Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • RSS at 100: “ভারতীয় সমাজকে ঐক্যবদ্ধ করাই সঙ্ঘের প্রধান কাজ”, বললেন মোহন ভাগবত

    RSS at 100: “ভারতীয় সমাজকে ঐক্যবদ্ধ করাই সঙ্ঘের প্রধান কাজ”, বললেন মোহন ভাগবত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সঙ্ঘের (RSS at 100) শতবর্ষের অনুষ্ঠানে সরসঙ্ঘ চালক মোহন ভাগবত (Mohon Bhagwat) বলেন, “ভারতীয় সমাজকে ঐক্যবদ্ধ করাই সঙ্ঘের কাজ। রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সঙ্ঘের লক্ষ্য ক্ষমতা বা রাজনৈতিক নিয়ন্ত্রণ নয় বরং জাতির গৌরবকে তুলে ধরা। আমরা ক্ষমতা চাই না, ভারত মাতার গৌরবের জন্য হিন্দু সমাজকে সংগঠিত করাই আমাদের কাজ।” বেঙ্গালুরুতে অনুষ্ঠিত হয়েছে ‘সঙ্ঘ শতবর্ষ যাত্রা: নতুন দিগন্ত’ শীর্ষক বক্তৃতামালা। আলোচনার প্রথম দিনের ভাষণ শুনতে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের প্রবুদ্ধ সমাজ, বুদ্ধিজীবী ও শিক্ষাবিদরা। এদিন সমাজ গঠনে সঙ্ঘের দৃষ্টিভঙ্গী এবং রাষ্ট্র পুনঃনির্মাণের সামজিক দায়িত্বের কথাও স্মরণ করেন আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত।

    সামাজিক দায়বদ্ধতা (RSS at 100)

    সঙ্ঘ চালক মোহন ভাগবত (Mohon Bhagwat) তাঁর ভাষণে বলেন, “রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সঙ্ঘের (RSS at 100) প্রকৃত অর্থ কি এবং অবস্থান কেমন তা ভালো করে জানা প্রয়োজন। এই সংগঠন একটি ব্যতিক্রমী সংগঠন, বিশ্বের বাকি সংগঠনের তুলনায় সম্পূর্ণ আলাদা। এই সংগঠন কোন বিশেষ ঘটনা বা পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে তৈরি করা হয়নি। কোনও বিশেষ মত বা আদর্শের বিরোধিতার জন্যও এই সংগঠন তৈরি হয়নি। আমাদের সংগঠনের কাজ হল সমগ্র সমাজকে ঐক্যবদ্ধ করা। সমাজের উন্নতি এবং জাগরণের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এই সংগঠন। ব্যক্তি নির্মাণ সমাজের নেতৃত্ব, চরিত্র গঠন, শৃঙ্খলা এবং নিষ্ঠা গড়ে সমাজের জন্য নিঃস্বার্থভাবে কাজ করাই সংঘের প্রধান কাজ। ভারত মায়ের সেবা করাই জীবনের প্রধান লক্ষ্য। তাই সামাজিক দায়বদ্ধতার জায়গায় থেকে কাজ করে আরএসএস।”

    ভারত মায়ের সুরক্ষা

    রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সঙ্ঘের আদর্শ হল রাষ্ট্রভক্তি। ভাগবত (Mohon Bhagwat) তাই বলেন, “সঙ্ঘ (RSS at 100) কখনও ধ্বংস এবং সংঘর্ষের মতো নেতিবাচক কাজে যুক্ত হয় না। এই সংগঠন গঠনমূলক দিকের কথা ভেবেই কাজ করে। সঙ্ঘের শাখা কখনওই ব্যক্তি সুবিধা বা লাভের কথা চিন্তা করে না। ভারত মাতার জন্য সব সময় নিবেদিত প্রাণ। দেশের প্রত্যেকে শাখায় ভারত মায়ের সুরক্ষা এবং দেশ-সমাজের কল্যাণের উদ্দেশ্যের কথা ভেবেই স্বয়ং সেবকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। সঙ্ঘের প্রধান উদ্দেশ্য হল, সমগ্র হিন্দু সমাজকে সংগঠিত করা এবং সমাজকে নেতৃত্ব দেওয়া। তাই সংঘের প্রার্থনায় ভারত মায়ের কল্যাণের কথা বার বার স্মরণ করা হয়। স্বয়ং সেবকদের ভক্তির সার কথাই হল ভারত মায়ের জয় জয়কার।”

    লক্ষ্যে সঙ্ঘ অবিচল ছিল

    সঙ্ঘের প্রধান মোহন ভাগবত বলেন, “সঙ্ঘ (RSS at 100) সব সময় আর্থিক ভাবে স্বাবলম্বী হওয়ার উপর জোর দিয়ে থাকে। সঙ্ঘের কাজকে সঠিক ভাবে বাস্তবায়নের জন্য বাইরে থেকে আর্থিক সাহায্যের প্রয়োজন নেই। নিজেদের কেউ স্বয়ং সম্পন্না হতে হবে। বিশ্বের এমন কোনও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন নেই যাকে আরএসএস-এর মতো কঠিন বাধার সম্মুখীন হতে হয়েছে। বিভিন্ন সময়ে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছে সঙ্ঘ। তিন তিন বার সঙ্ঘের কাজকে আটকাতে রাজনৈতিক ভাবে সঙ্ঘের উপর প্রতিবন্ধকতা লাগিয়েছিল। তবুও সঙ্ঘ থেমে থাকেনি। নিজের কাজ এবং লক্ষ্যে সঙ্ঘ অবিচল ছিল।”

    ডাক্তারজি একজন স্বাধীনতা সংগ্রামী

    এদিনের ভাষণে প্রথম সরসঙ্ঘ চালক ডাক্তার কেশব বলিরাম হেডগেওয়ারকেও (RSS at 100) স্মরণ করেন ভাগবত (Mohon Bhagwat)। বলেন, “ডাক্তারজি স্বাধীনতা সংগ্রামী ছিলেন। বাংলার বিপ্লবী সংগঠন অনুশীলন সমিতির একজন একনিষ্ঠ কর্মকর্তা ছিলেন। ভারত মায়ের সেবায় নিজের সর্বস্ব অর্পণ করেছিলেন। সেই সঙ্গে তিনি ছিলেন সমাজতাত্ত্বিক, দার্শনিক এবং দেশনায়ক। কেশবজি মনে প্রাণে বিশ্বাস করতেন ভারতের বিচার ব্যবস্থা এবং প্রশাসন বিষয়ে নিয়ন্ত্রণ করার অধিকার কোনও ব্রিটিশেরই নেই। বন্দে মাতরম্‌ আন্দোলনের নেতৃত্বে বিশেষভাবে সক্রিয় ছিলেন ডাক্তারজি। তিনি নাগপুরের স্কুলগুলিতে স্বদেশী আন্দোলন এবং ভারত মায়ের মুক্তির জন্য যুব সমাজকে জাগ্রত করার ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রেখেছিলেন।”

    দীর্ঘ দিনের পরাধীনতায় ভারতীয়রা আত্মপরিচয় ভুলতে বসেছিলেন। ভারতীয় সমাজের আত্ম বিস্মৃতি এবং আত্ম সচেতনতা সম্পর্কে বিশেষ বক্তব্যও রাখেন ভাগবত। তিনি বলেন, “পরাধীনতা আমাদের গ্রাস করেছে। আমরা আমাদের নিজস্ব মানুষকে ভুলে গিয়েছি। আমাদের বৈচিত্র্যগুলিকে বড় রকমের বিভেদ-বিভাজনের স্বরূপ হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে। পরাধীন ভারতে সমাজ জাগরণে বিবেকান্দ, স্বামী দয়ানন্দ সরস্বতীর কথাও ভুলে যাওয়া উচিত নয়। আমাদের সংস্কৃতি এবং ইতিহাসের শেকড়কে ভুলে যাওয়া ঠিক নয়। এই কাজেও বিশেষ নজর রাখছে সঙ্ঘ।”

    পরাধীনতার বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন হিন্দুরা

    ভারতের ইতিহাস বিশ্লেষণ করতে গিয়ে ভাগবত (Mohon Bhagwat) বলেন, “ব্রিটিশ ভারতে যুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীনতা অর্জনের বড় প্রচেষ্টা ছিল ১৮৫৭ সালের মহাবিদ্রোহ। গোটাদেশ একত্রিত হয়ে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলনে নেমেছিলেন। তবে এটা মনে রাখা উচিত ব্রিটিশরাই প্রথম এদেশে প্রথম আক্রমণকারী ছিল না। ইতিপূর্বে শক, হুন, কুষাণ, যবন, মুসলমানরা আক্রমণ করেছিল। শেষে আসে ব্রিটিশরা। ফলে ব্রিটিশরা আসার আগে ভারত ঐক্যবদ্ধ ছিল না, এই তথ্য মিথ্যে। ভারত অনেক আগে থেকেই সঙ্ঘবদ্ধ এবং ঐক্যবদ্ধ ছিল। সময়ে সময়ে যাঁরা পরাধীনতার বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলেন তাঁরা সকলেই হিন্দু।”

  • Jammu Kashmir: ফের হামলার আশঙ্কা, জম্মু-কাশ্মীরে সজাগ সেনা, পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিদের নয়া ষড়যন্ত্র!

    Jammu Kashmir: ফের হামলার আশঙ্কা, জম্মু-কাশ্মীরে সজাগ সেনা, পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিদের নয়া ষড়যন্ত্র!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:পাকিস্তানে ভারতীয় সেনাবাহিনী সশস্ত্র অভিযান চালিয়েছে, ছ’মাসও হয়নি। এর মধ্যে জম্মু ও কাশ্মীরে (Jammu Kashmir) নতুন করে প্রত্যাঘাতের ছক কষছে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, লস্কর ই-তৈবা (LeT)এবং জৈশ-ই-মহম্মদ (JeM) কাশ্মীরে হামলার পরিকল্পনা করছে। ইতিমধ্যে জঙ্গিগোষ্ঠীগুলি কাশ্মীরের সীমান্তের বাইরে রসদ সরবরাহ থেকে শুরু করে তথ্য সংগ্রহের কাজে গতি বাড়িয়েছে। নিরাপত্তারক্ষীদের চোখ এড়িয়ে অনুপ্রবেশেরও চেষ্টা চলছে। তবে সীমান্তে সদা সতর্ক ভারতীয় সেনা। জঙ্গিদের অনুপ্রবেশের চেষ্টা প্রতিহত করছে তারাই।

    ড্রোন উড়িয়ে নজরদারি

    গোয়েন্দা সূত্রে খবর, লস্কর জঙ্গিদের একটি গোষ্ঠী কাশ্মীরে নিয়ন্ত্রণরেখার কাছে ড্রোন দিয়ে নজরদারি চালিয়েছে। কোন কোন অংশে নিরাপত্তাবাহিনীর নজরদারি দুর্বল, তা চিহ্নিত করেছে। এ ছাড়া, পাকিস্তানের স্পেশাল সার্ভিস গ্রুপের (এসএসজি) প্রাক্তন সেনা এবং কিছু জঙ্গিকে নিয়ে নতুন পাকিস্তানি সীমান্ত সক্রিয় গোষ্ঠী বর্ডার অ্যাকশন টিম (বিএটি) গঠন করা হয়েছে। পাক অধিকৃত কাশ্মীরে তাদের মোতায়েন করা হয়েছে বলেও খবর। অক্টোবর মাসেই সেখানে একটি উচ্চ পর্যায়ের গোপন বৈঠক হয়ে গিয়েছে। সেখানে ছিলেন পাক গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের আধিকারিকেরা। মনে করা হচ্ছে, অপারেশন সিঁদুরের প্রত্যাঘাতে কোনও বড়সড় হামলার পরিকল্পনা চলছে সীমান্তের ওপারে, যা ঠেকাতে অবিলম্বে উপত্যকায় আরও সক্রিয় হতে হবে ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনী এবং গোয়েন্দাদের।

    অনুপ্রবেশের চেষ্টা

    গত ২২ এপ্রিল দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে (Pahalgam Attack) জঙ্গি হামলায় মৃত্যু হয়েছিল ২৬ জন হিন্দু পর্যটকের। সেই ঘটনায় পাকিস্তানকে দায়ী করে একাধিক পদক্ষেপ করে নয়াদিল্লি। ৬ মে মধ্যরাতে পাক জঙ্গিঘাঁটিগুলি ধ্বংস করতে সে দেশে হামলা চালায় ভারতীয় সেনা। তারই নাম দেওয়া হয়েছিল ‘অপারেশন সিঁদুর’(Operation Sindoor)। তার পর দুই দেশের মধ্যে টানা চার দিন সংঘর্ষ চলেছে। এখন সংঘর্ষবিরতি থাকলেও দুই দেশের সম্পর্ক তলানিতে। অপারেশন সিঁদুরের পর কাশ্মীরে অনুপ্রবেশের একাধিক গোপন পথ খুঁজে বের করেছিলেন গোয়েন্দারা। সেখানে নজরদারিও বাড়ানো হয়েছে। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, পাকিস্তানের স্পেশ্যাল সার্ভিসেস গ্রুপ (SSG) ও আইএসআইয়ের সহযোগিতায় একাধিক লস্কর ও জইশ ইউনিট লাইন অব কন্ট্রোল (LoC) পেরিয়ে ঢোকার চেষ্টা করছে জম্মু-কাশ্মীরে।

    নিষ্ক্রিয় জঙ্গি সেলগুলিকে পুনরুজ্জীবিত করার চেষ্টা

    গোয়েন্দা তথ্য অনুযায়ী, লস্করের একটি ইউনিটের নেতা পাকিস্তানের দিক থেকে ড্রোনের (Drone) মাধ্যমে এলওসির দুর্বল জায়গাগুলির ছবি জোগাড় করছে। এর মাধ্যমে ফিদায়েঁ হামলা বা অস্ত্র সরবরাহের সম্ভাবনা তৈরি হচ্ছে বলেই আশঙ্কা নিরাপত্তা বাহিনীর। জঙ্গি ও প্রাক্তন সেনাদের নিয়ে গঠিত পাকিস্তানের বর্ডার অ্যাকশন টিম (BAT) আবারও মোতায়েন করা হয়েছে পাক অধিকৃত কাশ্মীরে (PoK)। গোয়েন্দাদের আশঙ্কা, এই ইউনিটগুলিই সীমান্ত পেরিয়ে ভারতীয় সেনা ছাউনিতে হামলার চেষ্টা করতে পারে। সূত্রের খবর, অক্টোবরে পিওকে-তে জৈশ, হিজবুল ও জামাত-ই-ইসলামি-সহ একাধিক সংগঠনের নেতারা আইএসআইয়ের (ISI) সঙ্গে বৈঠক করে। সেখানে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, নিষ্ক্রিয় জঙ্গি সেলগুলিকে পুনরুজ্জীবিত করতে হবে, পুরানো কমান্ডারদের মাসিক ভাতা দিতে হবে এবং ‘অপারেশন সিঁদুরে’ নিহতদের প্রতিশোধ নিতে নতুন হামলা চালানো হবে।

    ফের সক্রিয় মাদক চক্র

    লস্কর এখন কাশ্মীর উপত্যকায় স্থানীয় সহযোগীদের সঙ্গে যোগাযোগ পুনর্গঠন করছে। একই সঙ্গে মাদক ও অস্ত্র চোরাচালানের মাধ্যমে অর্থের জোগানও বাড়ানো হচ্ছে – যেমনটি এ বছর পাঞ্জাব ও রাজস্থানে দেখা গিয়েছিল। এই অবস্থায়, জম্মু ও কাশ্মীরের আপাত শান্তিপূর্ণ পরিবেশ আবারও নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। স্থানীয় নির্বাচন ও পর্যটনের ফিরতি স্রোতকে ভারতের সাফল্য হিসেবে দেখা হলেও, নিরাপত্তা মহল সতর্ক করছে— আইএসআই সমর্থিত সন্ত্রাস নেটওয়ার্ক আবার সক্রিয় হয়ে সেই স্বাভাবিকতা নষ্ট করার চেষ্টা করছে।

    ভারতীয় সেনাবাহিনীর সতর্কতা

    নতুন এই গোয়েন্দা রিপোর্টকে কেন্দ্রীয় সরকার ‘গুরুত্বপূর্ণ সতর্কবার্তা’ হিসেবেই দেখছে। উত্তর কমান্ডের সমস্ত সেক্টরে সেনা ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলি সর্বোচ্চ সতর্কতায় রয়েছে। উল্লেখযোগ্যভাবে, এই গোয়েন্দা তথ্য এমন সময়ে এসেছে যখন ভারত পশ্চিম সীমান্তে গুজরাট ও রাজস্থানে ‘ত্রিশূল’ যৌথ মহড়া পরিচালনা করছে। শীতকাল আসার সঙ্গে সঙ্গে সাধারণত অনুপ্রবেশ কমে যায়, কিন্তু বিশ্লেষকরা সতর্ক করছেন— পাকিস্তানের এই নতুন তৎপরতা হয়তো এক “দীর্ঘ শীতকালীন সন্ত্রাসের” সূচনা হতে পারে, যা ভারতের নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলতে পারে। সূত্রের খবর, প্রয়োজনে ‘অপারেশন সিঁদুরে’র দ্বিতীয় ধাপও শুরু হতে পারে। পাকিস্তান সীমান্তে সন্ত্রাসের মদত অব্যাহত রাখলে ভারত যে কঠোর পদক্ষেপ করবে, তা আগেই জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

  • Amit Shah: “বিহারে ফের সরকার গড়ছে এনডিএ”, এবার দাবি শাহের

    Amit Shah: “বিহারে ফের সরকার গড়ছে এনডিএ”, এবার দাবি শাহের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “বিহারে ফের সরকার গড়ছে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ (NDA)।” সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে এমনই দাবি করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। ৬ নভেম্বর প্রথম দফার নির্বাচন শেষে এমন প্রত্যয় ঝরে পড়েছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির গলায়ও। এবার একই দাবি করলেন শাহ।

    শাহের দাবি (Amit Shah)

    তিনি বলেন, “বিহারে ২৪৩টি আসনের মধ্যে ১৬০টিরও বেশি আসন পেয়ে ক্ষমতায় ফিরবে এনডিএ।” শাহ জানান, রাজ্যে অনুপ্রবেশ একটি বড় সমস্যা, বিশেষ করে সীমাঞ্চলগুলিতে, যেখানে ২৪টি আসন রয়েছে। এই অনুপ্রবেশকারীদের আগামী পাঁচ বছরের মধ্যেই নির্মূল করা হবে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “অনুপ্রবেশ একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা। অনুপ্রবেশকারী, তাদের বেআইনি ব্যবসা এবং বেআইনি দখলের কারণে পুরো সীমাঞ্চল এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত। আর এর সরাসরি প্রভাব পড়ছে এখানকার আইনশৃঙ্খলার ওপর। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, আগামী পাঁচ বছরে আমরা অনুপ্রবেশকারীদের তাড়িয়ে দেব। বন্ধ করে দেব তাদের বেআইনি ব্যবসা। একে একে প্রতিটি বেআইনি দখলও সরিয়ে দেব।”

    পঞ্চ পাণ্ডবের জয়!

    তিনি বলেন, “যেভাবে মানুষ আমাদের সমর্থনে উল্লাস প্রকাশ করছেন, তাতে মনে হয় বিহারের মানুষ এনডিএর সঙ্গে, বিজেপির সঙ্গেই রয়েছেন। আমরা ১৬০ আসনের অনেক বেশিই পাব। এনডিএ ন্যূনতম ১৬০ আসন পাবে। আমি এটিকে পঞ্চ পাণ্ডবের লড়াই বলি। কারণ এনডিএর পাঁচ সহযোগী দল হল, জেডিইউ, বিজেপি, এলজেপি (রাম বিলাস), হিন্দুস্তানি আওয়াম মোর্চা এবং রাষ্ট্রীয় লোক মঞ্চ। সবাই একজোট, কোনও বিবাদ নেই। বুথস্তর থেকে রাজ্যস্তর পর্যন্ত আমরা নরেন্দ্র মোদিজি এবং নীতীশ কুমারজির নেতৃত্বে যৌথ প্রচার চালাচ্ছি (Amit Shah)।”

    প্রথম দফায় ৬৪.৬৬ শতাংশের রেকর্ড ভোটদানের হার প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে বিজেপির এই প্রবীণ নেতা জানান, বিহারের স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশন (এসআইআর)-এরও এখানে ভূমিকা রয়েছে। তিনি বলেন, “এসআইআরও ভোটের শতাংশ বাড়ার একটি কারণ। কারণ যে সব ভোট অপচয় হত, যাঁরা মারা গিয়েছেন বা অন্য কোথাও গিয়ে বসবাস করছেন, তাঁদের নামও তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।”

    প্রসঙ্গত, বিহার বিধানসভা নির্বাচন হচ্ছে (NDA) দু’দফায়। মঙ্গলবার হবে দ্বিতীয় তথা শেষ দফার নির্বাচন। এই পর্যায়ে ভোট হবে ১২২টি আসনে। ভোট গণনা হবে শুক্রবার (Amit Shah)।

  • Operation Pimple: জম্মু-কাশ্মীরে অপারেশন পিম্পল, নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে নিকেশ দুই জঙ্গি

    Operation Pimple: জম্মু-কাশ্মীরে অপারেশন পিম্পল, নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে নিকেশ দুই জঙ্গি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অপারেশন পিম্পলে (Operation Pimple) জম্মু-কাশ্মীরের কুপওয়ারা অঞ্চলে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে দুই জঙ্গি নিহত হয়েছে। জানা গিয়েছে, শুক্রবার কুপওয়ারা (Kupwara) জেলার কেরান সেক্টরে নিয়ন্ত্রণ রেখা অর্থাৎ এলওসি কাছে সীমান্তের ওপার থেকে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করছিল জঙ্গিরা। তাদের আটকানোর চেষ্টা করতেই নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে শুরু হয় বন্দুকযুদ্ধ। এরপর গুলিতে মারা যায় দুই জঙ্গি।

    পাল্টা জবাবে মৃত জঙ্গিরা (Operation Pimple)

    নিরাপত্তা বাহিনীর সূত্রের খবর, গোয়েন্দাদের তথ্যের ভিত্তিতে এই অভিযান (Operation Pimple) শুরু করা হয়েছিল। নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর এলাকায় (Kupwara) সেনারা সন্দেহজনক কার্যকলাপ দেখেই প্রথমে সতর্ক করে। এরপর অনুপ্রবেশকারী জঙ্গিরা গুলি চালালে ভারতীয় সেনারাও গুলি চালিয়ে পাল্টা জবাব দেয়। দুই পক্ষের সঙ্গে তীব্র গুলির বিনিময়ে দুই জঙ্গি ঘটনাস্থলেই নিকেশ হয়।

    তুষারপাতের আগে সক্রিয় জঙ্গিরা

    কেরান সেক্টরের নিয়ন্ত্রণ রেখা অর্থাৎ এলওসি একটি সংবেদনশীল জায়গা। সাম্প্রতিক সময়ে বেশ কয়েকটি অনুপ্রবেশের চেষ্টা হয়েছে। তুষারপাতের ফলে পাহাড়ি পথ বন্ধ হয়ে যাবে তাই আগেই সীমান্ত অতিক্রম করার চেষ্টা করছে জঙ্গিরা। এই সপ্তাহের বুধবার শুরুতে, জম্মু ও কাশ্মীরের কিশতওয়ার জেলায় একটি সংঘর্ষের ঘটনা (Operation Pimple) ঘটেছিল। সেখানে দুই থেকে তিনজন জঙ্গিকে আটক করা হয়েছিল। তবে এই সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানের সময় একজন সেনা জওয়ান আহত হয়েছিলেন। আহত জওয়ানকে তাৎক্ষণিকভাবে উধমপুরের সেনা কমান্ড হাসপাতালে স্থানান্তর করাও হয়েছিল। ঘটনার দিন ভোরে নিরাপত্তা বাহিনী সম্মিলিত ভাবে তল্লাশি অভিযান শুরু করে। তাদের মধ্যে গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটে, যার ফলে উভয় পক্ষের মধ্যে গুলি বিনিময় শুরু হয়। ভারতীয় সেনাবাহিনী, হোয়াইট নাইট কর্পস, সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্স বা সিআরপিএফ এবং জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ যৌথভাবে এই অভিযান চালিয়েছিল।

    কিশতোয়ারের উঁচু এলাকায় অবস্থিত ছত্রু এলাকায় বিভিন্ন সময়ে বিক্ষিপ্তভাবে জঙ্গিদের সক্রিয়তা লক্ষ্য করা যায়। আর তাই ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনী এই অঞ্চলে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান এখন জোরদার ভাবে চালাচ্ছে। তবে এই বছরের শুরুর দিকে, নিরাপত্তা বাহিনী কিশতওয়ারের ডুল এলাকায় হামাস-ধাঁচের একটি জঙ্গি আস্তানাকে সম্পূর্ণ ভাবে ধ্বংস করে দিয়েছিল।

  • Parliaments Winter Session: সংসদের শীতকালীন অধিবেশন শুরু ১ ডিসেম্বর থেকে, জানালেন রিজিজু

    Parliaments Winter Session: সংসদের শীতকালীন অধিবেশন শুরু ১ ডিসেম্বর থেকে, জানালেন রিজিজু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সংসদের শীতকালীন অধিবেশন (Parliaments Winter Session) শুরু হবে ১ ডিসেম্বর থেকে। চলবে ওই মাসেরই ১৯ তারিখ পর্যন্ত। শনিবার এই ঘোষণা করেন সংসদীয় বিষয়ক মন্ত্রী কিরেন রিজিজু (Kiren Rijiju)। তিনি জানান, রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু ওই দিনগুলিতে শীতকালীন অধিবেশনের ডাক দেওয়ার সরকারের প্রস্তাবে সম্মতি দিয়েছেন।

    রিজিজুর বক্তব্য (Parliaments Winter Session)

    এক্স হ্যান্ডেলে রিজিজু লিখেছেন, “ভারতের মাননীয়া রাষ্ট্রপতি শ্রীমতি দ্রৌপদী মুর্মু সংসদের #শীতকালীন_অধিবেশন ১ ডিসেম্বর ২০২৫ থেকে ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫ পর্যন্ত আহ্বান করার সরকারি প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছেন (সংসদীয় কার্যসূচির প্রয়োজনীয়তার ওপর নির্ভরশীল)।” তিনি এও বলেন, “আমাদের গণতন্ত্রকে আরও শক্তিশালী করবে এবং জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণে সহায়ক হবে, এমন একটি গঠনমূলক ও অর্থবহ অধিবেশন প্রত্যাশা করছি।”

    শীতকালীন অধিবেশনের গুরুত্ব

    বিহার বিধানসভা নির্বাচনের পর অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এবারের শীতকালীন অধিবেশন রাজনৈতিকভাবে তাৎপর্যপূর্ণ বলেই ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা। বিতর্কিত বেশ কয়েকটি বিষয় আবারও সংসদের দুই কক্ষে আলোচনার কেন্দ্রে আসতে পারে। অনুমান, হরিয়ানা ও মহারাষ্ট্রে এসআইআর (বিশেষ নিবিড় সংশোধন) এবং তথাকথিত ভোট জালিয়াতি ইস্যুতে বিরোধী দল সরকারকে চাপে ফেলতে পারে। এদিকে, শীতকালীন অধিবেশনের স্বল্প সময়সীমা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে কংগ্রেস। এক্স হ্যান্ডেলে কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ লিখেছেন, “ঘোষণা করা হয়েছে যে সংসদের শীতকালীন অধিবেশন ১ ডিসেম্বর থেকে ১৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে। এটি অস্বাভাবিকভাবে দেরিতে এবং সংক্ষিপ্ত রাখা হয়েছে। কার্যদিবস হবে মাত্র ১৫ দিন। এতে কী বার্তা দেওয়া হচ্ছে (Parliaments Winter Session)?”

    প্রসঙ্গত, চলতি বছর সংসদের বাদল অধিবেশন চলেছিল ২১ জুলাই থেকে ২১ অগাস্ট পর্যন্ত। সেবার কার্যদিবস ছিল ২১টি। ওই অধিবেশনে অপারেশন সিঁদুর নিয়ে আলোচনা হয়েছিল। লোকসভায় পেশ হয়েছিল ১৪টি বিল। এর মধ্যে পাশ হয়েছিল ১২টি বিল। এই অধিবেশনে রাজ্যসভায় অনুমোদন হয়েছিল ১৫টি বিল। এই তালিকায় ছিল আয়কর বিল ২০২৫ও (Kiren Rijiju)। পরে অবশ্য এই বিলটি প্রত্যাহার করে নেয় কেন্দ্র। যদিও বিরোধীদের ঘোরতর প্রতিবাদ সত্ত্বেও পাশ হয়েছে লোকসভা অনলাইন গেমিং বিল ২০২৫-এর প্রচার ও নিয়ন্ত্রণ (Parliaments Winter Session)।

  • Ayodhya Ram Mandir: অযোধ্যায় রাম মন্দিরের চূড়ায় ২২ ফুট গেরুয়া ধ্বজ উত্তোলন করবেন মোদি

    Ayodhya Ram Mandir: অযোধ্যায় রাম মন্দিরের চূড়ায় ২২ ফুট গেরুয়া ধ্বজ উত্তোলন করবেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অযোধ্যা রাম মন্দিরের (Ayodhya Ram Mandir) জন্য আমেদাবাদের একটি কোম্পানি রেশম পতাকা তৈরি করেছে । ১৬১ ফুট উঁচু চূড়ায় ২২ ফুট গেরুয়া পতাকা উত্তোলন করবেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Pm modi)। এই পতাকার গৈরিক বর্ণ। রাম লালার মন্দিরের সর্বোচ্চ শিখরে এই পতাকা উত্তোলন করা হবে। ইতিমধ্যে এই পতাকা বা ধ্বজ উত্তোলনের জন্য সাজিয়ে তোলা হয়েছে গোটা মন্দির চত্বর।

    উত্তোলন হবে সূর্য এবং ঔঁ যুক্ত গৈরিক পতাকা (Ayodhya Ram Mandir)

    আগামী ২৫ নভেম্বর রাম মন্দিরের (Ayodhya Ram Mandir) শিখরে তোলা হবে এই গৈরিক পতাকা। গুজরাটের আমেদাবাদে প্যারাশ্যুট তৈরিতে পারদর্শী একটি অভিজ্ঞ কোম্পানি তৈরি করবে এই পতাকা। এই গৈরিক পতাকাটি বিশেষ রেশমের সুতো এবং প্যারাশ্যুট কাপড় ব্যবহার করে তৈরি করা হয়েছে। মনে করা হচ্ছে রোদ, বৃষ্টি এবং তীব্র বাতাসের বিরুদ্ধে ভীষণ ভাবে টেকসই হবে। বাতাসের আর্দ্রতা এবং তাপমাত্রার তারতম্য সহ্য করার জন্য ডিজাইন করা ২২ ফুট লম্বা এবং ১১ ফুট প্রস্থের পতাকাটি মন্দিরের ১৬১ ফুট উঁচু চূড়ার উপরে স্থাপিত ৪২ ফুট লম্বা একটি দণ্ডে স্থাপন করা হবে। পতাকায় আঁকা থাকবে বাল্মীকি রামায়ণের সূর্য এবং ঔঁ।

    থাকবেন মোহন ভাগবত-যোগী

    শ্রী শ্রী রামজন্মভূমি ক্ষেত্র ট্রাস্ট (Ayodhya Ram Mandir) সূত্রে জানিয়েছে, “পতাকাদণ্ডটি বল বিয়ারিংয়ের উপর করে তৈরি একটি ৩৬০ ডিগ্রি ঘূর্ণায়মান চেম্বারে থাকবে। কোনও রকম ক্ষয়ক্ষতি ছাড়াই ঘণ্টায় ৬০ কিমি বেগে বাতাসকে প্রতিরোধ করতে সক্ষম হবে।” সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, পতাকা উত্তোলনের দিন রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘের সরসংঘ চালক মোহন ভাগবত এবং উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ থাকবেন। প্রধানমন্ত্রী মোদি প্রথমে হনুমানগড়িতে প্রার্থনা করবেন। এরপর রাম মন্দিরের যাবেন। আগামী ২১ নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া ৫ দিনের অনুষ্ঠানে আয়োজনকে দেখার জন্য আরএসএস-এর তরফে গোপাল রাওকে বিশেষ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী মোদি (Pm modi) সপ্ত মন্দির এবং রামায়ণ দৃশ্য চিত্রিত থ্রিডি ম্যুরালও দেখবেন বলে জানানো হয়েছে। আগত ভক্তদের জন্য মোট ৭ জায়গায় প্রসাদ পরিবেশনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

  • Assam: “রবিবারই শুরু মিঞা মুসলমানদের বেআইনি দখলদারি উচ্ছেদ অভিযান”, ঘোষণা হিমন্তর

    Assam: “রবিবারই শুরু মিঞা মুসলমানদের বেআইনি দখলদারি উচ্ছেদ অভিযান”, ঘোষণা হিমন্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাত পোহালেই ৯ নভেম্বর। এদিন থেকেই ফের শুরু হবে অসমের (Assam) বনভূমিতে বাংলাদেশি মিঞা মুসলমানদের বেআইনি দখলদারি উচ্ছেদ অভিযান (Eviction Drives)। সোশ্যাল মিডিয়ায় এ খবর জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা স্বয়ং। তিনি বলেন, “কিছু মানুষ জনপ্রিয় গায়ক জুবিন গর্গের মৃত্যুর আবেগকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে অসমে নেপালের মতো অস্থিরতা সৃষ্টি করার চেষ্টা করেছিল। তাদের ধারণা ছিল, এভাবে সরকারকে চাপের মুখে ফেলে উচ্ছেদ অভিযান থামানো যাবে। কিন্তু দুঃখিত, আমি আপনাদের সেই আশা পূরণ করতে পারিনি। ৯ নভেম্বর থেকে গোয়ালপাড়া জেলার দোহিকোটা সংরক্ষিত বনে ফের শুরু হবে উচ্ছেদ অভিযান।”

    দখলদার উচ্ছেদ অভিযান (Assam)

    জানা গিয়েছে, বনবিভাগ জেলা প্রশাসন ও পুলিশের সহযোগিতায় দোহিকোটা সংরক্ষিত বনে ১ হাজার ১৪৩ বিঘে বনভূমি থেকে দখলদার উচ্ছেদ অভিযান শুরু করবে। ৯ নভেম্বরের আগেই বনভূমি খালি করার নির্দেশ দিয়ে ৩০০-রও বেশি বাংলাদেশি মুসলিম পরিবারকে নোটিশ দেওয়া হয়েছে। নোটিশ পাওয়ার পর বহু অবৈধ দখলদার বনভূমি ছেড়ে চলে গিয়েছে। দোহিকোটা সংরক্ষিত বনাঞ্চলটি হাতির বাসস্থান হলেও, অবৈধ দখলদারির জেরে ব্যাঘাত ঘটছে হাতির জীবনযাত্রার। তাই গোয়ালপাড়া জেলায় মানুষ–হাতি সংঘাত বাড়ছে দ্রুত।

    অশান্তি সৃষ্টির চেষ্টা

    প্রসঙ্গত, গায়ক জুবিন গর্গের মর্মান্তিক মৃত্যুর পর অসমে একদল মানুষ অশান্তি সৃষ্টি করার চেষ্টা করছিল। গায়কের অকাল প্রয়াণের বিচার দাবি করার নামে ওই গোষ্ঠী রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় অশান্তি সৃষ্টি করার চেষ্টা করেছিল। ১৫ অক্টোবর বকসা জেলা জেলের সামনে পুলিশ ও সংবাদ মাধ্যমের ওপর ব্যাপক হামলা হয় (Assam)। আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় যানবাহনে (Eviction Drives)। ওই ঘটনায় ২৫ জনেরও বেশি মানুষ জখম হন। পরে জানা যায়, এই হিংসার উসকানি দেওয়া হয়েছিল বেঙ্গালুরু থেকে পরিচালিত একাধিক হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে। ঘটনার পর পুলিশ ১১ জন দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করে। এদের মধ্যে ৯ জনই মুসলমান, বাকিরাও স্থানীয় নয় (Assam)।

  • HAL-GE Jet Engine Deal: মার্কিন জিই এরোস্পেস থেকে ১১৩টি জেট ইঞ্জিন কিনছে ভারত, ৮ হাজার ৮৭০ কোটির চুক্তি স্বাক্ষর

    HAL-GE Jet Engine Deal: মার্কিন জিই এরোস্পেস থেকে ১১৩টি জেট ইঞ্জিন কিনছে ভারত, ৮ হাজার ৮৭০ কোটির চুক্তি স্বাক্ষর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে শুল্ক-সংঘাতের আবহের মধ্যে মার্কিন সংস্থার সঙ্গে বিরাট বড় প্রতিরক্ষা চুক্তি করল ভারত। দেশীয় তেজস মার্ক-১এ যুদ্ধবিমানের জন্য ১১৩টি অত্যাধুনিক শক্তিশালী ‘এফ-৪০৪ আইএন২০’ ইঞ্জিন কিনতে প্রায় ৮ হাজার ৮৭০ কোটি টাকার চুক্তি সম্পন্ন করেছে রাষ্ট্রায়ত্ত যুদ্ধবিমান উৎপাদনকারী সংস্থা হিন্দুস্থান এরোনটিক্স লিমিটেড বা হ্যাল। শুক্রবারই এই চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে।

    তেজস জেট উৎপাদনের সমস্যা দূর হবে

    এই চুক্তি অনুযায়ী, ২০২৭ সাল থেকে ইঞ্জিন পেতে শুরু করবে ভারত। ২০৩২ সালের মধ্যে সবকটি ইঞ্জিন ভারতের হাতে তুলে দেওয়া হবে। হ্যালের তরফে জানানো হয়েছে, এই চুক্তির ফলে ভারতের দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি তেজস মার্ক-১এ যুদ্ধবিমান উৎপাদনে বিশেষ সুবিধা হবে। গত ২৫ সেপ্টেম্বর প্রতিরক্ষা মন্ত্রক ভারতীয় বায়ুসেনার জন্য ৬২,৩৭০ কোটি টাকায় ৯৭টি ৪.৫ প্রজন্মের হালকা ‘মাল্টি রোল সুপারসনিক’ যুদ্ধবিমান তেজস মার্ক-১এ কেনার চুক্তি করেছিল। ২০২৭-২৮ থেকে সরবরাহ শুরু হওয়ার কথা। ছ’বছরের মধ্যে তা সম্পন্ন হবে। মার্কিন সংস্থার সঙ্গে এই ইঞ্জিন-চুক্তি তেজস সরবরাহ করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে মনে করা হচ্ছে। মার্কিন ইঞ্জিন পেলে সময়মতো যুদ্ধবিমান সরবরাহে সমস্যা হবে না বলে হ্যাল সূত্রের খবর।

    ১০ বছরের প্রতিরক্ষা সমঝোতা ভারত-আমেরিকার

    গতমাসের শেষ দিকে, আগামী এক দশকে প্রতিরক্ষা খাতে পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধি করতে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করে ভারত ও আমেরিকা। সেখানে ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনা হয় মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব পিটার হেগসথের৷ ওই বৈঠকের পর মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিবের দাবি করেন, ওই চুক্তি আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা ও প্রতিরোধমূলক সক্ষমতার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভিত্তি। এটি দুই দেশের মধ্যে সমন্বয়, তথ্য বিনিময় ও প্রযুক্তিগত সহযোগিতা আরও জোরদার হবে এর মাধ্যমে। তার এক সপ্তাহের মধ্যেই স্বাক্ষরিত হল হ্যাল-জিই ইঞ্জিন চুক্তি। মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে দশ বছরের জন্য হওয়া এই চুক্তি ভারত ও আমেরিকাকে দ্বিপাক্ষিক সমঝোতার প্রশ্নে আরও কাছাকাছি এনে দিয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে৷

  • Rajnath Singh on Nuclear Test: ‘সঠিক সময়ে পদক্ষেপ করবে ভারত’, দিল্লির পারমাণবিক পরীক্ষা নিয়ে রাজনাথ

    Rajnath Singh on Nuclear Test: ‘সঠিক সময়ে পদক্ষেপ করবে ভারত’, দিল্লির পারমাণবিক পরীক্ষা নিয়ে রাজনাথ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডোনাল্ড ট্রাম্পের দাবি যে, পাকিস্তান থেকে শুরু করে রাশিয়া, চিন এবং উত্তর কোরিয়ার মতো কয়েকটি দেশ গোপনে পারমাণবিক পরীক্ষা চালাচ্ছে। এই আবহে আমেরিকাও পারমাণবিক পরীক্ষা শুরু করতে চলেছে বলে জানান মার্কিন প্রেসিডেন্ট। ভারত এই প্রেক্ষিতে কী করবে, এবার তা স্পষ্ট করলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। তিনি জানিয়েছেন, অন্য দেশগুলো তাদের মতো করে কাজ করছে, আর ভারত সঠিক সময়ে নিজের মতো সিদ্ধান্ত নেবে। সম্প্রতি এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে নানা বিষয় নিয়ে নিজের খোলাখুলি মত জানান প্রতিরক্ষামন্ত্রী।

    পরমাণু পরীক্ষা নিয়ে অকপট রাজনাথ

    পাকিস্তান, আমেরিকা পরমাণু বোমা পরীক্ষা নিয়ে যে জল্পনা শুরু হয়েছে, তা নিয়ে রাজনাথ সিং বলেন, “ওরা যদি করতে চায়, করুক। ভবিষ্যতই বলবে ভারত কী করবে। এই বিষয়ে আমাদের কিছু বলার নেই। পাকিস্তান হোক বা আমেরিকা — যে যা করছে, করছে। ভারত কখনও ভয় বা চাপে পড়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করে না।” তিনি আরও যোগ করেন, “ভারত যা উপযুক্ত মনে করবে, সেই পদক্ষেপই করবে। আমরা সঠিক সময়ে সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণ করব।” এর আগে এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প অভিযোগ করেন, রাশিয়া থেকে শুরু করে চিন ও পাকিস্তান পর্যন্ত অনেক দেশই নীরবে ভূগর্ভস্থ পারমাণবিক পরীক্ষা চালাচ্ছে, যা জনসমক্ষে প্রকাশিত নয়।

    ট্রাম্পের দাবি

    মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি ঘোষণা করেছেন যে, ৩০ বছরেরও বেশি সময় পর যুক্তরাষ্ট্র আবার পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষা শুরু করতে পারে। তিনি বলেন, রাশিয়া, চিন, পাকিস্তান ও উত্তর কোরিয়া যদি পরীক্ষা চালায়, তবে আমেরিকা একা হাত গুটিয়ে বসে থাকতে পারে না। এই কারণে তিনি পেন্টাগনকে অবিলম্বে প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন, যাতে যুক্তরাষ্ট্র ‘পারমাণবিক সমতা’ বজায় রাখতে পারে। অন্যদিকে, চিনের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র মাও নিং এক বিবৃতিতে বলেন, “চিন সর্বদা শান্তিপূর্ণ উন্নয়নের পথে চলেছে, পারমাণবিক অস্ত্রের প্রথম ব্যবহার না করার নীতি অনুসরণ করে, আত্মরক্ষামূলক পারমাণবিক কৌশল গ্রহণ করেছে এবং পারমাণবিক পরীক্ষা স্থগিত রাখার অঙ্গীকার পালন করছে।”

    প্রসঙ্গ বাংলাদেশ

    পরমাণু পরীক্ষা ছাড়াও এই সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূসকে মুখ সামলে কথা বলার পরামর্শ দিলেন ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং। রাজনাথ স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেন, বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ করতে চায় না নয়াদিল্লি। নিজেদের চিরন্তন রীতি মেনে ভারত সব প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক বজায় রাখতে চায়। কিন্তু ভারত যে কোনও চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে ভয় পায় না বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন রাজনাথ। ওই সাক্ষাৎকারে ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশের সঙ্গে উত্তেজনাপূর্ণ সম্পর্ক চাই না। কিন্তু ইউনূস যা বলছেন, তা নিয়ে সতর্ক থাকা উচিত।’ ইউনুসের আমলে বাংলাদেশের একটি অংশে ভারত-বিরোধী বীজ রোপণ করা হয়েছে। যে ভারতের কারণে বাংলাদেশের জন্ম হয়েছিল, সেই দেশকেই নিয়ে ভুলভাল মন্তব্য করেন ইউনূস, যেটা কাম্য নয়।

  • PM Modi In Bhutan: আগামী সপ্তাহেই ভুটান যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী! রেল সংযোগ, জলবিদ্যুৎ প্রকল্প নিয়ে বিশদ ভাবনা

    PM Modi In Bhutan: আগামী সপ্তাহেই ভুটান যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী! রেল সংযোগ, জলবিদ্যুৎ প্রকল্প নিয়ে বিশদ ভাবনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুই দিনের সরকারি সফরে ভুটান যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi In Bhutan)। আগামী সপ্তাহে ভুটানের বর্তমান রাজা জিগমে খেসার নামগিয়েল ওয়াংচুকের পিতা প্রাক্তন রাজা জিগমে সিংয়ে ওয়াংচুকের ৭০তম জন্মদিন উপলক্ষে ভুটানে যাওয়ার কথা রয়েছে মোদির। বিদেশ মন্ত্রকের তরফে এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে সফরসূচি ঘোষণা করা হয়নি, তবু সূত্রমতে, এই সফরের মূল উদ্দেশ্য হবে জ্বালানি সহযোগিতা ও আঞ্চলিক সংযোগ আরও দৃঢ় করা। আগামী ১১ ও ১২ নভেম্বর ভুটান সফরে যাওয়ার কথা প্রধানমন্ত্রীর। ২০১৪ সালের পর এটি হবে তাঁর চতুর্থ ভুটান সফর।

    জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের উদ্বোধন

    সূত্রের খবর, প্রধানমন্ত্রী মোদি ভুটান (Bharat-Bhutan Relation) সফরের সময় সেখানকার পরিকাঠামো প্রকল্পের উদ্বোধন করতে পারেন এবং সেখানকার সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতে পারেন। ভুটানের সংবাদ মাধ্যম কুয়েনসেলের তথ্য অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রী মোদি প্রাক্তন রাজার ৭০তম জন্মদিন উদযাপনের সময় সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। প্রধানমন্ত্রী মোদি সেখানে পুনাতসাংছু-দ্বিতীয় জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের উদ্বোধনও করবেন বলেও জানা গিয়েছে। ২০২৫ সালের শুরু থেকে চালু হওয়া এই প্রকল্প ভুটানের বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রায় দ্বিগুণ করবে এবং ভারতের কাছে বিদ্যুৎ রফতানিতেও উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে।

    ভারত–ভুটান রেল সংযোগ প্রকল্পের অগ্রগতি

    প্রধানমন্ত্রী মোদি সফরের সময় ভারত–ভুটান রেল সংযোগ প্রকল্পের অগ্রগতি পর্যালোচনা করবেন। ভারত-ভুটান দুটি রেলপথের মধ্যে রয়েছে— আসামের কোকরাঝাড় থেকে দক্ষিণ ভুটানের গ্যালেফু পর্যন্ত ৬৯ কিমি লাইন এবং পশ্চিমবঙ্গের বানারহাট থেকে দক্ষিণ-পশ্চিম ভুটানের সামতসে পর্যন্ত ২০ কিমি লাইন। ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে ঘোষিত এই দুই প্রকল্প সীমান্তপারের যোগাযোগ ও বাণিজ্য বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। কোকরাঝাড়–গ্যালেফু প্রকল্প, যার ব্যয় প্রায় ₹৩,৪৫৬ কোটি, এতে থাকবে ৬টি স্টেশন, ২টি গুরুত্বপূর্ণ সেতু, ২৯টি বড় ও ৬৫টি ছোট সেতু, ২টি পণ্যবাহী টার্মিনাল, ১টি উড়ালপুল এবং ৩৯টি আন্ডারপাস। নির্মাণের মেয়াদ নির্ধারণ করা হয়েছে চার বছর। অন্যদিকে বানারহাট–সামতসে প্রকল্পের ব্যয় ₹৫৭৭ কোটি, যেখানে থাকবে ২টি স্টেশন, ১টি বড় সেতু, ২৪টি ছোট সেতু, ১টি ওভারপাস এবং ৩৭টি আন্ডারপাস। এটি তিন বছরের মধ্যে সম্পন্ন হওয়ার কথা।

    পারস্পরিক সংযোগকে আরও গভীর করবে

    বিদেশ সচিব বিক্রম মিশ্রি জানান, এই প্রকল্পগুলো ভারত ও ভুটানের পারস্পরিক সংযোগকে আরও গভীর করবে। তিনি বলেন, “গ্যালেফু হলো ‘গ্যালেফু মাইন্ডফুলনেস সিটি’ প্রকল্পের কেন্দ্রবিন্দু, যা ভুটানের রাজা স্বপ্নদর্শীভাবে পরিকল্পনা করেছেন। ভারত এই প্রকল্পে পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছে। আসামের সীমান্তবর্তী এই অঞ্চলে অর্থনৈতিক উন্নয়নের নতুন দিগন্ত খুলবে।” সামতসে রেল প্রকল্প সম্পর্কে মিশ্রি আরও জানান, এই শহরটি শিল্পকেন্দ্র হিসেবে বিকশিত হচ্ছে এবং এখান থেকে ডোলোমাইট, ফেরো-সিলিকন, কোয়ার্টজাইট ও পাথরচিপস ভারতের বাজারে রফতানি করা হতে পারে।

    ভারত-ভুটান সম্পর্কের বিকাশের উপর গুরুত্ব

    সোমবার ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং টোবগে ভারত-ভুটান সম্পর্কের বিকাশের উপর গুরুত্ব দিয়ে বলেন, ‘ভারত-ভুটানের সহযোগিতার ভিত্তি গড়ে উঠেছে হাজার বছর আগে, যা এখনও আমরা উপভোগ করছি। কারণ ভারতের অনেক আধ্যাত্মিক গুরু ভুটানে বা কখনও কখনও হিমালয়ের অন্যান্য অংশে ভ্রমণ করেছেন। অনেকে ভুটানে বাড়িও বানিয়েছেন।’ ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং টোবগে আরও বলেন, ‘ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদির সহযোগিতায়, ভুটানের গেলেফু মাইন্ডফুলনেস সিটিকে বজ্রযান অনুশীলনের কেন্দ্র হিসেবে রূপান্তরিত করা হতে পারে। আগামী দিনে মোদির সহযোগিতায় গেলেফু মাইন্ডফুলনেস সিটিকে একটি বজ্রযান কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা হবে। ভুটানের প্রধানমন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, দুই দেশের শীর্ষ নেতাদের মধ্যে যথেষ্ট সদিচ্ছা রয়েছে এবং এই অংশগ্রহণ থেকে উপকৃত হয়েছে ভুটান। ভারতের প্রধানমন্ত্রী থেকে শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে আমাদের রাজাদের এবং বর্তমান রাজার সম্পর্কও অত্যন্ত বন্ধুত্বপূর্ণ।’

     

     

     

     

     

     

LinkedIn
Share