Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Rilways Announces: দূরপাল্লার ট্রেনে যাওয়া-আসার টিকিটের ওপর ২০ শতাংশ ছাড় দিচ্ছে ভারতীয় রেল

    Rilways Announces: দূরপাল্লার ট্রেনে যাওয়া-আসার টিকিটের ওপর ২০ শতাংশ ছাড় দিচ্ছে ভারতীয় রেল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দূরপাল্লার ট্রেনে যাওয়া-আসার টিকিটের ওপর ২০ শতাংশ ছাড় দিচ্ছে ভারতীয় রেল (Rilways Announces)। তবে এই অফার মিলবে কেবলমাত্র উৎসবের মরসুমে (Festival Season)। প্রাথমিকভাবে দু’সপ্তাহের জন্য পরীক্ষামূলকভাবে এই সুবিধা চালু করেছে রেল। রাজধানী, শতাব্দী, দূরন্ত এক্সপ্রেসের মতো কিছু ট্রেন ছাড়া সব দূরপাল্লার ট্রেনের ক্ষেত্রেই যাত্রীদের এই সুবিধা দেবে রেল। আগামী ১৪ অগাস্ট থেকে এই বিশেষ ছাড়-সহ অগ্রিম টিকিট কাটতে পারবেন যাত্রীরা। তবে এ ক্ষেত্রেও কিছু শর্ত রয়েছে।

    কী জানাল রেল (Rilways Announces)

    রেলের তরফে জানানো হয়েছে, এই সুবিধা পাওয়ার জন্য যাওয়া এবং ফেরার টিকিট একই ট্রেনের হতে হবে। সফর শুরু করতে হবে ১৩ অক্টোবর থেকে ২৬ অক্টোবরের মধ্যে। ফেরার টিকিট হতে হবে ১৭ নভেম্বর থেকে ১ ডিসেম্বরের মধ্যে। দূরপাল্লার ট্রেনের অগ্রিম টিকিট ৬০ আগে কাটা যায়। তবে এ ক্ষেত্রে ফেরার টিকিটের জন্য সেই নিয়ম থাকছে না। সফরে যাওয়ার টিকিটের সঙ্গে সঙ্গেই যাত্রীরা কেটে নিতে পারবেন ফেরার টিকিটও। যাওয়ার টিকিটে যে যাত্রীদের নাম থাকবে, ফেরার টিকিটেও সেই একই যাত্রীর নাম থাকতে হবে। যাত্রীরা কোথা থেকে ট্রেনে উঠবেন, নামবেনই বা কোথায়, সেই স্টেশনের নামও যাওয়া-আসার ক্ষেত্রে একই হতে হবে। টিকিটও কাটতে হবে এক সঙ্গেই। এই শর্ত মানলেই ফেরার টিকিটের ওপর ২০ শতাংশ ছাড় মিলবে।

    মানতে হবে শর্ত

    রেলের তরফে (Rilways Announces) জানানো হয়েছে, যাওয়া এবং আসা দু’পিঠেই কনফার্ম টিকিট হলে, তবেই বুকিং করা যাবে। যে শ্রেণির কামরায় যাত্রা করা হবে, সেই একই শ্রেণির কামরায় ফেরার টিকিটও কাটতে হবে। টিকিট বাতিল করলে কোনও টাকা ফেরত পাওয়া যাবে না। অনলাইন এবং রেলস্টেশনে অগ্রিম বুকিং কাউন্টার থেকে উভয় ক্ষেত্রেই টিকিট কাটতে পারেন ভ্রমণকারীরা (Rilways Announces)। জানা গিয়েছে, কানেক্টিং জার্নি ফিচারের মাধ্যমে এই স্কিমের আওতায় টিকিট কাটতে হবে। তবেই ২০ শতাংশ ছাড় মিলবে রিটার্ন জার্নিতে (Festival Season)।

  • Hindus Under Attack: দেশ তো বটেই, বিদেশেও বাড়ছে হিন্দুদের ওপর অত্যাচারের ঘটনা

    Hindus Under Attack: দেশ তো বটেই, বিদেশেও বাড়ছে হিন্দুদের ওপর অত্যাচারের ঘটনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত ও বিদেশে হিন্দু এবং হিন্দু ধর্মের ওপর অবিরাম চলছে হামলা। বিশ্বের বহু অঞ্চলে এই নির্যাতন আমাদের চোখের সামনে ধীরে ধীরে চলতে থাকা এক গণহত্যার মতো। কয়েক দশক ধরে বিশ্ব এই হামলার আসল গভীরতা ও বিস্তৃতিকে উপেক্ষা করেছে চলছে। যা ভয়াবহ হিন্দু-বিরোধী বিদ্বেষ দ্বারা পরিচালিত। খুন, জোরপূর্বক ধর্মান্তর, জমি দখল, উৎসবের ওপর হামলা, মন্দির ও মূর্তি ভাঙচুর, বিদ্বেষমূলক বক্তৃতা, যৌন হিংসা থেকে শুরু করে প্রাতিষ্ঠানিক ও আইনি বৈষম্য – হিন্দুরা (Hindus Under Attack) এখন তাঁদের অস্তিত্বের ওপর ক্রমবর্ধমান আক্রমণ ও এক নজিরবিহীন হিন্দু বিদ্বেষের মুখোমুখি হয়েছেন (Roundup Week)।

    অপরাধের সংক্ষিপ্ত ছবি (Hindus Under Attack)

    ২০২৫ সালের ৩ অগাস্ট থেকে ৯ অগাস্ট পর্যন্ত গত এক সপ্তাহে আমরা এমন কিছু অপরাধের একটি সংক্ষিপ্ত ছবি তুলে ধরার চেষ্টা করছি, যাতে বিশ্বব্যাপী আরও বেশি করে মানুষ এই মানবাধিকার সংকট সম্পর্কে সচেতন হন। প্রথমেই তাকানো যাক ভারতের দিকে। নাঈম কাদরি ওরফে পীর নামে এক ভুয়া ডাক্তারকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সে এক হিন্দু মহিলাকে চাপ দিচ্ছিল যাতে তিনি তাঁর নাবালিকা মেয়েকে ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত করে তার সঙ্গে বিয়ে দেন। অভিযুক্ত ব্যক্তি আসলে একজন প্রতারক, যার কোনও বৈধ চিকিৎসা ডিগ্রি নেই এবং সে গোপনে তন্ত্র, কালাজাদু ও তথাকথিত ‘বিশ্বাসভিত্তিক চিকিৎসা’ ব্যবহার করে নারীদের প্রভাবিত করত। উত্তরপ্রদেশে এক সরকারি স্কুলের প্রধান শিক্ষক মহম্মদ সালাউদ্দিনকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। অভিযোগ, তিনি হিন্দু শিক্ষার্থীদের জোর করে উর্দু শেখাতেন এবং তাঁদের ধর্মীয় বিশ্বাস নিয়ে প্রশ্ন তুলতে চাপ দিতেন। ঘটনাটি বিজনোর জেলার হরবংশপুর ধর্মের একটি কম্পোজিট স্কুলের। উত্তরপ্রদেশের চৌবেপুরের বারাণসীতে এক হিন্দু ব্যক্তির অভিযোগ, তাঁর স্ত্রী এবং প্রয়াগরাজের এক ইসলামপন্থী যুবক মহম্মদ আফজল, একটি ধর্মান্তর ষড়যন্ত্রে জড়িত। ওই ব্যক্তির দাবি, তাঁর স্ত্রী সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে আফজলের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখত এবং প্রেমের ফাঁদে ফেলে আফজল সম্ভবত তাকে ধর্মান্তরিত করার চেষ্টা করছিল। দেওরিয়া জেলায় ‘লাভ জিহাদ’ ষড়যন্ত্রের চক্রী সন্দেহভাজন সামির আলিকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে।

    কী বলছেন বিধায়ক

    সদর বিধায়ক ডা. শলভ মণি ত্রিপাঠীর জরুরি অভিযোগের ভিত্তিতে, গৌরিবাজার থানার বিভিন্ন ঘটনার পর পুলিশ তৎপর হয়। তামিল অভিনেতা কমল হাসন যিনি একসময় খ্রিস্টধর্ম প্রচারের কথা স্বীকার করেছিলেন, তিনিই এখন সনাতন ধর্মের শৃঙ্খল ভাঙার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। কর্নাটকের চামরাজনগরের এক মঠে হিন্দু সন্ন্যাসী সেজে থাকত বছর বাইশের এক মুসলিম। স্থানীয়রা তার মুসলিম পরিচয় জানতে পারার (Hindus Under Attack) পরেই মঠ ছেড়ে পালিয়ে যায় সে। উত্তরপ্রদেশ পুলিশ ‘লাভ জিহাদের’ একটি চাঞ্চল্যকর ঘটনায় অপহৃত এক হিন্দু কিশোরীকে উদ্ধার করেছে এবং অভিযুক্ত সাইনুল শাহকে গ্রেফতার করেছে। অভিযোগ, সে ভুয়ো প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাকে প্রলুব্ধ করেছিল।

    আইএসআইএসের সঙ্গে যুক্ত নেটওয়ার্কের অংশ

    দেওরিয়া থেকে মুম্বাই পর্যন্ত বিস্তৃত এই পুলিশ অভিযান ক্রমবর্ধমান এই বিপদের গুরুত্বকে প্রমাণ করে। এদিকে, ইডি কর্নাটকের ঐতিহ্যবাহী ধর্মস্থল মঞ্জুনাথ স্বামী মন্দিরকে লক্ষ্য করে একটি গুরুতর জঙ্গি ষড়যন্ত্রের তথ্য উদঘাটন করেছে, যা দক্ষিণ ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে সক্রিয় এক আইএসআইএসের সঙ্গে যুক্ত নেটওয়ার্কের অংশ। মধ্যপ্রদেশ বিধানসভায় ‘লাভ জিহাদে’র ভয়াবহতার তথ্য প্রকাশিত হয়েছে। মালওয়া-নিমার অঞ্চল, যা একসময় সিমির মতো জঙ্গি নেটওয়ার্কের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত ছিল, সেখানে ২৮৩ জন হিন্দু মেয়ে লাভ জিহাদের ফাঁদে পড়েছে, যাদের মধ্যে ৭৩ জনই আবার নাবালিকা (Roundup Week)।

    বাংলাদেশের ছবিটা

    এবার দেখে নেওয়া যাক বাংলাদেশের (Hindus Under Attack) ছবিটা। সেখানে হিন্দুদের ওপর মুসলমানদের হামলা অব্যাহত। এর উদ্দেশ্য হল ধীরে ধীরে দেশ থেকে এই ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে নির্মূল করা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আবুল বরকতের একটি গবেষণা অনুযায়ী, ২০৫০ সালের মধ্যে বাংলাদেশে কোনও হিন্দু আর অবশিষ্ট থাকবেন না। কারণ তাঁরা পদ্ধতিগত ও প্রাতিষ্ঠানিক নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। মন্দির ভাঙচুর, ভূমি দখল, মিথ্যা ধর্মনিন্দার অভিযোগে গণপ্রহার, নারীদের ধর্ষণ বা জোরপূর্বক ধর্মান্তর, এবং বিদ্বেষমূলক বক্তৃতা – এসবই হিন্দুদের ভয় দেখানো সে দেশ থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার অস্ত্র হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ‘ধর্মনিন্দা’র অজুহাতে মুসলিম দাঙ্গাবাজদের হামলার শিকার সংখ্যালঘু ভুক্তভোগীদের জন্য নির্ধারিত ত্রাণ বিলি বন্ধ করে দেয় এবং আধ্যাত্মিক গুরু শ্রী গোপীনাথ দাস ব্রহ্মচারীকে অপমান করে (Roundup Week)।

    তামাম বিশ্বের ছবিটাও এর ব্যতিক্রম নয়। এই সপ্তাহের শুরুর দিকে আয়ারল্যান্ডে কেরালার এক দম্পতির ছয় বছরের কন্যা নিয়া তার বাড়ির বাইরেই হামলার শিকার হয়। তার ওপর ব্যাপক তাণ্ডব চালানোর পাশাপাশি তারা তাকে ‘নোংরা ইন্ডিয়ান’ বলে গালাগালি দেয়। চিৎকার করে বলতে থাকে ‘ভারতে ফিরে যাও’ (Hindus Under Attack)।

  • Delhi: রাষ্ট্রপতি ভবনের অদূরে দু’জন পথচারীকে ধাক্কা মারল এসইউভি, মৃত ১

    Delhi: রাষ্ট্রপতি ভবনের অদূরে দু’জন পথচারীকে ধাক্কা মারল এসইউভি, মৃত ১

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবিবার সকালে দিল্লির চাণক্যপুরী এলাকায় ঘটে গেল একটি ভয়াবহ পথ দুর্ঘটনা। রাষ্ট্রপতি ভবন থেকে মাত্র দুই কিলোমিটার দূরে, একটি দ্রুতগামী এসইউভি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দু’জন পথচারীকে ধাক্কা মারে। ঘটনাস্থলেই গুরুতর আহত হন দু’জন (Delhi)। ১০ অগাস্ট রবিবার সকালে হওয়া এই দুর্ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকা জুড়ে। রিপোর্ট বলছে যে, ওই মৃতদেহটি অনেকক্ষণ ধরেই সেখানে পড়েছিল, যতক্ষণ না তা সরানো হয়। এর পাশাপাশি, ওই গাড়িটি থেকে খালি মদের বোতলও উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে রিপোর্টে। দুর্ঘটনার পরেই ওই গাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়। জানা যাচ্ছে, গাড়িচালকের বয়স ২৬ বছর। ইতিমধ্যে চালক সহ গাড়ি আটক করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, আটক হওয়া চালকের নাম আশিস। এক্ষেত্রে বলা দরকার, ১১ মূর্তি রোড, দিল্লির চাণক্যপুরীর এই এলাকা যথেষ্ট অভিজাত এবং হাই-প্রোফাইল এলাকা বলেই পরিচিত।

    গাড়িটি উত্তরপ্রদেশের বলে জানিয়েছে পুলিশ (Chanakyapuri)

    বিকট শব্দ শুনে আশপাশের মানুষজন ছুটে আসেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ। আহতদের দ্রুত উদ্ধার করে ভর্তি করা হয় দিল্লির এইমস ট্রমা সেন্টারে। চিকিৎসকরা একজনকে মৃত ঘোষণা করেন, অপরজন আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গাড়িটি উত্তরপ্রদেশের। চালককে আটক করা হয়েছে এবং গাড়িটি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে খতিয়ে দেখা হচ্ছে, চালক মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন কি না। ঘটনাস্থলে ক্রাইম ও ফরেনসিক টিম এসে প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করেছে। ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ (Chanakyapuri)।

    গত বছরের তুলনায় দিল্লিতে কমেছে দুর্ঘটনা (Delhi)

    এদিকে দিল্লি পুলিশের (Delhi) দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে মে মাস পর্যন্ত সময়ে রাজধানীতে ঘটেছে ২,২৩৫টিরও বেশি সড়ক দুর্ঘটনা। আহত হয়েছেন মোট ২,১৮৭ জন। এর মধ্যে ৫৫৬টি দুর্ঘটনা ছিল অতিশয় ভয়াবহ, যেখানে প্রাণ হারিয়েছেন ৫৫৭ জন। শুধু মার্চ মাসেই ঘটেছে ১৩৭টি ভয়াবহ দুর্ঘটনা, মৃত্যু হয়েছে ১৩৯ জনের। তবে পুলিশ দাবি করেছে, গত বছরের তুলনায় চলতি বছরে দুর্ঘটনার সংখ্যা কিছুটা কমেছে। ২০২৪ সালের একই সময়কালে দুর্ঘটনার পরিমাণ ছিল ১৩.৪ শতাংশ বেশি।

  • Pm Modi: মোদির হাত ধরে চালু হয়ে গেল বেঙ্গালুরু মেট্রোর বহু প্রতীক্ষিত ইয়োলো লাইন

    Pm Modi: মোদির হাত ধরে চালু হয়ে গেল বেঙ্গালুরু মেট্রোর বহু প্রতীক্ষিত ইয়োলো লাইন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বেঙ্গালুরু মেট্রোর (Bengaluru Metros) বহু প্রতীক্ষিত ইয়োলো লাইন চালু হয়ে গেল রবিবার। উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Pm Modi)। এদিনই তিনি সূচনা করেন বেঙ্গালুরু ও বেলাগাভির মধ্যে বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের যাত্রারও। বেঙ্গালুরু মেট্রোর ফেজ-৩ প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তরও স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রীর কার্যালয়ের তরফে শেয়ার করা সফরসূচিতে বলা হয়েছে, মোদী তাঁর প্রায় চার ঘণ্টার এই শহর সফরের সময় তিনটি অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন।

    মেট্রোর ইয়োলো লাইনের উদ্বোধন (Pm Modi)

    ওয়াকিবহাল মহলের মতে, মেট্রোর এই ইয়োলো লাইন উদ্বোধন সহায়ক হবে শহরের আইটি হাবের সঙ্গে যুক্ত একাধিক অত্যন্ত যানজটপূর্ণ করিডরের ট্রাফিক চাপ কমাতে। প্রধানমন্ত্রী আরভি রোড (রাগিগুড়্ডা) থেকে ইলেকট্রনিক সিটি মেট্রো স্টেশন পর্যন্ত মেট্রো সফর করেন। যাত্রাপথে কথা বলেন শিক্ষার্থীদের সঙ্গেও। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, প্রায় ১৯ কিলোমিটার দীর্ঘ আরভি রোড থেকে বোম্মাসান্দ্রা পর্যন্ত এই রুটটি বেঙ্গালুরু মেট্রো ফেজ-২ প্রকল্পের অংশ। এজন্য খরচ হয়েছে প্রায় ৭,১৬০ কোটি টাকা। এই রুটে স্টেশন রয়েছে মোট ১৬টি। জানা গিয়েছে, বেঙ্গালুরু ইয়োলো লাইন চালু হওয়ার ফলে বেঙ্গালুরুর মেট্রো নেটওয়ার্ক বিস্তৃত হল ৯৬ কিলোমিটারেরও বেশি। যার ফলে উপকৃত হবেন এই অঞ্চলের বিপুল সংখ্যক মানুষ (Pm Modi)।

    কী বলছেন মেট্রো কর্তৃপক্ষ

    মেট্রো কর্তৃপক্ষের মতে, নয়া এই রেল যোগাযোগ হোসুর রোড, সিল্ক বোর্ড জংশন এবং ইলেকট্রনিক্স সিটি জংশনের মতো একাধিক অতিরিক্ত যানজটপূর্ণ করিডরে যানজট কমাতে সাহায্য করবে। বেঙ্গালুরু উন্নয়নের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপ-মুখ্যমন্ত্রী ডিকে শিবকুমার সম্প্রতি বলেছেন, এখন তিনটি ট্রেন ২৫ মিনিটের ব্যবধানে চলবে। ৩টি ট্রেন সেট ইতিমধ্যেই ইয়োলো লাইনের জন্য এসে পৌঁছেছে। চতুর্থটি আসবে এই মাসেই। পরে এই ফ্রিকোয়েন্সি ১০ মিনিটে নামিয়ে আনা হবে।

    এদিন প্রধানমন্ত্রীকে দেখতে রাস্তার দু’ধারে ভিড় করেন প্রচুর মানুষ। ফুল ছিটিয়ে, ‘মোদি মোদি’ স্লোগান দিতে থাকেন তাঁরা। গাড়ির ভেতর থেকে প্রধানমন্ত্রীও তাঁদের উদ্দেশে হাত নাড়েন (Bengaluru Metros)। এদিন প্রধানমন্ত্রীর (Pm Modi) সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন কর্নাটকের রাজ্যপাল থাওয়ারচাঁদ গেহলট, মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া, কেন্দ্রীয় আবাসন ও নগর বিষয়ক মন্ত্রী মনোহর লাল খট্টর, কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী শোভা করন্দলাজে, উপ-মুখ্যমন্ত্রী ডি. কে. শিবকুমার-সহ অন্যরা।

  • Operation Akhal: ‘অপারেশন অখল’-এ শহিদ দুই জওয়ান, আহত আরও দুই, খতম ১ জঙ্গি

    Operation Akhal: ‘অপারেশন অখল’-এ শহিদ দুই জওয়ান, আহত আরও দুই, খতম ১ জঙ্গি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জম্মু ও কাশ্মীরের (Jammu And Kashmir) কুলগামে জঙ্গি ও সেনাবাহিনীর মধ্যে রাতভর গুলির লড়াই চলছে (Operation Akhal)। গত ৯ দিন ধরে চলতে থাকা ‘অপারেশন অখল’-এ এদিন শহিদ হয়েছেন দুই জওয়ান এবং আহত হয়েছেন আরও দুইজন। এক জঙ্গিকে খতম করা হয়েছে। এই অপারেশনে এখন পর্যন্ত দশ জওয়ান আহত হয়েছেন।অখল জঙ্গলে ঘাঁটি করেছে জঙ্গিরা, সুনির্দিষ্ট গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান শুরু করে সেনা। ওই ঘন জঙ্গলে ছড়িয়েছিটিয়ে রয়েছে কয়েকটি গুহা। সেনাবাহিনীর অনুমান, ওই গুহার মধ্যেই লুকিয়ে রয়েছে জঙ্গিরা। কোথায় কোথায় তারা রয়েছে, তার খোঁজে ড্রোন এবং হেলিকপ্টার ব্যবহার করছে সেনাবাহিনী।

    শহিদ দুই জওয়ানের নাম (Operation Akhal)

    শহিদ দুই জওয়ানের মধ্যে একজন হলেন ল্যান্সনায়েক প্রীতপল সিং এবং অন্যজন সিপাই হরমিন্দর সিং। গুলিতে আহত হওয়ার পর তাঁদের দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও, শেষরক্ষা করা যায়নি। আহত দুই জওয়ান এখনও চিকিৎসাধীন। প্রসঙ্গত, এই অভিযানে এখন পর্যন্ত মোট পাঁচ জঙ্গিকে খতম করা সম্ভব হয়েছে। অভিযানটি শুরু হয় ১ অগাস্ট। দক্ষিণ কাশ্মীরের কুলগামে অবস্থিত একটি ঘন জঙ্গলে ঢাকা ছোট গ্রামের নাম অখল, সেই নাম অনুসারেই অপারেশনের নামকরণ হয়েছে। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে পুরো এলাকা ঘিরে ফেলে সেনা ও নিরাপত্তা বাহিনী, এরপর থেকেই শুরু হয় গুলির লড়াই।

    খতম হয়েছে পহেলগাঁও হামলার সঙ্গে যুক্ত তিন জঙ্গি (Operation Akhal)

    এদিকে শ্রীনগরে ‘অপারেশন মহাদেব’-এ পহেলগাঁও হামলার সঙ্গে যুক্ত তিন জঙ্গিকে খতম করেছে ভারতীয় সেনা। এই প্রসঙ্গে লোকসভায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জানান, ভারতীয় সেনা ও জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের যৌথ অভিযানে জঙ্গিরা পালাতে পারেনি এবং উদ্ধার হয়েছে সেই আগ্নেয়াস্ত্র, যা পহেলগাঁওয়ে পর্যটক হত্যায় ব্যবহৃত হয়েছিল। এই ঘটনার ঠিক পাঁচদিন পরেই ফের জঙ্গি দমনে সক্রিয় হয় ভারতীয় সেনা। সেনার তল্লাশি অভিযানের খবর পেয়ে জঙ্গিরা গুলিবর্ষণ শুরু করে, যার জবাবে পাল্টা গুলি চালাতে বাধ্য হয় সেনা। এখনও সেই লড়াই অব্যাহত রয়েছে (Operation Akhal)।

  • Operaton Sindoor: “অপারেশন সিঁদুরে আমরা যেন দাবা খেলছিলাম”, বললেন সেনাপ্রধান উপেন্দ্র দ্বিবেদী

    Operaton Sindoor: “অপারেশন সিঁদুরে আমরা যেন দাবা খেলছিলাম”, বললেন সেনাপ্রধান উপেন্দ্র দ্বিবেদী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “অপারেশন সিঁদুরে (Operaton Sindoor) আমরা যেন দাবা খেলছিলাম, কারণ আমরা জানতাম না শত্রুর পরবর্তী পদক্ষেপ কী হতে পারে,”—এমনটাই বললেন দেশের সেনাপ্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী (Upendra Dwivedi)। শনিবার তিনি উপস্থিত ছিলেন আইআইটি মাদ্রাজে, যেখানে তিনি সেনাবাহিনীর নতুন গবেষণা প্রকল্প ‘অগ্নি’-এর উদ্বোধন করেন। সেখানেই তিনি এই মন্তব্যগুলি করেন।

    কী বললেন সেনাপ্রধান (Operaton Sindoor)?

    তিনি আরও বলেন, “অপারেশন সিঁদুর (Operaton Sindoor) একটি ধূসর যুদ্ধ। অর্থাৎ, এটি কোনো প্রথাগত সামরিক অভিযান ছিল না। ঠিক দাবা খেলার মতো, কখনও কখনও আমরা শত্রুকে ‘চেকমেট’ দিচ্ছিলাম, আবার অনেক সময় আমাদেরও মারাত্মক ঝুঁকি নিতে হয়েছে। কিন্তু এটাই জীবন।”

    ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ের ঘটনায় স্তম্ভিত হয়েছিল দেশ

    অপারেশন (Operaton Sindoor) নিয়ে বলতে গিয়ে সেনাপ্রধান বলেন, “২২ এপ্রিল, পেহেলগাঁওয়ে যা ঘটেছিল, তাতে গোটা দেশ স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছিল। ঠিক তার পরের দিন, ২৩ এপ্রিল, আমরা সবাই একসঙ্গে বসি। সেই সময় প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং স্পষ্টভাবে বলেন, ‘এবার যথেষ্ট হয়েছে।’ তিন বাহিনীর প্রধানরাও বুঝে যান, এবার বড় কিছু হতে চলেছে। এরপর সরকার আমাদের সম্পূর্ণ ‘ফ্রি হ্যান্ড’ দেয়—নিজেদের মতো করে সিদ্ধান্ত নেওয়ার পূর্ণ স্বাধীনতা।” তিনি বলেন, “এই সিদ্ধান্তের মধ্যে ছিল এক গভীর রাজনৈতিক আত্মবিশ্বাস, স্পষ্ট দিশা ও স্বচ্ছতা—যা আমরা প্রথমবারের মতো অনুভব করি।”

    ২৯ এপ্রিল বৈঠক করি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে

    সেনাপ্রধান (Upendra Dwivedi)বলেন, “২৫ এপ্রিল আমরা নর্দান কমান্ডে পরিদর্শনে যাই। সেখানে আমরা পরিকল্পনা করি এবং সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে বুঝে নিই কোন কোন জঙ্গি ঘাঁটি আমাদের লক্ষ্য হবে। নয়টি জঙ্গি ঘাঁটির মধ্যে সাতটি আমরা ধ্বংস করতে পেরেছিলাম এবং অসংখ্য জঙ্গিকে খতম করতে পেরেছিলাম।” তিনি আরও বলেন, “২৯ এপ্রিল আমরা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠক করি। সেটি ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি মুহূর্ত। কীভাবে একটি ছোট্ট নাম—‘অপারেশন সিঁদুর’ (Operaton Sindoor)—সারা দেশকে আবেগে ভাসিয়ে দিয়েছিল, তা সত্যিই অবিস্মরণীয়।”

  • Indian Railways: সাড়ে চার কিমি লম্বা, চাকা গড়াল এশিয়ার দীর্ঘতম পণ্যবাহী ট্রেন রুদাস্ত্রের, ভিডিও পোস্ট রেলমন্ত্রীর

    Indian Railways: সাড়ে চার কিমি লম্বা, চাকা গড়াল এশিয়ার দীর্ঘতম পণ্যবাহী ট্রেন রুদাস্ত্রের, ভিডিও পোস্ট রেলমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চাকা গড়াল এশিয়ার দীর্ঘতম পণ্যবাহী ট্রেন “রুদ্রাস্ত্র”-এর (Rudrastra)। ৪.৫ কিলোমিটার (সাড়ে চার কিলোমিটার) দীর্ঘ এই ট্রেনে রয়েছে ৩৫৪টি বগি এবং ৭টি লোকোমোটিভ ইঞ্জিন, যা এই বিশাল মালবাহী ট্রেনটিকে টেনে নিয়ে চলে। উত্তরপ্রদেশের গঞ্জ খোয়াজা স্টেশন থেকে ঝাড়খণ্ডের গড়ুয়া রোড স্টেশন পর্যন্ত প্রায় ২০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে ট্রেনটি সময় নিয়েছে প্রায় ৫ ঘণ্টা, যার গড় গতি ছিল ঘণ্টায় ৪০ কিলোমিটার। এই দীর্ঘ ট্রেন চালুর (Indian Railways) ফলে রেলের সময় ও পরিবহন খরচ উল্লেখযোগ্যভাবে সাশ্রয় হবে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

    ভিডিও পোস্ট করেছেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব (Indian Railways)

    এই রেকর্ডগড়া ট্রেনের ভিডিও ইতোমধ্যে সমাজমাধ্যমে পোস্ট করেছেন ভারতের রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। এক্স (পূর্বতন টুইটার)-এ তিনি লেখেন, “রুদ্রাস্ত্র” — ভারতের দীর্ঘতম পণ্যবাহী ট্রেন (Rudrastra)।

    বিশ্বের দীর্ঘতম ট্রেনের রেকর্ড রয়েছে অস্ট্রেলিয়ার কাছে

    যদিও “রুদ্রাস্ত্র” ভারতের তথা এশিয়ার দীর্ঘতম পণ্যবাহী ট্রেন (Indian Railways), তবে বিশ্ব রেকর্ড এখনও রয়েছে অস্ট্রেলিয়ার খনিজ কোম্পানি BHP-এর দখলে। সেই ট্রেনটির দৈর্ঘ্য ৭.৩ কিলোমিটার, অর্থাৎ রুদ্রাস্ত্রের থেকে প্রায় ৩ কিলোমিটার বেশি। BHP-র ট্রেনটিতে রয়েছে ৬৮২টি ওয়াগন — যা রুদ্রাস্ত্রের তুলনায় প্রায় ৩২৮টি বেশি।

    রূদ্রাস্ত্র কেন বিশেষ, কী জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা?

    বিশেষজ্ঞরা বলছেন, “রুদ্রাস্ত্র (Indian Railways) আমাদের ভবিষ্যতের রেল লজিস্টিকস নীতির রূপরেখা দিচ্ছে। পরিবহন খরচ কমানো, সময় বাঁচানো এবং অধিক পরিমাণ পণ্য পরিবহনের মাধ্যমে অর্থনৈতিক বিকল্প গড়ে তোলার দিকে এটি একটি বড় পদক্ষেপ।” এই ধরনের দীর্ঘ মালবাহী ট্রেন ভবিষ্যতে ভারতে আরও চালু হলে, সড়ক পরিবহনের উপর চাপ কমবে। একসঙ্গে বিপুল পরিমাণ পণ্য সহজে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পৌঁছানো যাবে। ভারতীয় রেলওয়ে “রুদ্রাস্ত্র” প্রকল্পকে শুধুমাত্র একটি ট্রেন পরিচালনার ঘটনা হিসেবে দেখছে না, বরং একে দেশের রেল পরিবহন ব্যবস্থায় যুগান্তকারী উন্নয়নের প্রতীক হিসেবে বিবেচনা করছে।

  • Operation Sindoor: ‘৬টি পাক যুদ্ধবিমান ধ্বংস করেছে ভারত’, অপারেশন সিঁদুরের পর প্রথমবার কী বললেন বায়ুসেনা প্রধান?

    Operation Sindoor: ‘৬টি পাক যুদ্ধবিমান ধ্বংস করেছে ভারত’, অপারেশন সিঁদুরের পর প্রথমবার কী বললেন বায়ুসেনা প্রধান?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অপারেশন সিঁদুরের (Operation Sindoor) সময় পাকিস্তানের অন্তত ৬টি যুদ্ধবিমান ধ্বংস করেছিল ভারত। শনিবার এমনই দাবি করলেন ভারতীয় এয়ার চিফ মার্শাল এপি সিং। বায়ুসেনা প্রধান জানান, ভারত ‘সুদর্শন চক্র’ অর্থাৎ এস-৪০০ ব্যবহার করে ধ্বংস করেছিল ৫টি পাকিস্তানি এফ-১৬ যুদ্ধবিমান। এছাড়াও, বিশ্বাসযোগ্য গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জ্যাকোবাবাদে থাকা এফ-১৬ যুদ্ধবিমানের হ্যাঙ্গারেও নিখুঁত ভাবে আঘাত হানা হয়েছিল বলে দাবি করলেন এপি সিং। তিনি দাবি করেছেন, এই হামলাতেও হ্যাঙ্গারের মধ্যে থাকা বিমানগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল।

    পাক হামলার মোক্ষম জবাব ভারতের

    অপারেশন সিঁদুরের (Operation Sindoor) পর এই প্রথম প্রকাশ্যে কথা বললেন বায়ুসেনা প্রধান অমরপ্রীত সিং। পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডের পর পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরে চিহ্নিত কিছু জঙ্গিঘাঁটি লক্ষ্য করে হামলা চালায় ভারত। ওই সময় পাকিস্তানের কোনও সামরিক ঘাঁটিতে হামলা হয়নি। কিন্তু ভারতের অভিযানের পরে পাকিস্তানি বাহিনী ভারতের উপর হামলা শুরু করে। জবাব দেয় ভারতও। ওই সংঘর্ষের আবহে অন্তত ছ’টি পাকিস্তানি বিমান ধ্বংস করেছে বায়ুসেনা। শনিবার বেঙ্গালুরুতে এক অনুষ্ঠানে বক্তৃতার সময় এমনটাই জানালেন বায়ুসেনা প্রধান।

    সুদর্শন চক্রের সাফল্য

    শনিবার বেঙ্গালুরুতে ‘অপারেশন সিঁদুর’ (Operation Sindoor) প্রসঙ্গে মন্তব্যের সময় বায়ুসেনা প্রধান বলেন, “অন্তত পাঁচটি যুদ্ধবিমান আমরা নিশ্চিত ভাবে ধ্বংস করেছি। এ ছাড়া একটি বড় (সামরিক) বিমান রয়েছে। প্রায় ৩০০ কিলোমিটার দূর থেকে হামলা করা হয়েছিল।” অমরপ্রীত জানান, এখনও পর্যন্ত ভূমি থেকে আকাশে হামলা চালিয়ে ধ্বংস করার দিক থেকে এটিই সবচেয়ে বড় রেকর্ড। বায়ুসেনা প্রধান জানান, এই ছ’টি পাকিস্তানি বিমানকেই ধ্বংস করা হয়েছে ভারতের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ‘এস-৪০০’ ব্যবহার করে। ভারত এর নাম দিয়েছে সুদর্শন চক্র। পহেলগাঁওয়ে ২৬ জনকে গুলি করে খুন করে জঙ্গিরা। এর পরেই অপারেশন সিঁদুর শুরু করে সেনাবাহিনী। পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের একাধিক জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। পাল্টা হামলা চালায় পাকিস্তান। তার জবাব দেয় ভারতও। এই সংঘর্ষের সময়েই যুদ্ধবিমানগুলি ধ্বংস করে ভারতীয় সেনা।

    এফ-১৬ যুদ্ধবিমান ধ্বংস!

    এদিন বেঙ্গালুরুতে প্রাক্তন এয়ার চিফ মার্শাল লক্ষ্মণ মাধব কাত্রের স্মরণে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে বায়ুসেনা প্রধান এপি সিং বলেন, “জ্যাকোবাবাদ বিমানঘাঁটিতে এফ-১৬ বিমানের হ্যাঙ্গার আছে। হ্যাঙ্গারের অর্ধেকটাই উড়ে গিয়েছে। আমি নিশ্চিত, ভিতরে কিছু বিমান ছিল, সেগুলোরও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।” বস্তুত, এফ-১৬ যুদ্ধবিমান আমেরিকা তৈরি করে। আমেরিকার থেকেই এই যুদ্ধবিমান কেনে পাকিস্তান। ১৯৯৪ সালে বিল ক্লিন্টন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন পাকিস্তানের সঙ্গে আমেরিকার চুক্তি হয় এফ-১৬ সংক্রান্ত। ভারত-পাকিস্তান সংঘর্ষবিরতির পরবর্তী সময়ে পাকিস্তানের এফ-১৬ যুদ্ধবিমানের বিষয়ে ভারতীয় বায়ুসেনা প্রধানের এই মন্তব্যও যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।

    রাশিয়ার তৈরি অস্ত্রের সাফল্য

    একইসঙ্গে শনিবার বেঙ্গালুরুতে ওই অনুষ্ঠানে এয়ার চিফ মার্শাল অমরপ্রীত সিং বলেছেন, “আমাদের এয়ার ডিফেন্স দুরন্ত কাজ করেছে। রাশিয়ার তৈরি এস-৪০০ সিস্টেম, যেটা আমরা সম্প্রতি মোতায়েন করেছিলাম সেটা খেলা ঘুরিয়ে দিয়েছিল। ওই সিস্টেমের শক্তি ওদের বিমানগুলিকে সত্যিই দূরে রেখেছিল। যেমন ওদের কাছে থাকা দূরপাল্লার গ্লাইড বোমাগুলির মতো অস্ত্রকে ওরা ব্যবহারই করতে পারেনি। কারণ এই সিস্টেমটাকে ওরা ভেদই করতে পারেনি।” বর্তমানে উদ্ভূত কূটনৈতিক পরিস্থিতিতে রাশিয়ার তৈরি এই আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার সাফল্য বর্ণনাও যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। রাশিয়া থেকে ভারত জ্বালানি এবং অস্ত্র কেনায় অসন্তুষ্ট আমেরিকা। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইতিমধ্যে তা একাধিক বার স্পষ্ট করে দিয়েছেন। মস্কোর সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক রাখার জন্য নয়াদিল্লির উপর বাড়তি শুল্কও চাপিয়েছেন ট্রাম্প। ঠিক এমনই এক পরিস্থিতিতে শনিবার রাশিয়ার তৈরি আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার সাফল্য তুলে ধরলেন ভারতীয় বায়ুসেনা প্রধান।

    যুদ্ধবিরতি ছাড়া পাকিস্তানের কোনও উপায় ছিল না

    ভারত হামলা চালিয়ে পাকিস্তানের বায়ুসেনার শক্তির সমূলে আঘাত হানে বলেও জানিয়েছেন এয়ার চিফ মার্শাল। বায়ুসেনা প্রধানের মতে, এর পরে যুদ্ধবিরতির আর্জি জানানো ছাড়া পাকিস্তানের কোনও উপায় ছিল না। জঙ্গি ঘাঁটিগুলোর ‘বিফোর অ্যান্ড আফটার’ স্যাটেলাইট ছবিও দেখান বায়ুসেনা প্রধান। বাহাওয়ালপুরে চুরমার হয়ে যাওয়া জৈশ-ই-মহম্মদের সদর দফতরের ছবি দেখিয়ে তিনি বলেন, ‘স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে, পাশের কোন বাড়ির কোনও ক্ষতি হয়নি। সব অক্ষত রয়েছে। আমাদের কাছে শুধু স্যাটেলাইট ছবি নয়, স্থানীয় মিডিয়ার কাছ থেকে পাওয়া ছবিও আছে।’ লস্কর-ই-তৈবার সদর দফতর মুরিদকের ছবিও দেখান বায়ুসেনা প্রধান। তাঁর কথায়, ‘এগুলো ওদের অফিস। এখানেই বৈঠক করত।’ তাঁর দাবি সারফেস-টু-এয়ার মিসাইল দিয়ে হামলা চালিয়ে পাকিস্তানের যুদ্ধবিমানগুলো ধ্বংস করা হয়েছে।

  • US Tariffs: ভারতীয় রফতানির উপর ট্রাম্পের শুল্কবাণ, ক্ষতিগ্রস্ত খাতে সহায়তা প্যাকেজ আনছে মোদি সরকার

    US Tariffs: ভারতীয় রফতানির উপর ট্রাম্পের শুল্কবাণ, ক্ষতিগ্রস্ত খাতে সহায়তা প্যাকেজ আনছে মোদি সরকার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত থেকে রফতানি করা পণ্যে বাড়তি ২৫ শতাংশ কর চাপিয়েছে আমেরিকা। ২৭ অগস্ট থেকে ভারতের রফতানিকৃত পণ্যে ৫০ শতাংশ শুল্ক (US Tariffs) বসানোর কথা জানিয়েছে আমেরিকার ডোনাল্ড ট্রাম্প সরকার। স্বভাবতই এর কারণে যে সব দেশ আমেরিকায় পণ্য রফতানি করে, তাদের সঙ্গে কঠিন প্রতিযোগিতায় নামতে হবে ভারতকে। অনেক ক্ষেত্রে সেই দেশগুলি বাড়তি সুবিধা পাবে। মার খাবে বেশ কিছু পণ্যের রফতানি। কিন্তু কোনওভাবেই এতে চাপে পড়তে নারাজ দিল্লি। বিকল্প সব পথ খুলে রাখার চিন্তা করছে মোদি সরকার। ইতিমধ্যেই ভারতীয় রফতানির উপর আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আরোপিত বিপুল হারে শুল্কের প্রেক্ষিতে, এই সিদ্ধান্তে ক্ষতিগ্রস্ত খাতগুলির জন্য একটি বিশেষ সহায়তা প্যাকেজ আনার চিন্তাভাবনা করছে ভারত সরকার। এই প্যাকেজের মাধ্যমে সরকার ক্ষতিগ্রস্ত শিল্পগুলোর রফতানি সম্ভাবনাকে উৎসাহিত করার পাশাপাশি দেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ও ইতিবাচক প্রবৃদ্ধির পথকেও সুনিশ্চিত করতে চায়।

    কোন কোন দ্রব্য আমেরিকায় রফতানি করে ভারত

    বর্তমানে, ভারতীয় পণ্যের উপর আমেরিকার মোট শুল্ক প্রায় ৫০ শতাংশ — যেখানে ২৫ শতাংশ প্রাথমিক শুল্ক এবং অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ আরোপিত হয়েছে রাশিয়া থেকে তেল কেনার কারণে। এই শুল্কের দ্বারা প্রভাবিত খাতগুলোর মধ্যে প্রধানত শ্রমনির্ভর শিল্প যেমন সামুদ্রিক পণ্য, খাদ্যদ্রব্য এবং বস্ত্র শিল্প অন্তর্ভুক্ত। এই প্রথাগত ও স্থানীয় শিল্পগুলোর অস্তিত্ব এবং বিকাশের জন্য বৈদেশিক বাজার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই সরকারের সহায়তা প্যাকেজ এই শিল্পগুলোর রফতানি সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য অত্যন্ত জরুরি। আমেরিকা ভারতের থেকে দামি জহরত, গয়না, কাপড়, সামুদ্রিক মাছ, গাড়ির যন্ত্রাংশ কেনে। সেই ব্যবসাই সাময়িক ধাক্কা খেতে পারে বলে আশঙ্কা বণিকমহলের। বাংলাদেশ, ভিয়েতনামের মতো দেশ থেকে আমদানি করা পণ্যে কম শুল্ক আরোপ করেছে আমেরিকা। আমেরিকায় পণ্য রফতানির প্রতিযোগিতায় সেই দেশগুলি ভারতকে পিছনে ফেলে এগিয়ে যেতে পারে বলে মনে করছে এ দেশের রফতানিকারক সংস্থাগুলির একাংশ।

    সামুদ্রিক মাছ

    ট্রাম্পের নতুন শুল্কনীতি কার্যকর হলে সবচেয়ে বেশি মার খাবে ভারতের সামুদ্রিক মাছ ও প্রাণীর ব্যবসা। ভারত যত সামুদ্রিক মাছ (সিফুড) রফতানি করে, তার ৪০ শতাংশই যায় আমেরিকায়। প্রায় ৬০ হাজার কোটি টাকার সামুদ্রিক মাছ সে দেশে রফতানি করে ভারত। সবচেয়ে বেশি রফতানি করে চিংড়ি। এক্ষেত্রে সহযোগিতার হাত বাড়ানোর কথা আগে ভাবছে মোদি সরকার। বিশেষত খাদ্যদ্রব্য ও সামুদ্রিক পণ্যের মতো খাতে পণ্যের স্থায়িত্ব কম এবং লাভের মার্জিনও সীমিত। এই খাতের উপর নির্ভরশীল মানুষজন প্রধানত কৃষক এবং গ্রামীণ পটভূমি থেকে আসা। তাই এই গ্রামের অর্থনীতিকে রক্ষা করতে স্বল্পমেয়াদে সহায়তা প্যাকেজ অত্যাবশ্যক, বলে মনে করে কেন্দ্র।

    কাপড়-ব্যবসা, জহরত, গয়না, গাড়ির যন্ত্রাংশ

    নয়ডা, সুরাটের কাপড় রফতানিকারক সংস্থাগুলি সিদ্ধান্ত নিয়েছে, আমেরিকায় রফতানির জন্য কাপড় তৈরি আপাতত স্থগিত রাখবে। এই শিল্পের সঙ্গে জড়িত সংস্থাগুলো মনে করছে, নতুন এই শুল্কনীতির প্রভাব ব্যবসার উপরে কিছুটা হলেও পড়বে। ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে আমেরিকায় ৮৩ হাজার কোটি টাকার জহরত এবং পাথর বসানো গয়না রফতানি করেছে ভারত। এ দেশের জহরত কেনার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় বাজার হল আমেরিকা। জেম অ্যান্ড জুয়েলারি এক্সপোর্ট প্রোমোশন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান কিরীট ভন্সালী জানিয়েছেন, আমেরিকার পরিবর্তে বিকল্প দেশে জহরত রফতানির পথ দেখবে ভারত। তাদের নজরে রয়েছে দুবাই, মেক্সিকো। ভারত যত পরিমাণ গাড়ির যন্ত্রাংশ রফতানি করে বিভিন্ন দেশে, তার অর্ধেকই যায় আমেরিকায়। প্রায় ৬১ হাজার কোটি টাকার যন্ত্রাংশ রফতানি করা হয়।

    রাশিয়া থেকে আরও তেল

    ভারতীয় বাণিজ্য ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্য বিষয়ে বিশেষজ্ঞ, ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ ফরেন ট্রেড (IIFT)-এর অধ্যাপক রাম সিং বলেন, “ভারত রাশিয়া থেকে আরও কিছু ছাড়ে তেল কেনার কথা বলতে পারে। সেখান থেকে সাশ্রয় হওয়া অর্থ রফতানিকারীদের সহায়তা প্যাকেজে ব্যয় করা যেতে পারে, যাঁরা আমেরিকান শুল্কের কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত।” আমেরিকার বাড়তি শুল্কের ফলে ভারতীয় রফতানিকারীরা এক ধরনের অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছেন। এই পরিস্থিতিতে তাঁদেরকে দ্রুত আমেরিকায় পণ্য রফতানির পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। অধ্যাপক রাম সিং জানান, “আমেরিকায় নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাসে থ্যাঙ্কসগিভিং, বড়দিন এবং নিউ ইয়ার উপলক্ষে বিক্রি সর্বাধিক হয়। তাই এই সময়ে পাঠানোর জন্য রফতানিকারীদের বলা হয়েছে তাঁদের পণ্য আগে থেকেই পাঠাতে, যাতে বাড়তি শুল্কের প্রভাব কিছুটা হলেও কমানো যায়।” সহায়তা প্যাকেজে উচ্চ ভর্তুকি, সহজ ঋণ প্রাপ্তির সুবিধা, রফতানির জন্য নতুন বাজার সন্ধান এবং রফতানির নিয়মকানুন শিথিল করার মতো একাধিক পরিকল্পনা গ্রহণ করতে চলেছে বাণিজ্যমন্ত্রক। ভারত সরকার (India Plans on Tariff) যে এই পরিস্থিতিতে সহায়তা প্যাকেজ বিবেচনা করছে, তা শ্রমনির্ভর ও দুর্বল খাতগুলোর স্বার্থ রক্ষার পাশাপাশি জাতীয় অর্থনীতিকেও সুরক্ষিত রাখার একটি সঠিক ও কৌশলগত পদক্ষেপ, বলেই মনে করছে বণিক মহল।

  • PM Modi: লক্ষ্য মার্কিন খবরদারি রোখা, ফোনে কথা মোদি-পুতিনের, কী ‘গপ্পো’ হল দুই ‘হুজুরে’র?

    PM Modi: লক্ষ্য মার্কিন খবরদারি রোখা, ফোনে কথা মোদি-পুতিনের, কী ‘গপ্পো’ হল দুই ‘হুজুরে’র?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বন্ধুত্বের মুখোশধারীদের (Trumps Tariff Threats) থেকে দূরত্ব তৈরি করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)! বেছে নিলেন প্রকৃত বন্ধুও। ভারত-মার্কিন শুল্ক নিয়ে চাপানউতোরের আবহেই শুক্রবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে ফোনে কথা বললেন প্রধানমন্ত্রী। সোশ্যাল মিডিয়ায় দুই রাষ্ট্রনেতার কী কথোপকথন হল, তাও শেয়ার করেছেন প্রধানমন্ত্রী।

    পুতিনকে নিজের ‘বন্ধু’ সম্বোধন (Trumps Tariff Threats)

    পুতিনকে নিজের ‘বন্ধু’ বলে উল্লেখ করে তিনি লিখেছেন, তাঁরা দুজনেই ভারত-রাশিয়ার সম্পর্ক আরও মজবুত করার ওপর জোর দিয়েছেন। দুই দেশের কৌশলগত অংশীদারি বৃদ্ধি নিয়েও কথা বলেছেন। ইউক্রেনের সাম্প্রতিক পরিস্থিতির বিষয়ে পুতিন তাঁকে অবগত করেছেন বলেও জানিয়েছেন মোদি। এক্স হ্যান্ডেলে প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন, “বন্ধু পুতিনের সঙ্গে খুব ভালো ও পুঙ্খানুপুঙ্খ কথোপকথন হয়েছে। ইউক্রেনের সাম্প্রতিক পরিস্থিতির কথা জানানোর জন্য ওঁকে ধন্যবাদ জানাই। আমাদের দ্বিপাক্ষিক বিষয় নিয়ে পর্যালোচনা করেছি। ভারত ও রাশিয়ার বিশেষ কৌশলগত অংশীদারি বৃদ্ধি নিয়েও আলোচনা করেছি। চলতি বছরে পুতিনকে এ দেশে স্বাগত জানানোর জন্য মুখিয়ে রয়েছি।” প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবারই রাশিয়ার রাজধানী মস্কোয় গিয়ে পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল। সূত্রের খবর, তার পরেই মোদির সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছে রুশ প্রেসিডেন্টের। এর পরেই প্রকাশ্যে এসেছে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর নয়া বন্ধুর কথা।

    চড়া শুল্ক আরোপ

    রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে মস্কো থেকে অপরিশোধিত জ্বালানি কেনায় ভারতের ওপর দু’দফায় সব মিলিয়ে মোট ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছেন ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। শুধু তাই নয়, আরোপ করা হয়েছে জরিমানাও। তেল কেনা বন্ধ না করলে আরও শুল্ক আরোপেরও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। অথচ, ট্রাম্পেরই আমন্ত্রণে আমেরিকা গিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্টকে ‘বন্ধু’ বলে সম্বোধন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন ট্রাম্পও। মোদিকে সম্মান জানাতে মার্কিন মুলুকে আয়োজন করেছিলেন ‘হাউডি মোদি’ অনুষ্ঠান। তখনও অটুট দুই ‘হুজুরে’র বন্ধুত্ব। সেই বন্ধুত্বেই চিড় ধরে দিন কয়েক আগে। ভারতের ওপর প্রথমেই ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেন ট্রাম্প। তার পরেও ভারত রাশিয়া থেকে জ্বালানি কিনে চলায় ফের ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেন মার্কিন প্রসিডেন্ট। ভারতের অর্থনীতিকে ‘মৃত’ বলেও কটাক্ষ করেন তিনি। এহেন আবহে রাশিয়ার প্রেসিডেন্টকে ‘বন্ধু’ সম্বোধন করে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে মার্কিন প্রেসিডেন্টকে মোদি পরোক্ষে বার্তা দিলেন বলেই ধারণা রাজনৈতিক মহলের (Trumps Tariff Threats)। ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, আমরা বিশ্বাস করি, সার্বভৌম দেশগুলির অবশ্যই তাদের বাণিজ্য ও আর্থিক সহযোগী নির্বাচন করার অধিকার রয়েছে (PM Modi)।

    ট্রাম্পের বক্তব্য

    ভারতীয় পণ্যের ওপর মার্কিন প্রেসিডেন্টের চাপানো শুল্ক কার্যকর হওয়ার কথা ২৭ অগাস্ট থেকে। ট্রাম্পের বক্তব্য, ভারতীয় বিভিন্ন সংস্থা রাশিয়া থেকে তেল কিনে খোলা বাজারে বিক্রি করে মুনাফা লুটছে এবং রাশিয়াকে যুদ্ধে সাহায্য করে চলেছে। তাই এই শুল্ক বৃদ্ধির ঘোষণা। তার পরেই ভারতের পাশে দাঁড়িয়েছে স্বাধীন ভারতের পুরানো বন্ধু, দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুর আমলে সূত্রপাত হয়েছিল যে বন্ধুত্বের।

    কী কারণে ফের ভারত-রাশিয়া কাছাকাছি

    আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, আরও একটি কারণে রাশিয়া দাঁড়িয়েছে ভারতের পাশে। সেটি হল তামাম বিশ্বের ওপর মার্কিন খবরদারি রোখা। বর্তমানে বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির দেশের তালিকায় চার নম্বরে চলে এসেছে ভারত। জাপানের ঠিক পরেই। বিশ্বের বিভিন্ন সংস্থার করা সমীক্ষার রিপোর্ট বলছে, অচিরেই ভারত টপকে যাবে জাপানকেও (Trumps Tariff Threats)। তাই আমেরিকাকে থোড়াই কেয়ার করে ভারত। সেই কারণেই যেদিন দ্বিতীয় দফায় ভারতের ওপর ফের ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ এবং আরও শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়েছিলেন ট্রাম্প, সেদিনই সন্ধ্যায় মস্কোয় পৌঁছে যান ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল। রুশ প্রেসিডেন্টের সঙ্গে কথাও হয় তাঁর। তার পরপরই পুতিনের সঙ্গে ফোনে কথা হয় ভারতের প্রধানমন্ত্রীর (PM Modi)।

    ভারতের সাফ কথা

    ২০২২ সালে ইউক্রেন আক্রমণ করে বসে রাশিয়া। মস্কোর এই আগ্রাসনের প্রতিবাদে রাশিয়ার ওপর একাধিক বিধিনিষেধ আরোপ করেছে পশ্চিমী বিশ্ব। তার জেরে আন্তর্জাতিক বাজারে মার খায় রাশিয়ার ব্যবসা। এই সংকট থেকে মুক্তি পেতে (Trumps Tariff Threats) সস্তায় অপরিশোধিত তেল বিক্রি করতে শুরু করে রাশিয়া। সেই সুযোগটাই লুফে নেয় নরেন্দ্র মোদির ভারত। জাতীয় স্বার্থের কথা মাথায় রেখে রাশিয়া থেকে কয়েক গুণ বেশি তেল কিনতে শুরু করে নয়াদিল্লি। এতেই বেজায় চটেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তবে মিস্টার প্রেসিডেন্টের শুল্ক হুমকির প্রতিক্রিয়া বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, “জাতীয় স্বার্থ এবং আন্তর্জাতিক বাজারদরের কথা মাথায় রেখেই বাণিজ্যনীতি নির্ধারণ করে থাকে ভারত। রাশিয়া সস্তায় তেল বিক্রি করছে বলেই কিনছে ভারত।”

    ‘মিস্টার প্রেসিডেন্টে’র (Trumps Tariff Threats) মুখে কি ঝামা ঘষে দিলেন ‘মিস্টার ইন্ডিয়া’ (PM Modi)!

LinkedIn
Share