Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Beef-Ban: অসমে নিষিদ্ধ হয়েছে গোমাংস, এবার বন্ধের দাবি উঠল বিহার-ওড়িশায়

    Beef-Ban: অসমে নিষিদ্ধ হয়েছে গোমাংস, এবার বন্ধের দাবি উঠল বিহার-ওড়িশায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অসমে নিষিদ্ধ হয়েছে গোমাংস (Beef-Ban) খাওয়া। হোটেল-রেস্তরাঁ বা বিবাহের অনুষ্ঠানে করা যাবেনা গরুর মাংসের পরিবেশন। গত বুধবার এই কথা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। এই ঘোষণায় গোমাতাকে রক্ষা করার স্পষ্ট বার্তা দেওয়া হয়েছে। এবার অসমের পথে বাকি রাজ্যগুলি হাঁটতে চাইছে। অসমের পর এবার বিহার এবং ওড়িশায় (Bihar-Orissa) উঠল গোমাংস বন্ধের ডাক। এই সিদ্ধান্ত গো প্রেমীদের মধ্যে বিরাট উচ্ছ্বাস সৃষ্টি করেছে।

    বিহারে গো হত্যা বন্ধের দাবি (Beef-Ban)

    অসমে গোমাংস (Beef-Ban) নিষিদ্ধ হতেই বৃহস্পতিবার বিহারেও গরুর মাংস নিষিদ্ধ করা উচিত বলে দাবি তোলা হয়েছে। বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নিতীশ কুমারের দলের সাংসদ দিলেশ্বর কামাইত বলেন, “অসম সরকার সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বিহারেও গরুর মাংস নিষিদ্ধ করা উচিত।” উল্লেখ্য আগে বিজেপি সাংসদ গিরিরাজ সিং গরুর মাংস নিষিদ্ধ করার দাবি তুলেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, “নেহেরুই ছিলেন সমস্ত সমস্যার মূল। নেহেরু যদি ভারতে গোহত্যা নিষিদ্ধ করতেন তাহলে আজকের এই অবস্থা হতো না। কংগ্রেস সরকার সবসময় হিন্দু বিরোধী ছিল।”

    আরও পড়ুনঃ আজাদ ময়দানে চাঁদের হাট, মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিলেন দেবেন্দ্র ফড়ণবীশ

    ওড়িশায় বন্ধের পথে গো মাংস

    অপর দিকে ওড়িশাতেও (Bihar-Orissa) পরিকল্পনা চলছে, অসমের পথে হেঁটেই গোমাংস (Beef-Ban) নিষিদ্ধ করবে। এই রাজ্যের আইনমন্ত্রী পৃথ্বীরাজ হরিচন্দন বলেন, “গোহত্যা নিয়ে সরকারের দৃষ্টিভঙ্গি স্পষ্ট। আইন আনতে চলেছি আমরা। গোহত্যা বন্ধের জন্য আইন আনা হবে।” আবার ওড়িশার প্রাণী সম্পদ বিকাশ দফতরের মন্ত্রী গোকুলানন্দ মল্লিক বলেন, “আমরা যদি এমন কোনও ঘটনার কথা জানতে পারি (গো মাংস সংক্রান্ত) তবে আমরা কঠোর সিদ্ধান্ত নেব। মুখ্যমন্ত্রী মোহন চরণ মাঝির কাছেও আমরা দাবি তুলব।” উল্লেখ্য এই রাজ্যে গোহত্যা নিষিদ্ধ। ধরা পড়লে ২ বছরের জেল এবং ১০০০০ টাকা জরিমানা বা উভয়ই সাজা দেওয়া হতে পারে। উল্লেখ্য বিজেপি সাংসদ প্রতাপ চন্দ্র সড়ঙ্গি, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়কের কাছে অনুরোধ করেছিলেন রাজ্যে যেন গো হত্যার আইন দারুণ ভাবে কার্যকর করা হয়।

    ওড়িশা রাজ্যের পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত চার বছরে ২০০টির বেশি গরু পাচার এবং গোমাংস পাচারের ঘটনা ঘটেছে। অপর দিকে স্বরাষ্ট্র দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, গোমাংসের ঘটনাকে কেন্দ্র করে একাধিক উস্কানি এবং অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে। গোমাংস নিয়ে বিবাদ হওয়ায় এবার এই মাংস বন্ধের পরিকল্পনা করা হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে।    

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh: সীমান্তে তুরস্কের ড্রোন মোতায়েন করল বাংলাদেশ, সতর্ক ভারত

    Bangladesh: সীমান্তে তুরস্কের ড্রোন মোতায়েন করল বাংলাদেশ, সতর্ক ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গের সীমান্তে তুরস্কে তৈরি ড্রোন (Turkish Drone) মোতায়েন করেছে বাংলাদেশের (Bangladesh) অন্তর্বর্তী সরকার। এমন খবর পেতেই ভারত বাংলাদেশ সীমান্তে নজরদারি জোরদার করেছে বিএসএফ। সম্প্রতি ভারতীয় সেনাবাহিনী ভারতে-বাংলাদেশ সীমান্তের কাছে মানবহীন ড্রোন (UAVs) বায়রাক্টার টিবি ২ মোতায়েন হওয়ার একটি রিপোর্ট পায়। জানা যায়, এই ড্রোনগুলি পরিচালনা করছে বাংলাদেশের ৬৭ তম সেনাবাহিনী। এরপরই সীমান্তে কড়া সতর্কতা জারি করে ভারতীয় সেনা (BSF)।

    কেন মোতায়েন ড্রোন

    বাংলাদেশ পশ্চিমবঙ্গ সীমান্তে তুরস্কে তৈরি ড্রোন মোতায়েনের খবরের পর ভারত সীমান্তে নজরদারি বাড়িয়ে দিয়েছে। মূলত গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ এবং নজরদারির জন্য এই ড্রোনগুলিকে ব্যাবহার করা হচ্ছে বলে খবর পাওয়া যায়। কিন্তু এই বিষয়ে বাংলাদেশের দাবি, এই ড্রোনটি প্রতিরক্ষার খাতিরেই মোতায়েন করা হয়েছে। তবে সীমান্ত এলাকায় এত উন্নত প্রযুক্তির ড্রোন মোতায়েনের ব্যাপারটি মোটেও হালকা ভাবে নিচ্ছে না ভারত। ভারতের গোয়েন্দা বিভাগ সূত্রে খবর, শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর সীমান্তবর্তী এলাকায় সন্ত্রাসী কার্যকলাপ বেড়েছে। সন্ত্রাসী গোষ্ঠী এবং চোরাচালানী চক্রগুলো রাজনৈতিক অস্থিরতার সুযোগ নিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশ করার চেষ্টা করছে। রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং অত্যাধুনিক ড্রোন মোতায়েনের পরিপ্রেক্ষিতে ভারতীয় বাহিনীও সতর্কতা জারি করেছে।

    আরও পড়ুন: নারী নিপীড়নের ঘটনা ১১০টি, ১০৩টি রাজনৈতিক হিংসা! ইউনূস সরকারের ‘মিথ্যাচার’ ফাঁস

    ভারতের প্রতিক্রিয়া

    বাংলাদেশের অস্থিরতার প্রেক্ষাপটে ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী ইতোমধ্যে উচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করেছে এবং নতুন ড্রোন মোতায়েনের পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। ভারতের সশস্ত্র বাহিনীর কাছে হেরন টিপি ড্রোনের মতো উন্নত প্রযুক্তি রয়েছে, যা সীমান্ত এলাকায় প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা জোরদার করতে সহায়ক। ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে বলা হয়েছে, দিল্লি পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে। প্রয়োজনীয় প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। দেশের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সক্রিয় বিএসএফ। ভারত ইন্টেলিজেন্স শেয়ারিং এবং আন্তর্জাতিক সহযোগিতার মাধ্যমে বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে আরও তথ্য সংগ্রহ করছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Yogi Adityanath: “সম্ভল ও বাংলাদেশের দাঙ্গাবাজদের একই ডিএনএ”, কট্টর মুসলিমদের আক্রমণ যোগীর

    Yogi Adityanath: “সম্ভল ও বাংলাদেশের দাঙ্গাবাজদের একই ডিএনএ”, কট্টর মুসলিমদের আক্রমণ যোগীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “সম্ভল (Sambhal) ও বাংলাদেশের দাঙ্গাবাজদের একই ডিএনএ”, কট্টর মুসলিমদের বিরুদ্ধে হিন্দু নির্যাতন নিয়ে তোপ দেগেছেন উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath)। অযোধ্যায় রামায়ণ মেলার উদ্বোধন করতে এসে বাংলাদেশের হিন্দুনির্যাতন নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তিনি। মন্দির ভেঙে মসজিদ হোক বা হিন্দু নিধনের ঘটনা, যাই হোক না কেন মৌলবাদী ইসলামি জেহাদিদের নিশানা করে আক্রমণ করেন যোগী।

    সমাজকে ভাঙার জন্য বৃহৎ ষড়যন্ত্র চলছে (Yogi Adityanath)

    ৫ ডিসেম্বর অযোধ্যার রাম কথা পার্কে রামায়ণ মেলার ভাষণ দেওয়ার সময় উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath) বলেন, “দেশবাসীকে স্মরণ করতে হবে প্রায় ৫০০ বছর আগে অযোধ্যার মন্দিরে বাবরের লোক কী করেছিল। বর্তমানে সম্ভলে (Sambhal) একই ঘটনা ঘটিয়েছে। একই চিত্র বাংলাদেশেও দেখা গিয়েছে। এই তিন রকম ঘটনার প্রকৃতির মধ্যে কোনও পার্থক্য নেই। সকল আক্রমণকারীদের ডিএনএ একই। যদি মনে করেন কেবল মাত্র বাংলাদেশে বিছিন্ন ভাবে ঘটছে তাহলে ভুল করছেন। একই রকম পরিস্থিতির স্বীকার আপনাকেও হতে হবে। সমাজকে ভাঙার জন্য বৃহৎ ষড়যন্ত্র চলেছে। সকলকে একত্রিত হতে হবে। তবে অনেকে আক্রমণকারীদের সমর্থন করছেন। নিজেরা বিদেশে সম্পত্তি সঞ্চয় করে রেখেছেন, সুযোগ বুঝে যে কোনও সময়ে পালিয়ে যেতে হতে পারেন। তাই কোনও রকম বিভ্রান্তির মধ্যে থাকলে চলবে না।”

    আরও পড়ুনঃ ‘‘আমরা এখন থামব না, কাজ চালিয়ে যাবো…’’ মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েই লক্ষ্যের কথা বললেন ফড়ণবীশ

    সমাজবাদী পার্টির নেতার শুধু রাজনীতি করেছে

    এদিনের সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী যোগী (Yogi Adityanath) সমাজবাদী পার্টিকে তীব্র সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেন, “অযোধ্যার আধ্যাত্মিক এবং সাংস্কৃতিক ভাবনা এখন বিশ্বের মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে। আমাদের মনে রাখতে হবে, প্রায় ৫০০ বছরের রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক এবং সামাজিক আন্দোলনের মাধ্যমে গত বছরের ২২ জানুয়ারি দেশের প্রধানমন্ত্রীর হাতে মন্দিরের গর্ভগৃহে শ্রীরামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা হয়েছে। প্রভু রামকে যারা সম্মান করে না তাদের নৈতিক মূল্যবোধ প্রশ্নের মুখে থাকে। সমাজবাদী পার্টির নেতারা শুধু রাজনীতি করেছেন, হিন্দুদের সম্মান করেননি। ড. রাম মনোহর লোহিয়াকে কেবল ব্যবহার করে গেছেন। তাঁর প্রতি ভালো আচরণ করেনি। একজন সত্যিকারের সমাজতাত্ত্বিক মানুষকে জায়গা না দিয়ে কেবল নিজের পরিবারের লোকজনকে প্রাধান্য দিয়েছে সপা।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Drishti-10 Drone: সামুদ্রিক নিরাপত্তায় জোর, কেনা হল দেশে তৈরি নজরদারি ড্রোন ‘দৃষ্টি ১০ স্টারলাইনার’

    Drishti-10 Drone: সামুদ্রিক নিরাপত্তায় জোর, কেনা হল দেশে তৈরি নজরদারি ড্রোন ‘দৃষ্টি ১০ স্টারলাইনার’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আদানি ডিফেন্স (Adani Defence) অ্যান্ড অ্যারোস্পেস ভারতের নৌবাহিনীকে তাদের দ্বিতীয় ‘দৃষ্টি-১০ স্টারলাইনর’ নজরদারি ড্রোন (Drishti-10 Drone) প্রদান করেছে। ভারতের সামুদ্রিক বাহিনীর সক্ষমতা বৃদ্ধিতে এই ড্রোন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে বলে মনে করছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। বুধবার সংস্থার তৈরি ড্রোনটি আনুষ্ঠানিক ভাবে ভারতীয় নৌসেনার হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। চলতি বছরের গোড়ায় প্রথম স্টারলাইনার ড্রোন পেয়েছিল নৌসেনা।

    উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার

    প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের দাবি, ‘দৃষ্টি ১০ স্টারলাইনার’ (Drishti-10 Drone) নৌসেনার জন্য প্রথম ভারতে তৈরি নজরদারি ড্রোন। নৌসেনার হাতে এই ড্রোন আসায় সমুদ্রে শত্রুপক্ষের জাহাজ বা জলদস্যুদের জলযানে নজরদারি করতে সুবিধা হবে। একটানা ৩৬ ঘণ্টা আকাশে উড়তে সক্ষম এই ড্রোন ৪৫০ কেজি ওজন বহন করতে পারে। ‘দৃষ্টি-১০ স্টারলাইনর’ হল ভারতের একমাত্র দেশীয় উড়ন্ত ড্রোন যা ৩২,০০০ ফুট উচ্চতায় নির্ভরযোগ্যভাবে কাজ করতে পারে। দ্বিতীয় ড্রোনটি গুজরাটের পোরবন্দরে, নৌবাহিনীর সামুদ্রিক অপারেশনগুলোর জন্য উন্মুক্ত করা হয়। 

    আত্মনির্ভর ভারতের উদাহরণ

    এই ড্রোনটি শুধুমাত্র নৌবাহিনীর জন্য নয়, বরং জুন মাসে ভারতীয় সেনাবাহিনীকেও দৃষ্টি-১০ স্টারলাইনর (Drishti-10 Drone) প্রদান করা হয়েছে। সেনাবাহিনী প্রথম ড্রোনটি পাঞ্জাবের ভাতিন্দা ঘাঁটিতে স্থাপন করবে, যেখানে এটি পাকিস্তানের পশ্চিম সীমান্তের ওপর নজরদারি করতে সক্ষম হবে। আদানি ডিফেন্সের এই দেশীয় ড্রোনটি ভারতীয় স্বনির্ভরতার একটি বড় উদাহরণ হিসেবে চিহ্নিত হচ্ছে। মাত্র তিন বছরের মধ্যে তারা এমন একটি এমএএলই ড্রোন তৈরি করেছে যা সাধারণত পাঁচ থেকে ছয় বছর সময় নেয়। দৃষ্টি-১০ স্টারলাইনর ভারতের প্রতিরক্ষা প্রযুক্তির ভবিষ্যত গড়তে একটি মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। এটি উন্নত প্রযুক্তি দ্বারা সজ্জিত, যা মিশন চলাকালে নির্ভরযোগ্যতা ও স্থিতিশীলতা প্রদান করে, এমনকি কঠোর পরিবেশ ও পাহাড়ি অঞ্চলেও কাজ করতে সক্ষম।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Lakshadweep: লাক্ষাদ্বীপকে ঢেলে সাজাতে উদ্যোগী মোদি সরকার, শীঘ্রই শুরু হচ্ছে কাজ

    Lakshadweep: লাক্ষাদ্বীপকে ঢেলে সাজাতে উদ্যোগী মোদি সরকার, শীঘ্রই শুরু হচ্ছে কাজ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত বছর প্রধানমন্ত্রী মোদির (Modi Government) সফর, তারপরেই মলদ্বীপের বদলে পর্যটকরা ছুটছিলেন লাক্ষাদ্বীপে (Lakshadweep)। নিজের সফরের সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি লাক্ষাদ্বীপ ভ্রমণের যে আর্জি জানিয়েছিলেন, তা আরও জোরদার করতে এবার বড় পদক্ষেপ শুরু করল কেন্দ্র। জানা গিয়েছে, লাক্ষাদ্বীপকে দেশের অন্যতম সেরা পর্যটন কেন্দ্র হিসাবে সাজিয়ে তুলতে একাধিক বড় প্রকল্প আনছে মোদি সরকার।

    অত্যাধুনিকভাবে সাজিয়ে তোলার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে (Lakshadweep)

    একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন (Lakshadweep) অনুযায়ী, কারাভাতি, আগাতি, মিনিকয় দ্বীপে বড় ভেসেল রাখার ব্যবস্থা থেকে শুরু করে কালপেনি, কাদমঠ, আন্দ্রোথ দ্বীপের মতো দ্বীপগুলিকে অত্যাধুনিকভাবে সাজিয়ে তোলার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, শীঘ্রই প্রথম প্রকল্পের কাজ শুরু হবে। এর জন্য খরচ হবে ৩০৩ কোটি টাকা। লাক্ষাদ্বীপে তৈরি হবে মাল্টি-মডেল জেটি। একইসঙ্গে প্যাসেঞ্জার ওয়েটিং হলও তৈরি করা হবে বলে জানি গিয়েছে। কালপেনি, কাদমাঠ, কারাভেতি, আগাতি, মিনিকয় দ্বীপে আধুনিক প্রযুক্তির পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলা হবে। জানা গিয়েছে, প্রকল্পগুলি রূপায়ণের যাবতীয় খরচ লাক্ষাদ্বীপ ও কেন্দ্রীয় সরকারের তরফেই বহন করা হবে। কোচি পোর্ট অথারিটি প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্টের দায়িত্ব নিয়েছে। প্রসঙ্গত, গত বছরই লাক্ষাদ্বীপ সফরে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেখান থেকে ছবি পোস্ট করার পরই কটাক্ষ করেন মলদ্বীপের মন্ত্রীরা। প্রধানমন্ত্রীর এই অপমানের পরই বয়কট মলদ্বীপের ডাক দেওয়া হয়। এর জেরে ব্যপক ক্ষতিগ্রস্ত হয় মলদ্বীপের পর্যটন।

    প্রথম প্রকল্প কাদমঠ দ্বীপে (Lakshadweep)

    জানা গিয়েছে, প্রথম প্রকল্পটি শুরু হতে চলেছে কোচি থেকে প্রায় ৪০৭ কিলোমিটার দূরে লাক্ষাদ্বীপের কাদমঠ দ্বীপে। এখানেই তৈরি করা হবে, একটি জেটি। অত্যাধুনিক মানের ব্যবস্থা থাকবে সেখানে। প্রসঙ্গত কাদমঠ হল আমিনদিভি গোষ্ঠীর একটি দীর্ঘতম দ্বীপ, লাক্ষাদ্বীপের কেন্দ্রে অবস্থিত এটি। এর আয়তন হল ৩.৩৪ বর্গ কিলোমিটার। দৈর্ঘ্য হল ৯.৩ কিলোমিটার। প্রস্থ হল ০.৫৭ কিলোমিটার। এই দ্বীপেই একটি জেটি খোলার প্রস্তুতি নিয়েছে মোদি সরকার। দ্বীপটি ঢেলে সাজাতে বরাদ্দ করা হচ্ছে ৩০৩ কোটি টাকা। এখানে যাত্রীদের আসা-যাওয়ার একটি পৃথক টার্মিনালও তৈরি করছে মোদি সরকার। বিশ্বমানের সুযোগ সুবিধা সমেত এখানে যাত্রীদের একটি বিশ্রামাগারও তৈরি হবে। জানা গিয়েছে, লাক্ষাদ্বীপের পূর্ব ও পশ্চিম উভয়দিকেই আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সহ যাত্রীদের নানা সুবিধার ব্যবস্থা করা হবে। পর্যটকদের সুবিধার ব্যবস্থা করা হবে কাল্পনি আন্দ্রোতো গুদাম ইত্যাদি দ্বীপে।

    অন্যান্য বড় প্রকল্প

    আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সহ ঢেলে সাজানো হবে কালপেনি, কদমাথ এবং আন্দ্রোতে গুদাম ইত্যাদি দ্বীপকে

    বড় ভেসেল যাতায়াতের পরিকাঠামো গড়ে তোলা হবে কাভারত্তি, আগাট্টি এবং মিনিকয় দ্বীপপুঞ্জে।

    কালপেনি এবং কদমাঠে দ্বীপে ক্রুজ জাহাজ পরিচালনার পরিকাঠামো গড়ে তোলা হবে।

    কালপেনি ও কদমথ দ্বীপে থাকা বর্তমান জেটিগুলিকে ঢেলে সাজানো হবে।

    জানা গিয়েছে, এই সমস্ত প্রকল্পগুলির বাস্তবায়ন করা হবে সাগরমালা কর্মসূচির অধীনে এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল লাক্ষাদ্বীপের অভ্যন্তরীণ যে তহবিল, সেটাও এক্ষেত্রে ব্যবহার করবে মোদি সরকার। প্রসঙ্গত, এই প্রকল্পের কাজ করছে কোচিং পোর্ট অথরিটি। যাবতীয় প্রযুক্তির কাজগুলি দেখভাল করছে তারা। অন্যদিকে চেন্নাইয়ের অ্যাসি সিস্টেম ইন্ডিয়া লিমিটেড একটি বিশদ প্রজেক্ট রিপোর্ট তৈরি করেছে এবিষয়ে।

    ৩৬টি ছোট ছোট দ্বীপের সমূহ লাক্ষাদ্বীপ

    ভারতের সবচেয়ে ক্ষুদ্রতম কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হল লাক্ষাদ্বীপ। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের ভরা এই দ্বীপগুলি মোট ৩২ বর্গমিটার এলাকা নিয়ে বিস্তৃত। এর আশেপাশে সমুদ্রসীমার ক্ষেত্রফল হল ৪,২০০ বর্গ কিলোমিটার। ভারতের অঙ্গরাজ্য কেরলের পশ্চিম উপকূল থেকে ২২০ থেকে ৪৪০ কিলোমিটার দূরত্বে এই দ্বীপগুলি ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। 

    লাক্ষা, আমিনদিভি, মনিকয় দ্বীপপুঞ্জ ইত্যাদি নিয়ে গড়ে উঠেছে এই লাক্ষাদ্বীপ। এখানে ছোট বড় মিলিয়ে মত ৩৬টি দ্বীপ রয়েছে। লাক্ষা পর্যটন বিভাগ থেকে অনুমতি নিয়ে এই দ্বীপে বেড়াতে যেতে হয়। বছরের অক্টোবর থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত সময় হল ভ্রমণ করার আদর্শ সময়। এই দ্বীপের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং মনোরম পরিবেশ ভীষণ ভাবে পর্যটকদের মনকে মুগ্ধ করবে। এখানে ঘুরে দেখার সুন্দর জায়গাগুলি হল –

    আগাত্তি দ্বীপ

    লাক্ষাদ্বীপের (Lakshadweep Tourism) প্রবেশদ্বার হল এই আগাত্তি দ্বীপ। বিশ্বের অন্যতম সুন্দর লেগুন (নোনা জলের উপহ্রদ) রয়েছে এখানে। এখানে সুইমিং, স্বরকেলিং, কায়াকিংয়ের মতো ওয়াটার স্পোর্টস করার সুযোগ রয়েছে।

    বাঙ্গারাম দ্বীপ

    আগাত্তি দ্বীপের খুব কাছেই হল বাঙ্গারাম দ্বীপ। এখানে মানুষ বসবাস করে না। এখানকার সৈকত রাতে নীলাভ হয়। ডলফিন, অক্টোপাস, ফ্রগফিস দেখা যায়।

    মিনিকয় দ্বীপ

    উত্তর দ্বীপপুঞ্জের ২০০ কিমি দক্ষিণে অবস্থিত এই দ্বীপ। এই দ্বীপ অন্যতম বড় লেগুন। এখানে ১১ গ্রামের ক্লাস্টার রয়েছে। এইগুলিকে আভাহ নামে পরিচিত।

    কালপেনি দ্বীপ

    স্বচ্ছ এবং নীল জলের জন্য বিখ্যাত এই দ্বীপ। এখানে সুইমিং, স্নরকেরিং করার ব্যবস্থা রয়েছে।

    কাভারাত্তি দ্বীপ

    এই দ্বীপ পর্যটকদের কাছে বেশ জনপ্রিয় জায়গা। স্থানীয় বাজার বেশ দর্শনীয় স্থান।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Devendra Fadnavis: ‘‘আমরা এখন থামব না, কাজ চালিয়ে যাবো…’’ মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েই লক্ষ্যের কথা বললেন ফড়ণবীশ

    Devendra Fadnavis: ‘‘আমরা এখন থামব না, কাজ চালিয়ে যাবো…’’ মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েই লক্ষ্যের কথা বললেন ফড়ণবীশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রশাসন চালাতে টিমওয়ার্ক এবং যৌথ সিদ্ধান্তের উপর গুরুত্ব দিলেন মহারাষ্ট্রের নতুন মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়ণবীশ (Devendra Fadnavis)। মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে তৃতীয়বার শপথ নেওয়ার পর প্রথম সাংবাদিক সম্মেলনে দেবেন্দ্র বলেন,‘‘গত ২.৫ বছরে আমরা মহারাষ্ট্রের উন্নতির জন্য কাজ করেছি এবং এখান থেকেও আমরা সেই উন্নতি চালিয়ে যাবো, আর আমরা থামব না।’’

    মহারাষ্ট্রের উন্নতিই লক্ষ্য

    বৃহস্পতিবার, মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে তৃতীয়বার শপথ নেওয়ার পর দেবেন্দ্র ফড়ণবীশ প্রথম সাংবাদিক সম্মেলনে জানান যে তাঁরা মহারাষ্ট্রের উন্নতির জন্য কাজ করবেন, এবং কাজের গতি এবং দিক একই থাকবে। এদিন তাঁর সঙ্গে উপ মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেন শিবসেনা প্রধান একনাথ শিন্ডে এবং এনসিপি প্রধান অজিত পওয়ার। এদিন দেবেন্দ্র জানান, মহারাষ্ট্র সামাজিক, অবকাঠামোগত এবং শিল্প খাতে দ্রুতগতিতে উন্নতির পথে চলতে থাকবে। তাঁর কথায়, ‘‘আমরা মহারাষ্ট্রের মঙ্গলার্থে সিদ্ধান্ত নেবো। আমাদের যে পরিকল্পনা ছিল তা পূর্ণাঙ্গ করতে চাই।’’

    এদিন সকাল-সকাল দেবেন্দ্র চলে যান মুম্বইয়ের বিখ্যাত সিদ্ধি বিনায়ক মন্দিরে (Siddhi Vinayak Mandir)। এরপর বেলা বাড়তে তাঁর বাড়িতে একটি গরু নিয়ে আসা হয়। গো পুজো করে তারপর শপথ অনুষ্ঠানে যান দেবেন্দ্র। শপথ গ্রহণের পর দেবেন্দ্র, একনাথ ও অজিত তিন জনে মিলে মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকে যোগ দেন। সেখানে শীর্ষ আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলে চন্দ্রকান্ত কুরহাদে নামের একজন পুণে বাসীর পরিবারকে ৫ লাখ আর্থিক সহায়তা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। কুরহাদে তাঁর স্ত্রীর মাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রী ত্রাণ তহবিল থেকে সাহায্যের জন্য আবেদন করেছিলেন। ওই টাকা কুরহাদে’র বোন ম্যারো ট্রান্সপ্লান্ট চিকিৎসার খরচে ব্যবহৃত হবে। জোট সরকার পরিচালনা প্রসঙ্গে এদিন ফড়ণবীশ বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর পদ নিয়ে আমাদের মধ্যে কেবল একটা টেকনিক্যাল সমঝোতা হয়েছে। আমরা এর আগেও মিলিতভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছি, আগামীদিনেও নেব। জোট সরকারের ক্ষেত্রে ব্যাপক পরিসরে আলোচনা করা সব সময় প্রয়োজন। আমরা সেই আলোচনা করেছি এবং পোর্টফোলিওও প্রায় চূড়ান্ত করে ফেলেছি।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Devendra Fadnavis: আজাদ ময়দানে চাঁদের হাট, মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিলেন দেবেন্দ্র ফড়ণবীশ

    Devendra Fadnavis: আজাদ ময়দানে চাঁদের হাট, মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিলেন দেবেন্দ্র ফড়ণবীশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃতীয়বারের জন্য মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিলেন দেবেন্দ্র ফড়ণবীশ (Devendra Fadnavis)। উপমুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিলেন শিবসেনা নেতা একনাথ শিন্ডে। এনসিপি-র অজিত পাওয়ারও। বৃহস্পতিবার বিকেলে মুম্বইয়ের আজাদ ময়দানে মহাসমারোহে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সহ বিজেপির তাবড় নেতা ও মুখ্যমন্ত্রীরা। ফড়নবীশকে শপথবাক্য পাঠ করান রাজ্যপাল সিপি রাধাকৃষ্ণন।

    শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে চাঁদের হাট

    এদিন বিকেল পাঁচটার সময় মুম্বই’য়ের আজাদ ময়দানে (Mumbai’s Azad Maidan) এই শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান শুরু হয়। উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন সহ একাধিক শীর্ষ বিজেপি নেতা এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। ছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডাও। একাধিক বিজেপি শাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এবং জোট শরিকরাও এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে যোগ দেন প্রথম সারির বলি-তারকারাও। ছিলেন শাহরুখ খান, সলমন খান, রণবীর সিং, রণবীর কাপুর, মাস্টার ব্লাস্টার সচিন তেন্ডুলকর। শপথ অনুষ্ঠানে গানের সুরে মুগ্ধ করেন শিল্পী কৈলাস খের।

    ৪০০ জন সাধুর আশীর্বাদ

    মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেওয়ার আগে এদিন দেবেন্দ্র ফড়ণবীশকে (Devendra Fadnavis) আশীষ দিতে অনুষ্ঠানে ছিলেন অন্তত ৪০০ জন সাধু-সন্ত। সারা দেশের ৪০০ জন সাধু এবং সন্তকে আমন্ত্রণপত্র পাঠানো হয়েছিল। এছাড়াও দেশের বিভিন্ন সংগঠন এবং সমিতির প্রতিনিধিরাও যোগ দেন। মুম্বই’য়ের আজাদ ময়দানে সাধারণ মানুষের উপস্থিতিও ছিল চোখে পড়ার মতো। মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী পদে বসার আগে, এদিন দেবেন্দ্র ফড়ণবীশের বাড়িতে চলে গৌপুজো। মুম্বাদেবীর মন্দিরেও পৌঁছন ফড়ণবীশ। সেখানেও পুজো দেন তিনি। সকলের আশীষ নিয়ে সবাইকে সঙ্গে নিয়েই মহারাষ্ট্রে ডাবল ইঞ্জিন সরকার চালাতে চান, বলে জানান ফড়ণবীশ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • BJP: “রাহুল গান্ধী ভারত-বিরোধী ত্রিভুজের অংশ, সবচেয়ে বড় দেশদ্রোহী”, তোপ বিজেপি সাংসদের

    BJP: “রাহুল গান্ধী ভারত-বিরোধী ত্রিভুজের অংশ, সবচেয়ে বড় দেশদ্রোহী”, তোপ বিজেপি সাংসদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi) সবচেয়ে বড় দেশদ্রোহী।” বৃহস্পতিবার ঠিক এই ভাষাতেই কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতিকে নিশানা করলেন বিজেপির (BJP) মুখপাত্র তথা লোকসভার সদস্য সম্বিত পাত্র। তাঁর অভিযোগ, রাহুলের সঙ্গে এমন কিছু ব্যক্তির যোগাযোগ রয়েছে, যাঁরা ভারত-বিরোধী দৃষ্টিভঙ্গীর জন্য পরিচিত।

    ত্রিভুজের সঙ্গে তুলনা (BJP)

    এদিন এক সাংবাদিক সম্মেলনে সম্বিত একটি ত্রিভুজের উল্লেখ করেন। তাঁর দাবি, এই ত্রিভুজই ভারতের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। তিনি বলেন, “এই ত্রিভুজের একদিকে আছেন জর্জ সরোস, যিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বসে রয়েছেন এবং তাঁর ফাউন্ডেশন আমেরিকার কিছু স্বার্থান্বেষী সংস্থার সঙ্গে কাজ করছে। ত্রিভুজের আর এক দিকে রয়েছে একটি বড় নিউজ পোর্টাল যার নাম ‘অর্গানাইজড ক্রাইম অ্যান্ড কোরাপশন রিপোর্টিং প্রজেক্ট’ (ওসিসিআরপি) এবং ত্রিভুজের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও শেষ দিকটি হল রাহুল গান্ধী, সবচেয়ে বড় দেশদ্রোহী।” পদ্ম-পার্টির এই সাংসদ বলেন, “বিরোধী দলের নেতাকে দেশদ্রোহী বলতে আমার কোনও দ্বিধা নেই।”

    আরও পড়ুন: পুতিনের মুখে মোদির ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’র বন্দনা, কী বললেন রুশ প্রেসিডেন্ট?

    ‘মিডিয়াপার্ট’-এর প্রতিবেদন

    ফরাসি সংবাদমাধ্যম ‘মিডিয়াপার্ট’-এর একটি প্রতিবেদনের উল্লেখ করে তিনি বলেন, “জর্জ সরোসের ওপেন সোসাইটি ফাউন্ডেশনের টাকায় চলা ওসিসিআরপি, একটি আন্তর্জাতিক মিডিয়া সংস্থা, তাদের অর্থদাতাদের স্বার্থে কাজ করে।” তিনি এমন কিছু উদাহরণও তুলে ধরেন, যেখানে রাহুল ওসিসিআরপির রিপোর্ট ব্যবহার করেছেন। সম্বিতের দাবি, এ সবই করা হয়েছিল ভারতের মানহানি করার (Rahul Gandhi) উদ্দেশ্যে।

    সম্বিতের অভিযোগ

    প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের জুলাই মাসে যখন বিশ্ব কাঁপিয়ে বেড়াচ্ছিল করোনা অতিমারি, তখন ওসিসিআরপি একটি নিবন্ধ প্রকাশ করেছিল। তাতে বলা হয়েছিল, ব্রাজিল ভারতের কোভ্যাক্সিন কোভিড-১৯ টিকার জন্য ৩২৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার চুক্তি থেকে সরে এসেছে। সম্বিতের মতে, একটি একটি দেশের চিত্র কলঙ্কিত করার চেষ্টা। প্রতিবেদনটি প্রকাশের পরে পরেই সাংবাদিক বৈঠক করে (BJP) কংগ্রেস। সেই বৈঠকে ভারত সরকার ও ভ্যাকসিনের বিরুদ্ধে বিষোদ্গার করা হয়। গেরুয়া সাংসদের দাবি, ওসিসিআরপি নির্দেশ দিয়েছিল আর রাহুল গান্ধী সেই নির্দেশ অনুসরণ করেছিলেন।

    আরও পড়ুন: শুক্রবার রাম-সীতার বিবাহ জয়ন্তী, গুজরাট থেকে জনকপুর গেল ১০৮ মিটারের ওড়না

    পেগাসাস ইস্যুতে সরকারকে টার্গেট

    তিনি বলেন, “এভাবেই রাহুল পেগাসাস ইস্যুতে সরকারকে টার্গেট করেছিলেন। এটিও একটি ওসিসিআরপি রিপোর্টের পরে ঘটেছিল। একইভাবে, ভারতের শেয়ার বাজারকে ধ্বংস করার লক্ষ্যে ভারতীয় শিল্পপতিদের বিরুদ্ধে ‘হিট জবস’ আক্রমণ সংগঠিত হয়েছিল এই ওসিসিআরপি।” গেরুয়া শিবিরের এই সৈনিক বলেন, “ওসিসিআরপি রাহুল ও তাঁর মা সোনিয়া গান্ধীর বিরুদ্ধে ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় আইনি প্রক্রিয়াগুলিকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হিসেবে উল্লেখ করেছে। ওই মামলায় দুই কংগ্রেস নেতাকে একশো কোটি টাকার সম্পত্তি অবৈধভাবে আত্মসাৎ করার অভিযোগ আনা হয়েছে। এর পরেই সম্বিত বলেন, “রাহুল ভারতের স্বার্থের বিরুদ্ধে কাজ করা কিছু মানুষের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। তাঁদের বক্তব্য তুলে ধরে নিজের বক্তব্য প্রতিষ্ঠা করেছেন।”

    জর্জ সরোস

    মিডিয়াপার্টের একটি সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিলিয়নিয়ার এবং দাতব্যকর্মী জর্জ সরোস ড্রু সুলিভান দ্বারা প্রতিষ্ঠিত ওসিসিআরপিকে অর্থ জুগিয়েছেন। ২০২৩ সালে ওসিসিআরপির সাংবাদিকদের পাঠানো একটি ইমেলে সুলিভান স্বীকার করেছিলেন যে এটি সত্য যে তাঁর এনজিও প্রথম দিকের বছরগুলিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিষয়ে কোনও প্রতিবেদন করত না। কারণ এর পুরো বাজেটই ওয়াশিংটন এবং ওপেন সোসাইটি ফাউন্ডেশনের (এরই প্রতিষ্ঠাতা বিলিয়নিয়ার এবং দাতব্যকর্মী জর্জ সরোস) টাকায় ছিল।

    আরও পড়ুন: মহিলারা বাজারে যেতে পারবেন না! ফতোয়া মৌলবাদীদের, আফগানিস্তানের পথে বাংলাদেশ?

    কী লিখেছেন সুলিভান

    সুলিভান লিখেছেন, “আমরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সরকার বা সরোসের অর্থ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিষয়ে কোনও প্রতিবেদনের জন্য ব্যবহার করতে পারতাম না।” প্রতিবেদনে এও বলা হয়েছে, এরপর থেকে, ওসিসিআরপি আরও বিস্তৃত উৎস থেকে অর্থ সংগ্রহ করেছে, এবং সুলিভান এবং বোর্ড এই তদন্তে জানিয়েছেন যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিষয়গুলো তদন্তের জন্য মার্কিন তহবিল ব্যবহার না করার সীমাবদ্ধতা এখন আর সমস্যা নয়, কারণ (Rahul Gandhi) এনজিওটি অন্য অ-মার্কিন তহবিল ব্যবহার করতে পারে, যেগুলো তারা পেয়েই থাকে (BJP)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Bibah Panchami: শুক্রবার রাম-সীতার বিবাহ জয়ন্তী, গুজরাট থেকে জনকপুর গেল ১০৮ মিটারের ওড়না

    Bibah Panchami: শুক্রবার রাম-সীতার বিবাহ জয়ন্তী, গুজরাট থেকে জনকপুর গেল ১০৮ মিটারের ওড়না

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভগবান রাম (Lord Ram) ও মাতা সীতার বিবাহ-উৎসব বিবাহ পঞ্চমী নামে পরিচিত (Bibah Panchami)। চলতি বছরে তা পালিত হবে শুক্রবার, ৬ ডিসেম্বর। মাতা সীতার জন্মস্থান বলে পরিচিত নেপালের জানকী মন্দিরে ১০৮ মিটার দৈর্ঘ্যের একটি ওড়না পাঠানো হল গুজরাট থেকে। প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ২২ জানুয়ারি রামলালার মূর্তিতে প্রাণ প্রতিষ্ঠা হয়, উদ্বোধন হয় রাম মন্দিরের, তারপরে এই প্রথমবারের জন্য বিবাহ পঞ্চমী পালিত হচ্ছে।

    জিন মাতা ট্রাস্ট নামের একটি সংস্থা পাঠিয়েছে ওই ওড়না

    জানা গিয়েছে, ১০৮ মিটার দৈর্ঘ্যের এই ওড়নাটি লাল রঙের এবং তা পাঠিয়েছে জিন মাতা ট্রাস্ট নামের একটি সংস্থা (Bibah Panchami)। অন্যতম উদ্যোক্তা মনোজ রানগাতা সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘‘আজকে প্রথমবারের জন্য গুজরাটের জিনমাতা ট্রাস্ট থেকে পাঠানো হল ১০৮ মিটার দৈর্ঘ্যের ওড়না। তা পাঠানো হয়েছে নেপালের জনকপুরে (Bibah Panchami)। সেখানকার মানুষজন অত্যন্ত খুশি মনে তা গ্রহণ করেছেন এবং এই ওড়না নিয়ে সেখানে একটি শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়েছে। ভক্তরা শোভাযাত্রার মাধ্যমে সেই ওড়নাকে নেপালের জানকী মন্দির পর্যন্ত নিয়ে গিয়েছেন।’’

    রাম-সীতার বিবাহ দেবেন ৪০ জন বৈদিক ব্রাহ্মণ

    প্রসঙ্গত, মনে করা হয় নেপালের জনকপুরেই ছিল মাতা সীতার পিতা জনকের রাজ্য। সেখানেই বিবাহ পঞ্চমী (Bibah Panchami) ধুমধাম করে পালিত হতে চলেছে। প্রসঙ্গত, গত মাসের ৩ নভেম্বর ভগবান রামচন্দ্রের বারাত বা বরযাত্রীরা জনকপুরে পৌঁছান। সংখ্যা ছিল প্রায় পাঁচশোর বেশি। তাঁরা প্রত্যেকেই ভারতের বিভিন্ন স্থান থেকে গিয়েছেন বলে খবর। জানা গিয়েছে, এর মধ্যে রয়েছেন ৪০ জন বৈদিক ব্রাহ্মণ, যাঁরা প্রত্যেকেই তিরুপতি থেকে এসেছেন। এই ব্রাহ্মণরা মাতা সীতা এবং ভগবান রামচন্দ্রের প্রতীকী বিবাহ দেবেন জনপুরধামে। জানা গিয়েছে, এই ব্রাহ্মণরা সরাসরি জনকপুরে পৌঁছেছেন বিবাহ উৎসবে অংশগ্রহণ করতে। পুরাণ অনুযায়ী, ভগবান রাম (Lord Ram) ছিলেন রাজা দশরথের সন্তান এবং অযোধ্যার রাজপুত্র। তিনি বিবাহ করেন জনকপুর ধামের রাজা জনকের কন্যা সীতার সঙ্গে। এই বিবাহ অনুষ্ঠান জনপুর ধামে সম্পন্ন হয়েছিল বলেই মনে করা হয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RBI: ‘ইউপিআই লাইট’-এর ঊর্ধ্বসীমা বাড়াল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক, ১০০০ টাকা পর্যন্ত লেনদেনে লাগবে না পিন

    RBI: ‘ইউপিআই লাইট’-এর ঊর্ধ্বসীমা বাড়াল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক, ১০০০ টাকা পর্যন্ত লেনদেনে লাগবে না পিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজকাল বহু মানুষই ডিজিটাল পেমেন্ট করেন। যে কোনও জায়গায় কিছু কিনতে গেলেই দেখতে পাওয়া যায় কিউআর কোড (QR Code) স্ক্যানার বসানো রয়েছে। স্ক্যান করে দিলেই কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই পেমেন্ট হয়ে যায়। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া অর্থাৎ আরবিআই থেকে অনলাইনে পেমেন্ট করা ব্যবহারকারীদের জন্য একটি সুখবর দিয়েছে। ইউপিআই লাইট ওয়ালেট (UPI Lite Wallet) ওয়ালেট থেকে পিন ছাড়া লেনদেনের সীমা বাড়িয়ে দিয়েছে আরবিআই (RBI)। আগে এই সীমা ছিল মাত্র ৫০০ টাকা। এবার থেকে সেই টাকার পরিমাণ রিজার্ভ ব্যাঙ্ক বাড়িয়ে ১০০০ টাকা করেছে। মানে এখন ব্যবহারকারীরা পিন ছাড়াই ইউপিআই লাইট ওয়ালেট (UPI Lite Wallet) মারফৎ ১০০০ টাকা পর্যন্ত লেনদেন করতে পারবেন। এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন ওয়ালেট ব্যবহারকারীরা।

    ওয়ালেটের ব্যালান্স কত বাড়ল? (RBI)

    ইউপিআই লাইট ওয়ালেটে (UPI Lite Wallet) ২টি বড় বদল আনল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। চালু হওয়া নতুন নিয়ম অনুসারে, প্রথমত, ওয়ালেটে টাকা রাখার ঊর্ধ্বসীমা ২০০০ থেকে বাড়িয়ে ৫০০০ করেছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। দ্বিতীয়ত, পিন নম্বর ছাড়া ইউপিআই লাইটের প্রতি লেনদেনের ঊর্ধ্বসীমা ৫০০ থেকে বাড়িয়ে ১০০০ টাকা করা হয়েছে। ফলে, একদিকে, যেমন এবার থেকে ওয়ালেটে ৫ হাজার টাকা ব্যালান্স রাখা যাবে। অন্যদিকে, তা দিয়ে ১০০০ টাকা পর্যন্ত প্রতিবার লেনদেন করা যাবে। প্রতিদিন যারা এই মাধ্যমকে ব্যবহার করে কেনাকাটা করেন, তাদের জন্য এই উদ্যোগ অনেকটাই সুবিধা দেবে বলে আরবিআই কর্তারা মনে করছেন।

    আরও পড়ুন: চলছে হিন্দু নির্যাতন, ঢাকায় যাচ্ছেন ভারতের বিদেশ সচিব, সুর নরম বাংলাদেশের

    ইউনিফাইড পেমেন্টস ইন্টারফেস (UPI) ভারতের ডিজিটাল রূপান্তরে ওপর জোর দিয়ে এক মাসে ১৬.৫৮ বিলিয়ন (১ বিলিয়ন হল ১০০ কোটি) আর্থিক লেনদেন করে ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। ২০১৬ সালে ন্যাশনাল পেমেন্টস কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া (NPCI) দ্বারা চালু করা হয় ইউপিআই পেমেন্ট ব্যবস্থা। একটি মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনে একাধিক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টকে (RBI) একসঙ্গে করে দেশের পেমেন্ট ইকোসিস্টেমে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনেছে ইউপিআই। এই সিস্টেমটি সহজেই টাকা ট্রান্সফার, মার্চেন্ট পেমেন্ট এবং পিয়ার-টু-পিয়ার লেনদেন সক্ষম করে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share