Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Union Budget 2025: এবারের বাজেটে চার শ্রেণিকে গুরুত্ব দিলেন নির্মলা, কী কী ঘোষণা করলেন?

    Union Budget 2025: এবারের বাজেটে চার শ্রেণিকে গুরুত্ব দিলেন নির্মলা, কী কী ঘোষণা করলেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কথা রাখলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন (Nirmala Sitharaman)। শনিবার বাজেট পেশের শুরুতেই তিনি বলেছিলেন, “সবার উন্নয়নই আমাদের লক্ষ্য। বিশ্বে দ্রুত গতিতে এগোচ্ছে ভারতীয় অর্থনীতি (Union Budget 2025)।” তিনি এও বলেছিলেন, “বাজেটে মধ্যবিত্তদের গুরুত্ব দেওয়া হবে। গরিব, যুব, কৃষক, মহিলাকে গুরুত্ব দেওয়া হবে। ৭০ শতাংশ মহিলা যাতে আর্থিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত থাকেন, সেদিকেও নজর দেওয়া হবে।” কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘‘আমরা আগামী ৫ বছরকে ‘সবকা বিকাশ’ বাস্তবায়নের একটি অনন্য সুযোগ হিসেবে দেখি, যা সমস্ত অঞ্চলের সমতামূলক প্রবৃদ্ধিকে উদ্দীপিত করবে।’’

    নারীদের জন্য প্রকল্প (Union Budget 2025)

    নারী ও পিছিয়ে পড়া সম্প্রদায়ের উদ্যোক্তাদের জন্য নয়া প্রকল্প চালু করা হবে বলেও এদিন বাজেটে জানান কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। তিনি জানান, সরকার নিবন্ধিত ক্ষুদ্র উদ্যোগগুলির জন্য ৫ লাখ টাকার সীমাযুক্ত কাস্টমাইজড ক্রেডিট কার্ড চালু করবে। তিনি বলেন, ‘‘ঋণ প্রাপ্তির সুযোগ বাড়ানোর জন্য, ক্রেডিট গ্যারান্টি কভার বাড়ানো হবে। ক্ষুদ্র ও ছোট উদ্যোগগুলির জন্য এটি ৫ কোটি টাকা থেকে ১০ কোটি টাকা করা হবে, যার ফলে আগামী ৫ বছরে অতিরিক্ত ১.৫ লাখ কোটি টাকার ঋণ দেওয়া হবে। স্টার্টআপগুলির ক্ষেত্রে, এটি ১০ কোটি টাকা থেকে ২০ কোটি টাকা পর্যন্ত বৃদ্ধি পাবে।’’

    ‘আত্মনির্ভর ভারত’

    নির্মলা বলেন, ‘‘২৭টি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে ঋণের জন্য গ্যারান্টি ফি ১% নির্ধারণ করা হবে, যা ‘আত্মনির্ভর ভারত’ উদ্যোগের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। ভালোভাবে পরিচালিত রপ্তানিকারক এমএসএমই-গুলির জন্য, মেয়াদি ঋণের সীমা ২০ কোটি টাকা পর্যন্ত নির্ধারণ করা হবে। এছাড়াও, ক্ষুদ্র উদ্যোগগুলির জন্য, উদ্যম পোর্টালে নিবন্ধিত উদ্যোগগুলির জন্য ৫ লাখ টাকার সীমাযুক্ত কাস্টমাইজড ক্রেডিট কার্ড চালু করা হবে।’’ নয়া কর ব্যবস্থায় ১২ লাখ টাকা পর্যন্ত আয়ের জন্য কোনও কর দিতে (Union Budget 2025) হবে না। তিনি বলেন, ‘‘সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার বেতনভোগীদের বছরে ১২ লাখ ৭৫ হাজার টাকা পর্যন্ত আয়ে করের পরিমাণ শূন্য রাখা হয়েছে। টিডিএস ও টিসিএস সীমা বৃদ্ধি করা হয়েছে। ফলে সম্মতি সংক্রান্ত বোঝা হ্রাস পেয়েছে। রাজস্ব ঘাটতির লক্ষ্য জিডিপির ৪.৪ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে, যা ২০২৫ অর্থবর্ষের ৪.৮ শতাংশ থেকে কমানো হয়েছে। বাজার থেকে ঋণ গ্রহণ নির্ধারণ করা হয়েছে ১১.৫৪ লাখ কোটি টাকা। মোট ঋণ গ্রহণের পরিমাণ ১৪.৮২ লাখ কোটি টাকা।’’

    ‘পিএম ধনধান্য কৃষি যোজনা’

    কৃষিক্ষেত্রে চালু হচ্ছে ‘পিএম ধনধান্য কৃষি যোজনা’। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী জানান, এই যোজনায় উপকৃত হবেন দেশের মোট ১০০টি জেলার ১.৭ কোটি কৃষক। রাজ্য সরকারগুলির সঙ্গে মিলে ওই জেলাগুলিতে কৃষি উন্নয়নে কাজ করবে কেন্দ্র। তিনি জানান, যেসব জেলায় উৎপাদনের হার কম, সেরকমই ১০০টি জেলাকে চিহ্নিত করা হবে। ওই জেলাগুলির পরিবেশ পরিস্থিতি বুঝে আলাদা আালাদা ফসল চিহ্নিত করা হবে। কৃষকদের প্রশিক্ষণ (Nirmala Sitharaman) দেওয়া হবে। ব্যবস্থা করা হবে উৎপাদিত ফসল বিক্রির। প্রক্রিয়াকরণও হবে ওই জেলাগুলিতে।

    ডালজাতীয় শস্যে আত্মনির্ভর হওয়ার চেষ্টা

    ভোজ্য তেল এবং ডালজাতীয় শস্যে আত্মনির্ভর হওয়ার চেষ্টা করা হবে বলেও জানান কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। বিহারে তৈরি হবে মাখনা বোর্ড। কিষান ক্রেডিট কার্ডে ঋণ নেওয়ার পরিমাণ বৃদ্ধি করা (Union Budget 2025) হবে বলেও বাজেটে জানান কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। আগে এই ঋণের পরিমাণ ছিল তিন লাখ টাকা। সেটাই এবার বাড়িয়ে করা হবে পাঁচ লাখ। তুলো উৎপাদনের ক্ষেত্রে ৫ বছরের বিশেষ পরিকল্পনাও নিয়েছে কেন্দ্র। কৃষকদের জন্য ইউরিয়া প্ল্যান্ট তৈরি করা হবে বলেও ঘোষণা করা হয়েছে বাজেটে।

    ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প ঋণ

    ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প ঋণ গ্যারান্টির সীমা বৃদ্ধি করে করা হয়েছে ১০ কোটি টাকা। গভীর প্রযুক্তি ও উৎপাদন খাতে স্টার্টআপের জন্য চালু করা হয়েছে ১০ হাজার কোটি টাকার তহবিল। এমএসএমই ক্রেডিট কার্ড চালু করা হয়েছে। এটির সাহায্যে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণের সুবিধা পাবেন। প্রথমবারের মতো উদ্যোক্তাদের সহায়তা দেওয়া হবে। এখানে নারী ও তফশিলি জাতি ও উপজাতির লোকজন ২ কোটি টাকা পর্যন্ত ঋণ পাবেন। রাজ্যগুলির জন্য মূলধনী প্রকল্পে ১.৫ লাখ কোটি টাকা সুদমুক্ত ঋণ বরাদ্দ করা (Union Budget 2025) হয়েছে।

    কী বললেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী?

    কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী বলেন, সব এমএসএমইর শ্রেণিবিন্যাসের জন্য বিনিয়োগ ও টার্নওভার যথাক্রমে ২.৫ গুণ ও ২ গুণ বাড়ানো হবে (Union Budget 2025)। এটি তাদের বৃদ্ধি পেতে ও আমাদের যুব সমাজের জন্য কর্মসংস্থান তৈরি করতে আত্মবিশ্বাস জোগাবে। ৮ কোটি শিশু ও মহিলাকে পুষ্টিগত সহায়তা দিতে “সক্ষম আঙ্গনওয়াড়ি এবং পোষণ ২.০” কর্মসূচির কথাও ঘোষণা করেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী (Nirmala Sitharaman)।

  • Union Budget 2025: মেডিক্যাল, আইআইটিতে আসন বৃদ্ধি, কৃত্রিম মেধায় গুরুত্ব, বাজেটে বড় ঘোষণা নির্মলার

    Union Budget 2025: মেডিক্যাল, আইআইটিতে আসন বৃদ্ধি, কৃত্রিম মেধায় গুরুত্ব, বাজেটে বড় ঘোষণা নির্মলার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাজেটে (Union Budget 2025) শিক্ষাক্ষেত্রে একাধিক সুবিধার কথা ঘোষণা করলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন (Nirmala Sitharaman)। দেশের সমস্ত সরকারি স্কুলে মাধ্যমিক পর্যায়ে ইন্টারনেট ব্যবস্থা চালু করছে সরকার। স্কুলগুলিতে ব্রডব্যান্ড পরিষেবা স্থাপন করা হবে। তার মাধ্যমে স্কুলে ইন্টারনেট ব্যবহার করে পড়াশোনা করতে পারবে পড়ুয়ারা। আসন সংখ্যা বাড়তে চলেছে ডাক্তারিতে। আগামী ৫ বছরের মধ্যে মেডিক্যাল কলেজগুলিতে ৭৫ হাজার আসন বাড়ানো হবে, বলে জানালেন অর্থমন্ত্রী। নির্মলা জানিয়েছেন, মেডিক্যাল শিক্ষা খাতে (Education Budget 2025) বিশাল বিনিয়োগ করা হচ্ছে। বাড়ানো হচ্ছে সিট সংখ্যা।

    শিক্ষাখাতে বরাদ্দ

    গতবারের তুলনায় বাড়ল শিক্ষাখাতে (Union Budget 2025) ধার্যের পরিমাণ। চলতি বছরে ১ লক্ষ ২৮ হাজার কোটি টাকা খরচ করতে চলেছে কেন্দ্র। গত বছর এই টাকার পরিমাণ ছিল ১ লক্ষ ২৫ হাজার কোটি টাকা। দেশের চিকিৎসাশিক্ষার পরিকাঠামো উন্নয়নের লক্ষ্যে শনিবার বাজেট বক্তৃতায় বড় ঘোষণা করলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন (Nirmala Sitharaman)। অর্থমন্ত্রী (Nirmala Sitharaman) জানিয়েছেন, আগামী এক বছরে ১০,০০০টি নতুন মেডিক্যাল স্নাতক (MBBS) ও স্নাতকোত্তর (PG) আসন সংযোজিত হবে। সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ী, পরবর্তী পাঁচ বছরে মোট ৭৫,০০০টি আসন বাড়ানো হবে।

    মেডিক্যালে বাড়ছে আসন সংখ্যা

    দেশের মেডিক্যাল কলেজগুলিতে বর্তমানে মোট ১,১২,১১২টি এমবিবিএস সিট রয়েছে। ভর্তি হতে হয় নিট পরীক্ষার মাধ্যমে। প্রতি বছরই বিপুল প্রতিযোগিতা হয়। নির্মলার দাবি, কেন্দ্রে মোদি সরকার গঠনের পর গত দশকে ভারতের চিকিৎসাশিক্ষার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি হয়েছে। ২০১৪ সালের আগে যেখানে দেশে এমবিবিএস-এ ৫১,৩৮৪টি আসন ছিল, ২০২৪ সালে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১,১২,১১২টিতে। একইভাবে, স্নাতকোত্তরে আসনের সংখ্যা ৩১,১৮৫ থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ৭২,৬২৭-এ পৌঁছেছে। প্রতিটি জেলা হাসপাতালে ক্যান্সার সেন্টার গড়ে তোলা সরকারের লক্ষ্য বলেও জানিয়েছেন তিনি।

    আইআইটি-তে অতিরিক্ত পরিকাঠামো

    বাজেট ভাষণে দেশের ৫টি আইআইটি-তে (Union Budget 2025) অতিরিক্ত পরিকাঠামো নির্মাণের ঘোষণাও করেন অর্থমন্ত্রী। পাশাপাশি, আইআইটি পাটনার সম্প্রসারণের কথাও জানান। সেখানে ছাত্রাবাস নির্মাণ করা হবে। আআইইটি-এর সংখ্যা বাড়ানো হবে বলেও জানিয়েছেন নির্মলা (Nirmala Sitharaman)। আইআইটির আসনসংখ্যা বৃদ্ধির বিষয়ে নির্মলা জানিয়েছেন, দেশের ২৩টি আইআইটিতে গত ১০ বছরে ১০০ শতাংশ আসন বৃদ্ধি করা হয়েছে। ২০১৪ সালের পর থেকে দেশে যে পাঁচটি নতুন আইআইটি তৈরি করা হয়েছে, তাতে আগামী দিনে আরও সাড়ে ছয় হাজার ছাত্রছাত্রীকে পড়ার সুযোগ করে দেওয়া হবে। এই আইআইটিগুলির পরিকাঠামোগত উন্নয়নেও জোর দেবে সরকার। পরিকাঠামোর উন্নয়নের জন্য আলাদা করে অর্থ বিনিয়োগ করা হবে।

    আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সে গুরুত্ব

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বক্তব্যে বারবার আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের (Artificial Intelligence) প্রসঙ্গ উঠে আসে। কীভাবে এআই (AI) কাজ করছে সেই সংক্রান্ত তথ্য বারবার তুলে ধরেছেন মোদি। এবার এই বিষয়ে বড় ঘোষণা করা হয়। অর্থমন্ত্রী জানান, এআই শিক্ষার (Artificial Intelligence) জন্য ৫০০ কোটি টাকা দেওয়া হবে। ৩টি এআই এক্সিলেন্স সেন্টার স্থাপন করা হবে বলেও জানান। স্টার্টআপ ক্রেডিট গ্যারান্টি বাড়িয়ে ২০ কোটি টাকা করা হয়েছে।

    ভারতীয় ভাষাপুস্তক প্রকল্প

    শিক্ষাক্ষেত্রে ‘ভারতীয় ভাষাপুস্তক প্রকল্প’ ঘোষণা করা হয়েছে বাজেটে (Union Budget 2025)। এর মাধ্যমে ভারতীয় আঞ্চলিক ভাষায় পড়াশোনায় জোর দেওয়া হবে। নির্মলা বলেছেন, ‘‘নিজস্ব ভাষায় বিভিন্ন বিষয় পড়া এবং বোঝার জন্য আমরা স্কুল-কলেজে ‘ভারতীয় ভাষাপুস্তক প্রকল্প’ চালু করছি। এ ছাড়া, সমস্ত সরকারি মাধ্যমিক পর্যায়ের স্কুলে ব্রডব্যান্ড যোগাযোগ ব্যবস্থা স্থাপন করা হবে।’’

    স্কুলে স্কুলে ইন্টারনেট

    প্রযুক্তিবিদ্যায় জোর দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী মোদির (PM Modi) ডিজিটাল ইন্ডিয়া গঠনের স্বপ্ন পূরণ করার লক্ষ্যে প্রত্যন্ত গ্রামের স্কুলেও ব্রডব্যান্ড সার্ভিস চালুর কথা বলেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। তিনি জানিয়েছেন আগামী পাঁচ বছরে ৫০,০০০ সরকারি স্কুলে আত্তল টিঙ্কারিং ল্যাব চালু করা হবে। সব সেকেন্ডারি স্কুলে দেওয়া হবে ব্রডব্যান্ড কানেকশন। সঙ্গে প্রাথমিক চিকিৎসা কেন্দ্রগুলিতেও। পড়াতে সুবিধা হবে শিক্ষক-শিক্ষিকাদেরও।

    প্রধানমন্ত্রী রিসার্চ ফেলোশিপ

    অর্থমন্ত্রী জানিয়েছেন, বিহারে একটি জাতীয় প্রযুক্তি, উদ্যোক্তা ও ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করা হবে, যা পূর্বাঞ্চলে খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্পকে উৎসাহিত করবে। এর ফলে কৃষকদের আয় বাড়বে, যুবকদের দক্ষতা প্রশিক্ষণের পাশাপাশি কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। কর্মসংস্থান বাড়াতে এমএসএমই সেক্টরের উপর বাড়তি জোর দিয়েছেন নির্মলা। তিনি জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী রিসার্চ ফেলোশিপের জন্য ১০,০০০ ফেলোশিপ দেওয়া হবে। চালু করা হবে ‘অঙ্গনওয়াড়ি ও পুষ্টি ২.০ প্রকল্প’।

  • Union Budget 2025: কৃষকদের মুখে হাসি ফোটাতে ‘পিএম ধনধান্য কৃষি যোজনা’ ঘোষণা নির্মলার

    Union Budget 2025: কৃষকদের মুখে হাসি ফোটাতে ‘পিএম ধনধান্য কৃষি যোজনা’ ঘোষণা নির্মলার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাজেটে (Union Budget 2025) যে কৃষি, মহিলা এবং যুবসমাজকে বাড়তি গুরুত্ব দেওয়া হবে, শনিবার বাজেট ভাষণের শুরুতেই সে কথা জানিয়ে দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন (Nirmala Sitharaman)। বাজেট ভাষণের শুরুটাও তিনি করলেন কৃষিক্ষেত্র দিয়েই। কৃষকদের মুখে হাসি ফোটাতে ঘোষণা করলেন ‘পিএম ধনধান্য কৃষি যোজনা’।

    নির্মলার ঘোষণা (Union Budget 2025)

    নির্মলা জানান, এই যোজনায় উপকৃত হবেন দেশের মোট ১০০টি জেলার ১.৭ কোটি কৃষক। রাজ্য সরকারগুলির সঙ্গে মিলে ওই জেলাগুলিতে কৃষি উন্নয়নে কাজ করবে কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর ব্যাখ্যা, যেসব জেলায় উৎপাদনের হার কম, সেরকমই ১০০টি জেলাকে চিহ্নিত করা হবে। ওই জেলাগুলির পরিবেশ পরিস্থিতি বুঝে আলাদা আালাদা ফসল চিহ্নিত করা হবে। কৃষকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। ব্যবস্থা করা হবে উৎপাদিত ফসল বিক্রির। প্রক্রিয়াকরণও হবে ওই জেলাগুলিতে। নির্মলার দাবি, এই প্রকল্পে বদলে যাবে ১.৭ কোটি কৃষকের জীবন।

    ডালজাতীয় শস্যে আত্মনির্ভর হওয়ার চেষ্টা

    ভোজ্য তেল এবং ডালজাতীয় শস্যে আত্মনির্ভর হওয়ার চেষ্টা করা হবে বলেও জানান কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। বিহারে তৈরি হবে মাখনা বোর্ড। ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ফুড টেকনোলজিও তৈরি হবে বিহারে। কিষান ক্রেডিট কার্ডে ঋণ নেওয়ার পরিমাণ বৃদ্ধি করা (Union Budget 2025) হবে বলেও বাজেটে জানান কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। আগে এই ঋণের পরিমাণ ছিল তিন লাখ। সেটাই বাড়িয়ে করা হবে পাঁচ লাখ। তুলো উৎপাদনের ক্ষেত্রে ৫ বছরের বিশেষ পরিকল্পনাও নিয়েছে কেন্দ্র। কৃষকদের জন্য ইউরিয়া প্ল্যান্ট তৈরি করা হবে বলেও ঘোষণা করা হয়েছে বাজেটে। কৃষকরা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ব্যবহার করতে পারবেন বলেও জানান কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী।

    বাজেট পেশের শুরুতেই কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী (Nirmala Sitharaman) বলেন, “সবার উন্নয়নই আমাদের লক্ষ্য। বিশ্বে দ্রুত গতিতে এগোচ্ছে ভারতীয় অর্থনীতি।” এর পরেই তিনি  বলেন, “বাজেটে মধ্যবিত্তদের গুরুত্ব দেওয়া হবে। কৃষক, নারী, ক্ষুদ্রশিল্পে গুরুত্ব দেওয়া হবে। ৭০ শতাংশ মহিলা যাতে আর্থিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত থাকেন, সেদিকেও নজর দেওয়া হবে । আমাদের কাছে আগামী পাঁচ বছর উন্নয়নের সুযোগ রয়েছে (Union Budget 2025)।”

  • Budget 2025: ১২ লাখ পর্যন্ত দিতে হবে না আয়কর, বাজেটে বড় ঘোষণা মোদি সরকারের

    Budget 2025: ১২ লাখ পর্যন্ত দিতে হবে না আয়কর, বাজেটে বড় ঘোষণা মোদি সরকারের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাজেটে (Budget 2025) আয়কর ছাড় ১২ লাখ পর্যন্ত, বড় ঘোষণা মোদি সরকারের (Modi Government)। চাকরিজীবীদের এই ছাড় হবে ১২ লাখ ৭৫ হাজার টাকা। কারণ তাঁরা স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন বাবদ ৭৫ হাজার টাকা ছাড় পান। এর ফলে খুশির হাওয়া মধ্যবিত্ত মহলে। এদিন বাজেট বক্তৃতায় নির্মলা সীতারামন বলেন, ‘‘প্রত্যক্ষ কর ব্যবস্থায় আমাদের মূল লক্ষ্যই হল ব্যক্তিগত আয়করে মধ্যবিত্ত শ্রেণিকে সুরাহা দেওয়া। সেই সঙ্গে স্বেচ্ছায় আয় ঘোষণার পথ প্রশস্ত করা। তা ছাড়া উৎসমূলে কর আদায়ের হার কমিয়ে প্রবীণ নাগরিকদের আর্থিক সুবিধা করে দেওয়া।’’ এরপরেই নির্মলা সীতারামন এদিন ঘোষণা করেন ১২ লাখ টাকা পর্যন্ত ব্যক্তিগত আয়ে কোনও কর দিতে হবে না। একইসঙ্গে ষাটোর্ধ্ব বা প্রবীণ নাগরিকদের প্রাপ্ত সুদের ওপর কর ছাড়ের ঊর্ধ্বসীমা ৫০ হাজার থেকে বাড়িয়ে করা হল ১ লক্ষ টাকা।

    নয়া কর কাঠামো

    বাজেটে জানানো হয়েছে, নতুন কর কাঠামোয় শূন্য থেকে চার লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়ে শূন্য রাখা হয়েছে করের পরিমাণ। এর পর চার থেকে আট লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়ে পাঁচ শতাংশ, আট থেকে ১২ লক্ষ টাকা আয়ে ১০ শতাংশ  কর দিতে হবে। তবে ১২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়ে বিভিন্ন ভাবে করে ছাড় দেবে সরকার। যার জেরে, ১২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয় করমুক্ত হবে। এছাড়া, চাকরিজীবীরা অতিরিক্ত ৭৫ হাজারের স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন পান। ফলে, তাঁদের ক্ষেত্রে, এই ঊর্ধ্বসীমা ১২.৭৫ লক্ষ টাকা। অর্থাৎ, সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার বেতনভোগীদের বছরে ১২ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা পর্যন্ত আয়ে শূন্য রাখা হয়েছে করের পরিমাণ।

    এর পর, ১২ থেকে ১৬ লক্ষ টাকা যাঁদের আয়, তাঁদের দিতে হবে ১৫ শতাংশ হারে ট্যাক্স। ১৬ থেকে ২০ লাখ পর্যন্ত আয়ের ক্ষেত্রে ২০ শতাংশ আয়কর দিতে হবে। ২০ থেকে ২৪ লক্ষ টাকা আয়ে ২৫ শতাংশ। এরপর ২৪ লাখের বেশি রোজগার হলে ৩০ শতাংশ হারে আয়কর দিতে হবে। গত বছরের বাজেটে আয়করে স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন ৫০ থেকে ৭৫ হাজার করা হয়েছিল। এবছর, তাতে বদল করা হয়নি।

    এছাড়া অর্থমন্ত্রীর ঘোষণা করেছেন, আগামী সপ্তাহে পেশ করা হতে চলেছে নতুন আয়কর বিল। একইসঙ্গে প্রবীণদের জন্যও বড় ঘোষণা করা হল এদিনের বাজেটে। ৫০ হাজার থেকে বেড়ে ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়করে ছাড় পাবেন তাঁরা। মনে করা হচ্ছে, প্রবীণদের জন্য এটা নিঃসন্দেহে সুখবর। অন্যদিকে, ২ লক্ষ ৪০ হাজার বেড়ে টিডিএস-এ ৬ লক্ষ পর্যন্ত ছাড় দেওয়া হল। নতুন বিলে আয়কর কাঠামো আরও সরল করা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী।

    শুক্রবারই দুর্গা এবং লক্ষ্মীর আশীর্বাদ কামনা করেন প্রধানমন্ত্রী মোদি

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি গতকাল শুক্রবারই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন বাজেট জনকল্যাণমুখী হতে চলেছে।গতকালই তিনি দরিদ্র ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির জন্য দুর্গা এবং লক্ষ্মী দেবীর আশীর্বাদ কামনা করেছিলেন।শনিবার বাজেট পেশের সময় সেটাই স্পষ্ট করলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন।

  • Karnataka: কর্নাটকে চালু ‘মৃত্যুর অধিকার’ নীতি, কার্যকর কঠিন ব্যাধির ক্ষেত্রে, লাগবে পরিবারের সম্মতি

    Karnataka: কর্নাটকে চালু ‘মৃত্যুর অধিকার’ নীতি, কার্যকর কঠিন ব্যাধির ক্ষেত্রে, লাগবে পরিবারের সম্মতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  ‘নিষ্কৃতিমৃত্যু’ বা ‘মৃত্যুর অধিকার’ নীতি চালু করল কর্নাটক সরকার (Karnataka)। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশিকা মেনেই চালু হল এই নীতি। এই নিয়ম অনুযায়ী, যে সব রোগী কঠিন রোগে আক্রান্ত এবং নিরাময়ের সম্ভাবনা একেবারেই নেই, তাঁদের ‘মৃত্যু’ উপহার দেওয়া যেতে পারে। রোগী এবং তাঁর পরিবারের সম্মতি লাগবে এক্ষেত্রে। তারপরেই চিকিৎসকরা ওই রোগীর ‘শান্তিপূর্ণ মৃত্যু’ (Right to die) নিশ্চিত করতে পারবেন। কর্নাটকের স্বাস্থ্য দফতর ইতিমধ্যে এ সংক্রান্ত ঘোষণা করেছে। এবিষয়ে মুম্বইয়ের প্রখ্যাত চিকিৎসক রূপ গুরসাহানি জানিয়েছেন, কর্নাটক রাজ্য প্রথম এই নীতি চালু করল। এধরনের কিছু নিয়ম ইতিমধ্যে চালু রয়েছে গোয়া, মহারাষ্ট্রে ও কেরলে।

    ‘মৃত্যুর অধিকার’ (Karnataka) কী ভাবে প্রয়োগ করা হবে?

    এই নীতি অনুযায়ী, যে কোনও রোগীকে ‘নিষ্কৃতিমৃত্যু’ দেওয়া হবে না। নিয়ম অনুযায়ী, প্রথমে রোগীর শারীরিক পরিস্থিতি দু’টি ধাপে পরীক্ষা করে দেখবেন চিকিৎসকরা (Karnataka)। দুটি ক্ষেত্রে সবুজ সঙ্কেত মেলার পরেই ওই নির্দিষ্ট রোগীর মৃত্যু নিশ্চিত করা হবে আদালতের তরফে। প্রথমে তিন জন চিকিৎসকদের নিয়ে গঠন করা হবে বোর্ড। এই প্রাইমারি বোর্ড রোগীকে পর্যবেক্ষণ করবে। এই বোর্ড যদি মনে করে রোগীর বেঁচে থাকার আশা একেবারেই নেই, সেক্ষেত্রে দ্বিতীয় পর্যায়ে পরীক্ষা এবং পর্যালোচনা হবে রোগীর বিষয়ে। দ্বিতীয় মেডিক্যাল বোর্ডে আরও তিন জন অভিজ্ঞ চিকিৎসক এবং এক জন সরকার নিযুক্ত চিকিৎসক থাকবেন। এরপরে দু’টি বোর্ডের রিপোর্ট জমা পড়বে আদালতে।

    সম্প্রতি সুপ্রিম রায়ে উঠে আসে ‘মৃত্যুর অধিকার’ নীতি

    আদালত (Karnataka) যদি রোগীর মৃত্যুতে সম্মতি দেয়, তখনই একমাত্র চিকিৎসকরা তা নিশ্চিত করতে পারবেন। এক্ষেত্রে যে রোগী লাইফ সাপোর্টে আছেন, তাঁর লাইফ সাপোর্ট সরিয়ে নেওয়া হবে। তবে গোটা প্রক্রিয়া নির্ভর করবে রোগীর পরিবারের ওপর। পরিবার যদি রোগীর ‘নিষ্কৃতিমৃত্যু’র জন্য আবেদন জানায়, তখনই প্রক্রিয়া শুরু করবেন চিকিৎসকরা। সম্প্রতি একটি মামলায় সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছিল, যে সব রোগী কঠিন ব্যাধিতে আক্রান্ত এবং যাঁদের রোগ নিরাময়ের সম্ভাবনা একেবারেই নেই, তাঁদের কষ্ট লাঘব করতে মৃত্যুর অধিকার দেওয়া যেতে পারে। শীর্ষ আদালতের সেই নির্দেশের পরেই ‘নিষ্কৃতিমৃত্যু’ নীতি কার্যকর করা হচ্ছে কর্নাটকে।

  • Employment Surges: ১০ শতাংশের বেশি বেড়েছে কর্মসংস্থান, বাজেটের আগে রিপোর্ট প্রকাশ কেন্দ্রের

    Employment Surges: ১০ শতাংশের বেশি বেড়েছে কর্মসংস্থান, বাজেটের আগে রিপোর্ট প্রকাশ কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাজেটের আগে কেন্দ্রীয় আর্থিক সীমাক্ষায় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন জানিয়েছেন, গত ৭ বছরে দেশে বেকারত্বের হার কমছে। এবার জানা গেল অসংগঠিত ক্ষেত্রে বেড়েছে কর্মসংস্থান। নতুন বছরের জানুয়ারির শেষে সেই তথ্য প্রকাশ করল কেন্দ্রের পরিসংখ্যান এবং কর্মসূচি বাস্তবায়ন মন্ত্রক। সরকার জানিয়েছে, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গত বছরের সেপ্টেম্বরের মধ্যে অসংগঠিত ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ১২.৮৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে সেখানে কর্মসংস্থানের সূচক ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে ১০.০১ শতাংশ।

    কী বলল সমীক্ষা

    চলতি বছরের ২৮ জানুয়ারি অসংগঠিত ক্ষেত্র নিয়ে পেশ করা রিপোর্টে কেন্দ্র জানিয়েছে, এক বছরে এই ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠান এবং কর্মসংস্থান দু’টিই বৃদ্ধি পাওয়ায় বর্তমান মোট মূল্য সংযোজনের (গ্রস ভ্যালু অ্যাডেড বা জিভিএ) সূচকও উপরের দিকে চড়েছে। ২০২২-’২৩ আর্থিক বছরের তুলনায় ওই সূচক ১৬.৫২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। পরিসংখ্যান এবং কর্মসূচি বাস্তবায়ন মন্ত্রক জানিয়েছে, ২০২৩-’২৪ আর্থিক বছরের সমীক্ষা অনুযায়ী, অসংগঠিত ক্ষেত্রের প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ৬.৫ কোটি থেকে বেড়ে ৭.৩৪ কোটিতে পৌঁছেছে। মোট মূল্য সংযোজনের নিরিখে প্রথম তিনে রয়েছে মহারাষ্ট্র, উত্তরপ্রদেশ এবং গুজরাট।

    মহিলাদের হাতে মালিকানা

    কেন্দ্রের দাবি, অসংগঠিত ক্ষেত্রের মধ্যে কৃষি ছাড়া অন্য সংস্থাগুলিতে ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গত বছরের সেপ্টেম্বরের মধ্যে কর্মী নিয়োগ হয়েছে ১২ কোটি। ২০২২-’২৩ আর্থিক বছরে এই সংখ্যা ১০ কোটি ছিল বলে জানা গিয়েছে। এতে শক্তিশালী শ্রম বাজারের বৃদ্ধি প্রতিফলিত হয়েছে বলে স্পষ্ট করেছে সরকার। সমীক্ষা অনুযায়ী, অসংগঠিত ক্ষেত্রে এক তৃতীয়াংশের বেশি নিয়োগ হয়েছে উত্তরপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র এবং পশ্চিমবঙ্গে। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, অসংগঠিত ক্ষেত্রে মহিলা কর্মীদের অনুপাত ২৫.৬৩ শতাংশ থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ২৮.১২ শতাংশে গিয়ে দাঁড়িয়েছে। তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, এই শ্রেণিভুক্ত উৎপাদনের সঙ্গে জড়িতে সংস্থাগুলির ৫৮ শতাংশের মালিকানা রয়েছে মহিলাদের হাতে।

    ইন্টারনেট নির্ভরতা

    সমীক্ষায় আরও বলা হয়েছে, অসংগঠিত ক্ষেত্রের মালিক এবং কর্মীরা ব্যবসার পরিধি বৃদ্ধি করতে ইন্টারনেটের উপর নির্ভরশীলতা বাড়িয়েছেন। ২০২২-’২৩ আর্থিক বছরে গ্রামাঞ্চলে এই কাজে ইন্টারনেট ব্যবহারের পরিমাণ ছিল ১৩.৫ শতাংশ। ২০২৩-’২৪ আর্থিক বছরে সেটা বেড়ে ১৭.৯ শতাংশে পৌঁছে যায়। শহরাঞ্চলে সূচকটি ৩০.২ শতাংশ থেকে বেড়ে ৩৭ শতাংশ হয়েছে। গ্রামাঞ্চলে ইন্টারনেট ব্যবহার বৃদ্ধি পাওয়ায় মোদি সরকারের ডিজিটাল ইন্ডিয়া তৈরির স্বপ্নও কয়েক কদম এগিয়েছে বলে অনুমান বিশেষজ্ঞদের।

  • Sonia Gandhi: রাষ্ট্রপতিকে ‘পুওর থিং’ বলে বিতর্কে সোনিয়া, তীব্র আক্রমণ বিজেপির

    Sonia Gandhi: রাষ্ট্রপতিকে ‘পুওর থিং’ বলে বিতর্কে সোনিয়া, তীব্র আক্রমণ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু (Droupadi Murmu) আজ শুক্রবার সংসদের উভয় কক্ষকে সম্বোধন করে ভাষণ দিয়ে বাজেট অধিবেশনের সূচনা করলেন। এরপরে রাষ্ট্রপতির ভাষণ নিয়ে প্রতিক্রিয়ায় দ্রৌপদী মুর্মুকে ‘পুওর থিং’ (বেচারি) বললেন সোনিয়া গান্ধী (Sonia Gandhi)। একইসঙ্গে অবশ্য কংগ্রেস সাংসদ বলেন, ‘‘এই লম্বা ভাষণ দিয়ে তাঁকে ক্লান্ত দেখাচ্ছিল।’’ এদিকে সোনিয়ার এই মন্তব্যের পরই ঝাঁপিয়ে পড়েছে বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের অভিযোগ, রাষ্ট্রপতিকে অসম্মান করেছেন প্রাক্তন কংগ্রেস সভানেত্রী। এই ঘটনায় বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা উপজাতি সমাজের কাছে সোনিয়া গান্ধীকে নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানিয়েছেন। এই ইস্যুতে সোনিয়া গান্ধীকে একহাত নিয়েছেন বিজেপি মুখপাত্র সম্বিত মহাপাত্রও। সোনিয়া গান্ধীকে (Sonia Gandhi) এই ইস্যুতে তোপ দেগেছেন দুই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরণ রিজিজু এবং ধর্মেন্দ্র প্রধান।

    সোনিয়া গান্ধীকে (Sonia Gandhi) তোপ সুকান্ত মজুমদারের

    এদিকে বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার এই ইস্যুতে সোনিয়া গান্ধীকে নিশানা করেছেন। তিনি বলেন, ‘‘এটি একটি অবমাননাকর মন্তব্য ছিল। সোনিয়া গান্ধী (Sonia Gandhi) এবং রাহুল গান্ধীর মতো নেতাদের এই ধরনের মন্তব্য করা উচিত নয়। বিশেষ করে রাষ্ট্রপতিকে নিয়ে। দ্রৌপদী মুর্মু একজন আদিবাসী পরিবারের মহিলা এবং এখন তিনি আমাদের দেশের পয়লা নম্বর নাগরিক এবং কংগ্রেসের জমিদারি মানসিকতা এটি গ্রহণ করতে পারে না। তাই তাঁরা তাঁর বক্তব্যের বিরোধিতা করছেন।’’

    রাষ্ট্রপতির ভাষণে মোদি সরকারের প্রশংসা

    এদিকে আজ শুক্রবারের ভাষণে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু কেন্দ্রীয় সরকারের ভূয়সী প্রশংসা করেন। তিনি বলেন বলেন, ‘‘দেশ দ্রুত গতিতে সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। কেন্দ্রে মোদি সরকারের তৃতীয় মেয়াদে দেশে তিন গুণ দ্রুত কাজ হচ্ছে।’’ রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু বলেন, ‘‘মধ্যবিত্ত মানুষের উন্নয়নের জন্য সরকারের প্রচেষ্টা প্রশংসনীয়। মহিলাদের ক্ষমতায়নের ওপর জোর দিয়েছে সরকার। তাছাড়া আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পের অধীনে ৭০ বছর বা তার বেশি বয়সি ৬ কোটি প্রবীণ নাগরিকদের স্বাস্থ্য বিমা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। যুবকদের শিক্ষা এবং তাদের জন্য নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে বিশেষ মনোযোগ দেওয়া হয়েছে। কেউ যাতে শিক্ষা থেকে বঞ্চিত না হয়, তার জন্যে মাতৃভাষায় শিক্ষার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে দেশে। তেরোটি ভারতীয় ভাষায় বিভিন্ন নিয়োগ পরীক্ষা পরিচালনা করা হচ্ছে। এর ফলে ভাষা সম্পর্কিত বাধাগুলি দূর করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। দেশের নারী নেতৃত্বাধীন উন্নয়নে বিশ্বাসী এই সরকার। সরকারের লক্ষ্য ৩ কোটি মহিলাকে ‘লাখপতি দিদি’-তে পরিণত করা।’’

  • India Defence: ফেব্রুয়ারিতে ফ্রান্স যাচ্ছেন মোদি, তখনই স্বাক্ষর রাফাল-এম যুদ্ধবিমান কেনার চুক্তি?

    India Defence: ফেব্রুয়ারিতে ফ্রান্স যাচ্ছেন মোদি, তখনই স্বাক্ষর রাফাল-এম যুদ্ধবিমান কেনার চুক্তি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: খুব শীঘ্রই ভারতীয় নৌসেনার জন্য ২৬টি রাফাল-এম যুদ্ধবিমান ও তিনটি স্করপিন সাবমেরিন কিনতে ফ্রান্সের সঙ্গে চুক্তি (India France Deal) করতে চলেছে ভারত। কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে এমনটাই খবর।

    নৌসেনার ‘গেমচেঞ্জার’ রাফাল-মেরিন যুদ্ধবিমান

    যুদ্ধবিমান থেকে অস্ত্র— প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত যাবতীয় কেনাকাটার দায়িত্বে রয়েছে ডিফেন্স অ্যাকুইজিশন কাউন্সিল (India Defence)। সম্প্রতি, এই কাউন্সিলের বৈঠকে ফ্রান্সের সঙ্গে চুক্তির বিষয়ে একপ্রকার সবুজ সঙ্কেত মিলেছে বলে জানা যাচ্ছে। এর আগে, নৌসেনার জন্য রাফাল-এম যুদ্ধবিমান ও স্করপিন সাবমেরিন কেনার বিষয়ে অনুমোদন দিয়েছে প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভার কমিটি বা ক্যাবিনেট কমিটি অন সিকিউরিটি (সিসিএস)। সূত্রের খবর, আগামী সপ্তাহ দুয়েকের মধ্যেই বাস্তবায়িত করা হতে পারে চুক্তি (India France Deal)। এর ফলে, ভারতীয় নৌসেনার শক্তি এক লপ্তে অনেকটাই বেড়ে যাবে বলে আশা প্রকাশ করছেন বিশেষজ্ঞরা (India Defence)। তাঁদের মতে, ভারতীয় নৌসেনার জন্য রাফাল-মেরিন যুদ্ধবিমান ‘গেমচেঞ্জার’ হতে পারে।

    মোদির প্যারিস সফরেই স্বাক্ষর হবে চুক্তি?

    কেন্দ্রীয় সূত্রের খবর, ফেব্রুয়ারি মাসের ১০ তারিখ প্যারিস যাওয়ার কথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Narendra Modi)। সেখানে আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা কৃত্রিম মেধা নিয়ে একটি সম্মেলনে অংশ নেওয়ার কথা প্রধানমন্ত্রীর। তারই ফাঁকে, ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাক্রঁর সঙ্গে একটি দ্বিপাক্ষিক বৈঠকও করার কথা মোদির। সূত্রের খবর, সেই বৈঠকেই সম্ভবত চুক্তি (India France Deal) সম্পন্ন হতে পারে। বর্তমানে তা একেবারেই চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। ২০২৩ সালের জুলাই মাসে, ফ্রান্সের থেকে ২২টি রাফাল-এম যুদ্ধবিমান কেনার বিষয়ে অনুমোদন দিয়েছিল প্রতিরক্ষা মন্ত্রক (India Defence)। এই যুদ্ধবিমানগুলি নৌসেনার বিমানবাহী রণতরী আইএনএস বিক্রান্ত-এ মোতায়েন করার কথা। তারই সঙ্গে তিনটি স্করপিন সাবমেরিন কেনার বিষয়েও অনুমোদন মিলেছিল।

    রাফাল-এম জেটের জন্য দুই দেশের সরাসরি চুক্তি?

    নৌসেনার প্রোজেক্ট ৭৫-এর আওতায় ফ্রান্সের নেভাল গ্রুপের সঙ্গে যৌথ সহযোগিতায় ৬টি স্করপিন সাবমেরিন ভারতের মাঝগাঁও ডকইয়ার্ডে ইতিমধ্যেই নির্মিত হয়েছে। এখন অতিরিক্ত তিনটি সাবমেরিনের জন্য চুক্তি (India France Deal) স্বাক্ষরিত হতে চলেছে (India Defence)। শোনা যাচ্ছে, ভারতীয় বায়ুসেনার জন্য কেনা রাফাল যুদ্ধবিমানের সময় যেমন ইন্টার-গভর্নমেন্টাল এগ্রিমেন্ট (দুই সরকারের মধ্যে সরাসরি চুক্তি) হয়েছিল, ঠিক তেমনভাবেই নৌসেনার জন্য রাফাল-এম যুদ্ধবিমান কেনার ক্ষেত্রেও একই পদ্ধতি অবলম্বন করা হতে পারে। তেমনটা হলে, সবকটি রাফাল-এম যুদ্ধবিমান ফ্রান্সে নির্মিত হয়ে এখানে আসবে। এতে ভারতীয় নৌসেনা অত্যন্ত দ্রুত এই যুদ্ধবিমান হাতে পাবে।

    প্রতিরক্ষায় ভারত-ফ্রান্স বন্ধুত্ব…

    মোদি জমানায় ভারত ও ফ্রান্সের মধ্যে প্রতিরক্ষা সমঝোতা ও সহযোগিতা নতুন উচ্চতায় পৌঁছে গিয়েছে। একদিকে, ভারত যেমন ফ্রান্সের থেকে যুদ্ধবিমান ও অত্যাধুনিক মিসাইল আমদানি করছে (India France Deal)। তেমনভাবেই, ভারতের নিজস্ব পিনাকা মাল্টি-ব্যারেল রকেট লঞ্চার কেনার বিষয়ে বিপুল আগ্রহ দেখিয়েছে ফ্রান্স। এর পাশাপাশি, দুই দেশ যুদ্ধবিমান ও সামরিক হেলিকপ্টারের জন্য অত্যাধুনিক জেট ইঞ্জিন যৌথভাবে নির্মাণ করার বিষয়ে আলোচনা অনেকটা এগিয়ে নিয়ে গিয়েছে (India Defence)।

  • Economic Survey 2025: বেকারত্ব হ্রাস, মূলধন বৃদ্ধি! বাজেটের আগে অর্থনৈতিক সমীক্ষা পেশ নির্মলার

    Economic Survey 2025: বেকারত্ব হ্রাস, মূলধন বৃদ্ধি! বাজেটের আগে অর্থনৈতিক সমীক্ষা পেশ নির্মলার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সংসদের বাজেট অধিবেশন শুরু হয়েছে। শনিবার বাজেট পেশ করবেন অর্থমন্ত্রী। এই নিয়ে ৮ বার সংসদে বাজেট পেশ করতে চলেছেন নির্মলা সীতারামন। প্রতিবারের মতোই এবারও একরাশ আশা-প্রত্যাশা নিয়ে বাজেটের দিকে তাকিয়ে আম-আদমি। তার আগে শুক্রবার কেন্দ্রীয় আর্থিক সমীক্ষা পেশ করলেন অর্থমন্ত্রী। এই আর্থিক সমীক্ষা মূলত সরকারের রিপোর্ট কার্ড হিসেবেই ধরা হয়।

    মূলধন বৃদ্ধি

    কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের পেশ করা রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষে ভারতের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার হতে পারে ৬.৩ থেকে ৬.৮ শতাংশ। ২০২৩ সালে বিশ্ব অর্থনীতি ৩.৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছিল আগামী দিনে এই বৃদ্ধির হার ৩.২ শতাংশ থাকবে বলে তিনি জানান। এদিন সীতারামন উল্লেখ করেছেন, মুদ্রাস্ফীতির হার কমছে। মূলধন ব্যয় (capex), কেন্দ্রের মোট ব্যয়ের শতাংশ হিসাবে, ২০২১ অর্থবর্ষের তুলনায় ২০২৪ অর্থবর্ষে ক্রমাগত উন্নতি হয়েছে৷ ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটের পরে, জুলাই-নভেম্বর কেন্দ্রীয় সরকারের মূলধন বৃদ্ধি পেয়েছে ৮.২ শতাংশ।

    রফতানি বৃদ্ধি

    রফতানি ক্ষেত্রে ভারতের আয় বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশ্বের বৃহত্তম রফতানি অর্থনীতিতে ভারত সপ্তম স্থানে আছে। বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলির গ্রস নন-পারফর্মিং অ্যাসেট অনুপাত ২০১৮ অর্থবর্ষের থেকে ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে সর্বোচ্চ হয়েছে। ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরের শেষে ২.৬ শতাংশের সর্বনিম্ন থেকে ধারাবাহিকভাবে হ্রাস পেয়েছে। এই আর্থিক বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, দেশের সমস্ত সেক্টর ভালো পারফরম্যান্স করছে। দেশের শিল্প ক্ষেত্রগুলি কোভিড-পূর্ববর্তী জায়গায় পৌঁছেছে।

    বেকারত্ব কমেছে

    কেন্দ্রীয় আর্থিক সীমাক্ষায় উল্লেখ করা হয়েছে, গত ৭ বছরে দেশে বেকারত্বের হার কমছে। সমীক্ষা রিপোর্ট অনুসারে, ২০১৭-১৮ অর্থবর্ষের জুলাই-জুন মাসে যেখানে দেশের বেকারত্বের হার ছিল ৬ শতাংশ, সেখানে ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষের একই সময়ে দেশের বেকারত্বের হার ছিল ৩.২ শতাংশ। কৃষি ক্ষেত্রেও আশানরূপ উন্নতি হয়েছে। গ্রামীণ আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলি পরিষেবা এবং অনুন্নত অঞ্চলগুলির মধ্যে ব্যবধান অনেকটাই কমেছে। যার ফলে সারা দেশে আর্থিক প্রগতি হয়েছে৷ এ বারের বাজেট অধিবেশন দু’দফায় হবে। ১৪ এপ্রিল শেষ হবে।

  • Union Budget 2025: ‘‘১০ বছরে প্রথম বিদেশি হস্তক্ষেপ নেই’’, বাজেটের আগে মহালক্ষ্মীকে স্মরণ করে বার্তা মোদির

    Union Budget 2025: ‘‘১০ বছরে প্রথম বিদেশি হস্তক্ষেপ নেই’’, বাজেটের আগে মহালক্ষ্মীকে স্মরণ করে বার্তা মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কোনও বিদেশি ইন্ধন ছাড়া গত ১০ বছরে এই প্রথম বাজেট অধিবেশন হতে চলেছে। বাজেট অধিবেশনের প্রথম দিন সংসদের বাইরে এমনই অভিমত ব্যক্ত করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। নাম না করে সংসদে অধিবেশন শুরুর ঠিক আগেই বিরোধীদের কড়া নিশানা করলেন তিনি। একই সঙ্গে বাজেট অধিবেশনের আগে অভিনব দৃশ্যের সাক্ষী থাকল দেশ। অধিবেশন শুরুর আগে সংসদ চত্বরে দাঁড়িয়েই মহালক্ষ্মীর মন্ত্র স্তব করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। উত্থাপন করেন বিকশিত ভারতের প্রসঙ্গও।

    বিদেশি হস্তক্ষেপ নেই

    তৃতীয় মোদি সরকারের প্রথম বাজেট অধিবেশন শুরু হয়েছে শুক্রবার। শনিবার সংসদে পেশ হতে চলেছে কেন্দ্রীয় বাজেট। পেশ করবেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। বাজেট পেশের আগের দিন সংসদ ভবনে ঢোকার আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, ‘‘১০ বছর ধরে দেখে আসছি। ২০১৪ সাল থেকে এখনও পর্যন্ত যত বাজেট অধিবেশন হয়েছে, তার ঠিক এক বা দু’দিন আগে বিদেশ থেকে নানা রকম ভাবে ইন্ধন জোগানোর চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু এই প্রথম বার দেখলাম এ রকম কোনও ঘটনা ঘটল না। প্রতি অধিবেশনের আগে এই শয়তানি হয়। তাদের হাওয়া দেওয়ার লোকের তো অভাব নেই। এই প্রথম দেখলাম বিদেশি উস্কানি এল না বিশ্বের কোনও কোণ থেকে। আমাদের দেশের অনেকেই বিদেশি শক্তির উস্কানি পেয়ে আগুন জ্বালাতে ছাড়েন না।’’ প্রধানমন্ত্রীর এই ‘বিদেশি ইন্ধন’ মন্তব্য ঘিরে শুরু হয়ে গিয়েছে জল্পনা। রাজনীতিকদের অনেকেই মনে করছেন, এই ধরনের মন্তব্য করে পরোক্ষে বিরোধীদের নিশানা করেছেন প্রধানমন্ত্রী।

    মহালক্ষ্মীর স্তব প্রধানমন্ত্রীর

    বাজেট মানেই দেশের ভাঁড়ারের খবর। বাজেট মানেই আগামীর খরচ-খরচার রূপরেখা। তাই এবার বাজেট অধিবেশন শুরু আগে সংসদ ভবনের সামনে দাঁড়িয়ে মহালক্ষ্মীর স্তব পাঠ করলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। প্রধানমন্ত্রী বাজেট পেশের আগে সম্পদ ও সমৃদ্ধির দেবীকে স্মরণ করলেন। বললেন,‘‘সিদ্ধি বুদ্ধি প্রদে দেবী ভুক্তি মুক্তি প্রদায়িনী, মন্ত্রমূর্তে সদা দেবী মহালক্ষ্মী নমোস্তুতে।’’ বললেন, ‘‘মা লক্ষ্মী আমাদের সিদ্ধি, বুদ্ধি, সমৃদ্ধি, কল্যাণ দান করেন। প্রার্থনা করি, দেশের গরিব মানুষ মধ্যবিত্তর উপর মা লক্ষ্মীর বিশেষ কৃপা বর্ষিত হোক।’’ তাঁর কথায়, ‘‘যে কোনও ধরনের বড় আর্থিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে আমরা মা লক্ষ্মীকে স্মরণ করি। আজও আমি সেটাই করতে চাই। মা লক্ষ্মী গরিব এবং মধ্যবিত্তদের উপর সদয় হন, এটাই প্রার্থনা।’’ এরপরই মহালক্ষ্মীর মন্ত্র স্তব করেন প্রধানমন্ত্রী।

    বিকশিত ভারত প্রসঙ্গ

    বিকশিত ভারতের প্রসঙ্গে উত্থাপন করে প্রধানমন্ত্রী এদিন বলেন, ‘‘গণতন্ত্রের ৭৫ বছর পূরণ হয়েছে। এটা দেশের মানুষের কাছে গর্বের। বিশ্বের কাছেও ভারত নিজের বিশেষ স্থান তৈরি করেছে। দেশের জনতা আমায় তৃতীয়বার এই দায়িত্ব দিয়েছে। তৃতীয় দফার সরকারের এটা প্রথম পূর্ণাঙ্গ বাজেট। আমি বিশ্বাসের সঙ্গে বলতে পারি, ২০৪৭ সালে স্বাধীনতার শতবর্ষে বিকশিত ভারতের সংকল্প পূরণ হবে। এই বাজেট এক নতুন বিশ্বাস তৈরি করবে, নতুন অনুপ্রেরণা দেবে যে দেশ স্বাধীনতার শতবর্ষে সফল ও প্রতিষ্ঠিত হবে। ১৪০ কোটি মানুষই এই স্বপ্ন পূরণ করবে।’’ আর্থিক গতির উপর ভিত্তি করেই দেশ সর্বাঙ্গীন উন্নয়নের পথে এগোচ্ছে বলে বাজেট অধিবেশনের আগে দাবি করেছেন প্রধানমন্ত্রী। মোদির কথায়, ‘‘উদ্ভাবন , অন্তর্ভুক্তি ও বিনিয়োগ অর্থনৈতিক গতিবিধির আধার হিসেবে কাজ করবে। সংস্কার, দক্ষতা ও পরিবর্তন- বিকাশের জন্য এই তিনটি বিষয়ের উপরেই জোর দেওয়া হয়। এটাই কেন্দ্রের মূল লক্ষ্য।’’

    নারীশক্তির বিকাশ লক্ষ্য, যুবশক্তি ভবিষ্যৎ

    সংসদের বাজেট অধিবেশন শুরু হয়েছে। শনিবার বাজেট পেশ করবেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। তার আগে শুক্রবার রীতি অনুসারে ভাষণ দিলেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। এ বারের বাজেটে তরুণ প্রজন্ম এবং মহিলাদের উপর বিশেষ নজর দেওয়া হবে বলে ইঙ্গিত দেন মোদি। এ প্রসঙ্গে তাঁর মন্তব্য, ‘‘আমার তৃতীয় বারের মেয়াদে এটি প্রথম পূর্ণাঙ্গ বাজেট। জোর কণ্ঠে বলতে পারি যে, ২০৪৭ সালে দেশ যখন স্বাধীনতার ১০০ বছর পূর্ণ করবে, ‘বিকশিত ভারত’-এর লক্ষ্যও পূর্ণ হবে। বিশেষ করে নারীশক্তিই এবং নারীশক্তির উন্নয়নই হবে আমাদের প্রধান লক্ষ্য। গুরুত্বের বিচারে দ্বিতীয় স্থানে থাকবে সংস্কার, পরিবর্তন।’’ এদিন যুবশক্তির কথাও স্মরণ করান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘‘এখন যাঁরা ২৪-২৫। তাঁরাই দেশের ভবিষ্যৎ। দেশে যুব-শক্তির ভূমিকা অত্যন্ত উল্লেখযোগ্য। তাঁরা যখন ৪০-৪৫ বছর বয়সে পৌঁছবেন তখন তাঁরা খুবই লাভবান হবেন। বিকশিত ভারতের সঙ্গে তাঁরা এগিয়ে যাবেন। বিকশিত ভারতকে আরও শক্তিশালী করার জন্যই এই বাজেট।’’

LinkedIn
Share