Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Amit Shah on SIR: ‘কিছু রাজনৈতিক দল অনুপ্রবেশকারীদের রক্ষায় সরব…’, নাম না করে মমতাকে নিশানা শাহের

    Amit Shah on SIR: ‘কিছু রাজনৈতিক দল অনুপ্রবেশকারীদের রক্ষায় সরব…’, নাম না করে মমতাকে নিশানা শাহের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কোনও দল বা নেতা-নেত্রীর নাম না করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) কটাক্ষ করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। শুক্রবার সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করে শাহ অভিযোগ করেন যে, কিছু রাজনৈতিক দল এসআইআর প্রক্রিয়ায় (SIR) বাধা দিয়ে অনুপ্রবেশকারীদের রক্ষা করার চেষ্টা করছে।

    নিরাপত্তার জন্য অনুপ্রবেশ রুখতে হবে

    শুক্রবার এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্ট করে অমিত শাহ লেখেন, “ভারতের নিরাপত্তার জন্য অনুপ্রবেশ রুখে দেওয়া যেমন জরুরি, তেমনই গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে দূষিত হওয়া থেকে বাঁচাতে এই অনুপ্রবেশ বন্ধ করা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। অথচ দুর্ভাগ্যজনকভাবে কিছু রাজনৈতিক দল অনুপ্রবেশকারীদের রক্ষায় সরব, এবং নির্বাচন কমিশনের এসআইআর প্রক্রিয়ার বিরোধিতা করছে।” এর আগে বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমারকে একটি কড়া ভাষার চিঠি পাঠিয়ে অভিযোগ করেন যে, রাজ্যে এসআইআর প্রক্রিয়া অত্যন্ত উদ্বেগজনক পর্যায়ে পৌঁছেছে। তাঁর অভিযোগ, গোটা প্রক্রিয়া অপরিকল্পিত, বিশৃঙ্খল এবং বিপজ্জনকভাবে চালানো হচ্ছে, যা শুরু থেকেই প্রশাসনকে অচল করে দিয়েছে।

    মমতার দাবি, বিজেপির যুক্তি

    মুখ্যমন্ত্রী আরও দাবি করেন, এসআইআর-এর ফলে বিএলও-রা অতিরিক্ত চাপে কাজ করতে বাধ্য হচ্ছেন এবং তিনি সতর্ক করেন যে, এভাবে ৩ ডিসেম্বরর মধ্যে সঠিকভাবে তালিকা আপলোড সম্ভব নয়। সেই প্রেক্ষিতে রাজ্যে এসআইআর স্থগিত করার আবেদন জানান মমতা। যদিও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে বিজেপি দাবি করে যে, তিনি বৈধ ও আইনসিদ্ধ প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করার চেষ্টা করছেন। পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) নির্বাচন কমিশনারকে চিঠি দিয়ে অভিযোগ করেন, মুখ্যমন্ত্রী ইচ্ছাকৃতভাবে নির্বাচন কমিশনের সাংবিধানিক ক্ষমতাকে খর্ব করতে চাইছেন।

    কেন কমিশনের বিরোধিতা

    শুক্রবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের সমাজমাধ্য়মে একটি পোস্ট করা হয়েছে। পোস্টের বার্তা যে খোদ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দেওয়া, তা সেখানে উল্লেখিত রয়েছে। এদিন শাহ জানিয়েছেন, ‘দেশের অভ্যন্তরীণ সুরক্ষার খাতিরেই যে শুধু অনুপ্রবেশ রুখতে হবে এমনটা নয়। গণতান্ত্রিক স্বার্থের কথা মাথায় রেখেও এই অনুপ্রবেশ বন্ধ করা প্রয়োজন।’ কিন্তু কেউ কেউ তাতে রাজি নয় বলেই অভিযোগ শাহের। অনুপ্রবেশকারীদের তাঁরা ‘সুরক্ষা প্রদান’ করছে বলে দাবি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর। এদিন তিনি আরও বলেন, ‘দুর্ভাগ্যবশত, বেশ কিছু রাজনৈতিক দল অনুপ্রবেশকারীদের নিরাপত্তা প্রদানে উদ্য়ত্ত হয়েছে। তাঁরা কমিশনেরও বিরোধী। ভারতের নির্বাচন কমিশন যে ভোটার তালিকা শুদ্ধিকরণের কাজ চালাচ্ছে, তা তাঁরা চায় না।’

    কমিশনের পাশেই সরকার

    আগামী ২৫ তারিখ ঠাকুরনগরে মিছিল করতে চলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর সেখানেই করবেন মিটিং। সেই পদযাত্রা এবং মিটিংয়ের বিষয় অবশ্যই এসআইআর বিরোধিতা। আর এই কারণেই শাহ চটেছেন বলে মনে করা হচ্ছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কথাতে এটা একবারেই পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে যে কোনওভাবেই এসআইআর থেকে পিছু হটবে না কেন্দ্রীয় সরকার। বরং ভোটার তালিকা সংশোধনের ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনের পাশেই রয়েছেন তাঁরা।

    দেশের মানুষ অনুপ্রবেশ পছন্দ করেন না

    বিহারের পর ১২টি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে এসআইআর করার কাজ শুরু করেছে। তার মধ্যে পাঁচ রাজ্য— পশ্চিমবঙ্গ, তামিলনাড়ু, কেরল এবং পুদুচেরিতে বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে আগামী বছরই। বিরোধীদের অভিযোগ, ভোটের আগে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে এসআইআর করা হচ্ছে। তাই ফের একবার বিরোধীদের সতর্ক করে দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তাঁর কথায়, অনুপ্রবেশকারীদের সমর্থন করে এমন কোনও রাজনৈতিক দলের পক্ষেই থাকেন না দেশের নাগরিকেরা। অমিত শাহ বিহারের বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল টেনে আনেন। তাঁর দাবি, বিহারের ফলই প্রমাণ করেছে দেশের মানুষ অনুপ্রবেশ পছন্দ করেন না।

    অনুপ্রবেশ রুখতে সতর্ক বিএসএফ

    শুক্রবার গুজরাতের ভুজে সীমান্ত সুরক্ষা বাহিনীর (বিএসএফ) এক অনুষ্ঠানে গিয়ে শাহ একহাত নিলেন বিরোধীদের। তিনি বলেন, ‘‘অনুপ্রবেশ ঠেকাতে অহরহ কাজ করছে বিএসএফ। ভারতে অনুপ্রবেশ বন্ধ করা কেবল দেশের নিরাপত্তা রক্ষার জন্যই প্রয়োজন তা নয়, বরং দেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে দূষিত হওয়া থেকে রক্ষার করাও এর উদ্দেশ্য।’’ তাঁর অভিযোগ, কিছু রাজনৈতিক দল সরকারের অনুপ্রবেশ-বিরোধী অভিযানকে দুর্বল করার চেষ্টা করছে। শাহের কথায়, ‘‘এসআইআর প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ভোটার তালিকার শুদ্ধকরণের যে কাজ করছে নির্বাচন কমিশন, তা বিঘ্নিত করার চেষ্টা করছে তারা (বিরোধী শিবির)।’’

    মুখ্যমন্ত্রী-প্রধানমন্ত্রী ঠিক করবেন দেশের নাগরিকরাই

    শাহের কথায়, ‘‘কোন রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন, দেশের প্রধানমন্ত্রী কে হবেন— তা ঠিক করার দায়িত্ব একমাত্র দেশের নাগরিকদেরই। অনুপ্রবেশকারীদের সেই অধিকার নেই।’’ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মনে করেন, এসআইআর প্রক্রিয়া দেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা নিরাপদ এবং বিশুদ্ধ করবে। তিনি আরও বলেন, ‘‘যে সব রাজনৈতিক দল এসআইআরের বিরোধিতা করছে, আমি তাদের সতর্ক করতে চাই। ওরা অনুপ্রবেশকারীদের রক্ষা করতে চাইছে। কিন্তু তা হবে না কখনওই।’’

  • Shivraj Singh Chouhan: মোদি জমানায় ভারতের খাদ্যশস্য উৎপাদনে সর্বোচ্চ বৃদ্ধি, জানালেন শিবরাজ সিং

    Shivraj Singh Chouhan: মোদি জমানায় ভারতের খাদ্যশস্য উৎপাদনে সর্বোচ্চ বৃদ্ধি, জানালেন শিবরাজ সিং

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মোদি জমানায় গত ১০ বছরে খাদ্যশস্য উৎপাদনে (Foodgrain Production) সর্বোচ্চ বৃদ্ধির সীমাকে অতিক্রম করেছে ভারত। সর্বশেষ সরকারি তথ্য অনুসারে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শিবরাজ সিং জানিয়েছেন, ২০১৫-১৬ সালে ২৫১.৫৪ মিলিয়ন টন থেকে উৎপাদন ১০৬ মিলিয়ন টন বৃদ্ধি ঘটিয়ে ২০২৪-২৫ সালে ৩৫৭.৭৩ মিলিয়ন টনে পৌঁছে গিয়েছে খাদ্যশস্য উৎপাদন। ২০১৪ থেকে কেন্দ্রের মোদি সরকারের স্বদেশী উৎপাদননীতি এবং আত্মনির্ভর নীতির ফলেই আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে দেশ এখন একটি বিশেষ জায়গা দখল করেছে। এমনটাই মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহল।

    চাল-গম-মুগের উৎপাদন বৃদ্ধি

    কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান (Shivraj Singh Chouhan) বলেছেন, “চাল উৎপাদনও ১,৫০১.৮৪ লক্ষ টনের রেকর্ড স্তরে পৌঁছেছে ভারত। এই সাফল্য গত বছরের ১,৩৭৮.২৫ লক্ষ টনের তুলনায় ১২৩.৫৯ লক্ষ টন বেশি। পাশাপাশি গমের উৎপাদনও (Foodgrain Production) রেকর্ড পরিমাণে বৃদ্ধি করেছে ভারত। ২০২৪-২৫ সালে গমের উৎপাদন মাত্রা হয়েছে ১,১৭৯.৪৫ লক্ষ টন। ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে ১,১৩২.৯২ লক্ষ টন উৎপাদনের তুলনায় যা ৪৬.৫৩ লক্ষ টন বেশি। একই ভাবে উৎপাদনে বৃদ্ধি পেয়েছে মুগ ডাল, সয়াবিন এবং চিনাবাদামও। মুগ ডালের ক্ষেত্রে উৎপাদন বেড়ে ৪২.৪৪ লক্ষ টন, সয়াবিনের ক্ষেত্রে বেড়েছে ১৫২.৬৮ লক্ষ টন এবং চীনাবাদামের ক্ষেত্রে বেড়ে হয়েছে ১১৯.৪২ লক্ষ টন।”

    কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী আরও বলেন, “ভুট্টা এবং বাজরা উৎপাদন যথাক্রমে ৪৩৪.০৯ লক্ষ টন এবং ১৮৫.৯২ লক্ষ টন বৃদ্ধি পেয়েছে। এই দুই খাদ্যশস্যের উৎপাদন গত বছর ছিল ৩৭৬.৬৫ লক্ষ টন এবং ১৭৫.৭২ লক্ষ টন। সবটাই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে কৃষিক্ষেত্রের দ্রুত পরিবর্তনের প্রতিফলন। ২০২৩-২৪ সালে তৈলবীজ উৎপাদন ছিল ৩৯৬.৬৯ লক্ষ টন। এইবার ২০২৪-২৫ সালে মোট তৈলবীজ উৎপাদন রেকর্ড হয়েছে ৪২৯.৮৯ লক্ষ টন। মোট উৎপাদন বৃদ্ধির পরিমাণ ৩৩.২০ লক্ষ টন।

    প্রধানমন্ত্রী মোদির নেতৃত্বেই উন্নয়ন

    খাদ্যশস্য উৎপাদনের (Foodgrain Production) এই বৃদ্ধিতে রয়েছে চিনাবাদাম এবং সয়াবিনের রেকর্ড উৎপাদন। যার পরিমাণ যথাক্রমে ১১৯.৪২ লক্ষ টন এবং ১৫২.৬৮ লক্ষ টন। এটি গত বছরের ১০১.৮০ লক্ষ টন এবং ১৩০.৬২ লক্ষ টন থেকে ১৭.৬২ লক্ষ টন এবং ২২.০৬ লক্ষ টন বৃদ্ধি। রেপসিড এবং সরিষা উৎপাদন হয়েছে আনুমানিক ১২৬.৬৭ লক্ষ টন।

    কৃষিমন্ত্রী শিবরাজ (Shivraj Singh Chouhan) ভবিষ্যতের আধুনিক কৃষি ব্যবস্থা এবং প্রযুক্তি নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বিস্তর আলোচনা করেছেন। তিনি বর্তমান ভারতের উৎপাদন নিয়ে আত্মবিশ্বাস প্রকাশ করেছেন। তাঁর সাফ কথা, “প্রধানমন্ত্রী মোদির নেতৃত্বে চালু হওয়া ডালে আত্মনির্ভরশীলতা মিশন-ই ডাল উৎপাদন বৃদ্ধিতে দেশের কৃষি ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করবে।” সরকারের বিভিন্ন কৃষি কল্যাণ কর্মসূচি খাদ্যশস্য উৎপাদনে একই রকম ইতিবাচক ফলাফলকে আরও সুদূরপ্রসারী করবে। তুর, উড়াদ, ছানা এবং মুগের জন্য ন্যূনতম সহায়ক মূল্যে ক্রয়ের নিশ্চয়তার কথাও তুলে ধরেছেন তিনি। কেন্দ্রের সুশাসন এবং সুপ্রকল্পিত নীতি সারা দেশের বিপুল সংখ্যক কৃষককে উপকৃত করেছে বলে উল্লেখ করেছেন শিবরাজ সিং।

  • Kashmir Times Office Raid: ‘দেশ-বিরোধী’ প্রচার! কাশ্মীরে সংবাদপত্রের অফিসে পুলিশি অভিযানে মিলল একে-৪৭-র গুলি

    Kashmir Times Office Raid: ‘দেশ-বিরোধী’ প্রচার! কাশ্মীরে সংবাদপত্রের অফিসে পুলিশি অভিযানে মিলল একে-৪৭-র গুলি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশবিরোধী কাজে উৎসাহ দেওয়া, অস্ত্র মজুত করা সহ নানা অভিযোগে কাশ্মীর টাইমসের (Kashmir Times Office Raid) জম্মুর দফতরে তল্লাশি চালাল সে-রাজ্যের তদন্তকারী সংস্থা এসআইএ। সূত্রের খবর, সংবাদপত্রের অফিসে তল্লাশি অভিযানে গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্রের সঙ্গে একে-৪৭-এর কার্তুজ, পিস্তলের গুলি এবং গ্রেনেডের তিনটে লিভার উদ্ধার হয়েছে। অন্যদিকে, দিল্লি বিস্ফোরণকাণ্ডে আরও ৪ অভিযুক্তকে শ্রীনগর থেকে গ্রেফতার করেছে এনআইএ। এখনও পর্যন্ত এনআইএ মোট ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে।

    ‘কাশ্মীর টাইমস’ এর অফিস থেকে উদ্ধার অস্ত্র

    দিল্লি বিস্ফোরণের তদন্তে জম্মুতে ‘কাশ্মীর টাইমস’ সংবাদপত্রের (Kashmir Times Office Raid) অফিসে হানা দিয়েছে এসআইএ (স্টেট ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি)। দিল্লির লাল কেল্লায় গাড়ি বিস্ফোরণ এবং জইশ-ই-মহম্মদের ‘ডাক্তার জঙ্গি’ নেটওয়ার্কের তদন্তে বৃহস্পতিবার জম্মুর রেসিডেন্সি রোডে কাশ্মীর টাইমস সংবাদপত্রের অফিসে তল্লাশি চালায় রাজ্য তদন্ত সংস্থা (এসআইএ)। সম্প্রতি এই সংবাদপত্রটির বিরুদ্ধে একটি এফআইআর করা হয়েছে। এই এফআইআর-এর কারণেই তল্লাশি চালানো হয়েছে। এদিন কাশ্মীর টাইমসের অফিসে থাকা নথি এবং ডিজিটাল ডিভাইসগুলিতে অনুসন্ধান চালানো হয়। এসআইএ-র তল্লাশি চলাকালীন উদ্ধার হয় একে-৪৭-এর কার্তুজ, পিস্তলের গুলি এবং গ্রেনেডের তিনটে লিভার। পুলিশের এক আধিকারিকের কথায়, ‘আমরা মনে করছি যে, এই সব কিছুই বেআইনি ভাবে রাখা হয়েছিল যা দেশ-বিরোধী বা চরমপন্থীদের সঙ্গে যোগাযোগের ইঙ্গিত করছে। আরও বিস্তারিত তদন্তের প্রয়োজন রয়েছে।’

    ভারত-বিরোধী প্রতিবেদন প্রকাশ -এর অভিযোগ 

    জম্মু-কাশ্মীর পুলিশে সন্ত্রাস-দমন শাখা এসআইএ-র অভিযোগ, পাক অধিকৃত কাশ্মীর থেকে লেখা ভারত-বিরোধী প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয় এই সংবাদপত্রে। এই সব প্রতিবেদন লেখকের নামও উল্লেখ থাকে। দেশবিরোধী কার্যকলাপ প্রচারের অভিযোগে সংবাদপত্রটির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে এসআইএ। কাশ্মীর টাইমসের সম্পাদক অনুরাধা ভাসিনের নামও এফআইআর-এ রয়েছে। বছর চারেক ধরে বন্ধ শ্রীনগরের প্রেস এনক্লেভে ‘কাশ্মীর টাইমস’-এর অফিস। ২০২১-২২ থেকে বন্ধ প্রকাশনাও। বর্তমানে পুরোটাই অনলাইন। সেই বন্ধ অফিসেই বৃহস্পতিবার সাতসকালে হানা দেয় জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের ‘স্টেট ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এসআইএ)।’ পুলিশ ‘কাশ্মীর টাইমস’–এর বিরুদ্ধে যে এফআইআর দায়ের করেছে, সেখানে বলা হয়েছে — এই নির্দিষ্ট মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম সন্ত্রাসবাদ ও বিচ্ছিন্নতাবাদী ভাবধারা প্রচার করছিল। পাশাপাশি উস্কানিমূলক মন্তব্য, সাজানো ও মিথ্যে বক্তব্য তুলে ধরা, জম্মু ও কাশ্মীরের তরুণ প্রজন্মকে মৌলবাদে উৎসাহিত করা, জঙ্গিদের প্রতি নরম মনোভাব, শান্তি ও আইন-শৃঙ্খলাকে বিঘ্নিত করা এবং সর্বোপরি দেশের সার্বভৌমত্ব ও অখণ্ডতাকে তাদের প্রকাশিত সংবাদ ও ডিজিটাল কনটেন্ট-এর মাধ্যমে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছে।

    এর পরে কী?

    এর আগে, ২০২০-এর অক্টোবরে জম্মু ও কাশ্মীর কর্তৃপক্ষ ‘কাশ্মীর টাইমস’-এর শ্রীনগর অফিস সিল করে দেয়। পরে অবশ্য মেন গেট-সহ দু’একটা রুমে যাওয়ার অনুমতি ছিল। তার প্রায় পাঁচ বছর পরে ফের তল্লাশি চলল এই সংবাদমাধ্যমের অফিসে। এর পরে কী? তা নিয়ে অবশ্য কিছু জানায়নি পুলিশ। এক বিবৃতিতে তারা জানিয়েছে, উদ্ধার হওয়া সব কিছু ফরেন্সিকে পাঠানো হবে। তা হলেই বোঝা যাবে কোন উদ্দেশ্যে, কেন, কোথায় এই সব ব্যবহার করা হতো এবং কোনও জঙ্গি সংগঠন বা সন্ত্রাসবাদ-সহমর্মী ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর সঙ্গে যোগ রয়েছে কি না।

    দিল্লি বিস্ফোরণে শ্রীনগর থেকে ধৃত আরও ৪

    দিল্লি বিস্ফোরণের তদন্তে শ্রীনগর থেকে আরও চার প্রধান অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে এনআইএ। ধৃতদের তালিকায় রয়েছে জম্মু ও কাশ্মীরের পুলওয়ামার চিকিৎসক মুজাম্মিল শাকিল গণাই, অনন্তনাগের চিকিৎসক আদিল আহমেদ রাথের, উত্তরপ্রদেশের লখনউয়ের চিকিৎসক শাহিন সাঈদ এবং শোপিয়ানের মুফতি ইরফান আহমদ ওয়াগে। পাটিয়ালা হাউস কোর্টের নির্দেশে তাদের হেফাজতে নেওয়া হয়। এনআইএ জানিয়েছে, হামলার পরিকল্পনা, অর্থসংস্থান, প্রযুক্তিগত সহায়তা, সব দিকেই বড় ভূমিকা ছিল এই চার জনের।

  • RSS: “আরএসএসের মতো সংগঠন আর দ্বিতীয়টি নেই”, মণিপুরে দাঁড়িয়ে বললেন ভাগবত

    RSS: “আরএসএসের মতো সংগঠন আর দ্বিতীয়টি নেই”, মণিপুরে দাঁড়িয়ে বললেন ভাগবত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “আরএসএসের (RSS) মতো সংগঠন আর দ্বিতীয়টি নেই। যেমন সমুদ্র, আকাশ, মহাসাগরের তুলনা নেই, তেমনি সংঘেরও নেই।” মণিপুরের রাজধানী ইম্ফলে দাঁড়িয়ে কথাগুলি বললেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (আরএসএস)-এর সরসংঘচালক মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat)। মণিপুর সফরের প্রথম দিনে ইম্ফলে বিশিষ্টজনেদের এক সমাবেশে ভাষণ দেন তিনি। নিজের বক্তব্যে ভাগবত সংঘের সভ্যতাগত ভূমিকা, জাতীয় দায়িত্ব এবং শান্তিপূর্ণ ও দৃঢ় মণিপুর গঠনের জন্য যেসব চেষ্টা চলছে, সে কথাও তুলে ধরেন। ভাগবত বলেন, “সংঘ প্রতিদিনই দেশব্যাপী আলোচনার বিষয় হয়ে ওঠে। এর অনেকটাই ধারণা ও প্রচারের ওপর ভিত্তি করে গড়ে ওঠে।”

    আরএসএস (RSS)

    এর পরেই সরসংঘচালক বলেন, “আরএসএসের মতো সংগঠন আর নেই। যেমন সমুদ্র, আকাশ, মহাসাগরের তুলনা নেই, তেমনি সংঘেরও নেই। সংঘ স্বাভাবিকভাবে বেড়ে উঠেছে এবং প্রতিষ্ঠার ১৪ বছর পরে এর কর্মপদ্ধতি দৃঢ়ভাবে স্থির করা হয়। সংঘকে বোঝার জন্য শাখায় যেতে হয়। সংঘের লক্ষ্য সমাজে কোনও ক্ষমতার কেন্দ্র তৈরি করা নয়, বরং বিরোধীদেরও অন্তর্ভুক্ত করে সমগ্র হিন্দু সমাজকে সংগঠিত করা।” তিনি জানান, ১৯৩২–৩৩ সাল থেকেই আরএসএসকে (RSS) নিয়ে ভ্রান্ত তথ্য প্রচার করা শুরু হয়, বিশেষত ভারতের বাইরে থেকে, যেখানে ভারতের সভ্যতাগত চরিত্র সম্পর্কে কোনও ধারণা ছিল না। তিনি সত্যের ভিত্তিতে সংঘকে বোঝার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।আরএসএসের প্রতিষ্ঠাতা কেশব বলিরাম হেডগেওয়ারকে স্মরণ করে তিনি বলেন, “হেডগেওয়ার ছিলেন একজন মেধাবী ছাত্র, জন্মগত দেশপ্রেমিক এবং স্বাধীনতা আন্দোলনের সকল ধারায় সক্রিয় অংশগ্রহণকারী।”

    সংঘ প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনীয়তা

    তিনি বলেন, “সমাজকে ঐক্যবদ্ধ ও গুণগতভাবে উন্নত করার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেই হেডগেওয়ার সংঘ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। সংঘ মানুষ গড়ার একটি পদ্ধতি।” মানুষকে শাখা ব্যবস্থার মাধ্যমে সংঘকে বোঝার আহ্বান জানান তিনি। ভাবগত বলেন, “হিন্দু শব্দটি কোনও ধর্মীয় পরিচয় নয়, বরং একটি সাংস্কৃতিক ও সভ্যতাগত (RSS) শব্দ। হিন্দু একটি বিশেষণ, বিশেষ্য নয়।” তিনি বলেন, “একটি শক্তিশালী রাষ্ট্রের জন্য গুণমান ও ঐক্য অত্যন্ত জরুরি। রাষ্ট্রের উন্নতি কেবল নেতৃত্বের ওপর নির্ভর করে না। এর জন্য দরকার শক্তিশালী ও ঐক্যবদ্ধ একটা সমাজের (Mohan Bhagwat)।” হিন্দু ভাবনার অন্তর্ভুক্তির উদাহরণ হিসেবে ভাগবত শাস্ত্রের একটি বচন উদ্ধৃত করে বলেন, “একং সদ্‌ বিপ্রাঃ বহুধা বদন্তি। সত্য, করুণা, পবিত্রতা ও তপস্যাই ধর্মের সারসত্তা।” তিনি বলেন, “বৈচিত্র্য কোনও মিথ নয়। বৈচিত্র্য সমাজের অভ্যন্তরীণ ঐক্যের প্রকাশ (RSS)।”

    ভারতের প্রাচীন রাষ্ট্রভাবনা

    ভারতের প্রাচীন রাষ্ট্রভাবনা সম্পর্কে সরসংঘচালক বলেন, “ভারত পশ্চিমী রাষ্ট্রব্যবস্থার অনুসরণে গঠিত হয়নি। এটি আবির্ভূত হয়েছে মানবকল্যাণের জন্য প্রাচীন ঋষিদের তপস্যার ফল হিসেবে। বসুধৈব কুটুম্বকম প্রাচীন হিন্দু দর্শনের বিশ্বজনীন মানবিকতার প্রতিফলন (Mohan Bhagwat)।” এদিনের সভায় সরসংঘচালক একজোট হওয়ার প্রয়োজনীয়তার ওপরও গুরুত্ব দেন। তিনি বলেন, “আমাদের সমাজ যত শক্তিশালী হবে, বিশ্ব আমাদের কথা তত শুনবে। দুর্বলদের কথা কেউ শোনে না। সংঘের লক্ষ্য হল শক্তিশালী ও সুশৃঙ্খল হিন্দু সমাজ গঠনের জন্য সক্ষম ব্যক্তিদের প্রস্তুত করা (RSS)।” ভাগবত বলেন, “আরএসএস নিজের মাহাত্ম্য প্রচারের জন্য কাজ করে না। উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, তেরা বৈভব অমর রহে মা, হম দিন চার রহে না রহে। একথা আমাদের গুরুরাই বলেছেন।”

    পঞ্চ পরিবর্তন

    আরএসএসের শতবর্ষপূর্তি উপলক্ষে যে পঞ্চ পরিবর্তন চলছে, এদিন সেই উদ্যোগগুলির কথাও উল্লেখ করেন ভাগবত। তিনি বলেন, “এই পঞ্চ পরিবর্তন (Mohan Bhagwat) হল, সামাজিক সমরসতা (সামাজিক ঐক্য), কুটুম্ব প্রবর্তন (পারিবারিক জাগরণ), প্রয়াভরণ সংরক্ষণ (পরিবেশ রক্ষা), স্ববোধ (স্বদেশি ভাবনা ও আত্মপরিচয় শক্তিশালী করা) এবং নাগরিক কর্তব্য। আরএসএস প্রধান মণিপুরের শক্তিশালী সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের প্রশংসা করেন, বিশেষত উৎসব-অনুষ্ঠানে ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরা ও মাতৃভাষা ব্যবহারের। এগুলিকে আরও সুদৃঢ় করার পরামর্শও দেন তিনি (RSS)।

    ভাগবতের বক্তব্য

    মণিপুরের বর্তমান পরিস্থিতি প্রসঙ্গে ভাগবত বলেন, “সমাজ ও সম্প্রদায়স্তরে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে। ধ্বংস কয়েক মিনিটে হয়, কিন্তু নির্মাণে লাগে বহু বছর, বিশেষত সেটি যদি আবার সকলকে সঙ্গে নিয়ে এবং কাউকে আঘাত না দিয়ে করতে হয়। শান্তি স্থাপনে ধৈর্য, সম্মিলিত প্রচেষ্টা ও সামাজিক শৃঙ্খলা প্রয়োজন।” তিনি বলেন, “সাধারণ মানুষের সচেতনতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সব কিছু সরকারের ওপর ছেড়ে দিলে হবে না, সমাজের দায়িত্বও বিশাল। স্বনির্ভর সমাজ গড়তে হবে, তবেই স্বনির্ভর ভারত সম্ভব। সংঘ সবসময় শক্তিশালী সামাজিক ভিত্তির ওপর জোর দেয়।” দক্ষতা উন্নয়নের প্রয়োজনীয়তার কথাও উল্লেখ করেন ভাগবত। তিনি বলেন, “একটি অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী সমাজ গঠনের জন্য দক্ষতা (Mohan Bhagwat) উন্নয়ন ভীষণ প্রয়োজন। ভাবগত বলেন, “সজ্জন শক্তির দ্বারা সম্পূর্ণ সমাজ গঠন করাও প্রয়োজন (RSS)।”

  • India Made iPhones: আইফোন উৎপাদনে দ্রুত উত্থান হচ্ছে ভারতের, পিছিয়ে পড়ছে চিনের আইফোন সিটি!

    India Made iPhones: আইফোন উৎপাদনে দ্রুত উত্থান হচ্ছে ভারতের, পিছিয়ে পড়ছে চিনের আইফোন সিটি!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার ‘ড্রাগন’কে গিলতে শুরু করেছে ‘হাতি’! সম্প্রতি এক রিপোর্ট থেকে জানা যাচ্ছে, অ্যাপলের আইফোন (India Made iPhones) উৎপাদনে ভারতের দ্রুত উত্থান চিনের বহুদিনের আইফোন সিটির আধিপত্যকে পুনর্গঠন করছে, কিছু ক্ষেত্রে তো আবার খর্বও করে দিচ্ছে। ‘লে মন্ডি’তে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফক্সকনের বিশাল ঝেংঝৌ কারখানায় (Chinas iPhone city) শ্রমিকের সংখ্যা কমে যাওয়া, কঠোরতর বিধিনিষেধ এবং মরশুমি শ্রমিকের ঘাটতির কারণে সংগ্রামের মুখে পড়ছে। উল্টোদিকে, ভারত দ্রুতগতিতে উৎপাদন বাড়িয়ে চলেছে। তামিলনাড়ু এবং কর্নাটকে নয়া কারখানা চালু হওয়ার ফলে ভারত ধীরে ধীরে সেই সব কাজই করছে, যা একসময় পুরোপুরি ঝেংঝৌর দখলে ছিল।

    আইফোনের চাহিদা (India Made iPhones)

    এক দশকেরও বেশি সময় ধরে ঝেংঝৌয়ের ওই কারখানায় শ্রমিক ছিল প্রায় ৩ লাখ। বস্তুত, তার জেরেই বিশ্বব্যাপী আইফোন জোগানের কেন্দ্রে পরিণত হয়েছিল এই কারখানা। প্রতি বছর সেপ্টেম্বরের আইফোন উন্মোচনের আগে আগস্ট থেকে নভেম্বর পর্যন্ত উৎপাদন নাটকীয়ভাবে বেড়ে যায়। এই চাহিদা মেটাতে ফক্সকন ঐতিহ্যগতভাবে বিপুল সংখ্যক অস্থায়ী শ্রমিকের ওপর নির্ভর করতে শুরু করে। একসঙ্গে কয়েক হাজার শ্রমিক নিয়োগ করে। উদাহরণস্বরূপ, ২০২৪ সালের অগাস্টে কোম্পানি আইফোন ১৬ সিরিজের জন্য প্রায় ৫০ হাজার অস্থায়ী কর্মী নিয়োগ করেছে।

    চিনা আইন

    চিনের আইন অনুযায়ী, অস্থায়ী কর্মীর সংখ্যা কোনও কোম্পানির মোট শ্রমিকের ১০ শতাংশের বেশি হতে পারে না। ‘চায়না লেবার ওয়াচ’ জানিয়েছে, আইফোন সিটিতে ফক্সকনের মোট শ্রমিকের অর্ধেকেরও বেশি অস্থায়ী কর্মী, যা আইনের পরিপন্থী। কোম্পানির বিরুদ্ধে এই একই অভিযোগ উঠেছিল ২০১৯ সালেও। অস্থিতিশীল কর্মসংস্থান, খারাপ কর্মপরিবেশ, এবং প্রতি বছর বেতন ও বোনাস নিয়ে শ্রমিক অসন্তোষ-সহ নানা সমস্যার কারণে দীর্ঘদিন ধরে সমালোচনার সম্মুখীন হচ্ছে এই কোম্পানি (India Made iPhones)। ওই রিপোর্ট থেকেই জানা গিয়েছে, প্ল্যান্টের মৌলিক মাসিক বেতন প্রায় ২৯৫ ডলার। এটি ঝেংঝৌয়ের গড় বেতনের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে কম। ফলে ফক্সকনকে কর্মীদের আকর্ষণ করতে মোটা অঙ্কের বোনাসের ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে। বাজার যখন তুঙ্গে থাকে তখন এই বোনাস মাসে ১,৩০০ ডলারেরও বেশি হতে পারে। এজন্য কর্মীরা কয়েক মাসের জন্য যোগ দেন, উৎপাদন কমলেই ফের চাকরি ছেড়ে চলে যান (Chinas iPhone city)। জানা গিয়েছে, বর্তমানে বিশ্বের মোট আইফোনের প্রায় ২০ শতাংশ ভারতে তৈরি হয়, যা ২০২৪ এবং ২০২৫ সালে দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছে। কারণ অ্যাপল সরবরাহ শৃঙ্খলার বৈচিত্র্য বৃদ্ধি ও চিনা শুল্ক–ঝুঁকি কমাতে চায় (India Made iPhones)।

  • PM Modi: জি২০ সম্মেলনে যোগ দিতে দক্ষিণ আফ্রিকায় গেলেন প্রধানমন্ত্রী, বক্তব্য রাখবেন তিন অধিবেশনেই

    PM Modi: জি২০ সম্মেলনে যোগ দিতে দক্ষিণ আফ্রিকায় গেলেন প্রধানমন্ত্রী, বক্তব্য রাখবেন তিন অধিবেশনেই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “আমাদের দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ হবে ভারতের এমন দৃষ্টিভঙ্গিই উপস্থাপন করব।” শুক্রবার দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথমবারের জন্য অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া জি২০ শীর্ষ সম্মেলনে (G20) যোগ দিতে যাওয়ার আগে কথাগুলি বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। এদিনই তিনি তিনদিন সফরে জোহানেসবার্গের উদ্দেশে রওনা দেন। জি২০ সম্মেলনে যোগ দেওয়ার পাশাপাশি তিনি ষষ্ঠ আইবিএসএ সম্মেলনেও অংশ নেবেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমি সম্মেলনে ‘বসুধৈব কুটুম্বকম’ এবং ‘এক পৃথিবী, এক পরিবার, এক ভবিষ্যৎ’ – আমাদের এই দৃষ্টিভঙ্গির আলোকে ভারতের দৃষ্টিভঙ্গি উপস্থাপন করব।” দক্ষিণ আফ্রিকার উদ্দেশে রওনা দেওয়ার আগে এক্স হ্যান্ডেলে প্রধানমন্ত্রী লেখেন, “দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে অনুষ্ঠিত জি২০ সম্মেলনে যোগ দেব। এই সম্মেলনটি বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এটি আফ্রিকা মহাদেশে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সেখানে বিভিন্ন বৈশ্বিক ইস্যু নিয়ে আলোচনা হবে। সম্মেলনের সময় বিভিন্ন বিশ্বনেতার সঙ্গে সাক্ষাৎও করব।”

    দ্বিপাক্ষিক বৈঠক (PM Modi)

    জানা গিয়েছে, শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে জোহানেসবার্গে উপস্থিত কয়েকজন নেতার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর। তিনি সেখানে ষষ্ঠ আইবিএসএ শীর্ষ সম্মেলনেও অংশ নেবেন। প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী মোদি দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসার আমন্ত্রণে ২২–২৩ নভেম্বর দক্ষিণ আফ্রিকা সফর করছেন। এবার ২০তম জি২০ শীর্ষ সম্মেলন হচ্ছে দক্ষিণ আফ্রিকার সভাপতিত্বে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এটি একটি বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ সম্মেলন হবে। কারণ এটিই হবে আফ্রিকা মহাদেশে অনুষ্ঠিত প্রথম জি২০ সম্মেলন। ২০২৩ সালে ভারতের জি২০ সভাপতিত্বকালে আফ্রিকান ইউনিয়ন জি২০-এর সদস্য হয়েছিল।” জি২০-এর সদস্য দেশগুলি হল, আর্জেন্টিনা, অস্ট্রেলিয়া, ব্রাজিল, কানাডা, চিন, ফ্রান্স, জার্মানি, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, ইতালি, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, মেক্সিকো, রাশিয়া, সৌদি আরব, দক্ষিণ আফ্রিকা, তুর্কিয়ে (পূর্বতন তুরস্ক), ব্রিটেন, আমেরিকা, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও আফ্রিকান ইউনিয়ন (PM Modi)।

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী

    জি২০ সম্মেলন হবে বৈশ্বিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা করার একটি সুযোগ। এ বছরের জি২০-এর থিম হল ‘সংহতি, সাম্য ও টেকসই উন্নয়ন’। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এর মাধ্যমে দক্ষিণ আফ্রিকা নয়াদিল্লি এবং ব্রাজিলের রিও ডি জেনেইরোতে অনুষ্ঠিত পূর্ববর্তী শীর্ষ সম্মেলনগুলির সিদ্ধান্তকে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছে (G20)।” তিনি এও বলেন, “সহযোগী দেশের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আমার আলোচনা এবং সম্মেলনের সাইডলাইনে নির্ধারিত ষষ্ঠ আইবিএসএ শীর্ষ সম্মেলনে অংশগ্রহণের জন্য আমি মুখিয়ে রয়েছি।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে গিয়ে সেখানকার প্রবাসী ভারতীয়দের সঙ্গে দেখা করার জন্যও আমি আগ্রহী। দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রবাসী ভারতীয় সম্প্রদায় বিশ্বের বৃহত্তম প্রবাসী ভারতীয়দের মধ্যে অন্যতম।” এর আগে বিদেশমন্ত্রক জানিয়েছিল (PM Modi), সম্মেলনের তিনটি অধিবেশনেই বক্তব্য রাখার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর। এই অধিবেশনগুলি হল, “সমন্বিত ও টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি—কাউকে পিছনে না রেখে: আমাদের অর্থনীতি গঠন, বাণিজ্যের ভূমিকা, উন্নয়নের অর্থায়ন এবং ঋণের বোঝা”, “একটি সহনশীল জি২০-এর অবদান: দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস, জলবায়ু পরিবর্তন, ন্যায়সঙ্গত জ্বালানি রূপান্তর, খাদ্য ব্যবস্থা” এবং “সবার জন্য ন্যায়সঙ্গত ও সুবিচারপূর্ণ ভবিষ্যৎ: গুরুত্বপূর্ণ খনিজ, মর্যাদাপূর্ণ কর্মসংস্থান, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা।”

    জি২০

    প্রসঙ্গত, জি২০-এর সদস্য রাষ্ট্রগুলি বিশ্বের প্রধান অর্থনীতিগুলির প্রতিনিধিত্ব করে। এটি বিশ্ব জিডিপির ৮৫ শতাংশ, আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ৭৫ শতাংশ এবং বিশ্বের দুই-তৃতীয়াংশ জনসংখ্যা নিয়ে গঠিত। গ্রুপটির টানা চতুর্থ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে গ্লোবাল সাউথে। ২০২২ সালে জি২০-এর সভাপতিত্ব করেছে ইন্দোনেশিয়া, তার পরের বছর ভারত, ২০২৪ সালে ব্রাজিল এবং চলতি বছর দক্ষিণ আফ্রিকা। নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত জি২০ (G20) সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঘোষণা অনুযায়ী আফ্রিকান ইউনিয়ন বিশ্বের ২০টি বৃহত্তম অর্থনীতির এই গ্রুপের স্থায়ী সদস্য হয় (PM Modi)।

    গ্লোবাল সাউথ

    উল্লেখ্য যে, বিদেশমন্ত্রকের সচিব সুধাকর দালেলার মতে, জি২০ এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ ফোরাম, যেখানে আগের অধিবেশনগুলিতে দেশগুলি গ্লোবাল সাউথকে প্রভাবিত করে এমন বিভিন্ন বিষয়ে একটি ঐক্যমত্য ঘোষণা, পাইলট প্রকল্প এবং নয়া উদ্যোগ নিতে রাজি হয়েছে। তিনি বলেন, “আমরা খুব খুশি যে ব্রাজিলের সভাপতিত্বে এবং অবশ্যই দক্ষিণ আফ্রিকার নিজেদের সভাপতিত্বের জন্য নির্ধারিত চারটি ভার্টিক্যালের অধীনে এই আলোচনাগুলি এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এই সব ক্ষেত্রে বছরভর বিভিন্ন ট্র্যাকজুড়ে বেশ কিছু সাফল্য অর্জিত হয়েছে। তাই আমরা খুব খুশি যে গ্লোবাল সাউথের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি আলোচনার কেন্দ্রে রয়েছে এবং তুলে ধরা হচ্ছে (PM Modi)।”

  • Supreme Court: রাষ্ট্রপতি বা রাজ্যপালকে বিলের ক্ষেত্রে সময়সীমা বেঁধে দেওয়া যায় না, অভিমত সুপ্রিম কোর্টের

    Supreme Court: রাষ্ট্রপতি বা রাজ্যপালকে বিলের ক্ষেত্রে সময়সীমা বেঁধে দেওয়া যায় না, অভিমত সুপ্রিম কোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিল অনুমোদনে রাজ্যপাল বা রাষ্ট্রপতির জন্য নির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দেওয়া আদালতের কাজ নয়। একই সঙ্গে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) জানিয়েছে, রাজ্যপাল কোনও বিল অনির্দিষ্টকালের জন্য আটকে রাখতে পারেন না। হয় সেটাতে সম্মতি দিতে হবে। নয় বিধানসভায় ফেরত পাঠাতে হবে। বৃহস্পতিবার প্রেসিডেন্সিয়াল রেফারেন্স মামলায় সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ বলেছে, সংবিধান ইচ্ছাকৃতভাবেই কিছু ক্ষেত্রে নমনীয়তা রেখেছে, আর সেই জায়গায় সময়সীমা চাপিয়ে দেওয়া হলে সেই নমনীয়তায় ব্যাঘাত ঘটবে। তাতে রাজ্যপাল বা রাষ্ট্রপতির সাংবিধানিক অধিকার খর্ব করা হবে।

    কী বলল শীর্ষ আদালত

    রাষ্ট্রপতি ও রাজ্যপালের কাছে কোনও বিল পাঠানো হলে তাঁদের কী করা উচিত, এই নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে নানা প্রশ্ন উঠছিল। তামিলনাড়ুর করা মামলার রায়ে সেই বিষয়ে পরিষ্কার ব্যাখ্যা দিল সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালতের সাংবিধানিক বেঞ্চ বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, লোকসভা বা বিধানসভা থেকে পাশ হওয়া বিলগুলিতে সম্মতি দেওয়ার জন্য রাষ্ট্রপতি বা রাজ্যপালদের সময়সীমা নির্ধারণ করে দেওয়া যায় না ৷ একই সঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ, রাজ্যপালরা অনির্দিষ্টকালের জন্য বিল আটকে রাখতে পারেন না ৷ এটা আদতে গণতান্ত্রিক পদ্ধতি লঙ্ঘন করার সামিল। প্রধান বিচারপতি বিআর গভাইয়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে ছিলেন বিচারপতি সুর্যকান্ত, বিক্রম নাথ, পিএস নরসিমহা ও এএস চন্দরকর। ‘প্রেসিডেন্সিয়াল রেফারেন্স’ মামলায় বৃহস্পতিবার ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, নির্দিষ্ট সময়সীমা নির্ধারণ করে দেওয়া, ক্ষমতা পৃথকীকরণকে অসম্মান করার সামিল ৷ শীর্ষ আদালত এও জানিয়েছে, ২০০ এবং ২০১ অনুচ্ছেদ আদতে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের মধ্যে এই ভারসাম্য রক্ষার জন্যই তৈরি করা হয়েছে ৷ ফলে সময়সীমা আরোপ করলে এর বিপরীত অবস্থানে যাওয়া হবে।

    কী করবেন রাজ্যপাল

    কোনও বিল রাজ্যের আইনসভায় পাশ হওয়ার পর রাজ্যপালের কাছে গেলে, তাঁর কী করণীয়, তা ব্যাখ্যা করেছে সুপ্রিম কোর্ট। বৃহস্পতিবার শীর্ষ আদালত জানায়, রাজ্যপালের সামনে তিনটি সাংবিধানিক বিকল্প রয়েছে। ১) বিলটিতে সই করা, ২) সেটি রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানো, ৩) সম্মতি না-দিয়ে বিলটি বিধানসভায় ফেরত পাঠানো। একই সঙ্গে পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ জানিয়েছে, এই তিনটি বিকল্পের মধ্য থেকে কোনটি বেছে নেবেন— এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন রাজ্যপালই। এটি আদালতের বিবেচনার বিষয় নয় বলে জানায় সাংবিধানিক বেঞ্চ। প্রধান বিচারপতি গভাই বলেন, “রাজ্যপালকে কত দিনের মধ্যে সিদ্ধান্ত নিতে হবে, সেই সময়সীমাও আদালত নির্ধারণ করে দিতে পারে না।” একই সঙ্গে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, রাজ্যপাল বা রাষ্ট্রপতি তাঁদের কাজ কী ভাবে করছেন, তা আদালতের বিচারযোগ্য নয়। কিন্তু দীর্ঘ দিন ধরে কোনও পদক্ষেপ না-করা, অনির্দিষ্ট কাল ধরে বিল নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে বিলম্ব করা এবং সেটির কোনও ব্যাখ্যা না দেওয়া—এই সমস্ত ক্ষেত্রে আদালত সীমিত নির্দেশ দিতে পারে, যাতে তাঁরা দায়িত্ব পালন করেন।

    কী করতে পারে আদালত

    বৃহস্পতিবার রায় ঘোষণা করতে গিয়ে শীর্ষ আদালত জানায়, রাষ্ট্রপতি এবং রাজ্যপালের কাজের উপর সাধারণ ভাবে বিচারবিভাগীয় হস্তক্ষেপ করা যায় না। তবে দীর্ঘ দিন ধরে নিষ্ক্রিয়তা থাকলে সাংবিধানিক আদালত হস্তক্ষেপ করতে পারে বলে জানিয়েছে সাংবিধানিক বেঞ্চ। সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১৪৩ উদ্ধৃত করে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, কোনও বিল নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিলে রাষ্ট্রপতিকে প্রতি বার শীর্ষ আদালতের মতামত চাইতেই হবে— এমন বাধ্যবাধকতা নেই। অনুচ্ছেদ ১৪২ অনুসারে সুপ্রিম কোর্ট রাষ্ট্রপতি বা রাজ্যপালের ক্ষমতা পূরণ করতে পারে না বলে জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। একই সঙ্গে আদালত স্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দিয়েছে যে, বিল আইনে পরিণত না হলে, রাজ্যপাল বা রাষ্ট্রপতির সিদ্ধান্ত আদালতে চ্যালেঞ্জ করা যাবে না।

    কোন প্রক্ষিতে এই অভিমত

    রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু এ বছরের মে মাসে সংবিধানের ১৪৩ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী একটি রেফারেন্স পাঠিয়েছিলেন। তাঁর প্রশ্ন ছিল, কোনও আদালত কি রাজ্যপাল বা রাষ্ট্রপতিকে রাজ্য বিধানসভায় পাশ হওয়া বিল নিয়ে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সিদ্ধান্ত নিতে নির্দেশ দিতে পারে? বিশেষত তামিলনাড়ুর রাজ্যপালকে কেন্দ্র করে যে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল, তার পরিপ্রেক্ষিতেই রাষ্ট্রপতির এই প্রশ্ন ছিল। সংবিধানের ১৪৩ ধারা প্রদত্ত বিশেষ অধিকার বলে শীর্ষ আদালতের রায় নিয়ে ১৪টি প্রশ্ন তুলে দেন তিনি। যার ফলে ওই রায় পর্যালোচনার জন্য পাঁচ সদস্যের প্রেসিডেন্সিয়াল রেফারেন্স বেঞ্চ তৈরি হয়। বিধানসভায় পাশ হওয়া বিলে সম্মতি দেওয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য রাজ্যপাল ও রাষ্ট্রপতির জন্য সময়সীমা বেঁধে দিয়ে রায় দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট । তার পরেই এই বিষয়ে রাজ্যপাল ও রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা ব্যাখ্যা করতে শীর্ষ আাদালতের সামনে ১৪টি প্রশ্ন পাঠিয়েছিলেন রাষ্ট্রপতি মুর্মু। এ ব্যাপারে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারগুলির থেকে মতামত নেওয়ার পর গত জুলাই মাস থেকে প্রেসিডেন্সিয়াল রেফারেন্স মামলার শুনানি চলছিল প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন সাংবিধানিক বেঞ্চে ৷ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকার সুপ্রিম কোর্টের প্রশ্নের উত্তরে জানিয়েছিল, তারা রাজ্যপালকে বিল সইয়ের জন্য সময়সীমা বেঁধে দেওয়ার বিরোধী।

  • Taliban Trade Minister: ৫ দিনের ভারত সফরে আফগানিস্তানের বাণিজ্য মন্ত্রী, সিঁদুরে মেঘ দেখছে পাকিস্তান?

    Taliban Trade Minister: ৫ দিনের ভারত সফরে আফগানিস্তানের বাণিজ্য মন্ত্রী, সিঁদুরে মেঘ দেখছে পাকিস্তান?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ক্রমেই পোক্ত হচ্ছে ভারত-আফগানিস্তান সম্পর্ক (Taliban Trade Minister)! মাসখানেক আগেই ভারতের (India) মাটিতে প্রথম পা রেখেছিলেন তালিবান প্রশাসনের এক শীর্ষ মন্ত্রী। তার রেশ কাটার আগেই বুধবার নয়াদিল্লিতে এলেন তালিবান সরকারের শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী আলহাজ নুরউদ্দিন আজিজি। তাঁর আগে গত মাসেই ভারত সফরে এসেছিলেন সে দেশের বিদেশমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকি। সেবার তিনি ভারতে ছিলেন ৬ দিন। আর বাণিজ্যমন্ত্রী এসেছেন ৫ দিনের ভারত সফরে। তালিবান প্রশাসনের মন্ত্রীদের ঘন ঘন ভারত সফরে রক্তচাপ বেড়ে গিয়েছে পাকিস্তানের।

    কাবুলে এয়ারস্ট্রাইক (Taliban Trade Minister)

    আফগানিস্তানের বিদেশমন্ত্রী যখন ভারত সফরে ছিলেন, সেই সময়ই রাজধানী কাবুলে এয়ারস্ট্রাইক করেছিল পাকিস্তান। তারপর থেকে পাকিস্তানের সঙ্গে দীর্ঘদিন সীমান্ত বন্ধ ছিল আফগানিস্তানের। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই দেশের সম্পর্কও তলানিতে ঠেকে। পাকিস্তানের আর পাঠানো হচ্ছে না আফগানিস্তানের আপেল, টোম্যাটো-সহ একাধিক পণ্য। প্রত্যাশিতভাবেই পাকিস্তানের বাজারে গিয়ে এসব কিনতে গিয়ে হাতে ছ্যাঁকা লাগছে মধ্যবিত্তদেরও। এহেন আবহে আফগানিস্তানের বাণিজ্যমন্ত্রীর ভারত সফর যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই ধারণা আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি আফগানিস্তান থেকে ভারতে চলাচল করছে পণ্যবাহী বিমান।

    ট্রেড কমিটি গঠন

    অক্টোবর মাসে মুত্তাকির ভারত সফরের সময়ই ঠিক হয়, দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের জন্য একটি ট্রেড কমিটি গঠন করবে দুই দেশ। মূলত খনিজ, শক্তিসম্পদ এবং পরিকাঠামোর মতো ক্ষেত্রগুলিতে বিনিয়োগের সম্ভাবনা খতিয়ে দেখবে এই কমিটি। মুত্তাকির নয়াদিল্লি সফরের পরেই ফের চালু হয় কাবুলের ভারতীয় দূতাবাস। জানা গিয়েছে, চলতি ভারত সফরে আজিজি যেতে পারেন ইন্ডিয়া ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড ফেয়ারে। ভারতের শীর্ষ স্থানীয় আধিকারিকদের সঙ্গেও বৈঠক করার কথা তাঁর। আরও কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে যোগ দেবেন পাঠানদের দেশের বাণিজ্যমন্ত্রী। নুরউদ্দিনের ভারত সফর উপলক্ষে ভারতের বিদেশমন্ত্রকের (Taliban Trade Minister) মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, “সরকারি সফরে ভারতে এসেছেন আফগানিস্তানের শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী আলহাজ নুরউদ্দিন আজিজি। দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য এবং বিনিয়োগ এগিয়ে নিয়ে যাওয়াটাই এই সফরের মূল উদ্দেশ্য।”

    ডুরান্ড লাইন

    প্রসঙ্গত, ডুরান্ড লাইন বরাবর পাকিস্তান ও পাঠান সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষের কেন্দ্রে রয়েছে টিটিপি। আফগানিস্তানের তালিবান প্রশাসনের অভিযোগ, পাক সরকার এবং পাকিস্তানি সেনা ইসলামিক স্টেটের মতো জঙ্গি সংগঠনকে সাহায্য করছে। আর পাকিস্তানের অভিযোগ, আফগানিস্তানের তালিবান সরকার আশ্রয় এবং (India) মদত দিচ্ছে টিটিপি সদস্যদের। এই টিটিপিই হামলা চালাচ্ছে পাকিস্তানে। ২০০৭ সালের ডিসেম্বর মাসে বাইতুল্লাহ মেহসুদের নেতৃত্বে পাকিস্তানের ফেডারেল শাসিত উপজাতি এলাকার বিভিন্ন জঙ্গি গোষ্ঠীকে একজোট করে গঠন করা হয় টিটিপি। এই গোষ্ঠীকে আন্তর্জাতিকভাবে একটি জঙ্গি সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। আল-কায়েদা জঙ্গিদের বিরুদ্ধে পাক সামরিক অভিযানের প্রতিক্রিয়ায় এর জন্ম। বর্তমানে টিটিপির মূল লক্ষ্য হল, পাকিস্তানের সরকারকে সরিয়ে তাদের নিজস্ব মতাদর্শে একটি ইসলামি শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা।

    ভারত আফগানিস্তানের অন্যতম বড় বাণিজ্য অংশীদার

    প্রসঙ্গত, ভারত বর্তমানে আফগানিস্তানের অন্যতম বড় বাণিজ্য অংশীদার। মানবিক সহায়তা, খাদ্যশস্য, চিকিৎসা সামগ্রী এবং পরিকাঠামো প্রকল্পে দিল্লির ভূমিকা তালিবানের (Taliban Trade Minister) কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই নূরউদ্দিনের এই সফর ভারত-আফগান বাণিজ্যিক সম্পর্ককে আরও শক্তিশালী করবে বলেই ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের। ভূরাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, আফগানিস্তান যখন ক্রমেই পাকিস্তান থেকে দূরত্ব বাড়াচ্ছে, তখন ভারতের সঙ্গে (India) ঘনিষ্ঠতা পাকিস্তানের কূটনৈতিক চাপে আরও অক্সিজেন জোগাবে। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, তালিবান প্রশাসনের ভারত সফরে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, আটকে থাকা প্রকল্প – সব দিকেই নয়া সমীকরণ গড়ে উঠতে পারে।

    ভারত ও আফগানিস্তানের সম্পর্ক

    বস্তুত, আশরাফ গনির আমলে ভারত ও আফগানিস্তানের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক বেশ মজবুত হয়েছিল। আফগানিস্তানের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পে বিনিয়োগও করেছিল নয়াদিল্লি। ২০২১ সালে আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা সরে গেলে পতন হয় গনি সরকারের। আফগানিস্তানের দখল নেয় তালিবান। তারপর থেকে এখনও পর্যন্ত রাষ্ট্রসংঘের স্বীকৃতি পায়নি আফগানিস্তানের তালিবান সরকার। বিশ্বের সিংহভাগ দেশের সঙ্গেই স্বীকৃত কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই তাদের। কূটনৈতিক স্বীকৃতি না দিলেও, তালিবান সরকারের সঙ্গে আলোচনার দরজা একেবারে বন্ধ করে দেয়নি ভারত।

    ভারতের গুরুত্ব

    চলতি বছরের শুরুর দিকেই দুবাইয়ে মুত্তাকির সঙ্গে বৈঠক হয় ভারতের বিদেশসচিব বিক্রম মিশ্রির। বস্তুত, ওই বৈঠকের পর থেকে ক্রমশ মসৃণ হতে থাকে আফগানিস্তান-ভারতের সম্পর্ক। দুবাইয়ের ওই বৈঠকে তালিবান সরকার ভারতকে এক গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক এবং অর্থনৈতিক শক্তি হিসেবে ব্যাখ্যা করে। এর পর মে মাসে মুত্তাকির সঙ্গে কথা হয় ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের। তার পর অক্টোবরে ভারতে (India) আসেন আফগানিস্তানের বিদেশমন্ত্রী মুত্তাকি। তার আগেই অবশ্য দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে জঙ্গিহানার পরে ওই ঘটনার নিন্দে করেছিল তালিবান সরকার।

    ভারত-আফগান সম্পর্কের জল কোন দিকে গড়ায়, এখন সেটাই দেখার (Taliban Trade Minister)।

  • Rafale Jets: রাফাল নিয়ে অপপ্রচার চিনের! এআই ছবি-ভুয়ো ভিডিও ব্যবহার বেজিংয়ের, দাবি মার্কিন রিপোর্টে

    Rafale Jets: রাফাল নিয়ে অপপ্রচার চিনের! এআই ছবি-ভুয়ো ভিডিও ব্যবহার বেজিংয়ের, দাবি মার্কিন রিপোর্টে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অপারেশন সিঁদুর চলাকালীন রাফাল যুদ্ধবিমান নিয়ে নিজেদের স্বার্থে ভুয়ো প্রচার চালিয়েছিল চিন। বিস্ফোরক রিপোর্ট প্রকাশ করে দাবি আমেরিকার। আমেরিকা-চিন অর্থনৈতিক এবং নিরাপত্তা পর্যালোচনা কমিশনের পেশ করা রিপোর্টে তুলে ধরা হয়েছে, এআই ব্যবহার করে এবং ভুয়ো সোশাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টগুলিকে কাজে লাগিয়ে রাফালে ধ্বংসের খবর ছড়িয়েছিল চিন। সঙ্গী হয় পাকিস্তানও। কিন্তু আমেরিকার রিপোর্টে স্পষ্ট বলা হয়েছে, রাফাল নিয়ে মিথ্যা প্রচার চালিয়েছে চিন। প্রাথমিকভাবে বেজিংয়ের উদ্দেশ্য ছিল, প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে রাফালের জনপ্রিয়তা কমিয়ে বিকল্প হিসেবে নতুন প্রযুক্তির চিনা জে-৩৫ যুদ্ধবিমানকে তুলে ধরা। তাই অপারেশন সিঁদুরের সময়টাকেই হাতিয়ার করে চিন।

    কেন অপপ্রচার চালায় চিন

    চলতি বছর মে মাসে অপারেশন সিঁদুর চলাকালীনই রাফাল যুদ্ধবিমান নিয়ে অপপ্রচার শুরু করে চিন। ভারত-পাক যুদ্ধ পরিস্থিতিতে পাকিস্তান দাবি করেছিল, ভারতীয় বায়ুসেনার অন্তত ৩টি রাফাল যুদ্ধবিমান নামিয়েছে তারা। শুরুতে পাকিস্তানের সেই দাবি নিয়ে ভারত মুখ খোলেনি। এবার জানা গেল, ভারতীয় বায়ুসেনার গর্ব রাফাল যুদ্ধবিমানের সুনাম নষ্ট করতে সোশ্যাল মিডিয়ায় জঘন্য ষড়যন্ত্র করেছে চিন। সম্প্রতি ‘আমেরিকা-চিন ইকোনমিক অ্যান্ড সিকিওরিটি রিভিউ কমিশন’-এর এক রিপোর্টে উঠে এসেছে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য। রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, নিজেদের পঞ্চম প্রজন্মের জে-৩৫ যুদ্ধবিমানের বিক্রি বাড়াতে মরিয়া বেজিং, ভারতের রাফাল যুদ্ধবিমানের বিরুদ্ধে মিথ্যে অপপ্রচার চালিয়েছে।

    ভুয়ো সোশাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট ব্যবহার

    রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২৫ সালের মে মাসে ভারত-পাকিস্তান সংঘাতের সময় থেকেই চিন এই ‘তথ্য যুদ্ধ’ শুরু করেছিল। এআই দিয়ে তৈরি ভাঙা রাফালের ছবি গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে দিতে ভুয়ো সোশাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করেছে চিন, এমনটাই দাবি আমেরিকা-চিন অর্থনৈতিক এবং নিরাপত্তা পর্যালোচনা কমিশনের পেশ করা রিপোর্টে। ভুয়ো ছবি দেখিয়ে দাবি করা হয়, পাকিস্তানের ব্যবহার করা জে-৩৫ যুদ্ধবিমানের সামনে টিকতে পারেনি ভারতীয় রাফাল যুদ্ধবিমান। ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। আসলে ‘অপারেশন সিঁদুর’-এ ভারতের সাফল্যকে খাটো করে এবং রাফালকে দুর্বল প্রমাণ করে ইন্দোনেশিয়া ও পাকিস্তানের মতো দেশগুলির কাছে নিজেদের যুদ্ধবিমান বেচতে চেয়েছিল শি জিনপিংয়ের দেশ। আমেরিকার রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, বিনা উস্কানিতে পাকিস্তানের হামলার পরে ভারত যখন তার যোগ্য জবাব দিচ্ছিল, তখন নেপথ্যে থেকে পাকিস্তানের হয়ে এই ডিজিটাল যুদ্ধ চালায় চিন। এমনকি এই সুযোগে পাকিস্তানের কাছে ৪০টি জে-৩৫ বিমান বিক্রির প্রস্তাবও দেয় তারা।

    ফ্রান্সের সংস্থার দাবি

    চিনের এই হীন চক্রান্ত ফাঁস হতেই আন্তর্জাতিক মহলে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। রাফাল প্রস্তুতকারী ফরাসি সংস্থা দাসো অ্যাভিয়েশনের কর্তারা বলছেন, অপারেশন সিঁদুরের পর বিভিন্ন দেশে গিয়ে রাফাল সম্পর্কে ভুল তথ্য ছড়াচ্ছে চিন ও পাকিস্তান। ওই দেশগুলি যাতে রাফাল না কেনে সেটা নিশ্চিত করতে চাইছে ওই দুই দেশ। তাদের মূল উদ্দেশ্য, রাফাল যুদ্ধবিমানের ‘সুখ্যাতি’ নষ্ট করা। ফ্রান্সের শীর্ষকর্তারা দাবি করেছেন, রাফাল নিয়ে পাকিস্তানের দাবি সত্যি নয়। রাফাল নিয়ে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। ফ্রান্স দাবি করে, তাদের যুদ্ধবিমান নিখুঁত। রাফালের বিরুদ্ধে ভুয়ো প্রচার অভিযান চলছে এবং ফরাসি আধিকারিকেরা তার মোকাবিলার চেষ্টা করছেন, দাবি করেছিল সে দেশের সরকার। সংবাদ সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস ফরাসি গোয়েন্দা সূত্র উল্লেখ করে একটি রিপোর্টে জানিয়েছিল, রাফাল যুদ্ধবিমানের বিক্রি কমানোর জন্য চিনের মদতে এই ধরনের প্রচার চলছে। এ বার মার্কিন রিপোর্টও একই দাবি জানাল। রাফাল নিয়ে ইন্দোনেশিয়ার সঙ্গে ফ্রান্সের একটি চুক্তি হওয়ার কথা ছিল। ভারত-পাক সংঘাতের পর সেই চুক্তি স্থগিত হয়ে যায়। রাফাল জেটের কার্যক্ষমতা নিয়ে সন্দিহান হয়ে ওঠে ইন্দোনেশিয়া সরকার। মার্কিন রিপোর্টে দাবি, এতেও চিনের হস্তক্ষেপ রয়েছে। পাকিস্তান চিনের তৈরি জে-৩৫ যুদ্ধবিমান ব্যবহার করে। ২০২৫ সালের জুন মাসে পাকিস্তানের কাছে আরও ৪০টি জে-৩৫ যুদ্ধবিমান, কেজে-৫০০ বিমান এবং ব্যালিস্টিক মিসাইল প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা বিক্রির প্রস্তাব দিয়েছে চিন। প্রায় একইসঙ্গে পাকিস্তান প্রতিরক্ষা খাতে বাজেট বরাদ্দও বৃদ্ধি করেছে।

    দেশের ভিতরে অপপ্রচার

    বিজেপি নেতা অমিত মালব্য এই রিপোর্টের প্রেক্ষিতে প্রশ্ন তুলেছেন, ভারতের ভিতরে কারা সেদিন চিনের এই মিথ্যা আখ্যানের পালে হাওয়া দিয়েছিল? কারা কয়টি যুদ্ধবিমান ধ্বংস হয়েছে জানতে চেয়েছিল? তিনি কারও নাম করেননি, তবে তিনি যে বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধীর কথাই বলতে চেয়েছেন, তা বুঝতে অসুবিধা হয় না। অপারেশন সিঁদুরে ভারতের কাছে বিধ্বস্ত হয়ে গিয়েছিল পাকিস্তান। এস-৪০০ এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম, আকাশ এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম, ব্রহ্মস মিসাইল, রাফাল যুদ্ধবিমানের মতো অস্ত্রের সামনে পাকিস্তানের হাল খারাপ হয়ে গিয়েছিল। আর সেই পরিস্থিতিতে নিজেদের মুখ বাঁচাতে সোশ্যাল মিডিয়ায় মিথ্যে এবং ভুয়ো দাবি করছিল পাকিস্তান। ইসলামাবাদ দাবি করছিল যে ভারতের নাকি যুদ্ধবিমান গুলি করে নামিয়েছে। প্রমাণ হিসেবে দাবি করছিল যে “সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই দাবি ঘুরে বেড়াচ্ছে।” তারই মধ্যে এখন মার্কিন কংগ্রেসের রিপোর্টে জানানো হয়েছে, রাফাল ধ্বংস করার যে দাবি করছিল পাকিস্তান, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও জাল ছিল। এর পিছনে চিনের একটি বড় ষড়যন্ত্র ছিল। মার্কিন কমিশন এটিকে চিনের ব্যাপক ‘গ্রে জোন কৌশল’-র অংশ হিসেবে উল্লেখ করেছে, যেখানে সরাসরি সামরিক সংঘাত ছাড়াই ভূ-রাজনৈতিক সুবিধা অর্জন করা হয়।

  • Nitish Kumar: দশম বারে বিহারের মুখ্যমন্ত্রীর পদে শপথ নিলেন নীতীশ কুমার, ২ উপমুখ্যমন্ত্রী বিজেপির

    Nitish Kumar: দশম বারে বিহারের মুখ্যমন্ত্রীর পদে শপথ নিলেন নীতীশ কুমার, ২ উপমুখ্যমন্ত্রী বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাটনায় দশম বারের জন্য বিহারের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথগ্রহণ করলেন ৭৪ বছরের নীতীশ কুমার (Nitish Kumar)। ২০ নভেম্বর, বৃহস্পতিবার রাজধানী পাটনায় ঐতিহাসিক গান্ধী ময়দানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের উপস্থিতিতে বেলা ১১ টায় মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করেছেন নীতীশ। তাঁর সঙ্গে মন্ত্রীসভার আরও ২৫ জন বিধায়ক মন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করেছেন। এদিন একই সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী সঙ্গে উপমুখ্যমন্ত্রী হিসবে শপথ গ্রহণ (Bihar Oath Ceremony) করেন বিজেপির সম্রাট চৌধুরি এবং বিজয় কুমার।

    আরও মজবুত এনডিএ (Nitish Kumar)

    মাঝের কিছু সময় বাদ দিলে ২০০৫ থেকে টানা বিহারের মুখ্যমন্ত্রী পদের দায়িত্ব সামলেছেন নীতীশ কুমার। ২০ বছরে দেশের এবং বিহারের রাজনৈতিক ব্যাপক অদলবদল ঘটেছে। সময় এবং নেতাদের চাহিদা অনুসারে একাধিক বার জোটের সমীকরণ বদলে গিয়েছে বিভিন্ন ভাবে। কখনও জোট ধরেছেন আবার কখন ছেড়েছেন। তবে জোট আর রাজনীতিতে সিদ্ধহস্ত নীতীশ। কিন্তু বিহারের মুখ্যমন্ত্রী পদে বার বার নীতীশকেই দেখা গিয়েছে। ২০২০ সালের লড়াইতেও এনডিএ জোট এবং মহাজোটের ব্যবধান ছিল সামান্য সিটের। এইবার ২০২৫ বিধানসভা নির্বাচনে এনডিএ-র ঝুলিতে গিয়েছে ২০২টি আসন, যা সরকার গঠনের জন্য দরকারি সংখ্যা ১২২-র চেয়ে অনেক বেশি। নির্বাচনে বিজেপি পেয়েছে একক ভাবে ৮৯টি আসন। অপর দিকে পাল্লা দিয়ে আসন বাড়িয়েছে নীতীশেরও। জেডিইউ পেয়েছে ৮৫টি আসন।

    এনডিএ জোটের বড় শক্তি প্রদর্শন

    গতকাল বুধবারেই বিদায়ী সরকারের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন নীতীশ (Nitish Kumar)। এরপর রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদ খানের কাছে নতুন সরকার গড়ার দবি জানিয়ে চিঠি দেন। এদিন শপথ গ্রহণ (Bihar Oath Ceremony) অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ছাড়াও ছিলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ, অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা, মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়ণবীশ। ছিলেন বিজেপির সর্ব ভারতীয় সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জগৎ প্রকাশ নাড্ডা।

    এনডিএ জোটের ঐক্যবদ্ধতা এবং শক্তি প্রদর্শনের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন অন্ধ্র প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডু, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী চিরাগ পাসোয়ান, হিন্দুস্থান আওয়াম মোর্চার নেতা জিতনরাম মাঝি। তবে মন্ত্রকের বিভাজন এবং মন্ত্রিত্ব বণ্টনে এনডিএ শরিক দলের প্রাপ্ত আসনের প্রেক্ষিতে মন্ত্রিত্ব দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে। রাষ্ট্রীয় লোক মোর্চা আরএলএম-এ ১টি, হিন্দুস্থান আওয়াম মোর্চা সেকুলার অথবা হ্যাম (এস) ১টি এবং চিরাগ পাসোয়ানের লোক জনশক্তি পার্টি (রাম বলাস) ৩টি করে মন্ত্রিত্ব পাবেন বলে জানা গিয়েছে। আর বাকি মন্ত্রিত্ব ভাগাভাগি করা হয়েছে বিজেপি এবং জেডিইউএর মধ্যে।

    কোন কোন বিধায়ক শপথ নিয়েছেন?

    এদিনের শপথ গ্রহণের অনুষ্ঠানে জেডিইউ-র পক্ষে শপথ নেন বিজয়কুমার চৌধুরি, বিজেন্দ্রপ্রসাদ যাদব, শ্রেয়ান কুমার, আশোক চৌধুরি, লেসি সিংহ, মদন সাহনি, সুনীল কুমার এবং মহম্মদ জামা খান। বিজেপি বিধায়কদের মধ্যে সম্রাট এবং বিজয় ছাড়াও শপথ গ্রহণ করেন দিলীপ জয়সওয়াল, মঙ্গল পান্ডে, সঞ্জয় সিংহ টাইগার, রমা নিষাদ, অরুণশঙ্কর প্রসাদ, রামকৃপাল যাদব, নিতিন নবীন ও সুরেন্দ্র প্রসাদ মেহতা। জিতনরামের দল হামের তরফে মন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন সন্তোষ সমন।

    শপথ ময়দানের গুরুত্ব

    বিহারের গান্ধী ময়দান এক ঐতিহাসিক স্থান। ১৯৭৪ সালে এই ময়দান থেকেই লোকনায়ক জয়প্রকাশ নারায়ণ ইন্দিরা সরকারের বিরুদ্ধে সম্পূর্ণ ক্রান্তির ডাক দিয়েছিলেন। তিনি অবশ্য রাজনৈতিক গুণ এবং ব্যক্তিত্বের জন্য জেপি নামেই বেশি পরিচিত। নীতীশের (Nitish Kumar) কাছেও এই জায়গার ঐতিহাসিক গুরুত্ব অপরিসীম। ২০০৫, ২০১০, ২০১৫ সালে মুখ্যমন্ত্রীর শপথ (Bihar Oath Ceremony) এখানেই গ্রহণ করেছিলেন। ২০২৫ সালে দশম বারের জন্য ফের আরেকবার শপথ নেন এই ঐতিহাসিক ময়দান থেকেই।

LinkedIn
Share