Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • What is AYUSH visa: আয়ুর্বেদ চিকিৎসা করাতে চাইলে বিদেশিদের দেওয়া হবে সুযোগ, ভারত চালু করবে আয়ুষ ভিসা

    What is AYUSH visa: আয়ুর্বেদ চিকিৎসা করাতে চাইলে বিদেশিদের দেওয়া হবে সুযোগ, ভারত চালু করবে আয়ুষ ভিসা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আয়ুর্বেদ শাস্ত্র ভারতের ঐতিহ্য। আয়ুর্বেদ চিকিৎসার গুরুত্ব অপরিসীম। বিভিন্ন জটিল এবং দুরারোগ্য অসুখেও আয়ুর্বেদ কাজ করে। ভারতে এসে আয়ুর্বেদ চিকিৎসা করাতে চাইলে এবার থেকে বিদেশিরা বিশেষ সুযোগ পাবেন। এ ক্ষেত্রে নতুন ভিসা দেওয়ার কথা ভাবছে কেন্দ্র। খুব শীঘ্রই ভারত চালু করতে চলেছে আয়ুষ ভিসা। সম্প্রতি গান্ধীনগরে তিন দিনের জন্য চলা গ্লোবাল আয়ুষ ইনভেস্টমেন্ট এবং ইনোভেসন সামিট (Global AYUSH Investment and Innovation Summit)-এর উদ্বোধন করতে এসে এই কথা জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি বলেন,”নতুন এই ভিসার বিষয়ে এগোচ্ছে ভারত।” ভারতের প্রাচীন আয়ুর্বেদ চিকিৎসাকে বিশ্বের সামনে তুলে ধরার জন্য এটি একটি অভিনব প্রচেষ্টা বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

    AYUSH কাকে বলা হয়?
    ভারতের প্রাচীন পাঁচটি চিকিৎসা পদ্ধতিকে একসঙ্গে আয়ুষ বলা হয়। এর মধ্যে রয়েছে ৬টি শাস্ত্র। আয়ুর্বেদ,যোগাসন, নেচারোপ্যাথি, ইউনানি, সিদ্ধা ও হোমিওপ্যাথি।

    প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, গত কয়েক বছরে এই আয়ুষ নিয়ে দেশের তো বটেই বিদেশের মানুষের মধ্যেও আকর্ষণও অনেকখানি বেড়ে গিয়েছে। ফলে এই বিদ্যাচর্চার জন্য এবং এগুলির সাহায্য নিতে এখন বহু মানুষ ভারতে আসছেন। আর সেই কারণেই এই ভিসার কথা ভাবা হয়েছে সরকারের তরফে। কোভিড-কালে এই ধরনের প্রাচীন চিকিৎসা পদ্ধতির গুরুত্ব আরও বেড়ে গিয়েছে বলে জানান মোদী। এই সময়ে ‘আয়ুষের কাড়হা’ এবং অন্যান্য অনুরূপ পণ্যগুলি মানুষকে তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করেছে। দেশ থেকে হলুদ রপ্তানিও করা হয়েছে।

    প্রধানমন্ত্রীর কথায়, প্রত্যেক বছর বহু মানুষ কেরলে যান এই ধরনের প্রাচীন চিকিৎসা পদ্ধতির সাহায্য নিতে। এগুলি ভারতের নিজস্ব বিদ্যা। এগুলিকে ঠিক করে পৃথিবীর সামনে তুলে ধরা গেলে দেশের উপকার হবে, সুনাম বাড়বে, বিদ্যাগুলি বহু মানুষের কাজে লাগবে এবং এগুলি নিয়ে ভবিষ্যতে চর্চা বাড়বে। এদিন তাঁর ভাষণে, প্রধানমন্ত্রী মোদী জানান, যে আয়ুষের ক্ষেত্রে বিনিয়োগ এবং উদ্ভাবনের সম্ভাবনা সীমাহীন। তিনি আরও যোগ করেন, ‘আমরা ইতিমধ্যেই আয়ুষ ওষুধ, পুষ্টিপরিপূরক এবং প্রসাধনী উৎপাদনে একটি অভূতপূর্ব বৃদ্ধি প্রত্যক্ষ করছি। এবার আমরা একটি বিশেষ আয়ুষ হলমার্ক তৈরি করার পথে রয়েছি। এই হলমার্কটি ভারতে তৈরি সর্বোচ্চ মানের আয়ুষ পণ্যগুলিতে প্রয়োগ করা হবে।’ঔষধি গাছের চাষের সঙ্গে জড়িত কৃষকদের সহজেই বাজারের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার সুবিধা পাওয়া উচিত বলে মনে করেন মোদী। এর জন্য, সরকার আয়ুষ ই-মার্কেটপ্লেসের আধুনিকীকরণ এবং সম্প্রসারণের জন্যও কাজ করছে।

  • Amarnath Yatra: অমরনাথ যাত্রায় নাশকতার ছক? অস্ত্রবোঝাই ড্রোন ধ্বংস পুলিশরে

    Amarnath Yatra: অমরনাথ যাত্রায় নাশকতার ছক? অস্ত্রবোঝাই ড্রোন ধ্বংস পুলিশরে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অমরনাথ যাত্রায় (Amarnath Yatra) নাশকতা হতে পারে, এই অশঙ্কায় সক্রিয় হয়েছে জম্মু-কাশ্মীর (Jammu-Kashmir) পুলিশ। পাক সীমান্ত এলাকায় চলছে একাধিক জায়গায় জঙ্গি-বিরোধী অভিযান। সেই অভিযান চলার সময়, অস্ত্রবোঝাই একটি পাকিস্তানি ড্রোনকে (Pak Drone) গুলি করে নামাল নিরাপত্তা বাহিনী।

    কাশ্মীরের (Kashmir) হীরানগর সেক্টরের কাঠুয়ার তাল্লি হারিয়া চক এলাকায় উড়ে আসে ড্রোনটি। দেখামাত্রই সেটিকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে শুরু করেন টহলরত পুলিশকর্মীরা। সেটি ভেঙে পড়তেই ড্রোনটির পে-লোড অর্থাৎ তাতে কী কী বহন করা হচ্ছিল, তা খতিয়ে দেখার জন্য বম্ব ডিসপোজ়াল স্কোয়াডকে ডাকা হয়। তাঁরাই ভেঙে পড়া ড্রোন থেকে সাতটি ম্যাগনেটিক বোমা (Magnetic bomb) এবং সাতটি আন্ডার-ব্যারেল গ্রেনেড লঞ্চার (UBGL) উদ্ধার করেন। 

    অমরনাথ যাত্রার আগে সীমান্তে তল্লাশি বৃদ্ধি করেছে পুলিশ ও সেনা। তার জেরেই ওই ড্রেনের সন্ধান মিলল। এমনটাই মনে করছে জেলা প্রশাসন। জম্মু এডিজি জানিয়েছেন, গুলি করার পর ড্রোনটি এসে পড়ে সীমান্তের তাল্লা হারিয়া চক এলাকায়। কাঠুয়ায় এসএসপি আর সি কোতওয়াল সংবাদমাধ্যমে বলেন, রুটিন তল্লাশিতে নেমেছিল রাজাবর পুলিস। তখনই ওই ড্রোনের দেখা মেলে। 

    গোটা ঘটনার সঙ্গে জঙ্গি যোগের প্রবল আশঙ্কা করছে পুলিশ। মনে করা হচ্ছে, অমরনাথ যাত্রায় (Amarnath Yatra) নাশকতার ছক কষেই বিস্ফোরক আসছিল সীমান্তের ওপার থেকে। আদতে কোন ঠিকানায় সেগুলি আসছিল, তা খতিয়ে দেখতে কাঠুয়ার একটা বড় অংশ জুড়ে তল্লাশি অভিযান জোরদার করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে মোতায়েন করা হয়েছে বাড়তি পুলিশ বাহিনীও।

    অন্য দিকে পুলওয়ামায় অভিযান চলার সময় পুলিশের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে দু’জন জঙ্গি নিহত হয়েছে। তারা স্থানীয় জঙ্গি বলেই পুলিশ জানিয়েছে। তাদের কাছ দু’টি একে ৪৭ রাইফেল উদ্ধার করা হয়েছে।

    ৩০ জুন থেকে শুরু হচ্ছে অমরনাথ যাত্রা। ৪৩ দিনের এই যাত্রায় এবার দু’টি রুটের বন্দোবস্ত রাখা হয়েছে। পহেলগামের (Pahalgam) চিরাচরিত ৪৮ কিমি রুটের পাশাপাশি গান্দেরবাল (Ganderbal) এলাকার ১৪ কিমির রুট দিয়েও পৌঁছনো যাবে অমরনাথ মন্দিরে। দু’টি রুটেই আগাম কড়া নজরদারি শুরু করেছে নিরাপত্তাবাহিনী। স্বাভাবিক ভাবেই যাত্রা শুরুর মাসখানেক আগে কাঠুয়ার ড্রোন-কাণ্ড চিন্তা বাড়াল প্রশাসনের।

  • Yasin Malik: যাবজ্জীবন ইয়াসিন মালিকের, অশান্তি এড়াতে জম্মু-কাশ্মীরে বাড়ানো হল নিরাপত্তা  

    Yasin Malik: যাবজ্জীবন ইয়াসিন মালিকের, অশান্তি এড়াতে জম্মু-কাশ্মীরে বাড়ানো হল নিরাপত্তা  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভূস্বর্গে শান্তি বজায় রাখতে বাড়ানো হল নিরাপত্তা। বুধবার জম্মু-কাশ্মীরের বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা ইয়াসিন মালিককে (Yasin malik) যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত করে এনআইএ-র (NIA) বিশেষ আদালত। তার পরেই আঁটসাঁট করা হয়েছে উপত্যকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা।

    এদিন মালিককে যখন সাজা দেওয়া হচ্ছিল, তখনই উপত্যকায় বৈঠকে বসেন জম্মু-কাশ্মীর (jammu  kashmir) প্রশাসনের শীর্ষকতার্রা। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্স (CRPF), সশস্ত্র সীমা বল (SSB), সীমান্তরক্ষী বাহিনী (BSF) এবং সেনাবাহিনীর (Indian Army) কর্তারা।

    উপত্যকার সামগ্রিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি ও উদ্ভূত আইনশৃঙ্খলার সমস্যা পর্যালোচনা করতেই ওই বৈঠক হয়। পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল (কাশ্মীর রেঞ্জ) বিজয় কুমারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয় ওই বৈঠক। মালিকের সাজার আঁচে যাতে উপত্যকায় অশান্তি ছড়িয়ে না পড়ে, সেই জন্য কাশ্মীরের একাংশে বন্ধ করে দেওয়া হয় ইন্টারনেট পরিষেবা।

    আরও পড়ুন : ইয়াসিন মালিকের যাবজ্জীবন সাজা, কাশ্মীরে বিচ্ছিন্নতাবাদের কফিনে শেষ পেরেক?

    এদিন শ্রীনগরের (srinagar) একটি বড় অংশের ব্যবসায়ীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে বন‍্‍ধ পালন করেন। তবে এর বাইরে গোটা উপত্যকা মোটের ওপর শান্তিপূর্ণই ছিল। গ্রীষ্মকালীন রাজধানীর ভিতরে ও বাইরে এদিন যথারীতি চলেছে সরকারি ও বেসরকারি যানবাহন।

    মালিকের সাজা ঘোষণার সময় তার পৈত্রিক ভিটে মাইসুমা এলাকায় ভিড় জমায় স্থানীয় লোকজন। আজাদির পক্ষে স্লোগান দিতে দেখা যায় তাদের। জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ ও সিআরপিএফের একটি দলের দিকে পাথর ছুড়তে দেখা যায় তাদের। জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটায় পুলিশ। এই ঘটনায় সাময়িকভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। তবে মাইসুমা ও তার আশপাশ এলাকায় লোকজনের জমায়েতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির যাতে অবনতি না হয়, সেজন্য পুলিশ ও সেন্ট্রাল আর্মড পুলিশ ফোর্সের ক্ষমতা বৃদ্ধি করা হয়েছে।

    আরও পড়ুন : কাশ্মীরের বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা ইয়াসিন মালিকের যাবজ্জীবন, কী কী অভিযোগ ছিল?

    এদিকে, মালিকের সাজা ঘোষণায় জম্মু-কাশ্মীর জুড়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গিয়েছে। পিপলস অ্যালায়েন্স ফর গুপকার ডিক্লারেশন (Gupkar) এবং জাতীয় বাম দলগুলির সহযোগীদের মতে, মালিককে দেওয়া যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা দুর্ভাগ্যজনক। শান্তি উদ্যোগের জন্য একটি বড় ধাক্কা। পিপলস অ্যালায়েন্স ফর গুপকার ডিক্লারেশনের (PAGD) প্রধান মুখপাত্র এবং সিপিএম নেতা মহম্মদ ইউসুফ তারগামি বলেন, এনআইএ আদালত রায় দিয়েছে, কিন্তু ন্যায়বিচার করেনি। বিজেপি এবং কর্পোরেট মিডিয়া যে জয়জয়কার প্রদর্শন করছে, তার উল্টোটা প্রমাণিত হতে বাধ্য।

    আরও পড়ুন : ইয়াসিনকে আটকে কাশ্মীরের আন্দোলন বন্ধ করা যাবে না…ট্যুইট আফ্রিদির

    মালিকের সাজার নিন্দা করেছে মিরওয়াইজ ওমর ফারুকের নেতৃত্বে বিচ্ছিন্নতাবাদী হুরিয়ত কনফারেন্সের (Hurriyat conference) জোটও। তাদের দাবি, জম্মু-কাশ্মীর লিবারেশন ফ্রন্ট (ইয়াসিন মালিকের দল) ১৯৯৪ সাল থেকে শান্তিপূর্ণ ও গণতান্ত্রিক উপায়ে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছে।

    অবশ্য এনআইএ-র বিশেষ আদালতের এই রায়কে স্বাগত জানিয়েছে বিজেপি (BJP)। পদ্ম শিবিরের তরফে জানানো হয়েছে, এটি জনগণের প্রত্যাশা পূরণ করে না, বিশেষ করে মালিকের দ্বারা নির্যাতিতদের। দলের নেতা নির্মল সিং এবং কাবিন্দর গুপ্ত এক যৌথ বিবৃতিতে জানান, জেকেএলএফের (JKLF) নেতাকর্মীরা যাঁদের আত্মীয়দের খুন করেছিল, তাঁরা আশা করেছিলেন যে আদলত মালিককে মৃত্যুদণ্ড দেবে।  

     

  • Boris Johnson spins Charkha: ভারতের স্বাধীনতার ৭৫ বর্ষে গান্ধীর চরকায় সুতো কাটলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী

    Boris Johnson spins Charkha: ভারতের স্বাধীনতার ৭৫ বর্ষে গান্ধীর চরকায় সুতো কাটলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পট পরিবর্তন।  তখন সময়টা ছিল ১৯৩০। ভারত তখন ব্রিটিশ শাসনের অধীনে পরাধীন রাষ্ট্র। মহাত্মা গান্ধীর স্বদেশী আন্দোলনে হাতিয়ার হয়ে উঠেছিল এই চরকা। পরে, যা স্বাধীনতা আন্দোলনেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। গান্ধীর চরকা রাতের ঘুম কেড়ে নিয়েছিল ব্রিটিশদের। অচিরেই, ১৯৪৭ সালে ব্রিটিশ শাসন থেকে মুক্ত হয়েছিল এই দেশ।

    এখন ২০২২। ভারত স্বাধীনতার ৭৫ বর্ষপূর্তি পালন করছে মহা ধুমধামের সঙ্গে। আর ভারতে এসেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এদেশে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর আগমন নতুন কিছু নয়। তবে, জনসনের এই সফর, অনেক দিক দিয়ে উল্লেখযোগ্য বটে।  কারণ, এই প্রথম কোনও ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী গান্ধীর সবরমতী আশ্রমে পা রাখলেন। তার চেয়েও বড় কথা, যে চরকা একদিন ব্রিটিশদের রাতের ঘুম কেড়ে নিয়েছিল, যে চরকা ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের ভিত গড়ে দিয়েছিল, এখন সেই সবরমতী আশ্রমে সেই চরকার সামনে পা মুড়ে বসে সুতো কাটলেন এক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। ছবিও তুললেন। 

    স্বাধীনতা উত্তর ভারতের এই ছবি, যেন ১৩৩ কোটি দেশবাসীর কাছে একটা গর্বের মুহূর্ত। যে ছোটখাটো মানুষটির অহিংস আন্দোলন কাঁপিয়ে দিয়েছিল ব্রিটিশ সাম্রাজ্যকে, আজ তাঁরই ঘরে পা দিলেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী। আজ থাকলে হয়তো খুব খুশি হতেন মোহনদাস কর্মচন্দ গান্ধী। 

    বৃহস্পতিবার, আহমেদাবাদ হয়ে দু’দিনের ভারত সফর শুরু করার পরে ইংল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের প্রথম গন্তব্যই ছিল মহাত্মা গান্ধীর সবরমতী আশ্রম। গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র পটেল এবং আশ্রমের ট্রাস্টি কার্তিকেয় সারাভাই সেখানে তাঁকে স্বাগত জানান। প্রায় আধ ঘণ্টা আশ্রমে ছিলেন জনসন। গান্ধী যেখানে থাকতেন, সেই ‘হৃদয় কুঞ্জ’, গান্ধীর বিদেশিনি শিষ্যা মীরাবেন (মেডেলিন স্লেড)-এর বাসস্থান ‘মীরা কুটির’ ঘুরে দেখেন তিনি। গান্ধীর মূর্তিতে মালা দেন। চলে যাওয়ার ঠিক আগে বরিস বসে পড়েন চরকায়।  পাশে বসে এক মহিলা তাঁকে শিখিয়ে দেন, কী ভাবে চালাতে হয় চরকা। 

    ১৯১৭ থেকে ১৯৩০ পর্যন্ত গুজরাতের এই সবরমতী আশ্রমই ছিল মোহনদাস কর্মচন্দ গান্ধীর ঠিকানা। এখান থেকেই ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের বিরুদ্ধে অসহযোগ আন্দোলন শুরু করেছিলেন গান্ধী। তৎকালীন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী উইনস্টন চার্চিল গান্ধীকে ‘হাফ ন্যাকেড ফকির’ বলে সম্মোধন করেছিলেন। আজ তাঁর উত্তরসূরীর কথায় গাঁধী ছিলেন ‘এক অসামান্য মানুষ’। এদিন সবরমতী আশ্রম ছেড়ে যাওয়ার সময় সেখানকার ভিজিটার্স বুকে জনসন লেখেন, ‘‘এই অসামান্য মানুষটি কীভাবে দুনিয়ায় বদল আনতে সত্য ও অহিংসার সহজ নীতিকে কাজে লাগিয়েছিলেন, এখানে এসে তা বুঝতে পেরে সমৃদ্ধ হলাম।’’

    এদিন তাঁর হাতে সবরমতী আশ্রম প্রিজ়ার্ভেশন অ্যান্ড মেমোরিয়াল ট্রাস্টের তরফে দু’টি বই তুলে দেন বিজ্ঞানী বিক্রম সারাভাইয়ের পুত্র কার্তিকেয়। আর দেওয়া হয় একটি চরকার প্রতিরূপ। আশ্রমের মুখপাত্র বিরাট কোঠারি বলেন, ‘‘ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীকে দেওয়া দু’টি বইয়ের একটি হল, ‘গাইড টু লন্ডন’। এটি গান্ধীর লেখা প্রথম বই, যা কখনও প্রকাশিত হয়নি। লন্ডনে কী ভাবে থাকতে হয়, তা নিয়েই গান্ধী এখানে নিজের মতামত লিখেছিলেন। তাঁর রচনাবলি থেকে লেখাটি সংগ্রহ করে সেটিকে আলাদা বইয়ের চেহারা দিয়েছি আমরা।’’ অন্য বইটি মীরাবেনের আত্মজীবনী— ‘দ্য স্পিরিট’স পিলগ্রিমেজ’। 

    ভারতে পা দিয়েই জনসন টুইট করেছিলেন, ‘‘বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্র ভারতে এসে দারুণ লাগছে। একসঙ্গে আমাদের দুই দেশ বিরাট সম্ভাবনা ছুঁতে পারে। আমাদের অংশীদারিত্বেই আসবে চাকরি, বৃদ্ধি, সুযোগ। ভবিষ্যতে এই সহযোগিতা আরও মজবুত করতে চাই।’’ বিমানবন্দরে জনসনকে স্বাগত জানান গুজরাতের রাজ্যপাল আচার্য দেবব্রত, মুখ্যমন্ত্রী পটেল-সহ অন্য কয়েক জন মন্ত্রী ও রাজ্য সরকারের শীর্ষ কর্তারা। আহমেদাবাদ বিমানবন্দর থেকে শুরু করে শহরে জনসনের ঠিকানা পাঁচতারা হোটেলটি পর্যন্ত প্রায় চার কিলোমিটার রাস্তার ধারে গোটা চল্লিশেক মঞ্চ বাঁধা হয়েছিল। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর কনভয় যখন যাচ্ছে, তখন সেই মঞ্চগুলিতে আঞ্চলিক নাচগান করছিলেন শিল্পীরা। বিমানবন্দর থেকে দফনালা, রিভারফ্রন্ট হয়ে আশ্রম রোডের হোটেলে পৌঁছন জনসন। একটু পরেই যান গান্ধী আশ্রমে। সেখান থেকে আহমেদাবাদ-লাগোয়া শান্তিগ্রামে আদানি গোষ্ঠীর সদর দফতরে এসে বৈঠকে বসেন শিল্পপতি গৌতম আদানির সঙ্গে।

    গুজরাতি শিল্পপতিদের সঙ্গে বৈঠক বা সবরমতী আশ্রমে তাঁর সফর ব্রিটেনে বসবাসকারী গুজরাতিদের মন গলাতে সাহায্য করবে, বলে মনে করে কুটনৈতিক মহল। ব্রিটেনে বসবাসকারী ভারতীয়দের ৫০ শতাংশ গুজরাতি বংশোদ্ভূত। জনসনকে ক্ষমতায় আনার জন্য পরোক্ষভাবে ব্রিটেনে বসবাসকারী ভারতীয়েরা সাহায্য করেছিল বলে মনে করা হয়।

     

  • Edible Oil: বছরে ২০ লক্ষ মেট্রিক টন ভোজ্য তেল আমদানি শুল্কমুক্ত করল কেন্দ্র 

    Edible Oil: বছরে ২০ লক্ষ মেট্রিক টন ভোজ্য তেল আমদানি শুল্কমুক্ত করল কেন্দ্র 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পেট্রপণ্যের পর এবার ভোজ্য তেল। মূল্যবৃদ্ধির বাজারে (price rise) মধ্যবিত্তকে কিছুটা স্বস্তি দিতে বিপুল পরিমাণ অশোধিত ভোজ্য তেলকে (Crude Edible Oil) শুল্কমুক্ত (Duty-free) করার সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্র। 

    ২০২২-২৩ ও ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে বিনা শুল্কে প্রতি বছর ২০ লক্ষ মেট্রিক টন অশোধিত সয়াবিন তেল এবং অপরিশোধিত সূর্যমুখী তেল আমদানির অনুমতি দিয়েছে অর্থ মন্ত্রক। অর্থমন্ত্রকের তরফে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, ২০২২-২৪ সাল অবধি বছরে ২০ লক্ষ মেট্রিক টন পর্যন্ত অপরিশোধিত সয়াবিন তেল এবং অপরিশোধিত সূর্যমুর্যখী তেল বিনা শুল্কে আমদানি করা যাবে। সিবিআইসি (CBIC) একটি ট্যুইটে লেখে, “এর ফলে অনেকটাই স্বস্তি পাবেন উপভোক্তারা।” 

    আরও পড়ুন: পেট্রল-ডিজেলে ভর্তুকি দেবে কেন্দ্রই, দাবি অর্থমন্ত্রীর

    ভোজ্য তেলের মূল্যবৃদ্ধির ওপর লাগাম টানতেই এই সিদ্ধান্ত বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।কেন্দ্র যে অশোধিত সয়াবিন, সূর্যমুখী তেলের উপর আমদানি কর কমাতে পারে, এই ইঙ্গিত আগেই পাওয়া গিয়েছিল। ভারত ইতিমধ্যেই অশোধিত পাম তেল, সোয়াবিন তেল এবং সূর্যমুখী তেলের উপর মূল আমদানি কর তুলে নিয়েছে। কিন্তু এই তিনপ্রকার ভোজ্য তেলের ওপর পাঁচ শতাংশ কৃষি পরিকাঠামো ও উন্নয়ন কর রয়েছে।

    রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে বিশ্ববাজার ক্ষতিগ্রস্ত। সরকারের পক্ষে বাইরের দেশ থেকে ভোজ্য তেল আমদানি করা মুশকিল হয়ে পড়েছে। ভারত দুই-তৃতীয়াংশেরও বেশি ভোজ্য তেল কৃষ্ণসাগরীয় বলয় থেকে আমদানি করে। কিন্তু ইন্দোনেশিয়া তেল সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়ায় দেশে ভোজ্য তেলের দাম দ্রুত গতিতে বাড়তে শুরু করে। ভারত প্রধানত ইন্দোনেশিয়া এবং মালয়েশিয়া থেকে পাম তেল আমদানি করে। সয়া এবং সূর্যমুখী তেল আসে আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল, ইউক্রেন এবং রাশিয়া থেকে।

    আরও পড়ুন: ২ লক্ষ কোটি টাকা অতিরিক্ত ব্যয়! মুদ্রাস্ফীতি রুখতে দাওয়াই কেন্দ্রের

    মুদ্রাস্ফীতির জেরে গতমাসেই রেপো রেট ৪০ বেসিস পয়েন্ট বাড়িয়েছে আরবিআই (Reserve Bank of India)। ইন্দোনেশিয়া তেল সরবরাহে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করলেও আগামী মাসে ভারতের তেল আমদানির পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই।

  • Super Hornet: সক্ষমতার পরীক্ষা দিতে দুটি এফ-১৮ যুদ্ধবিমান এল ভারতে

    Super Hornet: সক্ষমতার পরীক্ষা দিতে দুটি এফ-১৮ যুদ্ধবিমান এল ভারতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ট্রায়াল দিতে ভারতে (India) এল বোয়িং এফ/এ-১৮ই সুপার হর্নেট (Boeing F/A-18E/F Super Hornet) যুদ্ধবিমান। আগামী এক সপ্তাহ ধরে গোয়ায় ভারতীয় নৌসেনার পরীক্ষাস্থলে (Shore based Test facility) চলবে বিভিন্ন মহড়া ও পরীক্ষা।

    দেশে তৈরি প্রথম বিমানবাহী রণতরী ‘আইএনএস বিক্রান্ত’ (INS Vikrant)- এর জন্য যুদ্ধবিমান কেনার পরিকল্পনা নিয়েছে ভারতীয় নৌবাহিনী (Indian Navy)। তার জন্যে চূড়ান্ত পর্যায়ে ২টি বিমানকে নির্বাচিত করা হয়েছে। একটি রাফাল (Rafale) এবং দ্বিতীয়টি সুপার হর্নেট (Super Hornet)। কিন্তু ঠিক কোন বিমান বাছাই করা হবে সেই সিদ্ধান্ত ২ প্রতিদ্বন্দ্বীর ট্রায়াল-পর্ব খতিয়ে দেখে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

    এর আগে প্রতিযোগী বিমানগুলির সক্ষমতা যাচাই করে দেখতে চাইছে ভারতীয় নৌসেনা। বিমানগুলির সক্ষমতা পরীক্ষা করার জন্য গোয়ায় নৌসেনা ঘাঁটি আইএনএস হংস (INS Hansa)-তে চলছে বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা।

    গত জানুয়ারি মাসেই পরীক্ষা করার জন্য রাফাল মেরিন (Rafale-M) যুদ্ধবিমানকে ভারতে আনা হয়েছিল। এবার সক্ষমতার প্রমাণ দিতে ভারতে এসেছে মার্কিন সংস্থা বোয়িং-এর দুটি এফ/এ-১৮ই/এফ সুপার হর্নেট (Boeing F/A-18E/F Super Hornet) যুদ্ধবিমান।

    চার বছর আগে বিমানবাহী রণতরীর জন্যে ৫৭টি বিমান কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল নৌসেনা। যে চার ধরনের বিমানকে প্রাথমিকভাবে বাছাই করা হয়েছিল। সেগুলি ছিল ফরাসি সংস্থা দাসোলের রাফাল, মার্কিন সংস্থা বোয়িংয়ের এফ-১৮ সুপার হর্নেট, রুশ সংস্থা মিগের মিগ-২৯কে  এবং সুইডিশ সংস্থা সাব-এর গ্রিপেন যুদ্ধবিমান। 

    একাধিক মানদণ্ড যাচাইয়ের পর চূড়ান্ত পর্যায়ের পরীক্ষার জন্য রাফাল ও সুপার হর্নেটকে বাছা হয়।  ২০ মে হর্নেট যুদ্ধবিমান দুটি দেশে এসেছে। নৌসেনা আধিকারিকদের মতে এক সপ্তাহ ধরে চলবে এই পরীক্ষা। প্রথমে রাফালের পরীক্ষা করে দেখেছে নৌসেনা। এবার এফ-১৮ বিমানের পালা।

    যে বিমান এই দৌড়ে জয়ী হবে, তারা আইএনএস বিক্রান্ত-এ জায়গা পাবে। আগামী ১৫ অগাস্ট, স্বাধীনতা দিবসে ভারতীয় নৌসেনায় অন্তর্ভুক্ত হবে আইএনএস বিক্রান্ত। এই মুহূর্তে ভারতীয় নৌসেনার একমাত্র বিমানবাহী রণতরী আইএনেস বিক্রমাদিত্য থেকে রুশ নির্মিত যুদ্ধ বিমান মিগ- ২৯কে ওড়ে। 

    জানা গিয়েছে, রাফাল ফাইটার জেটকে কড়া টক্কর দিচ্ছে এফ/এ-১৮ ই/এফ সুপার হর্নেট (F/A-18E/F  Super Hornet)। ভারতীয় নৌবাহিনীর (Indian Navy) প্রয়োজন এক দুর্ধর্ষ বিমান, যা ভবিষ্যতে মিগ বিমানের বিকল্প হিসেবে ব্যবহৃত হবে।

    শত্রুপক্ষের বুকে কাঁপুনি ধরাতে আগামী দিনে ভারতীয় নৌবাহিনীর ‘তুরুপের তাস’ আইএনএস বিক্রমাদিত্য এবং আইএনএস বিক্রান্ত। এই দুই এয়ারক্র্যাফ্ট কেরিয়ার ভারত মহাসাগর অঞ্চলে নৌসেনার শক্তি বহুগুণ বাড়িয়ে দেবে নিঃসন্দেহে।
       

  • Nirmala Sitharaman: পেট্রল-ডিজেলে ভর্তুকি দেবে কেন্দ্রই, দাবি অর্থমন্ত্রীর

    Nirmala Sitharaman: পেট্রল-ডিজেলে ভর্তুকি দেবে কেন্দ্রই, দাবি অর্থমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পেট্রল-ডিজেলের দাম কমানোর জন্য সরকারের ২.২ লক্ষ কোটি টাকা খরচ হবে বলে জানালেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন (Nirmala Sitharaman)। তিনি জানান, কেন্দ্র এই সিদ্ধান্ত নেওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হবে রাজকোষ। পেট্রল-ডিজেলের দাম (fuel tax) কমার একমাত্র রাস্তা ছিল শুল্কের হার কমানো। অবশেষে কেন্দ্র সেই রাস্তাতেই হাঁটল। নভেম্বরে শেষবার শুল্কের হার কমানো হয়েছিল। অর্থমন্ত্রী জানান, এই ভর্তুকিতে রাজ্যের আমদানি শুল্কের উপর কোনও প্রভাব পড়বে না। পুরোটাই সেস থেকে প্রাপ্ত কেন্দ্র সরকারের টাকা থেকে দেওয়া হবে। পেট্রল-ডিজেলের উপর থেকে কেন্দ্র এক্সাইজ ডিউটি কমাতেই সস্তা হচ্ছে জ্বালানি । পেট্রলের উপর থেকে ৮ টাকা ও ডিজেলের উপর থেকে ৬ টাকা এক্সাইজ ডিউটি কম করেছে কেন্দ্র। 

    সূত্রের খবর, এক্সাইজ ডিউটি কমানোর ফলে লিটার পিছু পেট্রল সস্তা হবে সাড়ে ৯ টাকা। অন্যদিকে সস্তা হবে ডিজেলও। প্রতি লিটার পিছু ডিজেলের দাম কমবে প্রায় ৬ টাকা। কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, এর ফলে প্রায় ৯ কোটি গ্রাহকের মুখে হাসি ফুটবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নির্দেশে সাধারণ মানুষের কাঁধ থেকে দৈনন্দিন খরচের বোঝা লাঘব করতেই এমন সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। 

    কেন্দ্র সরকার দু’দফা শুল্ক কমানোর পরই বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলি পেট্রল-ডিজেলের দাম কমানোর কথা জানায়। পেট্রল-ডিজেলের ভ্যাট কমিয়ে দিয়েছে  তারা। দেশের একমাত্র বাম শাসিত রাজ‌্য কেরল (Kerala) দুই জ্বালানি তেলের উপর যথাক্রমে ২.৪১ টাকা এবং ১.৩৬ টাকা কর কমিয়েছে। একই পথে হেঁটেছে কংগ্রেস শাসিত রাজস্থানও। রাজস্থানে (Rajasthan) লিটারপ্রতি পেট্রলে ভ্যাট কমানো হয়েছে ২ টাকা ৪৮ পয়সা। ডিজেলের দাম লিটারপ্রতি কমেছে ১ টাকা ১৬ পয়সা। বাকি বিরোধী শাসিত রাজ্যগুলি অবশ্য এখনও কোনও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেনি। মহারাষ্ট্র,বাংলা, তামিলনাড়ু, অন্ধ্রপ্রদেশ, ঝাড়খণ্ডে পেট্রল-ডিজেলের দাম বিজেপি (BJP) শাসিত রাজ্যগুলির থেকে ১০-১২ টাকা করে বেশি। 

  • Swiggy Drone Delivery: চাল-ডাল-তেল-নুন দিয়ে যাবে ড্রোন

    Swiggy Drone Delivery: চাল-ডাল-তেল-নুন দিয়ে যাবে ড্রোন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার ড্রোনের (Drone) মাধ্যমে হোম ডেলিভারি (Home Delivery) শুরু করতে চলেছে স্যুইগি (Swiggy)।

    চলতি মাস থেকেই তার ইনস্ট্যান্ট গ্রসারি (Instant Grocery) পরিষেবা, ইনস্টামার্ট (Instamart)-এর জন্য পরীক্ষামূলক ভাবে ড্রোন ব্যবহার করার পরিকল্পনা করছে অনলাইন ফুড-ডেলিভারি (Online Food delivery) সংস্থা স্যুইগি। তবে এই ড্রোন-ডেলিভারি পরিষেবাটি একেবারে সরাসরি গ্রাহকের ঘরে পণ্য পৌঁছে দেবে না। বরং তা দোকান থেকে পণ্য নিয়ে পৌঁছবে ডার্ক স্টোরে (Dark Store)।

    কী এই ডার্ক স্টোর? ডার্ক স্টোর হল এমন এক জায়গা যা গ্রাহকের বাড়ির কাছে। সেখান থেকে পণ্য সংগ্রহ করে গ্রাহকের বাড়ি পৌঁছে দেবেন ডেলিভারি পার্সন। এক্ষেত্রে তাদের সাহায্য করবে হায়দরাবাদের সংস্থা মারুত ড্রোনটেক (Marut Dronetech)। মারুতের সঙ্গে আরও অনেক সংস্থাই এ কাজে স্যুইগিকে সাহায্য করবে।

    আপাতত রাজধানী দিল্লি (Delhi NCR) ও বেঙ্গালুরুতে পরীক্ষামূলকভাবে এই পরিষেবা শুরু করছে স্যুইগি। ড্রোনের মাধ্যমে Swiggy Instamart ডেলিভারি কতটা বাস্তব সম্মত তা বুঝে নেওয়ার চেষ্টা করছে তারা। শহরগুলির জনসংখ্যা ক্রমশ বাড়তে থাকার কারণে ড্রোনের মাধ্যমে ডেলিভারির প্রয়োজনীয়তা বুঝতে পেরেছে Swiggy -র মতো কোম্পানি, বলে অনুমান বিশেষজ্ঞদের। এতে কোনওভাবেই কোনও ডেলিভারি পার্সনের চাকরি যাবে না, বলে একটি ব্লগ বার্তায় জানিয়েছে স্যুইগি। কারণ, বাড়ি বাড়ি পণ্য পৌঁছে দেওয়ার কাজ করবেন ডেলিভারি পার্সনরাই।

    ডেলিভারি ড্রোন হল মনুষ্যবিহীন একটি বায়বীয় যান (UAV/Unmanned Aerial Vehicles)। এধরনের যান মূলত চিকিৎসা সরঞ্জাম, খাদ্য এবং অন্য পণ্য পরিবহণে ব্যবহার করা হয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই উপদ্রুত এলাকায় মানুষের ত্রাণে এই ধরনের পরিবহণ করা হয়। স্যুইগির ক্ষেত্রে ড্রোনগুলি তার Instamart পরিষেবার অধীনে মুদি (Grocery) সামগ্রী সরবরাহ করতে ব্যবহার করা হবে। সংস্থাটি ইতিমধ্যেই পরীক্ষামূলক প্রয়োগের জন্য চারটি ‘ড্রোন-অ্যাজ-এ-সার্ভিস’ (Drone-as-a-service) অপারেটরের সঙ্গে চুক্তি করেছে। ডেলিভারির মধ্যস্তরে এই ড্রোন কেমন কাজ করছে তা পর্যালোচনা করে দেখবে স্যুইগি। ব্যবসায়িক ভিত্তিতে ড্রোন ওড়ানোর বিষয়ে গত বছর ভারতের অসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রক ২০টি সংস্থাকে শর্তসাপেক্ষে অনুমতি দিয়েছে। 

  • India’s first 5G testbed: ভারতে পরীক্ষামূলকভাবে চালু 5G পরিষেবা, শতাব্দীর শেষেই 6G, জানালেন মোদি

    India’s first 5G testbed: ভারতে পরীক্ষামূলকভাবে চালু 5G পরিষেবা, শতাব্দীর শেষেই 6G, জানালেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের প্রথম পরীক্ষামূলক ৫জি পরিষেবা (5G service) চালু করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi)। মঙ্গলবার টেলিকম রেগুলেটরি অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার (Telecom Regulatory Authority of India) বা “ট্রাই” (TRAI)-এর এক অনুষ্ঠানে এই পরিষেবার উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। আধুনিক প্রযুক্তির দিনে এই পরিষেবা দেশকে স্বনির্ভর হতে সাহায্য করবে বলে জানান তিনি। চলতি দশকের শেষে ভারত ৬জি পরিষেবাও (6G service) চালু করতে সক্ষম হবে বলে জানান মোদি।

    দেশবাসীর ৫জি নেটওয়ার্ক সার্ভিস ব্যবহারের আশাপূরণ করতে বিগত কয়েক বছর ধরে লাগাতার জোরকদমে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার। ৫জি-র আগমন ঘটলে ডেটা ডাউনলোডের গতি বাড়বে প্রায় ১০ গুণ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। প্রাথমিক স্তরে এই পরিষেবা পরীক্ষামূলকভাবে চালাতে খরচ হবে আনুমানিক ২২০ কোটি টাকা। আইআইটি মাদ্রাজের নেতৃত্বে দেশের আটটি সংস্থা এই পরিষেবা রূপায়ণে বড় ভূমিকা নেয়।

    [tw]


    [/tw]

    দেশের যুবসমাজ, গবেষক এবং তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থাগুলিকে দেশজ এই পরিষেবা গ্রহণ করার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। মোদি বলেন, “যোগাযোগ ব্যবস্থা একটা দেশের অগ্রগতিকে নিয়ন্ত্রণ করেন। বর্তমান দিনে এই পরিষেবা প্রশাসনিক, ব্যবসায়িক এবং সামাজিক স্তরে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।” তিনি বলেন, নয়া প্রযুক্তিকে কেন্দ্র করেই যাতে টেলিকম নেটওয়ার্কগুলি নতুন করে গড়ে ওঠে, তা নিশ্চিত করতে হবে। মোদির কথায়,” এখন টেলিকম শুধু একটা সেক্টর নয়। প্রযুক্তি প্রতিটি সেক্টরকে একে অপরের সঙ্গে যুক্ত করছে। তাই এখন সবাই কোলাবরেটিভ রেগুলেশন অর্থাৎ একে অপরের সঙ্গে মিলে মিশে কাজ করার কথাই ভাবছে।” 

    [tw]


    [/tw]

    প্রধানমন্ত্রীর আশা, এই দশকের শেষেই ভারতে চালু হয়ে যাবে ৬জি ইন্টারনেট (6G Internet) পরিষেবা। এ বিষয়ে সম্পূর্ণ ভারতীয় প্রযুক্তির উপর কাজ চলছে। একথা আগেই জানিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। তিনি জানিয়েছিলেন, প্রয়োজনীয় অনুমতি ইতিমধ্যেই দেওয়া হয়েছে। বিজ্ঞানী এবং ইঞ্জিনিয়াররা নয়া প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করছেন। 

  • Smriti Irani: দেশে এই প্রথম সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রী অ-মুসলিম, অতিরিক্ত দায়িত্ব স্মৃতি ইরানিকে

    Smriti Irani: দেশে এই প্রথম সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রী অ-মুসলিম, অতিরিক্ত দায়িত্ব স্মৃতি ইরানিকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রকের অতিরিক্ত দায়িত্ব পেলেন স্মৃতি ইরানি (Smriti Irani)। এতদিন ওই মন্ত্রকের দায়িত্ব সামলাচ্ছিলেন বিজেপির (BJP) মুখতার আব্বাস নাকভি (Mukhtar Abbas Naqvi)। তিনি ইস্তফা দেওয়ায় ওই মন্ত্রকের দায়িত্ব দেওয়া হল স্মৃতিকে। নারী ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রকের পাশাপাশি এই মন্ত্রকটিও সামলাবেন স্মৃতি। অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়াকে অতিরিক্ত হিসেবে দেওয়া হয়েছে ইস্পাত মন্ত্রকের দায়িত্ব।  

    ২০০৬ সালে মনমোহন সিংহের জমানায় সামাজিক ন্যায় বিচার ও ক্ষমতায়ন মন্ত্রক ভেঙে তৈরি হয় সংখ্যালঘু উন্নয়ন মন্ত্রক। তার পর থেকে ওই মন্ত্রকের দায়িত্ব সামলে আসছিলেন মুসলিম সম্প্রদায়ের কোনও প্রতিনিধি। মোদি সরকারের সময়ও ওই দফতরের দায়িত্ব সামলাচ্ছিলেন বিজেপির মুখতার আব্বাস নাকভি। রাজ্যসভার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় মন্ত্রিত্বে ইস্তফা দেন মুখতার। তার পরেই ওই মন্ত্রকের দায়িত্ব দেওয়া হয় স্মৃতিকে। স্মৃতিই প্রথম অমুসলিম ব্যক্তিত্ব যাঁকে দেওয়া হল এই মন্ত্রকের দায়িত্ব। স্মৃতির আগে ছিলেন মুখতার আব্বাস নাকভি। তাঁর আগে ছিলেন নাজমা হেপতুল্লা। তাঁর আগে ওই মন্ত্রক সামলেছিলেন কে রহমান খান। তাঁরও আগে ছিলেন সলমন খুরশিদ। খুরশিদের পূর্বসূরি ছিলেন আবদুল রহমান আন্তুলে। রাজ্যসভার মেয়াদ শেষ হওয়ায় মন্ত্রিত্ব পদে ইস্তফা দিয়েছেন আরসিপি সিং-ও। তাঁর ইস্পাত মন্ত্রকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে জ্যোতিরাদিত্যকে।

    আরও পড়ুন : মমতার ভূমিকায় ক্ষুব্ধ হয়েই কি বাংলায় প্রচারে নারাজ যশবন্ত সিনহা?

    অতিরিক্ত দায়িত্ব গ্রহণ করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন স্মৃতি। ট্যুইটারে তিনি লিখেছেন, সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রকের অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিজিকে আন্তরিক ধন্যবাদ। আমাকে দেওয়া দায়িত্ব পূর্ণ নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করব এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উন্নয়নের মাধ্যমে দেশসেবার সংকল্প জারি রাখব।

    আরও পড়ুন : রাজ্যসভায় মনোনীত পিটি ঊষা- ইলাইয়ারাজা সহ ৪, অভিনন্দন প্রধানমন্ত্রীর

    প্রসঙ্গত, সংঘ্যালঘু মুখ হিসেবে পরিচিত ছিলেন মুসলিম সম্প্রদায়ের মুখতার। তিনি পদত্যাগ করায় মোদি মন্ত্রিসভায় এই সম্প্রদায়ের আর কোনও মুখ রইল না। তবে মুখতারকে উপরাষ্ট্রপতি পদে প্রার্থী করা হতে পারে বলে রাজনৈতিক মহল সূত্রের খবর। বুধবার মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর মন্ত্রিত্ব পদে ইস্তফা দেওয়ার আগে মুখতার সাক্ষাৎ করেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার সঙ্গে। তার পরেই তাঁর উপরাষ্ট্রপতি প্রার্থী হওয়া নিয়ে ছড়ায় জোর জল্পনা।

     

LinkedIn
Share