চতুর্দশীর দিন মায়ের পুজো শেষ হয়। ওইদিনও ছাগ বলি হয়। এই পুজোকে কেন্দ্র করে পরিবারের সকল সদস্য, এমনকি যাঁরা বাইরে থাকে, সবাই একত্রে মিলিত হন। শুধু তাই নয়, এই পুজোকে কেন্দ্র করে পারিপার্শ্বিক গ্রামের লোকজনের ভিড় থাকে সব সময়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Joyrambati: জয়রামবাটিতে মা সারদার স্মৃতিধন্য মাতৃ মন্দির, ঘুরে আসতে পারেন একদিনেই

    Joyrambati: জয়রামবাটিতে মা সারদার স্মৃতিধন্য মাতৃ মন্দির, ঘুরে আসতে পারেন একদিনেই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কামারপুকুর থেকে মাত্র ৬-৭ কিমি দূরে আর একটি জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্র এবং হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের কাছে এক অন্যতম পবিত্র স্থান হল বাঁকুড়া জেলার জয়রামবাটি। এখানেই এক দরিদ্র ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছিলেন বাঙালি হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সকলের “মা”, মা সারদামণি। ১৮৫৩ সালের ২২ ডিসেম্বর (মৃত্যু ২০ জুলাই, ১৯২০, উদ্বোধন কার্যালয়, কলকাতা) রামচন্দ্র মুখোপাধ্যায় এবং শ্যামাসুন্দরী দেবীর ঘর আলো করে জন্ম নেন তাঁদের প্রথম সন্তান সারদা মুখোপাধ্যায়। যদিও প্রথমে তাঁর নাম “সারদা” ছিল না। জন্মানোর পর প্রথমে তাঁর নাম রাখা হয়েছিল “ক্ষেমঙ্করী”। পরে সেই নাম পাল্টে “সারদা” রাখা হয়। তাঁর পরের ভাই-বোনদের নাম ছিল যথাক্রমে কাদম্বিনী (বোন), প্রসন্ন কুমার, উমেশ চন্দ্র, কালীকুমার, বরদাপ্রসাদ এবং অভয়চন্দ্র (ভাই)। কথিত আছে, সারদা মায়ের জন্মের (Joyrambati) আগে নাকি তাঁর বাবা এবং মা, দুজনেই দিব্যদর্শনে দেখেছিলেন যে স্বয়ং মহাশক্তি তাঁদের ঘরে তাঁদের কন্যা হয়ে জন্মগ্রহণ করতে চলেছেন।

    মা সারদার স্মৃতিতে মাতৃ মন্দির (Joyrambati)

    শ্রী রামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের সঙ্গে সারদামণির বিবাহ হয় সারদার বাল্য বয়সেই। আর তার পর থেকে তিনি প্রত্যেকটি মুহূর্তে যোগ্য সঙ্গ দিয়ে গেছেন ঠাকুরকে। হয়ে উঠেছিলেন সকলের “মা”। হয়ে উঠেছিলেন রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের সঙ্ঘজননী। এই জয়রামবাটিতে মা সারদার স্মৃতিতে গড়ে তোলা হয়েছে মাতৃ মন্দির (Joyrambati)। মন্দিরের শিল্পশৈলীও অপূর্ব। অভ্যন্তরে রয়েছে মা সারদার মর্মর মূর্তি। এই মাতৃ মন্দির দর্শন করে দেখে নিন কাছেই শিহর গ্রামে শান্তিনাথ মহাদেবের মন্দির।

    কীভাবে যাবেন, কোথায় থাকবেন? (Joyrambati)

    যাতায়াত–কলকাতা থেকে জয়রামবাটির দূরত্ব প্রায় ১১৫-১২০ কিমি। প্রতিদিন বাস যাচ্ছে কলকাতার ধর্মতলার শহিদ মিনার বাসস্ট্যান্ড থেকে। আবার কামারপুকুরের মতোই তারকেশ্বর অবধি ট্রেনে এসে সেখান থেকে বাসেও আসা যায় এই জয়রামবাটি (Joyrambati)। থাকা-খাওয়া–কামারপুকুরের মতোই জয়রামবাটিও সকালে এসে সারাদিন ঘুরে সন্ধ্যায় ফিরে আসা যায় কলকাতায়। আবার বেশিরভাগ মানুষই এক যাত্রায় ঘুরে নেন জয়রামবাটি এবং কামারপুকুর। আর জয়রামবাটিতে থাকতে চাইলে থাকার জন্য রয়েছে মাতৃ মন্দির যাত্রী নিবাস। যোগাযোগ–অধ্যক্ষ, শ্রীমাতৃমন্দির, বাঁকুড়া-৭২২১৬১। এছাড়াও আছে বিবেকানন্দ মিশনের অতিথিশালা। যোগাযোগ–সেক্রেটারি, রামকৃষ্ণ বিবেকানন্দ মিশন, ৭  রিভার সাইড রোড, বারাকপুর, উত্তর ২৪ পরগনা। এছাড়াও এখানে রয়েছে কয়েকটি বেসরকারি হোটেল ও লজ।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kamarpukur: সহস্রদল পদ্মের ওপর শ্রী রামকৃষ্ণদেবের মর্মর মূর্তি! পুজোয় ঘুরে আসুন কামারপুকুর

    Kamarpukur: সহস্রদল পদ্মের ওপর শ্রী রামকৃষ্ণদেবের মর্মর মূর্তি! পুজোয় ঘুরে আসুন কামারপুকুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গের এক অন্যতম জনপ্রিয় এবং পবিত্র হিন্দু তীর্থস্থান হুগলি জেলা ছোট্ট, সুন্দর এবং গ্রাম্য পরিবেশে অবস্থিত “কামারপুকুর” (Kamarpukur)। শুধুমাত্র ভক্তজনদের নয়, সাধারণ পর্যটকদের কাছেও অন্যতম প্রিয় স্থান এই কামারপুকুর। বিশেষ করে যাঁরা গাছ-গাছালির ছায়ায় ঢাকা সবুজের গালিচায় বসে দু-দণ্ড সময় কাটাতে চান, তাঁদের কাছে এক আদর্শ জায়গা হল এই কামারপুকুর।

    শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের জন্মভিটে (Kamarpukur)

    অবশ্য কামারপুকুরের খ্যাতি সম্পূর্ণ অন্য কারণে। এখানে, এই মাটিতেই ১৮৩৬ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি জন্মগ্রহণ করেছিলেন যুগাবতার শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণ পরমহংসদেব। এখানে রয়েছে শ্রী রামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের স্মৃতিতে গড়ে তোলা মন্দির। মন্দিরের অভ্যন্তরে রয়েছে সহস্রদল পদ্মের ওপর বসা শ্রী রামকৃষ্ণদেবের মর্মর মূর্তি। মন্দিরের শিল্পশৈলীও দেখার মতো। প্রতিদিন ভোর ৪ টের সময় এখানে হয় মঙ্গলারতি। ফাল্গুন মাসে ঠাকুরের আবির্ভাব তিথিতে এখানে বিশেষ পুজো হয়। সেই দিন এখানে এই বিশেষ উৎসবকে কেন্দ্র করে প্রচুর ভক্তের সমাগম হয়। রীতিমতো মেলার চেহারা নেয় সেদিন এই কামারপুকুর। এছাড়াও দেখে নেওয়া যায় রঘুবীর মন্দির, যুগী শিবমন্দির, ঠাকুরের ভিটেবাড়ি, তাঁর ভিক্ষামাতা ধনী কামারনির বাড়ি প্রভৃতি। এখান থেকে সামান্য কিছু দূরে শিহর গ্রামে রয়েছে শ্রী রামকৃষ্ণর নিত্য সহচর ও ভাগ্নে হৃদয়ের বাড়ি। যেতে পারেন প্রায় দেড় কিমি দূরে বিশালাক্ষী মন্দিরটি দর্শন করতেও। আবার ইচ্ছে হলে ঘুরে নেওয়া যায় কাছেই সাহিত্য সম্রাট বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের উপন্যাসে বর্ণিত সেই বিখ্যাত “গড় মান্দারণ”ও (Kamarpukur)।

    কীভাবে যাবেন, থাকার কী ব্যবস্থা? (Kamarpukur)

    কলকাতা থেকে কামারপুকুরের দূরত্ব প্রায় ১১০ কিমি। কলকাতার ধর্মতলা বাসস্ট্যান্ড থেকে সরাসরি বাস যাচ্ছে। যেতে সময় লাগে প্রায় তিন থেকে সাড়ে তিন ঘণ্টা। আবার তারকেশ্বর অবধি ট্রেনে এসে সেখান থেকে বাসেও আসা যায় কামারপুকুর। এখানে সকালে এসে সারাদিন ঘুরে আবার সন্ধ্যার মধ্যেই ফিরে আসা যায় কলকাতায়। আবার কেউ যদি এখানে একটি রাত কাটাতে চান, তবে থাকতে পারেন শ্রী রামকৃষ্ণ মঠের অতিথি নিবাসে। এর জন্য যোগাযোগ করতে হবে এই ঠিকানায়>অধ্যক্ষ, শ্রীরামকৃষ্ণ মঠ, কামারপুকুর, হুগলি-৭১২৬১২। এছাড়াও আছে দক্ষিণেশ্বর রামকৃষ্ণ সঙ্ঘের অতিথিশালা (ফোন-০৩২১১  ২৪৪৬৬২)। এছাড়াও এখানে রয়েছে কয়েকটি বেসরকারি হোটেল ও লজ (Kamarpukur)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Durga Puja 2023: বারুইপুরের ঘোষবাড়ির দুর্গাপুজোয় এসেছিলেন তৎকালীন বড়লাট লর্ড ক্যানিং

    Durga Puja 2023: বারুইপুরের ঘোষবাড়ির দুর্গাপুজোয় এসেছিলেন তৎকালীন বড়লাট লর্ড ক্যানিং

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জমিদারি প্রথা চলে গিয়েছে। কিন্তু আজও জমিদারি প্রথার রীতি বহন করে ১৪১ বছর ধরে দুর্গাপুজো (Durga Puja 2023) হয়ে আসছে বারুইপুরের রামনগরের ঘোষবাড়িতে। ইংরেজ আমলে তৎকালীন বড়লাট লর্ড ক্যানিং ছিলেন জমিদার নরেন ঘোষের অতি ঘনিষ্ঠ। তাই ক্যানিং যাওয়ার পথে দুর্গাপুজোয় এসেছিলেন লর্ড ক্যানিং। পুজোয় কয়েক ঘণ্টা সময় কাটিয়েছিলেন তিনি। ছাগ বলি প্রথা বন্ধ হয়ে গেলেও নিয়ম করে আখ, চালকুমড়ো বলি হয়ে আসছে পুজোয়। অষ্টমীর দিন ঘোষবাড়ির পুজোয় নিরামিষ আহার খেতেই ভিড় জমান গ্রামের লোকজন, এমনই বললেন পরিবারের প্রবীণ সদস্য মলয় ঘোষ।

    ইংরেজ আমলে ঘোষবাড়িতে দুর্গাপুজো (Durga Puja 2023)

    রামনগরের ঘোষ বাড়ির প্রথম জমিদার ছিলেন কৈলাস ঘোষ। তাঁর নামানুসারে বাড়ির নাম কৈলাস ভবন। কৈলাসবাবুর ছেলে নরেন ঘোষ ইংরেজ আমলে ঘোষবাড়িতে দুর্গাপুজো শুরু করেন। বাড়ির দুর্গা দালানে এখন চলছে প্রতিমা তৈরির জোর প্রস্তুতি। কয়েকদিন পরেই সাজ সাজ রব পড়ে যাবে জমিদার বাড়িতে। কলকাতা সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছেন ঘোষ পরিবারের সদস্যরা। সবাই পুজোর কয়েকদিন মিলিত হয়ে যান ঘোষবাড়ির দুর্গা দালানে (Durga Puja 2023)। আগে ষষ্ঠীর দিন রাঁধুনি সোনা ঠাকুরের কচু, দেশি চিংড়ির ঝোল রান্না খেতে প্রচুর মানুষের সমাগম হত। অষ্টমীর দিন এখনও নিরামিষ লুচি, ফুলকপির ডালনা খেতে গ্রামের মানুষজন আসেন। তবে সংখ্যা কিছুটা কমেছে। সপ্তমী থেকে দশমী চালকুমড়ো বলি হয়। সন্ধি পুজো দেখতেই আশপাশের গ্রামের মহিলারাও জড়ো হয়ে যান।

    বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত পঞ্জিকা মতে পুজো (Durga Puja 2023)

    প্রবীণ সদস্য মলয় ঘোষ বলেন, ইরেজ আমলে বারুইপুর থেকে ক্যানিং যাওয়ার রাস্তা ছিল মাটির। তাই ক্যানিং যাওয়ার সময় বড়লাট লর্ড ক্যানিং তাঁর ফিয়ট গাড়ি বাড়ির পিছনে রেখে দিয়ে ঘোড়ার গাড়িতে ক্যানিং যেতেন। পূর্বপুরুষ নরেন ঘোষের ঘনিষ্ঠ হওয়ায় দুর্গাপুজোয় তিনি বাড়িতে এসে পুজো দেখেওছিলেন। এছাড়া প্রায় সময়ই ইংরেজ সাহেবরা তাঁদের গাড়ি রাখার জন্য আসতেন বাড়িতে। পরিবারের আর এক সদস্য প্রিয়জিত সেন বলেন, বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত পঞ্জিকা মতে আমাদের পুজো (Durga Puja 2023) হয়ে আসছে। জমিদারি প্রথার রীতি মেনেই বিসর্জনের দিন কাঁধে করেই ঢাক ঢোল বাজিয়ে মাকে নিয়ে যাওয়া হয় বাড়ির পুকুরে। সেই পুকুর হেদুয়ার পুকুর বলে এলাকায় পরিচিত। এই পুকুরেই ইংরেজ সাহেবরাও স্নান করতে আসতেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share