Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Tripura bypoll: ত্রিপুরার ৪ বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন ২৩ জুন, প্রার্থী হচ্ছেন মানিক সাহা?

    Tripura bypoll: ত্রিপুরার ৪ বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন ২৩ জুন, প্রার্থী হচ্ছেন মানিক সাহা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঘোষিত হল ত্রিপুরার চার বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনের (Tripura bypoll) নির্ঘণ্ট। নির্বাচন কমিশনের (Election Commission of India) ঘোষণা অনুযায়ী, আগামী ২৩ জুন চার আগরতলা, বরদোয়ালি, যুবরাজনগর আর সুরমা কেন্দ্রে উপনির্বাচবন হবে। ২৬ জুন ভোটের ফল ঘোষণা। 

    কমিশন জানিয়েছে, আগামী ৩০ মে, উপনির্বাচন সংক্রান্ত নির্দেশিকা জারি হবে। মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ৬ জুন । মনোনয়ন স্ক্রুটিনী হবে ৭ জুন। মনোনয়ন প্রত্যাহার করার শেষ তারিখ ৯ জুন। ২৩ তারিখ হবে ভোটগ্রহণ এবং ২৬ জুন হবে ফল ঘোষণা। কমিশনের নির্দেশিকা অনুযায়ী, গোটা প্রক্রিয়াটি ২৮ জুনের মধ্যে সম্পন্ন হবে। নির্ঘণ্ট ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই ওই চার কেন্দ্রে আদর্শ আচরণবিধি লাগু হয়ে গিয়েছে। 

    বিজেপির দুই বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মন এবং আশিস সাহা দলত্যাগ করায় যথাক্রমে ফাঁকা হয়ে পড়ে রয়েছে আগরতলা ও বরদোয়ালি আসন দুটি। সুরমার বিজেপি বিধায়ক আশিস দাস তৃণমূলে যোগ দেওয়ায় তাঁর বিধায়ক পদ খারিজ করে দেওয়া হয়। অন্য়দিকে, প্রবীণ সিপিএম বিধায়ক তথা ত্রিপুরা বিধানসভার প্রাক্তন স্পিকার রমেন্দ্র চন্দ্র দেবনাথ মারা যাওয়ায় যুবরাজনগর আসনে উপনির্বাচন জরুরি হয়ে পড়ে।

    আরও পড়ুন: ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রিত্ব ছাড়লেন বিপ্লব দেব, দায়িত্বে এলেন মানিক সাহা

    উপনির্বাচনের প্রস্তুতি জোরকদমে নিতে শুরু করে দিয়েছে বিজেপি৷  বিজেপির ত্রিপুরা ইনচার্জ তথা সাংসদ বিনোদ সোনকর ইতিমধ্যেই একাধিক বৈঠক সেরেছেন। আগামী বছর দেশের উত্তর-পূর্ব প্রান্তের এই রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে, এই উপনির্বাচনকে সেমি-ফাইনাল হিসেবে দেখতে চাইছে গেরুয়া-শিবির। 

    এদিকে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Modi) সঙ্গে দেখা করেছেন ত্রিপুরার নব-নিযুক্ত মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা (Tripura CM Manik Saha)। সম্প্রতি, বিপ্লব দেবের (Biplab Deb) পরিবর্তে তাঁকে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীর কুরসিতে বসিয়েছে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। এই উপনির্বাচনে তাঁর প্রার্থী হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। কারণ, সাংবিধানিক নিয়ম মেনে, ৬ মাসের মধ্যে যে কোনও বিধানসভা আসন তাঁকে জিতে আসতে হবে। 

    নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করেছে তৃণমূলও। সম্প্রতি, ত্রিপুরা পুরভোটে পর্যুদস্ত হয়েছে দল। ত্রিপুরার মানুষ খালি হাতে ফিরিয়ে দিয়েছে তৃণমূলকে। তা সত্ত্বেও, উপনির্বাচনে যে তৃণমূল লড়াই করতে পারে, তার ইঙ্গিত মিলেছে। সাংসদ তথা উত্তর পূর্ব দায়িত্বপ্রাপ্ত নেত্রী সুস্মিতা দেব বলেছেন, ‘উপনির্বাচনের প্রস্তুতি আমরা নিচ্ছি৷ ত্রিপুরায় আমাদের রাজ্য দফতর খোলা হবে৷’ তৃণমূল সূত্রে খবর, উপনির্বাচনে লড়াই নিয়ে দলের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে সুস্মিতা দেব, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়দের মতো ত্রিপুরার দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের আলোচনাও চলছে৷

    ত্রিপুরার (Tripura) চার কেন্দ্রের পাশাপাশি পঞ্জাবের সাঙ্গরুর, উত্তরপ্রদেশের রামপুর ও আজমগড় লোকসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে ভোটগ্রহণ হবে ওইদিন। এছাড়া, অন্ধ্রপ্রদেশের আত্মাকুর, দিল্লির রাজিন্দর নগর এবং ঝাড়খণ্ডের মাদার বিধানসভা কেন্দ্রেও উপনির্বাচন হবে। এই তিন আসনের ভোটগ্রহণও হবে ২৩ তারিখেই।

  • China Border: জোর কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে ড্রাগনের দেশ,  প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় ৬ ডিভিশন সেনা স্থানান্তর ভারতের

    China Border: জোর কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে ড্রাগনের দেশ, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় ৬ ডিভিশন সেনা স্থানান্তর ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লাদাখ নিয়ে ভারত-চিন টানাপোড়েন অব্যহত। তার মাঝেই ভারতীয় সেনা জানাল, অরুণাচল সীমান্তে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় (LAC) নির্মাণ কাজ চালাচ্ছে চিন। 

    অরুণাচলের সীমান্তের ঠিক ওপারেই চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মির (PLA)-র নির্মাণ কাজ চালানোর খবর বিগত এক বছর ধরেই সামনে আসছিল। সোমবার ভারতীয় সেনার পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডের প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল আর পি কলিতা বলেন, ‘‘এলএসির ওপারে প্রতিবেশী দেশ ক্রমাগত তাদের সড়ক, রেল এবং বিমান যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত করতে নির্মাণ চালাচ্ছে। তাদের উদ্দেশ্য, যে কোনও পরিস্থিতি উপস্থিত হলে সেনাদের দ্রুত সীমান্তে নিয়ে আসা।’’   

    সেনা কর্তা আরও জানান, “আমরা বিষয়টির ওপর ক্রমাগত নজরদারি চালাচ্ছি। পরিকাঠামোগত উন্নতিতেও নজর দেওয়া হয়েছে। যেকোনও রকম পরিস্থিতির জন্যে প্রস্তুত ভারতীয় সেনা।” কিছুদিন আগেই লোকসভায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছিল, প্রতিরক্ষা খাতে পরিকাঠামোগত ২০২০-২১ সালে যেখানে অর্থ বরাদ্দ ছিল ৩৫৫.১২ কোটি, এখন ২০২১-২২ সালে অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে ৬০২.৩০ কোটি টাকা।

    পাকিস্তানের থেকেও এই মুহূর্তে চিনকে বেশি ক্ষতিকারক মনে করছে ভারতীয় সেনা। সেই কথা মাথায় রেখে দেশের বিভিন্ন সীমান্ত থেকে ভারতীয় সেনার ডিভিশন সরিয়ে আনা হয়েছে চিন সীমান্তে। ভারতীয় সেনাবাহিনী দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সেনাবাহিনীর ৬টি ডিভিশনকে চিন সীমান্তে স্থানান্তর করেছে। সেনাবাহিনী স্থানান্তরের প্রক্রিয়া আজকের নয়, বিগত দুবছর ধরেই চলছে এই কাজ।   

    প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে খবর, স্থানান্তরিত হওয়া সেনা ডিভিসনের মধ্যে একটি পাক সীমান্তে সন্ত্রাস দমনের কাজে মোতায়েন ছিল। রাষ্ট্রীয় রাইফেলসের একটি ডিভিশনকে জম্মু ও কাশ্মীর থেকে সরিয়ে লাদাখে মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে এই ডিভিশন পূর্ব লাদাখ সেক্টরে মোতায়েন রয়েছে। একইভাবে, তেজপুরস্থিত গজরাজ কোরের অধীনে আসামের ডিভিশনকে সরিয়ে নিয়ে উত্তর-পূর্বের অরুণাচলে চিনা সীমান্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। উত্তরপ্রদেশের দুই সেনা ডিভিশনকেও লাদাখ সীমান্তে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। উত্তরাখণ্ড থেকে এক সেনা ডিভিশনকে চিন সীমান্তে সরানো হয়েছে। এছারা লাদাখ সেক্টর থেকে একটি সেনা ডিভিশন প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় পাঠানো হয়েছে। 

    সাম্প্রতিক সময়ে চিন একতরফা ভাবে ভারতে আগ্রাসনের চেষ্টা চালিয়েছে। যেকোনওদিন পরিস্থিতির অবনতি ঘটতে পারে। এই আশঙ্কাতেই প্রস্তুত থাকতে চাইছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। তাই সেনা স্থানান্তরিত করার সঙ্গে সঙ্গে রাস্তা নির্মাণ এবং অন্যান্য পরিকাঠামোগত উন্নতির দিকেও নজর দিয়েছে তারা। 

     

  • Udaaipur Tailor Murder: দোষীদের খুঁজে বের করে কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে, উদয়পুরকাণ্ডে সচিন পাইলট

    Udaaipur Tailor Murder: দোষীদের খুঁজে বের করে কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে, উদয়পুরকাণ্ডে সচিন পাইলট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উদয়পুর হত্যাকাণ্ডের (Udaaipur Tailor Murder) সঙ্গে জড়িতদের খুঁজে বের করে কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে। উদয়পুর দর্জি খুন নিয়ে এমনই প্রতিক্রিয়া দিলেন কংগ্রেস নেতা এবং রাজস্থানের প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী সচিন পাইলট (Sachin Pilot)। বৃহস্পতিবার সচিন বলেন, “এরা মানবতার সমস্ত সীমা অতিক্রম করে গিয়েছে। খুনের নৃশংসতায় সবাই হতবাক। অপরাধীদের গ্রেফতার করা হয়েছে। ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টে তাদের বিচার হবে এবং খুব শীঘ্রই শাস্তি দেওয়া হবে। বিষয়টি গোটা দেশের সামনে উদাহরণ হয়ে থাকবে।” 

    আরও পড়ুন: “দায়ী রাজ্যের তোষণের রাজনীতি”, উদয়পুর হত্যাকাণ্ডের নিন্দায় বসুন্ধরা রাজে 

    জয়পুরে সর্বদলীয় বৈঠকের পরেই এমন মন্তব্য করেছেন সচিন পাইলট। উদয়পুর হত্যাকাণ্ড নিয়ে বুধবারই সর্বদলীয় বৈঠক করেছেন মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট। এদিন সচিন জানান, রাজস্থান পুলিশ এই ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের খোঁজ চালাচ্ছে। ঘটনায় পাকিস্তানের কোনও যোগ আছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।  দর্জি খুনের ঘটনায় পাকিস্তান যোগ রয়েছে, এই দাবি আগেই করেছেন রাজস্থানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজেন্দ্র যাদব ৷ 

    সচিন পাইলট এদিন আরও বলেন, “পাঞ্জাব, কাশ্মীরের মতো রাজস্থানও সীমান্ত রাজ্য। এই ঘটনায় সীমান্তের ওপারের যদি কোনও যোগ পাওয়া যায়, তাহলে আমরা বিষয়টির শেষ অবধি যাব। অন্য কোনও সংস্থা বা ব্যক্তি এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত থাকলে তাদেরও রেয়াত করা হবে না।” 

    আরও পড়ুন: উদয়পুর-হত্যাকাণ্ডে জঙ্গি যোগ! তদন্ত শুরু করল এনআইএ

    তিনি আরও বলেন, “আমরা মৃতের পরিবারের দায়িত্ব নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছি। এই বিষয়ে কোনও রকম গাফিলতি বরদাস্ত করা হবে না। প্রয়োজনে বর্ষীয়ান আধিকারিকদের বিরুদ্ধেও কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” 

    নুপুর শর্মার (Nupur Sharma) সমর্থনে সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট (Social Media Post) করায় মঙ্গলবার রাজস্থানের উদয়পুরে  কানহাইয়া লাল সাহু নামের এক দর্জিকে দোকানের ভিতরে ঢুকে খুন করে দুষ্কৃতিরা। নৃশংস এই ঘটনার ভিডিও- ও তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করা হয়। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে রাজস্থান পুলিশ।  

    ঘটনাকে জঙ্গি আক্রমণ বলে উল্লেখ করেছেন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটও (Ashok Gehlot)। তিনি জানিয়েছেন, “এর সঙ্গে আন্তর্জাতিক সংগঠন জড়িত ৷ দোষীদের অবশ্যই সাজা দেওয়া হবে এবং সে বিষয়ে কোনও দেরি করা হবে না।”

     

  • Presidencial election: রাইসিনা হিলসের দৌড়ে বিজেপির বাজি কে?

    Presidencial election: রাইসিনা হিলসের দৌড়ে বিজেপির বাজি কে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাইসিনা হিলসে এবার আদিবাসী কোনও মহিলাকে বসিয়ে চমক দিতে পারে বিজেপি। সূত্রের খবর, সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে এবার ফের কোনও মহিলা রাষ্ট্রপতি পেতে পারে দেশ।

    ২৫ জুলাই রাষ্ট্রপতি পদে মেয়াদ শেষ হবে রামনাথ কোবিন্দের। তাই শাসক তো বটেই বিরোধী শিবিরেও শুরু হয়ে গিয়েছে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের তৎপরতা। রাষ্ট্রপতি পদে বিজেপিকে সূচ্যগ্র মেদিনী ছাড়তে রাজি নয় বিরোধীরা। ইতিমধ্যেই বিরোধী শিবিরে শুরু হয়ে গিয়েছে সলতে পাকানোর কাজ। সম্প্রতি দিল্লি গিয়েছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর সঙ্গে উজিয়ে গিয়ে সাক্ষাৎ করেছেন আম আদমি পার্টির নেতা তথা দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী আইআইটির প্রাক্তনী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। সূত্রের খবর, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিরোধীরা সম্মিলতিভাবে যাতে প্রার্থী দেয়, সেই জন্যই ওই তৎপরতা।

    বিরোধীরা যে ঘুঁটি সাজাচ্ছে, তা টের পেয়েছে দেশের শাসক দলও। হাত গুটিয়ে বসে নেই তারাও। একটি সূত্রের খবর, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ব্যাপারে বেশ কয়েকদফা আলোচনা শেষে সম্ভাব্য দুই প্রার্থীর নামের একটি তালিকাও তৈরি করে ফেলেছে গেরুয়া শিবির। এই তালিকার সবার ওপরে রয়েছে দ্রৌপদী মুর্মুর নাম। তিনি ওড়িষার বিজেপি নেত্রী। এক সময় ঝাড়খণ্ডের রাজ্যপাল হিসেবেও কাজ করেছেন তিনি। আদিবাসী সম্প্রদায় থেকে উঠে আসা দ্রৌপদীকে রাষ্ট্রপতি পদে প্রার্থী করে এক ঢিলে একাধিক পাখি মারার চেষ্টা করছেন পদ্ম নেতৃত্ব।

    দ্রৌপদীকে প্রার্থী করা হলে তাঁর বিরুদ্ধাচরণ করা বিরোধীদের পক্ষে সম্ভব হবে না। কারণ সেক্ষেত্রে বিরোধীদের আদিবাসী-বিরূপতা নিয়েই প্রশ্ন তুলে দেবে বিজেপি। তাছাড়া, চলতি বছরেই রয়েছে গুজরাত সহ আরও কয়েকটি রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন। দ্রৌপদীকে রাইসিনা হিলসে পাঠানো গেলে ওই রাজ্যগুলির আদিবাসী ভোট এসে পড়বে গেরুয়া ঝুলিতে। ২০২৪ এর লোকসভা নির্বাচনে যার সুফলও ফলবে বলে দাবি শাসক শিবিরের।

    দ্রৌপদী ছাড়া আরও একজন রয়েছেন রাইসিনা হিলসের দৌড়ে। তিনি গুজরাতের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী আনন্দী বেন প্যাটেল। বর্তমানে তিনি যোগীরাজ্যের রাজ্যপাল পদে রয়েছেন। তবে চব্বিশের মহারণের আগে দ্রৌপদীকেই রাইসিনা হিলসে পাঠিয়ে বিরোধীদের মাত দেওয়ার চেষ্টায় রয়েছে কেন্দ্রের শাসক দল।

     

  • Yasin Malik: যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত, উঠেছে তার মৃত্যুদণ্ডের দাবিও, কে এই ইয়াসিন মালিক?

    Yasin Malik: যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত, উঠেছে তার মৃত্যুদণ্ডের দাবিও, কে এই ইয়াসিন মালিক?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়েছে কাশ্মীরের (Kashmir) বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা ইয়াসিন মালিকের (Yasin Malik)। তাঁর মৃত্যুদণ্ডের আবেদন করেছিল এনআইএ (NIA)। ইয়াসিনের আইনজীবী যাবজ্জীবনের আবেদন রাখেন। গত ১৯ মে দিল্লির এনআইএ আদালতে দোষী সাব্যস্ত হয় ইয়াসিন।

    কে এই মালিক: ১৯৬৬ সালে শ্রীনগরে ঘনজনবসতিপূর্ণ এলাকা মাইসুমায় জন্ম ইয়াসিন মালিকের।  তার দাবি ছিল, ১৯৮০ সালে ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর (Indian security Forces) সহিংসতা প্রত্যক্ষ করার পর অস্ত্র হাতে তুলে নিয়েছিল সে। এরপর তালা পার্টি গঠন করে সে, পরে যার নাম হয় ইসলামিক স্টুডেন্টস লিগ৷ ১৯৮৩ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দলের ভারত সফরের সময় শ্রীনগরে প্রথম আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচকে ব্যাহত করার চেষ্টা করে মালিক। সেই সময় মালিককে গ্রেফতার করা হয়। চার মাসের জন্য জেলও খাটে মালিক। ১৯৮৮ সালে ইয়াসিন মালিক নিয়ন্ত্রণরেখা (LoC) পেরিয়ে পাকিস্তানে যায়। সেখান থেকে অস্ত্র চালনার প্রশিক্ষণ নিয়ে দেশে ফিরে আসে সে।

    জম্মু কাশ্মীর লিবারেশন ফ্রন্টের চেয়ারম্যান: পাকিস্তান থেকে জঙ্গি প্রশিক্ষণ নিয়ে এসে উপত্যকায় জঙ্গি সংগঠন জম্মু কাশ্মীর লিবারেশন ফ্রন্টের (JKLF) চেয়ারম্যান হয় মালিক। মূলত কাশ্মীর উপত্যকায় সশস্ত্র জঙ্গিবাদের (armed terrorism) নেতৃত্ব দেয় সে। কাশ্মীরি পণ্ডিতদের (Kashmiri Pandits) বিরুদ্ধে সহিংসতার নেতৃত্বদানকারী প্রাথমিক ব্যক্তিত্বদের একজন মালিক। তৎকালীন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মুফতি মহম্মদ সইদের (Mufti Mohammed Sayeed) কন্যা রুবিয়া সইদকে অপহরণের নেতৃত্বও দেয় ইয়াসিন।

    ১৯৯০ সালে চারজন সেনা অফিসারকে হত্যার ঘটনায় যুক্ত ছিল সে। ওই বছর অগাস্টে ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে বন্দি হয় মালিক। ১৯৯৪ সালের মে মাসে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়। শর্ত ছিল হিংসা ত্যাগ করে কাশ্মীর সমস্যা সমাধানে শান্তিপূর্ণ পদ্ধতি অবলম্বন করবে মালিক। ১৯৯৫ সালে উপত্যকায় বিধানসভা নির্বাচনের প্রতিবাদ করে সে। তার দাবি ছিল, গণতন্ত্রের নামে কাশ্মীরিদের উপর নির্বাচন চাপিয়ে দিচ্ছে ভারত সরকার। 

    আরও পড়ুন: “হত্যার বদলা ফাঁসি”, ইয়াসিনের মৃত্যুদণ্ডের দাবিতে সরব প্রয়াত বায়ুসেনা অফিসারের স্ত্রী

    ২০১৭ সালে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপে আর্থিক সাহায্যের মামলা: অভিযোগ, দেশবিরোধী কাজে লিপ্ত ছিল ইয়াসিনের নেতৃত্বাধীন জেকেএলএফ। দেশের সার্বভৌমিকতা এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতা নষ্ট করতে ইন্ধন জোগাচ্ছিল তারা। জঙ্গি সংগঠনগুলির সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে ওই সংগঠনের। ভারতের আঞ্চলিক অখণ্ডতা নষ্ট করতে উপত্যকায় বিচ্ছিন্নতামূলক কাজকর্মে ইন্ধন ছিল তাদের। তাই ২০১৯ সালে বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা (separatist leader) ইয়াসিন মালিকের নেতৃত্বাধীন জম্মু কাশ্মীর লিবারেশন ফ্রন্ট (জেকেএলএফ)-কে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় সরকার। উপত্যকায় সন্ত্রাসে মদত দেওয়ার অভিযোগে জেলবন্দি করা হয় মালিককে। 

    ইয়াসিনের বিরুদ্ধে ইউএপিএ (UAPA) ধারায় জঙ্গি কার্যকলাপ (terror activitieds), সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা (waging war against government), জঙ্গি সংগঠনের প্রত্যক্ষ সদস্যপদ গ্রহণ-সহ একাধিক মামলা করা হয়েছিল। এনআইএ আদালতে সওয়াল করে, কাশ্মীরের স্বাধীনতা সংগ্রামের নাম করে একটি বিরাট জঙ্গিজাল বুনেছিল ইয়াসিন। বিপুল পরিমাণ অর্থ সংগ্রহ করে, তা জঙ্গি কার্যকলাপে ব্যবহার করছিল দীর্ঘদিন ধরে। গত ১০ মে নিজের দোষ স্বীকার করে নেয় ইয়াসিন। ১৯ মে ইয়াসিনকে দোষী সাব্যস্ত করে এনআইএ-র বিশেষ আদালত।

  • Gyanvapi Update: জ্ঞানবাপী মসজিদ আগে মন্দিরই ছিল! বলছে ১৯৩৬ সালের নথি

    Gyanvapi Update: জ্ঞানবাপী মসজিদ আগে মন্দিরই ছিল! বলছে ১৯৩৬ সালের নথি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এখন যেখানে জ্ঞানবাপী মসজিদ (Gyanvapi mosque) রয়েছে, সেখানে এক সময় মন্দির ছিল। ১৯৩৬ সালের একটি হলফনামায় এই তথ্য মিলেছে। জ্ঞানবাপী মসজিদ চত্বরেই ছিল হিন্দু উপাসনার স্থান।

    হলফনামা অনুযায়ী, মসজিদের পূর্বদিকে অবস্থিত পিপুল গাছের নীচে আমরা গঙ্গেশ্বরের পুজো করি। এরপর আমরা রাধাকৃষ্ণের মূর্তি পুজো করি। ভিয়াস যে বাড়িতে থাকেন সেই বাড়িতে কাঠের সিঁড়ি বেয়ে আমরা আবার প্রাঙ্গনে আসি। গৌরীশঙ্কর নামে পরিচিত শিব এবং দশরথের যুগল মূর্তিও পুজো করি।  

    আরও পড়ুন : জ্ঞানবাপী মসজিদ চত্বরে মিলল পুরনো মন্দিরের ধ্বংসাবশেষ, হিন্দু মোটিফ!

    পিটিশনের একটি অংশে লেখা, এর পরে আমরা গৌরী শঙ্করের মূর্তির কাছে তারকেশ্বর, তার পরে নন্দ কেশবস, তারপর মহাকালেশ্বর চবুতরের ওপর দক্ষিণ-পূর্ব কোণে পিপুল গাছের নীচে, তারপর জ্ঞানবাপী কূপ, তার পর মাদাদি পঞ্চ বিনায়ক নামে পরিচিত গণেশজির পুজো করি। তারপর তৃতীয় পিপুল গাছের নীচে মহেশ্বর, তারপরে মুক্তেশ্বর যা দক্ষিণ-পশ্চিম কোণে একটি লুকানো জায়গা, তারপরে আমরা শ্রীঙ্গার গৌরীর (Shringar Gauri) পুজো করি…।

    আরও পড়ুন : মুসলমানরা আগে হিন্দু ছিলেন! আরএসএসের অনুষ্ঠানে দাবি হিমন্ত বিশ্বশর্মার

    সিভিল মামলায় এই এলাকাটি ওয়াকফ (Wakf) সম্পত্তির অংশ হিসেবে দাবি করা হয়। মামলার বাদী পক্ষ জানায়, মন্দিরের জমিতে তৈরি করা কোনও কাঠামোকে মসজিদ হিসেবে গণ্য করা যাবে না। তারা ভারতে মুসলমান শাসনের শুরুর অনেক আগে থেকেই প্রাঙ্গনে দাঁড়িয়ে থাকা মূর্তি ও মন্দিরের উল্লেখ করেছে। ব্রিটিশ শাসিত ভারত সরকারও নোটে উল্লেখ করেছিল, অমুসলিমরাও ধর্মীয় উদ্দেশ্যে ওই জমি ব্যবহার করছে।

    আরও পড়ুন : খননকার্য এখনই নয়, কুতুব মিনার প্রসঙ্গে জানাল সংস্কৃত মন্ত্রক

    সোমবার বারাণসী জেলা আদালতে (Varanasi district court) শুনানি শেষ হয়েছে কাশী বিশ্বনাথ মন্দির (kashi Viswanath temple)-জ্ঞানবাপী মসজিদ  মামলার। আজ, মঙ্গলবার পর্যন্ত রায়দান স্থগিত রেখেছে আদালত।

    প্রসঙ্গত, কাশীর বিশ্বনাথ মন্দির চত্বরে রয়েছে জ্ঞানবাপী মসজিদ। মসজিদ কমিটির দাবি, দীর্ঘকাল মসজিদটি এই এলাকায়ই রয়েছে। যদিও হিন্দুত্ববাদী একাধিক সংগঠনের দাবি, বিশ্বেশ্বরের মন্দির ভেঙে মসজিদ তৈরি হয়েছে। পরে রানি অহল্যাবাই বিশ্বনাথের মন্দির পুনর্নির্মাণ করেন। সম্প্রতি মসজিদ এলাকায় ভিডিওগ্রাফির নির্দেশ দেয় আদালত। সোহন লাল আর্য নামে এক ব্যক্তির দাবি, ভিডিওগ্রাফি সমীক্ষা (Videography survey) করার সময় মসজিদের ওজুখানার (Wuzukhana) জলাধারে শিবলিঙ্গ (Shivling) মিলেছে। তার পরেই ওজুখানা সিল করে দেওয়ার নির্দেশ দেয় আদালত।

     

  • Modi: মোদির নিশানায় পরিবারতন্ত্র, অযথা বিতর্ক তৈরি বিরোধীদের কাজ

    Modi: মোদির নিশানায় পরিবারতন্ত্র, অযথা বিতর্ক তৈরি বিরোধীদের কাজ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুখে আনেননি সনিয়া অথবা রাহুল গান্ধীর নাম। মমতা কিংবা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম করেননি এক বারও। অন্য কোনও রাজনৈতিক দলের নাম না করে ফের একবার পরিবারতন্ত্রের বিরোধিতা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। শুক্রবার জপুরে  বিজেপির দলীয় সম্মেলনে মোদি বলেন, “যে দলগুলির ভিত্তি পরিবারতন্ত্রের উপর দাঁড়িয়ে তারা দেশের মানুষের জন্য ঠিকমতো কাজ করতে পারে না। তাদের দিনের শুরু থেকে শেষ পরিবারের জন্যই তোলা থাকে। পরিবারের স্বার্থেই কাজ করেন তাঁরা। দেশের স্বার্থ তাঁদের কাছে গৌন।” দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে গেলে গণতন্ত্রই শেষ কথা বলে জানান তিনি।

    বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ শাসনের আট বছর পূর্ণ হওয়াকে কেন্দ্র করে দু’দিনের এই সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। ২০১৪ সালের পরবর্তী সময়কালকে দেশের উন্নয়ন, সামাজিক ন্যায়বিচার এবং সামাজিক সুরক্ষার জন্য উত্সর্গ করেন মোদি। তিনি বলেন, “২০১৪-এর পরে দেশে সরকারি কাজের ক্ষেত্রে জনগণের হারানো বিশ্বাস ফিরে এসেছে। এই আট বছর সরকার সেবা, সুশাসন এবং গরিবের কল্যাণে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ছিল। এনডিএ আমলের এই আট বছর প্রান্তিক কৃষক থেকে শুরু করে শ্রমিক এবং মধ্যবিত্তের প্রত্যাশা পূরণের সময় ছিল।” 

    আরও পড়ুন: ভাষার মধ্যে বৈচিত্র্য দেশের গর্ব, বললেন প্রধানমন্ত্রী

    দলের কর্মীদের উদ্দেশে মোদি জানান, এটা থেমে থাকার সময় নয়।  তিনি বলেন, “বিজেপির জন্যও আগামী ২৫ বছরের লক্ষ্য ঠিক করার এবং অবিরাম কাজ করে চলার সময় এটা। সারা বিশ্ব এখন বিরাট প্রত্যাশা নিয়ে ভারতের দিকেই তাকিয়ে রয়েছে।” দলের কর্মীদের সেই লক্ষ্যকে সামনে রেখেই কাজ করে যেতে হবে। বিরোধীরা অনেক ছোট ছোট ঘটনাকে বড় করে দেখিয়ে বিতর্ক তৈরির চেষ্টা করবে, কিন্তু তাকে আমল দিলে চলবে না বলে জানান মোদি। তাঁর তোপ, ” বিরোধীদের লক্ষ্যই হল ছোট ঘটনা নিয়ে বিতর্ক তৈরি করে দেশের অগ্রগতিকে ব্যাহত করা।”

    এদিন ফের পরিবারতন্ত্রকে নিশানা করে মোদি বলেন, “বংশ পরম্পরার রাজনীতি দেশের স্বার্থ সবার উপরে রাখার বদলে ‘আমি এবং আমার’ ভাবনাকে পোক্ত করে। রাজনৈতিক দুর্নীতির এটি বড় কারণ। পরিবারতন্ত্রের রাজনীতি দেশের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ। তা সমূলে উপড়ে ফেলা প্রয়োজন। পারিবারিক রাজনীতির পরম্পরা রক্ষা শুধু গণতন্ত্রের কণ্ঠরোধ করে না, দুর্বলও করে দেয়।’’ বিজেপি শুরু থেকেই পরিবারতন্ত্রের বিরোধী বলে জানান মোদি। 

  • Modi Meets Adityanath: “বিশ্রামের সময় নেই…”, যোগী-মন্ত্রিসভাকে কোন পরামর্শ দিলেন মোদি?

    Modi Meets Adityanath: “বিশ্রামের সময় নেই…”, যোগী-মন্ত্রিসভাকে কোন পরামর্শ দিলেন মোদি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যোগী (Yogi Adityanath) রাজ্যে গিয়ে লোকসভা নির্বাচনের দামামা বাজিয়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi)। যোগী মন্ত্রিসভার সঙ্গে বৈঠকে তিনি জানিয়ে দিলেন, বিশ্রামের সময় নেই। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের (2024 Loksabha election) জন্য প্রস্তুতি শুরু করা উচিত। জনগণের সেবায় রাজ্যের মন্ত্রীদের উৎসর্গ করা উচিত বলেও সোমবার জানিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী।

    বুদ্ধজয়ন্তী (Buddha Jayanti) উপলক্ষে এদিন নেপালের (Nepal) লুম্বিনিতে গিয়েছিলেন মোদি। বিকেলে ফেরেন লখনউতে। বিমানবন্দরে তাঁকে স্বাগত জানাতে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath) স্বয়ং। এদিন মুখ্যমন্ত্রী ও তাঁর মন্ত্রিসভার সঙ্গে বৈঠক করেন মোদি। ব্রেনস্টর্মিং এই বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “শুধুমাত্র সুশাসনই পথ খুলে দেয় ক্ষমতায় ফেরার। মন্ত্রীদের জনগণের সেবায় নিজেকে উৎসর্গ করার নির্দেশ দেন। মোদি বলেন, ২০২৪ সালে লোকসভা নির্বাচন। তাই সকলের উচিত প্রস্তুতি শুরু করা। বিশ্রামের কোনও সময় নেই।”

    বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীর ভূয়সী প্রশংসা করেন মোদি। অপরাধ দমনে যোগী সরকারের বুলডোজার (Bulldozer drive) অভিযানেরও প্রশস্তিও শোনা যায় প্রধানমন্ত্রীর মুখে। যোগী-জমানায় যে উত্তর প্রদেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির প্রভূত উন্নতি হয়েছে, এদিন তাও জানিয়ে দেন মোদি। মুখ্যমন্ত্রীকে অভিনন্দনও জানান। করোনা পরিস্থিতির মোকাবিলায় রাজ্য সরকার যেসব পদক্ষেপ নিয়েছে, তারও প্রশংসা শোনা যায় প্রধানমন্ত্রীর গলায়।

    লোকসভা নির্বাচনের বেশি দেরি নেই। তাই এখন থেকেই শুরু করতে হবে প্রস্তুতি। যোগী মন্ত্রিসভার মন্ত্রীদের আরও বেশি করে তাঁদের বিধানসভা এলাকায় সময় দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন মোদি। সরকারের কর্মসূচি বাস্তবায়ন করার পরামর্শও দেন তিনি। সরকারি প্রকল্পগুলি যোগ্য উপভোক্তাদের কাছে পৌঁছচ্ছে কিনা, তাও তাঁদের নিশ্চিত করতে হবে। মোদি বলেন, কেবল সুশাসনই ক্ষমতায় ফেরার পথ। দলের সঙ্গে সরকারকে সমন্বয় রেখে চলার পরামর্শও এদিন দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর মতে, দল ও সরকারের মধ্যে সমন্বয় রেখে কাজ করা প্রয়োজন। কারণ উভয়ই একে অপরের পরিপূরক।

    দেশের সব চেয়ে বড় রাজ্য উত্তরপ্রদেশ। বিধানসভার আসন সংখ্যা ৪০৩টি। স্বাভাবিকভাবেই লোকসভা কেন্দ্রের সংখ্যাও বেশি। এই উত্তরপ্রদেশের রাশ যার দখলে থাকে, তারাই কেন্দ্রে সরকার গড়ে। উত্তরপ্রদেশে (Uttar Pradesh) বিপুল জনাদেশ নিয়ে ক্ষমতায় ফিরেছে বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকার। অতএব, লোকসভা নির্বাচনে কেন্দ্রের শাসন ক্ষমতায় যে বিজেপি-ই (BJP) ফিরছে, তা এক প্রকার নিশ্চিত। বিজেপি যাতে আরও বেশি সংখ্যক আসন নিয়ে ক্ষমতায় ফিরতে পারে, এদিন যোগী রাজ্যের মন্ত্রীদের সেই দাওয়াই-ই দিয়ে গেলেন নরেন্দ্র মোদি।

     

  • Jammu & Kashmir: কাশ্মীরে ‘হাইব্রিড’ সন্ত্রাস ছড়াচ্ছে বিহার, উত্তরপ্রদেশের মৌলবীরা?

    Jammu & Kashmir: কাশ্মীরে ‘হাইব্রিড’ সন্ত্রাস ছড়াচ্ছে বিহার, উত্তরপ্রদেশের মৌলবীরা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভূস্বর্গে (Kashmir) অশান্তির জন্য কাঠগড়ায় বিহার (Bihar) ও উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) মৌলবীরা (Maulvi)। উপত্যকায় ‘হাইব্রিড’ সন্ত্রাসের (Hybrid Terrorism) জন্য তারাই দায়ী বলে দাবি করা হয়েছে গোয়েন্দা তথ্যে (intel note)। সম্প্রতি সংবাদ মাধ্যমের দৌলতে প্রকাশ্যে এসেছে সেই নোট। তাতে বলা হয়েছে, কাশ্মীরি যুবকদের বিভ্রান্ত করতে তারা গোপনে কোরান সম্পর্কে তাদের সীমিত জ্ঞানকে কাজে লাগায়।

    নয়ের দশকের গোড়ার দিক থেকেই অশান্তির আঁচ পুড়তে থাকে কাশ্মীর। হিন্দু পণ্ডিতদের নির্বিচারে নিধন করে উপত্যকায় সন্ত্রাস সৃষ্টি করে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা। ২০১৪-র লোকসভা নির্বাচনে কেন্দ্রে ক্ষমতায় এসে কাশ্মীর সমস্যার সমাধান করতে উদ্যোগী হয় বিজেপি। উনিশের ভোটের পর কাশ্মীর থেকে রদ করা হয় ৩৭০ ধারা। তার পরে ক্রমেই নিভতে থাকে অশান্তির আঁচ। সম্প্রতি ফের কাশ্মীরে মাথাচাড়া দিয়েছে সন্ত্রাস। আর এই সন্ত্রাসের শিকড় খুঁজে বের করতে তদন্ত শুরু করেন গোয়েন্দারা। তাতেই জানা যায়, উপত্যকার তরুণদের ‘মাথা খাচ্ছে’ বিহার ও উত্তরপ্রদেশের মৌলবীদের একাংশ।

    প্রকাশ্যে আসা গোয়েন্দা নোট থেকে জানা যাচ্ছে, বিহার ও উত্তরপ্রদেশের মৌলবীরা জীবিকার খোঁজে কাশ্মীরে যান। সেখানে অনায়াসেই মিলে যায় ইমামের চাকরি। তারপরেই শুরু হয় আসল খেলা। ধর্মশিক্ষার নামে তৈরি হতে থাকে হাইব্রিড জঙ্গি (hybrid terrorist)।

    হাইব্রিড সন্ত্রাসবাদী কারা? গোয়েন্দাদের মতে, যারা জঙ্গি-তালিকাভুক্ত নয়, কিন্তু নির্দিষ্ট কোনও একটি জঙ্গি হামলার জন্য নিয়োগ করা হয় তাদের বলা হয়ে থাকে হাইব্রিড জঙ্গি। এর সুবিধা হল, এভাবে সহজেই নিরাপত্তরক্ষীদের চোখে ধুলো দেওয়া যায়।

    গোয়েন্দাদের ওই নোটে বলা হয়েছে, এই মৌলবীরা প্রথমে ইসলাম সম্পর্কে ওই তরুণদের জ্ঞান পরীক্ষা করে। পরে ‘ভাল মুসলিম’ না হওয়ার জন্য তরুণদের উপহাস করে। পরে জেহাদের জন্য তাদের উদ্বুদ্ধ করা হয়।

    আরও পড়ুন : অফিসে ঢুকে গুলি করে খুন কাশ্মীরি পণ্ডিতকে, ফের অশান্ত ভূস্বর্গ

    এই মৌলবীরা (maulvis) যে তরুণদের মাথা খাচ্ছে, তার উদাহরণ দিতে গিয়ে নোটে কাশ্মীরের শাঙ্গুশের উল্লেখ করা হয়েছে। এক সময় অনন্তনাগের এই তহশিল ছিল অন্যতম শান্তিপূর্ণ এলাকা। এলাকার তরুণরা সেনাবাহিনী, আধা-সামরিক বাহিনী সহ সরকারি নানা বিভাগে কাজ করত। ২০১২-১৩ সালে এখানকার মসজিদে ‘বহিরাগত’ মৌলবীদের নিয়োগ করা হয়।

    নোটে বলা হয়েছে, তার জেরে বুরহান ওয়ানির মৃত্যুর পরে হিংস্র হয়ে ওঠে শাঙ্গুস। পরে পুলিশ ওই মৌলবীদের তুলে নিয়ে গিয়ে জেলার বাইরে পাঠায়। তার জেরে আপাতত শান্ত ওই এলাকা। একই ধরনের ঘটনা ঘটেছে পুলওয়ামা, ওয়াচি, কুলগাম এবং শোপিয়ানেও।

     

  • Saji Cheriyan resigns: সংবিধান নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য, পদত্যাগে বাধ্য কেরলের মন্ত্রী

    Saji Cheriyan resigns: সংবিধান নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য, পদত্যাগে বাধ্য কেরলের মন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের সংবিধান নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য (anti-Constitution remark)করায় পদত্যাগ করতে বাধ্য হলেন কেরলের (Kerala)সংস্কৃতি ও মৎস্য প্রতিমন্ত্রী সাজি চেরিয়ান (Saji Cheriyan)। সংবিধান নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে কংগ্রেস ও বিজেপি  সাজি চেরিয়ানের ইস্তফার দাবিতে পথে নেমেছিল ৷ শেষপর্যন্ত সিপিএমের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের হস্তক্ষেপে বুধবার ইস্তফা দিতে বাধ্য হন সাজি চেরিয়ান৷ 

    আরও পড়ুন: রাজ্যসভায় মনোনীত পিটি ঊষা- ইলাইয়ারাজা সহ ৪, অভিনন্দন প্রধানমন্ত্রীর

    সম্প্রতি দলীয় সভায় সাজি বলেছিলেন, “সকলে বলে,সংবিধান সুন্দর ভাবে লেখা হয়েছে। তবে আমার মতে, এমনভাবে সংবিধান লেখা হয়েছে, যা মানুষকে লুট করতে সাহায্য করে। ব্রিটিশদের নির্দেশানুযায়ী সংবিধান বানানো হয়েছে। সংবিধান  শ্রমিকদের শোষণকে প্রশ্রয় দেয়।” এরপরেই কেরলের মন্ত্রীর মন্তব্যের বিরুদ্ধে সরব হন বিরোধীরা। একাধিক স্তর থেকে সিপিআই(এম)-এর বিরুদ্ধে সমালোচনা শুরু হয়। যার জেরে দলের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি বুধবার জানিয়েছিলেন,বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করছে দল।

    অন্যদিকে রাজ্য কংগ্রেস সভাপতি কে সুধাকরণ এই ঘটনাকে ‘লজ্জাজনক’ বলে অভিহিত করেন এবং বলেন, একজন মন্ত্রীর কাছ থেকে এমন বক্তব্য এসেছে, যা দুর্ভাগ্যজনক। সুধাকরণ জানিয়েছেন, “কংগ্রেস আইনগতভাবে এর বিরোধিতা করবে।”

    আরও পড়ুন: ভিভোকাণ্ডে ইডি-র আতসকাচের তলায় দুই অ্যাকাউন্ট্যান্ট ও এক কোম্পানি সেক্রেটারি

    নিজের মন্তব্য প্রসঙ্গে চেরিয়ান বলেন, “তিনি সংবিধানের অবমাননা করতে চাননি।” তিনি আরও বলেন, তাঁর মন্তব্যকে “ভুল ব্যাখ্যা করা হয়েছে” এবং তিনি এর জন্য ক্ষমাপ্রার্থী। বিরোধীদের বিক্ষোভের জেরে বুধবার কেরালা বিধানসভার অধিবেশন স্থগিত করে দেওয়া হয়। সিপিআই-এমের কেরালা ইউনিটের শীর্ষ পদাধিকারীরা এই নিয়ে আলোচনার জন্য জরুরি বৈঠকে বসেন। দলীয় সূত্রে খবর, চেরিয়ানের মন্তব্যের বিরোধিতা করে সিপিআই(এম)-এর পক্ষ থেকে বিবৃতি দেওয়া হতে পারে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন এই ঘটনার গুরুত্ব বিবেচনার জন্য আইনগত পরামর্শ নিচ্ছেন। ইতিমধ্যেই রাজ্যের বিভিন্ন আদালতে এই মন্তব্যের বিরুদ্ধে একাধিক পিটিশন জমা পড়েছে।

LinkedIn
Share