Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Ladakh Unrest: অশান্তির আগুনে পোড়ানো হল বিজেপির পার্টি অফিস, গাড়ি, তপ্ত লেহ

    Ladakh Unrest: অশান্তির আগুনে পোড়ানো হল বিজেপির পার্টি অফিস, গাড়ি, তপ্ত লেহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লাদাখকে রাজ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার দাবিতে উত্তপ্ত লেহ (Ladakh Unrest)। বিক্ষোভকারীদের দাবি, লাদাখকে সংবিধানের ষষ্ঠ তফশিলের আওতায় এনে পূর্ণ রাজ্যের মর্যাদা দেওয়া হোক। এই দাবিতেই বুধবার লাদাখের লেহতে বিক্ষোভ (Statehood Protests) শুরু হয়। পরে তা হিংসার আকার ধারণ করে। সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, এদিন সন্ধে পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে চারজনের। জখম হয়েছন প্রায় ৭০ জন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে জারি করা হয়েছে কারফিউ।

    বিজেপির পার্টি অফিসে আগুন (Ladakh Unrest)

    জানা গিয়েছে, এদিন বিক্ষোভ চলাকালীনই লেহতে বিজেপির পার্টি অফিসে আগুন লাগিয়ে দেয় বিক্ষোভকারীরা। আগুন লাগানো হয় পার্টি অফিসের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা সিআরপিএফের একটি গাড়িতেও। তার পরেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। পুলিশ ও নিরাপত্তাকর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে বিক্ষোভকারীরা। তাদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটায় পুলিশ। করা হয় লাঠিচার্জও। হিংসাত্মক প্রতিবাদের কারণে লাদাখ উৎসবের চতুর্থ ও শেষ দিনের উদ্‌যাপন বাতিল করা হয়। উৎসবের প্রথম তিন দিন উদযাপিত হয়েছিল নানা সাংস্কৃতিক আয়োজনের মধ্যে দিয়ে। প্রচুর দর্শকও এসেছিলেন। শেষ দিনের সমাপ্তি অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার কথা ছিল লেফটেন্যান্ট গভর্নর কাবিন্দর গুপ্তার, যিনি মাত্র এক মাস আগে বিজেপি নেতা হিসেবে এখানকার দায়িত্ব নিয়েছেন। সরকারি এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, “লাদাখ কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের প্রশাসন অনিবার্য কারণে লাদাখ উৎসবের শেষ দিনের অনুষ্ঠান বাতিল করে দিয়েছে। স্থানীয় শিল্পী, সাংস্কৃতিক দল, পর্যটক এবং লাদাখের মানুষ যাঁরা অধীর আগ্রহে এই অনুষ্ঠানের অপেক্ষায় ছিলেন, তাঁদের সবার অসুবিধার জন্য প্রশাসন গভীর দুঃখ প্রকাশ করছে (Ladakh Unrest)।’’

    হিংসায় ক্ষুব্ধ লাদাখ আন্দোলনের অন্যতম মুখ

    এদিন প্রতিবাদের ডাক দিয়েছিল লেহ অ্যাপেক্স বডির যুব শাখা। এই সংগঠনের চেয়ারম্যান থুপস্তান সোয়াং বলেন, “লাদাখে মূলত চারটি দাবিতে আমরা দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করছি। কিছু ঘটনা ঘটেছে, যার ফলে হিংসার চেহারা নেয় আন্দোলন।” লাদাখের এদিনের ঘটনায় যারপরনাই ক্ষুব্ধ সোনম ওয়াংচুক। বস্তুত, লাদাখ আন্দোলনের অন্যতম মুখই (Statehood Protests) তিনি। ওয়াংচুক বলেন, “হিংসার কাছে হেরে গেল শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ। লাদাখের রাজনৈতিক দলগুলিও অযোগ্য। তারা তরুণ প্রজন্মকে সঠিক দিশা দেখাতে ব্যর্থ।” তিনি সাফ জানিয়ে দেন, কোনও হিংসাত্মক আন্দোলনই সমর্থন করেন না তিনি (Ladakh Unrest)।

  • Sanjeev Sanyal: “ভারতের উন্নতির পথে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে বিচার ব্যবস্থা”, বললেন সঞ্জীব সান্যাল

    Sanjeev Sanyal: “ভারতের উন্নতির পথে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে বিচার ব্যবস্থা”, বললেন সঞ্জীব সান্যাল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের একবার খবরের শিরোনামে বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ তথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির অর্থনৈতিক উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সঞ্জীব সান্যাল (Sanjeev Sanyal)। গত কয়েক দিনে ভারতীয় বিচারব্যবস্থা (Judiciarys Long Vacations) নিয়ে তাঁর মন্তব্য ভাইরাল হয়েছে। দিল্লিতে অ্যাডভোকেট জেনারেলদের একটি সম্মেলনে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। সেখানেই তিনি বলেন, “ভারতের উন্নতির পথে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে বিচার ব্যবস্থা। আইন অনেক সময় সমস্যার সমাধান তো করেই না, উল্টে বিষয়টিকে জটিল করে তোলে।”

    উন্নত দেশ হওয়ার পথে বড় বাধা (Sanjeev Sanyal)

    সঞ্জীবের মতে, বিচারব্যবস্থা ভারতের ২০৪৭ সালের মধ্যে উন্নত দেশ হওয়ার আশার পথে সব চেয়ে বড় বাধা। তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, ‘মাই লর্ড’ সম্বোধনের মতো সেকেলে রীতি, ‘প্রেয়ার্স’ নামের ঔপনিবেশিক ধারা, দীর্ঘ গ্রীষ্মকালীন ছুটি এবং বাধ্যতামূলক মধ্যস্থতার প্রথা, যা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ব্যর্থ হয়। বিচারের দীর্ঘসূত্রিতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন মোদির অর্থনৈতিক উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সঞ্জীব। তাঁর কথায়, “সময়ে ন্যায়বিচার মেলে না। এটা অন্যতম বড় সমস্যা।” আদালতের দীর্ঘ ছুটি দেওয়া নিয়েও আপত্তি রয়েছে সঞ্জীবের। তিনি বলেন, “বিচার বিভাগও একটি জনসেবা। হাসপাতাল কি এক মাস বন্ধ রাখা যায়?”

    ভারতবাসীরই কণ্ঠস্বর

    সঞ্জীবের মন্তব্যে বিরক্ত প্রকাশ করেছেন আইনজীবী মহল। তবে ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা, সঞ্জীবের ভাইরাল হওয়া বক্তব্য আদতে ভারতবাসীরই কণ্ঠস্বর। মনে রাখতে হবে, এটি শাসনব্যবস্থার কোনও বাইরের লোকের হালকা সমালোচনা নয়। বরং এটি সেই অভিজ্ঞতার স্বীকৃতি, যা প্রতিটি মামলাকারী, উদ্যোক্তা এবং নাগরিক অনুভব করেছেন। ভারতে ন্যায়বিচার দেরিতে মেলে, ব্যয়বহুল এবং অপ্রাপ্য। ভারতের আইন পেশা এখনও সবচেয়ে আঁটসাঁট একটি পেশা, যা রক্ষণশীল, ঔপনিবেশিক এবং পরিবর্তনের বিপ্রতীপ। সান্যালের মন্তব্য সরাসরি বিচারব্যবস্থার অদক্ষতার সঙ্গে দেশের বৃহত্তর প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়নের আশার মধ্যে একটা সীমারেখা টেনে দেয় বই কি!

    আইনি ডিগ্রির প্রয়োজন

    সঞ্জীবের (Sanjeev Sanyal) মতে, সব ক্ষেত্রেই আইনি ডিগ্রির প্রয়োজনও হয় না। নিজের দাবির স্বপক্ষে সওয়ালও করেছেন তিনি। এ প্রসঙ্গে সঞ্জীব বলেন, “ভারতীয় আইনি ব্যবস্থা কেবল প্রক্রিয়ার কারণেই নয়, মানসিকতা ও সংস্কৃতির কারণেও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আইনি ব্যবস্থা মধ্যযুগীয় কাঠামোর। এর বিভিন্ন স্তর রয়েছে, যেমন সিনিয়র অ্যাডভোকেট, অ্যাডভোকেট-অন-রেকর্ড এবং অন্যান্য। একবিংশ শতাব্দীতে এত স্তর কেন? অনেক ক্ষেত্রে মামলা লড়তে আইনি ডিগ্রিরও প্রয়োজন হয় না। কারণ আজকের বিশ্বে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মতো সাহায্য করতে পারে প্রযুক্তিও।”

    ছ’সপ্তাহের গ্রীষ্মকালীন ছুটি (Judiciarys Long Vacations)

    সান্যালের বক্তব্য যে নিছক অর্থহীন, তা বলা যাবে না। কারণ সুপ্রিম কোর্টে সাধারণত ছ’সপ্তাহের গ্রীষ্মকালীন ছুটি থাকে। এর সঙ্গে দশেরা ও বড়দিনে ছোট ছোট ছুটিও থাকে। হাইকোর্টগুলিও একই ধরনের ছুটির সময়সূচি মেনে চলে। সঞ্জীবের কথায়, ‘বিচার বিভাগও একটি জনসেবা। হাসপাতাল কি এক মাস বন্ধ রাখা যায়? আপনি কি পুলিশ বিভাগ বা হাসপাতালগুলিকে মাসের পর মাস বন্ধ রাখতে পারেন?’ যদিও ছুটিতেও বেঞ্চ বসে। সঞ্জীবের মতে, দীর্ঘ ছুটির এই প্রতীকী দিকটি জনগণের আস্থাকে ক্ষুণ্ণ করে, বিশেষ করে যখন বিচারাধীন মামলার সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। ২০২৫ সালের জুলাই মাসে ন্যাশনাল জুডিশিয়াল ডেটা গ্রিড থেকে জানা গিয়েছে, সারা দেশে প্রায় পাঁচ কোটি বিচারাধীন মামলা রয়েছে। বর্তমানে যেভাবে বিচারপ্রক্রিয়া চলছে, তাতে এই অমীমাংসিত মামলাগুলি শেষ করতে বহু বছর লেগে যাবে।

    বিচার ব্যবস্থার অদক্ষতা

    সান্যালের (Sanjeev Sanyal) মূল বক্তব্য হল, বিচার ব্যবস্থার অদক্ষতা ভারতের অর্থনৈতিক উত্থানকে দুর্বল করে দিচ্ছে। বিশ্বব্যাংকের ডুইং বিজনেস ২০২০ রিপোর্টে চুক্তি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে ভারতকে ১৯০টি দেশের মধ্যে ১৬৩তম স্থানে রাখা হয়েছে, যেখানে একটি বাণিজ্যিক বিরোধ নিষ্পত্তি করতে গড়ে ১ হাজার ৪৪৫ দিন সময় লাগে। পরিকাঠামো প্রকল্পগুলি প্রায়ই মামলার জটে আটকে থাকে। আর ভূমি ও সম্পত্তি-সংক্রান্ত বিরোধ ভারতের আদালতগুলির সবচেয়ে সাধারণ দেওয়ানি মামলার মধ্যে অন্যতম (Judiciarys Long Vacations)।

    প্রি-লিটিগেশন মধ্যস্থতার অবস্থা

    ২০১৮ সালের কমার্শিয়াল কোর্টস অ্যাক্টের অধীনে প্রি-লিটিগেশন মধ্যস্থতা চালু করা হয়েছিল যাতে এই জাতীয় বিরোধগুলিকে বিচার ব্যবস্থা থেকে দূরে সরানো যায়। কিন্তু বাস্তবে মুম্বইয়ের মতো বড় শহরে এর সাফল্যের হার খুবই কম। আর অনেক মামলাকারীকে শেষ পর্যন্ত আবার আদালতে ফিরে যেতে হয়। ফলস্বরূপ, মামলার চাপ কমার বদলে প্রায়ই সময় এবং খরচ আরও বেড়ে যায়। এর পরিণতি হল, বিনিয়োগকারীরা ঝুঁকি মূল্যায়নের সময় আইনি অনিশ্চয়তাকে হিসেবের মধ্যে রাখে। ব্যবসাগুলি এমন খাতে সম্প্রসারণে দ্বিধা করে, যেখানে চুক্তি বাস্তবায়ন অপ্রত্যাশিত থাকে। সাধারণ মানুষের জন্য ‘তারিখ পে তারিখ’ অর্থাৎ একের পর এক মুলতুবি শুনানি এক পরিচিত ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

    আইনের নিষ্পত্তি

    সান্যাল (Sanjeev Sanyal) আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তুলে ধরেছেন। নীতিনির্ধারকরা প্রায়ই আইন তৈরি করেন অতিরিক্ত জটিল করে। কারণ তাঁরা মনে করেন অল্প সংখ্যক মানুষ এর অপব্যবহার করতে পারে। এর ফলে আইনে অসংখ্য ব্যতিক্রম ও শর্ত যোগ হয়, যা পরে বিচারিক ব্যাখ্যার স্তরে স্তরে জমা হয়ে যায়। দেউলিয়াত্ব ও দেউলিয়া আইন (Insolvency and Bankruptcy Code) এই সমস্যার একটি উদাহরণ। যদিও আইনটির ৩৩০ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি বাধ্যতামূলক করা হয়েছে, তবে বাস্তবে মামলাগুলি প্রায় দ্বিগুণ সময় নেয় (Judiciarys Long Vacations)। যদি বিচারব্যবস্থার ওপর বিশ্বাস থাকত যে এটি সোজাসাপ্টা নিয়ম দ্রুত ও আগাম অনুমানের ভিত্তিতে কার্যকর হবে, তবে আইন প্রণেতারা প্রতিরক্ষামূলক আইন বানাতে বাধ্য হতেন না। তাই বিচার ব্যবস্থার সংস্কার শুধু মামলা-পেন্ডেন্সি কমানো নয়, বরং আরও স্পষ্ট এবং সরল শাসনব্যবস্থা তৈরির শর্ত তৈরি করা।

    স্বাধীনতা হল সর্বাধিক পবিত্র একটি মূল্যবোধ

    বিচারব্যবস্থার রক্ষকরা বলেন, স্বাধীনতা হল এর সর্বাধিক পবিত্র একটি মূল্যবোধ। এটি সঠিক, কিন্তু স্বাধীনতা মানে জবাবদিহি থেকে মুক্তি নয়। জবাবদিহি মানে নির্বাহী নিয়ন্ত্রণ নয়, বরং দক্ষতা, স্বচ্ছতা এবং নাগরিকের কাছে সহজলভ্যতার জন্য জবাবদিহি থাকা। দু’টি ধারণা এক সঙ্গে রাখা (Sanjeev Sanyal) সম্ভব। বিচারব্যবস্থা হল এক্সিকিউটিভ কর্তৃত্বের অপব্যবহারের বিরুদ্ধে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিরোধ। কিন্তু এটি ন্যায়বিচার ও উন্নয়নের পথে অন্তরায়ও হয়ে উঠতে পারে, যখন এটি পুরনো পদ্ধতি আঁকড়ে ধরে থাকে, বছরের পর বছর মামলা ঝুলিয়ে রাখে এবং আধুনিকীকরণের পথে বাধার প্রাচীর হয়ে দাঁড়ায়। স্বাধীনতা বিচার ব্যবস্থাকে নিজেদের সংস্কার করতে ক্ষমতাবান করে তুলবে। তাদের উচিত নয়, জনগণের সমালোচনা থেকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করা (Judiciarys Long Vacations)।

    ‘বিকশিত ভারত’

    সান্যালের বক্তব্যটি শক্তিশালী। কারণ তিনি কোনও আইনজীবী বা বিচারক নন। তিনি অর্থনীতিবিদ, যিনি বিচারব্যবস্থাকে একটি অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে ব্যাখ্যা করেন। বিচার বিভাগীয় সংস্কারকে ভারতের উন্নয়নের গতিপথের সঙ্গে যুক্ত করে তিনি বিতর্ককে নতুনভাবে উপস্থাপন করেন। তাঁর কথা গভীরভাবে অনুরণিত হয়, কারণ তা বাস্তব অভিজ্ঞতার প্রতিফলন। যতক্ষণ না আদালত ন্যায়বিচার দিচ্ছে, ততক্ষণ সত্যি সত্যিই ভারতের অগ্রগতি অসম্পূর্ণই থেকে যাবে। সঞ্জীব (Sanjeev Sanyal) বলেন, “আমার দৃষ্টিতে বিচারব্যবস্থাই ‘বিকশিত ভারত’ হওয়ার এবং দ্রুত অগ্রসর হওয়ার পথে সবচেয়ে বড় অন্তরায়। যথা সময়ে চুক্তি কার্যকর করতে না পারা কিংবা ন্যায়বিচার পৌঁছে দিতে ব্যর্থ হওয়া এখন এত বড় সীমাবদ্ধতা হয়ে দাঁড়িয়েছে যে আমি আপনাদের বলছি যদি আমরা পুরো আইনি কাঠামোয় বড় ধরনের কোনও সংস্কার না দেখি, তবে সিস্টেমের অন্য যে ক্ষেত্রেই যত কাজই করি না কেন, তার কোনও গুরুত্ব থাকবে না।”

    আগেও বিচারব্যবস্থার সমালোচনা করেছিলেন সঞ্জীব

    প্রসঙ্গত, গত জুলাই মাসে অন্য একটি অনুষ্ঠানেও যোগ দিয়ে সঞ্জীব বলেছিলেন, “এটি (বিচার বিভাগ) ভারতের প্রবৃদ্ধির পথে কিছু দিক থেকে সবচেয়ে (Judiciarys Long Vacations) বড় বাধা। এটি এখন আমলাতন্ত্রের চেয়ে সময়ের চেয়েও ঢের বেশি পিছিয়ে।” তিনি তখনও বলেছিলেন, “এর বিশাল পরিবর্তন প্রয়োজন। আমি অবশ্য কেবল বিচারব্যবস্থাকেই দোষারোপ করব না, বিচারকদের ক্ষেত্রে – একটি সম্পূর্ণ বাস্তুতন্ত্র রয়েছে এবং বাস্তবে অনেক ক্ষেত্রে এটি আইনজীবী এবং সিনিয়র অ্যাডভোকেট, বার কাউন্সিল ইত্যাদির পদস্থ ব্যক্তিরা আসলে অগ্রগতি থামিয়ে দিচ্ছেন (Sanjeev Sanyal)।”

  • Khalistani Pannun: মোদির বিরুদ্ধে শিখ সৈনিকদের উস্কানি দেওয়ায় পান্নুনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করল এনআইএ

    Khalistani Pannun: মোদির বিরুদ্ধে শিখ সৈনিকদের উস্কানি দেওয়ায় পান্নুনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করল এনআইএ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে শিখ সৈনিকদের উস্কানি দিয়েছিলেন। সেই সঙ্গে পুরস্কার দেবেন ১১ কোটি টাকা। কার্যত এমন প্রস্তাব করার অভিযোগে খালিস্তানি সন্ত্রাসবাদী গুরপতবন্ত সিং পান্নুনের (Khalistani Pannun) বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে জাতীয় তদন্ত সংস্থা এনআইএ (NIA)। ২০২৫ সালের ১৫ অগাস্টে স্বাধীনতা দিবসের আগে প্রকাশিত একটি ভিডিও বার্তায় উস্কানির বিরুদ্ধে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য এই কুখ্যাত জঙ্গির বিরুদ্ধে বাইরের দেশে বসে ভারতের বিরুদ্ধে নাশকতামূলক ষড়যন্ত্রের ছক করার মতো আরও গুরুতর একাধিক মামলা রয়েছে।

    পাকিস্তানের সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার)!

    নয়াদিল্লিতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ (NIA) পান্নুনের (Khalistani Pannun) বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে। এই সন্ত্রাসবাদী গুরপতবন্ত সিং পান্নুন হলেন নিষিদ্ধ খালিস্তানি জঙ্গি সংগঠন শিখ ফর জাস্টিস-এর প্রতিষ্ঠাতা। তবে এই সংগঠন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা থেকে চললেও ভারতের অভ্যন্তরে বিশেষ করে পঞ্জাবকে অস্থির করে রাখাই মূল উদ্দেশ্য। জানা গিয়েছে, স্বাধীনতা দিবসে প্রধানমন্ত্রীকে জাতীয় পাতাকা উত্তোলনের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের কথা জানিয়েছিলেন। এই কথা পাকিস্তানের একটি সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার হিসেবে দিয়েছিলেন তিনি। পাকিস্তান যে জঙ্গি উৎপাদন করে একথা সকলেই জানে, আর তাই ভারতের ক্ষতি করতে পান্নুন পাকিস্তানকে সবসময়ে পাশে চান।

    খালিস্তানের মানচিত্রে

    পান্নুনের বিরুদ্ধে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নির্দেশে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ধারা ৬১ (২), ১৯৬৭ সালের বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইন-এর ধারা ১০ এবং ১৩ ব্যবহার করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। যে ভিডিওর ভিত্তিতে মামলা দায়ের হয়েছে তা ২০২৫ সালের ১০ অগাস্ট পাকিস্তানের লাহোর প্রেস ক্লাবে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। মিট দ্য প্রেসের পক্ষ থেকে সাক্ষাৎকার নেওয়া হয় পান্নুনের। ওয়াশিংটন, ডিসি থেকে ভিডিও লিঙ্কের মাধ্যমে অনুষ্ঠানটিতে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে ভাষণ দেন এই জঙ্গি।

    তবে এফআইআরে বলা হয়, “ভিডিওতে বক্তব্য দেওয়ার সময় পান্নুন দাবি করেন, দিল্লি হবে খালিস্তান (Khalistani Pannun)। সেইসঙ্গে একটি গণভোটের ভিত্তিতে মানচিত্রকে উন্মোচন করেছিলেন। তাঁর প্রস্তাবিত খালিস্তানের মানচিত্রে পঞ্জাব, হরিয়ানা, হিমাচলপ্রদেশ এবং দিল্লিকে অন্তর্ভুক্ত ছিল। মামলায় (NIA) প্রধান অভিযুক্ত হিসেবে পানুন্নের নাম ছাড়াও আরও অজ্ঞাত কিছু ব্যক্তিদেরও যুক্ত করা হয়েছে। ভারতের বিরুদ্ধে প্ররোচনা এবং উস্কানি দিয়ে ভারতের সার্বভৌমত্বকে ধ্বংস করার কথাও ঘোষণা করা হয়েছিল বলে অভিযোগ দায়ের হয়েছে।”

  • Jagannath Mandir: সংস্কারের পর পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের রত্নভান্ডারে ফিরল রত্নালঙ্কার

    Jagannath Mandir: সংস্কারের পর পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের রত্নভান্ডারে ফিরল রত্নালঙ্কার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুরী জগন্নাথ মন্দিরের (Jagannath Mandir) রত্নভান্ডার সংস্করণের পরে এবার সরিয়ে নেওয়া মূল্যবাণ রত্নালঙ্কার ফেরানো হল রত্নভান্ডারেই। চার ঘণ্টার বেশি সময় ধরে নিরাপত্তারক্ষীদের অভিযানে শ্রীশ্রী পুরীধামের মন্দিরের মূল্যবান অলঙ্কার এবং ধনরত্নগুলিকে পুনরায় যথাযথভাবে পুরনো জায়গায় রাখা হয়েছে। জগন্নাথধামে ২০২৪ সালে রত্নগুলোকে (Ratna Bhandar) একটি স্ট্রংরুমে সুরক্ষিত রেখে রত্নভান্ডারের সংস্কার কাজ শুরু করা হয়েছিল। এবার ২০২৫ সালের জুলাই মাসে ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণ (ASI) বিশেষ সমীক্ষা চালায়। আর তারপর চলতি সপ্তাহে ধর্মীয় যথাযথ নিয়ম কঠোরভাবে পালন করে, সরকারের বিধিনিষেধ মেনে সমস্ত সম্পত্তি সংরক্ষণ করা হয়েছে। রত্নভান্ডারের সমস্ত মূল্যবান সামগ্রীকে পুনরায় স্থাপানা করে ভিডিওগ্রাফি করে সিল করা হয়েছে।

     ভক্তদের মধ্যে বিশ্বাসের পুনরুদ্ধার (Jagannath Mandir)

    একেই বলে যেই কথা সেই কাজ। ওড়িশায় সরকারে আসার আগেই রত্নভান্ডার খোলা নিয়ে বড় প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল বিজেপি। ধর্মীয় ভাবাবেগের কথা মাথায় রেখেই স্বচ্ছতার সঙ্গে এই সংস্করণের কাজ করেছে প্রশাসন। মন্দিরে (Jagannath Mandir) গত ২২ সেপ্টেম্বর সকাল ১০.৫৫ মিনিটে শুরু হয় রত্নালঙ্কারগুলির পুনর্স্থাপনের অভিযান এবং দুপুর ২.৫৫ মিনিটে শেষ হয়। প্রায় চার ঘণ্টা ধরে প্রতিস্থাপন করার এই বিশেষ অভিযানটি চালানো হয়। শ্রী জগন্নাথ মন্দির প্রশাসনের প্রধান প্রশাসক ড. অরবিন্দ কুমার পাধী বলেছেন, “রত্নভান্ডারের এই সংস্কারটি ১৯৬০ সালের শ্রী জগন্নাথ মন্দির বিধিমালার বিধান এবং রাজ্য সরকারের দ্বারা অনুমোদিত নির্দেশিকা অনুসারেই করা হয়েছে। সমস্ত অলংকারগুলিকে মন্দিরের শয়নকক্ষের পাশেই অস্থায়ী স্ট্রংরুমে রাখা হয়েছিল। সেই সঙ্গে মূল্যবান ধন-রত্নগুলিকে ফুলঘরে স্থানান্তরিত করা হয়েছিল। এই রত্নভান্ডার দেশের অন্যতম পবিত্র এবং সুরক্ষিত ভান্ডার (Ratna Bhandar)। এখানেই ভগবান জগন্নাথ, বলভদ্র, দেবী সুভদ্রার অলঙ্কার এবং নৈবেদ্য সংরক্ষণ করা হয়েছে। রত্নগুলি নিজের স্থায়ীগৃহে ফিরিয়ে আসায় কেবল পুনরুদ্ধার হয়নি বরং ভক্তদের মধ্যে বিশ্বাস এবং আস্থার জায়গাও ফিরে এসেছে।”

    বিশেষ পোশাকে সজ্জিত হয়ে গোটা সংস্কারের কাজ

    রত্নভান্ডার (Ratna Bhandar) -এর ঐতিহ্য এবং পরম্পরা মেনে যথারীতি ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠানের মাধ্যমে মহাপ্রভুর আশীর্বাদ নিয়ে শ্রী জগন্নাথের (Jagannath Mandir) সামগ্রীকে স্থানান্তরিত করা হয়। মন্দিরের রত্নভান্ডারের যে কমিটি রয়েছে এবং উচ্চ পর্যায়ের এএসআই সমীক্ষার কমিটির সকল সদস্য এদিন বিশেষ পোশাকে সজ্জিত হয়ে গোটা সংস্কারের কাজটি সুসস্পন্ন করেন। কোষাগার থেকে প্রাপ্ত চাবি নিয়ে ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতেই অস্থায়ী স্টংরুম খোলা হয়। এরপর উদ্ধারকৃত সামগ্রী রত্নভান্ডারে রাখার পর কাজ শেষ হলে কক্ষটিকে তালাবদ্ধও করা হয়।

  • BSF Drone Commando: মধ্যপ্রদেশে প্রশিক্ষণ নিচ্ছে বিএসএফের ড্রোন কমান্ডোদের প্রথম ব্যাচ, কমিশন নবরাত্রিতেই

    BSF Drone Commando: মধ্যপ্রদেশে প্রশিক্ষণ নিচ্ছে বিএসএফের ড্রোন কমান্ডোদের প্রথম ব্যাচ, কমিশন নবরাত্রিতেই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নবরাত্রি, দুর্গাপুজো, দিওয়ালি, কালীপুজো উৎসবের মরসুমেও সতর্ক ভারতীয় সেনা। আগামী পাঁচ সপ্তাহের মধ্যেই বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (BSF)-এর নতুন ড্রোন ওয়ারফেয়ার স্কুল (newly established Drone Warfare School) থেকে প্রথম ব্যাচের ৪৭ জন জওয়ান ড্রোন কমান্ডো হিসেবে প্রশিক্ষণ শেষ করে পাস আউট করবেন। মধ্যপ্রদেশের টেকানপুরে (Tekanpur, Madyapradesh) এখন তার প্রস্তুতি তুঙ্গে। সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর (Border Security Force) ৪৭ জন কমান্ডো অফিসারের প্রশিক্ষণ চলছে সেখানে। এই প্রশিক্ষণ অবশ্য ভিন্ন ধরনের। কমান্ডোর ক্ষিপ্রতায় ড্রোন পরিচালনার কৌশল শেখানো হচ্ছে তাঁদের (Drone Commandos)।

    ড্রোন নিয়েই লড়বেন কমান্ডোরা

    বিএসএফের ওই অ্যাকাডেমির অতিরিক্ত ডিজি শামশের সিং জানিয়েছেন, শত্রুর সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে জওয়ান, অফিসারেরা রাইফেল, লাইট মেশিনগান ব্যবহার করে থাকেন। এবার থেকে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত এই ৪৭ কমান্ডো অফসার লড়াই করবেন ড্রোন নিয়ে। তাঁদের কমান্ডো প্রশিক্ষণ নেওয়া আছে। লড়াইয়ের সময় ড্রোনকে তারা শত্রুর বিরুদ্ধে কমান্ডোর ক্ষিপ্রতায় ব্যবহার করবেন। তারই প্রশিক্ষণ এখন চূড়ান্ত পর্যায়ে। বিএসএফ সূত্রে বলা হচ্ছে, ড্রোন কমান্ডার নিয়ে ভাবনাচিন্তার শুরু অপারেশন সিঁদুরের (Operation Sindoor) পর। ওই লড়াইয়ের অভিজ্ঞতা হল, যুদ্ধের কৌশলে আমূল পরিবর্তন আনা দরকার। তাই বিমান বাহিনীর মতো সীমান্তরক্ষী বাহিনীকেও ড্রোন লড়াইয়ের জন্য তৈরি করা হচ্ছে। জানা গিয়েছে, মধ্যপ্রদেশের ট্রেনিং সেন্টারে যে ৪৭ জনকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে দুর্গাপুজো বা নবরাত্রির মধ্যে সীমান্তে তাঁদের মোতায়েন করা হবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi) নবরাত্রির (Navaratri) একদিন সীমান্তে সেনা, সীমান্ত রক্ষীদের শিবিরে কাটান। বিএসএফের যে কোনও সীমান্ত পোস্টে তিনি ড্রোন কমান্ডোদের সঙ্গে মিলিত হতে পারেন।

    ড্রোন সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক

    ইতিমধ্যেই জওয়ান এবং আধিকারিকদের জন্য ড্রোন সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক করেছে বিএসএফ ৷ তার ফলে এখন থেকে বাহিনীর ২ লাখ ৭০ হাজার সদস্যকেই ড্রোন চালানোর প্রশিক্ষণ নিতে হবে ৷ পাশাপাশি শত্রুদের দিক থেকে আসা ড্রোন কীভাবে প্রতিহত করতে হবে সেটাও শিখতে হবে তাঁদের ৷ অপারেশন সিঁদুরের পর বাহিনীর কর্তাদের মনে হয়েছে আধুনিক পৃথিবীতে সামরিক সংঘাতের গতি-প্রকৃতি যেখানে এসে দাঁড়িয়েছে তাতে বিএসএফের জওয়ান থেকে শুরু করে সকলেরই ড্রোন সম্পর্কে বিস্তারিত জ্ঞান থাকা আবশ্যক ৷ আর তাই মধ্যপ্রদেশে বাহিনীর যে প্রশিক্ষণ কেন্দ্র আছে সেখানে ড্রোন সংক্রান্ত কৌশল শেখাতে একটি বিশেষ কেন্দ্র তৈরি করা হয়েছে ৷ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের নিয়ন্ত্রণে থাকা বিভিন্ন আধা সামরিক বাহিনীর মধ্যে একমাত্র বিএসএফেরই নিজস্ব প্রশিক্ষণ কেন্দ্র আছে ৷

    ড্রোন প্রশিক্ষণের নানা পদ্ধতি

    নতুন ড্রোন যুদ্ধবিদ্যা স্কুলে জওয়ানদের ড্রোন ওড়ানো, নজরদারি, আক্রমণ এবং শত্রুপক্ষের ড্রোন প্রতিরোধের কৌশল শেখানো হচ্ছে। ভবিষ্যতে সিনিয়র অফিসারদের জন্যও ড্রোন যুদ্ধকৌশল সংক্রান্ত একটি বিশেষ কোর্স চালু করা হবে। শামশের সিং বলেন, “অপারেশন সিন্দুর এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ আমাদের শিখিয়েছে যুদ্ধ শুধু ট্যাঙ্ক আর রাইফেলের নয়, এখন এটি আকাশপথেও হচ্ছে। আমাদের জওয়ানরা যেমন মাত্র ১৫ সেকেন্ডে একটি ইনসাস রাইফেল খুলে আবার জোড়ার দক্ষতা রাখে, তেমনি আমরা চাই ড্রোনকেও তারা যেন তাদের ব্যক্তিগত অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করতে পারে।” এই স্কুলে দুটি মূল প্রোগ্রাম চালু হয়েছে— ‘ড্রোন কমান্ডো’ (জওয়ানদের জন্য) এবং ‘ড্রোন ওয়ারিয়র’ (অফিসারদের জন্য)। স্কুলটি তিনটি শাখায় বিভক্ত— ফ্লাইং অ্যান্ড পাইলটিং, ট্যাকটিক্স (প্রতিরক্ষা ও আক্রমণ কৌশল) এবং গবেষণা ও উন্নয়ন। প্রশিক্ষণের বিষয়ে স্কুলের ট্রেনিং প্রধান ব্রিগেডিয়ার রুপিন্দর সিং জানান, কোর্সে ফ্লাইং, কারিগরি এবং কৌশলগত বিভিন্ন মডিউল অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। বিএসএফ অ্যাকাডেমির আইজি উমেদ সিং জানান, সব প্রশিক্ষণ কোর্সেই এখন থেকে ড্রোন সংক্রান্ত ওরিয়েন্টেশন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

  • Airspace Ban on Pakistan: পাকিস্তানের জন্য নিজেদের আকাশসীমা বন্ধ রাখার মেয়াদ বৃদ্ধি করল ভরত

    Airspace Ban on Pakistan: পাকিস্তানের জন্য নিজেদের আকাশসীমা বন্ধ রাখার মেয়াদ বৃদ্ধি করল ভরত

    মাধ্যম নিউ ডেস্ক: পাকিস্তানের জন্য আকাশসীমা (Airspace Ban on Pakistan) বন্ধই রাখল ভারত। এই নিয়ে একটি নতুন নোটাম (NOTAM) জারি করে ভরত আবারও পাকিস্তানের-নিবন্ধিত বিমানের আকাশসীমা ব্যবহারের উপর নিষেধাজ্ঞা ২৩ অক্টোবর, ২০২৫ পর্যন্ত বাড়িয়েছে। জারি করা নোটাম অনুসারে, এই নিষেধাজ্ঞা কেবল পাকিস্তানি এয়ারলাইন্সের বিমানের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য হবে না, বরং পাক অপারেটরদের দ্বারা পরিচালিত বিমান বা ভাড়া করা বিমান এমনকি সামরিক বিমানের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে।

    পাক বিমানের জন্য ভারতের আকাশসীমা বন্ধ

    আবারও পাকিস্তানের-নিবন্ধিত বিমানের (Airspace Ban on Pakistan) আকাশসীমা ব্যবহারের উপর নিষেধাজ্ঞা ২৩ অক্টোবর, ২০২৫ পর্যন্ত বাড়িয়েছে। জারি করা NOTAM অনুসারে, এই নিষেধাজ্ঞা কেবল পাকিস্তানি এয়ারলাইন্সের বিমানের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য হবে না, বরং পাকিস্তানি অপারেটরদের দ্বারা পরিচালিত বিমান বা ভাড়া করা বিমান এমনকি সামরিক বিমানের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে। কাশ্মীরে জঙ্গি হামলার পাল্টা পাকিস্তানের বিরুদ্ধে একের পর এক পদক্ষেপ করেছে ভারত। সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিত করা হয়েছে। বাতিল করা হয়েছে ভিসা। এই আবহে পাকিস্তানের জন্য বন্ধ করা হয়েছে আকাশসীমা।

    আগামী ২৩ অক্টোবর পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা জারি

    পহেলগাঁও হামলার পরেই ভারতীয় বিমানের জন্য নিজেদের আকাশসীমা বন্ধ করেছিল পাকিস্তানও। সেই মেয়াদ আরও এক মাস বাড়িয়েছে ইসলামাবাদ। এই নিয়ে ছ’বার ভারতের জন্য আকাশসীমা বন্ধ রাখার মেয়াদ বৃদ্ধি করেছে পাকিস্তান। শুক্রবারই নতুন করে ভারতের জন্য আকাশসীমা বন্ধ (Airspace Ban on Pakistan) রাখার সময়সীমা বৃদ্ধি করেছে ইসলামাবাদ। এই নিয়ে একটি নতুন নোটাম (NOTAM) জারি করে পাকিস্তান এয়ারপোর্ট অথরিটি। ওই নোটাম বা নোটিস টু এয়ারম্যানে জানানো হয়েছে, আগামী ২৩ অক্টোবর পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা জারি থাকবে। জানিয়ে দেওয়া হয়েছে ওই সময় পর্যন্ত ভারতের কোনও বিমান পাকিস্তানের ওপর দিয়ে যেতে পারবে না। এবার ভারতও একই সিদ্ধান্ত নিল। এই নিয়ে ষষ্ঠবার দুই দেশ একে অপরের জন্য আকাশসীমা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিল। উল্লেখ্য,গত ২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলায় মৃত্যু হয় ২৬ জনের। এর পর থেকেই উভয় দেশ একে অপরের জন্য তাদের আকাশসীমা বন্ধ করে দেয়। সময়সীমা শেষ হওয়ার আগে ভারত ও পাকিস্তান প্রতি মাসে পারস্পরিক বন্ধের সময়সীমা বাড়িয়েছে।

  • Sukanta Majumdar: সুকান্তকে কেন আটকেছিল পুলিশ? কলকাতা বিমানবন্দরের ঘটনায় কড়া পদক্ষেপ লোকসভার সচিবালয়ের

    Sukanta Majumdar: সুকান্তকে কেন আটকেছিল পুলিশ? কলকাতা বিমানবন্দরের ঘটনায় কড়া পদক্ষেপ লোকসভার সচিবালয়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত ১৫ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কলকাতা সফরের দিন বিমানবন্দরে কেন আটকানো হয়েছিল কেন্দ্রীয় রাষ্ট্রমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদারকে? কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের কাছে জানতে চাইল লোকসভার সচিবালয়। সেদিন ঠিক কী ঘটেছিল? এবার তা জানতে চেয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক রাজ্যকে রিপোর্ট তলব করবে। ১৫ দিনের মধ্যে এই নিয়ে জবাব চাওয়া হয়েছে। সুকান্ত মজুমদার রাজ্য পুলিশের বিরুদ্ধে স্বাধিকার ভঙ্গের অভিযোগ তুলে লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লাকে চিঠি দেওয়ার পর এই পদক্ষেপ করেছে লোকসভার সচিবালয়। চিঠির প্রতিলিপি পাঠানো হয়েছে রাজ্যের মুখ্যসচিব, রাজ্য পুলিশের ডিজি এবং বিধাননগরের পুলিশ কমিশনারকে।

    সুকান্তর অভিযোগ

    ওম বিড়লাকে লেখা চিঠিতে সুকান্ত মজুমদার লিখেছেন, প্রধানমন্ত্রীকে বিদায় জানাতে তিনি গত ১৫ সেপ্টেম্বর কলকাতা বিমানবন্দরে গিয়েছিলেন। কিন্তু, বিমানবন্দরে প্রথম ব্যারিকেডেই তাঁর গাড়ি আটকান একজন সাব ইন্সপেক্টর এবং একজন কনস্টেবল। কিন্তু, একই সময়ে পশ্চিমবঙ্গের মন্ত্রী সুজিত বসুর গাড়িকে ৪ নম্বর ভিভিআইপি গেট দিয়ে যেতে দেওয়া হয়। কোনও বাধাই দেওয়া হয়নি। সুকান্ত চিঠিতে আরও লেখেন, তাঁকে আটকানোর কারণ জানতে চাইলে ওই পুলিশকর্মীরা জানান, বিধাননগরের পুলিশ কমিশনার ঐশ্বর্য সাগরের নির্দেশে এই কাজ করেছেন। সুকান্ত মজুমদারের অভিযোগ, এতে স্পষ্ট যে ইচ্ছাকৃতভাবে তাঁকে আটকানো হয়েছে। স্বাধিকার ভঙ্গ ও লোকসভার মর্যাদাহানির অভিযোগ করেন তিনি। এই নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন জানান।

    শোকপ্রকাশ কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীর

    মঙ্গলবার সকালে জলমগ্ন কলকাতায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনায় শোকপ্রকাশ করলেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। সমাজমাধ্যমে তিনি লিখেছেন, ‘‘শহর কলকাতা ও সংলগ্ন এলাকায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে একাধিক মানুষের মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনায় আমি গভীরভাবে শোকাহত। এই শোকের সময় নিহতদের পরিবারবর্গের প্রতি জানাই আমার আন্তরিক সমবেদনা।’’ সেই সঙ্গে তিনি বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার কাছে অনুরোধ করেছেন, সাময়িক ভাবে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে প্রশাসনের সহযোগিতায় দ্রুত উদ্ধারকার্য শুরু করতে। সেই সঙ্গে রাজ্য সরকারের কাছেও আপৎকালীন পরিস্থিতি মোকাবিলায় দৃঢ় পদক্ষেপ করার আহ্বান জানিয়েছেন।

  • Ujjwala Yojana: চলতি অর্থবর্ষে প্রধানমন্ত্রী উজ্জ্বলা যোজনায় আরও ২৫ লাখ এলপিজি সংযোগ

    Ujjwala Yojana: চলতি অর্থবর্ষে প্রধানমন্ত্রী উজ্জ্বলা যোজনায় আরও ২৫ লাখ এলপিজি সংযোগ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলতি অর্থবর্ষে (২০২৫–২৬) প্রধানমন্ত্রী উজ্জ্বলা যোজনা (PMUY)-এর আওতায় অতিরিক্ত ২৫ লাখ এলপিজি সংযোগ (New LPG Connections) দেওয়া হবে। সোমবারই একথা ঘোষণা করেছে শক্তি ও প্রাকৃতিক গ্যাস মন্ত্রক। এর ফলে উজ্জ্বলা যোজনার (Ujjwala Yojana) আওতায় মোট সংযোগের সংখ্যা দাঁড়াবে ১০.৫৮ কোটিতে। এই সংযোগের জন্য সরকার মোট ৬৭৬ কোটি টাকা ব্যয় অনুমোদন করেছে। এর মধ্যে ৫১২.৫ কোটি টাকা ব্যয় হবে ২৫ লক্ষ জামানতমুক্ত সংযোগ প্রদানে (প্রতি সংযোগের জন্য ২,০৫০ টাকা হারে) এবং ১৬০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে ভর্তুকি হিসেবে। মনে রাখতে হবে, ১৪.২ কেজির প্রতিটি গৃহস্থ এলপিজি সিলিন্ডারে ৩০০ টাকা করে ভর্তুকি দেওয়া হবে। একজন গ্রাহক বছরে সর্বোচ্চ ৯ বার এই ভর্তুকি পেতে পারবেন। ৫ কেজির সিলিন্ডারের ক্ষেত্রে ভর্তুকির পরিমাণ একটি নির্দিষ্ট অনুপাতে নির্ধারিত হবে।

    প্রধানমন্ত্রী উজ্জ্বলা যোজনা (Ujjwala Yojana)

    প্রধানমন্ত্রী উজ্জ্বলা যোজনার আওতায় উপভোক্তারা পান একটি ডিপোজিট-মুক্ত এলপিজি সংযোগ। এর মধ্যে থাকে সিলিন্ডারের সুরক্ষা বাবদ জামানত, প্রেশার রেগুলেটর, সুরক্ষা হোস, ডোমেস্টিক গ্যাস কনজিউমার কার্ড বুকলেট এবং ইনস্টলেশন চার্জ। প্রথমবারের রিফিল এবং ওভেনও সম্পূর্ণ বিনামূল্যে দেওয়া হয়। উপভোক্তাদের এলপিজি সংযোগ, প্রথম রিফিল কিংবা ওভেনের জন্য কানাকড়িও দিতে হয় না।

    সিলিন্ডার সংযোগ বেছে নেওয়ার সুযোগ

    উপভোক্তারা চাইলে ১৪.২ কেজি একক সিলিন্ডার সংযোগ, ৫ কেজি একক সিলিন্ডার সংযোগ অথবা ৫ কেজি ডাবল সিলিন্ডার সংযোগ বেছে নিতে পারেন। আরও স্বচ্ছতা ও সহজলভ্যতা নিশ্চিত করতে এই যোজনার আওতায় এলপিজি সংযোগ পাওয়ার প্রক্রিয়াটি সহজীকরণ ও প্রযুক্তি-নির্ভর করা হয়েছে বলে মন্ত্রকের তরফে জারি করা এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে (Ujjwala Yojana)।

    প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের মে মাসে শুরু হওয়া প্রধানমন্ত্রী উজ্জ্বলা যোজনার প্রাথমিক লক্ষ্য ছিল ৮ কোটি জামানত-মুক্ত এলপিজি সংযোগ দেওয়া। বাকি দরিদ্র পরিবারগুলির জন্য ২০২১ সালের অগাস্টে চালু করা হয় উজ্জ্বলা ২.০। পরে সরকার অতিরিক্ত ৬০ লাখ সংযোগ (New LPG Connections) অনুমোদন করে। ২০২৪ সালের জুলাই মাসে আরও ৭৫ লাখ সংযোগ দেওয়া হয়। ২০২৫ সালের জুলাই মাস পর্যন্ত পিএমইউওয়াই সংযোগ দেওয়া হয়েছে ১০.৩৩ কোটিরও বেশি (Ujjwala Yojana)।

  • Rajnath Singh: “পাক অধিকৃত কাশ্মীর খুব শীঘ্রই ভারতের অংশ হয়ে যাবে,” মরক্কোয় বললেন রাজনাথ

    Rajnath Singh: “পাক অধিকৃত কাশ্মীর খুব শীঘ্রই ভারতের অংশ হয়ে যাবে,” মরক্কোয় বললেন রাজনাথ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীর (POK) খুব শীঘ্রই ভারতের অংশ হয়ে যাবে।” অন্তত এমনই দাবি করলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং (Rajnath Singh)। তিনি জানান, পাক অধিকৃত কাশ্মীরকে ভারতের সঙ্গে যুক্ত করার জন্য আক্রমণ করার প্রয়োজনও পড়বে না। তাঁর দাবি, ভারতের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার দাবি তুলেছেন সেখানকার মানুষই।

    পাক অধিকৃত কাশ্মীর (Rajnath Singh)

    দু’দিনের সফরে রবিবার মরক্কোয় গিয়েছেন রাজনাথ। সেখানে তিনি দেখা করেন সে দেশে বসবাসকারী ভারতীয়দের সঙ্গে। সেই সময় প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, “পাক অধিকৃত কাশ্মীর খুব শীঘ্রই ভারতের অংশ হবে। সেখানকার মানুষ ইতিমধ্যেই সেই দাবি তুলতে শুরু করেছেন।” তিনি আরও বলেন, “পাঁচ বছর আগে আমি কাশ্মীর উপত্যকায় ভারতীয় সেনার এক অনুষ্ঠানে বলেছিলাম পাক অধিকৃত কাশ্মীর দখল করতে আমাদের আক্রমণ করার প্রয়োজন নেই। ওটা এমনিতেই আমাদের হবে। পাক অধিকৃত কাশ্মীরের বাসিন্দারাই বলবেন, আমরা ভারতের অংশ। ওই দিন আসতে চলেছে।” রাজনাথ বলেন, “সেখানকার মানুষই বর্তমান প্রশাসনের কাছে স্বাধীনতার দাবি তুলেছেন। পিওকের সেই স্লোগান আপনারাও নিশ্চয়ই শুনেছেন।”

    ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ

    ভারত বরাবরই পাক অধিকৃত কাশ্মীরকে নিজেদের অবিচ্ছেদ্য অংশ বলে দাবি করে আসছে। কেন্দ্রের শাসকদল বিজেপির একাধিক নেতা-মন্ত্রীকেও বলতে শোনা গিয়েছে, খুব শীঘ্রই পাক অধিকৃত কাশ্মীরকে ভারতের সঙ্গে যুক্ত করা হবে। গত বছর এ প্রসঙ্গে ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করও বলেছিলেন, “পিওকে (পাক অধিকৃত কাশ্মীর) কখনওই ভারতের বাইরের অংশ ছিল না। সেটি এই দেশের অংশ। ভারতীয় সংসদের একটি রেজোলিউশন রয়েছে, যাতে বলা আছে, পিওকে ভারতেরই অংশ। এখন অন্যের কাছে পিওকের নিয়ন্ত্রণ কী করে গেল, তা আলোচনার বিষয়।”

    কী বললেন রাজনাথ

    এদিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, “কেন্দ্রীয় সরকার ৭ মে অপারেশন সিঁদুর চালানোর সময় পিওকে দখলের সুযোগ হাতছাড়া করেছে বলে অভিযোগ করেছিলেন বিরোধীরা। বিভিন্ন বিরোধী দলের বহু নেতা সমালোচনা করেছিলেন এই বলে যে ভারত একাধিক পাকিস্তানি যুদ্ধবিমান ধ্বংস করার পরেও যখন ভারতের প্রাধান্য ছিল, তখন কেন্দ্র কেন যুদ্ধবিরতিতে রাজি হল। তাঁদের দাবি ছিল, তখন পাকিস্তান অধিকৃত ভূখণ্ড দখল করার যথেষ্ট সুযোগ ছিল।”

    গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক

    প্রসঙ্গত (Rajnath Singh), মরক্কোয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী বেরেশিদে টাটা অ্যাডভান্সড সিস্টেমসের নয়া উৎপাদন কারখানার উদ্বোধন করবেন। এখানে হুইলড আর্মার্ড প্ল্যাটফর্ম ৮*৮ তৈরি হবে। এটি আফ্রিকায় ভারতের প্রথম প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম উৎপাদন কেন্দ্র হিসেবে চিহ্নিত হবে। রাজনাথ মরক্কোর নয়া (POK) উৎপাদন কেন্দ্রটিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে অভিহিত করেন। তাঁর মতে, এটি ভারতের প্রতিরক্ষা শিল্পের ক্রমবর্ধমান বৈশ্বিক উপস্থিতিকে প্রতিফলিত করে। উল্লেখ্য, এটি ভারতের কোনও প্রতিরক্ষামন্ত্রীর মরক্কো সফরের প্রথম ঘটনা। তিনি মরক্কোর প্রতিরক্ষামন্ত্রী আবদেলতিফ লৌদিয়ির সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকও করবেন।

    মউ স্বাক্ষর

    রাজনাথের এই সফরে ভারত ও মরক্কো প্রতিরক্ষা খাতে সহযোগিতার বিষয়ে একটি মউ স্বাক্ষর করবে বলে আশা করা হচ্ছে। এটি দ্বিপাক্ষিক প্রতিরক্ষা সম্পর্ক আরও প্রসারিত ও গভীর করার জন্য একটি প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো দেবে, যার মধ্যে থাকবে বিনিময়, প্রশিক্ষণ ও শিল্পখাতের সংযোগ। সাম্প্রতিক বছরগুলিতে ভারতীয় নৌবাহিনীর জাহাজগুলি নিয়মিতভাবে কাসাব্লাঙ্কা বন্দরে নোঙর করছে। এই চুক্তি সেই সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করবে।

    অপারেশন সিঁদুর

    অপারেশন সিঁদুর নিয়েও মুখ খুলেছেন রাজনাথ (Rajnath Singh)। তিনি বলেন, “চাইলে আমরা (পাকিস্তানের) যে কোনও সেনাঘাঁটি বা লোকালয়ে হানা দিতে পারতাম। কিন্তু আমরা সেটা চাইনি। ভারতকে আমরা নীতিবিচ্যুত হতে দিইনি।” পহলেগাঁওয়ে ধর্ম পরিচয় জেনে জঙ্গিরা গুলি চালিয়েছিল বলে অভিযোগ ওঠে। সে প্রসঙ্গ উল্লেখ করে রাজনাথ বলেন, “আমরা কাউকে ধর্ম পরিচয়ের জন্য হত্যা করিনি। হত্যা করেছি তাদের কাজকর্মের জন্য।” অপারেশন সিঁদুর ফের যে কোনও দিন শুরু হতে পারে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন রাজনাথ। তিনি বলেন, “ভারত যে কোনও সময় অপারেশন সিঁদুরের দ্বিতীয় বা তৃতীয় ধাপ শুরু করতে পারে। পাকিস্তান যদি জঙ্গি হামলা চালানোর বা অনুপ্রবেশকারীদের পাঠানোর সাহস দেখায়, তাহলে ভারত আবারও অপারেশন সিঁদুর শুরু করতে দ্বিধা করবে না (POK)।”

    প্রসঙ্গত, দীর্ঘদিন ধরে ইসলামাবাদের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফুঁসছেন পাক অধিকৃত কাশ্মীরের বাসিন্দারা। তাঁদের অভিযোগ, সেখানে পর্যাপ্ত খাবার নেই, মিলছে না প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রও। বেহাল দশা শিক্ষা ব্যবস্থার। তার ওপর চাপানো হয়েছে মোটা অঙ্কের কর। তাই তাঁরা পাক সরকারের শাসনে থাকতে রাজি নন (Rajnath Singh)।

  • SIR: ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যেই এসআইআর-এর সব প্রস্তুতি শেষ করতে হবে, নির্দেশ কমিশনের

    SIR: ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যেই এসআইআর-এর সব প্রস্তুতি শেষ করতে হবে, নির্দেশ কমিশনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশজুড়ে হবে ভোটার তালিকার নিবিড় সংশোধন বা স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশন (SIR)। প্রত্যেক রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক নিয়ে ইতিমধ্যে প্রস্তুত থাকতে বলেছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। কমিশনের সাফ কথা, ৩০ সেপ্টেম্বর তারিখের মধ্যেই সব রাজ্যের সিইও দফতরগুলিতে যাবতীয় প্রস্তুতি সেরে ফেলতে হবে। দেশজুড়ে ভোটার তালিকা সংশোধনের চারটি মূল উদ্দেশ্যে। প্রথম) মৃত ভোটারদের নাম বাদ। দ্বিতীয়) একাকধিক জায়গায় একই ব্যক্তির নাম থাকলে বাদ। তৃতীয়) ঠিকানা বদল হয়েছে এমন ব্যক্তির নাম বাদ। এবং চতুর্থ) অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের নাম ভোটার লিস্ট থেকে বাদ দিয়ে নিবিড় সংশোধন করতে চায় নির্বাচন কমিশন। এই কাজের জন্যই রণংদেহি মুডে ময়দানে নেমে পড়েছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন (Election Commission)।

    অক্টোবর-নভেম্বর মাস থেকেই শুরু এসআইআর

    কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী অক্টোবর-নভেম্বর মাস থেকে বিশেষ নিবিড় সমীক্ষার (SIR) কাজ শুরু হবে। তাই চলতি মাসের ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সিইও-দের প্রস্তুতি শেষ করতে বলেছে নির্বাচন কমিশন। সম্প্রতি দিল্লিতে জাতীয় নির্বাচন কমিশন, রাজ্যের প্রধান নির্বাচনী আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠকও করেছে। সেখান থেকেই রাজ্যগুলিতে ১০-১৫ দিনের এসআইআর-এর কাজের সবরকম প্রস্তুতিকে শেষ করার কথা বলা হয়েছিল। এইবার দিনক্ষণ বেধে দিয়ে চূড়ান্ত সময়ে প্রস্তুতির কাজ শেষ করতে বলেছে নির্বাচন কমিশন (Election Commission)।

    পশ্চিমবঙ্গে শেষবার এসআইআর হয়েছিল ২০০৩ সালে

    কমিশন আরও জানিয়েছে, গতবারের এসআইআর-এর (SIR) সাপেক্ষে প্রত্যেক রাজ্যে ভোটার তালিকা প্রকাশ করার কথা বলা হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ ও দিল্লি সহ একাধিক রাজ্যে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকদের দফতরে ইতিমধ্যে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে শেষবার এসআইআর হয়েছিল ২০০৩ সালে, দিল্লিতে হয়েছিল ২০০৮ সালে, উত্তরাখণ্ডে হয়েছিল ২০০৬ সালে। ইতিমধ্যে কমিশন ১১টি নথি দিয়ে ভোটারদের নাম তোলার বিষয়কে নিশ্চিত কোর্টে বলা হয়েছে। এবার সুপ্রিম কোর্ট আধারকে যুক্ত করার পরামর্শ দিয়েছে। যদিও মামলার আগামী শুনানি অক্টোবরের প্রথমে হলে আধার গ্রহণ হবে কিনা চূড়ান্ত হবে।

    অনুপ্রবেশকারীরা যাতে ভোট দিতে না পারে

    ২০২৬ সালে পশ্চিমবঙ্গ, অসম, পুদুচেরি এবং তামিলনাড়ুতে বিধানসভা নির্বাচন। তাই এই নির্বাচনে অবৈধ অনুপ্রবেশকারীরা যাতে ভোট দিতে না পারে এবং নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী না হতে পারে, তা নিয়েও কমিশন আগেই কড়া অবস্থানের কথা জানিয়ে দিয়েছে। তবে সমীক্ষার (SIR) মূল উদ্দেশ্য ভোটারদের জন্মস্থান যাচাই করে নাম তোলা হবে। অপারেশন সিঁদুরের পর গোটা দেশজুড়ে অবৈধ অনুপ্রবেশকারী বাংলাদেশি, রোহিঙ্গা এবং পাকিস্তানিদের ব্যাপক ভাবে ধরপাকড়ের খবর উঠে আসছে। আর তাই কমিশন ভোটার তালিকা সংশোধনে ব্যাপক তৎপর।

LinkedIn
Share