Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Nimisha Priya: কেরলের নার্স নিমিশা কি মুক্তি পাবেন? ইয়েমেনে প্রিয়ার সঙ্গে কী হয়েছিল, কী বলছে বিদেশমন্ত্রক?

    Nimisha Priya: কেরলের নার্স নিমিশা কি মুক্তি পাবেন? ইয়েমেনে প্রিয়ার সঙ্গে কী হয়েছিল, কী বলছে বিদেশমন্ত্রক?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মায়ের প্রাণভিক্ষা চাইতে ইয়েমেনে গিয়েছেন নিমিশা প্রিয়ার (Nimisha Priya) ১৩ বছরের কন্যা মিশেল। তাঁর আর্জি “আমার মাকে ফিরিয়ে দাও।” তবে মিশেলের আর্জি পূরণ হয়েছে কি না সে নিয়ে এখনও স্পষ্ট জানা যায়নি। ভারতীয় সুন্নি সম্প্রদায়ের মুসলিম ধর্মগুরু, গ্র্যান্ড মুফতি কান্দাপুরম এপি আবুবকর মুসলিয়ার দফতর থেকে সাজা মুকুবের কথা বলা হলেও। বিদেশমন্ত্রক এই দাবিকে এখনও স্বীকৃতি দেয়নি। ইয়েমেন থেকে সরকারি কোনও বার্তা না পাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করছে দিল্লি।

    কেন ইয়েমেনে যান নিমিশা

    কেরলের পালক্কাড়ের বাসিন্দা নিমিশা (Nimisha Priya) নার্সের কাজ নিয়ে ২০০৮ সালে ইয়েমেনে গিয়েছিলেন। ইয়েমেনে যাওয়ার পরে স্বামী টমি এবং মেয়ের সঙ্গেই থাকছিলেন নিমিশা। পরে ২০১৪ সালে আর্থিক কারণে তাঁর স্বামী এবং ১১ বছরের কন্যা ভারতে ফিরে এলেও নিমিশা ইয়েমেনেই থেকে যান। সে বছরই ইয়েমেনে গৃহযুদ্ধ শুরু হলে সে দেশে ভিসা দেওয়া বন্ধ হয়ে যায়। ফলে চাইলেও আর ভারত থেকে ইয়েমেন যেতে পারেনি নিমিশার পরিবার। নিমিশ ইয়েমেনে থেকে যান। তাঁর উদ্দেশ্য ছিল ইয়েমেনে ক্লিনিক খোলা। ওই বছরই ইয়েমেনি নাগরিক তালাল আব্দো মাহদির সঙ্গে যোগাযোগ হয় তাঁর। মাহদি তাঁকে নতুন ক্লিনিক খুলতে সাহায্য করবেন বলে আশ্বাস দেন। কারণ, আইন অনুযায়ী, ইয়েমেনে নতুন ব্যবসা শুরু করতে গেলে দেশীয় অংশীদারের দরকার ছিল নিমিশার। সেইমতো ২০১৫ সালে দু’জন মিলে নতুন ক্লিনিক খোলেন।

    কী ঘটেছিল নিমিশার সঙ্গে

    ক্লিনিক খোলার পরেই নিমিশার (Nimisha Priya) সঙ্গে ভারতে আসেন মাহদি। সেখানেই নিমিশার বিয়ের একটি ছবি চুরি করে নেন মাহদি। পরে ইয়েমনে ফিরে সেই ছবি ব্যবহার করে নিমিশাকে নিজের স্ত্রীয়ের পরিচয় দেয় মাহদি। শুরু হয় তার উপর অত্যাচার। এর পর থেকেই শুরু হয় দুই অংশীদারের মতবিরোধ। অভিযোগ, নিমিশার টাকা এবং পাসপোর্ট মাহদি কেড়ে নিয়েছিলেন। মারধর করে নাকি নিমিশাকে মাদকসেবনেও বাধ্য করেছিলেন মাহদি। আইনি কাগজপত্রে নিমিশাকে স্ত্রী হিসাবে পরিচয় দিয়ে প্রশাসনিক সাহায্য পাওয়ার পথও প্রায় বন্ধ করে দিয়েছিলেন। পুলিশের দ্বারস্থ হয়েও লাভ হয়নি। উল্টে পুলিশ নিমিশাকেই ৬ দিন জেলে আটক রাখে। পরে ছাড়া পেলে মাহদির অত্যাচারও বেড়ে যায়। বাধ্য হয়ে ২০১৭ সালের ২৫ জুলাই মাহদিকে ঘুমের ইঞ্জেকশন দেন ওই নার্স। নিমিশার দাবি, মাহদিকে ঘুম পাড়িয়ে নিজের পাসপোর্ট পুনরুদ্ধার করাই ছিল তাঁর উদ্দেশ্য। কিন্তু ওভারডোজ়ের কারণে মৃত্যু হয় মাহদির। এরপরে ইয়েমেন ছেড়ে পালানোর সময় ধরা পড়ে যান নিমিশা। সেই থেকে ইয়েমেনের জেলেই বন্দি রয়েছেন ভারতীয় যুবতী।

    নিমিশাকে বাঁচাতে আইনি লড়াই

    ২০১৮ সালে এই মামলায় তাঁকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা শোনায় ইয়েমেনের আদালত। তাঁর প্রাণ বাঁচাতে এত বছর ধরে আইনি লড়াই চালিয়ে এসেছে নিমিশার (Nimisha Priya) পরিবার। প্রবাসী ভারতীয় ওই যুবতীর প্রাণভিক্ষার আবেদন রাষ্ট্রপতির কাছে পৌঁছলে তা খারিজ করে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের নির্দেশ দেন সে দেশের প্রেসিডেন্ট রশিদ মহম্মদ আল আলিমি। এই পরিস্থিতিতে প্রিয়ার মৃত্যুদণ্ড রদ করতে তৎপর হয় বিদেশমন্ত্রক। কিন্তু ভারতের আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক সম্পর্ক আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্সিয়াল লিডারশিপ কাউন্সিলের সঙ্গে, হুতিদের সঙ্গে নয়। আর তারাই ইয়েমেনের অধিকাংশ জায়গা নিয়ন্ত্রণ করে। হুতিদের প্রধান প্রশাসনিক সংগঠন ‘সুপ্রিম পলিটিক্যাল কাউন্সিল’। তারা নিয়ন্ত্রণ করছে ইয়েমেনের বড় অংশ, যার মধ্যে পড়ে রাজধানী সানাও। এই সানাতেই নিমিশার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়ার কথা। ফলে, ভারত সরকার তাদের সঙ্গে সরাসরি কোনও কূটনৈতিক যোগাযোগ করতে পারে না।

    ভারতের কূটনৈতিক চাল

    বিদেশমন্ত্রক সূত্রে খবর, এরপর ব্যাক চ্যানেল নীতি গ্রহণ করা হয়। এই নীতির ফলে সরাসরি কূটনৈতিক সম্পর্ক না থাকা কোনও দেশের সঙ্গ তৃতীয় পক্ষর মাধ্যমে সাহায্য চাওয়া হয়। ভারতীয় সুন্নি সম্প্রদায়ের মুসলিম ধর্মগুরু, গ্র্যান্ড মুফতি কান্দাপুরম এপি আবুবকর মুসলিয়ার দফতর-এর মাধ্যমে চলে আলোচনা। ইসলামী আইন অনুসারে, অপরাধের শিকারদের অপরাধীদের কীভাবে শাস্তি দেওয়া যায় সে সম্পর্কে তাদের মতামত প্রকাশ করার অধিকার রয়েছে। খুনের ঘটনায় তা ভিকটিমের পরিবারের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। হত্যার ক্ষেত্রে, মৃত্যুদণ্ড প্রদান করা যেতে পারে, তবে যদি নিহতের পরিবার চায় তবে নির্দিষ্ট অর্থের বিনিময়ে দোষীকে ক্ষমা প্রদানও করতে পারে। মুসলিয়ার দফতর, সোমবার রাতে জানায় উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকের পর নিমিশার (Nimisha Priya) সাজা বাতিল হয়েছে। তবে এখনও সরকারি তরফে কোনও সবুজ সঙ্কেত মেলেনি।

  • Amit Shah: ‘‘‘অপারেশন সিঁদুর’-এ খতম জঙ্গিদের মাথারা, ‘অপারেশন মহাদেব’-এ শেষ জঙ্গিরা’’, সংসদে অমিত শাহ

    Amit Shah: ‘‘‘অপারেশন সিঁদুর’-এ খতম জঙ্গিদের মাথারা, ‘অপারেশন মহাদেব’-এ শেষ জঙ্গিরা’’, সংসদে অমিত শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘‘‘অপারেশন সিঁদুর’-এর মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জঙ্গিদের মাথাদের নিকেশ করে দিয়েছিলেন। এখন ‘অপারেশন মহাদেব’-এর মাধ্যমে আমাদের সেনা ও সিআরপিএফ জঙ্গিদেরও শেষ করে দিয়েছে।’’ মঙ্গলবার লোকসভায় এ কথাই বললেন অমিত শাহ।

    পর্যটকদের ধর্মপরিচয় জিজ্ঞাসা করে পরিবারের সামনে খুন

    সংসদের চলতি বাদল অধিবেশনে শুরু হয়েছে পহেলগাঁও হামলা ও অপারেশন সিঁদুর নিয়ে আলোচনা-বিতর্ক। সেখানেই বক্তব্য রাখতে গিয়ে শাহ বলেন, “নিরীহ পর্যটকদের ধর্মপরিচয় জিজ্ঞাসা করে পরিবারের সদস্যদের সামনে নৃশংস ভাবে হত্যা করা হয়েছিল। আমি এই হামলার নিন্দা করছি এবং যে সমস্ত পরিবার তাদের প্রিয়জনেদের হারিয়েছে, তাদের আন্তরিক সমবেদনা জানাচ্ছি। পহেলগাঁওকাণ্ডের পর আমি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলির সঙ্গে দেখা করেছিলাম। আমি এক মহিলার সামনে দাঁড়িয়েছিলাম, যিনি বিয়ের মাত্র ছ’দিনের মাথায় স্বামীকে হারান। আমি ওই দৃশ্য কখনও ভুলতে পারব না। আমি এই সমস্ত পরিবারগুলিকে বলতে চাই, ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জঙ্গিদের মাথাদের নিকেশ করে দিয়েছিলেন। এখন ‘অপারেশন মহাদেব’-এর মাধ্যমে আমাদের সেনা ও সিআরপিএফ জঙ্গিদেরও শেষ করে দিয়েছে।’’

    প্রমাণ পেশ করলেন অমিত শাহ

    এদিন বক্তব্য পেশ করার সময় জঙ্গিরা সত্যিই পাকিস্তানি কিনা তা প্রশ্ন তোলায় কংগ্রেসকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেন শাহ। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, অমিত শাহ বলেন, “গতকালের অভিযানে পহেলগাঁও হামলায় জড়িত তিন জঙ্গি- সুলেমান, আফগান এবং জিবরান নিহত হয়েছে। বিরোধীরা, প্রাক্তন মন্ত্রী পি চিদম্বরম প্রশ্ন তুলেছেন, ওরা যে পাকিস্তানি, তার কী প্রমাণ আছে? আজ আমি তার সমস্ত প্রমাণ দেব।’’ এরপরেই তিনি পহেলগাঁও হামলার স্থল থেকে প্রাপ্ত কার্তুজ, জঙ্গিদের কাছ থেকে পাওয়া আগ্নেয়াস্ত্র এমনকী জঙ্গিদের কাছে থাকা পাকিস্তানি চকোলেটের মাধ্যমে প্রমাণ পেশ করেন।

    পাকিস্তানের ভোটার কার্ড, পাকিস্তানে তৈরি চকোলেট

    কেন্দ্রীয় সূত্রে খবর, নিহত সুলেমানের আরও একটি নাম ছিল। হাসিম মুসা। পাকিস্তানি সেনার স্পেশ্যাল সার্ভিস গ্রুপের (এসএসজি) কমান্ডো ছিল। পরে হাফিজ সইদের হাত ধরে নাম লেখিয়েছিল জঙ্গি সংগঠনে। শাহের কথায়, ‘‘আফগান ও জিবরানও ‘এ লিস্টেড’ জঙ্গি।” এরা সবাই পাকিস্তানের নিষিদ্ধ গোষ্ঠী লস্কর-ই-তৈবার শীর্ষ জঙ্গি ছিল বলেও জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। শাহ এদিন জানান, জঙ্গিদের পাকিস্তানি পরিচয়ের প্রমাণ হিসেবে পাকিস্তানের ভোটার কার্ড এবং পাকিস্তানে তৈরি চকোলেট উদ্ধার হয়েছে তাদের কাছ থেকে। তাতে জানা গিয়েছে, নিহত তিন জঙ্গিই পাকিস্তানের বাসিন্দা। তিনি আরও জানান, তাদের কাছ থেকে পাওয়া বিদেশি অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে দু’টি একে-৪৭ ভেরিয়েন্ট এবং একটি আমেরিকান এম-৪ কার্বাইন। এছাড়া ছিল, রোমানিয়ার মডেল ৯০ অ্যাসল্ট রাইফেল, ও রাশিয়ার একেএম ৭.৬২ ভেরিয়েন্ট রাইফেলও উদ্ধার হয়েছে।

    ১০০ শতাংশ ম্যাচিং পেয়েছেন বিশেষজ্ঞরা

    এখানেই থেমে থাকেননি অমিত শাহ। এর পরেই তিনি নিহত জঙ্গিদের পহেলগাঁও হামলায় জড়িত হওয়ার প্রমাণ পেশ করেন। অমিত শাহ জানান, হাজারের বেশি মানুষ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। ৩ হাজার ঘণ্টা তদন্ত চলেছে। তারপরেই এই জঙ্গিদের হদিশ পেয়েছে সেনা। এমনকি, এই সন্ত্রাসবাদীদের দেহ শনাক্ত করেছে তাদের পরিবার-পরিজনেরাও। যারা জঙ্গিদের খাবার সরবরাহ করত তাদের আগেই আটক করা হয়েছিল। জঙ্গিদের মৃতদেহ শ্রীনগরে নিয়ে আসার পর আটক হওয়া ব্যক্তিরা ওই তিন জনকে শনাক্ত করেছে। এর পর, জঙ্গিদের থেকে উদ্ধার হওয়া কার্তুজ ও বন্দুকগুলি দ্রুত চণ্ডীগড়ের ফরেন্সিক ল্যাবে পাঠানো হয়। দেখা যায়, এগুলিই পহেলগাঁও হামলার সময়ে ব্যবহৃত হয়েছিল। ছয়জন বিশেষজ্ঞ বলছেন—ম্যাচ ১০০ শতাংশ।”

  • Amit Shah: ‘‘পহেলগাঁও হামলার ৩ জঙ্গিই ‘অপারেশন মহাদেব’-এ খতম’’, লোকসভায় বড় বিবৃতি অমিত শাহের

    Amit Shah: ‘‘পহেলগাঁও হামলার ৩ জঙ্গিই ‘অপারেশন মহাদেব’-এ খতম’’, লোকসভায় বড় বিবৃতি অমিত শাহের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোমবার শ্রীনগরে হওয়া ‘অপারেশন মহাদেব’-এ পহেলগাঁও হামলার ৩ জঙ্গিকেই খতম করেছে ভারতীয় সেনা। মঙ্গলবার সংসদে এ কথা ঘোষণা করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। একইসঙ্গে নিকেশ হওয়া জঙ্গিদের পরিচয় প্রকাশ করে শাহ এও জানিয়ে দেন, নিহতরা পাকিস্তানের বাসিন্দা এবং তাদের ব্যবহৃত অস্ত্রও বিদেশি।

    সংসদের চলতি বাদল অধিবেশনে শুরু হয়েছে পহেলগাঁও হামলা ও অপারেশন সিঁদুর নিয়ে আলোচনা-বিতর্ক। সেখানেই মঙ্গলবার, লোকসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমত শাহ বলেন, ‘‘পহেলগাঁও হামলায় যুক্ত তিন জঙ্গি সোমবার সেনার ‘অপারেশন মহাদেব’-এ খতম হয়েছে। এই তিন জঙ্গির নাম সুলেমান, আফগান এবং জিবরান। এই সন্ত্রাসবাদীরা পহেলগাঁওয়ের হামলার সঙ্গে যুক্ত ছিল।’’

    ‘‘ভেবেছিলাম তাঁরা খুশি হবেন’’, বিরোধীদের তোপ শাহের

    সোমবার সোমবার ৩ জঙ্গি নিকেশের পরেও কংগ্রেস-সহ বিরোধী দলগুলি প্রশ্ন তোলে, এরাই কি পহেলগাঁও হামলার তিন জঙ্গি? এদের পাকিস্তানি হওয়ার প্রমাণ কী? এই নিয়ে মঙ্গলবার বিরোধীদের তীব্র আক্রমণ শানান অমিত শাহ। তিনি বলেন, “আমি ভেবেছিলাম তাঁরা পহেলগাঁওকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত সন্ত্রাসবাদীদের মৃত্যুর খবর পেয়ে খুশি হবেন। কিন্তু দেখলাম তাঁরা বিষয়টি নিয়ে খুশি নন। বরং হতাশ হয়েছেন।” এর সঙ্গেই অমিত শাহ যোগ করেন, নিহত তিন জঙ্গি যে পহেলগাঁওয়ে সন্ত্রাসবাদী হামলার সঙ্গে যুক্ত ছিল, সেই বিষয়ে নিশ্চিত হতে একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়। প্রথমে জঙ্গিদের খাবার জোগানোর অভিযোগে আটক ব্যক্তিদের দেখানো হয়। তারা সকলেই জঙ্গিদের দেহ শনাক্ত করেছে।

    জঙ্গিদের বন্দুক-গুলি যায় ফরেন্সিক পরীক্ষায়

    এছাড়া, জঙ্গিদের থেকে পহেলগাঁও হামলায় ব্যবহার করা অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। তাদের প্যান্টের পকেট থেকে মিলেছে পাকিস্তানি চকোলেট।  জঙ্গিদের ডেরা থেকে তাঁদের ভোটার কার্ড-সহ অন্যান্য পরিচয়পত্রও মিলেছে। তাতে জানা গিয়েছে, নিহত তিন জঙ্গিই পাকিস্তানের বাসিন্দা। তাতেও থেমে থাকেনি সরকার। নিহত জঙ্গিদের ফরেন্সিক পরীক্ষা করানো হয়। সোমবারের সেনা অপারেশনে যে তিন জঙ্গি নিহত হয়েছে, তাদের ব্যবহৃত বুলেটের খোল এবং বন্দুক উদ্ধার করে সেগুলি ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য চণ্ডীগড়ের ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হয়। মিলিয়ে দেখা হয় পহেলগাঁও হামলার ব্যালিস্টিক রিপোর্টের সঙ্গে। সেখান থেকে রিপোর্ট আসার পরেই তিন জনের পরিচয় সম্বন্ধে নিশ্চিত হয় কেন্দ্র।

  • Amit Shah: ‘‘আরও ২০ বছর বিরোধী বেঞ্চেই বসতে হবে’’, নাম না করে সংসদে কংগ্রেসকে নিশানা শাহের

    Amit Shah: ‘‘আরও ২০ বছর বিরোধী বেঞ্চেই বসতে হবে’’, নাম না করে সংসদে কংগ্রেসকে নিশানা শাহের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের মন্ত্রীর কথা বিশ্বাস করে না বিরোধীরা। অন্য দেশের বক্তব্যকে মান্যতা দেয়। বিরোধী দলে বিদেশিদের গুরুত্ব আছে। তাই তারা দেশের সংসদে বিরোধী বেঞ্চে বসে রয়েছেন। ভবিষ্যতেও তাই থাকতে হবে। সরাসরি নাম না করে সংসদেই কংগ্রেসের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সংসদের অপারেশন সিঁদুর নিয়ে আলোচনার সময় বিরোধীদের তীব্র আক্রমণ করলেন তিনি। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যের আগে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর সংসদে জানিয়েছিলেন, পাকিস্তানের সঙ্গে সংঘর্ষবিরতিতে আমেরিকার কোনও ভূমিকা নেই। তাঁর এই বক্তব্য নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিরোধীরা। বিদেশমন্ত্রী বক্তব্য নিয়ে প্রশ্ন তোলায় এদিন বিরোধীদের তোপ দাগেন অমিত শাহ (Amit Shah)।

    কী বললেন শাহ

    সংসদে বিরোধীদের তোপ দেগে শাহ (Amit Shah) বলেন,“ভারতের বিদেশমন্ত্রীর বক্তব্যে বিশ্বাস নেই বিরোধীদের। অথচ অন্য দেশের বক্তব্যে তাদের আস্থা আছে। এই নিয়ে আমার আপত্তি রয়েছে। তাদের দলে বিদেশিদের গুরুত্ব আমি বুঝি। তার মানে এই নয়, দলের বিষয় এখানেও চাপাবে। এই কারণে তারা বিরোধী বেঞ্চে বসে রয়েছে। এবং আগামী ২০ বছর বিরোধী বেঞ্চেই বসে থাকবে।” বারবার ভারত-পাকিস্তান সংঘর্ষবিরতিতে নিজের অবদান জাহির করে কৃতিত্বের দাবি করেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। যা নিয়ে তীব্র আপত্তি জানায় বিরোধীরা। সেই মর্মেই লোকসভায় ‘অপারেশন সিঁদুর’ ডিবেটে ভাষণ রাখতে গিয়ে এস জয়শঙ্কর হট্টগোলের মুখোমুখি হন।

    জয়শঙ্করের দাবি

    পহেলগাঁও হামলার দিন অর্থাৎ ২২ এপ্রিল থেকে ১৭ জুনের মধ্যে ট্রাম্পের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কোনও কথা হয়নি বলে সংসদে জানান বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। তিনি জানিয়েছেন, গত ৯ জুন জেডি ভান্স প্রধানমন্ত্রীকে ফোন করেছিলেন। তিনি প্রধানমন্ত্রীকে বলেছিলেন, পাকিস্তানের তরফে হামলা হবে। প্রধানমন্ত্রীও তখন বলেছিলেন, পাকিস্তান হামলা করলে তার যোগ‍্য জবাব দেবে ভারত। আর ভারত সেটা দিয়েছে বলেই উল্লেখ করেন এস জয়শঙ্কর। জয়শঙ্কর আরও বলেন, “আমরা ১০ তারিখে ফোন পাই যে পাকিস্তান আলোচনা করতে প্রস্তুত। আমরা জানাই, পাকিস্তান চাইলে তারা সরাসরি কথা বলুক। এটুকুই হয়েছিল।” বিদেশমন্ত্রীর এই বক্তব্যেরই প্রতিবাদ জানিয়ে সংসদে হট্টগোল শুরু করে বিরোধীরা। তখনই বিরোধী সাংসদদের আচরণে বিরক্ত হয়ে বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করেন অমিত শাহ।

  • Illegal Bangladeshi: অবৈধ বাংলাদেশিদের ধরিয়ে দিচ্ছেন পশ্চিমবঙ্গের পরিযায়ীরা?

    Illegal Bangladeshi: অবৈধ বাংলাদেশিদের ধরিয়ে দিচ্ছেন পশ্চিমবঙ্গের পরিযায়ীরা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আমদানি হয়েছে বাংলার ভাষার উপর সন্ত্রাসের এক নতুন তত্ত্ব। এই তত্ত্বে আবার সিলমোহর দিয়ে রাজ্যজুড়ে আন্দোলনের ডাকও দিয়েছেন মাননীয়া। আপনারা নিশ্চয় জানেন, বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের ধরতে দেশজুড়ে চলছে অভিযান। পদ্মা পার থেকে আসা বাংলাদেশিরা বাংলাতেই কথা বলেন। ঠিক আমি আপনি যেমন বলি। আবার তাদের শারীরিক গঠনও পশ্চিমবঙ্গের মানুষদের সঙ্গেই মিলে যায়। দিনকয়েক আগেই গুরগাঁও পুলিশের হাতে বাংলাদেশি সন্দেহে আটক করা হয় বেশ কয়েকজনকে, যাদের মধ্যে শেষ পর্যন্ত রাখা হয় ১০ জনকে, বাকিদের ছেড়ে দেওয়া হয়। কারণ, এই ১০ জন ছিল সবাই অনুপ্রবেশকারী। The Wire সংবাদমাধ্যম এই খবর প্রকাশ করেছে (Illegal Bangladeshi)।

    অভিযানে সবচেয়ে বেশি খুশি বাঙালি পরিযায়ীরাই

    বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের (Illegal Bangladeshi) বিরুদ্ধে এই অভিযান শুধুমাত্র যে বিজেপি শাসিত রাজ্যে চলছে, এমনটা নয় — দেশজুড়েই চলছে। সিপিএম শাসিত কেরালা কিংবা ডিএমকে শাসিত তামিলনাড়ুতেও চলছে। আর সত্যি কথা বলতে, এই অভিযানে সবচেয়ে বেশি খুশি বাঙালি পরিযায়ীরাই। অনেকেই বলছেন, সন্দেহভাজন বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের ধরিয়ে দিতে ভিনরাজ্যের প্রশাসনকে সবচেয়ে বেশি সাহায্য করছে আমাদের রাজ্যের পরিযায়ীরাই। সংশ্লিষ্ট রাজ্যের প্রশাসন কখনোই সেই খবরদাতাদের পরিচয় প্রকাশ করছে না। কেন জানেন? একেবারে নিরাপত্তার স্বার্থে। আপনাদের কৌতূহল জাগছে, কেন বাঙালি পরিযায়ীরা ধরিয়ে দিচ্ছেন বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের? এই প্রশ্নেরই উত্তর খুঁজব আজ। এক কথায়, এর উত্তর হচ্ছে — বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের ভিড়ে একের পর এক কাজ হারাচ্ছিলেন বাংলার হতভাগ্য পরিযায়ী শ্রমিকরা। স্বাভাবিক, এটাই। পেটের জ্বালা বড় জ্বালা। তাই নিজেদের পেট বাঁচাতেই তারা ভিনদেশী অনুপ্রবেশকারীদের বিষয়ে তাঁরা প্রশাসনকে খবর দিচ্ছেন।

    বাংলার পরিযায়ী শ্রমিক এখন কত বলা মুশকিল

    জানেন কি এই মুহূর্তে বাঙালি পরিযায়ী শ্রমিকের সংখ্যা ঠিক কত — সঠিক তথ্য কারও কাছেই নেই। ২০১১ সালে হয়েছিল শেষ জনগণনা। তখন বাংলায় পরিযায়ী শ্রমিক সংখ্যা কত ছিল তা জানা গিয়েছিল। কিন্তু এখন সেই সংখ্যা নেই কারও কাছেই। সে সময় বাংলা ছিল সারা দেশের মধ্যে চতুর্থ স্থানে। তার আগে ছিল উত্তরপ্রদেশ, বিহার, রাজস্থান। মানে, একদা যে রাজ্যগুলোকে বিমারু রাজ্য বলা হত (West Bengal)। তবে গত এক দশকে পরিস্থিতির আমূল পরিবর্তন হয়েছে। উত্তরপ্রদেশ, বিহার, রাজস্থান তড়তড়িয়ে এগিয়ে গেছে, আর পিছিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। ২০২৬ সালের জনগণনা যতক্ষণ না হয়, বলা খুব মুশকিল যে বাংলার পরিযায়ী শ্রমিক এখন কত (Illegal Bangladeshi)।

    নোংরা ঘেঁটে বিক্রয় যোগ্য জিনিস সংগ্রহ করেন বাঙালি পরিযায়ীরা

    ইতিমধ্যে ‘The Indian Journal of Labour Economics’-এ একটি সমীক্ষা প্রকাশিত হয়েছে। সমীক্ষার শিরোনাম ছিল Bengali Migrant Workers in South India। এখানে বাঙালি পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য যে চিত্র তুলে ধরা হয়েছে, তাতে চোখে জল আসবে আপনারও। কি বলা হয়েছে জানেন? বলা হয়েছে, বাঙালি পরিযায়ীদের একটা বড় অংশ “Rag Pickers” — মানে, আস্তাকুঁড় থেকে নোংরা ঘেঁটে যা কিছু বিক্রয়যোগ্য জিনিস, তা সংগ্রহ করেন এবং সেগুলো তাঁরা মহাজনের কাছে পৌঁছে দেন। এভাবেই চলে তাঁদের পেট। এই আস্তাকুঁড়ের নোংরা ঘেঁটে যারা বিক্রয়যোগ্য জিনিস সংগ্রহ করে, তাঁদের ৭৮.৬ শতাংশই একেবারে নিরক্ষর।

    বাঙালি রক্ষার জিগির তুলে নিজের ভোট ব্যাঙ্ক বাঁচাতে চাইছেন মমতা

    কয়েকদিন আগে গুরগাঁওয়ের যে খাটোলা গ্রাম থেকে বাংলাভাষীদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়, সেখানকার পরিচিতিও “Bengali Rag Pickers’ Colony” হিসেবে দেওয়া হয়। ভিনদেশি বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীরা এখানেই ভিড় জমাতে শুরু করেছিলেন। যার ফলে কাজ হারাচ্ছিলেন বাংলার হতভাগ্য পরিযায়ীরা। তাই স্বাভাবিকভাবেই নিজেদের পেট বাঁচাতে ও স্বার্থ রক্ষায় তাঁরা যা করার, সেটাই করেছেন। আসলে মমতা ব্যানার্জী বাঙালি রক্ষার জিগির তুলে নিজের ভোট ব্যাঙ্ক বাঁচাতে চাইছেন। তাঁর এই খেলা ধরে ফেলেছেন বাংলার গরিব পরিযায়ীরা। তাই নিজেদের কাজ বাঁচাতে তাঁরাই এখন বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত করতে সাহায্য করছেন।

  • Nimisha Priya: কেরলের নার্স প্রিয়া নিমিশার মৃত্যুদণ্ড খারিজ ইয়েমেনে! দাবি গ্র্যান্ড মুফতির

    Nimisha Priya: কেরলের নার্স প্রিয়া নিমিশার মৃত্যুদণ্ড খারিজ ইয়েমেনে! দাবি গ্র্যান্ড মুফতির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দীর্ঘ আইনি লড়াই ও কূটনৈতিক আলোচনার পর অবশেষে স্বস্তি। ইয়েমেনে (Yemen) খুনের অপরাধে জেলবন্দি নিমিশা প্রিয়ার (Nimisha Priya) মৃত্যুদণ্ড রদ করে দেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি এমনই দাবি করেছে, ভারতীয় সুন্নি সম্প্রদায়ের মুসলিম ধর্মগুরু, গ্র্যান্ড মুফতি কান্দাপুরম এপি আবুবকর মুসলিয়ার দফতর। ভারত সরকারের সহায়তায় এই কাজ সফল হয়েছে। বিদেশমন্ত্রক সবসময় সঙ্গে ছিল এমনই দাবি, নিমিশার পরিবারের।

    নিমিশার মৃত্যুদণ্ড খারিজ কীভাবে

    এএনআই সূত্রে খবর, গ্র্যান্ড মুফতির কার্যালয় জানিয়েছে, গত ১৬ জুলাই মৃত্যুদণ্ড পিছিয়ে দেওয়া হয়েছিল নিমিশার (Nimisha Priya)। এবার সেই সাজা পুরোপুরি বদলে দেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি ইয়েমেনের রাজধানী সানায় দেশটির শীর্ষ কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে এক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হয়। সেই বৈঠকেই মৃত্যুদণ্ডের সাজা খারিজ করা হয়েছে। তবে, ইয়েমেন বা ভারত সরকারের তরফে এই বিষয়ে কোনও আনুষ্ঠানিক ঘোষণা এখনও করা হয়নি। উল্লেখ্য, এক ব্যক্তিকে হত্যার অপরাধে ২০১৭ সাল থেকে ইয়েমেনের জেলে বন্দি রয়েছেন নিমিশা। ২০১৮ সালে এই মামলায় তাঁকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা শোনায় ইয়েমেনের আদালত। তাঁর প্রাণ বাঁচাতে এত বছর ধরে আইনি লড়াই চালিয়ে এসেছে নিমিশার পরিবার। প্রবাসী ভারতীয় ওই যুবতীর প্রাণভিক্ষার আবেদন রাষ্ট্রপতির কাছে পৌঁছলে তা খারিজ করে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের নির্দেশ দেন সে দেশের প্রেসিডেন্ট রশিদ মহম্মদ আল আলিমি। নিমিশার ফাঁসির আদেশ কার্যকর হওয়া আটকাতে ভারতীয় সুপ্রিম কোর্টেরও দ্বারস্থ হয় তাঁর পরিবার। কেন্দ্রীয় সরকার যাতে বিষয়টিতে কোনও ভাবে হস্তক্ষেপ করে, সেই আর্জি জানান তাঁরা। এই পরিস্থিতিতে প্রিয়ার মৃত্যুদণ্ড রদ করতে তৎপর হয় বিদেশমন্ত্রক।

    ভারতের কৃটনৈতিক জয়

    কূটনৈতিক স্তরে আলোচনার পর দেখা যায়, নিমিশার (Nimisha Priya) মৃত্যুদণ্ড আটকানোর একমাত্র উপায় ছিল ‘ব্লাড মানি’। এই পরিস্থিতিতেই কেরলের বাসিন্দা নিমিশা প্রিয়াকে বাঁচাতে এগিয়ে এসেছিলেন সুন্নি সম্প্রদায়ের মুসলিম ধর্মগুরু কান্দাপুরম এপি আবুবকর মুসলিয়ার। ইয়েমেনের ধর্মীয় নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেন তিনি। যদিও রক্তের দাম নিতে শুরু থেকেই নারাজ ছিলেন মৃত তালাল মেহেদির ভাই আবদুল মেহেদি।। এই পরিস্থিতিতে রক্তের দামের বিনিময়ে মৃত্যুর হাত থেকে রেহাই পেলেন নিমিশা নাকি ‘ব্যাক চ্যানেল’ কূটনৈতিক আলোচনায় ভারত সরকারের এই সাফল্য! এখনই এই প্রসঙ্গে মুখ খুলতে নারাজ কোনও পক্ষই। তবে এই ঘটনা যে মোদি সরকারের বিরাট কূটনৈতিক সাফল্য তা মানছেন বিশেষজ্ঞরা।

  • Mohan Bhagwat: “‘ভারতে’র অনুবাদ করলে নষ্ট হয়ে যাবে সম্মান,” বললেন ভাগবত 

    Mohan Bhagwat: “‘ভারতে’র অনুবাদ করলে নষ্ট হয়ে যাবে সম্মান,” বললেন ভাগবত 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “‘ভারতে’র (Bharat) অনুবাদ করা উচিত নয়, কারণ তাতে এর স্বাতন্ত্র্য এবং বিশ্বজুড়ে যে সম্মান তা নষ্ট হয়ে যাবে।” রবিবার এমনই মন্তব্য করলেন আরএসএসের প্রধান মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat)। তিনি বলেন, “এখন আর ভারতের সোনার পাখি হওয়ার প্রয়োজন নেই। কারণ সময় এসেছে সিংহ হয়ে ওঠার।” কেরালার কোচিতে আরএসএস ঘনিষ্ঠ শিক্ষা সংস্কৃতি উত্তান ন্যাস আয়োজিত জাতীয় শিক্ষা সম্মেলন জ্ঞান সভায় যোগ দিয়েছিলেন ভাগবত।

    ‘ভারতে’র অনুবাদ করা উচিত নয় (Mohan Bhagwat)

    সেখানেই তিনি বলেন, “ভারত একটি বিশেষ্য পদ। এর অনুবাদ করা উচিত নয়। ভারত-কে ভারত-ই থাকতে হবে। কারণ, যদি আমরা আমাদের পরিচয় হারিয়ে ফেলি, তবে আপনার যত গুণই থাকুক না কেন, এই জগতে আপনি সম্মান বা নিরাপত্তা পাবেন না। পরিচয় খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আর পরিচয় নির্ভর করে আপনার ‘সংস্কৃতি’র ওপর। আমি ‘কালচার’ শব্দটি ব্যবহার করি না। আমরা যে শব্দটি ব্যবহার করি তা হল ‘ধর্ম-সংস্কৃতি’, এবং এর কোনও ইংরেজি প্রতিশব্দ নেই। আমাদের সংস্কৃতি জড়িয়ে রয়েছে ঐতিহ্যের সঙ্গে।”

    কী বললেন সরসংঘচালক?

    সরসংঘচালক বলেন, “ভারতের আর ‘সোনার পাখি’ হওয়ার দরকার নেই। বরং আজকের পরিস্থিতি দাবি করে যে ভারতকে এখন সিংহ হতে হবে। কারণ বিশ্ব আদর্শ নয়, শক্তিকে সম্মান করে। ভারতকে অর্থনৈতিক দিক থেকেও শক্তিশালী হতে হবে। বিশ্বের সর্বোত্তম প্রযুক্তিগুলিও এখানে দৃশ্যমান হতে হবে। তা না হলে বিশ্ব আমাদের মূল্য দেবে না।” তিনি (Mohan Bhagwat) বলেন, “আমরা বিশ্ব শাসন করতে চাই না। আমরা চাই বিশ্বটি একটি সুন্দর জায়গা হয়ে উঠুক।” অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কেরালার রাজ্যপাল রাজেন্দ্র আর্লেকারও। ভাগবতের বক্তব্য সমর্থন করে তিনি বলেন, “পরবর্তী প্রজন্ম আর সোনার পাখি হতে চায় না। তারা চায় ভারত হোক সোনার সিংহ। পুরো বিশ্ব সেই সিংহের গর্জন দেখবে ও শুনবে। আমরা কাউকে ধ্বংস করতে আসিনি, বরং বিশ্বের উন্নয়নের জন্য নতুন কিছু দিতে এসেছি।”

    “শিক্ষায় ভারতীয়ত্ব” বিষয়ক বক্তৃতায় ভাগবত (Mohan Bhagwat) বলেন, “ভারতকে জান এবং ভারতের অংশ হও — এই চেতনার মাধ্যমেই শিক্ষায় ভারতীয়ত্ব গড়ে উঠবে।শিক্ষা ক্ষেত্রে (Bharat) আমাদের অনেক জায়গায় সংস্কারের প্রয়োজন। কেবল পাঠ্যক্রমে সীমাবদ্ধ থাকলেই হবে না।”

  • Operation Mahadev: সন্দেহজনক রেডিও যোগাযোগই ধরিয়ে দিল! ‘অপারেশন মহাদেব’-এ কীভাবে ফাঁদে পড়ে জঙ্গিরা?

    Operation Mahadev: সন্দেহজনক রেডিও যোগাযোগই ধরিয়ে দিল! ‘অপারেশন মহাদেব’-এ কীভাবে ফাঁদে পড়ে জঙ্গিরা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পহেলগাঁও হামলার মাস্টারমাইন্ড হাসিম মুসা ও তার ২ সহযোগীকে খতম করল ভারতীয় সেনা। উপত্যকায় সোমবার বড়সড় সাফল্য পেল ভারতীয় সেনা ও জম্ম-কাশ্মীর পুলিশের যৌথ বাহিনী। ঠিক যেই মুহূর্তে সংসদে অপারেশন সিঁদুর নিয়ে বক্তব্য রাখছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। তখনই উপত্যকা থেকে বড় খবর দিয়েছে ভারতীয় সেনা। পহেলগাঁও হামলার মূলচক্রীকে নিকেশ করেছে নিরাপত্তা বাহিনীর জওয়ানরা। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে জম্মু ও কাশ্মীরের শ্রীনগরের কাছেই লিদওয়াসেতে দাচিগাঁওয়ের হারওয়ানের জঙ্গলে অভিযান শুরু করে সেনাবাহিনীর চিনার কোর। সেই অভিযানের নাম দেওয়া হয় ‘অপারেশন মহাদেব’ (Operation Mahadev)।

    সংঘর্ষে ৩ জঙ্গি নিহত

    সেনা সূত্রে খবর, নিরাপত্তারক্ষীদের গুলিতে তিন জঙ্গি নিহত হয়েছে। তারা এ দেশের বাসিন্দা নয়। গোয়েন্দাদের একটি সূত্র বলছে, জওয়ানদের গুলিতে প্রাণ গিয়েছে লস্কর-ই-তৈবার জঙ্গি মুসার। এই মুসা পাকিস্তানের সেনাবাহিনীতে ছিল বলে খবর। সে পহেলগাঁও হামলার সঙ্গে জড়িত ছিল। গত ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ের ওই হামলায় প্রাণ গিয়েছিল ২৬ জন হিন্দু পর্যটকের। শ্রীনগরের দাচিগাঁওয়ে সোমবারের সংঘর্ষে নিহত আর দুই জঙ্গির নাম হল আবু হামজা এবং ইয়াসির। এমনটাই বলছে একটি সূত্র। এই দু’জনও মুসার মতো পাকিস্তানের বাসিন্দা। শ্রীনগর পুলিশের সিনিয়র সুপার জিভি সন্দীপ চক্রবর্তী জানিয়েছেন, নিহত তিন জন পাকিস্তানের। তাঁরা লস্করের জঙ্গি।

    কে ছিল এই হাসিম মুসা?

    হাসিম মুসা, যিনি সুলেমান মুসা নামেও পরিচিত, এর আগে পাকিস্তানের স্পেশাল সার্ভিসেস গ্রুপ (এসএসজি) এর সাথে যুক্ত ছিল৷ যা পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর কমান্ডো শাখা। অর্থাৎ, পাক সেনায় কমান্ডোর শাখার প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত সেনাকর্মী ছিল সে৷ একাধিক গোয়েন্দা সূত্রের দাবি, লস্করকে নানা ভাবে এই ভাবেই প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত সেনা ‘উপহার’ দিয়ে থাকে পাকিস্তানের সেনা৷ যাতে তারা সমান্তরাল সশস্ত্র বাহিনীর প্রশিক্ষণ এবং তাদের দিয়ে ভারতে নাশকতামূলক কাজ করা চালিয়ে যেতে পারে৷ সাধারণত, একটু বেশি বয়সি প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সেনারাই যোগ দেয় লস্করের এই বিশেষ বিশেষ কাজগুলোতে৷ গোয়েন্দা সূত্র অনুসারে, মুসা পরবর্তীকালে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তৈবায় যোগ দেয়। মুসা ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে আন্তর্জাতিক সীমান্ত বরাবর কাঠুয়া-সাম্বা সেক্টর দিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশ করে। জম্মু ও কাশ্মীরে ঢোকার পরে, সে বদগাঁও, বারামুল্লা, রাজৌরি, পুঞ্চ এবং গান্ডেরওয়ালের মতো জেলাগুলোতে সক্রিয় ছিল। পহেলগাঁও হামলার পরে আটক ওভারগ্রাউন্ড কর্মীদের (OGWs) জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে এই তথ্য উঠে এসেছে। ২০২৪ সালের অন্তত তিনটি হামলার সাথে মুসার যোগসূত্র রয়েছে বলে মনে করা হয়৷ যার মধ্যে রয়েছে গান্ডেরওয়াল এবং বারামুল্লায় হামলা, যেখানে নিরাপত্তা বাহিনী এবং অসামরিক নাগরিকদের টার্গেট করা হয়েছিল। কয়েক মাস ধরে সংগৃহীত ডিজিটাল গোয়েন্দা তথ্য এবং মানুষের থেকে জানা তথ্যের মাধ্যমে ওই অঞ্চলগুলিতে তাঁর অবস্থান নিশ্চিত করা হয়েছিল।

    কীভাবে ফাঁদে ফেলা হয় জঙ্গিদের?

    সূত্রের খবর, দাচিগাঁও অঞ্চলে সন্দেহজনক রেডিও সিগন্যাল ধরা পড়ে। এই সূত্র ধরে গত দু’দিন ধরে সেনার একাধিক টিম ওই অঞ্চলে টহল ও তল্লাশি চালায়। সোমবার সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ ২৪ রাষ্ট্রীয় রাইফেল ও ৪ প্যারা ইউনিটের একটি যৌথ দল তিন জঙ্গিকে চিহ্নিত করে তাৎক্ষনিকভাবে অভিযানে নেমে তাদের খতম করে। নিহত তিনজন একটি ঘন জঙ্গলে গাছের নীচে মাটির তৈরি অস্থায়ী বাঙ্কারে লুকিয়ে ছিল। দীর্ঘ ১৪ দিন ধরে এই জঙ্গিগোষ্ঠীর গতিবিধির উপর নজর রাখছিল সেনা। এটি ছিল লস্কর ও জৈশ-ই-মহম্মদের একটি যৌথ মডিউল। শ্রীনগরের কাছেই দাচিগাঁও ন্যাশনাল ফরেস্ট। তার কাছেই এক জঙ্গলাকীর্ণ পাহাড়ি জায়গায় ছিল ত্রিপল ঢাকা এক এলাকা। রিপোর্ট বলছে, সেই ত্রিপল ঢাকা এলাকা থেকেই উদ্ধার হয়েছে মুসার দেহ। ২২ এপ্রিলের অভিশপ্ত দুপুরে পহেলগাঁওতে নিরস্ত্র ২৬ জনকে নিকেশ করে জঙ্গিরা। দ্য রেজিসটেন্স ফ্রন্ট নামের এক জঙ্গি সংগঠন তার দায় নেয়। সামনে আসে ৪ জঙ্গির স্কেচ। উপত্যকা জুড়ে শুরু হয় তল্লাশি। পহেলগাঁওতে হামলা চালানো সেই জঙ্গিদেরই মধ্যে একজন হল হাসিম মুসা। জঙ্গি দমনে এখনও অভিযান চলছে, আরও দুইজন জঙ্গি গুলিবিদ্ধ হয়েছে। তাদের খোঁজা হচ্ছে। একটি জঙ্গিঘাঁটি সেনার নজরে এসেছে। সেখান থেকে অনেকগুলি অ্যাসল্ট রাইফেল উদ্ধার হয়েছে। জানা গিয়েছে, নিকেশ হওয়া জঙ্গিদের কাছ থেকে একটি কমিউনিকেশন ডিভাইস উদ্ধার হয়েছে, যা ডিকোড করে ‘সেফ হাউস ও পি-৩’ শব্দ সামনে এসেছে। যা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

  • Rajnath Singh: “যুদ্ধে ইতি টানতে ভারতের হাতে-পায়ে ধরেছিল পাকিস্তানই”, সংসদে রাজনাথ

    Rajnath Singh: “যুদ্ধে ইতি টানতে ভারতের হাতে-পায়ে ধরেছিল পাকিস্তানই”, সংসদে রাজনাথ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  “যুদ্ধে ইতি টানতে ভারতের হাতে-পায়ে ধরেছিল পাকিস্তানই।” সংসদে অপারেশন সিঁদুর নিয়ে আলোচনায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে একথা স্পষ্টভাবে বললেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং (Rajnath Singh)।

    লোকসভায় শুরু ‘অপারেশন সিঁদুর’ নিয়ে আলোচনা

    সোমবার লোকসভায় শুরু হয় ‘অপারেশন সিঁদুর’ নিয়ে আলোচনা। সংসদে শুরু হয়েছে বাদল অধিবেশন। সেই অধিবেশনে এই অভিযান নিয়ে আলোচনা শুরুর পরেই দাঁড়িয়ে উঠে বলতে থাকেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী। তিনি বলেন, “এই আলোচনা অনেক আগেই শুরু হয়ে যেতে পারত। কিন্তু বিরোধীদের প্রতিবাদের কারণে সংসদ মুলতুবি থেকেছে।”

    ভারতীয় সেনার অবদান

    অপারেশন সিঁদুর প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে রাজনাথ মনে করিয়ে দিয়েছেন ভারতীয় সেনার অবদানের কথাও। তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, অপারেশেন সিঁদুর (Operation Sindoor) আদতে ভারতীয় সেনার সাফল্যের কাহিনি। রাজনাথ (Rajnath Singh) বলেন, “অপারেশন সিঁদুর যে সাফল্য ছুঁয়েছে, সে প্রসঙ্গে আলোচনার জন্য আজ এই সংসদ তৈরি। আমি সেই জওয়ানদের সম্মান জানাই, যাঁরা এই দেশের জন্য নিজেদের প্রাণ দান করেছেন, যাঁরা এখনও এই দেশের প্রতিটি নাগরিকের সুরক্ষা নিশ্চিত করে চলেছেন।” তিনি বলেন, “অপারেশন সিঁদুরের আগে এর সম্ভাব্য পরিণতি সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা তৈরি করেই এগিয়ে গিয়েছে আমাদের সেনা। অপারেশনের প্রতিটি ক্ষেত্রকে নজরে রাখা হয়েছে। মাথায় রাখা হয়েছে যেন কোনওভাবেই সাধারণ মানুষের প্রাণ না যায়। আর এভাবেই মাত্র ২২ মিনিটেই পাকিস্তানের ভেতরে থাকা ৯টি জঙ্গিঘাঁটি ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে।” তিনি বলেন, “ভারতের প্রত্যাঘাতের জবাবে পাকিস্তানও পাল্টা আঘাত হানে। তবে দেশের আকাশরক্ষী সুদর্শন চক্র বা এস-৪০০ সেই হামলা প্রতিহত করে (Rajnath Singh)।”

    সেনাকে ফ্রি-হ্যান্ড

    প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, “অপারেশন সিঁদুরের জন্য ভারতের সামরিক বাহিনীকে একেবারে ফ্রি-হ্যান্ড দেওয়া হয়েছিল। কোন কোন (Operation Sindoor) জায়গায় হামলা চালানো হবে, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সামরিক বাহিনীই। একেবারে নিখুঁতভাবে পরিকল্পনা করে হামলা চালানো হয়েছিল।” তিনি বলেন, “যেভাবে হনুমানজি লঙ্কায় নিজের রণনীতি তৈরি করেছিলেন, সে রকমভাবেই আমরা তাদের নিশানা করেছি, যারা আমাদের ক্ষতি করেছিল (Rajnath Singh)।”

    কীভাবে সংঘর্ষ-বিরতি চুক্তি

    কীভাবে সংঘর্ষ-বিরতি চুক্তি হয়েছে, এদিন তাও জানান প্রতিরক্ষামন্ত্রী। তিনি জানান, ১০ মে পাকিস্তানের একাধিক এয়ারফিল্ডে প্রত্যাহার করে ভারতীয় বায়ুসেনা। সেই পরিস্থিতিতে নিজেদের হার মেনে নিয়ে সংঘর্ষ-বিরতির জন্য ভারতের সঙ্গে যোগাযোগ করে (Operation Sindoor) পাকিস্তান। আর ভারত সেই প্রস্তাব গ্রহণ করেছে একটাই শর্তে, তা হল অপারেশন সিঁদুর কেবল স্থগিত করা হয়েছে। পাকিস্তান যদি ফের ভুলভাল কাজ করে, তাহলে আবারও পাল্টা জবাব দেওয়া হবে। রাজনাথের জবাবেই স্পষ্ট, যেভাবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজেকে শান্তির দূত হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টা করছেন, সেটা আদতে বিভ্রান্তিকর। ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সংঘর্ষ বিরতির জন্য ট্রাম্প বারবার নিজেই ক্রেডিট নিয়েছেন। ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্টের সেই দাবি খারিজ করে দিয়ে প্রতিরক্ষামন্ত্রী সাফ জানিয়ে দিলেন (Operation Sindoor), “যুদ্ধে ইতি টানতে ভারতের হাতে-পায়ে ধরেছিল পাকিস্তানই (Rajnath Singh)।”

    রসদের জোগানে জোর রাজনাথের (Rajnath Singh)

    এর আগে, রবিবার একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে রাজনাথ বলেছিলেন, “বন্দুক বা গুলি দিয়ে এখন আর যুদ্ধে জয়লাভ করা যায় না। যুদ্ধ জেতার অন্যতম হাতিয়ার এখন সামরিক রসদ সঠিক সময় জোগান দিতে পারা।” গতিশক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে ভার্চুয়াল মাধ্যমে যোগ দিয়ে তিনি বলেন, “পহেলগাঁও হামলার প্রতিক্রিয়ায় মে মাসে ভারতের অপারেশন সিঁদুর সে কথাই প্রমাণ করে দেখিয়ে দিয়েছে।” ভারতের রেলমন্ত্রকের অধীন এই বিশ্ববিদ্যালয় মূলত জোগানকেন্দ্রিক বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানকারই সমাবর্তনে ভাষণ দিতে গিয়ে যুদ্ধ জয়ের বর্তমান কৌশলটি বলে দিলেন ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী। রসদের জোগানকে একটি কৌশলগত সম্পদ হিসেবে বিবেচনা করার ওপর জোর দেন রাজনাথ (Rajnath Singh)। তিনি বলেন, “রসদের জোগানই একটি যুদ্ধক্ষেত্রকে যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত করে। রসদের জোগান ঠিকঠাক না থাকলে গোটাটাই বিভ্রান্তিকর পরিস্থিতিতে পরিণত হবে।” প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, “পাকিস্তানের জঙ্গিঘাঁটি লক্ষ্য করে এই অভিযান চালানোর পর প্রমাণিত হয়েছে একাধিক সংস্থার সমন্বয় কীভাবে প্রয়োজনীয় উপকরণ সঠিক সময়ে সঠিক জায়গায় পৌঁছে দিতে সাহায্য করেছে। আধুনিক যুদ্ধ জয় এর ওপরই নির্ভর করে।” এর পরেই প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, “যুদ্ধ কেবল বন্দুক এবং গুলি দিয়ে জেতা যায় না, বরং সময়মতো রসদ জোগানের ওপর নির্ভর করে (Operation Sindoor) কারা জিতবে, আর হারবেই বা কে।”

    ভিন্ন সেনার জন্য পৃথক রসদের ব্যবস্থা

    সব বাহিনীর জন্য যে একই রসদ নয়, এদিন তাও মনে করিয়ে দিয়েছেন রাজনাথ (Rajnath Singh)। তিনি বলেন, “সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী এবং বায়ুসেনায় রসদ জোগানের অর্থ ভিন্ন। সেনাবাহিনীর জন্য রসদ জোগানের অর্থ অস্ত্র, জ্বালানি, রেশন এবং ওষুধ প্রত্যন্ত অঞ্চলে পৌঁছে দেওয়া। আবার নৌবাহিনীর কাছে এর অর্থ হল জাহাজে খুচরো যন্ত্রাংশ ও সরঞ্জাম পৌঁছে দেওয়া। আর বায়ুসেনার কাছে এর অর্থ হল নিরবচ্ছিন্নভাবে গ্রাউন্ড সাপোর্ট দিতে থাকা। এর পাশাপাশি প্রয়োজন জ্বালানি সরবরাহ ঠিক রাখা।”

  • PM Modi: ঝুলিতে ২৮টি দেশের সর্বোচ্চ সম্মান! জনপ্রিয় বিশ্বনেতাদের তালিকার শীর্ষে নরেন্দ্র মোদি

    PM Modi: ঝুলিতে ২৮টি দেশের সর্বোচ্চ সম্মান! জনপ্রিয় বিশ্বনেতাদের তালিকার শীর্ষে নরেন্দ্র মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্ব নেতাদের মধ্যে জনপ্রিয়তায় সবার আগে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। আবারও মর্নিং কনসাল্ট গ্লোবাল লিডার অ্যাপ্রুভাল ট্র্যাকারে শীর্ষস্থান দখল করেছেন মোদি। ৭৫% অ্যাপ্রুভাল রেটিং পেয়েছেন তিনি। বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং বিশ্বস্ত নেতা হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর থেকে অনেক পিছিয়ে। মাত্র ৪৪ শতাংশ অ্যাপ্রুভাল রেটিং পেয়েছেন ট্রাম্প। ইতিমধ্যেই ২৮টি দেশের সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান লাভের মাধ্যমে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এক ঐতিহাসিক মাইলফলক স্পর্শ করেছেন। তিনিই ভারতের ইতিহাসে একমাত্র প্রধানমন্ত্রী যিনি দায়িত্বে থাকাকালীন সর্বাধিক সংখ্যক বিদেশি রাষ্ট্রীয় সম্মান লাভ করেছেন।

    জনপ্রিয়তার নিরিখে অনেক এগিয়ে

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি শুধুমাত্র ভারতের নয়, বরং বিশ্ব রাজনীতির সবচেয়ে বড় মুখ। যেখানে একের পর এক দেশ তাদের নেতৃত্বে আস্থা হারাচ্ছে, সেখানে মোদি এখন ভারতবাসীর সবচেয়ে বিশ্বস্ত নেতা। তাঁর উন্নয়নমূলক কাজ, আন্তর্জাতিক কূটনীতি, জাতীয় নিরাপত্তা এবং সংস্কারমূলক পদক্ষেপ তাঁকে এনে দিয়েছে এই অসাধারণ জনপ্রিয়তা। মর্নিং কনসাল্ট গ্লোবাল লিডার অ্যাপ্রুভাল ট্র্যাকার বিশ্বের বিভিন্ন নেতাদের অনুমোদনের রেটিং ট্র্যাক করে। সেই নিরিখে দেখা গিয়েছে, প্রতিপক্ষদের থেকে অনেকটাই এগিয়ে রয়েছেন নরেন্দ্র মোদি।

    কীভাবে পেলেন স্বীকৃতি

    চলতি বছরের গ্লোবাল লিডার অ্যাপ্রুভাল রেটিং করা হয়েছিল ৪ থেকে ১০ জুলাইয়ের মধ্যে। যেসব দেশের রাষ্ট্রনেতাদের নির্বাচন করা হয়েছিল, তাঁদের প্রতি প্রাপ্তবয়স্কদের মতামতের ৭ দিনের গড় অনুসারে তালিকা তৈরি করা হয়েছিল। মর্নিং কনসাল্ট (Morning Consult) একটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রীয় সংস্থা। বিজনেস ইন্টেলিজেন্স এবং ডেটা অ্যানালিস্ট কোম্পানি। এই সংস্থার সার্ভেতে দেখা গিয়েছে, প্রতি চারজন মানুষের মধ্যে তিনজন, গণতান্ত্রিক নেতা হিসেবে নরেন্দ্র মোদির সম্পর্কে ইতিবাচক মনোভাব প্রকাশ করেছে। মাত্র ১৮ শতাংশ মানুষ এইভাবে ভাবেননি। আর ৭ শতাংশ মানুষ নিশ্চিত ভাবে কোনও মতামত প্রকাশ করেননি। মর্নিং কনসাল্ট গ্লোবাল লিডার অ্যাপ্রুভাল ট্র্যাকারের এই তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে অর্থাৎ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির পরেই রয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার লি-জে-মিয়ং। তিনি পেয়েছেন ৫৯ শতাংশ অ্যাপ্রুভাল রেটিং বা অনুমোদন। তৃতীয় স্থানে রয়েছেন আর্জেন্টিনার জেভিয়ার মিলেই।

    মোদির অনন্য নজির

    ২০১৬ থেকে ২০২৫ সালের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী মোদি মোট ২৮টি আন্তর্জাতিক রাষ্ট্রীয় সম্মাননা (Top Civilian Awards) পেয়েছেন, যা তাঁর দূরদর্শী নেতৃত্ব ও বিশ্বব্যাপী প্রভাব স্বীকার করারই প্রতিফলন। ভারত স্বাধীন হওয়ার পর, পণ্ডিত জওহরলাল নেহরু, ইন্দিরা গান্ধী ও মনমোহন সিং—এই তিন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী প্রত্যেকে মাত্র দুটি করে আন্তর্জাতিক সম্মান পেয়েছিলেন। সেই তুলনায় মোদির আন্তর্জাতিক সম্মান অর্জন এক অনন্য নজির স্থাপন করেছে। বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য বলেন, “ভারতের ইতিহাসে এমন কোনও প্রধানমন্ত্রী আসেননি যাঁর এত ব্যাপক আন্তর্জাতিক প্রভাব পড়েছে। এই সম্মান শুধুমাত্র মোদির নয়, এটি ভারতের অর্থনৈতিক উন্নয়ন, কূটনৈতিক স্পষ্টতা ও আত্মবিশ্বাসী বিদেশনীতির প্রকাশ। আজকের ভারত বিশ্বকে জানিয়ে দিয়েছে—আমাদের নীতিতে আমরা আপস করবো না। বিশ্ব সেটিকে সম্মান করছে, স্বীকারও করছে।”

    আন্তর্জাতিক সম্মানের তালিকা

    ২০১৬- সৌদি আরব মোদিকে তাদের সর্বোচ্চ জাতীয় সম্মান ‘কিং আবদুল-আজিজ শাহ’ সম্মানে ভূষিত করে। ওই বছরই আফগানিস্তানও মোদিকে ‘আমির আমানুল্লাহ খান পুরস্কার’-এ ভূষিত করে যা সেই দেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান।

    ২০১৮ – প্যালেস্তাইনে গ্র্যান্ড কলার অফ দ্য স্টেট অফ প্যালেস্তাইন সম্মানে ভূষিত হয়েছেন মোদি।

    ২০১৯ – মলদ্বীপ সরকারও ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে ‘রুল অফ নিসান ইজাউদ্দিন’ সম্মানে ভূষিত করেছে। ওই বছরই সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে গিয়ে মোদি সেই দেশের সর্বোচ্চ সম্মান ‘অর্ডার অফ জায়েদ’-এ ভূষিত হন। বাহরিন সরকার মোদিকে ‘কিং হামাদ অর্ডার অফ দ্য রেনেসাঁ’ ও তাঁকে এই সম্মান জানিয়েছে।

    ২০২০ – মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এই বছর মোদি পান ‘লিজিয়ন অফ মেরিট’ সম্মান।

    ২০২৩ – পাপুয়া নিউ গিনির সরকারের তরফেও তিনি পেয়েছেন গ্র্যান্ড কমপ্যানিয়ন অফ দ্য অর্ডার অফ লোগোহু সম্মান। এই সম্মাননা থেকে বাদ পড়েনি ইজিপ্টও। ২০২৩ সালে এই দেশ মোদিকে জানায় অর্ডার অফ দ্য নাইল সম্মান। এই বছর ফ্রান্সের তরফে মোদি পান ‘গ্র্যান্ড ক্রস অফ দ্য লিজিয়ন অফ অনার’ সম্মান এবং গ্রিসের থেকে পান ‘গ্র্যান্ড ক্রস অফ দ্য অর্ডার অফ অনার’ সম্মান।

    ২০২৪ – ভুটান সরকার নরেন্দ্র মোদিকে ভূষিত করে ‘অর্ডার অফ দ্য দ্রুক গ্যালপো’ সম্মানে। এই বছর আরও সম্মান পেয়েছেন মোদি। রাশিয়া জানিয়েছে ‘অর্ডার অফ সেন্ট অ্যান্ড্রু দ্য অ্যাপোসেল’ সম্মান, নাইজেরিয়া জানিয়েছে ‘গ্র্যান্ড কমান্ডার অফ দ্য অর্ডার অফ দ্য নাইজার’ সম্মান, ডোমিনিকা প্রজাতন্ত্র জানিয়েছে ‘ডোমিনিকা অ্যাওয়ার্ড অফ অনার’ এবং গুয়ানা সরকারের থেকে মোদি পেয়েছেন ‘অর্ডার অফ এক্সিলেন্স’ সম্মান। সবশেষে বার্বাডোজে গিয়ে মোদি পান ‘অনারারি অর্ডার অফ দ্য ফ্রিডম অফ বার্বাডোজ’ সম্মান।

    ২০২৫ – এই বছর ঘানা বাদে আরও ৪ দেশ সম্মানিত করেছে মোদিকে। কুয়েতের ‘দ্য অর্ডার অফ দ্য মুবারক আল কুবীর’ সম্মান, মরিশাসের ‘দ্য গ্র্যান্ড কমান্ডার অফ দ্য অর্ডার অফ দ্য স্টার অ্যান্ড কি অফ দ্য ইন্ডিয়ান ওশেন’ সম্মান এবং শ্রীলঙ্কা জানিয়েছে ‘দ্য মিত্র বিভূষণা’ সম্মান। ঘানার আগে সাইপ্রাসে গিয়েছিলেন মোদি। সেই দেশের সরকার তাঁকে ‘গ্র্যান্ড ক্রস অফ দ্য অর্ডার অফ ম্যাকারিকস থ্রি’ সম্মানে ভূষিত করেছে। এছাড়াও ত্রিনিদাদ-টোবাগো, ব্রাজিল, নামিবিয়া মোদিকে তাঁদের দেশের সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মানে ভূষিত করেছেন।

    দেশবাসীকে উৎসর্গ

    প্রতিবারই নিজের সম্মান দেশবাসীর সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। আন্তর্জাতিক মঞ্চেই জানিয়েছেন ১৪০ কোটি ভারতবাসীর পক্ষ থেকে এই সম্মান গ্রহণ করেছেন তিনি। একইসঙ্গে এই সম্মান-স্বীকৃতি ভারতের তরুণদের আকাঙ্ক্ষা, তাদের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ, ভারতের সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য ও ঐতিহ্যের প্রতি উৎসর্গ করেছেন মোদি।

LinkedIn
Share