Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Rajasthan: সত্যিই বইত সরস্বতী! ঋগ্বেদে উল্লিখিত নদীর হদিশ পেলেন পুরাতত্ত্ববিদরা, জানুন বিশদে

    Rajasthan: সত্যিই বইত সরস্বতী! ঋগ্বেদে উল্লিখিত নদীর হদিশ পেলেন পুরাতত্ত্ববিদরা, জানুন বিশদে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হদিশ মিলল ঋগ্বেদে উল্লিখিত সরস্বতী নদীর! ভারতের পুরাতাত্ত্বিক সর্বেক্ষণ (এএসআই) রাজস্থানের দীগ জেলার বাহাজ গ্রামে ২৩ মিটার গভীরে একটি পুরানো নদীধারা (এএসআইয়ের ভাষায়, পালিওচ্যানেল) খুঁড়ে বের করেছে। ইতিহাসবিদ এবং প্রত্নতাত্ত্বিকদের একাংশ একে ঋগ্বেদে উল্লিখিত (Rajasthan) পৌরাণিক সরস্বতী নদী বলে উল্লেখ করেছেন। খনন কার্য শুরু হয় ২০২৪ সালের এপ্রিল মাসে। শেষ হয় চলতি (Saraswati River) বছরের মে মাসে। এই খনন কার্যের ফলে ৩৫০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ থেকে ১০০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ পর্যন্ত সময়ে এই নদীর তীরে জনবসতিরও প্রমাণ মিলেছে।

    সরস্বতী অববাহিকা (Rajasthan)

    এখানে যেসব নিদর্শন পাওয়া গিয়েছে, তার অধিকাংশই কুষাণ, মগধ এবং শুঙ্গ রাজবংশের সময়ের। এদের মধ্যে সব চেয়ে উল্লেখযোগ্য আবিষ্কার হল পালিওচ্যানেলটি। এএসআইয়ের জয়পুর বিভাগের সুপারিনটেন্ডিং আর্কিওলজিস্ট বিনয় গুপ্ত বারাণসী হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অনুষ্ঠানে বলেন, “এই প্রাচীন নদী ব্যবস্থা প্রাথমিক মানব বসতিগুলিকে পুষ্টি জুগিয়েছিল এবং বাহাজকে বৃহত্তর সরস্বতী অববাহিকা সংস্কৃতির সঙ্গে যুক্ত করেছিল।” পালিওচ্যানেলটিকে একটি অভূতপূর্ব আবিষ্কার হিসেবে বর্ণনা করে তিনি বলেন, “এটি প্রমাণ করে যে এই অঞ্চলে প্রাচীন জল ব্যবস্থার ওপর নির্ভর করে একটি সভ্যতা বিকাশ লাভ করেছিল।”

    কী বলছেন ইতিহাসবিদরা

    মথুরা থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার দূরে বাহাজ গ্রাম। এই জায়গার সংরক্ষণ নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে সংস্কৃতিমন্ত্রকে একটি রিপোর্ট জমা দিয়েছে এএসআই। অন্যান্য আবিষ্কারের মধ্যে রয়েছে মাটির খুঁটি সহ আবাসিক কাঠামোর অবশিষ্টাংশ, প্রাচীরযুক্ত খাত, চুল্লি এবং নানা ধরণের লোহা ও তামার নিদর্শন। ইতিহাসবিদদের মতে, মাইক্রোলিথিক সরঞ্জাম বা ক্ষুদ্র পাথরের যন্ত্রপাতি থেকে বোঝা যায় যে এই বসতির শেকড় প্রাক-হোলোসিন যুগ পর্যন্ত বিস্তৃত (Rajasthan)। গত মাসে দীগে এক প্রত্নবস্তুর প্রদর্শনী চলাকালীন গুপ্ত বলেন, “চুল্লি ও ধাতব বস্তু আবিষ্কারের মাধ্যমে বোঝা যায়, এখানকার বাসিন্দারা ধাতুবিদ্যায় যথেষ্ট উন্নত জ্ঞানের অধিকারী ছিলেন।”

    খননকারী দলের খুঁজে পাওয়া আধ্যাত্মিক নিদর্শনের মধ্যে রয়েছে ১৫টি যজ্ঞকুণ্ড, শক্তি উপাসনার জন্য উৎসর্গীকৃত মানতের জলাধার এবং শিব ও পার্বতীর টেরাকোটার মূর্তি, যেগুলির ইতিহাস কমপক্ষে খ্রিস্টপূর্ব ১০০০ সাল পর্যন্ত প্রসারিত। পুরাতত্ত্ববিদরা চারটি সিলও খুঁজে পেয়েছেন। এর মধ্যে দুটি ব্রাহ্মী লিপিতে (Saraswati River) খোদাই করা। এগুলিকে উপমহাদেশে ব্রাহ্মী লিপির সবচেয়ে প্রাচীন নিদর্শন বলে মনে করা হয়। গুপ্ত বলেন, “বাহাজের এই খননকার্য ভারতের প্রাচীন ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়গুলোকে ফের লেখার দাবি রাখে (Rajasthan)।”

  • Pakistani Spy: অপারেশন সিঁদুর-এর সময়ে পাকিস্তানে তথ্য পাচার, গ্রেফতার নৌসেনা কর্মী

    Pakistani Spy: অপারেশন সিঁদুর-এর সময়ে পাকিস্তানে তথ্য পাচার, গ্রেফতার নৌসেনা কর্মী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানের হয়ে চরবৃত্তির (Pakistani Spy) অভিযোগে ভারতীয় নৌসেনার এক কর্মীকে গ্রেফতার করা হল। অপারেশন সিঁদুর অভিযান চলার সময়ে পাকিস্তানকে তথ্য সরবরাহ করার অভিযোগ উঠেছে বিশাল যাদব নামে নৌবাহিনীর ওই কর্মীর বিরুদ্ধে। নৌসেনার দিল্লির সদর দফতরে কর্মরত ওই কর্মী পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই-এর ‘স্পাই’ হয়ে কাজ করত বলে অভিযোগ।

    ‘হানি ট্র্যাপের’ কবলে

    পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতের নাম বিশাল যাদব। নৌসেনার সদর দফতরে ক্লার্ক হিসেবে কর্মরত ছিল বিশাল। তাকে গ্রেফতার করেছে রাজস্থানের গোয়েন্দা শাখা। পুলিশের তরফে জানানো হয়, হরিয়ানার বাসিন্দা বিশাল প্রথমে ‘হানি ট্র্যাপের’ কবলে পড়ে। সে দীর্ঘদিন ধরেই পাকিস্তানকে গোপন তথ্য সরবরাহ করত। অপারেশন সিঁদুর অভিযান চলার সময়েও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য তার মাধ্যমেই পেয়েছে আইএসআই। পুলিশের দাবি, তার মোবাইল ফোন ঘেঁটেই এই কথা জানা গিয়েছে। বিশাল যাদব টাকার বিনিময়ে নৌবাহিনী এবং অন্যান্য প্রতিরক্ষা ইউনিট সম্পর্কিত গোপন তথ্য এক মহিলাকে সরবরাহ করেছিল। ওই মহিলা তার ‘পাকিস্তানি হ্যান্ডলার’ ছিল।

    সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে যোগাযোগ

    পুলিশ আধিকারিক বিষ্ণুকান্ত গুপ্ত জানিয়েছেন, রাজস্থানের সিআইডির গোয়েন্দা ইউনিট কারা পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থাগুলির হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির কাজ করছে তার ওপর ক্রমাগত নজর রাখছে। এই কাজ করতে গিয়ে বিশাল যাদবের কাজ সম্পর্কে জানা গিয়েছে। তখনই জানা যায় যে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থার ওই মহিলার সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ ছিল বিশালের। পুলিশের দাবি, ওই মহিলা নিজেকে প্রিয়া শর্মা বলে পরিচয় দিত। বিশালের কাছ থেকে কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ গোপন তথ্য জানার জন্য তাকে নিয়মিত টাকাও দিত ওই মহিলা।

    টাকা নিয়ে তথ্য পাচার

    প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, অনলাইন গেমসে আসক্ত ছিল বিশাল। খেলায় হেরে যাওয়ার পরে তার টাকার দরকার পড়ত। তার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ক্রিপটোকারেন্সি ট্রেডিং অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে টাকা জমা পড়ত বলেও জানা গিয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, এখন জয়পুরে নিয়ে গিয়ে বিশালকে জেরা করছে বিভিন্ন গোয়েন্দা বিভাগের আধিকারিকরা। এই চক্রের সঙ্গে আরও কারা জড়িত এবং কোন কোন তথ্য বিশাল ওই মহিলার মাধ্যমে পাকিস্তানে পাচার করেছে তা জানতে তৎপর গোয়েন্দারা। পহেলগাঁও কাণ্ড এবং অপারেশন সিঁদুর পরবর্তী সময়ে পাকিস্তানের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে বেশ কয়েক জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের মধ্যে বেশির ভাগই পাঞ্জাব, হরিয়ানা এবং উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা। পাক গুপ্তচর-যোগের অভিযোগে ধৃত নেট-প্রভাবী জ্যোতি মালহোত্রার ভূমিকাও তদন্তকারীদের নজরে রয়েছে। এরই মধ্যে নৌসনার অফিসে কর্মরত বিশালের গ্রেফতারিতে পাক গুপ্তচর-যোগের তদন্তে আরও নতুন তথ্য উঠে আসতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

  • PM Modi: জরুরি অবস্থা জারির ‘সুবর্ণ জয়ন্তী’, কংগ্রেসকে শানিত আক্রমণ প্রধানমন্ত্রীর

    PM Modi: জরুরি অবস্থা জারির ‘সুবর্ণ জয়ন্তী’, কংগ্রেসকে শানিত আক্রমণ প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৯৭৫ সালের ২৫ জুন দেশজুড়ে জারি হয়েছিল জরুরি অবস্থা। আজ, বুধবার ওই দিনটির পঞ্চাশ বছর পূর্তি। দিনটিকে প্রধানমন্ত্রী কংগ্রেসের ষড়যন্ত্রের একটি প্রধান উদাহরণ বলে বর্ণনা করেন। তিনি একে ভারতের গণতান্ত্রিক ইতিহাসের (Emergency) অন্যতম অন্ধকার অধ্যায় বলে আখ্যায়িত করেন। তিনি (PM Modi) বলেন, “কংগ্রেস কর্তৃক জরুরি অবস্থা জারির মাধ্যমে শুধু সংবিধানের আত্মাকেই লঙ্ঘন করা হয়নি, গণতন্ত্রকে বন্দি করে রাখা হয়েছিল।”

    প্রধানমন্ত্রীর পোস্ট (PM Modi)

    এদিন এক্স হ্যান্ডেলে একাধিক পোস্ট করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। একটিতে লেখেন, “কোনও ভারতীয় কখনও ভুলবে না কীভাবে আমাদের সংবিধানের চেতনাকে পদদলিত করা হয়েছিল, সংসদের কণ্ঠ রোধ করা হয়েছিল এবং আদালতগুলোকেও নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা হয়েছিল। ৪২তম সংশোধন তাদের (কংগ্রেসের) ষড়যন্ত্রের এক প্রধান নিদর্শন। দরিদ্র, প্রান্তিক ও নিপীড়িত মানুষদের বিশেষভাবে টার্গেট করা হয়েছিল, তাঁদের মর্যাদাকেও অপমান করা হয়েছিল।” ১৯৭৫ সালের ২৫ জুন থেকে ১৯৭৭ সালের ২১ মার্চ – এই একুশ মাস দেশে জারি ছিল জরুরি অবস্থা। প্রধানমন্ত্রী ছিলেন কংগ্রেসের ইন্দিরা গান্ধী। এই পর্বে দেশে এক দমনপীড়নের ঢেউ নেমে এসেছিল। লাখ লাখ মানুষকে বিনা কারণে কারাবন্দি করা হয়। স্তব্ধ করে দেওয়া হয় সংবাদমাধ্যমের কণ্ঠ। এই ‘এমার্জেন্সি’র সময় নাগরিকদের মৌলিক অধিকারও কেড়ে নেওয়া হয়েছিল, ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল দেশের গণতান্ত্রিক কাঠামো।

    কী লিখলেন প্রধানমন্ত্রী

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) তৎকালীন কংগ্রেস সরকারকে সংবিধানের মূল চেতনা লঙ্ঘনের, মৌলিক অধিকার স্থগিত করার, সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা দমন করার এবং রাজনৈতিক নেতা, সমাজকর্মী, ছাত্রছাত্রী ও সাধারণ নাগরিকদের জেলে পাঠানোর জন্য কাঠগড়ায় তোলেন। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, “আজ থেকে ঠিক পঞ্চাশ বছর আগে, ভারতের গণতান্ত্রিক ইতিহাসের এক অন্ধকারতম অধ্যায় শুরু হয়েছিল — এমার্জেন্সি জারি করা হয়েছিল। দেশবাসী এই দিনটিকে ‘সংবিধান হত্যা দিবস’ হিসেবে স্মরণ করে। এই দিনে ভারতের সংবিধানে লিপিবদ্ধ মূল্যবোধকে পদদলিত করা হয়েছিল, মৌলিক অধিকার স্থগিত করা হয়েছিল, সংবাদমাধ্যমের কণ্ঠরোধ করা হয়েছিল এবং বহু রাজনৈতিক নেতা, সমাজকর্মী, ছাত্র ও সাধারণ নাগরিককে কারারুদ্ধ করা হয়েছিল। যেন সেই সময়ের কংগ্রেস সরকার গণতন্ত্রকেই বন্দি করে ফেলেছিল!”

    প্রত্যেক ব্যক্তিকে প্রণাম

    প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন, “আমরা সেই প্রত্যেক ব্যক্তিকে প্রণাম জানাই, যাঁরা জরুরি অবস্থার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অটল ছিলেন! এঁরা ছিলেন ভারতের নানা প্রান্ত থেকে আসা, সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষ, বিভিন্ন মতাদর্শের অনুসারী —যাঁরা একসঙ্গে কাজ করেছেন একটিমাত্র লক্ষ্য নিয়ে: ভারতের গণতান্ত্রিক কাঠামোকে রক্ষা করা এবং সেই আদর্শগুলিকে সংরক্ষণ করা, যাঁদের জন্য আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামীরা তাঁদের জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। তাঁদের সম্মিলিত সংগ্রামের ফলেই তৎকালীন কংগ্রেস সরকারকে গণতন্ত্র পুনঃস্থাপন করতে এবং নতুন নির্বাচন ঘোষণা করতে বাধ্য হতে হয়েছিল, যাতে তারা বিপুল ভোটে হেরে যায় (Emergency)।”

    বিকশিত ভারতের স্বপ্ন

    প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, “আমরা আমাদের সংবিধানে বর্ণিত নীতিগুলোকে ফের একবার আরও মজবুত করার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি। বিকশিত ভারতের স্বপ্ন পূরণে একসঙ্গে কাজ করার অঙ্গীকারও করছি। আমরা যেন উন্নতির নতুন উচ্চতায় পৌঁছাতে পারি এবং গরিব ও প্রান্তিক মানুষের স্বপ্ন পূরণ করতে পারি।” প্রসঙ্গত, ১৯৭৫ সালের ২৫শে জুন তৎকালীন রাষ্ট্রপতি ফকরুদ্দিন আলি আহমেদ সংবিধানের ৩৫২ অনুচ্ছেদের অধীনে অভ্যন্তরীণ অশান্তির আশঙ্কার অজুহাত দেখিয়ে দেশে জরুরি অবস্থা জারি করেন। এই জরুরি অবস্থা ঘোষণার নেপথ্যে ছিল ক্রমবর্ধমান রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং বিচার বিভাগের কিছু পদক্ষেপ, যা শাসক দলের নেতৃত্বের বৈধতার ভিত নাড়িয়ে দিয়েছিল। সরকারের পক্ষ থেকে প্রকাশিত এক প্রেস নোটে কিছু ব্যক্তিকে পুলিশ ও সশস্ত্র বাহিনীকে আদেশ অমান্য করতে উসকানি দেওয়ার অভিযোগও উঠেছিল। এটি ছিল ভারতের ইতিহাসে তৃতীয় জরুরি অবস্থা ঘোষণা। পূর্ববর্তী দুটি জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছিল চিন (১৯৬২) ও পাকিস্তানের (১৯৭১) সঙ্গে ভারতের যুদ্ধের সময় (PM Modi)।

    জরুরি অবস্থা

    প্রসঙ্গত, আজ থেকে ৫০ বছর আগে দেশে জারি হয়েছিল জরুরি অবস্থা। সেই সময় প্রধানমন্ত্রী ছিলেন ইন্দিরা গান্ধী। নির্বাচনে অসদুপায় অবলম্বনের অভিযোগে এলাহাবাদ হাইকোর্ট তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করেছিল। ছ’বছরের জন্য সংসদ থেকে বহিষ্কারও করা হয়েছিল তাঁকে। তার পরেই দেশে জারি হয় জরুরি অবস্থা (Emergency)। কেবল প্রধানমন্ত্রীই নন, বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করও জরুরি অবস্থার ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে একটি পোস্ট করেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। তিনিও এই দিনটিকে ভারতের ইতিহাসে একটি বেদনাদায়ক অধ্যায় হিসেবে উল্লেখ করেন। এ ছাড়াও মঙ্গলবার দিল্লির প্রধানমন্ত্রী সংগ্রহালয়ের অনুষ্ঠান থেকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এ নিয়ে কংগ্রেস ও ইন্দিরা গান্ধীকে আক্রমণ করেছিলেন (PM Modi)।

  • Defence Ministry of India: সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানে ভারতীয় সেনার ক্ষমতা বাড়াতে প্রায় ২,০০০ কোটি টাকার প্রতিরক্ষা চুক্তি সম্পন্ন

    Defence Ministry of India: সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানে ভারতীয় সেনার ক্ষমতা বাড়াতে প্রায় ২,০০০ কোটি টাকার প্রতিরক্ষা চুক্তি সম্পন্ন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্ত্রাস দমনে সক্রিয় ভারত। কোনওভাবেই সন্ত্রাসের সঙ্গে আপোষ করতে নারাজ মোদি সরকার। তাই ভারতীয় সেনাবাহিনীর সন্ত্রাসবিরোধী (CT) অভিযানে দ্রুত প্রতিরক্ষা সক্ষমতা বাড়াতে বড় পদক্ষেপ করেছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। জরুরি ক্রয় (Emergency Procurement – EP) ব্যবস্থার আওতায় মোট ১,৯৮১.৯০ কোটি টাকার ১৩টি প্রতিরক্ষা চুক্তি সম্পাদিত করা হয়েছে। এই চুক্তিগুলি প্রতিরক্ষা বাজেটে অনুমোদিত মোট ২,০০০ কোটি টাকার অধীনে সম্পন্ন হয়েছে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, এই জরুরি চুক্তিগুলি দ্রুত সম্পন্ন করা হয়েছে। এর ফলে ভারতীয় সেনার তৎপরতা আরও বৃদ্ধি পাবে। শত্রু দমনে তারা সক্রিয় হয়ে উঠবে।

    চুক্তির আওতায় যে প্রধান সরঞ্জামগুলি অন্তর্ভুক্ত হয়েছে সেগুলি হল

    ইন্টিগ্রেটেড ড্রোন ডিটেকশন ও ইন্টারডিকশন সিস্টেম (IDDIS)

    লো লেভেল লাইটওয়েট রাডার (LLLR)

    ভেরি শর্ট রেঞ্জ এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম (VSHORADS) – লঞ্চার ও মিসাইল

    রিমোটলি পাইলটেড এরিয়াল ভেহিকেল (RPAVs)

    লুইটারিং মিউনিশন (সামরিক ড্রোন) সহ ভিটিওএল সিস্টেম

    বিভিন্ন ধরণের ড্রোন

    বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট ও বেলিস্টিক হেলমেট

    হেভি ও মিডিয়াম ক্যাটেগরির কুইক রিঅ্যাকশন ফাইটিং ভেহিকেল (QRFVs)

    রাইফেলের জন্য নাইট সাইট

    আত্মনির্ভর ভারতই লক্ষ্য

    প্রতিরক্ষা মন্ত্রক জানিয়েছে, এই ক্রয়গুলি ৮০% এর বেশি দেশীয় উপাদানসম্পন্ন। আত্মনির্ভর ভারতের লক্ষ্য নিয়ে এই চুক্তিগুলি করা হয়েছে।এর আগে, ২৩ জুন ভারতীয় সেনাবাহিনী সোলার ডিফেন্স অ্যান্ড এরোস্পেস লিমিটেড (SDAL) এর কাছ থেকে প্রায় ৪৫০টি নাগাস্ত্র-১আর লুইটারিং মিউনিশন ক্রয়ের আদেশ দিয়েছে। এই নাগাস্ত্র ১-আর সিস্টেমটিতে রয়েছে ৩৬০ ডিগ্রি ক্যামেরা ও রাত্রিকালীন অভিযানের জন্য থার্মাল ক্যামেরা সংযুক্তির সুবিধা। এটি ভিডিও ও টেলিমেট্রি যোগাযোগে নিজস্ব এনক্রিপশন প্রযুক্তি ব্যবহার করে। এই মিউনিশন সিস্টেমগুলি লাদাখ এবং উত্তরপ্রদেশের ঝাঁসির কাছে বাবিনায় সফলভাবে পরীক্ষিত হয়েছে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের এই উদ্যোগ সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানে ভারতীয় সেনার সক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি, জরুরি পরিস্থিতিতে কার্যকর ও আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর সরঞ্জামের দ্রুত সরবরাহ নিশ্চিত করতে সহায়ক হবে।

  • The Emergency Diaries: বুধেই প্রকাশ ‘দ্য ইমার্জেন্সি ডায়েরিজ’-এর, কী লিখেছেন প্রধানমন্ত্রী?

    The Emergency Diaries: বুধেই প্রকাশ ‘দ্য ইমার্জেন্সি ডায়েরিজ’-এর, কী লিখেছেন প্রধানমন্ত্রী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ ২৫ জুন। পঞ্চাশ বছর আগে এই দিনে দেশজুড়ে জারি করা হয়েছিল জরুরি অবস্থা। সেই সময় প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) ছিলেন কংগ্রেসের ইন্দিরা গান্ধী। এই জরুরি অবস্থারই ৫০ বর্ষ পূর্তি উপলক্ষে বুধবার একটি বই (The Emergency Diaries) প্রকাশ করা হবে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বইটিতে তাঁর সেই সময়কার অভিজ্ঞতা তুলে ধরা হয়েছে। জানা গিয়েছে, বইটির উদ্বোধন করবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বইটির নাম ‘দ্য ইমার্জেন্সি ডায়েরিজ – ইয়ার্স দ্যাট ফরজড আ লিডার’।

    কী লিখলেন প্রধানমন্ত্রী (The Emergency Diaries)

    এক্স হ্যান্ডেলে প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন, “দ্য ইমার্জেন্সি ডায়েরিজ বইটি জরুরি অবস্থার সময়ে আমার যাত্রাপথকে তুলে ধরেছে। এই বই লেখার সময় বহু পুরনো স্মৃতি ফিরে এসেছে।” তিনি লিখেছেন, “আমি সকলের কাছে আহ্বান জানাই — যাঁরা সেই অন্ধকার দিনগুলোর স্মৃতি মনে রাখেন বা যাঁদের পরিবার সেই সময় কষ্ট পেয়েছিল, তাঁরা যেন তাঁদের অভিজ্ঞতা সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার করেন। এটি ১৯৭৫ থেকে ১৯৭৭ সাল পর্যন্ত লজ্জাজনক সময়ের ব্যাপারে যুবসমাজের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করবে।” অন্য একটি পোস্টে প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন জরুরি অবস্থার সময় তাঁর অভিজ্ঞতার কথা। এক্স হ্যান্ডেল তিনি লেখেন, “জরুরি অবস্থার বিরুদ্ধে আন্দোলন আমার জন্য একটি শিক্ষামূলক অভিজ্ঞতা ছিল। এটি আমাদের গণতান্ত্রিক কাঠামো রক্ষার গুরুত্ব আবারও প্রমাণ করেছিল। একইসঙ্গে, আমি বিভিন্ন রাজনৈতিক মতাদর্শের মানুষদের কাছ থেকে অনেক কিছু শিখতে পেরেছিলাম।” বইটির ভূমিকা লিখেছেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী দেব গৌড়া, যাঁকে মোদি জরুরি অবস্থার বিরুদ্ধে আন্দোলনের একজন অন্যতম পুরোধা বলে অভিহিত করেছিলেন।

    দেশজুড়ে জারি জরুরি অবস্থা

    আজ থেকে ঠিক ৫০ বছর আগে ১৯৭৫ সালের ২৫ জুন দেশজুড়ে জারি হয়েছিল জরুরি অবস্থা। সেই সময় প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) ছিলেন ইন্দিরা গান্ধী। দেশে জরুরি অবস্থা জারি ছিল ২১ মাস ধরে। এ নিয়ে কংগ্রেসকে নানা সময় আক্রমণ শানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। গত বছর জরুরি অবস্থার দিনটিকে ‘সংবিধান হত্যা দিবস’ হিসেবে পালন করার সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্রীয় সরকার। জরুরি অবস্থা জারির পঞ্চাশ বছর পূর্তি উপলক্ষে এদিন এক্স হ্যান্ডেলে এক গুচ্ছ পোস্ট করেন প্রধানমন্ত্রী (The Emergency Diaries)।

    গণতন্ত্রের ইতিহাসে অন্ধকার অধ্যায়

    এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্টে তিনি লিখেছেন, “ভারতের গণতন্ত্রের ইতিহাসে একটি অন্ধকার অধ্যায়ের ৫০ বছর পূর্ণ হল। ভারতের মানুষ দিনটিকে সংবিধান হত্যা দিবস হিসেবে পালন করে। এই দিনে ভারতীয় সংবিধানের মূল্যবোধ সরিয়ে রেখে মৌলিক অধিকার হরণ করা হয়েছিল। সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতা কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। বহু রাজনৈতিক নেতা, সমাজকর্মী, ছাত্র এবং সাধারণ মানুষকে জেলে পাঠানো হয়েছিল।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “জরুরি অবস্থার সময় সংবিধানের ভাবনা যেভাবে লঙ্ঘন করা হয়েছিল, কোনও ভারতীয় তা কোনওদিন ভুলবেন না।” সংবিধানের আদর্শকে আরও শক্তিশালী করাই তাঁর সরকারের লক্ষ্য বলেও মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী (The Emergency Diaries)।

    ‘সংঘর্ষ মা গুজরাট’

    ১৯৭৮ সালে নরেন্দ্র মোদির বয়স ছিল ২৭। সেই সময়ই তিনি লিখে ফেলেছিলেন তাঁর প্রথম বই ‘সংঘর্ষ মা গুজরাট’। এই বইতেও তিনি তুলে ধরেছিলেন জরুরি অবস্থার সময় তাঁর অভিজ্ঞতা ও সম্মিলিত প্রতিরোধের বর্ণনা। গুজরাটের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বাবুভাই জসভাই প্যাটেল কর্তৃক প্রকাশিত এই বইটি ব্যাপক ও বস্তুনিষ্ঠ পদ্ধতির জন্য প্রচুর প্রশংসা কুড়িয়েছিল (PM Modi)। প্যাটেল নিজেই বইটিকে ‘তথ্যের সম্পদ’ বলে বর্ণনা করেছিলেন। জরুরি অবস্থার সময়ের কথা স্মরণ করে মোদি জরুরি অবস্থাকে ‘আপদা মে অবসার’ (কঠিন সময়ে সুযোগ) হিসেবে বর্ণনা করেছিলেন, যা তাঁকে বিভিন্ন নেতা ও মতাদর্শের সঙ্গে সহযোগিতা করার সুযোগ করে দিয়েছিল (The Emergency Diaries)।

    আরএসএসের যুব প্রচারক

    জরুরি অবস্থার সময় মোদি ছিলেন আরএসএসের একজন যুব প্রচারক। তাঁকে নিযুক্ত করা হয়েছিল অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদে। সেখানে তিনি যুব আন্দোলনকে ব্যাপকভাবে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন। জরুরি অবস্থা জারি হওয়ার পর মোদি সক্রিয়ভাবে বিক্ষোভ কর্মসূচিতে যোগ দেন। সর্বোচ্চ সেন্সরশিপ সত্ত্বেও তিনি এবং অন্যান্য স্বেচ্ছাসেবকরা সভার আয়োজন করেছিলেন, করেছিলেন প্রচারও (PM Modi)।

    ‘গুজরাট লোক সংগ্রাম সমিতি’

    নাথ জাগদা এবং বসন্ত গজেন্দ্রগড়করের মতো প্রবীণ আরএসএস নেতাদের সঙ্গে সহযোগিতা করেছিলেন তিনি। কীভাবে আরএসএসের মতাদর্শ সর্বত্র ছড়িয়ে দেওয়া যায়, তার উপায়ও খুঁজে বের করেছিলেন। জরুরি অবস্থার সময় আত্মগোপন করে আরএসএস। সেই সময় প্রতিষ্ঠিত হয় ‘গুজরাট লোক সংগ্রাম সমিতি’। মাত্র ২৫ বছর বয়সে মোদি হয়ে ওঠেন আরএসএসের সাধারণ সম্পাদক (The Emergency Diaries)।

    ছদ্মবেশে মোদি

    জরুরি অবস্থার সময় কংগ্রেস সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই জারি রাখতে মোদির বিভিন্ন প্রবন্ধ এবং চিঠিপত্র গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। জরুরি অবস্থার সময় মিসা আইনে গ্রেফতার করা হচ্ছিল বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের, সেই সময়ও কৌশলে আরএসএসের বার্তা প্রচার করেছিলেন তিনি। গ্রেফতারি এড়াতে নানা সময় ছদ্মবেশও ধারণ করেছিলেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী। কখনও সেজেছিলেন স্বামীজি, কখনও আবার শিখ। ১৯৭৭ সালে জরুরি অবস্থা প্রত্যাহারের পর মোদির সক্রিয়তা জাতীয় স্বীকৃতি লাভ করে। সেই সময় তাঁকে নিযুক্ত করা হয় (PM Modi) দক্ষিণ ও মধ্য গুজরাটের সম্ভাগ প্রচারক হিসেবে। সেই সময় তাঁর কাজ ছিল আরএসএসের অফিসিয়াল নিবন্ধ রচনা করা (The Emergency Diaries)।

  • Pahalgam Terrorist Attack: পাহাড়ি পথ বেয়ে ভারতে ঢুকেছিল পহেলগাঁওকাণ্ডের জঙ্গিরা, জানাল এনআইএ

    Pahalgam Terrorist Attack: পাহাড়ি পথ বেয়ে ভারতে ঢুকেছিল পহেলগাঁওকাণ্ডের জঙ্গিরা, জানাল এনআইএ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানের অ্যাবেটাবাদ থেকে মুজফ্ফরবাদ হয়ে পুঞ্চ-রাজৌরি রুটে ভারতে ঢুকেছিল পহেলগাঁওয়ে হামলাকারী জঙ্গিরা (Pahalgam Terrorist Attack)। পুঞ্চের ‘দেহরা কি গলি’ দিয়েই তারা পাকিস্তান থেকে ঢুকেছিল ভারতে। পহেলগাঁও হামলার সময় তারা সড়কপথের বদলে পাহাড়ি রাস্তায় ট্রেক করে এসেছিল। এতে তাদের দূরত্ব কমে গিয়েছিল প্রায় ৭০ শতাংশ (Terrorist)। তবে পাহাড়ি রাস্তায় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে যাওয়া সহজ নয়। গোয়েন্দাদের সন্দেহ, সেক্ষেত্রে জঙ্গিদের সাহায্য করতে পারে স্থানীয়দের কেউ কেউ। অপারেশন শেষে জঙ্গিদের পালাতে বা গা-ঢাকা দিতে তারা জঙ্গিদের সাহায্য করেছিল কিনা, তা খতিয়ে দেখছেন এনআইএর তদন্তকারীরা।

    জঙ্গিদের পরিচয় (Pahalgam Terrorist Attack)

    জঙ্গিদের পরিচয় নিয়েও চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এল এনআইএর রিপোর্টে। পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডে জঙ্গিদের সাহায্য করার অভিযোগে ধৃতদের জেরা করে জানা গিয়েছে জঙ্গিরা পাকিস্তানের নাগরিক। প্রসঙ্গত, পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডের পরপরই ভারতের তরফে দাবি করা হয়েছিল জঙ্গিরা পাকমদতপুষ্ট। ভারতের অভিযোগের প্রেক্ষিতে পাক প্রতিরক্ষামন্ত্রী খোয়াজা আসিফ দাবি করেছিলেন, প্রমাণ ছাড়াই অভিযোগ করছে ভারত। জঙ্গি হানা নিয়ে আন্তর্জাতিক স্তরের তদন্তের দাবিও করেছিল পাকিস্তান। তবে ভারতের অভিযোগ যে নিছক সন্দেহের বশে নয়, বরং তা যে সত্য, জঙ্গিদের যারা সাহায্য করেছিল, সে কথা কবুল করল তারাই।

    হত্যাকাণ্ডে যুক্ত সুলেমান

    পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনীর একাধিক অ্যাকাডেমি রয়েছে। বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার দাবি, ভারতে ঢোকার আগে একাধিক ক্যাম্পে প্রশিক্ষণ পেয়েছে জঙ্গিরা। জম্মু-কাশ্মীরে পুরানো জঙ্গি হামলার সঙ্গে পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডের যোগসূত্রগুলি খতিয়ে দেখছেন এনআইএর আধিকারিকরা। এনআইএর এক পদস্থ আধিকারিক জানিয়েছেন, ‘সুলেমান নামে এক পাক নাগরিকের পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডে যুক্ত থাকার যোগ মিলেছে। কেন্দ্রীয় সংস্থা তার ডিজিট্যাল ফুটপ্রিন্ট খোঁজার চেষ্টা করছে। জঙ্গিরা (Pahalgam Terrorist Attack) নিজেদের মধ্যে যোগাযোগের জন্য কোনও উন্নতমানের বিকল্প মাধ্যম ব্যবহার করত। তাই কাজটা সহজ নয়।’

    তদন্তকারীদের দাবি, জঙ্গিদের পরিচয় সম্পর্কে এনআইএর তরফে ইতিমধ্যেই যথেষ্ট প্রমাণ সংগ্রহ করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে প্রত্যক্ষদর্শীদের বক্তব্য, ভিডিও ফুটেজ, সিসিটিভি ফুটেজ, প্রযুক্তিগত প্রমাণ এবং জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ কর্তৃক প্রকাশিত স্কেচ। প্রসঙ্গত, এক্স হ্যান্ডেলে একটি ভিডিও শেয়ার করে সাংবাদিক হেমির দেশাই লিখেছেন (Terrorist), “দুই কাশ্মীরি মুসলিমকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা পাহেলগাঁওয়ে হামলার তারিখ ও সময় জানত। পাকিস্তানি জঙ্গিদের পালানোর পথ ও লজিস্টিক সহায়তা দিয়েছিল। এখন তারা এনআইএ হেফাজতে আছে (Pahalgam Terrorist Attack)।”

  • PM Narendra Modi: ‘সর্দারজি’ থেকে ‘স্বামীজি’! জরুরি অবস্থায় জেল এড়াতে নানা ছদ্মবেশ নিয়েছিলেন মোদি

    PM Narendra Modi: ‘সর্দারজি’ থেকে ‘স্বামীজি’! জরুরি অবস্থায় জেল এড়াতে নানা ছদ্মবেশ নিয়েছিলেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের গণতন্ত্রের অন্ধকারতম সময়! ২৫ জুন, সালটা ১৯৭৫। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী (Indira Gandhi) ঘোষণা করলেন জরুরি অবস্থার (Emergency Period)। ১৯৭৭ সাল অবধি, ২১ মাস জারি থাকে এই জরুরি অবস্থা। সাংবিধানিক মূল্য়বোধের সম্পূর্ণ বিপরীতে গিয়ে দেশে গণতন্ত্রের কণ্ঠরোধ করা হয়েছিল এই সময়। সরকারের বিরোধিতা, মানেই আশ্রয় হত অন্ধ কারাগার। সেই সময় সবচেয়ে সক্রিয় ও দক্ষ কর্মীদের জেলের বাইরে রেখে আন্দোলনের বার্তা ছড়িয়ে দেওয়াই ছিল রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘের নীতি। আরএসএস-এর সেই পরিকল্পনার অন্যতম মুখ ছিলেন তরুণ নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi)। গুজরাটের বিভিন্ন প্রান্তে—বরোদা, আমেদাবাদ, রাজকোটে ঘুরে ঘুরে তিনি মানুষের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করছিলেন জরুরি অবস্থার বিরুদ্ধে। পুলিশের চোখ এড়িয়ে আরএসএস-এর বার্তা মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে তিনি নানা রূপে আত্মপ্রকাশ করেছিলেন—কখনও ‘সর্দারজি’, কখনও ‘বটুকভাই’, তো কখনও ‘স্বামীজি’।

    ‘বটুকভাই’ থেকে ‘স্বামীজি’ – ছদ্মবেশের কাহিনী

    ১৯৭৫ সালের ২৫শে জুন থেকে ২১ মাসব্যাপী দেশে জারি হওয়া জরুরি অবস্থার সময়, সরকারের কড়া দমননীতি থেকে বাঁচতে নানা ছদ্মবেশ ধারণ করেছিলেন আজকের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেই সময় তাঁকে ‘বেশভূষার মাস্টার’ বলেও ডাকা হতো। জরুরি অবস্থার সময় আরএসএস-এর নীতি ছিল যে কোনও মূল্যে জেলের বাইরে থেকে অস্থির সময়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। আরএসএস তখন কার্যত আন্ডারগ্রাউন্ডে। সেই সময় তৈরি করা হয়েছিল গুজরাট লোক সংঘর্ষ সমিতি। সেই সময় মাত্র ২৫ বছর বয়সে আরএসএসের সাধারণ সম্পাদক পদে উঠে এসেছিলেন মোদি। সেই সময় নানা লেখালেখি করতেন মোদি। কংগ্রেসের বিরুদ্ধে তাঁর সেই লেখা ক্রমেই ছড়িয়ে পড়তে থাকে। সেই সময় যাতে চিহ্নিত না হয়ে যান সেকারণে নরেন্দ্র মোদি কখনও স্বামীজি, কখনও শিখের ছদ্মবেশ ধরতেন। তখনই গুজরাট ভ্রমণের সময় মোদি ‘বটুকভাই’ নাম নিয়ে ছদ্মবেশ ধারণ করেন। পরে এক পর্যায়ে, তিনি সন্ন্যাসীর বেশ নেন—গায়ে গেরুয়া বসন, মুখে ধর্মীয় ভাষ্য। একদিন, তিনি যে বাড়িতে ছিলেন, সেখানে স্বামীনারায়ণ সম্প্রদায়ের একজন আচার্য উপস্থিত হন। তখন পরিবারের লোকেরা তাঁকে ‘উদয়পুর থেকে আগত স্বামীজি’ বলে পরিচয় করিয়ে দেন। এরপর আচার্য ও ছদ্মবেশী ‘স্বামীজি’-র মধ্যে ধর্মীয় বিতর্কও শুরু হয়!

    ভবনগর জেলে ‘সৎসঙ্গ’ করে বার্তা পৌঁছানো

    জরুরী অবস্থা জারির পরেই মোদি তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে ঝাঁপিয়ে পড়েন। সেই সময় তিনি ও তাঁর সতীর্থরা নানা ধরনের মিটিং করতেন কিছুটা আড়ালে। সিনিয়র আরএসএস নেতা নাথ জাগড়া, বসন্ত গজেন্দ্রগড়করের সঙ্গে আলোচনা করে তিনি তথ্য় ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য কিছুটা অভিনব পথ নিয়েছিলেন। সাবধানে পরিকল্পনা করে, ১৯৭৬ সালের সেপ্টেম্বরে মোদি ‘স্বামীজি’ ছদ্মবেশে ভবনগর জেলে পৌঁছান। সেখানে আটক আরএসএস নেতা বিশ্নুভাই পাণ্ড্যাদের সঙ্গে যোগাযোগ করাই ছিল তাঁর মূল লক্ষ্য। একটি ‘সৎসঙ্গ’-এর অজুহাতে তিনি জেলের ভিতরে প্রবেশ করেন এবং এক ঘণ্টা ধরে গোপনে আলোচনা করেন। পুলিশের চোখ এড়িয়ে নির্বিঘ্নে বেরিয়েও আসেন।

    ‘সর্দারজি’ সেজে কলেজ ছাত্রদের মাঝে

    কংগ্রেসের দুর্নীতির বিরুদ্ধে সেই সময় গুজরাটে ছাত্রদের নেতৃত্বে আন্দোলন শুরু হয়েছিল। ১৯৭৪ সালে গুজরাটে শুরু হয়েছিল নবনির্মাণ আন্দোলন। সেই সময় দেখা গিয়েছিল পড়ুয়াদের শক্তি। সেই সময় আরএসএসের যুব প্রচারক ছিলেন মোদি। অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের আওতায় কাজ চালিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। সেই সময় তিনি ছাত্রদের আন্দোলনকে সমর্থন করেন। তখন তাঁর গুরুত্বপূর্ণ ছদ্মবেশ ছিল ‘সর্দারজি’। মাথায় পাগড়ি পরে, শিখ বেশে তিনি ঘোরাফেরা করতেন। এমনকি কলেজপড়ুয়া ছাত্ররা তাঁর উপস্থিতিতে উচ্চস্বরে সর্দারজি-র কৌতুক বলতেও কুণ্ঠাবোধ করত না। পরিচিত পরিবারের শিশু ও তাদের বন্ধুরাও এসে তাঁকে এই নতুন রূপে দেখতে পেত।

    রহস্যময় এবং কৌশলী অধ্যায়

    এই সব ছদ্মবেশ ও বুদ্ধিদীপ্ত চালচলনের জোরেই প্রশাসন তাঁর অবস্থান কখনও নির্ভুলভাবে শনাক্ত করতে পারেনি। প্রায়ই দেখা যেত, পুলিশ এসে পৌঁছানোর আগেই অন্য জায়গায় সরে গিয়েছেন মোদি। ১৯৭৭ সালে জরুরী অবস্থা উঠে যাওয়ার পরে নরেন্দ্র মোদি ক্রমেই জাতীয় ক্ষেত্রে তাঁর রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডকে ছড়িয়ে দিতে থাকেন। আরএসএস-এর হাত ধরে ১৯৮৫ সালে বিজেপিতে যোগদান। তারপর ২০০১ সালে গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রীত্ব গ্রহণ। ২০১৪ সালে দেশের প্রধানমন্ত্রী পদে আসীন হন মোদি। তারপর ভারতে আচ্ছে দিন-এর শুরু। কিন্তু আজও জরুরি অবস্থার অন্ধকার দিনে মোদির এই নানা ছদ্মবেশী কাহিনী তাঁর রাজনৈতিক জীবনের এক রহস্যময় এবং কৌশলী অধ্যায় হয়ে রয়ে গিয়েছে।

  • Samvidhan Hatya Divas: জরুরি অবস্থার ৫০ বছর, আজ কেন প্রাসঙ্গিক সংবিধান হত্যা দিবস পালন?

    Samvidhan Hatya Divas: জরুরি অবস্থার ৫০ বছর, আজ কেন প্রাসঙ্গিক সংবিধান হত্যা দিবস পালন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২৫ জুন ভারতীয় গণতন্ত্রের কাছে এক কালো দিন। আজ থেকে ঠিক পঞ্চাশ বছর আগে, আচমকা মধ্যরাতে দেশে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী। না, কোনও যুদ্ধ নয়। নিজের গদি বাঁচাতে দেশবাসীকে কার্যত বন্দি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তিনি। যার প্রতিবাদে আজ দেশজুড়ে ‘সংবিধান হত্যা দিবস’ পালন করছে বিজেপি। কী ঘটেছিল সেই সময়ে? কেমন ছিল সেই অন্ধকারময় অধ্যায়?

    ইতিহাসের পাতা উল্টে ফেরা যাক ঠিক ৫০ বছর আগেকার একটি অস্থির সময়ে। সালটা ১৯৭৫। যে সময় দেশ এক কঠিন সময়ের চরম নজির দেখেছিল ভারতবাসী। এমন একটা সময় যখন ক্ষমতাবলে দেশের সংবিধানকে হত্যা করেছিল দেশেরই শাসক। কংগ্রেস শাসনের স্বৈরতন্ত্রের সামনে ভূলুণ্ঠিত হয়েছিল গণতন্ত্র। বিরোধে ওঠা সব কণ্ঠকে নির্বিচারে করা হয়ছিল রোধ। বিরোধী হলেই ঠাঁই ছিল গারদ।

    ক্ষমতা হারানোর ভয় পেলেন ইন্দিরা…

    ১৯৭১ সালের লোকসভা নির্বাচনে উত্তরপ্রদেশের রায়বেরিলি কেন্দ্র থেকে জয়ী হন ইন্দিরা গান্ধী। বিপক্ষ প্রার্থী ছিলেন সংযুক্ত সোশ্যালিস্ট পার্টির রাজনারায়ণ। এই ভোটে ইন্দিরা গান্ধীর বিরুদ্ধে কারচুপি করে জেতার অভিযোগ আনেন রাজনারায়ণ। সোশ্যালিস্ট পার্টির এই নেতা দ্বারস্থ হন এলাহাবাদ হাইকোর্টের। ইন্দিরার বিরুদ্ধে সরকারি ব্যবস্থাকে কাজে লাগিয়ে নির্বাচন জেতার অভিযোগ প্রমাণিত হয়। এক ঐতিহাসিক রায়ে ইন্দিরা গান্ধীর নির্বাচন বাতিল ঘোষণা করে তাঁকে ৬ বছর পর্যন্ত নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য অযোগ্য ঘোষণা করেন এলাহাবাদ হাইকোর্টের বিচারপতি জগমোহনলাল সিনহা।

    ক্ষমতা হারানোর ভয়ে দিশাহারা ইন্দিরা তখন দ্বারস্থ হলেন সুপ্রিম কোর্টের। ১৯৭৫ সালের ২৩ জুন মামলা দায়ের হল সুপ্রিম কোর্টে। ২৪ জুন বিচারপতি আইয়ার নির্দেশ দিলেন, যতক্ষণ না চূড়ান্ত রায় আসছে, ইন্দিরা গান্ধী প্রধানমন্ত্রী থাকতে পারবেন। তবে সাংসদ হিসেবে কাজ চালাতে পারবেন না। সুপ্রিম কোর্টের এই রায়ের পর বিরোধীরা বলতে শুরু করেন, “চূড়ান্ত রায় না আসা পর্যন্ত ইন্দিরা প্রধানমন্ত্রী থাকার নৈতিক অধিকার হারিয়েছেন।” অন্যদিকে, ইন্দিরার পদত্যাগের দাবিতে তখন দেশজুড়ে প্রবল আন্দোলন শুরু করেন জয়প্রকাশ নারায়ণ।

    চুপিসারে মধ্যরাতে জারি এমার্জেন্সি

    ক্ষমতা হারানোর ভয় আরও তাড়া করতে শুরু করে কংগ্রেসি প্রধানমন্ত্রীকে। সুপ্রিম কোর্টের এই নির্দেশের ঠিক একদিন পরেই, ১৯৭৫ সালের ২৫ এবং ২৬ জুন মধ্যরাতে, প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী জরুরি অবস্থা জারি করেন যাতে তাঁকে পদত্যাগ করতে না হয়। এই জরুরি অবস্থা চলেছিল ১৯৭৭ সালের ২১ মার্চ পর্যন্ত! এই গোটা সময় দেশ একটা চরম অন্ধকারময় অধ্যায়ের মধ্য দিয়ে গিয়েছিল। এই সময়ে গোটা দেশকে কার্যত কারাগারে পরিণত করেছিল কংগ্রেস সরকার। গণতন্ত্র এবং মানুষের মৌলিক অধিকার দুটোই সেদিন কেড়ে নেয় গান্ধী পরিবারের শাসন। সরকার চাইলে যে কোনও ব্যক্তিকে যতদিন খুশি জেলে ভরে রাখতে পারত। সব থেকে বড় কথা, কোনও রকমের শুনানি ছাড়াই কয়েক হাজার সরকার বিরোধী ব্যক্তি জেলে ছিলেন। তাঁদের জামিনের আবেদন করার অধিকারও ছিল না।

    প্রথম গ্রেফতারি ভোর আড়াইটেয়…

    ২৬ তারিখের ভোররাত, অর্থাৎ জরুরি অবস্থা জারি হওয়ার মাত্র আড়াই ঘণ্টার মধ্যেই করা হয় প্রথম গ্রেফতারি। সেই সময়ের বিশিষ্ট সাংবাদিক তথা রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ প্রভাবিত অর্গানাইজার পত্রিকার প্রধান সম্পাদক এইচ আর মালকানিকে পান্ডারা রোডে তাঁর বাসভবন থেকে গ্রেফতার করা হয়। ওই রাতেই গ্রেফতার করা হয় লোকনায়ক জয়প্রকাশ নারায়ণকে। কেন? কারণ, ইন্দিরা বিলক্ষণ জানতেন, তাঁর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর ক্ষমতা রয়েছে শুধুমাত্র আরএসএস ও জন সংঘের। তাই, আগেভাগে এদের গারদে পাঠাতে উদ্যত হয়েছিলেন ইন্দিরা। রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত সকল অধ্যাপকদের তালিকা শিক্ষামন্ত্রী নুরুল হাসানের কাছে চেয়ে নেন ইন্দিরা-পুত্র সঞ্জয় গান্ধী। সেসময় জনসংঘ এবং আরএসএস-এর বহু প্রচারক কার্যকর্তা গ্রেফতার হয়ে কারাবরণ করেন।

    সংবাদমাধ্যমের কণ্ঠরোধ, বন্ধ নির্বাচন

    শুধু তাই নয়। গণমাধ্যমগুলির ওপরও বিধিনিষেধ আরোপ করে ইন্দিরা-সরকার। তালিকায় ছিল ৩,৮০১ সংবাদপত্র। সূর্য ওঠার আগেই দেশের প্রথমসারির সংবাদপত্রগুলির অফিসের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয় সরকার। তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ইন্দ্রকুমার গুজরালকে নির্দেশ দেন ইন্দিরা। জানিয়ে দেওয়া হয়, সংবাদপত্রের খবর আগে প্রধানমন্ত্রীর অফিসে যাতে আসে। তারপর কোন খবর ছাপা হবে তা সরকার ঠিক করবে। বন্ধ করে দেওয়া হয় দেশে সমস্ত ধরনের নির্বাচন।

    ভারতের ইতিহাসে কালো অধ্যায়

    এমনকি, ইন্দিরা গান্ধীর জরুরি অবস্থা ঘোষণার কথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভাও জানত না। ২৬ জুন সকাল ৬টার মন্ত্রিসভার বৈঠকে উপস্থিত ১৫ জনেরও বেশি মন্ত্রী প্রথমবারের জন্য জানতে পারেন, জরুরি অবস্থা জারি হয়েছে দেশে। এরপরই আকাশবাণীর বেতার ভাষণে জরুরি অবস্থা জারির কথা ঘোষণা করেন ইন্দিরা গান্ধী। পরিসংখ্যান বলছে, সেসময় মোট রাজনৈতিক গ্রেফতারির সংখ্যা ১,১০,৮০৬। বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতাদের কোমরে দড়ি পরিয়ে পুলিশ জিপের সঙ্গে বেঁধে রাস্তায় হাঁটিয়ে নিয়ে যাওয়া হত। আর থানার লক আপে চলত অকথ্য পুলিশি অত্যাচার! যার জেরে অকালে এই পৃথিবী থেকে চলে যেতে হয়েছে। শূন্য হয়েছে অনেক মায়ের কোল। মুছেছে অনেক শিঁথির সিঁদুর। এমনকি, দেহ লোপাটও করার অভিযোগ ওঠে পুলিশের বিরুদ্ধে।

    তোষামোদের প্রতিদানে জোড়ে ‘সেকুলার’

    বেঁচে থাকার অধিকার মানুষের মৌলিক অধিকার। সেটাই তখন ছিল কংগ্রেস সরকারের কুক্ষিগত। ২৮ বছর ধরে তখন দেশ শাসন করছিল কংগ্রেস। কংগ্রেস বললে ভুল হবে। গান্ধী-নেহরু পরিবারের বাবা ও মেয়ের হাতেই ছিল ক্ষমতা। আর এই একটাই পরিবারের হাতে বন্দি ছিল একটা গোটা দেশ! দেশে যখন এই কালো অধ্যায় চলছে, বিরোধী সমস্ত নেতা যখন জেলের ভিতর, তখনই এক প্রকার গায়ের জোরে ১৯৭৬ সালে ৪২তম সংবিধান সংশোধনী এনে প্রস্তাবনায় জোড়া হয় ‘সেকুলার’ শব্দ। কেন? কারণ, তাঁর এই স্বৈরচারে সঙ্গ দিয়েছিল কমিউনিস্ট ও মুসলিম লিগ! তার প্রতিদান স্বরূপ দেশের সংবিধানের প্রস্তাবনায় জোড়া হয় ‘সেকুলার’। প্রায় পৌনে ২ বছর পর, ১৯৭৭ সালের মার্চ মাসে দেশে লোকসভা নির্বাচন হলে, তাতে বিপুল পরাজয় হয় ইন্দিরা এবং কংগ্রেসের। গণতন্ত্রের হাতিয়ারে স্বৈরতন্ত্রের বিরুদ্ধে বদলা নিয়েছিল দেশবাসী।

    ‘সংবিধান হত্যা দিবস’ পালন

    সংবিধানকে ভূলুণ্ঠিত করা শাসকদের আসল রূপ যাতে মানুষ মনে রাখে, দেশের এই কালো অধ্যায়কে স্মরণ করে প্রতি-বছর ২৫ জুন ‘সংবিধান হত্যা দিবস’ পালন করে আসছে বিজেপি। লক্ষ্য, তাঁদের শ্রদ্ধার্ঘ জানানো, যাঁরা জরুরি অবস্থার সময়ে স্বৈরাচারী সরকারের অবর্ণনীয় নির্যাতনের ভুক্তভোগী ছিলেন। সেই লক্ষ লক্ষ মানুষের লড়াইকে সম্মান করা, যাঁরা প্রাণ বিপন্ন করেও গণতন্ত্রের পুনঃপ্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে লড়াই করে গিয়েছেন। জরুরি অবস্থা চলাকালীন যারা অমানবিক কষ্ট সহ্য করেছিলেন, তাঁদের অবদানকে স্মরণ করা। প্রতিটি ভারতীয়ের মধ্যে ব্যক্তি স্বাধীনতার অমর জ্যোতিকে বাঁচিয়ে রাখা। যাতে ভবিষ্যতে কংগ্রেসের মতো কোনও একনায়কতান্ত্রিক মানসিকতা এর পুনরাবৃত্তি করতে না পারে।

  • Turkey: সফল বয়কট আন্দোলন! মে মাসে পাক-বন্ধু তুরস্কে ভারতীয় পর্যটক সংখ্যা কমল ২৪ শতাংশ

    Turkey: সফল বয়কট আন্দোলন! মে মাসে পাক-বন্ধু তুরস্কে ভারতীয় পর্যটক সংখ্যা কমল ২৪ শতাংশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অপারেশন সিঁদুরের পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধপরিস্থিতির আবহ তৈরি হয়, আর সেই পরিস্থিতিতে ইসলামাবাদকে সরাসরি সমর্থন জানায় তুরস্ক (Turkey)। শুধু রাজনৈতিক সমর্থনই নয়, পাকিস্তানকে ড্রোন এবং অন্যান্য সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহ করেও সহায়তা করে তারা। এর প্রতিক্রিয়ায় ভারতের বিভিন্ন মহল তীব্র প্রতিক্রিয়া জানায় এবং দেশজুড়ে শুরু হয় তুরস্কের পণ্য ও পরিষেবা বয়কটের ডাক।

    তুরস্কে উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে ভারতীয় পর্যটক সংখ্যা (Turkey)

    তৎকালীন পরিস্থিতিতে ভারত সরকারও তুরস্কের (Turkey) বিভিন্ন সংস্থার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে শুরু করে। ভারতীয় পর্যটকদের (Indian Tourists) মধ্যেও তুরস্ক বর্জনের প্রবণতা স্পষ্ট হয়ে ওঠে। একটি সর্বভারতীয় সংবাদ সংস্থার প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৫ সালের মে মাসে তুরস্কে ভারতীয় পর্যটকের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে। রিপোর্ট বলছে, ২৪ শতাংশ পর্যন্ত কমেছে ভারতীয় পর্যটকের সংখ্যা। যেখানে ২০২৪ সালের মে মাসে তুরস্কে গিয়েছিলেন ৪১,৫৫৪ জন ভারতীয়, সেখানে ২০২৫ সালের মে মাসে সেই সংখ্যা নেমে দাঁড়িয়েছে মাত্র ৩১,৬৫৯ জনে।উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, মে মাসেই তুরস্কে সর্বাধিক পর্যটক ভিড় করেন।

    ভ্রমণ সংস্থাগুলিও সামিল হয় বয়কট তুরস্ক আন্দোলনে (Turkey)

    প্রসঙ্গত, অপারেশন সিঁদুরের পরে পাকিস্তান ভারতের ওপর হামলা চালানোর চেষ্টা করেছিল, যা ভারতের উন্নত আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সফলভাবে রুখে দেয়। তখনই প্রকাশ্যে আসে যে ওই হামলার সময় পাকিস্তান তুরস্কের(Turkey) নির্মিত ড্রোন ব্যবহার করেছে। এই তথ্য সামনে আসার পর দিল্লি থেকে তীব্র কূটনৈতিক প্রতিক্রিয়া জানানো হয় এবং একাধিক পদক্ষেপ করা শুরু হয়। MakeMyTrip, EaseMyTrip, ClearTrip-এর মতো প্রধান পর্যটন সংস্থাগুলি ঘোষণা করে যে তারা আর তুরস্কগামী কোনও ট্যুর প্যাকেজ প্রচার করবে না। এইভাবে দেশজুড়ে ‘বয়কট তুরস্ক’ আন্দোলন আরও তীব্রতর হয় (Indian Tourists)।

    মোদির সাইপ্রাস সফর

    এই কূটনৈতিক উত্তেজনার মাঝেই ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সফর করেন তুরস্কের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী সাইপ্রাসে। এই সফরকে অত্যন্ত কৌশলগত এবং তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন ভূ-রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। সফরে প্রধানমন্ত্রী মোদি সাইপ্রাসের রাষ্ট্রপতি নিকোস ক্রিস্তোদুলিদেসের সঙ্গে একাধিক ঐতিহাসিক স্থান পরিদর্শন করেন। রাষ্ট্রপতি তাঁকে ১৯৭৪ সাল থেকে তুরস্কের দখলে থাকা উত্তর সাইপ্রাস অঞ্চল ঘুরে দেখান। অন্যদিকে, ভারতের সঙ্গে যুদ্ধ পরিস্থিতিতে সহায়তার জন্য পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ এবং সেনাপ্রধান আসিম মুনির তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তৈয়্যেব এরদোয়ানকে ধন্যবাদ জানান। তাঁরা বলেন, “তুরস্ক প্রমাণ করেছে, তারা পাকিস্তানের পাশে আছে এবং ভারতের বিরুদ্ধে প্রয়োজনে অবস্থান নিতে প্রস্তুত।”

  • Bangladesh: স্থগিত পাকিস্তানের সঙ্গে সিন্ধু চুক্তি, এবার বাংলাদেশের সঙ্গে গঙ্গা জল চুক্তি নিয়েও ভাবছে দিল্লি

    Bangladesh: স্থগিত পাকিস্তানের সঙ্গে সিন্ধু চুক্তি, এবার বাংলাদেশের সঙ্গে গঙ্গা জল চুক্তি নিয়েও ভাবছে দিল্লি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানের সঙ্গে স্থগিত হয়েছে সিন্ধু জলচুক্তি, এই আবহে বাংলাদেশের (Bangladesh) সঙ্গে গঙ্গা জলচুক্তি পুনর্বিবেচনা করছে ভারত সরকার। ভারত সরকারের মারফত জানা গিয়েছে, পাকিস্তানের সঙ্গে সিন্ধু জলচুক্তি স্থগিত হওয়ার পর এবার বাংলাদেশের সঙ্গে গঙ্গা জলচুক্তি পুনরায় বিবেচনা করতে শুরু করেছে ভারত সরকার। প্রসঙ্গত, গত ২০২৪ সালের অগাস্ট মাসে হাসিনা সরকারের পতনের পরেই বাংলাদেশে বাড়তে থাকে ভারত বিরোধী কার্যকলাপ। এই আবহে দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক একেবারে তলানিতে ঠেকেছে।

    নয়া চুক্তি হতে পারে ১০ থেকে ১২ বছরের জন্য

    দুই দেশের মধ্যে থাকা বর্তমান চুক্তির মেয়াদ আগামী বছর পর্যন্ত। প্রসঙ্গত, আগেই ভারত সরকার বাংলাদেশকে (Bangladesh) জানিয়েছিল যে গঙ্গার জলের (Ganga Water Treaty) বড় অংশ ভারতের প্রয়োজন, কারণ দেশের উন্নয়নের জন্য এটি অপরিহার্য। নতুন যে চুক্তি হতে পারে, তাতে এই দাবির প্রতিফলন ঘটবে বলেই মনে করা হচ্ছে। সম্ভাব্য এই নতুন চুক্তি ১০ থেকে ১৫ বছরের জন্য কার্যকর হতে পারে। মূল গঙ্গা জলচুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল ১৯৯৬ সালের ১২ ডিসেম্বর। সেই চুক্তিতে নির্ধারিত হয়েছিল কোন দেশ গঙ্গার কতটা জল পাবে। মে মাসে বাংলাদেশের সঙ্গে অনুষ্ঠিত দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পরে ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক জানিয়েছিলেন, পহেলগাঁও হামলার পর সবকিছু বদলে গিয়েছে। আগে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল যে গঙ্গা জলচুক্তি ৩০ বছরের জন্য পুনর্নবীকরণ করা হবে, কিন্তু এখন পরিস্থিতি একেবারে পালটে গেছে, তাই নতুন করে ভাবতে হচ্ছে। ওই আধিকারিক আরও জানিয়েছিলেন, বাংলাদেশের (Bangladesh) সঙ্গে এই বৈঠক ছিল সৌজন্যমূলক ও রুটিন দ্বিপাক্ষিক বৈঠক। তবু ঢাকাকে জানানো হয়েছে ভারতের জল চাহিদা দিন দিন বাড়ছে এবং এই বাস্তবতার প্রতিফলন পড়বে নতুন চুক্তিতে।

    কত জল প্রয়োজন ভারতের?

    বর্তমানে ভারত ও বাংলাদেশ (Bangladesh) উভয় দেশ গড়ে ৩৫,০০০ কিউসেক করে জল ব্যবহার করে। প্রতি ১০ দিন অন্তর জল ভাগাভাগির হিসেব নির্ধারিত হয়। তবে বর্তমানে ভারতের আরও ৩০,০০০ থেকে ৩৫,০০০ কিউসেক অতিরিক্ত জলের (Ganga Water Treaty) প্রয়োজন পড়ছে বলে জানা গিয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার ইতিমধ্যে পশ্চিমবঙ্গ ও বিহার সরকারের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে এবিষয়ে। দুই রাজ্যেই সেচ ও পানীয় জলের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে।

LinkedIn
Share