Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Ford in India: ট্রাম্পের কথাকে গুরুত্বই দিল না মার্কিন সংস্থা! ভারতে ৩২৫০ কোটি টাকা লগ্নির ঘোষণা ফোর্ডের

    Ford in India: ট্রাম্পের কথাকে গুরুত্বই দিল না মার্কিন সংস্থা! ভারতে ৩২৫০ কোটি টাকা লগ্নির ঘোষণা ফোর্ডের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গুগল, অ্যাপলের পর এবার ফোর্ড (Ford Cars)! প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের (Donald Trump) কথা উপেক্ষা করে ভারতেই বিনিয়োগের কথা ঘোষণা করল আরও এক মার্কিন সংস্থা। তামিলনাড়ুর প্ল্যান্টে ফের লগ্নির কথা জানিয়েছে আমেরিকান গাড়ি প্রস্তুতকারক সংস্থা ফোর্ড মোটর্স কোম্পানি। ভারতে গাড়ির অত্যাধুনিক ইঞ্জিন তৈরির জন্য প্রাথমিক ভাবে ৩ হাজার ২৫০ কোটি টাকার লগ্নি করবে মার্কিন অটোমেকার সংস্থা। বিশ্ব বাণিজ্যের দোলাচল পরিস্থিতি, সেই সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ক্রমাগত ‘হুমকি’র মধ্যেই এই পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করেছে ফোর্ড।

    ট্রাম্পের কথা না শুনেই বিনিয়োগ

    তামিলনাড়ুর চেন্নাইয়ের কাছে অবস্থিত মারাইমালাই নগরে ম্যানুফ্যাকচারিং প্ল্যান্ট রয়েছে ফোর্ড মোটর্সের। কিন্তু গত চার বছর ধরেই এই প্ল্যান্ট রয়েছে বন্ধ। এক বছর আগে এই প্ল্যান্ট খোলার জন্য আগ্রহ দেখিয়েছিল ফোর্ড। কিন্তু এর মধ্যেই বিশ্ববাণিজ্যে জটিলতা তৈরি হয়। দ্বিতীয়বার প্রেসিডেন্ট পদে বসার পরেই ডোনাল্ড ট্রাম্প বিভিন্ন মার্কিন সংস্থাকে আমেরিকার মাটিতে উৎপাদনের জন্য চাপ দিতে শুরু করে। ভারতে বিনিয়োগ নিয়ে সরাসরি অসন্তোষও প্রকাশ করেছিলেন। তার পরেই ফোর্ডের বিনিয়োগের বিষয়টি থমকে ছিল। শুক্রবার ট্রাম্পের আপত্তিতে কর্ণপাত না করে ভারতে বিপুল অঙ্কের বিনিয়োগের ঘোষণা করল বিশ্বের প্রথম সারির অটোমেকার সংস্থা।

    ভারতে লগ্নি, খুশি মার্কিন সংস্থা

    ফোর্ড মোটর্স কোম্পানির আন্তর্জাতিক মার্কেটের প্রেসিডেন্ট জেফ ম্যারেনটিক বলেছেন, ‘ফোর্ডের ম্যানুফ্যাকচারিং নেটওয়ার্কে চেন্নাইয়ের প্ল্যান্ট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সেই প্ল্যান্টকে কাজ এগিয়ে নিয়ে যেতে পেরে আমরা খুশি।’ ফোর্ড তামিলনাড়ু সরকারের সঙ্গে ইতিমধ্যেই একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছে। কোম্পানি জানিয়েছে, প্রাথমিক বিনিয়োগ ৬০০ টিরও বেশি প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে। এই বছরের শেষ নাগাদ প্রকল্পের কাজ শুরু হবে। সম্পূর্ণরূপে সম্পন্ন হলে, এই প্ল্যান্টটি প্রতি বছর ২,৩৫,০০০ ইঞ্জিন উৎপাদনের ক্ষমতা রাখবে। অনুমান করা হচ্ছে যে ২০২৯ সালের মধ্যে এই প্ল্যান্টটি সম্পূর্ণরূপে চালু হবে। চেন্নাইয়ের প্ল্যান্টে মূলত গাড়ির ইঞ্জিন তৈরি করবে ফোর্ড। সেই প্ল্যান্টে থাকবে ইঞ্জিন তৈরির অত্যাধুনিক প্রযুক্তি এবং আধুনিক মানের গাড়ির ইঞ্জিন তৈরি করা হবে চেন্নাইয়ের প্ল্যান্টে। সেই সমস্ত ইঞ্জিন রফতানি করা হবে আন্তর্জাতিক বাজারে। তবে ভারতে তৈরি ইঞ্জিন আমেরিকায় পাঠাবে না ফোর্ড।

    মেক-ইন-ইন্ডিয়া স্বপ্ন সফলে এক ধাপ

    ট্রাম্পের নীতি আমেরিকান কোম্পানিগুলিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে এসে সেখানে উৎপাদন করতে চাপ দিচ্ছে। তা সত্ত্বেও ফোর্ডের মতো কোম্পানিগুলি ছাড়াও অ্যাপল ও গুগল এখন ভারতে বড় অঙ্কের বিনিয়োগ করছে। এটি স্পষ্টভাবে প্রমাণ করে যে, আমেরিকান কোম্পানিগুলি এখনও ভারতের দ্রুত বর্ধনশীল বাজারকে উচ্চ ব্যয় ও কঠোর বাণিজ্য নীতির একটি ভাল বিকল্প হিসেবে দেখছে। ফোর্ড শুক্রবার চেন্নাইতে উৎপাদন পুনরায় শুরু করার কথা জানিয়েছে। ২০২১ সালে ভারতীয় বাজারে কোম্পানির কাজ বন্ধ করার পর এই পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। এর ফলে চেন্নাইয়ের ওই প্ল্যান্টে সরাসরি শতাধিক কাজের সুযোগ তৈরি হবে। এর পাশাপাশি ওই প্ল্যান্টকে কেন্দ্র করে ইনডিরেক্ট এমপ্লয়মেন্টের বড় সম্ভাবনা তৈরি হবে। যা মেক-ইন-ইন্ডিয়া স্বপ্নকে আরও একধাপ এগিয়ে দেওয়ায় সহায়ক হবে।

  • Himanta Biswa Sarma: “কংগ্রেস নেতা গৌরব গগৈ পাকিস্তানের এজেন্ট”, বিস্ফোরক অসমের মুখ্যমন্ত্রী

    Himanta Biswa Sarma: “কংগ্রেস নেতা গৌরব গগৈ পাকিস্তানের এজেন্ট”, বিস্ফোরক অসমের মুখ্যমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “কংগ্রেস সাংসদ তথা লোকসভার ডেপুটি বিরোধী দলনেতা গৌরব গগৈ (Gaurav Gogoi) পাকিস্তানের এজেন্ট।” অন্তত এমনই গুরুতর অভিযোগ তুললেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা (Himanta Biswa Sarma)। একটি অনুষ্ঠানের ফাঁকে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “গৌরব গগৈ একজন পাকিস্তানি এজেন্ট। তিনি সম্পূর্ণরূপে পাকিস্তানের এজেন্ট। তাঁর সাহস থাকলে আমার বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করুন। গৌরব গগৈ পাকিস্তান ও আইএসআইয়ের নিযুক্ত চর। হ্যাঁ, আমি এ কথা বলছি একজন মুখ্যমন্ত্রী হিসেবেই।”

    অভিযোগের প্রমাণও রয়েছে (Himanta Biswa Sarma)

    তিনি জানান, তাঁর কাছে এই অভিযোগের পুঙ্খানুপুঙ্খ প্রমাণও রয়েছে। এটি যে কোনও নির্বাচনী ইস্যু নয়, তাও জানিয়ে দেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, “আমার মন্তব্যের পক্ষে সমস্ত প্রমাণ রয়েছে। আমার কাছে যথেষ্ট প্রমাণ আছে। যেদিন আমি তা প্রকাশ করব, সেদিন মানুষ বুঝতে পারবেন যে তিনি পাকিস্তানের এজেন্ট। বিদেশি শক্তি তাঁকে ভারতে নিয়োগ করেছে। আমি সব কথা প্রমাণ-সহই বলছি।” হিমন্ত বলেন, “২০২৬ সালে নির্বাচন রয়েছে। তা না হলে আমি কঠোর ব্যবস্থা নিতাম। কিন্তু এখন এমন ব্যবস্থা নিলে বিরোধীরা বলবেন, এটি নির্বাচনী ইস্যু। নইলে ওই সব প্রমাণের ভিত্তিতে তিনি এখন জেলেই থাকতেন।”

    রিপোর্ট জমা দিয়েছে

    প্রসঙ্গত, (Himanta Biswa Sarma) কংগ্রেস সাংসদ গৌরব গগৈ ও তাঁর ব্রিটিশ স্ত্রী এলিজাবেথ কোলবার্নের সঙ্গে পাকিস্তানের আইএসআই-ঘনিষ্ঠ এক নাগরিকের সম্পর্ক রয়েছে বলে অভিযোগ। সেই অভিযোগের তদন্ত করতে যে বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) গঠন করেছিল অসম সরকার, তারা মুখ্যমন্ত্রীর কাছে রিপোর্ট জমা দিয়েছে ১০ সেপ্টেম্বর। মুখ্যমন্ত্রী জানান, সিটের রিপোর্টে পাক নাগরিক আলি তওকির শেখ ও তার সহযোগীদের ভারত–বিরোধী কার্যকলাপ সম্পর্কে চমকপ্রদ তথ্য উন্মোচন করা হয়েছে। তিনি (Himanta Biswa Sarma) বলেন, “চলতি বছরের ১৭ ফেব্রুয়ারি অসম মন্ত্রিসভা পাক নাগরিক আলি তওকির শেখ ও তার সহযোগীদের ভারত–বিরোধী কার্যকলাপ তদন্তের জন্য সিট গঠন করেছিল (Gaurav Gogoi)। এই তদন্তেই সিট এমন চমকপ্রদ তথ্য উদ্ঘাটন করেছে, যা আমাদের দেশের সার্বভৌমত্বকে দুর্বল করার উদ্দেশ্যে বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের দিকে ইঙ্গিত করে।”

  • Australian Report: পাকিস্তানের মাথায় ঝুলছে মৃত্যুর খাঁড়া, হাতল রয়েছে ভারতের হাতে!

    Australian Report: পাকিস্তানের মাথায় ঝুলছে মৃত্যুর খাঁড়া, হাতল রয়েছে ভারতের হাতে!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঘুম ছুটেছে পাকিস্তানের! ভারতের সঙ্গে বৈরিতার ফল যে ভালো হবে না, উল্টে পরিণতি যে হবে ভয়ঙ্কর, ইতিমধ্যেই তা টের পেয়ে গিয়েছেন পাক সেনকর্তারা। অস্ট্রেলিয়ার (Australian Report) সিডনি থেকে প্রকাশিত নয়া এক রিপোর্টে প্রকাশিত একটি তথ্য থেকে (India) তামাম বিশ্ব জেনে গিয়েছে, বর্তমানে পাকিস্তানের টিকে থাকাটা সম্পূর্ণভাবে নির্ভর করছে ভারতের দয়ার ওপর।

    ‘ইকোলজিক্যাল থ্রেট রিপোর্ট ২০২৫’ (Australian Report)

    এবার ফেরা যাক মূল খবরে। সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ার ইনস্টিটিউট ফর ইকোনমিক্স অ্যা পিস তার ‘ইকোলজিক্যাল থ্রেট রিপোর্ট ২০২৫’-এ একটি চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ করেছে। তার পরেই ঘুম ছুটে গিয়েছে পাকিস্তানের। ওই রিপোর্টে পাকিস্তান সম্পর্কে যে বক্তব্যটি এসেছে, তাতে বলা হয়েছে, ভারত এখন এমন প্রযুক্তি তৈরি করেছে, যার সাহায্যে সিন্ধু নদের প্রবাহ বদলে দেওয়া সম্ভব, এবং এটি ঠেকানোর ক্ষমতা পাকিস্তানের নেই। উল্লেখ্য যে, অস্ট্রেলিয়ার ওই প্রতিষ্ঠান বিশ্বের সবচেয়ে সম্মানিত থিঙ্ক ট্যাঙ্কগুলির একটি। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, এটি আর পাঁচটি সাধারণ অ্যাকাডেমিক কোনও গবেষণা রিপোর্ট নয়। এটি পাকিস্তানের মাথার ওপর ঝুলে থাকা মৃত্যুদণ্ডের খাঁড়া, যার হাতল ধরা রয়েছে ভারতের হাতে। ইসলামাবাদের এই সঙ্কটটি এমন একটা সময়ে এসেছে, যখন পরিস্থিতি এর চেয়ে খারাপ হতে পারে না। দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে নৃশংস জঙ্গি হামলায় খুন হন ২৬ জন হিন্দু ভারতীয়। তার পরেই পাকিস্তানে অপারেশন সিঁদুর চালায় ভারত। এই অভিযানে পাকিস্তান এবং পাক-অধিকৃত কাশ্মীরের একাধিক জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংস করে ভারতীয় সেনা। এর পাশাপাশি ৬০ বছরেরও বেশি সময় ধরে পাকিস্তানের জলসম্পদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করত যে ১৯৬০ সালের সিন্ধু জলচুক্তি, তাও স্থগিত করে দেয় নয়াদিল্লি।

    সিন্ধু জলচুক্তি স্থগিত

    সিন্ধু জলচুক্তি স্থগিত হয়ে যাওয়ায় প্রমাদ গোণে পাকিস্তান। কারণ পাকিস্তানের ৮০ শতাংশ কৃষিজমি সম্পূর্ণভাবে সিন্ধু নদ থেকে সরবরাহ করা জলের ওপর নির্ভরশীল (Australian Report)। এই জল প্রবাহিত হয় ভারতের দিক থেকেই। পাকিস্তানের ঘনবসতিপূর্ণ সমতলভূমি, যেখানে কোটি কোটি মানুষ কৃষিকাজের ওপর নির্ভর করে বেঁচে রয়েছেন (India), তা পুরোপুরি এমন নদীগুলির জলের ওপর নির্ভরশীল, যেগুলি কোনও চুক্তি ভঙ্গ না করেই নিয়ন্ত্রণ করতে পারে ভারত। যদিও জঙ্গিদের মদত দেওয়ায় এবং সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় কোনও পদক্ষেপ না করায় জলচুক্তি স্থগিত করেছে ভারত। ইনস্টিটিউট ফর ইকোনমিক্স অ্যান্ড পিসের রিপোর্টে প্রকাশ্যে চলে এসেছে পাকিস্তানের দুর্বলতা। জানা গিয়েছে, ভারতের এই প্রতিবেশী শত্রু দেশটির কাছে মাত্র ৩০ দিনের জল সংরক্ষণের ক্ষমতা রয়েছে। এই পর্বে নদীর প্রবাহে কোনও বাধা সৃষ্টি হলে ভয়ঙ্কর জলসঙ্কটে পড়বে পাকিস্তান। যার জেরে পাকিস্তান মুখোমুখি হতে পারে

    ভালভ ঘুরিয়ে দিলেই কেল্লাফতে

    দুর্ভিক্ষ এবং অর্থনৈতিক অধঃপতনের (Australian Report)। স্থানীয় লোকজনও এলাকা ছেড়ে ভিড় করতে পারেন শহরে গিয়ে। যা বিশ্বের যে কোনও দেশের পক্ষেই হতে পারে বিপর্যয়ের একটি বড় কারণ। পাকিস্তানকে শিক্ষা দিতে গিয়ে ভারতকে খুব বেশি ‘নীচে’ নামতে হবে না। ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, শুধু গ্রীষ্মকাল বা কৃষি মরশুমের মতো সঙ্কটপূর্ণ সময়ে বাঁধ পরিচালনায় সামান্য পরিবর্তন আনলেই বিপর্যস্ত হয়ে যেতে পারে পাকিস্তানের কৃষিভিত্তিক অর্থনীতি। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, পাকিস্তানকে শিক্ষা দিতে গেলে দেশটির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করার প্রয়োজন নেই ভারতের। প্রয়োজন নেই মিসাইল খরচেরও। সীমান্তে সেনা পাঠিয়ে অকারণে উত্তেজনা বাড়ানোরও প্রয়োজন নেই। পাকিস্তানের (India) অর্থনীতির কোমর ভেঙে দিতে প্রয়োজন শুধু চাষের সময় স্রেফ বাঁধের কয়েকটি ভালভ ঘুরিয়ে দেওয়া (Australian Report)।

    ‘রান-অফ-দ্য-রিভার’

    রিপোর্টে দেখানো হয়েছে, এই পরিস্থিতি ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। ভারত যখন সিন্ধু জল-বণ্টন চুক্তি স্থগিত করে, তখন তারা পাকিস্তানের সঙ্গে কোনও পরামর্শ ছাড়াই চেনাব নদীর জল ছেড়ে দেয়। শুরুতে নদীর কিছু অংশ পুরোপুরি শুকিয়ে গিয়েছিল। পরে যখন ভারত হঠাৎ করে লকগেট খুলে দেয়, তখন কাদামাটি-মেশানো তীব্র স্রোত ধেয়ে আসে পাকিস্তানের দিকে। অসহায়ভাবে তা দেখতে হয় পাকিস্তানের নাগরিকদের। অস্ট্রেলিয়ার ওই সংস্থার রিপোর্টে স্পষ্ট বলা হয়েছে, ভারতের পশ্চিমাঞ্চলীয় নদীগুলির ওপর যেসব বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে, সেগুলি কোনও বিশাল জলাধার নয়। আদতে সেগুলি ‘রান-অফ-দ্য-রিভার’ প্রকল্প, যা স্থায়ীভাবে আটকে রাখতে পারে না জলপ্রবাহ। পাকিস্তানের চিন্তার কারণ হল, জল ছাড়ার জন্য লকগেট কখন খোলা হবে, বন্ধই বা করা হবে কখন, সেই সিদ্ধান্ত নেওয়ার রশি রয়েছে ভারতের হাতে। জল কখন ছাড়বে, কতক্ষণ ধরে জলপ্রবাহ বইবে, এসবই ঠিক করে ভারত। কারণ জলপ্রবাহ নিয়ন্ত্রণের চাবিকাঠি রয়েছে নয়াদিল্লির হাতেই। প্রসঙ্গত, ১৯৬০ সালের জলচুক্তি অনুযায়ী, ভারত প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল যে সিন্ধু, ঝিলম এবং চেনাব – পশ্চিমাঞ্চলীয় এই তিন নদীর জল পাকিস্তানের সঙ্গে ভাগ করে নেবে (India)। আর ভারতের নিয়ন্ত্রণে থাকবে পূর্বের তিন নদী-বিয়াস, রাভি ও শতদ্রু। চুক্তি স্থগিত হয়ে যাওয়ায় ভারতের আর সেই বাধ্যবাধকতা নেই। শীতের মরশুমে যার চড়া মাশুল গুণতে হতে পারে পাকিস্তানকে (Australian Report)।

    পাকিস্তানের অর্থনৈতিক অবস্থা

    এমনিতেই পাকিস্তানের অর্থনৈতিক অবস্থা শোচনীয়। শাসকরা সুখে রইলেও, আম-পাকিস্তানবাসীর অবস্থা করুণ। এই দিক থেকে জনগণের দৃষ্টি ঘোরাতে পাকিস্তান দীর্ঘদিন ধরেই ভারতের বিরুদ্ধে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে সন্ত্রাসবাদকে। জঙ্গিদের নিয়মিত রসদ এবং মদত জুগিয়ে মজিয়ে রেখেছে পাকস্তানের যুব সম্প্রদায়ের একটা বড় অংশকে। সেই কারণেই পাকিস্তানের বাজেটে জনকল্যাণমূলক বিভিন্ন প্রকল্পের ক্ষেত্রে যে পরিমাণ অর্থ বরাদ্দ করা হয়, তার চেয়ে ঢের বেশি অর্থ বরাদ্দ করা হয় প্রতিরক্ষা খাতে। তাই প্রতিরক্ষা খাতের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত লোকজন সুখে থাকলেও, পেটে ভিজে গামছা দিয়ে দিন গুজরান করেন পাকিস্তানের একটা বড় অংশের মানুষ। তার পরেও ইসলামাবাদের (পাকিস্তানের রাজধানী) ধারণা ছিল যে তাদের পারমাণবিক অস্ত্রভাণ্ডার ও জেহাদি প্রক্সিগুলির কারণে তারাই কৌশলগত দিক থেকে ভারতের চেয়ে এগিয়ে। পাকিস্তানের শীর্ষ কর্তাব্যক্তিরা ভাবতেই পারেননি যে, হাতে না মেরেও ভারত পাকিস্তানকে মারতে পারে আক্ষরিক অর্থেই ভাতে। জলসম্পদ ও পরিকাঠামো উন্নয়নে ভারত যে দীর্ঘমেয়াদি লগ্নি করে চলেছে, তা বুঝতেই পারেনি (Australian Report) পাকিস্তান।

    সবচেয়ে শক্তিশালী অ–সামরিক অস্ত্র

    ভারত বাঁধ তৈরি করেছে। গড়েছে জলবিদ্যুৎ প্রকল্প। ভারত এমন প্রযুক্তি তৈরি করেছে, যার মাধ্যমে নদীর জলপ্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করাও সম্ভব। সন্ত্রাসের নেশায় বুঁদ হয়ে থাকা পাকিস্তান বুঝতেই পারেনি যে ভারতের হাতে সে তুলে দিয়েছে সবচেয়ে শক্তিশালী অ–সামরিক অস্ত্রটি। এখন, অপারেশন সিঁদুর ও সিন্ধু জলচুক্তি স্থগিত হওয়ার পর পাকিস্তান মুখোমুখি হয়েছে ভয়ঙ্কর বাস্তবতার। এই বাস্তবতাটি হল ভারত একটিও গুলি না ছুড়ে ভেঙে ফেলতে পারে পাকিস্তানের নড়বড়ে (India) অর্থনীতির মেরুদণ্ড। চোখের সামনে সব কিছু ঘটতে দেখলেও, হাত গুটিয়েই বসে থাকতে হবে ইসলামাবাদকে (Australian Report)।

  • Financial Rule Change: ব্যাঙ্ক থেকে আধার, জিএসটি থেকে পেনশন, ১ নভেম্বর থেকে বদলে গেল এই নিয়মগুলি

    Financial Rule Change: ব্যাঙ্ক থেকে আধার, জিএসটি থেকে পেনশন, ১ নভেম্বর থেকে বদলে গেল এই নিয়মগুলি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শনিবার, ১ নভেম্বর থেকে বদলে গেল ব্যাঙ্কিং (Bank News) ও টাকা সংক্রান্ত নিয়ম (Financial Rule Change)। গ্রাহক হিসেবে আপনার জীবনেও পড়তে পারে একাধিক প্রভাব। পরিষেবা পেতে কি আরও বেশি খরচ হবে? ব্যাঙ্কিং নিয়ম থেকে আধার একাধিক ক্ষেত্রে বদলে যাচ্ছে ৫টি নিয়ম। আসুন দেখে নিই কোন কোন নিয়ম বদলে যাচ্ছে।

    এসবিআইতে অতিরিক্ত চার্জ (Financial Rule Change)

    ১ নভেম্বর থেকে স্টেট ব্যাঙ্কের ক্রেডিট কার্ড (Financial Rule Change) ব্যবহারকারীদের নির্দিষ্ট লেনদেনের ওপর অতিরিক্ত চার্জ দিতে হবে। ক্রেড বা মোবিকুইক-এর মতো তৃতীয় পক্ষের অ্যাপের মাধ্যমে করা শিক্ষা-সম্পর্কিত পেমেন্ট যেমন স্কুল বা কলেজের ফিতে ১ শতাংশ অতিরিক্ত চার্জ দিতে হবে। আবার যদি ১০০০ টাকার বেশি এসবিআই কার্ডের (Bank News) সঙ্গে একটি ডিজিটাল ওয়ালেট লোড অর্থাৎ পেটিএম বা ফোন-পে করেন তাহলে ১ শতাংশ ফি করে চার্জ দিতে হবে।

    আধার আপডেট

    শিশুদের জন্য আধার কার্ড আপডেটের ক্ষেত্রে ছাড় দিয়েছে ইউআইডিএআই। শিশুদের জন্য বায়োমেট্রিক আপডেট এখন সম্পূর্ণ বিনামূল্যে পরিষেবা দেওয়া হবে। তবে আধার কার্ডে প্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য নাম, ঠিকানা, জন্ম তারিখ বা মোবাইল নম্বর আপডেটের জন্য খরচ হবে ৭৫ টাকা। আঙুলের ছাপ বা চোখের স্ক্যান খরচ হবে ১২৫ টাকা। তবে কোনও প্রকার নথি ডাউনলোড না করেই মৌলিক বিবরণ- যেমন নাম, জন্ম তারিখ, ঠিকানা—আপডেট করতে করতে পারবেন।

    জিএসটিসিতে সুবিধা

    ১ নভেম্বর থেকে জিএসটি কাঠামোতে বড় পরিবর্তন হয়েছে। আগের চারটি স্ল্যাব ৫ শতাংশ, ১২ শতাংশ, ১৮ শতাংশ, ২৮ শতাংশ–কে আরও সরলীকরণ করা হয়েছে। ১২ শতাংশ এবং ২৮ শতাংশ স্ল্যাব বাদ দেওয়া হয়েছে। অতিরিক্ত, বিলাসবহুল এবং ক্ষতিকারক পণ্যের উপর এখন ৪০ শতাংশ পর্যন্ত জিএসটি হারে প্রযোজ্য হবে। সাধারণ মানুষকে সুবিধা দিতেই এই সরলীকরণ করা হয়েছে।

    লকারে মনোনয়ন সুবিধা

    ১ নভেম্বর থেকে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের (Bank News) জন্য মনোনয়ন নিয়ন্ত্রণকারী নিয়মগুলিকে (Financial Rule Change) সংশোধন করা হয়েছে। এখন একটি সিঙ্গেল অ্যাকাউন্ট, লকার, নিরাপদ করতে সর্বাধিক চারজন মনোনীত করা যেতে পারে। মনোনীত ব্যক্তির নাম সংযোজন করবে। ফলে আপদকালীন পরিস্থিতিতে এই তহবিল থেকে সব এক্সেসকে সহজ করা হবে।

    পেনশনে সুবিধা

    তবে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের জন্য বিশেষ সুখবর বার্তা রয়েছে। জাতীয় পেনশন ব্যবস্থায় ইউনিফায়েড পেনশন স্কিমকে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। এই পরিষেবায় যে সব গ্রাহকরা সুবিধা পেতে চান, দ্রুত আবেদন করতে পারবেন। আগামী ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছে। অতিরিক্ত সময়ে কর্মীরা নিজেদের বিকল্পগুলিকে পর্যালোচনা করে পরিকল্পনা করার বিশেষ সুযোগ পাবেন।

  • NDA: বিহার নির্বাচনের আগে ইস্তেহার প্রকাশ এনডিএর, কী কী প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে জানেন?

    NDA: বিহার নির্বাচনের আগে ইস্তেহার প্রকাশ এনডিএর, কী কী প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দোরগোড়ায় বিহার বিধানসভা নির্বাচন। ভোট হবে দু’দফায়। প্রথম দফার নির্বাচনের আগেই ইস্তেহার (Bihar Manifesto) প্রকাশ করল বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ (NDA) জোট। এই ইস্তেহারে এক কোটি সরকারি চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে নারীর ক্ষমতায়ন প্রকল্পগুলির ওপরও। ইস্তেহারে বলা হয়েছে, এক কোটি নারীকে ‘লাখপতি দিদি’ বানানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। পরিকাঠামো নির্মাণের বড় পরিকল্পনা হিসেবে বিহারে চারটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও সাতটি এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হয়েছে।

    এনডিএর ইস্তেহার (NDA)

    এনডিএর ওই ইস্তেহারে আরও বলা হয়েছে, ৫০ লাখ নতুন পাকা বাড়ি নির্মাণ করা হবে। বিনামূল্যে দেওয়া হবে রেশন। নিখরচায় বিদ্যুৎ মিলবে ১২৫ ইউনিট। ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত বিনামূল্যে চিকিৎসা পরিষেবাও পাওয়া যাবে। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার অধীনে সামাজিক নিরাপত্তা পেনশনও দেওয়া হবে। শুক্রবার সকালে পাটনায় বিজেপির সভাপতি জেপি নাড্ডা ও মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার প্রকাশ করেন ইস্তেহারটি। বিজেপির নেতৃত্বাধীন এই জোটে রয়েছে জেডিইউ, চিরাগ পাসওয়ানের এলজেপি এবং অন্য কয়েকটি রাজনৈতিক দল।

    জোর কর্মসংস্থানে

    এনডিএর ইস্তেহারে জোর দেওয়া হয়েছে কর্মসংস্থানের ওপরও। এ রাজ্যের যুব সমাজের একটা বড় অংশ ফি বছর দেশের বিভিন্ন প্রান্তে যান কাজের খোঁজে। ফের ক্ষমতায় এলে এনডিএ প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, তারা স্কিল সেনসাস পরিচালনা করবে, যার মাধ্যমে প্রত্যেক তরুণকে দক্ষতা-ভিত্তিক কর্মসংস্থানের সুযোগ দেওয়া হবে (NDA)। ইস্তেহারে বলা হয়েছে, “আমরা বিহারকে একটি গ্লোবাল স্কিলিং সেন্টার হিসেবে গড়ে তুলব। প্রতিটি জেলায় তৈরি করা হবে মেগা স্কিল সেন্টার।” বিহার স্পোর্টস সিটি ও অন্যান্য বিভাগে বিভিন্ন ‘সেন্টার অফ এক্সেলেন্স’ তৈরি করার প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হয়েছে ওই ইস্তেহারে (Bihar Manifesto)।

    ‘লাখপতি দিদি’

    এনডিএ সরকার মহিলাদের কর্মসংস্থানের ওপরও বিশেষ জোর দিয়েছে। ইস্তেহারে এনডিএর প্রতিশ্রুতি, মুখ্যমন্ত্রীর মহিলা কর্মসংস্থান স্কিমের মাধ্যমে তাঁদের সর্বোচ্চ ২ লাখ টাকা পর্যন্ত আর্থিক সাহায্য দেওয়া হবে। এক কোটি ‘লাখপতি দিদি’ তৈরি করার আশ্বাসও দেওয়া হয়েছে। এর অর্থ হল, মহিলাদের বছরে অন্তত এক লাখ টাকা আয় করতে সক্ষম করে তোলা হবে (NDA)। ‘মিশন কোটিপতি’র মাধ্যমে মহিলা উদ্যোক্তাদের মধ্যে থেকে কোটিপতি উদ্যোক্তা তৈরির লক্ষ্যমাত্রাও ধার্য করেছে এনডিএ। সরকার সাতটি এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ এবং ৩ হাজার ৬০০ কিলোমিটার রেলপথ আধুনিকীকরণের পরিকল্পনাও করেছে। পাটনা, দ্বারভাঙা, পূর্ণিয়া ও ভাগলপুরে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এবং চারটি শহরে মেট্রো নেটওয়ার্ক তৈরি করা হবে। আরও ১০টি শহরে বিমান যোগাযোগ সম্প্রসারণের পরিকল্পনাও রয়েছে।

    নয়া শিল্পপার্ক নির্মাণ

    প্রতিটি জেলায় কারখানা ও ১০টি নতুন শিল্পপার্ক নির্মাণেরও প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে ইস্তেহারে। জোট আবার ক্ষমতায় ফিরলে কমপক্ষে ১০০টি এমএসএমই পার্ক এবং ৫০ হাজারেরও বেশি কুটির শিল্প স্থাপন করা হবে বলেও প্রতিশ্রুতি দিয়েছে এনডিএ (NDA)। একটি প্রতিরক্ষা করিডর এবং সেমিকন্ডাক্টর ম্যানুফ্যাকচারিং পার্ক নির্মাণের প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি একটি বিশ্বমানের মেডিসিটি এবং প্রতিটি জেলায় একটি করে মেডিকেল কলেজ গড়ে তোলার আশ্বাসও দেওয়া হয়েছে। এনডিএ আরও প্রতিশ্রুতি দিয়েছে যে বিহারকে দক্ষিণ এশিয়ার টেক্সটাইল ও রেশমের কেন্দ্র হিসেবেও প্রতিষ্ঠা করা হবে (Bihar Manifesto)।

    ‘এডুকেশন সিটি’

    ইস্তেহারে কৃষকদের জন্যও রয়েছে একাধিক বড় প্রতিশ্রুতি। সব রকম ফসলের জন্য ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের (MSP) নিশ্চয়তার পাশাপাশি নতুন ‘কর্পুরি ঠাকুর কৃষক সম্মান নিধি’ প্রকল্পের আওতায় কৃষকদের ৩ হাজার করে টাকা দেওয়া হবে। এর ফলে কৃষকদের মোট বার্ষিক আর্থিক সাহায্যের পরিমাণ ৬ হাজার টাকা থেকে বেড়ে হবে ৯ হাজার টাকা। জেলেদের সাহায্যের পরিমাণও ৪,৫০০ থেকে বাড়িয়ে করা হবে ৯ হাজার টাকা। রাজ্যের কৃষি পরিকাঠামো উন্নয়নে ১ লাখ কোটি টাকার বিনিয়োগ নিশ্চিত করা হবে (NDA)। ‘এডুকেশন সিটি’ নির্মাণ এবং বিশ্বের শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালয়গুলির ক্যাম্পাস খোলার পরিকল্পনাও করেছে এনডিএ। দরিদ্র পরিবারের শিক্ষার্থীদের জন্য ‘কেজি থেকে পিজি’ সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ও মানসম্পন্ন শিক্ষার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। বিদ্যালয়গুলিতে মধ্যাহ্নভোজের সঙ্গে সঙ্গে পুষ্টিকর প্রাতঃরাশও দেওয়া হবে।

    তফসিলি জাতির জন্য

    তফসিলি জাতি শিক্ষার্থীদের জন্য প্রতিটি সাব-ডিভিশনে তৈরি করা হবে আবাসিক স্কুল। উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করেছেন এমন এসসি শিক্ষার্থীদের প্রতি মাসে ২ হাজার টাকা করে ভাতা দেওয়া হবে। একেবারে পিছিয়ে পড়া সম্প্রদায়ের শিক্ষার্থীরা সর্বোচ্চ ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত আর্থিক সাহায্য পাবেন (Bihar Manifesto)। এনডিএর প্রতিশ্রুতি, সীতার জন্মস্থান মিথিলাকে ‘সীতাপূরম’ নামে একটি বিশ্বমানের আধ্যাত্মিক নগরীতে পরিণত করা হবে। বিষ্ণুপদ ও মহাবোধি করিডর নির্মাণ, এবং রামায়ণ, জৈন, বৌদ্ধ ও গঙ্গা সার্কিট গড়ে তোলাও রয়েছে এনডিএর নির্বাচনী ইস্তেহারে (NDA)।

  • SIR: নির্বাচন কমিশনের বিশেষ উদ্যোগ, ১২ রাজ্যে ভোটার তালিকা পুনর্বিবেচনায় ২০০৩-০৪ সালের তালিকাই ‘মূল ভিত্তি’

    SIR: নির্বাচন কমিশনের বিশেষ উদ্যোগ, ১২ রাজ্যে ভোটার তালিকা পুনর্বিবেচনায় ২০০৩-০৪ সালের তালিকাই ‘মূল ভিত্তি’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশে জুড়ে শুরু হয়েছে এসআইআর। ভোটার তালিকা পুনর্বিবেচনা প্রক্রিয়া চলছে ১২টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে, যার মধ্যে রয়েছে রাজনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ রাজ্য—উত্তরপ্রদেশ, পশ্চিমবঙ্গ, তামিলনাড়ু, ছত্তিশগড়, রাজস্থান ও গুজরাট। এই প্রক্রিয়া আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে ২৭ অক্টোবর রাত ১২টার পর। শুরু হতে চলেছে বাড়ি-বাড়ি গিয়ে ভোটার তথ্য যাচাইয়ের অভিযান। ফেব্রুয়ারি ২০২৬-এর মধ্যে চূড়ান্ত সংশোধিত তালিকা প্রকাশের লক্ষ্য নিয়েছে কমিশন। এই উদ্যোগের সবচেয়ে আলোচিত দিক হলো, নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত—২০০৩-০৪ সালের ভোটার তালিকাকে “বেসলাইন” বা মূল ভিত্তি হিসেবে ব্যবহার করা।

    কেন ২০০৩-০৪ সালকে ভিত্তি ধরা হলো?

    কমিশনের ব্যাখ্যা অনুযায়ী, ২০০২-০৩ ও ২০০৩-০৪ সালে দেশব্যাপী শেষবারের মতো একটি ব্যাপক ভোটার যাচাই অভিযান হয়েছিল, যখন প্রথমবার ভোটার নিবন্ধন প্রক্রিয়া ডিজিটাল পদ্ধতিতে রূপান্তরিত হয়। সেই সময়কার ডেটা কমিশনের মতে সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য ও যাচাইযোগ্য নথি। এক কমিশন কর্মকর্তা বলেন, “২০০৪ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে ভারতের জনসংখ্যা প্রায় ৩০ কোটি বেড়েছে। অভ্যন্তরীণ অভিবাসন, নগরায়ণ ও জনবিন্যাসের ব্যাপক পরিবর্তনের কারণে পুরনো তালিকার সঙ্গে তুলনা করলেই বোঝা যাবে কোথায় দ্বৈত নাম, মুছে যাওয়া ভোটার বা জনসংখ্যাগত অস্বাভাবিকতা রয়েছে।” তবে কমিশন স্পষ্ট করেছে—২০০৩-০৪ সালের তালিকা শুধুই তুলনামূলক রেফারেন্স হিসেবে ব্যবহৃত হবে, কোনো নাগরিকের ভোটাধিকার নির্ধারণে এটি চূড়ান্ত ভিত্তি নয়।

    কীভাবে চলছে যাচাই প্রক্রিয়া?

    ১. বিদ্যমান তালিকা ফ্রিজ: ২৭ অক্টোবর মধ্যরাতের পর থেকে বর্তমান ভোটার তালিকায় কোনো পরিবর্তন করা যাবে না।
    ২. ঘরে ঘরে যাচাই: বুথ লেভেল অফিসার (BLO) তিন দফা বাড়ি-বাড়ি গিয়ে বয়স, ঠিকানা, নাগরিকত্ব ও নথিপত্র যাচাই করবেন।
    ৩. পুরনো নাম স্বয়ংক্রিয় নিশ্চিতকরণ: ২০০৩-০৪ সালের তালিকায় যাদের নাম রয়েছে, তাদের নতুন করে কোনো নথি দিতে হবে না।
    ৪. নতুন ভোটারদের জন্য কাগজপত্র: ২০০৪ সালের পর যাদের নাম যুক্ত হয়েছে, তাদের বয়স, অভিভাবকত্ব ও নাগরিকত্বের প্রমাণপত্র দিতে হবে।
    ৫. চূড়ান্ত প্রকাশ: শুনানি ও আপত্তি নিষ্পত্তির পর ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে নতুন তালিকা প্রকাশ করা হবে।

    নাগরিকত্ব বিতর্কের ছায়া

    কমিশন যদিও জানিয়েছে এই পদক্ষেপের সঙ্গে নাগরিকত্ব যাচাইয়ের কোনো সম্পর্ক নেই, তবু পশ্চিমবঙ্গ, বিহার ও অসমের সীমান্তবর্তী জেলাগুলোয়—যেমন মুর্শিদাবাদ, মালদা, উত্তর ২৪ পরগনা ও কিশানগঞ্জে—এই সিদ্ধান্ত নতুন করে বিতর্ক জাগিয়েছে। অনেকে মনে করছেন, এটি জাতীয় নাগরিকপঞ্জি (NRC) ও নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (CAA)-এর বিতর্ককে ফের উস্কে দিতে পারে। নির্বাচন কমিশনের বক্তব্য, “২০০৩-০৪ সালে কারও নাম না থাকায় তাকে ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হবে না। এটি কেবল তথ্য যাচাইয়ের উদ্যোগ, নাগরিকত্ব যাচাইয়ের নয়।”

    উচ্চ সতর্কতায় পশ্চিমবঙ্গ, উত্তরপ্রদেশ ও তামিলনাড়ু

    এই ১২ রাজ্যের মধ্যে কয়েকটি রাজ্যকে “হাই স্ক্রুটিনি জোন” হিসেবে চিহ্নিত করেছে কমিশন। পশ্চিমবঙ্গের ২,২০০ কিমি দীর্ঘ বাংলাদেশ সীমান্ত, উত্তরপ্রদেশ ও বিহারের অভ্যন্তরীণ অভিবাসন, তামিলনাড়ু ও ছত্তিশগড়ের শিল্পাঞ্চলে জনবসতি পরিবর্তন—সবই এই সিদ্ধান্তের পেছনে যুক্তি হিসেবে ধরা হয়েছে। কমিশন রাজ্যগুলিকে নির্দেশ দিয়েছে স্বচ্ছ প্রক্রিয়া বজায় রাখতে এবং ভোটার তালিকা থেকে নাম বাদ বা যোগ করার আগে সর্বজনীন শুনানি আয়োজন করতে।

    কমিশনের বার্তা: “এটি রাজনৈতিক নয়, প্রযুক্তিগত পদক্ষেপ”

    জাতীয় নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, এই উদ্যোগের মূল উদ্দেশ্য হলো ভারতের ৯৫ কোটির বেশি ভোটারের তালিকাকে আরও নির্ভুল করা। কমিশনের আহ্বান—সব ভোটার যেন এনভিএসপি পোর্টাল বা মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে নিজেদের নাম যাচাই করেন এবং বিএলও-দের সঙ্গে সহযোগিতা করেন। কমিশন সতর্ক করেছে, নির্ধারিত সময়ে যাচাই না করলে নাম সাময়িকভাবে স্থগিত হতে পারে, তবে প্রতিটি ক্ষেত্রে আপিলের সুযোগ থাকবে। যদিও নির্বাচন কমিশন বারবার বলছে এটি একটি “ডেটা ভেরিফিকেশন এক্সারসাইজ”, রাজনৈতিকভাবে পশ্চিমবঙ্গ, তামিলনাড়ু ও উত্তরপ্রদেশের মতো রাজ্যে এই পদক্ষেপের সময়কাল এবং প্রেক্ষাপট একে নতুন মাত্রা দিয়েছে। ফেব্রুয়ারি ২০২৬-এর মধ্যে যদি এই প্রক্রিয়া সফলভাবে সম্পন্ন হয়, তবে এটি ভবিষ্যতে দেশজুড়ে ভোটার তালিকা রক্ষণাবেক্ষণের নতুন মডেল হয়ে উঠতে পারে—এমনটাই আশা করছে নির্বাচন কমিশন।

  • Assam: কংগ্রেসের বৈঠকে নেতারা গাইলেন বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত, রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা দায়েরের নির্দেশ হিমন্তের

    Assam: কংগ্রেসের বৈঠকে নেতারা গাইলেন বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত, রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা দায়েরের নির্দেশ হিমন্তের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কংগ্রেসের দলীয় বৈঠকে নেতারা গাইলেন বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত (National Anthem) ‘আমার সোনার বাংলা’। ঘটনায় তোলপাড় অসমের (Assam) রাজনীতি। এবার এই ঘটনায় জড়িত শ্রীভূমি জেলার কংগ্রেস নেতাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা দায়ের করার জন্য পুলিশকে নির্দেশ দিলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী বিজেপির হিমন্ত বিশ্বশর্মা।

    হিমন্ত বিশ্বশর্মার বক্তব্য (Assam)

    সাংবাদিক সম্মেলনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “এই ঘটনা ভারতের প্রতি এবং ভারতের জাতীয় সঙ্গীতের প্রতি এক প্রকাশ্য অসম্মান। বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত গেয়ে কংগ্রেস আসলে বাংলাদেশে কিছু মানুষের সেই ধারণাকেই সমর্থন করছে, যে ভারতের সমগ্র উত্তর-পূর্বাঞ্চল নাকি তাদের দেশের অংশ।” মুখ্যমন্ত্রী জানান, তিনি পুলিশকে সংশ্লিষ্ট নেতাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের এবং গ্রেফতার করার নির্দেশ দিয়েছেন। শ্রীভূমি শহরে কংগ্রেসের সেবা দলের বৈঠক হয় মঙ্গলবার। বৈঠকের একটি ভিডিও ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেখানে দেখা যায় বছর পঁচাশির এক ব্যক্তি গানটির দু’টি লাইন গাইছেন। ভিডিওতে এও দেখা গিয়েছে, গায়ক দাঁড়িয়ে গান করলেও, অন্যান্যরা সবাই বসে ছিলেন। গানটি রচনা করেছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। ভারতের জাতীয় সঙ্গীতের রচয়িতাও তিনিই।

    কী বলল কংগ্রেস

    কংগ্রেসের (Assam) অভিযোগ, বিজেপি মানুষকে ভুল পথে চালিত করতে অযথা বিতর্কের সৃষ্টি করছে। শ্রীভূমি জেলা কংগ্রেসের সভাপতি তাপস পুরকায়স্থ বলেন, “রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে নিয়ে রাজনীতি করবেন না। আমাদের পঁচাশি বছর বয়সী কবি বিধুভূষণ দাস গানটির মাত্র দু’টি লাইন গেয়েছেন।” তাঁর দাবি, গানটিকে অপমান করা মানে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে অপমান করা। অসমের কংগ্রেস সভাপতি গৌরব গগৈ বলেন, “বিজেপি ইচ্ছাকৃতভাবে পরিস্থিতিকে রাজনৈতিক রূপ দিচ্ছে এবং গানটির পেছনের সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটকে উপেক্ষা করছে।” তিনি বলেন, “বিজেপি বাংলা সংস্কৃতির প্রতি সম্মান প্রদর্শনের দাবি করলেও তাদের আচরণ বারবার বাংলা ভাষা ও বাঙালি জনগণের প্রতি অপমানজনক হয়ে উঠেছে।”

    গৌরবের (Assam) বক্তব্যের প্রেক্ষিতে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “কংগ্রেস সভাপতির উচিত ছিল দলীয় নেতাদের পক্ষ নেওয়ার বদলে তাঁদের তৎক্ষণাৎ বহিষ্কার করা। কারণ তাঁরা বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত গেয়েছেন।” তিনি বলেন, “এটি পাকিস্তান সরকারের একটি পরিকল্পনা। কয়েক দিন আগে (National Anthem) পাকিস্তান মহম্মদ ইউনূসকে একটি উপহার দিয়েছে, যেখানে ত্রিপুরা ও অসমকে বাংলাদেশের অংশ হিসেবে দেখানো হয়েছে।” তিনি বলেন, “এই কংগ্রেস পাকিস্তান ও বাংলাদেশের ‘ডট ডট’ দল। খারাপ শব্দটি আমি বলতে চাই না।”

  • Rashtriya Ekta Divas: দেশবাসীকে রাষ্ট্রীয় একতা দিবসের শপথের পাঠ দিলেন প্রধানমন্ত্রী, কী বললেন জানেন?

    Rashtriya Ekta Divas: দেশবাসীকে রাষ্ট্রীয় একতা দিবসের শপথের পাঠ দিলেন প্রধানমন্ত্রী, কী বললেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুক্রবার মর্যাদার সঙ্গে দেশজুড়ে পালিত হল সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের (Sardar Patel) ১৫০তম জন্মবার্ষিকী। দিনটি ‘রাষ্ট্রীয় একতা দিবস’ (Rashtriya Ekta Divas) হিসেবে পরিচিত। এদিন এই উপলক্ষে হয়েছে ‘রান ফর ইউনিটি’ও। যা দেশবাসীর মনে ফের একবার জাগিয়ে তুলল দেশপ্রেম, ঐক্য, অখণ্ড ভারত এবং আত্মনির্ভরতার সেই অদম্য চেতনাকে, যে স্বপ্ন একদিন দেখেছিলেন ভারতের লৌহমানব প্যাটেল। এদিন দিল্লিতে অনুষ্ঠানের পাশাপাশি গুজরাটের নানদিয়ায় ‘স্ট্যাচু অফ ইউনিটি’তেও হয়েছে বিশেষ অনুষ্ঠান। স্বাধীন ভারতের স্থপতি এই মহান ব্যক্তিত্বকে কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করল তামাম ভারত, যিনি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র দেশীয় রাজ্যকে একসূত্রে গেঁথে দিয়েছিলেন।

    প্যাটেলকে শ্রদ্ধা রাষ্ট্রপতির (Rashtriya Ekta Divas)

    দিল্লির প্যাটেল চকের অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু জাতির পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন সর্দার প্যাটেলকে। প্যাটেলের প্রতিমূর্তিতে মাল্যদান করেন তিনি। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী রেখা গুপ্ত এবং লেফটেন্যান্ট গভর্নর ভিকে স্যাক্সেনা। তাঁরা শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন এই ‘লৌহ মানবে’র কৃতিত্বের গাথা। তাঁদের মতে, ৫৬০টিরও বেশি দেশীয় রাজ্যকে একত্রিত করে সার্বভৌম ও ঐক্যবদ্ধ ভারতের ভিত্তি স্থাপন করেছিলেন তিনি।

    ‘স্ট্যাচু অফ ইউনিটি’

    এদিন কেন্দ্রীয় অনুষ্ঠানটি হয় ‘স্ট্যাচু অফ ইউনিটি’তে (Sardar Patel)। ১৮২ মিটার উঁচু প্যাটেলের এই মূর্তিটি বিশ্বের সর্বোচ্চ মূর্তি হিসেবে পরিচিত। ২০১৮ সালে এই মূর্তির উদ্বোধন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এদিনের অনুষ্ঠানে তিনি দেশবাসীকে দেন রাষ্ট্রীয় একতা দিবসের শপথের পাঠ। লৌহমানবকে শ্রদ্ধা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমি অঙ্গীকার করছি যে, দেশের ঐক্য, অখণ্ডতা এবং নিরাপত্তা রক্ষায় নিজেকে নিবেদিত রাখব। আমি দেশবাসীর মধ্যেও এই বার্তা ছড়িয়ে দেওয়ার সর্বাত্মক চেষ্টা করব। সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের দূরদৃষ্টি ও কঠোর পরিশ্রম যে জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠা করেছে, তার চেতনায় আমি এই শপথ গ্রহণ করছি। আমার দেশ যেন অভ্যন্তরীণভাবে নিরাপদ থাকে, সে জন্যও আমি সর্বোচ্চ দায়িত্ব পালন করব (Sardar Patel)।”

    একতা প্যারেড

    এদিনের অনুষ্ঠানের প্রধান আকর্ষণ ছিল একতা প্যারেড। এটি পরিচালনা করেন মহিলা বাহিনীর সদস্যরা। এটি ভারতের শক্তি, অন্তর্ভুক্তি এবং জাতীয় চরিত্রের প্রতীক (Rashtriya Ekta Divas)। প্যারেডটির নেতৃত্ব দেন গুজরাট ক্যাডারের আইপিএস কর্তা সিমরন ভরদ্বাজ। এটি প্যাটেলের আজীবন সমর্থিত শৃঙ্খলা, নিষ্ঠা ও জনসেবার আদর্শকে প্রতিফলিত করে। এই ভারতীয় সিভিল সার্ভিসকে দেশকে শক্ত ভিত্তি দেওয়ার ‘ইস্পাত কাঠামো’ হিসেবে কল্পনা করেছিলেন তিনি।

    ‘ঐক্যের প্রধান চালিকাশক্তি’

    প্যাটেলকে ‘ঐক্যের প্রধান চালিকাশক্তি’ বলে উল্লেখ করে এক্স হ্যান্ডেলে প্রধানমন্ত্রী লেখেন, “সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের ১৫০তম জয়ন্তীতে ভারত তাঁকে শ্রদ্ধা জানাচ্ছে। ভারতকে (Sardar Patel) একীভূত করার পেছনে তিনি ছিলেন মূল চালিকাশক্তি, যিনি স্বাধীনতার পর দেশের ভাগ্যগঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। জাতীয় ঐক্য, সুশাসন এবং জনসেবার প্রতি তাঁর অটল অঙ্গীকার আজও প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করে। আমরা তাঁর স্বপ্ন—একতাবদ্ধ, শক্তিশালী এবং আত্মনির্ভর ভারতের—পক্ষে আমাদের সম্মিলিত অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করছি।” তিনি মনে করিয়ে দেন, স্বাধীনতার পরের অস্থির বছরগুলিতে কীভাবে সর্দার প্যাটেলের সাহস ও প্রশাসনিক দূরদৃষ্টি ভারতকে ভেঙে পড়া থেকে রক্ষা করেছিল। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “যে সময় বিভাজনের হুমকি আমাদের সদ্য স্বাধীন দেশের আত্মাকে নাড়িয়ে দিচ্ছিল, সেই সময় সর্দার প্যাটেলের দৃঢ়তা ও দেশপ্রেমই নিশ্চিত করেছিল যে ভারত এক ও অভিন্ন থাক (Rashtriya Ekta Divas)।”

    অমিত শাহের বক্তব্য

    কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, “তাঁর জন্মবার্ষিকীতে, জাতীয় ঐক্য, অখণ্ডতা এবং কৃষকদের ক্ষমতায়নের প্রতীক লৌহমানব সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলজিকে কৃতজ্ঞ জাতির পক্ষ থেকে আমি শ্রদ্ধা জানাই।” তিনি আরও বলেন, “সর্দার সাহেব দেশীয় রাজ্যগুলিকে একত্রিত করে দেশের ঐক্য ও নিরাপত্তা মজবুত করেছিলেন এবং কৃষক, অনগ্রসর শ্রেণি ও বঞ্চিতদের সমবায়ের সঙ্গে যুক্ত করে দেশকে স্বনিযুক্তি ও আত্মনির্ভরতার পথে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন। তাঁর দৃঢ় বিশ্বাস ছিল—দেশের উন্নয়নের কেন্দ্রবিন্দু হল কৃষকের সমৃদ্ধি। সর্দার সাহেব যে দেশকে ন্যায় ও ঐক্যের নীতিতে বেঁধে গড়ে তুলেছিলেন, সেই দেশকে রক্ষা করা প্রতিটি দেশপ্রেমিকের দায়িত্ব (Rashtriya Ekta Divas)।”

    সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল

    প্রসঙ্গত, ১৮৭৫ সালের ৩১ অক্টোবর গুজরাটের নাডিয়ায় জন্মগ্রহণ করেন সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল। মহাত্মা গান্ধীর ঘনিষ্ঠ সহচর প্যাটেল তাঁর কৌশলগত মেধা ও প্রশাসনিক দক্ষতার জন্য “ভারতের লৌহমানব” অভিধায় ভূষিত হন (Sardar Patel)। স্বাধীনতার পর ভারতের প্রথম উপ-প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে তিনি ৫৬০টিরও বেশি দেশীয় রাজ্যকে একত্রিত করে এক জাতিতে পরিণত করার দুরূহ চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছিলেন। তাঁর কূটনৈতিক দক্ষতা ও দৃঢ় সংকল্প ভারতকে একটি একক, সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তুলেছে। তাঁর দূরদৃষ্টি আধুনিক ভারতের রাজনৈতিক ঐক্য, প্রশাসনিক শৃঙ্খলা ও জাতীয় পরিচয়ের ভিত্তি স্থাপন করে বই কি (Rashtriya Ekta Divas)!

  • Tourism Vision 2029: ‘ট্যুরিজম বুস্ট ভিশন ২০২৯’, কেন্দ্রের এই লক্ষ্য সম্পর্কে জানেন কি?

    Tourism Vision 2029: ‘ট্যুরিজম বুস্ট ভিশন ২০২৯’, কেন্দ্রের এই লক্ষ্য সম্পর্কে জানেন কি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২৯ সালের মধ্যে দেশের ৫০টি দেশীয় পর্যটনস্থলকে বিশ্বমানের আকর্ষণীয় গন্তব্যস্থলে রূপান্তরিত করার উদ্যোগ নিয়েছে ভারত সরকার। ‘ট্যুরিজম বুস্ট ভিশন ২০২৯’ (Tourism Vision 2029) নামে মোদি সরকারের এই পরিকল্পনার মূল উদ্দেশ্যই হল দেশের প্রতিটি অঞ্চলে সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং আধুনিক পরিকাঠামোর সমন্বয়ে (Indias Heritage) এক নতুন বৈশ্বিক ভাবমূর্তি গড়ে তোলা।

    এক মাসের মধ্যে সম্ভাব্য পর্যটনস্থলের নাম (Tourism Vision 2029)

    জানা গিয়েছে, এই প্রকল্পে প্রতিটি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলকে এক মাসের মধ্যে সম্ভাব্য পর্যটনস্থলের নাম প্রস্তাব করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নির্বাচিত জায়গাগুলিতে তিন থেকে চার বছরের মধ্যে ব্যাপক উন্নয়ন হবে। এই উন্নয়ন একটি কেন্দ্রীয় নীতির ভিত্তিতে পরিচালিত হবে, যেখানে মজবুত উন্নয়ন, সহজলভ্যতা এবং দর্শনার্থীর অভিজ্ঞতা – এই তিনটি বিষয়ে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হবে। কাশ্মীরের তুষারাবৃত উপত্যকা থেকে কেরালার শান্ত ব্যাকওয়াটার, গুজরাটের উপকূলীয় ঐতিহ্য থেকে অসমের সবুজ পাহাড় -এই উদ্যোগের মাধ্যমে ভারতের বৈচিত্র্যকে এক ঐক্যবদ্ধ উৎকর্ষের দৃষ্টিভঙ্গিতে বিশ্বমঞ্চে তুলে ধরার চেষ্টা চলছে।

    আন্তর্জাতিক পর্যটনের প্রতিযোগিতামূলক সম্পদ

    সরকারি আধিকারিকরা এই প্রকল্পকে এমন এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখছেন, যা ভারতের বিশাল সাংস্কৃতিক ও প্রাকৃতিক সম্পদকে আন্তর্জাতিক পর্যটনের প্রতিযোগিতামূলক সম্পদে রূপান্তরিত করবে। এই প্রকল্প এমনভাবে সাজানো হয়েছে, যাতে প্রতিটি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে অন্তত একটি করে ফ্ল্যাগশিপ পর্যটনকেন্দ্রে উন্নয়ন করা যায়। এটি আত্মনির্ভর ভারতের ভাবনা এবং জাতীয় গৌরবের আহ্বানের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ, যেখানে ঐতিহ্য সংরক্ষণ ও প্রচারের পাশাপাশি স্থানীয় অর্থনীতির উন্নয়নকেও সমান গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।

    বিরাট কর্মসংস্থানের সুযোগ

    আধিকারিকদের মতে, এই ৫০টি নির্বাচিত পর্যটনস্থলের উন্নয়ন হলে তা বিরাট কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করবে (Tourism Vision 2029), ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের উৎসাহিত করবে এবং আন্তর্জাতিক পর্যটকদের আকৃষ্ট করবে, ভারতে ঢুকবে রাশি রাশি বিদেশি মুদ্রা। স্থানীয় শিল্পী, পর্যটনগাইড এবং হোটেল শিল্পের সঙ্গে জড়িত কর্মীরাও সরাসরি উপকৃত হবেন। সর্বোপরি, এই প্রকল্পের লক্ষ্য বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণ করা, বিশেষত পর্যটন পরিকাঠামো খাতে। তবে এটি এমনভাবে রূপায়িত হবে যাতে পরিবেশ ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণের বৈশ্বিক মানদণ্ড বজায় থাকে (Indias Heritage)।

    আধুনিক যুগের স্বদেশি আন্দোলন!

    বিশেষজ্ঞদের মতে, কেন্দ্রের এই উদ্যোগ পর্যটনে আধুনিক যুগের এক স্বদেশি আন্দোলনের প্রতিনিধিত্ব করে – যার ভিত্তি স্থানীয় সংস্কৃতি, অথচ উপস্থাপিত হবে বৈশ্বিক দৃষ্টিকোণ থেকে। এর লক্ষ্য এমন সব পর্যটনস্থল তৈরি করা, যা ভারতের চিরন্তন ঐতিহ্যকে প্রকাশ করবে এবং একই সঙ্গে উৎকর্ষ ও নবতর উদ্ভাবনের আকাঙ্ক্ষাকেও প্রতিফলিত করবে। মোদি সরকারের আশা, ২০২৯ সালের মধ্যে ভ্রমণপিপাসুরা ভারত আবিষ্কারের ৫০টি নতুন কারণ খুঁজে পাবেন, যেখানে প্রতিটি জায়গাই হবে ‘বিকশিত ভারতে’র প্রতিচ্ছবি (Tourism Vision 2029)।

    ‘আত্মনির্ভর ভারত’

    ‘আত্মনির্ভর ভারত’ গড়তে প্রাণপণ লড়াই করে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওকাণ্ডের জেরে পাকিস্তানে অপারেশন সিঁদুর চালায় ভারত। তার পর থেকে তিনি আরও বেশি করে জোর দিয়েছেন আত্মনির্ভর ভারত গড়ার ওপর। এজন্য আহ্বানও জানিয়েছেন দেশবাসীকে। কেবল কৌশলগত ক্ষেত্রেই নয়, বরং ভারতের নিজস্ব সংস্কৃতি এবং পর্যটনকেও এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রেও জোর দিয়েছেন তিনি। এই সময়ই ভারতের পর্যটন শিল্প যৌথভাবে সিদ্ধান্ত নেয় তুরস্কের মতো দেশগুলিকে বয়কট করার। কারণ তারা আন্তর্জাতিক মঞ্চে নিয়েছিল পাকিস্তানের পক্ষ (Indias Heritage)। এই সময় আম-ভারতীয়কে সরকার বারবার জানিয়েছে, ভারতে পর্যটনশিল্পের সম্ভাবনা অসীম। তবে এই শিল্প ক্ষেত্রে জোয়ার আনতে গেলে যা প্রয়োজন, তা হল এই ক্ষেত্রকে সঠিক দিকনির্দেশে পরিচালিত করার জন্য একটি সুস্পষ্ট কৌশল। আধিকারিকদের ভাষায়, “নয়া পরিকল্পনাটি ঠিক সেটাই, যেটি ভারতের স্বাভাবিক সাংস্কৃতিক ও প্রাকৃতিক সুবিধেগুলিকে বিশ্বমানের প্রতিযোগিতামূলক গন্তব্যে রূপান্তরিত করবে (Tourism Vision 2029)।”

    কী বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী

    প্রসঙ্গত, চলতি বছরের মে মাসেই নীতি আয়োগের বৈঠকে অংশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন রাজ্যের প্রতিনিধিদের বলেছিলেন, ২০৪৭ সালের মধ্যে ভারতের উন্নত দেশে রূপান্তর ত্বরান্বিত করার কৌশলগত প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত শহর নির্মাণ এবং প্রতিটি রাজ্যে কমপক্ষে একটি বিশ্বমানের পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলার দিকে মনোনিবেশ করতে। ওই বৈঠকে তিনি পর্যটন শিল্পকে চাঙা করতে, স্থানীয় অর্থনীতির ভিত মজবুত করতে এবং মজবুত নগর গড়ে তুলতে (Indias Heritage) ‘এক রাজ্য, এক বিশ্বব্যাপী গন্তব্যে’র প্রস্তাব দেন। প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, “রাজ্যগুলির উচিত সর্বাত্মক পরিকাঠামো এবং সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করে বিশ্বব্যাপী মাণদণ্ডের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ অন্তত একটি করে পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলা। এটি প্রতিবেশী শহরগুলির উন্নয়নের ক্ষেত্রেও অনুঘটকের কাজ করবে (Tourism Vision 2029)।”

  • Mumbai: ১৭ জন শিশুকে অপহরণ করে পুলিশের গুলিতে মৃত রোহিত আর্য

    Mumbai: ১৭ জন শিশুকে অপহরণ করে পুলিশের গুলিতে মৃত রোহিত আর্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৃহস্পতিবার মুম্বইয়ের (Mumbai) পোয়াই এলাকায় ১৭ জন শিশুকে অপহরণ করার অভিযোগে অভিযুক্ত রোহিত আর্য পুলিশের সঙ্গে গুলির সংঘর্ষে নিহত হয়েছেন। পুলিশ জানিয়েছে, উদ্ধার কাজের অভিযানের সময় আর্য এয়ারগান ব্যবহার করে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালান, যার ফলে পুলিশকেও পাল্টা এক রাউন্ড গুলি চালাতে হয়। গুলিটি আর্যর (Rohit Arya) বুকের ডান দিকে লাগে এবং চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। এখন জেজে হাসপাতালে মৃতদেহের ময়নাতদন্ত চলছে।

    ৮ থেকে ১৪ বছর বয়সী শিশুদের বন্দি করা হয়েছিল (Mumbai)

    টানটান উত্তেজনায় একবারে নাটকীয় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে আরএ স্টুডিও (Mumbai) নামে একটি ছোট ফিল্ম স্টুডিওর ভেতরে। অভিযোগ যেখানেই আর্য একদল শিশুকে অডিশন দেওয়ার নাম করে প্রলোভন দেখিয়ে অপহরণ করে রেখেছিলেন। পুলিশ জানিয়েছে, ৮ থেকে ১৪ বছর বয়সী শিশুদের প্রায় দুই ঘন্টা ধরে বন্দি করে রাখা হয়েছিল। যদিও শিশুদের কোনও রকম হতাহতের খবর মেলেনি। তাদেরকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, পোয়াই থানার একটি দল দুপুর ১:৪৫ নাগাদ একটি অপহরণের খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। প্রথমে আলোচনা শুরু হয়, কিন্তু আর্য শিশুদের ছেড়ে দিতে অস্বীকার করেন। যখন তিনি তাদের হত্যার হুমকি দেন, তখন পুলিশ জোর করে বাথরুমে প্রবেশ করে এবং ১৭ জন শিশুকে নিরাপদে উদ্ধার করে।

    ভিডিও প্রকাশ করেছিলেন

    ঘটনার আগে, আর্য একটি ভিডিও প্রকাশ করেছিলেন। সেখানে আত্মহত্যা করে মারা যাওয়ার পরিবর্তে অপহরণকেই বেছে নেওয়ার কথা বলেছিলেন তিনি (Mumbai)। তিনি বলেন, “আমি রোহিত আর্য (Rohit Arya) আত্মহত্যা করে মারা যাওয়ার পরিবর্তে, আমি একটি পরিকল্পনা করেছি এবং এখানে কিছু শিশুকে বন্দি করে রেখেছি। সহজ দাবি, নৈতিক দাবি এবং কয়েকটি প্রশ্ন। তোমাদের সামান্যতম ভুল পদক্ষেপও আমাকে বাধ্য করবে। এই জায়গাটিকে আগুনে পুড়িয়ে দেবো।” তবে তিনি কোনও অর্থ চাননি এবং সন্ত্রাসী যে নন, সেই কথাও জানান। ঘটনাস্থল থেকে এয়ারগান এবং কিছু রাসায়নিক জিনিস উদ্ধার হয়েছে। তদন্তকারীদের মতে এগুলি দিয়েই অফিসারদের হুমকি দিয়েছিলেন। তিনি এইরকম কাণ্ড কেন করলেন, তার তদন্ত করতে নেমেছে পুলিশ।

LinkedIn
Share